পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
ছবি

বাঙ্গালী জাতি আত্মমার্য্যদা নিয়ে বেঁচে থাকতে চায়:: __________________________________________ জুলহাজের খুনিদের খুঁজে বের করতে প্রধানমন্ত্রীকে আমেরিকান পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরির ফোন;বাংলাদেশী দম্পতি খুনীদের খুঁজে বের করতে পাল্টা অনুরুধ জাতির জনকের কন্যার।সাব্বাস বাপের বেটি, এইতো চায় বাংলাদেশের মানুষ।ভাত খাবেনা, উপোষ করবে প্রয়োজনে --কারো খবরদারি সহ্য করবেনা। সম্প্রতি রাজধানীর কলাবাগানে হত্যাকাণ্ডের শিকার জুলহাজ মান্নানের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে কৌশল বিনিময়কালে জন কেরি এই অনুরোধ জানান। গত রাত ৯টা ৪ মিনিট থেকে ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ১৬ মিনিট যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। কেরী বলেন, ‘জুলহাজ ছিলেন আমাদের সহকর্মী।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌজন্যতাবশত: দুর্ভাগ্যজনক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁকে ফোন করে উদ্বেগ প্রকাশ করার জন্য জন কেরিকে ধন্যবাদ জানান।কেরির অনুরুধ শেষে বাংলাদেশের গর্বিত প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা পালটা ১৯৭৫সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনকের পরিবারের ১৮ জনকে নির্মমভাবে হত্যার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন-আমার পরিবারের দুজন হত্যাকারী এখনো আপনার দেশে আশ্রয় রয়েছে। তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে জন কেরির প্রতি অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী জন কেরীকে স্বরন করিয়ে দিতে ভুলেননি -আপনার দেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাউন্টার টেররিজম বিষয়ে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্কের চুক্তি রয়েছে। এই সহযোগিতার আওতায় ইতিপূর্বে আপনার দেশ থেকে "এফবিআই"বাংলাদেশে এসেছিল। কাউন্টার টেররিজম বিষয়ক সহযোগিতার ক্ষেত্র আশা করি উভয় দেশ অব্যাহত রাখবে। কোনো তথ্য পেলে তা পরস্পরকে শেয়ার করা হবে চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে। মনে হচ্ছে, চুক্তির কায্যকারিতায় শিথিলতা বিরাজমান। উল্লেখ্য এফবি আই বিনা নোটিশে হঠাৎ করে বাংলাদেশে আসায় জাতির জনকের কন্যা কিছুটা বিব্রতই হয়েছিলেন। সুযোগে সেই বিষয়টি মনে করিয়ে দিতেও ভুলেননি। উত্তরে জনকেরি কথা দিতে বাধ্য হন যে,'কাউন্টার টেররিজম সংক্রান্ত সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালকে বাংলাদেশে পাঠাবে তাঁর সরকার। অত্যান্ত সাহষের সঙ্গে জাতির জনকের কন্যা পালটা উদ্ভেগ প্রকাশ করে বলেন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে একই পরিবারের আটজনকে হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার নিন্দা জানাচ্ছে।উল্লেখিত ঘটনার মুল হত্যাকারিদের অবিলম্ভে আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরুধ জানান বাংলাদেশের গর্বিত প্রধান মন্ত্রী। সাথে যোগ করতে ভুলে যাননি ক্যালিফোর্নিয়ায় বাংলাদেশি দম্পতি হত্যার ব্যাপারটিও।জাতির জনকের কন্যা হত্যাকারীদের দ্রুত খুঁজে বের করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য জন কেরির প্রতি অনুরোধ জানান। আমার কেন জানি মনে হয়, যুক্তরাষ্ট্র ভুলে গেছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনকের জৈষ্ঠ কন্যা বঙ্গরত্ম শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের পরিক্ষিত বন্ধু ভারতকেও সমুদ্র সীমানার ব্যাপারে যিনি ছাড় দেননি।দ্বিপক্ষিয় আলোচনার ভারত সরকারের একাধিক অনুরুধ প্রত্যাখ্যান করে --আন্তজাতিক আদালতের শরনাপন্ন হতে কুণ্ঠাবোধ করেননি।আন্তজাতিক শালীসি রায়ের মাধ্যমে যিনি প্রায় বাংলাদেশের বর্তমান আয়তনের সমপরিমান সমুদ্র বিজয় চিনিয়ে নিয়ে এসেছেন। তাছাড়াও ইতিপুর্বে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশের মানবতা বিরুধী যুদ্ধাপরাধীদের সাজা মওকুপের একাধিক টেলিফোন অনুরুধ এবং একাধিকবার দুত মারফৎ পাঠানো বিশেষ অনুরুধও প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। ড. ইউনুসকে স্ব-পদে বহাল করার একান্ত অনুরুধকেও বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে প্রত্যাখ্যান করেছিল জাতির জনকের কন্যা। নিলর্জ্জ দেশ- একটা সাধারন সুদখোর বাংলাদেশী নাগরিকের চাকুরী পুর্ণবহালের জন্যও অনুরুধ করে টেলিফোন করে, বিশেষ দুত পাঠায়। বারংবার প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরেও আবার নতুন ইস্যুতে অনুরুধ করতে তাঁদের বিবেকে বাঁধেনা। তাঁদের দেশের অযাচিত মৃত্যুর বিচারের কথা চিন্তা না করে বাংলাদেশের হত্যাকান্ডের উদ্ভেগ জানাতে টেলিফোন করে। হত্যা, গুপ্তহত্যা, পুলিশি নির্য্যতনে হত্যার আন্তজাতিক সুচকে বাংলাদেশ তাঁদের থেকে কয়েকধাপ অগ্রগামী হওয়া সত্বেও মোড়লীপনা করার দৃষ্টতা প্রদর্শন করে। তাঁরা মনে করে বিগত স্বৈরশাষক সমূহের ন্যায় মেরুদন্ডহীন সরকার বাংলাদেশে এখনও বিদ্যমান আছে। সাহায্যের জন্য তাঁদের নিকট হাত পাতার যুগ বাংলাদেশের এখনও রয়ে গেছে।সুতারাং যা আদেশ করবে তাই শিরুধায্য । নিলর্জ দেশ,নিলর্জ্জ জাতি ভুলে গেছে, '৭৪ এর দুর্ভিক্ষে বঙ্গোবসাগরের গভীর সমুদ্রসীমায় জাতি সংঘের খাদ্য সাহায্য ওপি ১/২এর আওতায় প্রেরিত খাদ্য জাহাজ জিম্মি করে বঙ্গবন্ধুকে মাথানত করাতে পারেনি, তাঁর কন্যা স্বাবলম্ভি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মাথানত করাবার বারবার বিফল চেষ্টায়ও বোধদয় হয়না। বাংলাদেশের কেবিনেট মন্ত্রীরা পয্যন্ত ওবামার প্রেরীত বিশেষ দূতকে দুইআনী মন্ত্রী বলে উপহাস করে বাংলাদেশ ত্যাগে বাধ্য করেছিল। তাঁদের পোষ্য এ দেশীয় দোষর দালালেরা বেজায় নাখোশ হয়েছিল।সেই দিন তাঁদের বলতে শুনা গিয়েছিল- বাংলাদেশকে নাকি বিশ্ব সংস্থা থেকে বের করে দিবে!! অথছ বাংলাদেশ বর্তমানে অধিকাংশ বিশ্ব সংস্থার নেতৃত্বে আসীন স্বদর্পে, মাথা উঁচু করে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে জাতি সংঘের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার "ধরিত্রীর মানষ কন্যা" উপাধিতে ভুষিত করতে দ্বিধা করেনি জাতি সংঘ। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সাহায্যকারী দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে- বিশ্বদরবারে মাথা উঁচুকরে দাঁড়িয়ে আছে বাঙ্গালীর বাংলাদেশ, বেমালুম নিলর্জ্জ আমেরিকান জাতির স্বরনে আসেনা। জাতির জনকের কন্যা কারো তাঁবেদারী করে দেশ পরিচালনা করার মানষিকতা রাখেনা। সুতারাং যাই করার জন্য বলবে, বিনা বাক্যব্যায়ে তাই করবে। দেশরত্মের ধমনীতে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে,কোন ভীন দেশীর রক্ত প্রবাহিত হচ্ছেনা। চোখ রাঙিয়ে, ভয় দেখিয়ে, ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবে না। শেখ হাসিনার বর্তমান জীবন বোনাসের জীবন। টুঙ্গি পাঁড়ার শেখ হাসিনা ২১শে আগষ্ট মারা গেছে। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু

ছবি

রাত পোহালে যে খবর বাংলাদেশকে আলোড়িত করবে-- ___________________________ চারটি বিশেষ খবর রাত পোহালে টক অব দ্যা কান্ট্রি হতে যাচ্ছে আগামী কাল।আলোচনা-সমালোছনা থাকবে মাসাধিক।প্রথম খবর হচ্ছে, আল্লামা সফি সাহেবের হেফাজতে ইসলাম -বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে যোগ দেয়ার সকল আলোচনা প্রায় সমাপ্তির পয্যায়।যে কোন শুভদিনে জাতির জনকের কন্যা এককপি ঝকঝকে চাপা আল-কোরানের কপি সফি সাহেবের নিকট থেকে উপহার পেতে পারেন। দেরীতে হলেও একমাত্র আস্তিকদের ধারক বাহকদের বোধদয় হয়েছে- একমাত্র জাতির জনকের স্বল্পসময়ের সরকারই ইসলামের খেদমতে -ধর্মের মৌলিক কাজ গুলি সম্পন্ন করে গেছেন।অখন্ড পাকিস্তানের ২৩ বছর, স্বাধীন বাংলাদেশের ২১ বছরের যোগফলেও ইসলামের নামধারী সরকার সমুহ তার সিকিভাগ কাজও করেনি। বিগত ৮বছরে জাতির জনকের কন্যা বঙ্গরত্ম শেখ হাসিনা দেশের প্রায় সব কয়টি বেসরকারি মাদ্রাসাকে এমপিও ভুক্ত করে বাদবাকি কাজ শেষ করার পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন।বঙ্গবন্ধু নাস্তিকদের দেশ থেকে বিতাড়ন করে মদ,জুয়া,পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ করেছিলেন। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার সরকার ধর্ম এবং নবী করিম (স:)এর অবমাননাকারিদের জেলে দিয়ে পর্ণো ছবি,মদ, জুয়া,পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধের পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করতে যাচ্ছেন। দ্বিতীয় খবর হচ্ছে, আজ জনাব এরশাদ সাহেব রৌশন এরশাদকে কো-চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষনা করেছেন।রংপুরের এক সভায় তিনি আজ এই ঘোষনা দেন।জাতির জনকের কন্যা সংসদের বিরুধী দলীয় নেত্রী রৌশন এরশাদের সংজ্ঞে একান্তে সংসদ লবিতে কথা বলার পরক্ষনেই এরশাদ এই ঘোষনাটি দিলেন। তৃতীয় গুরুত্বপুর্ণ খবরটি হচ্ছে, বঙ্গভবনে ঘন ঘন যাতায়াতের সুবাদে ধরাকে সরাজ্ঞান চিন্তাচেতনায় কাউকে পাত্তা না দেয়ার হোতা- বিশাল ক্ষমতাধর গাজীপুরের এসপি সাহেবকে শেষ পয্যন্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। চতুর্থ এবং হৃদয়ের মণিকোঠার একান্ত খবর, এযাবত কালের জাতির জনকের কন্যার হাজারো চমকের সেরা চমক, আওয়ামী ঘরানার চিন্তাচেতনার উদ্ধে প্রজম্মের অহংকার জনাব সজিব ওয়াজেদ জয় কে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রাথমিক প্রশিক্ষনের জন্য প্রধান মন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রীত্ব গ্রহন করার প্রস্তাব দিয়েছেন। সজিব ওয়াজেদ জয় রাজী হলে অল্প কিছু দিনের মধ্যে তাঁর-বাংলাদেশ সরকারে আনুষ্ঠানিক অভিষেক হতে পারে। গভীর রাতে স্বপ্নে দেখলাম, নাকি বাস্তবতা মহান আল্লাহই ভাল জানেন।স্বপ্ন বাস্তব হোক এই কামনায়-- জয়বাংলা বলে কদম বাড়ো জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু

ছবি

সাবধান সাংবাদিক ভাইয়েরা--জনতার হৃদয়ে হাত দিবেন না--- বাংলাদেশের চিরায়ত একটি অভ্যেস বা বদনাম স্বজনপ্রীতি।পরিচিত শব্দ,বক্তব্যের প্রারম্ভিক শব্দ। জনতাকে ক্ষেপানোর মোক্ষম শব্দ। যে যেখানে যে অবস্থায় থাকুকনা কেন স্বজনপ্রীতি করবেই। বিশ্বের কোন দদেশে খুববেশি দদৃষ্টিগোচর ননা হহলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ব্যপারটি বিধির বিধান মনে করে মেনে নিয়েছে আমজনতা। জৈষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে দ্বিতীয়বার রিমান্ডে নেয়ার পর আমাদের দেশের বেশিরভাগ সাংবাদিক নাখোস হয়েছেন।ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাঁরা যা বলতে চান,তাঁর সার কথা হচ্ছে তাঁকে হয়রানীর উদ্দেশ্যে সরকার গ্রেপ্তার করেছে।রিমান্ডের প্রয়োজন ছিলনা, উনি বৃদ্ধ মানুষ,সম্মানী ব্যাক্তি ইত্যাদি ইত্যাদি।বেশ ভাল বচন-- সাংবাদিক সাহেবেরা, রিমান্ড কি আমার মত আওয়ামদের জন্য প্রযোজ্য শুধু?কাগজ কলম আপনাদের হাতে তাই যা মন চায় তাই প্রকাশ করবেন।আপনার কাগজ, আপনার সংবাদ পড়ি এবং শুনি আমি এবং আমার মত লাখো আমজনতা,তা কি আপনার মনে আছে?রিমান্ডের বিরুদ্ধে লিখেন আপত্তি নাই,সিষ্টেমের বিরুদ্ধে লেখেন কোন আপত্তি নেই-শুধু আপনাদের বেলায় উচিৎ নয়। এমন লিখলে এটা কি একপেশে নীজের স্বার্থের পক্ষে হয়ে গেলনা? কত লক্ষ সাংবাদিক আছেন সারা বাংলাদেশে? আমরা কত কোটি আম জনতা? আপনাদের মতামত কে পড়ার জন্য লিখছেন?লেখার স্বাধীনতা আছে বলে ষোলকোটি আমজনতার কথা ভুলে যাবেন? ভাইজানেরা,জাতির জনকের কন্যাকে রক্ষা করার জন্য আমার মত হাজার হাজার আমজনতা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে।আপনাদের লোড করা ছবিতে কোটি আমজনতা দেখেছে,গুলী বৃষ্টিকে তোয়াক্কা না করে মানব বেষ্টনী দিয়ে কি ভাবে রক্ষা করেছে।গুলি কি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বর্ষন করলে সামনে থাকা ব্যক্তিকে ছেদ করা ছাড়া নেত্রীর গায়ে লাগবে?যারা মানব ঢাল তৈরী করে জাতির জনকের কন্যাকে রক্ষা করেছে তাঁরা কি জানেনা,গুলি তাঁকেও ছিদ্র করে দিতে পারে? মানব ঢাল তৈয়ার করে চট্রগ্রামে কত জন নেতাকর্মী এবং আমজনতা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিল? নীজের জীবন বিসর্জন দিয়ে যে দলের কর্মীরা জাতির জনকের কন্যাকে বা দলের নেত্রীকে রক্ষা করতে পারে-সে দলের ভবিষ্যতকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা যারা করবে তাঁদের কে আইনের স্বাভাবিক ধারায় গ্রেপ্তার করা যাবেনা,কিভাবে চিন্তা করেন? পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে গেলে যাদের গাত্রদাহ হয়, তাঁরা জাতির জনককে ফিরিয়ে দিন।১৫ই আগষ্টে নির্মম হত্যার শিকার তাঁর পরিবারের সদস্যদের ফিরিয়ে দিন।২১শে আগষ্টের নির্মম হত্যার স্বীকার আইভি রহমান সহ ২৯জন নেতা কর্মীকে ফিরিয়ে দিন।অজস্র নেতাকর্মী পঙ্গু হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে তাঁদের স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিন।সারা বাংলাদেশ এর মানুষ একজোটে বলবে সরকার কোন হত্যা বা হত্যা পরিকল্পনার বিচার করতে পারবেনা। সজিব কি মরে প্রমান করতে হবে -তাঁকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে?বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন কর্মীও বেঁচে থাকতে জাতির জনকের পরিবারের কোন সদস্যের গায়ে সামান্য আঁছড় সহ্য করবেনা। আপনি বাংলাদেশের যত বড় সম্মানী ব্যাক্তিই হন না কেন, ক্ষমা করা হবেনা।আপনার এই সম্মান ঐ পরিবারের বাঙ্গালী হয়ে জম্ম নেয়ার কারনেই অর্জিত হয়েছে।আপনি মানেন বা না মানেন, কোটি আমজনতা মানে। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা বঙ্গরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

জয় হত্যা পরিকল্পনা বিএনপির বর্তমান অবস্থান--গনতন্ত্র,আইনের শাষনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মির্জা ফখরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে দাবী করে বলেছেন, সজিব ওয়াজেদের একাউন্টে ৩০০মিলিয়ন ডলার অবৈধ লেনদেন হয়েছে।সফিক রেহমান জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য দিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। এদিকে পুলিশ বলছেন সফিক রেহমান এইধরনের কোন তথ্য জিজ্ঞাসাবাদে দেননি।পুলিশ নিশ্চিত করেই বলছেন মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সাথে শফিক রেহমানের দেওয়া তথ্যের কোনো মিল নেই। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ চক্রান্তে’ এফবি আই কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার মামলার বিচারে জয়ের একাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য উঠে এসেছে।ওই বিচারের সূত্র ধরে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হলেও ওই লেনদেন নিয়ে কেন কথা হচ্ছে না? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির মহাসচিব।“যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে পেশকৃত মার্কিন সরকারের ডকুমেন্টে ‘ইনডিভিজুয়াল ওয়ান’ অর্থাৎ সজীব ওয়াজেদ জয় ও ৩০০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়টি নিয়ে সরকার টু শব্দ করছেন না কেন?ফখরুল সাহেবের জিজ্ঞাসা সরকারের প্রতি। ঢাকার অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম রোববার সাংবাদিকদের বলেন, “শফিক রেহমান জিজ্ঞাসাবাদে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বহু তথ্যই দিচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে ফখরুলের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে তার কোন মিল নেই। "আমরা জানি না ফখরুল সাহেব যে বক্তব্য দিয়েছেন-তার সঙ্গে শফিক রেহমানের আগে পরে কখনও তিনি নিজে কথা বলেছিলেন কিনা।" বিষয়টি যে, বর্তমান সফিক রেহমানের গ্রেপ্তার এবং জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসা বিভিন্ন তথ্যকে অসার প্রমান, বিতর্ক উত্থাপনের মাধ্যমে ধুম্রজাল সৃষ্ট্রি, এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপকৌশল- এতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের পরিষ্কার কথা হচ্ছে,সত্য হোক মিথ্যা হোক বিষয়টি অতিব গুরুত্বপুর্ণ। মির্জা ফখরুল যে বিষোয়টির অবতারনা করেছেন, বিষয়টি কোন সুত্র থেকে তিনি অবহিত হলেন, তাঁর পক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র প্রদানের জন্য পুলিশ কতৃক তাঁকে নির্দেশ প্রদান করা যেতে পারে।সফিক রেহমান যে গুরুত্বপুর্ণ তথ্য দিয়েছেন তিনিই বা জানেন কি ভাবে সজিবের একাউন্টে ৩০০ কোটি ডলার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে?বিষয়টি যেহেতু ফখরুল সাহেব উত্থাপন করেছেন তাঁকেই প্রমান করতে হবে সত্যাসত্য। জনমনের সন্দেহকে প্রশমিত করার জন্যই সরকার- ফখরুলকে আইনের আওতায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। নতুবা বাস্তবতায় সিনিয়র নেতাদের একাধিক বৈঠকে জয় হত্যার সিদ্ধান্তের যে কথাটি সফিক রেহমান জিজ্ঞাসা বাদে বলেছেন," ইহা কি তাঁরই অংশ হিসেবে ধরে নিতে বাধ্য হবে জনগন"?যদি অংশই হয়ে থাকে তবে মির্জা ফখরুলকে পুলিশ জিজ্ঞাসা বাদের জন্য এখনও তাঁদের হেফাজতে নিচ্ছেনা কেন?“তদন্ত সংস্থার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসী জানতে পেরেছে সফিক রেহমানকে আইনের মধ্যে থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেখানে তার ওপর কোন চাপ প্রয়োগ বা নিপীড়ন করা হয়নি।সফিক রেহমানের সহধর্মিনীর ভাষ্য থেকেও তেমনটি উঠে এসেছে। উনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে যে তথ্যগুলো দিয়েছেন সেই তথ্যর ভেতরে তিনি সব কিছুই উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের এবং অন্যান্য এফবি আইয়ের তদন্তের কিছু ডকুমেন্টস এবং মার্কিন সরকার কতৃক প্রেরীত বাংলাদেশ সরকারকে দেয়া ডকুমেন্টসের মধ্যে পরিষ্কার উল্লেখ আছে, সাজাপ্রাপ্ত ব্যাক্তিগন কি কারনে মার্কিন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হলেন, উনারা এখনও মার্কিনীদের জেলেই আছেন।যথাযথ প্রমানাদি সাপেক্ষে সফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ,সফিক রেহমান সাহেব ও কোন প্রকার চাপ প্রয়োগ ছাড়াই আদোপান্ত সকল ষড়যন্ত্রের বিষয় সমুহ অকপটে স্বীকার করে যাচ্ছে।এমন সব বিষয়ের অবতারনা সফিক রেহমান করে যাচ্ছেন," যে সমস্ত বিষয় সমুহ পুলিশের আদৌ জিজ্ঞাসার মধ্যেই নেই।"তাঁরপরেও নাজুক বিষয়টি নিয়ে কোন পক্ষ পানি ঘোলা করার চেষ্টা জাতির জন্য দু:খ্যজনক হবে বলে আমি মনে করি।বিএনপির উচ্চপয্যায়ের নেতৃবৃন্দের বোধদয় হওয়ার প্রয়োজন আছে যে, "জাতির জনকের দৌহিত্র একক কোন ব্যাক্তি নন, নতুন প্রজম্মের উন্নত,সমৃদ্ধ, তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মানের আশা আখাংকার প্রতিভু। আগামীর বাংলাদেশের স্বপ্ন সাধনার প্রতিভু হিসেবে নীজেকে উপস্থাপন করতে পেরেছেন তিনি ইতিমধ্যে।" তাঁর বিরুদ্ধে হাওয়াই কোন অভিযোগ উত্থাপন করার অর্থই হচ্ছে নতুন প্রজম্মের আশা-আখাংখাকে বিভ্রান্ত করার চক্রান্ত যা জনগনের আস্থা ও বিশ্বাসের মুলে কুঠারাঘাত করার শামিল।বাংলাদেশে অতীতের ন্যায় হাওয়াই অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত করার দিন-মনে হয় শেষ হয়ে গেছে। নতুন প্রজম্মের হাতে হাতে এন্ড্রয়েড ফোন তুলে দিয়েছেন জয়, ইচ্ছে করলেই গুগুল চার্জ দিয়ে তৎক্ষনাত উত্থাপিত-যে কোন বিষয় সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান পেতে পারেন, যে কোন উৎসুক্য ব্যাক্তি।তাছাড়াও স্মরন রাখা প্রয়োজন জাতির জনকের পরিবার বাংলাদেশ,বাঙ্গালী জাতির জন্য বুকের রক্ত ঢেলে প্রমান করেছেন, তাঁদের পরিবারের চেয়ে অতীত বর্তমান, ভবিষ্যতেও কোন বাঙ্গালী পরিবার বা নেতা নেত্রী এত ত্যাগ স্বীকার করেনাই, করছে না,করবেও না। জাতির জনকের পরিবার বাঙলাদেশে রাজনীতি না করলেও বৃটেনের রাজপরিবারের ন্যায় সর্বচ্ছো রাষ্ট্রীয় সম্মানের অধিকারী হয়ে স্বচ্ছন্দে পারিবারিক জীবন অতিবাহিত করতে পারবে- বাংলাদেশ যতদিন পৃথিবীর মানচিত্রে "বাংলাদেশ" হিসেবে স্বীকৃত থাকবে। এই সত্যটুকু সবার মাঝে বিদ্যমান থাকা উচিৎ।নচেৎ বাঙ্গালী সর্বযুগের সেরা বেঈমান জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত হতে থাকবে।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগনের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে উঠে আসা রাজনৈতিক দল। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই দলের ষড়যন্ত্র করে বা সেনা বাহিনীকে উস্কানী দিয়ে ক্ষমতা দখল করার কোন ইতিহাস নেই। অন্য রাজনৈতিক দলের নেতা বা নেত্রীকে হত্যা করে রাজনীতির ভবিষ্যত নিষ্কটক করার উদাহরন- এই দলের মধ্যে কখনও ছিলনা, এখনওনেই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিয়মাতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে অখন্ড পাকিস্তানের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সর্বশেষ "মঈন ফখরুলের সেনা সমর্থিত" সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান পয্যন্ত-কোথাও ষড়যন্ত্রের কোন ইঙ্গিত ছিল,তেমন ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায়না।বরঞ্চ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে জাতির জনকের কন্যা ১১ মাস জেলে কাটিয়ে প্রমান করেছেন জনগনের ইচ্ছাই শেষ কথা, জনগনের ইচ্ছার বাহিরে আওয়ামী লীগ এবং তাঁর নেত্রী কোন ষড়যন্ত্রের জালে নীজেকে সম্পৃত্ত করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার চিন্তা আদৌ করেন নাই।দলটি ২০০১ ইং সালে খমতা ত্যাগের পর যে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিল-সেই নির্যাতনের বদলাও ২০০৮ ইং সালে বিপুল জনসমর্থনে খমতায় এসে নেয়ার চেষ্টা করেনি, নেয়নি।এক বিরল উদাহরনের সৃষ্ট্রি করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।বিএনপি নেত্রী তাঁর বিগত সম্মেলনে প্রকাশ্য বলেছেন ক্ষমতায় থাকলে "বেহেস্তের স্বাধ নেয়া আর ক্ষমতার বাহিরে গেলে নরকের আগুনে জ্বলা"। বাংলাদেশের রাজনীতির সংস্কৃতিতে রুপান্তরীত হয়েছিল,"যার কারনে তিনি নিজেই ২০০৬ইং সালে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার আপ্রান চেষ্টা করে "মঈন ফকরুলের" ক্ষমতা দখলের পথ সৃষ্ট্রি করেছিলেন।এতটুকু বোধদয়ের পরেও দলটি অতীতের হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ইতিহাসের সহিত সামঞ্জস্য রেখে বর্তমানেও একই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছে। মার্কিন আদালতে প্রমানীত হত্যা চক্রান্ত, বর্তমান বিএনপি দলের অবস্থান --চলমান গনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতাকে ক্ষতিগ্রস্থ্য করবে।চলমান ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত -নি:সন্দেহে দলটির পতনকেই ত্বরান্বিত করবে। হত্যার রাজনীতিতে সম্পৃত্ত হওয়া বিএনপির মত বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের, বাংলাদেশের ভবিষ্যত রাজনীতির জন্য নিশ্চিত একটি অশনিসংকেত।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশের আদালতে প্রমানীত সত্যকে বিভিন্ন বিতর্ক উত্থাপনের মাধ্যমে পাস কাটানো চেষ্টা আদৌ সংগত হতে পারেনা।বিএনপির উচিৎ ছিল সরকারকে সহযোগিতা করা- -যাতে এই হীন চক্রান্তে জড়িত ব্যাক্তিদের চিহ্নিত করা যায়। ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা যায়।ইহা আগামীর বাংলাদেশের গনতন্ত্র, সুশাষন, উন্নয়ন, অগ্রগতির ধারাকে নিরবচ্ছিন্ন করার স্বার্থেই প্রয়োজন ছিল। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা বঙ্গরত্ম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি

তারেকের রাজনৈতিক ইমেজ সংকট--জয় হত্যার পরিকল্পনা--- _____________________________ জয়হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে সরকার তড়িগড়ি করতে চায়না।অসিহিঞ্চুতার ফলে সামান্য ভুলে ভাল মানুষ ফেঁসে যেতে পারেন, এতে বড় রকমের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে, এই চিন্তা থেকেই শেখ হাসিনা ধৈয্যের সংঙ্গে ঘটনাটির আদোপান্ত বিচার বিশ্লেষন পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের পক্ষে- আপাত:দৃষ্টে মনে হচ্ছে।২০১১ইং সালের সংগঠিত ঘটনার ২০১৬ ইং সালে ব্যবস্থা গ্রহনের আর কোন কারন নেই আমি মনে করি। সরকারের ভিতরে ভিতরে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন মুলত: ঘটনাটি কেন,কিভাবে, কারা জড়িত এবং তাঁদের উদ্দেশ্যই বা কি ছিল আদোপান্ত জানতে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ ব্যাপারে কাগজপত্র এসেছে। সেই সব নথি পর্যালোচনা করেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাছাড়া ২০১১ সালের ওই ষড়যন্ত্রের ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থাকে পৃথকভাবে তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়। সেই তদন্তেও বিএনপির পাঁচ নেতার বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে গোয়েন্দারা এখনই তাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন একজন শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা। "ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদেরই আইনের আওতায় আনা হবে। জয়কে হত্যা করলে কারা লাভবান হতো সেদিকে খেয়াল রেখেই তদন্ত করা হচ্ছে।" সাংবাদিক ও টেলিভিশন উপস্থাপক শফিক রেহমানের ছেলে ও জাসাস নেতা রিজভী আহমেদ সিজারের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকের কথা স্বীকার করেছেন সফিক রেহমান এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো নানান তথ্য পাওয়া গেছে। সফিক রেহমান আরো বলেছেন,যুক্ত রাষ্ট্রে বৈঠক শেষে তিনি নিউইয়র্ক গমন করেন,সেখানে তারেকের সাথে দেখাও করেছেন তিনি।তারেকের সাথে কি কথা হয়েছে এই ব্যপারে শফিক রেহমান মুখ খুলতে চাইছেননা।সেই কারনেই তাঁকে আরও সাত দিনের রিমান্ডে আনার আবেদন করবেন বলে জানা গেছে ডিএমপি সুত্রে। অধিকতর যোগ্যতা সম্পন্ন আগামী দিনের রাজনীতিক বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রকে পাল্লা দিয়ে রাজনীতিতে টিকতে পারবে না ক্ষমতা লিস্পু অর্ধশিক্ষিত তারেক- ইতিমধ্যেই তা স্পষ্ট সর্বমহলে।তাঁর পিতা জাতির জনকের সকল সদস্য ও সেনাবাহিনীর মুক্তিযুদ্ধা অংশকে হত্যা করেও নীজে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাননি।সুতারাং নতুন জম্ম নেয়া বঙ্গবন্ধুর চৌকস, উচ্চশিক্ষিত, অধিকততর রাজনৈতিক জ্ঞান সমৃদ্ধ সজিবের রাজনীতিতে অভিষেকের অয়োজন- তারেকের মত অনেকের ভবিষ্যত শংকিত করে তোলে। শংকা থেকেই হত্যা পরিকল্পনা প্রসবিত হয় বলে অনেকের ধারনা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বৈরী পরিবেশে লড়াই সংগ্রাম করে পাকিস্তানী শাষক শোষকদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বাঙ্গালী জাতীকে স্বাধীনতার মন্ত্রে দিক্ষিত করেছেন।জাতিকে অসম এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হতে উৎসাহীত করেছেন।মাত্র নয়মাসে বীর বাঙ্গালী স্বাধীনতা চিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রমুগ্ধতার কারনে। মুক্তিযুদ্ধের নয়মাস পাকিস্তানের কারাকাগারে অন্তরীন থাকা অবস্থায় সরকারের অথবা বিদেশী কোন শক্তির সাথে আপোষ করেছেন বা আপোষের প্রস্তাব শুনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এ যাবৎ তেমন কোন প্রমানাদি দেশী বিদেশী কোন মহল উত্থাপন করতে পারেনি।অথছ তৎসময়ে তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশে কি হচ্ছে আদৌ তিনি জানতেন না। তাঁর মা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ২১ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন।কোন অশুভ চক্রান্ত রাজনীতি থেকে বিরত রাখতে পারেনি। একাধিবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেও-রাজনীতি এবং বাংলাদেশের জনগনকে ছেড়ে বিদেশে আরাম আয়েশের জীবন বেছে নেননি.।জনগনের প্রতি ভালবাসার প্রতিদান হেতু বিপুল জনসমর্থনে সরকার গঠন করে বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়ন অগ্রগতির শীর্ষধারায়।দেশী বিদেশী জরিপ সংস্থা সমুহের অকল্পনীয় জরীপ ফলাফলে,আকাশচুম্ভি ধ্যানধারনা, দৈনন্দিন যে হারে জনসমক্ষে প্রকাশ পাচ্ছে- শেখ হাসিনার মৃত্যু ছাড়া-ক্ষমতা পাওয়া দু:সাধ্য ও অকল্পনীয় পয্যায় পৌঁছে গেছে।এমনতর মহুর্তে তাঁর মনোবলে চিড় ধরাতে এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ রাজনীতির মঞ্চে না থাকার খায়েসে-প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র পুত্র জয়কে হত্যা ব্যতিরেকে আর কোন পথ খোলা নেই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে একমাত্র জাতির জনকের পরিবারই বাঙ্গালী জাতির ভাগ্যন্নয়নে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে।জাতির জনকের পরিবারের আপোষহীনতার কারনেই বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পেরেছে।জাতির জনকের জৈষ্ঠ কন্যার অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনেই একদা ভিখারি বাঙ্গালী জাতি মধ্যম আয়ের জাতিতে রুপান্তরীত হয়ে- ভিক্ষা দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। জাতির জনকের পরিবারই একমাত্র পরিবার, যে পরিবার বাঙ্গালী জাতির স্বার্থ্য বিসর্জন দিয়ে দেশী বিদেশী কোন অশুভশক্তির কাছে মাথা নত করেনি। আপোষমীতার লক্ষন জাতির জনকের পরিবারের কোন সদস্যের মধ্যে কখনই দেখা যায়নি।সেই বংশের উজ্জ্বল প্রদিপকে নিভিয়ে না দিয়ে -বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবস্থান করা- কোন অবস্থায় সম্ভব হবে না।বাংলাদেশের প্রতিটি বাঙ্গালীর আত্মার আত্মীয় হয়ে হৃদয়ে গেঁথে আছে একটি নাম, "জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।" জয়বাঙলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা

ছবি

বিএনপি দলের ভিতরে বাইরে গড়ে উঠা লুটেরা শ্রেনীর স্বার্থরক্ষায় পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত 'জয়হত্যা'। _______________________________________ বাংলাদেশের রাজনৈতিকদল তথাকথিত শুশীলসমাজ, বুদ্ধিজীবি, রাজনীতিবীদ, অল্প কয়েকটি সামাজিক সংগঠন দিকবিদিক জ্ঞানশুন্য মনে হচ্ছে। কোন বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসলে জয়হত্যার পরিকল্পনার ব্যাপারটি জনগনের দৃষ্টির আড়ালে নেয়া যায় বুঝতেই পারছেন না। গতকাল রাতে শীর্ষ নেতাদের সংঙ্গে খালেদা জিয়া দীর্ঘ বৈঠকের পরেও সুনির্দিষ্ট বক্তব্য বা যুৎসই বক্তব্য স্থীর করতে পারেন নাই।ফলে স্থায়ী কমিটির নেতারা একেক জন একেক রকমের বক্তব্য নিয়ে মিডিয়ার সামনে হাজির হচ্ছেন।তরুন তুর্কিরা অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে বাঁচার জন্য চারিদিকে জায়গার খোঁজ খবরে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আমেরিকার আদালতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দন্ড হওয়া এবং নৈতিকভাবে দুর্বল জনাব রেহমান শফিকের সরল স্বীকারোক্তি মুলত: আওয়ামী বিরুধীদের বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে।সফিক রেহমান সম্মানীত ব্যাক্তি, বাম বলয়ের সাংবাদিকতার সাথে জড়িত থাকায়,অনেকটা স্পষ্টবাদিতার কারনে--স্বল্প সময়ে নাম কিনতে পেরেছিলেন- ইহাও সত্য। কিন্তু রাজনৈতিক ও চারিত্রিক পদস্থলনের কারনে তাঁর প্রকাশিত পত্রিকা আগের মত পাঠক টানতে পারেনা- ইহাও সত্য।তিনি ডিবি কতৃক কোন প্রকার নির্য্যাতন ছাড়াই সংগঠিত ঘটনার অকপটে সবিস্তারে বর্ণনা দিয়েছেন-- ইহা তাঁর সহধর্মীনির বক্তব্য থেকে স্পষ্ট অনুমান করা যায়। তাঁর সহধর্মীনি তালেয়া রেহমান বলেন, ‘শফিকের সঙ্গে আমার কিছু কথা হয়েছে। ওকে জিজ্ঞেস করলাম কেমন আছ? বলল, পুলিশ তাঁর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছে, সেদিক দিয়ে চিন্তা নেই। তবে তাঁর চিন্তা হচ্ছে তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না, জেলেই দেবে। শফিক বলছে যে, সে কোনো দিন কারও কাছে কোনো কিছু চায়নি। কেবল দিয়েছে। দিয়েছে ভালোবাসা। তার বদলে কোনো পদ বা কোনো কিছু পায়নি। আশাও করেনি।’ এতেই বুঝা যায় সফিক রেহমান কোনপ্রকার শারিরীক নিয্যাতন ব্যাতিরেকে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।এই সত্যটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরেও বিএনপির মহাসচিব অভিযোগের সুরে বলতে চাইছেন-"বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি ও তনু হত্যার ঘটনা নিয়ে যে বিক্ষোভ, তা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার কথা সাংবাদিক শফিক রেহমান স্বীকার করেছেন মর্মে যে খবর বেরিয়েছি এটা 'অস্বাভাবিক।' আজ সকালে শেরে বাংলা নগর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে এ কথা বলেন তিনি।' মুলত: সফিক রেহমানের জন্য বিএনপি এবং বিএনপি মনোভাবাপন্ন শুশিল সমাজ,বুদ্ধিজীবি, দলটির তরুন তুর্কি,জনাব হাইকমান্ড তারেক,খালেদা জিয়া সহ সংশ্লিষ্ট সবাই যারপরনাই হতাশ হওয়ার মুলে কয়েকটি কারন যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত। তাঁদের বুদ্ধিজীবির তালিকা অত্যান্ত সীমিত আগে থেকেই। সিনিয়র তিনজন বুদ্ধিজীবি দেশ-বিদেশে সর্বমহলে আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন। একজন গত কিছুদিন আগে দলের সকল স্তর থেকে পদত্যাগ করেছেন।বাকি ছিলেন এমাজ উদ্দিন আহম্মেদ, এবং সফিক রেহমান। শমশের মোবিন চৌধুরী এবং শফিক রেহমান বিদেশী দুতাবাস সমুহে সরকার বিরুধী তৎপরতা চালানোর জন্য বেগম খালেদা জিয়া কতৃক অনুমতি প্রাপ্ত ব্যাক্তি ছিলেন। একজনের প্রস্তানের পর গুরু দায়িত্বটি একক ভাবে শফিক রেহমানের উপরই বর্তায়। তাছাড়াও বিএনপির তরুন তুর্কি, তাঁদের হাইকমান্ড তারেক ও খালেদা জিয়ার বিশ্বস্ত ব্যাক্তি হিসেবে পর্দার আড়ালে দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে যথেষ্ট আলোড়ন সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন তিনি। বিএনপির অনেক নেতা মনে করেন শফিক রেহমান খালেদা জিয়ার অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। যাদের পরামর্শ বা মতামতকে খালেদা জিয়া সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করেন তাদের মধ্যে শফিক রেহমান অন্যতম। শফিক রেহমান নিজেও সে কথা জানালেন। গত মার্চ মাসের শুরুতে বিবিসি বাংলার সাথে এক সাক্ষাৎকারে রেহমান বলেছিলেন, 'আমি কৃতজ্ঞ যে, 'খালেদা জিয়া আমার উপদেশ মাঝে-মধ্যে নিয়েছেন এবং সে মোতাবেক অনেক কাজও করেছেন। বিএনপির নীতি নির্ধারণে শফিক রেহমানের মতামতকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হত, তাঁর বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট। নিয্যাতন ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে সবিস্তারে স্বীকারোক্তি পয্যবেক্ষন করেই দলটি হতাশ। শফিক রেহমানের দেয়া তথ্য মাহমুদুর রহমানের সামানা সামনি যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অনেকটা শক্ত প্রকৃতির মাহমুদুর রহমান- এতদিন যাহা অস্বীকার করে এসেছেন তাও স্বীকার করতে বাধ্য হবেন। ' সমুহ বিপদজনক তথ্য প্রকাশের আগাম বার্তায় শংকিত বিএনপি জ্ঞানশুন্য হয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে কিভাবে জনগনের দৃষ্টির আড়ালে নেয়া যায়- তাঁর চিন্তায় বেসামাল হয়ে বিভিন্নভাবে, পেছনে পড়া ইস্যুকে জনসমক্ষে আনতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এফবিআই এর তদন্তে অনেক বিষয় এখন স্পষ্ট হয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা দেখা দেয়ায়- তাকে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনীতি হুমকির মুখে ফেলতে চেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।' তাছাড়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর 'আইসিটি উপদেষ্টা' হিসেবে- আইসিটি খাতে ব্যাপক 'উন্নতি ও অগ্রগতি' দেশে বিদেশে প্রশংসার জোয়ারে তারেকের ইমেজ ভেসে যাওয়াও আর একটি কারন। খালেদা জিয়া খমতায় থাকাকালিন ২০০১--০৬ ইং সালে তারেক-কোকোর কর্মকান্ড দেশের মানুষ ভাল চোখে নেয়নি। তারেকের শিক্ষাগত যোগ্যতা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট, নীতি নৈতিকতা নিয়েও জনগনের মনে যথেষ্ট সংশয় আছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দেশপ্রেম, উন্নয়ন অগ্রগতির পরিকল্পিত চিন্তাধারা, দেশেবিদেশে গ্রহনযোগ্যতা, রাষ্ট্র পরিচালনার পারঙ্গমতা, সিদ্ধান্ত নেয়ায় স্বচ্ছতা, কাজের প্রতি একাগ্রতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি ইঞ্চি পরিমান ছাড় না দিয়ে প্রতিবেশিদের নিকট থেকে দেশের স্বার্থ উদ্ধার, ভীক্ষুক জাতিকে মধ্য আয়ের জাতিতে রুপান্তর, বৃহৎ রাষ্ট্র সমুহকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সাহস ইত্যাদি কারনে খালেদা জিয়া যোজন যোজন মাইল ব্যাকফুটে চলে গেছে সত্য বিএনপি দলকেও অস্তিত্ব সংকটে ফেলে দিয়েছে। এমতবস্থায়, তারেককে রাজনীতিতে আগাম পুর্নবাসন যে আশা-ভরসায় করেছিল খালেদা- তার সেই আশায় গুড়েবালি।জয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে রাজনীতি করার এমন কোন গুন তারেকের মধ্যে অবশিষ্ট নেই। আওয়ামী বিদ্বেশী মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে বেশিদুর যাওয়া যাবেনা, 'যে সমস্ত অভিযোগ এত দিন গোয়েবলসীয় কায়দায় চর্বিত চর্বন করা হত-সেই সমস্ত অভিযোগ ইতিমধ্যে শেখ হাসিনার বিচক্ষনতায় জনমন থেকে দূর করতে সক্ষম হয়েছে আওয়ামী লীগ।' উপসংহারে বলা যায়, জাতির জনকের পরিবারের স্ব-মহিমায় উত্থান -জিয়া পরিবারের সঙ্গত পতনে দিশেহারা বেনিফিসিয়ারী মহল পরিকল্পিত, সুচিন্তিত, সুদুরপ্রসারী চিন্তাভাবনা থেকেই 'জয়হত্যা' পরিকল্পনা করে। ভবিষ্যতের বাংলাদেশে সদর্বে টিকে থাকার মানষে এবং তাঁদের ভবিষ্যত প্রজর্মের অবস্থান নিশ্চিত করার প্রয়াসে হীন হত্যা প্রচেষ্টা গ্রহন করেছে। জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা বঙ্গরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি

পরিকল্পনায় বিএনপির তরুন নেতারা জড়িত--হালকা করতে ইলিয়াস,তনু কে সামনে নিয়ে আসতে চায়। ------+------------++----------------+-+------ আসুন বন্ধুরা গত দুই দিনে তিব্র আন্দোলন গড়ে বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে রেহমান শফিকের মুক্তি ও গনতন্ত্র পুনরদ্ধারকারীদের অবস্থান কার কোথায় গিয়ে থমকে আছে, একটু দেখে আসি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুইটা নাম অবশ্যই আমাদের সবার জানা আছে।মশিউর রহমান (যাদু) মিয়া।সাথে আরও একটা নাম যোগ হয়েছিল শাহ আজিজুর রহমান। দুই জনের প্রথম জন ছিলেন অখন্ড পাকিস্তানের পোঁড় খাওয়া বিপ্লবের কর্ণধার,অন্যজন ইসলাম মুখী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন, অর্থাৎ মুসলিম লীগ।মেজর জিয়া ক্ষমতার দৃশ্যপটে এলে প্রথম ব্যাক্তি বিপ্লবের তকমা ছেড়ে জিয়া মন্ত্রী সভার 'সিনিয়র মন্ত্রীর' শফথ নেয় খুনী অবৈধ সরকারে,দ্বিতীয়জন সাক্ষাৎ রাজাকারের পোষাক ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধা জিয়া সরকারের প্রধান মন্ত্রীর শফথ নেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেই ধারা বাহিকতার ব্যত্যায় ঘটেনি।গতকাল ১৮/৪০০১৬ ইং দুই অতি বিপ্লবী কমিনিষ্ট নাস্তিক যোগদান করেছেন ইসলামের ধারক বাহক- জামায়াতে ইসলামের সঙ্গীয় জোট বিএনপি এবং তাঁর নেত্রী খালেদার হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে। সেই অনুষ্ঠানেই খালেদা জিয়া প্রকাশ্য আহব্বান জানালেন 'ডান-বাম' ভুলে একই ছাতার নিছে আসার জন্য সবাইকে। আশা করা যায় তাঁর এই আহব্বানে তথাকথিত ইসলামের ধারক বাহকদের চোখে-সদ্য কমিউনিষ্ট বিপ্লবের মহানায়ক, নাস্তিকদের শীরোমনি, সমকামীদের প্রানপুরুষ জনাব ইমরান এইছ সরকার সাড়া দিবেন। নাস্তিক অপবাদ নিয়ে চলাফেরা করা মহা সংকট থেকে রক্ষা পেতে বিএনপি নেত্রীর আব্বানে সাড়া দিবেন-এমনটি আশা করে দেশবাসিও। ডানপন্থি-বামপন্থি ভুলে সবাইকে ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার’ আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সদ্য আটক মহামানব সম্পর্কে একটি শব্দও উচ্চারন করেননি। দেশের আলোড়িত ঘটনা, যে ঘটনার জন্য তার আগের দিন অর্থাৎ ১৭/০৪ তারিখে তিব্র আন্দোলন গড়ে তোলার শফথ নিয়েছিলেন। যোগদানের এতবড় মহতি অনুষ্ঠানে সেই কথাটি একবারের জন্যও বলেননি বেগম খালেদা জিয়া। বলা যায়বেমালুম ভুলেই গেছেন তিনি বলতে। বহুগুনে গুনাম্বীত- সর্বদা হাস্যোজ্জল রংবেরং এর চশমা পরিহিত , ৮২ বছর বয়সেও বাবরি চুলের বাহারি ফ্যাশন, রঙিন-ক্ষেত্র বিশেষ বহু রঙের হাফ সার্ট ব্যবহাররে অভ্যস্ত, বেলব্যাট/জোকার টাইপ প্যান্ট পরিধানে তরুন যুবক যুবতিদের উৎসাহ দাতা, অনুকরন যোগ্য মহামানব--যার চোখে মুখে সর্বদাই প্রস্ফুটিত লেডিকিলারের অবয়ব, মুক্তিযুদ্ধের পর নতুন বাংলাদেশের পর্ণো-পত্রিকা প্রকাশের পুরোধা---জনাব রেহমান শফিক সাহেবের মুক্তির আন্দোলনের কথাই বলছি।মাত্র ১২ ঘন্টা ব্যবধানে ভুলে গেলেন আগুনের নেত্রী খালেদা তাঁর প্রীয় মানুষটি পুলিশ রিমান্ডে ডিম থেরাপিতে কি অবর্ননীয় দু:খ্য কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। বিএনপির নিখোঁজ সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী সরকারের হাতেই আছেন বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।গতকাল সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের এত বছর পরেও তিনি সরকারের কাছে আছে দাবী করতে ভুলেননি, কিন্তু তাঁর দুই দিন আগে রেহমান শফিক আটক হয়েছেন তা বেমালুম ভুলে গেছেন।যদিও তীব্র আন্দোলন করে কারামুক্তি ঘটাবেন বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে তাঁর আগের দিনই কড়া বিবৃতি দিয়েছিলেন। বিএনপির এ নেতা অারও বলেন, 'ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পর সারাদেশে আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু সেসময় আমাকে গ্রেফতার করা হলে কিছুদিন পর আন্দোলন থেমে যায়। আমাকে গ্রেফতার করার কিছুদিন পর কেন আন্দোলন থেমে যায়? আরও কিছুদিন আন্দোলন অব্যাহত থাকলে আমরা ইলিয়াস আলীকে ফিরে পেতে পারতাম।' একই সুরে কথা বলেন বিএনপির আরেক নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও। লক্ষনীয় বিষয়টি হচ্ছে, সদ্য আটক রেহমান শফিকের মুক্তির কথা একবারও উচ্চারন না করে ইলিয়াস আলীকে আবার সামনে নিয়ে এলেন কেন? ইলিয়াস আলীর সহধর্মীনির অবয়বে এত সতেজতা কেন?ইলিয়াস আলী যদি ঘুমই হয়ে থাকেন কেন্দ্রীয় বিএনপিতে তাঁকে পুনরায় অন্তভুক্তি কেন?তবে কি তাঁকেও সরকার ভারতের কোন জঙ্গলে সহসাই ফেলে দিয়ে আসার কোন সম্ভাবনার ইঙ্গিত পেয়েছেন বিএনপির নেতারা।নাকি শফিক রেহমান সাহেবের কু-কীর্তি জনগনের দৃষ্টির আড়ালে নিতে ইলিয়াসকে সামনে আনা হল? এদিকে প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ চক্রান্তের মামলায় শফিক রেহমানকে শনিবার গ্রেপ্তারের সময় ঠাকুরগাঁওয়ে ছিলেন ফখরুল। সেখানেই তিনি নিন্দা জানিয়েছিলেন এবং কঠোর আন্দোলনের কর্মসুচি দিবেন ঢাকায় ফিরে বলেছিলেন। ঢাকায় ফিরে রোববার দলের নেতাদের নিয়ে ইস্কাটন গার্ডেন রোডে শফিক রেহমানের বাড়িতে যান বিএনপির মহাসচিব। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সবসময় যেটা চাইব, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ। জনাব শফিক রেহমান এদেশের একজন প্রতিথযশা, প্রবীণতম সাংবাদিক। তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন বড় মাপের সাংবাদিক। তিনি বিবিসিতে দীর্ঘকাল কাজ করেছেন। তিনি একজন লেখক, তার লেখা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।” জনাব ফখরুল ঠাঁকুর গাঁও থেকে আন্দোলনের হুমকি দিলেও ঢাকায় এসে ইনসাফ চাইলেন কেন? বড় সাংবাদিক, বড় রাজনীতিক হলে কি রাষ্ট্র ইনসাফ করতে হবে-সাধারন নাগরিক হলে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে? সর্বশেষ খবর হচ্ছে বিএনপির তরুন প্রজর্ম্মের ১২থেকে ১৬ জন নেতা জয় হত্যায় জড়িত হয়ে যাচ্ছে।বিএনপির অন্দর মহলে পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে।ভারতের বর্ডার নিয়ে খোঁজ খবর শুরু হয়েছে।সরকারের এই মহুর্তে বর্ডার সীল করা উচিৎ। তাঁরা পরিকল্পিত ভাবে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে যে, সাগর-রুনি এবং তনু হত্যার বিচারে সরকার অনিহা দেখাচ্ছে কিন্তু জয়কে পরিকপ্লনা করেছে হত্যার এতেই এত তোড়জোড়ের প্রয়োজন কি?আহম্মকের দল নিশ্চিত ষড়যন্ত্রের সাথে অন্য হত্যার তুলনা করে জয়ের হত্যা পরিকল্পনাকে খাটো করতে চায়।এই সামান্য রাজনৈতিক বিষয়টি বুঝতে তাঁদের সমস্যা হচ্ছে জয়ের মৃত্যুর সাথে আগামীর বাংলাদেশের স্বার্থ্য জড়িত।জাতির জনকের কন্যাকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে দুইবারের মানব ঢালে কমপক্ষে ৭০/৭৫ জন নেতাকর্মী বুকের তাজারক্ত ঢেলে দিয়েছিল।নীজের জীবন বিপন্ন করে জাতির জনকের কন্যার প্রান রক্ষা করার কারনে আজকে জাতি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ পাচ্ছে।দেশে বিদেশে মাথা উঁচু করে বলতে পারছে আমি বাংলাদেশের গর্বিত নাগরীক বাঙ্গালী। জাতির জনকের গর্বিত পুত্র সজিবের জীবন রক্ষা করে জাতি পাবে আত্ম নির্ভরশীল তথ্য ও প্রযুক্তি সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ। বাঙ্গালী নীজেদের স্বার্থের কারনেই জয়কে হত্যা পরিকল্পনায় জড়িত ব্যাক্তিদের ছাড় দিতে রাজী নয়।১৬কোটি মানুষের মধ্যে কাউকে হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে খুনীরা রক্তের নেশা নিবারন না করে জয়কে হত্যা করার পরিকল্পনা যে কারনেই করেছে--তাঁর বিপরীত কর্মের জন্য বাঙ্গালী জয়কে বাঁচিয়ে রাখতে চায়। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে চেষ্টা করে যাবে জাতির জনকের প্রতিটি সদস্যের জীবন রক্ষা করতে। জাতির জনকের পরিবার এই দেশকে ভালবেসে,বাঙ্গালী জাতিকে ভাল বেসে স্বপরিবারে আত্মাহুতি দিয়ে প্রমান রেখে গেছেন- তাঁদের চেয়ে বাঙ্গালী জাতিকে আর কোন নেতা ভালবাসতেন না। -আগামী যুগ-যুগান্তরেও এমন ভালবাসার নেতা জাতির ভাগ্যে উদয় হবেনা, এত ভালবাসা উজাড় করে দিয়ে ভালবাসবেন না। তাই বাঙ্গালী জাতি-জাতির জনকের পরিবারের সাথে কাউকে তুলনা করে বক্তব্য দেয়াকে কোন অবস্থায় মেনে নিতে রাজি নয়,মেনে নিবেনা। যারাই তুলনা করার চেষ্টা করবে তাঁদেরকেই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত করবে বাঙ্গালী জাতি। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা বঙ্গরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি

জয়ের ব্যাক্তিগত তথ্যের বিনিময় মুল্য ৩০ হাজার ডলার --প্রধান ব্যাক্তি রিজভীর ৪২ মাসের জেল । ভয়ংকর তথ্য ---!!!সরকার এতদিন জনগনকে অন্ধকারে রেখেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আই,সি,টি উপদেশটা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরন ও হত্যা প্রচেষ্টায় জড়িত সাংবাদিক রেহমাম সফিককে পুলিশ গ্রেপতার করেছে।এর আগে আরো একজন রাজনীতিবীদ ও একজন সাংবাদিক রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে জেলে আছেন।তাঁরা হলেন জনাব মান্না সাহেব ও আমার দেশ সম্পাদক জনাব মাহমদুর রহমান।-একই মামলায় যুক্তরাজ্য বিএনপির মামুন সাহেরের ছেলে রিজবী সাহেবের আদালতে শাস্তি হয়ে সেই দেশেই জেলে আটক আছেন। তথ্য পেতে দেরী হওয়ার কারনে বাংলাদেশের জড়িত ব্যাক্তিদের গ্রেপ্তারে বিলম্ভ ঘটেছে বলে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষনীয় ব্যাপার হচ্ছে গত কিছুদিন আগে থেকে বাংলাদেশের জেলে আটক জনাব অতিবিপ্লবী মান্না ও সাংবাদিক নেতা মাহমদুর রহমান সাহেবের মলিন চেহারার ছবি চাপিয়ে পত্রিকায় বেশ লেখালেখি হচ্ছিল। তাঁদের মুক্তির ব্যাপারে সুশীল সমাজ থেকে বেশ জোরেসোরেই দাবী উত্থাপিত হচ্ছিল। কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকিও দেয়া হচ্ছিল।শফিক সাহেব গ্রেপতার হবেন তারা কি টের পেয়েছিলেন? শফিক রেহমান গ্রেপতারের পরপরই বিএনপি থেকে কোঠোর ভাষায় বিবৃতি দেয়া হয়েছে।,তারেক জিয়া তার দুই দিন আগে শেখ হাসিনার জন্য কাঁদার লোকও থাকবেনা বলে হুমকি দিয়ে রেখেছেন।তারেক (বেয়াদপ) বলেছেন "শেখ মজিবের" জন্য চোখের পানি ফেলতে 'শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে' জীবিত রাখা হয়েছিল,'শেখ হাসিনার' জন্য কাউকে জীবিত রাখা হবেনা( বেয়াদপ আজরাইল)। তারেক জিয়ার অসংলগ্ন-অমার্জনীয় বক্তব্য, বিএনপি দলের কঠোর আন্দোলনের হুমকি, খালেদা জিয়ার বয়সের উল্লেখ করে( রেহমান সফিকের)বিবৃতি প্রদান, বছরের উপরে জেলে থাকা দুই ব্যাক্তির মলিন চেহারার ছবি চাপিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি, ড. ইমরান এইছ সরকার সাহেবের খালেদা জিয়ার ভাষায় বিবৃতি, গোটা পঞ্চাশেক সুশীলের অহরাত্রি কান্নাকাটি- ইত্যাদি লক্ষ করলে বুঝতে কষ্ট হয়না, এই কয়দিন অন্দরমহলে ব্যাপক ঝড়ো হাওয়াই বয়ে গেছে।বাংলাদেশের জনগন না জানলেও তাঁরা ঠিকই জেনেছিলেন-যায় যায় দিন রেহমান সফিক সাহেবের কুকর্মের সকল তথ্য 'বাংলাদেশ পুলিশের' হাতে এসে পৌছে গেছে। তাইতো শেষ নীশিতে '৭৫ এর ধারাবাহিকতায় অতিবাম ইমরান, অতি ডান খালেদা এবং তাঁদের দোষরেরা যারপরনাই ঘুমহীনরাত্রী যাপনের মাধ্যমে জনগনের সহানুভূতি পেতে আপ্রান চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন। লক্ষ করলে দেখা যায়,গত প্রায় একমাস আগে থেকে সুক্ষভাবে একটা প্রচারনা তাঁরা তৃনমুল পয্যন্ত বিস্তৃত করতে সক্ষম হয়েছে, "এই দেশে কোন ভদ্রলোক আর রাজনীতি করতে পারবেনা, সম্মান নিয়ে থাকতে পারবেনা।" সে ভদ্রলোক কি রেহমান শফিক --? আরো একটি বিষয় লক্ষ করলে দেখা যায়, খালেদা জিয়া দীর্ঘ দিন কোন মামলায় হাজিরা দেননি।সব ষড়যন্ত্র ব্যার্থ্য হওয়ার পর কোন উপায় না পেয়ে আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন নিয়েছেন। বিচারহীনতার সংস্কৃতিতে দেশকে নিপতিত করার চক্রান্ত আজকালের চেষ্টা নয়, মেজর জিয়ার ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই চালু করার চেষ্টা করে যাচ্ছে চক্রটি। তাঁরা জানে নিয়মাতান্ত্রিক রাজনীতি করে কোন দিনও বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারবেনা। ষড়যন্ত্রই তাঁদের শক্তির উৎস, মুখে বলে জনগনই খমতার উৎস। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আরও একবার প্রমানীত হল- সকল শ্রেনীর "অতিরা" সময়ে একজোট, এক রাজনীতি, এক মঞ্চ, এক উদ্দেশ্য, এক আদর্শে বিশ্বাস করে।তাঁদের কামনা একটাই 'বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, প্রগতির ধারাকে নস্যাৎ কর, জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দাও'। এই একটিমাত্র ষড়যন্ত্রকে ধামাচাপা দিতে ২৮ বছর আগের রিটমামলা "রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম" কে আদালতের কজলিষ্টে নিয়ে আসে।উদ্দেশ্য দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করা, আইন শৃংখলার অবনতি ঘটানো।সর্বমহলে একসুরে আওয়াজ তোলে-'ইসলাম ছিল, আছে, থাকবে।' আদালতের রায়ের পরেও বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হয়-"রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম' সরকার বাতিল করেছে। সুতারাং এই সরকারের বিরুদ্ধে 'জিহাদ' করার জন্য সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ইমরান এইছ সরকারের মঞ্চ থেকে প্রতিনিয়ত নবী করিম(স:) কে কটাক্ষ করে ব্লগিং করা হচ্ছে।ইউরুপের দরজা তাঁদের জন্য আগেই খোলা,এবার মুল বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী আমেরীকাও খোলে দেয়ার ঘোষনা দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।'৭৫ পরবর্তি ধারাতেই অশুভ চক্রটি উন্নয়ন, অগ্রগতি, প্রগতির ধারাকে বিনষ্ট করতে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। দেশ একটা, সংবিধান একটা, সরকার একটা, প্রশাসন একটা, বিচার ব্যবস্থা একটা, আইন একটা , মানচিত্র একটা, পতাকা একটা, জাতীয় সংগীতও একটা--ব্যবহার কি দুই রকম হবে? সিনিয়র সাংবাদিক হলে কি অপরাধ করে শাস্তি পাবেনা? শাস্তি কি শুধু গরীবের জন্য বরাদ্ধ? আইনআদালত কি রাজনীতিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবির জন্য প্রযোজ্য নয়? ৮২ বছর বয়স হলে কি জেলে যাওয়া মাফ ? মাত্র ৫হাজার টাকার কৃষি ঋনের জন্য শতবছরের বৃদ্ধ কৃষকের কোমরে রশি বেঁধে যখন থানা কোর্টে নিয়ে যায়- তখন কোথায় থাকে আপনাদের মানবতা? পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবর এবং আদালত সুত্র থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষন করলে যে কোন দেশপ্রেমিক নাগরিক উৎকন্ঠিত না হয়ে পারেনা। আদালত সুত্রে জানা যায়-- "রিমান্ড প্রার্থনাকারী তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি হাসান আরাফাত বলেন, তারা প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছে শফিক রেহমান প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও আইসিটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার চক্রান্ত করেছিলেন। এই ঘৃণ্য কাজের উৎসাহী, পরিকল্পনাকারী ও অর্থ সরবরাহকারী যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করছেন। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের নাম জানতে রেহমান শফিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন । তার অন্য কোনো পরিচয় আছে কি না তাও পুলিশকে জানতে হবে বলে আদালতকে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। রিমান্ড প্রার্থনাকারী আদালতে বলেন, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা ও তাদের জোটের মিত্ররা জয়কে আমেরিকায় অপহরণ ও হত্যার চক্রান্ত করে আসছেন। তারা পল্টনের জাসাস কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা ও নিউ ইয়র্কসহ ভিন্ন ভিন্ন স্থানে মিলিত হয়েছেন ষড়যন্ত্র করার জন্য। মামুনের পুত্র রিজভী আহমেদকে এই পরিকল্পনায় অর্থায়নের জন্য বিএনপি ও তাদের জোটের নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। রিজভী আমেরিকায় গ্রেফতার হন এবং যুক্তরাষ্ট্রের আদালত তাকে ৪২ মাসের কারাদন্ড দেয়। বিচারের সময় রিজভী আমেরিকার আদালতকে জানান, এফবিআইকে ঘুষ দিয়ে জয়ের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন তিনি। ৩০ হাজার মার্কিন ডলারের বিনিময়ে তিনি বাংলাদেশি সাংবাদিক, রাজনৈতিক জোট ও জয়ের ব্যক্তিগত তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে বিক্রি করে দেন। ষড়ন্ত্রের সেই সাংবাদিক শফিক রেহমান বলে রিমান্ড প্রার্থনাকারী দাবি করেন। রিজভী আমেরীকায় গ্রেপতার হয়ে বিচারে জেল হয়েছে---অথছ তাঁর মুক্তি জন্য অশুভ চক্রটি একটি বার বিবৃতি পয্যন্ত দেয়নি--,পাছে বাংলা দেশের জনগন ঘটনা জেনে যাবে। সব ঘটনা লোকচক্ষুর অন্তরালে রাখতে চেয়েছিল অশুভ চক্রটি। সেই বিচারের আলোকে--রিজভীর দেয়া তথ্যে, বাংলাদেশে অবস্থানরত:দের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ গ্রেপতার করে। বিএনপি আগেই প্রস্তুত করা বিবৃতি' পাঠ করে সাংবাদিকদের জানান তাঁরা তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে জেলমুক্তি ঘটাবেন।সম্পুর্ন বে-আইনী ভাবে একজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধৃত আসামীর পক্ষে হুমকি প্রদান করে বিএনপি এবং তাঁর নেত্রী খালেদা। নদীর ভাটায় খড়কুটা দিয়ে পানি আটকানো যায়না-বিএনপির পতনের সময়েও ষড়যন্ত্র করে রক্ষা পাওয়া যাবেনা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর উদারতায় ষড়যন্ত্র সফল করতে পেরেছিল ষড়যন্ত্রীরা। তাঁর কন্যার সরলতাকে পুঁজি করে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করা যাবেনা। বাংলাদেশের লক্ষ কূটি আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী অর্হনীশি জাগ্রত রয়েছে-কোন ষড়যন্ত্রকেই বাংলার মাটিতে শিকড় ছড়াতে দিবেনা। ষড়যন্ত্রের বীজ বপনের আগেই তা উপড়ে ফেলে--শান্তির বীজ বপন করবেই করবে। অশুভ শক্তির পতন অনিবায্য সত্যের জয় চিরকাল--- মিথ্যার পতন সময়ে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু

ছবি

তথাকথিত বাঙ্গালীত্বের বিরুধীদের প্রতিভু যখন বাঙ্গালী সংস্কৃতি লালন করে--- বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সহ জেলা উপজেলায় এবারকার বাংলা নতুন বছরকে বাঙ্গালী বরন করেছে আলাদা এক আমেজে। সর্বশ্রেনী পেশার মানুষ এবারকার বর্ষবরনে যোগ দিয়েছে। সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতিভু বিএনপি তথাকথিত ইসলামী দল সমুহের টাকার গাছ 'ইসলামী ব্যাংক' সহ সকলেই শামিল ছিল বর্ষবরনে। পহেলা বৈশাখ নিয়ে কতিপয় ব্যাক্তির অতি 'ইসলামী মনোভাবের' ধারক বাহকদের 'দল ও প্রতিষ্ঠান' যখন বর্ষবরন করতে দেখা যায়- তখন তাঁদের মনোভাব কি এবং কেমন হয় প্রতিক্রিয়া জানার সুযোগ আমাদের মত আমজনতার কখনই হয়না। বাংলা নববর্ষ ১৪২৩ উপলক্ষে ইসলামী ব্যাংক অফিসার কল্যাণ সমিতি দেশের বিভিন্ন স্থানে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল শিশুদের চিত্রাঙ্কন, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, প্রায় ৪০ ধরনের পিঠা প্রদর্শনী, হস্তশিল্পের উপস্থাপনা, সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বর্ষ বরন করে নিয়েছে। বিএনপি পল্টনে উম্মুক্তস্থানে জাসাসের আয়োজনে নতুন বছরকে বরন করেছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া উক্ত বর্ষবরন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নতুন বছরে গনতন্ত্রের শুভযাত্রা কামনা করেছেন। এবারের বাংলা নববর্ষ নতুনমাত্রা পেয়েছে সরকারি চাকুরীজীবিদের 'উৎসব বোনাস'।এই প্রথম কোন সরকার- সরকারি ভাবে সার্বজনীন বাঙ্গালীর বৈশাখ উৎযাপনকে স্বীকৃতি দিল 'উৎসব বোনাস' প্রদান করে। সুদীর্ঘকালের ইতিহাসে বাঙ্গালীর জন্য ইহা এক বড় অর্জন। আগামী বছরগুলীতে উৎসব বোনাসের আমেজ পাওয়া যাবে দৃশ্যমান ভাবে। কারন এবার 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীর জৈষ্ঠকন্যা বঙ্গরত্ম শেখ হাসিনা' এই ভাতা প্রচলন করবেন তা সরকারের কোন মহল জানতেন না। ফলে তাঁদের ছেলে মেয়েদের পরিকল্পনা সাজাতে কিছুটা তড়িগড়ির কারনে সৌন্দয্যে হানি ঘটেছে। আগামী বছরগুলিতে ঈদের আমেজে পহেলা বৈশাখ উৎযাপন করা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বোনাস প্রাপ্তির ফলে উঁচুতলার মানুষ যারা দীর্ঘবছর গ্রামীন সংস্কৃতি বিচ্যুত ছিলেন,ছেলে মেয়েদের পাশ্চাত্য ধ্যান ধারনায় মানুষ করতে গিয়ে না পেরেছে বাঙ্গালী বানাতে- না পেরেছেন পাশ্চাত্যের ভাবধারায় অভ্যস্ত করতে। তাদেরকেও দেখা গেছে বাঙ্গালীর প্রানের উৎসবে যোগ দিয়ে নীজেদের ক্ষনিকের জন্য বাঙ্গালীর আবহমান কালের চেতনায় ফিরিয়ে নিতে। অন্যান্ন বছরের তুলনায় এই প্রথম দেশের অর্থনীতিতে বড়ধরনের অবদান রাখতে পারবে পহেলা বৈশাখ থেকে পরবর্তি কমপক্ষে পনেরদিন।আগেও ছিল তবে তা ছিল সীমিত পরিধিতে।এইবছর তার পরিধি সম্প্রসারিত হবে কয়েকগুন বেশি। শুধুমাত্র যুগান্তকারি পদক্ষেপ সরকারি বাড়তি আর্থিক সুবিধার কারনে। পহেলা বৈশাখ থেকে দেশের নানাস্থানে শুরু হয় 'বৈশাখিমেলা' ও 'আড়ংসহ' নানা আয়োজন, যা বিনোদনের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে আনে নতুন গতি। তাই বাংলা নববর্ষ আবহমান 'বাঙালি সংস্কৃতির' এক বর্ণাঢ্য উৎসব ও অনন্য উৎস বিন্দু। বাঙালির সর্বজনীন উৎসব নববর্ষকে আমরা আবাহন করি প্রাণের স্পন্দনে, গানে-কবিতায়,আবেগের উত্তাপে।’ ‘বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয়তাবোধ ও চেতনাকে শাণিত করে। বর্ষবরণের উৎসবে এ চেতনাকে নস্যাৎ করার জন্য স্বাধীনতার আগে ও পরে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। চেতনায় আঘাত করা হয়েছে বার বার।’ আঘাতকারিরা বাঙ্গালীর শ্বাস্বত রুপের স্বাধ মনের অজান্তেই গ্রহন করে। যেমন নাস্তিক তাঁর মনের অজান্তে অনেক ধর্মীয় বিধি মানতে বাধ্য হয়। নাস্তিক রোজা-নামাজ করেনা-নীজেদের ইসলাম ধর্মের অনুসারী হিসেবে স্বীকার করে। পাসপোর্ট, আই,ডিতে ইসলাম (সুন্নী) নীজেরাই উল্লেখ করে।নাস্তিক কোথাও পরিচয় দেয়না।এমনি অন্য ধর্মের নাস্তিকদের বেলায়ও প্রযোজ্য। আমাদের মাওলানা মৌলবি সাহেবেরা ঈদ পরবর্তি শশুরালয়ে বেড়াতে যায় সালামি গ্রহন করে। এইরুপটি বাঙ্গালীর শ্বাস্বত রুপ। অন্যকোন জাতি- গোষ্টির মধ্যে এইরীতির প্রচলন নেই। মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশেও আতিথীয়তার এমন নজির নেই, যা বাঙ্গালীদের রয়েছে।এটা ধর্মীয় বিষয়ের মধ্যে পড়েনা,বাঙ্গালীত্বে পড়ে। সাম্প্রদায়িক গোষ্টি এবং তাঁদের প্রতিভুরা বাঙ্গালীত্ব বুঝেনা--কিন্তু উৎসবে পার্বনে, শশুরবাড়ী যেতে হলে 'পায়জামা পাঞ্জাবি' ঠিকই পরিধান করে। এই পোষাক ইসলামী পোষাক নয়, বাঙ্গালীত্বের পোষাক। মাওলানা মৌলবি সাহেবেরা বাঙ্গালীত্ব বুঝেনা-কিন্তু মাছ ভাত খায়। ইহা শুধুমাত্র বাঙ্গালীর প্রধান খাদ্য--আর কোন জাতি গোষ্টির প্রধান খাদ্য নয়। তদ্রুপ হাজারো বৈপরীত্ব তাঁদের চরিত্রের মধ্যে রেখেই তাঁরা বাঙ্গালী সংস্কৃতি, কৃষ্টির বিরুধীতা করে যাচ্ছে সৃষ্টির আদিকাল থেকেই। তাঁরা কখনই সফল হয়নি-সাময়িক স্থবির করতে পারে মাঝে মাঝে।বাঙ্গালী আপন ত্যাগের মহিমায় আবার ফিরে আসে তাঁর শ্বাস্বত আবহমান ধারায়। আবহন করে স্বাশ্বত রুপের সাগরে। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা বঙ্গরত্ম জননেত্রী শেখ হাসিনা

ছবি

আস্তিক-নাস্তিক,অতিডান-অতিবাম অবস্থান ভিন্ন---উদ্দেশ্য অভিন্ন------ কাফনের কাপড়, আতর,গোলাপজল পাঠিয়ে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বুধবার বিকেলে প্রতিমন্ত্রীর গুলশানের বাসভবনে র্যাপিং পেপার দিয়ে মোড়ানো একটি বক্সের মধ্যে এসব পাঠানো হয়। ওই বক্সে হাতে লেখা একটি কাগজও ছিল। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘এবার তোমার পালা, মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাক’। ওই বক্সের ওপর প্রেরকের জায়গায় লেখা রয়েছে, মেয়র, নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। আশ্চায্য হওয়ার কিছুই নেই।এর আগে অনুমান করা গিয়েছিল যখন সীম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি নীতি সরকার গ্রহন করে- তখন তীব্র প্রতিবাদ করা হয় একশ্রেনীর সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে।সরকার তাঁর নীতিতে যখন অটল রইল- তখন বিতর্ক উত্থাপন করা হল হাতের চাপ অন্য কোন কাজে ব্যবহার হতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে যখন বলা হল তেমন কোন সম্ভাবনা নেই --তখনি আদালতে এই পদ্ধতি বাতিলের জন্য রীট পিটিশন করা হল। আদালতের রায়ে যখন বলা হল-পদ্ধতি ঠিক আছে- তখনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে হত্যা করার হুমকি দেয়া হল। উল্লেখীত ধারাবাহিকতায় যারাই জড়িত হয়েছেন তাঁদেরকেই বলা হয় অশুভ শক্তি। কেন মাননীয় মন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়ার প্রয়োজন হল--? এই হুমকির পেছনে বহুবিধ কারন বিদ্যমান।তম্মধ্যে অন্যতম কারন হতে পারে অশুভ শক্তির যোগাযোগে কিছুটা বিঘ্নতা।একাধিক মোবাইল সীম দখলে রেখে দেশব্যাপি অরাজগতা, নাশকতা, বোমাবাজি, জঙ্গী কর্মকান্ড পরিচালনা করে সীম ধ্বংশ করে গাঢাকা দেয়া, সীম ট্রেকিং ফাঁকি দেয়ার কৌশলে বিঘ্নতা সৃষ্টি হওয়া। প্রতিনিয়ত ব্লগিং সাইট পরিবর্তন করে অপপ্রচারে বিঘ্নতা।নাম, ঠিকানা গোপন রেখে বিভিন্ন সাইট খুলে আন্ডার গ্রাউন্ডে জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলার কাজে কিছুটা বাধার সৃষ্টি হতে পারে। বিজ্ঞান মানব সৃষ্ট একটা উন্নত, সভ্য, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ার উপায়।প্রযুক্তি বিজ্ঞানেরই ধারাবাহিক আবিস্কার। 'সৃষ্টি কর্তা প্রেরীত কোন বানী নয়'। যেহেতু মানব সৃষ্ট সেহেতু এই আবিষ্কৃত প্রযুক্তির মধ্যে প্রত্যহ নতুন নতুন সমস্যার উদ্ভব হবে। সমস্যা সমাধানে নতুন প্রযুক্তিও আবিস্কৃত হতে থাকবে। নতুন আবিস্কৃত প্রযুক্তিকে ফাঁকি দিয়ে- যে কয়দিন অপরাধ চালিয়ে যাওয়া যায়--সেই কয়দিনই তাঁদের লাভ। এই প্রক্রিয়াকে বিলম্ভিত করার লক্ষে উল্লেখীত কর্মকান্ড গুলী চালানো হয়েছে।উল্লেখীত কর্মের ব্যাক্তিবর্গ একই সুত্রে গাঁথা। অতীতের বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ লক্ষ করলে দেখা যায়-- আপাত:দৃষ্টে যদিও দেখা যায় অতিডান-অতিবামের মধ্যে সাঁপে নেউলে সম্পর্ক বিদ্যমান -কায্যক্ষেত্রে তাঁদের কর্মকান্ড এক ও অভিন্ন। মুক্তিযুদ্ধকে অতিবামেরা "দুই কুকুরের লড়াই"বলে অভিহিত করেছিল -পক্ষান্তরে অতিডানেরা মুক্তিযুদ্ধাদের শুধু বিরুধীতাই করেনি, অস্ত্রহাতে মুক্তিযুদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইতে নেমেছিল। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তিতে দেশব্যাপি নাশকতা, হত্যা, লুটপাট, ডাকাতি, শ্রেনীশত্রু খতমের নামে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী হত্যা, ঘুম ইত্যাদি সমভাবে ভাগ বাটোয়ারা করেই করেছিল।জাতির জনকের হত্যাকান্ডে উভয় শ্রেনী এক ও অভিন্ন ভাবেই অংশ নিয়েছিল।তাঁদের বিদেশী প্রভুও ইহুদী রাষ্ট্র মাকিন যুক্তরাষ্ট্র।পরবর্তিতে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিচ্যুত করতে দেশকে একজোটে সরকার গঠন, রাষ্ট্র শক্তি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠিত হতে একে অপরের পরিপুরক হয়ে অংশ নিয়েছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিলেও একই চিত্র লক্ষনীয়ভাবে সাধারন চোখেও অনুমান করতে অসুবিধা হয়না। একদিকে নাস্তিকদের ধর্ম,নবী করিম(স:), কোরান সম্পর্কে কটুক্তি--অন্যদিকে নাস্তিকের নামে সাহিত্যিক, সাংবাদিক, লেখক, রাজনীতিবীদ, বুদ্ধিজীবি হত্যা। সাম্রাজ্যবাদ কতৃক ধর্মাশ্রয়ী, জঙ্গি, অতিডানমনা দলকে অর্থ, প্রশ্রয়, আশ্রয়দান, মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচারের বিরুধীতা---অন্যদিকে নাস্তিকদের অভিবাসন দেয়ার প্রকাশ্য ঘোষনা। এই যেন "বড় বটবৃক্ষের" দুই দিকের প্রকান্ড 'দুইডাল'-- গোড়া কিন্তু একই স্থানে মাটির গভীরে শক্তভাবে প্রোথিত। আরও একটি বিষয় লক্ষনীয়ভাবে দেখা যায়, হত্যাকান্ড ঘটিয়ে আই,এসের নামে বিবৃতি প্রদান করা হচ্ছে বাংলাদেশেরই মিরপুর,গাজিপুর, বাড্ডা, খিলখেত ইত্যাদি আস্তানা হতে।একদিকে তাঁদের রক্ষক সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত--লোকচক্ষুর অন্তরালে জামাত শিবিরের দুর্দশ্য ক্যাডার আই,এস নামে আত্মঘাতি বাহিনী। প্রকাশ্য শক্তি খালেদা জিয়া বিভিন্ন কৌশলে আন্দোলনের নামে বিশৃংখলা তৈরি করে বিচার কাজে বিঘ্নতার আপ্রান চেষ্টা, পারত পক্ষে মাঝে মধ্যে প্রকাশ্য বিবৃতিও দিচ্ছেন।এমনি এক বিবৃতির কথা মনে পড়ে -'মিরপুরে জঙ্গি আস্তানা আবিস্কারের পর-- ধরা পড়া জঙ্গিকে 'ভাল লোক ধরে ধরে 'সরকার জঙ্গি বানিয়ে' জেলে প্রেরন করার অভিযোগ এনে দেয়া বিবৃতিটি। তাঁদের এই জোটবদ্ধতা প্রকাশ্যরুপ ধারন করে যখন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় খমতা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় অথবা সরকারে থেকে দেশের উন্নয়নে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় তখন।মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের প্রকাশ্য মিত্র মুসলিম লীগ,যুদ্ধ পরবর্তি বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের প্রবক্তা "জাসদ" বর্তমানে বিএনপি।গোপনের শত্রুও ঠিক একই ধারাবাহিকতায় আগের তাঁরাই। আরো একটি বিষয় সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই।বিএনপি প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ উৎযাপন করে প্রকাশ্য পল্টন অফিসের সামনে।কোন পুলিশি পাহারা না থাকলেও অনুষ্ঠান পন্ড করার কোন হুমকি কখনই দেখা দেয়নি।পক্ষান্তরে প্রগতিশীল ধারার শিল্পি,সাহিত্যিকদের পহেলা বৈশাখের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে অতীত থেকে রমনার বটমূলে।রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জাল বিস্তার রেখেও কোন সময় নিরাপদ, নির্বিগ্নে, ভয়হীন অনুষ্ঠান পালন করা সম্ভব হয়নি। নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেও বোমামেরে অজস্ত্র মানুষ হত্যা করার রেকর্ড় রয়েছে।নারী নির্য্যাতনের উদাহরন রয়েছে। পক্ষান্তরে একই অনুষ্ঠান বিএনপির অনুষ্ঠান স্থলে কোন দিন বোমাবাজী হয়েছে তাঁর প্রমান নেই।বিএনপি সরকারে থাকলে দেশব্যাপি অসামাজিক কর্মকান্ড বেড়ে গেলেও তথাকথিত ধর্মাশ্রয়ী দল এবং তাঁদের মিত্রদের তেমন আস্ফালন চোখে পড়েনা।নাস্তিকেরাও ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেনা।পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ সরকারে এলে নাস্তিকেরা প্রকাশ্য ধর্মনিয়ে চেলেঞ্জ চুড়ে দেয়। এমনি এক অথর্ব নাস্তিকের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে ধর্ম নিয়ে বিতর্কে অংশ নেয়ার প্রকাশ্য আহব্বান- আজই অন-লাইনে দেখা গেছে।বিএনপি নেত্রী ধর্মতো মানেনই না বরঞ্চ ধর্মবিদ্বেশী মহাসচিব দিলেও ধর্মাশ্রয়ী দল এবং তাঁদের মিত্রদের পক্ষ হতে কোন প্রতিবাদের লক্ষন দেখা যায়না।এতে কি প্রমানীত হয়না কে এই অশুভ শক্তির প্রশ্রয়দাতা,রক্ষক, পালনকর্তা? পরিশেষে বলতে চাই, ৭১-৭৫ যাহা করা সম্ভব হয়েছিল ২০১৫-১৬ তে তাহা করার চিন্তা একান্তই বোকার চিন্তাচেতনা। জাতির জনকের উদারমনের সুযোগে অরাজকতা সৃষ্টির সুযোগ গ্রহন করে --স্বপরিবারে হত্যা করা সম্ভব হয়েছিল। তাঁর কন্যাকেও সেই ভাবে চিন্তা করতে গেলে দলীয় অস্তিত্ব হারিয়ে জনরোষের কবলে পড়ে বাসা থেকে বের হওয়ার সুযোগও থাকবেনা। কিছুদিন আগে তাঁর উদাহরন বাংলাদেশের জনগন যথাযথ ভাবে দিয়ে সতর্ক করার পরেও খালেদা জিয়া-- সেই বৃত্ত পরিত্যাগ না করে এখনও সমভাবেই ষড়যন্ত্রের জাল পেতে যাচ্ছেন। ইহা সময়ে হীতে বিপরীত হবে তা অনুমান করার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা। সুস্থ্য ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার একাধিক ঘোষনা দিয়েও খালেদা প্রতারনার আশ্রয় গ্রহন করে এখনও হত্যার রাজনীতিতে সম্পৃত্ত রয়েছেন -- তাঁর প্রমান তিনি তাঁর দলের সম্মেলনে সমাপনী বক্তব্যে "শেখ হাসিনা"বিহীন নির্বাচনের ঘোষনা থেকেই স্পষ্ট হওয়া যায়। শুধু তারানা হালিম নয়,জাতির জনক থেকে আরাম্ভ করে সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরীয়া পয্যন্ত হাজার হাজার নেতাকে হত্যা করেও বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি সর্বপরি প্রগতির চাকাকে থামানো যায়নি--তারানা হালিমকেও হত্যা করে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় থেকে বঙ্গরত্ম শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে বিরত রাখা যাবেনা।আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রয়োজনে অতীতের মতই মানব ঢাল তৈয়ার করে বুকের তাজারক্ত ঢেলে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা এবং তারানা হালিম সহ প্রগতির ধারার নেতৃবৃন্দকে রক্ষা করবে ইনশাল্লাহ।কোন ষড়যন্ত্রকেই বাংলার মাটিতে আর কোন দিন স্থান দিতে রাজী নয় বাংলার জনগন। বাংলার আবহাওয়ায় বেড়ে উঠে, বাংলায় মা ডেকে, বাংলার মাছ ভাত হজম করে বাংলার সংস্কৃতি কৃষ্টির বিরুধীতা যারা করে তাঁদের আবাস বাংলার মাটিতে হবেনা।জয় হবেই বাংলার জনগনের,নিপাত যাবে বিদেশী অপসংস্কৃতির ধারক বাহকদের। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুজয়তু জাতির জনকের কন্যাবঙ্গরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি

এবারের বাংলা বর্ষবরন অন্য যেকোন বছরের বর্ষবরনের তুলনায় আলাদা গৌরবের বৈশিষ্টতায় পরিপূর্ণতা পেয়েছে। _______________________________________ এবারের নববর্ষ কয়েকটি কারনে বিশিষ্টতা পেয়েছে। অবিভক্ত ভারতীয় উপমহাদেশে পহেলা বৈশাখ উৎযাপন নিয়ে কোন বিতর্ক ছিলনা।বিতর্কের সৃষ্টি হতে থাকে দ্বিজাতিতত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান নামক সাগরের দুই পাড়ের দুই ভূখন্ডের- ভিন্নভাষা, ভিন্ন জাতি, ভিন্ন সংস্কৃতি নিয়ে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রুটির উদ্ভবের পর থেকেই।বাঙ্গালী কবি, বাংলাভাষার কবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরতো পাকিস্তানের ২৩ বছরই নিষিদ্ধ ছিলেন। দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামকে দ্বিখন্ডিত করে রাখা হয়েছিল পুরুটা সময়। প্রথম আঘাত আসে আমাদের মাতৃভাষার উপর।সেই শুরু সাম্প্রদায়িকতার উত্থান।চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প।এতদিন যারা একই ভুখন্ডে আনন্দ বেদনা, উৎসব পার্বনে একে অপরের পরিপুরক ছিল, ভাগাভাগি করে পালন করছিল, তাঁরাই হয়ে গেছে একে অপরের শত্রু। ভারত থেকে ভিটেমাটি ছেড়ে স্রোতের মত আসতে থাকে বাঙ্গালী মসুলমান,পাকিস্তান থেকে স্রোতের মত উঠতে থাকে বাঙ্গালী হিন্দুরা ভারতে। রক্তগঙ্গা বয়ে যেতে লাগল ভারতবর্ষ জুড়ে। একভাই আরেক ভাইয়ের রক্তে হুলিখেলা শুরু হল। দ্বি-জাতিতত্ব প্রকারান্তরে রুপ নিল বাঙালী হিন্দু-মসুলমানের চরম বিদ্বেসের শ্বেতপত্রে। ভাষা আন্দোলনের অসম্প্রদায়িক চেতনার সাংস্কৃতিক আন্দোলনে রোপিত হল বাঙ্গালীর মনের অজান্তে স্বাধীকারের বীজ। ক্রমেই সংস্কৃতি সেবিদের পরিচর্য্যায় সেই বীজ থেকে অংকুর উদগম হয়ে রুপান্তরীত হল মুক্তিযুদ্ধের বটবৃক্ষে।অবশেষে চুড়ান্ত আসম এক রক্তক্ষয়ী লড়াই- অশুভশক্তি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে শুভশক্তি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় লালিত নব-উত্থিত বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী শক্তির । সম্পুর্ণ পয্যুদস্ত করে বিজয় চিনিয়ে আনে বাঙ্গালী ১৯৭১ ইং সালের ১৬ই ডিসেম্বর।সেই বিজয় বেশীদিন স্থায়ী হয়নি বাঙ্গালীর। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ ইং সালের কালোরাতে স্ব-পরিবারে হত্যা করে লুকিয়ে থাকা সাম্প্রদায়িক শক্তির দেশী বিদেশী অনুচরের দল। শুরু হয় প্রগতির চাকাকে পিছনের দিকে ঘুরানো।জাতির জনকের জৈষ্ঠকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশ অবস্থানের কারনে সেইরাতে ঘাতকের হাত থেকে রক্ষা পান। বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১৯৯৬ ইং সালে জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে পুনরায় বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফিরে আসে অসাম্প্রয়িক শক্তির প্রতিভু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।শুরু হয় আবার নতুন উদ্যমে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী চেতনার শানীত রুপের বহি:প্রকাশ। এই বছর এসে নতুন এক মাত্রা সংযোজিত হয় পহেলা বৈশাখ উৎযাপনে।ঘরে ঘরে দেখা দেয় আনন্দের বন্যা। উৎসবের আমেজ সৃষ্টি করেছে দেশজুড়ে।পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে জানা যায়- এবার পহেলা বৈশাখে ১৪শত কোটি টাকা কেনাকাটা হয়েছে, যাহা ঈদ উৎসবে দেখা যেত। নববর্ষকে সামনে রেখে বাংলাদেশ রয়েছে উৎসব পালনের প্রস্তুতির তুঙ্গে। ঘরে-বাইরে চলছে নানা উদ্যোগ, বহুমুখী কর্মকাণ্ড। নতুন বছরের শুরুটা কিভাবে করা হবে এই চিন্তায় সবাই মতোয়ারা। ঘরবাড়ি পয়পরিষ্কার করা, কি খাওয়া হবে, নতুন কোন পোশাক কেনা হবে, কোথায় যাওয়া হবে প্রভৃতি নিয়ে ইতোমধ্যে ঘরে ঘরে পরিকল্পনা কার্যকর হয়ে যাচ্ছে, চলছে নানা আয়োজন। দোকানিরা বিশ্রামের অবকাশ পাচ্ছে না। পাড়ায়-পাড়ায়, ভবনে ভবনে, সংগঠন-প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে নানামুখী আয়োজন। নতুনকে বরণ করতে গ্রাম-এলাকা-শহরগুলোতে কর্মচাঞ্চল্যের যেন জোয়ার বইছে। জাতীয়ভাবেও চলছে মন-প্রাণ উজাড় করে দিয়ে নানা উদ্যোগ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন পাট শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও বৈশাখী ভাতা দেয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন যে, "বোনাস পেয়ে সারা দেশের মানুষ আনন্দ-উৎসব করবে, "আর আমার পাট শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওয়া না পেয়ে থালা-বাসন নিয়ে বসে থাকবে, এটা মানতে পারছি না।"সত্যিকারের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্যই দিলেন সংসদে-যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গরত্ম শেখ হাসিনা । এবারের নববর্ষ পালনের মেজাজটাই পূর্বের যে কোনো সময়ের চেয়ে আলাদা। আলাদা মাত্রা পাওয়ার কারণ হচ্ছে রাষ্ট্র-সরকার সর্বোতভাবে নববর্ষ পালনে চাকরিজীবীদের অর্থের যে জোগান দিচ্ছে, তা ছড়িয়ে পড়ে সবাইকে যেন নতুনকে বরণ করতে নতুনভাবে আন্দোলিত করে তুলছে। প্রসঙ্গত এটা তো ঠিক যে, অতীত থেকেই আমাদের সমাজে কম-বেশি কোনো না কোনোভাবে নববর্ষ পালনের রেওয়াজ ছিল। দোকান-ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হালখাতা, স্থানে স্থানে মেলা প্রভৃতি সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের অংশ গ্রহণে মুখরিত হয়ে থাকত। অ-যৌক্তিক তারপরেও কিছু নিয়ম কানুন অবহমানকাল থেকে পালিত হয়ে আসছে-এই একটি দিন কাউকে বকাবকি করা যাবে না, কিছু একটা ভালো খেতে হবে, ভালো জামাকাপড় পরিধান করতে হবে,দোকানে বাকী বকেয়ার জন্য যাওয়া যাবেনা,দোকানদারও দিবেনা- প্রভৃতি কম-বেশি সব সম্প্রদায়ের মধ্যেই ছিল। দিনটি নিঃসন্দেহে বাঙালির সব ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষের মিলনের একটা উপলক্ষ হিসাবে অবস্থান নিয়ে ছিলই। সেটাকেই প্রধানমন্ত্রী এইবারেই প্রথম সরকারের পক্ষ থেকেসরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বোনাস উপহার দিয়ে আনন্দের জোয়ার এনে দিলেন।নি:সন্দেহে ইহা এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আমাদের জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্যের শিকড় বহুদূর বিস্তৃত, বহু গভীরে প্রোথিত। এই ইতিহাস-ঐতিহ্য ভালো-মন্দে, জয়-পরাজয়, বেদনা ও বীরত্বপূর্ণতায় গাঁথা। মন্দের পরাজয় ও ভালোর বিজয়ে গৌরবমণ্ডিত। বার বার জাতি কলঙ্কের কালিমা মোচন করেছে-বার বার গৌরবের তিলক পরেছে। এই জাতি কখনো পশ্চাদমুখী হয়েছে, কখনও বিপথগামী হয়েছে-- কিন্তু কোনো দিন দিকভ্রষ্ট হয়নি, পরাজয় মেনে বসে থাকেনি। ত্যাগের বিনিময়ে পরাজয়কে জয়ে রুপান্তরীত করে সামনে এগিয়ে গেছে।আজকের সার্বজনীন বৈশাখী উৎসব তাই প্রমান করে। আমাদের মনে রাখতে হবে--বাঙ্গালীর ইতিহাস-ঐতিহ্য,কৃষ্টি-সংস্কৃতি ইত্যাদি ধর্মীয় বিষয় নয়।অন্য সব জাতীর ন্যায় আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য ধারন করা এবং পালন করায় দুষনীয় নয়।যেমন:- পোষাক পরিচ্ছেদে, খাওয়া-দাওয়া, চলা- ফেরা,কৃষ্টি-সংস্কৃতিতে প্রত্যেক জাতি গোষ্টির নিজস্বতা রয়েছে--জাতি হিসেবে আমাদের নিজস্বতা আমাদের ধরে রাখাই বাঙ্গালীর ঐতিহ্যকে ধারন করা। তাই আসুন ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো/তাপস নিঃশ্বাস বায়ে/ মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে’ উচ্চারীত হোক প্রতিটি বাঙ্গালীর কন্ঠে। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা বঙ্গরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি

শুভ নববর্ষ *********** **জীর্ণতা মুছে দিয়ে— জীবনের শুদ্ধতায় ভরে উঠুক নতুন বছর। আজ শুভ প্রভাতে— প্রাপ্তির পূর্ণতায় ভরে উঠুক নতুন বছর।** পহেলা বৈশাখ শুরু। কয়দিন থেকে অনেকে অনেক প্রশ্ন সামনে নিয়ে এসেছেন।মোল্লা সাহেবেরা বলেন বে'দাত।যারা বাঙ্গালী পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে তাঁরা বলেন ঊৎসব কেন? যারা নীজেদের বাংলাদেশী মনে করেন তাঁরা পহেলা বৈশাখ পালন করেননা কিন্তু থার্টি ফাষ্ট নাইটে এক আধটু মদটদ খান মধ্যরাতে। "একটা পেইজের পাতায় এক লোকের লম্বা এক কমেণ্ট দেখলাম,পান্তা খাওয়া বা ইলিশ খাওয়া কোথায় আছে পহেলা বৈশাখে?দুপায়ের জন্তুগুলো মুখোশ পরে নষ্টামী করে ইত্যাদি ইত্যাদি।" আমি জানতে চাই আমরা বাঙ্গালিরা বিয়ে করি। কোথায় আছে বরের এবং কনের মেহেদী দেয়ার নিয়ম? কোথায় আছে গাড়ি সাজিয়ে কনের বাড়ী যাওয়া? কোথায় আছে বড় তোরনের সামনে দাঁড়িয়ে শালীদের ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে বরন করে নেয়ার নিয়ম।কোন বাংলাদেশী উল্লেখীত বিয়ের অনুষ্ঠান ব্যাতিরেকে বিয়ে করেছেন? কোন মাওলানা খোরমা খেজুর দিয়ে মসজিদে আকদ করেছেন? তাবলিগের মরুব্বি ছাড়া হাতে গোনা দুই চার জন থাকতে পারেন। উৎসব করা লিখা থাকার দরকার হয়না। ইংরেজ তাঁর বছরের প্রথম দিন বরন করবে মনের টানে,আরবি তাঁর বছরকে হিজরির সালের প্রথম মাসের প্রথম দিনকে তাঁর কৃষ্টি অনুযায়ী বরন করবে, বাঙ্গালী তাঁর বাংলা মাসের প্রথম দিনকে বরন করবে। উৎসব যার যেমন ভাল লাগে তেমন ভাবে করবে।এতে বিতর্কের কি থাকতে পারে? ইলিশ খেতে হবে এমন কোন কথা নাই সত্য-ইলিশ বাঙলাদেশের জাতীয় মাছ,তাই পহেলা বৈশাখে ইলিশের ব্যপারটা এমনিতে চলে এসেছে।পান্তা ভাত এক সময়ে শতকরা ৯৯জন বাঙ্গালী ঘুম থেকে সকালে উঠেই খেতেন -তাই পান্তার ব্যপারটা বৈশাখে এসেছে।আবহমান কাল থেকে বছরের প্রথম দিন এমন কোন গ্রাম ছিলনা যেখানে একদিনের মেলা বা বাজার বসতোনা,সেখান থেকে মেলার কথাটা এসেছে।এটা হিন্দুদের পুজার অংশ নয়, বাঙ্গালীর ঐতিজ্য। যারা আজকে বিতর্ক করতে চান,তাঁদের আমি জিজ্ঞেস করতে চাই,আপনি কি বাংলাদেশে জম্ম গ্রহন করেছেন? যদি বাংলাদেশেই জম্মগ্রহন করে থাকেন আপনি কি কোন দিনও বৈশাখী মেলায় যাননি? আপনার গ্রামের বছরের একবার যে বাজারটি বসে বা আগে কোনদিন বসেছিল সেখানে কি যাননি?আপনি কি আপনার গ্রামের হাটে বা বাজারে কখনই মুদি দোকানের হালখাতায় অংশ নেননি। উল্লেখিত একটিতেও যদি আপনার সম্পৃত্ততা থাকে বা ছিল তবে এখন কেন বিরুদীতা করেন? আপনার নেত্রী খালেদা( যে দলেরই হননা কেন -নেত্রী আপনাদের খালেদা) বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছে প্রধান মন্ত্রীকে- আপনি কি জানেন? আপনি যদি মাওলানা হয়ে থাকেন, বলতে হবে আরব রাষ্ট্রে উলুধ্বনি কেন দেয় উৎসবে পার্বনে।ঢোল কেন বাজায়?তাঁদের উলুধ্বনিতে হিন্দুত্ব না থাকলে আমার নববর্ষে মুখোশে কেন বে'দাত হবে।বিয়ের অনুষ্ঠানে বাঙ্গালী সংস্কৃতির সামান্য ভুলে কনের সাথে মিষ্টি খেতে বসেননা-পহেলা বৈশাখে অনুষ্ঠানে জ্বর আসে কেন? আপনাদের এই সমস্ত ডাবল ষ্টান্ডার্ড় ছেড়ে এককেন্দ্রিক হয়ে যান,সবাই সম্মান করবে, শ্রদ্ধা করবে। বাংলায় কথা বলে থার্টিফাষ্ট পালন করবেন মধ্যরাতে ব্যাভিচার করার জন্য--পহেলা বৈশাখে দিনের আলোয় মুখোশ পড়লে বলবেন দুই পায়ের জানোয়ার নষ্টামী করার জন্য মুখোশ পরেছে, এইটা দয়া করে বন্ধ করেন। বহু ইতরামি করেছেন আর করার সুযোগ নেই। বৈশাখের উৎসব বোনাস গ্রহন করে বউ বাচ্ছা নিয়ে পুর্তি করবেন,আর বৈশাখ পালন যারা করে তাঁদের গালি দিবেন, লজ্জা করেনা আপনাদের? উৎসব বোনাস ফেরৎ দিয়ে সারাদিন সমালোছনা করেন কেউ বাধা দিবেনা।কোন মসুলমান বৈশাখের উৎসব বোনাস গ্রহন করেননি, এমনতো শুনিনি-পত্রিকায়ও আসেনি। বাঙ্গালী বনেদী পরিবারের সদস্য গন একসময় ধূতি-পাঞ্জাবি, পায়জামা পাঞ্জাবি পরিধান করে অনুষ্ঠানাদি, হাটবাজার, কোর্ট কাচারি যেতেন। কালের পরিক্রমায় সব শ্রেনী পেশার মানুষ উৎসবে আনন্দে পায়জামা পাঞ্জাবি, লুঙ্গি পাঞ্জাবি পরিধান শুরু করে। আজও ঐতিয্যটি টিকে আছে।হিন্দু বাঙ্গালীরা ধূতি -পাঞ্জাবি পরিধান করেন তাই মসুলমান বাঙ্গালীর নিকট ধূতি নাজায়েজ। পায়জামা পাঞ্জাবি বর্তমানের মাওলানা মৌলবী সাহেবেরা ও পরিধান করেন।উহা কেন জায়েজ হবে? মসুলমান পরিধান করার কথা জুব্বা-সেলোয়ার -পাগড়ি,যাহা নবী করিম (স:)পরিধান করেছেন-উহাতে এলার্জি কেন?আরবের প্রধান খাদ্য খেজুর,বাঙ্গালীদের ভাত,হিন্দু বাঙ্গালীদেরও ভাত-মাছ প্রধান খাদ্য।মসুলমান বাঙ্গালী কেন ভাত, মাছ খাবে? অর্ধেক জায়েজ, অর্ধেক নাজায়েজ কেন হবে? পরিশেষে অন-লাইন, অপ-লাইনের সকল বন্ধুদের, অন-লাইনের লেখক,সাহিত্যিক,কবি সব বন্ধুদের জানাচ্ছি বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।সকল গ্রুপ এডমিন,গ্রুপ সদস্য,পেইজবুক বন্ধুদের জানাচ্ছি অকৃত্তিম ভালবাসা,সবাই ভাল থাকবেন, সুন্দর থাকবেন, আনন্দে ভরে যাক সবার জীবন এই কামনায়-- * Bangla Desh Awami League Friend's (Public Group) * I Love Bakshal. (Page) * The Dream's Of Bangla Desh (page) countries71blogspot.com. (web) জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা বঙ্গরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি

মুজিব আদর্শে বিশ্বাসীদের অনিয়ম,অব্যবস্থাপনা, অসামঞ্জস্য সরকারের দৃষ্টিতে নেয়ার দায়িত্ব নিতে হবে----- ********************** বিরুধীদলের অস্তিত্ব যেহেতু বিলীনের পথে মিডিয়া,অনলাইন বিরুধী দলের ভুমিকা পালন করতে হবে।যেখানে অসামঞ্জস্য, দুর্নীতি,অনিয়ম সেখানেই প্রতিবাদের দুর্গ গড়ে তোলে সরকারের শীর্ষ পয্যায়ের নজরে নিতে হবে।সরকার জনগনের -জনগনের মনের ভাষা বুঝেই দেশ শাষন করতে আগ্রহী।জনগনই সর্বতো সহযোগিতা করতে হবে জাতির জনকের কন্যাকে।বিদ্যমান বিরুধীদল অস্তিত্ব সংকটে পড়ে দেশ ও জনগনের কল্যানে কোন রাজনৈতিক কর্মসুচি দেয়ার যোগ্যতা হারিয়ে পালানোর পথ খুজছে।এমনি সংকট মহুর্তে জনগনকেই গনতন্ত্র,দেশ ও জাতিকে উন্নতি অগ্রগতির পথে এগিয়ে নেয়ার ভুমিকা পালন করতে হবে। সকল প্রকার অনিয়ম,দুর্নীতি, অসামাজিক কায্যক্রম,লুটপাট,ঘুষ ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য নির্ভর সংবাদ সংগ্রহ করে প্রতিরোধের দুর্গ গড়ে সরকারের শীর্ষ পয্যায়ের নজরে নিতে হবে।সরকার যেহেতু জনগনের,জনগনের কল্যানে কাজ করতে আগ্রহী সেহেতু জনগনের সমস্যাও সমাধানে বদ্ধপরিকর। আসুন আমরা সবাই স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করি।আমাদের আন্তরিক সহযোগিতাই পারে গনতন্ত্র, উন্নয়ন, অগ্রগতির চাকা সচল রেখে দেশকে জাতির জনকের সোনার বাংলায় রুপান্তর করতে। অস্তিত্ব হীন বিরুদীদলের জনকল্যান কর্মসুচির আশা না করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লড়াকু সৈনীকেরা অন-লাইন,অপ-লাইন,পত্রপত্রিকা, ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ায় যতটুকু সম্ভব অসামঞ্জস্য,অনাচার, অবহেলার চিত্র তুলে ধরি।ইনশাল্লাহ সরকারের নজরে নিতে পারলেই শতভাগ নিশ্চিত হতে পারি তৎক্ষনাৎ উক্ত সমস্যা সমাধানে সরকারবদ্ধ পরিকর। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা

ছবি

চতুর্থ দফায় ৫৫টিতে প্রার্থী নেই বিএনপির--রাজনীতি বিশ্লেষকগন, সুশীল সমাজ এবার কি বলবেন--? _______________________________ তিন দফা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের মতো চতুর্থ দফায়ও বেশ কিছু জায়গায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দিতে পারেনি বিএনপি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে পত্রপত্রিকার খবর থেকে জানা যায়-- এই দফায় ৫৫টি ইউনিয়নে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। আগামী ৭ মে চতুর্থ দফার ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। সব মিলিয়ে এই দফার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর সংখ্যা তিন হাজার ৭২৫ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৭২৭, বিএনপির ৬৭২, জাতীয় পার্টির ১৭৮ ও স্বতন্ত্র এক হাজার ৯১২ জন প্রার্থী। এছাড়া এই দফায় ছয়টিতে একক প্রার্থী হিসেবে জয়ের পথে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। চতুর্থ দফা নির্বাচনে ২৭ মার্চ ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ এপ্রিল। প্রসঙ্গত, প্রথম দফা নির্বাচনে ৭১ টি, ২য় দফায় ৬১টি এবং ৩য় দফায় ৪২টিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দিতে পারেনি বিএনপি। নির্বাচন ঘোষনার আগেই আমি ধারাবাহিক লিখায় বলতে চেয়েছিলাম,ঘোষিত ইউপি নির্বাচনে পৌর নির্বাচনের মতই কোন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবেনা। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা নির্বাচন পয্যন্ত আমার লিখায় কেউই আস্থা আনতে পারেনি।আমি বলতে চেয়েছিলাম নির্বাচনে সরকারি দল শক্তি প্রয়োগ করবে।বহুস্থানে সফলও হবে।দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার নতুন কিছু নয়।তাছাড়া পশ্চিমা গনতন্ত্রে শক্তি প্রয়োগের অলিখিত রীতি বহু যুগ আগে থেকেই পৃথিবির দেশে দেশে দৃশ্যমান।বাংলাদেশেও অতীতের সকল নির্বাচনে এর ব্যাত্যায় ঘটেনি এখনও ঘটবে বলে আশা করা যায়না। মুলত:বিএনপির তৃনমুলে বেহাল অবস্থাই নির্বাচনে সহিংসাতার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।অনেক বিশেষজ্ঞ সহিংসতার জন্য নির্বাচন কমিশনকে দোষ দিতে ভুল করছেন না।সরকার ও একপয্যায় নির্বাচন কমিশনকে দোষ দিতে ভুল করেনি।অথছ নির্বাচন কমিশন কাঁদানে গ্যাসের স্থলে গুলি ব্যবহার করেও সহিংসতা থামাতে পারেনি।এই সমস্ত সহিংসতা আবার আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরেই ঘটেছে।দেশের কোন ইউনিয়নের নির্বাচনে প্রতিপক্ষ বিএনপির সাথে সংঘর্ষ হয়েছে খবর পাওয়া যায়নি।অর্থাৎ কোথাও বিএনপি প্রতিরোধের চিন্তা করেনি বা প্রতিরোধ করেনি।অন্যভাবে বলা যায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের সাথে সমঝোতা পুর্বক ভোট যুদ্ধ থেকে বিএনপি প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছে। তৃতীয় দফা নির্বাচনে বিএনপি ৫০ইউপির নির্বাচন বাতিল চেয়েছিল।অর্থাৎ বাদবাকি ইউনিয়নে নির্বাচন সুষ্ঠ ছিল।নির্বাচন কমিশন সাংঘর্ষিক আরো তের ইউনিয়ন সহ প্রায় ৬৩ ইউপির ভোট বাতিল করেছে।নির্বাচন কমিশনের বাড়তি ১৩ ইউপিতে বিএনপির প্রার্থী ছিলনা বা বিএনপির সাথে সংঘর্ষ হয়নি-তাই দাবিও করেনি। তৃতীয় দফা নির্বাচনের পর বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রায় পাকাপাকিই করেছিলেন।রাতে নেতাদের সাথে আলোচনায় দলীয় প্রার্থীদের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সমঝোতা, ভোট যুদ্ধে অংশ না নেয়া, তৃনমুলে নির্বাচনকে তেমন রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিনত না করা,নেতাদের গনবিচ্ছিন্নতা, অনেক ইউনিয়নে প্রার্থী না পাওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলি উঠে আসে। ভোট কারচুপির ইউনিয়ন গুলীর উপর জরিপ চালিয়ে দেখতে পাওয়া যায় ঐ সমস্ত ইউপিতে বিএনপির প্রার্থী কোন কোন ইউনিয়নে থাকলে ও কেন্দ্রে নীজের ভোটও দিতে আসেননি এবং কি কোন এজেন্ট ও নিয়োগ করেননি।সংগত কারনে একক মাঠ পেয়ে সরকারি দল ভোট কারচুপি করতে পেরেছে বা করেছে। উল্লেখিত কারন বিশ্লেষন পুর্বক নির্বাচন মনিটরিং করার জন্য কেন্দ্র, জেলা, উপজেলায় একাধিক কমিটি করে ভোটে থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।চতুর্থ দফা নির্বাচনে মনিটরিং কমিটি আপ্রান চেষ্টা করেও প্রায় ৫০ ইউপিতে কোন প্রার্থী জোগাড় করতে পারেননি। বিএনপির হাইকমান্ডের মনিটরিং এর কারনে এবার দেশের কোথাও নমিনেশনপত্র কেড়ে নিয়েছে বা নমিনেশন দাখিল করতে দিচ্ছেনা, সরকারি দলের মাস্তানেরা -- এইরুপ কোন অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। সরকার এবং নির্বাচন কমিশন আগের তুলনায় চতুর্থ দফা নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়ে ভোটের আগেই সরকারি দলকে দমানোর মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে।তেমন কোন অভিযোগ না পাওয়ায় সরকার কাউকে দমন করতে পারেনি-সরকার ও নির্বাচন কমিশন হতাশ হয়েছেন। নির্বাচন বিশ্লেষক, টকশোর সুশীল, রাজনীতিবীদ, সমাজের গন্যমান্য ব্যাক্তিগন নির্বাচন শুরুর প্রথম থেকে হতাশার সাগরে নিমজ্জিত হয়ে গেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙ্গে গেছে, গনতন্ত্র হুমকির মুখে ইত্যাদি আলোচনা- সমালোচনা অব্যাহত রেখেছেন। অথছ তাঁদের মুরুব্বিদের শাষন বাংলাদেশের মানুষ খুব কাছ থেকে দেখেছে।শিল্পপতি, ব্যবসায়ীরা কিভাবে দেশত্যাগ করে প্রানে বেঁচেছে লক্ষ করেছে।ক্ষমতার লিপ্সা তাঁদের কোথায় নিয়ে গিয়েছিল তাও অনুধাবন করতে পেরেছে।বাহিরে থেকে হম্ভিতিম্ভি করা যায়,রাজনীতি করা যায়না,দেশ শাষন করা যায়না। মাঠপয্যায় ত্যাগি, আদর্শবান, নিবেদিত নেতাকর্মীর উপস্থীতি না থাকলে জনপ্রীয় দলের ও পতন হতে বাধ্য।বিএনপির হয়েছেও তাই,ধাক্কা দিয়েও নেতাকর্মীদের মাঠে আনা যাচ্ছেনা।শীর্ষ নেতৃত্ব ভুল করলে মাসুল পুরূ দলকেই দিতে হয়। চতুর্থদফা নির্বাচনে সর্বাত্মক চেষ্টা করেও৫০ ইউপিতে প্রার্থী দিতে না পারা অভিজ্ঞ রাজনীতি বিশ্লেষক গন কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন জানিনা।অনেক স্থানে বিএনপি নেতাদের ভোটের প্রতি অনীহার কারনে বিএনপিকে জামায়াতের স্থানীয় নেতাদের অনিচ্ছা সত্বেও ধানের শীষ কাঁধে তুলে দিতে হয়েছে।তবে আশার কথা, এই ধাপে বৃহত্তর নোয়াখালীতে বেশ কিছু ইউপিতে নির্বাচন হবে।হয়তবা তাঁদের ঘাঁটি নোয়াখালী হিসেবে কিছু আসন বেশী পেতে পারেন।এতেও হারের লজ্জা ঢাকা যাবেনা। বৃটেনের নিম্ন কক্ষ একটি প্রতিবেদন চাপিয়েছে কিছু দিন আগে।প্রখ্যাত পত্রিকা ইকনোমিষ্টও কমন্স সভার সাথে একমত প্রকাশ করেছে।তাঁরা বলতে চেয়েছে দ্ব্যর্থ্যহীন ভাবে--"বিএনপি বাংলা দেশের পরিবর্তিত পরিস্থীতির সাথে তালমিলিয়ে রাজনীতি করার যোগ্যতা রাখেনা।"ইঙ্গিত পুর্ণ বক্তব্যে আরও একধাপ এগিয়ে শিরোনাম করেছে--"খালেদা দীর্ঘমেয়াদি জেলে থেকে রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়বেন।" পরিশেষে বলতে চাই,সমশক্তি সম্পন্ন রাজনৈতিক দল, সাহষী নেতৃত্ব, সুদুরপ্রসারী চিন্তাচেতনা, যুগ উপযোগি কর্মসুচি প্রনয়ন, ত্যাগী কর্মীবাহিনী, আদর্শের প্রতি অনুগত নেতা, নির্লোভ তৃনমুলের নেতাকর্মী যে দল সৃষ্টি করতে ব্যার্থ্য হয়েছে -সময়ে সেই দল বিলীন হবেই হবে। লোভি নেতাকর্মী দিয়ে আর যাই হোক রাজনীতি করা যায়না, নির্বাচন করা যায়না, সরকার পরিচালনা করা যায়না, দেশ শাষন করা যায়না- প্রকৃষ্ট প্রমান মুসলিম লীগ, আজকের বিএনপি।মানুষ টিকে থাকার একমাত্র উপায় নীতি এবং চরিত্র-রাজনৈতিক দল টিকে থাকার একমাত্র উপায় আদর্শ।বিএনপি নেত্রীর নীতিও নেই চরিত্রও নেই--বিএনপি দলের আদর্শ বা উদ্দেশ্য কিছুই নেই।সুতারাং যেভাবে উৎপত্তি সেই ভাবেই বিনাশ। ________________________________ ________________________________ জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা বঙ্গরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি

ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার গনতন্ত্র, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মানে প্রকৃত ভুমিকা পালন করার সময় এসেছে---- ___________________________________ এমন একটি সময় ছিল যখন পত্রপত্রিকা, ইলেকট্রোনিক মিডিয়া বলতে- হাতে গোনা কয়েকটি পত্রিকা আর বাংলাদেশ টেলিভিশন।তাও আবার বাংলাদেশের সব জায়গায় পত্রিকাও পাওয়া যেতনা টিভিও দেখা যেতনা।তখনকার পরিবেশে গ্রামের মাতব্বরের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করতে হত ব্যাক্তি রাজনীতির ধারনা। আমি বলছি সামন্ততন্ত্রের পরের কথা।সামন্তপ্রথা উচ্ছেদ হয়েছে অনেক আগেই কিন্তু রেশ রয়ে গেছে সামাজিক অনোন্নতির-অনগ্রসরতার কারনে।এখন সমাজ অনেক এগিয়ে গেছে।পত্রিকার সংখ্য অনেক গুন বেড়েছে, ইলেকট্রোনিক মিডিয়াও আকাংখার চাইতে অনেক গুন বেশি বেড়েছে।একটি টিভি ষ্টেশনের বার ঘন্টা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ক্ষেত্রে যুক্ত হয়েছে শতশত মিডিয়ার দিন রাত ছব্বিশ ঘন্টা অনুষ্ঠান সম্প্রচার। এক দেড় ঘন্টা বিনোদনের স্থলে ছব্বিশ ঘন্টা বিনোদন মুলক অনুষ্ঠান উপভোগের ব্যবস্থা হয়েছে। ঘরে ঘরে টিভি দেখার সুযোগ হয়েছে।হাতের মধ্যে মেঠোফোনে দুনিয়ার খবর সংরক্ষিত আছে।ইচ্ছে হলেই দেখা যায় পড়া যায়।গুরুত্বপুর্ন তথ্য উপাত্তের জন্য কারো দ্বারস্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই- গুগল চার্জ দিলেই পাওয়া যাচ্ছে কাংখিত তথ্য। সভ্যতার অগ্রগতির সাথে পাল্লা দিয়ে সামাজিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনায়নের নীতিহীনতার কারনে সর্বত্র দেখা দিচ্ছে বৈপরিত্ত। সমাজ কাংখীত অগ্রগতি লাভ করছে ঠিকই --নেমে যাচ্ছে নীতি নৈতিকতার মান।বাড়ছে মানুষের সংখ্যা,কাজের পরিধি-নামছে ধর্মীয় চেতনাবোধের সুচক।সমাজ রুপান্তরীত হচ্ছে তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভরতায়-ধর্মে ধারন হচ্ছে অন্ধত্ব, উগ্রতা।জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমান্তরালে এগিয়ে যাচ্ছে নারী পুরুষ-সমাজে বাড়ছে অবক্ষয়, নগ্নতা।রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন আইন-বাড়ছে হত্যা গুম,নারী নির্য্যাতন। ইত্যকার ইতিবাচক উন্নয়ন অগ্রগতির সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে নেতিবাচক কর্মের পরিধি।সর্বক্ষেত্রে বিপরীত মুখী, পশ্চাদপদতা, উগ্রতা, অসহনশীলতা, বাগাড়ম্বরতায় সমাজ ব্যবস্থায় ধীরে ধীরে নেমে আসছে অন্ধকার যুগের আদিম নেশা। দেশের মিডিয়া সমুহ এক্ষেত্রে সমাজ পরিবর্তনের ধারাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য যে ভুমিকা পালন করার দরকার ছিল তা পালন করতে পারছে বলে মনে হয়না। এক্ষেত্রে আমি ছোট দু'টা উদাহরন দিতে চাই।কোন নারী ধর্ষিতা হলে ছবি চাপানোর কথা ছিল ধর্ষকের -মিডিয়া ধর্ষিতার ছবিতো চাপেই বরং ধর্ষিতা কোন প্রকৃতির ছিল তাও ব্যাখ্যা করার অপপ্রয়াস চালায়।যে কোন নির্বাচনে দেখা যায় পাঁচটি কেন্দ্রে গোলমাল, মারামারি ইত্যাদি সংঘটিত হয়েছে-মিডিয়া সারা দিনরাত ঐ পাঁছটির চিত্রই দেখাতে থাকে-পঞ্চাশ কেন্দ্রে স্বাভাবিক ভোট প্রক্রিয়া সমাপ্ত হচ্ছে বা স্বাভাবিক ছিল ঘুনাক্ষরেও সেদিকে ক্যামরা যায়না। সাধারন মানুষ এই থেকে যে বার্তাটি পায় তা হচ্ছে মেয়েদের নগ্নতার কারনে মেয়েরা ধর্ষিতা হচ্ছে।ভোট জনগন নিজের পছন্দমত প্রার্থীকে দিতে পারছেনা। সন্ত্রাস নির্ভর ভোটে স্বাভাবিকভাবে মানুষ আস্থা হারিয়ে ভোট প্রক্রিয়া থেকে দূরে সরে যাবে।এতে গনতন্ত্রের বা নির্বাচন প্রক্রিয়ার পিছনে মিডিয়া ছুরিকাঘাত করছে তা মিডিয়ার জ্ঞানে আসছেনা। মিডিয়া প্রকারান্তরে মেয়েদের ঘরের মধ্যে আবদ্ধ রাখার কাজে সাহায্য করছে তাও তাঁদের জ্ঞানে আসছেনা। এক্ষেত্রে মিডিয়া দেশের প্রতিতযষা,জ্ঞানী, গুনী, বিশেষজ্ঞদের নিয়ে স্ব-স্ব বিষয়ের -অনুষ্ঠান সম্প্রচার করার প্রয়োজন ছিল।যে বিষয়ের উপর আদৌ কোন জ্ঞান রাখেনা সেই বিষয়ে বলতে দেয়া হয় আনাড়ি কিছু ব্যাক্তি বিশেষকে।ফলত: দেখা যায় উদ্ভট তথ্য উপাত্তের বিরক্তিকর ছড়াছড়ি। ইদানিং রাজনৈতিক দলসমুহের সভা সমাবেশ নেই বললেই চলে।মানুষের রাজনীতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ আমাদের দেশে আগে থেকেই সহজাত প্রবৃত্তি হিসেবে যুক্ত হয়ে আছে।তাঁর মনের আগ্রহ যেহেতু পুরন করার জন্য দলগুলি কোন ব্যবস্থা নেয়না সংগত কারনে মিডিয়ার রাজনৈতিক 'টকশোর' দিকেই তাঁর মনোযোগ।ফলে গভীররাত পয্যন্ত অপেক্ষা করে হলেও সে টক শো শুনবেই।শহরের লোকদের চাইতে গ্রামের লোকেরাই এই সমস্ত সস্তা আলোচনা শুনতে চায় বেশি। দর্শক শ্রোতাদের এমনতর দুর্বলতার সুযোগে মিডিয়া গভীর রাতে অচেনা অজানা, অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত তৃতীয় শ্রেনীর রাজনীতিবিদদের টিভি সেন্টারে হাজির করে 'সমসাময়িক রাজনীতির' উপর আলোচনার আয়োজন করে।মারমুখি আলোচনা শুনতে মানুষের অবশ্যই ভাল লাগে।ভাল লাগার মাঝে ঐ ব্যক্তিটি যে উদ্ভট,মিথ্যা, অসামঞ্জস্য তথ্য দিয়ে সরল্প্রান গ্রামের দর্শককে বিভ্রান্ত করেছে তা কি মিডিয়া কতৃপক্ষ চিন্তা করেছেন? যদি চিন্তা করে থাকেন-- টকশোর বয়সতো আর কম হয়নি-নিয়ন্ত্রন করতে পারেননি কেন? দেশের রাজনীতির বিষয় সম্পর্কে সাধারণ মানুষই শুধু নয়, স্বয়ং রাজনীতিবিদরাও নিজেদের ভুল ত্রুটি, সবলতা ও দুর্বলতা বুঝতে পারেন, জানতে পারেন। এছাড়া জাতীয় নানা ইস্যু নিয়েও সে রকম আলোচনা-সমালোচনা হলে সরকার রাজনৈতিক দল সংশ্লিষ্ট সংস্থা সমৃদ্ধ হতে পারে। আসল কথা হচ্ছে, আমরা আসলে টকশোকে কীভাবে দেখতে চাই, শেখার জন্য, নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য? ইলেকট্রনিক মিডিয়া অত্যন্ত শক্তিশালী গণমাধ্যম। ইচ্ছা যদি সৎ থাকে মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের দেশ ও সমাজের অনেক কিছুই পরিবর্তন করা সম্ভব, আমি মনে করি। এটিকে শিক্ষার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হিসেবেও বিবেচনা করা যায়,হওয়ার কথা ছিলও তাই। মিডিয়া শুধু বিনোদনের মাধ্যমেই নয়- জীবন সম্পর্কে সচেতন, সমাজের বৈশম্য সম্পর্কে সচেতন করার মাধ্যম হিসেবেও এর কোনো তুলনা হয় না। যেহেতু সবকয়টি টিভি চ্যানেলই বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত সেহেতু তাঁদের আয়ের দিকেই নজর থাকবে বেশি। তাদেরকে চলতে হয় বিজ্ঞাপনের প্রাপ্ত আয়ের ওপর নির্ভর করে। সেখানে তারা অনেকটাই হয়তোবা বাঁধা অবস্থায় রয়েছে। তারপরও সবকটি টিভি চ্যানেলেই যেহেতু 'টকশো' প্রোগ্রাম প্রচারিত হচ্ছে, তাই অনুষ্ঠানগুলোকে দেশ এবং জাতি গঠনে, রাষ্ট্র-রাজনীতি এবং শিক্ষা-সংস্কৃতি সচেতন জনগোষ্ঠী গঠনে উপযোগি করে নির্মান করা প্রয়োজন। সরকারও যুগ-উপযোগি সম্প্রচার নীতিমালা করা দরকার-যাতে কোন অবস্থায় টিভি চ্যানেলগুলি অর্থ সংকটের মুখোমুখি না হয়। দুনিয়ার অনেক দেশেই ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় টকশো প্রচারিত হচ্ছে-প্রয়োজনে তাঁদের থেকে অভিজ্ঞতা ধার নেয়া যেতে পারে। অনুষ্ঠানের মান, প্রচারের ধরন, সময়, উপস্থিত বক্তার সামাজিক মায্যদা,আলোচিত বিষয়ের উপর তার দক্ষতা আমাদের মিডিয়া বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন। জনগনকে শুধু বিভ্রান্ত করা নয় -উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করার প্রকল্প গ্রহন করার সময় এসেছে।বস্তাপঁচা অযৌক্তিক বিতর্ক নয়-যৌক্তিক তথ্যভিত্তিক, জ্ঞান সমৃদ্ধ শিক্ষনীয় আলোচনার আয়োজন করার সময় এসেছে। টকশোগুলোকে আরো বেশি জ্ঞানমুখী, সমাজ, শিক্ষা ও সংস্কৃতিমুখী করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়ার সময় এসেছে। অনুষ্ঠান পরিকল্পনায় সবশ্রেনী পেশার জনগনের প্রতি খেয়াল করা দরকার। যাতে রাজনীতিক দল, ব্যাক্তি, সমাজ, সরকার জানতে পারে, সংশোধন হতে পারে, ভুলগুলি চিহ্নিত করে--শোধরানোর রাস্তা পেতে পারে। রাজনীতির আকাল সময়ে গনতন্ত্রকে সচল রাখতে প্রকৃত বিরুধী দলের ভুমিকায় অবতিন্ন হতে হবে মিডিয়া। সার্বক্ষনিক বস্তুনিষ্ট, তথ্য নির্ভর সংবাদ জনগনকে জানানো মিডিয়ার দায়িত্ব।আমাদের দেশের ব্যাংকের টাকা চুরি হয়- ফিলিপাইনের সাংবাদিক খবর পেলেও আমাদের চতুর সাংবাদিকেরা ঘুমে থাকে। আজগুবি খবর প্রকাশে যতটুকু বাহাদুরী দেখায় তার সামান্য মেধা বস্তুনিষ্টতায় খাটালেও দেশ এবং জনগনের অনেক বেশি কল্যান হতে পারে। ________________________________ জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা বঙ্গরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

বাংলাদেশি ব্লগারদের আশ্রয় দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র_____সুক্ষ মেজাজে উস্কানি। _______________________________ বাংলাদেশে ব্লগারদের মধ্যে যারা হুমকির মুখে আছেন তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র মার্ক সি টোনার এ কথা বলেন। ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজিম উদ্দিন সামাদ হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মার্ক টোনার বলেন, উগ্রবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রামের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের দুই রাজনৈতিক মহিরুহের মধ্যে একটি জঙ্গি পৃষ্টপোষকতা,জঙ্গি লালন,আগুন সন্ত্রাস,নাশকতা, লুটপাটের অভিযোগে জনগনের হৃদয় থেকে ২০দলীয় জোটের প্রধান বিএনপি এবং তাঁর নেত্রী খালেদা জিয়ার নাম মুছে যাওয়ার মহুর্তে-- যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশী ব্লগার -যারা 'নাস্তিকতায় বিশ্বাসী' তাঁদের রক্ষা করার জন্য সে দেশে নাগরিকত্ব দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছে বলে পত্র- পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। খবরটি এমন একসময় প্রকাশ পেল সরকার যখন খোদাদ্রোহি নাস্তিক্যবাদ,সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে জিরু টলারেন্স ঘোষনা করে সাঁড়াষি অভিযান অব্যাহত রাখার একাধিক ঘোষনা দিয়ে কাজ শুরু করে সফলতার দ্বার প্রান্তে উপস্থিত হয়েছে-- তখন তাঁদের দরদ নাস্তিকদের জন্য উত্থলে উঠেছে।সরকার নাশকতা, জঙ্গি উত্থান রোধ কল্পে ইতিমধ্যে নেয়া পদক্ষেপের কারনে সমাজে, দেশে স্বস্তির সুবাতাস দৃশ্যমান হ'তে শুরু করেছে তখনই তাঁরা ঘোষনাটি প্রকাশ করে 'নাস্তিক'দের উস্কানি দিল। তাঁর আগে সরকারের হস্তক্ষেপ ব্যতিরেকে ২৮বছর আগের রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত হাইকোর্টের একটি রিট স্বয়ংক্রিয় ভাবে কায্যতালিকায় আসে, আদালতে ইহার শুনানীও যথারীতি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানীতে রাষ্ট্রপক্ষ রীট আবেদনের বিপক্ষে এটর্নি জেনারেলকে আইনি লড়াই থেকে বিরত থাকার এবং রাষ্ট্রধর্ম বহালের পক্ষে আইনি লড়াই করার নির্দেশ দেয়ার পরেও ষড়যন্ত্রকারিরা পোষ্টার, ফেষ্টুন করে বলতে থাকে, "রাষ্ট্রধর্ম ছিল, আছে, থাকবে"। জনগনকে বিভ্রান্ত করার প্রক্রিয়া থেকে এখনও তাঁরা সরে আসেনি।এমনি মহুর্তে একজন "ব্লগার"হত্যার রেশ ধরে যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি ঘোষনা দেয়ার আনুষ্ঠানিকতায় জড়িত হয়েছেন, যে ঘোষনায় 'নাস্তিক'দের জন্য বেহেস্তের দরজা খোলে দেয়ার সমতুল্য আমি মনে করি। চোর, চেঁছড়াও এই ঘোষনায় সহজে আমেরিকায় অভিবাসনের আশায় আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল সম্পর্কে বিদ্রুপাত্বক মন্তব্য করা শুরু করলে-- ধর্মভীরু মুসলিম কিছুতে মেনে নিবেনা।সুতারাং সহজে হানাহানির একটা পথ সৃষ্টির অপপ্রয়াসে আমেরিকার এই ঘোষনা- এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ আছে বলে আমি মনে করিনা। কিছুদিন আগে ওয়ার্ল্ড জার্নালে বর্নবাদ, সন্ত্রাস, আইন শৃংখলা, গুপ্তহত্যা, বিনাবিচারে হত্যা ইত্যাদির উপর এক গভেষনা জরিপের ফলাফল প্রকাশিত হয়। উক্ত জরিপের ফলাফলে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের চেয়েও বাংলাদেশ অনেক বেশি নিরাপদ এবং সুচকে বাংলাদেশ অগ্রগামি। তখনও সুক্ষ একটি প্রপাগান্ডা লক্ষ করা গেছে।আমাদের দেশের কিছু পত্র পত্রিকা সব দেশের তুলনামুলক প্রতিবেদন না ছাপিয়ে একক ভাবে, আলাদা করে বাংলাদেশের চিত্রটি নেতিবাচক ভঙ্গিতে উপস্থাপন করে।সাধারনের চোখে ফাঁকি দিয়ে ফায়দা লুটার মানসে এহেন কর্মকান্ড সুযোগ পেলেই তাঁরা করে থাকে। আজকের এই খবরটিও ঠিক ঐ ধারার পত্রিকায় চাপিয়ে ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছে বলে আমি মনে করি। সাম্রাজ্যবাদিচক্র সম্যক অবগত আছেন, এই উপমহাদেশে ধর্মের ব্যবহার ছাড়া তাঁদের স্বার্থ অন্যকোন ইস্যুতে সম্ভব নয়।সুতারাং বার বার ধর্মকে ব্যবহার করে ফায়দা হাসিল করেছে এখনও ধর্মকেই মুল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাঁরা জানে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার, যেমনি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আপোষহীন তেমনি ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধেও আপোষহীন।নাস্তিক একদিনে সৃষ্টি হয়নি,দীর্ঘদিন তাঁরা তাঁদের লেখনি চালিয়ে আসলেও কোন সরকারের নজরে আসেনি।আওয়ামী লীগ খমতা গ্রহনের পরই তাঁদের হুশ হয়েছে 'নাস্তিক' আছে, নাস্তিকদের খতম করতে হবে।অশুভশক্তির উৎস বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে সিংহভাগ নাস্তিক থাকলেও তাঁদের চোখ পড়েনা,এখানে কে কখন তাঁর ব্লগে কি লিখেছে, তাঁর খোঁজে অহর্নিশি ঘুম হয়না। আমি তাঁদের জিজ্ঞাসা করতে চাই বর্তমান বিএনপির মহা-"সচিব কোন আস্তিকের ঘরে জম্ম নিয়ে আস্তিকের নেতৃত্বে আসিন হয়েছে?" জাতিরজনক নাস্তিকদের দেশ থেকে বের করে দেয়ার উদাহরন আছে,তাঁর কন্যার নাস্তিকদের বিচার করার জন্য জেলে রেখেছে,আর কোন আস্তিক সরকার নাস্তিকের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছে উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?নাস্তিক কি সাত বছরে জম্ম নিয়েই-লিখা শুরু করেছে? আমেরিকা বাংলাদেশের প্রকৃতবন্ধু হলে বলতেন --সকল জঙ্গিহামলার বিরুদ্ধে, ধর্মদ্রোহির বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তাঁর দেশের অবস্থান। বাংলাদেশের বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যার আসামীদের নাগরিকত্ব দিয়ে রক্ষা করা যে দেশের নীতি,বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারিদের আশ্রয় দেয়া যে দেশের আদর্শ সেই দেশ নাস্তিকের নাগরিকত্ব দিবেনা আর কার দিতে পারে? মুল কথা হচ্ছে তাঁদের সৃষ্টির ধ্বংসে তাঁরা বেসামাল।কি পদক্ষেপ নিলে অশুভশক্তিকে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আনা যাবে তাঁর চিন্তায় দিশেহারা। এইযাবৎ কমপক্ষে বিশের অধিক ষড়যন্ত্র জাতির জনকের কন্যার দুরদর্শিতায় নস্যাৎ হয়ে গেছে। ২০১৪ ইং সালে চুড়ান্ত ষড়যন্ত্র ড. ইউনুসকে দিয়ে তত্বাবধায়ক সরকার গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আমেরিকা। খমতা গ্রহন করে- মালশিয়ার "মাহাথির" সিষ্টেমে যুগের পর যুগ শাষন শোষনের পরিকল্পনা করেছিল।শেখ হাসিনার দৃড়তায় পরিকল্পিত পরিকল্পনা ফলপ্রসু না হওয়াই আমেরিকার অন্তজ্বালা।ধর্মদ্রোহিদের আশ্রয় দিয়ে হলেও মনের সেই জ্বালা মিটাতে চায়। এতবড় পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আমাদের তথাকথিত ইসলামের ধারক বাহকেরা সাধারন একটা প্রতিক্রিয়াও প্রকাশ করেনি।ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বললে চাপাতির নিছে যেতে হবে,কিন্তু আমেরিকা গেলে দুষনীয় নয়। আমেরিকা নাগরিকত্ব দিলে কি তাঁদের ব্লগ ডিএক্টিব থাকবে? কলমে কি কালি ফুরিয়ে যাবে?এরাই আমাদের ধর্মীয় শাষন উপহার দিতে চায়।এদের পিছনেই আমাদের সেজদা দিতে হবে,এরাই আমাদের ইমাম --!! ______________________________ জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা বঙ্গরত্ম শেখ হাসিনা।

ছবি

বৃটিশ কমন্স সভার সঙ্গে দ্যা ইকোনোমিষ্টও একমত---বিএনপি ব্যাকফুটে। _______________________________ ‘বিএনপি ব্যাকফুটে’—এমন পর্যবেক্ষণ শুধু ব্রিটিশ প্রতিবেদনটির সারমর্মতেই নয়, মূল প্রতিবেদনের একটি অনুচ্ছেদের শিরোনামেও বলা হয়েছে। ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির আন্দোলন ২০১৫ সালে ক্রমান্বয়ে স্তিমিত হয়ে আসে। আর এটিকেই খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক পরাজয় হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। আন্দোলনের সময় শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। দি ইকনোমিস্ট বিএনপিকে ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে অক্ষম’ দল হিসেবে বর্ণনা করেছে। ‘কৌশল পরিবর্তন?’ শিরোনামে এক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগের মুখোমুখি খালেদা জিয়া ২০১৫ সালে প্রায়ই সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। পরবর্তী সংসদীয় নির্বাচন দুই বছর এগিয়ে আনার দাবিও তিনি তুলতে শুরু করেছিলেন। ২০১৯ সালে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। যত দ্রুত সম্ভব নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন সংসদ নির্বাচনের যে দাবি বিএনপি করছে তা মানা হলে দলটি তার অবস্থানে ছাড় দিতে পারে বলে জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। তবে এ দাবি পূরণের সম্ভাবনা বাস্তবে অনেক দূরে। সরকার বিভিন্ন সময় সংলাপের জন্য প্রস্তুত থাকার কথা বললেও নির্বাচনকালীন পুরনো সরকার ব্যবস্থা (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) পুনর্বহাল করার আগ্রহের কোনো লক্ষণ দেখায়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপি গত ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে দেশজুড়ে পৌরসভা নির্বাচন বর্জন করতে পারে বলেও জল্পনা-কল্পনা ছিল। তবে নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হবে না—এমন দাবি করেও বিএনপি শেষ পর্যন্ত এতে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আওয়ামী লীগ ওই নির্বাচনে তিন-চতুর্থাংশ পদে জয়ী হয়। ___________________________ জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু

ছবি

বৃটিশ হাউস অব কমন্সের বার্ষিক প্রতিবেদনের শিরোনাম _________________________________ দীর্ঘ মেয়াদে কারাভোগ করে রাজনীতি থেকে ছিটকে যেতে পারেন খালেদা। _________________________সংগ্রহ------- ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাব বাড়ছে। অন্যদিকে দলটির প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি দৃশ্যত আরো পিছিয়ে পড়ছে। বিএনপি ব্যাকফুটে চলে গেছে আর এর নেত্রী খালেদা জিয়া নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর দীর্ঘ মেয়াদে কারাদন্ড হতে পারে এবং তিনি রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়তে পারেন। ২০১৫ সালের শুরু থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিভিন্ন ঘটনা পর্যালোচনা করে বুধবার প্রকাশিত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্স প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে ভূমিকায় বলা হয়েছে, পার্লামেন্টের সদস্য ও তাঁদের স্টাফদের নিরপেক্ষভাবে বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি জানানোর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিষয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এটি ‘কমন্স ব্রিফিং পেপার’ নামে পরিচিত। প্রতিবেদনের একটি অংশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘তিনি লন্ডনে আছেন এবং সেখানেই তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় চাচ্ছেন।’ তারেক প্রসঙ্গে আরো বলা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা রয়েছে। ভবিষ্যতে কোনো একদিন বিএনপিতে তিনি তাঁর মায়ের উত্তরাধিকারী হওয়ার আশা ধরে রেখেছেন। ব্রিটিশ প্রতিবেদনের ‘সারমর্ম’ অংশে বলা হয়েছে, বিএনপি ব্যাকফুটে চলে গেছে। দলটি ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে নির্বাচন বর্জন করে। নির্বাচনী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ধর্মঘট ও অবরোধের মাসগুলো পার করে ২০১৫ সালে দলটির আন্দোলন মরে গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, “২০১৫ সালের শুরুর দিকে পৌরসভা নির্বাচন বর্জনের পরও দলটি গত ডিসেম্বরে এ ধরনের নির্বাচনে অংশ নিয়ে খারাপ ফল পায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যে ২০১৯ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সুবিধা কাজে লাগানোর সংকল্প দেখা যাচ্ছে। সমালোচকরা সরকারের বিরুদ্ধে ‘ক্রমেই কর্তৃত্বপরায়ণ হয়ে ওঠার’ অভিযোগ করছে। কিন্তু সরকার তা নাকচ করছে।” ‘বিএনপি ব্যাকফুটে’—এমন পর্যবেক্ষণ শুধু ব্রিটিশ প্রতিবেদনটির সারমর্মতেই নয়, মূল প্রতিবেদনের একটি অনুচ্ছেদের শিরোনামেও বলা হয়েছে। ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির আন্দোলন ২০১৫ সালে ক্রমান্বয়ে স্তিমিত হয়ে আসে। আর এটিকেই খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক পরাজয় হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। আন্দোলনের সময় শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। দি ইকনোমিস্ট বিএনপিকে ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে অক্ষম’ দল হিসেবে বর্ণনা করেছে। ‘কৌশল পরিবর্তন?’ শিরোনামে এক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগের মুখোমুখি খালেদা জিয়া ২০১৫ সালে প্রায়ই সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। পরবর্তী সংসদীয় নির্বাচন দুই বছর এগিয়ে আনার দাবিও তিনি তুলতে শুরু করেছিলেন। ২০১৯ সালে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। যত দ্রুত সম্ভব নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন সংসদ নির্বাচনের যে দাবি বিএনপি করছে তা মানা হলে দলটি তার অবস্থানে ছাড় দিতে পারে বলে জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। তবে এ দাবি পূরণের সম্ভাবনা বাস্তবে অনেক দূরে। সরকার বিভিন্ন সময় সংলাপের জন্য প্রস্তুত থাকার কথা বললেও নির্বাচনকালীন পুরনো সরকার ব্যবস্থা (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) পুনর্বহাল করার আগ্রহের কোনো লক্ষণ দেখায়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপি গত ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে দেশজুড়ে পৌরসভা নির্বাচন বর্জন করতে পারে বলেও জল্পনা-কল্পনা ছিল। তবে নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হবে না—এমন দাবি করেও বিএনপি শেষ পর্যন্ত এতে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আওয়ামী লীগ ওই নির্বাচনে তিন-চতুর্থাংশ পদে জয়ী হয়। ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাসে হামলায় একজন নিহত ও ২৭ জন আহত হওয়ার ঘটনার মামলায় গত বছর মে মাসে খালেদা জিয়া ও বিএনপির আরো ৩৭ নেতার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম আনুষ্ঠানিক অভিযোগ, যেখানে দুর্নীতির অভিযোগ নেই। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া ও অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গত বছর এপ্রিল মাসে খালেদা জিয়া দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কিত এক মামলায় জামিন পেয়েছেন। গত বছরের আগস্ট মাসে তাঁর কয়েকটি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আইনজীবীর দায়ের করা মামলা হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়ে মামলা চলার পক্ষে রায় দেন। মৃত্যুদ-াদেশ পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর একজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিকও খালেদা জিয়ার সঙ্গে মামলার আসামি। খালেদা জিয়া জামিনে মুক্ত আছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাও আছে। এসব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি দীর্ঘ মেয়াদে কারাদন্ড পেতে পারেন এবং রাজনীতির বাইরে ছিটকে পড়তে পারেন। গত মার্চ মাসে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ইঙ্গিত দেন যে শেখ হাসিনা আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এর প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা দাবি করেন, তাঁকে খালেদা জিয়া হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ীদের বিচার করতে আওয়ামী লীগ সরকারের গঠন করা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কাজ করছেন। ২০১৫ সালে বিএনপির একজন ও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় দুই নেতার ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। সরকারের প্রতিপক্ষ বলে আসছেন যে এ বিচার রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিচারগুলো আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে না—এমনটিও তাঁরা অব্যাহতভাবে বলছেন।’ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ইসলামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি ঘিরে উদ্বেগ ছিল। ২০১৫ সালে চারজন ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগার ও একজন প্রকাশককে ঢাকায় হত্যা করা হয়েছে। বিদেশিরাও হামলার শিকার হচ্ছে। গত বছরের অক্টোবর মাসে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার দেশি জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছে এবং দেশে আইএসের পদচিহ্ন পড়ার ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সাল ছিল বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এক বছর। গত বছরের জুন মাসে দুই দেশ ছিটমহল বিনিময় ও সীমান্ত চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে অনেক দিন ধরে চলে আসা সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। বিশদ পরিসরে আরো অনেক বিষয়েও দুই দেশ চুক্তিতে উপনীত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শেখ হাসিনার সরকারের জনপ্রিয়তা অটুট থাকার তথ্য জনমত জরিপগুলোতে এলেও বিএনপি সেগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করছে। সমালোচকরা অভিযোগ করেছেন, শেখ হাসিনার সরকারের কর্তৃত্ববাদ বাড়ছে। এ সরকার ‘এক ব্যক্তির শাসন’ উৎসাহিত করছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো দাবি করেছে, গণমাধ্যমগুলো কর্তৃপক্ষের চাপে আছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীগুলো বিশেষ করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন সরকারের রাজনৈতিক বিরোধীদের ‘গুম’ ও বিচারবহির্ভূত হত্যায় জড়িত। সরকার এসব দাবি পুরোপুরি নাকচ করেছে। প্রতিবেদনের আরেকটি অংশে বলা হয়েছে, ভারত তার দেশে জেএমবির ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়েছে। ‘বৃহত্তর বাংলা’র ভাবনার প্রতি সহানুভূতিশীলরা সেখানে আছে, এমনটি বলা হচ্ছে। ২০১৫ সালে দুই ব্লগার হত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশ গত বছরের আগস্ট মাসে তৌহিদুর রহমান নামে ৫৮ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। যুক্তরাজ্যে উগ্রবাদ মোকাবিলায় আরো ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ সরকার গত সপ্তাহে ব্রিটিশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে। নিউ ইয়র্কে ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লোপাটের ঘটনায় গত মার্চ মাসে ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের পদত্যাগের বিষয়টিও প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। বলা হয়েছে, এ ঘটনাকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ডাকাতি বলেই মনে করা হয়।

ছবি

ডিজিটাল বাংলাদেশের এনালগ অপ-প্রচার ---------------------------------- এবার অপ-প্রচার চলছে ভিন্নমাত্রায়,ভিন্ন কৌশলে। বাংলাদেশ আগামী কিছুদিনের মধ্যে "ইহুদী রাষ্ট্রি "হয়ে যাবে। বালাদেশ অচিরেই ভারতকে দিয়ে দেয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। আজকে আমার জেলা শহর থেকে সিএনজিতে আসার পথে দুই লোকের কথোপকথন এটি।আগামী কাল ফেনীর প্রান কেন্দ্রে সফি হুজুর আসবেন, সম্মেলনে প্রধান অতিথি হয়ে হেফাজতে ইসলামের। শহরময় সরগরম-শহরের অর্ধেকাংশে মাইক লাগানো হচ্ছে। উনারা কথাটি ফেনীতে শুনে এসেছেন।বলাবলি করছিলেন দুইজনে। আমরা আরও কয়জন ছিলাম কেউ কথা বলছিলনা। আমি আর নীজকে স্থীর রাখতে পারিনি। আমি বলে উঠলাম, আহারে -মুক্তিযুদ্ধারা কতকষ্ট করে দেশটারে স্বাধীন করল,এখন বুঝি ইহুদী রাষ্ট্র হইয়া যাইব। ও- ভাই ইন্ডিয়াতো ইহুদী রাষ্ট্রনা,সংখ্যাগরিষ্ট হিন্দু,তবে ৩৬ জাতির বসবাস আছে শুনি।কেমনে ইহুদী হইব। আমারে বলে আপনি শুনেন নাই -হাসিনা রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বাদ দিছে,আমি বললাম নাতো শুনিনি তো! কবে রে ভাই?ঐ সেদিন কা আর কি। আমি বললাম -- শুনছিলাম আদালতে কি মামলা নাকি হইছিল, আদালত রাষ্ট্র ধর্ম থাকব বলছে -বাদ দিছে এইটাতো শুনলামনা, এটাতো খারাপ কথা,আমরা এত গুলা মসুলমান --সরকার এটা ভাল কাজ করনি।আর একটা কথা শুনলাম আমি-ঐদিন একটা লোকে কইছিল-পাকিস্তানে ছাড়া আর কোন দেশে নাকি "রাষ্ট্র ধর্ম" ইসলাম নাই? এইটা আপনারা কেউ জানেন? মনেহয় পাকিস্তান বানাইবার লাইগ্যা বাংলাদেশেও এক্কই রকম রাষ্ট্র ধর্ম করবার চাইছিল এরশাদ কাকু। ভালই হইত পাকিস্তান হইলে-আমাদের তো এখন আর অভাব নাই,হেরাও মসুলমান আমরাও মসুলমান-আর কোন দেশে এইরহম সাচ্ছা মসুলমান নাই।ওরা যাই করে আমরাও তাই করি-খুব মিল মহব্বত আছে আমাগো লগে-কি কন ভাই--? একজন বলে উঠে-হ-বে -- রে --ভা--ই--হ--বে --আর কিছু দিন অপেক্ষা করেন দেখ--বেন----!! আমি বললাম ভাই বেচাকেনা কি শেষ? ঐ দিন না শুনলাম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে কোথায় নাকি মামলা কইরা সরকারে সাগরে সিমানা নাকি কি পাইছে। পাকিস্তানের এত বছর গেল, বাংলাদেশের এত গুলান বছর গেল-- আমাগো সাগর -তারা দখল কইরা রাখছে শুনি নাই, শেখ হাসিনা কেমনে জানল-মামলাও করল-আবার নাকি জিতছেও কয়। এবার চুপ করে কিছুক্ষন পরে একজন বলে উঠে বাঙ্গালী বেঈমান রে ভাই। আমি বললাম তা ঠিক কইছেন, বঙ্গবন্ধুরে মাইরা পেলাই-লো-না। এখন-তো আর বাঙ্গালী নাই-বেইমানও নাই।মেজর জিয়ায় আমাগোরে বাংলাদেশী বানাইল না, আমরা কি আর বাঙ্গালী আছি?নামটাও মনে হয় ঐ বেইমানির কারনেই জিয়া বদলাইছে, কি কন। এবার নিশ্চুপ উভয়ে,বুঝে গেছে এখানে "নোয়াখাইল্যা" একজন আছে।আর তর্ক করা যাইবনা "গোমর ফাঁস হয়ে যাবে।" বন্ধুগন, দেশের পরিবর্তন হল,উন্নয়ন হল, অগ্রগতি হল,জিডিপি উধ্বমুখি হল-সব ঠিক আছে। আওয়ামী লীগ কি মানুষের মন পরিবর্তন করতে পেরেছে? কেন পারেনি তা কি নেতৃবৃন্দ চিন্তা করেছেন? হাজারে হাজারে নেতা দেখি -কোথাও একটা জনসভার খবর পাইনা কেন? নেতাদের কি বক্তৃতা দেয়ার শখ নাই -না সময় নেই?একটা মাধ্যমিক স্কুলে কমিটি নাই কেন ছাত্রলীগের? খমতা চলে গেলে হবে? তখন প্রধান শিক্ষক সাহেব স্কুলে মিটিং করতে দেবেন? আপনাদের কি মনে হয় আমি জানিনা-আমার মনে হয় উন্নয়ন, জিডিপি ইত্যাদির চাইতে- জনগনের মোটিভেকেশন বেশী প্রয়োজন।অন্যদলের হাজার হাজার নেতাকর্মী যোগ দেয়ার চাইতে -মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একটা কমিটি বেশি প্রয়োজন। নেতাদের প্রত্যহ মহড়া দেয়ার চাইতে-- ছোট একটা সভা বেশি প্রয়োজন। আপনারা কি মনে করেন? ---------------------- জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু

ছবি

জাতির জনকের আদর্শ শেখ হাসিনার প্রেরনা-----খালেদা জিয়ার প্রজেক্ট প্রয়াত স্বামীর পদাংক অনুসরন। _____________________________________ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আরো কিছুদিন জীবিত থাকলে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতা হিসেবে পরিগনিত হতেন। তার নেতৃত্বের দূরদর্শিতা ও তীক্ষতা এদেশের মানুষ অনুভব করতে পারে নাই।তাঁর মৃত্যুর পর একে একে সকল রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ এবং আন্তজাতিক সম্পর্ক, প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সাথে চুক্তি সমুহ মুল্যায়িত হচ্ছে।বিশ্বব্যাপি আলোচিত হচ্ছে তাঁর ধ্যান ধারনা,অসাধারন ব্যাক্তিত্ব, সুদুরপ্রসারী চিন্তা চেতনার। বিশেষ করে স্বল্পকালীন শাষনের দুর্ভিক্ষপীড়িত,খরামঙ্গা মোকাবেলা করে স্থায়ী রাষ্ট্রীয় কাঠামো নির্মানের লক্ষ সমুহ বিশ্ববাসির জন্য শিক্ষনীয় হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে চিরকাল।বিশ্বের নীপিড়িত নিয্যাতীত সংগ্রামী মানুষের অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববরেন্য নেতাদের নানাবিদ কেলেংকারি ফাঁস হয়ে মৃত্যুর পরও সমালোচিত হতে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু এক্ষেত্রেও আলাদা এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন।গনতন্ত্রের পুজারী হিসেবে তাঁর সকল কর্মকান্ডই ছিল কৌশলি প্রক্রিয়ায়। উদাহরন হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে পয্যালোচনা করলেও তাঁর নেতৃত্বের অনেক দিক উম্মোচিত হতে পারে।৭ই মার্চের ভাষন মানব সভ্যতার অমূল্য রত্ম হয়ে বিশ্ব দরবারে ঠাই করে নিয়েছে।বিগত আড়াই হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ দিকনির্দেশনামুলক ভাষন হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এইকৌশলী ভাষনের মাধ্যমে তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা এমন ভাবে উচ্চারন করেছিলেন যাতে বিচ্ছিন্নতাবাদের অপবাদে বিশ্ববাসি তাঁকে দুষতে না পারে-আবার জাতি সম্যক উপলব্দিও করতে পারে এখন তাঁদের কি করা উচিৎ এবং বঙ্গবন্ধু জাতিকে কি নির্দেশনা দান করেছেন। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের স্বাধীনতা যারা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল তারাই স্বাধীনতা লাভের মাত্র সাড়ে তিন বছর পর বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।জাতিকে অন্ধকারের অতল গব্বরে নিমজ্জিত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা দিয়েছেন কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামকে বেগবান করার নির্দেশনার অল্প কয়দিন পরই তাঁকে স্বাধীনতা বিরুধীরা হত্যা করে। ফলে তাঁর অর্থনৈতিক মুক্তির আহব্বান মুখ থুবড়ে পড়েছিল। জাতির জনকের দুই কন্যা সেদিন ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল বিদেশে অবস্থানের কারনে। তাঁর জৈষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেছেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মুক্তির লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের সংগ্রাম সফল হচ্ছে।দ্রুতগতিতে দেশ উন্নতি অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভিক্ষা বৃত্তির জাতি মধ্যম আয়ে উন্নিত হয়েছে।পদ্মা সেতুর মত বৃহৎ প্রকল্প নীজেদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করার যোগ্যতা অর্জন করেছে। জি,ডি,পির উধ্বগতি প্রতিনিয়ত লক্ষনীয়ভাবে জনসমক্ষে দৃশ্যমান হচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতি যখন মন্দার কবলে পড়ে সরকারি আধা সরকারি অফিসের জনবল চাটাই পুর্বক মন্দা মোকাবেলার কৌশল নির্ধারন করছে -তখন শেখ হাসিনার সরকার মন্দার ছোঁয়া অর্থনীতিতে পড়তে দেন-নি বরঞ্চ প্রতিটি সেক্টরে জনবল নিয়োগ দিয়ে গতিশীলতা আনানয়নের প্রতি মনোযোগি হয়েছেন। তাঁর সুফল ইতিমধ্যে জাতি পাওয়া শুরু করেছে।বর্তমান জিডিপি ৭'৫এর ঘরে পৌচেছে, মাথা পিছু আয়ের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে(১৪৬৬ ডলার) লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্ববাসি ইতিমধ্যেই তাঁদের মুল্যায়ন পত্রে বলা শুরু করেছেন আগামী দশক আসার আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশের তালিকায় শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে নাম লিখাতে সক্ষম হবে। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৯২ দিন আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে ক্ষমতা দখলে ব্যর্থ হয়ে ঘরে ফিরে যান। আর ঘরে ফিরে তিনি তার প্রিয় পাকিস্তানকে খুশি করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছেন। বিএনপিকে এক নেতা "ফিনিক্সপাখি" হিসেবে উল্লেখ করে হঠাৎ জেগে উঠার স্বপ্নে বিভোর আছেন।অর্থাৎ তিনিও স্বীকার করে নিলেন বিএনপির অবস্থা ভাল নেই।বিএনপি দাঁড়াতে পারবে কিনা তাঁরা সন্দিহান।হঠকারি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে বিএনপি বিপুল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধীরে হলেও নেতারা স্বীকার করে নেয়া শুরু করেছে। বিএনপি এই নাশকতা করেছিল মানবতা বিরুধী বিচার বানচাল করার উদ্দেশ্যে।৭৫এর পট পরিবর্তনের অব্যবহিত পরেই বুঝা গিয়েছিল মেজর জিয়াই ছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার মুল নেপথ্যের নায়ক। ক্ষমতা দখলের নাটকিয়তা, সেনা অভ্যুত্থানের গুজব ছড়িয়ে বিভিন্ন সেনা সদরে মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসার হত্যা, রাজাকার আলবদরদের মন্ত্রী সভায় স্থান দেয়া,যুদ্ধ অপরাধাদের জন্য গঠিত ট্রাইবুনাল ভেঙ্গে দেয়া, যুদ্ধ অপরাধে সাজা প্রাপ্ত রাজাকারদের জেলমুক্তি করে দেয়া, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জড়িত শীর্ষ অপরাধীদের দেশত্যাগে সুযোগ করে দেয়া ইত্যাদি পয্যলোচনা করলে স্পষ্ট বুঝতে কারই অসুবিধা হওয়ার কথা নয় মেজর জিয়া প্রকৃত একজন রাজাকার ছিলেন-বঙ্গবন্ধু হত্যার মুল কারিগর ছিলেন--মুক্তিযুদ্ধে পাকিদের হাই প্রোফাইলের একজন চর ছিলেন। কোন মুক্তিযোদ্ধার পরিবার বাসা বাড়ীতে অবস্থান করতে না পারলেও তাঁর পরিবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত সেনা সদরে বেশ সুখে শান্তিতেই ছিলেন। পরবর্তিতে খালেদা জিয়ার কর্মকান্ডই তা প্রমান করে। শিমলা চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানের যে ১৯৫ শীর্ষ সামরিক যুদ্ধাপরাধীর বিচার করার কথা ছিল তার মধ্যে জেনারেল জানজুয়াও ছিলেন। তার মৃত্যুর পর বেগম খালেদা জিয়া দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় শোকবার্তা পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রীয় প্রটোকলের কোন তোয়াক্কা না করে। বেগম খালেদা জিয়ার এ শোকবার্তা পাঠানোর মাধ্যমে প্রমান হয় তিনি দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন না।কথিত আছে, খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধি মি: জানজুয়ার হেফাজতেই ছিলেন। ১৫ই আগষ্ট ভুয়া জম্মদিন পালন,শহিদের সংখ্যা বিতর্ক, মানবতা বিরুধী বিচার বানচালে আগুন সন্ত্রাস, আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় আনার ষড়যন্ত্র-ইত্যাদি নানাহ কর্মকান্ড পয্যালোচনা করলেও স্পষ্ট ধারনা পেতে) -তেমন কোন অসুবিধা হয়না খালেদাও তাঁর স্বামীর পদাংক অনুসরন করে বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানানোর প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। তিনিও স্বাধীনতা বিরুধী। পরিশেষে বলতে চাই, জাতির জনকের কন্যা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষে।আওয়ামী লীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীর উদ্দেশ্য হবে কর্মসুচি বাস্তবায়নে সর্বদা অনুপ্রেরনা যুগিয়ে যাওয়া,সাহষ দিয়ে এগিয়ে নেয়া।যখন দেখি কোন মুজিব আদর্শের সৈনিক অপপ্রচারকারিদের পদাংক অনুসরন করে তাঁদের মতই কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে,তখন নেত্রী নীজেকে বড়ই অসহায় মনে করে, একা মনে হয়। তিনি প্রত্যহ একাকিত্বে ভোগছেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারাও অনেক সময় তাঁদের সাথে সুর মিলিয়ে একই ভাষায় কোরাশ গায়। জাতির জনকের কন্যা একাদিকবার তাঁর ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটিয়ে বলতে চেয়েছেন,"আমি ছাড়া আর কেউ চায়না জাতির জনকের আদর্শ বাস্তবায়ন হোক।" __________________________________ জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি

অবশেষে মানবতা বিরুধী ট্রাইবুনালের ন্যায়নীতি, আদর্শের নিকট দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা মাথা নোয়াতে বাধ্য হল------------- _______________________ বাংলাদেশের মানবতা বিরুধী ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্তের পর থেকেই দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারিরা নড়েচড়ে বসে।সরকার ও একাধিক ফ্রন্ট হাতে নিয়ে কাজ শুরু করে।প্রথম দিকে জনমনে বিচার অনুষ্ঠান করা নিয়ে সন্দেহ দেখা গেলেও ধীরে ধীরে তা কেটে যায়।বলা যায় সরকার তাঁর দৃডতায় মানুষের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। ষড়যন্ত্র কারিরা স্বাভাবিক আন্দোলন সংগ্রামে বিচার প্রক্রিয়া বাঞ্চাল করতে না পেরে নাশকতা অরাজগতা, আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে সেনা বাহিনীকে ক্ষমতা দখল করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। তাও ভেস্তে যাওয়ার পর আপাত: রনে ভঙ্গ দিয়ে নিয়মাতান্ত্রিক কর্মসুচি দিয়ে রাজনীতি করবেন এইরুপ ঘোষনা দিয়ে বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে। সাধারন মানুষ-যাদের সন্দেহ ছিল বিএনপি যুদ্ধপরাধিদের বাঁচানোর জন্য নাশকতা করেনি তারাও শত ভাগ বিশ্বাসে নিতে পেরেছেন খালেদা জিয়ার কর্মসুচি ছিল নিছক সহিংসতা সৃষ্টি করে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি।দলটির একান্ত ইচ্ছা সত্বেই এই পথে পা বাড়িয়ে শত শত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে দেশের সম্পদ বিনষ্ট করেছে। তাঁদের বিদেশী লবিং অত্যান্ত শৃংখলা বদ্ধ এবং শক্তিশালী, সুদুর প্রসারি ছিল।প্রথমাবস্থায় বিভিন্ন দেশ থেকে আন্তজাতিক সংস্থার ভাড়াটে কিছু কর্মকর্তা এসে বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল।সরকারের অনড় অবস্থার কারনে শেষাবদি তাও সফল হয়নি।প্রসিকিউশনের দুর্বলতা নিয়ে নানা সময়ে নানা কথাবার্তা উঠছে।অনেকে অনেকভাবে ব্যাখ্যা করে বলতে চেয়েছে। প্রসিকিউশনের সীমাবদ্ধতা যে একেবারে নেই তা নয়। প্রসিকিউসনের জন্য ভালো কোনো রিসার্চ সেন্টার নেই, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি নেই, দরকারি অনেক বইও নেই। তা সত্ত্বেও প্রসিকিউসন বসে থাকেনি এগিয়ে গেছে। এই ক্ষেত্রে প্রসিকিউসন বিভিন্ন আন্তজাতিক আদালতের মামলা পরিচালনার ধরন, রায়ের দৃষ্টান্ত, সাক্ষিদের বিশ্বাসযোগ্যতা মাপার ধরন ইত্যাদি অনুসরন করে অনেকটা ধারনা লাভ করেছে। ন্যুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনাল যখন কাজ শুরু করে, তাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল।বাংলাদেশের এত সমস্যা, নানা প্রতিকূলতা এবং রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করতে পেরেছে, এটা দেশবাসির বিবেচনায় গোটা পৃথিবীর জন্য একটা বিরাট ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়ার আন্তর্জাতিক মান নিয়ে প্রথমদিকে যতটা সমালোচনা হয়েছে, এখন কিন্তু তা নেই। সেই সমালোচকদের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। বিচার প্রক্রিয়া চলাকালিন বিভিন্ন দেশের সিনেট সদস্য, নীতিনির্ধারক, বিশেষ দুত বাংলাদেশ সফর করেছেন।তাঁরা তাঁদের অভিমত খোলাখোলিভাবে সংবাদ মাধ্যমকে দিয়েছেন।সব মহলের সার্বিক অভিমত পয্যালোচনায় দেখা যায় বিচার অত্যান্ত সুষ্ঠ, আইন নীতি রীতি অনুসরন করেই হচ্ছে। "যুদ্ধাপরাধ-বিষয়ক বিশেষ মার্কিন দূত স্টিফেন যে য্যাবও ঢাকায় এসে বলেছেন, "আমাদের বিচার আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। " বিচারকরা অনেক ভালো কাজ করছেন।"সবচেয়ে বড় কথা, সত্য আমাদের পক্ষে। বিদেশীরা যে বিষয় গুলীর প্রতি বেশী আগ্রহশীল এবং আস্থাম্বিত হয়েছেন তাঁর মধ্যে অন্যতম বিষয় হচ্ছে,"ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল থেকে শুরু করে হেগের জাতিসংঘের ট্রাইব্যুনাল ইত্যাদির চেয়ে বাংলাদেশের গঠিত ট্রাইব্যুনালের আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে। ওই সব আদালতের সঙ্গে বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনালের কাঠামোগত পার্থক্য হল, বাংলাদেশ নীজের আইনে অর্থাৎ ডমেস্টিক, দেশীয় আইনে বিচার হচ্ছে। বাংলাদেশের বিচারিক প্রক্রিয়া অন্য যে কোনো যুদ্ধাপরাধ আদালতের বিচারের চেয়ে অনেক মানসম্পন্ন। প্রথমত, বিচার শুরু হয়েছে অপরাধ সংঘটনের চল্লিশ বছর পর। সুতরাং এ সংক্রান্ত অনেক তথ্য-উপাত্ত হারিয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া অনেক দুষ্কর। সে সব কারণে এই বিচার অসম্ভব সম্ভব করে তোলার মতো ব্যাপার। নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও বাংলাদেশের মানবতা বিরুধী বিচার ট্রাইবুনাল বিচার কায্য চালিয়ে নিচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্ন দেশের অনেক আদালতই কিন্তু সেভাবে বিচারকাজ এগিয়ে নিতে পারছে না। কম্বোডিয়া, সিয়েরালিয়ন ইত্যাদি দেশের বিচার শুরু হতেই বছরের পর বছর সময় লেগেছে। যেখানে কম্বোডিয়ার প্রথম মামলার কাজ শুরু করতে ১০ বছর লেগেছে, বাংলাদেশ ছয় বছরে ২০টি মামলার রায় দিয়েছে। সে দিক থেকেও বাংলাদেশের অর্জন অনেক বড়। অবশ্য বিশ্বের অন্য কোন দেশের বিচারিক কায্যক্রম নিয়ে ষড়যন্ত্র নেই,অপরাধ সংঘনের বিষয় সবাই একমত এবং বিচারিক বিষয় নিয়েও একমত।বাংলাদেশের এই প্রেক্ষাপটে ভিন্নতা আছে।এক শ্রেনী চায়না মুক্তিযুদ্ধের সংঘটিত মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হোক। বিভিন্ন উপায়ে মহলটি শুরু থেকেই বাধা দিয়ে আসছিল।যুদ্ধপরাধীদের বাঁচাতে মহলটি আন্তজাতিক ভাবেও বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে প্রথম থেকেই।'৭৫এর পট পরিবর্তনের পর ট্রাইবুনাল ভেঙ্গে দিয়ে মানবতা বিরুদীদের জেল মুক্ত করে দিয়েছিল মহলটি। বিশ্বের কোথাও যুদ্ধাপরাধের বিচারে জামিন দেওয়া হয় না কিন্তু বাংলাদেশে বয়সের বিবেচনায় জামিন দিচ্ছে। ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে কিন্তু আপিলের সুযোগ ছিল না। আমাদের এখানে আছে। আছে শুধু নয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ আছে; এমনকি আপিল বিভাগের রায় রিভিউয়েরও সুযোগ রাখা হয়েছে।গোলাম আযমের মৃত্যুদণ্ড তুল্য অপরাধ ছিল। আদালত তার বয়স এবং স্বাস্থ্য বিবেচনায় যাবজ্জীবন দিয়েছেন।এক্ষেত্রে মানবিক দিকটিও বাংলাদেশের আদালতে গ্রহন যোগ্যতা পাচ্ছে,যাহা কোন দেশের যুদ্ধাপরাধ বিচারে বিচার্য্য বিষয়ের মধ্যে আনার প্রয়োজনীয়তা আছে বলেও মনে করেনা। যেসব চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী পলাতক রয়েছে, দেশের বাইরে রয়েছে, তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর বিষয়টি সরকার সময়ে সময়ে বলছে কিন্তু কায্যকর হচ্ছে বলে মনে হয়না। কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কূটনৈতিক দৌড়ঝাঁপ শুরু করলে এর একটা সুরাহা সহজে হতে পারে। যে সমস্ত দেশ মৃত্যুদন্ডের বিরুধী সেই সমস্ত দেশে পালিয়ে থাকা অপরাধীদের ফিরিয়ে আনা বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলার রায় হয়েছে। কয়েকটির রায় কার্যকর হয়েছে। অনেকগুলোর বিচারকাজ চলছে। এতে অনেকের জীবন বিপন্ন হয়েছে সত্য বিচার কাজ বন্ধ হয়নি। সরকার এই বিচারকাজ চালিয়ে প্রমান করতে পেরেছেন-মুক্তিযোদ্ধারা মারা যেতে পারে কিন্তু তাঁদের যে চেতনায় যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন সেই চেতনার মৃত্যু হতে পারেনা।চল্লিশ বছর পরে হলেও সেই সত্যই প্রতিষ্ঠিত হল। মৃত্যু মানে কি চেতনারও মৃত্যু? আদর্শের ও মৃত্যু? অবশ্যই নয়। সময়ের ব্যবধানে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে, অন্যায়ের পক্ষে যত শক্তিধরের অবস্থানই থাকুকনা কেন--- রনে ভঙ্গ দিয়ে গর্তে লুকাতেই হয়।বর্তমানে আর মানবতা বিরুধী বিচার নিয়ে বিদেশীরাও মুখ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরেও মেরুকরন ঘটেছে। হম্বিতম্ভি ছেড়ে অনেকেই বিতর্কীত বক্তব্য দিয়ে পানি ঘোলা করতেও চেয়েছেন। জনগনের বিচারের পক্ষে অনড়তায়- মুখে কুলুপ এটে স্বাভাবিক রাজনীতির অংশ, স্থানীয় পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে খেই হারিয়ে, বিভ্রান্তকর অবস্থায় কোন রকম অস্তিত্বের জানান দিয়ে টিকে আছে। বর্তমানে ছয়ধাপের ইউপি নির্বাচনের দুই ধাপের ফলাফলে স্বতন্ত্রের চেয়ে চার গুন পিছনে অবস্থান নিয়ে -- শক্তিশালী বিরুদী দলের খেতাব থেকেও বঞ্চিত হওয়ার আশংকার জম্ম দিয়েছে। ষড়যন্ত্রের রাজনীতির এই দশাই হয়। মুসলিম লীগের পতনের থেকে শিক্ষা না নিয়ে দলটি অস্তিত্ব সংকটের ভীতিতে গর্তেই লুকিয়ে গেছে। ____________________________ জয়বাঙ্গলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা বঙ্গরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি

অলস, ভীতু, লুটেরা নেতাকর্মী দিয়ে হম্বিতম্ভি করা যায়--আন্দোলন,সংগ্রাম, নির্বাচন হয়না------ _________________________________ যুগ উপযোগী বক্তব্য প্রদান করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ।তিনি বলেন 'নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করার জন্য তারা (নির্বাচন কমিশন) যে কোনো ধরণের পদক্ষেপ নিতে পারেন। কঠোর আইনের ব্যবস্থা নেবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।'' নির্বাচন বা নির্বাচন পরবর্তী কোনো সহিংসতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেখতে চায় না।' তৃণমূলের এই নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ রাখতে দলের নেতা-কর্মীদের কঠোর হুঁশিয়ারিও দেন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক। বিএনপির নির্বাচন বর্জনের হুমকি সম্পর্কে তিনি বলেন 'সরকারের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার জন্য বার বার চক্রান্ত করা হয়েছে দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে। এই নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য একাত্তরের পরাজিত শক্তি, পঁচাত্তরের শক্তি এবং একাত্তরের পরাজিত শক্তির এদেশীয় দোসররা অশুভ চক্রান্তে লিপ্ত আছে। তাদের অশুভ চক্রান্তের অংশ হচ্ছে নির্বাচনকে বিতর্কিত করা, নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করা।' উল্লেখিত পরিস্কার বক্তব্যের পরেও নির্বাচন সুষ্ঠুও শান্তিপুর্ণ হবে হয়ত--প্রতিযোগিতামুলক হবে আশা করা যায়না। ইউপি নির্বাচনের হয়ে যাওয়া দুই ধাপের নির্বাচন পয্যবেক্ষন করলে দেখা যায়,বিএনপি এবং তাঁর মিত্র জামায়াতের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চেয়ে প্রায় চার গুন পেছনে পড়ে আছে।নিশ্চিত বলা যায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বা বিদ্রোহি প্রার্থীরা ভোট কারচুপি করে নির্বাচিত হয়নি। ভোট কারচুপি করে নির্বাচিত হওয়ার তাঁদের কোন সুযোগ নেই। সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে নির্বাচনে কঠোরতা প্রদর্শন করে বিএনপিকে মাঠে ধরে রাখার জন্য কাঁদানে গ্যাসের স্থলে গুলি ছোঁড়ে বেশ কিছু মানুষের জীবনহানী ঘটিয়েছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশন বিএনপির বিচ্ছিন্ন উপস্থীতি, ভোট যুদ্ধ, প্রতিরোধ, প্রতিযোগিতার ভার নীজের কাঁধে তুলে নিয়েছে।সারা দেশে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বেদম প্রহার, ক্ষেত্র বিশেষ গুলী করে হত্যা করতেও দ্বিধা করছেনা।তারপরও বিএনপিকে মাঠে এনে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে উৎসাহীত করতে পারছে বলে আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা। বিএনপি জামায়াতের তৃনমুল পয্যায়ের বেহাল অবস্থাকে সরকার,নির্বাচন কমিশন,বিএনপি-- আওয়ামী লীগের কাঁধে তোলে দিয়ে আপাত: স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে বিএনপি দলকে রাজনীতিমুখী,নির্বাচন মুখী করা যাবেনা। সুবিধাবাদি বিএনপি প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের ওয়াক ওভার দিয়ে প্রতিরোধ থেকে বিরত থেকে ভোট একতরফা করার সুযোগ করে দিয়েছে বহুস্থানে-- এই ফাঁক টুকু বিএনপি হাইকমান্ড/সরকার/নির্বাচন কমিশন তাঁদের রাজনীতি/প্রশাসনিক হিসেবের মধ্যে না এনে-- আওয়ামী লীগ ভোট নিয়ে যাচ্ছে অজুহাতে দমন পীড়ন অব্যাহত রেখেছে অন্যদিকে বিএনপি ভোট বর্জনের হুমকি দিচ্ছে। গনতন্ত্রে সমশক্তি সম্পন্ন রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের উপযুক্ত ক্ষেত্র নির্বাচন। ভোট হবে আনন্দের, প্রতিযোগিতার- মানুষ উপভোগ করবে, চায়ের কাপে ঝড় তুলবে,যার যার পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবে। অসম শক্তি কখনই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনা,না পারার খেসারত শক্তিধর দলের কাঁধে তুলে দেয়া সহজ কিন্তু রাজনীতি, গনতন্ত্র, নির্বাচনের জন্য অবশ্যই অশনি সংকেত। সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে বেআইনী ভাবে আওয়ামী লীগের মাঠ পয্যায়ে কিছু দমন পীড়নে অংশ নিয়েছে। আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল,। অসংখ্য নেতাকর্মী দলের মধ্যে বিচরন করছে।একেক জনের মন মানষিকতা একেক রকমের।চোখ রাঙিয়ে দশ/ বিশ লক্ষ টাকা খরছ বাঁচাতে পারলে অসুবিধা কি? অন্য রাজনৈতিক দলের চোখ যদি আরো বড় করে তাকাতে পারে তবেতো নির্বাচন প্রতিযোগিতামুলক হয়। এই সহজ পথে না গিয়ে আওয়ামী লীগের উপর দমনের স্টিম রোলার চালিয়ে রাজনীতি চাঙ্গা করার কৌশল গনতন্ত্রকেই হুমকির মধ্যে ফেলে দিবে নির্বাচন কমিশন এবং সরকার। স্বৈরশাষক জিয়া এবং এরশাদের আমলে সর্বচ্ছ রাষ্ট্রীয় আনুকুল্যে ভোট কারচুপির ক্ষেত্র তৈরী করে দিয়েছিল। জেলা প্রশাসনের প্রতি তাঁদের প্রার্থীদের নির্বাচিত করার সর্বচ্ছ রাষ্ট্রীয় পয্যায় থেকে প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত দেয়ার পরেও আওয়ামী লীগের প্রতিরোধের মুখে বহুস্থানে সম্ভব করতে পারেনি।এমন অনেক জেলা আছে যে সমস্ত জেলায় -জেলা পরিষদ ডাক বাংলায় সীল মেরে ভোট জমা দিয়ে দেয়া হয়েছে,কেন্দ্র পয্যন্ত ভোটের বাক্স আনার প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করেনি।তাঁর পরেও আওয়ামী লীগের কর্মীরা প্রতিরোধের দুর্গ ছেড়ে চুল পরিমান ও পেছনে হটেনি।এটা শুধু এক দুই মাসের প্রতিরোধ যুদ্ধ নয় দীর্ঘ একুশটি বছর একটানা যুদ্ধ করে আওয়ামী লীগ আজ এই পয্যায় মনের মত করে দেশের সেবা করার এবং জাতির জনকের আদর্শ বাস্তবায়ন করে দেশকে সমৃদ্ধ করার পথ রচনা করেছে।এতে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা নির্যাতীত নিষ্পেষীত হয়েছে সত্য, গনতন্ত্রকে হারতে দেয়নি। গনতন্ত্রকে হারতে না দিয়ে আজকের এই পয্যন্ত টেনে নিয়ে এসেছে। আমি হলফ করে বলতে পারি জনাব হানিফ নির্বাচনের ব্যপারে যে উক্তিটি নির্বাচন কুমিশন, প্রশাসন, দেশবাসি,নির্বাচন কমিশন, প্রশাসনের উদ্দেশ্যে করেছেন বিগত সরকারের কোন নীতি নির্ধারকের মুখে এর ছিটেফোঁটাও যদি উচ্চারীত হত-তবে গনতন্ত্র আরো বিকশিত রুপে বাংলাদেশের মানুষ বর্তমানে উপভোগ করার সুযোগ পেত। নেতাদের সামনে বসা নিয়ে মারামারি কাটাকাটি করে- দশটা কর্মী নিয়ে নমিনিশন সাবমিট করার যোগ্যতা রাখেনা। মিছিল করে উপজেলা পরিষদে নমিনিশন জমা দেয়ার ক্ষমতা রাখেনা। একা একা নমিনেশন দাখিল করার জন্য উপজেলায় গমন করে অর্থাৎ তাঁর নমিনেশন ছাত্রলীগের ছেলেরা নিয়ে যাক। বলতেতো পারবে আওয়ামী লীগ নমিনেশন কেড়ে নিয়ে গেছে,ভোট করতে দিচ্ছেনা বিএনপিকে। তাঁদের সময়কালে আওয়ামী লীগের এই বেহালদশা লাগাতার বছরের পর বছর বিরাজমান কখনও যদি হতো-- একটা নেতা কর্মীকেও তাঁরা বাঁচতে দিতনা। বেহালদশা বহুবারই মোকাবেলা করে স্বল্প সময়ে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগ।সেই ঘুরে দাঁড়ানোতে কোন রকমের হঠকারি রাজনৈতিক কর্মসুচি দিয়ে নয়,জনগনের নৈমত্তিক সমস্যার ইস্যুকে আন্দোলনের উপজিব্য করে। রাজপথ আওয়ামী লীগের পুর্নাঙ্গ দখলে থাকা সত্বেও ২১শে আগষ্ট জাতির জনকের কন্যাকে হত্যার উদ্দেশ্যে 'বোমা গুলী বৃষ্টি"বর্ষন করেছিল যারা-তাঁরাই বলছে আওয়ামী লীগ ভোট করার জন্য দিচ্ছেনা,গনতন্ত্র নির্বাসনে।তাঁরা গনতন্ত্রকে ঘরের কোনে লুকিয়ে রেখেছেন একবারও উচ্ছারন করেনা। এইখানেই আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশের অপরাপর দলগুলীর ত্যাগের ব্যবধান।আওয়ামী লীগ নেত্রী জাতির জনকের কন্যাকে কম করে দুইবার বোমা গুলীর বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে"মানব ঢাল" তৈরী করে নেত্রীকে বাঁচিয়েছেন অকাতরে জীবন বলি দিয়ে কর্মীরা-নেত্রীর গাঁয়ে আছড় পড়তে দেয়নি। পক্ষান্তরে খালেদা জিয়াকে পুলিশ বালূর ট্রাক দিয়ে পথ রোধ করে রাখলেও ঢাকা শহরে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী থাকার পরেও একটা কর্মী বাসা থেকে বের হয়ে উঁকি দিয়েও দেখেনি।সে দিন যদি দশ হাজার লোকের মিছিল নিয়ে খালেদার বাসভবনে বিএনপির কোন নেতা আসতেন তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতির চেহারা হয়তো অন্যরুপে দেখা যেত। সর্বশেষে বলতে চাই,রাজনৈতিক দলের বড় পুঁজি আদর্শ। আদর্শ ভিত্তিক বেড়ে উঠা দলের রাজনৈতিক কর্মসুচিতে শিল্পের ছোঁয়া থাকে, হঠকারিতা থাকেনা। আওয়ামী লীগকে ভাললাগেনা তাই বিএনপি করি -এমন নেতাকর্মী দিয়ে হম্ভিতম্ভি করা যায়-আন্দোলন সংগ্রাম করা যায়না।ষড়যন্ত্র করে পিছনের দরজা দিয়ে খমতা দখল করা যায়,জনগনের ভাগ্যের পরিবর্তন করা যায়না।আদর্শহীন দলের নেতাকর্মী-নীতি নৈতিকতা বিবর্জিতই হয়-ত্যাগ স্বীকার করার আগ্রহ থাকেনা। তাঁরা আন্দোলন সংগ্রাম জানেনা-খমতা পেলে লুটপাট ঠিকই জানে। __________________________ জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা

ছবি

বিশ্বের শীর্ষ দেশের তালিকায় উঠে আসছে বাংলাদেশ--------- ______কার্টেসি:--Rashida Haque Konika____ জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ দমন , ধর্মনিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন , অবকাঠামো নির্মাণ , বিনিয়োগের উন্নত পরিবেশ সৃষ্টি ইত্যাদি বিষয়ে অগ্রগতির ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে বিশ্বের শীর্ষ দেশের তালিকায় উঠে আসছে বাংলাদেশ। বিশ্বের বিভিন্ন শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের জরিপে বলা হচ্ছে , বাংলাদেশ এখন সঠিক পথে এগিয়ে চলছে। বর্তমান সরকারের প্রতিও মানুষের আস্থা বাড়ছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৌশলী হিসেবেও মূল্যায়ন করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন,রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পারলে অচিরেই বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশে পরিণত হবে।ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) , পিউ রিসার্চ সেন্টার, গ্যালাপ ইন্টারন্যাশনাল এ্যাসোসিয়েশন , কোফেস , ফরচুন সাময়িকীসহ বিশ্বের শীর্ষ প্রভাবশালী গবেষণা ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের জরিপে বলা হচ্ছে ; বাংলাদেশ সঠিক পথে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে আশাবাদী দেশের তালিকায় রয়েছে। বিনিয়োগের জন্যও উত্তম পরিবেশ বিরাজ করছে বাংলাদেশে। এছাড়া বাংলাদেশ অন্যতম নিরাপদ দেশ হিসেবেও বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে।পহেলা এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) জরিপের ফলে দেখা গেছে , বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন বেড়েছে। অধিকাংশ মানুষই মনে করে, বাংলাদেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে। তবে দুর্নীতি ও রাজনৈতিক চরমপন্থাকে তারা চিহ্নিত করেছেন বাংলাদেশের অগ্রগতির পথে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে। দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন সঠিক পথে এগিয়ে চলেছে দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন জরিপের ফলে শেখ হাসিনা সরকারের জন্য একটি বিশেষ অগ্রগতি হিসেবে উঠে আসছে। জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বিএনপি -জামায়াত জোটের সংঘাত থেকে দেশকে বেরিয়ে এনে সঠিক পথে পরিচালিত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়ছে। বিভিন্ন জরিপে সেই বিষয়টিই উঠে এসেছে। এছাড়া বর্তমান সরকারের বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপে তাদের প্রতি সমর্থন বেড়েছে। তিনি বলেন , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইআরআই একটি বিশ্বখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তাদের সর্বশেষ জরিপের ফলে আমি আনন্দিত। দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পারলে আরও অগ্রগতি হবে বলে তিনি মনে করেন। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু

ছবি

আমাদের বর্তমান তথ্য ও প্রযুক্তি শিক্ষা--গ্রামগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত হাজারো মাদ্রাসার কর্মবিমুখ ধর্মীয়শিক্ষা --- ____________________________ পাকিস্তানের জামাতে ইসলামী এবং বাংলাদেশের জামাতে ইসলামী এবং অন্য ইসলামী দলগুলীর মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে স্ব-স্ব দলীয় নীতির ব্যাপক পার্থক্য বিদ্যমান।অন্যান্ন মুসলিম দেশ সমুহের মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থায় আরবী শিক্ষার জন্য বা আলেম হওয়ার জন্য আলাদা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। সব প্রতিষ্ঠান গুলির নাম মাদ্রাসা হলেও বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখা প্রশাখায় বিচরন আছে। সেখানে প্রচলিত সব বিষয় গুলী পাঠদান করা হয়। মাধ্যমিকের পর উচ্চশিক্ষায় ছাত্রদের পছন্দ অনুযায়ী বিষয় বাছাই করে উচ্চতর জ্ঞানার্জনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।পাকিস্তানের জামাতে ইসলামী ও তদ্রুপ শিক্ষা ব্যবস্থার পক্ষে। তাঁরা মনে করে আরবী এবং সাধারন শিক্ষার জন্য আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠান বাঞ্চনীয় নয়। পাকিস্তানের জামায়াতের আমীর কাজী হুসেইন আহমেদ শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে যা বলেন, সেটি আবার আমাদের দেশের জামায়াত বা ইসলামী দলগুলি বলে না। হুসেইন আহমেদের মতে, মাদ্রাসা এবং স্কুল বলতে আলাদা কিছু থাকা উচিত নয়। সব শিক্ষাই এক হওয়া উচিত। তিনি মনে করেন, স্কুল পর্যন্ত সবারই ভাষা, অঙ্ক, বিজ্ঞান, ভূগোল, ইতিহাস ইত্যাদি সব বিষয়ই পড়বে এবং স্কুলের পরে কেউ ইচ্ছে করলে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবে। কাজী হুসেইন আহম্মদ সাহেব যদি স্কুলকে মাদ্রাসায় পরিণত না করে স্কুলের শিক্ষাকে সাধারণ শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করেন এবং মাদ্রাসাগুলোকে স্কুলে রুপান্তরের প্রস্তাব দিতেন তবে তার প্রস্তাব পাকিস্তানের জনসাধারন এবং সরকার সমর্থন করতেন আমার বিশ্বাস।তবে প্রস্তাবটি যেহেতু নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে -এক সময় এদিক সেদিক একটা ভাল সিদ্ধান্ত আসবে আশা করা যায়। আমাদের দেশের ইসলামী দলগুলী যদি এইরুপ শিক্ষাব্যবস্থা প্রনয়নের দাবি জানাতেন তাহলে বিপুল সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী দেশের বোঝা না হয়ে দেশের সম্পদে রপান্তরীত হতে পারত।এই ক্ষেত্রে বাংলা ইংরেজী যত নম্বরে পরিক্ষার ব্যবস্থা আছে তত নম্বরের আরবী পরিক্ষা প্রনয়ন করার দাবিও করতে পারেন। আবার আলাদা ভাবে বর্তমানের মক্তবের পরিধি আরও বিস্তৃত করে মক্তব শিক্ষাকে প্রত্যেক মুসলিম ছেলে মেয়ের জন্য বাধ্যতামুলক করার দাবিও গ্রহন যোগ্য হতে পারে। প্রত্যেক সমাজ কেন্দ্রিক মসজিদ প্রতিষ্ঠা করত: সেই মসজিদের আওতায় মক্তব চালু করার দায়িত্ব সরকারি ভাবে করার সিদ্ধান্ত থাকতে পারে।উক্ত মসজিদের দুই জন ইমাম একজন মোয়াজ্জেম সরকারি প্রাইমারী স্কুলের মতই সরকারি বেতন ভাতায় নিয়োগ দিয়ে মক্তব এবং মসজিদকে সরকারি করন করার দাবিও অযোক্তিক হবেনা। প্রত্যহ সকালে ছেলে মেয়েরা বর্তমানের নিয়ম অনুযায়ী মক্তবে আরবী শিক্ষার প্রাথমিক পাঠ গ্রহন করবে। নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন মক্তবেই শিক্ষা গ্রহন করবে। প্রত্যহ এক অথবা দেড় ঘন্টা সকালে মক্তবে তালিম নিয়ে ৯/১০টায় বিদ্যালয়ে সাধারন শিক্ষা গ্রহন করবে। মাধ্যমিক পয্যন্ত সাধারন শিক্ষার পর উচ্চ শিক্ষা পছন্দ অনুযায়ী আরবী, বাংলা, ইংরেজী যাহাই পড়ুক না কেন ছাত্র/ছাত্রীদের স্বাধীন ভাবে বাছাই করার ব্যবস্থা রাখার দাবি ও আলেম সমাজের পক্ষ থেকে আসতে পারে। আমাদের দেশে দুই শ্রেনীর মাদ্রাসা শিক্ষা চালু আছে,একটি সরকার নিয়ন্ত্রীত আ'লীয়া মাদ্রাসা অন্যটি সচরাচর আলেম সমাজ ও জনগনের অর্থে পরিচালনা কমিটি কতৃক নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত। প্রথমোক্তটির ছাত্রছাত্রীরা সববিষয়ের উপর জ্ঞান অর্জন করার কারনে সরকারি বেসরকারি চাকুরিতে অংশ গ্রহন করার সুযোগ পেয়েছে।তাই তাঁদের পক্ষ থেকে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা অনেকটা লাঘব হয়েছে বলে আমি মনে করি। শেষোক্ত শ্রেনীর মাদ্রাসার বেশির ভাগ আবার ব্যাক্তি বিশেষ পরিচালিত। এখানে সরকার, জনগন কারো কোন নিয়ন্ত্রন নেই।উভয় শ্রেনীর মাদ্রাসা সমুহে বাংলা, ইংরেজী, অংক, বিজ্ঞানের সামান্য ছোঁয়াও নেই।এই শ্রেনীর মাদ্রাসাগুলির বিস্তৃতি আরব রাষ্ট্র সমুহে নেই- ভারতীয় উপমহাদেশেও তেমন ছিলনা।গত ২৫/৩০ বছরের মধ্যে ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে শুধু বাংলাদেশে। এই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যে শিক্ষার্থীরা আরবী জ্ঞান অর্জন করে বের হয় পরবর্তিতে সে জ্ঞান ইহজগতে কাজে লাগানোর তেমন কোন ক্ষেত্র নেই। তাঁরা শুধুমাত্র ইমাম, মোয়াজ্জেম, তদ্রুপ মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ছাড়া অন্য উপায় না থাকায় ব্যাক্তিগতভাবে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করে-সেখানে নীজেরা নিয়ন্ত্রন করে।সেখানকার আয় দিয়ে --পরিবার পরিজন পরিচালনার ব্যবস্থা করেন। উদ্দেশ্য যতটানা ধর্মীয় শিক্ষার বিস্তৃতি--তাঁরচেয়ে ঢেরবেশী আর্থিক দুরাবস্থা নিরাময়। আরবের কোন দেশে এই শ্রেনীর প্রধান প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি হয়নি--হয়েছে ভারতের দেওবন্দে। দেওবন্দ মাদ্রাসার পাঠ্যসুচি অনুকরনে এই সমস্ত মাদ্রাসার শিক্ষাকায্যক্রম পরিচালিত হয়। স্থানীয়ভাবে গরিবের জন্য বরাদ্ধকৃত চাল গমের সাহায্য নিলেও শিক্ষার উন্নতি অগ্রগতির কোন সাহায্য মাদ্রাসা গুলি গ্রহন করেনা। তবে একাডেমিক ভবন নির্মানে অনেক ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য গ্রহন করতে দেখা যায়। বর্তমানের অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দশ বছরের মধ্যে প্রত্যেক পরিবার পিছু একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হলেও আচার্য্য হওয়ার কিছুই থাকবেনা।এত বিপুল সংখ্যক আলেমের যেহেতু কোন কর্ম সংস্থান নেই তাঁরাতো আর বেকার থাকতে পারেনা। বর্তমানে তাঁদের মারমুখি অবস্থানের কারনটি কিন্তু সেখানেই নিহীত। প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার মালিক বা ব্যবস্থাপক গন যতনা ধর্মীয় কারনে সরকারের উদ্যোগের বিরুধীতা করেন তার চেয়েবেশী তাঁদের সাময়িক আর্থিক ও পারিবারিক বিপয্যয়ের সম্মুখ্যিন হওয়ার সমুহ সম্ভাবনার চিন্তা। তাঁদের সাময়িক আর্থিক অনটনের চিন্তার কারনে ব্যাপক সংখ্যক তাঁদেরই ছাত্র-বেকারত্বের জীবন অতিবাহিত করে বিভিন্ন অসামাজিকতায় সম্পৃত্ত হতে পারে বা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে-- তাও তাঁদের মরুব্বিদের চিন্তা চেতনায় আসছেনা। যেহারে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে সেহারে মাদ্রাসা গুলীর ছাত্র সংখ্যা বাড়বেনা। বাংলাদেশের সব শিশুরাও যদি মাদ্রাসা গুলিতে লেখাপড়া করে তারপরও একসময়ে ছাত্র সংকট দেখা দিতে বাধ্য। এই বিপুল সংখ্যক মানব সমাজকে একেবারে অকর্মন্য রেখে দেশ ও জনগনের বিপয্যয় ডেকে আনা ছাড়া আর কোন গত্যান্তর আছে বলে আমি মনে করিনা। এমনিতে বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে তিনের অধিক মাদ্রাসা স্থাপিত হয়ে আছে। যেখানে শতবছরের সরকারি ও বেসরকারি চেষ্টা, অক্লান্ত পরিশ্রমেও প্রতি গ্রামে একটি প্রাইমারি স্কুলের জনচাহিদা পুরন করা সম্ভব হয়নি-সেখানে ব্যাক্তি উদ্যোগে ২০/২৫ বছরের মধ্যে প্রতি গ্রামে তিনের অধিক মাদ্রাসা ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারন চিন্তা করলেই ব্যপারটি সব মহলের নিকট আশা করি স্পষ্ট হবে। আমি জানি অনেকের ধারনা হবে বা হতে পারে আমি আরবী শিক্ষার বিরুধীতা করছি বা আমি নাস্তিক, অধার্মিক ইত্যাদি। পারলে জবাই করে দেয়ারও কেহ কেহ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারেন। তারপরেও বলব বিষয়টি গভীর ভাবে চিন্তা করে দেখার জন্য-সব মহলকে। সরকার হয়ত এই সমস্ত ধর্মীয় ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে গদি হারানোর সমুহ সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। সরকার আলোচনা করতে চাইলেও প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার কর্নধারদের তোপের মুখে পড়বে এবং ধর্ম বিরুধী সরকারের তকমা নিয়ে ক্ষমতাও ছাড়তে হবে।ঐ সমস্ত মাদ্রাসার ছাত্রদের বিষয়টি নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করার দরকার আছে বলে আমি মনে করি। এখন হয়তোবা সংখ্যার আধিক্য ঘটে নাই বিধায় পরিবার পরিজন প্রতিপালন করা সহজ হচ্ছে, জনগনও সম্মান শ্রদ্ধা করছে। অদুর ভবিষ্যতে ঘরে ঘরে মাদ্রাসা এবং আলেম সৃষ্টি হয়ে গেলে কে কাকে পড়াবে আর সম্মান বা শ্রদ্ধাও করবে। লক্ষনীয় বিষয়টি হচ্ছে আমাদের দেশের খান্দানী খোন্দকার পরিবার গুলী ইতিমধ্যে উল্লেখিত শ্রেনীর আলেম উলামাদের আধিক্যে পেশার লাভ হারিয়ে ছেড়ে অন্য পেশায় নিযুক্ত হয়ে গেছেন।একটি পরিবার ও অবশিষ্ট নেই বাপ-দাদার খোন্দকারি পেশায় জড়িত আছেন। সরকার আমাদের সমুহ বিপদগ্রস্ত আলেম সমাজের প্রতি দৃষ্টি দিবেনা বা দিলেও ফললাভ করতে পারবেনা।এই বিপুল সংখ্যক আলেম উলামা সমাজকে জনসম্পৃত্ত করে দেশের সম্পদে রুপান্তরের জন্য প্রয়োজন সামাজিক উদ্যোগ বা সামাজিক সচেতনতা। দেশের প্রত্যেক সচেতন নাগরিক এখনি বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা না করলে বেশী দিন সময় লাগবেনা --সামাজিক বিরাট অস্থিরতা সৃষ্টি হবে,এতে কোন সন্দেহ নেই। তাঁদের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তুলে দিলেও কোন লাভ হবেনা। সকল শিক্ষাব্যবস্থা অনুরুপ করে দিলেও কোন ফললাভ হবেনা। কারন যেখানে জ্ঞান বিজ্ঞানের আলো নেই সেখানে দেশ পরিচালনা হবে কিভাবে? অর্থনীতির চাকাও ঘুরবে কিভাবে? ইসলাম জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলো ঘরে ঘরে জ্বালাতে বারন করেনি। রাষ্ট্র পরিচালনায় আধুনিকতার সংস্পর্ষে যেতেও বারন করেনি। এইরুপ সামাজিক সমস্যা দেখা দিলে শীর্ষস্থানীয় আলেম সমাজের পরামর্শ গ্রহন করার কথা কোরানেই বলা আছে। সুতারাং দেশের বিশাল জন সমষ্টির বিষয়টি নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তাভাবনা করা প্রত্যেক সুনাগরিকের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। কিভাবে বা কোন পদ্ধতিতে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সম্পৃত্ত করে ধর্ম এবং জীবন দুটাই পরিচালনা করা যায় তাঁর উদ্যোগে প্রয়োজনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা একান্ত জরুরী। সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠা ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠিত সরকার ও চাইবেনা ঝুঁকিপুর্ণ কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে। সবমহলের শুভবুদ্ধির উদয় হোক অশুভ শক্তির উত্থান রোধে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক। ধর্মকর্মে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে সব মহল সচেতন হোক। আল্লাহ সকল বাংলাদেশীর মঙ্গলময় জীবন দান করুক। ______________________________ জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু

ছবি

দেশের স্বার্থ্য জলাঞ্জলী দিয়ে আওয়ামী লীগ কোন দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেনি প্রমানীত------ ____________________________ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভারত বিদ্ধেষী মনোভাব কাজে লাগিয়ে স্বার্থপর গোষ্টি গুলী সাধারন বাঙ্গালী জনগনকে শাষন শোষন করেছে-কোন অস্তিত্ব বিলীন হওয়া সমস্যার সমাধান করেনি। পাকিস্তানের জম্ম থেকে অদ্যাবদি জাতিয় বা আন্তজাতিক মহলে উত্থাপনের চেষ্টাও করেনি।সমস্যা সমাধান হয়ে গেলে তাঁদের রাজনীতির হাতিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে শুধুমাত্র এই একটি কারনে।অথছ সমস্যা গুলীর কারনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ভাবে অগ্রসর হওয়ার কোন রাস্তাও ছিলনা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যতবার বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা পেয়েছে-ততবারই একাধিক গুরুত্ব পুর্ন সমস্যা সমাধান করেছে।সমুদ্র সীমানা চিহ্নিত করার জন্য দ্বিপক্ষিয় আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করে জাতির জনকের কন্যা আন্তজাতিক আদালতে মামলা করে আদায় করে নিয়েছেন।সীমান্ত চুক্তি ৪২ বছর পর বাস্তবায়ন করে আন্তজাতিক ও দেশীয় সকল রাজনৈতিক দলের প্রসংশা পেয়েছেন। তাছাড়া ভারতে বাঙ্গালী হিন্দুদের চাইতে দ্বিগুন ইসলাম ধর্মের অনুসারি বাস করে,আহম্মকেরা তাও চিন্তা করেনা। বাঙ্গালী হিন্দুদের ঘৃনা করতে গিয়ে ভারতকেই ঘৃনা করে বসে।বিশ্বের এমন কোন দেশ আছে-উল্লেখীত সমস্যা সমুহ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যুদ্ধ বিগ্রহ ছাড়া সমাধান করতে পেরেছে?ভারত বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে- তুলনামুলক বাংলাদেশ ভাল অবস্থানে নেই? প্রীয় মজিব আদর্শের লড়াকূ সৈনীক ভাইয়েরা, আমার প্রশ্নের উত্তর আপনারা কেউ দিচ্ছেন না।ইন্ডিয়া নিষিদ্ধ করেছিল তাসকিন সহ তার সহযোদ্ধাকে নাকি আই,সি,সি নিষিদ্ধ করেছিল? আপনারা সবাই লাইক দিয়ে চলে যাচ্ছেন,-উত্তর দিবেন না? যদি আই সি সি নিষিদ্ধ করে ভারতের বিরুদীতা কেন করেন? কেন অযথা ভারতের বিরুদীতা করে বন্ধুত্বপুর্ন সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততা সৃষ্টির চেষ্টা নিয়ন্তর করে যাওয়া হচ্ছে।সেই ফাঁদে মজিব আদর্শের লড়াকু সৈনীকেরা কেন পড়বেন? তারা কি আওয়ামী ল্যিগের পররাষ্ট্রনীতির বিরুদিতা করেন। সকল প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সংজ্ঞে বন্ধুত্ব পুর্ন সম্পর্ক এবং ইসলামী উম্মাহ এর সংজ্ঞে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তোলার মুজিব আদর্শের বিরুধীতা করতে চান? যে দলের নেতার অনুসারি হয়ে দল করি- তাঁর আদর্শকে লাথি দিয়ে কি আদর্শবান কর্মী হওয়া যায়। পিতার ঘরে ভাত খেয়ে পিতার জমিদারীর বিরুদীতা করার নাম কি আদর্শ পিতার আদর্শ পুত্র। এইটুকু তো অন্তত:নিশ্চিত হয়েছেন সবাই-আওয়ামী লীগ দেশের স্বার্থ যেখানে -সেখানে পরম বন্ধুকেও ছাড় দেয়না।যদি ছাড়ই দিতেন আন্তজাতিক আদালতে কি যাওয়ার প্রয়োজন ছিল? আন্তদেশীয় বন্ধুত্ব এবং দেশের স্বার্থ দুই এর মাঝে আওয়ামী লীগ কি বরাবরই দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়নি? তার পরেও কেন লড়াকু সেনারা বিরুদীদের হাতে গন্ধযুক্ত হাতিয়ার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে তুলে দিতে উদ্যোগী ভুমিকা পালন করেন? আপনারা আওয়ামী লীগ করেন, মজিব আদর্শের অনুসারি,আপনার দলের উদ্দেশ্যের প্রতি নজর রেখে কথা বলবেন না? আপনার দল কি চায় তা আপনি আগে বুঝে নিবেন না? মুজিব কোর্ট গায়ে দিলেই মুজিব সৈনীক হওয়া যায়না। এমন অনেক নেতা আছেন সারা জীবন দল করেছেন, নেতা হয়েছেন-কিন্তু মুজিব কোট গায়ে দেয়ার উপযুক্ত নিজেকে চিন্তা করেন নাই। আপনারা দেখছি জীবনে বিদ্যালয়ের ধারে কাছে না গিয়ে, বিদেশে মলমুত্র্র পরিষ্কার করে আসার সময় টাই কোট পরে আসার উদাহরন সৃষ্টি করলেন। যোগ্যতা আছে কিনা তাও চিন্তা করলেন না। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু

ছবি

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই যথেষ্ট------ ________________________________ সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়ন,ব্যবসাবানিজ্যের পরিধি বৃদ্ধি,সমুদ্র সীমানা জয়ের পর ভারতের ইতিবাচক মন্তব্য এবং বাংলাদেশের সুধি সমাজেত ইতিবাচক অবস্থানের কারনে ৪৭এর রোপিত উপনিবেশিক শাষক শোষকদের ভারত বিরুধী ঘৃনার বটবৃক্ষটি ঝিমিয়ে পড়েছিল।তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের পর মুল গাছটি মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু ইতিমধ্যে আমাদের আওয়ামী লীগের শুধুমাত্র অন-লাইনের মুজিব আদর্শের লড়াকু সৈনীকেরা ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে গাছটির গোড়ায় উন্নতমানের জৈবসার প্রয়োগ করেছেন। যদিও আমাদের দুইজন খেলোয়াড়কে নিয়ে আই,সি সি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সিদ্ধান্তটির দায়ভার ভারতের উপর পরিকল্পিতভাবে আমরাই তুলে দিয়ে বিরুদীদের হাতে ভারত বিদ্বেষী ঘৃনার পেয়ালাটা আবারও তুলে দিলাম। ইতিমধ্যে অপপ্রচারটি সাধারনে মারাত্মক আকার ধারন করে বটবৃক্ষটি নতুন আঙ্গিকে ডালপালা গজানো শুরু করেছে।আই,সি,সির সিদ্ধান্তে ভারতের ভুমিকা কি ছিল যদিও সাধারন মানুষ তলিয়ে দেখার দরকার অনুভব করছেনা। আই,সি,সি মানে ভারতকেই বুঝে নিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। যে সমসস্ত আই,ডি থেকে সুকৌশলে এই অপ-প্রচারটি চালিয়ে ইন্ডিয়াকে রেন্ডিয়া ধরনের বিকৃত মানষিকতার পরিচয় দিলেন -তাঁদের কয়েক জনের আই,ডি ঘুরে ঘুরে আমি দেখেছি তাঁরা কেউই যতটুকু ভারতের বিরুধিতা করেছে ঠিক--ততটুকু বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে পাকিস্তানের ভুমিকা, বি,এনপির অপশাষনের বিরুদ্ধে তাঁদের মনোভাব,মেজর জিয়ার শাষন কালের মুক্তিযোদ্ধা হত্যা নিয়ে তেমন কোন লিখা আমার চোখে পড়েনি। ‘বেগম খালেদা জিয়া গত ৫ জানুয়ারি বিএনপি অফিসের সামনে আয়োজিত সমাবেশে গত সাধারণ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে গুলোতে কুকুর ও পুলিশ ছাড়া আর কেউ উপস্থিত ছিল না বলে যে জঘন্য মন্তব্য করেছেন অন-লাইনে সেই সব বন্ধরা সমালোচনার ঝড় উঠাননি। ৭৫-পর জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর কমপক্ষে ৫৬৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। দেশের বিভিন্ন কারাগারে প্রতি রাতে সেনা কর্মকর্তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে । দেশের সবকয়টি ক্যান্টনমেন্টে সাজানো ক্যু-পাল্টা ক্যু’র রাজনীতির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধা সেনাকর্মকর্তা হত্যা সম্পর্কে কোন সমালোচনা মুলক লিখা আমার চোখে পড়েনি। জিয়ার যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় বসানো, রাষ্ট্রপতি-মন্ত্রী-এমপি বানানো ইত্যাদি অপকর্ম সম্পর্কে অন-লাইনের সেই সব বন্ধুদের কোন লেখা আমার চোখে পড়েনি। পাকিস্তান যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে কঠোর মন্তব্য করার পরও আমাদের অন-লাইনের সেই সব বন্ধুদের আই,ডিতে কোন লিখা পোষ্ট করা দেখিনি। এই অপপ্রচারে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই আমাদের সবার বন্ধু তালিকার শীর্ষেই অবস্থান করছেন। আমার সবিনয় জিজ্ঞাসা ক্রিকেটের দুইজন খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করার পিছনে ভারতের অবদান আপত্তি জানানো, না নিষিদ্ধ করার পিছনে অবদান -কোনটি অধিকভাবে চোখে পড়েছে।ভারত নিষিদ্ধ করতে পারে না-ভারত মানে আই,সি সি নয়।আপত্তিই যদি মুল ইস্যু হয় তা কি তাঁদের অধিকারের মধ্যে পড়েনা। খেলা বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির একটি বিশেষ অঙ্গ-তাঁরা সেই রাজনীতিতে শীর্ষে থাকার চেষ্টা করাটা কি খুব বেশী অন্যায়? বর্তমান সময়ের উস্কে দেয়া ভারত বিদ্বেষী মনোভাব আওয়ামী লীগকে চরমভাবে ভোগাবে আগামী নির্বাচনে। পুরাতন জংধরা হাতিয়ারকে আওয়ামী লীগের অন-লাইনের মুজিব আদর্শের লড়াকু সৈনীকেরা কামারের হাতে তুলে দিয়ে পুরাতন হাতিয়ার তীক্নই শুধু করেননি সরুও করে দিলেন। _________________________________ জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই যথেষ্ট------ ________________________________ সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়ন,ব্যবসাবানিজ্যের পরিধি বৃদ্ধি,সমুদ্র সীমানা জয়ের পর ভারতের ইতিবাচক মন্তব্য এবং বাংলাদেশের সুধি সমাজেত ইতিবাচক অবস্থানের কারনে ৪৭এর রোপিত উপনিবেশিক শাষক শোষকদের ভারত বিরুধী ঘৃনার বটবৃক্ষটি ঝিমিয়ে পড়েছিল।তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের পর মুল গাছটি মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু ইতিমধ্যে আমাদের আওয়ামী লীগের শুধুমাত্র অন-লাইনের মুজিব আদর্শের লড়াকু সৈনীকেরা ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে গাছটির গোড়ায় উন্নতমানের জৈবসার প্রয়োগ করেছেন। যদিও আমাদের দুইজন খেলোয়াড়কে নিয়ে আই,সি সি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সিদ্ধান্তটির দায়ভার ভারতের উপর পরিকল্পিতভাবে আমরাই তুলে দিয়ে বিরুদীদের হাতে ভারত বিদ্বেষী ঘৃনার পেয়ালাটা আবারও তুলে দিলাম। ইতিমধ্যে অপপ্রচারটি সাধারনে মারাত্মক আকার ধারন করে বটবৃক্ষটি নতুন আঙ্গিকে ডালপালা গজানো শুরু করেছে।আই,সি,সির সিদ্ধান্তে ভারতের ভুমিকা কি ছিল যদিও সাধারন মানুষ তলিয়ে দেখার দরকার অনুভব করছেনা। আই,সি,সি মানে ভারতকেই বুঝে নিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। যে সমসস্ত আই,ডি থেকে সুকৌশলে এই অপ-প্রচারটি চালিয়ে ইন্ডিয়াকে রেন্ডিয়া ধরনের বিকৃত মানষিকতার পরিচয় দিলেন -তাঁদের কয়েক জনের আই,ডি ঘুরে ঘুরে আমি দেখেছি তাঁরা কেউই যতটুকু ভারতের বিরুধিতা করেছে ঠিক--ততটুকু বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে পাকিস্তানের ভুমিকা, বি,এনপির অপশাষনের বিরুদ্ধে তাঁদের মনোভাব,মেজর জিয়ার শাষন কালের মুক্তিযোদ্ধা হত্যা নিয়ে তেমন কোন লিখা আমার চোখে পড়েনি। ‘বেগম খালেদা জিয়া গত ৫ জানুয়ারি বিএনপি অফিসের সামনে আয়োজিত সমাবেশে গত সাধারণ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে গুলোতে কুকুর ও পুলিশ ছাড়া আর কেউ উপস্থিত ছিল না বলে যে জঘন্য মন্তব্য করেছেন অন-লাইনে সেই সব বন্ধরা সমালোচনার ঝড় উঠাননি। ৭৫-পর জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর কমপক্ষে ৫৬৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। দেশের বিভিন্ন কারাগারে প্রতি রাতে সেনা কর্মকর্তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে । দেশের সবকয়টি ক্যান্টনমেন্টে সাজানো ক্যু-পাল্টা ক্যু’র রাজনীতির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধা সেনাকর্মকর্তা হত্যা সম্পর্কে কোন সমালোচনা মুলক লিখা আমার চোখে পড়েনি। জিয়ার যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় বসানো, রাষ্ট্রপতি-মন্ত্রী-এমপি বানানো ইত্যাদি অপকর্ম সম্পর্কে অন-লাইনের সেই সব বন্ধুদের কোন লেখা আমার চোখে পড়েনি। পাকিস্তান যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে কঠোর মন্তব্য করার পরও আমাদের অন-লাইনের সেই সব বন্ধুদের আই,ডিতে কোন লিখা পোষ্ট করা দেখিনি। এই অপপ্রচারে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই আমাদের সবার বন্ধু তালিকার শীর্ষেই অবস্থান করছেন। আমার সবিনয় জিজ্ঞাসা ক্রিকেটের দুইজন খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করার পিছনে ভারতের অবদান আপত্তি জানানো, না নিষিদ্ধ করার পিছনে অবদান -কোনটি অধিকভাবে চোখে পড়েছে।ভারত নিষিদ্ধ করতে পারে না-ভারত মানে আই,সি সি নয়।আপত্তিই যদি মুল ইস্যু হয় তা কি তাঁদের অধিকারের মধ্যে পড়েনা। খেলা বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির একটি বিশেষ অঙ্গ-তাঁরা সেই রাজনীতিতে শীর্ষে থাকার চেষ্টা করাটা কি খুব বেশী অন্যায়? বর্তমান সময়ের উস্কে দেয়া ভারত বিদ্বেষী মনোভাব আওয়ামী লীগকে চরমভাবে ভোগাবে আগামী নির্বাচনে। পুরাতন জংধরা হাতিয়ারকে আওয়ামী লীগের অন-লাইনের মুজিব আদর্শের লড়াকু সৈনীকেরা কামারের হাতে তুলে দিয়ে পুরাতন হাতিয়ার তীক্নই শুধু করেননি সরুও করে দিলেন। _________________________________ জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

জাতির জনকের আদর্শ, বর্তমান সরকার-----আওয়মীগের তৃনমুলে আদর্শচ্যুতি----- _________________________ *"রাজনীতি ও সাংবাদিকতায় হাইব্রিডের আধিক্যে যোগ্যরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন সেতু ও সড়ক যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে সাংবাদিকতা ও রাজনীতিতে মান কমে যাচ্ছে বলেও মনে করছেন তিনি।" দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর সামন্তপ্রথা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়েছে।কিন্তু তাঁর অবশিষ্টাংশ এখনও সমাজ দেহের রন্ধে রন্ধে রয়ে গেছে।সামন্ত প্রথা উচ্ছেদের পর গনতন্ত্র আসি আসি বলে আজও পথিমধ্যেই আটকে আছে।আটকে আছে বললে ভুল হবে আটকিয়ে রেখেছে সামন্ততন্ত্রের বীজে লালিত অতিবিপ্লবী মানষিকতা সম্পন্ন রাজনীতিবীদেরা। দেশীয় আবহাওয়ায় গনতন্ত্রের সংজ্ঞা নির্ধারন না করে তাঁরা আমদানী করেছেন পশ্চিমের আবহাওয়ায় পুষ্ট গনতন্ত্রকে।যার ফলে পশ্চিমা গনতন্ত্র বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশের আবহাওয়ার হৃষ্টতা না পেয়ে দৈন্যতায় রুপান্তরীত হয়ে পেশীশক্তিকে উৎসাহীত করছে। দেশীয় উর্বর গনতন্ত্রের চর্চা না করে পাশ্চাত্য গনতন্ত্র চর্চা করতে গিয়ে সামন্তবাদের গরিমায় অন্ধ মানুষদের রোষানলে পড়ে গনতন্ত্র সঠিক ভাবে বিকশিত না হয়ে প্রত্যহ মৃত্যুর মিছিলকে বড় করে তুলছে। "একনেতা একদেশ" শ্লোগানের প্রবক্তা ছিল তথাকথিত হাইব্রিড আওয়ামী লীগারেরা।যে শ্লোগানের ভীতি জাতির জনককে বাঙ্গালী অকালে হারিয়েছিল। বাকশাল একদলীয় শাষন ছিল বটে একব্যাক্তির শাষন ছিলনা।একদলীয় শাষনটিও ছিল জাতীয় দলের আদলে। হাইব্রিড আওয়ামী লীগারেরাই সেদিন "একনেতা একদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ " শ্লোগানে জাতীয় দলের শাষন ব্যবস্থা কে একদলীয় শাষনের বৃত্তে বেঁধে জনগনের মাঝে বঙ্গবন্ধুর উদার রাজনৈতিক ধ্যানধারনাকে সংকির্নতার গন্ডিতে আবদ্ধ করেছিল। এই প্রসঙ্গে আমি দেশের রাজনীতি বিশ্লেষকদের নিকট জানতে চাই," সমবায় সমিতির নির্বাচন কি একনেতার আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য অনুষ্ঠিত হয় নাকি সমিতিভুক্ত যে কোন সদস্যই নেতা পদের জন্য নির্বচনে অংশ গ্রহন করতে পারে?"আরো সহজে যদি বলি,"খোলাফায়ে রাশেদীনের"সময় মসজিদে বসে "মজলিশে সুরা" কমিটির মাধ্যমে যে পদ্ধতি অনুসরন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা হয়েছে,"উহাতে কি গনতন্ত্রের অভাব ছিল?" নাকি একজনই বার বার নির্বাচিত হয়েছেন"? জাতির জনকের নির্বাচন পদ্ধতি এই দুইয়ের বাইরে অন্য কোন পন্থায় ছিল--?যদি না থাকে তাহলে "একনেতা একদেশ,বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ"শ্লোগান কেন দেয়া হয়েছিল?জাতির জনককে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত করতে? আজকেও দেখি আওয়ামী লীগের মধ্যে তৎদ্রুপ শ্রেনীর জম্ম হয়েছে। রাষ্ট্র ধর্ম "ইসলাম"এর বিরুদ্ধে আনীত রীট আদালত বাদিদের এই রুপ রিট করার কোন অধিকার নাই মর্মে খারিজ করেছেন।অনেক আওয়ামী লীগ শুকর গুজার করে "আলহামদুলিল্লাহ" উচ্ছারন করে নীজের দিলকে শীতল করেছেন- সাথে বন্ধুদেরকেও শীতলতার পরশ দিতে ভুল করেননি। এই পরশ তিনি কি মুজিব আদর্শের সৈনীক হয়ে বুঝে শুনে দিলেন নাকি আওয়ামী লীগ করি ভাল লাগে তাই, দর্শন জানার প্রয়োজন কি- এই বোধ থেকে দিলেন? আমি আপনাদেরকে আজ একটি বিতর্কিত কথা জেনে শুনেই বলতে চাই, পারলে কোন বন্ধু আমাকে সহজ ভাবে বলে বুঝিয়ে দিবেন,"পবিত্র কোরানে বহু জায়গায় আল্লাহপাক বলেছেন,"জ্বীন এবং এনসান"এর বিচার হবে কিয়ামতের ময়দানে"।কোরানের কোন জায়গায় বলেছেন জ্বীন এবং মসুলমান ধর্মের অনুসারীদের বিচার হবে?"এনসান বলতে মানব জাতি কে বুঝায় নাকি শুধু ইসলাম ধর্মালম্বিদের বুঝায়? ইহজগতে বিচারের পর আদালত শাস্তি নিশ্চিত করেন কার কি শাস্তি আইনানুযায়ী প্রাপ্য।কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহ মানব জাতি এবং জ্বিনের বিচার করবেন বলেছেন,"সেই বিচার অনুষ্ঠিত হবে দুনিয়ায় কৃত অপরাধের,নিশ্চয়ই ধর্মের বিচার হবেনা। ইসলাম যেহেতু আল্লাহ প্রেরীত মানুষকে সৎ পথে থাকার নির্দেশনামুলক ধর্ম সেহেতু ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা শাস্তি ভোগের পরে হলেও বেহেস্তে যাবেন, এই বাড়তি সুবিধা তাঁদের রয়েছে। অন্য কোন ধর্মের মানুষ এই সুবিধা পাবেনা। আমি আমার প্রত্যেক লিখার একটি পয্যায়ে হলেও চ্যালেঞ্জ করে বলতে চেয়েছি,"জাতির জনকের সাড়ে তিনবছরের ধর্মনিরপেক্ষতার শাষনে ইসলামের প্রচার প্রসারে সে সমস্ত মৌলিক কাজ গুলী হয়েছিল তাঁর মৃত্যুর পর আমাদের যে কয়জন শাষক- শাষন করেছেন, সবাই ইসলামের জন্য জীবনবাজি রাখা শাষক,। গত ৪০বছরে তুলনামুলক তাঁর সিকিভাগ কাজ সবাই মিলে কি করেছে? যদি না করে থাকে, আপনার মনে হয়-তাহলে ধর্মের শাষন কেন চাইতেছেন? তাহলে এই ধর্মের শাষন আমাদের কি প্রয়োজন,"যে ধর্মের শাষন আমার "লালিত বিশ্বাস ইসলাম ধর্মের" কোন কাজ করেনা?তার চাইতে কি নিরপেক্ষতার নীতি অধিক শ্রেয় নয়?" *"ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা পুরো জাতির ‘অস্তিত্বের’ বিষয় মন্তব্য করে তাদের রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।" “এটি শুধু ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অস্তিত্বের বিষয় না, এটা সমগ্র জাতির এবং আমাদের অস্তিত্বের বিষয়। আসুন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব রক্ষায় রুখে দাঁড়াই। কারণ তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে আমি নিরাপদ থাকব- এটা হতে পারে না।”* ষ্টার চিহৃত উপরের অংশটুকু বিশেষভাবে হৃদয়নগ্গম করুন বন্ধুরা,তারপর আওয়ামী লীগ করেন।এত বেশী ধর্মানুরাগী যদি হয়ে থাকেন তবে দেশরত্মের খোলাফায়ে রাশেদীনের শাষনের প্রতি আপনার সমর্থন পাওয়া যায়নি কেন।বর্তমানের আলেম সমাজ কি তাঁদের চেয়েও বড় কিছু? বিশদভাবে কিছু বলতে চাইনা, "দেশ একটা বড় রকমের পরিবর্তনের দিকে দাবিত।আজকের জরিফেও এসেছে,"এই সরকার দেশকে সঠিক ভাবে এগিয়ে নিচ্ছে শতকরা তিয়াত্তরজন মানুষ মনে করে।তার পরেও আওয়ামী লীগ তাঁর লালিত আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবে? '৯১-'৯৬-২০০১--২০০৮ইং সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতি এত সংখ্যক মানুষের "মৌন সমর্থন" ছিল? তখন যদি আদর্শ বিচ্যুত হওয়ার প্রয়োজন অনুভব করে না থাকে দল, এখন করার প্রয়োজন হয়েছে কিভাবে মনে করতে পারলেন প্রিয় মুজিব আদর্শের বন্ধুরা?? শীর্ষের ষ্টার চিহ্নিত প্যারা এবং মাঝে আশরাফুল ইসলাম সাহেবের মন্তব্য হৃদয় দিয়ে অনুভব করুন,"দলকে যদি ভালবাসেন কোড করে রাখুন,নীজের অন্তরের সাথে মিলিয়ে দেখুন বর্তমানে আওয়ামী লীগ কি সমস্যায় আছে। বিরুদীরা আওয়ামী লীগের কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। ক্ষতি করতে পারবে ঘরের শত্রুরা। যারা না বুঝেই অতিরঞ্জিত করে-দলের বক্তব্যকে বিকৃত করে প্রচার করে।তাঁরা দলে জায়গা করে নিয়েছে শুধু আখের গোছানোর জন্য, আদর্শকে অনুভব করার, ধারন করার প্রয়োজন তাঁদের নেই। ______________________ জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা