জাতীয় শোক দিবসের আজ ১০সেপ্টেম্বর শেষ দিন।হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা,শ্রদ্ধায় স্মরন করছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে। ============================= ১৫ আগস্ট ২০১৫ইং সর্বযুগের সর্বশ্রষ্ঠ বাঙ্গালী,বাংলাদেশের জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকির, আজ ১০ই সেপ্টেম্বর ২০১৫সরকার ঘোষিত ৪০দিনের জাতীয় শোক দিবসের শেষ দিন।আশার কথা যে এবারের শোক দিবসে অল্প বিস্তর অঘটন ঘটলেও সামগ্রিক শোক পালনে গাম্ভিয্যতা পরিলক্ষিত হয়েছে।বেশ কিছু অফ-লাইনের কাগজ ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়া ৪০দিন ব্যাপি তাঁদের কাগজের পাতায় এবং অনুষ্ঠান সুচিতে কিছু না কিছু আলোচনা করার চেষ্টা করেছে।এতে বিশিষ্ট ইতিহাসবিদেরা যেমন মতামত তুলে ধরেছেন তাঁদের জ্ঞানগম্ভির আলোচনায়, তেমনি বঙ্গবন্ধুকে যারা কাছ থেকে অবলোককন করেছেন তাঁরাও তাদের স্মৃতির পাতা থেকে টুকরো টুকরো স্মৃতি গুলী মানুষকে জানিয়েছেন অবলীলা ক্রমে।বাঙ্গালী যেমন ভালবেসেছিলেন বাঁধন ছেড়া ভাবে বঙ্গবন্ধুকে,বঙ্গবন্ধু ও বাঙ্গালীকে ভালবেসেছিলেন অন্তরের সকল প্রেমকে উজাড় করে মুক্ত আকাশসম হৃদয়ের নিংড়ানো সকল ভালবাসার অকৃত্তিম আবেগ ঢেলে দিয়ে। ১৫ আগস্ট পৈশাচিক, নৃশংস এবং পৃথিবীর সবচাইতে কলঙ্কিত হত্যাকাণ্ডে জাতির জনক সপরিবারে, শেখ ফজলুল হক মণি স্বস্ত্রীক, শেখ নাসের ও আব্দুর রব সেরনিয়াবাত পরিবারের অনেক সদস্যসহ শহীদ হন। এটি পৃথিবীর একটি ব্যতিক্রমধর্মী পৈশাচিক ঘটনা। যুদ্ধ ব্যতিরেকে কোনো জাতির জীবনেই এরকম ভয়াবহ দুর্যোগ নেমে আসেনি। ঘটনাটি এতই অনভিপ্রেত এবং এতই অকস্মাৎ ও অতর্কিতে ঘটে যায় যে, যে জাতি ২৫ মার্চের পৈশাচিক আক্রমণকে শুধু প্রতিরোধই নয়, প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছিল; ঘটনার আকস্মিকতায় সেই জাতি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায়। এবং অন্যদিকে এই ঘটনার বিপরীতে নেতৃত্বের কোনো অংশ থেকে প্রতিরোধ অথবা রুখে দাঁড়ানোর কোনো আহ্বান বিজয়ী জাতির জাগ্রত জনগণ শুনতে পায়নি। প্রসঙ্গের গভীরে আসার আগে আমি বিদগ্ধ চিত্তে কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি কর্নেল জামিলকে- তাঁর দুর্জয় সাহসী ভূমিকার জন্য। যথাসময়ে জীবনের বিনিময়ে তিনি প্রমাণ করে গেছেন তাঁর কর্তব্যনিষ্ঠা ও সামরিক শৃঙ্খলাবোধের। জামিলের মত আর দুই চার জন যদি সেদিন তাদের কর্তব্য নিষ্টার পরাকাষ্টা দেখাতে পারতেন তাহলে বাংলা দেশের ইতিহাস হয়তোবা আজ অন্যরকম হতে পারতো। পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে ঘাতকের নির্মম আঘাতে জীবন হারানোর ঘটনা বিরল নয়। আমেরিকার গৃহযুদ্ধের নিষ্পত্তিকরণের মহানায়ক, ইতিহাসের অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব আব্রাহাম লিঙ্কন, আমেরিকার প্রথিতযশা রাষ্ট্রনায়ক জন এফ কেনেডি ও তাঁর ভাই আমেরিকার অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট কেনেডি, মানবতার অগ্রদূত মার্টিন লুথার কিং, কঙ্গোর প্যাট্রিস লুমুম্বা, আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা করমচাঁদ গান্ধী, সত্তর দশকের পৃথিবীর সবচাইতে দূরদর্শী ও সফল রাষ্ট্রনায়ক ইন্দিরা গান্ধী, তাঁরই যোগ্য উত্তরসূরি রাজীব গান্ধীসহ পৃথিবীর রাজনীতির অনেক শ্রদ্ধাভাজন বিশিষ্টজন ও বিশ্বনন্দিত রাষ্ট্রনায়ক এমনকি জাতির জনক ঘাতকের গুলিতে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। কিন্তু পৃথিবীর কোথাও কখনো একই পরিবারের সবাইকে একসঙ্গে নির্মূল-নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার এমন পৈশাচিক দৃষ্টান্ত আর নেই। বঙ্গবন্ধু হত্যামামলা চলাকালে সাক্ষীদের জেরা ও সংশ্লিষ্ট নথিপত্রে উঠে এসেছে- আক্রান্ত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় পেয়েছিলেন এবং সামরিক বেসামরিক ও সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছিলেন এবং আক্রমণটিকে প্রতিহত করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। একটা অসহ্য যন্ত্রণায় আমার বুকের পাঁজর টনটন করে ওঠে। মৃত্যুর আগে কি সামরিক, কি বেসামরিক, কি সাংগঠনিক- কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত শক্তিধর ব্যক্তির পক্ষ থেকে যথাযথ সাড়া না পাওয়ার মর্মান্তিক বেদনা নিয়েই তাকে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিতে হয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক শক্তি ২৫ মার্চের পর বাংলাদেশের কারাগার তো দূরে থাক, কোনো ক্যান্টনমেন্টেও তাকে রাখতে সাহস পায়নি, এটা ভেবে যে, তাকে বাংলাদেশের চৌহদ্দির মধ্যে অবরুদ্ধ রাখা ছিল অসম্ভব। তাকে নাগালের মধ্যে পেয়েও পৈশাচিক সামরিক জান্তা খুব সুপরিকল্পিত চেতনার আবর্তেই জীবিত রেখেছিল এই কারণে, মুক্তিযুদ্ধে আমরা পরাজিত হলে তাকে হত্যা করবে, আর তারা পরাজিত হলে তাদের সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক অনুগতদের সঙ্গে জীবন বিনিময় করবে। গভীর বেদনাহত চিত্তে আমার এটা মনে হয়েছে যে, পাকিস্তানের কারাগার থেকে অক্ষত অবস্থায় প্রত্যাগত হওয়ার পর তাঁর চিন্তাচেতনা ও মননশীলতায় এই বদ্ধমূল ধারণা সৃষ্টি হয় যে, তাঁর প্রাণের স্বদেশবাসীরা নিজেদের জীবনের বিনিময়ে তাঁর নিরাপত্তার বিধান করবে। বাংলাদেশের ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলই তাঁর নিরাপত্তার দুর্ভেদ্য দুর্গ। তাই অনেক অনুরোধ ও নানাভাবে তাকে সতর্ক করা সত্ত্বেও ৩২ নম্বরের বাড়ি ছেড়ে তিনি গণভবনের নিরাপত্তা ছাউনির মধ্যে অবস্থান করতে রাজি হতেন না। বিষয়টি নিয়ে তাকে সতর্ক করতে গেলে অনেক সময় প্রচণ্ড ক্রোধান্বিত হয়ে তিনি বলতেন, তিনি নিরাপত্তার নামে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবরুদ্ধ জীবন কাটাতে চান না। ৩২ নম্বরের বাড়িটি এতটাই উন্মুক্ত ও অবারিত ছিল যে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের কর্মী থেকে শুরু করে যে কোনো পর্যায়ের মানুষ এমনকি ঘাতকরাও সময়ে-অসময়ে তার কাছে অনায়াসে পৌঁছতে পারত। পালিয়ে যাওয়ার বহু রাস্তা খোলা থাকা সত্বেও,তিন ঘন্টার অধিক সময় পাওয়া সত্বেও বঙ্গ বন্ধু পালিয়ে না গিয়ে নির্ভয়ে ঘাতকদের সামনে চলে এসেছিলেন।