যারা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ ======== বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় উত্তাল আবহাওয়া বিশ্বের অনেক মানুষকে শুধু প্রভাবিত করেনি, দারুণভাবে তাদের মনকে আন্দোলিত করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের শরণার্থী, মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ মানুষের দুর্দশা, পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনীর অমানবিক, নিষ্ঠুর আচরণ বিশ্বের সংবাদপত্রে ও টেলিভিশনে যেভাবে স্থান করে নিয়েছিল, সাম্প্রতিক কোনো ঘটনা এমন প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়নি। বাংলাদেশের শরণার্থীদের দুর্দশা দেখার পর ইউরোপের সাধারণ এক তরুণের তাদের সাহায্যার্থে বিমান ছিনতাইয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের ঘটনাও অসাধারণ তাৎপর্যের অধিকারী। আমেরিকায় বাংলাদেশের বন্ধুরা আমেরিকার নীতির বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদের জন্য এমআইটির খ্যাতিমান ও প্রভাবশালী ভাষাবিজ্ঞানের অধ্যাপক নোয়াম চমস্কিকে দিয়ে অনশনের দিক চিন্তা করলেও শেষ পর্যন্ত তার বিপদের কথা স্মরণ করে আর সামনে অগ্রসর হননি। বিবেকসম্পন্ন সাধারণ মানুষ, বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় ছাড়াও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে সঙ্গীতশিল্পীরাও অগ্রসর হয়েছিলেন। তাদের অবদানও কম উল্লেখযোগ্য নয়। এ ক্ষেত্রে তিনজন বিখ্যাত শিল্পীর নামোল্লেখ করা যায়। এরা হলেন আমেরিকার সবচেয়ে খ্যাতিমান নারী ফোকশিল্পী জোন বায়াজ, ইংল্যান্ডের বিটলসদের অন্যতম জর্জ হ্যারিসন ও প্রথিতযশা সরোদবাদক ওস্তাদ আলী আকবর খান। এ তিনজনই প্রত্যক্ষভাবে গান ও কনসার্টের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সাহায্যের জন্য অগ্রসর হয়েছিলেন এবং অ্যালবাম বের করেছিলেন। জোন বায়াজ ছিলেন আমেরিকান প্রতিবাদী শিল্পী। মানবতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে তিনি ছিলেন প্রথম সারির সঙ্গীতশিল্পী। আমেরিকায় বব ডিলানও তার গানে সমাজের অন্যায়ের দিকটি প্রকাশে ছিলেন অত্যন্ত সাহসী ফোকশিল্পী। একসময় জোন বায়াজ ঘোষণা দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করেননি যে, তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধ সমর্থন করেন না এবং তিনি কোনো আয়কর দেবেন না ভিয়েতনাম যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য। জোন বায়াজ ছিলেন আকর্ষণীয় মুখাবয়বের অধিকারী, মাথার কালো চুল তার মুখের দীপ্তি আরো বাড়িয়ে দিত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগেই প্রকাশিত হয়েছিল তার অটোবায়োগ্রাফি। তার গায়কী ভঙ্গির অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য ছিল, যা অন্য কোনো আমেরিকান শিল্পীর মধ্যে দেখা যায়নি। তিনি গান গাওয়ার সময় উচ্চনাদে এমনভাবে পৌঁছাতেন যা গানের শব্দের ব্যঞ্জনা অনেকাংশ বাড়িয়ে দিত। তার যেসব অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছিল তার মধ্যে প্রথম দিকের 'জোন' শিরোনামে অ্যালবামটি শ্রোতানন্দিত হয়। এ অ্যালবামে 'বি নট টু হার্ড, লাইফ ইজ শর্ট' এবং পরবর্তীকালে 'ফেয়ারওয়েল অ্যাঞ্জেলিনা'-এ গান দুটি একসময় অনেকের মুখে মুখে শোনা যেত। পরে তিনি বব ডিলানের গানে দুটো অ্যালবাম একসঙ্গে বের করেন। এরপরই প্রকাশিত হয় সম্ভবত তার শেষ অ্যালবাম, যেখানে বাংলাদেশের গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়। তার সব অ্যালবামই প্রকাশ করত ভ্যানগার্ড রেকর্ড কোম্পানি। পরে ভ্যানগার্ড তাকে ফোকসং ও রক-এর মিশ্রণ দিতে বললে তিনি তাদের প্রস্তাবে অসম্মত হয়ে সেখান থেকে রেকর্ড প্রকাশ বন্ধ করে দেন। জোন বায়াজের বাংলাদেশ সম্পর্কিত গানের নেপথ্য একটা ইতিহাস আছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রতিবাদী শিল্পী দারুণভাবে আলোড়িত হন। প্রথম পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশের শরণার্থীদের অর্থ সাহায্যের জন্য ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যানফোর্ড ও বার্কলে ক্যাম্পাসে গান গাইতে শুরু করেন। এরপর নিজেই বাংলাদেশের ওপর গান রচনা করে প্রথমে ৪৫ আরপিএম রেকর্ড প্রকাশ করেন। এ অ্যালবাম বাজারজাত হওয়ার পর আমেরিকা ও কানাডার বিভিন্ন রেডিও স্টেশন দিনে অসংখ্যবার বাজাতে থাকে। গানটি প্রচারের পর সাধারণ শ্রোতার ওপর একটা প্রভাব বিস্তার করে। পরে জোন বায়াজের বড় অ্যালবাম বের হলে গানটি এখানে অন্তর্ভুক্ত হয়। এই নতুন অ্যালবামের বৈশিষ্ট্য হলো মানবতাবাদী আমেরিকান শিশু চিকিৎসক ডা. স্পোকের মিছিলের ছবি। অ্যালবামটির নাম ছিল 'কাম ফ্রম দি শ্যাডোজ'। জোন বায়াজের গানে তৎকালীন ইকবাল হলে (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ঘুমন্ত ছাত্রদের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্যদের গুলিবর্ষণ, বাঙালি শরণার্থীদের দুর্দশা ও অন্যান্য ঘটনা উপস্থাপন করা হয়। ১৯৭১ সালে স্বরচিত গানের কথায় তিনি নিজেই সুরারোপ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় প্রথম লিখিত ও প্রচারিত জোন বায়াজের এ গানের মূল্য অপরিসীম, যা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বাণী পেঁৗছিয়ে দিয়েছিল_ একটি দেশের মুক্তির জন্য মানুষের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম। জোন বায়াজের পর বাংলাদেশ কনসার্টের জন্য যার নাম ঐতিহাসিকভাবে যুক্ত তিনি সাবেক বিটলস দলের জর্জ হ্যারিসন। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন অন্য এক বিটলস সদস্য রিঙ্গো স্টার। বিটলস দল অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, দলের প্রধান জন লেলন তখন মৃত আর অন্যজনের সঙ্গে হ্যারিসনের কোনো সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু এ কনসার্টে জর্জ হ্যারিসন প্রধান হলেও এর নেপথ্যে ছিলেন খ্যাতিমান সেতারবাদক রবিশঙ্কর। বাংলাদেশের শরণার্থী, মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রাম ও জনসাধারণের দুর্দশা তাকে বিশেষভাবে স্পর্শ করেছিল বাঙালি ও তার ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর সঙ্গে সংশ্রবের কারণে। প-িত রবিশঙ্কর ইংল্যান্ডে প্রথম পরিচিত হন বিখ্যাত ভায়োলিন বাদক য়েহুদি মেনুহিনের সঙ্গে। পরে তিনিই তাকে বিটলসদের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় একা রবিশঙ্করের পক্ষে কনসার্ট করা সম্ভব নয় বলে তিনি জর্জ হ্যারিসন ও রিঙ্গো স্টারের সহযোগিতা কামনা করেন। হ্যারিসনরা তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে কনসার্টের ব্যাপারে সম্মতি প্রকাশ করেন। কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয় আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে ১৯৭১ সালের ১ আগস্টে। কনসার্টের নাম দেয়া হয় 'দি কনসার্ট ফর বাংলাদেশ'। এ কনসার্টে অংশগ্রহণ করেন রবিশঙ্কর, আলী আকবর খান, আল্লারাখা খান, কমলা চক্রবর্তী, জর্জ হ্যারিসন, রিঙ্গো স্টার, বিলি প্রেস্টন, লিওন রাসেল ও বব ডিলান। এখানে উল্লেখ্য যে, আমেরিকার খ্যাতিমান ফোকসঙ্গীত শিল্পী ও গীতিকার কবি বব ডিলান কোনো সময় অন্যের কনসার্টে অংশগ্রহণ করতেন না, শুধু বাংলাদেশের কনসার্টেই অংশগ্রহণ করেছিলেন। কনসার্টের পর প্রকাশিত সুভেনিরে বাংলাদেশ সম্পর্কে সংক্ষেপে মন্তব্য করেন ড. আলেকজান্ডার লিপসকি ও সুজেনা মার্টিন এবং রবিশঙ্কর। রবিশঙ্কর মূল অনুষ্ঠানে সেতার ও সরোদ বাদ্যযন্ত্র বাজানোর আগেও সংক্ষেপে কনসার্ট অনুষ্ঠানের মূল কারণ ব্যাখ্যা করেছিলেন। এখানে উল্লেখ্য যে, রবিশঙ্কর ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর মেয়েকে বিয়ে করেন। বাংলাদেশ কনসার্টে রবিশঙ্কর সেতার, আলী আকবর খান সরোদ, আল্লারাখা তবলা ও কমলা চক্রবর্তী তাম্বুরা বাজান। জর্জ হ্যারিসন তার বিখ্যাত গান ওয়া-ওয়া, মাই সুইট লর্ড, হিয়ার কামস দি সান, সামথিং ও নতুন গান বাংলাদেশ পরিবেশন করেন। বব ডিলানও তার বহুল পরিচিত হিট গান মিস্টার তাম্বুরিন ম্যান, বেস্নাইং ইন দ্য উইন্ড, জাস্ট লাইক এ ওম্যান ও অন্যান্য গান গেয়ে শোনান। এ কনসার্টের বৈশিষ্ট্য হলো এখানে স্টেরিও সিস্টেমে একদিকের স্পিকারে রবিশঙ্করের সেতার ও অন্য স্পিকারে আলী আকবর খানের সরোদ এবং একসঙ্গে দুটো স্পিকারে তবলা ও সরোদ শোনানোর ব্যবস্থা করা হয়। কনসার্ট রেকর্ডিং করার সময় ব্যবহৃত হয় ৪৪টি মাইক্রোফোন। কনসার্ট অনুষ্ঠান পরবর্তী পর্যায়ে চলচ্চিত্রের আকারে বিভিন্ন সিনেমা হলে প্রদর্শিত হয়। বাংলাদেশ কনসার্টের তিনটি অ্যালবাম বিশেষ মোড়কে ক্রেতাদের কোনো কমিশন না দিয়েই মূল্য ধার্য করা হয় ১০ ডলার। চলচ্চিত্র ও তিনটি অ্যালবাম ছাড়াও স্বতন্ত্রভাবে কনসার্টের টেপ বাজারজাত করা হয়। কনসার্ট থেকে প্রাপ্য ডলার বাংলাদেশের রিফিউজি সন্তানদের কল্যাণে ব্যয় করার জন্য ভারতে পাঠানো হয়। ডলারের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪১৮ ও ৫০ সেন্ট। এ কনসার্টে কোনো শিল্পী দক্ষিণা গ্রহণ করেননি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালি হিসেবে ওস্তাদ আলী আকবর খানও নিশ্চুপ থাকতে পারেননি। তিনি বাংলাদেশ কনসার্টে অংশগ্রহণ ছাড়াও এককভাবে সরোদের একটি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামের নাম দিয়েছিলেন 'বাংলাদেশ'। তিনি বাংলাদেশ ধুনের সঙ্গে পুরনো আরো কটি ধুন নিয়ে এ অ্যালবাম বের করেছিলেন। তবে যন্ত্রসঙ্গীতের অ্যালবাম বলে এটা তেমন প্রচার সৌভাগ্য লাভ করেনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের পাশাপাশি শিল্পীরাও যে বিরাট অবদান রাখেন তার মূল্য ছিল অসীম। এ কারণে এ দেশের মানুষের কাছে জর্জ হ্যারিসন, রবিশঙ্কর, আলী আকবর খান ও জোন বায়াজ স্মৃতির মণিকোঠায় চিরদিন ভাস্বর হয়ে থাকবেন।( সংগৃহিত)

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা