একুশ বছর খালেদা নিজামী যে গনতন্ত্রের ভাষায় কথা বলেছে সেই ভাষায় তাঁদের সাথে কথা বলতে হবে,নাহয় তাঁরা বুঝেনা। ===================================================== তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, আগুনসন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের পাল্টা আঘাত হানার কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না। বরং আগুনসন্ত্রাসের নেত্রী খালেদা জিয়াকে দম ফেলার সুযোগ না দিয়ে তাঁকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত ও আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে হবে। এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত ও ধ্বংস করাই এখন একমাত্র কাজ। পশিমাদের থেকে শেখা ভোটের গনতন্ত্রের সুত্র মত একমাত্র হাসানুল হক ইনুই বক্তৃতা বিবৃতি দিতে পারেন।অবশ্য মাঈনুদ্দিন খাঁন বাদল ও কম যান না।আমাদের মন্ত্রী এম,পি রা শুধু মিঁউ মিঁউ করে।২১ বছর তাঁরা কোন ভাষায় কথা বলেছে, তাও কি ভুলে বসে আছেন? বেশি দূর যাওয়ার প্রয়োজন নাই,শুধু মাত্র ২০০১--২০০৬ পয্যন্ত সময়ের আজকের দিনের যেকোন তিনটি খবরের কাগজ নিয়ে বসেন,বুঝতে পারবেন তাঁদের গন্তন্ত্রের ভাষা কি মধুর ছিল। আমাদের নেতাদের মধ্যেও অনেকে আকারে ইঙ্গিতে বলার চেষ্টা করেন,আইন শৃংখলার অবনতির কারনে নাকি বিচার বহিভূত হত্যা সঠিক সিন্ধান্ত!!আইন শৃংখলার অবনতি কোথায় দেখেন তাঁরা? তাঁর জন্য আমি বলবো পত্রিকার পাতা নিয়ে বসেন।গত সাত বছরে যা ঘটেছে তা তাঁদের সময়ের একবছরে দ্বিগুন এর চাইতে বেশী হবে।শুধু ২০০১ ইং সালে যা ঘটেছে, গত সাত বছরে তার সিকি ভাগ ও ঘটেনি।দালাল পেইড সুশীলেরা যা বলবে তাই বিশ্বাস করে র্যাব লেলিয়ে দিতে হবে ছাত্র লীগ যুব লীগের নেতা কর্মিদের উপর?? আপনাদের জ্ঞাতার্থে ২০০১ সালের সংখ্যা লুঘু নির্য্যাতনের শ্বেত পত্রের হিসেব তুলে দিলাম।শাহরীয়ার কবীরের সম্পয়াদনায় এই শ্বেত পত্রের একক বই অন লাইন অপ-লাইনে পাওয়া যাচ্ছে।সন্দেহ হলে প্রকাশকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে পারবেন। [সকল খন্ড একত্রিত করে এই বইটি অনলাইনে সর্বপ্রথম আমরা আপলোড করি] ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ধর্মীয় ও এথনিক সম্প্রদায়ের উপর শুরু হয় নজিরবিহীন নির্যাতন। এই নির্যাতন তৎকালীন ক্ষমতায় থাকা বিএনপি-জামাত জোট সরকারের ছত্রছায়ায় চলে ১৫০০ দিন অতিক্রান্ত হবার পরেও। ১৫০০ দিনের ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনা পর্যালোচনা করলে এর প্রধান কারণ ক্ষমতাসীন চারদলীয় জোটের রাজনৈতিক লক্ষ্যের ভেতরেই পাওয়া যায়। সেটি হল বাংলাদেশকে তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের মতো একটি মনোলিথিক মুসলিম রাষ্ট্রে পরিণত করা। প্রথম খন্ডে ১৬ টি ভিন্ন ভিন্ন দৈনিকের ২৭৮৬ টি আলাদা রিপোর্টের পর্যালোচনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয় খন্ডে রয়েছে ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংখ্যালঘু নির্যাতন সম্পর্কিত নির্বাচিত উপসম্পাদকীয় ও কলাম, ৪০৯২ টি সংবাদ শিরোনাম, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সরজমিন প্রতিবেদন ও পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট এবং সংখ্যালঘু নির্যাতনের নির্বাচিত আলোকচিত্র সংকলন। এই শ্বেতপত্রে সংখ্যালঘু বলতে ধর্মীয় ও এথনিক সম্প্রদায়কে বুঝানো হয়েছে। বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হচ্ছে প্রধানত হিন্দু, খৃষ্টান ও বৌদ্ধ এবং এথনিক সম্প্রদায় হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সমতলে বসবাসকারী চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো, রাখাইন, সাঁওতাল প্রভৃতি ৪০টি ক্ষুদ্র-জাতিসত্তার অধিবাসী। এই ১৫০০ দিনে অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথে সাথে আহমাদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের উপরেও চলে নজিরবিহীন নির্যাতন। আপাতদৃষ্টিতে আহমাদিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনও একই ধরনের নির্যাতন মনে হতে পারে তবে এই ধরনের নির্যাতনসমূহকে ইসলামী মৌলবাদ অর্থাৎ কট্টরপন্থী ওয়াহাবি ইসলামের সঙ্গে উদারনৈতিক ইসলামের দ্বন্দ্ব-প্রসূত নির্যাতন বিবেচনায় এই শ্বেতপত্রের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। "[{মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ অনুসন্ধান করুন মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভের সদস্য হোন}]" এই উদাহরনের অর্থ এই নয়্যে আমি অপরাধ বা অপ্রাধীর পক্ষে।তা কখনও নয়।সন্ত্রাসী সে যত বড়ই হোক,আইনের চোখে সে কিছুই না।তাঁকে আইনে সৌপার্দ করে দেন।সে বাকি জীবন জেলেই কাটিয়ে দিক।তাঁকে গুলী করে মেরে পেলতে হবে কেন?সে কি মায়ের পেট থেকে আসতেই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ হয়ে জম্ম নিয়েছেন?সমাজ, রাষ্ট্র,রাজনীতি,অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাই তাঁকে সন্ত্রাসি বানিয়েছে।সেই গুলীর প্রতি দৃষ্টি না দিয়ে শিকার কেন মারা হবে?শীকারীর কেন কোন সাজা হয় না? যেই যাই বলুক বর্তমানে বাংলাদেশের আইন শৃংখলা গত জীবনের যে কোন সময়ের চাইতে ভাল আছে।ক্ষমতাধর লূটেরাদের,ছাত্র লীগ,যুব লীগ এদের দমন করুন,তবে তা হতে হবে রাজ নৈতিক ভাবে।তারা সরকারী দলের রাজনীতি করে বিধায় লুটপাট, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি করার সাহস পায়।তাঁদের রাজনীতি দিয়ে ব্যস্ত রাখার বহু কৌশল আছে।তাঁদের কে দর্শনগত শিক্ষা দিয়ে সৎ পথে আনা সম্ভব।যে ছাত্রটি রাজনৈতিক জ্ঞান সম্পন্ন সে কখনই চাঁদা বাজি করতে পারেনা।তাঁদেরকে ব্যাবহার করে টেন্ডার বাজি, জমি দখল করবেন,আপনার কথার অবাধ্য হলে ক্রস ফায়ারে দেয়ার ব্যবস্থা করবেন, এটা হতে পারে না,হতে দেয়া যায় না। কোন এলাকার সংসদ সদস্য কয়দিন ছাত্র লীগ নেতা কর্মীদের নিয়ে আদর্শিক ক্লাসে বসেছেন।এক ঘন্টার জন্য্ব বসেননি।আপনার এলাকায় পর্দাপনে আগে ফোন দিয়ে বলে দেন কয়টা গাড়ী নিয়ে আপনাকে এগিয়ে আনতে হবে।দায়িত্ব দেন সম্বধনার খরছ কার কার থেকে নিয়ে আসতে,কয়টা কাজের টেন্ডার হচ্ছে,কত পার্সেন আপনার জন্য রাখতে হবে, কোন কাজটি আপনার ভাইকে দেয়া লাগবে,এই গুলী তাঁদের দিয়ে যখন করান তখন মনে থাকে না একদিন আপনাকেও সে চেড়ে যাবে?চেড়ে যাওয়ার উপক্রম হলেই সে সন্ত্রাসী হয়ে যায়,যখন আপনার পরমায়েশ শুনেছে তখন সে ত্যাগী নেতা ছিল? এই প্রসংগে দৈনীক সংবাদের আংশিক মতামত তুলে ধরা প্রয়োজন মনে করি।লিখাটা বর্তমান সময়ের জন্য প্রনিধান যোগ্য বলে আমী মনে করি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের আদর্শগত ভাবে আজ কতটা অধঃপতন ঘটেছে তা বোঝা যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের দলে দলে আওয়ামী লীগে যোগদান করতে দেখলে। এতে আবার নাকি ঐ আওয়ামী লীগ নেতারা আনন্দে আত্মহারা হন। এ কি আশ্চর্য অবক্ষয় ও মূঢ়তা! জামায়াত-কর্মী কখনো আওয়ামী লীগার হবে? আলবদর তার খাসলত বদলাবে? বিএনপিকে জামায়াত যেভাবে গিলে ফেলেছে এই অনুপ্রবেশকারী জামায়াত-বিএনপি ঠিক তেমনিভাবেই আওয়ামী লীগের সর্বনাশ সাধন করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সাধারণ সম্পাদক এমন ক্ষেত্রে দয়া করে কঠিন হউন। বসন্তের কোকিলগুলোকে চিহ্নিত করুন। আগডালে-মগডালে বসে থাকা সুযোগসন্ধানী ও হাইব্রিড বা নব্য আওয়ামী লীগারদের খপ্পর থেকে দলকে মুক্ত করতে সোহরাওয়ার্দী-বঙ্গবন্ধুর মতো দৃঢ়তার সঙ্গে সাংগঠনিক কার্যক্রম গ্রহণ করুন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে কারা বিগত কয়েক দশক যাবৎ মৃত্যুঝুঁকিকে মাথায় নিয়ে মাঠে মাঠে কাজ করেছেন তা কি সরকারের অজানা? আমরা বুঝতে পারি না যে, সেসব লোককে কেন কাজে লাগানো হয় না! যারা রাতারাতি ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগার বনে গেছে কিংবা স্বজনপ্রীতির বদৌলতে দলের কাছ থেকে নানাবিধ সুবিধা আদায় করে নিয়েছে বা নিচ্ছে তাদের দিক থেকে অতি অবশ্যই মুখ ফিরিয়ে নিতে হবে। ভুললে চলবে না যে, কোন ব্যক্তি দলকে কিছুদূর এগিয়ে নিতে পারেন বটে, কিন্তু দলের স্থায়ী আসনের জন্য চাই আদর্শবাদিতা ও ত্যাগ। এর কোনই বিকল্প নেই। এর সঙ্গে থাকতে হবে দলের ইতিহাসের সত্যনিষ্ঠ পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ১৯ বার হামলা হয়েছে। আরও হামলার জন্য অশুভ মহল সদা তৎপর। জঙ্গিদের নতুন নতুন তৎপরতার খবর প্রতিদিনই পাওয়া যায়। আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বলতে গেলে ভয়ংকর সব জঙ্গিই স্থায়ী জামিন লাভ করছে ও করেছে। জঙ্গিদের পাকড়াও করতে র্যাব প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। আবার কোন আগ-পিছ না ভেবে সেই র্যাবের বিরুদ্ধেই সরকারি দলের প্রভাবশালী কেউ কেউ বাক্যবান নিক্ষেপ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে জামায়াত-বিএনপির হাতকে শক্তিশালী করছেন। এমতাবস্থায়, কে জানে কবে আওয়ামী নেতাদের হুঁশ হবে। একদিকে পরিক্ষিত নেতাকর্মি নিধন করবেন, আর একদিকে বি,এন,পি,জামায়াতের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের দলে ভিড়াবেন এ কেমন কথা।সেই সন্ত্রাসীর এত ক্ষমতা আপনি কখন দেখেছিলেন।যখন আওয়ামী লীগের কথা নিয়ে জনগনের কাছে যেতে চেয়েছিলেন,তখন এই ক্ষমতাধর সন্ত্রাসী কি বাধা দিয়ে প্রমান করেছিল,আপনার দলের অন্য আর দশজনের চাইতে তাঁর শক্তি বেশি? জনাব এম,পি মহোদয় ঐ সন্ত্রাসীর মোকাবেলা করেই ২০০৮সালে বিপুল ভোটে জিতিয়ে এনেছিল রোগা ছাত্রলীগ ভাইটিই।কি ভাবে ভুলে গেলেন আপনি?? কি কাজ করেছেন,জনগনের উপর আস্থা রাখা যাচ্ছেনা,জামায়াত বি,এন,পির সন্ত্রাসীরা লাগবে আপনাকে জিততে হলে? আমি আবারও বিশেষভাবে অনূরুধ করতে চাই, স্ব স্ব এলাকার এম,পি, জেলা নেতা, থানা নেতাদের আপনারা নতুন প্রজর্ম্মের ছাত্রলীগ যুব লীগ নেতাদের নিয়ে বসেন,তাঁদেরকে আদর্শগত শিক্ষায় শিক্ষিত করুন,আজ আপনার কাজে আসবে, আগামীতে সে নীজের কাজে এই জ্ঞান লাগাতে পারবে।দয়া করে তাঁদের পথভ্রষ্ট করবেন না, তাঁদের মা বাবার অনেক আশা তাঁদের উপর। "জয়বাংলা জয়বাংলা" "জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা ""

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা