বেগম জিয়ার দেশের সভায় যেমন হৈ চৈ,বিদেশের সভায় তেমনি ;পতনের লক্ষন স্পষ্ট।
ব্যাক্তি, পরিবার,সমাজ,দল,রাষ্ট্র সব কিছুর বেলায় উত্থান পতন আছে থাকবে।এই সমস্ত সব কিছুওই সৃষ্টির অমোঘ বিধান।জর্মিলে মৃত্যু অনিবায্য।পৃথিবীর যাহা কিছু সৃষ্টি আছে সব কিছুর ধ্বংশ অনিবায্য।অল্প বয়সে মারা গেলে কোন লোক আপসোস একটু বেশী হয়,হওয়াটা স্বাভাবিক।কারন লোকটা কিছু দেখার আগে বা দেখার বয়স হওয়ার সাথে সাথে মারা গেল।পাড়া প্রতিবেশি মা বাবা সবাই ভুলতে পারেন না অনেক দিন পয্যন্ত।আবার কোন খারাপ মানুষ অর্থাৎ কোন সন্ত্রাসি যদি কম বয়সেও মারা যায়, সমাজের অধিকাংশ মানুষ খুশি হয়।অনেকে চিন্তা করেন সমাজের একটা বোঝা পার হল।সমাজ সেবক সে যে বয়সের হোক মারা গেলে, সমাজ তাঁর জন্য কাঁদে।
ভারত বর্ষে অনেক রাজনৈতিক দলের জর্ম্ম হয়েছে।অনেক রাজনৈতিক দল বর্তমানে সাইনবোর্ড সর্বস্ব দলে রুপান্তরীত হয়ে মমূর্ষ অবস্থায় নামে মাত্র টিকে আছে।সত্যিকারের জনকল্যানে যে সমস্ত দল কাজ করে তাঁদের মৃত্যু হয়ে হয়েও আবার জনগনের মাঝে ফিরে এসেছে।
বি,এন,পির জর্ম্মের ইতিহাস বাংলাদেশের সব মানুষের কম বেশি জানা আছে।এই দলটি প্রথম থেকেই মিথ্যের উপর ভর করে দলের বিকাশ ঘটিয়েছিল।একশ্রেনীর সুবিধাবাদি নেতার মিলনস্থল ছিল দলটি।যারা মনে প্রানে বাংলাদেশের স্বাধিনতাকে মেনে নিতে পারেননি,স্বাধিনতা যুদ্ধের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিরোধিতা করেছিলেন তাঁরাই এই দল গঠন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন জোরালো ভাবেই।দল প্রতিষ্ঠা করার পর যতনা সমাজ বা রাষ্ট্রের উন্নয়নকাজ তঁার চেয়ে বেশি ছিল আওয়ামী লীগের এবং তাঁর প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনকের এবং তাঁর পরিবারের চৌদ্দগোষ্টি উদ্ধার।
সদ্য ক্ষমতাচ্যুত দল বিদায় দিকবিদিক চিন্তা ভাবনা না করে সাধারন মানুষ ও বেশ ভাল ভাবেই তাঁদের বানোয়াট কাহিনী বিশ্বাস করেছিল।দলটির প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় বাড়তি সুবিদা যা ছিল সবটাই কাজে লাগিয়ে দুদন্ড প্রতাপে বেশ কিছু বছর দেশ শাষন করার সুযোগ ও পেয়েছিল।অবশ্য দেশ শাষনের এই সুযোগ নিতে পারতোনা যদিনা পাকিস্তানের আদলে মার্শাল 'ল জারী করে জনগনকে খাঁচায় বন্ধি করার ব্যবস্থা প্রথম থেকেই না করতেন।
উত্থান যেমনি পতন তেমনি।মিথ্যার বেসাতি যখন জনগন সম্যক ভাবে অবগত হওয়া শুরু করেছেন তখন থেকেই দলটির পতন শুরু হয়েছে বলা যায়।ব্যাক্তি বা পরিবারারের পতনের সময় যেমন কেউ কারো কথা শুনে না,ভাল কাজেও বাঁধা আসে বারংবার, তেমনি বি,এন,পির ও তদ্রুপ অবস্থা বিরাজমান। পতনের সব লক্ষন ধীরে ধীরে পরিস্পুটিত হওয়া শুরু হয়েছে।
গত ২৪তারিখে বৃটেনে ঈদ উৎযাপিত হয়েছে।সংগত ভাবে বি,এন,পির শীর্ষ নেতা বৃটেন অবস্থান করায় ইদের দিন বাঙালী কমিউনিটিতে দেখা সাক্ষাৎ করবেন।তাছাড়া ভবিষ্যত বি,এন,পির কর্নধার ও দীর্ঘ বছর বৃটেন পালিয়ে আছেন,মায়ের সাথে থেকে একটা জনসমাবেশে মিলিত হয়ে বক্তব্য দিতে পারবেন এই আশা করাটা অন্যায় নয়।এমনিতে ভাইসচেয়ারম্যান সাহেবের উপর নিষেদাজ্ঞা আছে বৃটিশ সরকারের, ঐ দেশে তাঁর বক্তৃতা বিবৃতির উপর। তা কেন হল অবশ্য বাংলাদেশের মানুষ জানে না।যেই কারনেই হোক এতে বাংলা দেশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল হয়নি বরঞ্চ ক্ষতিগ্রস্তই হয়েছে ধারুন ভাবে। বিশ্বের বহু রাষ্ট্র নায়কের ছেলে মেয়েরা বৃটেন বাস করে,কেউ সেখানে লেখাপড়া করার জন্য কেউবা ব্যবসাপাতি করার জন্য।আমাদের দেশের সাবেক প্রধান মন্ত্রীর ছেলে প্রথমে চিকিৎসার জন্য গেলেও প্রায় ৬/৭বছরেও উনার চিকিৎসা শেষ হয়নি।একবার শুনা গিয়েছিল, তিনি আসবেন বীরের বেশে।জানিনা কোথায় যুদ্ধে জয় করে বীর হয়ে দেশে আসবেন বলছিলেন।ইদানিং শুনা যায় না সুন্দর শ্লোগানটি।যাক সেই সব কথা।যে কথাটি বলার জন্য এই নিবন্ধের অবতারনা সেই প্রসঙ্গেই আসি।
শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠান হলেও এর গুরুত্ব নানাবিধ কারনে জনমনে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিল।ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য লন্ডনের বার্কিং এর একটি হলে সমাবেশের আয়োজন করেছিলো। আয়োজনকারীরা ছিলেন বিএনপির বর্তমান কমিটি এবং তত্বাবধানে ছিলেন তারেক রহমান। এরকম ভাবেই লন্ডনের কমিউনিটিতে ধারণা বিএনপির পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিলো এবং দাওয়াত যখন দেয়া হয়েছিলো তখন বেছে বেছে দেয়া হয়েছিলো। এই দাওয়াতে আমন্ত্রিত হয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন ব্রিটেনের বিভিন্ন পেশায় কর্মরত- যারা মূলধারার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পেশা তথা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, সলিসিটর, ব্যারিস্টার, কাউন্সিলর, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী অনেকেই। ছিলেন বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিক এবং বিএনপি দলীয় নেতা কর্মীরা।ছিলো নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত একটি পেশাজীবী বেসরকারি সিকিউরিটির লোকজন।
এত কিছুর পর ও এমন একটি সভায় বিশৃংখলা হবে তাও কি ভাবা যায়।সব চেয়ে বড় কথাটি হচ্ছে তারেক জিয়া বার বার চেষ্টা করেও নাকি উশৃংখল নেতাকর্মিদের নিবৃত্ত করতে পারেননি।খালেদা যখন থামতে বলছিলেন তখনও হাত্তালি পড়ছিল জোরসেই।এত বেশি উশৃংখল আচরন হচ্ছিল মঞ্চে উপ্র বেগম জিয়ার গায়ের উপর পড়ে যাচ্ছিল হুমড়ি খেয়ে।পত্রিকায় এভাবেই এসেছে ঘটনাটি--
দেশের এবং লন্ডনের এই দুই জল্পনা ও আশার মধ্যে গুড়েবালি ঢেলে দেয় বিএনপির দলীয় নেতা কর্মীদের উচ্ছৃংখল আচরণ- এমনকি দলীয় ভাইস চেয়ারম্যান বার বার বলার পরেও বিএনপি নেতা কর্মীদের উচ্ছৃঙ্খল আচরন কিছুতেই বন্ধ হচ্ছিলোনা। এমনি অবস্থায় দলীয় চেয়ারপার্সনকে ধাক্কা-ঠেলা এমনকি মঞ্চে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থায়ও দলটির নেতা কর্মীদের মধ্যে সামান্যতম শৃঙ্খলা ও শালীনতার উদ্রেক না হওয়ায়- সভায় আগত অতিথি সকলেই বিস্মিত ও হতবাক হয়ে যান। দলীয় নেতা কর্মীদের উচ্ছৃঙ্খল আর হৈ চৈ এমনকি সিকিউরিটি বেষ্টনি বেধ করে মঞ্চে উঠে হৈ হুল্লুড আর খেলার মাঠের মতো নোংরামি আচরন- হতবাক হয়ে বেগম জিয়া যখন বলেন, এখানে দেখছি দেশের মতো অবস্থা- তখনো দলটির নেতা কর্মীরা হাততালি দিতে থাকেন, যা দৃষ্ঠি কঠুই শুধু লাগেনি, বিবেক বোধ শক্তি হারিয়ে তারা ছবি তোলার জন্য হয়ে পরেন বেপরোয়া। এমনি অবস্থায় বেগম জিয়াকে বক্তৃতা বন্ধ করে দিতে হয়। হলে তখন চলছিলো হুড় মুড়িয়ে মঞ্চে উঠার উম্মত্ত প্রতিযোগিতা।
এখানে যারা ছিলেন, যারা উচ্ছৃঙ্খল আচরন করেছিলেন, হৈ চৈ করেছিলেন, নেত্রীকে ধাক্কা ধাক্কি দিয়েছিলেন- এরা সবাই বিএনপির নেতা কর্মী, অন্য কেউ নয়।এদের এই উচ্ছৃংখলতা নতুন নয় । তারেক রহমান যখন লন্ডনে প্রথম অনুষ্ঠান করেন পামট্রিতে- সেখানেও ছিলেন বিএনপির নেতা কর্মী। এর পরেও তারেক রহমান লন্ডনে আরো পাচটি অনুষ্ঠান করেছেন। মোট এই ছয়টি অনুষ্ঠান। প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে বিএনপি দলীয় নেতা কর্মীরা হৈ চৈ আর উচ্ছৃংখল আচরন করেছেন। একটি অনুষ্ঠানও তারেক রহমান তার টিম দিয়ে পরিপূর্ণ শৃংখলার সাথে করতে সক্ষম হননি। সর্বশেষ বেগম জিয়ার উপস্থিতিতে এমন ন্যাক্কারজনক ভাবে অনুষ্ঠান উপহার দিলেন- যখন প্রয়োজন ছিলো জনগনের নির্দেশনা পাওয়ার।
প্রশ্ন হলো- এরকম উচ্ছৃঙ্খল আচরন করার জন্য অনুষ্ঠান কেন ?
ঈদ শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে যে সব ব্রিটেন প্রবাসী পেশাজীবী ছিলেন তারা কেউই এরকম ছবি তোলার জন্য কিংবা বেগম জিয়ার পাশে দাড়ানোর জন্য ক্যামেরার পোজ বা মঞ্চে উঠার জন্য ধাক্কা ধাক্কি হৈ চৈ করেননি।
আমি এখানে বলতে চাই যে কথাটি বাংলা দেশের যেখানেই খালেদা জিয়া দলীয় সভা করতে গিয়েছেন সেখানেই এই রুপ ঘটনার অবতারন হয়েছে।বরাবরই পরের দিন বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে সরকারি দলের এজেন্ট ঢুকে পড়েছে দলের মধ্যে,তাঁরাই গন্ডগোল পাকিয়েছে।লন্ডনের সভায় মনের অজান্তে খালেদা স্বীকার করে বললেন "দেশে যে অবস্থা এখানে ও দেখছি সেই অবস্থা"।
তবে কি বি,এন,পি এতদিন মিথ্যে বিবৃতি দিয়ে এসেছিল?যার যেভাবে উৎপত্তি তাঁর সেভাবেই বিনাশ ঘটে, বহুল প্রচারীত প্রবাদটি যে এমনিতে আমাদের পন্ডিত গন বলেন নাই তাই প্রমানিত হচ্ছে বি,এন,পির ক্ষেত্রে।
" পতনের সময় কেউ কারো কথা শুনে না।"
আমরা লক্ষ করেছি ঐ সভায় একজন মন্ত্রী নাকি খালেদা জিয়াকে রিসিভ করবেন।একান্ত মিথ্যের বেসাতি।আন্দোলন চলাকালিন সময় ও বিদেশি এম,পি মন্ত্রীদের সাক্ষর জাল করে বিবৃতি প্রকাশ করে দলটি।পরবর্তিতে ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে কয়েক সদস্যকে বহিস্কার করে ভাবমুর্তি রক্ষার বৃথা চেষ্টা করেছিল দলটি।এখানেও সেই মিথ্যারই আশ্রয় নিয়ে বলা হল মন্ত্রী বেগম জিয়াকে বরন করবেন।কিন্তু কোন মন্ত্রীতো দুরের কথা, সেই দেশের বিরুদি দলের ও কোন এম,পি কে সেখানে উপস্থিত দেখা যায়নি।
পতনের প্রাক্কালে উত্থানের মতই মিথ্যের চড়াচড়ি লক্ষনীয় ভাবেই ফুটে উঠেছে।তবে সবচেয়ে আপসোসের ব্যাপারটি হচ্ছে, অল্প বয়সে দলটি মারা যাচ্ছে।উত্থান পর্ব কেলেংকারীতে প্রিপুর্ন বিদায় তেমন আপসোস দেশে তো হচ্ছেই না,এখন দেখি বিদেশেও হচ্ছেনা।আর বড় আপসোস হচ্ছে বিকল্প শক্তির আত্মপ্রকাশের আগেই দলটির মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য ভাল ফল বয়ে আনবে না এই মৃত্যুতে।
ভারত বর্ষে অনেক রাজনৈতিক দলের জর্ম্ম হয়েছে।অনেক রাজনৈতিক দল বর্তমানে সাইনবোর্ড সর্বস্ব দলে রুপান্তরীত হয়ে মমূর্ষ অবস্থায় নামে মাত্র টিকে আছে।সত্যিকারের জনকল্যানে যে সমস্ত দল কাজ করে তাঁদের মৃত্যু হয়ে হয়েও আবার জনগনের মাঝে ফিরে এসেছে।
বি,এন,পির জর্ম্মের ইতিহাস বাংলাদেশের সব মানুষের কম বেশি জানা আছে।এই দলটি প্রথম থেকেই মিথ্যের উপর ভর করে দলের বিকাশ ঘটিয়েছিল।একশ্রেনীর সুবিধাবাদি নেতার মিলনস্থল ছিল দলটি।যারা মনে প্রানে বাংলাদেশের স্বাধিনতাকে মেনে নিতে পারেননি,স্বাধিনতা যুদ্ধের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিরোধিতা করেছিলেন তাঁরাই এই দল গঠন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন জোরালো ভাবেই।দল প্রতিষ্ঠা করার পর যতনা সমাজ বা রাষ্ট্রের উন্নয়নকাজ তঁার চেয়ে বেশি ছিল আওয়ামী লীগের এবং তাঁর প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনকের এবং তাঁর পরিবারের চৌদ্দগোষ্টি উদ্ধার।
সদ্য ক্ষমতাচ্যুত দল বিদায় দিকবিদিক চিন্তা ভাবনা না করে সাধারন মানুষ ও বেশ ভাল ভাবেই তাঁদের বানোয়াট কাহিনী বিশ্বাস করেছিল।দলটির প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় বাড়তি সুবিদা যা ছিল সবটাই কাজে লাগিয়ে দুদন্ড প্রতাপে বেশ কিছু বছর দেশ শাষন করার সুযোগ ও পেয়েছিল।অবশ্য দেশ শাষনের এই সুযোগ নিতে পারতোনা যদিনা পাকিস্তানের আদলে মার্শাল 'ল জারী করে জনগনকে খাঁচায় বন্ধি করার ব্যবস্থা প্রথম থেকেই না করতেন।
উত্থান যেমনি পতন তেমনি।মিথ্যার বেসাতি যখন জনগন সম্যক ভাবে অবগত হওয়া শুরু করেছেন তখন থেকেই দলটির পতন শুরু হয়েছে বলা যায়।ব্যাক্তি বা পরিবারারের পতনের সময় যেমন কেউ কারো কথা শুনে না,ভাল কাজেও বাঁধা আসে বারংবার, তেমনি বি,এন,পির ও তদ্রুপ অবস্থা বিরাজমান। পতনের সব লক্ষন ধীরে ধীরে পরিস্পুটিত হওয়া শুরু হয়েছে।
গত ২৪তারিখে বৃটেনে ঈদ উৎযাপিত হয়েছে।সংগত ভাবে বি,এন,পির শীর্ষ নেতা বৃটেন অবস্থান করায় ইদের দিন বাঙালী কমিউনিটিতে দেখা সাক্ষাৎ করবেন।তাছাড়া ভবিষ্যত বি,এন,পির কর্নধার ও দীর্ঘ বছর বৃটেন পালিয়ে আছেন,মায়ের সাথে থেকে একটা জনসমাবেশে মিলিত হয়ে বক্তব্য দিতে পারবেন এই আশা করাটা অন্যায় নয়।এমনিতে ভাইসচেয়ারম্যান সাহেবের উপর নিষেদাজ্ঞা আছে বৃটিশ সরকারের, ঐ দেশে তাঁর বক্তৃতা বিবৃতির উপর। তা কেন হল অবশ্য বাংলাদেশের মানুষ জানে না।যেই কারনেই হোক এতে বাংলা দেশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল হয়নি বরঞ্চ ক্ষতিগ্রস্তই হয়েছে ধারুন ভাবে। বিশ্বের বহু রাষ্ট্র নায়কের ছেলে মেয়েরা বৃটেন বাস করে,কেউ সেখানে লেখাপড়া করার জন্য কেউবা ব্যবসাপাতি করার জন্য।আমাদের দেশের সাবেক প্রধান মন্ত্রীর ছেলে প্রথমে চিকিৎসার জন্য গেলেও প্রায় ৬/৭বছরেও উনার চিকিৎসা শেষ হয়নি।একবার শুনা গিয়েছিল, তিনি আসবেন বীরের বেশে।জানিনা কোথায় যুদ্ধে জয় করে বীর হয়ে দেশে আসবেন বলছিলেন।ইদানিং শুনা যায় না সুন্দর শ্লোগানটি।যাক সেই সব কথা।যে কথাটি বলার জন্য এই নিবন্ধের অবতারনা সেই প্রসঙ্গেই আসি।
শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠান হলেও এর গুরুত্ব নানাবিধ কারনে জনমনে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিল।ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য লন্ডনের বার্কিং এর একটি হলে সমাবেশের আয়োজন করেছিলো। আয়োজনকারীরা ছিলেন বিএনপির বর্তমান কমিটি এবং তত্বাবধানে ছিলেন তারেক রহমান। এরকম ভাবেই লন্ডনের কমিউনিটিতে ধারণা বিএনপির পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিলো এবং দাওয়াত যখন দেয়া হয়েছিলো তখন বেছে বেছে দেয়া হয়েছিলো। এই দাওয়াতে আমন্ত্রিত হয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন ব্রিটেনের বিভিন্ন পেশায় কর্মরত- যারা মূলধারার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পেশা তথা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, সলিসিটর, ব্যারিস্টার, কাউন্সিলর, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী অনেকেই। ছিলেন বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিক এবং বিএনপি দলীয় নেতা কর্মীরা।ছিলো নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত একটি পেশাজীবী বেসরকারি সিকিউরিটির লোকজন।
এত কিছুর পর ও এমন একটি সভায় বিশৃংখলা হবে তাও কি ভাবা যায়।সব চেয়ে বড় কথাটি হচ্ছে তারেক জিয়া বার বার চেষ্টা করেও নাকি উশৃংখল নেতাকর্মিদের নিবৃত্ত করতে পারেননি।খালেদা যখন থামতে বলছিলেন তখনও হাত্তালি পড়ছিল জোরসেই।এত বেশি উশৃংখল আচরন হচ্ছিল মঞ্চে উপ্র বেগম জিয়ার গায়ের উপর পড়ে যাচ্ছিল হুমড়ি খেয়ে।পত্রিকায় এভাবেই এসেছে ঘটনাটি--
দেশের এবং লন্ডনের এই দুই জল্পনা ও আশার মধ্যে গুড়েবালি ঢেলে দেয় বিএনপির দলীয় নেতা কর্মীদের উচ্ছৃংখল আচরণ- এমনকি দলীয় ভাইস চেয়ারম্যান বার বার বলার পরেও বিএনপি নেতা কর্মীদের উচ্ছৃঙ্খল আচরন কিছুতেই বন্ধ হচ্ছিলোনা। এমনি অবস্থায় দলীয় চেয়ারপার্সনকে ধাক্কা-ঠেলা এমনকি মঞ্চে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থায়ও দলটির নেতা কর্মীদের মধ্যে সামান্যতম শৃঙ্খলা ও শালীনতার উদ্রেক না হওয়ায়- সভায় আগত অতিথি সকলেই বিস্মিত ও হতবাক হয়ে যান। দলীয় নেতা কর্মীদের উচ্ছৃঙ্খল আর হৈ চৈ এমনকি সিকিউরিটি বেষ্টনি বেধ করে মঞ্চে উঠে হৈ হুল্লুড আর খেলার মাঠের মতো নোংরামি আচরন- হতবাক হয়ে বেগম জিয়া যখন বলেন, এখানে দেখছি দেশের মতো অবস্থা- তখনো দলটির নেতা কর্মীরা হাততালি দিতে থাকেন, যা দৃষ্ঠি কঠুই শুধু লাগেনি, বিবেক বোধ শক্তি হারিয়ে তারা ছবি তোলার জন্য হয়ে পরেন বেপরোয়া। এমনি অবস্থায় বেগম জিয়াকে বক্তৃতা বন্ধ করে দিতে হয়। হলে তখন চলছিলো হুড় মুড়িয়ে মঞ্চে উঠার উম্মত্ত প্রতিযোগিতা।
এখানে যারা ছিলেন, যারা উচ্ছৃঙ্খল আচরন করেছিলেন, হৈ চৈ করেছিলেন, নেত্রীকে ধাক্কা ধাক্কি দিয়েছিলেন- এরা সবাই বিএনপির নেতা কর্মী, অন্য কেউ নয়।এদের এই উচ্ছৃংখলতা নতুন নয় । তারেক রহমান যখন লন্ডনে প্রথম অনুষ্ঠান করেন পামট্রিতে- সেখানেও ছিলেন বিএনপির নেতা কর্মী। এর পরেও তারেক রহমান লন্ডনে আরো পাচটি অনুষ্ঠান করেছেন। মোট এই ছয়টি অনুষ্ঠান। প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে বিএনপি দলীয় নেতা কর্মীরা হৈ চৈ আর উচ্ছৃংখল আচরন করেছেন। একটি অনুষ্ঠানও তারেক রহমান তার টিম দিয়ে পরিপূর্ণ শৃংখলার সাথে করতে সক্ষম হননি। সর্বশেষ বেগম জিয়ার উপস্থিতিতে এমন ন্যাক্কারজনক ভাবে অনুষ্ঠান উপহার দিলেন- যখন প্রয়োজন ছিলো জনগনের নির্দেশনা পাওয়ার।
প্রশ্ন হলো- এরকম উচ্ছৃঙ্খল আচরন করার জন্য অনুষ্ঠান কেন ?
ঈদ শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে যে সব ব্রিটেন প্রবাসী পেশাজীবী ছিলেন তারা কেউই এরকম ছবি তোলার জন্য কিংবা বেগম জিয়ার পাশে দাড়ানোর জন্য ক্যামেরার পোজ বা মঞ্চে উঠার জন্য ধাক্কা ধাক্কি হৈ চৈ করেননি।
আমি এখানে বলতে চাই যে কথাটি বাংলা দেশের যেখানেই খালেদা জিয়া দলীয় সভা করতে গিয়েছেন সেখানেই এই রুপ ঘটনার অবতারন হয়েছে।বরাবরই পরের দিন বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে সরকারি দলের এজেন্ট ঢুকে পড়েছে দলের মধ্যে,তাঁরাই গন্ডগোল পাকিয়েছে।লন্ডনের সভায় মনের অজান্তে খালেদা স্বীকার করে বললেন "দেশে যে অবস্থা এখানে ও দেখছি সেই অবস্থা"।
তবে কি বি,এন,পি এতদিন মিথ্যে বিবৃতি দিয়ে এসেছিল?যার যেভাবে উৎপত্তি তাঁর সেভাবেই বিনাশ ঘটে, বহুল প্রচারীত প্রবাদটি যে এমনিতে আমাদের পন্ডিত গন বলেন নাই তাই প্রমানিত হচ্ছে বি,এন,পির ক্ষেত্রে।
" পতনের সময় কেউ কারো কথা শুনে না।"
আমরা লক্ষ করেছি ঐ সভায় একজন মন্ত্রী নাকি খালেদা জিয়াকে রিসিভ করবেন।একান্ত মিথ্যের বেসাতি।আন্দোলন চলাকালিন সময় ও বিদেশি এম,পি মন্ত্রীদের সাক্ষর জাল করে বিবৃতি প্রকাশ করে দলটি।পরবর্তিতে ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে কয়েক সদস্যকে বহিস্কার করে ভাবমুর্তি রক্ষার বৃথা চেষ্টা করেছিল দলটি।এখানেও সেই মিথ্যারই আশ্রয় নিয়ে বলা হল মন্ত্রী বেগম জিয়াকে বরন করবেন।কিন্তু কোন মন্ত্রীতো দুরের কথা, সেই দেশের বিরুদি দলের ও কোন এম,পি কে সেখানে উপস্থিত দেখা যায়নি।
পতনের প্রাক্কালে উত্থানের মতই মিথ্যের চড়াচড়ি লক্ষনীয় ভাবেই ফুটে উঠেছে।তবে সবচেয়ে আপসোসের ব্যাপারটি হচ্ছে, অল্প বয়সে দলটি মারা যাচ্ছে।উত্থান পর্ব কেলেংকারীতে প্রিপুর্ন বিদায় তেমন আপসোস দেশে তো হচ্ছেই না,এখন দেখি বিদেশেও হচ্ছেনা।আর বড় আপসোস হচ্ছে বিকল্প শক্তির আত্মপ্রকাশের আগেই দলটির মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য ভাল ফল বয়ে আনবে না এই মৃত্যুতে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন