খালেদা পরিবারের অতীতের লুটপাটের কাহিনী মানুষ এখনও ভুলেনি,ফলে সক্ল আন্দোলন কর্মসূচি ব্যর্থ হচ্ছে!! ===================== গতকাল ছিল বি,এন,পি জোটের ডাকা বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসুচি।হাতেগোনা কয়েকটি জায়গায় স্বল্প সংখ্যক নেতা কর্মির উপস্থিতিতে পালিত হলেও সুখী ঢাকা শহরে কোন মিছিল চোখে পড়েনি।কেন্দ্রীয় কোন নেতা বরাবরের মত এবার ও মাঠে নামেনি।অবশ্য বি,এন,পি,ও এবার মিথ্যা বলেনি।কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে কয়েকটি জায়গায় মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশের কারনে তাও সম্ভব হয়নি।নিম্নে বি,এন,পির ভাষ্য হুবহু তুলে দিলাম-;--- কেন্দ্রীয় বিএনপি দাবি করেছে, আজ নোয়াখালী, রাঙামাটি, পিরোজপুর, মাগুরা, রংপুর মহানগর, রংপুর জেলা, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, নওগাঁ, নড়াইল, এবং ময়মনসিংহ সদরে পুলিশের বাধার কারণে কর্মসূচি পালন করা সম্ভব হয়নি। আমার কথা হচ্ছে ৬৪টি জেলা সম্বলীত বর্তমান বাংলাদেশ।কয়েক জায়গার নাম উল্লেখ করে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলা হল,কিন্তু অন্য জেলা বা উপজেলা গুলিতে সুন্দর ভাবে করতে পেরেছেন কিনা তা বলেননি।বাংলাদেশের কোথাও স্বতস্পুর্তভাবে কর্মসুচি পা--লি--ত-- হ--য়--নি। আমি এর আগেও একাধিক বার বলেছিলাম বাংলাদেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার দল, তথা জামাত বি,এন,পি আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।যতই চেষ্টা করুকনা কেন জনগন পরের কথা, তাঁদের নেতা কর্মীরাও ঘর থেকে বের হবে না।জনগনের মনে আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে জ্যান্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, যে ভীতির সঞ্চার করেছে,সেখান থেকে বের হতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হবে।ততদিন পয্যন্ত দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।জনগন আর আগের মত বোকা আছে বলে ও মনে হয় না।জিয়া পরিবারের লুট পাট, হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে প্যারালাল সরকার পরিচালনা,অর্থপাচার,জাতির জনকের পরিবারের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিক হামলায় সরাসরি রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা,খালেদা জিয়ার বিলাস বহুল জীবন যাপন ইত্যাদি জনমানষে গভীরভাবে রেখাপাত করেছে।বিশ্বের এমন কোন দেশের পতিত বিলাসী সরকার প্রধান পাওয়া যাবেনা, যে সরকার সেই দেশের রাজনীতিতে আবার ঘুরে দাঁডাতে পেরেছে।বাংলাদেশে কিভাবে পারবে?তাছাড়া বিশ্বের যে কোন দেশের চাইতে বাংলাদেশের মানুষ অধিকতর রাজনৈতিক সচেতন।বাংলাদেশের মানুষ খুব ভাল ভাবেই অবগত আছে,জিয়াকে যখন হত্যা করা হয় তখন বার বার ইলেক্ট্রিক মিডিয়া সহ দেশ বিদেশের সকল সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার হয়েছিল, জিয়ার বাসায় একটা ভাঙ্গা স্যুটকেস এবং ছেঁড়া গেঞ্জী ছাড়া আর কিছুই ছিলনা।সংগত কারনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতির পরিবারের ভরন পোষন,ছেলেদের লেখা পড়া,ঢাকা শহরে বসবাস করার জন্য বাড়ী,রাষ্ট্রীয় ভাতা ইত্যাদির যথাযথ ব্যাবস্থা করেছিল তৎকালীন সরকার।একাদিক বাড়ী সরকার দিলেও খালেদা জিয়া সেনা বাহিনী থাকা অবস্থায়, জিয়া ক্যান্টনমেন্টে যে বাড়ী পেয়েছিলেন,মেজর জিয়ার মৃত্যুর পরেও খালেদা, সেখান থেকে বের হওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি।শেষ পয্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮সালে ক্ষমতায় এসে সেনাবাহিনীর প্রয়োজনে বেগম জিয়াকে সেই বাড়ী থেকে বের করার পদক্ষেপ গ্রহন করেন।খালেদা জিয়া বাড়ীথেকে বের না হওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে ফন্দি ফিকির করতে থাকেন।এতে সরকারী সম্পদ অবৈধ ভাবে দখলে রাখার ক্ষেত্রে তাঁর প্রচন্ড লোভ জনগনের নিকট পরিষ্কার ভাবে ধরা পড়ে।শেষ পয্যন্ত সরকার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে তাঁকে বাড়ী থেকে বের করতে বাধ্য হয়।সরকারী বাড়ীর জন্য খালেদা জিয়ার কান্না দেশ বিদেশের মিডিয়া গুলীতে বার বার দেখানো হয়।বিশ্বের সকল মিডিয়ায় উক্ত ছবি বেশ গুরুত্ব দিয়ে কয়েক দিন প্রচার করে,।সংগত কারনে দেশে বিদেশেও তাঁর লোভের লেলিহান জিব্বার ব্যাপক সমালোচিত হয়।বাড়ী থেকে বের করার পর তাঁর নিজস্ব ব্যাবহারীত মালামালের তালিকা প্রস্তুত করতে গেলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষতো বটেই,দেশী বিদেশী সংবাদ কর্মিরাও তাজ্জব বনে যান।একটা গরিবদেশের সরকার প্রধানের বিশাল বাড়ীতে, বেশুমার বিলাসী আসবাবপত্র ও বিলাস সামগ্রি থাকতে পারে, কেউ কোন দিন কল্পনায়ও আনেননি।এই সংবাদ ও দেশ বিদেশের মিডিয়া গুরুত্বের সাথে বেশ কিছু দিন প্রকাশ করে।এইসব সামগ্রী ফিলিফিন্সের পতিত মার্কোস দম্পতির চাইতেও কয়েক গুন বেশী।কি ছিল বাড়ীতে তাঁর একটা তালিকা দেয়া প্রয়োজন মনে করি--+- খালেদার নিজের ব্যাবহারী জিনিষের তালিকাই এখানে তুলে ধরা হল।কারন তারেক জিয়া ও কোকো আলাদা আলাদা সরকার কতৃক বরাদ্ধ করা বাড়ীতে থাকতেন। তাঁর ঘরে যে সব জিনিস পাওয়া গেছে তা এক বিশ্ময়কর----!!! (এক)৫৪ টি ফ্রিজ, ২৫ টি এয়ারকন্ডিশন।