তাঁর দৃডবিশ্বাস ছিল বাঙ্গালীরা তাঁকে হত্যা করতে পারেনা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ঘাতকরা যদি আদৌ বুঝতে পারত, বঙ্গবন্ধু ৩২ নম্বর থেকে সরে গেছেন, তাহলে তারা পোশাক ছেড়ে উলঙ্গ হয়ে দিকশূন্য হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হতো। আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি যদি পেছনের দরজা দিয়ে সরে যেতেন, তাহলেও ঘটনার চিত্রটি অন্যরকম হলেও হতে পারত। বঙ্গবন্ধু স্থির প্রত্যয়ে বিশ্বাস করতেন যে, বাঙালির ডান-বাম যে কোনো ধরনের অভ্যুত্থান এমনকি বিপ্লব হলেও তাকে হত্যা তো দূরে থাক, তাঁর নেতৃত্বকে অস্বীকার করার দুঃসাহস ও স্পর্ধা কেউ দেখাবে না। তাঁর এই চেতনাটির প্রতীতি ও প্রত্যয় মানুষের প্রতি অগাধ বিশ্বাস এবং বাংলার মাটির প্রতি তাঁর অবারিত চিত্তের নিগুড় ভালবাসা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু ভারতবর্ষের ইতিহাসের একমাত্র সফল আন্দোলনের নির্মাতাই ছিলেন না, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে তিনি উপমহাদেশের সর্বকালে সব শহীদের ঋণ শোধ করেছেন। বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন সেই মানুষ, যাঁর জীবন ও কর্ম সফল করেছে ক্ষুদিরাম-প্রীতিলতা-সূর্যসেন থেকে সালাম-বরকত-রফিক কিংবা ঊনসত্তরের শহীদ আসাদের আত্মদানকে। তিনিই তো একমাত্র নেতা যিনি একই সঙ্গে বাঙালির অতীত ও ভবিষ্যৎকে তাৎপর্যপূর্ণ করেছেন। তাই হীন-অসত্য-ইতিহাস বিকৃতিকারীদের মূর্খতা ও স্থ‚লতার জবাব দেয়াটাও অবান্তর হবে। পঁচাত্তরের পনেরই আগস্টের মধ্য দিয়ে যে ইতিতহাস বিকৃতির যুগ অতিবাহিত হয়ে আসছে প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিককেই এই বিকৃতির চক্রব্যুহ ভেদ করতে হবে। বাঙালির ইতিহাসের ভেতর দিয়ে বাঙালি আপন কথা বলে। বাঙালির ইতিহাস বাঙালির অস্তিত্বের উচ্চারণ। আর বঙ্গবন্ধু সর্বকালের বাঙালির আপনতম কণ্ঠ। তাই পনেরই আগস্টের বঙ্গবন্ধু নৃশংস হত্যাকাণ্ড বাঙালির কণ্ঠরোধ করারই শামিল। আর বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রথম রূপকার বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ভেতর দিয়ে ভ্রান্ত-কপট এক বিষাক্ত জাতীয়তাবাদের দিকে বাঙালিকে চালিত করার পথ প্রশস্ত হয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদও বস্তুত কোনো আকস্মিক বিষয় নয়। কোনো সেনাছাউনিতে এর কলঙ্কিত জন্ম হয়নি। এর রয়েছে হাজার বছরের এক সেকুলার ইতিহাস। আমাদের মনে পড়বে বঙ্গবন্ধুকে যেদিন হত্যা করা হয় তার পরের দিন সৌদি আরব বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। এর থেকে প্রমাণ হয় যে, ধর্মনিরপেক্ষতা যে জাতীয়তার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল বিশ্বের প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিসমূহ কোনো দিন তা সমর্থন করতে পারেনি। উল্লেখ্য, একাত্তরের ঘাতক গোলাম আযম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা তখন পাকিস্তান ও সৌদি আরবে অবস্থান করছিল। আর তাদের দোসররা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্লোগান দিচ্ছিল ‘তোয়াব ভাই, তোয়াব ভাই, চাঁদ-তারা পতাকা চাই’। এরা বাঙালির পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতকে পরিবর্তনেরও দাবি তুলে। কিন্তু বাঙালি স্বভাবগত সেকুলার। হিন্দু মুসলমানদের মিলনের ভেতর দিয়েই এর পূর্ণতা। বহু ধর্ম-দর্শনকে এটি নিজের উদারতা দিয়ে আপন করে নিয়েছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদ হচ্ছে সেই সত্তা যাকে রামমোহন-বিদ্যাসাগর-বঙ্কিম-রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-সোহরাওয়ার্দীর মতো মহান ব্যক্তিবর্গ নিজের মতো করে আকার দিয়েছেন, আর সেই মৃত্তিকামূর্তির আকারে এক কঠিন সন্ধিক্ষণে তাঁকে এই দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলার ইতিহাস হয়তো দীর্ঘকালের জন্য অশুভ অন্ধকারে থমকে থাকত। এইবছরই বাংলাদেশের মানুষের স্মৃতিতে জাগরুক হল বঙ্গবন্ধু মুলত সার্বজনীন ব্যাক্তিত্ব।কোন একক দল বা গোষ্টির সম্পদ নন।এই প্রথম বাঙ্গালীচিত্তে স্বরুপে,স্বমহিমায়,স্বগৌরবে জাতির জনক ফিরে আসতে শুরু করেছে।ইতিহাস কোন দিন কেউ বাঁকা করতে পারেনা,যদিও পারে তা নিতান্তই সাময়িক সময়ের জন্য।জাতির জনকের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে,তিনি তিন দশক পরেই ফিরে আসতে শুরু করেছেন।তবে এই আসার পথ ও যে মসৃন নয় তা ইতিমধ্যে প্রমানীত হয়ে গেছে।অনেক প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতাও অযথা বিতর্কের ঝড় তুলে সাময়িক বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন।দক্ষতার সঙ্গেই জাতির জনকের কন্যা সামাল দিতে পেরেছেন বলেই আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুই প্রথম বাঙালি যিনি জাতিসংঘে প্রথম বাংলায় ভাষণ দেন এবং বাংলাকে জাতিসংঘের স্বীকৃত ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ভারতের সঙ্গে ২৫ বছরের মৈত্রী ও শান্তি চুক্তি, ফারাক্কার পানি বণ্টন চুক্তিতে বাংলাদেশের জন্য ৪৪ হাজার কিউসেক পানির ব্যবস্থা বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের বিরাট সাফল্য। মাত্র সাড়ে ৩ বছরের শাসনামলে একজন সফল রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক সংগ্রাম, স্বাধীনতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অমূল্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে জুলি ও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তি আজো সব বাঙালির জন্য গর্বের এবং গৌরবের। ইতিহাস সত্যের পথে অবিরল, অবিচল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে খুনিচক্র বঙ্গবন্ধুর নাম চিরতরে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে খুনি মোশতাক, ফারুক, রশিদ, ডালিম ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। ৩৪ বছর পরেও খুনিদের ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলতে হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তাঁর কর্মের মাঝে, সৃষ্টির মাঝে আমাদের হৃদয় মন্দিরে বেঁচে আছেন। দেশে-বিদেশে লাখ কোটি মানুষের অন্তরের মনিকোঠায় বেঁচে থাকবেন মহাকালের পথ বেয়ে অনন্তকাল।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা