একুশ বছর খালেদা নিজামী যে গনতন্ত্রের ভাষায় কথা বলেছে সেই ভাষায় তাঁদের সাথে কথা বলতে হবে,নাহয় তাঁরা বুঝেনা। ===================================================== তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, আগুনসন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের পাল্টা আঘাত হানার কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না। বরং আগুনসন্ত্রাসের নেত্রী খালেদা জিয়াকে দম ফেলার সুযোগ না দিয়ে তাঁকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত ও আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে হবে। এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত ও ধ্বংস করাই এখন একমাত্র কাজ। পশিমাদের থেকে শেখা ভোটের গনতন্ত্রের সুত্র মত একমাত্র হাসানুল হক ইনুই বক্তৃতা বিবৃতি দিতে পারেন।অবশ্য মাঈনুদ্দিন খাঁন বাদল ও কম যান না।আমাদের মন্ত্রী এম,পি রা শুধু মিঁউ মিঁউ করে।২১ বছর তাঁরা কোন ভাষায় কথা বলেছে, তাও কি ভুলে বসে আছেন? বেশি দূর যাওয়ার প্রয়োজন নাই,শুধু মাত্র ২০০১--২০০৬ পয্যন্ত সময়ের আজকের দিনের যেকোন তিনটি খবরের কাগজ নিয়ে বসেন,বুঝতে পারবেন তাঁদের গন্তন্ত্রের ভাষা কি মধুর ছিল। আমাদের নেতাদের মধ্যেও অনেকে আকারে ইঙ্গিতে বলার চেষ্টা করেন,আইন শৃংখলার অবনতির কারনে নাকি বিচার বহিভূত হত্যা সঠিক সিন্ধান্ত!!আইন শৃংখলার অবনতি কোথায় দেখেন তাঁরা? তাঁর জন্য আমি বলবো পত্রিকার পাতা নিয়ে বসেন।গত সাত বছরে যা ঘটেছে তা তাঁদের সময়ের একবছরে দ্বিগুন এর চাইতে বেশী হবে।শুধু ২০০১ ইং সালে যা ঘটেছে, গত সাত বছরে তার সিকি ভাগ ও ঘটেনি।দালাল পেইড সুশীলেরা যা বলবে তাই বিশ্বাস করে র্যাব লেলিয়ে দিতে হবে ছাত্র লীগ যুব লীগের নেতা কর্মিদের উপর?? আপনাদের জ্ঞাতার্থে ২০০১ সালের সংখ্যা লুঘু নির্য্যাতনের শ্বেত পত্রের হিসেব তুলে দিলাম।শাহরীয়ার কবীরের সম্পয়াদনায় এই শ্বেত পত্রের একক বই অন লাইন অপ-লাইনে পাওয়া যাচ্ছে।সন্দেহ হলে প্রকাশকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে পারবেন। [সকল খন্ড একত্রিত করে এই বইটি অনলাইনে সর্বপ্রথম আমরা আপলোড করি] ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ধর্মীয় ও এথনিক সম্প্রদায়ের উপর শুরু হয় নজিরবিহীন নির্যাতন। এই নির্যাতন তৎকালীন ক্ষমতায় থাকা বিএনপি-জামাত জোট সরকারের ছত্রছায়ায় চলে ১৫০০ দিন অতিক্রান্ত হবার পরেও। ১৫০০ দিনের ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনা পর্যালোচনা করলে এর প্রধান কারণ ক্ষমতাসীন চারদলীয় জোটের রাজনৈতিক লক্ষ্যের ভেতরেই পাওয়া যায়। সেটি হল বাংলাদেশকে তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের মতো একটি মনোলিথিক মুসলিম রাষ্ট্রে পরিণত করা। প্রথম খন্ডে ১৬ টি ভিন্ন ভিন্ন দৈনিকের ২৭৮৬ টি আলাদা রিপোর্টের পর্যালোচনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয় খন্ডে রয়েছে ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংখ্যালঘু নির্যাতন সম্পর্কিত নির্বাচিত উপসম্পাদকীয় ও কলাম, ৪০৯২ টি সংবাদ শিরোনাম, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সরজমিন প্রতিবেদন ও পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট এবং সংখ্যালঘু নির্যাতনের নির্বাচিত আলোকচিত্র সংকলন। এই শ্বেতপত্রে সংখ্যালঘু বলতে ধর্মীয় ও এথনিক সম্প্রদায়কে বুঝানো হয়েছে। বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হচ্ছে প্রধানত হিন্দু, খৃষ্টান ও বৌদ্ধ এবং এথনিক সম্প্রদায় হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সমতলে বসবাসকারী চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো, রাখাইন, সাঁওতাল প্রভৃতি ৪০টি ক্ষুদ্র-জাতিসত্তার অধিবাসী। এই ১৫০০ দিনে অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথে সাথে আহমাদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের উপরেও চলে নজিরবিহীন নির্যাতন। আপাতদৃষ্টিতে আহমাদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনও একই ধরনের নির্যাতন মনে হতে পারে তবে এই ধরনের নির্যাতনসমূহকে ইসলামী মৌলবাদ অর্থাৎ কট্টরপন্থী ওয়াহাবি ইসলামের সঙ্গে উদারনৈতিক ইসলামের দ্বন্দ্ব-প্রসূত নির্যাতন বিবেচনায় এই শ্বেতপত্রের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। "[{মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ অনুসন্ধান করুন মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভের সদস্য হোন}]" এই উদাহরনের অর্থ এই নয়্যে আমি অপরাধ বা অপ্রাধীর পক্ষে।তা কখনও নয়।সন্ত্রাসী সে যত বড়ই হোক,আইনের চোখে সে কিছুই না।তাঁকে আইনে সৌপার্দ করে দেন।সে বাকি জীবন জেলেই কাটিয়ে দিক।তাঁকে গুলী করে মেরে পেলতে হবে কেন?সে কি মায়ের পেট থেকে আসতেই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ হয়ে জম্ম নিয়েছেন?সমাজ, রাষ্ট্র,রাজনীতি,অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাই তাঁকে সন্ত্রাসি বানিয়েছে।সেই গুলীর প্রতি দৃষ্টি না দিয়ে শিকার কেন মারা হবে?শীকারীর কেন কোন সাজা হয় না? যেই যাই বলুক বর্তমানে বাংলাদেশের আইন শৃংখলা গত জীবনের যে কোন সময়ের চাইতে ভাল আছে।ক্ষমতাধর লূটেরাদের,ছাত্র লীগ,যুব লীগ এদের দমন করুন,তবে তা হতে হবে রাজ নৈতিক ভাবে।তারা সরকারী দলের রাজনীতি করে বিধায় লুটপাট, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি করার সাহস পায়।তাঁদের রাজনীতি দিয়ে ব্যস্ত রাখার বহু কৌশল আছে।তাঁদের কে দর্শনগত শিক্ষা দিয়ে সৎ পথে আনা সম্ভব।যে ছাত্রটি রাজনৈতিক জ্ঞান সম্পন্ন সে কখনই চাঁদা বাজি করতে পারেনা।তাঁদেরকে ব্যাবহার করে টেন্ডার বাজি, জমি দখল করবেন,আপনার কথার অবাধ্য হলে ক্রস ফায়ারে দেয়ার ব্যবস্থা করবেন, এটা হতে পারে না,হতে দেয়া যায় না। কোন এলাকার সংসদ সদস্য কয়দিন ছাত্র লীগ নেতা কর্মীদের নিয়ে আদর্শিক ক্লাসে বসেছেন।এক ঘন্টার জন্য্ব বসেননি।আপনার এলাকায় পর্দাপনে আগে ফোন দিয়ে বলে দেন কয়টা গাড়ী নিয়ে আপনাকে এগিয়ে আনতে হবে।দায়িত্ব দেন সম্বধনার খরছ কার কার থেকে নিয়ে আসতে,কয়টা কাজের টেন্ডার হচ্ছে,কত পার্সেন আপনার জন্য রাখতে হবে, কোন কাজটি আপনার ভাইকে দেয়া লাগবে,এই গুলী তাঁদের দিয়ে যখন করান তখন মনে থাকে না একদিন আপনাকেও সে চেড়ে যাবে?চেড়ে যাওয়ার উপক্রম হলেই সে সন্ত্রাসী হয়ে যায়,যখন আপনার পরমায়েশ শুনেছে তখন সে ত্যাগী নেতা ছিল? এই প্রসংগে দৈনীক সংবাদের আংশিক মতামত তুলে ধরা প্রয়োজন মনে করি।লিখাটা বর্তমান সময়ের জন্য প্রনিধান যোগ্য বলে আমী মনে করি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের আদর্শগত ভাবে আজ কতটা অধঃপতন ঘটেছে তা বোঝা যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের দলে দলে আওয়ামী লীগে যোগদান করতে দেখলে। এতে আবার নাকি ঐ আওয়ামী লীগ নেতারা আনন্দে আত্মহারা হন। এ কি আশ্চর্য অবক্ষয় ও মূঢ়তা! জামায়াত-কর্মী কখনো আওয়ামী লীগার হবে? আলবদর তার খাসলত বদলাবে? বিএনপিকে জামায়াত যেভাবে গিলে ফেলেছে এই অনুপ্রবেশকারী জামায়াত-বিএনপি ঠিক তেমনিভাবেই আওয়ামী লীগের সর্বনাশ সাধন করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সাধারণ সম্পাদক এমন ক্ষেত্রে দয়া করে কঠিন হউন। বসন্তের কোকিলগুলোকে চিহ্নিত করুন। আগডালে-মগডালে বসে থাকা সুযোগসন্ধানী ও হাইব্রিড বা নব্য আওয়ামী লীগারদের খপ্পর থেকে দলকে মুক্ত করতে সোহরাওয়ার্দী-বঙ্গবন্ধুর মতো দৃঢ়তার সঙ্গে সাংগঠনিক কার্যক্রম গ্রহণ করুন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে কারা বিগত কয়েক দশক যাবৎ মৃত্যুঝুঁকিকে মাথায় নিয়ে মাঠে মাঠে কাজ করেছেন তা কি সরকারের অজানা? আমরা বুঝতে পারি না যে, সেসব লোককে কেন কাজে লাগানো হয় না! যারা রাতারাতি ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগার বনে গেছে কিংবা স্বজনপ্রীতির বদৌলতে দলের কাছ থেকে নানাবিধ সুবিধা আদায় করে নিয়েছে বা নিচ্ছে তাদের দিক থেকে অতি অবশ্যই মুখ ফিরিয়ে নিতে হবে। ভুললে চলবে না যে, কোন ব্যক্তি দলকে কিছুদূর এগিয়ে নিতে পারেন বটে, কিন্তু দলের স্থায়ী আসনের জন্য চাই আদর্শবাদিতা ও ত্যাগ। এর কোনই বিকল্প নেই। এর সঙ্গে থাকতে হবে দলের ইতিহাসের সত্যনিষ্ঠ পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ১৯ বার হামলা হয়েছে। আরও হামলার জন্য অশুভ মহল সদা তৎপর। জঙ্গিদের নতুন নতুন তৎপরতার খবর প্রতিদিনই পাওয়া যায়। আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বলতে গেলে ভয়ংকর সব জঙ্গিই স্থায়ী জামিন লাভ করছে ও করেছে। জঙ্গিদের পাকড়াও করতে র্যাব প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। আবার কোন আগ-পিছ না ভেবে সেই র্যাবের বিরুদ্ধেই সরকারি দলের প্রভাবশালী কেউ কেউ বাক্যবান নিক্ষেপ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে জামায়াত-বিএনপির হাতকে শক্তিশালী করছেন। এমতাবস্থায়, কে জানে কবে আওয়ামী নেতাদের হুঁশ হবে। একদিকে পরিক্ষিত নেতাকর্মি নিধন করবেন, আর একদিকে বি,এন,পি,জামায়াতের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের দলে ভিড়াবেন এ কেমন কথা।সেই সন্ত্রাসীর এত ক্ষমতা আপনি কখন দেখেছিলেন।যখন আওয়ামী লীগের কথা নিয়ে জনগনের কাছে যেতে চেয়েছিলেন,তখন এই ক্ষমতাধর সন্ত্রাসী কি বাধা দিয়ে প্রমান করেছিল,আপনার দলের অন্য আর দশজনের চাইতে তাঁর শক্তি বেশি? জনাব এম,পি মহোদয় ঐ সন্ত্রাসীর মোকাবেলা করেই ২০০৮সালে বিপুল ভোটে জিতিয়ে এনেছিল রোগা ছাত্রলীগ ভাইটিই।কি ভাবে ভুলে গেলেন আপনি?? কি কাজ করেছেন,জনগনের উপর আস্থা রাখা যাচ্ছেনা,জামায়াত বি,এন,পির সন্ত্রাসীরা লাগবে আপনাকে জিততে হলে? আমি আবারও বিশেষভাবে অনূরুধ করতে চাই, স্ব স্ব এলাকার এম,পি, জেলা নেতা, থানা নেতাদের আপনারা নতুন প্রজর্ম্মের ছাত্রলীগ যুব লীগ নেতাদের নিয়ে বসেন,তাঁদেরকে আদর্শগত শিক্ষায় শিক্ষিত করুন,আজ আপনার কাজে আসবে, আগামীতে সে নীজের কাজে এই জ্ঞান লাগাতে পারবে।দয়া করে তাঁদের পথভ্রষ্ট করবেন না, তাঁদের মা বাবার অনেক আশা তাঁদের উপর। "জয়বাংলা জয়বাংলা" "জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা ""

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন