পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জাতির পিতার স্মরনে---- ১৫আগষ্ট কালরাতে ,বাংলাদেশের উপর দিয়ে। , উড়ে গেল একদল শকুন,সাম্রাজ্যব াদের চক্রান্তে। কেড়ে নিল কোটি হৃদয়ের প্রান,নিকষ রাতের আধাঁরে। প্রশিক্ষনের নাম করে ,ঝাঁপিয়ে পড়ে ৩২নং বাড়ীতে। বাড়িতে বাস করেন, বাঙালী জাতির মুক্তি দাতা। ,বিশ্বের নিপিড়িত মানুষের,,প্রেরনার উৎস। বাংলা দেশের জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। ওরা নিমিষেই তছনছ করে দিয়ে গেল, রক্তের বন্যায়। ভাসিয়ে দিয়ে গেল,রবিঠাকুরের সোনার বাংলা। শিশু রাসেল বয়স সবে দশ,তাঁকেও বাঁচতে দিলনা। ৭১ এর ১৬ই ডিসেম্বারের পর , খেতে পারেনি। বাড়ীর মালিকের তর্জনীর হুংকারে, সাড়ে তিন বছর। তল্পিতল্পা গুটিয়ে যেতে হয়েছিল,নীজ আবাস ভুমে। সেখানে খাদ্যের অভাব ছিল, শুকনদের আজর্ম্ম। তাইতো চারন ভুমি করে রেখেছিল, ২৩ বছর মালিকের আবাস। সুযোগ বুঝে ১৫ই আগষ্টের রাতে, চরম প্রতিশোধ নিল। দখল করে নিল বাংলাকে, আবার তাঁদের চারন ভুমি করে। একুশ বছর দেয়নি উচ্ছারন করতে, ঐ বাড়ির নাম। একদা ছিল যে বাড়ী, বাঙ্গালীর মুক্তির উৎসস্থল। চেষ্টা হল নানাবিদ উপায়ে,মুছে দিতে ইতিহাস তাঁর। কি করে মুছবে তাঁরা, গেঁথে আছে বাঙালীর হৃদয়ে। মহান প্রভুর অশেষ কৃপায়,বেঁচে ছিলেন তাঁর দুই কন্যা। চড়াই উৎরাই পেরিয়ে, একদা ফিরে এলেন একজন। পিতার রেখে যাওয়া স্বপ্ন ,বাস্তবে রুপ দেয়ার কঠিন শফথ নিয়ে। করে নিলেন জয়,কোটি বাঙ্গালীর হৃদয়। দুরু দুরু কাঁপনে নয়,বাবার মতই সাহষি চিত্তের গর্জনে। শকুনের দল সহসাই বুঝে গেছে,হতে হবে বিদায়। শুরু হল হত্যার নতুন চক,চেষ্টা হল বহু বার। রক্ষা পেলেন,মহান প্রভুর অসীম কৃপায়। শুরু হল শুকুন নিধন, আনা হল বিচারের আওতায়। রায় হল অনেকের সর্বচ্ছ আদালতে, ,দেয়া হল ফাসি। অনেকে আছেন পালিয়ে,কাটছে জীবন মানবেতর। রয়ে গেছে বাকি আর ও অনেক, শুনালেন অভয় বানী। রেহাই পাবেনা কেহই,বেঁচে যদি থাকি ধরায়। বাঙ্গালী বিশ্বাস করে,বাড়ীর শেষ রক্তবিন্দুকে। তাঁদের অন্তরের গভীর শ্রদ্ধায়,করেনি কখনও বেইমানি। জীবন করেছে বিপন্ন,নত করেনি শির বাঙ্গালীর। ধরায় ছিলেন যত দিন,কেঁপেছে ধরা বাঘের গর্জনে। একটি দিন ছুটে চলে, বাঙালির স্রোত। করিতে শোধ আংশিক ঋন,৩২নং বাড়িতে। বাড়ী নয় জাতীর সম্পদ,রক্ষিত আছে স্মৃতি তাঁর অনেক। দেখে এসে বাড়ায় মনের জ্বালা, মিটাইতে পারেনা ক্রোধ। ক্ষমা কর ক্ষমা করো পিতা,করিতে পারিনি জীবন রক্ষা। সাগরসম রক্তে বেঁধছ ,হাজার বছরের ঋনে। করিবে স্মরন বাঙালী,পৃথিবি আছে যত দিন। ছিলে তুমি বাঙ্গালীর জনক,আদর্শে হয়েছ নিপিড়িতের প্রেরনা। বিশ্বময় তোমার স্মৃতি,উৎপিড়িতে র হৃদয়ে। তোমার কবিতার আদর্শ, বিশ্বের যত মুক্তি কামি জনতার। প্রেরনা হয়ে বেঁচে আছ,বিশ্বের যত স্বাধিনতা কামি জনতায়। রচিত হয় কবিতা তোমাকে নিয়ে, নিপিড়িতের সংসদে। ফালায়ে চোখের জল,অন্তরে জ্বালিয়ে বাতি। সম্বস্ব্ররে বলে উঠবে জবে,ভাঙ্গিতে শৃংখল। ""এবারের সংগ্রাম,মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম,স্বাধিনতার সংগ্রাম।"" "জয়বাংলা জয়বংগবন্ধু। জয়তু দেশ রত্ম শেখ হাসিনা""

Durbin - দূরবীন লেখাটি পড়ে চোখ ভিজে গেল, তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম । "মিথ্যাবাদী মা" ... এতটা দিন পেরিয়ে আজো মায়ের জন্য কাঁদি কারণ আমার মা যে ছিল ভীষণ মিথ্যাবাদী। বাবা যেদিন মারা গেল আমরা হলাম একা সেদিন থেকেই বাঁক নিয়েছে মায়ের কপাল রেখা। মা বলতো বাবা নাকি তারার ভিড়ে আছে লেখাপড়া করি যদি নেমে আসবে কাছে। তারায় তারায় বাবা খুঁজি তারার ছড়াছড়ি আমার মায়ের মিথ্যে বলার প্রথম হাতে খড়ি। পাড়া পড়শী বলল এসে এই বয়সেই রাঢ়ি ! একা একা এতটা পথ কেমনে দিবে পাড়ি। ভাল একটা ছেলে দেখে বিয়ে কর আবার মা বলল, ওসব শুনে ঘেন্না লাগে আমার। একা কোথায় খোকন আছে, বিয়ের কী দরকার? ওটা ছিল আমার মায়ের চরম মিথ্যাচার। রাত্রি জেগে সেলাই মেশিন, চোখের কোণে কালি নতুন জামায় ঘর ভরে যায় মায়ের জামায় তালি। ঢুলু ঢুলু ঘুমের চোখে সুই ফুটে মা’র হাতে আমি বলি, শোও তো এবার কী কাজ অত রাতে? মা বলত ঘুম আসে না শুয়ে কী লাভ বল? ওটা ছিল আমার মায়ের মিথ্যা কথার ছল। স্কুল থেকে নিতে আসা গাড়ী ঘোড়ার চাপে আমার জন্য দাড়ানো মা কড়া রোদের তাপে। ঘামে মায়ের দম ফেটে যায়, দুচোখ ভরা ঝিম ভ্যানিটি ব্যাগ খুলে আমায় দিত আইসক্রিম। মায়ের দিকে বাড়িয়ে ধরে বলতাম একটু নাও মলিন হেসে মা বলত, খাও তো বাবা খাও। আমার আবার গলা ব্যাথা, ঠান্ডা খাওয়া মানা ওটা ছিল আমার মায়ের নিঠুর মিথ্যাপনা। বড় হয়ে চাকুরী নিয়ে বড় শহর আসি টুকটুকে বউ ঘরে আমার বউকে ভালবাসি। পশ এলাকায় বাসা নিয়ে ডেকোরেটর ধরে সাজিয়ে নিলাম মনের মত অত্যাধুনিক করে। মা তখনো মফস্বলে কুশিয়ারার ঢালে লোডশেডিং এর অন্ধকারে সন্ধ্যা বাতি জ্বালে। নিয়ন বাতির ঢাকা শহর আলোয় ঝলমল মাকে বলি গঞ্জ ছেড়ে এবার ঢাকা চল। মা বলল এই তো ভাল খোলা মেলা হাওয়া কেন আবার তোদের ওই ভিড়ের মধ্যে যাওয়া? বদ্ধ ঘরে থাকলে আমার হাঁপানি ভাব হয় ওটা ছিল আমার মায়ের মিথ্যা অভিনয়। তারপর আমি আরো বড়, স্টেটস এ অভিবাসী বিশ্ব ব্যাংকের বিশেষজ্ঞ সুনাম রাশি রাশি। দায়িত্বশীল পদে আমার কাজের অন্ত নাই মায়ের খবর নিব এমন সময় কমই পাই। মা বিছানায় একলা পড়া খবর এল শেষে এমন অসুখ হয়েছে যার চিকিৎসা নেই দেশে। উড়ে গেলাম মায়ের কাছে অনেক দূরের পথ পায়ে পড়ে বলি মাকে এবার ফিরাও মত একা একা গঞ্জে পড়ে কী সুখ তোমার বল? আমার সংগে এবার তুমি এমেরিকা চল। এসব অসুখ এমেরিকায় কোন ব্যাপার নয় সাত দিনের চিকিৎসাতেই সমুল নিরাময়। কষ্ট হাসি মুখে এনে বলল আমার মা প্লেনে আমার চড়া বারণ তুই কি জানিস না ? আমার কিছু হয় নি তেমন ভাবছিস অযথা ওটাই ছিল আমার মায়ের শেষ মিথ্যা কথা। ক’দিন পরেই মারা গেল নিঠুর মিথ্যাবদী মিথ্যাবাদী মায়ের জন্য আজো আমি কাঁদি।

ছবি

দেশরত্মকে সব দায় নিতে হবে কেন,অন্য সবাই কি ভোগেই মত্ত থাকবে==?? =========================== সরকার পরিচালনা,জোট ঐক্যবদ্ধ রাখা,ছাত্র লীগের অপকর্ম সামাল দেয়া,বিদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন,সেনাবাহিনীর প্রতি দৃষ্টি,জেলা আওয়ামী লীগের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা,র‍্যাবকে সামাল দেয়া,দলের প্রভাব শালী নেতাদের লোভ লালসা নিয়ন্ত্রন,ত্যাগী নেতাদের মুল্যায়ন,যথার্থ লোককে যথাস্থানে অবস্থান নিশ্চিত করন,নীপিড়িত নেতাদের আর্থিক সাহায্য প্রত্যেক কাজ যদি প্রধান মন্ত্রীকেই করতে হয় তাহলে দলের বাঘা বাঘা নেতাদের মন্ত্রীত্ব দিয়ে কি লাভ?সব কাজ একজনের উপর চাপিয়ে দিয়ে নেতারা ভাল মানুষ সাজার কৌশল নিয়ে প্রকারান্তরে নেত্রীর কর্মক্ষমতাকেই বিনষ্ট করার চক্রান্তে লিপ্ত আছেন আমি মনে করি। অশোভন আচরন,অযাচিত বক্তব্য,ক্ষতিকর বিবৃতি দিতে শেখ হাসিনার প্রয়োজন হয়না,দলের একান্ত প্রয়োজনীয় কাজ গুলী করার সময় হলে নেত্রীর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়ার কি কারন থাকতে পারে।দলের নিয্যাতিত নেতা কে কোথায় অবস্থান করে,কে কি করে ঐ এলাকার সংসদ সদস্য অবশ্যই জানেন।তাদের সামান্য দলের পক্ষ হয়ে সরকার থেকে সাহায্য করতে সংসদ সদস্যরাই যথেষ্ট।প্রধান মন্ত্রীকেও সেখানে ব্যবহার করতে হবে কেন? জেলা ওয়ারী কিছু কেন্দ্রীয় নেতাকে রাজনৈতিক বিষায়াবলী দেখা শুনার জন্য দায়িত্ব আগেই থেকেই দেয়া আছে।আমি জানিনা তাঁরা দলের মৌলিক দায়িত্ব গুলীও কেন পালন করেন না।দলের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা নতুন ছাত্রলীগে আসা কর্মীদের কি প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেছেন তা বোধগম্য নয়।দলে দলে মিছিল করালে দলের উদ্দেশ্য আদর্শ্য শিক্ষা হয়ে যাবে।প্রত্যেক নেতাই যদি মন্ত্রী হওয়ার তদবীরেই ব্যাস্ত থাকেন আগামী দিনের জ্ঞান সম্পন্ন নেতা আসবে কোথা থেকে? দল চালাবে কে?ক্ষমতায় থেকেও যদি বুঝ জ্ঞান সম্পন্ন কর্মি সৃষ্টি করতে না পারে ক্ষমতার বাহিরে গেলে তখনতো পালানোর জন্যও সময় করতে পারেন না।ঢাকা শহরে নাই কথা নিয়ে গলাবাজি করার সময় কোথায় পান তাঁরা?।আমাদের সাংবাদিক সমাজের একটা বড় দুষ পরিলক্ষিত হয় যে সমস্ত নেতা উদ্ভট কথা বলে তাঁদের চারপাশে অহেতুক ঘুর ঘুর করা।মুখ থেকে কিছু বের করলো এমনি পত্রিকা অফিসে দৌঁড়।যে সমস্ত নেতা ইতিবাচক কথা বলে তাঁদের কে মনে ধরে না।তোফায়েল,ওবায়দুল কাদের,আমীর হোসেন আমু,,সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত তাঁরা কি বলে সারাদিন তাঁদের পিছনে থাকুক।পত্রিকার ব্যবসার উদ্দেশ্যে তাঁরা বেফাঁস কথা যারা বলে, তাঁদের কাছেই ঘুর ঘুর করে।এমনিতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে প্রতিনিয়ত,কিভাবে সরকারের পতন ঘটানো যায়।জনগনের ভোটে আওয়ামী লীগকে আর পরাজিত করা যাবে না, সম্যক ধারনা তাঁদের হয়ে গেছে।আওয়ামী লীগের উত্থানের পর্বে কি ভাবে বিনাশ করতে চেয়েছিল?আমাদের নেতারা বেমালুম ভুলে গেছে।এখন প্রতিষ্ঠা লগ্ন।এই সময় বেফাঁস কথা বলে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্য কি বোধগম্য নয়। সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ একটি অত্যন্ত দামি কথা বলেছেন। সম্প্রতি শ্রমিক লীগের এক সভায় তিনি সকলকে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, 'বিএনপি-জামায়াত প্রতি মুহূর্তেই সচেষ্ট রয়েছে দেশে আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর জন্য।' সুতরাং, এর বিরুদ্ধে অবিলম্বে দেশে আদর্শভিত্তিক গণঐক্য গড়ে তোলার কোনই বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ মনে হয় বিএনপি-জামায়াত আপাতদৃষ্টে খানিক কোণঠাসা হয়ে পড়ায় ধরেই নিয়েছে যে, তাদের চলার পথ এখন সম্পূর্ণভাবেই নিষ্কণ্টক। কিন্তু এমন ভাবনা যে রীতিমতো আহাম্মকি তা বলাই বাহুল্য! সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগ যে অনেক অসংগঠিত বা এলোমেলো এতে কোন সন্দেহ নেই। অভিযোগ আছে যে, সিজনাল বার্ড বা মৌসুমী পাখিদের ভিড় ও দাপটে আওয়ামী বৃক্ষের সকল ডাল-পালা সয়লাব। প্রকৃত ত্যাগী, একনিষ্ঠ ও পরীক্ষিত নেতা কর্মীরা হালে পানি পায় না। ফলে কোন বিপর্যয় দেখা দিলে ঐ ধান্দাবাজ পাখিগুলো এক উড়ালে সাইবেরিয়ায় চলে যাবে, আওয়ামী দুর্গটি অরক্ষিত রেখে। আর সুযোগ বঞ্চিত ত্যাগী কর্মীরা বেঘোরে প্রাণ হারাবে। তাই প্রথমত শেখ সেলিমদের এ জাতীয় আত্মঘাতী কথাবার্তা বন্ধ করার পাশাপাশি ত্যাগী-নিবেদিত-পরীক্ষিত কর্মীদেরকে আবারও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য ময়দানে অবতীর্ণ হতে হবে। গণজাগরণ মঞ্চের প্রয়োজনীয়তা আজকের পরিস্থিতিতে আশাকরি সকলেই অনুভব করছেন। যা হোক, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে শক্তিশালী করার জন্য সততা, সাহস এবং কর্মীদের প্রতি সত্যিকারের আন্তরিক দরদের কোন বিকল্প নেই। চারদিকে শোনা যায় যে, ৬৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন আওয়ামী লীগে আদর্শের কোন চর্চা নেই, আছে কেবল চাটুকারিতা। দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা, কর্মীমহলে দলের ইতিহাস পর্যালোচনামূলক নিয়মিত আলোচনা, আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতাকে বেগবান ও সফল করতে যারা যারা ভূমিকা রেখেছিলেন তারা আজ যে যেখানেই থাকুক না কেন দলীয় এবং সরকারিভাবে তাদের সে অবদানের স্বীকৃতি প্রদান করাটা আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ শক্তিশালী করার জন্য অত্যন্ত দরকার। আওয়ামী লীগ শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, মানিক মিয়া, সিরাজুদ্দীন হোসেন, ইত্তেফাক এবং এমন আরো অনেকের গৌরবজনক ভূমিকা বিষয়ে কোন প্রকার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও আলোচনার আয়োজন করে না, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। স্বাধীনতা যুদ্ধ, ছয়-দফা আন্দোলন, '৬২-এর শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলন, ১১-দফা আন্দোলন এবং ভাষা আন্দোলনে যাদের (ছাত্র-শিক্ষক-সাংবাদিক-রাজনীতিক) স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে অবদান রয়েছে তাদের সে অবদানের বিষয়গুলো গবেষণার মাধ্যমে খুঁজে বের করা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব।নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রয়োজনে। বিএনপি-জামায়াতের বর্তমান নীরবতা-দৃষ্টে এমনটা ভাবার কোনই কারণ নেই যে, আমরা এখন সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ। বরং বর্তমানে চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে সদা সতর্ক এবং ঐক্যবদ্ধ থাকা সবচাইতে জরুরি। এ সত্য উপলব্ধিতে ব্যর্থ হলে এবং এ লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে মহাপ্রলয় ঘটে যাওয়া অসম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের আদর্শগতভাবে আজ কতটা অধঃপতন ঘটেছে তা বোঝা যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের দলে দলে আওয়ামী লীগে যোগদান করতে দেখলে। এতে আবার নাকি ঐ আওয়ামী লীগ নেতারা আনন্দে আত্মহারা হন। এ কি আশ্চর্য অবক্ষয় ও মূঢ়তা! জামায়াত-কর্মী কখনো আওয়ামী লীগার হবে? আলবদর তার খাসলত বদলাবে? বিএনপিকে জামায়াত যেভাবে গিলে ফেলেছে,এই অনুপ্রবেশকারী জামায়াত-বিএনপি ঠিক তেমনিভাবেই আওয়ামী লীগের সর্বনাশ সাধন করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সাধারণ সম্পাদক এমন ক্ষেত্রে দয়া করে কঠিন হউন। বসন্তের কোকিলগুলোকে চিহ্নিত করুন। আগডালে-মগডালে বসে থাকা সুযোগসন্ধানী ও হাইব্রিড বা নব্য আওয়ামী লীগারদের খপ্পর থেকে দলকে মুক্ত করতে সোহরাওয়ার্দী-বঙ্গবন্ধুর মতো দৃঢ়তার সঙ্গে সাংগঠনিক কার্যক্রম গ্রহণ করুন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে কারা বিগত কয়েক দশক যাবৎ মৃত্যুঝুঁকিকে মাথায় নিয়ে মাঠে মাঠে কাজ করেছেন, তা কি সরকারের অজানা? আমরা বুঝতে পারি না যে, সেসব লোককে কেন কাজে লাগানো হয় না! যারা রাতারাতি ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগার বনে গেছে কিংবা স্বজনপ্রীতির বদৌলতে দলের কাছ থেকে নানাবিধ সুবিধা আদায় করে নিয়েছে বা নিচ্ছে তাদের দিক থেকে অতি অবশ্যই মুখ ফিরিয়ে নিতে হবে। ভুললে চলবে না যে, কোন ব্যক্তি দলকে কিছুদূর এগিয়ে নিতে পারেন বটে, কিন্তু দলের স্থায়ী আসনের জন্য চাই আদর্শবাদিতা ও ত্যাগ। এর কোনই বিকল্প নেই। এর সঙ্গে থাকতে হবে দলের ইতিহাসের সত্যনিষ্ঠ পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ। '৭৫ পরবর্তি দুসময়ের ছাত্র নেতারা কে কোথায় আছে,কি অবস্থায় আছে খবর নিন।তাঁদের কে দায়িত্ব দিয়ে দল গোছানোর কাজে লাগানো যায়।অবহেলায় অযত্নে হয়তো অভিমান নিয়ে দলের জন্য নীরবে চোখের পানি ফেলছে,নেত্রী যদি স্মরন করেন সব অভিমান ভুলে তাঁরাই আবার ঝাপিয়ে পড়বে দলের কাজে।তাঁদের সরকারী সুযোগের দরকার নেই,দলের দায়িত্ব ফেলেই তাঁরা খুশি।অনেক ত্যাগী নেতা বিভিন্ন কারনে অকারনে,দলীয় কোন্দলের শিকার হয়ে অন্য দলে চলে গেছেন,বঙ্গবন্ধুর প্রতি অবহেলা সহ্য করতে না পেরে সেখানকার রাজনীতি থেকেও নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন,এমনতর নেতা কর্মি অনেকেই আছেন। আমি আর ও এক লেখনীতে বলেছি,আজ আবার সেই লেখনীর আংশিক হুবহু আপনাদের জ্ঞাতার্থে তুলে দিচ্ছি-- জাসদ যদি আওয়ামী লীগে ফিরে যায়, সেটা হবে ‘ঘরে ফেরা’। আলাদা দল রেখে নাম বদল করলে, অর্থাৎ দলের নাম থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দটি বাদ দিলে আলাদা রাজনীতির মাজেজাটাই থাকবে না। সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব সহজ হবে না। আগামী ডিসেম্বরে জাসদের কাউন্সিল সভা। সেখানে জোর বিতর্ক হবে। সাধারণ সম্পাদক আম্বিয়া বেশ ঝুঁকি নিয়েছেন। কাউন্সিলে তিনি সাধারণ সম্পাদকের পদটি হারাতে পারেন। একটা বিষয় অবশ্য দলের ভেতরে-বাইরে বেশ চাউর হয়েছে। ‘বি-টিম’ হিসেবে থাকার চেয়ে ‘এ-টিমে’ যোগ দেওয়াই ভালো। এখন সবাই যখন ‘বঙ্গবন্ধুর সৈনিক’, তখন আলাদা থাকারই বা প্রয়োজন কী। এর উত্তর পেতে জাসদের আগামী কাউন্সিল সভা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জাসদ ইনু অংশ যদি জোটে থেকে একাদিক মন্ত্রীত্ব পেতে পারে,সংসদ সদস্য পদ পেতে পারে,দলে এসে গেলেই বা ক্ষতি কি?জাসদের আওয়ামী লীগের সাথে লীন হওয়া বাঞ্চাল করার জন্যই আজকের এই বিতর্কের উদ্ভব বলে আমি মনে করি। জামাতের লোক, মুসলিম লীগার পরিবারের সদস্যরা,বি,এন,পি,এর সন্ত্রাসী মাস্তানেরা যদি আওয়ামী লীগে ঠাঁই পেতে পারে,তাহলে জাসদের মত প্রগতিশীল দলের আওয়ামী লীগের সাথে লীন হলে বাঁধা আসবে কেন।আসার আগেই ষড়যন্ত্র করে আসার পথ রুদ্ধ করার কি প্রয়োয়োজন তা আমার মত সাধারন এক সমর্থকের মাথায় আসে না। জেনারেল জিয়া ক্ষমতায় আরোহণ করেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনাশী যেসব নির্মম-নৃশংস উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে স্বৈরাচারী এরশাদ ও খালেদা-নিজামীদের সরকারগুলো যা আরো বর্বরোচিতভাবে বাস্তবায়ন করেছিলো তার বিপরীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ আর জাসদসহ আরও কিছু প্রগতিশীল দল এগিয়ে এসেছে সকল প্রকার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে। পঁচাত্তর পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতা জাসদকে আওয়ামী লীগের কাছাকাছি এনে দিয়েছে। বিগত এবং বর্তমান সংসদে এবং বিভিন্ন টকশোতে জাসদ নেতা মঈনুদ্দীন খান বাদল যে যুক্তিনিষ্ঠা ও দৃঢ়তার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুদের বিরুদ্ধে বক্তব্য উপস্থাপন করেন তাতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিরই লাভ হয়। আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে হাতেগোনা দু-চারজন মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে বরাবর আপসহীন, প্রত্যয়দৃঢ় ও সত্যনিষ্ঠ বক্তব্য রাখলেও অধিকাংশ নেতাই যুক্তিসিদ্ধ ও লাগসই জবাব দিতে সক্ষম হন না। যা খুবই দুঃখজনক। বিভিন্ন সময়ে টকশোতে বিএনপি-জামায়াতপন্থী 'টকারদের' বক্তব্য খন্ডন করতে ক'জন আওয়ামী লীগের এমপি বা নেতা সক্ষম হন? এ ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বুদ্ধিজীবী-শিক্ষাবিদ-সাংবাদিক-আইনজীবীরা অকুতোভয়ে ভূমিকা পালন না করলে আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত মিথ্যাচারে দেশ এতদিন তলিয়ে যেতো! যাহোক, যে বাস্তবতার কারণে পঁচাত্তর পূর্বে আওয়ামী লীগ বিরোধী ভূমিকা পালনকারী জাসদ আজ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ছাতার নিচে একত্রিত হয়েছে সে বাস্তবতাকে সর্বাগ্রে বুঝতে হবে ও মূল্যায়ন করতে হবে। আমাদের সকলের অস্তিত্বের ও দেশের বৃহত্তর স্বার্থে। ভুললে চলবে না যে, রাজনীতিতে অসময়োচিত বক্তব্য বা বিবৃতি প্রাধান্য পেলে ক্ষতি হয় দেশের, ক্ষতি হয় জনগণের! শেখ সেলিম সুদীর্ঘকাল রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পঁচাত্তরে তার আপন ভাই শেখ ফজলুল হক মনিও নৃশংসভাবে নিহত হন। সেদিন সেই হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে আপন রক্ত সম্পর্কিত ব্যক্তিবর্গ কেউ কি প্রতিবাদ বা প্রতিশোধ গ্রহণে উদ্যোগী হতে পেরেছিলেন? শেখ সেলিম নিজে কি পেরেছিলেন? কেন পারেননি তা সকলেই বোঝে। সেদিনের শৃঙ্খলিত পরিবেশে তা পারা সম্ভবও ছিলো না। তবে যারা রাজনীতি করেন তাদের ক্ষেত্রে সত্য, সততা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এখন তো আর সেই আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া যাবে না। আজ বিরোধী দল বলতে তেমন কিছু নেই। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা। এই ক্ষমতা তো তারা দেশের অগ্রগতির জন্য ব্যবহার করতে পারে। বাধা দেওয়ার কেউ নেই। এই আপাত শূন্যতার সুযোগ নিয়ে সরকার যদি সত্যিই মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলো সমাধানের পথে এগিয়ে যেতে পারে, তাহলেও তো একটা কিছু হয়। এই যে প্রতিবছর দেশে প্রায় ২০ লাখ লোক কর্মজীবনে প্রবেশের বয়সে পা রাখছে, আর তাদের মধ্যে ১৩ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে ও বাকি সাত লাখের হচ্ছে না, তাদের জন্য যদি একটা সুযোগ সৃষ্টি করা যায়, তাহলেও তো একটা কাজের কাজ হয়। কিন্তু সে রকম লক্ষণ এখনো তেমন চোখে পড়ে না। অথচ আমাদের চোখের সামনেই তো মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড দাঁড়িয়ে গেল। ভিয়েতনাম এগিয়ে যাচ্ছে। এসব দেশেও গণতন্ত্রের একই হাল। আছে আবার নেই। নির্বাচন হয়, আবার প্রশ্নও থাকে। পার্লামেন্ট আছে, বিরোধী দলও আছে, কিন্তু সেটা না থাকার মতোই। এ রকম মডেল আদর্শ নয়। আমরা কেউই চাই না। কিন্তু দেশের রাজনীতির ডামাডোলে যখন এ রকম একটা অবস্থায় আমরা পড়ে গেছি, মন্দের ভালো একটা কিছু হলে দোষ কী? মানুষের ভাগ্য খুলে দেওয়াই তো আসল কথা। এখানেই সমস্যা। যখন সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যেই গোলাগুলি চলে, ভাগ-বাঁটোয়ারার রাজনীতি মুখ্য হয়ে ওঠে, তখন তো ভরসার আর কোনো জায়গা থাকে না। জননেত্রী জনগনকে যে ভাবে আশা জাগানীয়া কথা শুনিয়ে আস্বস্ত করতে পারেন,তেমন্টি আর কোন দলের নেতা নেত্রী পারেন।আওয়ামী লীগ যখনই সুযোগ পেয়েছে জনগন তখন কিছু না কিছু পেয়েছে।এই দেশের যাহাই অর্জন চোখে পড়ে সবইতো আওয়ামী লীগের অবদান।তাই এই দলের প্রতি মানুষের আশা আখাংকার মাত্রাও একটু বেশী এটাই স্বাভাবিক।যে বাড়ীতে ভিক্ষুক বেশী ভিক্ষা পায়,সে বাড়ি প্রত্যহ সফর চাড়া ভিক্ষুক বাড়ী পেরে না।তেমনি আওয়ামী লীগ ত্যাগে যেমন মহিমাম্বিত তেমনী ভোগে নিস্পৃহ থাকা উচিৎ বলে আমি মনে করি।অর্থ ছাড়াই যদি সম্মান পাওয়া যায়, তবে অর্থ আহরনের প্রতিযোগীতা কেন? মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধার বাহকেরা যদি আওয়ামী লীগে আসতে চায় তবে রাজাকার জামাত শিবিরের প্রয়োজন কি? শোকের মাসে অর্জন যেমন আনন্দদায়ক উৎফুল্ল করেছে, তেমনি অযাচিত বিতর্কে মন ও খারাপ করেছে।সব মিলিয়ে পাওয়ার পাল্লাই ভারী এই ভেবে আনন্দের জোয়ারে কিছুক্ষন অবগাহন করলে ক্ষতি কি.? "জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু" "জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা"

ছবি

আওয়ামী লীগ আধুনিক বি,এন,পি পশ্চাদমুখীনতায় বিশ্বাষি। ========= ========= বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটা যুগ উপযোগি সংগঠন।যুগের সাথে তালমিলিয়ে কর্মসূচি প্রনয়নে এই দলের জুড়ি মেলা ভার।প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিচার করলে স্পষ্ট দেখা যায়,যখন জনগন যাহা চায়, তাঁর সাথে তালমিলিয়ে কর্মসুচি প্রনয়নে দলটি অগ্রনী থেকেছে সর্ব সময়ই।নতুন নতুন দিকনির্দেশনার জন্য দলের নেতাকর্মিরা মুখিয়ে থাকার প্রয়োজন হয়নি। দলটির উৎপত্তি এবং বিকাশের সময় থেকে আজ পয্যন্ত এটা লক্ষ করলে দেখা যায়,। পাকিস্তান সৃষ্টির পর সংগত কারনে এতদ অঞ্চলে একটা কায্যকর গনতান্ত্রীক বিরুদী দলের প্রয়োজন ছিল এটা অনস্বিকায্য।ক্ষমতাসীন মুসলীম লীগের বিপ্রীতে তেমন কোন অসাম্প্রদায়িক দলের অস্তিত্ব তখন ছিল না।যারা ছিলেন তাঁদের মানুষ ধর্মীয় দল বা কমিনিষ্ট প্রকারান্তরে নাস্তিক হিসেবেই বুঝতো।ঠিক তখনি বঙ্গবন্ধু দলের নাম থেকে মুসলিম একক সম্প্রদায়গত শব্দটি বাদ দিয়ে দলকে অসাম্প্রদায়িক রুপ দিতে কালক্ষেপন করেননি।তিনি ফলত পুর্ব পাকিস্তানে বসবাসরত হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিস্টানেরা আওয়ামী রাজনীতিতে অংশ নিতে আর নিজেদেরকে সংকুচিত ভাব প্রদর্শনের প্রয়োজন হয়নি।তখনকার সময়ে হিন্দুরা লেখাপড়ায় অগ্রগামি ছিল।দলিয় প্রচার প্রপাগান্ডায় হিন্দু ছাত্র যুবকেরা সহজে সাধারন মানুষের অত্যান্ত কাছে যেতে পারতেন,যুক্তি দিয়ে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করতেও কোন অসুবিধা হত না। '৬৫ইং সালের পাকভারত যুদ্ধে পুর্ববাংলার জনগনের চোখ কান খুলে দেয়।যদি ভাষার দাবীতে ৫২ সালেই রক্ত দিয়ে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের বীজ রোপন করা হয়ে গিয়েছিল,দিনে দিনে তা মহিরুহের আকার ধারন করা শুরু করেছিল,কিন্তু ফলভাব হচ্ছিল না।সেই ফল ধরানোর সুযোগ পশ্চিমারাই '৬৫ইং পাক--ভারত যুদ্ধে তুলে দিলেন।দুরদর্শী বঙ্গবন্ধু ৬৫ ইং সালের পুর্ব বাংলার অরক্ষিতবস্থাকে জনমনে গেঁথে দিতে সামান্য সময় ও নষ্ট করেননি। সর্বমহলের বিরুদিতা সর্তেও তিনি পুর্ব পাকিস্তানের ন্যায্য দাবি ৬দফা নিয়ে এগিয়ে গেলেন।এতে বিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা, এবং বিশিষ্ট জনেরাও বিচ্ছিনতার গন্ধ পেয়ে বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে সরে গেলেন।তাঁরা মুলত একিভুত পাকিস্তানের সমর্থকই ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারায় ছিল অন্য আর একটি বিষয়।তিনি মনে মনে পোষন করে রেখেছেন বাঙ্গালীদের জাতিয়তার ভিত্তিতে আর একটি আলাদা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ব্যবস্থা।মুখে কোন অবস্থায় প্রকাশ করাতো যাচ্ছে না।প্রকাশ করতে গেলেই বিচ্ছিন্নতা বাদিতার অভিযোগে ফাঁসীতে ঝুলতে হবে।দাবী মেনে নিলে পুর্ব পাকিস্তান কায্যত স্বাধীন। তাঁরপর পাকিস্তানীরা ঠিকই বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা সম্পর্কে আঁছ করতে কোন অসুবিধা হয়নি।কিন্তু প্রমানের তেমন কোন যুক্তি সঙ্গত তথ্য প্রমান না থাকায় উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহন করতেও পারছিল না।বঙ্গবন্ধু রাজপথে বের হলেই আবার জেলে নিতে কার্পন্য করছিলনা পাকিস্থানিরা।এতে হিতে আর ও বিপরীত হয়েছে শেষ বিচারে পাকিস্তানীদের জন্য।যতই বঙ্গবন্ধুর উপর নির্য্যাতনের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছিল পাকিস্তানের বিশেষ করে পুর্ব অংশের জনগনের সম্পৃতা এবং আস্থা দিনে দিনে বেড়েই চলছিল।বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা অর্জনের প্রাথমিক কাজ গুলী ধীরে ধীরে সমাপন করে চুড়ান্ত পয্যায় নিয়ে যাচ্ছিলেন।অকস্মাৎ ঘটে গেল এক চরম বিপয্যয়।আগড়তলায় যাদেরকে পাঠিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ব্যাপারে ভারতের মনোভাব জানার জন্য তাঁদের সেই ঘটুনাটি প্রকাশিত হয়ে যায়।ফলে সার্জেন্ট জহুরুল ইসলামকে ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে গুলী করে হত্যা করে।বঙ্গবন্ধুকে ওই মামলায় জড়িয়ে জেলে প্রেরন করে।এই আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলাটিই মুলত বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের শেষ পরিনতি অর্থাৎ স্বাধীনতা যুদ্ধের এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের টার্নিং পয়েন্ট বলা যায়। কোন রাজনৈতিক নেতা প্রথমত ছয় দফা সমর্থন না করলেও বঙ্গবন্ধু পিছু হটেননি।তিনি সম্যক বুঝতে পেরেছিলেন যে, ছয় দফা বাংলার মানুষ ভাল ভাবেই গ্রহন করেছে।পাকিস্তানী শাষক গোষ্টি মেনে নিলে বাংলাদেশ স্বাধীকার পাবে বিনা রক্তপাতে, না মানলে স্বাধীনতা যুদ্ধ অনিবায্য।কারাগারে নেয়ার পর বঙ্গবন্ধুকে নানাহ লোভলালসা ছয় দফা পরিত্যাগ করার জন্য দেখিয়েছেন, কিন্তু টলাতে পারেননি।অনস্বিকায্য ভাবে বেগম মুজিবের ভুমিকা বঙ্গবন্ধুকে নীতিতে অটল থাকতে প্রচুর সাহায্য করেছিল।আগড়তলা ষড় যন্ত্র মামলায় জেলে থাকার কারনে '৬৯এ গনুভ্যুত্থান হতে পেরেছিল।বঙ্গবন্ধু ও পুর্ব পাকিস্তানের একক নেতা বা একমাত্র নীতি নির্ধারক হতে পেরেছিলেন।কিন্তু তিনি যে একক পুর্ব পাকিস্তানের জনগনের প্রতিনিধি হিসেবে,তাঁর আইনগত কোন ভিত্তি ছিল না।সবাই সবাইকে জনগনের একক নেতা ভাবতেন।কিন্তু বঙ্গবন্ধু জানতেন গনুভ্যুত্থানের কারনে পশ্চিমারা তাঁকে জেল মুক্ত করতে বাধ্য হয়েছে, সুতারাং তিনিই তখন একমাত্র একক সর্বজনগ্রায্য নেতা। এককত্বের স্বিকৃতি প্রয়োজন। গনুভ্যুত্থানের জোয়ারে আইয়ুব খাঁন ক্ষমতা ছেড়ে পালালেও আর এক জান্তা ক্ষমতা দখল করে।তিনি ক্ষমতা দখল করেই এক অধ্যাদেশ জারীর মারপত ভোটের ঘোষনা দেন। ১৯৬৯ সালের মার্চে গণআন্দোলনের মুখে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের পদত্যাগ কিংবা আসলে পাক সামরিক জান্তা কর্তৃক তাঁর অপসারিত হওয়ার পর জেনারেল ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা হাতে নিয়েই দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন। বলা হয় সার্বজনীন বয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত দেশের উভয় অংশের জনপ্রতিনিধিরা দেশের ভবিষ্যৎ সংবিধান প্রণয়ন করবেন। তবে নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া লিগাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার (এলএফও) বা আইনগত কাঠামো আদেশ নামে একটি আদেশও জারি করেন। সেই আদেশ জারির মাধ্যমে কার্যত সংবিধান প্রণয়নের ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়। বলা হয়, জনপ্রতিনিধিদের প্রণীত সেই সংবিধানে যেমন ইসলাম তেমনি পাকিস্তানের ঐক্য বা সংহতির পরিপন্থী কিছু থাকতে পারবে না। আর প্রেসিডেন্ট অনুমোদন পাওয়ার পরই কেবল সে সংবিধান কার্যকর হবে। তারপরই ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারটি ঘটবে, আগে নয়। কী পাকিস্তানের ঐক্য বা সংহতির পরিপন্থী আর কী তা নয়, সেটা কে বিচার বা নির্ধারণ করবে? বলা বাহুল্য, প্রেসিডেন্ট নিজেই। এভাবে নির্বাচনের পরও ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কর্তৃত্ব প্রেসিডেন্টের হাতেই রেখে দেওয়া হল। এলএফও-র ২৫নং ধারায় বলা হয়, জনপ্রতিনিধিদের প্রণীত সে সংবিধান যদি প্রেসিডেন্ট অনুমোদন না করেন তবে জাতীয় পরিষদ আপনা আপনি বাতিল হয়ে যাবে। সেদিন এলএফও জারির পর দুই ন্যাপসহ অনেকগুলো দলই তার সমালোচনা করেছিল। তারা এলএফও-র ওই ধারাগুলো বাতিল না করা পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে মত ব্যক্ত করেছিল। বিশেষ করে মস্কোপন্থী ন্যাপ ও ছাত্র ইউনিয়নের তরফ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্বাচনে না গিয়ে আন্দোলনে যাওয়ার জন্য নিয়ন্তর চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছিলেন।পুর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব দল এবং কি পশ্চিম পাকিস্তানের দুই একটি দল ছাড়া সবাই চাইছিলেন ইয়াহিয়া খাঁন কতৃক জারী কৃত আদেশ প্রত্যাহার ব্যতিত ইলেকশান করে কোন লাভ হবে না।বঙ্গবন্ধু এরই মাঝে আন্দোলন এবং নির্বাচনের দিকেই মতামত রাখলেন।মাওলানা ভাসানী ভোটের আগে ভাত চাই বলে মাঠেই নেমে গেলেন। ভাসানীর জনপ্রিয় শ্লোগান ছিল,ভোটের বাক্সে লাথি মার,শ্রমিক রাজ কায়েম কর।ভোটের আগে ভাত দেয়,নইলে গদি ছেড়ে দেয়। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই তিনি তখন নিজেকে পাকিস্তানের পুর্ব অংশের একক নেতা দাবি করতেন খুব দৃডতার সাথেই। নির্বাচনের মাধ্যমে তখনও প্রমান হয়নি,জনগনের প্রতিনিধিত্ব কে করছে। "৬৯এর গন আন্দোলনের ফসল তখন বঙ্গবন্ধুর গোলায়,তা ঠিকই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন।কিন্তু জনগনের প্রত্যক্ষ রায়ের অভাবে একক কোন সিদ্ধান্ত দেশে বিদেশে কোথাও কায্যকর হবে না।বঙ্গবন্ধুর মুল যে উদ্দেশ্য তাতো তিনি পাকিস্তানের জম্মলগ্ন থেকেওই পোষন করে আসছেন।প্রকাশ করা যাছে না রাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং জনগনের প্রত্যক্ষ রায়ের অভাবে।ক্ষমতা দিবে না পাকিস্তানীরা তাও বঙ্গবন্ধু জানতেন,ভোটে না গেলে বিশ্ব বাসি তা বিশ্বাস করবে কেন? ৭০এর নির্বাচনের আগে বনঙ্গবন্ধুকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনি চাইছেন ছয় দফার ভিত্তিতে বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে। যদি মেজরিটি সিট পেয়ে তা করতে পারেনও ইয়াহিয়া খান তা মেনে নেবে না। হয়তো জাতীয় পরিষদই বাতিল করে দেবে। তাহলে নির্বাচনে জয়লাভ করে কী লাভ হবে?’ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘লাভ আছে, আমি সমগ্র পৃথিবীকে দেখাতে পারব বাংলার মানুষ কী চায়। আজ দেশে অনেক দল, অনেক নেতা। সবাই বলে জনগণ তাদের সঙ্গে আছে। কিন্তু জনগণ কার সঙ্গে আছে তার কোনো আইনগত প্রমাণ নেই। আমি জানি, বাংলার মানুষ আমার সঙ্গে আছে। কিন্তু এই পরম সত্যেরও বিধিগত কোনো ভিত্তি নেই। যদি নির্বাচনে জয়লাভ করি, জনগণের ম্যান্ডেট পাই, সেই আইনগত ভিত্তি অর্জিত হবে। আর তখন জনগণের নির্বাচিত নেতা হিসেবেই আমি জনগণের পক্ষ হয়ে ইয়াহিয়ার সেচ্ছাচারী নীতি-পদক্ষেপ চ্যালেঞ্জ করতে পারব। বিশ্ববাসী দেখবে—শেখ মুজিব যা বলেছে, যা চাইছে, তা তার একার কথা নয়, গোটা দেশবাসীর কথা আর এভাবেই বাঙালির স্বাধিকার সংগ্রাম বিশ্ববাসীরও সমর্থন লাভ করবে।’ এমনই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা। এই দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতার কারণেই অর্জিত হয়েছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা। তখন যেমন বিচক্ষন্তার অভাবে মুসলিম লীগের অনিবায্য পতন পরবর্তিতে বিলীন হয়ে গিয়েছিল, বর্তমানেও বিচক্ষনতা ও জনগনের চাওয়া পাওয়ার সাথে তাল মিলাতে না পেরে বি,এন,পি দিনে দিনে নিষ্কৃয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে।অনেকে বলেন, নিরপেক্ষ ভোট হলে এখন বি,এন,পি জিতবে।ভোট নিরপেক্ষ হত না অন্যভাবে হত ভোটে এসেই তা প্রমান করা যেত।কারচুপি হলে সারা পৃথিবী দেখতো ভোটে কারচুপি করে বি,এন,পি কে হারিয়ে দেয়া হয়েছে।জনগন ও তখন আন্দোলনে সক্রিয় হত।আওয়ামী লীগের অধিনে ভোটে কারচুপি হয়েছে তদ্রুপ উদাহরন এর আগে যেহেতু নেই,উদাহরন সৃষ্টি করার জন্য বি,এন,পি কে ভোটে আসা উচিৎ ছিল। বিএনপি আজ নানা সংকটে জর্জরিত। এ জন্য তারা নিজেরাই দায়ী। এই দলের নানা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সরকারও বিএনপির নেতা ও কর্মীদের ওপর খড়্গহস্ত। কোনো বড় দলই তাদের সমান প্রতিদ্বন্দ্বী চায় না। আওয়ামী লীগও চায় না বিএনপি একটি বড়, শক্তিশালী ও জনপ্রিয় দল হিসেবে টিকে থাকুক। কিন্তু দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশে একক দলের একচেটিয়া ক্ষমতা থাকা উচিত নয়। গণতন্ত্র ও সুশাসনের স্বার্থে আমরা চাই, দেশে তিন, চার বা তারও বেশি রাজনৈতিক দল খুব সক্রিয় থাকবে। মানুষের সমর্থন তাদের ঘিরেই আবর্তিত হবে। অন্তত চারটি বড় রাজনৈতিক দল বা জোটের ওপর যেন নির্বাচন, সরকার পরিবর্তন নির্ভর করে। দুঃখের বিষয়, বহু বছর রাজনীতি করেও ক্ষমতায় যাওয়ার মতো বাংলাদেশে তৃতীয় দল বা জোট এখনো তৈরি হয়নি। কাজেই ঘুরেফিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বা তাদের নেতৃত্বের জোটই ক্ষমতায় যায় বা ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। বিএনপি তিনবার ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। দুবার পুরো মেয়াদ ক্ষমতায় ছিল। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের পক্ষে আবারও ক্ষমতায় যাওয়া কঠিন ছিল না। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুপস্থিতি এবং দেশের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ বিএনপিকে এমন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে যে তাদের পক্ষে আবার ক্ষমতায় যাওয়া শুধু কঠিন নয়, প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে। ক্ষমতাসীন দল বুঝতে পেরেছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির পক্ষে জয়লাভ করা হয়তো সম্ভব হবে। তাই নানা ফন্দিফিকির করছে। নির্বাচনে না যাওয়া ছিল আওয়ামী লীগের কৌশলের কাছে বিএনপির প্রথম পরাজয়। ক্ষমতায় যেতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে। নির্বাচন না করে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগও নেই। কাজেই বিএনপিকে এখন ক্ষমতাসীনদের ছকের নির্বাচন করেও কীভাবে জয়লাভ করা যায় তার কৌশল বের করতে হবে। সেই কৌশল কাজে লাগাতে না পারলে বিএনপিকে চিরকাল বিরোধী শিবিরে থাকতে হবে। এই কৌশল বের করা এখন বিএনপির জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ বা সর্বদলীয় সরকার আওয়ামী লীগ এখন আর মানার প্রয়োজন নেই। বিএনপির দুর্বল নেতৃত্ব, ভুল কৌশল, দুর্বল বক্তব্য ও তৃতীয় শক্তির ঘাড়ে চড়ে ক্ষমতায় যাওয়ার ভুল কৌশলে দলটি গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। বিএনপি এখনো তার প্রতিষ্ঠাকালের (১৯৭৮) রাজনৈতিক আবহে রয়ে গেছে। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের চিন্তাধারা, কৌশল, জনগণ সম্পর্কে তাদের ধারণা, ছাত্র ও তরুণ সম্পর্কে তাদের ধারণা—সবই প্রায় আশির দশকের। সেই চিন্তায় বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। সর্বশেষ টানা একচল্লিশ দিন আগুন সন্ত্রাস করে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে দিয়েছেন।জনগন এখন জানে বি,এন,পির আন্দোলন মানে পেট্রোল বোমা,ভাংচুর,লুটপাট।এখন যেই অবস্থায় আছে তাতে আগামী নির্বাচন পয্যন্ত দলের ঐক্য ধরে রাখাই হবে বি,এন,পির জন্য বড় চেলেঞ্জ,আন্দোলন করা দুরের চিন্তা। তাছাড়াও দলটি নির্বাচন কালীন কোন নতুনত্ব দিতে আগেও পারেনি,ভবিষ্যতেও পারবে বলে মনে হয় না।আওয়ামী লীগ যেমন রাজনীতিতে ডি,জিটাল বাংলাদেশের ঘোষনা দিয়ে বা ভিশন ২০২১এর স্বপ্ন দেখিয়ে তরুন সমাজকে আকৃষ্ট করে একক ভাবে সরকার গঠন করেছিল, তদ্রুপ নতুন চমক বি,এন,পি যত দিন উদ্ভাবন করতে পারবেনা ততদিন বি,এন,পি কে ক্ষমতার বৃত্তের বাহিরে থেকে বিরুদীদলের ভুমিকাই পালন করতে হবে।পৃথিবির প্রত্যেকটি দেশেই পশ্চিমা ভোটের গনতন্ত্রে এভাবেই এক দল অন্যদল কে ক্ষমতার রাজনীতিতে নিষ্কৃয় করে ক্ষমতা ধরে রাখে।বাংলা দেশেও এর ব্যতিক্রম আশা করা যায় না। বি,এন,পি ক্ষমতায় থাকা কালে শেখ হাসিনাকে হত্যা করে ক্ষমতার ভিত পাকা করার চেষ্টা করেছিল।ব্যর্থ হয়ে নীজদলের প্রেসিডেন্টকে তত্বাবধায়ক প্রধান করে নির্বাচনের পায়তারা করার কারনে ১/১১ এর সৃষ্টি হয়েছিল।এখন ও আওয়ামী লীগ থেকে তদ্রুপ কোন আচরন জনগন প্রত্যক্ষ করেনি,এটাও বি,এন,পি এর জন্য কম প্রাপ্তি নয় আমি মনে করি। পরিশেষে বলতে পারি, আওয়ামী লীগ যত সহজে জনগনের আতের খবর রাখতে পারে এবং সেইমতে কর্মসুচি প্রনয়ন করতে পারে,আন্দোলনকে যুক্তিক পয্যায় নেয়ার সফলতা দেখাতে পারে-- বি,এন,পি তাঁর ধারে কাছেও যাওয়ার মত কোন শক্তি নেই।আওয়ামী লীগ এককথায় তাঁর সকল এপ সব সময় আপডেট দিয়ে রাখে,।বি,এন,পি আপডেট না দিয়ে স্থবির করে রাখে,ফলে বাধ্য হয়ে সব জ্যামধরে বন্ধ হয়ে যায়।আওয়ামী লীগ পুরাতন সংগঠন হলেও, নেতৃত্বে নতুনত্ব আনতে পারে।বি,এন,পি নতুন হলেও নেতৃত্বে পুরাতন ধ্যান ধারনা ত্যাগ করা সম্ভব করতে পারেনা।তাই অনিবায্য পতনের দিকেই ধাবিত হওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। " জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা"

ছবি

মরহুম আবদুস সালাম সাহেবের ১০৫তম জম্মবার্ষিকি। ======================= গতকাল ছিল প্রয়াত সাংবাদিক আবদুস সালাম সাহেবের ১০৫তম জম্মবার্ষিকি।এতদ উদ্দেশ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মরহুমের স্মৃতিচারনের উদ্দেশ্যে,আবদুস সালাম স্মৃতি সংসদ আলোচনা সভার আয়োজন করেন। সাংবাদিক আবদুস সালাম স্মৃতি সংসদ আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন দৈনিক দেশবাংলার সম্পাদক ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী এবং প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। সভায় বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট কামাল লোহানী, সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক কাজী রফিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস, সাপ্তাহিক আজকের সূর্যোদয়ের সম্পাদক খন্দকার মোজাম্মেল হক, সাংবাদিক আবদুস সালামের মেয়ে রেহানা সালাম ও সাংবাদিক পারভীন সুলতানা ঝুমা বক্তব্য রাখেন। হাসানুল হক ইনু বলেন, সাংবাদিক আবদুস সালাম সাংবাদিকতার নীতি চর্চা করেছেন। সেটাকে ভারসাম্য রাখেননি। সব ক্ষেত্রে ভারসাম্য রাখা যায় না। যেমন ভারসাম্য রক্ষা নীতির নামে মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকারকে এক পাল্লায় মাপা যায় না। সাংবাদিক সালাম সাদা আর কালোকে এক করেননি। আবদুস সালামের নামে কোন সড়ক বা এলাকার নাম ঘোষণা করতে তিনি কাজ করবেন বলেও জানান।উল্লেখীত সংবাদটি দৈনীক সংবাদে ছোট্র আকারে চাপিয়েছে।তাঁরপর ও দৃষ্টি এড়ায়নি আমার বা আমার মত অনেকেরই। সাংবাদিক আবদুস সালাম এমন একযুগে লেখা পড়ায় ব্রতি হয়ে আরো অনেকের পথপ্রদর্শকের নিশানা দেখিয়েছেন,সেই যুগে ঐ এলাকায় প্রতিষ্ঠিত কোন স্কুল কলেজ ছিল না।হিন্দু জমিদার তথাকথিত ভদ্র কুলীন সন্তানদের সাথে পাল্লা দিয়ে, শুধু মাত্র জ্ঞানের বলে বলিয়ান হয়ে রক্ষনশীল মুসলিম পরিবারের সন্তানদের নিকট উদাহরন হতে পেরেছিলেন।অধ্যায়নই ছিল তাঁর একমাত্র তপস্যা।একান্ত ব্যাক্তি গত ইচ্ছাশক্তির উপর নির্ভর করে তিনি সমাজের উচ্চ শীখরে উঠে আসতে পেরেছিলেন। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় অনেক পরে হলেও অনুধাবন করতে পেরেছেন, এই জ্ঞানী,গুনী ব্যাক্তির নামে কোথাও কোন স্থাপনা নেই।জনাব আবদুস সালাম সাহেবের নামে তাঁর নীজ পৈত্রিক বাড়ীর পাশ ঘেঁষা বৃটিশ নাগরীকের নামে নামকরনকৃত ক্যাপ্টেন লীক রোড়টিকে শুধু সাইনবোর্ড বসানোর অনুরুধ জানাই।কারন উল্লেখিত রোডটি গুগুলম্যাপে মরহুমের নামে অংকিত থাকলেও জনসাধারনের জানার বা উপলব্দির বাহিরে রয়ে গেছে। উল্লেখিত রাস্তাটি প্রায় চল্লিশ কিলোমিটারের কম হবে না।ঢাকা চট্রগ্রাম হাইরোডের মহুরীগঞ্জ হতে বিলোনীয়া স্থলবন্দর পয্যন্ত রাস্তাটির বিস্তৃতি রয়েছে।দুই দিকে দুইটি সাইনবোর্ড সরকারী ভাবে দেয়া গেলে,জনসাধারনের জানতে আর কোন সমস্যা হতনা বলে আমি মনে করি। তাছাড়া তাঁর আমৃত্যু কর্মস্থল দৈনিক অব্জারভার পত্রিকার অফিসের আসপাশে কোন স্থাপনার নামকরন করা যায় কিনা তাও ভেবে দেখার অনুরুধ জানাই। আমাদের মনে রাখা দরকার, যেই সমাজ তাঁর জ্ঞানীগুনিদের কদর করে না সেই সমাজ অন্ধকার সমাজ।আগামিতে মরহুমের জম্মবার্ষিকি আরও বনাঢ্য ভাবে আয়োজনের উদ্যোগ নিতে আয়োজকদের প্রতি বিশেষ অনুরুধ জানাই। সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

ছবি

যারা বলে আওয়ামী লীগই বঙ্গবন্ধুকে সার্বজনীন হতে দেয়নি তাঁরাই বর্ণচোরা। ========================= আগষ্ট মাস প্রায় শেষ পয্যায়।আর মাত্র কয় দিন পরই চল্লিশ দিনের জাতিয় শোক দিবসে কর্মসুচি ইতি ঘটবে।এবারের শোক দিবস বিভিন্ন দিক থেকে ইতি বাচক কিছু দিকের যেমন প্রস্ফুটিত হয়েছে আবার কিছু নেতিবাচক বাড়াবাড়ি ও লক্ষ করা গেছে।সর্বিক বিবেচনায় আমি মনে করি ইতিবাচক ঘটনাবলীর চাপায় নেতিবাচক ঘটনাবলী জনসম্মুখ থেকে হারিয়ে গেছে।এই বছরের শোক দিবসের সব ইতিবাচক-নেতিবাচক ঘটনার মুল্যায়ন পুর্বক আগামী বছরের শোক দিবসের কর্মসুচি প্রনয়ন করা নৈতিক ভাবেই সরকারের উচিৎ হবে বলে আমি মনে করি। আজ স্বাধীনতার ঘোষনা নিয়ে অনেকে বিতর্ক করার চেষ্টা করেন।৭ই মার্চের ভাষন তারা ভাল করে না শুনে বিতর্ক করার চেষ্টা করেন।মেজর জিয়া নিজেই যেখানে তাঁর বিচিত্রায় দেয়া নিবন্ধে লিখেছেন,বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনেই বাঙ্গালী অফিসারেরা স্বাধীনতার গ্রীন সিগনাল পেয়ে গিয়েছিলাম।পাকিস্তান পুর্ববাংলা আক্রমন করে ন্যায্য দাবী ধুলিসাৎ করার জন্য আলোচনার নামে সময় ক্ষেপন করছেন তা কি বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারেননি?না পারলে তিনি কেন বলবেন,"তোমাদের যা কিছু আছে,তা নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে"।তিনি থাকবেন না,বা কারাগারে দেয়া হবে ,তাও তিনি বুঝতে পেরেছিলেন,তাইতো সেই দিনই বলে দিলেন,"আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি।"তাঁর পর ও জ্ঞান পাপিরা বিতর্কে লিপ্ত হতে সামান্যতম দ্বিধাবোধ করেন না।তাঁরাই আবার অনেকে এখন দেখা যায় বঙ্গবন্ধু পয্যন্ত বলা শুরু করেছে।আশা করা যায় আগামী বছরের মধ্যে জাতির জনক ও বলা শুরু করতে পারে। দেশকে, দেশের মানুষকে যতখানি ভালোবাসা যায়, তার চেয়েও হয়তো বেশিই ভালোবেসেছিলেন বঙ্গবন্ধু। অথচ, জাতি তার প্রতিদান দিল নির্মমভাবে তাকে হত্যা করে! বাঙালি জাতির তো বটেই গোটা বিশ্বের ইতিহাসে এর চেয়ে জঘন্য, কলঙ্কজনক হত্যাকাণ্ড আর ঘটেছে বলে আমার মনে হয় না। ঘৃণ্য সেই ষঢ়যন্ত্রের এত বছর পর আজ আমার মনে হয়, ঘাতকরা আসলে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি ছিলেন না। দেশ-কাল-সময়ের সীমানা পেরিয়ে তিনি যেন কিংবদন্তির এক মহানায়ক। আপনি ব্যক্তিকে হত্যা করতে পারেন। কিন্তু আদর্শকে? কখনো নয়। জাতীর জনকের, অসিম সাহস, দৃড়চেতা মনোবল ,দূরদৃষ্টি সম্পন্ন, তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা, প্রখর জ্ঞান, সমস্যা মোকাবেলা করার অভাবনীয় মনোবল, মাটি ও মানুষের প্রতি অসিম ভাল বাসা ,বাঙ্গালি জাতীয়তার প্রতি আস্হা ও বিশ্বাস,ধর্ম বর্ণ, ছোট বড় সব মানুষের প্রতি গভীর ভালবাসা ছিল বলেই টুঙ্গীপাড়ার দামাল ছেলে "খোকা "ক্রমান্বয়ে কলকাতা রেসিডেনসিয়ালের শেখ মুজিবর রহমান,ছাত্র জনতার বঙ্গবন্ধু,সর্বশেষ মহান মুক্তিযোদ্ধের মহা নায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রষ্ঠ বাঙ্গালী, বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান হতে পেরে ছিলেন।যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জ্বল জ্বল করে জ্বলবে প্রতিটি বাঙ্গালীর হৃদয়ের মানসপটে। ৭৫ পরবর্তি আওয়ামী লীগের দুরদর্শি নেতারা বুঝতে পেরেছিলেন,জীবিত বঙ্গবন্ধুর চাইতে মৃত বঙ্গবন্ধুকে যত বেশী আন্দোলন সংগ্রামের প্রেরনায় ফিরিয়ে আনা যাবে তত বেশী আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় ফেরার পথ প্রসস্থ হবে। ইতিমধ্যে অনেকে বলে বেড়ান,বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগই সার্বজনীন হতে দেয় নাই।আওয়ামী লীগের একক দখলে থাকার কারনে বঙ্গবন্ধু সার্বজনীন হতে পারেনি।এরাই আসলে বর্নচোরা।৭৫থেকে '৯১ইং পয্যন্ত অঘোশিত ভাবে সরকারী সকল অনুষ্ঠানে তখন তাঁরা একবার ও বলেন নাই, বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রীয় পয্যায় অবহেলা করা হচ্ছে।'৭৫ এর পর আওয়ামী লীগ স্বল্প পরিসরে যদি অন্তরে ধরে না রাখতেন, তাহলে আজকে স্বমহিমায় ফিরে আসতো কিভাবে।ফিরে এসেছে বলেই আজ সর্বমহল থেকে দাবী উঠেছে সার্বজনীন করার। বঙ্গবন্ধু আসলে কতবড় মাপের নেতা সেটা সর্ব প্রথম বুঝতেই পারেনি, দলের নেতাকর্মীরা।বিশ্ববরেন্য ব্যাক্তি,বিশ্বের স্বাধীনতা কামী নিপিড়িত মানুষের যখন বনঙ্গবন্ধুকে স্বরন করে বই লিখা শুরু করেছেন,আন্দোলনের শ্লোগানের প্রেরনায় দিক্নির্দেশনায় নিয়ে এসেছেন তখননি কেবল বুঝা গেল বঙ্গবন্ধু আসলে কে ছিলেন,তাঁর আদর্শই বা কি ছিল।বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরেও আওয়ামী লীগের নেতারা তাঁর উদ্ভাবীত বাকশাল সম্পর্কে কোন চিন্তা বা গভেষনাও করেন নাই।বিদেশীরা ঠীকই গভেষনা করে প্রমান করেছেন, মুলতই বঙ্গবন্ধু শোষিত নীপিড়িত মানুষেরই নেতা।আদর্শবাদী নেতা।সামাজতান্ত্রীক দুনিয়ায় যদি সামাজতন্ত্রের ধ্বস না নামতো,রাশিয়ার ক্ষমতায় ব্রেজনেব,সংস্কার প্রক্রিয়া সাধনের নামে পুঁজি বাদের ধারনাকে প্রাধান্য না দিতেন,আমি বিশ্বাশ করি লেলিন,মাও সেতুং এর নামের পাশে বাংলা দেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হতেন, আধুনিক ধ্যান ধারনা সম্পন্ন,ধর্মীয় মুল্যবোধ সম্পন্ন,বিজ্ঞানের আধুনীক গনতান্ত্রিক সমাজ তন্ত্রের প্রবক্তা।ধর্ম কর্ম করেও সমাজতন্ত্র এর ধ্যান ধারনা পোষন করা যায়, তাই বঙ্গবন্ধু নির্দেশনা দিয়ে গেছেন।আমরা গভেষনা করে তথ্য উৎঘাটন করতে পারিনি,বিদেশীরা পেরেছে।১৬ই আগষ্ট বি,বি,সি, সংবাদ মাধ্যমে যেই ভাবে বঙ্গবন্ধুকে, তাঁর দর্শনকে মুল্যায়ন করেছিল, তাঁর আশেপাশেও আমাদের দেশের গভেষকেরা পা মাড়াননি।বিদেশীদের মুল্যায়নের পর আমাদের দেশেও ইদানিং অনেকের চিন্তাচেতনায় বঙ্গবন্ধুকে পিরিয়ে আনার চেষ্টায় আছেন।তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করেছেন।কোন কোন ইতিহাসবিদ বিখ্যাত হওয়ার স্বপ্নেও বিভোর হয়ে আছেন,কখন তথ্য বহুল বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস রচনা করে জাতির মনিকোঠায় স্থান নিতে পারেন। মৃত্যুর এত বছর পর এসে আবার মনে হচ্ছে- জীবিত মুজিবের চাইতে মৃত মুজিব অনেক বেশি শক্তিশালী ও ব্যাপক। '৭৫ পরবর্তীতে আমাদের প্রত্যয় ছিল মৃত মুজিবই বেশি শক্তিমান হবেন ইতিহাসের পাতায়। আজকে দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি- মৃত মুজিবকে এক শ্রেণীর আওয়ামী লীগ নেতারা ভাগ্য গড়ার দৃষ্টিতে অবলোকন করা শুরু করেছেন।তাঁদের বেশির ভাগ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে আমবশ্যার চাঁদ হয়ে যান।আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এমন ভাব প্রদর্শন করেন যেন,বঙ্গবন্ধু দেবতার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ও পুঁজনীয় । এটা যে নেতার প্রতি কতবড় অসম্মানের ব্যাপার তা বোঝার মতো জ্ঞান বুদ্ধিও এক শ্রেণীর মানুষের লোপ পেয়েছে। লোভী,ধান্ধাবাজ,কপট,ব্যক্তি ও সংগঠনের মুজিব চরিত্র হননের হাত থেকে রক্ষা পেতে কিছু সুনির্দিষ্ট কাজ করা দরকার আমি মনে করি। (ক) স্বাধীনতা সংগ্রাম ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান এখনি প্রয়োজন। যার সরাসরি তত্ত্বাবধান করবে আওয়ামী লীগ বা যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সেই দল বা সরকার। (খ)বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক লেখার একটি জাতীয় লেখক প্যানেল তৈরি করার সময় হয়ে গেছে।বঙ্গবন্ধুর নানাহ দিক নিয়ে লিখা বই, রচনা, প্রবন্ধ ইত্যাদি লেখার পর রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে তা প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। (গ) স্বনামধন্য বঙ্গবন্ধুর অনুরক্ত ইতিহাসবিদদের নিয়ে একটা জাতীয় কমিশন গঠন করতে হবে, যারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মূল্যবান উন্নতমানের ইতিহাস পুস্তক রচনা করবে। (ঘ)আগামী ১৫ আগষ্ট আসার কমপক্ষে তিনমাস আগে শোক দিবস পালনের সুনির্দিষ্ট নীতি মালা সরকারী ভাবে ঘোষনা করার ব্যবস্থা করতে হবে। (ঙ) সর্বোপরি শোক দিবসসহ অন্যান্ন দিবস সমুহের পালনের জন্য একটি নীতিমালা সরকারী ভাবে তৈরি করে জাতীয় সংসদের মাধ্যমে আইনে রুপ দেয়া যায় কিনা ভেবে দেখার এখনি সময়। (চ)সকল জাতীয় দিবস রাষ্ট্রীয় অনুকুল্লে পালন করা যায় কিনা তাও ভেবে দেখা দরকার। সবকিছু একটা নিয়মতান্ত্রিক পথে পরিচালিত করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসার মৌলিকত্ব আসতে বাধ্য হত। নিয়মের মধ্যে না এনে, নেতারা দায়িত্ব পালন না করে বঙ্গবন্ধুকে এখন হাটবাজারে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ফলে এখন কেউ মিষ্টির প্যাকেটে বঙ্গবন্ধুকে ব্যবহার করছে, কেউবা আত্মপ্রচারে ব্যবহার করছে। ভবিষ্যতে যদি অশ্লীল আরও কোন স্থানে তার ছবি ব্যবহার করা হয় তাতেও আশ্চর্যের কিছু থাকবে না। আগস্ট মাস শেষ হচ্ছে। পরের মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শোক দিবসের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। লেখার বিষয় তাই শোক পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিলাম। ব্যতিক্রম শুধু- মহান নেতার এই মহাপ্রয়াণ দিবস পালনে যেসব বিচ্যুতি-ভ্রান্তি ও ক্ষতিকর বিষয় সে সম্পর্কেই কিঞ্চিৎ আলোকপাত। এখনও সময় আছে, যদি আমরা বঙ্গবন্ধুকে যথার্থ ভালোবাসি তাহলে তাকে খন্ডিত, বিকৃত, ব্যবসা, ভাগ্য গড়ার হাতিয়ার না বানিয়ে প্রকৃত সার্বজনীন সমাদরে আকৃষ্ট ও সমুজ্জল করে তোলার মহাপরিকল্পনা নিতে হবে দূরদর্শী দেশরত্ম জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। ""জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা।"

ছবি

-'৫৭ ধারা বাতিল নয় আরও বিস্তৃত করে সংজ্ঞায়িত করা হোক =========================== ব্যক্তিগত ভাবে আমি "৫৭ ধারা বাতিলের পক্ষে নই।কারন আমাকে আগে বুঝতে হবে আইনটি ভাল না খারাপ।আইনটি কি আমার মৌলিক অধিকার বাক স্বাধীনতার পরিপন্থি হয়েছে ,না রক্ষিত হচ্ছে।আইন টি কি অপব্যবহার হল ,না সঠিক ভাবে প্র‍য়োগ করা হচ্ছে।আইন পরিবর্তন প্রয়োজন ,না ব্যাক্তি মানষিকতা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। তাহলে দেখি আইনে কি আছে--- (১) কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটিবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’ এখানে আইনে কাল দিক কোন বিষয়টি আগে আমাদের দেখা দরকার।একটা বিষয় স্বিকায্য যে আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত বরেন্য ব্যাক্তিদের এমন কিছু ছবি আপলোড করা হয়, যাহা সুস্থ্য কোন মানষিকতার লোক নিন্দা না করে পারেন না।রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি খুব বেশী চোখে পড়ে।এমন সব পেইজ থেকে ছবি গুলি আপলোড করা হয়, তার কোন নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই।আইন তাঁকে খুঁজে বের করতে পারবেনা।এখন বিষয়টি কি দাঁড়াল,নাম, ঠিকানা ছাড়া আই, ডি খোলার উপর নিষেদাজ্ঞা প্রয়োজন, না যার পেইজে এসে ছবিটা আরো অনেকে শেয়ার করার কারনে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন প্রয়োজন?মুলত এখানেও আমাদের মানষিকতার, রুচিবোধের পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের মনে রাখার প্রয়োজন গনতন্ত্র,বাক ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা,সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা ইত্যকার সব কিছুরই স্বাধীনতা উপভোগের সীমাবদ্ধতা আরও কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রনের জন্য আইন করে দেয়া প্রয়োজন।আইন অবশ্যই আছে,মানার মানষিকতা নেই বা প্রয়োগের অভাব, এবং থাকাটাই স্বাভাবিক কারন আমরা এখনও সুশিক্ষিত জাতি হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে পারিনি।নির্ভেজাল গনতন্ত্র, বাকও ব্যাক্তি,সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা উপভোগের জন্য ,নির্ভেজাল আইনী বেষ্টনীতে তাঁদের পরিবেষ্টন করে রাখতে হবে।আইন যত কঠোর হবে ,স্বাধীনতা উপভোগ তত সহজ হবে।সংবাদ পত্রের স্বাধীনতার অর্থ এই নয়,যা ইচ্ছা তাই প্রকাশ করে যাব।মিথ্যাকে সত্যে, সত্যকে মিথ্যায় রুপান্তর সংবাদ পত্রের কাজ নয়।সংবাদ পত্রের দায়িত্ব বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করা।ব্যত্যায় হলে আইনী ব্যবস্থা নিতেই হবে।আইনী ব্যবস্থা নিতে গেলে চারিদিকে রব যদি উঠে,সংবাদ পত্রের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে ,তা হলে ব্যপার টি কেমন হবে?সংবাদ পত্রে হামেশা মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে, তাঁর জন্য ব্যবস্থা নিলে, সংবাদ পত্রের কন্টরোধ হয় কিভাবে? মুলত আমাদের রাজনীতিতে বলেন বা সরকারের দায়িত্বশীল কর্মচারীদের বেলায় একই কথা প্রযোজ্য,সৎ,দক্ষ,সৌজন্যতা সম্পন্ন,রুচিশীল,জ্ঞানী,চিন্তাশীল ব্যাক্তির একান্ত অভাব।উল্লেখীত ব্যাক্তিচরিত্র সম্পন্ন মানুষ আমাদের সমাজেরই সৃষ্ট।সমাজের পরিবর্তন না করে আইনের পরিবর্তন করে, কি কোন লাভ হবে?সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের আটক ও ৫৭ ধারা প্রয়োগ এর পর থেকে উল্লেখীত আইনটি বাতিলের জন্য সর্বমহল থেকে দাবি উঠেছে।এখানে আইনের অসংতি দূর করা যেতে পারে ,বা সংজ্ঞায়ীত করার দাবি আসতে পারে, বাতিলের দাবী আসবে কেন? এখানে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, ১ উপধারায় বর্ণিত অপরাধগুলো সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত নয়। বরং পুরো উপধারাটি এমন বিস্তৃতভাবে ব্যক্ত যে একেকটি অপরাধের সংজ্ঞা বহুভাবে ব্যাখ্যা করার সুযোগ আছে। সে কারণেই আইন বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, ৫৭ ধারার ব্যাপক অপব্যাবহারের সুযোগ আছে। অপব্যবহার যে হচ্ছে, তাও ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে মাত্র সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের বেলায়।একজনের বেলায় অপব্যবহারে গোটা আইনটি বাতিল করা লাগবে কেন? সর্বশেষ আমরা দেখলাম, সাংবাদিক প্রবীর সিকদার ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিলেন, যেখানে একজন মন্ত্রীসহ তিন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘আমার জীবনের শঙ্কা তথা মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী থাকবেন’। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রবীর সিকদারের নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতার বোধ স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়েছে। সেই বোধের সঙ্গে এমন গভীর হতাশাও মিশে আছে যে তিনি মরিয়া হয়ে, আর কোনো উপায় না পেয়ে সরকারসহ দেশবাসীকে তাঁর শঙ্কা ও উদ্বেগের কথা জানাতে ফেসবুকের আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু তাঁর স্ট্যাটাসে উল্লেখিত তিন ব্যক্তির মধ্যে একজন, যিনি সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী, তাঁর পক্ষে সংক্ষুব্ধ হয়ে ফরিদপুর জেলা আদালতের এক সহকারী সরকারি কৌঁসুলি ৫৭ ধারার অধীনে প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিলেন। মন্ত্রীর পক্ষে কেউ হয়তো বিষয়টি এভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন যে প্রবীর সিকদার নিজের সম্ভাব্য মৃত্যুর জন্য মন্ত্রীকে দায়ী করে তাঁর নাম প্রচার করায় মন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বা তাঁর মানহানি ঘটেছে। কিন্তু সমুদয় পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণের ধারণা হয়েছে যে ৫৭ ধারায় প্রবীর সিকদারের মামলাটি দায়ের করা হয়েছে তাঁকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে। এখানে স্পষ্টযে আদালত ও তাদের আওতার বাহিরে পদক্ষেপ নিয়েছেন।যেমন প্রবীর শিকদার সরাসরী তিন জনের নাম উল্লেখই করেছেন,তাঁর জীবনের শংকাও প্রকাশ করেছেন।শংকা প্রকাশ করার কারন আর ও একটি হতে পারে,২০০১ইং সালে তাঁর উপর পৈশাচিক নির্যাতন করে ,তাঁর একটি পা নষ্ট করে দিয়েছিলেন সন্ত্রাসীরা।এখন ও আইন তাঁদের শনাক্ত করতে পারেন নাই।না পারার কারনে এহেন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হলে কে দায়ী হতে পারেন ,তাই তিনি লিখেছেন।আইনের জন্য অনেক কাজ তিনি এগিয়ে রেখেছেন।আদালত তাঁকে রিমান্ড দিবে কেন?তিনি স্পষ্ট সব লিখেই দিলেন,আর কি জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দশ দিন রিমান্ড দিলেন।থানাও চাইবে কেন?অপপ্রয়োগ কারিদের শাস্তি না চেয়ে আইন বাতিল চাওয়ার কি কারন? এতবড় একটা জগৎ আইনের পরিবেষ্টন ছাড়াই চলবে? এখানে ৫৭ধারার অপব্যবহার হল, না সঠিক প্রয়োগ হল তাঁর চুলচেরা বিচার বিশ্লেষন হতে পারে।ফলাফল যা আসবে, সরকার সেইমতে ব্যবস্থা নিতে পারেন। এই আইনের অপব্যবহার যাতে কোন প্রভাব শালী মহল বা থানা বা আদালত করতে না পারে,, তাঁর গ্যারান্টি ক্লজ থাকতে পারে, বাতিল হবে কেন?বরঞ্চ প্রয়োগের ক্ষেত্র আর ও বিস্তৃত হওয়া প্রয়োজন আমি মনে করি।কেন করি তার ব্যাখ্যাও দিচ্ছি--- নিম্নের আলোচনাটি আমাদের সমাজ কল্যান মন্ত্রী মহোদয়ের। "সমালোচনা আমি আশা করি। আরও সমালোচনা হোক।....... কিন্তু সেটার লিমিট থাকবে। আমার বিরুদ্ধে সিগারেট খাওয়ার ছবি দিয়েছেন পত্রিকায়। আপনারা পড়েছেন তো? লজ্জা নাই আমার। বাট আমিতো.... কলকাতার মঞ্চে বসেও সিগারেট খেয়েছি। কোনো সাংবাদিক ছবি তোলে নাই। মঞ্চে বসে। আমাকে জওহর লাল নেহেরু সম্মাননা দিল, অ্যান্ড অতীশ দীপংকর। দুটোতো অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। আমি মঞ্চে সিগারেট খেয়েছি। আই এম এ কমপ্লিট চেইন স্মোকার। কিন্তু ওখানকার সাংবাদিকেরা এই ছবি তোলে নাই। আর আমাদের, ঘরে বসে সিগারেট খেলেও আপনার ছবি তোলেন। এ এটা হলো কী, আমার অধিকারটুকু আমাকে করতে দিতে হবে। আই এম নট বাউন্ড টু ইউ, অ্যান্ড ইউ আর নট বাউন্ড টু মি।......সাংবাদিক ভায়েরাও নিজেদের স্ট্যাটাস বাড়ান। আপনাদের প্রেসক্লাবগুলো ভালো করেন। এ ব্যাপারে আমরা সাহায্য সহযোগিতা করব।’' এতে তেমন কি বলেছেন তিনি।পত্রিকায় বড় বড় হেডিং দিয়ে প্রকাশ করা হল, সমাজ কল্যান মন্ত্রী আবারও সাংবাদিকদের হুমকি দিলেন।সাংবাদিক হলেই তাঁর বা তাঁদের সম্পর্কে আলোচনা করা যাবে না!!!তাঁদের হাতে কলম কাগজ আছে যা মন চায় তাই লিখে দিতে পারবেন?আপনার স্বাধীনতা প্রয়োগ করতে গিয়ে সমাজ কল্যান মন্ত্রীর ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে পারবেন?তেমন কি কথা সেদিন তিনি বলেছেন?উপদেশ, উদাহরন দেয়া কি হুমকি? সমাজ কল্যান মন্ত্রী যদি ঐ পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতেন, সেটাই যুক্তি যুক্ত হত।কিন্তু তিনি তাহা নেন নাই।সহনশীলতার উদাহরন সৃষ্টি করেছেন।তৎদ্রুপ আমাদের প্রবীর শীকদার দাদা যদি ভুল করে থাকে ,যিনি রেগেছেন উনার সনশীলতা দেখানো উচিৎ ছিল।আমি প্রথম দিন বলেছিলাম এর দায় আগামী কাল যা হবে, তা সহ্য করার ক্ষমতা ঐ ক্ষমতাধর মহামান্য ব্যাক্তি মহোদয়ের নেই।হয়েছেও তাই।অক্ষরে অক্ষরে ঘটে গেল,আমি ভীষন খুশী। আই,সি,টি,আইনে সীমাবদ্ধতা দূর করা প্রয়োজন।আইনটির ফাঁক ফোঁকরে কারোরই সাজা সঠিক ভাবে হচ্ছে না।ডিজিটাল যুগের অপরাধ এনালগ যুগের আইন দিয়ে চালানো যাবে না।দেশ যতদুর অগ্রসর হচ্ছে অপরাধ প্রবনতার ধরন তাঁর চাইতে দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে।ইতিমধ্যে বাহাত্তরে সংবিধানে দেশ প্রবেশ করেছে।বাহাত্তরের সংবিধানে অনেক বিষয় বর্তমানে অচল।ঐ সমস্ত অচল দিক গুলী সচল করার জন্য কমিশন গঠন হয়েছে।আর যাতে কোন অপশক্তি সংবিধান কাঁটাচেড়া করতে না পারে তাঁর ও গ্যারান্টিক্লজ সংযুক্ত করা হোক। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বলেছেন,গনতন্ত্রের বা স্বাধীনতার স্বাধ পুরাপুরী উপভোগ করতে হলে, আইনের মাধ্যমে তাঁদের বেষ্টনী করে দিতে হবে।যুগ উপযোগী আইন না হলে এবং আইনের সঠিক ব্যবহার না হলে স্বাধীনতার স্বাধ অপূর্ণই থেকে যাবে।দেশের সার্বিক উন্নতির ধারার সাথে সংগতি রেখে আইনের পরিবর্তন পরিবর্ধন,সংযোজন বিয়োজন,প্রয়োগের সীমা,অপপ্রয়োগের শাস্তি নির্ধারন করা প্রয়োজন।গনন্ত্রের, স্বাধীনতার,অর্থনোতিক মুক্তির স্বাধ বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কেটে ফেলা সমাধান নয়,বরঞ্চ সঠিক কারন নির্নয় পুর্বক যথাযথ চিকিৎসাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।সামাজিক মাধ্যম ফেইজ বুকের প্রতি তরুন সমাজ যে হারে আকৃষ্ট হচ্ছে,আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই মাধ্যমটি হবে রাজনীতির মুল প্লাটফরম।সুতারাং কি ভাবে এই মাধ্যমকে সঠিক ভাবে ব্যাবহার করা যেতে পারে, তাই নিয়ে আলোছনা প্রয়োজন আছে।আমি লক্ষ করে দেখেছি, এই মাধ্যমটি কে স্বাধীনতা বিরুদীরা যে হারে অপব্যাবহার শুরু করেছে,যে হারে আজগুবী খবর ও তথ্য প্রতিনিয়ত সরবরাহ করা হচ্ছে,এতে একশ্রেনীর রুচিশীল তরুন নীজকে সরিয়ে নিয়ে আপাত সম্মান রক্ষা করা শ্রেয় মনে করবে।অসংখ্য পেইজ দেশের বাহির থেকে তাঁরা চালু করেছে,সেখানে শুধুই আজগুবী সব খবর আর রগরগে সব পর্ণ ছবি ছাড়া আর কিছুই নেই।সুতারাং এই সমস্ত পেইজ কিভাবে বন্ধ করা যায় সেই চেষ্টাই করা উচিৎ। প্রগতিশীল চিন্তাধারার অধিকারীরা তাঁদের প্রচারনা থেকে অনেক পিছনে পড়ে আছে।তাছাড়া ও জ্ঞানী ছেলে মেয়েরা সময় নষ্ট মনে করে অনেকে দূরে সরে রয়েছে।তুলনা মুলক জ্ঞান আহরনের মুর্খ স্থান পেইজ বুক হতে পারে, এই ধারনা টুকু আমরা তাদের দিতে অপরাগ। জামাত শিবিরের এমন কোন পরিবার নেই যেই পরিবারে সদস্য সংখ্যার চাইতে নামে বেনামে দ্বিগুন আই,ডি নেই।সর্বক্ষন মেয়েরা প্রগতিশীল ছেলেদের ,যারা কিছু কিছু লিখা লিখি করে, তাঁদের সাথে মিথ্যে প্রেমের অভিনয় করে অযথা চ্যাটিং এ ব্যাস্ত রাখে,এক সময় মগজ ধোলাই করে প্রগতির ধারা থেকে বিচ্যুত করার প্রয়াস চালায়।অনেক ক্ষেত্রে সফল আবার অনেক ক্ষেত্রে বিফল হয়।তাতে তাদের চেষ্টায় কোন ঘাটতি দেখা যায়না। সুতারাং পরিশেষে বলতে চাই, এক বা একাদিক উদাহরনকে সামনে রেখে কুচক্রি মহলের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে যখন তখন যে কোন দাবী উত্থাপন থেকে বিরত থাকুন,অপপ্রয়োগ কারীদের প্রতি নিন্দা জানান,আইনী ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানান,বাতিলের দাবী করা সমচিন নহে। "" জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা""

ছবি

অবিলম্বে শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে জোটে ভাঙ্গনের অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক। আগেই আশংকা করে বলেছিলাম,বহুদলীয় পশ্চিমা শোষনের গনতন্ত্রে সত্যিকার দায়িত্ব শীল বিরুদী দল না থাকলে, ক্ষমতাসীন দলের জন্য যেকোন সময়ে হঠাৎ বিপদ আসতে পারে।বিপদ ঘর থেকেও হতে পারে, বাহির থেকেও হতে পারে।আর ও বলেছিলাম ৭২এ সঞ্জয় গান্ধী গং দের প্ররোচনায় ভারতে ইন্দিরা গান্ধী জরুরী অবস্থা ঘোষনা করার পর সঞ্জয় গান্ধী, কি ভাবে দলীয় নেতা কর্মীদেরর হত্যা করেছিল,ইন্ধীরা গান্ধীকে অন্ধকারে রেখে।তার বিশদ আলোচনা করেছিলাম।ইন্দিরা গান্ধীর নজরে যখন সব পরিস্কার ভাবে এসেছিল তখন আপসোশ ছাড়া আর করার কিছুই ছিল না।বিশ্বের ইতিহাসে বহু নজির আছে,পিতার সাথে পুত্রের,ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের বিশ্বাস ঘাতকতার।ইসলামের ইতিহাসের দিকে চোখ ফেরালেও এমনতর উদাহরনের অভাব হবে না।সুতারাং রাজনীতিতে সবাই আপন যতক্ষন সাথে আছে, এই পুরাতন আপ্ত বাক্যটি জননেত্রীকে স্মরন রাখতে হবে। জাসদের তখনকার ভুমিকা নিয়েও আলোচনা করেছিলাম।বলেছিলাম জাসদের তরুন তুর্কীদের মেজর জলিল, মোস্তাক,জিয়া গং, কিভাবে পথভ্রষ্ট করে সাম্রাজ্যবাদিদের স্বার্থ উদ্ধার করার পর ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল।আরো বলেছিলাম জাসদ রাজনীতির ভুলের কারনেই দলটি প্রায় বিলীনের পথে।সাম্রাজ্যবাদি চক্র এবং স্বাধিনতা বিরুদিদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সেই দিন যারা জাসদকে ভুল পথে পরিচালিত করে জাতির জনকের হত্যা প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করেছিল তাঁরা আজও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে নেই,জোটেও নেই।যারা সেদিন শুধু ব্যাবহার হয়েছিলেন, প্রকৃত পক্ষে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের ,তাঁরা আওয়ামী লীগেই আছে অথবা জোটে আছে।যেকোন সময় রাজনীতিতে ভুল হতে পারে,এই ভুলের জন্য জাতি চরম খেসারত দিতে হয়,ব্যক্তি ভুলে শুধু সংসার নষ্ট হয় অথবা দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্বল্প সময় জাতিকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে, দীর্ঘ সময় পারেনা।৭৫"এর পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব একটা কথাই বার বার বলে আসার চেষ্টা করেছে,"জাতির জনককে হত্যা করে মক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তানের দিকে দাবিত করে নিয়ে যাচ্ছে সাম্রাজ্য বাদের দোষরেরা"।আওয়ামী লীগের এই বক্তব্য আজকে প্রমানীত সত্য হওয়ার কারনে,লৌহ কঠিন জোট গড়ে উঠেছে।আর এই জোট গড়ে উঠেছে মুক্তি যুদ্ধের ধারায় বাংলা দেশকে ফিরিয়ে এনে বিশ্ব দরবারে বাঙ্গালী জাতির ভুলুন্ঠিত গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য।বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার আকাংখাকে বাস্তবে রুপায়নের জন্য।এই জোট একদিনে গড়ে উঠে নাই,এই জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে অনেক ত্যাগ স্বিকার করার প্রয়োজন হয়েছে।কমপক্ষে ১৯বার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসতে হয়েছে।এমনিতর হামলা গুলী যদি না হত, তাহলে হয়তো আওয়ামী লীগকে আজকের এই অবস্থানে আমরা পেতাম না।রাজাকারের বিচার হত না,বঙ্গবন্ধুর বিচার সীমিত আকারে যেটা হয়েছে হয়তো সেটাও হতনা।আওয়ামী লীগের উপর বার বার আঘাত আসার কারনে মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের, অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে দৃড এক্য গড়ে উঠেছে।৭৫'পরবর্তিতে রাজনৈতিক আবাহাওয়ার কারনেও অনেকে চিরদিনের জন্য রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে বিদায় নিয়েছিলেন।সত্যিকার ভাবে দেশ যে সাম্রাজ্যবাদের কলনীতে পরিনত হচ্ছে বা মিনি পাকিস্তানের রুপ ধারন করার জন্য বার বার জননেত্রীর উপর আঘাত করা হচ্ছে,আওয়ামী লীগকে নিচ্ছিন্ন করার জন্য, তাঁর নেতাদের বাচাই করে হত্যা করা হচ্ছে, রাজনৈতিক মহল বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পন্ন ব্যাক্তি বা দল বুঝে উঠতে অনেক সময় পার হয়ে গেছে সত্য,শেষ অবদি বুঝতে পেরেছেন এটাতে কম সাফল্য কোথায় পেলেন শেখ সেলিমেরা তা বোধগম্য নয়।দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বঙ্গবন্ধু যখন স্ব-মহিমায় আপন স্থানে অবস্থান নিতে শুরু করেছে, তখনই শেখ সেলিমের মত পরিক্ষিত আওয়ামী লীগ নেতা সংসদে দাঁড়িয়ে জাতির সামনে এহেন বিতর্ক উত্থাপন করে কার স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছেন, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।দেশরত্মের অক্লান্ত পরিশ্রমে, জাতি যখন তাঁর হারানো গৌরব একে একে ফেরৎ পাচ্ছেন, তখনি বিতর্কটি জুড়ে দিয়ে জোট ভাঙ্গার চেষ্টা কেন হল? শেখ সেলিমদের স্মরনে থাকার কথা জোট নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে গড়ে উঠেছে।আর সেই উদ্দেশ্য আংশিক বাস্তবায়নের পরক্ষনে, ঘরের ভিতর থেকে বিতর্ক উত্থাপন করে, তিনি কি বুঝাতে চাইলেন।জাসদের কার ভুমিকা কি ছিল, কখন কে কি করেছেন জননেত্রী কি তা জানেন না? দেশরত্ম জননেত্রীতো অনেক বারই বলেছেন,১/১১ তে কে কি করেছেন তা আমি ভুলবো না।তবে তাদেরকে আমি ক্ষমা করতে পারি,ভুলে যেতে পারিনা।দুরদর্শি পিতার দুরদর্শী রাজনৈতিক উক্তি।মতিয়া জাতির জনকের চামড়া তুলে ঢোল বানাবেন বলেছিলেন, সে মতিয়া ছাত্র ইউনিয়নের মতিয়া,অগ্নিকন্যা মতিয়া।সে মতিয়াদের সম্মেলনে জাতির জনক বলেছিলেন আমার আগামীদিনের স্বপ্নের বাংলাদেশের কারিগর হবে তোমরাই।সেই পরিপক্ষ রাজনীতিবিদ মতিয়া ১/১১ এর পর প্রত্যেক দিন কমপক্ষে দুই ঘন্টা জননেত্রীর সাবজেলের অদুরে দাঁড়িয়ে নেত্রীকে সাহস দিয়ে গেছেন। বিশ্ব বাসী অবাক বিস্ময়ে মতিয়ার সাহসি পদক্ষেপ অবলোকন করেছে।আপনি শেখ সেলিম তখন কোথায় ছিলেন?আওয়ামী লীগের বাঘা বাঘা নেতারা কোথায় ছিলেন।মতিয়া যা পেরেছে আপনারা পারলেন না কেন? সারা বিশ্ব যখন দেশরত্মের নেতৃত্বের প্রসংশায় পঞ্চমুখ,স্বাধীনতা বিরুধীরা যখন পালায়নরত,দেশ যখন উচ্ছ আয়ের দেশে পরিনত হওয়ার অপেক্ষায়, জাতি যখন স্বাধীনতার স্বাধ গ্রহন শুরু করেছে তখনি বিতর্কটা উত্থাপন করেছেন শেখ সেলিম।জানসভা বা বিবৃতি দিয়ে নয়,একেবারে জাতিয় সংসদে দাঁড়িয়ে জাতির সামনে।আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি এখানেই ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে,এখনি ব্যাবস্থা গ্রহন করার প্রয়োজন আছে।আমি মনে করি আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক, জনপ্রসাশন মন্ত্রী কয়দিন আগে এই ষড়যন্ত্রের প্রতি ইঙ্গিত করে জাতিকে সতর্ক থাকার আহব্বান জানিয়েছেন। ১৯৭৫ থেকে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ। ৪০টি বছর। কালের পরিক্রমায় তা খুবই স্বল্প সময়। কিন্তু মনুষ্য জীবনের কাছে অনেকটাই। এ-সময়কালে সংঘটিত হয়েছে লক্ষাধিক ঘটনা। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের বিচার কিছুটা হয়েছে কিন্তু তা সম্পূর্ণ নয়। কারণ যারা এ হত্যাকান্ডের নেপথ্যে জড়িত ছিলেন এবং এখনও দু'-একজন সদর্পে আওয়ামী লীগের ভেতরেই পদচারণা করছেন; আর যেসব বিদেশি এজেন্সি সহায়তা করেছে তাদের বিচারও সমাপ্ত করতে হবে। আরও কিছু বিচার জাতি দেখতে চায়- জেল হত্যার বিচার, খালেদ মোশাররফ, মঞ্জুর হত্যাকান্ড, জিয়া হত্যাকান্ড, উদীচী ও সিপিবির সমাবেশে হত্যাকান্ডসহ সকল হত্যাকান্ড। মুক্তিযুদ্ধের মানবতা বিরুদি অপরাধের বিচার চলছে।অনেকের রায় ইতিমধ্যে কায্যকর হয়েছে,কায্যকরের অপেক্ষায় আছে অনেক গুলি, বিচার চলছে আরব অনেকের।জাতির জনকের খুনীদের ফেরৎ এনে রায় কায্যকরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।দেশ বিদেশ থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যার কান্ডের তথ্য উপাত্য সংগ্রহের চেষ্টা অব্যাহত আছে।ইতিমধ্যে বহু চক্রান্তের তথ্য উৎঘাটিত হয়েছে,আরও তথ্য পাওয়া যাবে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন। জননেত্রী দেশরত্ম মহান সংসদে দাঁড়িয়ে জাতিকে ওয়াদা দিয়েছেন, সাম্প্রতিক আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারার জন্য ট্রাইবুনাল গঠন করে অপরাধীদের বিচার করবেন।সভ্য দুনিয়ায় এমন নজির কোথায় ও নেই মানুষ পুড়িয়ে, সম্পদ ধ্বংশ করে দাবী আদায় করার।বাংলাদেশে তাহাই ঘটেছে।কেন হল তা কি শেখ সেলিমদের অজানা?এই মানবতা বিরুদির বিচার না করতে পারলে আগামী দিনের আন্দোলনের উদাহরন হয়ে সবাই এহেন কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার আশংকা থেকে যাবে।বিশ্বের নিকট আমরা পরিচিত হব হিংসুক, বর্বর,মধ্যযুগীয় ভাবধারার জাতি হিসেবে।ষড় যন্ত্র কারীরা চাইবে দেশকে পিছনে নিয়ে যেতে,তাঁদের সাথে তাল মিলিয়ে যারা কথা বলবে তাঁরা আওয়ামী লীগার হতে পারে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী নয়। বহু রক্তের বিনিময়ে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর,বহু অপেক্ষার পর,কষ্টিপাথরের উপর ঘশে পরিক্ষা নিরিক্ষার পর, এই জোট গঠিত হয়েছে।উদ্দেশ্য দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে আনা,দেশকে স্বাবলম্বি করে বংগবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রুপান্তর,সকল হত্যাকান্ডের বিচার প্রক্রিয়া সমাপ্ত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা,ধীরে ধীরে দেশকে প্রগতির ধারায় নিয়ে আসা,সত্যিকারের গনতান্ত্রিক শাষন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ কে সামনে রেখে।এক দুই জন শেখ সেলিমের বিতর্কে জোটের কোন ক্ষতি হবে আমি মনে করি না।তারপর ও বলবো বিষয়টি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ভাল ভাবেই দেখবেন। আমি আর একটু স্মরন করিয়ে দিতে চাই,জাতির জনকের অনেক ভাষনের মধ্যে একটি ভাষনের অংশিক।সময়টা ১৯৭২ ইং সালের,রাজশাহীতে দেয়া --- আমার ভায়েরা ও বোনেরা, আজ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, কিন্তু বড় ত্যাগের বিনিময়ে। এত রক্ত কোন দেশের জন্য কোনদিন কোন জাতি দেয়নি, যা আজ আমার বাংলার মানুষকে দিতে হয়েছে। আজ ঘরে ঘরে, গ্রামে গ্রামে মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাচ্ছে। জালেমরা রাস্তাঘাট ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। চালের গুদাম ধ্বংস করে দিয়েছে। আমার সরকারি কর্মচারীদের, আমার পুলিশ ভাইদের, বিডিআর, সামরিক বাহিনীর ছেলেদের গুলি করে হত্যা করেছে। হত্যা করেছে আমার ছাত্র, আমার যুবক, আমার কৃষক, আমার বুদ্ধিজীবী, আমার সাংবাদিকদের। আমি জানতাম না যে, আপনাদের কাছে আমি ফিরে আসব। আমাকে ২৫ তারিখে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানে। আমি মরে গেলেও আমার দুঃখ হতো না, কেননা আমার বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রাম করে স্বাধীন হয়েছে। বিশ্বাস করুন, আমি জানতাম না যে, ...... জীবনে কোন দিন আর এই সোনার দেশে সোনার বাংলায় আমি ফিরে আসতে পারব। আপনারা দোয়া করেছেন,. রক্ত দিয়েছন সশস্ত্রবাহিনীর সঙ্গে সংগ্রাম করেছেন,.আমি পশ্চিম পাকিস্তানের জেল থেকে মুক্ত হয়ে মাত্র ৪ মাস পূর্বে বাংলার মাটিতে এসেছি। এসে কি দেখলাম!!!! চারিদিকে হাহাকার, গৃহহারা, সর্বহারার আর্তনাদ,.লাখ লাখ লোক বেকার., আমার মা-বোন কাঁদছে। হত্যা করা হয়েছে কারো স্বামীকে, কারো ছেলেকে, জ্বালিয়ে দিয়েছে তার ঘর, ধ্বংস করে দিয়েছে বাজার, গ্রামকে গ্রাম। রেল লাইন উড়িয়ে দিয়েছে স্টিমার ভেঙে দিয়েছে, অর্থ লুট করে নিয়ে গেছে। লুট করেছে বৈদেশিক মুদ্রা। কিছু রেখে যায়নি, ভস্মীভূত একটা দেশ ছাড়া। আপনারা আমাকে ভালোবাসেন- আমি আপনাদের ভালোবাসি। আমি যাবার বেলায় বলেছিলাম, আমি যদি মরে যাই, আমি যে ডাক দিয়ে যাব- আমার বাংলার মানুষ অক্ষরে অক্ষরে তা পালন করবে। আপনারা তা করেছেন। আপনারা বিনা অস্ত্রে জালেমদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন,কিন্তু তারা ধ্বংস করে দিয়েছে আমার সব কিছু। ইনশাল্লাহ সোনার বাংলা একদিন হাসবে.,মানুষ একদিন পেট ভরে ভাত খাবে, বাংলার মানুষ আবার সুখী হবে। শোষণ বাংলাদেশে থাকবে না।' এই ভাষনটির মধ্য আমার ছাড়া একটা লাইন কি আছে।বাঙ্গালি জাতির প্রতি কতবেশি ভাল বাসার মমত্ববোধ থাকলে এমন একটি ভাষন দিতে পারে?সেই ভালবাসার প্রতিদানে জাতি কি দিয়েছে এই মহাপুরুষটিকে?তাঁর কন্যা কি এক চুল পরিমান আদর্শচ্যুত এই পয্যন্ত হয়েছেন?অক্ষরে অক্ষরে প্রতিটি বাক্য প্রতিপালনের প্রচেষ্টা কি অব্যাহত রাখেননি?তার পরও কেন এই মহুর্তে বিতর্কের ঝড় তোলার চেষ্টা? জাতির জনকের প্রতি কথা শতভাগ সত্যে পরিনত হবে কেউ কি চিন্তায় রেখেছিল?প্রত্যেক নাগরীক আজ ভাত খাচ্ছে,দেশ এগিয়ে যাচ্ছে,,জাতি নিচ্ছে মুক্ত বাতাসে বুক ভরা নিশ্বাস।ধীরে হলেও জাতির জনকের কন্যা সতর্কতার সংগে এগিয়ে যাচ্ছেন মুল লক্ষের অভিমুখে।প্রত্যহ হচ্ছে ষড়যন্ত্র,দেশে বিদেশে এমনতর কোন সময় নেই কোন না কোন ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে না।তারপরেও যদি অন্দর মহল থেকে ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যায় তখন বলতেই হয় এই হতভাগ্য জাতির কপালে আর অনেক দু:খ্য হয়ত লিখা আছে।যদি তাই না হয় কেন সৃষ্টি হবে চাটার দল,কেন সৃষ্টি হবে মাস্তান,কেন সৃষ্টি হবে ষড়যন্ত্র কারী দলের অভ্যন্তরে। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা

ছবি

জিয়া পরিবারের বিচার সাংবিধানীক বাধ্যবাধকতা। ================== অবৈধ ভাবে বসবাস করে তারেক বালাদেশের ভাবমুতি নষ্ট করেছেন।একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের পুত্র পরবর্তিতে সাবেক প্রধান মন্ত্রির পূত্র হিসাবে বিদেশে অবৈধ ভাবে বসবাস করা কতটুকু যুক্তিপুর্ন হয়েছে তা দেশের বিবেক বান মানুষের নিকট বিরাট প্রশ্ন হিসাবে দেখা দিয়েছে।এর আগে ১ /১১ এর সময় সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ২য় ছেলে মরহুম কোকো বাংলাদেশ সরকারকে কর দিয়ে কাল টাকা সাদা করেছেন।একজন প্রধান মন্ত্রী এবং তার পরিবার দেশের ক্ষমতায় থাকা অবস্হায় এত বিশাল অংকের কাল টাকার মালিক কিভাবে হলেন দেশ বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি দারুন ভাবে প্রশ্ন বিদ্ধ হয়। একটা পরিবারের জন্য বাঙলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনগন বার বার লজ্জায় মাথা হেট করে বিদেশীদের চোর আখ্যা শুনতে হবে ইহা কি করে সম্ভব। শীষ রাজনীতিবিদ বা কোন দলের শীর্ষনেতা যদি নীতিহীন-দুনীতিগ্রস্ত হয়, সেই দলের অপরাপর নেতারাও দুনীতি পরায়ন হওয়া স্বাভাবিক।শীর্ষনেতারা দুনীতি করে বা অনৈতিক ভাবে টাকা রোজগারে লিপ্ত থাকে, এইধরনের নেতা খুজে নিতে সময়ের প্রয়োজন হতেপারে কিন্তু কোন দুনীতিতে লিপ্ত নেই, এই প্রকৃতির নেতা খুজে নিতে সময়ক্ষেপনের প্রয়োঞ্জন হয় না।অনেকের নিকট কথাটার সত্যতা নাও থাকতে পারে,তাদেরকে গভীরভাবে চিন্তা করার অনুরোধ করবো। আমাদের দেশের প্রত্যেক নাগরিকের চিন্তা চেতনায় গভির ভাবে প্রোথিত যে, নেতাই দুনীতিবাজ।এমন ধারনা,নেতা হয় শুধু দুনীতি করে টাকা রোজগারের জন্য।নাগরিকদের মনে এই ধারনাবদ্ধমুল হওয়ার পিছনেও অকাট্য যুক্তি বিদ্যমান আছে।তবে সর্বাংশে তদ্রুপ নয়,তাহা একটু গভীর মনোযোগে চিন্তায় নিলে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যেতে পারে।সারা বিশ্বের দেশ সমুহ শাষন করে কোন না কোন ভাবে রাজনীতিবিদরাই।আবহমান কাল থেকেই নিয়মটি প্রত্যেক দেশেই কমবেশি ক্ষনকালের বিরতিতে হলেও পালিত হয়ে আসছে।কোন দেশের শীষ নেতা দুনিতি করেছে বলতে পারবেন?যে দেশেই যে শীষ নেতা দুনীতিতে জড়িয়েছেন, তার দল বা তার পরিবার রাজনীতি থেকে ছিটকে ইতিহাসের অতলগব্বরে হারিয়ে গেছেন।ফিলিফাইনের মাকোস পরিবার প্রমানিত দুনীতিবাজ হওয়ার পর ফিলি ফাইনের রাজনীতি থেকে ঐ পরিবার হারিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।তবে তৃতীয় বিশ্বের নেতাদের মধ্যে দুনীতির কিছুটা উদাহরন থাকলেও উন্নত বিশ্বে ছিটে ফোঁটাও মেলানো দুষ্কর বলা যায়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সনের ওয়াটার গেট কেলেংকারি? অর্থসংক্রান্ত কোন বিষয় নয়।রাজনীতির শীর্ষ পয্যায়ে থেকে ভোগ বিলাশের নিমিত্তে অনৈতিক টাকা আহরনের বিষয়ই আমার প্রতিপাদ্যয়। প্রায় দেশের রাষ্ট্র নায়কদের বহু ধরনের কেলেংকারি পাওয়া যেতে পারে, অথনৈতিক বিষয়ক কেলেংকারি খুজে বের করা কষ্টসাধ্য,"আমার আলোচ্য বিষয়।" রাষ্ট্র পরিচালক সে যে দেশেরেই হোক, অর্থবিষয়ক কেলেংকারিতে জড়িত আছে প্রমানিত হলেই,তারপরিবারের জন্য রাজনীতির কবর হয়ে যায়,রাজনৈতিক অংগন থেকে বিদায় নিতে হয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে উক্ত নিয়মের ব্যতিক্রম হবে আশা করা যায়না।দীঘ নয় বছর দেশ শাষন করার পর,জাতীয়পাটি চেয়ারম্যান জনাব এরশাদ দুনীতির কারনে গনআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা চ্যুতির ২৫বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর ও রাজনীতিতে ভাল অবস্থানে পৌছাতে পারেন নাই।দিন যতই গড়াচ্ছে ততই তার দল বা তিনি নিজেও অন্য দল বা ব্যক্তির উপর নিভর হয়ে রাজনৈতিক ময়দানে উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন।দিনে দিনে দল ছোট হয়ে বিলিন হুওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।রাজনীতিতে বারংবার ভুলের কারনেও একসময়ের গনমুখী জনগন নির্ভর দল রাজনৈতিক ময়দান থেকে জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার উদাহরন এই উপ মহাদেশেই বিদ্যমান আছে। পাকিস্তান রাষ্টের স্বাধিনতায় নেতৃত্ব দানকারি দল মুসলিম লীগ, মহান মুক্তি যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ময়দান থেকে অনেক আগেই বিলিন হয়ে গেছে,ইহা কিন্তু বেশিদিন আগের কথা নহে। আমদের সকলেরই জানা আছে,মেজর জিয়া কতৃক প্রতিষ্ঠিত বি,এন,পি যে ভাবেই ক্ষমতায় আসুকনা কেন,কয়েক বারই বাংলাদেশের সরকার পরিচালনা করেছেন।ভাল করেছেন মন্দ করেছেন আমি সে দিকে আলোকপাত করবো না। জিয়া পরিবার ২০০৬সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর, খালেদা জিয়া এবং তার সন্তান তারেক জিয়া ও কোকো সরকারকে যথা রীতি টেক্স প্রদান করে কালোটাকা সাদা করেছেন। এটা প্রমানিত চিরন্তন সত্য। যে পরিবারের বাংলাদেশ কয়েকবার শাষন করার সৌভাগ্য হয়েছে, একটা বৃহৎ দলের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন দুই যুগেরও অধিক সময়। সেই দলের প্রধান বা তার পরিবার কাল টাকা সাদা করতে পারে ইহা সপ্তমআচায্য থেকেও আরও বিষ্ময় সৃষ্টিকারি ঘটনা।পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজির আছে কিনা আমার জানা নাই। এখানে বিষয়টা অনেকেরই জানার বাহিরে রয়ে গেছে বা সঠিকভাবে অনেকেই বুঝতে পারেন নাই,আসলে কাল টাকা কি? আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে যতটুকু বুঝি,কাল টাকা হচ্ছে"আয় বহিভুত টাকা"।"অর্থাৎ নিদিষ্ট বা ঘোশিত সম্পদ থেকে বছরান্তে যে আয় আসার কথা তার চাইতে বেশী টাকা যদি কারো নিয়ন্ত্রনে বা হেফাযতে থাকে তাকেই কালো টাকা হিসাবে অভিহিত করা হয়।"" এখন প্রশ্ন হল জিয়া পরিবারের নিকট কাল টাকা জমা হওয়ার উৎস কোথায় থেকে এল? কি ভাবে এত কাল টাকার মালিক হলেন?কি করে সম্ভব হল?একটা দেশের প্রধান এবং পরিবারের সকল সদস্য কালটাকা আহরনের রাস্তাই বা কি করে পেলেন?কোন রকমেই বিশ্বাস করার কারন হত না,"যদি তারা নিজেরাই উদ্যোগি হয়ে সরকারি কোষাগারে নিদিষ্ট পরিমান কর পরিশোধ করে,কালটাকা সাদা না করতেন"।এরশাদের বিরোদ্ধে দুনীতির ব্যাপক অভিযোগ ছিল।এখনও তিনি অভিযোগ মানুষের মন থেকে দুরিভুত করতে পারেন নাই।তার ক্ষেত্রেও কাল টাকা সাদা করার প্রমান আমার মনে হয় নাই।খালেদার পরিবারের ক্ষেত্রে তারা নিজেরাই প্রমান করে দিল।উন্নত বিশ্বের কোন দেশ যদি হত,তাহলে কত বছর জেলে থাকতে হত তার কোন হিসাব করা যেতনা।জিয়া পরিবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবার ফিরে আসতে পারবে কস্মিন কালেও বিশ্বাস করার কোন কারন নাই। জনস্বার্থে জিয়া চ্যারিটেবল ফান্ড গঠন করেছেন,ইহা প্রসংশার দাবী রাখে নিসন্দেহে।নিসন্দেহে ইহা জনগনের সম্পদ।স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে সেই ফান্ড থেকে টাকা উত্তলন করে নীজের ভোগ বিলাসের জন্য খরছ করার অধিকার চ্যারিটেবল ফান্ড গঠন কারীর কি আছে?বর্তমানে তদ্রুপ মামলায় যদি শাস্তি হয়, খালেদা জিয়া জেলে যেতে হয় তাঁর দায় কি বাংলাদেশ সরকারের?মামলায় যথারীতি হাজিরা না দেয়া অনৈতিকতার মধ্যে পড়ে না?এই ব্যাপারে আমাদের সংবিধান কি বলে দেখা যাক---। (অধিকার ও কর্তব্য-রূপে কর্ম) সংবিধান থেকে-- ২০৷ (১) কর্ম হইতেছে কর্মক্ষম প্রত্যেক নাগরিকের পক্ষে অধিকার, কর্তব্য ও সম্মানের বিষয়, এবং “প্রত্যেকের নিকট হইতে যোগ্যতানুসারে ও প্রত্যেককে কর্মানুযায়ী”-এই নীতির ভিত্তিতে প্রত্যেকে স্বীয় কর্মের জন্য পারিশ্রমিক লাভ করিবেন৷ (২) রাষ্ট্র এমন অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করিবেন, যেখানে সাধারণ নীতি হিসাবে কোন ব্যক্তি অনুপার্জিত আয় ভোগ করিতে সমর্থ হইবেন না এবং যেখানে বুদ্ধিবৃত্তিমূলক ও কায়িক-সকল প্রকার শ্র্রম সৃষ্টিধর্মী প্রয়াসের ও মানবিক ব্যক্তিত্বের পূর্ণতর অভিব্যক্তিতে পরিণত হইবে৷ নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য ২১৷ (১) সংবিধান ও আইন মান্য করা, শৃঙ্খলা রক্ষা করা, নাগরিক দায়িত্ব পালন করা এবং জাতীয় সম্পত্তি রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য৷ (২) সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য৷ (২০)১এ কর্মকে সম্মানের আসনে স্থান দেয়ার কথা বলা আছে।কর্মের জন্য নির্দিষ্ট বেতন ভাতার পাওয়ার অধিকারের কথা বলা আছে। (২০) ২ এ পরিষ্কার বলা আছে অনৈতিক উপার্জন কোন অবস্থায় ব্যক্তি ভোগ করিতে পারিবেন না। (২১) ১এ কি লিখা আছে সবাই আমরা দেখতেই পাচ্ছি।জিয়া চ্যারিটেবল বা জিয়া অর্ফানেজ বাংলাদেশ সরকারের দুটি সেবা ধর্মি প্রতিষ্ঠান।অনৈতিক ভাবে বা যথেচ্ছভাবে দুটি প্রিতিষ্ঠানকে পরিচালনা করা বা অর্থ আত্মসাৎ করা আইনের দৃষ্টিতে বা বাংলাদেশের সংবিধানের দৃষ্টিতে বেয়াঈনী।সুতারাং জিয়া পরিবার পরতিষ্ঠানদ্বয় এর প্রতিষ্ঠাতা হলেও তা যথেচ্ছভাবে পরিচালনা করতে পারেননা। উল্লেখীত মামলায় যদি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বেগম জিয়া ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ হারান, তাঁর দায় আওয়ামী লীগকে কেন নিতে হবে? সংবিধানের প্রস্তাবনায় পরিষ্কার ভাবেই উল্লেখ আছে, প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক নাগরীক আইনের দৃষ্টিতে সমান।খালেদা জিয়া কি বাংলাদেশের বিশেষ নাগরীক?বিশেষ নাগরীকের কোন সংজ্ঞা কি সংবিধানে আছে? যদি তদ্রুপ না হয় তবে খালেদা জিয়াকে বারংবার মামলা তারিখ পেছানোর সুযোগ দিয়ে আদালত কি সংবিধানের সমান সুযোগের প্রস্তাবনার ধারাকে উপেক্ষা করছে না? তারেক জিয়াকে বৃটেন বিভিন্ন নিষেদাজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশকে কি অপমানিত করছেন না।একব্যাক্তির জন্য বাংলাদেশ বিদেশী কোন রাষ্ট্রের নিকট হেয় প্রতিপন্ন হতে হবে ইহার কি কোন বিহিত রাষ্ট্রের করার নেই?রাষ্ট্র কেন এতগুলী মামলার আসামী হওয়ার পর ও তাঁকে বিদেশের মাটিতে অবস্থানের সুযোগ দিচ্ছে,নাগরীকদের কি ইহা জানার অধিকার নেই?কেন তারেক জিয়াকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে না? ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা মানবতা বিরুধি অপরাধের সাথে জড়িত ছিল,দীর্ঘ বছর পর হলেও জাতী তাঁদেরকে বিচারের আওতায় এনেছে।বি,ডি,আর বিদ্রোহের মানবতা বিরুধীদের বিচার ও হচ্ছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারার জন্য কি মানবতা বিরুধি অপরাধ হয়নি?মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বিশেষ ট্রাইবুনাল করে বিচারের ব্ব্যবস্থা করবেন বলেছিলেন,সেই ট্রাইবুনাল কবে নাগাদ হবে জাতি কি তা জানতে পারবেনা? কেন বিলম্ব করা হচ্ছে জাতি তাও জানতে চায়। একটা পরিবার বিদেশে পালিয়ে থাকা অবস্থায় ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে, ক্ষমতায় থেকে বিশাল কাল টাকার মালিক হবে,দিনের পর দিন মামলায় হাজিরা না দিয়ে আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাবে,আন্দোলনের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করবে,মানুষ কে আগুন দিয়ে জ্যান্ত মেরে পেলবে,তারপর ও রাষ্ট্র তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিবে না, ইহা কি সংবিধানের সুস্পষ্ট লংঙ্গন নহে? ( "" আমরা আরও অঙ্গীকার করিতেছি যে, আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে;"") সংবিধানের প্রস্তাবনায় রাষ্ট্রের অঙ্গিকারের উল্লেখীত ধারাটি বেগম জিয়ার পরিবারের ক্ষেত্রে কি কায্যকর হচ্ছে? " জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা"

ছবি

বিশ্ব রাজনীতির জাদুকর জাতির জনক বঙ্গব্বন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।===<=========================১৯৭২ ইং ১০ই জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্হানের কারাগার থেকে মুক্তিপেয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন।সাম্রাজ্যবাদি এবং তাঁদের এদেশীয় দোষর চক্র প্রমাদ গুনলেন। মুক্তি দেয়ার আগে জনাব ভূট্রু বিভিন্ন ভাবে বঙ্গবন্ধুর সাথে এবং তাদের এদেশীয় দালালদের সাথে কমপক্ষে একটা কনফেডারেশন গঠন করার যে চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন।জেল গেটে মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রস্তাব নিয়ে গেলে বঙ্গবন্ধু তাঁর সাথে দেখাও করেননি।পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে বিদায়লগ্নে সাংবাদিকদের এহেন এক প্রশ্নের জবাবে পরিস্কার ভাবে বলে দিলেন,আমার বাঙ্গালী ভাইদের সাথে আলোচনা করা ছাড়া এই মুহুর্তে কোন মন্তব্য আমি করতে পারি না।তাঁর আগে ইয়াহিয়া বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে ৬দফার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধকে নমনীয় করতে না পেরে সাজানো বিচারের নাটক মঞ্চস্থ করে ফাঁসির আদেশ দিলেন।সেনাবাহিনীর বদৌলতে ভুট্রু ক্ষমতায় আসার আগে ইয়াহিয়া সেই ফাঁসীর আদেশে শেষ অনুমোদনের সই করে দিতে পেরেছিলেন ফাসি দেয়ার সময় পাননি।এবার তারা নতুন ভাবে চক কষতে থাকে। কি করে জাতীর জনকের ভাব মূর্তি ক্ষুন্ন করে দেশে অরাজগতা সৃষ্টি করা যায়। যেমন ভাবনা তেমন করে শুরু হল নতুন আঙ্গিকে ষড়যন্ত্র। যুগে যুগে পরাধিন থাকা জাতি কি করে স্বাধীনতার স্বাদ বা মর্ম বুঝবে।হাজার বছর বিভিন্ন জাতি গুষ্টির শাসন শোষনে আমাদের অস্থি মজ্জাতো আগেই বিজাতীয় ভাব ধারায় পরিপুষ্ট হয়ে আছে। লোকবল সৃষ্টি করতে তাদের আর দেরী কেন। বঙ্গ বন্ধুর স্নেহভাজন চার খলিফার মধ্য হতে দুই খলিফা , বঙ্গবন্ধুর যাদের পুত্রের মত স্নেহ করতেন,মুক্তি যুদ্ধের অন্যতম সিপাহশালার এম,এ জলিল সহ আরও কতেক মুক্তি যোদ্ধাকে তারা বঙ্গবন্ধু থেকে আলাদা করতে সক্ষম হলেন।বৈজ্ঞানীক সমাজতন্ত্রের স্লোগান দিয়ে তারা আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠন করেন।"(এখানে একটা কথা বলে রাখি, সমাজ তন্ত্রের দর্শনতো বিজ্ঞান ভিত্তিক--আবার বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কি? লাল পতাকাকে লাল পতাকা দিয়ে ঠেকানোর কৌশল)"শুরুতে গুটি কয়েক হলে কি হবে,অচিরে দলটি বিপ্লবী স্লোগানের কারনে, তরুনদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়। দেশের বৃহৎ একটা যুবক শ্রেনী আ,স,ম রব ও শাহাজাহান সিরাজের(দাদা ভাই) কারনে নতুন দলে ভিড়ে যায়। সাম্রাজ্যবাদী চক্র তাদের দাবার গুটি চালাতে আর দেরী করেনি। তাদের পুরাতন বন্ধু রাজাকার, আলবদর,আলশামস্, মুসলিম লীগের ঝানু নেতা,তল্পিবাহক বুদ্ধি বেশ্যাদের কৌশলে নতুন দলের সাথে একিভুত করে দিতে সক্ষম হয়। অচিরেই নতুন জম্ম নেয়া দলটি মহিরুহ আকার ধারন করে। নতুন দলের নতুন নেতা তো খুশিতে আটখানা। এই বুঝি সরকারের পতন ঘটিয়ে নিজেরাই সরকার গঠন করছে। বয়সের কারনে হোক বা রাজনৈতীক অনবিজ্ঞতার কারনে হোক, বুঝতেই পারেনি দেশ ও জনগনের তারা কতবড় ক্ষতি করছে। মুল নেতৃত্ব সবাই মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তি যোদ্ধের চেতনা ধারনকারি মনেপ্রানে।এতে কোন সন্দেহ নাই।মূল সাম্রাজ্যবাদের এজেন্ট মেজর জলিল।সাম্রাজ্যবাদী চক্র এবং পরাজিত শত্রুদের রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন নেই।জাসদ ক্ষমতায় যাক তারও প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন জাতির জনকের ভাবমূর্তি দেশে বিদেশে ক্ষুন্ন করে, দেশে অরাজক পরিস্হিতি তৈরী করে ,তাদের বিশ্বস্হ মীর জাপরদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে, বাংলাদেশকে তাঁদের তাবেদার রাষ্ট্রে পরিনত করা। রব জলিলদের ক্ষমতায় বসানো নয়। তাঁদের চক অনুযায়ী জাসদ রাজনৈতীক শক্তি হিসাবে মাঠে থেকে তাদের পরিকল্পিত কর্মসূচি পালন করবে।বিচ্ছিন্নতা বাদীরা দেশব্যাপি এলাকা ভিত্তিক জনপ্রিয় দেশপ্রেমিক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী নেতাদের, শ্রনী শত্রু খতমের নামে হত্যা করবে।এই দায়িত্ব গ্রহন করে সিরাজ শিকদার,তোহা,আবদুল হক নিশিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা দলের নেতৃবৃন্দ এবং জাসদের নতুন সৃষ্ট গনবাহিনী।রাজাকার, আলবদর বাহীনি সারা দেশে লুটতরাজ,পাটের গুদামে আগুন,নাশকতা,ডাকাতি ইত্যাদি অপকর্ম করে জনজীবন অতিষ্ট করবে, জাসদ হঠকারী রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে বংগবন্ধুকে কঠোর প্রসাশনিক সিন্ধান্ত নিতে বাধ্য করবে। সেনা বাহিনির একটা ক্ষুদ্র অংশ সুযোগ বুঝে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করবে। পরিকল্পনা অনুযায়ি কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। জাসদ সমাজতন্ত্র কায়েমের জন্য। গনবাহিনী গঠন করে হাতে অস্র তুলে দিল।রাজাকারেরা লুটপাট শুরু করে দিল,বুদ্ধি বেশ্যারা অপপ্রচার শুরু করে দিল,।আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে থাকা মীর জাফরেরা খমতায় বসার জন্য ষডযন্ত্র অব্যাহত রাখলো। সেনাবাহিনী সকল শৃংখলা বঙ্গ করে ষডযন্ত্রে লিপ্ত হলো।সেনাবাহিনীর প্রধান সফি উল্লা এবং ডেপুটি চীপ মেজর জিয়া সব দেখেও না দেখার অভিনয় করে চলেছেন।বিশ্ব রাজনীতির জাদুকর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সাম্রাজ্যবাদী কুচক্রের রাজনৈতীক অভিলাস বুঝতে সামান্যতম বেগ পেতে হয়নি। তিনি যেমনি ভাবে যুদ্ধ বিধস্হ দেশকে পুর্নগঠনের জন্য দেশের শাসন ভার হাতে নিয়েই সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়ে কৃষি প্রধান দেশকে স্বনির্ভর করার প্রয়াস নিয়েছিলেন তেমনি ভাবে দেশ বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে চিরতরে নির্মুল করার মানষে এবার দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিলেন। এতে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র কারিরা প্রমাদ গুনলেন।তারা বুঝতে দেরী করেন নাই বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়ে কি সংকেত দিতে চেয়েছেন। জাতীর জনক বুঝতে পেরেছিলেন স্বাধিনতা বিরোধী শক্তিকে শুধু রাজনৈতিক ভাবে বা নৈতিক ভাবে পরাজিত করলেই হবেনা, এদের চিরতরে নিচ্ছিন্ন না করলে যখনি তাঁরা সুযোগ পাবে বিষধর সর্পের ন্যায় ফনাতুলে দাঁড়াবে। তারা বাংলাদেশকে মেনে নেয়নি,ভবিষ্যতেও নিবে না। পদে পদে বাংলাদেশেকে বিপদের সম্মুখিন করছে ভবিষ্যতে ও করতে থাকবে। এদের ছোবল থেকে রক্ষা করতে না পারলে বাংলা দেশের অস্হিত্বই তাঁরা বিলীন করে দেবে।জাতীর জনক দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়ে বসে রইলেন না। তিনি প্রথমেই জাতীয় ঐক্যের দিকে মনোযোগ দিলেন। দেশের সকল শ্রেনীর কৃষক,মজুর,পেশাজীবি, সাংবাদিক,শ্রমিক কুলি সকল শ্রেনীপেশার মানুষকে এক কাতারে আনার জন্য একটা জাতীয় প্লাটফমের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেন।যেই ভাবা সেই কাজ।তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পোষিত আকাঙ্ক্ষা বাঙ্গলী জাতীর অর্থনৈতিক মুক্তি সনদ মৌলিক গনতান্ত্রিক সমাজ তন্ত্রের দর্শন।পশ্চিমা শোষনের গনতন্ত্র নয় আবার সৌভিয়েত ইউনিয়নের সমাজ তান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নয়।পরিপক্ষ রাজনীতিবিদের পোষন করা একান্ত নিজস্ব মতবাদ।তিনি জানতেন সংখ্যা গরীষ্ট মুসলিম অধ্যুষিত দেশে ইসলামের আলোকে দেশ শাষনের নীতি না হলে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।তাই তিনি খোলাফায়ে রাশেদীনের সময়কার নির্বাচনী রীতিকে সামান্য পরিবর্তন করে "বৈঠকের স্থলে ব্যালটের" মাধ্যমে নির্বাচনের বিধান গ্রহন করেন।তৎকালীন অব্জারভার পত্রিকা তাঁর এই নতুন নীতির নাম দিলেন (বাকশাল) বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ। সব রাজনৈতিক দল শ্রমজীবি পেশাজীবি ব্যক্তি ও সংগঠনকে নিয়ে গঠন করলেন ""বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ নামক জাতীয় দল সংক্ষেপে বাকশাল""। উদ্দেশ্য(১)স্বাধীনতা বিরুধী রাজাকার আলবদরের রাজনৈতিক উত্থানের উৎসমুখ চিরতরে বন্ধ করে সমাজ থেকে নিচ্ছিন্ন করা। মুক্তি যুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ দেশ গঠনে ভবিষ্যত প্রজম্মের পথ মসৃন করা(২)সাম্রাজ্য বাদের কালো হাতকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে শোষন মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকারের পথে বাঁধা অপসারন(৩) সকল ধর্মের জন্য সমান সুযোগ দিয়ে স্ব স্ব ধর্ম পালনের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা।(৪) ব্যক্তি মালিকানার বড় বড় শিল্প কারখানা, ব্যাংক, বীমা, জাতীয়করন করে জনগনের সম্পত্তিতে রুপান্তরীত করা। জনগনের মালিকানার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা(৫) রাজনীতিকে এলিট শ্রেনীর কবল থেকে মুক্ত করে স্ব-স্ব শ্রেনী ও পেশা ভিত্তিক প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে সকল জনগোষ্টিকে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতার অংশিদারিত্ব প্রদান করে প্রভুত্ব বাদী রাজনীতির চির অবসান করা। (৬)তৃনমুল পয্যায় প্রশাসনিক বিকন্দ্রিকরনের মাধ্যমে সম্পদের সুসম বন্টন নিচ্ছিত কল্পে প্রতিটি জেলায় নির্বাচিত জেলা গভর্নর প্রথা চালু করা।প্রশাসনকে জনগনের দৌড়্গোড়ায় নিয়ে এসে, সকল সরকারি সেবা, উন্নয়ন নিচ্ছিত করা।(৭)দেশের সকল কল কারখানা সেতু ব্রিজ রাস্তা ঘাট পুনগঠন পূননির্মান,নির্মান ওমেরামত করে অথনৈতিক চাকা সচল করা। স্বল্প সময়ে স্বাবলম্বি অর্থনীতি অর্জন। (৮) আটক যুদ্ধ অপরাধিদের বিচার কাজ বাধাহীন করে, পলাতক যুদ্ধ অপরাধিদের খুজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা।(৯) ভোগ নয় ত্যাগের মহিমায় জাতিকে উৎবুদ্ধ করে আত্ম নির্ভর শীল বাংলা দেশ গঠন। (১০)জমির মালিকানা স্ব-স্ব মালিকের নিকট রেখে সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদের ব্যাবস্থা করা,উদ্দেশ্য সমাজের প্রত্যেক কর্মক্ষম মানুষকে উৎপাদনে শরিক করে দেশের অর্থনীতিকে দ্রুত এগিয়ে নেয়া। তিনি তাঁর একাদিক বক্তৃতা বিবৃতিতে "বাকশাল একটি সাময়িক ব্যবস্থা"বলে উল্লেখ করেছেন।সংবিধানের আলোকে সবাই মিলে দেশ শাষনের নীতি জাতীয় দল বাকশাল।তিনি একাদিক বার বলেছেন,আর নয় দলবাজি,এবার সবাই মিলে দেশ গড়ার পালা।দেশের উন্নতি হলে সবাই রাজনীতি করার সুযোগ থাকবে। দলে দলে বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ বাকশালে যোগ দেয়ার জন্য হুমড়িখেয়ে ফুলের তোড়া নিয়ে ৩২নম্বরে লাইন ধরে যোগ দিয়ে এলেন।নাটের গুরু জিয়া চিঠি দিয়ে আমলাদের বাকশালে যোগ দেয়ার আহব্বান জানালেন।তিনি নিজেও যোগ দিয়েছেন চিঠিতে উল্লেখ করলেন। বাংলার এই অবিসংবাদিত নেতাকে হত্যা করে ঘাতকেরা বাংলার মাটি থেকে তাঁর নাম-নিশানা, আদর্শ মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ঘাতকের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। বাংলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত জাতির পিতা আজ জীবন্ত। প্রতিটি বাঙালির হূদয়ে তিনি বেঁচে আছেন, থাকবেন। তিনি সার্বজনীন। তিনি অমর। তিনি আমাদের জাতির জনক।জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘সাত কোটি বাঙালিকে দাবায়ে রাখতে পারবা না।’ আসলেই বাঙালিকে দাবায়ে রাখা যায়নি, আর দাবায়ে রাখা যাবেও না। পদে পদে সে চেষ্টা করা হয়েছে, তবে বাংলার শত্রুদের জেনে রাখা প্রয়োজন আমাদেরকে দাবায়ে রাখার দিন শেষ। আমরা এখন অনেক পথ পাড়ি দিয়ে একটি অগ্রসরমান জাতিতে পরিণত হয়েছি। জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে তাঁরই কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা তরুণ প্রজন্ম একদিন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হব ইনশাল্লাহ। "" জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা"

ছবি

' জাতির জনক সার্বজনীন,কোন একক দলের নয় ======================>> অনেক সুশিল বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামের মহত্ব নিয়ে সমালোচনার খই ফুটিয়ে দেন ইলেক্ট্রিক মিডিয়া গুলিতে।তখন ইলেক্ট্রিক মিডিয়া ছিল না,যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না।সীমিত পরিসরে বনঙ্গবন্ধু একটা জাতিকে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার দ্ধারপ্রান্তে নিয়ে গেলেন,এখনকার সুশিলগন এত সুযোগ থাকার পর ও দশ জন মানুষের সমর্থন কেন যোগাড় করতে পারেননা?,৭০ এর নির্বাচনে অংশ নেয়ার যে সিদ্ধান্ত সেই দিন বঙ্গবন্ধু নিয়েছিলেন, সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার মত সুদুরপ্রসারী চিন্তাভাবনা করার মত নেতাও তখন মুলত ছিল না।বঙ্গবন্ধু দেশ এবং জাতিকে নিয়ে যে ভাবে চিন্তা করতেন, আজ পয্যন্ত উদাহরন থাকার পর ও,একজন ও কি সেই রীতির চিন্তা চেতনার আশেপাশে যেতে পেরেছেন? ১৯৬৯ সালের মার্চে গণআন্দোলনের মুখে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের পদত্যাগ কিংবা আসলে পাক সামরিক জান্তা কর্তৃক তাঁর অপসারিত হওয়ার পর জেনারেল ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা হাতে নিয়েই দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন। বলা হয় সার্বজনীন বয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত দেশের উভয় অংশের জনপ্রতিনিধিরা দেশের ভবিষ্যৎ সংবিধান প্রণয়ন করবেন। তবে নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া লিগাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার (এলএফও) বা আইনগত কাঠামো আদেশ নামে একটি আদেশও জারি করেন। সেই আদেশ জারির মাধ্যমে কার্যত সংবিধান প্রণয়নের ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়। বলা হয়, জনপ্রতিনিধিদের প্রণীত সেই সংবিধানে যেমন ইসলাম তেমনি পাকিস্তানের ঐক্য বা সংহতির পরিপন্থী কিছু থাকতে পারবে না। আর প্রেসিডেন্ট অনুমোদন পাওয়ার পরই কেবল সে সংবিধান কার্যকর হবে। তারপরই ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারটি ঘটবে, আগে নয়। কী পাকিস্তানের ঐক্য বা সংহতির পরিপন্থী আর কী তা নয়, সেটা কে বিচার বা নির্ধারণ করবে? বলা বাহুল্য, প্রেসিডেন্ট নিজেই। এভাবে নির্বাচনের পরও ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কর্তৃত্ব প্রেসিডেন্টের হাতেই রেখে দেওয়া হল। এলএফও-র ২৫নং ধারায় বলা হয়, জনপ্রতিনিধিদের প্রণীত সে সংবিধান যদি প্রেসিডেন্ট অনুমোদন না করেন তবে জাতীয় পরিষদ আপনা আপনি বাতিল হয়ে যাবে। সেদিন এলএফও জারির পর দুই ন্যাপসহ অনেকগুলো দলই তার সমালোচনা করেছিল। তারা এলএফও-র ওই ধারাগুলো বাতিল না করা পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে মত ব্যক্ত করেছিল। বিশেষ করে মস্কোপন্থী ন্যাপ ও ছাত্র ইউনিয়নের তরফ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্বাচনে না গিয়ে আন্দোলনে যাওয়ার জন্য নিয়ন্তর চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছিলেন।পুর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব দল এবং কি পশ্চিম পাকিস্তানের দুই একটি দল ছাড়া সবাই চাইছিলেন ইয়াহিয়া খাঁন কতৃক জারী কৃত আদেশ প্রত্যাহার ব্যতিত ইলেকশান করে কোন লাভ হবে না।বঙ্গবন্ধু এরই মাঝে আন্দোলন এবং নির্বাচনের দিকেই মতামত রাখলেন।মাওলানা ভাসানী ভোটের আগে ভাত চাই বলে মাঠেই নেমে গেলেন।সবাই সবাইকে পাকিস্তানের জনগনের মুল প্রতি নিধি হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টায় লিপ্ত।সবাই মনে করে জনগন তাঁর সাথেই আছে,কিন্তু কার আইনগত ভিত্তি নেই।কোন নির্বাচনের মাধ্যমে তখনও প্রমান হয়নি,জনগনের প্রতিনিধিত্ব কে করছে। "৬৯এর গন আন্দোলনের ফসল তখন বঙ্গবন্ধুর গোলায়,তা ঠিকই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন।কিন্তু জনগনের প্রত্যক্ষ রায়ের অভাবে একক কোন সিদ্ধান্ত দেশে বিদেশে কোথাও কায্যকর হবে না।বঙ্গবন্ধুর মুল যে উদ্দেশ্য তাতো তিনি পাকিস্তানের জম্মলগ্ন থেকেই পোষন করে আসছেন।প্রকাশ করা যাচ্ছে না রাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং জনগনের প্রত্যক্ষ রায়ের অভাবে।ক্ষমতা দিবে না পাকিস্তানীরা তাও বঙ্গবন্ধু জানতেন,ভোটে না গেলে বিশ্ব বাসি তা বিশ্বাস করবে কেন?ইয়াহিয়া যে নীতি কাঠামো ঘোষনা করেছেন এর ভিতরে থেকে নির্বাচন করেও লাভ হবে না, তাও সত্য।ভার্গিন করার একক ম্যান্ডেট কোন দলের নেই।সুতারাং ভার্গিন করবে কিভাবে?বঙ্গবন্ধু সেই দিন যদি নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়ে নির্বাচনে একক সংখ্যগরিষ্টতা না পেতেন তাহলেও কি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের মত সসস্ত্র যুদ্ধের দিক নেয়া যেত?দেশে বিদেশে কি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ন্যায়সংগত দাবী প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হত? ৭০এর নির্বাচনের আগে বনঙ্গবন্ধুকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনি চাইছেন ছয় দফার ভিত্তিতে বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে। যদি মেজরিটি সিট পেয়ে তা করতে পারেনও ইয়াহিয়া খান তা মেনে নেবে না। হয়তো জাতীয় পরিষদই বাতিল করে দেবে। তাহলে নির্বাচনে জয়লাভ করে কী লাভ হবে?’ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘লাভ আছে, আমি সমগ্র পৃথিবীকে দেখাতে পারব বাংলার মানুষ কী চায়। আজ দেশে অনেক দল, অনেক নেতা। সবাই বলে জনগণ তাদের সঙ্গে আছে। কিন্তু জনগণ কার সঙ্গে আছে তার কোনো আইনগত প্রমাণ নেই। আমি জানি, বাংলার মানুষ আমার সঙ্গে আছে। কিন্তু এই পরম সত্যেরও বিধিগত কোনো ভিত্তি নেই। যদি নির্বাচনে জয়লাভ করি, জনগণের ম্যান্ডেট পাই, সেই আইনগত ভিত্তি অর্জিত হবে। আর তখন জনগণের নির্বাচিত নেতা হিসেবেই আমি জনগণের পক্ষ হয়ে ইয়াহিয়ার সেচ্ছাচারী নীতি-পদক্ষেপ চ্যালেঞ্জ করতে পারব। বিশ্ববাসী দেখবে—শেখ মুজিব যা বলেছে, যা চাইছে, তা তার একার কথা নয়, গোটা দেশবাসীর কথা, আর এভাবেই বাঙালির স্বাধিকার সংগ্রাম বিশ্ববাসীরও সমর্থন লাভ করবে।’ এমনই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা। এই দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতার কারণেই অর্জিত হয়েছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা। ৭০এর নির্বাচনে না গিয়ে আন্দোলনের পথে পা বাড়ালে মার্শাল ল' আরো কঠোরতর ভাবে প্রয়োগ হত।হয়ত এমন পরিস্থিতিতে দুই এক বছর পার হয়ে যেতে পারতো।ফলাফল মুলত কিছুই আসতো না।তাছাড়া ৬৯এর গন অভ্যুত্থানের রেশ তখন পয্যন্ত নাও থাকতে পারতো।স্বাধিনতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে আরো কয়েক যুগের অপেক্ষার দরকার হত । তা কি হলফ করে বলা যায়? ইয়াহিয়া চাইছিলেন এই ধরনের প্রজ্ঞাপন জারী করে রাজনোতিক দল গুলিকে নির্বাচনের বাহিরে রাখতে।নির্বাচনে যদিও আসে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তাঁদের মনমত না হলে সংসদ নিয়ম অনুযায়ী ভেঙ্গে যেত,নতুন করে ঘোষনার প্রয়োজন হত না।তাঁরপরও বঙ্গবন্ধু নির্বাচনের পক্ষেই তাঁর অবস্থান নিলেন। আজ স্বাধীনতার ঘোষনা নিয়ে অনেকে বিতর্ক করার চেষ্টা করেন।৭ই মার্চের ভাষন তারা ভাল করে না শুনে বিতর্ক করার চেষ্টা করেন।মেজর জিয়া নিজেই যেখানে তাঁর বিচিত্রায় দেয়া নিবন্ধে লিখেছেন,বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনেই বাঙ্গালী অফিসারেরা স্বাধীনতার গ্রীন সিগনাল পেয়ে গিয়েছিলাম।পাকিস্তান পুর্ববাংলা আক্রমন করে ন্যায্য দাবী ধুলিসাৎ করার জন্য আলোচনার নামে সময় ক্ষেপন করছেন তা কি বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারেননি?না পারলে তিনি কেন বলবেন,"তোমাদের যা কিছু আছে,তা নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে"।তিনি থাকবেন না,বা কারাগারে দেয়া হবে ,তাও তিনি বুঝতে পেরেছিলেন,তাইতো সেই দিনই বলে দিলেন,"আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি।"তাঁর পর ও জ্ঞান পাপিরা বিতর্কে লিপ্ত হতে সামান্যতম দ্বিধাবোধ করেন না। নিদ্বিধায় বলা যায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জম্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হত না,বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালীর ঘরে জম্ম না নিলে বাঙ্গালীও কোন কালে মুক্তির স্বাধ গ্রহন করতে পারতো না।হাজার বছরে বাঙ্গালী জাতী পেয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে,তাই আজ বাঙ্গালী বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে বলতে পারছে আমি বাঙ্গালী,বাংলাদেশ আমার জম্মভুমি। "জয়। বাংলা, জয়বঙ্গবন্ধু জয়তূ দেশরত্ম শেখহাসিনা""

ছবি

মানবতার নেত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা বিরল দৃষ্টান্ত!! ============<=======[====== ২১শে আগষ্ট বোমা ও গুলীর যুগৎপৎ হামলার পর,দেশরত্মকে হত্যায় ব্যর্থ হলে, সারাদেশ স্তব্দতার মধ্যেও স্ফুলিঙ্গের মত ফুঁসে উঠার অপেক্ষায় ছিল।সর্বস্তরের আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা শুধু দেশরত্মের হুকুম আর রাজনৈতিক কর্মসূচির অপেক্ষায় প্রহর গুনছিলেন।জননেত্রীও কেন্দ্রীয় নেতাদের অব্যাহত চাপের মুখে ছিলেন কর্মসূচি ঘোষনা দেয়ার জন্য।গনহত্যায় ব্যর্থ হয়ে সরকার ছিল টলটলায়মান অবস্থায়।দেশী বিদেশি সমালোচনার মূখে কোনঠাসা।।এমতবস্থায় ধাক্কা দিলে সরকার টিকে থাকার কোন উপায় ছিল না।এমনতর মূহুর্তেও মানবতার নেত্রী ক্ষমতা পাওয়ার লোভ না করে, আহতদের চিকিৎসা এবং নিহতদের লাশ দাফন করার জন্য মনোনিবেশ করেন।দলের কেন্দ্রীয় বেশ কিছু নেতাকে দায়িত্ব দিয়ে হাসপাতাল গুলোতে প্রেরন করেন।রাত জেগে খবরাখবর সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাটান।তিনি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন,এই হামলাটি ক্ষমতাসীন বি,এন,পি সরকারের উচ্চপয্যায়ের দিকনির্দেশনার ফসল।মানবতার নেত্রী চরম ধৈয্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে আগে চিকিৎসাকে প্রাধান্য দিলেন। এতবড় ঘটনার পর ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতো দুরের কথা, কোন মামলাও করার চিন্তা করেননি।মামলার ফলাফল আশানুরুপ হবেনা ধারনা টি, নেত্রী ভুল করেননি পরবর্তিতে সাজানো তদন্ত ও জর্জমিয়া নাটক থেকেই তা প্রমানীত।খালেদা জিয়া,তারেক জিয়া,এবং স্ব্ররাষ্ট্র মন্ত্রী বাবর সরাসরী জড়িত ছিলেন,তা আরও স্পষ্ট করে যখন তত্বাবধায়ক সকার গঠন প্রশ্নে কার ও সাথে পরামর্শ ব্যতিরেকে, নীজ দলের প্রেসিডেন্টকে তত্বাবধায়ক প্রধান করে সাজানো নির্বাচন করার জন্য, একের পর এক নিলজ্জ পদক্ষেপ।যেকোন উপায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে বিচারিক কায্যক্রম বাঞ্চালই ছিল প্রধান উদ্দেশ্য।২১শে আগষ্টের ঘটনার চরিত্রের দিকে তাকালে দেখতে পাওয়া যায়, দেশীয়ভাবে তিনটি পক্ষ হামলায় সরাসরী জড়িত ছিল।প্রথম পক্ষে সরকারের উধ্বতন মহল জড়িত ছিল, এটাতে কোন সন্দেহের অবকাশ এখন আর নেই।দ্বিতীয়ত সরকারের সেনাবাহিনীর একটা অংশ,মামলার তদন্তে তাঁর প্রমান পাওয়া যায়।,তৃতিয়ত জঙ্গিদের সম্পৃত্ততা, তাঁরা নিজেরাই স্বিকার‍ উক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়ে স্পষ্ট করেছে।এখন আছে শুধু বিদেশী কোন শক্তি জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা।বি,এন,পি সরকারীভাবে বিচার পতিদের সমন্বয়ে তদন্ত টিম গঠন করেছিলেন।বিচারপতি জয়নুল আবেদীন প্রধান সমন্বয়ক হয়ে একটা রিপোর্টও দিয়েছিলেন। পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল বাংলাদেশের কোন একটা বন্ধু রাষ্ট্র সরাসরি জড়িত ছিল।সেই রিপোর্ট ও অত্যাবদি আলোরমুখ দেখেনি। তিনি কিসের ভিত্তিতে বিদেশি রাষ্ট্রের সম্পৃত্ততা পেয়েছিলেন এখন ও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়।উক্ত ঘটনার সার্বিক দিক জাতিকে জানানো একান্ত প্রয়োজন।জননেত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে ছোট বড় ১৯ বার জীবন হানি ঘটানোর চেষ্টা হয়েছিল।তম্মধ্যে ১৯৮১ ইং সালের ১১ই সেপ্টেম্ভর চট্রগ্রামের লালদীঘি ময়দানে পুলিশ ও বি,ডি,আরের যৌথ ব্রাস ফায়ারে হত্যার চেষ্টা ও একটা বড় ধরনের কিলিং মিশন ছিল।সেই যাত্রায় জীবন রক্ষা পায় আল্লাহর অশেষ রহমতে।লক্ষ করলে সহজেই দেখা যায় আওয়ামী লীগকে ধ্বংশ করার উদ্দেশ্যে যতবার হামলা হয়েছে তদ্রুপ অন্য কোন দলের উপর বা নেতাদের উপর তাঁর ছিটেফোঁটাও হয়নি।একমাত্র জাতির জনকের পরিবার এবং আওয়ামী লীগের নেতারাই হত্যার শিকার হচ্ছেন,অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিচ্ছেন।ইহার কারন বের করতে এখন আর বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই।বিশ্বে প্রায় রাষ্ট্রে মাঝে মধ্যেই রাজনৈতিক হত্যার খবর পাওয়া যায়,এই রুপ দল বা পরিবার শুন্য করে দেয়ার জন্য হামলা হয়েছে তাঁর নজির পাওয়া যায় না।একমাত্র জাতির জনকের পরিবার এবং তাঁর নীজ হাতে প্রতিষ্ঠিত দল আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব সমুলে বিনাস করার জন্য যে চেষ্টা স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবদি অব্যাহত রয়েছে।তাঁর পর ও বর্তমান সরকার দুইমেয়াদে ক্ষমতা উপভোগ করতে পারলেও ২১শে আগষ্টের চাঞ্চল্যকর,নজির বিহীন বর্বতা,গনহত্যার মত মানবতা বিরুধি অপরাধের মামলাটি ১১ বছরেও বিচারিক পয্যায় যায়নি। ১৯৭৫ সালে তারিখ হিসেবে ১৫ আগস্ট এবং ২০০৪ সালে মাস হিসেবে আগস্টের মিলটাও লক্ষণীয়। ১৫ আগস্টের মতোই ২১ আগস্টের ঘটনাটিও ছিল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার চেষ্টা। আমাদের প্রচলিত অপরাধে বিচার ব্যবস্থা যে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছে, তার উদাহরণ হলো ৩০ লাখ মামলা জমে যাওয়ার পরেও রাষ্ট্রযন্ত্র নির্বিকার থাকতে পারছে। আমজনতা আদালত ব্যবস্থা থেকে সহজে কোনো প্রতিকার পায় না। তদুপরি এখনো এই ধারা মোটামুটি ক্রিয়াশীল যে, রাষ্ট্রপক্ষ সক্রিয় হলে এই মামলাজটের বিচার ব্যবস্থার ভেতর দিয়েও প্রতিকার ত্বরান্বিত করা সম্ভব। সামারি ট্রায়াল না করে সাধারণ আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সমাপ্তি তার একটি বড় দৃষ্টান্ত। এখন প্রশ্ন হলো, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ১১ বছর পূর্তিতে মামলার অগ্রগতি এতটা মন্থর কেন?? ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেডটি যদি ট্রাকে পড়ত, তাহলে এটা শেখ হাসিনাসহ বিপুলসংখ্যক জাতীয় নেতার প্রাণ কেড়ে নিত। এটা হতে পারত পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে ঘটে যাওয়া দ্বিতীয় বর্বরতম হত্যাকাণ্ড। সুতরাং গুরুত্বের বিচারে এই মামলাটির অহেতুক দীর্ঘসূত্রতা জাতি হিসেবে আমাদের কাণ্ডজ্ঞান, দায়িত্ববোধ ও সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। গ্রেনেড হামলার পরে বিএনপি দুই বছর ক্ষমতায় ছিল। তারা বিচার শুরু দূরে থাক, সুষ্ঠু তদন্তই শেষ করতে পারেনি। আমরা অনুমান করতে পারি যে কেন আওয়ামী লীগ বিচার চায়নি। তারা ধরে নিয়েছিল যে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থেকে যে বিচার করবে, তা বিচারের নামে প্রহসনই হবে। তারা কেবল আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি তুলেছিল। ২১ আগস্ট ২০০৬ প্রথম আলোতে ‘বিচারের আশা করেন না হতাহতদের স্বজনেরা’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন ছাপা হয়। এতে বলা হয়, আহত ও নিহতদের স্বজনদের একটাই চাওয়া, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।বর্তমান হত্যাকারীদের মদদ দাতা সরকারের কাছে তাঁদের প্রত্যাশা নেই। ঘটনার দুই দিন পর আতাউস সামাদ ‘এরপর আর বাকি থাকল কী’ শিরোনামে প্রথম আলোর প্রথম পাতায় একটি মন্তব্য প্রতিবেদন লিখেছিলেন। সেখানেও তিনি বিচারের প্রসঙ্গ টানেননি। বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া বিচ্ছিন্নভাবে একটি মন্তব্য করেছিলেন যে, সরকার বোমাবাজদের শনাক্ত করে ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’ দিতে বদ্ধপরিকর। "।প্রয়াত নেতার ঘোষনা পত্রিকা এবং তার মুখেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেল।জাতী পরবর্তিতে দেখলো,কোন এক অজ্ঞাত নামা যুবক,খেটে খাওয়া দিনমুজুরকে ঘটনার প্রধান করে, সাজানো জবান বন্দি নেয়া হচ্ছে,তাঁকে জেলে বন্দি রেখে তাঁর পরিবারকে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে মাসে মাসে খরপোষ দেয়া হচ্ছে।এহেন তামাশা অতিতে কোন দেশে হয়েছে কিনা কেহই বলতে পারবে না।এই এক ঐতিহাসিক তামাশা বলা যেতে পারে। আগেই উল্লেখ করেছি ত্রিধারার সংযোগে বার বার আওয়ামী লীগের উপর নেমে আসে ঘোর অমানিষা।আওয়ামী লীগই একমাত্র সংগঠন,প্রগতির ধারায় এখনও নীজেদের সম্পৃত্ত রেখে দেশ ও জনগনের ভাগ্য উন্নয়নের চেষ্টা অব্যাহত রেখে অবিচল নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে।ক্ষমতা পাওয়ার চাইতে জনগনকে সাথে রেখে প্রগতির ধারা অব্যাহত ভাবে সামনে এগিয়ে নেয়াকে কর্তব্য মনে করে।আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এইডস জাতিকে স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য, বিশ্ব দরনবারে বাংলাদেশ নামক একটি দেশ আছে তা প্রতিষ্ঠার জন্য,বাঙালী বীরের জাতি তা প্রমানের জন্য,আজিবন সংগ্রাম করে গেছেন।কোন লোভ লালসা, রক্তচক্ষুকে ভয় করেননি।ইচ্ছা করলে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রধান মন্ত্রী একাধিক বার হতে পারতেন,তিনি পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রীর লোভ করেননি,তিনি চেয়েছেন বাঙ্গালীর মুক্তি,বাংলাদেশের স্বাধীনতা।সেই দলের উত্তরসুরী বর্তমান আওয়ামী লীগ ও ক্ষমতা পাওয়ার জন্য অদ্যাবদি কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন শুনা যায়নি,নিয়মাতান্ত্রিক ভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে।জনগন যখন চায়,তখন সরকার গঠন করে,জনগন যখন চায় না, তখন বিরুদি দলের ভুমিকা পালন অব্যাহত রাখে। প্রশ্ন হচ্ছে গত দুইবার একটানা সরকার গঠন করেও বোমা হামলার বিচার ত্ব্রারান্বিত করার জন্য সকারী ভাবে কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা কেন?ইচ্ছা করলে আর ও দ্রুতগতিতে মামলার বিচার কি করা যায়না?জনমনে নানাহ প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঁকি ঝুঁকি দিতে শুরু করেছে।আইনের শাষন প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীনতার পর দ্বিতীয় বৃহত্তম মানবতা বিরুদি এই হত্যা কান্ডের বিচার দ্রুত করার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।নচেৎ বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিশ্বদরবারে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক হয়ে দেখা দিতে পারে। " জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা"

ছবি

শোকের মাস আগষ্ট।বাঙ্গালি তাঁর বাঙ্গালিত্বের ইতিহাসে চরম সত্যকে বুকে ধারন করে অনন্তকাল বয়ে বেড়াতে হবে।মাহভারতে বাঙালীর উপস্থিতি ছিল আবহমানকাল থেকেই, কিন্তু স্বাতন্ত্রতা ছিল না।স্বাধীনতা ছিল না,ছিল না কোন সার্বভৌম রাষ্ট্র।তিলে তিলে নিজের এবং পরিবারের জীবন বিপন্ন করে, যে বাঙ্গালী সব কিছুই এনে দিলেন,তাঁকেই হত্যা করা হল, তাঁরই সৃষ্ট বাংলাদেশে।তাই আগষ্ট মাস এলে জাতি শোক পালনের পাশাপাশি তাঁর জীবনের উল্লেখ্যোগ্য ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনায় মেতে উঠেন।স্বরন করেন প্রত্যেক নাগরিক,তবে বিশ্লেষনে পার্থক্য আছে বিস্তর। অনেকেই বলতে শুনা যায়,বা লেখনীতে প্রকাশ করেন,'৭৫ইং সালে একদলিয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য বা গনতন্ত্র হত্যা করার জন্য @১৫ই আগষ্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞটি সংগটিত হয়েছিল।আমি মনে করি তাঁরা হয় না জেনে বলছেন, নয় তারা ভাল করে জানেন বিধায় বংগ বন্ধুর মহত্বকে খাট করে উপস্থাপন করার হীনমন মানষিকতায় ভোগার কারনেই কথাটা বলেন।বাকশাল প্রতিষ্ঠার ঘোষনা দেয়ার এক বছর আগে বংগ বন্ধুকে হত্যা করার চেষ্টা হয়েছিল,তখন কেন হত্যা করার চেষ্টাটি হল?দু::খ্যজনক হলেও সত্য যে, তারাই বলার চেষ্টা করেন বাকশাল একদলিয় শাষন,একনেতার শাষন।তারাই বলেন গনতন্ত্র হত্যা করা হয়েছিল বাকশালের মাধ্যমে।এই প্রসংগে তাঁরা সংবিধানের অন্যতম ভিত্তি গনতন্ত্রের কথাটা উল্লেখ করতে চান। জ্ঞানপাপিরা গনতন্ত্রের উল্লেখ সংবিধানে ঠিকই দেখেন,গনতন্ত্রের সাথে সমাজতন্ত্র এবং এই দুইয়ের সংজ্ঞায় কি সুনির্দিষ্ট আছে বেমালুম দেখেন না। চিরন্তন সত্য হচ্ছে বঙ্গবন্ধু একদিনের জন্য ও সংবিধানের বাহিরে গিয়ে দেশ শাষন করেননি।কোন অবস্থায় বাকশাল একদলীয় শাষন ছিল না।একনেতার শাষনও ছিল না।বাকশাল ছিল সব রাজনৈতিক দল,পেশাজীবির, রাজনীতিবিদের সম্বনয়ে গঠিত জাতিয় উন্নয়নের জন্য সংবিধান স্বিকৃত জাতীয় দল। বাকশালের উদ্দেশ্য ছিল সংবিধান স্বিকৃত, মুক্তিযুদ্ধের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিক,যে কারনে যে স্বপ্ন নিয়ে আপামর জনগন ১৯৭১সালে মুক্তি যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল,শোষন মুক্ত, ধর্মনিরপেক্ষ,গনতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা,তাঁরই বাস্তব রুপায়ন হচ্ছে "বাকশাল"। আমি নিবিড়ভাবে পয্যবেক্ষন করে দেখেছি,আওয়ামী লীগের বহু বড় বড় নেতাদের আলোচনায় অংশ নিয়েছি,আওয়ামীঘেষা বহু বুধিজীবির লিখা পড়ে দেখেছি,বিরুদিরা এনিয়ে বিনিয়ে আওয়ামী লীগের শাষনে যে দুষ বড় করে দেখাতে চান "বাকশাল" এই বুঝি হয়ে গেল,তুলনা মুলক আওয়ামী নেতারা বাকশালের মহত্ত প্রচার ও প্রসারে বা লেখালেখি বিরুদিদের তুলনায় একেবারে নগন্য বলা চলে।এই বাকশালেই জাতির জনকের সকল মহত্ত নিহিত।একতরফা প্রচারের কারনে জনমনে হয়ত বাকশাল সম্পর্কে প্রচুর বিভ্রান্তি তাঁরা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে,তবে বর্তমানের শিক্ষিত জনগোষ্টির সামনে যদি ইতিবাচক ভাবে বাকশালের তখনকার সময়ের পরিবেশ পরিস্থিতি তুলে ধরা যায়,, বঙ্গবন্ধুর জীবনের একটি গুরুত্ব পূর্ণ অংশ সম্পর্কে নতুন প্রজর্মের বহু ভুল ধারনার অবসান হত বলে আমার বিশ্বাশ।তাছাড়াও জাতীয় দল গঠনের ধারনা নতুন কোন আবিস্কার নয়,বিশ্বের দেশে দেশে সংকটে রাজনৈতিক ভাবে এই প্রকৃতির সরকার গঠনের উদ্যোগ সব সময়ে সব কালেই দেখা যায়।বঙ্গবন্ধু ও একাদিক বক্তৃতা বিবৃতিতে বাকশাল যে একটি সাময়িক রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যবস্থা তাঁর উল্লেখ করেছেন। বর্তমানের গনতন্ত্রের যে চর্চা অনুশীলন করা হচ্ছে এই গনতন্ত্র পশ্চিমা ইহুদীদের গনতন্ত্র।ইসলামে এই গনতন্ত্রের কোন স্থান নেই।খোলাফায়ে রাশেদীনের সময়ে যে গনতন্ত্রের চর্চা করে ইসলামের সৌন্দয্য, সকল জাতির নিকট উপস্থাপন করে ইসলাম প্রচার ও প্রসার করেছিলেন,বাকশালের গনতন্ত্রের রুপরেখা সেই আদলেই সৃজন করে,বাংলাদেশের স্বাধিনতার স্বাদ প্রত্যেক নাগরীকের ঘরে ঘরে পৌছে দেয়ার লক্ষে বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।আর ও সহজ ভাবে বলতে পারি, আমাদের দেশের বর্তমানে ও বিদ্যমান সমবায় সমিতি গুলি যে রুপ রেখায় পরিচালিত হয়ে, সমিতি ভুক্ত সদস্যদের জীবন মান উন্নয়ন করতে পেরেছে সেই একই ধারায় বাকশালকে একটি বৃহত্তর সমিতি আকারে চিন্তা করলেও ভুল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।সমবায় সমিতির নির্বাচনে যদি গনতন্ত্রের বেয়াঘাত ঘটে থাকে তাহলে ধরে নিতে পারি বাকশাল নির্বাচনেও গনতন্ত্রের ব্যাঘাত সৃষ্টি হত। বিরুদিদের ভয়ের কারন বাকশাল নয়,অন্যকোন জায়গায়।বাকশাল মতবাদে দেশ পরিচালিত হলে স্বাধীনতার বিরুদিতাকারি রাজাকারের রাজনৈতিক অধিকার থাকে না।কথায় কথায় নাস্তিক বলতে দ্বিধা করে না,অথছ ইসলামে যে গনতন্ত্রের সমর্থন করে না সেই গনতন্ত্রের চর্চায় নিজেদের নিমগ্ন রাখে,নাস্তিক কে তা যারা বলেন তাদেরকেই বিচার করার আহব্বান জানাই। প্রথম জীবনে রাজনীতিতে ভুল করেননি জাতির জনক।নিখিল ভারত মুস্লিম লীগের ছাত্র রাজনীতি করার সময়ে পাকিস্থান সৃশটিতে গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা রেখেছিলেন। ১৯৪০সালের লাহোর প্রস্তাবের ৩নং ধারায় পরিষ্কার উল্লেখ ছিল,ভারতবর্ষকে এমন ভাবে ভাগ করতে হবে,উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলে একাধিক মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা সমুহে,একাধিক স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হতে পারে।এই ধারাটিকে বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু ছাত্র থাকা অবস্থায় পাকিস্থান সৃষ্টির পক্ষে জোরালো ভুমিকা রেখে ছিলেন।তাঁর সমসাময়িক নেতা কাস্মিরের শেখ আব্দুল্ল্যা কংগ্রেসের পক্ষে থাকায় স্বাধীনতাতো দুরের কথা,জীবনের সবচেয়ে মুল্যবান সময়টুকু তাঁরই বন্ধু নেহেরুর শাষন আমলেই জেলে কাটাতে হয়েছে স্বাধীনতা দাবি করায়। ১৯৪৫ ইং সালে দিল্লি কনভেনশনে কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ যদি উক্ত প্রস্তাব সংষোধন না করতেন তাহলে ১৯৪৭ ইং সালেই পুর্ববঙ্গ-পশ্চিমবঙ্গ মিলে একটি,অথবা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে একাধিক স্বাধীন রাষ্ট্রই সৃষ্ট্রি হত।জিন্নাহ পরবর্তিতে তাঁর ভুল বুঝতে পেরে মৃত্যুর আগে আফসোস ও করে গেছেন।তাঁর প্রমান পাওয়া যায় তাঁর ব্যাক্তিগত চিকিৎসক কর্নেল এলাহী বক্সের নিকট।বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ মোদাব্বের করাচিতে সম্পাদকদের সম্মেলনে তা প্রকাশ করেন।(সাংবাদিকের রোজনামচা).। ছাত্র মুজিব বাঙ্গালীর স্বাতন্ত্রতা বুঝতে তখন ভুল করেননি,পরিপক্ষ মুজিব দেশ গড়ায় ভুল করেছেন,যারা বলেন তাঁরা বোকা অথবা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধ ি ছাড়া আর কিছুই নয়।নির্বাচিত সরকার উৎখাতের পাপ মোচন করার জন্য তাঁরা না হয় অপপ্রচার করেছেন,বর্তমানের লিখক বুদ্ধিজিবিরা কেন বঙ্গবন্ধুর জীবনের সবচেয়ে স্ব্রণালী সময়,আজীবনের লালিত স্বপ্ন,বঙ্গবন্ধুর মৌলিক রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে আলোকপাত করেন না, তা বোধগম্য নয়।যে আদর্শকে কায়েমি স্বার্থান্বেষি মহল এখনও তাঁদের গলার ফাঁস মনে করে ঘুমের ঘোরেও বলে উঠে,ঐ আসছে আসছে বাকশাল, পালাও পালাও। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয় বঙ্গবন্ধু

ছবি

১৫/২১ই আগষ্ট একই মুদ্রার এপিট ওপিট।উদ্দেশ্য অভিন্ন----!! =======>=>=========>=== আজ রক্তাক্ত ২১ আগস্ট। ২০০৪ সালের এই দিনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। ভয়াবহ এই হামলায় শেখ হাসিনা অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী আইভি রহমানসহ ২৪ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী নিহত হন। আর আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করেছে কয়েকশ' আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী। আজ ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ১১ বছর পূর্ণ হলো। চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি বর্তমানে ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১এ বিচারাধীন রয়েছে। মামলার এখন সাক্ষ্য নেয়া হচ্ছে। ৪৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৭৬ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ২৪ ও ২৫ আগস্ট। মামলায় ৫২ আসামির মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে ২৬ জন। এদের মধ্যে জামিনে আছে ৭ জন। এখনও পলাতক রয়েছে ১৯ জন।আদালতের স্পেশাল পিপি আবু আবদুল্লাহ ভূইয়া মামলার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানান, মামলার এখন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। গত ১৯ আগস্ট এই মামলার ১৭৫ ও ১৭৬তম সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা শেষ হয়েছে। আগামী ২৪ ও ২৫ আগস্ট মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে-১এ বিচারাধীন আছে। ২০১১ সালের আগস্ট মাসে মামলাটি দ্রুতবিচার ট্রাইবুন্যাল-১এ বিচারের জন্য পাঠানো হয়েছিল।জানা গেছে, জামিনে আছে আসামি খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আবদুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম। অন্যদিকে সাবেক মন্ত্রী জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ২৬ জন কারাগারে রয়েছে।বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপির সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ,তাজ উদ্দিনসহ ১৯ জন আসামি পলাতক আছেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট দিনটি ছিল শনিবার। সেদিন বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সন্ত্রাস ও বোমা হামলার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশ উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে। সমাবেশ শেষে সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল হওয়ার কথা থাকায় মঞ্চ নির্মাণ না করে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি ট্রাককে মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সমাবেশে অন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যের পর শেখ হাসিনা বক্তব্য দিতে শুরু করেন। ঠিক বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' বলে বক্তৃতা শেষ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার হাতে থাকা একটি কাগজ ভাঁজ করতে করতে এগোচ্ছিলেন ট্রাক থেকে নামার সিঁড়ির কাছে। মুহূর্তেই শুরু হলো নারকীয় গ্রেনেড হামলা। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হতে লাগল একের পর এক গ্রেনেড। মুহূর্তেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত হলো জীবন্ত বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে একের পর এক গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় ঘাতকরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ১৩টি গ্রেনেড বিস্ফোরণের বীভৎসতায় মুহূর্তেই রক্ত-মাংসের স্তূপে পরিণত হয় সমাবেশস্থল। রক্তগঙ্গা বয়ে যায় এলাকাজুড়ে। ঘাতকদের প্রধান লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনা। বিষয়টি বুঝতে পেরে ট্রাকে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ নেতারা ও শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে মানব বলয় রচনা করে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন বঙ্গবন্ধু কন্যাকে। নেতা ও দেহরক্ষীদের আত্মত্যাগ ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান শেখ হাসিনা। আরেকটি রক্তাক্ত ১৫ আগস্ট ঘটাতে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি ১৩টি গ্রেনেড মেরেই ক্ষান্ত হয়নি ঘাতকরা, গ্রেনেডের আঘাতে প্রাণ কেড়ে নিতে না পেরে ওদিন শেখ হাসিনার গাড়িতে বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়েছিল ঘাতকরা। পরিকল্পিত ও টার্গেট করা ঘাতকদের নিক্ষিপ্ত গুলি ভেদ করতে পারেনি শেখ হাসিনাকে বহনকারী বুলেটপ্রুফ গাড়ির কাঁচ। শেখ হাসিনাকে আড়াল করে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে জীবন বিলিয়ে দেন তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রহমান। নারকীয় এই হামলায় প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচন্ড শব্দের কারণে বাম কান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লক্ষ করলে দেখা যায়, বিশ্ব ইতিহাসে এমন নজির আর একটি ও খুঁজে পাওয়া যাবে না,উপর্যপুরি একের পর এক হামলা করে একটি পরিবার এবং প্রতিষ্ঠীত কোন রাজনৈতিক দলকে বিলীন করে দেয়ার উদ্দেশ্যে এতবার হামলা করা হয়েছে।১৫ই আগষ্ট স্বপরিবারে জাতির জনকের পরিবারকে আত্মীয়,শিশু সহ হত্যা করেও ঘাতকেরা সন্তুষ্ট হতে পারেনি।জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকেও হত্যা করে।সভ্যদুনিয়ায় নিরাপদ স্থান জেল খানা,সেখানেও হত্যাকান্ড চালাতে দ্বিধা করেনি,ঘাতকচক্র। যেদিক থেকেই চিন্তা করা যায়,সেইদিক থেকেই নির্দিষ্ট করে বলে দেয়া যায়,সাম্রাজ্যবাদি, তাঁদের এদেশীয় দোষর উভয়ের মিলিত চক্রান্তের ফসল এই ভিবৎস নারকীয় হত্যাযজ্ঞ।যখনই দেশী বিদেশি চক্রান্তকারীদের স্বার্থরক্ষার মিলন এক মোহনায় মিলিত হয় তখনি নেমে আসে প্রগতির ধারক বাহক আওয়ামী লীগের উপর নির্মম আঘাত। ২১শে আগষ্টের ঘটনার প্রতি লক্ষ করলে স্পষ্ট হতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই,রাষ্ট্রের সর্ব উচ্চ পয্যায় থেকে সেদিন ঘাতকেরা পরিষ্কার নির্দেশনা পেয়ে হত্যা কান্ডটি সংঘটিত করার জন্য চেষ্টা করেছিল।এখানে আর ও স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসন ওৎপ্রোত ভাবে জড়িত ছিল।জনগনের টেক্সের টাকায় যে প্রশাসন রক্ষনা বেক্ষন করা হয় সে প্রসাশন রাষ্ট্রের তল্পিবাহক না হয়ে, জনগনকে হত্যার জন্য ব্যবহার হয়,ব্যক্তির তল্পিবাহক হয়ে কাজ করে। ১৫ই আগষ্ট জাতির জনককের পরিবার সহ হত্যা করে সাম্প্রদায়িক গোষ্টি মনে করেছিল,অসম্প্রদায়িকের নেতৃত্বের উৎসস্থল ধ্বংশ করে দিতে পেরেছে,সুতারাং নিরবিচ্ছিন্নভাবে তাঁদের জঙ্গীরাষ্ট্র বানাবার পথে আর কোন কাঁটা নেই।যথেচ্ছভাবে তাঁরা জনগনকে শোষন শাসন অব্যাহত রেখে ধীরে ধীরে জাতিকে অন্ধকার যুগের দিকে দাবিত করে নিয়ে যাবে।কিন্তু পরক্ষনেই তাঁরা বুঝতে পেরেছে, না সম্ভব হবে না,জাতির জনকের কন্যাদ্বয় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব যত দিন বাংলার মাটিতে থাকবে, তত দিন বাংলাদেশকে তাঁদের উদ্দেশ্যের ভাবধারায় নেয়া সম্ভব হবে না। পৃথিবীর ইতিহাসের এতবড় ভিবৎস ঘটনাকে সে দিন রাষ্ট্রীয় পয্যায় থেকে যেভাবে অবহেলার চোখে দেখা হয়েছিল, তা আর এক নজিরবিহিন ইতিহাসের সৃষ্টি করেছে।ঘটনাস্থলের নমুনা পয্যন্ত সেদিন রাষ্ট্রীয় শীর্ষ পয্যায়ের নির্দেশে পানিদিয়ে ধুয়েমুছে পরিস্কার করে ফেলা হয়েছিল। এতসব কিছুর পর ও প্রগতির ধারক বাহকদের মধ্যে যখন অনৈক্য পরিলক্ষিত হয় তখন আশংকিত না হয়ে পারিনা।আওয়ামী লীগ কিভাবে ভুলে যায় ৭৪/৭৫এর ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র।ঘরেই সেদিন ছিল সাম্রাজ্যবাদির এজেন্ট,তাঁর নেতৃত্বেই ঘটেছিল ইতিহাসের নির্মমতম ন্যাক্কারজনক ১৫ই আগষ্ট।আবার দেখা যায় বর্তমানেও সেই একই ধারার মোস্তাক ধীরে ধীরে দেশরত্নের কাছেই গিয়ে পৌঁছে গেছে।ষড়যন্ত্র হচ্ছে নেত্রী স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন,তারপর ও কাছেই কেন রেখেছেন জানিনা। ২১শে আগষ্ট প্রথম হামলায় যদি জননেত্রী দেশরত্নের মৃত্যু নিশিত করা সম্ভব হত ঘাতকদের,একজন নেতাও সেখান থেকে ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকতো না।সব আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা করার জন্যই জনসভাস্থল বেছে নেয়া হয়েছিল।প্রসাশনের সর্বস্তর যেভাবে জড়িত ছিল উদ্দেশ্য তাঁদের ব্যাপক ছিল এতেও কোন সন্দেহ নেই।তাঁদের হত্যাযজ্ঞ চলতো বছর ব্যাপি।আওয়ামী লীগ ও তাঁর ঘরানার বুদ্ধিজীবি, লেখক,চিন্তক সব শ্রেনী পেশার প্রগতির ধারনায় বিশ্বাসিদের খুজে খুজে হত্যা করা হত।সমুলে উৎপাটন না হওয়া পয্যন্ত এই হত্যাযজ্ঞ থামাতো বলে আমি বিশ্বাস করি না। আজকের দিনে যারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে, ত্যাগি নেতা কর্মিদের উপর হামলা করতে দ্বিধা করছে না,তাঁরাই এই রুপবিপদে ৩২দাঁত বের করে হাসতো।ষড়্যন্ত্র এখন ও থেমেছে বলে যারা আওয়ামী লীগের ক্ষমতার শীখরে বসে, ক্ষমতার দাপটে মুক্তিযুদ্ধা,ত্যাগি নেতাকর্মিদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে ক্ষমতার দম্ভ দেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন,তাঁদেরকে এখনি লাগাম টেনে না ধরলে সামনেই বিপদ অবশ্যম্ভাবি।আর তখন এই সব সুযোগ সন্ধানীরা চেহারা পালটিয়ে--বোল পালটিয়ে পুরাতন ঘরে ফিরে যেতে সময় লাগবে না। ১৫ই আগষ্টের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্যই ২১শে আগষ্টের হত্যাযজ্ঞ।১৫ই আগষ্টের হত্যার দেশী বিদেশি চক্রান্তের স্ব্ররুপ আজ পয্যন্ত উৎঘাটিত হয়নি।২১শে আগষ্টের ও দেশীয় জড়িত দুষ্কৃতিকারিদেরকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে মাত্র,পিছনের পরিকল্পনাকারী ও বিদেশী এজেন্টদের স্বরুপ উম্মোচিত হয়নি।এই দুই ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক ঘটনার অবিলম্বে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জাতিকে জানানো উচিৎ, কারা এই ঘটনা সমুহে জড়িত ছিল কিইবা তাদের উদ্দেশ্য ছিল। ""জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা""

ছবি

অবিলম্বে সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে মুক্তি দেয়া হোক।============================< যুগে যুগে সত্যবাদিরা নিগৃহিত হয়েছে।স্পষ্টবাদীদের বর্তমান যুগে কেহই পছন্দ করেনা। নীজের বউ ও পছন্দ করে না।এমন কোন সময়ের দেখা পাওয়া যায়না,মুখের সামনে সত্য, বাস্তব,নিরপেক্ষ কথা বলতে গিয়ে কোন না কোন ভাবে ঐ মানুষটি হেনস্তা হয়নি।তেমনি ঘটনা এবার ঘটলো বিশিষ্ট সাংবাদিক ,বীর মুক্তি যোদ্ধা (যুদ্ধাহত)প্রবীর শিকদারের বেলায়ও।তবে এইটা সত্য এই শ্রেনীর লোকেরা ,প্রভাবশালীদের দ্বারা নিগৃহিত হলেও সম্মান হানি হয় বলে আমি মনে করিনা।অপরাধীকে- অপরাধি বললে, যদি ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়ে, সেই ক্ষতি যারা অপরাধকে ঘৃনা করে, তাঁদের ভালবাসায় পূর্ন হয়ে যায়।প্রবীর দাদা আর ও বড় বেশি অগ্রসরমান কথা বলে নিগৃহিত হচ্ছে।এতে আমি একেবারেই বিস্মিত হইনি।আমার বাবা যদি মুক্তি যুদ্ধে রাজাকার হতেন,আমি তাঁকে প্রকাশ্য ঘৃনা করতাম,জম্মদাতা বলে হয়তো বাবা ডাকতে হত।কারন জ্ঞান হওয়ার আগে, মুক্তিযুদ্ধ কি,কেন মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বাবা ডাকায় অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম তাই। প্রতিষ্ঠিত রাজাকারের বিরুদ্ধে কলম ধরার কারনে ,প্রবীর শিকদারকে র‍্যাব, ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে এসেছে।হয়তো বা শারিরীক নিয্যাতনের স্বীকার ও হতে হবে। ঘটনাটি কে বা কারা ঘটিয়েছে ইতিমধ্যে সচেতন মানুষ বুঝতে পেরেছে।কালে কালে লক্ষ করা যায়,মানুষ একেবারে কলংকমুক্ত হয়না।আমাদের প্রধান মন্ত্রীও ব্যতিক্রম নয়।অনেক আত্মীয় স্বজনকে ক্ষমতার বৃত্তের বাহিরে রাখতে পারলেও অনেককেই পারেননি।না পারার কারনে একজন পঙ্গু মুক্তিযুদ্ধা খেসারত দিতে হচ্ছে।প্রবীর শিকদার সেই মুক্তিযোদ্ধা, যার পরিবার মহান মুক্তিযুদ্ধে অধিকাংশ সদস্যকেই কোরবানী দিয়েছিল।তাঁদের সেই কোরবানীর বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীন দেশে বুক ভরে নিশ্বাস নিতে পারছি। যে কাজে যার যত বেশি ত্যাগ,সেই কাজই তাকে দু:খ দেয় বেশী।রাজাকারের বিরুদ্ধে কলম ধরলে হেনস্তা হতে হবে,তাও আবার মুক্তি যুদ্ধের মহানায়কের পরিবারের আসপাশ থেকে,মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারি দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়,তাও কি সম্ভব! !সব সম্ভবের দেশ বাংলা দেশ।এখানে সব হয়,হচ্ছে,হবে। আমাদের বাংলাদেশের এই একটি সংস্থা কোন সরকারের আমলে আকাম কুকাম ছাড়া ভাল কাজ করে না।এই ডি,বি সংস্থাটির কারনে সব সরকারের আমলে অর্ধেক জনপ্রিয়তা হারাতে হয় ক্ষমতাসীন দল এবং সরকারকে। বি,এন,পি আমলে নোয়াখালীর দিন মজুর জর্জ মিয়াকে ২১শে আগষ্ট বোমা হামলার প্রধান আসামী সাজিয়ে দেশ বাসির নিন্দার পাত্র হয়েছিল,এবার শ্রেষ্ঠ মুক্তিযুদ্ধা, কলমসৈনীক,সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে নিগৃহিত করে দেশবাসীর নিন্দার পাত্র হতে যাচ্ছে।এই সংস্থাটি একজন নিন্মশ্রেনীর কর্মকর্তাকেও যদি কোন ক্ষমতাধর ব্যাক্তি বলে, ঐ লোকটাকে মেরে বঙ্গবসাগরে পেলে দিয়ে আস কাল অফিসে যাওয়ার আগে তোমাকে ও, সি বানিয়ে দেব,তৎক্ষনাৎ সে রাজি হয়ে যাবে।বিবেচনা বোধ একেবারেই এই সংস্থাটির কাছে নেই। যে লোকটা একটা শহীদ পরিবারের সন্তান,দেশের জন্য নিজেই পঙ্গুত্ব বরন করলো,একাধিক পত্রিকা যে মানুষটি পরিচালনা করে,নিজে লিখে,অন্যের লিখার সহায়তা করে,সেই লোকটিকে হেনস্তা করার আগে চিন্তা করার দরকার ছিল,কাল সকালে কি হতে পারে।যত ক্ষমতাধর ব্যক্তিই বলুক, তোমার নিকট কি আদৌ আল্লাহ জ্ঞান দেয়নি?তুমি একজনের মন রক্ষা করতে গিয়ে, দেশের সব লোকের মন হারাবে তা কি তুমি জান না? তুমি ডি,বি কে এখন কে রক্ষা করবে?তুমি এক ডি,বি , কি অধিকার আছে, একটা সংস্থাকে সব সময় জনগনের মুখামুখি করার? সদাশয় সরকারের নিকট আবেদন থাকবে,পানি ঘোলা হওয়ার আগেই, আমাদের দেশবাসিকে রক্ত ঋনে আবদ্ধ করা ভাইকে স্ব-সম্মানে বাড়ীতে তাঁর স্বজনদের কাছে পৌছে দেয়া হোক।যদি কোন সাজানো মামলা দেয়া হয়ে যায়,তাহলে কোন প্রয়োজন নেই,ছেড়ে দেয়ার, মুক্তিযুদ্ধের স্বজন হারানো,পঙ্গু মুক্তি যোদ্ধা,মুক্তি যোদ্ধারা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পন্ন জনতাই সিন্ধান্ত নিবে ,তাঁদের নিগৃহিত করার জন্য কি করতে হবে।রাজাকার ক্ষমতায় এলেও অপমানিত হবে,মুক্তি যুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী দল ক্ষমতায় এলেও অপদস্থ হতে হবে,এটা চলতে পারেনা,চলতে দেয়া যায় না।সময় পার হয়ে যাওয়ার আগে, সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। জয় বাংলা, জয়বঙ্গবন্ধুজয়তূ দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

ষড়যন্ত্র কারীরা থেমে নেই,একই সুতায় গাঁথা। ==================>===========   ১৯৭২/৭৫--২০১৩/১৫ বৈশিষ্ট এক ও অভিন্ন। ____ গণফোরাম সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশে এখন একদলীয় শাসন চলছে। দেশের মানুষ অতীতে কখনো একদলীয় শাসন মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও মেনে নেবে না। তিনি বলেন, গায়ের জোরে দেশ থেকে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন জোরদার করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।     বঙবধুর আদর্শ অনুস্মরন করলে দেশ আরো আগেই, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হত।শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ড, কামাল হোসেন।    তত্বাবধায়ক  সরকার ছাড়া কোন নির্বাচন করতে দেয়া হবে না।বেগম খালেদা জিয়া,।   অবিলম্বে যে কোন নামে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে মধ্যবর্তি নির্বাচনের  ব্যবস্থা করার জন্য আমি আহব্বান জানাচ্ছি।খালেদা জিয়া।   এই সরকার কোন উন্নয়ন করতে পারেনি,আইন শৃংখলার চরম অবনতি দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন।উন্নয়ন জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় যখন ছিল,তখন হয়েছে। হোসেইন মোহাম্মদ  এরশাদ।   আমি যাহা পারিনি,হাসিনা তা পেরেছে।তিস্তার বুকে আর গরুর গাড়ী চলবে না। কোরান ও সুন্নার বিরুদ্ধে আইন করে এই সরকার মসুলমানের কলিজায় আঘাত দিয়েছে,এই নাস্তিক,ইসলাম বিদ্বেশি সরকার পদ ত্যাগ করতে হবে। সফি হুজুর    ছাত্র লীগ যুব লীগ আমাদের শত্রু নয়।আমরা তাঁদের সাথে মিলে মিশে থাকতে কোন আপত্তি নেই। সফি হুজুর।      জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আমার বাবা।আমাকে তিনি নতুন জীবন দান করেছেন।বেগম খালেদা জিয়া(১৯৭২)   ১৫ই আগষ্ট আমার জম্ম দিন আড়ম্বরতার সহিত পালন করা হবে। খালেদা জিয়া (১৯৯৬)    জাতির জনকের জম্ম না হলে স্বাধীন বাংলা দেশের উদ্ভব হত না।,জনাব মওদুদ আহম্মদ।   মেজর জিয়া স্বাধিনতার ঘোষনা না দিলে,দেশ স্বাধীন হত না।মওদুদ আহম্মদ।    স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বঙ্গ বন্ধু ১৯৬৬ সালেই ঢাকা ইউনিভার্সিটি কেন্দ্রিক নিউক্লিয়াস   গঠন করে দিয়েছেন।আর তখন থেকেই মুলত আমাদের প্রস্তুতি  শেখ মনির নেতৃত্বে শুরু করি। আ,স,ম,আবদুর রব।   ৭ই মার্চের ভাষন বঙ্গবন্ধু ৩২নং বাড়ীর লনে হাঁটতে হাঁটতে মুখস্ত করেছিলেন। আ,স,ম,আবদুর রব সাম্প্রতিক।     ১৯৭২ /৭৫ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান,দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে,দেশের আর্থসামজিক উন্নয়নের জন্য বাকশাল পদক্ষেপ। সেনাবাহীনির পক্ষ থেকে আমি সর্বান্তকরনে সমর্থন করছি।আপনিও এই মহতি উদ্যোগের সাথে সংহতি প্রকাশ করার জন্য অনুরুধ জানাচ্ছি।জি,ও সি জিয়াউর রহমান,সিভিল কর্মকর্তাদের লিখিত চিঠিতে ১৯৭৫.ইং সালে।   শেখ মজিবের একদলীয় শাষন থেকে উত্তরনের জন্য শিঘ্রই হাঁ-না ভোটের আয়োজন করব। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ইং।     আমার বাবা কে কবরে রেখে আমি উপরে গিয়ে কি করবো,তোমরা আমারে সহ মাটি চাপা দিয়ে দাও।জাতির জনকের পিতা মারা গেলে কবর থেকে উঠতে বললে খোন্দকার মোস্তাক আহম্মদ।     গনতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাষন কায়েম করার জন্য দেশপ্রেমিক সেনা বাহিনি শেখ মজিবকে হত্যা করেছে।আজ থেকে  বাংলা দেশ ইসলামী  প্রজাতন্ত্র  হবে। খোন্দকার মোস্তাক আহম্মদ ১৯৭৫ ইং।      ১৯৭২ ইং সালের আগষ্ট/সেপ্টেম্বর হতে ১৯৭৪ইং সালের নভেম্বর /ডিসেম্বর পয্যন্ত দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল ও নিষিদ্ধ ঘোষিত দল সমুহ করেছিল ঠিক ২০১৩ইং সালের জুন/জুলাই থেকে আজ পয্যন্ত একই কায়দায় বর্তমানের বিরুদীদল ও নিষিদ্ধ ঘোষিত দল সমুহ করে, একই পরিবেশ  সৃষ্টি করার আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে।তখন বিরুধী দল যে কায়দায় অরাজগতা সৃষ্টির প্রয়াস পেয়েছিল ঠিক একই কায়দায় বর্তমানের বিরুধি দল থেকেও লক্ষ করা যাচ্ছে।   তখন যেমন একশ্রেনীর আওয়ামী লীগ নেতা ধরা কে স্বরাজ্ঞান মনে করে যা ইচ্ছে তাই করেছে,এখনও তদ্রুপ একশ্রেনীর আওয়ামী লীগ নেতা ধরাকে স্ব্ররাজ্ঞান  ভেবে যা মন চাইছে তাই করে যাচ্ছে।    তখন যেমন বঙ্গবন্ধুর একান্ত আপঞ্জনকে মন্ত্রী পরিষদ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল, ঠিক একই কায়দায় দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতাকে এবং নেত্রীর একান্ত আপঞ্জনকে মন্ত্রী পরিষদ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল।    তখন যেমন একশ্রেনীর আওয়ামী লীগের মন্ত্রী জাতির জনকের পিতার জন্য  কেঁদে বুক ভাসিয়ে দিয়েছিলেন,এখন ও একশ্রেনীর মন্ত্রী নেতারা জননেত্রীর বাবার জন্য কেঁদে কেঁদে বুক ভাসিয়ে দিচ্ছেন।    তখন যেমন বাকশালে যোগ দেয়ার জন্য হিড়িক পড়েছিল,এখন ও ডিজিটাল বাংলা দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দলে দলে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার হিড়িক পড়েছে।   তখন ও দলের অভ্যন্তর থেকে বাকশালের স্বপ্ন বাস্তবায়নের তেমন বিরুধিতা হয়নি,এখনও ডিজিটাল বাংলা দেশ গড়ার  স্বপ্নের তেমন বিরুধিতা হয়েছে বা হচ্ছে  শুনা যায়নি।   তখন যেমন ত্যাগি নেতাকর্মিদের কোন মুল্যায়ন ছিল না,এখনও তথৈবচ।তখন যেমন বঙ্গবন্ধু নেতাদের উপর বিরক্ত হয়ে হুমকি দিতেন কিন্তু ব্যবস্থা নিতেন না।এখনও জননেত্রী প্রত্যহ হুমকি দিয়েই যাচ্ছেন,কোন  দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে  দেখা যায়নি।তখনও নেতাদের খাবি খাবি ভাব,এখনও তেমনি ভাব রয়েছে আগের তুলনায় আরও বেশি।    তখনও অর্ধ প্রশিক্ষন প্রাপ্ত রক্ষী বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা নেতাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বহু নেতাকে পঙ্গু করে দিয়েছিলেন,এখনও তাঁর ব্যাতিক্রম হচ্ছে বলে মনে হয় না।তখনও রক্ষি বাহিনী থেকে বাঁচাতে বঙ্গবন্ধুর নিকট ধরনা দিতে হয়েছে,অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতা কর্মি,সাহিত্যিক সাংবাদিকদের র‍্যাব এরং ডি,বির হাত হতে বাঁচাতে জননেত্রীর নিকট ধরনার প্রয়োজন হতে পারে। তখন কেবিনেট মন্ত্রীদের চাইতে অন-অনুমোদিত কিচেন মিনিষ্টারদের দাপট অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছিল,এখন ও জননেত্রীর কিচেন কেবিনেটের দাপুটে মন্ত্রীদের নিকট--,প্রজাতন্ত্রের মন্ত্রীরা জিম্মি বলে অনুমেয়। জাতির পিতাকে যেমনিভাবে চাটুকারেরা ঘেরাও করে প্রকৃত অবস্থা জানার সুযোগ দেয়নি,এখন তা আরও তিব্র আকার ধারন করেছে বলেই মনে হয়।জাতির জনক প্রকাশ্য জনসভায় তাঁদের ব্যাঙ্গ করে হাজার কথা বলেও পিছু হঠাতে না পেরে, শ্রেষ্ঠ চাটুকারের মুল ষড়যন্ত্রে প্রান দিতে হয়েছে,বর্তমানে জননেত্রীও প্রকাশ্যে বহু কথাই বলছেন,ফললাভ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। '৭৩এর নির্বাচনেও বঙ্গবন্ধুর ইমেজে বহু অপদার্থ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে গিয়েছিলেন,বর্তমানেও বহু সন্ত্রাসী, মাস্তান,অপদার্থ জননেত্রীর কৌশলে নির্বাচিত হয়ে গেছেন। জাতির পিতার সময়েও বহু বাংলাদেশের বিরুদিতা কারী রাজাকার দালাল বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিল,বর্তমানেও লুটপাট,বোমা হামলা, মানবতা বিরুধি বিচারের সম্মুখিন হওয়ার ভয়ে, বহু নেতাকর্মি বাংলাদেশের শত্রু দেশ সমুহে পালিয়ে আছে।তখন তাঁরা যেমন বিদেশী রাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করে বিরুধিতা করেছে এখন ও তাঁরা একই কায়দায় ঠিকই লবিস্ট নিয়োগ করে বিরুধিতার পথ বেঁচে নিয়েছে।তখন কো -অডিনেটরের দায়িত্ব পালন করেছেন গোলাম আযম,এখন সেই দায়িত্ব পালন করছেন ড,ইউনূস সাহেব। জাতির জনক ও খড়া,অতিবৃষ্টি অনাবৃস্টি,দুর্ভিক্ষের চোঁবল থেকে রক্ষা করে দেশকে স্থিতাবস্থায় এনে দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন,বর্তমানেও মানব সৃষ্ট দুর্ভিপাক থেকে জননেত্রী দৃডতা, অসীম সাহস,প্রখর রাজনৈতিক জ্ঞান, দৃশ্যত বিচক্ষনতা দিয়ে দেশের সার্বিক অবস্থা স্বাবাবিক পয্যায় নিয়ে এসেছেন,তখন প্রভাব শালী মন্ত্রী এম,পিরা পরিক্ষিত ত্যাগী নেতাদের নিগৃহিত করার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন। '৭২ থেকে ৭৫ পয্যন্ত যেমন দায়িত্বশিল দেশপ্রেমিক বিরুধিদলের অভাব জাতি তিব্র ভাবে অনুভব করেছে, বর্তমানেও জাতি শক্তিশালি, দায়িত্ব শীল,দেশপ্রেমিক বিরুধি দলের তিব্র প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। বিরুধীদলের সংকটের কারনে জাতীর জনককে দেশ হারিয়েছে,রক্ষীবাহিনী যথেচ্ছ ভাবে পরিক্ষিত,ত্যাগি মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিদের উপর অকথ্য নিয্যাতন করার সুযোগ পেয়েছিল,এখন ও শক্তিশালী বিরুধী দল না থাকার কারনে,বিরুধী দল দায়িত্ব শীল ভুমিকা পালন না করার কারনে, বদির মত অপদার্থ অনেক এমপি নির্বাচিত হয়ে,কোথাও কোথাও রাজাকারের বংশদবদ কুলংগার নির্বাচিত হয়ে, প্রবীর শিকদারের মত পরিক্ষিত নেতা, ,যুদ্ধে যার একটি পাও হারিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলেন,যার পরিবার থেকে একক ভাবে ১৪জন শহিদ হয়েছেন, একজন প্রতিষ্ঠিত কলম সৈনিক কে; ,রাজাকারের নির্দেশে চোরের মত হাত কড়া পড়িয়ে পুলিশ নিয়ে এসেছে, তাঁর প্রতি ঘৃনা, ধিক্কার জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা।! যদি কোন নেতা জনগনের সমালোচনা সহ্য করতে না পারেন,তিনি বহু দলীয় গনতন্ত্রে রাজনীতি করার জন্য এলেন কেন? এতক্ষমতার উৎস কোথায় মানুষ জানে।এখন তথ্যপ্রযুক্তির যোগ,এমন কোন বিষয় নেই যাহা ম্মানুষ জানবে না।জ্ঞানবিজ্ঞানের যখন উন্নিতিও হয়নি, রঙিন ছবি কি জানতো না, তখন ও সচিত্র রঙিন ছবি সহ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জিবনের, বহু ছবি ও ভিডি,ও ক্লিপ ফ্রান্স,জার্মানী,আমেরীকায় পাওয়া গেছে।আরও বহু তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপরে স্বাধীনতার পরের এবং বর্তমানের বিরুধীতা করার ধরন,চারিত্রিক বৈশিষ্ট,উদ্দেশ্য আদর্শ,বৈদিশিক সংযোগ,অর্থ যোগান দাতা,প্রভৃতি বিষয়ে আপাত কোন পরিবর্তন হয়েছে বলে ধারনা করার কোন সুযোগ নেই।জাতীর পিতার সময়ে,দলে যেমন দুষ্টচক্রের আধিপত্য দেখা যেত,শেষ পয্যন্ত জীবন দিয়ে সত্যতা প্রমান করতে হয়েছে,তদ্রুপ বর্তমানেও ধারনা করা যায়,নেত্রীর মৃত্যু ছাড়া প্রমান করা যাবে না,নেত্রীকে দুষ্ট চক্র ঘেরাও করে রেখেছে। ভারতে ১৯৭৪ইংরেজীতে, নকশালদের উৎপাত বৃদ্ধি পেলে,রাজনৈতিক দল সমুহের মধ্যেও দুরত্ব সৃষ্টি হলে,কুচক্রি মহল জরুরী অবস্থা জারী করায়।উক্ত ষড়যন্ত্রে তাঁরই পুত্র সঞ্জয় গান্ধী সরাসরি জড়িত ছিলেন।জরুরী অবস্থায় দুই বছরে, নীজ দলের যুব কংগ্রেসের নেতাদের এতবেশী নিপিড়ন করা হয়,অনেকেই মারা যায়,বহু নেতা(--সকল অংগ সংগঠনের) পুঙ্গুত্ব বরন করে।বহু ব্যবসায়ী চাঁদার দাবি পরিশোধ করতে না পেরে' বিদেশে পাড়ি জমায়।সমস্ত অঘটন তাঁর আপন পরিবারের সদস্যের নেতৃত্বে সংঘটিত হয়।সংঙ্গত কারনে গান্ধী পরিবারের মুল নেতৃত্ব দুইজনেই আততায়ীর হাতে নিহত হন।সর্বভারতীয় দল আঞ্চলিক দলের পয্যায় থেকেও খারাপ অবস্থায় নিপতিত হয়।কংগ্রেস ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী একক দল ছিল।সেখানেও দায়িত্বশীল সর্বভারতীয় বিরুধীদলের অনুপস্তিতির কারনেই,শীর্ষ তিন নেতা শুধু গান্ধী পরিবার থেকেই প্রান দিতে হয়। ভারতের রাজনৈরিক ধারা আর আমাদের রাজনৈতিক ধারায় বিস্তর ফারাক আছে।তাঁরা মুলত পশ্চিমা গনতন্ত্রের বহুদলীয় পদ্ধতি অনুস্মরন করে বিভিন্ন জাতিগোষ্টিকে শাষন শোষন অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য।অন্য কোন প্রচলিত পদ্ধতিতে ভারত শাষন করা যেতনা।গনতন্ত্র, বহুদলীয় ধারনা স্বাধীনতা কামি আন্দোলন দমন করার মোক্ষম হাতিয়ার।সৌভিয়েত ইউনিয়ন সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে রাজ্যগুলিকে একত্রে ধরে রাখতে পারেনি।চিনে একই জাতি গোষ্টির দেশ বিধায় এখন ও টিকে আছে। সাম্রাজ্যবাদের পরোক্ষ শাষন অব্যাহত রাখার জন্য স্বাধিনতার পর যেই নিয়ম রীতি নীতি অনুস্মরন করে জাতির জনকের পরিবার সহ হত্যা করেছে,এখন সেই একই কায়দায় তাঁর কন্যাকেও হত্যার পরিকল্পনায় দলের ভিতরে শতশত মোস্তাক টাকা দিয়ে ভাড়া করে রেখেছে।তাঁরাই মুলত বিরুধি দলে গেলে রাজপথে,সরকারী দলে এলে দলের অভ্যন্তর, সেনাসদস্য,জঙ্গির মাধ্যমে হত্যার চক বাস্তবায়নের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।সবকিছুই কাকতালিয় ভাবে মিলে যাওয়ার অন্য কোন কারন আছে বলে আমি মনে করি না। ইন্দিরা গান্ধির মত দিনের পর দিন সত্য জানানোর থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারলে, তাঁদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের পথ আর ও সাবলিল হবে অসুবিধা কি।১৪/১৫ জন জলজ্যন্ত মানুষ দেশ প্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে যে পরিবার থেকে জীবন দিতে পারে,সেই পরিবারের একজন সদস্য ফৌজদারী অপরাধেও হাতকড়া পরাতে হবে কেন?পঙ্গু সাংবাদিক কি দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল?নিজামি দেলুরা ভাল পা নিয়েও বুঝি দৌড়াতে পারেনা? সকল সচেতন মানুষকে আহব্বান জানাব এই পরিস্থিতির কঠোর ধৈয্যের সংগে মোকাবেলা করতে হবে,সামান্য ভুলের কারনে জননেত্রীর প্রান সংহারের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।অনলাইন অপ-লাইনের সকল সচেতন ভাইদের স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সোচ্ছার হওয়ার আহব্বান জানাই।ইনশাল্লা প্রবীর দাদার কিছুই হবে না।লাখো লাখো মুক্তিকামি জনতার দোয়া তাঁর প্রতি থাকবে।এই জনতাকে যেদিন সংগঠিত করা যাবে ,সেই দিন গলা ধাক্কা দিয়ে সুদাসদন,বঙ্গভবন,ধানমন্ডি, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে মোস্তাক চক্রকে বের করে দিয়ে, জননেত্রীকে প্রগতির চালিকাশক্তির নেতৃত্ব দেয়ার জন্য জীবন রক্ষা করা হবে।ঠিক ২১শে আগষ্ট যেভাবে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল। "" জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশ্রত্ম শেখ হাসিনা"          

ছবি

ভিন্ন মাত্রায় জাতিয় শোক দিবস ===================>========= বাংলাদেশের কোন এলাকায় কেমন শোক দিবস পালিত হয়েছে এখনও খবর পাইনি।তবে আমার এলাকায় এবারের শোক দিবস ভিন্ন মাত্রায় পালিত হল।আমার খুবই ভাল লাগছে,নতুন প্রজম্মের ভাইবোনদের নিকট আজকের দিনে অন্তত জাতির পিতার মহিমা তুলে ধরার ব্যবস্থা উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।প্রত্যেক হাইস্কুল গুলোকে আগেই চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে,যথাযোগ্য মায্যদায় জাতির জনকের শাহাদাৎ বার্ষিকি পালনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য।স্কুল সমুহ কমবেশি প্রতিপালন করার চেষ্টা করেছে।এতে পর্নাংঙ্গ না হলেও আংশিক সফলতা এসেছে বলা যায়।অন্তত পক্ষে স্বাধীনতার ৪৫বছর পর হলেও নতুন প্রজর্ম্মের একটা বিরাট অংশকে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামি জীবনের ইতিহাস,মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্ব্ররুপ,সাম্রাজ্যবাদের চক্রান্তের কারন,১৫ই আগষ্টের মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞ,ইত্যাদি বিষয়ে কিছুটা ধারনা দেয়া সম্ভব হয়েছে।আমি আগষ্টের প্রথম দিকেই ঠিক এই ভাবেই সকল জাতীয় দিবস গুলী পালন করার প্রয়োজনীয়তার উপর একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম।অন-লাইন পত্রিকা বিডি প্রেস ও কলামটি তাঁদের পত্রিকায়ও চাপিয়েছিল। ফুল গাজী উপজেলা পরিষদের সম্মানীত চেয়ারম্যান,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সমমনা দল সমুহ,বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধা সংসদ ফুলগাজী যৌথ সিন্ধান্তের আলোকে উপজেলায় বিদ্যমান সকল হাই স্কুল ইস্রাসায় দুইজন মুক্তিযোদ্ধা ২জন আওয়ামী লীগের নেতা,২জন অন্যান্ন দলের নেতার সমন্বয়ে পরিদর্শক টিম গঠন করে স্বুল সুমুহে ১৫ই আগষ্ট সকাল ৮..০০টায় পাঠিয়ে দেয়।আমাকেও তদ্রুপ ভাবে একটা স্কুলে থাকার জন্য সমন্বয় কমিটি থেকে একটা চিঠি পাঠিয়ে অনুরুধ করে।চিঠ মোতাবেক আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয় ফুলগাজী উপজেলার আমজাদ হাট ইউনিয়নের জাপর ঈমাম বীর বিক্রম উচ্চ বিদ্যালয়ে।যথারীতি আমি সকাল দশটার কিছু আগেই বিদ্যালয় আঙ্গিনায় পৌছে দেখি আমার সাথে যে দুই জন মুক্তি যুদ্ধাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তাঁরা দুই জন দায়িত্ব প্রাপ্ত ছাত্র নেতা সহ বিদ্যালয়ের সন্নিকটের চা দোকানে বসে চা খাচ্ছেন, আর গল্প করছেন।আমি প্রথমে সেখানে অবস্থানরত ব্যবসায়ী ভাইদের অনুরুধ করে পতাকা টাঙ্গানীর জন্য।অনেকে তৎক্ষনাৎ আমার আহব্বানে সাড়া দিয়ে পতাকা উড়ায়,কিছু সওদাগর বলে যে তাঁদের নিকট পতাকা নেই।আমি তাঁদেরকে জোর না করে বলে দেই,আগামী ১৬ই ডিসেম্বরের আগে পতাকা প্রস্তুত রাখার জন্য।এর পর আগত মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের সাথে কথা বলি,তখনও তাঁরা স্কুলে না গিয়ে দোকানে বসে থাকার কারন জিজ্ঞাসা করি,কেউ উত্তর না দেয়ায় আমি বুঝতে পারলাম,মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়েরা মানষিক চাপে আছেন বিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাঁদের গ্রহন করবে কিনা? বিদ্যালয়ের জাতীয় পতাকা এবং কাল পতাকা টাঙ্গানোর ভুল সংশোধন করে, সেখানে কথা না বলে তাঁদের নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রবেশ করি। ,তখন ও প্রধান শিক্ষক না আসায় অন্য শিক্ষকদের নিকট আজকের প্রস্তুতি জানার চেষ্টা করলাম।বুঝা গেল তাঁরা দায়সারাভাবে অনুষ্ঠান করার প্রস্তুতি রেখেছেন।যাহা হউক,,প্রধান শিক্ষক আমার আগমনের সংবাদে হউক আর রুটিন মাফিক বিদ্যালয়ে আগমনের সময় সুচির কারনেই হউক, ১১'০০কিছু আগেই এসেছেন।আমি আর দেরী না করে আনুষ্ঠানিকতা শুরুর করার অনুরুধ করি।বিদ্যালয়ের নিজস্ব আনুষ্ঠানিকতার পর আলোচনা সভা শুরু হলে,আগত মেহমানদের সাথে ছাত্রছাত্রি শিক্ষক অবিভাবকদের পরিচয় পর্বের পর মুল আলোচনায় ফিরে গেলাম।এখানেই বলে নিই দায়িত্ব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের দুইজন, একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ফুলগাজীর জনাব আবদুল বারেক সাহেব অন্যজন অত্র ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জনাব আবুল খায়ের সাহেব।বিদ্যালয়ের পাশেই উনার বাড়ী।তাঁর পরেও বিদ্যালয়ে প্রবেশে মানষিক দুশ্চিন্তা হচ্ছে, ,বিদ্যালয় কতৃপক্ষ যদি সহজ ভাবে না নেয়!!গত জীবনে কোন দিন এই ভাবে অনুষ্ঠান করার জন্য দেয়া হয়নি বা করা হয়নি। উপজেলা পরিষদ আওয়ামী লীগ ও মুক্তি যোদ্ধা সংসদকে ভাল একটা উদ্যোগ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।সাথে সাথে আর একটি উদ্যোগ উপজেলা আওয়ামী লীগ নিয়েছে পত্রিকায় দেখা যায়,খালেদা জিয়ার আদি নিবাসের বাড়ীতে নাকি কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করেছিল।এটা কেন হল,বা কি কারনে হল, এখনও বোধগম্য নয়।প্রধান অতিথি ছিলেন এককালের তুখোড় ছাত্রনেত্রী বাসদের পক্ষ থেকে জোটগত ভাবে নির্বাচিত জনাবা শিরীন আখতার।পোড় খাওয়া, রাজপথের নিবেদিত নেত্রীর এহেন কাজে কেন অংশ নিতে হল, আমি বুঝে উঠতে পারছিনা।ফেনীর সাংসদ জনাব নিজাম হাজারী সাহেবও নাকি উপস্থিত ছিলেন। যাক যে কারনেই করা হোক, আমি মনে করি কাজটা সমচিন হয়নি।কাঙ্গালী ভোজ একটা সার্বজনীন কর্মসুচি।এই কর্মসুচি কোন আওয়ামী লীগের বাড়িতেও করা উচিৎ নয়।খোলা মাঠেই করা উচিৎ। এই মাসটি সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকের জন্য শোকের মাস।জাতীয় ভাবে শোক পালন করা হচ্ছে।আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিদের কর্তব্য হচ্ছে, জাতীয় শোকের দিন গুলীকে সার্বজ্নিনতা দেয়ার জন্য, যত টুকু প্রয়োজন স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে সরকারকে সহযোগিতা দিয়ে যাওয়া।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, আবার বাঙ্গালী জাতীর জীবনে ফিরে আসার পথে যত কাঁটা বিছানো আছে, তা পরিষ্কারের জন্য প্রয়োজনে মালির দায়িত্ব পালন করা।বঙ্গবন্ধু কন্যা ,তাঁর দৃড়তায়,রাজনৈতিক প্রজ্ঞায়,অসীম সাহষিকতায় সংগঠিত সাম্রাজ্যবাদের চক্রান্ত রুখে দিয়ে, আওয়ামী লীগের জন্য আর ও পাঁচটি বছরের আয়ু বাড়িয়ে দিয়েছেন।তাঁর পর ও যদি আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিরা, জনগনের সান্নিধ্যে যেতে না পারে,জাতির জনককে স্ব-মহিমায় প্রতিষ্ঠিত করতে না পারে,তবে এর চেয়ে দু:খ জনক বঙ্গরত্মের জন্য আর কি হতে পারে।জননেত্রীর পরিবার এবং আত্মীয় স্বজন কেউতো লুটপাটে অংশ নিতে দেয়নি জনিনেত্রী,আত্মীয় স্বজনদের ক্ষমতার বৃত্তের অনেক দূরে সরিয়ে রেখেছেন।নতুন প্রজর্ম্মের অহংকার দেশরত্মের সুযোগ্য পুত্র জনাব সজিব ওয়াজেদ জয় দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আগামী প্রজর্ম্মকে বিজ্ঞান মনষ্ক, তথ্য প্রযুক্তি সম্পন্ন,জ্ঞান বিজ্ঞানে শিক্ষিত আধুনিক করে গড়ে তোলার জন্য।উন্নত যে কোন দেশে চাকুরী নিলেও বাংলাদেশ সরকার যে সম্মানী দেয়, তাঁর তিনগুন বেতন তিনি পেতেন।বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের কোন প্রধান মন্ত্রী বা সাধারন উপমন্ত্রী,নিদেনপক্ষে সরকারী দলের জেলা উপজেলার নেতার ছেলেরাও চাকুরী ব্যবসা করার প্রয়োজন হয়না।সজিব ওয়াজেদ জয় জাতির পিতার দৌহিত্র,বিশ্বের ক্ষমতারধর নারীনেত্রীদের অন্যতম,সফল তিন তিন বারের প্রধান মন্ত্রীর আদরের পুত্র।তারপর ও দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন,কি ভাবে আরো নতুন নতুন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাতিকে, দেশকে, আগামি প্রজর্ম্মকে, সুখী সমৃদ্ধশালী,উন্নত জীবনের অধিকারী করা যায় সেই লক্ষ নিয়ে।যেখানে বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক সাহাদাতের পর বিশ্বের তাবৎ নিয্যাতিত মানুষের নেতারা শোকে দু:খ্যে মুহ্যমান,বাকরুদ্ধ, কথা বলার ভাষা হারিয়ে মুক হয়ে গিয়েছিলেন তখন তাঁর প্রিয় জম্মভুমি, যে জম্ম ভূমির নাগরীক বাঙ্গালীদের মুক্তির জন্য ,স্বাধীনতার জন্য, কম করে হলেও দুই বার নিশ্চিত ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে এসেছিলেন।প্রথমবার আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামালায়, দ্বিতীয় বার মুক্তি যুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানের কারাগারে থাকাকালিন সময়ে, ইয়াহিয়া ফাসির আদেশে সই করার পর, দেশের আভ্যন্তরীন গন্ডগোলের কারনে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ায়, জনাব ভুট্রু সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ক্ষমতায় আসেন,আভ্যন্তরীন গন্ডগোল সামাল দেয়ার আগেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে চরমভাবে পরাজিত হয়, ৯৩ নব্বই হাজার সৈনীক বন্দি হয়ে যায়, আন্তজাতিক চাপ, সেন্যদের রক্ষার কারন,কনফেডারেশন করার ক্ষীন আশায় ভুট্রু ফাসী কায্যকর থেকে বিরত থাকে।সেই ত্যাগের মহিমায় সিক্ত,বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির জনককে হত্যা করে একশ্রেনীর কুলাঙ্গার উল্লাসে মেতে উঠেছিল,স্ব-দম্ভে হত্যার কৃতিত্ব দেশী বিদেশী গনমাধ্যমে ঘোষনা করছে বার বার, তখন বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে তাঁদের হৃদয়ের অন্তজ্বালা বহুজন বহুভাবে প্রকাশ করে যাচ্ছিল।আমি নিম্নে কয়েক জনের তখনকার মন্তব্য উপস্থাপন করছি:--- কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ট্রো বঙ্গবন্ধুকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘মুজিব তোমার মত আমারও শোষকের বিরুদ্ধে শোষিতের সংগ্রাম। কিন্তু বন্ধু সাবধান, সুযোগ পেলেই শোষক শ্রেণি তোমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে।’ তিনি অপর এক মন্তব্যে উল্লেখ করেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসিকতায় তিনি হিমালয়। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল সেই হিমালয় প্রত্যক্ষ করার।’ দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তির দূত নেলসন ম্যান্ডেলা বঙ্গবন্ধুকে আখ্যায়িত করেছিলেন শোষিতের ‘অকৃত্রিম বন্ধু’ বলে। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত্ বরণের খবরে মুষড়ে পড়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারালো তাদের একজন মহান নেতাকে, আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হূদয়ের বন্ধুকে।’ মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত বঙ্গবন্ধুর করুণ মৃত্যুতে, শোকে কাতর হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, তৃতীয় বিশ্ব একজন যোগ্য নেতৃত্বকে হারালো। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ‘শেখ মুজিব নিহত হওয়ার খবরে আমি মর্মাহত। তাঁর অনন্য সাধারণ সাহসিকতা এশিয়া ও আফ্রিকার জনগণের জন্য প্রেরণাদায়ক ছিল। স্বাধীনতা ও জনগণের সার্বিক সংগ্রামের ইতিহাসে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সেইজাতির জনক স্ব-মহিমায় ফিরে আসতে শুরু করেছে হৃতগৌরব নিয়ে,এই মহুর্তে আমরা আওয়ামী লীগারেরা আসার আগেই খাঁচায় বন্দি করার জন্য উদ্যোগি হই,তাহলে কেন দেশরত্মের এত পরিশ্রম, সজিব ওয়াজেদ জয়ের উন্নত জীবন যাপনের সকল সুযোগ বিদ্যমান থাকা সত্বেও গরীব দেশের এতবড় দায়িত্ব কাধেঁ নিয়ে,সদা মৃত্যুর ঝুঁকিতে থেকে নিয়ন্তর পরিশ্রম করা। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি,স্বাধিনতা যুদ্ধের পর দায়িত্বশীল বিরুদিদলের অভাবে,জনসম্পৃত্ত রাজনৈতিক দলের অভাবে,হিমালয়সম ব্যাক্তিত্ব থাকার পরও, নীজস্ব রাজনৈতিক দর্শন থাকার পরও, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতাকে হারাতে হয়েছিল।আজও ঠিক একই রীতিতে দেশব্যাপি অরাজগতা সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে,ধর্মীয় উগ্রতা সৃষ্টি করে,জননেত্রীকে হত্যা করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়।বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আর কিছু না পারুক, তাঁদের শক্তিতো সঞ্চয় করতে পেরেছে।ইচ্ছা করলেও হাজার বছর চেষ্টা করে, তাঁদের শেকড় উপড়ানো যাবে না।যেখানে প্রতি গ্রামে একটি প্রাইমারী বিদ্যালয় বৃটিশ শাষন থেকে এই পয্যন্ত নিয়ন্তর চেষ্টা করেও নিশ্চিত করা যায়নি,সেখানে মাত্র একুশ বছরের রাজনৈতিক সুযোগ নিয়ে ,প্রতি গ্রামে ২এর অধিক কওমি মাদ্রাসা স্থাপন ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করে পেলেছেন।আমরা আওয়ামী লীগ নেতারা বেহেস্থের টিকেটের জন্য তাঁদের মাদ্রাসায় গিয়ে সালামি দিয়ে আসি।ফুলে ফেঁপে তাঁরা যেন আল্লাহর কোরানের নির্দেশিত,নবী করিম(স)এর নির্দেশিত পথের বিপরীতে আর ও শক্তি শালী অবস্থান নিতে পারেন।গত কয়দিন আগে কোরানের নির্দেশের বাহিরে সরকার তথা শেখ হাসিনা আইন করেছে তা বাতিলের নামে কি তান্ডব করেছে,কারা তাঁদের উস্কানী দিয়েছে,সব দেখে শুনেও আওয়ামী নেতারা তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার দ্বজাদারিরা হুজুরের দোয়ার জন্য দিনের পর দিন পাঁয়ের নিছে বসে থাকে। যদি সত্যিকারের ইসলাম কায়েমের জন্য লড়াই করতো অবশ্যই মহান আল্লাহ তাঁদের সাহায্য করতেন।আল্লাহ যাদের কোরান পোঁড়ানোর অপরাধে শাস্তির সমুখ্যিন করেছেন,আমরা যাচ্ছি তখন তাদের দোয়ার জন্য।আইন যদি সত্যিকার ভাবে ইসলাম বিরুদি হয় তবে তারা কেন আন্দোলন বন্দ করে ঘরে ডুকে যাবে।সরকার কি সেই আইন বাতিল করেছে?শাফলা চত্বরে অবস্থান নিয়েছে ভাল কথা ,খালেদা জিয়া কেন ঢাকার জনগনকে রাস্তায় নামার আহব্বান জানাবে?খালেদা যে গনতন্ত্র চর্চা করে বা বর্তমান আওয়ামী লীগ যে গনতন্ত্রের চর্চা করে সেই গনতন্ত্র কি ইসলাম অনুমোদন করে?তাঁরা যদি একান্তই ইসলামের জন্য জিহাদ করে তবে প্রথমে বাকশালের জন্য তাঁদের আন্দোলন করা দরকার।কারন বাকশালের নির্বাচনি ব্যবস্থা খোলাফায়ে রাশেদিনের শাষনের সময়ের নির্বাচনী ব্যাবস্থার কাচাকাছি।তখন হয়তো ব্যালটের ব্যবস্থা ছিল না,নিজেরা মসজিদে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,বাকশালে ব্যলটের ব্যবস্থা ছিল এতটুকুই পার্থক্য।তখন ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল বাকশালেও ধর্ম নিরপেক্ষতা বিদ্যমান ছিল।তখন ধনী গরিবের পার্থক্য নিরসনে কঠোর ভাবে যাকাত প্রথার ব্যবস্থা প্রচলন করা হয়েছিল,বাকশালে ধনী গরীবের পার্থক্য নিরসনে শোষনহীন সমাজ ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছিল।সব কিছুর মিল থাকার পর ও তাঁরা বাকশাল প্রতিষ্ঠার আন্দোলন না করে পশ্চিমা শোষনের গনতন্ত্রের সমর্থনে শাপলা চত্ব্ররে অবস্থান নিয়ে লুটতরাজ, অগ্নি সংযোগ পবিত্র কোরানে পয্যন্ত আগুন দিতে দ্বিধা করেনি।আওয়ামী নেতারা কি বুঝে না কেন এই ন্যক্কার জনক কাজ তাঁরা করতে গেল? কোরান বা ইসলাম আল্লাহই রক্ষা করবেন।যেই সময়টাতে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি,সাম্রাজ্যবাদের দোষরের পরামর্শে একের পর এক ধর্মবিরুদি আইন বাতিলের জন্য, সন্ত্রাস নৈরাজ্যের আশ্রয় নিয়ে, জনজীবন বিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে, তখন একের পর এক বিধর্মীদের বাড়ীতে তাঁদেরগ্রন্থ শালায় হাজার বছরের পবিত্র কোরানের অংশ উদ্ধার হচ্ছে,তাঁর পর ও তাঁরা এতই অন্ধযে নীজেরা ধর্ম রক্ষার নামে রাজপথে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করার অপচেষ্যতায় লিপ্ত হয়।মুলত ধর্ম রক্ষা নয়,স্বাধীনতা বিরুধী,সাম্রাজ্যবাদ,সাম্রদায়িক শক্তির ইচ্ছা পুরন করা। সবচাইতে বড় যে ইচ্ছাটি ছিল তা হল,আওয়ামী লীগের কপালে ধর্মদ্রহীতার, নাস্তিকতার তিলক পড়িয়ে সারা জীবনের জন্য ক্ষমতার বৃত্তের বাহিরে রেখে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ এর স্থায়ী ঠিকানা করে দেয়া। এর পরও যদি প্রগতির ধারনায় বিশ্বাসি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি,আওয়ামী লীগ নেতা কর্মিদের অপরিনামদর্শি কর্মকান্ডের কারনে, জাত্য জীবনে জাতির জনকের হৃতগৌরব সহ,সমহিমায় ফিরে আসার আগে জননেত্রী বা আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারায়, তাহলে জাতীয় জীবনে আবার নেমে আসবে ঘোর অমানীষা। "জয়বাঙলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা"

ছবি

বিচার বর্হিভূত হত্যা কি একান্ত প্রয়োজন সরকারের জন্য?? ============>=========== বিচারবর্হিভূত হত্যাকান্ড সুফল ভয়ে আনে না।আইন শৃংখলা উন্নয়নের জন্য প্রথাটি কোন দেশে চালু হয়েছিল প্রথম তা সঠিক বলা মুস্কিল।বাংলাদেশে এই প্রথা প্রথম ব্যাপক চালু হয় ১৯৯১ ইং সালে।বাংলা দেশ জাতিয়তা বাদি দল সংখ্যা গরিষ্টতা পেয়ে সেইবার সরকার গঠন করার পর, আইন শৃংখলার উন্নতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে প্রথমবারের মত জরুরী অবস্থা ঘোষনা ব্যতিরেকে, সেনাবাহিনী নামিয়ে দেয়।অপারেশন "ক্লিনহার্ট" নামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ড শুরু করে।কথিত আছে তখন পিটিয়ে বেশির ভাগ হত্যা করে। মারা যাওয়ার পর বলা হত হার্ট এটাকে মারা গেছে।আইন শৃংখলা বাহিনী কতৃক প্রথমবারের মত হত্যাযজ্ঞ চালানোর কারনে সকল শ্রেনীর সন্ত্রাসি চাঁদাবাজদের মনে ভিতির সঞ্চার করতে সক্ষম হয়।ফলে স্বল্প সময়ে আইন শৃংখলার ব্যাপক উন্নতি হয় বটে,দেশে নজির হিসেবে এহেন কর্মকান্ড সকল সরকার অনুসরন করা শুরু করে। বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদেও এই হত্যাকান্ডের প্রতি আগ্রহ কমেছে বলে মনে হয় না।অতিষ্ট জনগনের সমর্থন সরকারের যে কোন কাজের চাইতে বেশি ইহা সত্য।তারপরেও বলা যায় মানুষ হত্যা করে কি সমস্যার সমাধান করা যায়?সমাধান যদি হত ১৯৯১---২০১৫সময় কি একান্তই কম বলে মনে হয়।এই সময়ের মধ্যে দেশ সর্বক্ষেত্রে বহুগুন এগিয়ে গেলেও আইনশৃংখলা বাহিনি কতৃক মানুষ হত্যা বন্ধ হয়নি।আমি মনে করি সমাজে এই সমস্ত দুষ্ট চক্র সৃষি এবং বংশ বৃদ্ধির জন্য,যেই লোক টি হত্যার স্বিকার হল তার দায় একেবারেই নেই।কারন কেহই মায়ের পেট থেকে জম্ম নিতে সন্ত্রাসী হয়ে জম্ম নেয় না,সন্ত্রাসি তাকে বানানো হয়।এই সমাজ,রাষ্ট্র,ব্যাক্তি,চলমান অসুস্থ্য রাজনীতি,অর্থের অসম বন্টন ব্যবস্থাপনা,পুঁজির প্রতিযোগিতা ইত্যাদি কারনে স্কুল কলেজের মেধাবী ছেলেটি মাস্তান হতে বাধ্য হয়ে যায়। ক)আমাদের সমাজ স্বাধিনতার ৪৫বছর পর ও যেখানে ছিল সেখানেই রয়ে গেছে।গোষ্টি বৈষম্য ,ধনী গরীবের ব্যবধান, ইংরেজদের ফেলে যাওয়া সমাজ যেমন ছিল তেমন রয়ে যাওয়ার কারনে, তরুনদের সমাজ ব্যবস্থার প্রতি ক্ষোবতো কমেইনি,বরঞ্চ বৃদ্ধি পেয়েছে। খ)তরুন বয়সের ধর্মই বেপরোয়া জীবন যাপন।পরিবার বা সমাজ বেপরোয়া ভাবকে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে বিদ্যালয়মুখি না করে,শাস্তির আওতায় নিয়ে আসে।এতে দুই একবার লজ্জার সম্মুখীন হওয়ার পর ছেলেটি অস্বাভাবিক হয়ে যায়।বন্ধু বান্ধবদের বৈরী আচরনে,নিজকে হিরু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে বিপদগামিতার শেষ পয্যায় চলে যায়।তখনি সমাজের একশ্রেনীর শোষক নীজেদের স্বার্থসিদ্ধির কাজে মাস্তান হিসেবে ব্যবহার শুরু করে।হাতে তুলে দেয় অগ্নেয়াস্র।। গ) রাষ্ট্রের নীতি আদর্শ এক্ষেত্রে বেশী দায়ি বলে আমি মনে করি। আমাদের মত উন্নয়নকামী দেশ সমুহে মধ্যস্বত্ব ভোগীর নিয়মনীতি---যথারীতি প্রতিপালিত হয়ে আসছে।এই তৃতীয় ধারাটির উপস্থিতি ব্যতিরেকে কোনকায্য সম্পাদিত হয়না। সমাজের অভ্যন্তরে দুষ্টক্ষতটির কারনে মাস্তানের দৌরাত্ব অপিরিহায্য।মধ্যস্বত্ব শ্রেনীকে আবার রাষ্ট্র যথারীতি পৃষ্টপোষকতা করে থাকে।যেহেতু রাষ্ট্রীয়কাঠামো শোষনের হাতিয়ার হিসেবে তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্টে পরিবর্তন আসেনি,চলতি নিয়মের ব্যত্যায় ঘটানো রাষ্ট্রের সম্ভব নহে।রাষ্ট্র তাঁর চিরায়ত বৈশিষ্ট পরিবর্তনের পদক্ষেপ নিতে গেলেই একশ্রেনীর মানুষের আঁতে গা লাগে।তাঁরা সমাজে তৎক্ষনাৎ অশান্তি সৃষ্টি করে শুভ উদ্যোগ বানচাল করে দিতে ঊঠে পড়ে লেগে যায়। ঘ)সামান্তপ্রথার উচ্ছেদ যদিও আইনগত ভাবে নেয়া হয়,তাঁর অবশিষ্টাংশ সমাজে এখনও বিদ্যমান রয়ে গেছে।আইন টি জমিদার প্রথা উচ্ছেদ এবং প্রজাস্বত্ব কায়েম ছাড়া আর কোন অগ্রগতি সম্পন্ন করতে পারেনি।সুদক্ষ নেতৃত্বের অভাবই ইহার একমাত্র কারন।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যথারীতি পদক্ষেপ নিয়েও বাস্তবায়নের আগেই কায়েমি স্বার্থবাদিদের হাতে স্বপরিবারে নিহত হন।জাতির জনকের উদ্যোগ কিছুটা সময়ক্ষেপনের কারনে ,কায়েমী স্বার্থবাদিরা সংগঠিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।এতে পরিবারের সকলেই প্রান বিসর্জন দিয়ে, সমাজ পরিবর্তনের বিপ্লবের হাতিয়ার রেখে গেছেন আগামী প্রজর্ম্মের ধারক ও বাহকদের কাছে।নীজে পরিবর্তনের ধারা সুচনা করে যেতে পারেননি।ঘুনে ধরা সমাজ ভেঙ্গে নতুন সমাজ গড়ার মত সাহসি নেতৃত্ব সৃষ্টি হওয়া পয্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই। (ঙ)সমাজে চলমান অসম প্রতিযোগিতা,ধনী আরো ধনী হওয়ার নিয়ন্তর প্রচেষ্টা যুব সমাজকে সাংঘাতিক প্রলুব্দ করে বলে আমি মনে করি।সৃজনশীল কাজের উপহার দেয়া যাদের নিকট ন্যস্ত,তাঁরা সর্বদা শোষনের ফিকিরে থাকে।কোন কাজটির প্রকল্প হাতে নিলে মধ্যস্বত্ব ভোগী অংশকে উপঢৌকন দিয়ে নিজেদের ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানো যাবে, সেই চিন্তায় অস্থির সময় কাটে।সৃজনশীল,উৎপাদন মূখী প্রকল্প হাতে নিয়ে সার্বিক বেকার সমস্যার সমাধানের প্রতি তাদের নজর থাকে না।এমত অবস্থায় মানষিক ভাবে বেকার ছেলেটি মা বাবার বোঝা হিসেবে নীজেকে চিন্তা করে। একসময় তাঁকে হতাশায় গ্রাস করে পেলে।গত্যান্তর না দেখে এলাকার বড়ভাইয়ের নিকট ধর্না দিতে বাধ্য হয়। বড় ভাই তাঁর স্বার্থসিদ্ধির মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া না করে কাজে লাগিয়ে দেয়। ইহা একান্তই বিদ্যমান আমাদের রাজনীতির ধারাবাহিকতার ফসল। (চ) আমাদের রাজনীতিতে বিদ্যমান রীতির বাহিরে যাওয়া কার ও পক্ষে সম্ভব নহে।বর্তমান গনতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা পশ্চিমাদের আমদানী করা পেশী শক্তির বহুদলীয় ভোটের গনতন্ত্র।এখানে নির্বাচিত হওয়াটাই প্রধান বিবেচ্য।সংসদে সংখ্যাগরিষ্ট আসন পেতেই হবে।এক রাজনৈতিক দল আর এক রাজনৈতিক দলের উপর প্রভাব বিস্তার করে, শক্তির মহড়ার প্রদর্শন করে একে অপরকে নিস্তেজ করে মসনদ দখল করাই মূখ্য।নীতি নৈতিকতার প্রয়োজনীয়তা আছে বলেই মনে করেনা।প্রত্যেক দলেই গনসংগঠন হিসেবে বিবেচিত।দলে লোক সমাগম প্রধান বিষয়।নীতি নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া বা আদর্শ ধারন করার কোন বিষয় বিদ্যমান নেই বলে, পথভ্রষ্ট লোক ও দল করার সনদ সংগ্রহ করা দুষ্কর নহে।তাই দেখা যায় মুক্তি যুদ্ধের চেতনার বিরুদিতা কারি দলের মধ্যেও বহু মুক্তিযুদ্ধাই রাজনীতির শীর্ষ পয্যায় অবস্থান নিতে।আবার মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদান কারি দলের মধ্যেও বহু রাজাকার শীর্ষ পদে রাজনীতি অবলিলায় করছে।আদর্শ গত দিক বিবেচনা করতে গেলে যাহা কখনও সম্ভব নহে। দেখা যায় রাষ্ট্র, সমাজ,ব্যক্তির সম্মিলীত প্রয়াসের ফসল একজন সন্ত্রাসী।তাঁকে একক ভাবে জীবনহানী করে বাদবাকি সবাইকে খালাস দিয়ে সমস্যার কি সমাধান হবে?এই রুপে যদি সমাধান করা যেত রাষ্ট্রের অন্যসব বিষয় বিস্ময়কর উন্নতি হলেও, এই বিচার বর্হিভুত হত্যার ভুক্তিভুগিদের মধ্যে সামান্যতম উন্নতি কি সাধিত হল? তাঁদের ব্যবহার করে অর্থবিত্তের মালিক হব,ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে যাব,সমালোচনার মুখে তাঁদেরই বলি দেব?যারা এই অসৎ ব্যাক্তিদের সমালোচনা করে বিচার বর্হিভুত হত্যায় উস্কানি দিল,তাঁদের স্বার্থে যখন ঐ সন্ত্রাসীকে ব্যবহার করে, তখন তা কি জায়েজ হয়? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে তাঁর অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মিরা পথে ঘাটে বেওয়ারীশ লাশ হবে তাও কি সম্ভব!দেশের আইন কি অচল হয়ে গেল?যদি অচল হয়ে যায় সবাইকে নিয়ে তা কি সচল করার কোন উপায় নেই?।ভুক্তভুগি দুই দলইতো ক্ষমতায় আসে আর যায়,দুই দলের কর্মিরাইতো হত্যার শিকার হয়,তাঁরপর ও কেন ঐক্যমতে আসতে পারবেনা?আমাদের রক্তের উপর পা দিয়ে ক্ষমতায় যাবেন,আবার আমাদের রক্তের হুলিখেলে ক্ষমতার মসনদ পাকাপুক্ত করবেন,ইহাই কি অধম রাজনীতির চালিকাশক্তি হত্যার শিকার যুবকের নিয়তি? আর কোন যুবকের প্রান সংহার না করে উল্লেখিত কাঠামো পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহন করুন,তাই যদি না হয় যে বড় ভাইয়ের কারনে মাস্তান হলাম ,তাঁকে নিদেনপক্ষে দল থেকে বহিস্কার করুন,দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহন করে প্রমান করুন,আপনারা সন্ত্রাস,চাঁদাবাজি,টেন্ডারবাজী চান না। জনগন বুঝতে পারবে সন্ত্রাস দমনে আপনাদের সদিচ্ছা যথেষ্ট আছে। একদিকে শহিদ পরিবারের সন্তান হাতকড়া পড়ে কোর্টে যাবে,আর এক দিকে যুব লীগ,ছাত্রলীগ বেওয়ারিশ লাশ হবে তা চলতে দেয়া যায় না।সরকারের অভ্যন্তরে কোন দুষ্ট চক্র এহেন কর্মে জড়িত তা চির্হিত করার এখনি সময়। দলের অভ্যন্তরীন কোন্দলে মারা যাবে উদিয়মান তরুন নেতারা,তথাকথিত ক্রসফায়ারে যাবে দলের প্রেসার গ্রুপের অন্যতম সদস্যরা,বুদ্ধিজীবিরা যাবে দলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মোস্তাকের বংশের ষড়যন্ত্রে। রাজনীতি করবে কে? অথবা প্রত্যেক ইউনিটে দলের আদর্শ উদ্দেশ্য সম্বলীত বিষয়ে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করে আদর্শবান চারিত্রিক বৈশিষ্ট সম্পন্ন নেতৃত্ব গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহন করা হোক,আর চাইনা ভাইয়ের রক্তের হলিখেলা।আর চাইনা পেশী শক্তির মহড়া,আর চাইনা বড়নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতা,আর চাইনা অধিপত্য বিস্তারের রাজনীতির বিকাশ। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

    গনতন্ত্রের বিতর্ক এবং বাংলা দেশ। ==========================    বর্তমান সময়ে দেশে অনেকেই গনতন্ত্র নিয়ে আশংকা প্রকাশ করতে দেখা যায়।কেউ মনে করে দেশে গনতন্ত্র নেই,কেউ মনে করে গনতন্ত্রের মধ্যেই আছি।সরকারের বিরুধিতা কারিরা সকলেই একবাক্যে বলেন,কোন গনতন্ত্রই নেই,যাহা আছে তা স্বৈরাচারের নামান্তর।সরকারের সমর্থকদের ধারনা প্রকৃত গনতন্ত্রের স্বাধ জনগন এই সরকারের সম্যে উপভোগ করছে।গনতন্ত্রের বিতর্ক দেশটির উষালগ্ন তেকে বিরাজমান।এই বিতর্ক সমাপ্তির লক্ষন আদৌ কোন সময়ে হবে কিনা তা ভবিতব্যই জানে।বিরুধিদলের যাহা মন চায় তাহা করার জন্য না দিলেই বলা হয় গনতন্ত্র নেই।আসলে গনতন্ত্র কি তাই?গনতন্ত্রের কি সীমারেখা নেই?সীমারেখা নেই এমন কোন তত্ব কি বেশী দিন স্থায়ী হয়। পৃথিবীতে আবিস্কৃত,প্রকৃতির সৃষ্ট,এমন কিছু কি আছে, যাহার প্রান্ত সীমা নেই।গনতন্ত্রের ও প্রান্তসীমা আছে,প্রচলিত আইনের দ্বারা উক্ত প্রান্ত সীমা নির্ধারন করা সংবিধানেই পরিলক্ষন করা যায়। গনতন্ত্র কি?গনতন্ত্র বলতে আমরা কি বুঝি? বাংলাদেশে কি গনতন্ত্র আছে? গনতন্ত্রের সংজ্ঞাটা কি? ইত্যকার নানাহ প্রশ্ন আমাদের মনে নিত্যদোলা দিয়ে যায়।প্রশ্ন জাগাটা স্বাভাবিক।   আমি যতটুকু মনে করি,এবং যাহা স্বিকৃত হিসেবে প্রচলিত,বাকস্বাধিনতা,সংগঠন করার অধিকার,সভাসমাবেশ করার অধিকার,সবোপরি ভোটাধিকারকেই সাধারন অথে আমরা গনতন্ত্র হিসাবে ধরে নিতে পারি।     বিস্তারীত আলোচনায় যাওয়ার আগে আমি গনতন্ত্রের কেন্দ্রিকতা সম্পকে সামান্য আলোকপাত করতে চাই।গন তান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা হচ্ছে মূলতঃ গনতন্ত্রের সুফল পাওয়ার একটা কায্যকর উপায়। যেমন দশজন লোক যে কোন একটি বিষয়ের উপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।দশ জন সেখানে একমত নাও হতে পারে।ছয় জন একপক্ষে মত ব্যক্ত করলে,চারজন দ্বিমত পোষন করলো।এখানে ছয়জনের মতকেই গ্রহন করতে হবে।আমরা ইহাকে বলি গনতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বা অভিমত।বাকি চার জন নিদ্ধিদায় ছয় জনের মতের সাথে একমত হওয়াকেই গনতান্ত্রিক কেদ্রিকতা বলে।অন্যভাবে সিদ্ধান্ত মেনে নেয়াকে গনতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা বলে।    বতমান বিশ্বে গনতন্ত্র হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচা লনার একমাত্র স্বিকৃত উপায়।যেসমস্ত দেশকে আমরা গনতন্ত্রের আবাসভুমি বা গনতন্ত্রের সুতিকাগার বা গনতান্ত্রিক দেশ হিসেবে চিনি ও জানি তম্মধ্যে ভারত ও বৃটেনের নাম সবার আগে আসে-সবার মুখে।সেই সমস্ত দেশের গনতান্ত্রিক সিষ্টেম গুলির দিকে আমরা যদি চোখ ফিরাই দেখতে পাই,নিম্নে থেকে উদ্ধস্তর পয্যন্ত সেখানে নিবাচনি ব্যবস্থা সুদৃড়। সময়ে নিবাচন হচ্ছে, ক্ষমতার রদবদল হচ্ছে।ব্যত্যায় ঘটে তবে তা কদাচিত।   এবার গনতন্ত্রের বধ্যভুমির সাথে আমা দের বাংলাদেশের মিল অমিল খুজে দেখি?বাংলাদেশেও নিম্নে স্থানীয় ইউনি য়ন পরিষদ থেকে শুরু করে উদ্ধে সংসদ নিবাচন পয্যন্ত যথারীতি নিবাচনী ব্যবস্থা বহাল আছে।নিয়ম অনুযায়ী নিদিষ্ট সম য়ান্তে নিবাচন যথারীতি সকল নিয়ম অনুসরন করে অনুষ্টিত হচ্ছে।আর এক ধাপ এগিয়ে বলা যায়,পাড়ার ক্লাব থেকে শুরু করে হাটবাজার কমিটির নিবাচন ,টেক্সি টেম্পু থেকে সবোচ্ছ বিচারালয় পয্যন্ত একটি ক্ষেত্র ও পাওয়া যাবে না    যেখানে নিবাচনী ব্যবস্থা সচল নেই।  তাহলে গনতন্ত্র নেই এ কথাটা যারা বলেন তারা কি আদৌ সত্য বলেন? গন তন্ত্র কি আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়া?    গনতন্ত্র এমন একটি সিষ্টেম,যে সিষ্টেম প্রতিনিয়ত চচা করার বিষয়।ভারত এবং গ্রেটবৃটেন গনতন্ত্র কায়েম হয়ে গেছে এই কথাটা ঘুনাক্ষরেও বলে না।তারাও বলে গনতন্ত্রের চচায় নিজেদের নিবিষ্টরেখেছে। গনতন্ত্র মু্লত বহাল করার কোন বিষয় নয়।উহা একান্তই চচার বিষয়।   গনতন্ত্রকে সুচারু রুপে প্রতি পালন করতে হলে দেশের অভ্যন্তরে যে সমস্ত গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান আছে, সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের অগ্রনি ভুমিকা পালন একটি জরুরী বিষয় বটে।একতরফা গনতান্ত্রিক চচা বা গনতন্ত্রের প্রতিপালন সম্ভব হয় না।  যেমন আমাদের দেশের প্রধান দু'টি দল যদি মিলিত ভাবে গনতন্ত্রের ধারাবা হিকতায় সামিল না হয় তাহলে একটি  দলের পক্ষে শতভাগ গনতান্ত্রিক ভাবে , গনতন্ত্রের সংজ্ঞা যথারীতি অনুসরন করা কোন মতেই সম্ভব নয়।    পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, বৃহৎ দু'টি দলের মধ্যে একটি দল সামরিক চাউনিতে জম্মের কারনে গনতন্ত্রের চচা দলের মধ্যে ওনেই, জাতীয় রাজনীতিতেও গনতান্ত্রিক চচার শুন্যতার সৃষ্টি করে রেখেছেন।মুলত দলটির মধ্যে গনতন্ত্র চচার জন্য নিয়মা তান্ত্রিক রাজনীতির চচা করার যে অবশ্যিকতা বা পুর্বশর্ত তাও তারা বিশ্বাস করে কিনা সন্দেহ্।     যদি দলটি নিয়মাতান্ত্রিক রাজনীতির চচাই করতো তাহলে লাগাতার সন্ত্রাস, নৈরাজ্য,সম্পদহানি,মানুষ জীবন্ত দগ্ধ করার মত কোন রাজনৈতিক কমসুচি দিতনা।গনতন্ত্র লালন কারী কোন দল সন্ত্রাস নৈরাজ্যে বিশ্বাস করে না করতে পারে না।    প্রশ্ন আসতে পারে বতমান সরকারের অধিকাংশ সদস্য বিনা ভোটে নিবাচিত। কি ভাবে গনতন্ত্র রক্ষিত হলো?এখানে একটা বিষয় আমাদের পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন।যথারীতি সকল নিয়ম প্রতিপালন করে ভোট অনুষ্ঠিত হলো কিনা? প্রচলিত সকল নিয়ম মেনে যদি নিবাচনের প্রক্রিয়ায় কোন প্রতিপক্ষ না থাকে সংবিধান অনুযায়ি ওই ব্যক্তি নিবাচিত বলে গন্য হবে।ইহার ব্যতিক্রম যদি হয় তাহলে, ওই ব্যাক্তির নাগরীক অধিকার ক্ষুন্ন হবে।সুতারাং এই খানে আইনের কোন ব্যত্যায় ঘটানোর সুযোগ সংবিধান রাষ্ট্র কে দেয়নি।    বিশ দলীয় জোট নিবাচনে কেন এলনা তা নিয়ে ভিন্নভাবে আলোচনা হতে পারে।এলেই বা ফল কি হত তাও আমার আলোচ্য বিষয় নয়। আমার আলোচ্য বিষয় হলো গনতন্ত্র বাংলাদেশে আছে কি নেই সেই বিষয়।আমার উপসংহার হচ্ছে, বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় বাংলা দেশের বতমান গনতন্ত্রের চর্চা অনুসরন যোগ্য।তৃতীয় বিশ্বের যে কোন দেশের অনুকরনীয় হতে পারে বাংলাদেশ।   জয়বাংলা      জয়বংগবন্ধু জয়তু দেশনেত্রী শেখহাসিনা। জয় হোক গনতন্ত্রের।