,ফ্রান্স থেকে আমদানী। (দুই) করা ২৫ টি ঘুমানোর জন্য খাট, (তিন) চীন থেকে আমদানী করা ২০ টি ড্রেসিং টেবিল। (চার) তৈজসপত্র, ১৫ টি টয়লেট ছিল,টয়লেটের সরঞ্জাম সবই বিদেশ থেকে আমদানী করা। (পাঁছ) খাটের উপর ব্যাবহায্য সব কিছুই তুর্কি থেকে আমদানী করা কম্বল,বিছানাপত্র,জাজিম,তোষক ও ফোম। (ছয়) ৬৪ জনের বিশাল বহর ছিল বাসার কাজের লোক। (সাত) প্রত্যেক ফ্রিজে ভর্তি ছিল বিদেশী মদের বোতল,খদ্য সামগ্রীতে। (আট) বাথ্রুমে ছিল অত্যাধুনীক ব্যবহায্য সামগ্রী। (নয়) রুপ চর্চার জন্য ফিলিফাইনের ছয়জন বিউটিশিয়ান (দশ) কেশ বিন্যাসের জন্য ছিল আলাদা আরও তিন জন হেয়ার স্টাইলিষ্ট। (এগার)পরিধেয় কাপড়,জুতার ভান্ডার গুনে দেখার মত নহে। তাছাড়াও সর্বজনবিদিত যে,ডান্ডিডাইং থেকে আরাম্ভ করে কোকো জাহাজ পয্যন্ত সম্পদের পাহাড়।খুলনার ক্যারু মদের কারখানার মালিকানাও বেনামে তারেক জিয়ার।বিশাল অর্থ ভান্ডার যাহা সম্পুর্নই কালো টাকা।উক্ত কাল টাকা ফকরুলের তত্বাবধায়কের সময়ে সরকারী তহবীলে যথাযথ কর দিয়ে সাদা করে নিয়েছেন। খালেদা এবং তাঁর পরিবারের রক্ষার আন্দোলনে জনগন কেন শামিল হবে? কি ছিল জিয়া পরিবারের?এত সম্পদের মালিক দুইবার ক্ষমতায় থেকে আহরন করা যায়??অগনতান্ত্রীক মানুষ পুড়িয়ে মারার আন্দোলনে সামিল হয়ে নেতা কর্মিরা বাড়ীছাড়া।আন্দোলনের প্রাপ্তিছাড়া অফিস ছেড়ে ঘরে চলে যাওয়াতে খালেদা জিয়ার প্রতি কর্মিদের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে বলে আমি মনে করি।যার ফলে দীর্ঘ পাঁছমাস বিরতির পরে ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসুচি দেয়ার পর ও কর্মিরা তা পালন না করে ঘরেই বসে রয়েছেন।ঢাকা শহরে শুধু নেতারা মিছিল বাহির করলেও দশ হাজার নেতার মিছিল হওয়ার কথা,কিন্তু নেতারাও কেউ বের হননি।দশ হাজার নেতা একযোগে মিছিল বের করলে পুলিশ নয়, সেনাবাহিনীও বাঁধা দিবে বা দিতে পারবে বলে আমি মনে করি না। বারে বারে ব্যার্থতার কারন খালেদা জিয়া বুঝেননা।জনগন ঠিকই বোঝেন এবং কি নেতা কর্মিরাও বোধগম্য।আমি মনে করি জিয়া পরিবারের রাজনীতি বাংলাদেশের মাটিতে করা আর সম্ভব হবে না।বেগম জিয়ার হাতে পেট্রোল বোমার আঘাতে মৃত মানুষের গন্ধ লেগে আছে,গায়ে লুটের টাকার ঘামের গন্ধ,চলাপেরায় অনৈতিকতার চাপ স্পষ্ট।দেশের মানুষকে তাঁদের নীজেদের স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনে সামিল করতে গিয়ে, মানবতা বিরুদি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি,মৌলবাদী জঙ্গী গুষ্টির সাথে হাত মিলাতে কুন্ঠাবোধ করেননি।বাংলা দেশের মানুষ ৭১ এর খুনী, দর্শক,রাজাকার,আলবদরদের বিচার চায়।খালেদা জিয়া তাঁর পরিবারকে নির্গাত শাস্তি থেকে রক্ষার হীন উদ্দেশ্যে জঙ্গী,৭১ এর ঘাতকদের সাথে হাত মিলিয়েছেন।জনগন ও জঙ্গীরানী খালেদার আগুন সন্ত্রাস থেকে বাঁচার জন্য একজোট হয়েছেন।জনগনের সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করার চেষ্টা করে ও ব্যর্থ হয়েছেন,এই থেকে তাঁর শিক্ষা নেয়া প্রয়োজন। যে নেতা জনগনের নাড়ীর কথা বুঝে না তাঁর রাজনীতি করার কোন অধিকার আছে বলে আমি মনে করি না। হাসানুল হক ইনুর সাথে সুর মিলিয়ে আমিও বলতে চাই, খালেদা জিয়ার সর্বস্ব শেষ না হওয়া পয্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব ইনশাল্লাহ। গত কাল হাসানুল হক ইনু একটি যুক্তি পুর্ন কথাই বলেছেন-- ‘২১ আগস্ট পরিকল্পনাকারী, জঙ্গিবাদী ও আগুন সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো আপস হতে পারে না। খালেদা জিয়া মাফ চাইলেও তাঁকে মাপ করা হবে না। তারেক রহমান ও খালেদা জিয়াকে শেষ ধাক্কা দেওয়ার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। হয় তাঁরা থাকবে না হয় আমরা থাকব।’ এর পর সুযোগ সন্ধানী বেঈমান এরশাদের পালা আসবে।এরশাদ জাতির পিতার হত্যার বেনীফিসিয়ারী পাকিস্তান ফেরৎ সেনা কর্মকর্তা।ভারতে থেকে মদদ দিয়েছিল এরশাদ।জিয়ার সাথে চুক্তি ছিল,এরশাদের মুখের কথা।খালেদা জিয়া কি কথা রাখেননি,তাঁকে এই মহুর্তে গ্রেপতার করে জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন।গতকাল এর শাদ কুমিল্লায় দলীয় মিটিং করতে এসে বি,এন,পি কে অবিশম্পাত দিয়ে গেলেন।বি,এন,পি নাকি কথা রাখেননি।কি কথা রাখেননি? এতে বুঝা যায় সব ইদুর এক গর্তেই ছিল,হঠাৎ জলোচ্ছাসে সব ইদুর বানের পানির সাথে ভেসে গেছে। স্বৈরাচার এরশাদের নিজের মুখেই বলেন+--বিএনপির মিথ্যা আশ্বাসে আমি স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলাম, বিএনপি আমার সঙ্গে ও আমার দলের সঙ্গে বেঈমানি করেছে। বিএনপি এখন সেই বেঈমানির ফল পাচ্ছে। গতকাল স্বৈরাচারী এরশাদ কুমিল্লার তাঁর দলীয় মিটিং এ বক্তব্যে বলেন,দেশ কোথায় আছে—এমন প্রশ্ন রেখে এরশাদ বলেন, কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁকে পরের দিন আর পাওয়া যায় না। রাস্তায় নিথর দেহ পড়ে থাকে। মানুষ গুম হয়ে যাচ্ছে। মানুষ কথা বলতে পারে না। লেখার অধিকার নাই। ভোটের অধিকার নাই। বাঁচার অধিকার নাই। দেশে সুশাসন নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। মানুষের মনে ভয়। এখন এই ধরনের অত্যাচার থেকে মানুষ রক্ষা পেতে চায়।‘ স্বৈরাচার কিভাবে এম,পি হল সেই কথাটি বলেনি।কুমিল্লায় কি করে জনসভা করে তাও বলেনি।এত কথা বলার পর সে কেন গুম হয়না তাও বলেনি।সুযোগের সন্ধানী স্বৈরাচার এরশাদ,বিএন,পির পতনের আভাস পেয়েে দল বড় করার ফিকিরে আছে।বুড়াও আবার জোয়ান হয়?পতন হয়েছে হয়েছেই--উত্থান আর হবে না। উত্থান হবে নতুন প্রজর্ম্মের,যেই প্রজম্ম বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের প্রজর্ম্ম।যেই প্রজর্ম্ম স্বাধীনতার মহা নায়কের উত্তরসুরী,ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনকের দৌহিত্র,দেশরত্মের সুযোগ্য পুত্র জনাব সজিব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে। জয় আমাদের হবেই,জয় হবে মুক্তিযুদ্ধের,জয় হবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্বমহিমায়, স্বগৌরবে জাতীয় চেতনায় ফিরে আসার।

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন