পোস্টগুলি

মে, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
ছবি

চক্রান্তের বেড়াজালে বাংলাদেশ সরকার--মুল লক্ষ সজিব ওয়াজেদ (জয়)------ ___________________________________________ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। সরকার প্রধান জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। সরকার প্রধানের অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক অবৈতনিক উপদেষ্টা হচ্ছেন তাঁরই একমাত্র পুত্র আই সি টি বিশেষজ্ঞ জনাব সজীব ওয়াজেদ (জয়)। তিনি ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন কিনা এখনও জনসমক্ষে কিছুই বলেননি, তাঁর 'মা' মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'তিনি পুত্রকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন,তাঁর পেশা বেচে নেয়ার যথেষ্ট জ্ঞান আছে,সুতারাং সে কি করবে-তাঁর নিজস্ব ব্যাপার।তবে আমি নীজেও তাঁর নিকট থেকে অনেক কিছুই শিখছি।' সুহৃদ পাঠকবৃন্দ, অতীতের হাজারো মিথ্যে ষড়যন্ত্রের ন্যায় গত ১৫ দিনের ব্যবধানে দুইটি ষড়যন্ত্র সর্বমহলে, আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ, দেশ বিদেশের সচেতন মহলের বিবেকে নাড়া দিয়েছে। (এক) বেগম খালেদা জিয়া এক অনুষ্ঠানে বলেছেন,' জয়ের একাউন্টে আমেরিকার ব্যাংকে বাংলাদেশ থেকে লুট করা আড়াই হাজার কোটি টাকা জমা আছে'। (দুই) ইজরাইলের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের মুখপাত্র সাফাদির সাথে ধৃত আসলামের আগে সাক্ষাৎ ঘটেছিল নিউইয়র্কে সজিব সাহেবের অফিস কক্ষে। উল্লেখিত দুটি ঘটনার প্রেক্ষাপট রচিত হয় জয়কে হত্যা প্রচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১১ ইং সালে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বাংলাদেশী বংশদ্ভোত একজন সহ বিদেশে কয়জন ব্যাক্তির সাজা হওয়ার পর। ঐ মামলার শুনানীতে বাংলাদেশে অবস্থানরত: একজন সাংবাদিক এবং এক জন পত্রিকা সম্পাদকের নাম উঠে আসে।বাংলাদেশে জড়িত সাংবাদিক শফিক রেহমানকে সরকার আইনের আওতায় নিয়ে আসে।, কারাগারে আগে থেকে আটক আমার দেশ সম্পাদক সাহেবকেও অত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।অত্র মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার প্রথমিক চেষ্টার ফসল "জয়ের একাউন্টে গচ্ছিত বাংলাদেশের লুটের টাকা।"যাহা বাংলাদেশের সাবেক আড়াইবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কতৃক উত্থাপিত হয়েছে। দ্বিতীয় ঘটনাটি প্রকাশ পায়--বিএনপি দলের নতুন সংযোজিত অচেনা অজানা ব্যবসায়ী আসলাম চৌধুরীর ইজরাইলের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রতিনীধি সাফাদির সাথে একাধিক বৈঠকের সচিত্র প্রতিবেদন পত্রিকায় প্রকাশের পর। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে উক্ত ইহুদী রাষ্ট্রের সাথে কোন প্রকার কুটনৈতিক,ব্যবসায়িক সম্পর্ক নাই বিধায় আসলামকে আইনের আওতায় আনায়ন করেছে সরকার। গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে যা প্রকাশ করেছেন আসলাম,' তাতে প্রত্যেক সচেতন নাগরিক উদ্ভিগ্ন না হয়ে পারেন না।' সুহৃদ পাঠক বন্ধুগন, এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করে রাখতে চাই,' গ্রপ্তার ও রিমান্ডের পর দুই ঘটনার দুই ব্যাক্তিই জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন এবং আরও অনেকের জড়িত থাকার ব্যাপারেও সুস্পষ্ট ধারনা দিয়েছেন বাংলাদেশী গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে।' পাঠকবর্গ লক্ষ করুন, ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে সজিব ওয়াজেদ জয় নেই, আগামীতে আসবেন-তাঁর আবাস ইঙ্গিতও দেননি। সরকারের বিরুদ্ধে এবং সরকার প্রধানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার না করে কুচক্রিমহল জাতির জনকের দৌহিত্রের বিরুদ্ধে কেন হঠাৎ একের পর এক ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তারে মরিয়া? সুপ্রীয় পাঠক,৭২-৭৫ ইং সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কোন অপ-প্রচার হয়নি,যা হয়েছে শেখ কামাল এবং শেখ মনির বিরুদ্ধে। দুইজনই ছিলেন জাতির জনকের পরিবারের উজ্বল নক্ষত্র। দুইজনের চরিত্র হনন করা হয়েছে উলঙ্গচিত্তে।আওয়ামী লীগের নেতারা তখন নাকে তৈল দিয়ে অপ-প্রচারের রসালো কাহিনী শুনেছেন আর হাসাহাসি করেছেন।ভিত্তিহীন খবর নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন আছে বলেই মনে করেননি।ফলত: মুখরোচক আলোচনা মানুষের মনে দিব্যি সত্যি হয়ে অন্তরে গেথে গেছে পয্যায়ক্রমে। বর্তমানেও শেখ হাসিনার সরকার এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উল্লেখীত ষড়যন্ত্র না করে- কুচক্রিমহল জাতির জনকের পরিবারের জৈষ্ঠকন্যা বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রীর একমাত্র সুশিক্ষিত পুত্র জনাব জয়ের বিরুদ্ধেই একে একে ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে যাচ্ছে। প্রকাশিত ষড়যন্ত্রের দিকগুলো নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ শেষে দেখা যায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন আবার নতুন করে আলোড়িত হচ্ছে। কারণ গোয়েন্দা সংস্থার কল্যাণে পত্র-পত্রিকায় কিছুদিন আগে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, বাংলাদেশের সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রে আসলাম চৌধুরী নামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের এক নেতা ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের একজন সাবেক এজেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের রূপরেখা রূপায়িত হয়েছে এ সংবাদও গোপন নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গোয়েন্দা সংস্থার উল্লেখ দিয়ে আরো জানিয়েছেন- কেবল জাতীয়তা বাদী দল নয়, অপর কয়েকটি দলের নামও জড়িয়ে গেছে এই সুগভীর চক্রান্তের রূপায়ণকারী হিসেবে। উল্লেখিত ষড়যন্ত্রকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে নিয়মাতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম বাদ দিয়ে একক ভাবে সজিব ওয়াজেদ জয় এবং বর্তমান সরকারকে অগনতান্ত্রিকভাবে উৎখাতের দুইটি কারন থাকতে পারে--- (১) বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে, বিগত দিনের লুটপাটের ইতিহাস, আগুন সন্ত্রাসের ইতিহাস, ষড়যন্ত্রের ইতিহাস নিয়ে খমতায় যাওয়ার স্বপ্ন পুরন না হওয়ার আশংকা। (২) শেখ হাসিনার অবর্তমানে সজিব ওয়াজেদ জয়ের আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার সমুহ সম্ভাবনা। খালেদা জিয়ার অবর্তমানে যেহেতু তারেকের বিএনপি দলের নেতৃত্ব পাওয়ার নিশ্চয়তা ইতিমধ্যে স্থীর হয়েছে সুতারাং তাঁর ইমেজ সংকট দুরিভূত করার নিমিত্তে জয়ের ইমেজে কালিমালিপ্ত করার অপকৌশল প্রয়োগ। সুপ্রীয় বন্ধুগন, এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই--মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই এদেশের বুদ্ধিজীবি সমাজ তাদের লেখনিতে, আলোচনায়, সেমিনারে বিদেশী রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে বেড়ান।বিদেশী রাষ্ট্র সমুহের ষড়যন্ত্র অবশ্যই আছে,তবে তাঁদের স্বার্থ রক্ষার স্বার্থে। তাঁরা সহায়ক শক্তি হিসেবে সহযোগিতা করেন, আশ্রয়- প্রশ্রয় দেন কিন্তু এদেশীয় ষড়যন্ত্রকারিরাই মুল কাজটি ঘটান।এ দেশীয় ষড়যন্ত্রকারীদের কথা আমাদের বুদ্ধিজীবি সমাজ মুখে আনেন না। যেন ভাঁসুরের নাম মুখে নেয়া যায়না, তবে কেহ কেহ আচার আচরনে, ইঙ্গিতে ঈশারায় বলতে চেষ্টা করেন।স্পষ্ট ভাষায় ষড়যন্ত্রকারীদের তথ্য তাঁদের আলোচনায় আসলে হয়তোবা অনেক হত্যা, হত্যা প্রচেষ্টা থেকে দেশের অনেক প্রথিতযষা লেখক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবি, রাজনীতিক রক্ষা পেতেন।বিদেশীদের সাথে সম্পর্ক যারা তৈরী করেন, এদেশে প্রগতিমনাদের হত্যা করতে, প্রগতিশীল রাজনীতিবীদদের হত্যা করতে- তারা মঙ্গল গ্রহের মানুষ নন, তাঁরা বাংলাদেশেরই অধিবাসি। উল্লেখিত ষড়যন্ত্র প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জনাব সজিব ওয়াজেদ জয় তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে পালটা চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন প্রমানের জন্য।এরই মধ্যে মিডিয়া ষড়যন্ত্রের উৎসস্থল আবিস্কার করে পত্র পত্রিকায় প্রমান সহ উল্লেখ করেছেন। মুল ষড়যন্ত্রকারী খালেদা জিয়া, তারেক গং ফুঁটা বেলুনের মত চুপসে গেছেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী একপয্যায় খালেদার প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন জয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য। ইতিমধ্যে অপ-প্রচারের লক্ষন লক্ষ করলে একটা বিষয় পরিস্কার ধারনা পাওয়া যায়-তাঁরা মুলত সত্যতা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য উল্লেখিত ষড়যন্ত্রগুলী করেন না। জনমানসে তাঁদের ধারনা প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই অপপ্রচারের ডালা মেলে দেন।দীর্ঘ শাষনে তাঁদের যে প্রেতাত্বার ছায়া স্থাপন করতে পেরেছেন- তাঁদের মানসিক যন্ত্রনা লাঘবের নিমিত্তেই অপ-প্রচার গুলী নিত্য বাজারে গুজবকারে প্রকাশ করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে হাজারো ষড়যন্ত্র হয়েছে।হাজার হাজার প্রগতিশীল মানুষ জীবন দিয়েছে।পক্ষান্তরে সাম্প্রদায়িক শক্তির উৎসস্থল সম্পর্কে সকলেরই কমবেশী জানা আছে,কিন্তু তাঁদের উৎসস্থলে একটি বোমার আঘাতও কোন দিন পড়েছে কেউ বলতে পারবেনা।একজন সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতিভু প্রগতিশীল সংগঠনের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে- এমন নজীর নেই। খালেদা জিয়ার জনসভায় একটি বোমা ফুটেছে চরম শত্রুও স্বাক্ষী দিতে পারবেনা। আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই-এদেশীয় অশুভ চক্রের বিদেশী রাষ্ট্র সমুহের সাথে সম্পর্কসূত্রের কারণেই সত্তরের দশকে সপরিবারে জাতির জনককে গণতান্ত্রিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার শুভস্বপ্ন অপূর্ণ রেখে নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডে নিহত হতে হয়েছে। প্রাণ দিতে হয়েছে সুরক্ষিত জেলখানার অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক বাহক জাতীয় চার নেতাকে। ইদানীং এসব ষড়যন্ত্রের সাগরে বহতা নদীর স্রোতের মতোই যুক্ত হয়েছে হরেক প্রকার স্বার্থান্বেষী মানুষের উদ্দেশ্য আর অভিপ্রায়। কারণ দেশের সর্বস্তরেই কিছু মানুষের নৈতিক অধঃপতন এতটাই তীব্র হয়েছে যে, নাগরিক হিসেবে দায়িত্ববোধ কিংবা কর্তব্য পালনের কোনো তাগিদই তাদের মধ্যে অবশিষ্ট নেই। বাংলাদেশের বড় দুর্ভাগ্য, এদেশে অসাম্প্রদায়িক গণতন্ত্রমনা সম্প্রদায়ের অবস্থান থাকা সত্ত্বেও অগণতান্ত্রিক সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তিগুলো দীর্ঘকাল গায়ের জোরে,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে,হত্যার মাধ্যমে জয়ের মুকুট মাথায় পরেছে। মিথ্যা, কুপন্ডতার অলীক গল্প শুনিয়ে জনতার মনের অধীশ্বর হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তগত করেছে। রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রেই তার অশুভ শক্তির বিস্তার ঘটিয়েছে। অশুভ শক্তি ক্ষমতার বিস্তার ঘটিয়ে অধিকাংশ মানুষের মনে এমন এক অপরিচ্ছন্ন, অসুস্থ মানসিকতা সৃষ্টি করেছে যা থেকে সহজে উত্তরন হয়তোবা অচিরেই সম্ভব নয়। তারই ফল দেখা যায় আসলাম চৌধুরীর ষড়যন্ত্রের খবর নিয়ে যখন টেলিভিশন চ্যানেলে আলাপ আলোচনার ঝড় ঊঠে, তখনো বহু শিক্ষিত জনের মুখেই কোমল কণ্ঠে উচ্চারিত হয়- আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে ওই গোয়েন্দা ব্যক্তির সাক্ষাৎ হয়েছে তো ভারতের মাটিতে বসে। ভারত কি ইসরায়েলকে বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটাতে দিবে?তাও আবার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে? খোদ বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখেও শুনা গেছে এমন বাক্য। তাদের ধারনার ধরনখানা এমন, যেন পুরো ভারতবাসী এবং ভারত সরকার জানেন, সেই দেশের গোপন কোন এক প্রান্তে বসে বাংলাদেশের কুচক্রিমহল, চক্রান্তকারীরা- নিজ দেশের সরকার উৎখাতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন! ঠিক এই ধরনের সমাজতাত্বিক এবং মনস্তাত্বিক কারণেই দেশের বরেণ্য প্রবীণ সাংবাদিকও নিজ দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে বিদেশের মাটিতে বসে জঘন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে দ্বিধাগ্রস্ত হন না! নারায়ণগঞ্জে শ্রদ্ধেয় প্রধান শিক্ষক শ্যামলবাবুর বিরুদ্ধে পবিত্র ধর্ম অবমাননার মিথ্যে অজুহাতে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাঁকে উন্মত্ত জনতার হাতে তুলে দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়। একুশে আগস্ট ভয়ঙ্কর গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয় বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনার বিশাল সমাবেশে।একই মানসিকতা থেকেই মন্দিরের পুরোহিতের গলা কাটা হয়! অসাম্প্রদায়িক বৌদ্ধ ভিক্ষুকে জবাই হতে হয় অকারণ নিষ্ঠুরতায়! খ্রিস্টানের গির্জায় বিশাল আকারের বোমা ফাটে! জজ মিয়ার নাটক তৈরি হয়। নিরীহ তরুণ পার্থ সাহাকে--পুলিশি নির্যাতনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা দেহমনে ধারণ করে হতে হয় স্বদেশছাড়া। সংখ্যালঘু উৎপাটনের নিরন্তর চেষ্টা চলে-- সমাজের, রাষ্ট্রের অনুকুল্যে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক বাহকদের লুলোপ দৃষ্টি থেকে রক্ষা পায়না সংখ্যা লুঘুদের বাড়ীঘর,জায়গা জমি।অসাম্প্রদায়িক ছাত্র সংগঠনের কিরিচের কোপে ক্ষতবিক্ষত হয় সংখ্যালুঘুর যুবকের দেহ। মুক্তমনা, প্রগতিমনা, কবি সাহিত্যিক, রাজনীতির মানুষগুলোর হত্যাকাণ্ড ঘটে অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়। সুপ্রীয় বন্ধুরা, উল্লেখীত ষড়যন্ত্র সর্বতো মিথ্যা প্রমানীত হওয়ার পরও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তাঁর অঙ্গ সংগঠন সমুহ নির্বিকার।দেশের কোথাও রাজনৈতিক কোন কর্মসুচি নেই,প্রতিরোধের কোন লক্ষন নেই।আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মাঝেমধ্যে বিবৃতি দেয়া ছাড়া কায্যত আর কোন প্রতিরোধের লক্ষন নেই।কিন্তু কেন? রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার পদক্ষেপ নিচ্ছেনা কেন আওয়ামী লীগ? যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে মি:ত্রাম্পকে সভাসমাবেশ করতে দিচ্ছেনা সে দেশের জনগন তাঁর অসংলগ্ন বক্তব্যের কারনে।বাংলাদেশে কি এত ষড়যন্ত্রের পরেও তদ্রুপ কোন ব্যবস্থা নেয়া যায়না? অবশ্যই যায়। প্রতিরোধ করা গনতন্ত্রের অংশ, গনতন্ত্রের সংজ্ঞার মধ্যেই প্রতিরোধের মর্মবানী নিহিত। এই বিষয়ে দুইটি কারন অনুধাবন করা যেতে পারে-- (১) রাজনৈতিক কর্মসুচিতে না গিয়ে রাজনৈতিক পরিবেশ বর্তমানের সংঘাতহীন রেখে দেশকে উন্নতির শীখরে নিয়ে যাওয়া। (২) রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রের মুল উৎপাটন করা। আমরা জানি, জাতির জনকের কন্যা প্রধান অশুভ শক্তি জামায়াতে ইসলামীর সাথে লড়াইরত: রয়েছেন। ইতিমধ্যে সর্ব উচ্চ দলীয় ঝুঁকিকে জিম্মি করে লড়াইতে জেতার দ্বারপ্রান্তে উপনীত। বৃহৎ সন্ত্রাসী শক্তির বিনাসের পর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অশুভ শক্তির পতন অনিবায্য ধরে নিয়েছেন জাতির জনকের কন্যা। ইতিমধ্যে ষড়যন্ত্রের গর্ভে জম্ম নেয়া বিএনপির বিরুদ্ধে লড়াই করার সরঞ্জাম প্রস্তুতি পর্ব সমাপন করে লস্কর নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন।সুতাররাং কৌশলেই যদি কপোকাত করা যায়, হানাহানির প্রয়োজনীয়তা কি? 'জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

ছবি

আওয়ামীলীগ --সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতির জোয়ারে গ্রামীন সড়কের কথা বেমালুম ভুলেই গেছে। ________________________________________ সড়ক, মহাসড়ক,আঞ্চলিক সড়ক, আন্তজেলা সড়ক, উপজেলা সংযোগ সড়ক সমুহ যথারীতি সরকার যথাসময়ে সংস্কার, বদ্ধিতকরন করছে অস্বীকার করার উপায় নেই।মহাসড়ক গুলী প্রত্যেকটি চারলেনে উন্নিত করন করা হবে মাননীয় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন।ঢাকা চট্রগ্রাম সহ বেশ কয়েকটি মহাসড়ক ইতিমধ্যে চার লেনে উন্নিত করা হয়েছে ইহাও সত্য।দেশ এগিয়ে যাচ্ছে-দেশ বিদেশের সকলেই স্বীকার করছেন। অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গকরে বড় বড় প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় সড়ক বদ্ধিতকরন, ওভারব্রীজ ইত্যাদি সবই হচ্ছে।অনেক প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হয়েছে যে সমস্ত প্রজেক্ট উন্নত বিশ্বেও কদাচিৎ চোখে পড়ে।তার পরেও যেন কোথায় উন্নয়নের ঘাটতি আছে মনে হচ্ছে। এই সমস্ত উন্নয়ন অগ্রগতি সাধারন মানুষের তেমন প্রয়োজনে আসবেনা। কি হচ্ছে, কেন হচ্ছে, ভবিষ্যতে কি ফলাফল দিবে চিন্তা করার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেনা। মধ্যম আয়ের দেশ কি,উন্নত বিশ্ব কি গ্রামের মানুষের চিন্তা করার দরকার মনে করেনা। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে সাফল্যের জন্য জাতিসংঘ কি পুরস্কারে ভুষিত করছে কেউ ভুলেও নজর দেয়ার দরকার মনে করেনা।কে কার জন্য ষড়যন্ত্র করছে, কে কাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ইজরাইলের সাথে চুক্তি করছে গ্রামের মানুষ শুনতে চায়না। গ্রামের মানুষ চায় তাঁদের তিনবেলা খাদ্য, চলার জন্য রাস্তা, সারাদিন ক্ষেতে খামারে কাজ করে রাতে একটু নিরবচ্ছিন্ন ঘুম। চোর, ডাকাতের উপদ্রবহীন গ্রামের শান্তি শৃংখলা। প্রত্যহ তাঁদের কাজ করার জন্যপরিবেশ। দলীয় রেশারেসি মুক্ত সমাজব্যবস্থায় সুখে শান্তিতে দিনাতিপাত। বর্তমান সরকার এই সমস্ত দিক সব গুলিই নিরাপদ ভাবেই নিশ্চিত করেছেন।খাদ্যের মোটেও অভাব গ্রামে নেই।ওএমএস এর মাধ্যমে সরকার খোলাবাজারে চাল বিক্রির পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু মানুষ সেখান থেকে চাল কিনছেনা। ১৬টাকা দরে চাল কেনার প্রয়োজন আছে গ্রামের মানুষ মনে করেনা।সারা জেলা তন্ন তন্ন করে আমি ব্যাক্তি উদ্যোগে খবর নিয়েছি, সারা জেলা সফর করে দেখেছি কোথাও খোলা বাজারের চাল কিনতে মানুষ আসেনি। অগত্যা ডিলারগন চার/পাঁচ বস্তা করে গরুর ফার্ম, হাস মুরগির ফার্ম ওয়ালাদের নিকট বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে।তাঁরা চালের জাউ করে গাভীকে খাওয়ানোর জন্য নিয়ে গেছে। কয়েকজন ডিলারের সাথে কথা বলে জানা গেছে দীর্ঘদিন গুদামজাত থাকার কারনে চালে কিছুটা গন্ধ আছে,তাই নীজেরা বাজার থেকে ৩০/৩২ টাকায় চাল কিনে খায় সরকারের চাল খায়না।৩৫/৪০ টাকায় চিকন চাল পাওয়া যায় এইগুলি নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনা। একটা ডিলারের নিকট একজন লোকও আসেনি পাঁচ কেজি চাল নেয়ার জন্য, ইহাই সত্য ইহাই বাস্তবতা।অর্থাৎ গ্রামে কোন অভাব নেই, একদিনের বেতনে১৫/১৬কেজি চাল কেনা যায়, সুতারাং অভাব থাকবে কেন? তাঁর পরেও যেন কিছুটা অভাব গ্রামের মানুষকে তাড়িয়ে ভেড়াচ্ছে- তা হচ্ছে তাঁদের গ্রামীন সড়কগুলী।সবার জানা আছে গ্রামে লোক বসতি আগের তুলনায় অনেকবেশি। রাস্তার পাশে বাড়িঘর হয়ে গেছে।পানি নিস্কাষনের কোন ব্যবস্থা বাড়ী ওয়ালা করেনি।ফলত রাস্তার উপর পানি জমে পাঁকা রাস্তা খানাখন্দে একাকার, কাঁচা হলেতো চলাচলের অনুপযোগি,ধান চাষ করা যাবে রাস্তার উপর। ৬৮হাজার গ্রাম অধ্যুষিত আমাদের বাংলাদেশ। এলজিইডি এর মাধ্যমে সরকার সড়ক গুলী করে থাকেন। এখানে স্থানীয় সরকারের যোগসাজস আছে বলে স্থানীয় অপেশাদার ছাত্র যুবকেরা বেশিরভাগ রাস্তার কাজ গুলী করে থাকেন।নতুন এবং অভিজ্ঞতার অভাবে কাজ শেষ করার আগেই গর্ত পড়া শুরু হয়ে যায়। সদাশয় সরকার বড় বড় উন্নয়ন কাজের প্রতি মনযোগী হওয়ার কারনে গ্রামীন সড়কের প্রতি তেমন নজর দিতে পারছেন বলে মনে হয়না।বাজেট বরাদ্ধ ঠিকই থাকে কিন্তু বছরান্তে সিংহভাগ টাকা ফেরৎ চলে যায়, ইহাও সত্য। সারা বাংলাদেশের গ্রামগুলী সফর করে দেখলে একটি চিত্রই ভেসে উঠবে -সব সড়ক গুলীই চলাচল অনুপযোগী। জুনমাস চলে এসেছে, জেলা পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদ তড়িগড়ি কিছু কাজ করানোর চেষ্টা করবেন। তড়িগড়ি করতে গিয়ে সরকারি টাকার শ্রাদ্ধই করবেন কাজের কাজ কিছুই হবেনা।এলজিইডি সারা বছর নাকে তৈল দিয়ে ঘুমায়-জুন মাস আসলেই তাঁদের ঘুম ভাঙ্গে,তড়িগড়ি কিছু ছেলেপেলেকে ডেকে টাকা দিয়ে কিছু কাজ করানোর চেষ্টা করবে।গ্রামীন রাস্তাগুলী যেমন ছিল তেমনি থাকবে,কাগজে কলমে টাকা হজম হয়ে যাবে। সদাশয় সরকারের প্রতি আবেদন থাকবে গ্রামীন সড়ক গুলী সংস্কার করার উদ্যোগ গ্রহন করুন।বর্ষার আগে আগে যদি সংস্কার করা না হয় প্রত্যেকটি সড়ক গ্রামের মানুষের দু:খ্য বয়ে আনবে।গ্রামীন সড়ক সংস্কারের সাথে ড্রেনেজ ব্যবস্থার বরাদ্ধ রেখেই করতে হবে- নচেৎ সংস্কার করার চেয়ে না করাই ভাল হবে। 'জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

ছবি

আওয়ামীলীগ --সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতির জোয়ারে গ্রামীন সড়কের কথা বেমালুম ভুলেই গেছে। ________________________________________ সড়ক, মহাসড়ক,আঞ্চলিক সড়ক, আন্তজেলা সড়ক, উপজেলা সংযোগ সড়ক সমুহ যথারীতি সরকার যথাসময়ে সংস্কার, বদ্ধিতকরন করছে অস্বীকার করার উপায় নেই।মহাসড়ক গুলী প্রত্যেকটি চারলেনে উন্নিত করন করা হবে মাননীয় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন।ঢাকা চট্রগ্রাম সহ বেশ কয়েকটি মহাসড়ক ইতিমধ্যে চার লেনে উন্নিত করা হয়েছে ইহাও সত্য।দেশ এগিয়ে যাচ্ছে-দেশ বিদেশের সকলেই স্বীকার করছেন। অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গকরে বড় বড় প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় সড়ক বদ্ধিতকরন, ওভারব্রীজ ইত্যাদি সবই হচ্ছে।অনেক প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হয়েছে যে সমস্ত প্রজেক্ট উন্নত বিশ্বেও কদাচিৎ চোখে পড়ে।তার পরেও যেন কোথায় উন্নয়নের ঘাটতি আছে মনে হচ্ছে। এই সমস্ত উন্নয়ন অগ্রগতি সাধারন মানুষের তেমন প্রয়োজনে আসবেনা। কি হচ্ছে, কেন হচ্ছে, ভবিষ্যতে কি ফলাফল দিবে চিন্তা করার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেনা। মধ্যম আয়ের দেশ কি,উন্নত বিশ্ব কি গ্রামের মানুষের চিন্তা করার দরকার মনে করেনা। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে সাফল্যের জন্য জাতিসংঘ কি পুরস্কারে ভুষিত করছে কেউ ভুলেও নজর দেয়ার দরকার মনে করেনা।কে কার জন্য ষড়যন্ত্র করছে, কে কাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ইজরাইলের সাথে চুক্তি করছে গ্রামের মানুষ শুনতে চায়না। গ্রামের মানুষ চায় তাঁদের তিনবেলা খাদ্য, চলার জন্য রাস্তা, সারাদিন ক্ষেতে খামারে কাজ করে রাতে একটু নিরবচ্ছিন্ন ঘুম। চোর, ডাকাতের উপদ্রবহীন গ্রামের শান্তি শৃংখলা। প্রত্যহ তাঁদের কাজ করার জন্যপরিবেশ। দলীয় রেশারেসি মুক্ত সমাজব্যবস্থায় সুখে শান্তিতে দিনাতিপাত। বর্তমান সরকার এই সমস্ত দিক সব গুলিই নিরাপদ ভাবেই নিশ্চিত করেছেন।খাদ্যের মোটেও অভাব গ্রামে নেই।ওএমএস এর মাধ্যমে সরকার খোলাবাজারে চাল বিক্রির পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু মানুষ সেখান থেকে চাল কিনছেনা। ১৬টাকা দরে চাল কেনার প্রয়োজন আছে গ্রামের মানুষ মনে করেনা।সারা জেলা তন্ন তন্ন করে আমি ব্যাক্তি উদ্যোগে খবর নিয়েছি, সারা জেলা সফর করে দেখেছি কোথাও খোলা বাজারের চাল কিনতে মানুষ আসেনি। অগত্যা ডিলারগন চার/পাঁচ বস্তা করে গরুর ফার্ম, হাস মুরগির ফার্ম ওয়ালাদের নিকট বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে।তাঁরা চালের জাউ করে গাভীকে খাওয়ানোর জন্য নিয়ে গেছে। কয়েকজন ডিলারের সাথে কথা বলে জানা গেছে দীর্ঘদিন গুদামজাত থাকার কারনে চালে কিছুটা গন্ধ আছে,তাই নীজেরা বাজার থেকে ৩০/৩২ টাকায় চাল কিনে খায় সরকারের চাল খায়না।৩৫/৪০ টাকায় চিকন চাল পাওয়া যায় এইগুলি নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনা। একটা ডিলারের নিকট একজন লোকও আসেনি পাঁচ কেজি চাল নেয়ার জন্য, ইহাই সত্য ইহাই বাস্তবতা।অর্থাৎ গ্রামে কোন অভাব নেই, একদিনের বেতনে১৫/১৬কেজি চাল কেনা যায়, সুতারাং অভাব থাকবে কেন? তাঁর পরেও যেন কিছুটা অভাব গ্রামের মানুষকে তাড়িয়ে ভেড়াচ্ছে- তা হচ্ছে তাঁদের গ্রামীন সড়কগুলী।সবার জানা আছে গ্রামে লোক বসতি আগের তুলনায় অনেকবেশি। রাস্তার পাশে বাড়িঘর হয়ে গেছে।পানি নিস্কাষনের কোন ব্যবস্থা বাড়ী ওয়ালা করেনি।ফলত রাস্তার উপর পানি জমে পাঁকা রাস্তা খানাখন্দে একাকার, কাঁচা হলেতো চলাচলের অনুপযোগি,ধান চাষ করা যাবে রাস্তার উপর। ৬৮হাজার গ্রাম অধ্যুষিত আমাদের বাংলাদেশ। এলজিইডি এর মাধ্যমে সরকার সড়ক গুলী করে থাকেন। এখানে স্থানীয় সরকারের যোগসাজস আছে বলে স্থানীয় অপেশাদার ছাত্র যুবকেরা বেশিরভাগ রাস্তার কাজ গুলী করে থাকেন।নতুন এবং অভিজ্ঞতার অভাবে কাজ শেষ করার আগেই গর্ত পড়া শুরু হয়ে যায়। সদাশয় সরকার বড় বড় উন্নয়ন কাজের প্রতি মনযোগী হওয়ার কারনে গ্রামীন সড়কের প্রতি তেমন নজর দিতে পারছেন বলে মনে হয়না।বাজেট বরাদ্ধ ঠিকই থাকে কিন্তু বছরান্তে সিংহভাগ টাকা ফেরৎ চলে যায়, ইহাও সত্য। সারা বাংলাদেশের গ্রামগুলী সফর করে দেখলে একটি চিত্রই ভেসে উঠবে -সব সড়ক গুলীই চলাচল অনুপযোগী। জুনমাস চলে এসেছে, জেলা পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদ তড়িগড়ি কিছু কাজ করানোর চেষ্টা করবেন। তড়িগড়ি করতে গিয়ে সরকারি টাকার শ্রাদ্ধই করবেন কাজের কাজ কিছুই হবেনা।এলজিইডি সারা বছর নাকে তৈল দিয়ে ঘুমায়-জুন মাস আসলেই তাঁদের ঘুম ভাঙ্গে,তড়িগড়ি কিছু ছেলেপেলেকে ডেকে টাকা দিয়ে কিছু কাজ করানোর চেষ্টা করবে।গ্রামীন রাস্তাগুলী যেমন ছিল তেমনি থাকবে,কাগজে কলমে টাকা হজম হয়ে যাবে। সদাশয় সরকারের প্রতি আবেদন থাকবে গ্রামীন সড়ক গুলী সংস্কার করার উদ্যোগ গ্রহন করুন।বর্ষার আগে আগে যদি সংস্কার করা না হয় প্রত্যেকটি সড়ক গ্রামের মানুষের দু:খ্য বয়ে আনবে।গ্রামীন সড়ক সংস্কারের সাথে ড্রেনেজ ব্যবস্থার বরাদ্ধ রেখেই করতে হবে- নচেৎ সংস্কার করার চেয়ে না করাই ভাল হবে। 'জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

ছবি

বিশ্বনেতাদের সঙ্গে শেখ হাসিনা-- বাংলাদেশের সাফল্যের কাহিনী শুনল বিশ্বনেতারা-- ____________কপি পেষ্ট-----bd protidin_______ জাপানে জি-৭ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের মধ্যে (বাম থেকে) মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো —এএফপি বিশ্বের সাত পরাশক্তির জোট জি-৭ সম্মেলনে আউটরিচ মিটিংয়ে বিশেষভাবে আমন্ত্রিত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার কাছে বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার কাহিনী শুনেছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডার মতো দেশগুলোর রাষ্ট্রনায়করা। সাফল্যের কারণেই শেখ হাসিনাকে গতকাল জাপানের নাগোয়ায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনের আউটরিচ মিটিংয়ে স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং উন্নত অবকাঠামো বিনির্মাণে সহযোগিতাবিষয়ক আলোচনায় বাংলাদেশকে নেতৃত্বের সুযোগ দেয় ধনী ও প্রতাপশালী রাষ্ট্রের এই জোট। নাগোয়ার কাশিকো দ্বীপে শিমা কানকো হোটেলে এ বৈঠকে ছিলেন জি-৭-এর মূল নেতৃত্বে থাকা প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মরকেল, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোল্ড টাস্ক, ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জিন জাঙ্কার প্রমুখ। দেশের বার্তা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জি-৭-এর নেতাদের নিজেদের সম্মেলনের পরদিন গতকাল সকালে শুরু হয় আউটরিচ মিটিং। এতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, ইইউর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এশিয়া ও প্যাসিফিকের বিশেষ আমন্ত্রিতরা। ভবিষ্যৎ বিশ্ব অর্থনৈতিক কাঠামোর ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব বহন করা এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। পরে মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ছাড়া যে দেশ গুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের সবাই কোনো না কোনো অঞ্চলকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্যই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব স্পষ্ট হয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, এ সম্মেলনে অংশ গ্রহণ প্রধানমন্ত্রীর গ্লোবাল ইমেজ এবং এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃষ্টান্তের একটা স্বীকৃতি। বৈঠকের দুটি সেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মূলত চারটি বিষয় নারীর ক্ষমতায়ন, মানসম্মত অবকাঠামো, জলবায়ু ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কথা বলেছেন। শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন, উন্নত দেশগুলো যদি কারিগরি সহায়তা, অর্থায়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, তাহলে বিশ্ব আজকে যেসব সমস্যায় পড়েছে, তা আর হবে না। বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি তৈরি পোশাকশিল্প এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ধারণার কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিবেশবান্ধব জ্বালানির গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেছেন। স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বলতে গিয়ে ৩০ হাজার মাতৃসদনের মাধ্যমে নারীদের সহায়তার কথা উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ যে উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি অবদান রাখে তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে গুণগত স্বাস্থ্যসেবা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিশ্বনেতাদের জানান শেখ হাসিনা। নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং রাজনীতিতে নারী— এই জায়গায় বাংলাদেশ একটা অবস্থান তৈরি করেছে। নারীর অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষেত্রে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’-এর কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। সমাজে নারীর মর্যাদা ও অধিকারের কথা বলতে গিয়ে বিশ্বব্যাপী নারীর মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জি-৭-এর মূল নেতারা ছাড়াও আউটরিচ মিটিংয়ে অংশ নেন শাদের প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস ইতনো, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো ওইদোদো, লাওসের প্রধানমন্ত্রী ড. সিসোলিথ, পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী পিটার ও’নেইল, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট শ্রীসেনা, ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী জুয়ান ফুক, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, আইএমএফের এমডি লাগারদে, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম ও এডিবির প্রেসিডেন্ট তাকেহিকো নাকাও। পরে বিকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিট ক্যামেরনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ধ্যায় ফিরে যান নাগোয়ার হোটেল হিলটনে। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানী টোকিও যাবেন তিনি। সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধন করবেন। আগামীকাল সকালে জাপানের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রাতরাশ বৈঠকের পর জাপান ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার কথা। দুপুরে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আছে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের। বাংলাদেশের সাফল্যের অংশীদার হতে চায় ব্রিটেন : দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, বাংলাদেশের সাফল্যের অংশীদার হতে চায় ব্রিটেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে, জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ উন্নীত করায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এ আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। সচিব জানান, আলোচনার শুরুতেই বাংলাদেশের ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিস্ময় প্রকাশ করেন ডেভিড ক্যামেরন। তিনি জানতে চান, অব্যাহত এ অর্জন কীভাবে সম্ভব হলো? উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ প্রবৃদ্ধি একবারে ৬ থেকে ৭ হয়ে যায়নি। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন টানা ৬ শতাংশের ওপর প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। এরপর ১-২ পয়েন্ট করে ধাপে ধাপে এগিয়ে তবেই ৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে ব্রিটিশ বিনিয়োগ নিয়েও দুই নেতা কথা বলেন।

ছবি

শেখ হাসিনা সরকারের দেসজ উন্নয়নের অভুতপুর্ব উন্নতি ও অগ্রগতি------------ ============================== জিইডি সদস্য জনাব সামছুল আলম সাহেবের তথ্য থেকে--- ---------------- সাত বছরে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ৬.৩১ শতাংশ ----------------------------------- ১ কোটি ৩ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ----------------------------------- সাত বছরে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ৬.৩১ শতাংশ। ------------------------------------- বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ৭ বছরে দেশে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। এ সময়ে বাজেটে সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ কোটিরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনিক ও আইনি সংস্কারের ফলে রাজস্ব আহরণ তিন গুণ হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) গত সাত বছরের অর্থনৈতিকবিষয়ক এক মূল্যায়নে চিত্রটি উঠে এসেছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তথ্য প্রেরন করেছেন। গত সাত বছরের সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র ------------------------------------------- ৭ বছরে দেশজ আয় ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে সরকার অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ------------------------------- বর্তমান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণকালে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫.১ শতাংশ, যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৬.৫১-এ উন্নীত হয়। গত সাত অর্থবছরের গড় প্রবৃদ্ধির হার ৬.৩১ শতাংশ। ইতিপূর্বে মাথাপিছু জিডিপি দ্বিগুণ হতে * ২০ বছর * অপেক্ষা করতে হলেও বর্তমানে মাত্র ৭ বছরে তা দ্বিগুণ করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় হয়েছে ১ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলারে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন বাজেটে সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে উন্নয়ন বাজেট ছিল মাত্র ২৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে ৯৭ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। সরকারি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, যোগাযোগ এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মতো ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামো বিনির্মাণের বিষয়গুলো। বেসরকারি বিনিয়োগও প্রায় ৩ গুণ বেড়েছে। ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৯৯ হাজার ২৭১ কোটি টাকা, '২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৯১১ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এতে বলা হয়, আলোচ্য সময়ে মোট রাজস্ব ও কর রাজস্ব তিন গুণের বেশি হয়েছে। মোট রাজস্ব আয় ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে ৪২ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা হতে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। এতে বলা হয়, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও আলোচ্য সময়ের মধ্যে ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার ৩৪৮ কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রতি ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির ফলে আড়াই লাখ দেশীয় কর্মসংস্থান বৃদ্ধি হয়। দেশে ও বিদেশে মিলে প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ নতুন কর্মসংস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এত কর্মসংস্থান আর অতীতে কখনও হয়নি। দারিদ্র্য নিরসন এ সরকারের এক অন্যতম সাফল্য। ২০০৫ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ শতাংশ যা ২০১৫ সালে নেমে আসে ২৪.৮ শতাংশে (প্রাক্কলিত)। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এ সরকারের আর এক অন্যতম সাফল্য। ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে দেশে চালের উৎপাদন হয় ২৬.৫ মিলিয়ন টন। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চাল উৎপন্ন হয়েছে ৩৪.৪ লাখ টন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বর্তমান সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জন করেছে। অবকাঠামো উন্নয়ন বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের অনুকূলে সড়ক অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ৭৫০ মিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় তিস্তা সেতু, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে ৪ লেনে উন্নীতকরণ, ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে ফ্লাইওভার নির্মাণসহ উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নি:সন্দেহে বলা যায়, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কায্যক্রম ব্যাপৃত ও চতুর্মুখী।রাষ্ট্রের প্রত্যেক সেক্টরে সমভাবে উন্নয়ন অগ্রগতির এক মহা কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।দেশরত্ম শেখ হাসিনার লক্ষ আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের সাথে সামিল করা।এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও জাতি সংঘ কতৃক বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে পয্যবেক্ষনে রাখার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা করেছে।আগামী ২০২১ সালের আগেই কাংক্ষীত লক্ষ অর্জন করা যাবে বলে আন্তজাতিক মহল মনে করেন। দেশ ও জাতি এগিয়ে যাচ্ছে গানিতিক হারে, অভ্যন্তরীন রাজনীতি এগুচ্ছে জ্যামিতিক হারে। দেশরত্ম শেখ হাসিনা তাঁর প্রচেষ্টার শতভাগ উজাড় করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন জাতির জনকের আরধ্য স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অভিপ্রায়ে।যেখানে থাকবেনা ক্ষুদা,দারিদ্র,অশিক্ষা,হানাহানি,বিদ্বেষ।এমন সমাজ ব্যবস্থা গড়ার লক্ষে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন,যে সমাজে একজন মা,বোন শিশু বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেনা।এমন সমাজ কায়েমের লক্ষ নিয়ে দেশরত্ম অকালান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন,যে সমাজে কোন নাগরীক শিক্ষাহীন থাকবেনা।যে সমাজ নির্মানের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার নিমিত্তে তাঁরই জৈষ্ঠ কন্যা বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী পায়ে পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।গতি কোন অবস্থায় ধীর নহে,লক্ষ ও স্থীর। আধুনিক,বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তি নির্ভর,শিল্প সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেশ।জাতির জনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ। জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো--- জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম। শেখ হাসিনা

ছবি

ত্রিদেশীয় জোট-- বাংলাদেশের সরকার উৎখাত এবং জাতির জনকের পরিবারকে বিনাশ করতে চায়-- ____________________________________________ বিএনপির ভিতরে বাইরে কম্পন শুরু হয়ে গেছে, খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হলে সারা দেশে আগুন জ্বলবে ইত্যাদি হুমকি ধমকি শুরু হয়েছে।একের পর এক ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর নিশ্চিত ধরে নিয়েছে দলটি - এবার তাঁদের আর রক্ষা নেই।দুই দুই বার জনসম্পৃত্ত আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সহিংসতার পথ বেঁচে নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। সকল ষড়যন্ত্র, নাশকতা, ব্যর্থ আন্দোলন জিয়া পরিবারকে রক্ষা করার জন্যই অনুষ্ঠিত হয়েছে, ইহা দিবালোকের মতই সত্যে পরিনত হল। মামলাগুলি রায়ের পয্যায় এখনও যায়নি, অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পয্যায় রয়েছে। তাঁরা নিশ্চিত জানে বিচারে জিয়া পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের শাস্তি অনিবায্য।পাঁপি জানে সে কতটুকু পাঁপ করেছে। জিয়া পরিবারের ষড়যন্ত্রের গর্ব থেকে জম্ম নিয়েছিল বিএনপি। সেই জিয়া পরিবারের পাঁপের ভারেই দলটি বর্তমানে অস্তিত্বহীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পাঁপের ভারে ন্যুজ দলটি প্রথম থেকেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, যে কোন উপায় বিচার প্রক্রিয়া থেকে জিয়া পরিবারকে রক্ষা করার জন্য। সেই হৃদকম্পন থেকেই আগে ভাগে অরাজগতা সৃষ্টি করে সরকার পতনের একাধিক চেষ্টা ও করেছিল দলটি। দলটি মহাগুরু কিসিঞ্জারের আদিনিবাস মেজর জিয়ার অকৃত্তিম বন্ধু বিশ্বমোড়ল আমেরিকার একান্ত বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশে রাজনীতি দাপটের সঙ্গেই করে আসছিল এযাবৎকাল। আমেরিকার দুই বিশ্বস্ত বন্ধু রাষ্ট্র পাকিস্তান এবং ইজরাইলের সাথেও যে সখ্যতা ছিল- এখন তা আর উদাহরন দিয়ে বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা। বিপদেই বন্ধুর পরিচয় -প্রবাদটির যথাযথ মার্য্যদা দিতে কার্পন্য করেছে ত্রিদেশ এমন কথা চরম শত্রুরাষ্ট্রও বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলতে পারবেনা। তাঁরা তাঁদের সর্বস্ব দিয়েই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে শুরু থেকে অদ্যাবদি- বিএনপিকে টেনে টুনে কোন রকমে দলীয় অস্তিত্ব রক্ষা করে রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য। এবারও তাঁদের দরবারে যেতে ভুল করেনি দলটি। তবে এবারের যাওয়ার মধ্যে অস্থিরতা, ভীতি, আশংকা যে কাজ করছে বিএনপি নেতাদের বিবৃতি থেকেই তা স্পষ্ট। খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের কোন আলোচনা বা সমালোচনা সরকারে বা দেশে বিদেশে না থাকলেও দলটির নেতারা ইদানিং এমন ভাষায় বিবৃতি দেয়া শুরু করেছে-মনে হয় যেন তাঁদের নেত্রীকে আজ রাতেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। প্রবনতাটির মাত্রাতিরিক্ত প্রকাশ শুরু হয়েছে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স্ ব্লুম বার্নিকাটের বাসভবনে দীর্ঘ বৈঠক শুরু হওয়ার পর থেকে। বি এন পির কূটনীতিক উইংয়ের নেতারা গত সোমবার থেকে মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের বাংলাদেশ দুতাবাসে লাগাতার আলোচনা,বৈঠক শুরু করেছেন। গত সোমবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া বৈঠক বিরামহীন ভাবে কখনও টেলিফোনে কখনও অনুষ্ঠানিক বৈঠকে কখনও চা-চক্রের মধ্য দিয়ে চলছেই। ঐ সমস্ত আলোচনা,বৈঠক, পরামর্শ সভায় যুক্ত আছেন বি এন পির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, এনাম আহমেদ চৌধুরী ও রিয়াজ রহমান প্রমুখ। ঢাকায় সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপ-সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম ই-টোডও ক্ষনে ক্ষনে উপস্থিত হচ্ছেন। বি এন পির অন্যতম থিংকট্যাঙ্ক প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান, ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদর রহমান 'সজীব ওয়াজেদ জয় হত্যা'র পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে এখন কারাগারে আছেন। এ সংক্রান্ত অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচারিক আদালতে কয়েকজন বাংলাদেশি সহ সেই দেশের নাগরিক- বিচারে শাস্তি ভোগরত: আছেন। বিষয়টি ২০০১১ সালে এফবি আইয়ের নজরে এলে তাঁদের গ্রেপ্তার করে-সেই দেশে বিচারের আওতায় নেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ বিচারে দুষি প্রমানীত হয়ে শাস্তিভোগের নিমিত্তে জেলখানায় যাওয়ার পর- বাংলাদেশ থেকে জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা গ্রহন করার উদ্যোগ নেয়। অতি সম্প্রতি খালেদা জিয়া 'জয়ের একাউন্ট এ ২৫০০ কোটি টাকা জমা আছে- এইরুপ মনগড়া কথা বলে বিপাকে পড়েছেন। এ বক্তব্য নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত হচ্ছে। খালেদা জিয়াকেও তথ্য দেয়ার এবং জয়ের চেলেঞ্জ মোকাবেলা করার আহব্বান জানিয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। '৭৪-'৭৫ এর ন্যায় জাতির জনকের পরিবারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে রটানো কল্পকাহিনীকে মাথায় রেখে তদ্রুপ কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্রকে এবার শক্তহাতেই মোকাবেলা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই সরকারি তদন্তের পাশাপাশি অভিযোগ উত্থাপনকারি খালেদা জিয়া, আমেরিকান সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কতৃপক্ষ এবং এফবিআইকেও তথ্য দেয়ার অনুরুধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকার। উল্লেখিত ঘটনা- তদন্তে মিথ্যা প্রমানীত হলে বড়ধরনের ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নিতে পারেন বাংলাদেশ সরকার।অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ঘটনা সত্যতার কাছাকাছি হলেও জয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে পিছপা হবেনা সরকার। সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারি ঘটনা হচ্ছে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মো'সাদের সঙ্গে বিএনপির যুগ্মমহা সচিব আসলাম চৌধুরী দিল্লিতে বৈঠক। আসলাম চৌধুরী সরকারকে উৎখাত করতে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মো'সাদের প্রতিনিধির সঙ্গে হোটেল এবং হোটেলের বাহিরে একাধিক গোপন বৈঠক করেন। গত মার্চে মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করলে ইত্তেফাক পত্রিকায় সম্প্রতি সে ষড়যন্ত্রের খবর ফাঁস হয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে সরকারি পয্যায় এবং দেশে বিদেশে ব্যপক আলোচনা শুরু হয়। ইতোমধ্যে মোসাদ প্রতিনিধির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর গোপন বৈঠকের বেশ কয়েকটি ছবি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা নড়েচড়ে বসে এবং সেই বৈঠকগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেয়া শুরু করে। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর গোয়েন্দা সংস্থা সমুহ নিশ্চিত হন উল্লেখিত বৈঠক বাংলাদেশের বর্তমান সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের বৈঠক।শুধু তাই নয়- সাথে জাতির জনকের জীবিত সদস্যদের প্রান বিনাস করার বিষয়টিও প্রকাশ পায়। সাফাদি ও আসলাম চৌধুরীর এক সঙ্গে বৈঠক করার অনেকগুলি ছবি ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। ফেসবুক পেইজেও মেন্দির সঙ্গে আসলামের বৈঠক, আলাপ-আলোচনাও খাওয়া-দাওয়ার একাধিক ছবি প্রকাশ পায়। এ সম্পর্কে ইজরায়েল ভিত্তিক অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, জেরুজালেম অনলাইন ডটকম সংবাদ প্রকাশ করে মেন্দি এন সাফাদি সম্প্রতি ভারত সফর করেছেন। সেখানে বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করেছেন তিনি। সেখানে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। নতুন সরকার ইজরাইলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলবে। গত সম্মেলনে চেয়ার পার্সন খালেদা জিয়া আলোচনার মুল ব্যাক্তি আসলাম চৌধুরীকে বি এন পির যুগ্ম মহাসচিব ঘোষনা করেছে। আসলাম চৌধুরী খবরটি অস্বীকার করেননি যে তিনি সাফাদের সঙ্গে কোনপ্রকার আলোচনা বা বৈঠক করেনি। অন্যদিকে, ইজরায়েলের কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দলের সঙ্গে বন্ধুত্বকে প্রকারন্তরে ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় ফিলিস্তিনি দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ইউসুফ এস রামাদান। ইউসূফ এস রামাদান 'রাজনৈতিক আত্মহত্যা'উক্তিটি প্রমান করে বিএনপি আরব বিশ্বের সাথে প্রতারনার আশ্রয় গ্রহন করেছে এবং কুফরী করেছে। দুতাবাসের বিবৃতির পরেই বিএনপির সকল পয্যায় চরম অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। বি এন পি নিঃসন্দেহে একটি জনসমর্থিত বড় দল, ইসলামী অনেকগুলী দল তাঁদের জোটেও আছে। অনেকেই বিএনপিকে ইসলামের রক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দবোধও করেন।যদিও খালেদা জিয়ার জীবনাচারনের সাথে এর কোন সত্যতা বা কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায়না। ফিলিস্তিনী দুতাবাসের বিবৃতির পর বিএনপি দলের অভ্যন্তরে ফণা তুলেছে নানা প্রশ্ন-আসলাম চৌধুরীকে নিয়ে। বিএনপি দলের অভ্যন্তরে উঠেছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। সাথে যুক্ত হয়েছে খালেদা জিয়ার জাজ্যল্যমান মিথ্যার বেসাতি। আসলাম চৌধুরীর গ্রেফতারের পর দলটির চেয়ার পার্সন খালেদা জিয়া মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বলেন 'আসলাম চোধুরী'কে তিনি চিনেন না বা জানেন না। বড়ই হাস্যকর উক্তি,প্রকাশিত খবর অনুযায়ী আসলাম চৌধুরী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, সাংবাদিকদের সরবরাহ করা তালিকা ভুল? নাকি সাংবাদিক ভুল?নাকি চোখের বিভ্রাট। মিথ্যাটিই প্রমান করে জিয়া পরিবার মো'সাদ কাহিনীর সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। দলের নেতারাই বলছেন, আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর পরই দলীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার ছিলো। তিনি নিজেও সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিষয়টি পরিষ্কার করতে পারতেন। ইজরাইল কানেকশান ইতিমধ্যে দলের তৃনমুল পয্যায় প্রভাব বিস্তার শুরু করেছে।এই প্রভাব ধীরে ধীরে উধ্বমুখি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।কারন বাংলাদেশের কোন মসুলমান চায়না কোন ইহুদী রাষ্ট্রের সাথে বা আরব বিশ্বের শত্রুর সাথে বাংলাদেশে বিদ্যমান কোন রাজনৈতিক দলের বা ব্যক্তির সু-সম্পর্ক থাকুক।ইহুদীরা আমাদের প্রীয় নবীকে কষ্ট দিয়েছে ,ইসলামকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে, বর্তমানেও আরব বিশ্বের মুসলিম ভাইদের সাথে বহুযুগ যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। বি এন পির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রামানিত অভিযোগ গুলী অত্যন্ত মারাত্মক এবং দেশদ্রুহীতা মুলক। বিদেশী কোন বন্ধুরাষ্ট্রের সহযোগিতা পাওয়ার মত একটি অভিযোগও নহে। বাংলাদেশের ধর্মভীরু জনগনের সহানুভুতি পাওয়া অলিক কল্পনা মাত্র। অস্থিরতা, শংকা, ভয়ভীতি সেখানেই তাঁদের কাঁতর করছে খুব বেশি মাত্রায়। নিম্নে একান্ত ক্ষমা অযোগ্য কিছু কর্মকান্ড তুলে ধরার চেষ্টা করছি------ (ক) ২০০৮ইং সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহন করার তিনমাসের মাথায় বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে বি এন পি-জামাত জোটের সম্পৃক্ততার খবর দেশ-বিদেশের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। (খ) এর পর পরই একটি আর্মিক্যু করার চেষ্টা প্রাথমিক পয্যায় সরকারের নজরে আসে। গোলাম আযমের ছেলে অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিল। তাঁকে সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়। বিদেশী সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রাশিত হয়েছে বি এন পির জড়িত থাকার বিষয়। (গ) বি এন পির উত্থান কালে একাধিক সামরিক অভ্যুত্থান, শত শত মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা হত্যা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যা, জেল চার জাতিয় নেতা হত্যা, কর্ণেল তাহের হত্যা, বিগ্রেডিয়ার খালেদ মোশারফকে হত্যার অভিযোগ আগে থেকেই বিদ্যমান। (ঘ) গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বি এন পি জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে লাগাতার অবরোধ, হরতাল, জ্বালাও পোড়াও, ঘেরাও করে দেশে চরম অস্থিরতা তৈরি করে।নিম্ন আয়ের মানুষ, পেশাজীবী, শ্রমজীবী নরনারীরা বিপুল আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়। লুটপাট,অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাস, সৃষ্টি করে দেশব্যাপি অরাজক পরিস্থীতি সৃষ্টি করে। (ঙ) রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অগ্নিবোমার আমদানী করে দলটি। শত শত মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। অনেকের চেহারা বিভৎস করে দেয়,সারা অঙ্গে ক্ষত নিয়ে পঙ্গুত্ব বরন করে শত শত মানুষ। (চ) কোটি কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে স্বর্ণদোকান লুট, পবিত্র কোরানে আগুন, বিদ্যুতের পিলার উপড়ে ফেলে দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করন, ব্যাংক বীমা লুটপাট অগ্নিদংযোগ, প্রাইমারি স্কুলে আগুন ,যানবাহনে আগুন, রেললাইন উপড়ে ফেলা, রেলে আগুন ধরিয়ে শত শত যাত্রীর জীবন হানী করার একাধিক পরিকল্পনা। (ছ) পাকিস্তানের ভয়ঙ্কর গোয়েন্দা সংস্থা আই এস আইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ওপেন সিক্রেট। তাদের নির্দেশে জামাত-শিবিরিকে দিয়ে বাংলাদেশে সহিংস ঘটনা ঘটিয়ে আই এসের অস্তিত্ব প্রমান করার একাধিক ষড়যন্ত্র। (জ) খালেদা জিয়া বিদেশি পত্রিকায় প্রতিবেদন লিখে ইঙ্গো-মার্কিন শক্তিকে আহ্বান জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ আক্রমন করে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে উচ্চেদ করার জন্য। (ঝ) সর্বশেষ মানবতা বিরুধী অপরাধে নিজামীর ফাঁসি কায্যকর হলে ইজরাইল, তুরস্ক ও পাকিস্তানকে বাংলাদেশ আক্রমনের উস্কানী দেয় খালেদা।বর্তমানে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।নিশ্চিত সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহন করার পক্ষে বাংলাদেশ সরকার। উপসংহারে বলতে চাই, মোসাদ ইজরাইলের মারাত্মক-হিংস্র গোয়েন্দা সংস্থা। বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারকে মোসাদ তথা ইজরায়েলের জায়নিস্টরা মোটেই পছন্দ করে না। কারণ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ফিলিস্তিনের অবিসংবদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের একান্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনা দু’জনই প্যালেস্টাইনি মুক্তি সংগ্রামকে জোরালো সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন সরকারে থেকে এবং সরকারের বাহিরে থেকেও। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশের মাটিতে পা রাখার আগেই প্যালেষ্টানী মুসলিম ভাইদের সাহায্যার্থে দুতাবাস খোলার অনুমতি দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনাও প্রকাশ্য ঘোষনা দিয়ে প্যালেষ্টাইনী ভাইদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা আরব বিশ্ব কতৃক গঠিত সন্ত্রাস বিরুধি জোটেও যোগ দিয়েছেন । বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্টি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আরব বিশ্বের সঙ্গে জোটে থাকার অর্থই হচ্ছে ইহুদীদের আস্ফালনের আঁতে প্রচন্ড ঝাঁকুনি। সঙ্গতকারনে "ইজরাইল, আমেরিকা, পাকিস্তান ত্রিদেশীয় জোট " শেখ হাসিনার সরকারকে উচ্ছেদ করতে চায়।জাতির জনকের পরিবারকে বিনাস করতে চায়। এই ক্রদ্ধতা কাজে লাগিয়ে বি এন পি আসলাম চৌধুরীকে ব্যবহার করে-- মোসাদ কানেকশন করেছেন সরকার উৎখাতের তাগিদে। অর্থাৎ মার্কিন, পাকিস্তান ও ইজরাইল- তিন অক্ষ শক্তির সঙ্গে বিএনপি মিত্রতার অর্থই হচ্ছে ইসলামকে চিরতরে ধ্বংস করার চক্রান্ত। জিয়া পরিবারকে প্রচলিত আইন আদালতের শাস্তি থেকে বাঁচাতে প্রয়োজনে-- আরব বিশ্ব, মুসলিম জাহান, পবিত্র কোরান, ইসলামকেও হত্যা করতে তাঁদের বুকে এতটুকু কাঁপন ধরবে না নরপিসাচের দলটির।তাঁর প্রমান পাওয়া গিয়েছিল অনেক আগেই-হেফাজতের শাফলা চত্বরে অবস্থানের দিনটিতে। 'জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

ছবি

খালেদা পরিবারের জাতির জনক, মুক্তিযুদ্ধ, বাঙ্গালী জাতিকে নিয়ে কটুক্তি ---মৃত্যুর আগে বাঁচার শেষ শক্তি প্রদর্শন। ___________________________________________________ মেজর জিয়া স্বরুপে আত্মপ্রকাশ করে ক্ষমতাগ্রহন করেছিলেন,জাতির জনকের পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপবাদ ছড়িয়ে চিটিয়ে দিয়েছিলেন,কোন অপবাদ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেননি,অসত্য বিকৃত সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।কিন্তু জিয়া সাহেব বক্তৃতা, বিবৃতি আচর-আচরন দিয়ে জাতির জনকের পরিবারের মহিমা ক্ষুন্ন করেনি। জিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী খালেদা রাজনীতিতে আসেন।দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে ১৯৯১ ইং সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংখ্যাগরিষ্টতা পান এবং জামায়াতের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেন।জামায়াতকে সরকারের অংশিদারিত্ব দেয়নি।সরকারে থেকে আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী মনোভাবের বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে, কিন্তু জাতির জনকের পরিবারকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য,বিবৃতি দেননি।স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিকৃত কোন মন্তব্য করেনি।স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদের সংখ্যা বিতর্ক উত্থাপন করেনি।জিয়া স্বাধীনতার ঘোষনাকারি বলেছেন- কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব অস্বিকার করেনি।১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে তাঁর নীজের জম্ম দিন পালন করে উল্লাস করার ক্ষেত্র তৈরি করেছেন কিন্তু বিবৃতি দিয়ে, বক্তব্য দিয়ে জাতির জনকের ত্যাগের মহিমা ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেনি। একবার কোন একটা পত্রিকায় দেখেছিলাম তারেককে জিয়ার প্যান্ট কেটে সেলাই করে দেয়া হয়েছে,বিদ্যালয়ে যাওয়া আসায় সরকারি গাড়ী ব্যবহার করতে দেয়নি জিয়া।ব্যক্তিগত বা পারিবারিক গাড়ী ছিলনা জিয়া পরিবারের।জিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর সত্যতা পেয়েছিলাম বাসা তল্লাসি করে যখন একটা ভাঙ্গা স্যুটকেস এবং তাঁর ভেতরে ছেঁড়া একটিমাত্র গেঞ্জী পাওয়া গিয়েছিল। আমরা হুজুগের বাঙ্গালীরা সে দিন চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।আভেগের বসে জাতি দুই ছেলের লেখাপড়া,ভরনপোষনের ভার নিয়েছিল।তাঁদের থাকার জন্য ঢাকায় সরকার একটা বাড়ী বরাদ্ধ দিয়েছিল। খালেদা জিয়া বরাদ্ধকৃত বাড়ী ভাড়া দিয়ে ক্যান্টনমেন্টে মেজর জিয়ার জন্য বরাদ্ধকৃত বাড়িতে ববসবাস করতেন। সরকারে এসে বিধি লঙন করে সেনানিবাসের বাড়ী নিজের নামে বরাদ্ধ করে নিতে ভুল করেননি। যদিও সেনানিবাসে পাবলিকের কোন বাড়ী বরাদ্ধ নেয়ার বিধান আগেও ছিলনা এখনও নেই। জাতি তাঁর দুই ছেলের ভরন পোষন, লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছিল, মাসে মাসে সরকারি বরাদ্ধ উত্তোলন করেছেন খালেদা জিয়া,প্রধানমন্ত্রী হয়ে সরকার গঠন করার পরেও উক্ত বরাদ্ধ তুলে নিতে ভুল করেননি ঠিকই কিন্তু লেখাপড়া করিয়েছেন কিনা, কতটুকু করিয়েছেন, সেই লেখাপড়া জাতির কোন উপকারে আসবে কিনা - উক্ত বিষয়গুলি জাতিকে অদ্যাবদি জানানো হয়নি। ভাবচক্করে অনুমান করা যায় খালেদা ছেলেকে বাংলাদেশের ইতিহাস বিষয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিতই করেছেন।খালেদা জিয়ার নষ্টামীর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সে শিক্ষা দিয়েছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেন্সেলর মি: ফালু সাহেব।প্রফেসর, লেকচারারের সংখ্যা গুনে দেয়া যাবেনা।অন্ধকার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অন্ধকারই হয়,সময় সময় তা প্রকাশ করতে হয়।জিয়া পরিবার যা আগে প্রকাশ করেনি এখন তা প্রকাশ করছে। ‘যোগ্য পুত্র’-এর পথেই হাঁটছেন ‘যোগ্য মাতা’। যদি তা না হয়, তবে ষোলকলা পূর্ণ হবে কিভাবে! প্রবাদ বলে, অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী। অল্প বিদ্যা! ছোটবেলার কোনো গণ্ডমূর্খ কোনো মতে ম্যাট্রিক পাস করে যদি হাবভাবে নিজেকে জাহির করতে যেত; তবে আমরা মজা করে বলতাম, ডিগ্রি হচ্ছে টি.টি.এম.পি অর্থাৎ টেনে টুনে ম্যাট্রিক পাস। পুত্র তেমন ডিগ্রিপ্রাপ্ত। আর মাতা বর্তমান সরকারের শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রাথমিক স্তর শেষ করেছেন।এমন যাদের শিক্ষা এবং শিক্ষালয়, ইতিহাস জানা সম্পর্কে তারা কতটুকু যোগ্য তা সহজেই অনুমেয়। বিদ্যার এই জাহাজের মধ্যে যদি থাকে প্রচণ্ড লোভ লালসা, প্রতিহিংসা, তবে তা হয় সোনায় সোহাগা। লোভ ও প্রতিহিংসাজাত নিজ স্বার্থ প্রতিষ্ঠার জন্য তখন ভয়ঙ্কররা দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য ‘আপসহীন’ হয়ে ওঠে। ভয়ঙ্কর হওয়াটা তখন পৌঁছে চরমে। বলাই বাহুল্য, এই ধরনের গণ্ডমূর্খ, অতি লোভী ও প্রতিহিংসাপরায়ণ ব্যক্তিরা যত থাকে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের উচ্চাসনে, ততই তা প্রকাশিত হয় সর্বনাশা রূপ নিয়ে। খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার ক্ষেত্রে তেমনটাই হয়েছে এবং আরো হবে বলে ধারণা করা চলে। খালেদা জিয়া সম্যক বুঝতে পেরেছেন জামায়াত ইস্যু শেষ হওয়ার সাথে সাথে জিয়া পরিবারের উপর চড়াও হবে সরকার।তাঁর একাধিক প্রমান ইতিমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর পরিকল্পনা, সেনাবিদ্বেষ ঘটিয়ে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর একাধিক চেষ্টা, সুদুর আমেরিকায় জয়কে হত্যা করার পরিকল্পনা, সরকার উৎখাতে ইসরাইলের সাথে চুক্তি,জাতির জনকের পরিবার বিনাশ করার একাধিক ষড়যন্ত্র ফাঁস, দুর্নীতির মামলা সমুহ সহ চলমান সরকার উৎখাতে একাধিক চেষ্টার বিচার শুরু হওয়া সময়ের ব্যাপার। খালেদা জিয়া সম্যক উপলব্দি করতে পেরেছেন, তাঁর নীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ ডিগ্রিপ্রাপ্ত যোগ্য ছেলে ইসরাইল কানেকশান সহ অতীতের একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্তি সময়ের ব্যাপার।তাঁর নীজেরও একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্তি সময়ের ব্যাপার। মামলাগুলী এমন স্পর্ষকাতর- একটা মামলার অজুহাতেও রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলার উপযুক্ত নহে। দুর্নীতির মামলার অজুহাতে দেশ এবং বিদেশী বন্ধুরাষ্ট্র সমুহের সহানুভুতি পাওয়ার মত অবস্থাও নেই। এমনতর পরিস্থীতিতে রাজবন্দি হিসেবে ভাবমুর্তি নিয়ে জেলে যাওয়ার পরিবেশ করাই মুল লক্ষ, অন্তত সেই পরিবেশটাই চাইতেছেন মানষিক ভাবে খালেদা গং। রাজবন্দির মায্যদা নিয়ে জেলে যেতে হলে জাতির জনক, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা ইত্যকার বিষয়ে তাঁর লাগাতার মন্তব্য করতেই হবে-যাতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির মানষিক আঘাতপ্রাপ্তি ঘটে এবং জাতির জনকের কন্যারও আঁতে ঘা লাগে। সরকার অবশ্যই সেন্টিমেন্ট হবে,মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি রাজপথে নামবে, তাঁকে প্রতিরোধ করবে। তাঁরা দেশে বিদেশে মিথ্যে প্রচার করবে খালেদা জিয়াকে রাজপথে প্রতিরোধ করছে সরকারি দল। সরকার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষ করার কারনে তাঁকে জেলহাজতে প্রেরন করেছে।অন্তত আর যাই হোক তাঁর দুর্নীতির কারনে জেলখানায় যাওয়ার বদনাম ঘোচাতে পারবে। , যেভাবেই খালেদা জিয়া অগ্রসর হোক না কেন, জনতার আদালতে এসব উক্তি ও এতদ্সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য খালেদা জিয়া কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েই আছেন। জনতার আদালতের বিচারে খালেদার শাস্তি হচ্ছে ও হতেই থাকবে। প্রবাদ বলে, প্রদীপ নেভার আগে জ্বলে বেশি। ক্ষমতা হাতছাড়া হতে থাকায় তিনি জ্বলছেন এবং নিজের আগুনে দেশ ও মানুষকে জ্বালিয়ে মারতে চাইছেন। কিছুদিন আগেও খালেদা জিয়া পাকিস্তানের মুসলিম লীগের মতো ‘ভারত’ জুজু দেখিয়ে মানুষকে মাত করতে চাইতেন। এখন সেই পথ খালেদা জিয়ার জন্য বন্ধ। এখন আছে পাকিস্তান আমলের মতোই কেবল ধর্মের জুজু। এটাও ভোঁতা হতে বসেছে। ইসলামের শত্রু ইহুদি এবং আরবদের রাষ্ট্রীয় শত্রু ইসরাইলের সঙ্গে সখ্যতা করতে গিয়ে সেই পথও রুদ্ধ করেছে।তাছাড়া জাতির জনকের কন্যা মুসলিম দেশ সমুহের সন্ত্রাস বিরুধীজোটে যোগ দিয়ে এবং আরব বিশ্বের দেশ সমুহের দীর্ঘদিনের বৈরিতাহেতু বন্ধ হওয়া শ্রমবাজার খুলে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের উপর ধর্মবিদ্বেষী মনোভাবেও পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন।সুতারাং ধর্মের তাবিজে উলটা কাজ করার কারনে খালেদা জিয়া রাজনৈতিক ভাবে মরতে বসেছেন।এমন পরিস্থীতিতে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ছাড়া তাঁর কোন গত্যান্তর আছে বলে আমিও মনে করিনা। বাজারে প্রবলভাবে প্রচারিত বিষয়টি হচ্ছে খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত জীবনাচারন বিষয়টি। মানুষ বলে, খালেদার জীবনাচরণ ধর্মের সঙ্গে যায় না। আর ভারসাম্য বজায় না রাখতে পারায় জাতিকে আর সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগকে অনেক মূল্য দিতে হলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ধর্ম যাবে, এটাও মিথ্যা প্রমাণিত হতে বসেছে। এই অবস্থায় বিএনপির প্রদীপ নিভে যাওয়া ছাড়া আর উপায় কোথায়।মৃত্যুর আগে প্রতিটি জীবই শক্তির মহরৎ করে বাঁচার তাগিদে,খালেদা পরিবারের অবস্থাটাও তথৈবচ ছাড়া আর কিছুই নয়। ' জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

ছবি

ভাগ্য গড়তে রাজনীতিতে আসিনি-জনগনের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে এসেছি--প্রধানমন্ত্রী। ___________________________________ জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি করে ভাগ্য গড়তে আসিনি। আমি জাতির পিতার কন্যা। রাজনীতি করছি নিজের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নয়, মানুষের কল্যাণে। বাকিটা জীবন সেটাই করে যাবো। শেখ হাসিনা বলেন, এই দেশের মানুষের জন্য আমার বাবা-মা-ভাই-বোন সবাই জীবন দিয়ে গেছেন। আমি সব হারিয়েছি, আমার তো আর হারাবার কিছু নেই। চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। এখন এদেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়ায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখিত কথাগুলি বলেন।সমাবেশের আগে তিনি অত্যাধুনিক এই হাসপাতালের উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নকে অনেকে বিস্ময় বলেন, আমি বলি এটি বিস্ময় নয়, বিশ্বাস। জনগণের প্রতি বিশ্বাস। এই বিশ্বাস আছে বলেই দেশে উন্নতি করতে পারছি; নিয়ত ভালো বলেই যেখানেই হাত দিচ্ছি সেখানেই সাফল্য অর্জন করছি’। বিএনপি-জামায়াত পদ্মাসেতু নিয়ে যদি ষড়যন্ত্র না করতো তবে এ সেতুর কাজ এতো দিনে আরও এগিয়ে যেতো বলে মতপ্রকাশ করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের জৈষ্ঠকন্যা শেখ হাসিনা। শুধু মাত্র গোপাল গঞ্জের অত্যাধুনিক হাস্পাতালটি নয়, স্বাস্থ্য খাতে যুগান্তকারি পরিবর্তন এনেছে বর্তমান সরকার। স্বাস্থ্যখাতে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আরও তিনটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ স্থাপনের কাজ চলছে। এছাড়া প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা সরকারের হাতে আছে। গণমুখী স্বাস্থ্য নীতি বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। নার্সদেরও পিএইছডি করার ব্যবস্থা সরকার করেছে,ফলে নার্সিং পে।শায়ও মেধাবী ছাত্রীদের আনাগোনা বাড়বে আশা করি। ‘বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায়-জেলায় সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পুরোদমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ১ কোটি ৭০ লাখ ছাত্র-ছাত্রীকে উচ্ছশিক্ষার জন্য মেধাবৃত্তি দিয়েছে সরকার চলতি অর্থবছর। বর্তমানে কোন ছাত্রছাত্রী বই-খাতা কিনতে হয় না, সরকার সরবরাহ করছে। দেশে এখন ৩ কোটি ৮৪ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য নিরাপত্তা হয়েছে। মানুষের চাহিদা বদলে গেছে কারণ পেটে খাবার আছে। এখন মানুষ বিদ্যুৎ চায়, স্কুল চায়- সরকার সেই সমস্ত উন্নয়ন কর্মকান্ডই বাস্তবায়ন করে চলেছে। জাতির জনকের কন্যা অত্যান্ত দু:খ্য নিয়ে আরো একটি কথা বলেছেন --এক সময় গোপালগঞ্জবাসী বৈরিতার শিকার ছিল। অবহেলিত ছিল। সেটি হয়েছিল একটি বিশেষ কারণে। সে সময় বাজেটে টাকা দেওয়া হতো, তবে কাজ ও উন্নয়ন হতো না। এক সময় এখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ও সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।বর্তমান সরকার সারাদেশকে বাংলাদেশ মনে করে,সারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ জাতির জনকের ডাকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল,সুতারাং সারা বাংলাদেশের সুষম উন্নয়নই তাঁর সরকারের লক্ষ। একশ্রেনীর রাজনৈতিক দল ও ব্যাক্তি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিচরন করছেন, তারা দেশে উন্নয়ন চায় না, অগ্রগতি চায়না,তাঁদের ৫বছরের শাষনামলে দেশ ৫বারই দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, লুটপাট হয়েছিল সরকারের শীর্ষ পয্যায় থেকে নিম্নপয্যায় পয্যন্ত, এটাই বাস্তবতা। তারা ক্ষমতা হারিয়ে মানুষের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছে, শুধু মানুষ পোড়াচ্ছে; গুপ্তহত্যা করছে। হত্যা আর ধ্বংস ছাড়া তারা আর কিছুই করতে জানে না । জাতির পিতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে,তাঁর কন্যার হাতেই দেশ উন্নয়ন অগ্রগতির শীর্ষে পৌঁছে যাচ্ছে। উল্লেখ্য হাসপাতালটি নির্মানশৈলী অত্যাধুনিক এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ। স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ অভুতপুর্ব উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান সরকারের বিগত সাত বছরে।অতীতের সরকার সমুহ রাষ্ট্রের এই গুরুত্ব পুর্ন খাতকে শুধু অবহেলাই করেনি, আধুনিকায়নের সামান্যতম পদক্ষেপও গ্রহন করেনি। বরঞ্চ গ্রামের হতদরিদ্র জনগোষ্টির স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার অধিকারের প্রতি লক্ষ রেখে ১৯৯৬ ইং সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেই প্রতি ইউনিয়নে, প্রত্যেক সাবেক বৃহত্তর ওয়ার্ডে একটি করে কমিউনিটি সেন্টার স্থাপনের প্রকল্প মাঝপথে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।২০০৮ ইং সালে জনগনের বিপুল সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে পুনরায় এই প্রকল্প বর্তমান সরকার চালু করে। গ্রামের মা-বোনদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিতকরনের জন্য জাতির জনকের কন্যা তাঁর নিজস্ব মেধা থেকে প্রকল্পটি গ্রহন করেছিলেন। তৃনমুলের হতদরিদ্র মা বোনদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করার মানসে গৃহিত প্রকল্পটি প্রাথমিক অবস্থায় জনমনে তেমন গুরুত্ব বহন না করলেও সময়ের ব্যবধানে প্রকল্পটির কি প্রয়োজন জোট সরকার বন্ধকরে দেয়ার পরই টের পাওয়া গিয়েছিল। উল্লেখিত কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা, হতদরিদ্র জনগোষ্টির ভীড় লক্ষ করলে কারোই দ্বিমত করার কারন নেই প্রকল্পটির প্রয়োজনীয়ত কতটুকু কায্যকরি ভুমিকা পালন করছে গ্রামীন জনপথে। দেশে বিদেশে শেখ হাসিনার তীক্ন মেধার যুগান্তকারি সিদ্ধান্ত হিসেবে সর্বমহলে গৃহিত এবং নন্দিত হচ্ছে। প্রকল্পটি বন্ধ করে ৪দলীয় জোট সরকার শেখ হাসিনার প্রতি অবজ্ঞাই করেনি গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারকেই অস্বিকার করেছিলেন। অন্যভাবে বলা যায়-গ্রামীন জনগোষ্টির প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছিল শুধু তাই নয়, চিকিৎসা পাওয়ার নাগরীক অধিকার থেকে গ্রামীন জনগোষ্টিকে বঞ্চিত করে সংবিধানকেই অবজ্ঞা করেছিলেন। জাতির জনকের কন্যা ক্ষমতা গ্রহন করে গ্রামের মানুষকে তাঁদের প্রাপ্য সাংবিধানিক অধিকার আবার তাঁদের কাছে ফেরৎ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহন করেন। তাছাড়া আরো কতিপয় গুরুত্ব পুর্ন সিদ্ধান্ত সরকার স্বাস্থ্যখাতে গ্রহন করে। ১১ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ চালু করা হয়েছে। দারিদ্র সীমার নীছে ১লক্ষ পরিবারের মধ্যে স্বাস্থ কার্ড বিতরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পয্যায়ক্রমে দেশের সব দারিদ্র পরিবারের মধ্যে এই কার্ড বিতরন করা হবে। বার হাজারের বেশি ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।দুইদফায় ২৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের মানুষের ২০০৬ইং সালে গড় আয়ু ছিল ৬৬.৫ বছর, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭১ বছরের ও বেশী। কল্যান রাষ্ট্রের শর্তানুযায়ী রাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা একটি গনতান্ত্রিক সরকারের অন্যতম শর্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। জাতির জনকের কাংখিত সেই কল্যান রাষ্ট্রের পথেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতির জনকের আজীবনের স্বপ্ন বাংলা দেশের কোন মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেনা।জাতির জনকের যোগ্য কন্যা সে লক্ষ বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। জাতি আশাম্বিত অচিরেই জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ দ্রুত শেষ করে তাঁর কাংখিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে অভিষ্ট লক্ষে পৌছা সম্ভব হবে। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

বর্তমান সময় অন-লাইন শক্তিশালী বিরুধীদলের ভুমিকায় -- সরকার গুরুত্ব সহকারে প্রতিটি ঘটনার সুরাহা দিচ্ছে। __________________________________________ কাগজে চাপা পত্রিকার উপর কারো নজর এখন আর পড়ে না। তারচেয়ে বিশ্বের উন্নত দেশের জনগনের সংজ্ঞে তালমিলিয়ে বাংলাদেশের জনগনও অনলাইনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।বিশেষ করে সচেতন নারী পুরুষ বলতেই- একজনকেও খুঁজে পাওয়া যাবেনা, যার একটা পেইজ বুক একাউন্ট নেই। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ অন্যান্ন মন্ত্রীগন, সরকারের উধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবি, কবি সাহিত্যিক সব শ্রেনী পেশার মানুষ পেইজবুকিং এ অভ্যস্থ হয়ে পড়েছেন বেশীরভাগ। ইদানিং দেখা যায় নামকরা কলামিষ্ট গন তাঁদের লিখাগুলী তাঁদের নীজস্ব ওয়েব সাইটে দিচ্ছেন,অন-লাইন পত্রিকায় বিষয়ভিত্তিক লিখাগুলীও চাপানো হচ্ছে। বেশীরভাগ নামকরা পত্রিকা তাঁদের অন-লাইন সংস্করন ইতিমধ্যে প্রকাশ করা শুরু করেছেন।অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে অচিরেই কাগজে চাপা পত্রিকা জাদুঘরেই খোঁজ করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির ওপর মানুষ যত বেশি নির্ভরশীল হচ্ছে, তত বেশি কমছে কাগজে ছাপা জিনিসের প্রতি তার নির্ভরশীলতা। অনেক করপোরেট প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে পেপারলেস বা কাগজমুক্ত অফিস ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ তাদের সব কাজই হয় কম্পিউটারে। এতে একদিকে যেমন কাগজের খরচ বাঁচে, তেমনি কাগজের জঞ্জালের হাত থেকেও মুক্তি মেলে। যাঁরা নিয়মিত বাসায় এক বা একাধিক পত্রিকা রাখেন, মাস শেষে তাঁদের ঘরে কাগজের যে স্তূপ জমে যায়, সেটি এখন অনেকেরই বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে এই কারণেও অনেকে বাসায় নিয়মিত সংবাদপত্র রাখা বন্ধ করে দিয়েছেন । তবে কাগজে ছাপা সংবাদপত্রের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মোবাইল ফোন। ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে যদি এখন ১০ কোটি মানুষও মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তাহলে ধরে নেওয়া যায় অন্তত এর অর্ধেক জনগোষ্ঠী মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। আর যাঁরা মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তিনি কী কারণে বাসায় কাগজে ছাপা পত্রিকা রাখবেন, যেখানে তিনি প্রতিমুহূর্তেই মোবাইল ফোনে খবর জানতে পারছেন? মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর এই সংখ্যা ক্রমে বাড়তে থাকবে এবং সংগত কারণেই কাগজে ছাপা পত্রিকার চাহিদা কমতে থাকবে। সে সঙ্গে সব ক্ষেত্রে কাগজের ব্যবহার কমানো গেলে যে সেটি পরিবেশের জন্যও একটা আশীর্বাদ হয়ে উঠবে, সে বিষয়ে কারো দ্বিমত থাকার কথা নয়, বিশেষ করে যখন বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্র উপকূলীয় গরিব দেশগুলো তো বটেই, উদ্বিগ্ন ধনী রাষ্ট্রগুলোও। ফলে পেপারলেস হওয়ার একটা আন্দোলন ভেতরে ভেতরে দানা বাঁধছে এবং পেপার ওয়ালারাও সেই আসন্ন পরিবর্তনের সঙ্গে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে জোর দিচ্ছেন অনলাইন মাধ্যমে। অবশ্য অনলাইন সংবাদমাধ্যমের বিপত্তিও এরই মধ্যে টের পাওয়া যাচ্ছে। হাতেগোনা কিছু অনলাইন সংবাদপত্র নিজেদের বস্তুনিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারলেও অখ্যাত অনামি বে-নামি সব ডটকমের উদ্ভট বানোয়াট আর উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ভুয়া খবর যেভাবে প্রতিনিয়ত ফেসবুকে শেয়ার হচ্ছে, এতে যে কোন সময়ে হঠাৎ করে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হবেনা, হলফ করে বলা যায়না।এই সমস্ত উদ্ভট খবর বিশ্বাস করার লোকের সংখ্যাও কম নয়। ফলে সংবাদের নামে বিভ্রান্তিও ছড়াচ্ছে এই তথাকথিত অনলাইন সংবাদপত্র গুলো। পত্রিকাগুলী বানোয়াট খবর চাপায় তেমন বড় কথা নয়, তাঁরা বিভিন্ন আইডিতে গিয়ে কমেন্ট বক্সে লিংক দিয়ে সে বানোয়াট খবর পড়তেও বাধ্য করে। সরকার ঘোষণা দিয়েছে, অনলাইন সংবাদমাধ্যমকেও একটি নীতিমালার আওতায় আনা হবে।অফ-লাইনের পত্রিকার জন্য নীতিমালা থাকা সত্বেও অখ্যাত অনেক পত্রিকা বানোয়াট খবর নিয়মিতই প্রকাশ করে যাচ্ছে। আইনের যথাযথ কায্যকারিতা সেখানে তেমন একটা দেখা যায়নি অতীতে। অন-লাইনের ক্ষেত্রেও তেমনটি হতে গেলে সমুহ বিপদের সম্ভাবনাই বেড়ে যাবে আমি মনে করি।কারন কাগজের পত্রিকার পাঠক সর্বসাকুল্যে ত্রিশ থেকে চল্লিশ লক্ষের বেশী কখনই ছিলনা, সেখানে বর্তমানে অন-লাইনে বিচরন কমপক্ষে দশকোটির অধিক নারী পুরুষ। অতীতে যে খবরটি সর্বচ্ছো এককোটি মানুষের মধ্যে জানাজানি হত তা বেড়ে বর্তমানে দশ গুনের বেশী হয়ে গেছে। ইদানিং একটা দারুন সুখবর অনলাইন এক্টিভিষ্টদের আকৃষ্ট করেছে, উৎসাহিত করেছে খুববেশী। কিছু কিছু অনিয়ম, অপ্রীতিকর, অসামাজিক, বলদর্পি ঘটনায় অন-লাইনে প্রতিবাদের ঝড় উঠার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহন করতে দেখা গেছে। পত্র-পত্রিকা, ইলেকট্রোনিক মিডিয়া যে সমস্ত খবরকে গুরুত্বই দেয়নি অন-লাইন সে সমস্ত খবরকে গুরুত্ব দেয়ার কারনে সমাধানও মিলেছে তড়িৎ গতিতে। সরকার সুত্র উল্লেখ করার কারনে এক্টিভিষ্টগন বুঝতে পেরেছেন- সরকার তাঁদের প্রতিবাদের মুল্যায়ন করেছেন। যেমন নারায়ন গঞ্জের বর্তমান তোড়পাড় করা প্রধান শিক্ষককে সাংসদ কতৃক শাস্তি প্রদান, চাকুরীচ্যুতির বিষয়টি।অন-লাইনে প্রতিবাদের কারনে সরকার উক্ত বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল করে প্রধান শিক্ষকের চাকুরী পুর্নবহাল করেছেন। তাঁরও আগে একজন মন্ত্রী কতৃক মুক্তিযোদ্ধা প্রবির শিকদারকে জেলে প্রেরন ও রিমান্ড মঞ্জুরের পরও আদালত জামিন দিতে বাধ্য হয়েছেন। আরো বহু ঘটনাই উল্লেখ করা যায়-একমাত্র পেইজবুকের কারনে সমাধান পাওয়া গেছে।এর মধ্যে জনগনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় দ্রুত কায্যকরি ফললাভের উদাহরহনও আছে।যেমন-ঠিকাদার কতৃক রডের স্থলে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে সরকারি কাজের অর্থ আত্বসাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহনের নজীরও কম নয়। সাঈদীকে চান্দে দেখা যায় এইরুপ ওয়েব সাইটের সংখ্যা কম নয়।যারা প্রতিনিয়ত উদ্ভট পোষ্ট দিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের সমর্থকেরা মেয়ে আইডি খুলে মানবিক আবেদনের সুরে বিভিন্ন ঘটনা -যেমন হিন্দু ছেলে কতৃক কোরান অবমাননা, মসজিদ সংক্রান্ত অবাস্তব, অলৌকিক ঘটনার উদ্ধৃতি দিয়ে মসুলমানদের বিভ্রান্ত করার প্রয়াস, মুক্তিযুদ্ধার ছবি চাপিয়ে ভিক্ষার পাত্র হাতে- অসত্য ঘটনা প্রকাশ, মানুষকে বিভিন্ন জন্তু জানোয়ারের ছবিতে রুপান্তর করে বলা- কোরান অবমাননার কারনে লোকটি এমন হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।এতে একদিকে লোকটি বড় গুনাহর কাজ করছে -অন্যদিকে হাজার হাজার পেইজবুকারকে বিশ্বাস করিয়ে তাঁদের ঈমানও নষ্ট করছে। সাম্প্রদায়িক উস্কানী তো দিচ্ছেই।আশার কথা হচ্ছে এইরুপ এয়েব সাইটের সংখ্যা এবার কমার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়ে করা অনুরোধে সাড়া দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তথ্য নিয়ে ২৮ এপ্রিল ফেসবুক প্রকাশিত ‘গভর্নমেন্ট রিকোয়েস্টস রিপোর্ট’-এ বলা হয়, ওই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৩১টি অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে ১২টি অনুরোধ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ তথ্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) অনুরোধে সাড়া দিয়ে চারটি কনটেন্ট সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ফেসবুক প্রতি ছয় মাস অন্তর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে কোন দেশের সরকার ফেসবুকের কাছে কী ধরনের অনুরোধ জানায়, তা তুলে ধরা হয়। তবে কোন অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়, তা উল্লেখ করা হয় না। পেইজবুক বাংলাদেশকে যেহেতু তথ্য দেয়া শুরু করেছে অশুভ শক্তির ওয়েব সাইট সম্পর্কে এখন থেকে নিয়মিত তথ্য পেতে সরকারের আর কোন অসুবিধা হএয়ার কথা নয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অনুরুধে অনেকগুলী পর্ণ সাইট কতৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে, লক্ষ করলে দেখা যায় পেইজবুকে অতীতের মত এখন আর পর্ণ সাইটের লিংক দেয়া যায়না, অটোমেটিক্যালি পেইজবুক উক্ত লিংক রিপোর্ট আকারে সরিয়ে নিচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, অনলাইনের গুরুত্ব অধিখারে বেড়ে চলেছে।সাংবাদিকদের অনৈতিক আচরনের দাপট তুলনা মুলক হারে কমতে শুরু করেছে।সব কিছুওই হচ্ছে তথ্য ও প্রযুক্তির আর্শিবাদে। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু

ছবি

বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতের বিদায়, সামনে বিএনপি--- উদ্দেশ্য পরিস্কার, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মান।। ____________________________________________ ১৩ মে-২০১৬ প্রকাশিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বেগম খালেদা জিয়ার একটি বিবৃতি প্রচারিত হয়েছে— ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বলেছিলেন, 'আমি মনে করি- দুর্নীতি, দুঃশাসন, স্বেচ্ছাচারিতা ও নৈরাজ্যের বর্তমান দুঃসহ পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে সবার অংশগ্রহণে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক জাতীয় নির্বাচন ও জনগণের ভোটে একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।’ এই খবর পড়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে যদি তাই হয় তাহলে এই নির্বাচনের বাধা কোথায়? বিএনপির কথামতো এখন সরকার যদি জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করে তাহলে বিএনপি তথা ২০ দলীয় ঐক্যজোট কি সেই নির্বাচনে যাবে? সবার অংশগ্রহণে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক জাতীয় নির্বাচন ও জনগণের ভোটে একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প না থাকলে ম্যাডাম কি এই ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন? তবে কি বিএনপি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি থেকে সরে যাচ্ছে? জানি না বিবৃতিটি প্রকাশ হওয়ার আগে বা প্রকাশ হওয়ার পরেও খালেদা জিয়া দেখেছেন কিনা, হয়তো পরশুরামের ইউএনওর জন্য তার অফিসের কারো কথা শুনে একটি বিবৃতি দিতে কাউকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা অস্বাভাবিক কিছু নয়! কিন্তু সেই বিবৃতিটি যে খালেদা জিয়া পড়ে দেখেননি, সে ব্যাপারে মনে হয় অনেকেই এখন নিশ্চিত। কারণ এই বিবৃতিতে বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তনের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত রয়েছে। বিবৃতিটি পড়ে অনেকের মনে হতে পারে যদি সরকার ‘সবার অংশগ্রহণে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক জাতীয় নির্বাচন ও জনগণের ভোটে একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার’ ব্যবস্থা গ্রহন করে তাহলে বিএনপি হয়তো সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে! তাঁরও আগে জাতিয় কাউন্সিলে খালেদা জিয়া আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেছিলেন, জাতীয় নির্বাচন হবে, এবং তা এই বছরই হবে, হাসিনা বিহীন নির্বাচন হবে। বর্তমান ষড়যন্ত্রের ফসল আসলামের মোসাদ কানেকশান থেকেই কি হাছিনাবিহীন নির্বাচনের কথা বলেছিলেন? ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ দেশে বিদেশে হত্যাকান্ড ঘটাতে পারদর্শী একটি সংস্থা।যিনি মোসাদের সাথে একাধিক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন তিনি চট্রগ্রামের অখ্যাত এক ব্যবসায়ী। গত কাউন্সিলে যে কয়জন কেন্দ্রীয় নেতার নাম ঘোষনা করা হয়েছে তম্মধ্যে আসলামকেও যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই থেকে অনুমান করা যায়, খালেদা জিয়া এবং তাঁর পরিবার মোসাদ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন, আছেন। ষড়যন্ত্র কতটুকু গড়িয়েছিল তা এই মহুর্তে বলা না গেলেও গয়েশ্বরের বিবৃতি থেকে বুঝতে অসুবিধা নেই যে, অনেকদুর এগিয়ে ছিল। বিএনপির অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের জাল আরও বেশি বিস্তৃত হয়ে যাচ্ছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনের খেলোয়াড়রা বাংলাদেশের ম্যাচ ফিক্সিংয়ে এখন তৎপর হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসরায়েল কে নিয়ে আসা হয়েছে।ইসরাইলও এখন নাক গলাচ্ছে এবং তারা ফাঁদে ফেলতে টার্গেট করেছে বিএনপিকে এবং বিএনপিও মনে হচ্ছে সেই ফাঁদে পা অলরেডি দিয়ে দিয়েছে। ইসরায়েলসহ বিশ্বের অনেক অপশক্তি বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতিতে তৎপর। তারা তাদের পাতানো খেলায় নিজ লক্ষ্য অর্জনে বিএনপিকে ব্যবহার করতে চায়। বাংলাদেশের বর্তমান উন্নতি অগ্রগতি এবং ইতিমধ্যে আবিস্কৃত বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদের প্রতি বিদেশীদের লুলপদৃষ্টি থাকবেনা ইহা অস্বাভাবিক বিষয়। আবহমান কাল হতে এই উপমহাদেশের-আমাদের এই জনপথকে শাষন শোষনের লীলাভুমি হিসেবে দেখেছে সাম্রাজবাদী, সামন্তবাদী,পরাশক্তি সমুহ। রাজনৈতিকভাবে বিএনপি অত্যান্ত দুর্বল অবস্থাকে বিদেশী রাষ্ট্র সমুহ তাঁদের দাবার ঘুটি হিসেবে নিয়েছে। বিএনপির উচ্চ পয্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং জিয়া পরিবার--লুটপাটের কারনে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিপযস্ত অবস্থায় আছে। তার উপর মামলা সমুহের বিচারিক কায্যক্রম শেষ পয্যায় এসে পৌছে গেছে। প্রত্যেক মামলায় সাজা হওয়ার আশংকা বিদ্যমান থাকায়, নির্বাচন করার যোগ্যতা হারানোর ভয়ে ভীত খালেদা-তারেক। যে কোন বিদেশী রাষ্ট্রের লোভনীয় টোপ--অগনতান্ত্রিকভাবে সরকার পরিবর্তন করে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়ার পরামর্শে, যে কোন শর্তে সাড়া দিয়ে খমতা পাওয়ার উদগ্র কামনায় ব্যস্ত জিয়া পরিবার। বিদেশি শক্তি তাদের অবস্থান থেকে বাংলাদেশে একটি জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায়, যার জন্য তারা উন্নয়ন বনাম গণতন্ত্র এই বিতর্কে সরকারের সঙ্গে দেনদরবার শুরু করে দিয়েছে। সরকারও মনে হয় মানসিকভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। সম্প্রতি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী (১২ মে-২০১৬) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের ২১তম জাতীয় কনভেনশনে বক্তৃতার বলেন, আগামী ২ বছর ৭ মাসের মধ্যেই নির্বাচন হবে, কাজেই এর ৩ মাস আগে চলমান প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সেদিন হাস্যরস করে বলেছিলেন, 'প্রকল্পের কাজ শেষ করতে না পারলে অন্য কেউ ক্ষমতায় এসে ভিন্ন কথা বলতে পারে। একটি বিষয় বক্তব্যে বেরিয়ে এসেছে— সরকার আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা ছেড়ে দিতে মানসিকভাবে প্রস্তুত—মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এরকম একটি ধূম্রজাল সৃষ্টি করতে পেরেছেন বলে মনে হয়। এখন জনমনে বিশ্বাস অটুট হয়েছে যে, 'যথাসময়েই জাতীয় নির্বাচন হবে।' তাছাড়া জনগনও নির্বাচনের প্রতি তেমন উৎসুক আছে বলে মনে হয়না, সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতির মহাযজ্ঞে জনগন নির্বাচনের কথা ভুলেই গেছে।বিদেশী রাষ্ট্র সমুহ আগের মত নির্বাচন নিয়ে তেমন কথা বলছেন না-তার একমাত্র কারন বাংলাদেশের জনগন উন্নয়নযজ্ঞে নিয়োজিত, নির্বাচনী যজ্ঞে তাঁদের মন নেই।' সরকার ও জনগন এখন গণতন্ত্রের বিকল্প উন্নয়নতন্ত্রের রাজনীতিতে বেশি উৎসাহী। কাজেই বাধ্য না হলে হাতের প্রকল্পগুলো শেষ না করে জাতীয় নির্বাচনে সরকার উৎসাহিত হবে কেন? বরঞ্চ আগামী দুই বছরে বিএনপিকে নির্বাচনের মাঠ থেকে দূরে রাখতে চূড়ান্তভাবে প্রচেষ্টা চালানোই হবে সরকারের মুর্খ্য কাজ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একক প্রচেষ্টায় ইতিমধ্যেই জামায়াতকে বাংলাদেশের রাজনীতির বাইরে ছুড়ে ফেলে দিতে সক্ষম হয়েছেন। আগামী কিছুদিনের মধ্যে চুড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে জামায়াত। শুধু তাই নয়-যুদ্ধপরাধী সংগঠন হিসেবে দলটিকে কাঠগড়ায় উঠতে হবে অচিরেই। জামায়াত আওয়ামী লীগের জন্য আর কোনো মাথাব্যথার কারন নয়। তবে জামায়াতকে কাবু করতে গিয়ে সরকার যে পরিকল্পিত চরম ঝুঁকিপুর্ন পথ বেছে নিয়েছিল, শতভাগ সফলভাবে সে কাজ করতে পারায় আগামী নির্বাচনে তার সুফল আওয়ামী লীগের ঘোলায় উঠবে নিশ্চিত করেই বলা যায়। ১/১১-উত্তর রাজনীতিতে সরকার ক্ষমতায় এসে প্রথমেই তার লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিয়েছিল। ২০০১ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি, সরকারি কর্মকর্তাদের চরম বিরুধীতা ও নির্বাচনে তাদের প্রত্যক্ষ প্রভাব এবং নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সামরিক বাহিনী একতরফা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কাজ করায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মনে ভীতির সঞ্চার হয়েছিল।ফলে চরম পরাজয় মেনে নিতে হয়েছিল আওয়ামী লীগকে। জাতির জনকের কন্যা এক্ষেত্রে প্রতিহিংসা পরায়ন না হয়ে কৌশলী ভুমিকা গ্রহন করেন।এইবার সরকার গঠন করেই শেখ হাসিনা কারন গুলীকে সুচিন্তিত, সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে শেখ হাসিনার সরকার সে কারণগুলো দূর করার ব্যবস্থা গ্রহন করেন সর্বপ্রথম । প্রথমেই ১/১১-উত্তর ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করার সংসদীয় উদ্যোগ গ্রহন করেন। তৎসময়ের শক্তিশালী বিশদলীয় জোটের সামান্যতম বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি,এখান থেকেই সফলতার শুরু মহাজোট সরকারের। সেই সঙ্গে গত ৭ বছরে মহাজোট সরকার-সরকারি কর্মচারীদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা ও সরকারের ক্ষমতার অংশিদারিত্ব প্রদান করেন। যাতে তারা সরকারের রাজনৈতিক শক্তির সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে। পাশাপাশি সামরিক বাহিনীকে সরকারের উন্নয়নের কাজে অংশীদার করে নেন শেখ হাসিনার সরকার। সরকারের এই ত্রি-সহযোগী সৃষ্টি করার পাশাপাশি জাতির জনকের কন্যা একটি মারাত্মক রক্ষণাত্মক বুদ্ধিমত্বার পদক্ষেপও গ্রহণ করে। শত্রুর ক্রমানুসারে লড়াই করার সিদ্ধান্ত গ্রহন, এক্ষেত্রে জাতির জনকের বুদ্ধিমত্বাকেও ছাড়িয়ে গেছেন তাঁর কন্যা। এই পদক্ষেপটি হলো প্রতিপক্ষের সঙ্গে বোঝাপড়া করার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পদক্ষেপ। যে পদক্ষেপ সম্পর্কে বিরুধীরা সামান্যতম আঁচও করতে পারেনি। বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্রতো নয়ই। আওয়ামী লীগের শত্রুতো বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই। দেশরত্ম সবার সাথে-একসাথে না লড়ে, একদল একদলের সাথে লড়ার কৌশল গ্রহন করেন। প্রথমেই আন্দোলন সংগ্রাম, সন্ত্রাস হত্যায় পারদর্শি এবং আন্তজাতিকভাবে খ্যাতি অর্জনকারি জামায়াত শিবিরকে নি:শেষ করার কৌশল গ্রহন করেন। এক্ষেত্রে বিএনপিকে মুক্তিযুদ্ধের টোপ দিয়ে অনেকটাই নিস্ক্রিয় করে দিতে সক্ষম হন জাতির জনকের কন্যা। গনভিত্তিক রাজনৈতিক দল বিএনপি জোটে রেখেও জামায়াতকে রক্ষা করতে কায্যকর উদ্যোগ নেয়নি। জামায়াতকে রক্ষার চেষ্টা না করাই- উভয় দলের জন্য চরম অমঙ্গল ডেকে এনেছে বিএনপি। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের চেয়েও দ্বিগুন ক্ষতির কারন হয়ে দেখা দিয়েছে বিএনপি। শক্তিশালী বিএনপি জোটে না থাকলে অন্তত: সরকারের সাথে সমাঝোতা বা পালিয়ে হলেও বিচার এড়িয়ে যেতে পারতেন অধিকাংশ রাজাকার জামায়াত নেতা। কেউ কেউ বিএনপির শক্তির প্রতি সন্দিহান হয়ে পালিয়েও গেছেন। সফলতার সঙ্গে কৌশল প্রয়োগ করেছে বর্তমান চৌকস সরকার। প্রথমে ধরেছে জামায়াতকে। বিএনপিকে বলেছে, জামায়াতকে জোট থেকে বের না করলে কোন বিষয়ে তোমাদের সাথে আলোচনা হতে পারেনা। আওয়ামী লীগের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গিকার ছিল যুদ্ধপরাধীর বিচার অনুষ্ঠান করা। বিএনপি ও তাই প্রাথমিক অবস্থায় যুক্তিতর্ক করার চেষ্টা করে এবং আন্দোলনেও সামিল হয়েছিল। শেষ পয্যন্ত রনে ভঙ্গ দিয়ে একতরফা মাঠ ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগকে।যাক বাবা জামায়াতের বিচার হবে- আমরা কেন বাংলাদেশের মানুষের বিরাগ ভাজন হব। বিএনপি জামায়াতকে নিয়ে ২০ দল করেছে, ক্ষমতায় গিয়ে একাধিক মন্ত্রিত্ব দিয়ে সরকারের অংশিদারিত্ব দিয়েছিল, জামায়াত রাজাকার, তখন মনে হয়নি! কিন্তু জামায়াতকে যখন নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হচ্ছে তখন বিএনপি ক্ষীনস্বরে বলতে থাকে- আমরাও রাজাকারের বিচার চাই, তবে সেই বিচার সূক্ষ্ম হতে হবে,আন্তজাতিক মানের হতে হবে। চাইতে চাইতে বিচার প্রায় শেষ, সরকার তাঁর উদ্দেশ্যের শতভাগ সফল। এখন বানচাল হলেও তেমন কোন সমস্যা সরকার, আওয়ামীলীগ জনগন কারোর জন্যই হবেনা। অন্য ইদলামী দলগুলীও বিএনপিকে ইতিমধ্যে পরিত্যাগ করেছে। জামায়াত তো সব ফাঁসি হয়েই গেছে। এখন বিএনপির পালা। বিগত সাত বছরে যত ষড়যন্ত্র হয়েছে,যত হত্যাকান্ড ঘটনো হয়েছে,সকল হত্যা, হত্যা ষড়যন্ত্রের তালিকা করে বিএনপির বিচার করাই হবে সময়ের দাবি। এইক্ষেত্রে বিএনপি ফেঁসে গেছে ষড়যন্ত্রের কারনে। খালেদা জিয়ার আত্মঅহমিকা, তারেক জিয়ার বাগাড়ম্বরতা, সহজ পথে ক্ষমতায় আসার পরিকল্পনাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থ্য ভুলে জিয়া পরিবারের স্বার্থ রক্ষা করার অদম্য আখাংকাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে দলটি রাজনীতির স্বাভাবিক গতি ধারা হারিয়েছে। তবে ইহাও সত্যযে বিএনপিতে সৎ সাহসী নেতা নেই। সবাই খালেদার অকর্মণ্য স্তাবক। তৃণমূল বিএনপির কর্মীরা হতাশ। বিএনপির সব পর্যায়ের নেতৃত্ব ভুল লোকদের হাতে। দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচনে যাওয়ার ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত দেওয়ার আলামত ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস চরম আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ নেতা জনবিচ্ছিন্ন। ছাত্র ও যুবসমাজ দিগ্ভ্রান্ত। কৌশল, দিকনির্দেশনা ও নেতৃত্বের অভাবে সরকারি দলের সঙ্গে একসেকেন্ড লড়তে পারছে না। ফলে তারা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে চরম অস্থিরতার মধ্যে পড়েছে। সবাই চরম আস্থাহীনতায় ভুগছে। কারও নিরাপত্তা নেই। ইউপি নির্বাচনে সামান্য প্রতিরোধের দুর্ঘও গড়ে তুলতে পারেনি দলটি। এই অবস্থায় নির্বাচনী মাঠ ত্যাগ করাই শ্রেয় ছিল দলটির, সিদ্ধান্ত নিয়েও কেন জানি আবার মাঠে ফিরে এসেছে। এসে কি আর হবে -খেলোয়াড় তো নেই মাঠে!! সরকারের কঠোরতা ও নির্বাচন কমিশনের পাইকারিহারে আওয়ামীলীগ নিধন কায্যক্রম পরিচালিত নাহলে একটা ইউপিতেও নির্বাচন করার সুযোগ পেতনা দলটি। সামান্য চোখ রাঙানীতেই কপোকাত তৃনমুলের বিএনপি, বলপ্রয়োগতো আরো পরের কথা। সর্বজায়গায় বিএনপির নেতাকর্মীরা জনগন এবং আওয়ামী লীগের হাসি মস্করার পাত্রে পরিনত হয়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বালির বস্তার স্থলে তৃনমুলের বিএনপি নেতাকর্মীরা আওয়ামী কর্মীদের ঘুসি/লাথি অভ্যস্তের বস্তুতে পরিনত হলে আশ্চায্য হওয়ার কিছুই থাকবেনা। অতীতের বিভিন্ন নেতিবাচক রাজনীতি, লুটপাট, ক্ষমতার অপব্যবহার বাদ দিলেও সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি হাইকমান্ডের একের পর এক ষড়যন্ত্র অংকুরেই প্রকাশিত হয়ে পড়ায় দলটি অদুর ভবিষ্যতে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর ক্ষীন আশাও করা যাচ্ছেনা। প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়কে অপহরন ও হত্যার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রে আমেরিকার আদালতে কয়েকজনের শাস্তিভোগ, সাংবাদিক রেহমান শফিকের অকপটে অপহরন ও হত্যা ষড়যন্ত্রের স্বীকারক্তি, তৎসময়ে জয়ের বিরুদ্ধে আড়াই হাজার কোটি ডলার আমেরিকার ব্যংকে জমার অভিযোগ উত্থাপন করে-পরবর্তিতে জয়ের চেলেঞ্জ গ্রহনে পিছুটান, ইসরাইলের দুর্দশ্য গুপ্তঘাতক-আন্তজাতিক কিলার মোসাদের সাথে সরকার উৎখাত এবং জাতির জনকের পরিবারকে নিশ্চিন্ন করার পরিকল্পনা ফাঁস, হেফাজতিদের মন্ত্রীত্বের লোভ দেখিয়ে শাফলা চত্ব্ররে অবস্থান,জামায়াত শিবির কতৃক পবিত্র কোরানে আগুন, তৎসময়ে সেনা অভ্যুত্থানের একাধিক চেষ্টায় ব্যার্থ্যতা, সাংবিধানীক বাধ্যবাধকতার সাধারন নির্বাচন ভন্ডুল করার প্রানান্তকর চেষ্টা-অসংখ্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন, আগুন বোমায় বহু মানুষের জীবনহানী, সম্পদহানী, চলমান আন্দোলনের কর্মসুচি অদ্যাবদি প্রত্যাহার না করা, হঠাৎ করে তীব্র ভারত বিরুধী অবস্থান থেকে সরে - ভারত তোষন নীতি গ্রহন ইত্যাদি নেতিবাচক কর্মকান্ড দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নার্ভাসের শেষ সীমায় নিয়ে গেছে। শতচেষ্টায়ও বিএনপির নেতাকর্মীদের আন্দোলনমুখী করা যাবে বলে মনে হয়না।সবচেয়ে বড় ব্যাপারটি হচ্ছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মাঠপয্যায় আসতে, দলকে সংগঠিত করতে, আন্দোলনমুখী করতে অপরগতা বা অনভিজ্ঞতাই নি:শেষ করছে জনসমর্থিত একাধিকবার ক্ষমতা উপভোগকারি দলটিকে। বর্তমানের এই নাজুক অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই দলটির বেশিরভাগ নেতাকর্মী খোদ জিয়া পরিবারের অধিকাংশ সদস্য জেলের অভ্যন্তরেই থাকতে হবে। বলা চলে তারেক জিয়াকে বিচারের মুখামুখি করার জন্য দেশেফেরৎ আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা অচিরেই সরকারি ভাবে শুরু হতে পারে। কারন তারেককে বিচারের আওতায় আনতে না পারলে জয়ের জীবনহানী সহ বাংলাদেশের উন্নতি ও অগ্রগতির প্রভুত ক্ষতির সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে অভিজ্ঞমহল মনে করছেন। উপসংহারে বলা যায়, 'এমনতর পরিস্থীতিতে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির উত্থান সময়ের দাবি হলেও তেমনটি অতি সহজে, অল্প সময়ে হবে বলে মনে হয়না।জনগনের ভোটের অধিকার, গনতন্ত্র এরই মধ্যে যদি পিচ্ছিলতায় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় তাঁর জন্য সর্বাংশেই দায়ী হবে অপরিপক্ষ বিএনপির বর্তমান রাজনীতি এবং তাঁর লুটেরা নেতৃত্ব।আশা করি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যার কঠোর গনতান্ত্রিক মনোভাবের কারনে দলের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা দুষ্টচক্র তেমন ফলপ্রসূ হবেনা, জািত এই বিশ্বাস এবং আস্থা রাখতেই পারে। ' জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

ছবি

মুসলিম বিশ্বের শত্রু ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থার সংঙ্গে বিএনপির চুক্তি-- সরকার উৎখাত, জনকের পরিবার বিনাশ। _____________________________________ দেশ বিদেশের অনেকে, সরকার, জনগন,বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্রসমুহ,তাঁদের জনগন-সবাই কিংকর্তব্যবিমূড় হয়েছেন বিএনপি জামায়াতের ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা "মোসাদের" সাথে সংযোগ দেখে,শুনে। বৈঠকের সচিত্র প্রতিবেদন ইলেকট্রোনিক মিডিয়ায় ইতিমধ্যে প্রকাশিত হচ্ছে। সারা দেশ আশ্চায্য হলেও আমি নগন্য ব্যাক্তি মোটেও হইনি। তাঁরা তাঁদের স্বার্থে পারেনা -এমন কোন কাজ নেই। তাঁদের উত্থানের অতীতের ইতিহাসের দিকে তাকালে স্পষ্ট দেখা যায়। মেজর জিয়ার দিকে নজর দিয়ে দেখুন-কোন মুক্তিযুদ্ধার পরিবার তৎসময়ের পুর্ব পাকিস্তানের কোন পর্বত, বন, জঙ্গলে পালিয়ে বাঁচতে পারেনি। পাঠান- পাঞ্জাবী সেনাদের নিয্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে, অনেকে জীবন দিতে হয়েছে।জিয়া সাহেব মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, তাঁর পরিবার পাঞ্জাবীদের আবাসস্থল সেনাছাউনিতে দিব্যি আরাম আয়েশে ছিলেন।তিনি মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস সেখানেই কাটিয়ে দিয়েছেন। নিজের ব্যক্তিস্বার্থে স্ত্রীকে যে দলের প্রতিষ্ঠাতা শত্রু সেনার মনোরঞ্জনে রেখে দিতে পারেন,তিনি বা তাঁর দল অন্যকোন কিছু পারবেনা যারা ভাবেন-তাঁরা বোকার সস্বর্গে আছেন। মেজর জিয়ার সিআইএ কানেকশান, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির উত্থানে সর্বাত্মক রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা, সরকারের সর্বচ্ছ নির্বাহী পদে রাজাকারের আসনের ব্যবস্থা, রাজাকার আলবদর সহ জোট গঠন, জাতির জনকের পরিবার হত্যাকারিদের ক্যন্টনমেন্টে সরকারি চাকুরীরত: অবস্থায় নেতৃত্বদান, পরবর্তীতে সরকার গঠন ও পরিচালনা, ইসলামকে ব্যবহার করে সর্বত্র অনৈসলামিক কর্মকান্ড পরিচালনা, পরাজিত পাকিস্তানের সঙ্গে দহরম মহরম,ক্ষমতা নিস্কটক করার জন্য সাজানো অভ্যুত্থানের নামে মুক্তিযুদ্ধা সামরিক অফিসার হত্যা-কি বাকি ছিল? পরবর্তিতে খালেদা জিয়া কতৃক যুদ্ধপরাধীদের সহ জোট গঠন,জঙ্গী উত্থানে পৃষ্টপোষকতা, আলবদর, রাজাকারদের মন্ত্রীত্ব প্রদান,আই এস আই কানেকশান, পেট্রোল বোমার আগুনে জ্যন্তমানুষ দগ্ধ করে দেয়া, মতিঝিলে আলেম উলামাদের এনে পবিত্র কোরানে আগুন-এমন কি কাজ বাকি রেখেছে যা করেনি? তাঁর পরবর্তিতে তাঁর বরপুত্র বীর তারেক বঙ্গবন্ধু এভ্যিনিউতে বোমা গুলী বৃষ্টি বর্ষন করে জাতির জনকের কন্যাকে হত্যা প্রচেষ্টা,সেনাবিদ্রোহের একাধিকবার চেষ্টা, ভারতে শ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহীমের সাথে একাধিক বৈঠক, বিদেশের মাটিতে বসে বাংলাদেশের লুটের টাকা খরছ করে আন্তজাতিক লবিষ্ট ফার্ম নিয়োগ সরকার উৎখাতে,আই এস আই এর সাথে চুক্তি কি বাকি রেখেছে? মুক্তিযুদ্ধে স্বজাতি মা-বোনদের ভীনজাতির সেনাকর্ম কর্তাদের মনোরঞ্জনের জন্য তুলে দেয়া, প্রয়োজন মাফিক ধর্মের ফতোয়া দান, জঙ্গিপনা, হত্যা, সন্ত্রাস, রাহাজানী, লুটপাট, ধর্মের অপব্যাখ্যা এমন কি কাজ বাকি আছে যা জামায়াত শিবির করেনি? শেষাবদি সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর, মুসলিম বিশ্বকতৃক নিষিদ্ধ ইসরালের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সরকার উৎখাতের চুক্তি!!!এতে আশ্চায্য হওয়ার কি আছে? তাঁদের এই সমস্ত কাজ রাজনীতির জন্য প্রযোজ্য - তাঁদের নেতাই একাধিকবার বলে গেছেন! আরো বলেছিলেন রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছুই নেই।আমাদের আবাল নেতারাও অনেকে বলতে আমি শুনেছি, মেজর জিয়ার এই অমৃত বচনটি।যদিও রাজনীতির কোন সুত্রেই এই বচনটি পড়ে না।বচনটির প্রচলনই করেছিল তাঁরা এই সমস্ত আকাম-কুকাম করে জায়েজ করার জন্য।রীতি নীতি বহির্ভুত কর্মকান্ড করে জনগনের দৃষ্টিকে হালকা করার জন্য।তাঁদের নীতিতে তাঁরা অটল আছেন,আমরাই বরং নীতিভ্রষ্ট হয়েছি তুলনামুলক বেশি।তাঁদের জম্ম বিদেশী শক্তির ষড়যন্ত্রের ফসল, তাঁরা কি জম্মদাতা ভুলে যেতে পারে? তাঁদের জম্ম হত্যা, খুনের মধ্য দিয়ে-তাঁরা কি ভুলে যেতে পারে হত্যা - খুন ? বরঞ্চ আওয়ামী লীগ রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে জম্ম নেয়া জাতির জনকের আদর্শের অনুসারী দল।বর্তমানে আওয়ামী লীগ রাজপথেও নেই, আন্দোলন বা সংগ্রামেও নেই। যাঁর আদর্শকে ধারন করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বার বার ফিরে আসছে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান- তাঁর দৌহিত্র জনাব সজিব ওয়াজেদ জয়ের চরিত্র হনন করা হচ্ছে বিগত আট বছর ব্যাপি।অথছ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ প্রতিরোধের কোন কর্মসূচি আজও নেয়া হয়নি, সবাই যেন নির্লিপ্ত। ষড়যন্ত্রকারিদের সর্বাত্মক চেষ্টা জম্মসুত্রের অঙ্গিকার পুরনের স্বার্থে অব্যাহত রেখেছে।, অপর পক্ষে আওয়ামী লীগ রাজপথে জম্ম নেয়ার অঙ্গিকার পুরনে সর্বদাই ব্যার্থ্য হচ্ছে। রাজনীতি দিয়ে হত্যা চক্রান্ত রুখতে - রাজপথে প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। অঙ্গিকার ভঙ্গকারী ষড়যন্ত্রকারিরা-নাকি বর্তমান ক্ষমতাসীন গনতান্ত্রিক দল আওয়ামী লীগ? জয়কে হত্যা পরিকল্পনা জানাজানি হয়েছে ২০১১ ইং সালে। মার্কিন আদালতে বিচার হয়েছে ষড়যন্ত্র কারিদের। তাঁরা এখন জেখানায় আছে সেই দেশের।বাংলাদেশে যারা জড়িত ছিল তাঁদেরকে সবেমাত্র দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ রাজ পথে না গিয়ে- নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে। জয়ের বিরুদ্ধে টাকা হ্যকিং করে চুরির অভিযোগ উত্থাপন করা হল, আওয়ামী লীগ কুম্ভঘুমেই রয়ে গেল। হ্যকিং চুরি ধরা পড়েছে ফিলিফিন্সে-তাঁদের বিচার করার জন্য জেলখানায় রাখা হয়েছে সেই দেশের। ,মিথ্যা অভিযোগ আনা হল আইসিটি বিশেষজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী পুত্র জয়ের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ প্রতিরোধ দুরের কথা- মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপনের বিরুদ্ধে কোন জেলা- উপজেলায় একটি মামলাও হয়নি। এই সেইদিন জয়ের আমেরিকান ব্যাংকের একাউন্টে আড়াই হাজার কোটি টাকা জমা আছে চেলেঞ্জ দিলেন খালেদা জিয়া।তিনি আরও বললেন এই টাকা বাংলাদেশ থেকে লুট করে নিয়ে গেছে। তাঁরা সবাই জানেন, আমেরিকার কোন ব্যাংকে টাকা রাখতে গেলে সেই টাকা বৈধ পথে আয়ের টাকা হতে হয়। জনমনে জয়ের চরিত্র হনন করার প্রয়োজন তাঁদের-সত্যতার কোন প্রয়োজন নেই।এতবড় অভিযোগ আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত কান্ডারির বিরুদ্ধে উত্থাপন করা হল আনুষ্ঠানিক ভাবে-অথছ আওয়ামী লীগ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, ঘুম যেন ভাংছেইনা।কোথাও কোন প্রতিবাদ,সড়ক অবরোধ,আগুন, গাড়ী ভাংচুর নিদেন পক্ষে একটা খড়ের স্তুপে আগুন দিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করার প্রয়োজন অনুভব করেনি আওয়ামী লীগ। বিএনপি-জামায়াতের সম্যক উপলব্ধিতে এসেছে- রাজনৈতিক কর্মসূচি, আন্দোলন, সংগ্রাম, কৌশল -কূটকৌশলে তারা পেরে উঠবে না। গত সাত বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করে তারা দেখেছে, আন্তজাতিক জরিপ সমুহ লক্ষ করেছে- আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি বিশাল আকার ধারণ করেছে।শেখ হাসিনার ভাবমুর্তি দেশ ছেড়ে আন্তজাতিক পয্যায় পৌঁচেছে। তিনি এখন শুধু বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালী জাতির গর্ব নন, সারা বিশ্বের গর্ব, এটা আমার কথা নয়-মার্কিন কংগ্রেসম্যানের কথা। একদা গরীব ভিক্ষুক দেশ মধ্য আয়ের দেশে রুপান্তরীত হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত ক্ষুদ্রকায় এবং ভগ্ন দেহের ন্যায় ক্রমাবনতিতে নিচে নামতে নামতে শক্তিশালী আওয়ামী লীগের অত্যাচার, নিয্যাতন এবং বিনোদনের উপকরণে পরিণত হয়েছে।তাঁদের সাবেক মন্ত্রীর মুখেই শুনা গেছে-- বিএনপির কথা বলতে গেলে মানুষ হাসাহাসি করে,। তাঁর এখনও লালা পড়ে মুখের- কথা বলার সময়।অথছ তিনি নাকি উচ্চশিক্ষিত মন্ত্রী ছিলেন বিএনপি সরকারের!! বৃটিশ পার্লামেন্ট তাঁদের বার্ষিক রিপোর্টে বলেছে-"শেখ হাসিনার রাজ নৈতিক কৌশলের কাছে বিএনপি বিলুপ্তির পথে।, খালেদা জিয়া রাজনীতি বিচ্যুত হয়ে জেলখানায় বাকি জীবন অতিবাহিত করতে হবে।" এমনিতর অবস্থায় জম্মসুত্রের অঙ্গিকারের দিকেই দলটি যাবে ইহাই স্বাভাবিক।মোসাদের সাথে চুক্তি শুধু সরকার উৎখাত নয়,জাতির জনকের পরিবারকে সমূলে বিনাশ ও বটে। জাতির জনকের অবশিষ্ট সদস্যদের হত্যা করার পর আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতারা কিভাবে বেঁচে থাকবেন চিন্তা করেন?তাঁদের মধ্যে কি মোস্তাকের দলের ভুমিকায় একাধিক নেতা রয়েছেন?তাঁরপরেও কেউ যে তাজউদ্দিন গং হবেনা তাঁর গ্যারান্টি কি ভাবে পেলেন সবাই? প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কর্ম রাজপথ।রাজনৈতিক দলের একমাত্র ধর্ম - আন্দোলন, সংগ্রাম। সরকার গঠন, ক্ষমতা উপভোগ করা রাজনৈতিক দলের জন্য দুনিয়াবি বেহেস্ত। আওয়ামী লীগ নেতারা এক ও দুই বাদ দিয়ে তিনে ব্যস্ত। সুতারাং ষড়যন্ত্রকারিরা সবে 'মোসাদের' সাথে চুক্তি করেছে-সুযোগ পেলে মঙ্গল গ্রহের এলিয়েনের সাথে চুক্তি করে আওয়ামী নেতাদের নির্লিপ্ততা ভাঙ্গাবে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে সে সময় বেশি দূরে নয়। আল্লাহ সহায় ' জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

ছবি

জাতির জনকের পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র--আওয়ামী নেতাদের রহস্যজনক নীরবতা----- _____________________________________ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্র, হত্যা বা হত্যা পরিকল্পনায় নোবেল বা তৎসম আন্তজাতিক মানের কোন পুরষ্কারের ব্যবস্থা করা হলে ফি বছরই উক্ত পুরস্কার সাংগঠনিকভাবে বিএনপি জামাতই পাবে।যদিও রাষ্ট্রীয় কোন কাজে বা কোন দর্শনের জন্য এযাবৎ কোন দেশি বিদেশি পুরষ্কার সংগঠন দু'টির শীর্ষনেতাদের ভাগ্যে জোটেনি। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তি সময় তথাকথিত কমিনিষ্টরা সমাজতন্ত্র কায়েমের লক্ষে শত শত জোতদার, নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক হত্যা করে, সর্বহারার 'কৃষকরাজ শ্রমিকরাজ' কায়েমের লক্ষে। জাতির জনকের পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক অপপ্রচার,শেখ কামালের বিরুদ্ধে ব্যংক ডাকাতির মত সস্তা মোখরোচক অপবাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিল, যদিও অদ্যাবদি সেই ব্যাংক ডাকাতির কোন দালিলিক প্রমান আজ পয্যন্ত তাঁরা দাখিল করতে পারেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নীজ থেকেই 'সংসদে ঘোষনা দিয়ে বলেছিলেন-'শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাতি করেছে, প্রমান দিতে পারলে আমি পদত্যাগ করব।'সেই চেলেঞ্জ এখন পয্যন্ত হাওয়ায় ভাসছে, ষড়যন্ত্রকারিদের পক্ষ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে রাতের অন্ধকারে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে সফল হত্যাকারি, রাজাকার, আলবদর, সর্বহারা, কমিউনিষ্ট, ধর্মাগ্ধ গোষ্টি সমুহ একাকার হয়ে নতুন রুপে মেজর জিয়ার দৃশ্যপটে আসার প্রারম্ভে আত্মপ্রকাশ ঘটে। শুরু হয় ভিন্নধর্মী অপপ্রচার-জাতির জনকের ৩২ নম্বরে একাধিক স্বর্ণের মকুট, বস্তায় বস্তায় টাকা,স্বর্ণের খনি ইত্যাদি ইত্যাদি পাওয়া গেছে, যদিও অদ্যাবদি রাষ্ট্রের কোন তহবিলে উক্ত জব্দকৃত মালামাল জমা দেয়া হয়েছে তাঁর তথ্য আদৌ জনগনকে জানানো হয়নি। জাতির জনকের পরিবারের তিরোধান হলেও আওয়ামী লীগের উত্থানের ভয়ে উল্লেখিত অপপ্রচার একতরফাভাবে পরিচালনা করে আওয়ামী লীগের দলীয় ভাবমুর্তি নষ্ট করা এবং জাতির জনকের পরিবারের বিরুদ্ধে বিদ্বেস ছড়াতেই এই হীনঅপপ্রচার করেছিল ঘাতক এবং ঘাতকদের অপকর্মের লভ্যাংশভুগীরা। শেখ কামালের বিরুদ্ধে যখন অপপ্রচার তুঙ্গে তখন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। এমনকি কোনো শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার জন্য একটি বক্তৃতা বা বিবৃতি দেননি। ফলে জনমত এবং জনরোষে কেবল শেখ কামাল এবং শেখ পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। পুরো আওয়ামী লীগকেই বদনামের দায়ভার নির্মমভাবে বহন করতে হয়েছিল এবং এখনো হচ্ছে। অথচ একটু চেষ্টা করলেই ইতিহাসের সেই সব মিথ্যা দায় থেকে শেখ কামালের বিদেহী আত্মাকে রক্ষা করা সম্ভব। ৭৫ থেকে ৮১ বলতে গেলে একতরফাভাবেই আওয়ামী বিরুধী প্রচারনা চালিয়ে যাওয়ার পর মুজিব কন্যা দেশে আসার পর কিছু কিছু জবাব এবং নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে থাকলে অপপ্রচারের তীরের আঘাতও কমতে থাকে।৯০'এর স্বৈরাচার বিরুধী আন্দোলনে জননেত্রী শেখ হাসিনার পালে হাওয়া বইতে শুরু করে,অপপ্রচারের জবাবের সাথে সাথে প্রতিরোধের দুর্গ গড়ে উঠে।পরিনামে ১৯৯৬তে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় খমতায় ফিরে আসে।৯৬ থেকে ২০০১ ইং পয্যন্ত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ষড়যন্ত্রীদের দাবার ঘুঁটি সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া হয়। সরকারের আমলা থেকে দেশ বিদেশের শত্রুশক্তি সমুহ এক ও অভিন্ন ভাবে একাকার হয়ে আওয়ামী লীগের উপর হামলে পড়ে।দেশব্যাপি আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, সংখ্যা লঘুদের উপর নেমে আসে ঘোর অমানিশা। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে ঘরবাড়ী ছাড়া করে সাধারন নির্বাচনের ঘোষনা দেয়া হয়।সংগত কারনে আওয়ামী লীগ তথা জাতির জনকের কন্যার সরকারের" গঙ্গার পানিচুক্তি, পার্বত্য চট্রগ্রামের শান্তিচুক্তির মত বিশাল ও যুগান্তকারি অর্জন থাকা সত্তেও চরম ভাবে পরাজিত হতে বাধ্য হয়।" এবার জয়ের প্রসঙ্গে কিছু বলা যাক। জয় রাজনীতিতে যুক্ত আছেন কিনা অথবা অনাগত দিনে আদৌ যুক্ত হবেন কিনা এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী অথবা জয় নিজ থেকে কিছু না বললেও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা জয়কে কেন্দ্র করে তাদের প্রচার প্রপাগান্ডা শুরু করে দিয়েছে অনেক দিন আগে থেকেই। নবম সংসদের ভিতরে, বাইরে, রাজপথে এবং বিদেশে চতুর্মুখী আক্রমণে জয়ের চরিত্রে কালিমা লেপন করার অব্যাহত চেষ্টা শুরু হয়েছে সেই ২০০৯ সালের প্রথম দিন থেকেই। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বেশ কয়েক মাস আগে জাতীয় প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ উত্থাপন করেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের একটি অ্যাকাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেনের প্রমাণপত্র তাদের হাতে রয়েছে। এ ঘটনার পর বিএনপি নেতারা বিভিন্ন টকশো, সভা সমিতি এবং সেমিনারে মার্কিন ফেডারেল কোর্টের একটি ডকুমেন্টের ফটোকপি উপস্থাপন করে নিজেদের বক্তব্যকে সত্য, বস্তুনিষ্ঠ এবং নির্ভুল বলে প্রমাণের অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে আসছিল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে। একাজে হাজার হাজার ডলার খরছ করে বিদেশী লবিষ্ট ফার্ম পয্যন্ত নিয়োগ করেছে, যাহা পরবর্তিতে দেশি বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে ফলাও প্রচারও পেয়েছিল। দেশে এবং বিদেশে ক্রমাগত প্রচার-প্রপাগান্ডা চালিয়ে যখন এই বিশ্বাসে উপনীত হলো যে, বিষয়টি জনমনে যথেষ্ট বিস্তৃতি লাভ করেছে এবং আওয়ামী লীগের তরফ থেকে কোনো রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া আসছে না, তখন তারা তাদের নেত্রী খালেদাকে দিয়ে বলাল যে," জয়ের অ্যাকাউন্টে আড়াই হাজার কোটি টাকার অবৈধ অর্থ জমা আছে।" এখানে উল্লেখ্য যে, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তি জাতির জনকের সরকার ও পরিবার বিশেষ করে শেখ কামালের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু হয়ে জনমনে বিস্তৃতি পেয়ে ঘৃনায় রুপান্তরের পয্যায়ও সরকার এবং আওয়ামী লীগের দলীয় পয্যায় থেকে কোন প্রকার আত্মপক্ষ সমর্থন পুর্বক বক্তৃতা বিবৃতি, মিটিং মিছিল করে প্রতিবাদ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলত: কানকথা সত্যে রুপান্তরীত হয়ে জাতির জনকের পরিবারের জীবন কেড়ে নিয়েছে এবং আওয়ামী লীগকেও বিপযস্ত করেছে, চরম মুল্য দিতে হয়েছে দীর্ঘ একুশ বছর দলটিকে। ২০০৯ইং সাল থেকে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক প্রচার-অপপ্রচারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত নেতৃত্ব সজিব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধেও প্রপাকান্ড অব্যহত রাখে বিএনপি-জামায়াত। ২০১৪-১৫ইং সালে এসে জয় একক অপপ্রচারের শিকারে পরিনত হতে থাকেন। সর্বশেষ তীর ছোঁড়া হয় খালেদা জিয়াকে দিয়ে ২৫হাজার কোটি টাকা আমেরিকান ব্যাংকে জয়ের একাউন্টে জমা আছে।যদিও একহাজার ডলার জমা রাখতেও সুনির্দিষ্ট আয়ের দলিল প্রদর্শন করতে হয়, আমেরিকার আইন অনুযায়ী।এফবি আই তো রয়েছেই খুঁত খোঁজার চেষ্টায়। এক্ষেত্রেও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পয্যায় থেকে তৃনমুল পয্যন্ত ৭২-৭৫ ইং এর মতই নির্ণিলিপ্ততা দেখা যায়। কোন পক্ষ হতেই অপপ্রচারের জবাব দেয়া বা প্রতিবাদ জানানো বা প্রতিরোধের লেশমাত্র ও দেখা গেলনা। আওয়ামী লীগ ছাত্র লীগ, সরকারের পোষ্য বুদ্ধিজীবি থেকে শুরু করে সরকারের বেনিফিসিয়ারি সকল শ্রেনী-পেশার নেতৃত্ব মুখে কুলুপ দিয়ে বসে আছেন।এমন ভাব দেখাচ্ছেন,বলছেতো জয় সম্পর্কে, আমিতো চুরি করেও বেঁচে গেলাম। '৭৫ এর সময়ে, শেখ কামালের শিক্ষা, রাজনীতি, সামাজিক, ক্রীড়াক্ষেত্রে যে অসামান্য অবদান ছিল, অনায়াসেই অপপ্রচারের জবাব দেয়া সম্ভব হত।বলা যায় তাঁর সেবামুলক, ক্রীড়াক্ষেত্রের অবদান সম্পর্কেও তুলে ধরা হলে ইমেজ বেড়ে অপপ্রচার ইমেজের তলায় চাপা পড়ে পিষ্ট হয়ে যেত। শেষ কথা বলতে গেলে অনায়াসেই বলা যায়, শেখ কামালের যে সামাজিক, রাজনৈতিক ইমেজ গড়ে উঠেছিল-সেই ইমেজের নিম্ন শ্রেনীর কোন পরিবারের সদস্যও অপ-প্রচারের কর্মের সাথে যুক্ত হতে পারেনা, তিনিতো জাতির জনকের সন্তান, তৎসময়ের স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের পুত্র। যার নেতৃত্ব দেশ ছেড়ে বিশ্বের নিপিড়িত নির্যাতীত জাতিগোষ্টির সংগ্রামের আধাঁরে পরিনত হয়েছিল। বর্তমান সময়ে সজিব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে আমি কি বলব,এই দেশের অশিক্ষিত চাষাভুষাও জানে জয়ের ব্যক্তিগত প্রোফাইল সম্পর্কে। আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, তথ্যও প্রযুক্তির বাংলাদেশ মানেই প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র 'জয়।'যিনি হার্ভাড থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ সর্বউচ্চ ডিগ্রি গ্রহন করে বাংলাদেশের বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক অবৈতনিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনরত: রয়েছেন। যিনি কাজ করেন দিবারাত্র বাংলাদেশকে উন্নত ,সমৃদ্ধ, বিজ্ঞান ভিত্তিক, শিল্প সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। কিন্তু সরকারের কোন বেতন ভাতা গ্রহন করেন না। এর চেয়ে প্রচারের বড় উপকরন আর কি থাকতে পারে? বর্তমান বিশ্বের এমনকোন দেশের সরকার প্রধানের ছেলে/মেয়ের দেশের জন্য, জাতির জন্য এই অসামন্য অবদান কি আছে? কেউ কি একটা উদাহরন দিয়ে বলতে পারবেন? পতুল সম্পর্কে আমি কিছুই আজ লিখবনা, লিখাটা অনেক বড় হয়ে যাবে। গত সাত আট বছর কোন মন্ত্রী,এমপি, আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতা কারো মুখেই এই কথাটিও বের হয়নি জয় স্বেচ্ছাশ্রমে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা। কিন্তু কেন? এতবড় অপবাদ দেয়ার পরও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোন কর্মসূচি নেয়া হয়নি কেন?, আওয়ামী লীগের পক্ষ হতে কোন বিবৃতি দেয়া হয়নি কেন? জেলা-উপজেলায় প্রতিরোধ গড়ে উঠেনি কেন? এমন কোন নেতা কি আছেন, যিনি কোটি টাকার মালিক হননি? প্রথম থেকে প্রতিবাদি ভুমিকায় আওয়ামী লীগ মাঠে থাকলে ষড়যন্ত্র কি বিস্তৃতি পেত? শুধু দলকে ব্যবহার করে মন্ত্রী এমপি হবেন,টাকার পাহাড় বানাবেন? যাদের কারনে দল, যাঁদের পরিবারের ভাবমুর্তি বিক্রি করে, যত্রতত্র ব্যবহার করে, এখনও রাজনীতিতে টিকে আছেন,দল টিকিয়ে রেখেছেন -তাঁদের ইমেজ রক্ষায় কোন ভুমিকা রাখবেন না? এটাও কি জনগন মেনে নিতে হবে? এটা কি জাতির জনকের পরিবারের দুভাগ্য? 'জয় নীজ থেকে বলতে হয়েছে, আমার কাছে উল্লেখিত টাকা থাকলে এনে দিন আমি এতিমদের উক্ত টাকা দান করে দেব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে দাঁড়িয়ে বলতে হয়েছে-" জয়ের কোন টাকা নেই, থাকলে প্রমান করার চেলেঞ্জ দিলাম। " তাঁর পি,এস বলতে হয়েছে -জয় সরকারের কোন বেতন ভাতা গ্রহন করেন না।'তিনি সম্পুর্ণ অবৈতনিক উপদেষ্টা"।আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতা,সরকারের লভ্যাংশভূগীরা, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পোষ্য বুদ্ধিজীবিরা মনে রাখা প্রয়োজন যা কিছু করছেন, করার আসায় ঘুরঘুর করছেন সব কিছুর মুলে জাতির জনকের পরিবার।দেশের উন্নতি, অগ্রগতি, সুনাম শেখ হাসিনার কারনে।আগামী দিনের আওয়ামী লীগের কান্ডারী সজিব ওয়াজেদ জয়ই।তাঁর ভাবমুর্তি ক্ষুন্নের অর্থই হচ্ছে আওয়ামী লীগের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন, কারন আওয়ামী লীগ মানেই জাতির জনকের আদর্শ,জাতির জনকের আদর্শএর মুলমন্ত্রই হচ্ছে তাঁর পরিবার।তাঁর পরিবারের শীর্ষ ইমেজের মালিকই হচ্ছে জয় এবং পতুল।জাতীয় ও আন্তজাতিক পয্যায় নীজস্ব পেশা এবং কর্মগুনে ইতিমধ্যেই তাঁরা দুইজন খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে যতদিনই টিকে থাকতে পারবে,জাতির জনকের নাম মুখে উচ্চারন করেই টিকে থাকতে হবে।তাঁর আদর্শকে ধারন করেই এগিয়ে যেতে হবে।জাতির জনকের পরিবারের একজন সদস্য জীবিত থাকলে তাঁর নেতৃত্বেই রাজনীতি করতে হবে,সরকারে যেতে হবে। ইহাই বাস্তবতা, ইহাই সত্য। জাতির জনকের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর দু:সময়েও নেতৃত্ব নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচরদের মধ্যে কাঁদাছুড়াছুড়ি জাতি দেখেছে।দলকে দ্বিখন্ডিত কারা করেছিল জাতি দেখেছে। নেতৃত্বের কাড়াকাড়িতে একে অপরকে মাইনাস করার লক্ষ নিয়ে তাঁর জৈষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধান মন্ত্রীকে সভাপতির পদ নেয়ার আহব্বান জানানো হয়েছিল।একান্ত মনের টানে নয়, রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য, দলকে ব্যবহার করে আন্তজাতিক খ্যাতি অর্জনের জন্যই আনা হয়েছিল। সুবিধা করতে না পেরে অনেকেই দল ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বহুগুন শক্তিশালী হয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে। শুধু আসেইনি, বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছেন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলার ক্ষুদামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধশালী, বিজ্ঞানভিত্তিক, তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশের পয্যায়ে। বিএনপি-জামায়াতের সম্যক উপলব্ধিতে এসেছে- রাজনৈতিক কর্মসূচি, আন্দোলন, সংগ্রাম,এবং কৌশল-কূটকৌশলে তারা পেরে উঠবে না। গত সাত বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করে তারা দেখেছে, আন্তজাতিক জরিপ সমুহ লক্ষ করেছে- আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি বিশাল আকার ধারণ করেছে।শেখ হাসিনার ভাবমুর্তি দেশ ছেড়ে আন্তজাতিক পয্যায় পৌঁচেছে। তিনি এখন শুধু বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালী জাতির গর্ব নন, সারা বিশ্বের গর্ব, এটা আমার কথা নয়-মার্কিন কংগ্রেস ম্যানের কথা। একদা গরীব ভিক্ষুক দেশ মধ্য আয়ের দেশে রুপান্তরীত হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত ক্ষুদ্রকায় এবং ভগ্ন দেহের ন্যায় ক্রমাবনতিতে নিচে নামতে নামতে শক্তিশালী আওয়ামী লীগের অত্যাচার, নিয্যাতন এবং বিনোদনের উপকরণে পরিণত হয়েছে।তাঁদের সাবেক মন্ত্রীর মুখেই শুনা গেছে-- বিএনপির কথা বলতে গেলে মানুষ হাসাহাসি করে,। তাঁর এখনও লালা পড়ে মুখের- কথা বলার সময়।অথছ তিনি নাকি উচ্চশিক্ষিত মন্ত্রী ছিলেন বিএনপি সরকারের!! বৃটিশ পার্লামেন্ট তাঁদের বার্ষিক রিপোর্টে বলেছে-শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশলের কাছে বিএনপি বিলুপ্তির পথে,খালেদা জিয়া রাজনীতি বিচ্যুত হয়ে জেলখানায় বাকি জীবন অতিবাহিত করতে হবে। এ অবস্থায় তারা আন্দোলন সংগ্রামের পরিবর্তে মস্তিষ্ক ব্যবহার করে ক্ষমতাসীনদের প্রান পাখীর খোঁজ শুরু করেছে-ঠিক যেন রূপকথার গল্পের মত। তারা ১৯৭৪-৭৫ সালের বাংলাদেশের ইতিহাস এবং ওয়াটার লু যুদ্ধের পূর্ববর্তী প্রথম বছরের ফ্রান্সের ইতিহাসের দুর্বলতা গুলো ২০১৬ সালে এসে নতুন করে মঞ্চায়নের চেষ্টা করছে। তারা জয় সম্পর্কে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের দুর্বলতা ,মায়ের মাতৃস্নেহকে পুঁজি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দুর্বল করে মানষিক চাপে রাখার উদ্দেশ্যে জয়ের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারে নেমেছে। আরও কয়েকটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে,বাংলাদেশের মানুষ সব কিছুই অবগত আছে। খালেদা জিয়ার পরিবার গন্ধযুক্ত বদহজমী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ক্ষমতার উত্তরসুরি-জয়ের গাঁয়েও যদি সামান্য গন্ধ লাগানো যায়, অপপ্রচারে সেই গন্ধকে দুগন্ধে রুপান্তরীত করা যাবে।রাজনীতিতে ভারসাম্য আনা যাবে।খালেদা জিয়ার রাজনীতি ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনার দুরদর্শিতায় ধরাশায়ী।,বরপুত্র তারেককে বীরের বেসে আনতে না পারলে- ইতিহাসের আস্তাকুড়ে যেতে হবে জিয়া পরিবারটি সহসাই। লক্ষ্য পূরণে তারা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের লক্ষকে ভোঁতা করে জয়ের ইমেজ রক্ষা করা আওয়ামী লীগ নীজেদের ভবিষ্যত রাজনীতির জন্যই প্রয়োজন।শেখ হাসিনা বা জয়ের প্রয়োজন নেই বাংলাদেশে রাজনীতি করার, অথছ প্রতিনিয়ত মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা বাংলাদেশের উন্নতি অগ্রগতি, জীবনযাত্রার মান উন্নত করার লক্ষে অক্লান্ত পরিশ্রম অব্যাহত রেখেছেন।সকল প্রকার ষড়যন্ত্রকে পায়েপিষ্ট করে মা-ছেলে এগিয়ে যাচ্ছেন সমান তালে। 'জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

ছবি

আল বদর বাহিনী গঠন,নিজামীর ভুমিকা--উইকিপিডিয়া থেকে ধারনা********* ------------------------------- আল বদর ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহায়তা দানকারী আধা-সামরিক বাহিনী। যার সৃষ্টি হয়েছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রকে অখন্ড রাখার উদ্দেশ্যে জনমত গঠন করার জন্য। পূর্বাঞ্চলীয় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল নিয়াজীর পৃষ্ঠপোষকতায় এই বাহিনী গঠিত হয়েছিল। ইসলামিক ইতিহাসের বদর যুদ্ধকে আদর্শ করে এই বাহিনী গঠিত হলেও এদের মূলকাজ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া আর নারী ধর্ষণ এবং ধর্ষণে সহায়তা করা। মে মাসে রাজাকার বাহিনী গঠনের আগেই এপ্রিল মাসে গঠিত হয় আল বদর বাহিনী। রাজাকার বাহিনী সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে, আর আল বদর বাহিনীর মূল কাজ ছিল সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক গণহত্যার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা। সাধারণভাবে ধারণা করা হয় যে পাকিস্তান বিরোধী বুদ্ধজীবীদের হত্যা করাই ছিল এই বাহিনীর মূল লক্ষ্য। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনীর পতনের পর এই বাহিনীর বিলুপ্তি ঘটে। প্রতিষ্ঠা সম্পাদনা সাংবাদিক ও গবেষক আজাদুর রহমান চন্দন তার এক বইয়ে লিখেছেন, একাত্তরে ইসলামী ছাত্রসংঘকে আল-বদর বাহিনীতে রূপান্তর করা হয়েছিল। এ বাহিনীর প্রতিষ্ঠা হয় ২২ এপ্রিল জামালপুরে পাকিস্তানী বাহিনীর পদার্পণের পরপর ময়মনসিংহ জেলা ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি মুহম্মদ আশরাফ হোসাইনের নেতৃত্বে। অন্যদিকে আল-শামস বাহিনীতে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ছাড়াও মুসলিম লীগপন্থী বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও মাদ্রাসা ছাত্রদের সংগঠন জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার নেতা-কর্মীরা ছিল। আল-বদর ও আল-শামস বাহিনীর কর্মকাণ্ড ছিল অনেকটা একই রকম। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে এদের ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। [১] ১৯৭১ সালে দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশিত তথ‌্যের উদ্ধৃতি দিয়ে আজাদুর রহমান চন্দন লিখেছেন, সে বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম ভাগ পর্যন্ত জামালপুরে আলবদর বাহিনী সাতটিরও বেশি ক্যাম্প স্থাপন করে। [২] ২২ এপ্রিল, ১৯৭১ তারিখে ময়মনসিংহ জেলা ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি মুহম্মদ আশরাফ হোসাইনের নেতৃত্বে জামালপুর শহরে আল বদর বাহিনী গঠিত হয়। দৈনিক পাকিস্তান ও পূর্বদেশ পত্রিকায় ২৩ এপ্রিল, ১৯৭১ তারিখে প্রকাশিত সংবাদে আল বদর বাহিনী নিজেদের সম্পর্কে বলে, "আলবদর একটি নাম! একটি বিস্ময়। আলবদর একটি প্রতিজ্ঞা! যেখানে তথাকথিত মুক্তিবাহিনী আলবদর সেখানেই! যেখানেই দুষ্কৃতকারী, আলবদর সেখানেই। ভারতীয় চর বা দুষ্কৃতকারীদের কাছে আলবদর সাক্ষাৎ আজরাইল।" দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় ১৪ নভেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্রকাশিত সংবাদে ইসলামি ছাত্রসংঘের নেতা মতিউর রহমান নিজামী বলে, "আমাদের পরম সৌভাগ্যই বলতে হবে। পাকসেনাদের এ দেশের ইসলাম প্রিয় তরুন ছাত্র সমাজ বদর যুদ্ধের স্মৃতিকে সামনে রেখে আল-বদর বাহিনী গঠন করেছে। বদর যুদ্ধে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল ৩১৩। এই স্মৃতিকে অবলম্বন করে ৩১৩ জন যুবকের সমন্বয়ে এক একটি ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।" ইরানি বংশোদ্ভূত গবেষক সাইয়েদ ওয়ালি রেজা নাসের তাঁর 'দ্য ভ্যানগার্ড অব দি ইসলামিক রিভলিউশন : দ্য জামায়াতে ইসলামী অব পাকিস্তান' শীর্ষক বইয়ে লিখেছেন, 'একাত্তরে সরকারের অনুপ্রেরণায় ইসলামী ছাত্রসংঘ (আইজেটি) হয়ে ওঠে জামায়াতে ইসলামীর মূল শক্তি। আর্মির সহায়তায় এরা আলবদর ও আলশামস নামে দুটি প্যারামিলিটারি ইউনিট গঠন করে বাঙালি গেরিলাদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য। ইসলামী ছাত্রসংঘের তখনকার নাজিম-ই আলা (প্রধান) মতিউর রহমান নিজামী আলবদর ও আলশামস বাহিনী গঠন করেন।'[৩] [ পাকিস্তান উস্মা প্রকাশ করে নিজামীর জন্য বলেছেন,তিনি তাঁদের সহযোগি ছিলেন, পাকিস্তানের বন্ধু ছিলেন। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর আবারো বিবৃতি দিয়েছে একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যা চালানো দেশ পাকিস্তান। নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হওয়া পর বুধবার বাংলাদেশের সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৯৭১ সালের কথিত অপরাধের দায়ে বাংলাদেশে জামায়াত ইসলামির আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কর্যকর করায় পাকিস্তান গভীরভাবে শোকাহত। নিজামীর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য এবং তার অনুসারীদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়। পাকিস্তানের সংবিধান ও আইনের প্রতি সমর্থনই ছিল তার (নিজামী) এক মাত্র অপরাধ।’ আজকে যারা নিজামীর জন্য জীবন কোরবান দিচ্ছেন তাঁরা কি বাংলাদেশের সেই মসুলমান- যাঁরা মসুলমান নারীদের পাঞ্জাবীর মনোরঞ্জনের জন্য তুলে দিয়েছিল? তাঁরা কি সেই সংগঠনের সহযোগী- যাঁরা বীর মুক্তিযুদ্ধাদের পাঞ্জাবী সৈন্যদেরহাতে তুলে দিয়েছিল? যদি সত্যিকার অর্থে তাঁরা তাঁদের অনুসারী হয়,"তবে কোরানের বানী তাঁদের উপর নিশ্চিত প্রতিপলিত হচ্ছে, মহান আল্লাহ তাঁর ঘোষিত লান'তের দঁড়ি তাঁদের গলায় ঝুলিয়েছেন। আল্লাহ দুনিয়াতে তাঁদের কৃত পাপের নমুনা শাস্তি দিয়ে দেখালেন নিজামী তাঁদের জাতির প্রতি যুদ্ধ করে নিম্নস্তরের দোযগে প্রবেশ করার সনদ দুনিয়া থেকে নিলেন।আল্লাহ তাঁর পবিত্র কোরানে ঘোষিত ওয়াদাই রক্ষা করেছেন।] নিচের লিংকটি এক্সেস করুন আল বদর সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা নিন। নিজামি গংদের কৃতকর্মের জন্য পবিত্র কোরানে ঘোষিত মহান আল্লাহ প্রদত্ত দুনিয়াবি লানৎ কিনা বিবেকের সাথে মিলিয়ে দেখুন-------- https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%B2_%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%B0 উপসংহারে বলা যায়, পাপিষ্টদের জন্য আপসোস যাঁরা করছে তাঁরাও পাপের সাগরেই নিমজ্জিত হচ্ছেন। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু

ছবি

আওয়ামী লীগের সদ্য আগত হাইব্রিড মাস্তান, সন্ত্রাসী নেতাদের বাজার চড়া---সর্বত্র বিজয়ের হাসি। ______________________________________________ জাতির জনকের কন্যা এবং তাঁর পরিবার, আত্মীয় স্বজন, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকগন বিগত ৭/৮ বছরের দেশ শাষনে- স্বচ্ছতা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতিমুক্ত ভাবমুর্তি জনগনের সামনে তুলে ধরতে পেরেছেন। প্রতিনিয়ত দেশের প্রতিটি অঙ্গে উন্নতি অগ্রগতির গতিবেগ প্রবাহমান রাখতে সক্ষম হয়েছেন, হচ্ছেন। দেশকে কাংখিত লক্ষের চেয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে আরো দ্রুত বেগে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন, হচ্ছেন। এতে এই কয় বছরে অন্যকোন অপশক্তি রাজনীতি করা দুরের চিন্তা, কথা বলার সুযোগই পাওয়ার কথা ছিলনা। জনগন স্বত:স্ফুর্ত ভাবে রাজপথে সেই সমস্ত অপশক্তিকে প্রতিরোধ করার কথা ছিল,অতীতে হয়েছেও তাই। কিন্তু বাস্তবে বর্তমান সরকারের ক্ষেত্রে তা হয়নি হচ্ছেনা বা হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।প্রকৃষ্ট উদাহরন- উন্নয়নের কারিগর প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা পরিকল্পনা জানাজানি হওয়ার পরেও রাজপথে জনগনতো দুরের কথা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগও নামেনি, প্রতিবাদ জানায়নি,প্রতিরোধ করেনি।, দেশের কোথাও একটি খড়ের গাঁদায়ও আগুন জ্বলেনি, কেউ জ্বালায়নি। মনে হচ্ছে- দিনে দিনে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের শিকড় আরো গভীরেই যাচ্ছে। তাঁর একমাত্র কারন কেন্দ্র থেকে তৃনমুল পয্যন্ত গুটি কয়েক দুবৃত্ত সকল অর্জনকে বিসর্জনে পরিনত করা। একমণ দুধে একফোঁটা ছনাই (গাভির প্রস্রাব) যথেষ্ট, জাতির জনকের কন্যার সরকারেরও তথৈবছ। ইতিমধ্যে দলের ঐ সমস্ত ভুমি খেঁকো এক প্রভাশালী মন্ত্রীর দুবৃত্তায়নের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধা প্রবীন সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে হেনস্তা হতে হয়েছে। জেলে যেতে হয়েছিল, রিমান্ডও মঞ্জুর করা হয়েছিল। মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে। তাঁর উপর এত বেশী অন্যায় হয়েছিল, অন-লাইনে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। প্রতিবাদের মুখে রিমান্ড বহাল থাকাবস্থায় জামিন দিতে বাধ্য হয়েছিল আদালত। তাঁর উপর জুলুম নিয্যাতনের প্রতিবাদে আমি নিজেও বেশ কয়েকটি প্রতিবাদি কলাম লিখেছিলাম। অন-লাইনের সকল বন্ধু একযোগে সাড়া দিয়েছিল সেই দিন। যেমনি চট্রগ্রাম মহানগর ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক লড়াকু মুজিব সৈনিক নরুল আজিম (রনি)র জন্য অনলাইনে ঝড় উঠেছে। অন-লাইনের সবাই সাড়া দিয়েছেন, দিচ্ছেন, ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, দু:খ্য প্রকাশ করছেন। চট্রগ্রামে ইউপি নির্বাচনে মহানগর ছাত্র লীগ নেতা 'নরুল আজিম (রনি)' কে দুই বছরের 'কারাদন্ডের' কালিমা ভোগ করতে হবে রাজনীতির জীবনভর। যদিও অন-লাইনে প্রতিবাদের ঝড়ের বেগে জেলমুক্তি ঘটবে বা ঘটছে, এতে সর্বস্তরের মুজিবাদর্শের সৈনিকেরা আনন্দিত বটে কিন্তু এই জেলমুক্তির ঘটানাও একপ্রকারের অনৈতিক মুক্তি। উধ্বতন নেতা, যিনি আজিমকে চট্রগ্রাম শহর থেকে গ্রামে নির্বাচনী কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন--নির্বাচন তদারকির জন্য, তাঁর শাস্তি নিশ্চিত হয়নি।, বরং রনির মুক্তির ব্যাপারটিকে তাঁর বিজয় মনে করে সাহষ পাবে, দ্বিগুন বলে বলিয়ান হয়ে দুবৃত্তায়নের পরিধি বাড়াবে। মহানগর ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদকও দুবৃত্তদের ছোঁবল থেকে রক্ষা পায়নি,সাধারন নেতা-কর্মীতো দুরের কথা। শুধুমাত্র পদপদবি ধরে রাখার জন্যই রনিকে ইউপি ভোটে কেন্দ্র পয্যন্ত যেতে হয়েছে। তাঁর মেধা, যোগ্যতা, রাজনীতি সচেতনতা কোন কিছুই সন্ত্রাসী নেতার নিকট মুল্যায়িত নয়।সে ভোট বাক্স চিনতাই করতে পারল কিনা, নেতার জন্য জমি দখল করতে পারল কিনা, টেন্ডার বাক্স পাহারা দিতে পারল কিনা-তাহাই বিবেচ্য নেতার। অন-লাইন এক্টিভিষ্ট, আমাদের সহযোদ্ধা, অনেক গুলি পাবলিক গ্রুপের এডমিন, ভাল লেখক আসিফ। এমনি ইউপি ভোটে জীবন কেড়ে নিয়েছে তাঁর। কোয়েট খালীর ইউপি নির্বাচনে আমাদের দলের প্রতিপক্ষের হামলায় আসিফকে জীবন দিতে হল। আসিফ কয়েকটি পাবলিক গ্রুপের এডমিন হওয়ার সুবাদে সার্বক্ষনিক অনলাইনে থাকতে হত। তাঁর রাজনৈতিক জ্ঞানের গভীরতায়- যে কোন এক্টিভিষ্টকে বিমোহীত করার জন্য যথেষ্ট। আসিফের মত আরো কত সম্ভাবনাময়ী ছাত্র যুবনেতা অকালেই ঝরে যাচ্ছে তাঁর কোন ইয়ত্তা নেই। শুধুমাত্র ইউপি নির্বাচনেই ৬২ জনের অধিক নেতাকর্মীকে জীবন হারাতে হয়েছে, দুবৃত্তদের মনরক্ষা করে রাজনীতি করার প্রয়াসে। বিএনপি-জামায়াত আমাদের প্রতিপক্ষ, তাঁদের একজন কর্মীর জীবনও আমরা কেড়ে নেইনি বা হারাতে হয়নি চলমান ইউপি নির্বাচনে। বরঞ্চ বলা যায় নখের আঁছড়ও তাঁদের গাঁয়ে লাগেনো যায়নি বা লাগেনি। দুবৃত্তগন এতবেশি মানুষের উপর অত্যাচার নির্য্যাতন করেছে বা করছে- জাতির জনকের কন্যার অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশের সাগরসম উন্নতি অগ্রগতিও তাঁদের বিজয় নিশ্চিত করতে পারছেনা। নির্বাচনে বিজয় সম্পর্কে তাঁদের মনে আস্থার সৃষ্টি হয়নি বা জনগনের উপর বিশ্বাস রাখতে পারেনি। এমনও দেখা গেছে- আওয়ামী লীগের আবহমান কালের ভোটের দুর্গেও তাঁদের ভোট চুরি করতে হয়েছে বা জোর করে নির্বাচিত হতে হয়েছে। প্রভাব বিস্তার বা জোর পুর্বক কেন্দ্র দখল, ভোট চুরির মানষিকতা, প্রভাব বিস্তারের খায়েস পুরন এবং প্রার্থীদের নিকট থেকে বিজয় নিশ্চিত করে দেয়ার ফিস আদায়, লক্ষ লক্ষ টাকা আদায়কৃত টাকা হজম করার সহায়ক ভুমিকা পালন করতে গিয়ে দলের নিবেদিত ৬২জন নেতাকর্মীকে জীবন বলি দিতে হল। বিএনপির পতনম্মুখ সময়ে দলীয় নেতাদের বিচক্ষনতার সঙ্গে রাজনীতি, প্রার্থী বাছাই, নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নেয়ার প্রয়োজন ছিল। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ব্যাপক প্রচার দলে জনগনের সম্পৃক্ততা, নির্বাচনে স্বত:স্ফুর্ত অংশ গ্রহন, দলের উন্নতিও বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হত। দৃশ্যমান বিশাল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ কৌশলী প্রচার প্রচারনার অংশ করা প্রয়োজন ছিল। জাতির জনকের কন্যার প্রতি নিবেদিত - প্রতিনিয়ত দেশী বিদেশী উপঢৌকন, সনদ, জরিপের ফলাফল, বন্ধু রাষ্ট্র প্রধানদের প্রসংশাবাক্য সমুহ, জাতি সংঘের মুল্যায়নপত্র, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ সম্পর্কে বর্তমান ধারনা ইত্যাদি প্রচারনার অংশ হওয়া উচিৎ ছিল। জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা দলীয় প্রতিকে স্থানীয় নির্বাচনের বিধান ও প্রক্রিয়াটি বিরুধীদলের তীব্র বিরুধীতার মুখেও করেছিলেন তাঁর একমাত্র কারন--তৃনমুল পয্যায়ে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি, তৃনমুলের জনগনকে দেশপ্রেমে উদ্ভোদ্ধ করা, প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার বিকাশ, পল্লির অখ্যাত অজ্ঞাত জনগুষ্টির সুপ্ত বাসনা এবং ধ্যান ধারনার বিকাশ ঘটানোর লক্ষকে সামনে রেখে। জনগনকে তৃনমুলে রাজনীতিতে উৎসাহিত ও সচেতন করে গড়ে তোলার লক্ষে। এই লক্ষ পুরনে প্রয়োজন ছিল-শুধুমাত্র এলাকাভিত্তিক জনপ্রিয় নেতাদের নির্বাচন করার সুযোগ দেয়া। সুষ্ঠ, অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগনের প্রতি নেতাকর্মীদের আত্মবিশ্বাস দৃড করা। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারনার কলকাঠি ভেঙ্গে দেয়া।ইউপি নির্বাচনের মাধ্যমে তৃনমুলে বিএনপি, জামায়াতের ভরাডুবি নিশ্চিত করা। তৃনমুলে বিএনপি জামায়াত ভোটারদের হতাশার সাগরে নিমজ্জিত করা। তাঁদের ভোটের দুর্গে চিরস্থায়ী ভাঙ্গন সৃষ্টি করে আজীবন ক্ষমতার বৃত্তের বাহিরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থনৈতিক উন্নতি ও অগ্রগতি, জনগনের জীবনমান উন্নয়নের কল্যানে অন্তত এই রাজনৈতিক সুযোগটি অবারিতই ছিল বলা যায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ এতবড় সুযোগ কাজে লাগাতে সম্পুর্ন ব্যর্থই শুধু নয়- দলকেও অতল গব্বরে নিমজ্জিত করেছে, গুটি কয়েক দুবৃত্ত, সন্ত্রাসি, মাস্তান,হাইব্রিডনেতা। অথর্ব, মাস্তান, সন্ত্রাস নির্ভর, দুবৃত্ত, হাইব্রিড নেতাদের রাজনৈতিক জ্ঞানের অভাবে, তাঁদের প্রভাব প্রতিপত্তি ধরে রাখার মানসে আওয়ামীলীগ বড় রাজনৈতিক বিজয় থেকে বঞ্চিত হল। বঞ্চিত হলে কথা ছিলনা, দলে প্রতিষ্ঠিত দুবৃত্ত, সন্ত্রাসী, মাস্তান নির্বাচনে যে আচরন জনগনের সাথে করেছে, সদ্য আগত হাইব্রিড মাস্তান কর্মীদের লেলিয়ে দিয়ে-তাঁর খেসারত আগামী সাধারন নির্বাচনে জাতির জনকের কন্যা এবং আওয়ামী লীগের নিবেদিত, ত্যাগি নেতাকর্মীরা কড়ায় গন্ডায় দিতে হবে। জনগন সময়ের অপেক্ষায় চুপ করে বসে আছে মাত্র। যারা অপকর্ম, লুটপাট, সন্ত্রাস, দুবৃত্তায়নে জড়িত তাঁরা নির্বাচনের আগেই বিদেশ পালানোর বিমানের টিকেট কনফার্ম করে রাখবে। তাঁদেরকে আন্দোলন সংগ্রাম, নির্বাচনে আগেও পাওয়া যায়নি ভবিষ্যতেও পাওয়া যাবেনা। তাঁদের অপকর্মের কারনে ২০০১ইং সালে সংখ্যা লুঘুসহ আওয়ামী লীগের ত্যাগি নিবেদিত কর্মীরা কি যে নির্য্যাতন ভোগ করেছে--মনে হলে এখনও সারা শরীর শিউরে উঠে। এবার আরও ভয়াবহ হওয়ার আশংকাই বেশি। কারন শেখ হাসিনার বিচক্ষনতা, দুরদর্শী নেতৃত্ব, দেশ ও জনগনের সার্বিক উন্নতি ও অগ্রগতির কারনে আওয়ামী লীগ বারে বারে ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা যত বেশি বাড়বে-অশুভ শক্তি সমুহের সাথে তাঁদের আঁতাত তত শক্তিশালী করবে।আওয়ামী লীগের নেতা, বুদ্ধিজীবি, কবি সাহিত্যিকদের হত্যা, নির্য্যাতনের পরিমান তত বেশী বাড়বে। তাঁদের সম্যক উপলব্দি সত্যিকার অর্থেই বিরাজমান- রাজনৈতিক ভাবে জননেত্রীর সাথে পাল্লা দেয়ার যোগ্যতা বাংলাদেশের কোনদল বা ব্যাক্তিই শুধু নয়, আসপাশের দেশ সমুহের বিদ্যমান রাজনৈতিক দল, দলের শীর্ষনেতা, ব্যাক্তিদের মধ্যেও নেই। মুলত: তাঁদের ধারনাটি এই ক্ষেত্রে প্রমানিত সত্য, আমি বিশ্বাস করি। তাই মার্কিন কংগ্রেসম্যানকে বলতে শুনা যায়, 'শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শুধু নয়, সারা বিশ্বের গর্ব।' জাতি সংঘের বৈঠকে কো-চেয়ারের সম্মান একমাত্র জাতির জনকের কন্যার ললাটেই জোটে।ধনাঢ্য সাত জাতি বৈঠকে একমাত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাই দাওয়াত পায়।" তাই বড্ড চিন্তার বিষয়টি হচ্ছে অতীত অভিজ্ঞতা। জাতির জনকের কন্যা বর্তমানের পরিত্যাক্ত, ত্যাগি, সবহারা, অর্ধমৃত, উস্কুখুস্কু, গালভাঙ্গা, কোমরবাঁকা নেতা- কর্মীদের নিয়ে বাংলাদেশেই অবস্থান করবেন। তিনি পুনরায় রাজনীতি শুরু করবেন, দল ঘুছাবেন। দলের শক্তি সঞ্চয় করবেন, আন্দোলনের ডাক দিবেন। বর্তমানের পরিত্যাক্ত, পরিক্ষিত, শিক্ষিত, সন্ত্রাসমুক্ত, সংগ্রামী, বিপ্লবি ত্যাগি নিবেদিত নেতাকর্মীরা রাজপথে নামবেন।শেখ হাসিনার ডাকে -সংসার,ছেলে মেয়ে রেখে ঝাঁপিয়ে পড়বেন আন্দোলনে, অনেকে জীবন দিবেন। অনেক সময়ে মানব ঢাল তৈরি করে নেত্রীর জীবন রক্ষাও করবেন। আওয়ামী লীগ রাজপথের আন্দোলনে বিজয়ী হবে, সাধারন নির্বাচন ঘোষনা হবে। কর্মীরা সর্বস্ব দিয়ে লড়বেন, আওয়ামীলীগ জিতবে। আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনবেন, সরকার গঠন করবেন। নেত্রী বলবেন-আমার কর্মীরা প্রতিহিংসার জবাব দিবেনা, সরকার নির্য্যাতন কারিদের আইনের আওতায় আনবে।সবাইকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিবেন,প্রচলিত আইন মেনে চলার হুকুম দিবেন। নেত্রীর আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালিত হবে,কর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে। বউ-বাচচার সাথে সদ্য বিজয়ে, নিজের বিরত্বের গল্প করবে। এই ফাঁকে---- সন্ত্রাসি, মাস্তান লুটেরা বর্তমানের লুটের টাকায় আরাম আয়েশে বিদেশে মোটা তাজা হবেন। তাঁদের তল্পিবাহকদের মাধ্যমে ঘন ঘন খবর নিবেন। মাঝেমাঝে কিছু উচ্ছিষ্ট পাঠাবেন, ভিডিও কনফারেন্স করবেন। চোখের পানিতে আশ্বস্ত করবেন, অতি অল্প সময়ে তিনি ফিরে আসবেন। উচ্ছিষ্ট ভোগিরা বিমান বন্দরে যাবেন, নেতাকে ফুলে ফুলে বরন করবেন। নির্য্যাতনে পিষ্ট বাধ্যগত প্রবাসিনেতা আগে আগে দুই হাত উধ্বাকাশে তুলে জনতাকে সম্ভাসন জানাবেন। আগুন ঝরা বক্তব্য দিবেন, স্বৈরাচার সরকার তাঁকে বিগত পাঁচটি বছর দেশে আসতে দেয়নি। জনগনের জন্য তাঁর প্রান সর্বদাই কেঁদেছে, প্রয়োজনে পেয়াজ একটা হাতের আঙ্গুলের চিপায় রেখে দিবেন। জয় হোক হাইব্রিড প্রতিবেশি স্বজনদের জয় হোক সন্ত্রাসি মাস্তান, দুবৃত্তের দুবৃত্তায়নের ' জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

ছবি

আওয়ামী লীগের কতিপয় দুবৃত্ত বঙ্গরত্মের মানচিত্র পরিবর্তনের সাফল্যকেও ম্লান করে দিল---- _____________________________________________ কোন দেশের জনসম্পৃত্ত রাজনৈতিক দলের একমেয়াদে একটি সাফল্যই দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে যথেষ্ট।অতিব দু:খ্যের বিষয় বর্তমান সরকারের শত সাফল্য জাতির ললাটে যুক্ত করেও জাতির জনকের পরিবারের বিরুদ্ধে হত্যা চক্রান্ত রুখতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের হত্যা পরিকল্পনার বিরুদ্ধে জনগনের স্বত:স্ফুর্ত গনজাগরন সৃষ্টি হয়নি , প্রতিবাদ হয়নি, প্রতিরোধ হয়নি। আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি- 'তার একমাত্র কারন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে অতি অল্প সংখ্যক দুবৃত্তের দুবৃত্তায়নে সরকারের সকল সাফল্যকে ম্লান করে দেয়া।' বঙ্গরত্ম শেখ হাসিনার সর্বচ্ছ আন্তরিকতা দিয়ে দেশকে উন্নতি ও অগ্রগতির শীর্ষে নিয়ে গেলেও জনমানসে তাঁর প্রভাব পরিদৃষ্ট হচ্ছেনা-' ঐ সমস্ত জেলা উপজেলায় দায়িত্বরত দলীয় দুবৃত্তদের অপকর্মের কারনে"। জাতির জনকের কন্যার দুরদর্শী নেতৃত্বে তেমনি এক শ্রেষ্ঠ সাফল্য 'মানচিত্র পরিবর্তন'।বিশ্বের একটি দেশও খুঁজে পাওয়া যাবেনা, যে দেশ একটি সাইমানা পিলারের অবস্থান দুই ইঞ্চি পরিবর্তনের জন্যেও যুদ্ধ বিগ্রহ করা লাগেনি।সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বর্তমান সীমারেখার প্রায় সমপরিমান সীমারেখার ভুখন্ড একটি গোলা বারুদের কণা খরছ ব্যতিরেকে শুধুমাত্র দুরদর্শিতা দিয়ে অর্জন করেছেন জাতির জনকের কন্যা। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি একটি দেশ ও জাতির জন্য আর কি হতে পারে? বাংলাদেশের বর্ধিত ভূখন্ডের নতুন সীমানা অংকিত মানচিত্র সর্বত্র প্রকাশ এবং বহুল প্রচার ও হয়নি।সবাই সবার কাজ নিয়ে ব্যাস্ত,এতবড় সাফল্য তুলে ধরে জনগনকে সংগঠিত করার সময় কোথায়? অথছ বর্তমান সরকারের সাফল্যের এবং নানাবিধ অর্জনের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হল বাংলাদেশের 'নতুন সীমানা' বা সদ্য প্রকাশিত 'নতুন মানচিত্র'। এটা এখন সূর্য্যালোকের মত সত্যি যে, এ অর্জন কোন সাধারণ অর্জন নয়। একটি স্বাধীন দেশের পুরো মানচিত্রে নতুন ভূ-খন্ড এবং জলাভুমি সংযুক্তি সাধারন ব্যাপার নয়। মানচিত্র বদলের সাথে সাথে বদলে গেছে ৪৫ বছরের পুরাতন মানচিত্রের সীমানা রেখা, বদলে গেছে পুরো জাতীর ভবিষ্যৎ। ভারতের সাথে ছিটমহল বিনিময়, অ-দখলীয় জমি একে অপরের কাছে হস্তান্তর, সাড়ে ছয় কিলোমিটার সীমান্ত চিহ্নিত হওয়ার পর এখন দুই দেশের নতুন করে মানচিত্র তৈরি করার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে নব সূচনা। তবে এখনো সর্বত্র প্রকাশ এবং বহুল প্রচারের অভাবে সাধারণ জনগণ জানতে পারেনি সীমানায় নতুন করে পাঁকাপিলার বসানোর ভারত-বাংলাদেশ এর সর্বশেষ সীমান্ত রেখা সম্পর্কে। তেমন ভাবে জানতে পারেনি জমি বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের চার রাজ্য- আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের সীমানারেখায় পরিবর্তিত সীমারেখা সম্পর্কেও। ১৯৪৭ সালের ভারত ও পাকিস্তানের সীমানার একটি খসড়া দিয়ে বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তরেখা করা হয়েছিল। এরপর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করে স্বাধীন হওয়ার পরও বাংলাদেশের সীমান্ত সমস্যা রয়েই যায়। এ সমস্যা নিরসনে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধী একটি চুক্তি করেছিলেন।সেই বিখ্যাত চুক্তির নাম ভারত -বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি যাহা 'ইন্দিরা-মুজিব মৈত্রী চুক্তি' হিসেবে খ্যাত। তবে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ওই চুক্তি কার্যকরের সব প্রক্রিয়া সেরে উঠতে পারেনি ভারত কিন্তু ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে এ চুক্তি অনুসমর্থনের দলিল হস্তান্তর হয় দুদেশের মধ্যে। এরপর জানানো হয় গত বছর ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময়। যার ফলে বিরাট পরিবর্তন এসেছে দুই দেশের মানচিত্রেও। বাংলাদেশ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অবশ্য এই প্রসঙ্গে ২০১৫ সালে বলেছিলেন , "দুদেশের মধ্যে স্থল সীমান্ত চুক্তি বিনিময়ের ফলে কোথাও ভারতের সীমানারেখা বাংলাদেশের বর্তমান সীমানার ভেতর ঢুকে যাবে। আবার কোথাও বাংলাদেশের আগের জমি ভারতে চলে যাবে। " এবং হয়েছে ও ই, আর এই পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের আয়তন কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে এটা এখন কমবেশী সকলেই আন্দাজ করছে। তবে কিছু সংখ্যক সচেতন মানুষ ছাড়া, ব্যাপক প্রচারণার অভাবে এখনো দেশের অনেকেই জানেনা সেই নতুন ভাবে আঁকা মানচিত্রের সম্পর্কে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ইন্দিরা-মুজিব মৈত্রী চুক্তির আলোকে চিটমহল বিনিময় চুক্তি সংগঠিত হয় মৌদি-হাসিনার হাত ধরে।এই মৈত্রী চুক্তি বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশের সর্বমহল হতে দেশরত্ম উপাধি পেলেও মুল কারিগর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরুধীদের অপপ্রচারের শিকার হয়ে স্বপরিবারে নিহত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সাফল্যগাঁথা, সুদুরপ্রসারি চিন্তা চেতনার ফসল 'মৈত্রীচুক্তি" অংশবিশেষ' চিটমহল বিনিময়'। তারই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সাফল্যে রচিত সম্পুর্ণ নতুন করে আঁকা সোনার বাংলার মানচিত্র দেখলে গর্বে বুক ফুলে উঠবেনা এমন বাঙ্গালী একজনও পাওয়া যাবেনা।অতিব দু:খ্যের সংগে বলতে হচ্ছে নিরানব্বই শতাংশ মানুষ এখন পয্যন্ত নতুন অঙ্কিত মানচিত্র দেখেনি, শুনেনি, জানেওনা। শুধু মাত্র ব্যাপক প্রচার প্রচারণার অভাবেই এমনটি হয়েছে মনে করি। বড় একটি অর্জন 'সমুদ্রসীমা' মামলায় নেদারল্যান্ড এর স্থায়ী সালিশি আদালতের রায়ে বঙ্গোপসাগরে ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা পায় বাংলাদেশ। বাকি ছয় হাজার ১৩৫ বর্গকিলোমিটার পেয়েছে ভারত। গত ২০১৪ সালের ৭ জুলাই এই ঐতিহাসিক রায় পাওয়া যায়।অখন্ড পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশের কোন সরকার আদৌ কোন দিন যা চিন্তাও করেনি সমুদ্রে বাংলাদেশের এত বিশাল পরিমান জলাশয় বেহাত হয়ে আছে যুগের পর যুগ। তার আগে মিয়ানমারের সঙ্গে রায়ে বাংলাদেশ পায় ৭০ হাজার বর্গ কিলোমিটার নতুন জলাশয়। "" সবসাকুল্যে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তন সমৃদ্ধ নতুন যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্র।১৯৭১ ইং সালের সার্বভৌম বাংলাদেশের যাহা দ্বিগুনের কাছাকাছি।"" অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের মানচিত্রে যোগ হয়েছে আরো নীট ১০ হাজার ৫০ একর জমি। বাংলাদেশের নতুন মানচিত্র যুদ্ধবিগ্রহ ছাড়াই অর্জন। এই নতুন মানচিত্র কতবড় বিশাল অর্জন তা সকলের অনুধাবন করার যোগ্যতাও হয়ত নেই। সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের নতুন মানচিত্রের ছবি এবং তথ্য ব্যাপক ভাবে খবরের কাগজ, ইলেকট্রোনিক মিডিয়া এবং অনলাইন মাধ্যমে দেশবাসিকে জানানোর জন্য সদাশয় সরকার, দায়িত্বরত: তথ্য মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সেলকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। স্বাধীনতার ৪৫ বছর বহু আন্দোলন,সংগ্রাম, অসংখ্য স্বাধীনতা প্রীয় মানুষের আত্মত্যাগের পর আজ বাংলার মানুষের প্রাণের দাবী রাজাকার মুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রাপ্তির শুভক্ষনে--নতুন মানচিত্র পাওয়ার আনন্দ নতুন প্রজর্মকে বদলে দিতে পারে তাঁদের ৪৫বছর স্বাধীনতা বিরুধী রাজাকার, জাতির জনকের খুনীচক্রের ধোলাই করা মননকে। অদ্যাবদি যারা বাংলাদেশের সকল মৌলিক সুবিধা গ্রহন করে,সার্বিক নাগরিক সুযোগ গ্রহন করেও প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্রের নতুন নতুন দিক উম্মোচন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধের অর্জিত বাংলাদেশের আবহাওয়ায় হৃষ্টতা পেয়ে,স্বাধীন বাংলাদেশের ভাত হজম করে বেড়ে উঠে যাদের পরাজিত করে স্বাধীনতা এনেছিল বীর মুক্তিযোদ্ধারা সেই পাকিস্তানী হায়নাদের নীতি আদর্শ, স্বপ্ন বাস্তবায়নে এখনও অহরাত্র ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। জাতির পিতার বদন্যতায় মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের সমনাগরিক সুবিদা সহ অন্যান্য সকল প্রকার বাড়তি সুবিধা নিয়েও প্রতি মুহূর্তে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি করে চলেছে।বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অপপ্রচারে সদা সর্বদা লিপ্ত রয়েছে। আজ সময় এসেছে নতুন করে ষড়যন্ত্রকারিদেরকে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্জিত তথ্য সহ মানচিত্র সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেয়ার, নতুন প্রজর্ম্মকে নতুন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ সম্পর্কে জানানোর। সদাশয় জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেদন থাকবে, 'গুটি কতক দুবৃত্তের কারনে আপনার সরকারের যুগান্তকারি সাফল্য সমুহ বানের জলে ভেসে যাবে,কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিনা।বহু রথি মহারথি আওয়ামী লীগ ছেড়ে, আপনাকে একা পেলে চলে গেছে,আপনার অগ্রযাত্রা থেমে থাকেনি।গুটি কতক দুবৃত্তকে দলছাড়া করলেও আপনার সরকারের তেমন কিছুই হবে বলে মনে করিনা।অভিলম্বে অপরাজনীতি, সন্ত্রাস, মাস্তানী, দুবৃত্তায়ন বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহন করুন।বাংলার জনগন আপনার পাশে থাকবে ইনশাল্লাহ। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু

ছবি

বাঙ্গালীর অপরুপ রুপে সাজানো মমতাময়ী-- ** 'মা' ** _______________________________________ শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রীই শুধু নন, জাতির জনকের কন্যাও বটে।তাঁর মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায়-ষোল আনা বাঙালী রমণীর যতসব গুনাবলী। নি:অহংকার, সাদামাটা জীবন যাপন, মমতাময়ী মায়ের আদরতুল্য মাতৃস্নেহ তাঁকে করেছে আরও উজ্জ্বল প্রদিপতুল্য। বসন ভুষনে পল্লিরমণীর গুনাবলী ধারন করে আছে সারা অঙ্গে।সাধারনে বুঝাই যায়না এই রমনীটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রতাপশালী ফরিদপুরের জমিদার বংশের শাহজাদী, বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বাঙ্গালীর জাতির পিতার কন্যা-বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দশ রাষ্ট্রনায়কদের অন্যতম কোন এক রাষ্ট্রনায়ক। প্রথম সাক্ষাতেই মনে হবে যেন-- আমার গ্রামের পাশের বাড়ীর হাসু বু, মাতৃস্নেহে সবাইকে মাতিয়ে রাখা সেই মা, বোনের চরিত্রে আঁকা কোন এক সাজানো পুতুলের মা। যখনি সামনে ছবি ভেসে উঠে শ্রদ্ধা ভক্তিতে মাথা কখন নুয়ে পড়ে মনের অজান্তে টেরই পাইনা কখনই। তাইতো সাধারনে বলতে শুনা যায়, চন্দ্র দুর্য্য যতদিন আলো বিকিরনরত: থাকবে পৃথিবীতে--ততদিন বাঙ্গালীর হৃদয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে জ্বলতে থাকবে জাতির জনকের কীর্তি গাঁথা। ত্যাগ,সংগ্রাম, আদর্শ, দর্শন, ভালবাসা, স্নেহ, মায়া, মমতার মহিমা গুনে--যে পরিবারটির কির্তন গাইবে যুগযুগান্তর শ্রদ্ধা ভালবাসার মিশ্রনে বাঙালী জাতিসহ বিশ্বের নিপিড়িত নিয্যাতিত, শোষিত বঞ্চিত মানুষ- সেই পরিবারটি আর কারো নয়,' জাতির জনকেরই পরিবার।' জাতির জনকের কন্যা টুঙ্গিপাড়ার জমিদার বাড়ী, ৩২নম্বরের দেশ ও জনগনের সংগ্রাম,আশা আখাংকার প্রতিক,জাতির জনকের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক বাড়ী বাঙ্গালী জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে দিয়েছেন।যে পরিবার তাঁদের ইতিহাস ঐতিহ্য সহ সকল অস্তিত্ব বাঙ্গালী জাতিকে দিয়ে দেন, সে পরিবারের সদস্য -সে জাতির সম্পদ লুট করতে পারে? যারা এই সমস্ত উদ্ভট চিন্তা করেন, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি- তাঁরা মানষিক রুগী। তাঁদের সবাইকে অবিলম্বে চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন। বিলম্বে দেশ ও জাতির বড় রকমের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। জাতির জনকের পরিবার বাঙালী, বাংলাদেশ, বাঙালী জাতিকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করে দেয়ার জন্য,স্বাধীন সার্বভৌম ভুখন্ডের জন্য, উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য, বিজ্ঞান ভিত্তিক উন্নত জাতি গঠনের জন্য -তাঁদের ত্যাগ তিতিক্ষার সীমা পরিসীমা রাখেননি। পরিবারটি বাঙ্গালী জাতিকে কতটুকু ভালবাসেন তার কোন অন্ত নেই। স্বাধীনতার জন্য জাতির জনক পশ্চিমাদের রক্ত চক্ষুকে কোন দিন ভয় করেননি,কিন্তু স্বাধীনতার অব্যবহিত পর বাঙ্গালীরাই তাঁকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে। তাঁর কন্যা সাম্প্রদায়িক শক্তির নিত্য হুমকির তোয়াক্কা না করে-নিশ্চিত মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেও জাতিকে ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাননি।সর্বদা মৃত্যু হুমকি জেনেও নিয়ন্তর সংগ্রামে লিপ্ত থেকে বানালাদেশ,বাঙ্গালী জাতিকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির শিখরে নিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সুযোগ্য পুত্র উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও উন্নত দেশের আরাম আয়েশকে পরিত্যাগ করে সম্পর্ণ অবৈতনিক স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারে থেকে, তথ্য ও প্রযুক্তিতে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন- আগামী প্রজম্মের বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার লক্ষে। তাঁকে হত্যা করার চক্রান্ত ও দেশে বিদেশে শুরু হয়েছে। মৃত্যু ভয়কে তোয়াক্কা না করে এখন পয্যন্ত তাঁর দায়িত্ব পালন করে জাতিকে কৃতজ্ঞতার বন্ধনে নিয়ন্তর আবদ্ধ করে চলেছেন। বাঙ্গালী জাতির জন্য আর কত ত্যাগের পরিক্ষা দিয়ে প্রমান করতে হবে পরিবারটি--বাংলাদেশ, বাঙ্গালী জাতি, এই মাটি, মানুষকে তাঁরা তাঁদের জীবনের চাইতেও বেশী ভালবাসেন। দুঃখী মানুষের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।। মাটিও মানুষের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।। বাংলার কোটি মানুষের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। "জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"

ছবি

অন-লাইনে প্রতিবাদের মুখে বাঘমারার কথিত প্রার্থীর নমিনেশন বাতিল করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।কিন্তু নমিনেশন দাতা কুখ্যাত এমপি এনামুল হকের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি এখন পয্যন্ত।আগামী সংসদ নির্বাচন পয্যন্ত অপেক্ষার ধৈয্য নেই মাননীয় নেত্রী,এখনি তঁকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানাচ্ছি। দেশের অন্যান্নস্থানে বিতর্কিত সকল নমিনেশন বাতিল করে তৃনমুলের ভোটাভোটির মাধ্যমে প্রার্থী বাছাইয়ের রীতি কঠোর ভাবে অনুসরন করার ব্যবস্থা করুন। আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আকুল আবেদন, 'জোর প্রতিরোধ গড়ে তোলার নিমিত্তেসকল দেশপ্রেমিক, আদর্শবান নেতাকর্মী, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সহযোদ্ধা ভাই বোনদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে প্রগতিশীলদের আশ্রয়স্থল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে রাহুমুক্ত করে সুস্থ্য ধারার রাজনীতিতে পিরিয়ে আনতে।আওয়ামাই লীগ কে বিপথে নিয়ে যাওয়ার অর্থই হচ্ছে প্রগতিশীল চিন্তা চেতনার অধিকারি, সুস্থ্য চিন্তার অধিকারি,স্বচ্ছ রাজনীতিবীদদের ঘর পুড়িয়ে দিয়ে অমানুষদের চারনভুমিতে পরিনত করা।সুতারাং আসুন সবাই সোচ্ছার হই, আওয়ামী লীগকে বাঁচাই,নীজেদের প্রয়োজনে। ************** দালাল ঠেকাও আওয়ামী লীগ বাঁচাও--জেগে উঠো বঙ্গবন্ধুর সৈনীকেরা---- ---------------------------------------- দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এমপি, মন্ত্রী,নেতারা ইউপি নির্বাচনে হাইব্রিড আওয়ামী লীগার, জেরবাদী নেতা, যাদের গোষ্টি ৭০ এর নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলনা এমন পরিবারের সদস্য,সারাটা জীবন আওয়ামী লীগের ক্ষতি সাধন করেছে বংশ পরস্পরায়, রাজাকারের ছেলে, সদ্য যোগ দেয়া আওয়ামী লীগার, ভাগাভাগি অর্থাৎ পরিবারের অর্ধেক বিএনপি- এক দুইজন আওয়ামী লীগ বাদবাকি জামাত জাতিয় পাটি এমন পরিবারের সদস্যদের আত্মীয়তার কারনে বা টাকা পয়সার বিনিময়ে নমিনেশন দিয়েছেন দেখেছি , শুনেছি, পত্রিকায় পড়েছি এতদিন। কিন্তু জামাত বা তালিকা ভুক্ত জঙ্গীর কাঁধে নৌকা তুলে দিয়ে বৈতরনি পার হতে হবে, এমন কথা শুনিনি।এবার তাও শুনতে হল। এনামুল হক, সংসদ সদস্য-উনি জঙ্গীর ভোটে নৌকা মার্কায় নির্বাচন করে সাংসদ হয়েছিলেন?বাংলা ভাইয়ের সহযোগির কাঁধে নৌকা তুলে দেয়ার মত দৈন্যতা আওয়ামী লীগের?এটাও শুনতে হল শেষ পয্যন্ত। নীজকে নীজেই ধিক্কার দিতে ইচ্ছে হচ্ছে-কেন নীজের ব্যাক্তি জীবনের সোনালী সময়গুলি নষ্ট করেছি? কিসের মোহে নীজের অর্থবিত্ত, চাকুরী সব হারিয়ে পথের ভিখারীতে পরিনত হয়েছি-পরিবারকেও করেছি। এই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্যে?? মাননীয় নেত্রী, আপনার গাইড লাইন ফেনী সহ দেশের কোথাও অনুসরন হয়েছে বলে মনে হয়না। রিভিউ করার সুযোগ যদি থেকে থাকে অবিলম্ভে রিভিউ করুন, নচেৎ প্রত্যেক ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হবে।বহিস্কারকে ভয় করে কোন জেএমবি, রাজাকারের বংশ, হাইব্রিডকে ছাড় দেয়া হবেনা।কোন আওয়ামী লীগ কর্মী --হাইব্রিড, সদ্য আগত, রাজাকারের সন্তানকে ভোট দিবেনা, দিতে পারেনা। জানি ভোটের আগের দিন হলেও প্রার্থী বদল হবে। নমিনেশন দিল কেন,কারা দিল তাঁর অনুসন্ধান করা না হলেও ত্যাগি নেতাকর্মী এবং জনগনের মনের জ্বালা মিটবেনা। শতভাগ সঠিক নমিনেশন ফেরেস্তায়ও দিতে পারবেনা --৮৫/৯০ শতাংশ নমিনেশন সঠিকভাবে ত্যাগি,পরিক্ষিত, আদর্শবান নেতা কর্মী পেলে কারো মাথাব্যাথার কারন হতনা। তাই বলে জঙ্গী,জামায়াতকে দিলে নেতাকর্মীরা চুপ থাকবে কেন? দল কি কারো বাবার সম্পদ? আজকে যারা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে দল ক্ষমতায় না থাকলে এদের ঠিকানা বিদেশ। মাননীয় নেত্রী, হেফাজতের আন্দোলন চলাকালীন সময়ের পাসপোর্ট তল্লাসি করে দেখেন-এরা কেউই আপনার আশেপাশে বা স্ব-স্থানে ছিলেন না। বাংলাদেশের বাহিরে অন্য কোন দেশে তাঁদের অবস্থান ছিল।আমি চেলেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি -অপকর্মকারি নেতারা দেশে আগেও ছিলেন না ভবিষ্যতে ও থাকবেন না। আপনার উস্কু- খুস্কু চেহারার কর্মীরা ছিল, আছে, থাকবে। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা বঙ্গরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

দালাল ঠেকাও আওয়ামী লীগ বাঁচাও--জেগে উঠো বঙ্গবন্ধুর সৈনীকেরা---- ---------------------------------------- দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এমপি, মন্ত্রী,নেতারা ইউপি নির্বাচনে হাইব্রিড আওয়ামী লীগার, জেরবাদী নেতা, যাদের গোষ্টি ৭০ এর নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলনা এমন পরিবারের সদস্য,সারাটা জীবন আওয়ামী লীগের ক্ষতি সাধন করেছে বংশ পরস্পরায়, রাজাকারের ছেলে, সদ্য যোগ দেয়া আওয়ামী লীগার, ভাগাভাগি অর্থাৎ পরিবারের অর্ধেক বিএনপি- এক দুইজন আওয়ামী লীগ বাদবাকি জামাত জাতিয় পাটি এমন পরিবারের সদস্যদের আত্মীয়তার কারনে বা টাকা পয়সার বিনিময়ে নমিনেশন দিয়েছেন দেখেছি , শুনেছি, পত্রিকায় পড়েছি এতদিন। কিন্তু জামাত বা তালিকা ভুক্ত জঙ্গীর কাঁধে নৌকা তুলে দিয়ে বৈতরনি পার হতে হবে, এমন কথা শুনিনি।এবার তাও শুনতে হল। এনামুল হক, সংসদ সদস্য-উনি জঙ্গীর ভোটে নৌকা মার্কায় নির্বাচন করে সাংসদ হয়েছিলেন?বাংলা ভাইয়ের সহযোগির কাঁধে নৌকা তুলে দেয়ার মত দৈন্যতা আওয়ামী লীগের?এটাও শুনতে হল শেষ পয্যন্ত। নীজকে নীজেই ধিক্কার দিতে ইচ্ছে হচ্ছে-কেন নীজের ব্যাক্তি জীবনের সোনালী সময়গুলি নষ্ট করেছি? কিসের মোহে নীজের অর্থবিত্ত, চাকুরী সব হারিয়ে পথের ভিখারীতে পরিনত হয়েছি-পরিবারকেও করেছি। এই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্যে?? মাননীয় নেত্রী, আপনার গাইড লাইন ফেনী সহ দেশের কোথাও অনুসরন হয়েছে বলে মনে হয়না। রিভিউ করার সুযোগ যদি থেকে থাকে অবিলম্ভে রিভিউ করুন, নচেৎ প্রত্যেক ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হবে।বহিস্কারকে ভয় করে কোন জেএমবি, রাজাকারের বংশ, হাইব্রিডকে ছাড় দেয়া হবেনা।কোন আওয়ামী লীগ কর্মী --হাইব্রিড, সদ্য আগত, রাজাকারের সন্তানকে ভোট দিবেনা, দিতে পারেনা। জানি ভোটের আগের দিন হলেও প্রার্থী বদল হবে। নমিনেশন দিল কেন,কারা দিল তাঁর অনুসন্ধান করা না হলেও ত্যাগি নেতাকর্মী এবং জনগনের মনের জ্বালা মিটবেনা। শতভাগ সঠিক নমিনেশন ফেরেস্তায়ও দিতে পারবেনা --৮৫/৯০ শতাংশ নমিনেশন সঠিকভাবে ত্যাগি,পরিক্ষিত, আদর্শবান নেতা কর্মী পেলে কারো মাথাব্যাথার কারন হতনা। তাই বলে জঙ্গী,জামায়াতকে দিলে নেতাকর্মীরা চুপ থাকবে কেন? দল কি কারো বাবার সম্পদ? আজকে যারা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে দল ক্ষমতায় না থাকলে এদের ঠিকানা বিদেশ। মাননীয় নেত্রী, হেফাজতের আন্দোলন চলাকালীন সময়ের পাসপোর্ট তল্লাসি করে দেখেন-এরা কেউই আপনার আশেপাশে বা স্ব-স্থানে ছিলেন না। বাংলাদেশের বাহিরে অন্য কোন দেশে তাঁদের অবস্থান ছিল।আমি চেলেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি -অপকর্মকারি নেতারা দেশে আগেও ছিলেন না ভবিষ্যতে ও থাকবেন না। আপনার উস্কু- খুস্কু চেহারার কর্মীরা ছিল, আছে, থাকবে। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা বঙ্গরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

খালেদার অভিযোগ-- জয়ের চেলেঞ্জ।পালটা জাতিকে কৃতজ্ঞতার ঋনের জালে আমুক্ত বাঁধন-- _______________________________ প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় খালেদা জিয়াকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) যদি ৩০০ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ২৪০০ কোটি টাকা) প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে সব টাকা এতিমদের দিয়ে দেব। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মন্তব্যের জবাবে রবিবার সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুক পেজে এ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। এর আগে শনিবার রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের (সজীব ওয়াজেদ জয়) একটি অ্যাকাউন্টেই আড়াই হাজার কোটি টাকা জমা আছে। এই টাকা কোথা থেকে গেছে? এই টাকার উৎস কী? বাংলাদেশের মানুষ তা জানতে চায়'বলে জানিয়েছেন'। জয়ের ফেসবুক পেজের উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন ফেসবুকে দৃডতার সহিত জানান, সম্পুর্ণ দায় দায়িত্ব নিয়েই বলছি, "সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসাবে কোন সরকারি সুযোগ – সুবিধা নেন না । তার নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈতনিক ।" এই বিষয়ে বলার প্রয়োজন হল , কারণ সাম্প্রতিক কিছু বিষয় নিয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা এবং তথাকথিত শুশীল সমাজ --তথ্য প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন । কারণ আর কিছুই নয়, তারেক – কোকোদের সমান্তরাল নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করাই মূল উদ্দেশ্য। নীজের ছেলেতো চুরির দায়ে পরবাসে অচেনা অজানা পথে ধুঁকে ধুঁকে মরছে,জাতির জনকের দৌহিত্রের গায়ে যদি সামান্য আঁছড় লাগানো যায়, তাহলেও কোন এক সময় হয়তবা দেশবাসিকে চোখ দেখানো যেত। বলা যেত আমার ছেলে একা চুরি করেনি, শেখ হাসিনার ছেলেও চুরি করেছে-ক্ষমতা পেলে ছেলেপেলেরা এমন এক আধটু করে,এতে তেমন অপরাধের কিছুই নেই। তথ্য ও প্রযুক্তিবীদ হিসেবে জনাব সজিব ওয়াজেদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও বেশ নাম করেছেন।মেধাবী ছাত্র হিসেবে হার্ভাডেও তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। জয় দেশ মাতৃকার প্রতি অসীম ভালবাসার প্রতিদান দিতে লোভনীয় বেতন ভাতার অপার প্রত্যাখ্যান করে সম্পুর্ণ অবৈতনিক স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তাঁর অর্জিত মেধাকে দেশের নতুন প্রজর্ম্মের প্রতি উৎসর্গ করেছেন। এর চেয়ে বড় ত্যাগ আর কি হতে পারে, দুর্মুখ্যেরা বলে জয় আমেরিকার ব্যাংকে টাকা জমা রেখে দিয়েছেন। হায়রে বাঙ্গালী-হায়রে বাংলাদেশ-- তোদের জন্য পরিবারটি রক্ত, মেধা, শ্রম, ত্যাগ কি দিতে বাকি রেখেছে? জয় সম্পুর্ণ অবৈতনিক এবং স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাংলাদেশের তরুন প্রজর্ম্মের জন্য তাঁর মেধার সবটুকু অর্জন ঢেলে দিয়েছে। কোনদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বা ঐ পরিবারের কোন সদস্যের মুখ থেকে গুনাক্ষরেও কেউ কি প্রকাশ করেছেন? চমক দেখালেন জাতিকে? ঋনের জালে আবদ্ধ করেছেন? উপহাস করেছেন? না আমি আর চিন্তা করতে পারছিনা,আমার চিন্তাশক্তি লোপ পেয়েছে, একি শুনলাম? কেন এই পরিবারটি বাঙ্গালী জাতিকে এত ঋনের জালে আবদ্ধ করছেন? বাঙ্গালী জাতি- জাতির জনকের ২৩ বছরের ত্যাগের বিনিময় দিয়েছে স্ব-পরিবারকে কোরবানি দিয়ে। স্ব-পরিবারের রক্তের ঋন শোধ করার জন্য তাঁর জৈষ্ঠ কন্যাকে কমপক্ষে ১৯ বার চেষ্টা করেছে হত্যা করতে। বাংলাদেশকে উন্নতি অগ্রগতির শিখরে নেয়ার এবং তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার বিনিময়ে পেয়েছে জয়কে সুদুর আমেরিকায় হত্যা করার পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। ঋন শোধ করার আদৌ কোন উপলব্ধি, অনুভব, অনুকম্পা এই জাতির মনে বাসা বাঁধবে? আমার বিশ্বাস হচ্ছেনা জাতি এই সাগরসম রক্ত ঋন আর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময় মুল্য দিবে কোন দিন, নাকি ষড়যন্ত্রের জালকে আরো বিস্তৃত করবে? আমি আর লিখতে পারছিনা,আমি আবেগে আপ্লুত, হতভম্ব, অতিশয় কৃতজ্ঞতায় মাথা বারবার ঝুঁকে পড়ছে -মহান নেতার পরিবারের সদস্যদের প্রতি, তাঁদের মহানুভবতার প্রতি। হে মহান আল্লাহ-তুমি সর্বদ্রষ্টা, সর্বজ্ঞানী, মহানুভব-তোমার মহানুভবতার কিঞ্চিত তুমি কি ইচ্ছা করেই দিয়েছে সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী পরিবারটিকে--!!!! জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু

ছবি

জাতির জনক এবং তাঁর পরিবারকে অবজ্ঞা করার প্রতিদান --বিএনপি জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মুল কারন--- ________________________________________ বাংলাদেশের অনেক বিজ্ঞ অভিজ্ঞজনের অভিমত, শক্তিশালী বিরুধীদলের অভাবে গনতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।সরকার ও নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিকে মাঠে স্বক্রিয় রাখার নিমিত্তে-একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে আওয়ামী লীগের উপর দমন পিড়ন অব্যাহত রেখেছেন।কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে বলে মনে হয়না।বিএনপিকে মাঠে ধরে রাখা যাচ্ছেনা,অনেক ক্ষেত্রে তৃনমুলের নেতাদের কাঁধে জোর করে নমিনেশন তুলে দিলেও তাঁরা পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা অব্যাহতই রেখেছেন।এই থেকে অনুমান করা যায় বিএনপির রাজনীতিতে আর ফিরে আসার সম্ভাবনা-তৃনমুলের কর্মীরাও বিশ্বাস করতে পারছেননা। শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের ঘটনা বিএনপির নীতিনির্ধারকদের আরো বেশী শঙ্কায় ফেলেছে। এই মামলায় বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদেরও জড়ানো হতে পারে- এমন আশংকা প্রকাশ করছেন অনেকেই। সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও দলের স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরিচালনা সেলের সমন্বয়ক মো. শাহজাহান বলেন, ‘দলীয় স্বার্থে দলে কোনো বিরোধ বা ঠেলাঠেলি দেখি না। তবে সরকারের স্বার্থ রক্ষার তৎপরতা আছে। কেউ না বুঝে, আবার কেউ কেউ বুঝেশুনে সরকারের ফাঁদে পা দিচ্ছে। এ থেকেই হয়তো দ্বন্দ্বের উৎপত্তি।’ গত বছরের শুরুতে সরকার পতন আন্দোলনে ব্যর্থতা, টানা তিন মাস হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে পেট্রলবোমা, গাড়ি পোড়ানোসহ নাশকতার অসংখ্য মামলা এবং পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযানের মুখে অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বিএনপি। দলের নেতা-কর্মীদের অনেকে বছর খানেক আত্মগোপনে ছিলেন। এরপর গত ১৯ মার্চ দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপি দলটি আবার রাজনীতির মাঠে ফিরে আসে। নেতা-কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনার সঞ্চার হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন মুখের প্রাধান্যনির্ভর কমিটি দিয়ে ধীরেসুস্থে দলকে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেন শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু নেতাদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে শুরুতেই এ পরিকল্পনা হোঁচট খায়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সুন্দর একটা সম্মেলন হলো। কিন্তু নানা কারণে দলে যে গতি আসার কথা ছিল, তা আসেনি।বরঞ্চ অনেক ক্ষেত্রে দলীয় অন্তকোন্দল শীর্ষ পয্যায়কে স্পর্ষ করেছে। সম্মেলনের এক মাসের মাথায় তিন দফায় দলের মহাসচিবসহ ছয়টি পদে ৪১ জন নেতার নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। তাঁদের ৩১ জন নতুন মুখ, যাঁদের পাঁচ-ছয়জনের যোগ্যতা ও সামর্থ্য নিয়ে দলের ভেতরে সমালোচনা আছে। কমিটি নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভে কেন্দ্রিয় কায্যালয়ে হামলার ঘটনাও ঘটেছে ইতিমধ্যে।বলা যায় লেজে গোবরে অবস্থা। সূত্র জানায়, কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে মূল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন খালেদা জিয়া। এ কাজে যখন যাঁকে দরকার মনে করছেন, তাঁর সহযোগিতা নিচ্ছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাঁকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে অবশ্য অভিযোগ আছে। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা পরিষদ ও বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে নাম ঘোষণা বাকি আছে। এসব পদের বিষয়ে কথা বলতে গত কিছুদিন আগে লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে গেছেন তাঁর এক ঘনিষ্ঠজন।তারেকের পরামর্শ অনেক ক্ষেত্রে পালিত না হওয়ার কারনে মা-ছেলে হট টকও সর্বজনবিদিত।যার ফলে লোক পাঠিয়ে ছেলের মান ভাঙ্গানোর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। দলের এমন এলোমেলো অবস্থার মধ্যে সাংবাদিক শফিক রেহমানের গ্রেপ্তার ও তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ ও হত্যা ষড়যন্ত্রের’ মামলায় জড়ানোর ঘটনা বিএনপির নীতিনির্ধারকদের শঙ্কায় ফেলেছে। তাঁদের আশঙ্কা, শফিক রেহমানের ওই মামলায় বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ আরও নেতাকে জড়ানো হতে পারে।শফিক রেহমান যে হারে তথ্য প্রকাশ শুরু করে দিয়েছেন তাতে সুস্থির থাকার উপায় দেখছেনা কোন নেতা।কোন সময়ে কোন নেতার নাম বলে বসে তার কোন হদিস নেই,সখ্যতাতো কম বেশি সবার সাথেই তাঁর ছিল। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার ও খালেদা জিয়ার মামলার গতি বাড়ানোর উদ্দেশ্য বিএনপির স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি করা। আর গয়েশ্বরের দাবি, শফিক রেহমানের গ্রেপ্তার সরকারের ‘নার্ভাসনেস’। সরকারকে মনের বাঘে খাচ্ছে। তারা বাঘ খুঁজে পাচ্ছে না, তাই বনে আগুন দিচ্ছে। বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষী গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসনের স্বার্থে বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোর দরকার। কিন্তু দলটি কেন জানি পারছে না। তিনি বলেন, ‘কিছু লোক আছে খালেদা জিয়াকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখে। তারাই বলে আপনাকে সব ক্ষমতা দেওয়া হলো, আপনি সব ঠিক করে দিন। এ অবস্থার পরিবর্তন যত দিন না হবে, ততদিন এসব সমস্যা কাটবে না।’ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মামলা, হামলা ও নির্যাতনে বিএনপি এমনিতেই কাহিল। এসবের উদ্দেশ্য বিএনপিকে আরও কাহিল করা। নেতাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট করে দলকে ভেতর থেকে অস্থিরতায় রাখা।হুমকি ধমকি যাই দিক গয়েশ্বর শেষ পয্যন্ত বিএনপির পড়ন্ত বিকেলের কথাই স্বীকার করে গেলেন। শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের ঘটনা বিএনপির নীতিনির্ধারকদের শঙ্কায় ফেলেছে। এই মামলায় বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদেরও জড়ানো হতে পারে। মুলত:এই আশংকাটি আসার কারন-শফিক রেহমানকে জিজ্ঞাসার আগেই অকপটে তথ্যপ্রদান করে দেয়া,যাহা জিজ্ঞাস্য নয় তেমন বিষয়েরও আবতারনা করে দল ও দলীয়নেতাদের বিব্রতকর পরিস্থীতির দিকে ঠেলে দেয়া। ইতিমধ্যে বিএনপির নেত্রী সহ উধ্বতন নেতানেতৃদের লাগামহীন মন্তব্য ও বক্তব্য থেকে বুঝা যায় দলটি রাজনীতিতে খেই হারিয়ে যারপরনাই দিশাহীন অবস্থায় আছে।কে কি বলবে বা কি বলা উচিৎ তাও যেন বোধগম্যতায় আসছেনা। দলের শীর্ষনেত্রী খালেদা--জয়ের তিনশত মিলিয়ন ডলার আমেরীকার ব্যাংকে জমা আছে বলে দেয়া বক্তব্যে তীব্র প্রতিবাদ চতুর্দিক থেকে শুরু হয়েছে।জয় নীজেই তাঁর পেইজবুক স্টেটাসে প্রতিবাদ করে চেলেঞ্জ চুড়ে দিয়ে বলেছেন,তিনবারের প্রধানমন্ত্রী আমেরীকার অর্থব্যবস্থা সম্পর্কেই কোন জ্ঞান রাখেননা।বৈধ আয়ের বাইরে আমেরিকার ব্যাংকে টাকা জমা রাখার কোন রীতি নেই,তাও তিনি জানেননা। জাতির জনকের পরিবারকে যেই দলই অবজ্ঞা করার যতবেশি চেষ্টা করবে, দলটি ততবেশি জনবিচ্ছিন্নই হবে।এমনও সময় হয়ত খুব বেশি দূরে নেই, জাতির জনককে যথাযথ সম্মান না করে, কোন ব্যাক্তি বা দল বাংলাদেশে রাজনীতির করার অধিকারও বাঙ্গালী জাতি দিবেনা।জাতি অন্তত: এই বিষয়টি ইতিমধ্যে পরিস্কার ভাবে অনুধাবন করেতে পেরেছে বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতিকে স্বাধীনতা দিয়েছেন,তাঁর কন্যা বাঙ্গালী জাতিকে সমৃদ্ধ জাতিতে পরিনত করছেন,তাঁর দৌহিত্র সজিব ওয়াজেদ জয় জাতিকে বিজ্ঞান ভিত্তিক সমাজ উপহার দেয়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে ইতিমধ্যে তথ্য ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধশালী করে উন্নত জাতির সোপান রচনা করেছেন। সুনির্দিষ্ট প্রমান ছাড়া জাতির জনকের পরিবারের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উত্থাপন করা কোন মহলের কাম্য হতে পারেনা। জাতির জনক বাংলাদেশের সৃষ্টি করেছেন, দেশ স্বাধীন করেছেন। জাতি গর্বভরে বাংলাদেশের স্থপতি করে তাঁদের মনের মন্দিরে ঠাঁই দিয়ে রেখেছেন। "সাধারন রিক্সাওয়ালা পয্যন্ত তাঁর ছেলে মেয়ের নামে সম্পদ না রেখে- জাতির জনকের কন্যার জন্য সম্পদ রেজি:করে রেখে দিয়ে গেছেন, এমন উদাহরন ও আছে। কোটি বাঙ্গালী তাঁদের সম্পদ জাতির জনকের পরিবারের জন্য দিয়ে যেতে প্রস্তুত।যেখানে অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিতে পারে সেখানে সম্পদ তুচ্ছ।বাঙ্গালী একাধিকবার নীজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে জাতির জনকের কন্যার জীবন রক্ষা করার উদাহরন ইতিপুর্বে একাধিকবার রেখেছে।অযথা প্রমান ছাড়া অভিযোগ উত্থাপন করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে সকল মহল বিরত থাকা উচিৎ।কারন পরিবারটি বাঙ্গালীর অন্তরে ধারন করা,সীল গালা করে রেখে দিয়েছে বাঙ্গালী। শুধুমাত্র নীজের পরিবারের দুর্নীতি,লুটপাটের বদনামের সমান্তরাল করার নিমিত্তে জাতির জনকের পরিবারকেও একই পাল্লায় জনমনে ধারনা দেয়ার পরিকল্পনা হীতে বিপরীত হতে পারে।জনরোশের কবলে পড়ে রাজনীতির মঞ্চ থেকে বিদায় নেয়ার সম্ভাবনাই ত্বরান্বিত হবে, ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন দুরের কথা। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু বঙ্গরত্ম শেখ হাসিনা