পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
ছবি

বর্তমান সরকারের গত দুই বছরে কৃষি শিল্পে ও খাদ্যে অভাবনীয় উন্নতির ধারাবাহিকতার খন্ড চিত্র:--- ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ বর্তমান সরকারের গত দু'ই বছরে কৃষি শিল্প ও খাদ্যের অভুত পুর্ব অগ্রগতির ধারা বাহিকতা ধরে রেখেছে। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ।কৃষকের উন্নতি বাংলাদেশে এর উন্নতি। এই বিবেচনায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা ২০০৮ইং সালে সরকার গঠন করেই মন্ত্রী সভার সবচেয়ে সৎ,কর্মঠ,ত্যাগী, কৃষকের বন্ধু মতিয়া চৌধুরীকে এই মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব প্রদান করেন।প্রধান মন্ত্রীর সিদ্ধান্তযে একেবারে শতভাগ সঠিক ছিল তা বছর না পেরুতেই প্রমানীত হল। জনাবা মতিয়া চৌধুরী মন্ত্রী সভায় সফথ গ্রহন করেই বলেছিলেন, তিনি কৃষি এবং কৃষকের ভাগ্যের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাবেন।তিনি তাঁর ওয়াদা রেখেছেন অক্ষরে অক্ষরে।বিশাল খাদ্য ঘাটতির দেশকে তিনি সরকারের তিন বছরের মাথায় খাদ্যে উৎবিত্ত দেশে রুপান্তরীত করতে সক্ষম হয়েছেন।তাঁর পরের ইতিহাস আরো আনন্দদায়ক উৎসাহ ব্যঞ্জক।তিনি দেশকে খাদ্য রপ্তানীর দেশে পরিনত করে দেশের মমানুষ ও বিশ্ব বাসিকে আশ্চার্য্য চমকানোর মত খবর সৃষ্টি করছেন।তিনি যুগান্তকারি এক উক্তি করেছিলেন,আমার সারা জীবন মনে থাকবে।তিনি বলেছিলেন, ""সারের জন্য বাংলাদেশের মানুষকে গুলী খেয়ে মরতে হবেনা,সার মানুষ আর খঁজতে হবেনা,সারেই মানুষের বাডী বড়ী গিয়ে খোঁজবে।"" তিনি তাঁর কথা অক্ষরে অক্ষরে রেখেছেন।গত সাত বছরের মধ্যে একদিনের জন্যেও সারের অভাব হয়নি।সারের দামতো বাড়েইনি বরং অনেক কমে কৃষকের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই অবস্থান করছে বিগত সাত বছর। কৃষি:-- ♥♥♥ (১) ২০১৪-১৫ সালে খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে ৩৮৪'১৮ লক্ষ মেট্রিক টন। (২) উৎপাদনের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রায় ৭ হাজার ১০১ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। (৩)খামার যান্ত্রিকীকরনে ৩০শতাংশ ভর্তূকিতে যন্ত্রাংশ সরবারহের জন্য ১৭২'১৯ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন সহ হাওড় অঞ্চলে কৃষিযন্ত্র সরবারহের জন্য ১০'৬০ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। (৩) গত দুই বছরে খরা,বন্যা, লবনাক্ততা সহনশীলসহ রোগ প্রতিরোধ সক্ষম এবং উচ্চ ফলনশীল ৬৪টি জাত অবমুক্ত করা হয়েছে। (৪) কৃষকদের জৈবসার ও প্রাকৃতিক বালাইনাশক ব্যবহারে উৎসাহিত করার ফলে নিরাপদ ফসল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। (৫) ২০১৫ সালে দানাশস্যের উৎপাদন ৩৫'৬৮ লক্ষ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। (৬) নিরাপদ খাদ্য মজুদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে অভ্যন্তরীন উৎস হতে ১২ লক্ষ টন চাল এবং ২ লক্ষ ৪হাজার মেট্রিক টন গম সংগ্রহ করা হয়েছে। (৭) ২০১৫ সালে মত খাদ্যশস্য মজুদ ছিল ১৫লক্ষ ৪৬ হাজার ৯৩৯মেট্রিক টন। (৮) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান মহাজোট সরকারের সময়ই শ্রীলংকায় ২৫হাজার মেট্রিক টন চাল রপ্তানি হয়েছে। ""এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এই প্রথম অন্য দেশে চাল রপ্তানি করেছে।" (৯) সরকারি খাদ্য বিতরন কর্মসুচির আওতায় ১১লক্ষ ২৭হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ৪লক্ষ ৪৭হাজার মেট্রিক টন গম বিতরন করা হয়েছে। (১০) সরকারি খাদ্য গুদামের ধারনক্ষমতা ১৯লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। সান্তাহার সাইল ক্যাম্পাসে ২৫০০০মেট্রিক টন ধারনক্ষমতাসম্পন্ন বহুতল গুদাম নির্মান সম্পন্ন হয়েছে। মৎস্য:- ♥♥♥ (১) বর্তমানে মৎস্য উৎপাদনে গড় প্রবৃদ্ধির হার ৬.২৩ শতাংশ। (২) প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ লোক মৎস্যখাত থেকে জীবিকা নির্বাহ করে। (৩) রুপকল্প ২০২১ অর্জনে লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩৫.৪৮ লক্ষ মেট্রিক টন মৎস্য ও চিংড়ি উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। (৪) দুই বছরে প্রায় ১৬৫ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত মাছ উৎপাদিত হয়েছে। (৫) ১.৬১ লক্ষ মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে ৯.৫ হাজার কোটি টাকার বৈদশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। (৬) মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ blue growth economyতে বাংলাদেশকে pilot country হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দুধ:-- ♥♥♥ (১) ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দুধের উৎপাদন ৬৯.৭০ লক্ষ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। (২) একই সময়ে মাংস ও ডিমের উৎপাদন যথাক্রমে ৫৮.৬ লক্ষ মেট্রিক টন ১ হাজার ৯৯ কোটি ৫২ লক্ষে উন্নীত হয়েছে। সার:-- ♥♥♥ (১) ইউরিয়া সারের চাহিদা পূরনকল্পে বার্ষিক ৫ লক্ষ ৮০ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন শাহজালাল সারকারখানা নির্মান প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। (২) বিসিক ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশব্যাপী ক্ষুদ্র শিল্পে ৩৮৯০ ও কুটিরশিল্প খাতে ৮৯৩৪ জন সম্ভাবনাময় শিল্পোদ্যোক্তা চিহ্নিত করে তাদেরকে শিল্পস্থাপনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকার পরামর্শ – সেবা- সহায়তা প্রদান করে আসছে । (৩) বিএসটিআই এর ফুড, মাইক্রবায়োলজী, সিমেন্ট ও টেক্সটাইল ল্যাবরেটরি ভারতের National Accreditiation Board for Testing Laboratories (NABL) থেকে এক্রিডিটেশন লাভ করেছে। বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা কৃষিতে স্বাবলম্বিতা অর্জনের পাশাপাশি যান্ত্রিকিকরনের প্রক্রিয়াও অব্যাহত রেখেছেন।বর্তমান বিশ্বে শুধু একটির উপর নির্ভর করে সমৃদ্ধি অর্জন করা যাবেনা।কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মান এবং দেশিয় প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে দ্রুত উন্নয়ন অগ্রগতির লক্ষকে সামনে রেখে গতকাল রোববার দশটি আঞ্চলিক শিল্প নগরীর ভিত্তি স্থাপন করেছেন। "রুপকল্প২০৪১" বাস্তবায়নের লক্ষকে সামনে রেখে উক্ত শিল্প পার্ক স্থাপনে সরকার উদ্যোগি হয়েছেন। এর আগের দিন এই সমস্ত শিল্প কারখানায় বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তাকে সামনে রেখে ৬০'০০০কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুনির্দিষ্ট উৎপাদনী ব্যবস্থার ঘোষনাও দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলার অভিষ্ট লক্ষে-তাঁরই জৈষ্ঠ কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥দেশরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা♥

ছবি

হাইটেক পার্কে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ তৈরি হবে : = ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, গাজীপুর হাইটেক পার্কে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ তৈরি হবে।এতে লক্ষাধিক তরুণ তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আজ রোববার গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে সামিট টেকনোপোলিস লিমিটেডের সিগনেচার বিল্ডিং ও ম্যানুফেকচারিং বিল্ডিংয়ের গ্রাউন্ড ব্রেকিং উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো শুরু হলো স্মার্টফোন ও ট্যাব তৈরির কার্যক্রম। আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ কম্পিউটার প্রয়োজন। বিদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করতে প্রচুর টাকা বিদেশে চলে যায়। পার্কে প্রথমবারের মতো প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে সামিট গ্রুপ ও শ্রীলঙ্কার প্রতিষ্ঠান ইডব্লিউআইএস কলম্বো যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ খান, ইডব্লিউআইএস কলম্বোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সানজিওয়া এ উইকরা মানায়েক প্রমুখ। ২৩২ একর ভূমির মূল পার্কটির ২ নম্বর ব্লকে ৬২ একর ও ৫ নম্বর ব্লকের ২৯ একর জায়গায় সামিট টেকনোপোলিস লিমিটেডের সিগনেচার বিল্ডিং ও মেনোফেকচারিং বিল্ডিংয়ের নির্মাণকাজ শুরুর মধ্য দিয়ে পার্কটির যাত্রা শুরু হলো। ব্লক দুটিতে মোট ২০৭ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগ করা হবে বলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। গতকাল রোববার গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে সামিট টেকনোপোলিস লিমিটেডের সিগনেচার বিল্ডিং ও ম্যানুফেকচারিং বিল্ডিংয়ের গ্রাউন্ড ব্রেকিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু ♥জয়তু জাতির জনকের কন্যা♥

ছবি

ইউপি নির্বাচনে বিএনপি তৃনমুলের ব্যার্থ্যতা--সরকারের কাঁধে তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত==== ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ বিএনপি জাদুঘরের পথে বলেছিলাম বছর খানেক আগে। অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। আগুন সন্ত্রাসের মাশুল আগামী কত প্রজর্ম্ম দিতে হবে তাঁর ইয়ত্তা নেই। কেন্দ্রীয় বিশ দলীয় জোট থেকে শুরু করে তৃনমুল পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিষ বাস্প ছড়িয়ে পড়েছে। যার সাক্ষাৎ প্রমান পাওয়া যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের হালহকিকতের দিকে তাকালে। কিছু দিন আগে ঘোষিত সাড়ে সাতশত ইউপি নির্বাচনের তফসিলের দিকে তাকালে দেখা যায়,১০৩ ইউনিয়নে প্রার্থী দেয়ার কোন নেতাকর্মী পায়নি বিএনপি।১৫০ইউপিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সমঝোতা করে প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।২০০ ইউপিতে নমিনেশন নিয়েছে ঠিকই কিন্তু প্রায় ১০০টিতে ভোটের মাঠে থাকবে বলে মনে হয়না। মাঠে থাকলেও প্রতিরোধ বা প্রতিযোগিতা, কেন্দ্রে কেন্দ্রে এজেন্ট নিয়োগ থেকে বিরত থাকবে। ১০০টি বা তার কমবেশী ইউপিতে নির্বাচনী হাওয়া যথারীতি প্রতিযোগীতামুলক হবে। লড়াইয়ে ৩৫/৪০ ইউপিতে জয় চিনিয়ে নিতে পারবে বলে আশা করা যায়। বাদবাকী ২৫০ ইউপিতে নামে বেনামে জামাতে ইসলামকে ধানের শীষ মার্কা দিয়ে ভোট যুদ্ধে নামিয়ে দিয়েছেন। জামাতে ইসলাম যে সমস্ত ইউপিতে প্রতিদ্বন্ধিতায় নেমেছেন সেই সমস্ত ইউপিতে নৌকা প্রতিকের সাথে সঙ্গত কারনে সংঘর্ষ হবে। ব্যাপক সহিংসতা হওয়ার আশংকাও উড়িয়ে দেয়া যায়না। এখানে যে ১০০ইউপিতে আগেই ভোট যুদ্ধে হেরে বসে আছেন, তাঁরা বাধ্য হয়ে নমিনেশন নিয়েছেন। অথবা বলা যায় থানা বা জেলা নেতারা বাধ্য করেছেন নমিনেশন নিতে। কেউ কেউ নিয়েছেন, অন্য কেউ নমিনেশন নিলে আগামীতে সে তাঁর জন্য কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে--এই ভেবে, আগেই নমিনেশন তাঁর পকেটস্ত করে রেখে দিয়েছেন। কেউ কেউ আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে নিয়ে নমিনেশন হাইজ্যাক করে নেয়ার সুযোগ দিয়ে নীজেই দলের কাছে পতিচ্ছন্ন নেতা হিসেবে ভাবমুর্তি তুলে ধরেছেন। লক্ষনীয় বিষয়টি হচ্ছে জামাতের নেতারা যে সমস্ত ইউপিতে ধানের শীষ নিয়ে লড়াইতে নেমেছেন, সেই সমস্ত ইউপিতে একটা নমিনেশনও হাইজ্যাক বা চিনতাই হয়নি। অথছ তাঁদের নমিনেশন চিনতাই হওয়ার সম্ভাবনাই ছিল বেশী। এই থেকে উপলব্দি করা যায় মুল ব্যপারটি কোথায়। চিনতাই হওয়া ইউপি নমিনেশনের ব্যাপারে বিএনপি কেন্দ্র থেকে বলছেন, "আওয়ামী লীগ ভোটের আগে জবরদখল করার জন্য তাঁদের প্রার্থীদের নমিনেশন চিনতাই করে নিয়ে গেছে।ভোটকে সরকার প্রহসনের ভোটে রুপান্তর করেছেন। "মুলত:গত পৌরনির্বাচনেও বিএনপির নেতারা তাঁদের দলের সাথে ঠিক এই প্রতারনাই করেছেন,জনগন বুঝে উঠতে পারেনি।ব্যাপারটি এবারকার ইউনিয়ন পরিষদের ভোটে পরিষ্কার হল। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রায় একই অবস্থা বিরাজমান। আমার নীজের ইউনিয়ন সহ অধিকাংশ ইউনিয়নে নমিনেশন দিতে পারবে কিনা সন্দেহ। ছাত্রদল-যুব দলের নেতারা বাড়ী বাড়ী গিয়ে নমিনেশনের জন্য প্রার্থী খোঁজে না পেয়ে হাল ছেড়ে একে অপরের উপর দোষ দেয়ার অভিনয়ে ব্যাস্ত আছে। ইতিমধ্যে শুনা যাচ্ছে অনেকে আগামী দিনের সুযোগ সুবিধার বিনিময়ে প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, কেউ কেউ প্রার্থীতা রাখবেন কিন্তু ভোট যুদ্ধে অংশ নিবেন না। আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপির এই হযরলব অবস্থাকে শতভাগ কাজে লাগিয়ে আমার নীজের ইউনিয়ন সহ বেশ কিছু ইউনিয়নে অযোগ্য, অথর্ব, হাইব্রিড কিছু আত্মীয় স্বজনকে আগামীর নেতা হিসেবে পোক্ত করার উদ্দেশ্যে নমিনেশন দিয়ে মাঠে নামিয়ে দিয়েছেন।স্বাভাবিক অবস্থায় ভোট হলে এরা কেহই তিনশ ভোটের কৌটা পার হতে পারবেনা। অথছ সারা জীবন দলের জন্য সব হারিয়ে এই একটি মুহুর্তের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন ইউনিয়নের অনেক নেতা কর্মী। আবার আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বিএনপির অসংঘটিত মুহুর্তকে কাজে লাগিয়ে কিছুটা প্রভাব বিস্তার করে বিনা প্রতিদন্ধীতায় নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড় গড়ার চিন্তাভাবনায় আছেন। উপরের আলোচনার অর্থ এই নয় যে, বিএনপির ভোট কম বা বিএনপি ভোটে জিতবেনা।আমার নীজের ইউনিয়ন সহ আশেপাসের সব কয়টি ইউনিয়নে ভোটের সংখ্যাধিক্যে বিএনপি অনেক এগিয়ে।স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৪/৫ জন প্রার্থী বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করলেও দেখা গেছে অতীতে আওয়ামী লীগেরই কেউনা কেউ জীতে গেছে।অর্থাৎ বিএনপির ভোট অনেক বেশী হলেও স্থানীয় এমন কোন ক্লীন ইমেজের ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নেতা নেই, যে নির্বাচনে জনগনের ভোট পেতে পারে। রাজনীতি বলি আর ভোট যুদ্ধ বলি সবার আগে প্রয়োজন সংগঠন এবং সংগঠিত শক্তি। ভোট অনেক থাকলেও সঠিক নেতৃত্বের অভাবে এবং সংগঠিত শক্তির অভাবে ভোটের বাক্সে ভোট পড়েনা। বিএনপির হয়েছে তাই, জনমতের পাল্লায় যদিও অনেক এলাকায় আওয়ামী লীগ ভাগ বসাতে পারেনি, সে ক্ষতি শতভাগ পুরন করে নিচ্ছে তাঁদের বিচ্ছিন্নতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে। প্রত্যেক ক্ষমতাধর নেতা নীজেদের আত্মীয়-স্বজনকে নমিনেশন দিয়ে অনায়াসে- অনেক ক্ষেত্রে বিনা প্রতিদন্দধীতায় পাসের ব্যবস্থা করে দলের অভ্যন্তরে স্থায়ী আসন নিচ্ছিত করে দিচ্ছেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিএনপির অনেকের আচার-আচরন লক্ষ করে দেখেছি, সবাইর বদ্ধমুল ধারনা আওয়ামী লীগ জোর করে, কেন্দ্র বন্ধ করে ভোট নিয়ে যাবে। কথাটার মধ্যে বাস্তবতা অবশ্যই আছে। প্রতিরোধ, প্রতিদন্ধীতা না থাকলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ভোটের বাক্স কি খালী উপজেলায় পাঠিয়ে দিবে? খোলা মাঠ পেয়েও কি তাঁদের প্রার্থীকে জিতাবেনা? বলতে পারেন আপনাদের সময় কি এমন হয়েছে? আমি বলব না হয়নি-হয়নি এই জন্য কোন নির্বাচন আওয়ামী লীগ বিনা চ্যালেঞ্জে আপনাদের ছেড়ে দেয়নি। বরঞ্চ প্রত্যেক ইউনিয়নে আপনাদের একক প্রার্থীর বিপরীতে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী প্রতিদন্ধীতা করেছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে বিজয়ও চিনিয়ে এনেছে। এমনও দেখা গেছে অনেক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ-আওয়ামী লীগের সাথে প্রতিদন্ধীতা করেছে, আপনাদের একক প্রার্থী ৪/৫ নাম্ভার সিরিয়ালে অবস্থান নিতে কষ্ট হয়েছে। বিএনপি নেতা কর্মীদের পিছু হঠার চরিত্র কেন্দ্র থেকে তৃনমুল পয্যন্ত বিস্তৃত।দলটির আদর্শহীনতার কারনে বেশীরভাগ নেতাকর্মী আপোষকামী। দলের প্রতি তাঁদের কোন আন্তরীকতা, ত্যাগী মনোভাব নেই। ইউনিয়ন পরিষদে শক্ত অবস্থান নিয়ে ভোটে অংশ নিতে ১০/২০লক্ষ টাকা খরছ হবে, এই ত্যাগ কেউ স্বীকার করতে রাজী নহে। "গ্রাম্য একটা কথা চালু আছে --*শোয়াতে ফেলে ব্যাং ও লাফ দিয়ে যায়।"তাঁদের বেলায় ও কথাটা শতভাগ সত্য।ক্ষমতায় যখন ছিল,আওয়ামী লীগের কোন নেতাকে রাস্তায় বেরুতে দেয়নি,১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস গ্রামের অভ্যন্তরে নেতা কর্মীদের বাড়ীতেও পালন করতে দেয়নি। সমাজের নিকৃষ্ট পরিবারের যুবক ছেলেটিও ব্যাপক দাপটে সমাজে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছিল। যে যেখানে ছিল শুধু লুটপাট আর লুটপাট। এই ছাড়া আর কিছুই তাঁরা বুঝেনা। এখন সময় যখন এসেছে, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের কাতারে অবস্থান করার--তখন কাউকে পাওয়া যাচ্ছেনা নির্বাচন করার জন্য দায়িত্ব নেয়ার। এই প্রসংগে আমার নীজের অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের একটু বলতে চাই।১৯৯৬ এ ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জনাব আজিজুল হক মজুমদার সাহেব মারা গেলে প্রথম যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দলের সমুদয় দায়িত্ব আমার উপর বর্তায়।দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী বা নেতা হিসেবে দলের সকলের অবস্থা অবস্থান করনীয় আমার উপরই থাকা স্বাভাবিক।দলীয় ভাবে ২০০১ ইং সালের নির্বাচনের পর আমরা আর কোন দিন পাঁছ বছরের মধ্যে প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করতে পারিনি বা করতে দেয়া হয়নি। তাই বলে কি আমরা বসে ছিলাম?দিনের পর দিন কর্মীদের বাড়ীতে বাড়ীতে খোঁজ খবর,ছোট ছোট মিটিং, দলীয় বিশেষ দিবস গুলী কোন নেতার বাড়ীতে করতে থাকি।এমনিতে দলের ভিতরে বাইরে আমার ব্যাক্তিগত একটা শুনাম ছিল,পারত পক্ষে আমি কোন বিএনপি নেতা কর্মীদের গালাগাল, মারধর ইত্যাদি করিনি। দলকে উজ্জিবীত করা,আর জ্বালাময়ী বক্তৃতায় নাকি আমি পারদর্শী,এই দুইটাতে বেশ সুনাম ছিল। সেই আমাকে পয্যন্ত বিএনপি রক্ষা দেয়নি।২০০৩ ইং সালে এমনি গ্রামের এক মিটিং সেরে আমার নীজ বাড়ীতে যাওয়ার পথে তাঁরা আক্রমন করে।আমার সাথের টাকা পয়সা,মোবাইল ফোন,গড়ি,মোটর সাইকেল নিয়ে যায়।আমাকে -----মহুরী নদীতে নিক্ষেপ করে।আমার বন্ধু তালিকায় ফুলগাজী-ফেনীর অনেকেই আছেন, আমার বাস্তব এই ঘটনা মিথ্যে হলে চেলেঞ্জ করার মত। তাঁরপরও কি দল বা রাজনীতি থেকে বিরত রাখতে পেরেছে? অবশ্য পরে বিএনপির উপজেলা শাখার নেতারা আমার মোটর সাইকেল অক্ষত অবস্থায় ফেরৎ দেয়। গত পাঁছ,সাত বছরের মধ্যে আমি শুনেনী বিএনপির কোন নেতা কর্মীর উপর এইধরনের কোন নির্য্যাতন হয়েছে। তাঁদের দলীয় কর্মসুচিতে বাধা দিয়েছে, কোন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বিএনপির উপর আক্রমন করেছে। তাঁরপরও কেন তাঁরা অসংগঠিত, বিচ্ছিন্ন, সাহষ হারা? কারন একটাই,খালেদা জিয়া আগুন সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিয়ে যে ভুল করেছে,আগামী দশ/বিশ বছর বিএনপি ক্ষমতার বৃত্তে আসতে পারবেনা।এই দশ /বিশ বছর ঝামেলা মুক্ত থাকার জন্য বিএনপি নেতারা কেউ দায়িত্ব নিতে চাচ্ছেনা। কেন্দ্রীয়ভাবেও দলকে উজ্জিবীত করার মত কোন কর্মসুচি দিতে পারেনি বিএনপি।মাঠ পয্যায় হতাশায় আচ্ছন্ন নেতাকর্মীরা। তৃনমুল পয্যায় বেহাল দশাকে বিএনপি নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের কাঁধে তুলে দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত।আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে দু:চিন্তাগ্রস্থ প্রতিযোগিতাহীন নির্বাচনে কিভাবে কেন্দ্রদখল প্রতিরোধ করবেন। প্রতিরোধহীন নির্বাচন সুষ্ঠ করার কোন কৌশল কি আছে? সুষ্ঠ না হলে দেশে বিদেশে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। দেশে বিদেশে সবাই জানে বিএনপি শক্তিশালী দল ২/৩বার সরকারে ছিল,তাঁরা প্রতিযোগিতা,প্রতিরোধ বা প্রতিদন্ধীতা করবে।সর্বত্র লড়াইয়ের চেলেঞ্জ করার সামর্থ্য দলটির আছে।একেবারেই অমুলক নয়। তাঁদের ভিতর বাহিরে যে পেট্রোলের আগুন জলছে সেটা কি তাঁদের ধারনায় আছে? কোথাও তাঁরা সামান্য রাজনৈতিক প্রতিরোধ করতে পারবে সেই সামর্থ্য নেই। তাঁদের দুর্বলতা তাঁরা স্বীকার না করে উলটা আওয়ামী লীগের মিথ্যা বদনামে ব্যাস্ত। সাংগঠিনিক ভাবে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের উধ্বতন মহল সাংঘাতীক দু:চিন্তাগ্রস্ত নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচন কমিশনেও শংকা দেখা দিয়েছে, ,একতরফা নির্বাচন এর আইনশৃংখলা, কেন্দ্রের দরজা বন্ধ কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়। প্রতিযোগীতাহীন নির্বাচন সুষ্ঠ করার ইতিহাস বিশ্বের কোন দেশেই নেই। পশ্চিমা পঁচা গনতন্ত্রেতো নেয়ই। নির্বাচন সুষ্ঠ না হলে গনতন্ত্র প্রশ্নবিদ্ধ। আগামী সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ, সরকারের এবং নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতাও দেশে বিদেশে প্রশ্ন বিদ্ধ হবে। বিএনপি নীজেদের দুর্বলতাকে সরকারের ব্যর্থতা প্রমানে আগেভাগেই মাঠে নেমে গেছে।এখন থেকেই পুরাতন অভ্যেসের পুর্নরাবৃত্তি শুরু করে দিয়েছে। মুলত: ষড়যন্ত্র,মিথ্যা, প্রতারনা, ছাড়া এই মহুর্তে দলটির করার আর কিছুই নেই। পরিশেষে চেলেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই,বিএনপির বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে, কোন অবস্থায় আগামী সংসদ নির্বাচনে ৩০০আসনে প্রার্থী দিতে পারবেনা। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং তাঁর নেত্রী জাতির জনকের কন্যার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক,বহিবিশ্বে গ্রহন যোগ্যতা, গানিনিতিক হারে উন্নয়ন অগ্রগতি বিরুদী দলের রাজনীতি খেই হারিয়ে অন্ধের হাতি দর্শনের কাহিনীতে রুপ নিয়েছে। ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥দেশরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা♥

ছবি

আই,এম,এফে বাংলাদেশের শেয়ার দ্বিগুন,বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভের পরিমান রেকর্ড় বৃদ্ধি==== ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন ২৮ বিলিয়ন ডলারের নতুন উচ্চতা স্পর্শ করেছে। ২৪/০২/২০১৬ ইং বৃহস্পতিবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ২৮ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মেয়াদের আমদানি বিল পরিশোধের আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ২৮ বিলিয়ন ডলারের উপরেই অবস্থান করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। ♥এদিকে আন্তজাতিক সাহায্য সংস্থা আই,এম,এফে বাংলাদেশের শেয়ার দ্বিগুন হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশের কোটা বৃদ্ধির চাঁদা পরিশোধের মাধ্যমে এ ক্ষমতা দশমিক ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দশমিক ২৪ শতাংশ হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ২০১০ সালে আইএমএফ এর ১৪তম কোটা পুনঃমুল্যায়ন সভায় বাংলাদেশের কোটা বা শেয়ার ১০০ শতাংশ বাড়িয়ে ১০৬ কোটি ৬০ লাখ ‘এসডিআর’ করা হয়, যা কার্যকর হয়েছে গত ২৬ জানুয়ারি থেকে। বর্তমানে আইএমফের মোট তহবিলের দশমিক ২৪৫ শতাংশ বাংলাদেশের। বুধবার সরকার নতুন শেয়ারের মূল্য বাবদ ৬ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করে। এর মধ্যে ১৫০০ কোটি টাকা বা ১৩ কোটি ৩৩ লাখ ২৫ হাজার এসডিআর বৈদেশিক মুদ্রায় এবং ৪৫০০ কোটি টাকা বা ৩৯ কোটি ৯৯ লাখ ৭৫ হাজার এসডিআর স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধে করেছে। আইএমএফের কোটাতে কোনো দেশের যে পরিমাণ শেয়ার থাকে ওই দেশ তার ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি মেটাতে তা ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া এটি কোনো দেশের আর্থিক অবস্থার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড। এরমাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশের আর্থিক সক্ষমতা মাপা হয়ে থাকে। বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো দেশে অর্থায়নের ক্ষেত্রে এই সূচকটিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। উল্লেখীত দু'টি খবর বাংলাদেশের জনগনকে নি:সন্দেহে আশ্বস্থ করেছে, দিন দিন জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দৃড় থেকে দৃড়তর হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী ঘোষিত "রুপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১" বাস্তবায়ন শুধু কল্পনায় নয় বাস্তবতার সীমা অতিক্রম করে আগেই পুরনের ইঙ্গিত বহন করে। দেশী বিদেশী বিশেষজ্ঞগন ইতিমধ্যেই আশা প্রকাশ করে বলেছেন ২০১৮ সালের মধ্যেই "রুপকল্প ২০২১" বাস্তবায়িত হয়ে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশের সক্ষমতা অর্জন করার সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে।সম্ভাবনার কথাটা এই কারনেই ব্যক্ত করেছেন, অপরিপক্ষ রাজনীতি, ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ার সম্ভাবনা বাংলাদেশের সবসময়ে বিরাজমান থাকে। বাংলাদেশের সবমহলের শুভজ্ঞানের উদয় হবে ইহাই কামনা করে বাংলাদেশের জনগন।বাংলাদেশের জনগনের মনে বহু প্রশ্ন ছিল জাতির জনকের পরিবার এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিয়ে। সকল প্রশ্নের উত্তর জাতির জনকের কন্যার দুরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে ইতিমধ্যে পেয়ে গেছেন। জনগন অত্যান্ত খুশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তাঁর নেতা জাতির জনকের কন্যার প্রতি। তাইতো লক্ষ করলে দেখা যায় দলীয় রাজনীতির ভেড়াজাল উপেক্ষা করে, জাতীয় নেতাদের অদুরদর্শী নেতৃত্বের প্রতি তোয়াক্কা নাকরে দেশব্যাপি অঘোষিত জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে। ♥♥♥♥♥♥♥♥ জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥দেশরত্ম শেখ হাসিনা♥

ছবি

৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা সরকারের-----!!!!!!!!! ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে নতুন ৪ বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। দেশকে বিশ্বের বুকে উন্নত একটি দেশ হিসেবে পরিচিত করার লক্ষে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন। "এরমধ্যে ২০১৬ সালের মধ্যে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। ২০২১ সালে ২৪হাজার মেগাওয়াট, ২০৩১ সালের মধ্যে ৪০হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাযজ্ঞের কাজ শুরু হল আজ থেকে(২৫/০২২০১৬ইং)। " নতুন ৪ বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে বিদ্যুৎ ঘাটতি কমে যাবে। দেশের সব মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনা যাবে।যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌছেনি সেখানে সৌর বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা রেখেছে সদাধয় সরকার। প্রথমে তিনি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় ৯০টি গ্রামের ৬০০০ পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর চট্টগ্রামের পটিয়ার ১০৮ মেগাওয়াট ইসিপিভি চট্টগ্রাম লিমিটেড, কুমিল্লার জাঙ্গালিয়ার ৫২ দশমিক ২ মেগাওয়াট লাকধানাভি বাংলা পাওয়ার লি., গাজীপুরের কড্ডার ১৫০ মেগাওয়াট বিপিডিবি-আরপিসিএল পাওয়ারজেন লি. এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের ২২৫ মেগাওয়াট সিসিপিপি (এসটি ইউনিট) বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন তিনি। বিদ্যুৎ খাতে বর্তমান মহাজোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈর্ষনীয় সাফল্য দেশী বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগে উৎসাহীত করবে নি:সন্দেহে। উপরে উল্লেখীত পরিকল্পিত বিদ্যুৎ প্লান্ট গুলী "রুপকল্প ২০৪১" এর প্রস্তুতি মুলক প্রজেক্ট। জাতির জনকের কন্যা শুধু স্বপ্নই দেখাননা, বাস্তবে রুপায়ন করে গনমানুষের আস্থা ও বিশ্বাসকে করে চলেছেন দৃড থেকে দৃডতর। এছাড়াও গত দুই বছরে "রুপকল্প ২০২১" বাস্তবায়নের লক্ষে দেশরত্মের সরকার বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করে অন্ধকারাচ্ছন্ন জাতিকে আলোতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। ১৯৯৬ ইং সালে সরকার গঠন করার পর বিভিন্ন মুখী প্রকল্প গ্রহন করে দেশকে বিদ্যুতের চাহিদা মাপিক উৎপাদন কাঠামো প্রস্তুত করেন। ২০০১ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে নীজ আবাসস্থলে আসার আগেই ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার লাভ শুরু করে। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের উপর নেমে আসে বিভীষিকাময় কালরাত্রী। ২৪ ঘন্টার মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদ শপথ নেয়ার আগেই সচিবালয় থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদ পয্যন্ত সরকারি কর্মচারিদের আওয়ামীমনা অভিযোগের ভিত্তিতে গনহারে বদলি, চাকুরী চ্যুতি, মানষিক নীপিড়নের উদ্দেশ্যে ও,এস,ডি করে প্রসাশন ব্যবস্থায় অস্থীর এক পরিবেশ নীমিষেই সৃষ্টি করে ফেলে। আওয়ামী লীগের সাম্ভাব্য একাদিক এম,পি প্রার্থীকে চিহ্নিত করে ধরপাকড়, হত্যার হুমকি এমনকি সেনাসদস্যদেরকে লেলিয়ে দিয়ে বাড়ীঘর পয্যন্ত লুটপাট করতে দ্বিধা করেনি। জেলার প্রধান নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে যুদ্ধাংদেহী মনোভাবে পাড়া মহল্লা সহ আশপাশে আক্রমন করে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। অনেক জেলা নেতা পালিয়ে বাঁচলেও অনেকেই জেলের অভ্যন্তরে অমানষীক নির্য্যাতনের স্বীকার হন। নেতাদের নামে একাধিক কল্পিত মামলা দিয়ে মানষিকভাবে দুর্বল করে দেয়। যুবলীগ-ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা দিকবিদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে অনেকে পালিয়ে বাঁচেন, কেউ জেলে,আবার কেউ কেউ তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের স্বীকারে মৃত্যুকে আলীঙ্গন করতে বাধ্য হন। এমতবস্থায় সাধারন নির্বাচনে নেতাকর্মী শুন্য আওয়ামী লীগ চরম পরাজয় বরন করে।এইখানে আমি একটা উল্লেখযোগ্য তথ্য জানিয়ে রাখতে চাই--" "জাতির জনকের কন্যা এই চরম মহুর্তকে আলীঙ্গন করে ভোটের মাঠ থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার না করে, লড়াই চালিয়ে যুগান্তকারি বিচক্ষন নেতৃত্ব দিয়ে পরিপক্ষ রাজনীতিবিদের চরম পরাকাষ্ঠার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হন।" দলের ভিতরে বাহিরে ভোটের মাঠ ছেড়ে আন্দোলনের ডাক দেয়ার জন্য প্রচন্ড চাপকে উপেক্ষা করে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে সারা দেশ চষে বেড়ান। শেখ হাসিনা যদি চাপের মুখে সেই দিন নতি স্বীকার করতেন, তবে বর্তমান বাংলাদেশের ইতিহাস হত অন্যরকম আর এক কাল যুগের ইতিহাস।যেখান থেকে জাতিকে আর হয়তবা টেনে তোলা সম্ভব নাও হতে পারতো। ষড়যন্ত্রের নমুনা দেখা গিয়েছিল ক্ষমতা ছাড়ার অল্প কিছুদিন আগেই। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্রগ্রামের এক জনসভায় ভাষন দিতে গেলে-- তথাকথিত ফ্রিডম পার্টি নামে সরকারের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের প্ররোচনায় সরকারের পোষ্য এসবি,ডিএস বির সদস্যরা আইন শৃংখলা রক্ষার নাম করে জনসভার চতুর্দিকে অবস্থান গ্রহন করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা ভাষন শেষ করার আগ মহুর্তে বৃষ্টির মত গুলি বর্ষন শুরু করে অবস্থান নেয়া জোয়ানেরা। জাতির জনকের কন্যাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই ন্যক্কারজনক মিশন নিয়ে মাঠে নামে অশুভ শক্তি। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্র লীগ, এস,এস,এফ এর কর্মীবাহিনী মানব ঢাল তৈরী করে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে নেত্রীকে সেইদিন প্রানে রক্ষা করেন। সেইদিন এস এস এফের এক সদস্য সহ বহু ছাত্রজনতা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে অকাতরে জীবন দিয়ে প্রমান করেন--,জাতির জনকের কন্যার জীবন রক্ষার স্বার্থে নীজের জীবন তুচ্ছ। সেদিনের বিভৎস্য, নারকীয় ঘটনায় অনেকেই পঙ্গুত্ব বরন করে আজও মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভয়াবহ এই রাষ্ট্রীয় হত্যাযজ্ঞকে তোয়াক্কা না করে শান্তিপুর্ন উপায়ে মেয়াদ শেষে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন জাতির জনকের কন্যা। শিশু গনতন্ত্রের নজিরবিহীন এক ইতিহাস সৃষ্টি করেন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে। ইতিপুর্বে শান্তিপুর্ন ক্ষমতা হস্তান্তরের ইতিহাস বাংলাদেশে আর কখনই ঘটেনি। ষড়যন্ত্রের যদি এখানে শেষ হত তাহলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বৃত্তেই থাকতো। লক্ষনীয় উপলব্দি সেই দিন আওয়ামী লীগ সহ দেশবাসি অবাক বিস্ময়ে বাংলাদেশের নারকীয় ঘটনা অবলোকন করে। বিশ্ববাসিও ঘটনার উপর কড়া নজরই রেখেছিল। স্বাভাবিক মেয়াদান্তে ক্ষমতা হস্তান্তর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। সেই রীতি, বাধ্যবাধকতাকে অনুসরন করে তত্বাবধায়কের হাতে ক্ষমতা দেয়ার ৩/৪ ঘন্টা আগে তথাকথিত বিজয় মিছিলের আয়োজন করে চার দলীয় জোট সারা দেশব্যাপি এক নৈরাজ্যকর পরিস্থীতি সৃষ্টি করে। চার দলীয় জোটের বিজয় মিছিল থেকে সারা দেশব্যাপি আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা কর্মীদের দোকানপাট, ,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ীঘরে একযোগে হামলা করে লুটপাট অগ্নিসংযোগ, মারপিট, হত্যা যজ্ঞের মধ্যযুগীয় তান্ডব লীলায় দেশব্যাপি চরম এক নৈরাজ্যকর পরিস্থীতির সৃষ্টি করে। তাঁরা সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়ী বাড়ী তল্লাসী করে বসত ঘরে আগুন, মন্দিরে আগুন, হিন্দু মেয়েদের লুট, আওয়ামী নেতাকর্মী ,সংখ্যালঘুদের বাড়ীঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে চারখার করে দেয়। এমন নৈরাজ্যকর,বিভিষিকার কাল অধ্যায় পাকহানাদারদের দ্বারাও সংঘটিত হয়েছে বলে ধারনা করা যায়না। মায়ের সামনে মেয়েকে, ভাইয়ের সামনে বোনকে দর্শন করতেও তাঁরা দ্বিধাবোধ করেনি। প্রকাশ্য দিনের বেলায় পুকুরের মাছ, গোয়ালের গরু এবংকি হাঁসমুরগী পয্যন্ত লুটপাট করে নিয়ে যেতে তাঁদের ধর্মের বিবেকে সামান্যতম দ্বীধা হয়েছে বলে মনে হয়না। অসংখ্য হিন্দু পরিবার সমাজের চক্ষু লজ্জায় পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যে উধাও হয়ে গেছেন আজও তাঁদের খোঁজ মেলেনি। রাজনীতি যে এত বিভৎস্য হতে পারে, প্রতিহিংসার আগুনের তাপ যে এত খরতাপে রুপ নিতে পারে কেউ কোনদিন কল্পনাও করতে পারেনি। বিশ্বের কোথাও এমন তান্ডব হয়েছে, ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া দলের উপর এমন অত্যাচার নিয্যাতন নেমে এসেছে ইতিহাসে নেই।হীটলার, মসোলীনি,চেঙ্গিস খাঁ নয়,তাঁর আগের যুগেও মিলবেনা এই বর্বরতার ইতিহাস। ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ উপলব্দি করতে পারবেনা--বর্ণনাও করতে পারবেনা এই বর্বতার বিবরন। তাঁরপরও জাতির জনকের কন্যা নৌকার বৈঠা ছেড়ে এক সেকেন্ডের জন্য পাটাতনে এসে বিশ্রাম নেননি। ঘোর অন্ধকার অবস্থায় দলকে সংগঠিত করে ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশের কোথাও আওয়ামী লীগ নেতারা স্বাচ্ছন্দে ভোটে অংশ নিতে পারেনি। ফলে দলের চরম ভরাডুবি হয়। শত্রুরা শক্তিশালী এবং সক্রিয় থাকা সত্বেও জননেত্রী সুদুরপ্রসারী অথছ বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকি স্বরুপ বেশ কিছু সমস্যার আজীবনের জন্য সমাধান করেন।গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে অখন্ড পাকিস্তানের ২৩ বছর স্বাধীন বাংলাদেশের ২১ বছর কোন সরকার আন্তরীক ভাবে, দেশপ্রেম নিয়ে মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহন করেননি। ঘন ঘন ভারত সফর করলেও দাবী উত্থাপন করতে ভুলে যান( হাস্যকর উক্তি)।তৎসময়ের সংসদের শক্তিশালী বিরুধী দল এবং তাঁর নেত্রী বিবৃতি দিয়ে আগাম ঘোষনা দিয়ে রেখেছিল কমপক্ষে দশ হাজার কিউসেক পানি না আনলে তাঁরা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে দিবেন না। জাতির জনকের কন্যা ভারত সফরে গেলে ভারত সরকার সম্মান সুচক চল্লিশ হাজার কিউসেক পানি বিনা বাক্যব্যায়ে দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। জাতির জনকের নির্মম হত্যার পর মেজর জিয়া ঠান্ডা মাথায় পাহাড়ের অভ্যন্তরে বাঙ্গালী উদ্বাস্তুদের জমি বরাদ্ধ দিয়ে মহা সংকটের জম্ম দিয়ে যান।সংকট শেষাবদি সসস্ত্র যুদ্ধে রুপ নিলে,দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে অজানা অচেনা পথে ঘাটে বেঘোরে সেনাসদস্য সহ বি,ডি,আর,পুলিশ বেসামরিক বাঙ্গালী শরনার্থীরা প্রান দিতে থাকেন। সমস্যার শান্তিপুর্ন সমাধানের পথে না গিয়ে সামরিক বেসামরিক সরকার সমুহ একই ভুখন্ডের অধিবাসীর মধ্যে বলপুর্বক দীর্ঘস্থায়ী এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের দিকে জাতিকে ঠেলে দেয়। জাতির জনকের কন্যার বিচক্ষন নেতৃত্বে সেই যুদ্ধ বন্ধ করে পাহাড়ে উন্নয়নের রাস্তা পরিস্কার করতে সক্ষম হয়।পাহাড়িরা বিপুল পরিমান অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। শান্তিচুক্তির পর বিরুদিদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া প্রাকাশ্য বলেছিল ফেনী জেলার শুভপুর ব্রীজ পয্যন্ত নাকি শেখ হাসিনা ভারতকে দিয়ে দিয়েছেন।তাঁর দল ক্ষমতায় এলে শান্তি চুক্তি বাতিল করার অঙ্গিকারও ব্যক্ত করেছিলেন খালেদা জিয়া।ক্ষমতা উপভোগ করে ছেড়েও দিয়েছেন শান্তি চুক্তি বাতিল করতে তিনি ভুলেই গেছেন।!! ১৯৯৬ ইং সালে যুগান্তকারী সমস্যা সমাধান করেও আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের জালে আটকা পড়ে পরবর্তি নির্বাচনে ফসল ঘরে তুলতে পারেনি। ইহার চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে। এই পরাজয়ের গ্লানীর রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই জাতির জনকের কন্যা দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দেন। অর্থাৎ দলের চরম মহুর্তে সভানেত্রীর পদত্যাগ কর্মীদের পাগল করে দেয়। দলের সর্বস্তরে অজানা এক আবেগীয় আশংকায় পেয়ে বসে। দলকে বাঁচানোর, কর্মীদের মনোবল ফিরিয়ে আনতে আর কোন বিকল্প বিচক্ষন নেত্রী জাতির জনকের কন্যার সামনে খোলা ছিলনা। আবেগের উপর চরম কষাঘাত করে মহুর্তে দলকে পুর্নজ্জিবীত করতে তাঁর তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত মহা ঔষদের কাজ করে। দল ফিরে পায় তাঁর পুরানো সাংগঠনিক শক্তি, নেতারা নেমে পড়েন নতুন শক্তিতে বলিয়ান হয়ে।তার পরবর্তি ইতিহাস সবারই নিশ্চয়ই জানা আছে। দেশরত্ম দলকে সংগঠিত করে নেমে পড়েন গ্রামে গঞ্জে। বাংলাদেশের মানুষের মনে ঠাই করে নেন আপন যোগ্যতায়। ২০০৮ইং সালের সাধারন নির্বাচনে পুর্নশক্তি নিয়ে সরকারে ফিরে আসেন বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে। তাঁর আগেই চার দলীয় সরকার বিশ্বের সেরা দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় পাঁচ বারের জন্য নাম লিখে রেখে গেছেন। তিন মাসের তত্বাবধায়ক দুই বছর সময় পার করে দুই নেত্রীকে জেলের অভ্যন্তরে রেখে নতুন চক্রান্তে মেতে উঠেন।তত্বাবধায়কের দুই বছরও ভিক্ষুকের সনদ রেখে যায় পরবর্তি সরকারের জন্য। কোন ষড়যন্ত্র কায্যকর না হওয়ায় দুই নেত্রীকে মুক্তি দিয়ে দুই বছর পর সাধারন নির্বাচন দিয়ে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত করে দিয়ে যান ত্যাগের অর্জন তত্বাবধায়ক সরকার। শেষ তত্বাবধায়ক প্রধান সহ তাঁর কুশিলবেরাও সেই একই পথেই নিক্ষিপ্ত হন ইতিহাসের অমোঘ নিয়মে । আজও তাঁদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়না ২০০৮ সালে সরকার গঠন করে ঝুকিপুর্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বল্পসময়ের জন্য বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে স্থায়ী বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের দিকে মনোযোগ দেন মহাজোট সরকার। সরকারের পরিকল্পিত সিদ্ধান্তে বিগত পাঁছ বছরে আড়াই হাজার মেগওয়াট সচল বিদ্যুৎ নিয়ে যাত্রা শুরু করে "রুপকল্প ২০২১ " উন্নয়ন, অগ্রগতির নতুন এক মহাপরিকল্পনা ঘোষনা করেন।সেই ধারাবাহিকতায় সাড়ে ছয় হাজার মেগওয়াট বিদ্যুৎ রেখে মেয়াদ শেষে সাধারন নির্বাচনের ঘোষনা দেন। নির্বাচনের পর নতুন সরকার ইতিমধ্যে দুই বছর পুর্তি উৎসব পালন করেছে।আমি ফেলে আসা দুই বছরে বিদ্যুৎ খাতে মহাজোট সরকারের অগ্রগতি নিয়ে কিঞ্চিত আলোচনা করতে চাই। *(১)*:-গত দুই বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা (গ্রীড কানেকটেড) ১০২৮৯ মেগাওয়াট থেকে ১১৯৫২ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। *(২):- ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৬৬৭৫ মেগাওয়াট। ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন দাঁড়ায় ৮১৭৭ মেগাওয়াট। *(৩);-- ২০১৩ সালের মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩২১ কিলোওয়াট আওয়ার হতে বর্তমানেও ৩৭১ কিলোওয়াট আওয়ারে উন্নীত হয়েছে। "রুপকল্প ২০২১" এর আওতায় প্রকল্প সমুহ সফল বাস্তবায়নের পর সামান্যতম সময় নষ্ট না করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে ""রুপকল্প ২০৪১)এর জন্য নেয়া প্রকল্প সমুহের বাস্তবায়ন নির্দিষ্ট করে দেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী। ""রুপকল্প২০৪১""বাস্তবায়নে বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষমাত্রার এইরুপ মহাযজ্ঞের নির্দিষ্ট ঘোষনা জাতির জনকের কন্যা ছাড়া আর কে দিতে পারে। বর্তমান বিশ্বে একজন নেতাও আগামী ২৫ বছরের কর্মযজ্ঞের আগাম স্বপ্ন দেখাতে পারবেনা,অতীতেও পারেনি কেউ। !♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥

ছবি

**১১৩ দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই-- বাংলাদেশে বিঘ্নিত*** ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ এমেনেষ্টির তথ্যপ্রকাশ--বাংলাদেশের মিডিয়ায় আতংক প্রকাশ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ সুপ্রীয় পাঠক ভাইয়েরা, লক্ষ করুন-তিনটি দেশের মানবাধিকার লংগন,বাক-স্বাধীনতা,জঙ্গী হামলা,পুলিশী নির্যাতনে ব্যক্তির মৃত্যু হুবহু পেষ্ট কপি তুলে ধরলাম। আমাদের দেশের পত্রিকা গুলী সব দেশের মানবাধিকারের চরম লঙন একত্রে প্রকাশ করলেও বাংলাদেশের ব্যপারটি আলাদা চেপেছে। কোন কোন পত্রিকা সম্পাদকীয় চাপিয়ে চরম অস্বস্তিও প্রকাশ করেছে। আমেরীকা যুক্ত রাষ্ট্রের স্বাধীনতা লাভের বয়স, গনতন্ত্র চর্চা করার বয়স,শিক্ষিতের হার, লেখাপড়ার মান, অর্থনৈতিক সঙ্গতি ইত্যাদি প্রথমে বিবেচনা করুন। পরবর্তিতে পাকিস্তানের স্বাধীনতার বয়স,সামাজিক নিরাপত্তা,জঙ্গী হামলা, সেনাশাষনের বহর, প্রতি শুক্রুবারে জুমার নামাজে বোমা হামলা, স্কুল কলেজে বোমা হামলা ইত্যাদি বিবেচনায় আনুন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বয়স,গনতন্ত্রের চর্চা, বাক-ব্যাক্তি স্বাধীনতা,অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা,শিক্ষা, বিরুধী দলের নাশকতা মুলক আন্দোলন ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে আসুন। হ্যাস চিহ্নিত প্যারাটি বিশ্ব ব্যাপি সংখ্যতত্বের যোগফল। উক্ত হিসেবে উল্লেখিত তুলনামুলক তিনটি দেশের হিসেবও রয়েছে। #সংখ্যাতত্ত্বের হিসাব দেখিয়ে অ্যামনেস্টি বলেছে, ২০১৫ সালে পৃথিবীর অন্তত ১৯টি দেশে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ১২২টির বেশি দেশে জনগণের ওপর চরমমাত্রায় নিপীড়ন হয়েছে। ৩০টি দেশ শরণার্থীদের জোর করে বিপদাপন্ন স্থানে ঠেলে দিয়েছে। ১১৩ দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই।# বাংলাদেশ*** ♥♥♥♥ গুম প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাদা পোশাকের আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ডজন ডজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। পরে তাদের অবস্থান সম্পর্কে তারা জানে না বলে দাবি করেছে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরে দুই নারীসহ ৪৩ ব্যক্তি গুম হয়েছেন। গুম হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৬ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে, ৫ জনকে পুলিশ কাস্টডিতে পাওয়া গেছে। ৪ জনকে অপহরণের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ২৮ জনের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা আজও জানা যায়নি। গুম ও নিরীহ ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় জড়িত আইনশৃংখলা বাহিনীর কোনো সদস্যকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি। বিরুধীদের হাতে মৃত্যুর কারনেও কাউকে আইনের আওতায় আনা হয়নি বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। আমেরীকা যুক্তরাষ্ট্র:**** ♥♥♥♥♥♥♥ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে বলা হয়েছে, দেশটিতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ব্যাপক গ্রেফতার চলে। অভিযুক্তরা অব্যাহতি পেয়ে যায়। পুলিশ বাহিনী সামান্য কাজে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করে। গত এক বছরে দেশটির অন্তত ২৫ রাজ্যে পুলিশি নির্যাতনে অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০০১ থেকে এ পর্যন্ত পুলিশের হাতে নিহতের সংখ্যা ৬৭০ জন। পাকিস্তান:**** ♥♥♥♥♥♥ জঙ্গিবাদের কারণে সংকটে রয়েছে পাকিস্তান। বিভিন্ন স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর প্রায়ই তালেবান হামলা চলে। ২০১৫ সালে বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হামলায় প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী নিহত হয়। ২০১৪ সাল থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী উত্তরাঞ্চলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। সেনাবাহিনীর দাবি অনুযায়ী ৩৪০০ জঙ্গিকে হত্যা করেছে তারা। এছাড়া দেশটিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরাও নানা বৈষম্যের শিকার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। বাংলাদেশে সরকারের কারনে মৃত্যু:** ৪৩ জন আমেরীকা যুক্ত রাষ্ট্র সকারের কারনে মৃত্যু:**৪৩ জন পাকিস্তানে সরকারের কারনে মৃত্যু::** ৩৪০০ জন। @সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে মৃত্যুকে এখানে আমি সরকারের গাফেলতির কারনে মৃত্যু বলে চিহ্নিত করে মানবাধিকার লঙন হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিরুধীদলের হাতে মৃত্যুর সংখ্যা এমেনেষ্টি উল্লেখ করেনি।@ ** মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে:** **বাংলাদেশ :--বিঘ্নিত ** **পাকিস্তান :---নেই** ** আমেরীকা : -- হয়রানির স্বীকার হতে হয়।*** আমি বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক,শুশীল সমাজ,রাজনৈতিক ব্যক্তি, গনমাধ্যমের কর্মী ভাইদের নিকট জিজ্ঞাসা করতে চাই, নবীন রাষ্টের শিশু গনতন্ত্রের পরিচর্য্যাকালিন সময়ে বাংলাদেশ কি উল্লেখিত দুই রাষ্ট্রের চাইতে বহু গুন ভাল অবস্থায় নেই? বাংলাদেশের বয়স মাত্র ৪৫ বছর। গনতন্ত্রের চর্চার বয়স মাত্র ১৯৯০ সাল থেকে শুরু হয়ে মাঝখানে ২বছরের বিঘ্নতা বাদ দিলে আর থাকে ২৩ বছর। পক্ষান্তরে উল্লেখিত রাষ্ট্রদ্বয়ের অভ্যুদ্বয় কখন, গনতন্ত্রের চর্চা কখন থেকে শুরু করেছে। আপনারাই বিচার করুন। আজকের এই সংখ্যাতত্বের গেড়াকলে চেপে বাংলাদেশের সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যে আলাদা প্রতিবেদন চাপিয়ে পত্রিকা গুলী কি বুঝাতে চাইলেন। তথাকথিত শুশীলরাই বা কি বুঝাতে চান। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা না হলে হয়তবা সংখ্যা আরো অনেক কমে আসতে পারতো। আমেরীকা বাংলাদেশ সফরে তাঁর নাগরীকদের ঘন ঘন সতর্কবার্তা দিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের চাইতে আমেরীকা নিরাপদ? মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ১১৩ দেশে নেই,তম্মধ্যে কি বাংলাদেশকেও নির্নিত করেছে? স্বাধীনতা নেই, স্বাধীনতায় মাঝে মাঝে বিঘ্ন ঘটা কি সমান্তরাল? কেন বাংলাদেশের পত্রিকা সমুহ আলাদা কভারেজ দিয়ে আতংক সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছেন? আলাদা সম্পাদকীয় চাপিয়ে হতাশা প্রকাশ করার কি পেলেন রিপোর্টে? ষড়যন্ত্রের নতুন নতুন মাত্রা যোগ করে খুব বেশি লাভবান হওয়া যাবেনা।জাতির জনকের কন্যা মৃত্যুকে ভয় করেনা। সুক্ষাতিসুক্ষ চাল চালিয়ে পানি ঘোলা করা যাবেনা। জনগন উন্নয়নের কাজে ব্যস্ত।আওঅঅনাদের বড় বড় সম্পাদকীয় পড়ার সময় এখন কেউ পায়না। বাংলাদেশের মানুষ গাটের টাকা খরছ করে মিথ্যা অপ্প্রচার,অপবাধ আতংকবাদ ছড়ানোর খবর পড়া বন্ধ করে কাজে নিমঘ্ন হয়ে গেছে। জনগন বর্তমানে চিন্তা করে তাঁদের জীবনমান আরো উন্নত করার প্রয়োজনীয়তা। জনমনে সেই স্বপ্নের বীজ বপন করে দিয়েছেন জাতির জনকের কন্যা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতিকে উদ্ধেলীত করে,উত্তেজিত করে, একতার মন্ত্রেমুগ্ধ করে জাতিকে স্বাধীন বাংলাদেশ এনে দিয়েছেন। তার কন্যা বাঙালী জাতিকে উন্নতি অগ্রগগতির স্বপ্নে বিভোর করে কর্মযজ্ঞে ঝাপিয়ে পড়ার উদ্দিপনা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। সারাদেশ হাসিনা মন্ত্রে মুগ্ধ হয়ে অলিখিত জাতীয় জনঐক্য গড়ে তুলেছেন। সেই অলিখিত জন ঐক্য অদৃশ্য শপথে আবদ্ধ হয়েছেন-আগামী ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলে উন্নত বিশ্বের খাতায় সাগরসম রক্তেকেনা বাংলাদেশের নাম লিখাবে। ♠♠♠♠♠♠♠♠♠♠♠♠♠♠ ** জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু** জয়তু জাতির জনকের কন্যা *দেশরত্ম শেখ হাসিনা*

ছবি

মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে গত দুই (২০১৪/১৫) বছরে দৃশ্যমান অগ্রগতির খন্ডচিত্র****** ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ বাঙ্গালী,বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধ এক বিরল অর্জন।বিশ্বের খুব কম জাতি গোষ্টি আছে এত বিশাল ত্যাগ স্বীকার করে দেশ স্বাধীন করেছে।সারা বিশ্ব তন্নতন্ন করে খোঁজ পাওয়া যাবেনা একটা দেশ,যে দেশের জনগন স্বাধীনতার জন্য, মুক্তির জন্য জাতিগত ভাবে এক ও অভিন্ন হতে পেরেছিল। কিঞ্চিত ধর্মাশ্রয়ী কিছু ব্যাক্তি , সংগঠন ছাড়া সব শ্রেনী পেশার মানুষ এককাতারে সামিল হয়েছিল স্বাধীনতার উদগ্র কামনায়। অশিক্ষিত, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, পিছিয়ে পড়া জাতিকে একত্রিত করে একসুরে স্বাধীনতার মন্ত্রে দিক্ষা দিয়ে আধুনিক সসস্ত্র সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বাঁশের লাঠি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ার মন্ত্রে দিক্ষিত করতে পেরেছিলেন এক মাত্র শেখ মজিবুর রহমান। তাই বাংলার ছাত্র সমাজ উনসত্তরের গন অভ্যুত্থানের পর পুর্ব বাংলার কৃষক শ্রমিক,ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে বিশাল সমাবেশে "বঙ্গবন্ধু" উপাদিতে ভুষিত করেন জাতীয় নেতা "শেখ মজিবুর রহমানকে।" তাঁর পরের ইতিহাস বাঙ্গালীর চরম মুল্য পরিশোধে শুধুই বিজয়ের ইতিহাস।'৭০ এর নির্বাচনের আগে পরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপকৌশলের বলি হয়ে মৃত্যুকে বরন করে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন প্রায় এক লক্ষের বেশি 'সংখ্যালুঘু হিন্দু।" রাতের আধাঁরে গুপ্ত হত্যা করে বাঙ্গালীর জাতিয়তাবোধের চেতনাকে বিলীন করে দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত ভাবে চালিয়েও নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিশাল জয় থামাতে পারেনি। নির্বাচনে মাত্র দুইটি আসন ছাড়া সব কয়টি আসন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পেলেও, বাঙ্গালীর হাতে খমতা না দেয়ার জন্য শুরু করে চক্রান্ত।অনিবার্য্য হয়ে উঠে মুক্তিযুদ্ধ। সেই মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজী রেখে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন এই দেশের শিক্ষিত, অশিক্ষিত যুবক যুবতিরা,বাংলার আপামর জনগন। এককোটি মানুষ ভারতে শরনার্থী শিবিরে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়। প্রায় পৌনে চার লক্ষ মা বোন তাঁদের নারীত্বের গৌরব বিকিয়ে দিতে বাধ্য হয়। ত্রীশ লক্ষের অধিক মানুষের জীবনহানীর বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। সেই বীর মুক্তিযুদ্ধারাই ছিল গত চল্লিশ বছর অবহেলীত। রাষ্ট্রের সর্বচ্ছো আসন থেকে তাঁদের প্রতি ঘৃনার নি:শ্বাস ছেড়ে সারাদেশের বাতাসকে করে তোলা হয় বিষাক্ত। ফলে যে "মা" তার ইজ্জত দিয়ে দেশের অমুল্য রত্ম, বাংলা মায়ের "গর্বের মা" হতে পারতেন তিনি হয়ে গেছেন সমাজ, পরিবার, আত্মীয় স্বজনের নিকট অস্পৃষ্য। *যে মুক্তিযোদ্ধা* ভাইটি হতেন সমাজের দন্ডমুন্ডের অধিকারি--সেই ভাইটি রিক্সা, ঠেলা গাড়ী অথবা রাজাকারের বাড়ীর পাহারাদার হতে বাধ্য হলেন। অনেকেই ক্ষোবে, দু:খ্যে আত্মহত্যার মত ঘৃনিত মৃত্যুকে বেঁচে নিলেন, অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হলেন। ছোট্র একটি অংশ তাঁদের সংগে হাত মিলিয়ে কোন রকম জীবন চালিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।এমনতর অবস্থায় জাতির জনকের কন্যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে সকল চক্রান্ত কে পায়েদলে প্রতিষ্ঠার দরজায় পৌছালেন।বাঙ্গালীর আকাশের কালোমেঘ ধীরে ধীরে দুরিভুত হয়ে লাল লিলীমার আভা হয়ে ফুটে উঠতে লাগল। ১৯৯৬ ইং সালে জাতির জনকের কন্যা সরকার গঠন করে মুক্তিযোদ্ধা ভাতার সীমিত নীতি ঘোষনা করেন।২০০৮ ইং সালে বিপুল বিজয়ে বাংলাদেশের সরকার পরিচালনার সুযোগ পেলে প্রথমেই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযুদ্ধাদের প্রতি গভীর ভাবে নজর দেন।তাঁদের আত্মসম্মান, সামাজিকসম্মান, আর্থিক সঙ্গতির উন্নয়নের লক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহন করেন। গেল দুইবছরে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাগ্য উন্নয়নে নেয়া পদক্ষেপের বিবরনী তুলে ধরার প্রয়াসে আজকের এই নিবন্ধ******* *(১) সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতা ৮০০০ টাকায় এবং ভাতা ভোগীদের সংখ্যা ২ লক্ষে উন্নীত করা হয়েছে। *(২) ৬৭৬ জন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাকে মাসিক ২০০০০ টাকা এবং বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মাসিক ১৫০০০ টাকা হারে সম্মানী ভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে। *(৩) বিভিন্ন শ্রেণির যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারবর্গের মাসিক রাষ্ট্রীয় ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করে পঙ্গুত্বের হার অনুযায়ী মাসিক সর্বনিম্ন ১৮০০০ টাকা এবং মাসিক সর্বোচ্চ ৪৮০০০ টাকা হারে ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। *(৪)প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য নিয়মিত ভাতা প্রদান একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ভূমিহীন ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্পটিতে ২৯৭১টি বাসস্থান নির্মাণ করা হয়েছে। *(৫) জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৪৩টি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। *(৬) সকল উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ৮১টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। *(৭) মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৫৯টি স্মৃতিস্তভের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। *(৮) মুক্তিযুদ্ধে বিরঙ্গনাদের সামাজিক মার্য্যদা প্রতিষ্ঠার লক্ষে তাঁদের মুক্তিযুদ্ধা স্বীকৃতি একটি যুগান্তকারি পদক্ষেপ।এই অর্থবছরে তালিকা প্রনয়ন পুর্বক তাঁদেরকেও ভাতার আওতায় আনা এবং অন্যান্ন সুযোগ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।*** **বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদান কারী সংগঠন। '৭৫ এর কালোরাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে ঘাতকেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল। জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্টিত হতে সক্ষম হয়েছেন। নির্বাচিত হয়েই যুদ্ধপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ গ্রহন করেন। ইতিমধ্যে শীর্ষ কয়েক যুদ্ধাপরাধীর বিচার শেষে রায় কায্যকর করা হয়েছে।অনেকের মামলা শেষ পয্যায়ে, নতুন মামলা সংযোজনের প্রক্রিয়াও সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের মুল ধারায় দেশকে নিয়ে আসার জন্য দিবারাত্রী নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। পদেপদে মৃত্যুর ঝুঁকি উপেক্ষা করে বাঙ্গালী জাতি, বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির ধারায় নিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। পরিশেষে বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনাশকারী অপশক্তি তাঁদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আর একটি '৭৫ ঘটানোর প্রচ্ছন্ন হুমকিও প্রদান করে রেখেছে। ইতিমধ্যে ষড়যন্ত্রের জাল চিহ্নিত করে তা উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। জাতির জনকের কন্যার দৃড় মনোবল, দুরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব সকল অপশক্তি রুখতে সহায়ক ভুমিকা রেখে চলেছে। এই সময়ে সকল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির দৃড় ঐক্যই কেবল পারে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রুপান্তরের অঙ্গিকার বাস্তবায়নে দেশরত্মের হাতকে শক্তিশালী করতে।** ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ** দেশরত্ম শেখ হাসিনা**

ছবি

ধর্ম ও সংস্কৃতি খাতে বর্তমান মহাজোট সরকারের অগ্রগতির খন্ডচিত্র===== ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ধর্ম*** ♥♥♥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই বাংলাদেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছে,তখনি ধর্ম এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে গেছে।জাতির জনকের স্বল্প কালীন শাষনকাল ছিল ইসলামের প্রচার প্রসারের স্বর্ণযুগ।তাঁর কন্যাও যখনই দেশের সেবা করার সুযোগ পেয়েছেন তখনি ধর্মীয় খাতের প্রতি বিশেষ নজর প্রদান করেছেন। বিগত ৩৭/৩৮ বছর দেশব্যাপি বহু ফাজিল-কামিল-এবতেদায়ী মাদ্রাসা ব্যাক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠলেও প্রতিষ্ঠান গুলীকে সরকারী অনুদান এবং শিক্ষকদের বেতন ভাতা প্রদানের কোন উদ্যোগ সরকারী ভাবে নেয়া হয়নি। ফলে মাদ্রাসা গুলী জরাজীর্ন অবস্থায় কোনমতে অস্তিত্ব রক্ষা করে ছেলে মেয়েদের নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে আসছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বৃটিশ বেনীয়া থেকে শুরু করে পাকিস্তানের শাষক গোষ্টি পয্যন্ত যতগুলী মাদ্রাসা গড়ে উঠেছিল প্রত্যেকটি মাদ্রাসাকে বেতন ভাতার আওতায় এনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় এবং একই রীতিনীতি অনুসরন করে সকল মাদ্রাসাকে এমপিও ভুক্ত করে শিক্ষকদের দু:খ্য লাগব করেছিলেন। তাঁর কন্যাও একই রীতিনীতি অনুসরন করে বিগত সামরিক-বেসামরিক শাষনের প্রায় ৪০ বছর পয্যন্ত গড়ে উঠা মাদ্রাসা সমুহকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় দেশের আনাছে কানাছে গড়ে উঠা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসাকে এমপিও ভুক্ত করে বেতন ভাতার সরকারি অংশ দেয়ার ব্যবস্থা করেন।এমপিভুক্ত প্রতিটি মাদ্রাসায় বহুতল ভবন নির্মানের প্রকল্প হাতে নিয়ে পয়ষট্রি লক্ষ থেকে এককোটি দশ লক্ষ টাকা বরাদ্ধের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।ইতিমধ্যে বেশ কিছু মাদ্রাসায় ভবন নির্মান সমাপ্ত, কিছু মাদ্রাসায় কাজ চলমান, কিছু মাদ্রাসায় প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। অচিরেই সকল মাদ্রাসাকে ডিজিটাল শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার চিন্তাভাবনাও সরকার করে যাচ্ছে। মাধ্যমিক শিক্ষার ন্যায় মাদ্রাসায়ও উপবৃত্তি সহ অন্যান্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা সমানভাবেই কায্যকর করে চলেছে। এছাড়াও অন্যান্ন ক্ষেত্রেও সরকারের গত দুই বছরের অগ্রগতির চিত্র আপনাদের অবগতির জন্য নিম্নে তুলে ধরার চেষ্টা করছি**** (১) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় দুই বছরে ১,৫০০০০টি শিশুকে প্রাক প্রাথমিক ও নৈতিকতা শিক্ষা, (২) ১০,২৯০০০ জন কিশোর কিশোরীকে সহজ কুরআন ও নৈতিকতা শিক্ষা এবং ৩৮,৪০০ জন নিরক্ষর বয়স্ক ব্যক্তিকে অক্ষরজ্ঞানদানসহ নৈতিকতা শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে। (৩)২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কার এবং দুঃস্থ পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মোট ৪২,৯৮,৮৬০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। (৪) ২০১৫ সাল থেকে হজ ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে সকল হজযাত্রীর অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। প্রত্যেক হজযাত্রীকে এসএমএস এর মাধ্যমে হজ পূর্ব ৬টি নোটিফিকেশন প্রেরণ এবং মোবাইলের TVR সিস্টেমের মাধ্যমে হজ বুলেটিন ও তথ্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে। সংস্কৃতি*** ♥♥♥ বর্তমান সরকার অপসংস্কৃতি রোধে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। এই লক্ষে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া নগ্ন ছবি প্রদর্শন, ডাউনলোড,আপলোড এর ক্ষেত্রে কোঠোর বিধিনিষেদ আরোপ করা হয়েছে।চলচিত্র সহ ইলেকট্রোনিক মিডিয়ায় সুস্থ্য চলচিত্র, তথ্যচিত্র নির্মানে সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা করেছেন। বাঙ্গালী সংস্কৃতির বিকাশমান ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে আন্তজাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন করেছে সরকার।মেজর জিয়া ক্ষমতা দখল করে বাঙালীর হাজার বছরে গড়ে উঠা আউল বাউল, জারি সারির বদলে সারা দেশব্যাপিতথাকথিত *প্রিন্সেস সংস্কৃতি* চালু করে।সেই ধারা পরবর্তি সামরিক-বেসামরিক সরকার সমুহ অব্যাহত রেখে বাঙালী সংস্কৃতিকে পঙ্গু করার সকল আয়োজন সমাপ্ত করে।সেই ধারা থেকে উত্তরনের লক্ষে বর্তমান সরকার যুগান্তকারি পদক্ষেপ হাতে নিয়ে তা বাস্তবায়ন করে চলেছে। বৃহৎ প্রকল্পের বাইরেও গত দুই বছরে এক্ষেত্রে বেশ কিছু দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধন করতে সক্ষম হয়েছেন।তাঁর আংশিক তথ্য আপনাদের জ্ঞাতার্থে নিন্মে তুলে ধরছি। (১) জাতীয় জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ১৫ জন সুধীকে একুশে পদক ২০১৫ প্রদান করা হয়েছে। (২) ২০১৪ এ বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক এবং ২০১৫ এ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৫-১৭ মেয়াদে সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম স্বাক্ষরিত হয়। (৩) ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বেসরকারি পাঠাগার অনুদান খাতে ১ হাজার ২৫টি পাঠাগারে ২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। (৪) চারুশিল্প, থিয়েটার ইত্যাদি খাত থেকে ৪ কোটি ৮৬ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা দেশের ১,১৭৪টি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অনুদান প্রদান করা হয়। সরকারের আরো তিনবছর ক্ষমতা উপভোগের সময় হাতে আছে।আশা করা যায় এই খাতদ্বয়ে আরো উন্নতি ও অগ্রগতির লক্ষন দৃশ্যমান হয়ে জনগনের মনে আশার আলো জ্বালাতে সক্ষম হবে।জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙ্গালী সংস্কৃতি লালনের ধারা অব্যহত রেখে তাঁর কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন। অসাম্প্রদায়িক বাঙ্গালী সংস্কৃতির তীর্থভুমিতে রুপান্তর করে জাতির জনকের স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মানের অভিষ্ঠ লক্ষ পুরনের মাধ্যমে তাঁর আত্মাকে শান্তি দেয়ার মাধ্যমে সোনার বাংলা প্রতিষাথিত হবে--* ইনশা'ল্লা* ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ** দেশরত্ম শেখহাসিনা**

ছবি

বাঙ্গালীর সংস্কৃতি-কৃষ্টি--বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলন==== ♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ****(আজকের লিখাটার পিছনে ইতিহাস আছে, আমি যে কয়দিন লিখছি এই কয়দিনের লিখায় কোন মাওলানা- মৌলবী কমেন্ট করেনি।গত তিনটি পোষ্টে বেশ কিছু কমেণ্ট আমার চোখে পড়েছে, অল্প কথায় তাঁদের জবাব দেয়া সম্ভব নয় বিধায় -আজকের লিখার উৎপত্তি। শুধু তাঁদের কমেন্টের সম্মানার্থে আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস)**** অখন্ড ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের উৎপত্তি ধর্মীয় চেতনা দ্বিজাতি তত্বের ভিত্তিতে হয়েছিল।সেই পাকিস্তান সৃষ্টির প্রাক্কালে এই উপমহা দেশের বা পাকিস্তানের ধর্মীয় নেতাদের উল্লেখ যোগ্য কোন ভুমিকা ছিলনা।বরঞ্চ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ সহ বেশ কিছু আলেম ওলেমা অখন্ড ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে মহত্মা গান্ধীজির কংগ্রেসের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছিলেন। পাকিস্তান সৃষ্টির পর অখন্ড পাকিস্তানের ৫৬/ জনগন বাংলা ভাষায় কথা বললেও বাংলাকে উপেক্ষা করে উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা করার পরিকল্পনায় পুর্ব পাকিস্তানে গড়ে উঠা ভাষার রক্ষার লড়াইয়ে কোন আলেম ওলামাকে দেখা যায়নি।এক্ষেত্রেও অনেকেই বাংলা বিজাতীয় ভাষা, বাঙ্গালী হিন্দুদের ভাষা অজুহাত দাঁড়া করে শাষক শ্রেনীর পক্ষ অবলম্বন করেছিল।অথছ উর্দু পশ্চিম পাকিস্তানের আপামর জনগনের ভাষাও ছিলনা।মাত্র পাকিস্তানের ৫/মানুষ কথা বলতেন। তাঁরা কিন্তু সামরিক, বেসামরীক সরকার সহ সকল অবস্থায় পাকিস্তানের রাষ্ট্র ক্ষমতা নিয়ন্ত্রনে ছিলেন। পবিত্র কোরানে স্বয়ং আল্লাহ বার বার প্রত্যেক জাতি গোষ্টির ভাষাকে তাঁদের জাতির জন্য নেয়ামত বলে ঘোষনা করেছেন। তিনি পৃথিবীতে যত আসমানী কিতাব নাজিল করেছেন সব গুলি কিতাবই ভীন্ন ভীন্ন জাতি গোষ্টির নবীর ভাষাতেই প্রেরন করেছেন। আমাদের নবী করিম (স:) আরবের সম্ভ্রান্ত কোরাইশ বংশে জম্ম গ্রহন করেছিলেন। তাঁদের ভাষা শুদ্ধ আরবী ভাষা ছিল বিধায় কোরান ভালভাবে হৃদয়ঙ্গম করার জন্য আরবী ভাষায় প্রেরীত হয়েছে। আল্লাহ নীজেই তাঁর পবিত্র কোরানে এই কারনটি ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁরপরও আমাদের আলেম-ওলামাদের বৃহদাংশ ভাষা আন্দোলনে শরিক হতে পারেননি। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অনিবায্যতা ফুটে উঠার প্রাক্কালে এই সমস্ত সম্মানীত মাওলানা মৌলবিদের বেশিরভাগ সম্পৃত্ত হতে পারেননি।বরঞ্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বিভিন্ন বাহিনী গঠন করে মুক্তি যুদ্ধাদের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে লিপ্ত হয়েছিলেন। অখন্ড ভারতীয় উপমহাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় থেকে শুরু করে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সকল জনসম্পৃত্ত আন্দোলন সংগ্রামে মাওলানা সাহেবদের বিরুধীতার কারনে সম্প্রদায়টি সম্পুর্ন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশের জনগনের কোন কল্যানকর, জনহীতকর,রাজনীতি, দেশ শাষন ইত্যাদি কোন কাজেই ভুমিকা রাখতে সক্ষম হয়নি। ফলত: দেখা গেছে অখন্ড পাকিস্তানের স্বাধীনতা ধর্মীয় চেতনায় সংঘঠিত হলেও কোন ধর্মীয় মাওলানার উপস্থিতি নিশ্চিত না হয়ে, পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যরিষ্টার কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ নেতৃত্বে সংগঘটিত হয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতেও একই অবস্থা বিরাজমান।মাওলানা-মৌলবি সাহেবরা সমাজের সম্মানীত, শ্রদ্ধার পাত্র হওয়া সত্বেও রাজনীতিতে জনগনের সম্পৃতা শুন্যের কোঠায়।তাঁদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বাংলায় উচ্চশিক্ষিত গোলাম আজমের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলাম ইসলাম ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যা করেও শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়।দলটির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অদ্যাবদি কোন উচ্চপয্যায়ের ধর্মীয় মাওলানার সমর্থন সংগ্রহ করতে পারেনি।দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও কোন মাওলানা আরবী পন্ডিত ব্যক্তির উপস্থীতি দেখা যায়না।শেষ পয্যায়ে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে সম্পৃত্ত করে ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্ট্রির অপ-কৌশল গ্রহন করে। একই অবস্থা দেখা যায়১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার পর মেজর ডালিমের কণ্ঠে রাষ্ট্রীয় বেতারে যে ঘোষণাটি প্রচার করা হয় তাতে বলা হয়েছিল, ‘স্বৈরাচারী মুজিবের পতন ঘটানো হয়েছে,এখন বাংলাদেশ একটি ইসলামী রাষ্ট্র হবে।’ এইক্ষেত্রেও ইসলামকে সুচারুভাবে ব্যবহার করে ন্যাক্কারজনক হত্যাকে ইসলাম রক্ষার নামে চালিয়ে দেয়া হল।অর্থাৎ বাংলাদেশকে একটি ইসলামী রাষ্ট্র বানানোর জন্য এবং ইসলাম কায়েম করার জন্য এ ঘটনা ঘটানোহয়েছে, এমন ধারণাই তুলে ধরা হয়েছিল জাতির সামনে। এরপর খন্দকার মোশতাক টুপি মাথায় দিয়ে শেরওয়ানি পরে রাষ্ট্রপতির আসনে বসেছিলেন।বাংলাদেশকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র করা হবে ঘোষনাও দিয়েছিলেন। রেডিও টিভিতে ইসলামী গজল,আরবী সুরা কেরাত জোরেসোরেই প্রচার করা শুরু করেছিলেন। ইসলাম রক্ষার ধুয়া বেশ জোরেশোরেই চালানো হয়েছিল। এই হত্যাকারিদের মধ্যে কেহই মাওলানা-মৌলবী ছিলেননা। অথছ ইসলাম রক্ষা করার মহান দায়িত্ব পালন করার জন্য জাতির জনকের পরিবার সহ হত্যা করে ফেলেছেন। এক্ষেত্রে আমাদের সম্মানীত মাওলানারা খুনীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে খুঁনীদের তাঁবেদার হিসেবে নীজেদের উপস্থাপন করলেন। ইসলাম ধর্ম কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা উপলব্ধি করার বা মুল্যায়ন করার প্রয়োজনীয়তাও মাওলানা সাহেবেরা করেছেন বলে মনে হয়না। খুন, দর্শন, হত্যা, লুটতরাজ,পবিত্র কোরানে পাকে আগুন দেয়ার মত কর্মকান্ড নিশ্চিত ধর্মের অপব্যবহার।, এমনকি ধর্মের মাথায় কুঠার হানার মত কাজ। জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য ইসলাম ধর্মের অপব্যবহার করা হলো,এর খেসারৎ দিতে হল জাতিকে ৪০ বছর। ২০১৫ ইং সালে তাঁদের মখোশ দেখা গেছে হেফা- জতিদের শাফলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে ধর্ম রক্ষার নিমিত্তে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, পবিত্র কোরানে আগুন ইত্যাদি অপকর্ম নির্দিধায় চালিয়ে যেতে।এক্ষেত্রেও নেতৃত্ব মেনে নিয়েছিলেন যে নারী সঠিকভাবে *বিসমিল্লাহ* যিনি উচ্চারন করতে পারেননা *বেগম খালেদা জিয়ার।* সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে অবস্থান প্রত্যাহার করে ফিরে যাবেন ওয়াদা করে লাগাতার অবস্থানের ঘোষনা দিয়ে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠলেন। এক্ষেত্রে তাঁদের প্রতারনা, কুপরী সর্বযুগের ইসলামী আন্দোলনকে শুধু কুলসিতই করেনি-সম্মানীত মাওলানাদের উপর সাধারন মানুষের *যে আস্থা বিশ্বাস ছিল তাঁর মুলেও কুঠারাগাত করেছে।* ভারতীয় উপমহাদেশের পুর্বাঞ্চল,পশ্চিমাঞ্চলে সংখ্যাগরীষ্ট মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী হওয়া সত্বেও ইসলামী দল কোনকালে শক্তি সঞ্চয় করতে পারেনি শুধুমাত্র তাঁদের গোড়ামীর কারনে। তাছাড়া ইসলামের বহুমত ও পথের পার্থক্য তাঁদের শক্তিশালী দলে আত্বপ্রকাশে বাধাগ্রস্ত করেছে।এই অঞ্চলের শতকরা ৯৫/ মানুষ জাতিগত ভাবে বাঙ্গালী, ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে ইসলাম ধর্মের অনুসারী এইটুকু সহজ কথাও তারা বুঝতে চেষ্টা করেনা। অথছ ধর্মীয় মুল্যবোধ সম্পর্ন একটি ইসলামী দল একান্তই প্রয়োজন ছিল এই অঞ্চলে।তাঁদের অনু- পস্থীতিতে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিগন সুযোগ গ্রহন করে বিভিন্ন সময়ে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করেছে, এবং সেই চেষ্টা এখনও অব্যাহতই রেখেছে। আমাদের সম্মানীত ধর্মীয় মাওলানা সাহেবেরা ইসলামের প্রথম যুগের চার খলিফার শাষন কালের প্রতিও দৃষ্টি দিতে রাজী নয়।নবী করিম (স:) এর স্বল্প সময়ের শাষন,বিদায়ী হজ্বের ভাষন,হুদায়বিয়ার সন্ধি, মদিনা সনদের প্রতিও দৃষ্টি নিবন্ধ করতে চায়না।নোবী করীম (স:)এর প্রীয় সাহাবীদের যে শাষন ছিল তাঁকে *খোলাফায়ে রাশেদীনের* শাষন বলে অভিহীত করা হয়।খোলাফায়ে রাসেদীনের চার খলিফার মধ্যে তিনজনকেই উগ্র ইসলামী জঙ্গীবাদীরা হত্যা করেছিল। তাঁরা কারা তাও আমাদের দেশের মাওলানা-মৌলবীরা চিহ্নিত করতে রাজী নয়। তাঁরা যে রীতিতে শাষন ব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন তাঁর ধারেকাছেও যেতে রাজী নয় আমাদের দেশের ইসলামী দলের ধারক বাহকেরা। ইসলামের আদিভুমি সৌদী আরবে, আরবেই ইসলাম ধর্মের জন্য মনোনীত হন আল্লাহর রাসুল হযরত মোহাম্মদ (স:)।তাঁর নিকটই প্রেরন করেন আল্লাহ তাঁর পবিত্র ধর্মগ্রন্থ *আল-কোরান*।তাঁরা যদি ইসলাম ধর্মের বাইরে তাঁদের নীজস্ব সংস্কৃতি কৃষ্টি লালন করতে পারেন,আমরা বাঙ্গালী মসুলমানেরা বাঙ্গালী সংস্কৃতি কৃষ্টি লালন করতে গেলে নাস্তিক হব কেন? তাঁরা তাঁদের উৎসবে-পার্বনে উলুধ্বনি দিয়ে, ঢোল -বাজনা বাজিয়ে উৎসব করেন,আমরা ভাষা শহিদের বিরত্বগাঁথা স্বরনে ফুল দিলে বে'দাত হবে কেন? যতদিন ইসলামী আন্দোলন বাঙ্গালী সংস্কৃতি-কৃষ্টির সাথে সঙ্গতিপুর্ন হবেনা ততদিন জিয়ার-মোস্তাকের মত খুনীরা ইসলামের দোহাই দিয়ে সরল প্রান বাঙ্গালী মসুলমানদের বিভ্রান্ত করতে থাকবে,আমাদের মাওলানা সাহেবেরা তাঁদেরই তাবেদারি করতে থাকবেন। ♥♥♥♥♥♥♥♥ জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥দেশরত্ম শেখ হাসিনা♥

ছবি

বেদনার ২১শে ফেব্রুয়ারী -কালের পরিক্রমায় বাঙ্গালীর গর্বে রুপান্তর== ♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ২০শে ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ সময় রাত বারটার পর থেকে শুরু হয়ে আগামী কাল ২১শে ফেব্রুয়ারী রাত ১২টার আগে পয্যন্ত পৃথিবীর কোননা কোন অংশে আমার গর্বের বাংলাদেশের নাম উচ্চারীত হতে থাকবে।বাঙ্গালীর ভাষার লড়াইয়ের ত্যাগ,অকাতরে জীবন বলিদান, সংগ্রামী বাঙ্গালী জাতীর মহিমার গুনকীর্তন গেয়ে বিশ্বের প্রতিটি জাতি গোষ্টি তাঁদের ভাষা রক্ষা,স্বাধিকারের লড়াইয়ে প্রেরনার উৎসে পরিনত করবে। বিশ্বের নিপীড়িতত, নির্যাতীত জাতি-গোষ্টি খুটিয়ে খুটিয়ে জানার চেষ্টা করবে ভাষা সংগ্রামের অমুল্যবানী "তাঁদের বিপ্লবের প্রেরনায় যোগান দিতে।" শ্রদ্ধাভরে উচ্চারীত হবে আমার দেশের শহিদ সালাম, জব্বার, রফিকের নাম।উচ্চারীত হবে লক্ষকোটি কন্ঠে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নাম সংগ্রামের "অকতোভয় সেনানী নির্যাতীত মানুষের পরম পুজনীয়, বিপ্লবের প্রানপুরুষ হার না মানা এক দার্শনিকের, রাজনীতির অমরকবি, ইতিহাসের বিয়োগান্তক ঘটনার অমর নায়কোচিত বীরত্বগাঁথার। * জাতীসংঘ ভুক্ত প্রতিটি দেশের সরকার প্রধান বা রাষ্ট্র প্রধান রাষ্ট্রীয় প্রটোকল রক্ষাকরে বাণী প্রদান করবে, তাঁদের দেশের জাতী গোষ্টির ভাষার মার্যদা রক্ষার আহব্বান জানাবে। বানিতে ভাষার গুরুত্ব বর্ননায় বাংলাদেশের সংগ্রামের মুল প্রতিপাদ্য বিষয় সমুহ উঠে আসবে।প্রতিপাদ্যের সুচনায় বাংলাদেশের বীর শহিদের নামগুলী জ্বল জ্বল করে জ্বলে উঠবে।দুর্ভাগ্য নাকি সুভাগ্য জানিনা যাঁরা আমাদের মাতৃভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল, ভাষা রক্ষার মিছিলে গুলি করার নির্দেশ দিয়ে আন্দোলন স্তব্দ করতে চেয়েছিল, সেই বজ্জাত পাকিস্তানীদের দেশে- তাঁদের জাতি গোষ্টি সমুহ, "আড়ম্বরপুর্ণ, জাঁকজমকের সঙ্গে ভাষা দিবস পালনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সরকারি পয্যায়ে রাষ্ট্রপতি বা প্রধান মন্ত্রী বানী দিবেন কিনা খবর পাওয়া যায়নি। " জাতী সংঘের প্রতিনীধি নিশ্চয়ই ফুল দিয়ে দিবসের উদ্ভোধনী ঘোষনা করবেন।"" এই বছর জাতিসংঘ প্রধান কাযালয়ের অদুরে ফেব্রুয়ারীর এক তারিখেই ভাষা শহিদের ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলা দেশের ন্যায় বিশ্বের দেশে দেশে ভাষা শহিদবেদী নির্মান করা হয়েছে। পত্রিকায় দেখেছিলাম এই ফেব্রুয়ারীর ২/৩ তারিখ হবে আফ্রি কার নীপিড়িত মানুষের একটি দল জাতীসংঘ সদর দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ জানাতে এসেছিল। প্রতিবাদের স্থান হিসেবে বেচে নিয়েছিল, যে স্থানটিতে বাংলাদেশী বংশদ্ভোত বাঙ্গালী এবং বাঙলাদেশের নাগরীকদের প্রচেষ্টায়," ভাষা ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে- তাঁর পাদদেশ।" ভাষা শহিদের জন্য নির্মিত ম্যুরালের কি অমোঘ বিপ্লবী প্রেরনা!! ভীন্ন জাতিকেও চেতনার উৎস যোগান দিতে সক্ষম। ছোট্র এই ঘটনাই প্রমানের জন্য যথেষ্ট। কি আশ্চায্য!!! ভীন দেশের অচেনা অজানা জাতি কি করে বুঝেছে ম্যুরালটি তাঁদের চলমান সংগ্রামের প্রেরনার উৎস? আশপাশের কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা না করে সেখানে দাঁড়িয়ে তাঁদের শ্লোগান বক্তৃতা দিয়ে ফিরে গেছে, সংগ্রামে লিপ্ত নির্যাতীত সহযোদ্ধা ভাইয়েরা।"" উপসংহারে বলতে চাই,'৭৫ পরবর্তী সরকার সমুহ ভাষা দিবসের মার্য্যদাহানী করার জন্য,চেতনা বিনষ্টের জন্য বহুবীদ কর্মকান্ড সরকারী পৃষ্টপোষকতায় পরিচালনা করেছে। তম্মধ্যে প্রধান যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে প্রভাতফেরীকে মধ্যরাতের বিজাতীয় সংস্কৃতির আদলে ""মিডনাইট ফেস্টিভেলে রুপান্তরকরন।"" নাম যদি প্রভাতফেরী হয় সেই প্রভাতফেরী কেন মধ্যরাতে হবে? এই মহতি পরিবর্তনের প্রধান নায়ক কালোচশমা পরিহীত ক্রিমিনাল জিয়া। মেজর জিয়া এত তড়িৎ পরিবর্তন গুলী সম্পন্ন করেছিলেন বোধহয় তিনি নীজেই লজ্বা অনুভব করতেন। সেই লজ্বা নিবারনের জন্য "সাদা চশমায় অভ্যস্ত না হয়েও-- কালচশমা পরিধানে বাধ্য হয়েছিলেন।" ৪০ বছর পরিচর্য্যার অভাবে বাঙ্গালী মননে বিজাতীয় ভাবধারা বটবৃক্ষ আকার ধারন করেছে। সহজে শিকড় তুলে ফেলা সম্ভব নয়, তাঁরপরও জাতির জনকের কন্যা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন-- এতেই বাঙ্গালী জাতী খুশী। সারা বিশ্ব ২৪ ঘন্টায় বিশ্বের কোননা কোন অংশে ক্ষনেক্ষনে বাংলাদেশের নাম উচ্চারন করবে।ভাষা শহিদদের নাম ভাঙ্গা ভাঙ্গা ভাষায় উচ্চারন করবে। গর্বে সেই দেশে অবস্থানরত: প্রতিটি বাঙ্গালী সারারাত জাগ্রত থাকবে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে। এতেই বা মহিমা কম কিসে, ছিলনাতো কিছু গর্ব করার, উঠেছে বাংলাদেশের নাম জাতী সংঘের স্বরনীকায়। দাঁড়িয়ে আছে ভাষা শহিদের ম্যুরাল জাতিসংঘের প্রধান ফটকের সামনে। ♣♣♣♣♣♣♣♣♣

ছবি

অচিরেই ই-সার্ভিস বাস চালু হচ্ছে বাংলাদেশে== ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ সরকারি সেবা, তথ্য, ডাটা আদান-প্রদান ও বিনিময় সহজ করার জন্য ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাস চালু করতে যাচ্ছে সরকার। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক শুক্রবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কর্মিদের এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে একে অপরের তথ্য, ডাটা ও সেবা অনলাইনে পাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাস তা দূর করবে। এ বাস মিডলওয়্যার প্লাটফরম হিসেবে কাজ করবে। চালু হওয়ার পর সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অনলাইনভিত্তিক তথ্য, ডাটা ও সেবাসমূহ এসে যুক্ত হবে ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাসে। আর এসব অনলাইনভিত্তিক তথ্য, সেবা ও ডাটা আদান-প্রদান ও বিনিময়ের কাজ মসৃণ করবে এবং তা সেবা গ্রহীতার কাছে সহজে প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে। ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাস চালু হলে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সফটওয়্যারচালিত তথ্য, ডাটা ও ই-সেবা তৈরিতে ডুপ্লিকেশন হ্রাস পাবে এবং ব্যয় সাশ্রয় হবে। যেমন বর্তমানে সরকারি কোনো একটি প্রতিষ্ঠান যদি নাগরিক তথ্যের ডাটাবেস তৈরি করে এবং তা যদি ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাসে যুক্ত থাকে তাহলে অন্য প্রতিষ্ঠানের সরকারি কাজে ব্যবহারের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করে একই ডাটাবেস পুনরায় তৈরির প্রয়োজন হবে না। কারণ ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাস যেকোনো সেবা গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানকে সরকারি কাজে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা নাগরিক তথ্যের ডাটাবেস প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স (এলআইসটি) প্রকল্প বাংলাদেশ ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার (বিএনইএ) ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় এই ই-সার্ভিস বাস চালু করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং (ইওয়াই) বিগত এক বছর ধরে বিএনইএ ও ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাসের কারিগরি উন্নয়নের কাজ করছে। ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাসে যুক্ত হওয়ার আগে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য, সেবা ও ডাটা তৈরিতে বিএনইএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় নির্ধারিত মান, গাইডলাইন ও স্পেশিফিকেশন অনুসরণ করে সফটওয়্যার তৈরি করতে হবে। যাতে তা ইন্টাঅপারেবল (আন্তঃপরিবাহী) বা বিনিময়যোগ্য হয়। অচিরেই সরকারি অফিস সমুহে ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাস অচিরেই চালু করা সম্ভব হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর সফটওয়্যারভিত্তিক তথ্য, সেবা ও ডাটা তৈরির জন্য বিএনইএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় নির্ধারিত মান, গাইডলাইন ও স্পেশিফিকেশন প্রণয়নের কাজে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। এসব অনুসরণ করে স্ব স্ব সরকারি প্রতিষ্ঠান তথ্য, সেবা ও ডাটা প্রদানের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করে তা যুক্ত করা হবে ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাসে। সরকারি কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে সক্ষমতা তৈরির জন্য বিসিসিতে ডব্লিউএসওটু (WSO2 ) এর ওপর প্রশিক্ষণ কোর্স চালু হয়েছে। যাতে তথ্য, সেবা ও ডাটা আদান-প্রদান ও বিনিময়ের কাজটি তাঁরা সহজে আয়ত্ব করতে পারে। ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাস চালুর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার (এনইএ) পোর্টাল চালু করা হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্য, সেবা ও ডাটার সফটওয়্যার তৈরিতে বিএনইএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় নির্ধারিত মান, গাইডলাইন, স্পেশিফিকেশন ও রোডম্যাপ অনুসরণ করবে তা থাকছে এ এনইএ পোর্টালে। উল্লেখ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে বিকশিত মেধাকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগে যথাযথ ভুমিকা রাখার স্বার্থে প্রধান মন্ত্রীর দফতরে উচ্চ পয্যায়ের একটি কমিটি প্রধান মন্ত্রীর তত্বাবধানে কাজ করে যাচ্ছে।এই কাজে সহায়তা প্রদানের জন্য ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে উপদেষ্টা এবং তরুন মন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মদ পলক সাহেবকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন।তাঁদের মিলিত প্রচেষ্টায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অদম্য আখাংকা জাতির জনকের কন্যা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। এখানে আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই,আমাদের দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক দলের অশিক্ষিত নেতানেত্রীগন প্রথম অবস্থায় জ্ঞানের পরিধির সীমাবদ্ধতার কারনে ডিজিটাল বাংলাদেশকে বিদ্রুপাত্বক শ্লেষী ভাষায় কটুক্তি করতে দেখা গেছে। এখানেই আমার একটা প্রবাদ বার বার মনে পড়ে--""অশিক্ষিত পরম বন্ধুর চাইতে শিক্ষিত চরম শত্রুও অনেক ভাল।"" আধুনিক, বিজ্ঞান মনস্ক জাতি গঠনে বিজ্ঞানের সর্বশেষ আবিস্কারের সাথে দেশকে সম্পৃত্ত করে উন্নত দেশ গঠনের সিদ্ধান্ত শেখহাসিনার যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত হিসেবে দেশেবিদেশে প্রসংসীত হচ্ছে। লক্ষ করলে দেখা যায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার দিনদিন স্তিমিত না হয়ে প্রসারীতই হচ্ছে।জনমনে এর প্রভাব লক্ষনীয়ভাবে ফুটে উঠেছে।বর্তমান সময়ে কোন অন্ধ, বধির নাগরীকও ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকারকে তাচ্ছিল্যকরে উক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায়না। বরঞ্চ এই প্রযুক্তির উন্নত সংস্করন গ্রহন বা সেবা নিতে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত রয়েছে। তাঁরা কোন কোন ক্ষেত্রে ইহার নেতিবাচক দিক সমুহ আত্বস্থ করে বাংলাদেশের মানুষকে পুড়িয়ে মারার কাজে ব্যবহার করছে।বিদেশী সাইট ভাড়া নিয়ে জঙ্গী তৎপরতায় উৎসাহ দিয়ে যুদ্ধুপরাধীদের বিচার বানচালে অঘোষিত যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা দেশকে দ্রুত তাঁর কাংক্ষিত লক্ষে পৌছানোর মাধ্যমে তাঁর পিতা, বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের -সুখী, সমৃদ্ধশালী,উন্নত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। ♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣

ছবি

একান্ত আমার নীজের একটা বিতর্কের গল্প== ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার আদর্শে বিশ্বাস করে। আমাদের নবী করিম হযরত মোহাম্মদ (স:) নীজেও ধর্ম নিরপেক্ষতার নিদর্শন তাঁর কথা, কাজে, আচার,আচরনে উদাহরন হিসেবে রেখে গেছেন। পৃথিবীর প্রথম লিখিত চুক্তি হযরত মোহাম্মদ (স:) এবং কাফেরদের মধ্যে স্বাক্ষরীত হয়,সেই চুক্তিটিরও কোন ধর্মের মুলবানী শীর্ষে বা পাদদেশে লিখিত করে রাখেননি। ধর্ম নিরপেক্ষতা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ভাবে কোন ধর্মকে বিশেষ প্রাধান্য না দেয়া,সকলের ধর্ম-কর্ম করার অধিকার সাংবিধানীক ভাবে স্বীকৃতি দেয়া।এই নীতিকে অসৎ ধর্ম ব্যবসায়ী রাজনৈতিক দল ও গোষ্টি সমুহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ধর্মহীন, নাস্তিক্যবাদী ইত্যাদি বলে উপহাস করার চেষ্টা করে। হেফাজতীদের শাপলা চত্বরে অবস্থানের প্রাক্কালে এইরুপ এক বিরুপ অবস্থার মুখামুখি আমাকে হতে হয়েছিল। আমার এলাকার মাদ্রাসার কিছু মৌলবী মাদ্রসা অফিসে সভা চলাকালিন কথাটি উত্থাপন করে।উল্লেখ্য ঐ আন্দোলনের প্রাক্কালে সবশ্রেনীর মাওলানা-মৌলবীদের গাঁয়ে একটু আলাদা বাতাসের দাপট লক্ষনীয় ভাবে ফুটে উঠেছিল। আমি একা তাঁদের সাথে কথা বলে সময়ই নষ্ট করা হবে, সংখ্যাধিক্য হুজুরের সাথে তর্ক একেবারে প্রমান উপস্থাপন করা ছাড়া করা আমার বোকামী ছাড়া আর কিছুই হবেনা। আমার হাতের ফোনের মধ্যে নিম্নের ফটোটা ছিল।আমি কোন কথা না বলে ফটোটি বের করে সুপার সাহেবকে দিয়ে বললাম আপনি মরুব্বি মানুষ, এই ফটোটা আপনিই পড়ে আমাদের শুনান। তিনি পড়ে শেষ করার পর জিজ্ঞাসা করলাম, এখানে কোন কিছু কি অতিরঞ্জিত বা ভুল বা মিথ্যা আছে কিনা? হুজুর মহোদয় কোন কথা না বলে এদিক সেদিক কথা ঘুরাতে চাইতেছিল। আমি বললাম মহোদয়গন বিতর্কের বিষয়বস্তু অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করে মুল বিষয়কে আড়াল করার চেষ্টা করবেননা। " চতুর্দিকে তাকিয়ে একটু অনুমান করলাম, মানষিক ভাবে কিছুটা দুর্বল মনে হয় করতে পেরেছি। তাঁর পরতো লম্বা একখান বক্তৃতাই মেরে দিলাম। " আপনাদের সবাইকে আগামী একমাস সময় দিয়ে যাচ্ছি। আপনাদের উধ্বতন যারা আছেন তাঁদের নিকট থেকে হলেও তথ্য সংগ্রহ করবেন। ** বিগত ৩৭/৩৮ বছরের মধ্যে সকল সরকার মিলে (আওয়ামী লীগের ৯৬-২০০১ সহ) এই ফটোর দশ ভাগের এক ভাগ কাজও যদি করে থাকে তবে আমি কথা দিচ্ছি আওয়ামী লীগ আর জীবনেও মুখে আনবনা**। আর যদি না করে আপনাদেরকে এই কথাও বলবনা বাজিতে হেরে গেছেন, "সুতারাং আপনারা সবাই আপনাদের আদর্শচ্যুত হতে হবে।" তবে একটি অনুরুধ করব অপপ্রচার করবেন না। শুধু অপপ্রচার নয় মিথ্যা অপপ্রচার করবেন না। আঁচ করলাম মনে হচ্ছে যেন আরও একটু দুর্বল হয়ে গেছে। সুযোগ বুঝে, বলেই ফেললাম-আজকে যে ভাত বা নাস্তা বাসা থেকে করে এসেছেন তাও আওয়ামী লীগ সরকারের ধর্মভীতির কারনেই করে আসতে পেরেছেন। আওয়ামী লীগ ধর্মভীতু, ধর্ম ধারনকারী দল নাহলে তাও পারতেন না। যেমন পারেন নাই বিগত ২২/২৩ বছর। অনেক চেষ্টাইতো করেছিলেন, আমাদের চাঁদার টাকা খরছ করে, এমপিও কি করাতে পেরেছিলেন?আপনারা বা আপনাদের আস্তিক সরকারই তো ক্ষমতায় ছিল, কেন পারেননি? শুনেছিলাম বহু টাকা ঘোষ দিয়ে রেখেছিলেন, পারেননি কেন? না পারার একমাত্র কারন, আপনাদের দল ধর্মের দোহাই দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়, ধর্ম ধারন করেনা। আওয়ামী লীগ ধর্মকে ব্যবহার করে মহান আল্লাহকে নাখোস করে ক্ষমতায় যেতে চায়না, ধর্মকে মাথায় তোলে রাখে, অন্তরে ধারন করে। আওয়ামী লীগ নাস্তিক সরকার, ঘোষ দিয়েছেন? কেউ কি টাকা চেয়েছে? নাস্তিকেরা ঘুষ খায়না, ধর্মকে ভয় করে, পরকালের ভয় করে, তাই আপনাদের নিকট থেকে একটাকাও কোন আওয়ামী লীগ নেতা দাবী করেনি। প্রীয় বন্ধুগন,বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র ক্ষমতার বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর।মুক্তিযুদ্ধে বিধস্ত বাংলাদেশ। নেইতো নেই কিছুই নেই। যুদ্ধফেরৎ মুক্তিযোদ্ধা, বিরঙ্গনা মা বোনেরা, খাদ্য নেই, ব্যাংকে জমানো টাকা নেই। রাজাকারের সমস্যা, সবার হাতে অস্ত্র। অতিবিপ্লবী, প্রতিবিপ্লবী সবাই চায় শ্রেনী শত্রু খতম। আইন শৃংখলা বাহিনী নেই, সীমান্তে পাহারার ব্যবস্থা নেই। এমন পারিপাশ্বিক পরিস্থীতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যদি মুল কাজ গুলী করে দিয়ে যেতে পারেন--আমরা বিগত ৪০বছর বাড়তি কি কাজটি করেছি? কোন সুহৃদ বন্ধু কি আমাকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারবেন? ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♠ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু♠ জয়তু জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীতে ভাষা আন্দোলন প্রসঙ্গ>>> >>>>>>♥♥♥♥♥♥♥>>>>>> উত্তরণ ডেস্ক: * ফেব্রুয়ারি ৮ই হবে, ১৯৪৮ সাল। করাচিতে পাকিস্তান সংবিধান সভার (কন্সটিটিউয়েন্ট এ্যাসেম্বলি) বৈঠক হচ্ছিল। সেখানে রাষ্ট্রভাষা কি হবে সেই বিষয়ও আলোচনা চলছিল। মুসলিম লীগ নেতারা উর্দুকেই রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষপাতী। পূর্ব পাকিস্তানের অধিকাংশ লীগ সদস্যেরও সেই মত। কুমিল্লার কংগ্রেস সদস্য বাবু ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত দাবি করলেন বাংলা ভাষাকেও রাষ্ট্রভাষা করা হোক। কারণ, পাকিস্তানের সংখ্যাগুরুরও ভাষা হল বাংলা। মুসলিম লীগ সদস্যরা কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না। আমরা দেখলাম, বিরাট ষড়যন্ত্র চলছে বাংলাকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রভাষা উর্দু করার। পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ ও তমদ্দুন মজলিস এর প্রতিবাদ করল এবং দাবি করল, বাংলা ও উর্দু দুই ভাষাকেই রাষ্ট্রভাষা করতে হবে। আমরা সভা করে প্রতিবাদ শুরু করলাম। এই সময় পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ ও তমদ্দুন মজলিস যুক্তভাবে সর্বদলীয় সভা আহ্বান করে একটা ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করল। পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের কিছু শাখা জেলায় ও মহকুমায় করা হয়েছে। তমদ্দুন মজলিস একটা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান যার নেতা ছিলেন অধ্যাপক আবুল কাশেম সাহেব। এদিকে পুরানা লীগ কর্মীদের পক্ষ থেকে জনাব কামরুদ্দিন সাহেব, শামসুল হক সাহেব ও অনেকে সংগ্রাম পরিষদে যোগদান করলেন। সভায় ১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চকে ‘বাংলা ভাষা দাবি’ দিবস ঘোষণা করা হল। সামান্য কিছু সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাড়া শতকরা নব্বই ভাই ছাত্র এই আন্দোলনে যোগদান করল। জগন্নাথ কলেজ, মিটফোর্ড, মেডিকেল স্কুল, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বিশেষ করে সক্রিয় অংশগ্রহণ করল। মুসলিম লীগ ভাড়াটিয়া গু-া লেলিয়ে দিল আমাদের উপর। অধিকাংশ লোককে আমাদের বিরুদ্ধে করে ফেলল। পুরান ঢাকার কয়েক জায়গায় ছাত্রদের মারপিটও করল। আর আমরা পাকিস্তান ধ্বংস করতে চাই এই কথা বুঝাবার চেষ্টা করল। ১১ই মার্চ ভোরবেলা শত শত ছাত্রকর্মী ইডেন বিল্ডিং, জেনারেল পোস্ট অফিস ও অন্যান্য জায়গায় পিকেটিং শুরু করল। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে কোনো পিকেটিংয়ের দরকার হয় নাই। সমস্ত ঢাকা শহর পোস্টারে ভরে ফেলা হল। অনেক দোকানপাট বন্ধ ছিল, কিছু খোলাও ছিল। সকাল আটটায় জেনারেল পোস্ট অফিসের সামনে ছাত্রদের উপর ভীষণভাবে লাঠিচার্জ হল। একদল মার খেয়ে স্থান ত্যাগ করার পর আরেকদল হাজির হতে লাগল। ফজলুল হক হলে আমাদের রিজার্ভ কর্মী ছিল। এইভাবে গোলমাল, মারপিট চলল অনেকক্ষণ। নয়টায় ইডেন বিল্ডিংয়ের সামনের দরজায় লাঠিচার্জ হল। খালেক নেওয়াজ খান, বখতিয়ার (এখন নওগাঁর এডভোকেট), শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ. ওয়াদুদ গুরুতররূপে আহত হল। তোপখানা রোডে কাজী গোলাম মাহবুব, শওকত মিয়া ও আরও অনেক ছাত্র আহত হল। আবদুল গনি রোডের দরজায় তখন আর ছাত্ররা অত্যাচার ও লাঠির আঘাত সহ্য করতে পারছে না। অনেক কর্মী আহত হয়ে গেছে এবং সরে পড়ছে। আমি জেনারেল পোস্ট অফিসের দিক থেকে নতুন কর্মী নিয়ে ইডেন বিল্ডিংয়ের দিকে ছুটেছি, এর মধ্যে শামসুল হক সাহেবকে ইডেন বিল্ডিংয়ের সামনে পুলিশ ঘিরে ফেলেছে। গেট খালি হয়ে গেছে। তখন আমার কাছে সাইকেল। আমাকে গ্রেফতার করার জন্য সিটি এসপি জিপ নিয়ে বার বার তাড়া করছে, ধরতে পারছে না। এবার দেখলাম উপায় নাই। একজন সহকর্মী দাঁড়ান ছিল তার কাছে সাইকেল দিয়ে চার পাঁচজন ছাত্র নিয়ে আবার ইডেন বিল্ডিংয়ের দরজায় আমরা বসে পড়লাম এবং সাইকেল যাকে দিলাম তাকে বললাম, শীঘ্রই আরও কিছু ছাত্র পাঠাতে। আমরা খুব অল্প, টিকতে পারব না। আমাদের দেখাদেখি আরও কিছু ছাত্র ছুটে এসে আমাদের পাশে বসে পড়ল। আমাদের উপর কিছু উত্তম মধ্যম পড়ল এবং ধরে নিয়ে জিপে তুলল। হক সাহেবকে পূর্বেই জিপে তুলে ফেলেছে। বহু ছাত্র গ্রেফতার ও জখম হল। কিছু সংখ্যক ছাত্রকে গাড়ি করে ত্রিশ-চল্লিশ মাইল দূরে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে আসল। কয়েকজন ছাত্রীও মার খেয়েছিল। অলি আহাদও গ্রেফতার হয়ে গেছে। তাজউদ্দীন, তোয়াহা ও অনেককে গ্রেফতার করতে পারে নাই। আমাদের প্রায় সত্তর-পঁচাত্তরজনকে বেঁধে নিয়ে জেলে পাঠিয়ে দিল সন্ধ্যার সময়। ফলে আন্দোলন দানা বেঁধে উঠল। ঢাকার জনগণের সমর্থনও আমরা পেলাম। তখন পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার অধিবেশন চলছিল। শোভাযাত্রা রোজই বের হচ্ছিল। নাজিমুদ্দীন সাহেব বেগতিক দেখলেন। আন্দোলন দানা বেঁধে উঠেছে। ওয়াদুদ ও বখতিয়ার দু’জনই ছাত্রলীগ কর্মী, তাদের ভীষণভাবে আহত করে জেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এই সময় শেরে বাংলা, বগুড়ার মোহাম্মদ আলী, তোফাজ্জল আলী, ডা. মালেক, সবুর সাহেব, খয়রাত হোসেন, আনোয়ারা খাতুন ও আরও অনেকে মুসলিম লীগ পার্টির বিরুদ্ধে ভীষণভাবে প্রতিবাদ করলেন। আবার শহীদ সাহেবের দল এক হয়ে গেছে। নাজিমুদ্দীন সাহেব ঘাবড়িয়ে গেলেন এবং সংগ্রাম পরিষদের সাথে আলাপ করতে রাজি হলেন। আমরা জেলে, কি আলাপ হয়েছিল জানি না। তবে সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে কামরুদ্দিন সাহেব জেলে আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং বললেন, নাজিমুদ্দীন সাহেব এই দাবিগুলি মানতে রাজি হয়েছেন; এখনই পূর্ব পাকিস্তানের অফিসিয়াল ভাষা বাংলা করে ফেলবে। পূর্ব পাকিস্তান আইনসভা থেকে সুপারিশ করবেন, যাতে কেন্দ্রে বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা হয়। সমস্ত মামলা উঠিয়ে নিবেন, বন্দিদের মুক্তি দিবেন এবং পুলিশ যে জুলুম করেছে সেই জন্য তিনি নিজেই তদন্ত করবেন। আর কি কি ছিল আমার মনে নাই। তিনি নিজেই হোম মিনিস্টার, আবার নিজেই তদন্ত করবেন এ যেন এক প্রহসন। আমাদের ১১ তারিখে জেলে নেওয়া হয়েছিল, আর ১৫ তারিখ সন্ধ্যায় মুক্তি দেওয়া হয়। জেলগেট থেকে শোভাযাত্রা করে আমাদের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে নিয়ে যাওয়া হল। * ১৬ তারিখ সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রসভায় আমরা সকলেই যোগদান করলাম। হঠাৎ কে যেন আমার নাম প্রস্তাব করে বসল সভাপতির আসন গ্রহণ করার জন্য। সকলেই সমর্থন করল। বিখ্যাত আমতলায় এই আমার প্রথম সভাপতিত্ব করতে হল। অনেকেই বক্তৃতা করল। সংগ্রাম পরিষদের সাথে যেসব শর্তের ভিত্তিতে আপোস হয়েছে তার সকলগুলিই সভায় অনুমোদন করা হল। তবে সভা খাজা নাজিমুদ্দীন যে পুলিশি জুলুমের তদন্ত করবেন, তা গ্রহণ করল না; কারণ খাজা সাহেব নিজেই প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আমি বক্তৃতায় বললাম, “যা সংগ্রাম পরিষদ গ্রহণ করেছে, আমাদেরও তা গ্রহণ করা উচিত। শুধু আমরা ঐ সরকারি প্রস্তাবটা পরিবর্তন করতে অনুরোধ করতে পারি, এর বেশি কিছু না।” ছাত্ররা দাবি করল, শোভাযাত্রা করে আইন পরিষদের কাছে গিয়ে খাজা সাহেবের কাছে এই দাবিটা পেশ করবে এবং চলে আসবে। আমি বক্তৃতায় বললাম, তাঁর কাছে পৌঁছে দিয়েই আপনারা আইনসভার এরিয়া ছেড়ে চলে আসবেন। কেউ সেখানে থাকতে পারবেন না। কারণ সংগ্রাম পরিষদ বলে দিয়েছে, আমাদের আন্দোলন বন্ধ করতে কিছুদিনের জন্য। সকলেই রাজি হলেন। এক শোভাযাত্রা করে আমরা হাজির হয়ে কাগজটা ভিতরে পাঠিয়ে দিলাম খাজা সাহেবের কাছে। আমি আবার বক্তৃতা করে সকলকে চলে যেতে বললাম এবং নিজেও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে চলে আসবার জন্য রওয়ানা করলাম। কিছু দূর এসে দেখি, অনেক ছাত্র চলে গিয়েছে। কিছু ছাত্র ও জনসাধারণ তখনও দাঁড়িয়ে আছে আর মাঝে মাঝে স্লোগান দিচ্ছে। আবার ফিরে গিয়ে বক্তৃতা করলাম। এবার অনেক ছাত্রও চলে গেল। আমি হলে চলে আসলাম। প্রায় চারটায় খবর পেলাম, আবার বহু লোক জমা হয়েছে, তারা বেশিরভাগ সরকারি কর্মচারী ও জনসাধারণ, ছাত্র মাত্র কয়েকজন ছিল। শামসুল হক সাহেব চেষ্টা করছেন লোকদের ফেরাতে। মাঝে মাঝে হলের ছাত্ররা দু’একজন এমএলএকে ধরে আনতে শুরু করেছে মুসলিম হলে। তাদের কাছ থেকে লিখিয়ে নিচ্ছে, যদি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতে না পারেন, তবে পদত্যাগ করবেন। মন্ত্রীরাও বের হতে পারছেন না। খাজা সাহেব মিলিটারির সাহায্যে পেছন দরজা দিয়ে ভেগে গিয়েছিলেন। বহু লোক আবার জড়ো হয়েছে। আমি ছুটলাম এ্যাসেম্বলির দিকে। ঠিক কাছাকাছি যখন পৌঁছে গেছি তখন লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে শুরু করেছে পুলিশ। আমার চক্ষু জ্বলতে শুরু করেছে। পানি পড়ছে, কিছুই চোখে দেখি না। কয়েকজন ছাত্র ও পাবলিক আহত হয়েছে। আমাকে কয়েকজন পলাশী ব্যারাকের পুকুরে নিয়ে চোখে মুখে পানি দিতে শুরু করেছে। কিছুক্ষণ পরে একটু আরাম পেলাম। দেখি মুসলিম হলে হৈচৈ। বাগেরহাটের ডা. মোজাম্মেল হক সাহেবকে ধরে নিয়ে এসেছে। তিনি এমএলএ। তাঁকে ছাত্ররা জোর করছে লিখতে যে, তিনি পদত্যাগ করবেন। আমাকে তিনি চিনতেন, আমিও তাঁকে চিনতাম। আমি ছাত্রদের অনুরোধ করলাম, তাঁকে ছেড়ে দিতে। তিনি লোক ভাল এবং শহীদ সাহেবের সমর্থক ছিলেন। অনেক কষ্টে, অনেক বুঝিয়ে তাঁকে মুক্ত করে বাইরে নিয়ে এলাম। একটা রিকশা ভাড়া করে তাঁকে উঠিয়ে দিলাম। হঠাৎ খবর এল, শওকত মিয়া আহত হয়ে হাসপাতালে আছে। তাড়াতাড়ি ছুটলাম তাকে দেখতে। সত্যই সে হাতে, পিঠে আঘাত পেয়েছে। পুলিশ লাঠি দিয়ে তাকে মেরেছে। আরও কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছে। সকলকে বলে আসলাম, একটু ভাল হলেই হাসপাতাল ত্যাগ করতে। কারণ, পুলিশ আবার গ্রেফতার করতে পারে। রাষ্ট্রভাষা বাংলার আন্দোলন শুধু ঢাকায়ই সীমাবদ্ধ ছিল না। ফরিদপুর ও যশোরে কয়েক শত ছাত্র গ্রেফতার হয়েছিল। রাজশাহী, খুলনা, দিনাজপুর ও আরও অনেক জেলায় আন্দোলন হয়েছিল। নিখিল পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ চেষ্টা করেছিল এই আন্দোলনকে বানচাল করতে, কিন্তু পারে নাই। এই আন্দোলন ছাত্ররাই শুরু করেছিল সন্দেহ নাই। কিন্তু এই আন্দোলনের পরে দেখা গেল জনসাধারণও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতে বদ্ধপরিকর বিশেষ করে সরকারি কর্মচারীরাও একে সমর্থন দিয়েছিল। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে একদল গু-া আক্রমণ করলে পলাশী ব্যারাক থেকে সরকারি কর্মচারীরা এসে তাদের বাধা দিয়েছিল। যার ফরে গু-ারা মার খেয়ে ভাগতে বাধ্য হয়েছিল। পরে দেখা গেল, ঢাকা শহরের জনসাধারণের মনোভাবের অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। সরকার থেকে প্রপাগা-া করা হয়েছিল যে, কলকাতা থেকে হিন্দু ছাত্ররা পায়জামা পরে এসে এই আন্দোলন করছে। যে সত্তর-পঁচাত্তরজন ছাত্র বন্দি হয়েছিল তার মধ্যে একজনও হিন্দু ছাত্র ছিল না। এমনকি যারা আহত হয়েছিল তার মধ্যেও একজন হিন্দু ছিল না। তবু তখন থেকেই ‘যুক্ত বাংলা ও ভারতবর্ষের দালাল, কমিউনিস্ট ও রাষ্ট্রদ্রোহী’Ñএই কথাগুলি বলা শুরু হয়, আমাদের বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে। এমনকি সরকারি প্রেসনোটেও আমাদের এইভাবে দোষারোপ করা হত। বাংলা পাকিস্তানের শতকরা ছাপ্পান্ন ভাগ লোকের মাতৃভাষা। এই বাংলাই একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হওয়া উচিত। তবুও আমরা বাংলা ও উর্দু দুইটা রাষ্ট্রভাষা করার দাবি করেছিলাম। পাঞ্জাবের লোকেরা পাঞ্জাবি ভাষা বলে, সিন্ধুর লোকেরা সিন্ধি ভাষায় কথা বলে, সীমান্ত প্রদেশের লোকেরা পশতু ভাষায় কথা বলে, বেলুচরা বেলুচি ভাষায় কথা বলে। উর্দু পাকিস্তানের কোনো প্রদেশের ভাষা নয়, তবুও যদি পশ্চিম পাকিস্তানের ভায়েরা উর্দু ভাষার জন্য দাবি করে, আমরা আপত্তি করব কেন? যারা উর্দু ভাষা সমর্থন করে তাদের একমাত্র যুক্তি হল ‘ইসলামি ভাষা’। উর্দু কি করে যে ইসলামি ভাষা হল আমরা বুঝতে পারলাম না। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে। আরব দেশের লোকেরা আরবি বলে। পারস্যের লোকেরা ফার্সি বলে, তুরস্কের লোকেরা তুর্কি ভাষায় বলে, ইন্দোনেশিয়ার লোকেরা ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় কথা বলে, মালয়েশিয়ার লোকের মালয়া ভাষায় কথা বলে, চীনের মুসলমানরা চীনা ভাষায় কথা বলে। এ সম্বন্ধে অনেক যুক্তিপূর্ণ কথা বলা চলে। শুধু পূর্ব পাকিস্তানের ধর্মভীরু মুসলমানদের ইসলামের কথা বলে ধোঁকা দেওয়া যাবে ভেবেছিল, কিন্তু পারে নাই। যে কোনো জাতি তার মাতৃভাষাকে ভালবাসে। মাতৃভাষার অপমান কোনো জাতিই কোনো কালে সহ্য করে নাই। এই সময় সরকারদলীয় মুসলিম লীগ নেতারা উর্দুর জন্য জান মাল কোরবানি করতে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু জনসমর্থন না পেয়ে একটু ঘাবড়িয়ে পড়েছিলেন। তারা শেষ ‘তাবিজ’ নিক্ষেপ করলেন। জিন্নাহকে ভুল বোঝালেন। এরা মনে করলেন, জিন্নাহকে দিয়ে উর্দুর পক্ষে বলাতে পারলেই আর কেউ এর বিরুদ্ধাচরণ করতে সাহস পাবে না। জিন্নাহকে দলমত নির্বিশেষে সকলেই শ্রদ্ধা করতেন। তাঁর যে কোন ন্যায়সঙ্গত কথা মানতে সকলেই বাধ্য ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের জনমত কোন পথে, তাঁকে কেউই তা বলেন নাই বা বলতে সাহস পান নাই। ১৯ মার্চ জিন্নাহ ঢাকা আসলে হাজার হাজার লোক তাঁকে অভিনন্দন জানাতে তেজগাঁ হাওয়াই জাহাজের আড্ডায় হাজির হয়েছিল। আমার মনে আছে, ভীষণ বৃষ্টি হচ্ছিল। সেদিন আমরা সকলেই ভিজে গিয়েছিলাম, তবুও ভিজে কাপড় নিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা করার জন্য এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করেছিলাম। জিন্নাহ পূর্ব পাকিস্তানে এসে ঘোড় দৌড় মাঠে বিরাট সভায় ঘোষণা করলেন, “উর্দুই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে।” আমরা প্রায় চার পাঁচ শত ছাত্র এক জায়গায় ছিলাম সেই সভায়। অনেকে হাত তুলে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিল, ‘মানি না’। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশনে বক্তৃতা করতে উঠে তিনি যখন আবার বললেন, “উর্দুই একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে”Ñ তখন ছাত্ররা তাঁর সামনেই বসে চিৎকার করে বলল, ‘না, না, না’। জিন্নাহ প্রায় পাঁচ মিনিট চুপ করেছিলেন, তারপর বক্তৃতা করেছিলেন। আমার মনে হয়, এই প্রথম তাঁর মুখের উপরে তাঁর কথার প্রতিবাদ করল বাংলার ছাত্ররা। এরপর জিন্নাহ প্রায় পাঁচ মিনিট চুপ করেছিলেন, তারপর বক্তৃতা করেছিলেন। আমার মনে হয়, এই প্রথম তাঁর মুখের উপর তাঁর কথার প্রতিবাদ করল বাংলার ছাত্ররা। এরপর জিন্নাহ যতদিন বেঁচেছিলেন আর কোনোদিন বলেন নাই, উর্দুই একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে। ঢাকায় জিন্নাহ দুই দলের ছাত্রনেতাদের ডাকলেন। বোধহয় বাংলা ভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতাদেরও ডেকেছিলেন। তবে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ ও নিখিল পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের দুইজন করে প্রতিনিধির সাথে দেখা করলেন। কারণ, তিনি পছন্দ করেন নাই, দুইটা প্রতিষ্ঠান কেন হবে এই মুহূর্তে! আমাদের পক্ষ থেকে মিস্টার তোয়াহা আর শামসুল হক সাহেব ছিলেন, তবে আমি ছিলাম না। জিন্নাহ আমাদের প্রতিষ্ঠানের নামটা পছন্দ করেছিলেন। নিখিল পূর্ব পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের নাম যখন আমাদের প্রতিনিধি পেশ করেন, তখন তাঁরা দেখিয়ে দিলেন যে, এদের অধিকাংশ এখন চাকরি করে, অথবা লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে। তখন জিন্নাহ তাদের উপর রাগই করেছিলেন। শামসুল হক সাহেবের সাথে জিন্নাহর একটু তর্ক হয়েছিল, যখন তিনি দেখা করতে যান বাংলা রাষ্ট্রভাষা করার বিষয় নিয়েÑশামসুল হক সাহেব আমাকে এসে বলেছিলেন। শামসুল হক সাহেবের সৎ সাহস ছিল, সত্য কথা বলতে কাউকেও ভয় পেতেন না। * নাজিমুদ্দিন সাহেব প্রধানমন্ত্রী হয়ে কিছুদিন পরে তিনি পূর্ব বাংলায় আসেন। প্রথমবারে তিনি কিছুই বলেন নাই। কিছুদিন পরে, বোধহয় ১৯৫১ সালের শেষের দিকে অথবা ১৯৫২ সালের জানুয়ারি মাসে পল্টন ময়দানে এক জনসভায় তিনি বক্তৃতা করলেন। সেখানে ঘোষণা করলেন, “উর্দুই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে।” তিনি ১৯৪৮ সালে পূর্ব বাংলার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে যে ওয়াদা করেছিলেন, সে ওয়াদার খোলাপ করলেন। ১৯৪৮ সালের রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সাথে চুক্তি করেছিলেন এবং নিজেই পূর্ব বাংলা আইসভায় প্রস্তাব পেশ করেছিলেন যে, পূর্ব বাংলার অফিসিয়াল ভাষা ‘বাংলা’ হবে। তা ছাড়া যাতে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা হয়, তার জন্য কেন্দ্রীয় আইনসভায় কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করা হবে। এ প্রস্তাব পূর্ব বাংলার আইনসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। যে ঢাকায় বসে তিনি ওয়াদা করেছিলেন সেই ঢাকায় বসেই উল্টা বললেন। দেশের মধ্যে ভীষণ ক্ষোভের সৃষ্টি হল। তখন একমাত্র রাজনৈতিক দল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ, ছাত্র প্রতিষ্ঠান ছাত্রলীগ এবং যুবাদের প্রতিষ্ঠান যুবলীগ সকলেই এর তীব্র প্রতিবাদ করে। আমি হাসপাতালে আছি। সন্ধ্যায় মোহাম্মদ তোয়াহা ও অলি আহাদ দেখা করতে আসে। আমার কেবিনের একটা জানালা ছিল ওয়ার্ডের দিকে। আমি ওদের রাত একটার পরে আসতে বললাম। আরও বললাম, খালেক নেওয়াজ, কাজী গোলাম মাহাবুব আরও কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকে খবর দিতে। দরজার বাইরে আইবিরা পাহারা দিত। রাতে অনেকে ঘুমিয়ে পড়েছে। তখন পিছনের বারান্দায় ওরা পাঁচ-সাতজন এসেছে। আমি অনেক রাতে একা হাঁটাচলা করতাম। রাতে কেউ আসে না বলে কেউ কিছু বলত না। পুলিশরা চুপচাপ পড়ে থাকে, কারণ জানে আমি ভাগব না। গোয়েন্দা কর্মচারী একপাশে বসে ঝিমায়। বারান্দায় বসে আলাপ হল এবং আমি বললাম, সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করতে। আওয়ামী লীগ নেতাদেরও খবর দিয়েছি। ছাত্রলীগই তখন ছাত্রদের মধ্যে একমাত্র জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান। ছাত্রলীগ নেতারা রাজি হল। অলি আহাদ ও তোয়াহা বলল, যুবলীগও রাজি হবে। আবার ষড়যন্ত্র চলছে বাংলা ভাষার দাবিকে নস্যাৎ করার। এখন প্রতিবাদ না করলে কেন্দ্রীয় আইনসভায় মুসলিম লীগ উর্দুর পক্ষে প্রস্তাব পাস করে নেবে। নাজিমুদ্দীন সাহেব উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার কথাই বলেন নাই, অনেক নতুন নতুন যুক্তিতর্ক দেখিয়েছেন। অলি আহাদ যদিও আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সদস্য হয় নাই, তবুও আমাকে ব্যক্তিগতভাবে খুবই শ্রদ্ধা করত ও ভালবাসত। আরও বললাম, “খবর পেয়েছি, আমাকে শীঘ্রই আবার জেলে পাঠিয়ে দিবে, কারণ আমি নাকি হাসপাতালে বসে রাজনীতি করছি। তোমরা আগামীকাল রাতেও আবার এসে।” আরও দু’একজন ছাত্রলীগ নেতাকে আসতে বললাম। শওকত মিয়া ও কয়েকজন আওয়ামী লীগ কর্মীকেও দেখা করতে বললাম। পরের দিন রাতে এক এক করে অনেকেই আসল। সেখানেই ঠিক হল আগামী ২১শে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন করা হবে এবং সভা করে সংগ্রাম পরিষদ গঠন করতে হবে। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেই রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের কনভেনর করতে হবে। ফেব্রুয়ারি থেকেই জনমত সৃষ্টি করা শুরু হবে। আমি আরও বললাম, “আমি আমার মুক্তির দাবি করে ১৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে অনশন ধর্মঘট শুরু করব। আমার ছাব্বিশ মাস জেল হয়ে গেছে।” আমি একথাও বলেছিলাম, “মহিউদ্দিন জেলে আছে, আমার কাছে থাকে। যদি সে অনশন করতে রাজি হয়, তবে খবর দেব। তার নামটাও আমার নামের সাথে দিয়ে দিবে। আমাদের অনশনের নোটিশ দেওয়ার পরই শওকত মিয়া প্যামপ্লেট ও পোস্টার ছাপিয়ে বিলি করার বন্দোবস্ত করবে।” * এদিকে জেলের ভেতর আমরা দুইজনে প্রস্তুত হচ্ছিলাম অনশন ধর্মঘট করার জন্য। আমরা আলোচনা করে ঠিক করেছি, যাই হোক না কেন, আমরা অনশন ভাঙব না। যদি এই পথেই মৃত্যু এসে থাকে তবে তাই হবে। জেল কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে সুপারিনটেনডেন্ট আমীর হোসেন সাহেব ও তখনকার দিনে রাজবন্দিদের ডেপুটি জেলার মোখলেসুর রহমান সাহেব আমাদের বুঝাতে অনেক চেষ্টা করলেন। আমরা তাঁদের বললাম, আপনাদের বিরুদ্ধে আমাদের বলবার কিছু নাই। আর আমরা সেজন্য অনশন করছি না। সরকার আমাদের বৎসরের পর বৎসর বিনা বিচারে আটক রাখছে, তারই প্রতিবাদ করার জন্য অনশন ধর্মঘট করছি। এতদিন জেল খাটলাম, আপনাদের সাথে আমাদের মনোমালিন্য হয় নাই। কারণ আমরা জানি যে, সরকারের হুকুমেই আপনাদের চলতে হয়। মোখলেসুর রহমান সাহেব খুবই অমায়িক, ভদ্র ও শিক্ষিত ছিলেন। তিনি খুব লেখাপড়া করতেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে সকালবেলা আমাকে জেলগেটে নিয়ে যাওয়া হল এই কথা বলে যে, আমার সাথে আলোচনা আছে অনশন ধর্মঘটের ব্যাপার নিয়ে। আমি যখন জেলগেটে পৌঁছালাম দেখি, একটু পরেই মহিউদ্দিনকেও নিয়ে আসা হয়েছে একই কথা বলে। কয়েক মিনিট পরে আমার মালপত্র, কাপড়চোপড় ও বিছানা নিয়ে জমাদার সাহেব হাজির। বললাম, ব্যাপার কি? কর্তৃপক্ষ বললেন, আপনাদের অন্য জেলে পাঠানোর হুকুম হয়েছে। জিজ্ঞাসা করলাম, কোন জেলে? কেউ কিছু বলেন না। এদিকে আর্মড পুলিশ, আইবি অফিসারও প্রস্তুত হয়ে এসেছে। খবর চাপা থাকে না। একজন আমাকে বলে দিল, ফরিদপুর জেলে। দুইজনকেই এক জেলে পাঠানো হচ্ছে। তখন নয়টা বেজে গেছে। এগারটায় নারায়ণগঞ্জ থেকে জাহাজ ছাড়ে, সেই জাহাজ আমাদেরকে ধরতে হবে। আমি দেরি করতে শুরু করলাম, কারণ তা না হলে কেউই জানবে না আমাদের কোথায় পাঠাচ্ছে! প্রথমে আমার বইগুলি এক এক করে মেলাতে শুরু করলাম, তারপর কাপড়গুলি। হিসাব-নিকাশ, কত টাকা খরচ হয়েছে, কত টাকা আছে। দেরি করতে করতে দশটা বাজিয়ে দিলাম। রওয়ানা করতে আরও আধা ঘণ্টা লাগিয়ে দিলাম। আর্মড পুলিশের সুবেদার ও গোয়েন্দা কর্মচারীরা তাড়াতাড়ি করছিল। সুবেদার পাকিস্তান হওয়ার সময় গোপালগঞ্জে ছিল এবং সে একজন বেলুচি ভদ্রলোক। আমাকে খুবই ভালবাসত এবং শ্রদ্ধা করত। আমাকে পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করতে দেখেছে। আমাকে দেখেই বলে বসল, “ইয়ে কেয়া বাত হ্যায়, আপ জেলখানা মে।” আমি বললাম, “কিসমত”। আর কিছুই বললাম না। আমাদের জন্য বন্ধ ঘোড়ার গাড়ি আনা হয়েছে। গাড়ির ভিতর জানালা উঠিয়ে ও দরজার কপাট বন্ধ করে দিল। দুইজন ভিতরেই আমাদের সাথে বসল। আর একটা গাড়িতে অন্যরা পিছনে পিছনে ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশে রোডের দিকে চলল। সেখানে যেয়ে দেখি পূর্বেই একজন আর্মড পুলিশ ট্যাক্সি রিজার্ভ করে দাঁড়িয়ে আছে। * আমরা জেলগেটে এসে দেখি, জেলার সাহেব, ডেপুটি জেলার সাহেব এসে গেছেন। আমাদের তাড়াতাড়ি ভিতরে নিয়ে যেতে বললেন। তাঁরা পূর্বেই খবর পেয়েছিলেন। জায়গাও ঠিক করে রেখেছেন, তবে রাজবন্দিদের সাথে নয়, অন্য জায়গায়। আমরা তাড়াতাড়ি ঔষধ খেলাম পেট পরিষ্কার করবার জন্য। তারপর অনশন ধর্মঘট শুরু করলাম। দুই দিন পর অবস্থা খারাপ হলে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। আমাদের দুইজনেরই শরীর খারাপ। মহিউদ্দিন ভুগছে প্লুরিসিস রোগে, আর আমি ভুগছি নানা রোগে। চার দিন পরে আমাদের নাক দিয়ে জোর করে খাওয়াতে শুরু করল। মহাবিপদ! নাকের ভিতর নল দিয়ে পেটের মধ্যে পর্যন্ত দেয়। তারপর নলের মুখে একটা কাপের মত লাগিয়ে দেয়। একটা ছিদ্রও থাকে। সে কাপের মধ্যে দুধের মত পাতলা করে খাবার তৈরি করে পেটের ভিতর ঢেলে দেয়। এদের কথা হল, ‘মরতে দেব না’। আমার নাকে একটা ব্যারাম ছিল। দুই তিনবার দেবার পরেই ঘা হয়ে গেছে। রক্ত আসে আর যন্ত্রণা পাই। আমরা আপত্তি করতে লাগলাম। জেল কর্তৃপক্ষ শুনছে না। খুবই কষ্ট হচ্ছে। আমার দুইটা নাকের ভিতরই ঘা হয়ে গেছে। তারা হ্যান্ডকাপ পরানোর লোকজন নিয়ে আসে। বাধা দিলে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে জোর করে ধরে খাওয়াবে। আমাদের শরীরও খুব দুর্বল হয়ে পড়েছে। পাঁচ-ছয় দিন পরে বিছানা থেকে ওঠার শক্তি হারিয়ে ফেলেছি। আমার ইচ্ছা করে কাগজি লেবুর রস দিয়ে লবণ পানি খেতাম। কারণ এর মধ্যে কোনো ফুড ভ্যালু নাই। আমাদের ওজনও কমতে ছিল। নাকের মধ্য দিয়ে নল দিয়ে খাওয়ার সময় নলটা একটু এদিক ওদিক হলেই আর উপায় থাকবে না। সিভিল সার্জন সাহেব, ডাক্তার সাহেব ও জেল কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো অসুবিধা না হয়, তার চেষ্টা করছিলেন। বার বার সিভিল সার্জন সাহেব অনশন করতে নিষেধ করেছিলেন। আমার ও মহিউদ্দিনের শরীর অতিশয় দুর্বল হয়ে পড়েছে। এখন আর বিছানা থেকে উঠবার শক্তি নাই। আমার হার্টের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়েছে বুঝতে পারলাম। প্যালপিটিশন হয় ভীষণভাবে। নিঃশ্বাস ফেলতে কষ্ট হয়। ভাবলাম আর বেশি দিন নাই। একজন কয়েদিকে দিয়ে গোপনে কয়েক টুকরা কাগজ আনলাম। যদিও হাত কাঁপে তথাপি ছোট ছোট করে চারটা চিঠি লিখলাম। আব্বার কাছে একটা, রেণুর কাছে একটা, আর দুইটা শহীদ সাহেব ও ভাসানী সাহেবের কাছে। দু’একদিন পরে আর লেখার শক্তি থাকবে না। * ২১শে ফেব্রুয়ারি আমরা উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা নিয়ে দিন কাটালাম, রাতে সিপাহিরা ডিউটিতে এসে খবর দিল, ঢাকায় ভীষণ গোলমাল হয়েছে। কয়েকজন লোক গুলি খেয়ে মারা গেছে। রেডিওর খবর। ফরিদপুরে হরতাল হয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীরা শোভাযাত্রা করে জেলগেটে এসেছিল। তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিল, ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’, ‘বাঙালিদের শোষণ করা চলবে না’, ‘শেখ মুজিবের মুক্তি চাই’, ‘রাজবন্দিদের মুক্তি চাই’, আরও অনেক স্লোগান। আমার খুব খারাপ লাগল। কারণ, ফরিদপুর আমার জেলা, মহিউদ্দিনের নামে কোনো স্লোগান দিচ্ছে না কেন? শুধু ‘রাজবন্দিদের মুক্তি চাই’, বললেই তো হত। রাতে যখন ঢাকার খবর পেলাম তখন ভীষণ চিন্তাযুক্ত হয়ে পড়লাম। কত লোক মারা গেছে বলা কষ্টকর। তবে অনেক লোক গুলি খেয়ে মারা গেছে শুনেছি। দু’জনে পাশাপাশি বিছানায় শুয়ে আছি। ডাক্তার সাহেব আমাদের নড়াচড়া করতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু উত্তেজনায় উঠে বসলাম। দুইজন কয়েদি ছিল আমাদের পাহারা দেবার এবং কাজকর্ম করে দেবার জন্য। তাড়াতাড়ি আমাদের ধরে শুইয়ে দিল। খুব খারাপ লাগছিল, মনে হচ্ছিল চিন্তাশক্তি হারিয়ে ফেলেছি। গুলি করার তো কোন দরকার ছিল না। হরতাল করবে, সভা ও শোভাযাত্রা করবে, কেউ তো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় না। কোনো গোলমালা সৃষ্টি করার কথা তো কেউ চিন্তা করে নাই। ১৪৪ ধারা দিলেই গোলমাল হয়, না দিলে গোলমাল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। অনেক রাতে একজন সিপাহি এসে বলল, ছাত্র মারা গেছে অনেক। বহু লোক গ্রেফতার হয়েছে। রাতে আর কোন খবর নাই। ঘুম তো এমনিই হয় না, তারপর আবার এই খবর। পরের দিন নয়-দশটার সময় বিরাট শোভাযাত্রা বের হয়েছে, বড় রাস্তার কাছেই জেল। শোভাযাত্রীদের স্লোগান পরিষ্কার শুনতে পেতাম, হাসপাতালের দোতলা থেকে দেখাও যায়, কিন্তু আমরা নিচের তলায়। হর্ন দিয়ে একজন বক্তৃতা করছে। আমাদের জানাবার জন্যই হবে। কি হয়েছে ঢাকায় আমরা কিছু কিছু বুঝতে পারলাম। জেল কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো খবর দিয়ে চায় না। আমরা যেন কোন খবর না পাই, আর কোনো খবর না দিতে পারি বাইরে, এই তাদের চেষ্টা। খবরের কাগজ তো একদিন পরে আসবে, ঢাকা থেকে। ২২ তারিখে সারা দিন ফরিদপুরে শোভাযাত্রা চলল। কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী এক জায়গায় হলেই স্লোগান দেয়। ছোট্ট ছোট্ট ছেলেমেয়েরা রাস্তায় বেড়ায় আর স্লোগান দেয়। ২২ তারিখে খবরের কাগজ এল, কিছু কিছু খবর পেলাম। মুসলিম লীগ সরকার কত বড় অপরিণামদর্শিতার কাজ করল। মাতৃভাষা আন্দোলনে পৃথিবীতে এই প্রথম বাঙালিরাই রক্ত দিল। দুনিয়ার কোথাও ভাষা আন্দোলন করার জন্য গুলি করে হত্যা করা হয় নাই। জনাব নুরুল আমিন বুঝতে পারলেন না, আমলাতন্ত্র তাকে কোথায় নিয়ে গেল। গুলি হল মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের এরিয়ার ভেতরে, রাস্তায়ও নয়। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলেও গুলি না করে গ্রেফতার করলেই তো চলত। আমি ভাবলাম, দেখব কি না জানি না, তবে রক্ত যখন আমাদের ছেলেরা দিয়েছে তখন বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা না করে আর উপায় নাই। মানুষের যখন পতন আসে তখন পদে পদে ভুল হতে থাকে। বাংলাদেশের মুসলিম লীগ নেতারা বুঝলেন না, কে বা কারা খাজা সাহেবকে উর্দুর কথা বলালেন, আর কেনই বা তিনি বললেন! তাঁরা তো জানতেন, উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার কথা বলে মিস্টার জিন্নাহর মত নেতাও বাধা না পেয়ে ফিরে যেতে পারেন নাই। সেখানে খাজা সাহেব এবং তার দলবলের অবস্থা কি হবে? একটা বিশেষ গোষ্ঠীÑযাঁরা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করতে শুরু করেছেন, তাঁরাই তাঁকে জনগণ থেকে যাতে দূরে সরে পড়েন তার বন্দোবস্ত করলেন। সাথে সাথে তাঁর সমর্থক নূরুল আমিন সাহেবও যাতে জনগণ থেকে বিছিন্ন হয়ে যান সে ব্যবস্থা করালেন। কারণ ভবিষ্যতে এই বিশেষ গোষ্ঠী কোনো একটা গভীর ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। যদিও খাজা সাহেবের জনসমর্থন কোনোদিন বাংলাদেশে ছিল না। খবরের কাগজে দেখলাম, মওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ এমএলএ, খয়রাত হোসেন এমএলএ, খান সাহেব ওসমান আলী এমএলএ এবং মোহাম্মদ আবুল হোসেন ও খোন্দকার মোশতাক আহমদসহ শত শত ছাত্র ও কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। দু’একদিন পরে দেখলাম কয়েকজন প্রফেসর, মওলানা ভাসানী, শামসুল হক সাহেব ও বহু আওয়ামী লীগ নেতা ও কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। নারায়ণগঞ্জে খান সাহেব ওসমান আলীর বাড়ির ভিতরে ঢুকে ভীষণ মারপিট করেছে। বৃদ্ধ খান সাহেব ও তাঁর ছেলেমেয়েদের উপর অকথ্য অত্যাচার হয়েছে। সমস্ত ঢাকায় ও নারায়ণগঞ্জে এক ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগের কোন কর্মীই বোধহয় আর বাইরে নাই। সূত্র : ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত (পৃষ্ঠা : ৯১-৯৯ ও ১৯৫-২০৪) সম্পাদনা : আনিস আহামেদ

ছবি

দুই জন আলোকীত বাঙ্গালী মাওলানা=== ===♥♥♥♥♥=== ===♥♥♥♥♥=== মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভারতীয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত এক রাজনৈতিক নেতার নাম। দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে আরবী লাইনে উচ্চশিক্ষা লাভকারী এক মাওলানার নাম।পীরে কামেল মানুষ হিসেবে অসংখ্য মুরীদ রয়েছে তাঁর অখন্ড ভারত উপমহাদেশ ব্যাপি। চলাপেরায় ছিলেন গ্রাম্য এক সাধারন মানুষের মতই।জীবনের ছিলনা কোন আড়ম্বরতা, ঐশৈয্য, অহংকার। মজলুম জননেতা মাওলানা আজমী। প্রথমজনের মত সুপ্রসিদ্ধ না হলেও মিল আছে অনেক ক্ষেত্রে।মাওলানা আজমী ইসলামীয়া মাদ্রাসা অর্থাৎ আমরা যে মাদ্রাসাকে সুন্নী মাদ্রাসা হিসেবে জানি এই মাদ্রাসা থেকে উচ্চতর শিক্ষায় শিক্ষিত একজন মাওলানা।পবিত্র কোরানের উপর ছিল তাঁর অসাধারন জ্ঞান। উল্লেখ্যিত ইসলামের দুই লাইনের দুই মাওলানা ধর্মকে পুঁজী করে রাজনীতি করেননি।বৃটিশ-ভারতের আরো অনেক মাওলানাই আছেন,যারা কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিতিতে যুক্ত ছিলেন। মহত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের অন্ধ সমর্থক ছিলেন।আমি সেই দিকে যাবনা। আমি এই মহান ব্যক্তিদ্বয়ের রাজনীতির মিল সম্পর্কে বলতে চাই। ভারত বিভক্তির আন্দোলনে ষড়যন্ত্রের ফসল সামপ্রদায়িক পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম। জম্মীতে সৃষ্ট ষড়যন্ত্র পাকিস্তানের ললাটে একেঁ দেয় গভীর কালছায়া। উৎপত্তিতে প্রতারনার চিহ্নহেতু সংগত কারনে রাষ্ট্র ছিল কৃত্রিম রাষ্ট্র, ষড়যন্ত্রের ফসল। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তানের জন্ম। উগ্র মুসলিম জাতীয়তাবাদ সামপ্রদায়িকতা হিংসা-বিদ্বেষ সমপ্রদায়ে সমপ্রদায়ে রক্তান্ত হানাহানিতে এই দেশের আকাশ-বাতাশ ভারি হয়ে উঠতে থাকে। বাঙ্গালী হিন্দু-মুসলমান একই জাতের ভাইয়ের রক্তে ভাই হাত রঞ্জিত হতে থাকে। লাখ লাখ মানুষ ভিটাবাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে,ভারতের মসুলমান ভাইয়েরা দলে দলে পাকিস্তানে আশ্রয় গ্রহন করতে থাকে। দুই জন মজলুম জননেতার আবির্ভাব ঘটে ঠিক তখনি। মজলুম ভাসানীর পরে জম্মনেয়া মজলুম আজমেরী দর্শনের প্রতি ছিল অনেক বেশি কট্রর। ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে মজলুম দুই মাওলানা হেঁটেছেন সূর্যসেন, প্রীতিলতা, সুভাষবোস,গান্ধী, সরওয়ার্দীসহ ভারতীয় উপমহাদেশের জাতীয় বীরদের নীতি আদর্শের পথে। পাকিস্তান আমলের অধিকাংশ সময় দুই মাওলানাই হুলিয়া মাথায় নিয়ে দিন অতিবাহিত করতে হয়েছে। কখনো স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেননি। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কোন প্রকার রক্তচক্ষু তাদের নীতিভ্রষ্ট করতে পারেনি। হাসিখুশি প্রাণোচ্ছল এই বিপ্লবীদ্বয় পারিবারিক গন্ডিতে একেবারে ভিন্ন মানুষ। সত্যিকারের মজলুম জননেতা,গরীব দু:খ্যী মেহনতী মানুষের আপনজন। তাদের নিজের বলতে কিছুই ছিল না। আপাময় জনগণের ভাগ্যকেই আজীবন নিজের ভাগ্য বলে মনে করেছিলেন। দুইজনেই কখনও নিজের জন্য কিছুই চাননি। অকাতরে দেশ ও জাতির জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন সারাটি জীবন। সত্যিকারের দেশ ও জনগণের খাদেম হিসাবে। তাদের দুই জনেই লুঙ্গী পরে চলাফেরা করতেন। দেখতে মনে হতো লুঙ্গিপরা সাধারণ খেঁটে খাওয়া মানূষ। যখন রাজনৈতিক মঞ্চে বক্তব্য দিতেন বা পার্টির নীতিনির্ধারণী সভায় বক্তব্য দিতেন তখন মনে হতো একেক জন একেকটা রয়েল বেঙ্গল টাইগার। অত্যন্ত সুবক্তা ছিলেন সত্যিকারের জননেতাদ্বয়। মাওলানা ভাসানী রাজনীতিতিতে অনেক উত্থানপতনের ঘটক হলেও আজমী ছিলেন এই থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম।এক আদর্শে অনুপ্রানীত হয়ে লালিত করেছেন সারাটি জীবন।সমাজতান্ত্রীক সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে কখনো দলবদল বা নতুন দলের সৃজন করেননি। তিনি সকল ইসলামী অনুশাষন যথাযথ মেনে চলেও বিশ্বাস করতেন সমাজতন্ত্রে।তিনি ধর্মকে ধারন করার, বিশ্বাস করার,এবং সেই মতে জীবনকে পরিচালিত করায় বিশ্বাস করতেন। সমাজতান্ত্রীক নীতির ক্ষেত্রে মাওলানা আজমী একনিষ্ঠ ছিলেন। সব ধরনের লোভ-লালসা-মোহমুক্ত ও নিরঅহঙ্কারী একজন নির্ভেজাল বিপ্লবী ছিলেন। সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী জীবনের পড়ন্তবেলায় একেকবার একেক আদর্শের প্রচার করে অনেকটা নাচোঁয়া মানুষে রুপান্তরীত হয়েছিলেন।এইক্ষেত্রে আজমী অনেকটা নীজকে পরিশুদ্ধ রাখতে পেরেছেন। দুইজনেই ছিলেন অসম্ভব বাগ্মীতার অধিকারী। বক্তব্যের মঞ্চে নীমিষেই শ্রোতাদের নিমগ্ন করে যেকোন পরিস্থীতি মোকাবেলা করার মানসে প্রস্তুত করে তুলতে পারতেন।দুইজনের বক্তব্যেই হুংকার ছিল একই ভাষায়। এত সাধারন ছিল তাঁদের জীবন বর্তমান প্রজর্মকেও যদি তাঁদের কথা বলি বিশ্বাস করবেনা। আগামী প্রজম্মতো বিশ্বাস করার প্রশ্নই আসেনা। জম্ম নিবে কি কখনও সোনার দেশের সেই সোনার মানুষেরা? জর্ম্মিলেও কি মেনে নিবে প্রজম্ম নির্লোভী সেই নেতৃত্ব? বর্তমান বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলে পাবে কি স্থান তাঁর বাসনা পুরন করার? এই সময়ে কি আছে প্রয়োজন কোন মজলুমের আবির্ভাব? প্রয়োজন আছে কি বাংলাদেশে মজলুমের শাষন? জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা জয় হোক মেহনতি মানুষের

ছবি

ডিজিটাল প্রযুক্তি অশুভ শক্তির অপব্যবহার রোধ এবং জনকল্যানে ব্যবহার নিশ্চিতে আইনী কাঠামোর বেষ্টনী সময়ের দাবী-- =====♥♥♥♥গতকালের পর==== বর্তমান বাংলাদেশে কি পরিমান পেইজবুক ইউজার আছে তাঁর সঠিক তথ্য দেয়া সম্ভব নয়।কারন অনেকেই একাউন্ট খুলেছে কিন্তু কালেভদ্রেও খুলে পড়ে দেখেন না বন্ধুরা কি লিখেছে।আবার এমনও আছেন সময় পেলেই পেইজবুক নিয়ে বসে যেতে দেখা যায়।খুটিয়ে খুটিয়ে কে কি লিখেছে পড়েন।তবে নির্দিদ্বায় বলা যায় অপ-লাইনের পত্রিকার চাইতে বহু গুন বেশি পেইজবুকে পড়ুয়া।অপ-লাইনের সমস্ত কাগজ অন-লাইন ভার্সনে রুপান্তরীত হওয়ার ফলে আগে কিছু পত্রিকা বিক্রি হলেও এখন তা হচ্ছেনা। বাংলাদেশে হঠাৎ করেই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০১৪ সালের শেষের দিকে ছিল প্রায় ৪.৮৪ কোটি। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ইন্টারনেটের ব্যবহারকারী যা ছিলো (মাত্র ১২ লাখ) এখন সেটি তার চাইতে বহু গুণ বেশি। এর পেছনে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইদথের দাম কমা, ইন্টারনেটে প্রয়োজনীয় কনটেন্টস পাওয়া এবং ফেসবুকের মতো সামাজিক নেটওয়ার্ক ও ব্লগিং এর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। যে কেউ এখন দেশের সকল প্রান্তের বিপুল পরিমাণ মানুষকে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হওয়া অবস্থায় দেখতে পারেন, বা ভাব বিনিময় করতে পারেন। এক সময়ে যা কেবলমাত্র কিছুসংখ্যক মানুষের সাময়িক কার্যকলাপ হিসেবে গণ্য হতো এখন সেটি দেশের প্রায় সকল এলাকার মানুষেরই প্রাত্যহিক ক্রিয়া-কর্মে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় ধরনের মাইলফলক ।এই খাত সরকারের পাশাপাশি সাধারন ব্যক্তিমালিকানা যুক্ত হওয়াটাও নিঃসন্দেহে একটি বড় ধরনের সফলতা। একই সাথে বিগত কয়েক বছরে মোবাইলের সংযোগের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়ার বিষয়টিও ইতিবাচক। মোবাইলের সংযোগ বৃদ্ধি, থ্রিজির আগমন এবং মোবাইল কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতা মুলক একে অপরের প্রতি অত্যন্ত আক্রমনাত্মক ভাবে ইন্টারনেট কানেকশন বাজারজাত করার ফলেও ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে। ডিজিটাল অপরাধের একটি বড় ক্ষেত্র হচ্ছে সামাজিক মাধ্যম ফেইজবুক,টুইটার,ম্যাসেঞ্জিং এর মত প্রকাশ মাধ্যমগুলি। এই মিডিয়া গুলি গত দুই বছর তিন বছরের অবস্থায় এখন আর নেই, আগের পরিধিতেও নেই। বরং ইন্টারনেট প্রচলিত মিডিয়াকে কেমন করে বদলে দিয়েছে এবং মিডিয়ার ডিজিটাল রূপান্তর কতোটা করে  পেলেছে সেটি উপলব্ধি,অনুভব করার বিষয়। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, আমলা, ওলেমা মাশায়েখ, ডাকতার, ইঞ্জিনিয়ার বা সাধারণ মানুষের পক্ষে দেশের ডিজিটাল মিডিয়ার জগৎ সম্পর্কে ধারণা করা সহজ ছিল না। তাদের কেউ সম্ভবত বিষয়টিকে কখনও গুরুত্ব দিয়ে আমলে নিয়ে চিন্তা করেও দেখেননি। মিডিয়ার রূপান্তরটি কত ভিন্নমাত্রার হয়েছে তাঁর ব্যাখ্যা একেক জন একেক ভাবে করলেও উপলব্দি অনুভবের ক্ষেত্রে প্রায় সবাইর বেলায় সামান্য তারতম্য পরিলক্ষিত হলেও ব্যবহারের ব্যপকতায় সবাই সহমত পোষন করেন। সামান্য একটু উদাহরন দিলে ব্যাপারটি বুঝার জন্য আরও সহজ হবে বলে মনে করি। যেমন বাংলাদেশের একটি দৈনিক পত্রিকার সর্বোচ্চ সার্কুলেশন হতে পারে ৩/৪ লাখ, যদিও বেশির ভাগেরই প্রচার সংখ্যা শ' বা হাজারের কোঠায়। কাগজে ছাপা সকল পত্রিকার পাঠক সংখ্যা হতে পারে সর্বোচ্চ ৩৫/৪০ লাখ। অন্যদিকে অনলাইনে এসব পত্রিকার পাঠকসংখ্যা প্রায় ৫/৭ গুণ বেশি এবং দেশের প্রায় ১০ কোটি লোক এখন অনলাইনে যুক্ত থাকে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ  কোন না কোনভাবে অনলাইনে খবর সংগ্রহ করে থাকে,যুৎসই খবরটি নীজ টাইমলাইনে আপলোড করে। দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সকলেই কোন না কোনভাবে খবরটি পাঠ করে থাকে। উদবেগ, উৎকন্ঠা, আনন্দ, বেদনা, উপকারিতা, অপকারিতা ইত্যাদি সব বিষয়ের প্রতিক্রিয়াও তৎক্ষনাৎ পাওয়া যায়। কিছুকাল আগেও যাহা ছিল কেবলমাত্র ভোর রাতের স্বপ্ন। এর পাশাপাশি বিশেষায়ীত অংশগুলোর কথাও বলা যায়। শুধু ফেসবুকে বাংলাদেশের প্রায় সাত কোটি লোক যুক্ত আছে। অনলাইনে একজন ব্যক্তির যোগাযোগ ক্ষমতা কতটা বেড়েছে তার হিসাবটা আমি নিজের হিসাব থেকে দিতে পারি। ১৮জুলাই২০১৫ (সকাল ১০'৩০ মিনিট) সময়কালে আমার ফেসবুক  বন্ধু ছিল ২৮৬০ জন। আজকে ১৪ ই ফেব্রুয়ারী ৪৯৯০ জন। প্রতিদিন গড়ে ৫জন কে আনফ্রেন্ড করে ২/১জন যুক্ত করে ফ্রেন্ডের সংখ্যা যদি এই পয্যায় থাকে একবার ভাবুন কত দ্রুত বন্ধুর সংখ্যা বেড়েছে আর কতজনের চোখে আমার পোষ্টটি পড়েছে।আমার নীজের পেইজ একটি সহ বন্ধুদের নয়টি পেইজের বন্ধু আছে প্রায় ১৫ হাজার। আবার আমি অনেকগুলো গ্রুপের সদস্য। এসব গ্রুপে কয়েক লাখ ইউজার যুক্ত আছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সাথেও যুক্ত হচ্ছি। এর মানে হচ্ছে আমি দেশের সকল পত্রিকার পাঠক সংখ্যার সমান মানুষের কাছে একাই যেতে পারি। তারপরেও আছে গুগুল ,টুইটার সংযুক্ত বন্ধুরা। একা একজন কত মানুষের সাথে সংযুক্ত হতে পারি আমি একা। একটু ভাবুন এই মানুষেরা কিন্তু বিশ্বের সকল প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আরও একটি বিষয় সকলের উপলব্ধি করার আছে। এমনকি কাগজের পত্রিকা গুলো অনলাইনের দাপট অপ লাইন থেকে  অনেক গুন বেশি। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যাবহার কারির  সংখ্যা প্রতি সেকেন্ড বাড়ছে এবং তা দ্রুততার সঙ্গেই বাড়ছে। ২০১৩ সালে ব্লগার কতৃক ইসলাম ধর্মের অবমাননার সূত্র ধরে সন্ত্রাস, ফেসবুকে পেইজ খুলে ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়ে মৌলবাদি সন্ত্রাসী গোষ্টিকে নৈরাজ্য, হত্যায় উৎসাহ প্রদানে অপপ্রচার,মৌলবাদের প্রসার। ব্লগারদেরকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে খুনিদেরকে লেলিয়ে দেয়া ও খুন করার মধ্য দিয়ে দেশে চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের অপকর্মের কাজটি করা হয়েছে সফলতার সঙ্গে। আমাদের জন্য এই সন্ত্রাসের সবচেয়ে বড় শংকা হচ্ছে, বাংলাদেশকে তালেবানি রাষ্ট্র বানানোর উদ্দেশ্যে ডিজিটাল মিডিয়াকে নিরাপদ ভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের অগোচরে ব্যবহার করে যাওয়া। সরকার নিরাপদকে আপদে পরিনত করতে গেলেই তাদের সমর্থক কতৃক ব্যাঙ্গাত্বকভাবে সমালোচনায় অংশ নিয়ে দেশের মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলার অপপ্রয়াসে যুক্ত হওয়া। কেবল অনলাইন মিডিয়া নয় অপ লাইনের মিডিয়া- কাগজ গুলিও এর সঙ্গে যুক্ত ছিল। বিএনপির মুখপত্র আমার দেশ পত্রিকা এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসের যোগান দিয়ে নাশকতায় উৎসাহিত করেছে। দেরীতে হলেও সরকার আমার দেশের সম্পাদককে আটক না করলে সম্ভবত সেটি চরম বিপর্যয় ডেকে আনার সম্ভাবনাই উজ্জ্বল হত। ডিজিটালাইজেশনের সুবিধা গ্রহন করে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি ফাঁস, বিচারকের টেলিফোন আলাপে আড়িপাতা, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে মিথ্যা বানোয়াট কাহিনী আপলোড করে অপপ্রচারের কথাও উল্লেখ করতে পারি। ২০১৩ইং সালের কথা এত তাড়াতাড়ি আমি মনে করি কারো স্মৃতি থেকে হারিয়ে যায়নি। সেই সময়ে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠন, হেফাজতে ইসলাম ও গণজাগরণ মঞ্চ কর্তৃক পরস্পরবিরোধী অবস্থান গ্রহণ দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চেয়েছিল সকলেই অবগত আছেন। রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকসহ সকলেরই তখন আলোচ্য বিষয় ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের ভয়াবহতম ডিজিটাল সন্ত্রাসের ভয়াবয়হতা সম্পর্কিত খবরাখবর। ডিজিটাল সন্ত্রাসকে ভিত্তি করে দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেয়ার অপচেষ্টা, হত্যা, গুম, আক্রমণ, অগ্নিসংযোগ, স্বর্নদোকান লুট, পবিত্র কোরানে আগুন দেয়া ইত্যাদি চরম ব্যাপকতা পেয়েছিল। ডিজিটালের আগে নৈরাজ্য এত ব্যপকতা কোনকালেই পরিলক্ষিত হয়নি। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে টেলিভিশনের টকশো ও রাজনৈতিক পরিমন্ডলে চা দোকানের আড্ডায় সর্বত্রই এর ব্যাপকতা মানুষের মুখে মুখে আলোচনার উপজিব্য ছিল। বর্বরতম আর একটি ব্যাপার উল্লেখ করা প্রয়োজন, এসব ডিজিটাল সন্ত্রাসের পাশাপাশি ইভটিজিং, নারীর প্রতি সহিংসতা, ডিজিটাল পর্ণোগ্রাফি, মানি লন্ডারিং, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, স্প্যামিং, হ্যাকিং ইত্যাদির মাত্রা প্রতিনিয়ত ব্যাপকভাবে বেড়ে চলেছে। এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। তর্কের ও কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।   পুরাতন এনালগ যুগের আইন প্রয়োগ করে ডিজিটাল যুগের অপরাধ দমন কোন অবস্থায় সম্ভব নয়।সেই যুগেরপ্রেস এন্ড পাবলিশিং আইন দিয়ে নতুন ডিজিটাল সামাজিক মাধ্যমের সমস্যার সমাধান করা যাবেনা। যুগের সাথে তালমিলিয়ে, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী,জঙ্গী, নাস্তিক, উগ্রধর্মীয় জঙ্গীরা ডিজিটাল অপপ্রচার, সন্ত্রাস,দুর্বত্তায়নে লিপ্ত হচ্ছে।সেই ডিজিটাল সন্ত্রাস মোকাবেলা করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রশিক্ষন প্রাপ্ত আইন শৃংখলা বাহিনী প্রয়োজন।ডিজিটাল প্রজর্ম্ম গড়ে তোলার পাশাপাশি সমগ্র সামাজিক ইন্টারনেট ভুক্ত সাইট গুলি আইনী বেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। আইনি কাঠামোর মধ্যেও ডিজিটালাইজেসনের ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন।ডিজিটাল সন্ত্রাস মোকাবেলায় প্রথমেই প্রয়োজন ডিজিটাল আইন প্রয়োগকারি সংস্থা। সুপ্রিয় পাঠক ভাইয়েরা,পোষ্টে সংযুক্ত ছবিটি মানোনীয় আইসিটি মন্ত্রী জনাব পলক ভাইয়ের তাঁর মন্ত্রনালয়ের উচ্চ পয্যায়ের সভার ছবি।ছবিটি আমি তাঁর গুগুল একাউন্টের টাইমলাইন থেকে নিয়েছি।জনাব মন্ত্রী মহোদয় আমার বন্ধু তালিকায় শীর্ষে আছেন।উনি প্রতিনিয়ত গুগুল আইডিতে উপস্থিত থাকেন।প্রতিনিয়ত তাঁর এবং সরকারের কর্মকান্ডের আপলোড দিয়ে থাকেন।মনে হবে যেন গুগুল আইডি উনার নিজস্ব আর একটি অফিস।উনার প্রত্যেক পোষ্ট আমি পেয়ে থাকি,উনিও হয়তোবা আমার পোষ্ট পেয়ে থাকেন।তাই গতকাল এবং আজকে দুই পর্বে ভাগ করে আমার নিজস্ব অভিমত তুলে ধরার প্রয়াস নিয়েছি।কোন অবস্থায় মন্ত্রী মহোদয় বা সরকারকে বিব্রত করার জন্য আমার প্রয়াস নহে। সরকারের বৃহৎ অর্জন ছোট ছোট অপরাধে বিসর্জনে পরিনত হবে,একজন বঙ্গবন্ধুর সামান্যতম আদর্শের অনুসারী হয়ে মেনে নিতে পারিনা। দেশের ৫০/১০০টকবাজের টক্রামিকে ভয় করে আইসিটি আইন প্রনয়নের বিলম্বে, জনগন অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত কঠিন আইনী বেষ্টনীতে নিয়ে আসার জন্যে সদাশয় সরকারের নিকট আবেদন জানাচ্ছি। জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো            জয়বাংলা        জয়বঙ্গবন্ধু          জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

ডিজিটাল প্রযুক্তি অশুভ শক্তির অপব্যবহার রোধ এবং জনকল্যানে ব্যবহার নিশ্চিতে আইনী কাঠামোর বেষ্টনী সময়ের দাবী-- ===== ===== তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বর্তমান বাংলাদেশ, নতুন প্রজর্ম্মের ছেলে মেয়েদের নিকট অত্যাবশ্যকীয় হয়ে উঠেছে -পেইজ বুক সহ অন্য সব সামাজিক সাইট গুলি। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যাবহার সর্বসাধারনের নাগালের মধ্যে হয়ে উঠার বয়স কিন্তু একেবারেই কম।কম হলেও বেশিরভাগ যুবক যুবতী যে হারে আসক্ত হয়ে পড়েছে অন্য পুরাতন ব্যবহারকারী দেশ সমুহের ছেলে মেয়েরা সমহারে আসক্ত হয়নি। অন্যভাবে বলা যায় আমাদের তরুন প্রজর্ম্ম প্রযুক্তিটি যত বেশি আগ্রহ সহকারে গ্রহন করেছে উন্নত দেশ সমুহের যুবক যুবতীরা তত আগ্রহ সহকারে গ্রহন করেনি। আমাদের দেশের বেশীর ভাগ ছেলে মেয়ে ব্যবহার করে আড্ডায় সময় কাটানোর অন্যতম মাধ্যম হিসেবে। আবার কিছু ছেলেমেয়ে বিনোদনের উপকরন হিসেবে গ্রহন করে সর্বক্ষন পর্ণোসাইট গুলি ঘুরে বেড়ায়।খুব কম সংখ্যক মানুষ আছেন যারা প্রয়োজনীয় কাজে বা উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে এই প্রযুক্তি জনমানুষের ভাগ্য উন্নয়নের চেষ্টায় রত: থাকেন। উন্নত দেশ সমুহের নতুন প্রজর্ম বেশির ভাগই কিন্তু আমাদের প্রজর্ম্মের বিপরীতে অবস্থান। তাঁরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে জ্ঞান অর্জন করছে,অনেকেই টাকা রুজির হাতিয়ারে পরিনত করেছে। উপার্জনের উপযুক্ত মাধ্যমে প্রযুক্তিটিকে পরিনত করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর তনয় জনাব সজীব ওয়াজেদ (জয়)প্রধান মন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মনোনীত হয়ে বিদেশে অর্জীত জ্ঞান দেশের কল্যানে ব্যবহারের জন্য প্রযুক্তিটি যত দ্রুত ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন, তত দ্রুত বাংলাদেশ সরকার প্রযুক্তিটি অপব্যবহার রোধে নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থাপনা আয়ত্ব করতে পারেনি। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষনের সুব্যবস্থা করতে পারেননি। '১৯৯৬ ইং সালে শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহন করে প্রযুক্তিটি সর্বসাধরনের ব্যাবহার করার সুযোগ সৃষ্টি করে মোবাইল কোম্পেনী গুলির মনোপলী ব্যাবসা রোধে একক অনুমতির দরজা ভেঙ্গে সকলের ব্যবসার দরজা খুলে দিয়ে অবাধ নেট ওয়ার্ক আমদানীর ব্যবস্থা করে দেয়। সমসাময়ীক সময়ে তথ্য প্রযুক্তি নীর্ভর তরুন প্রজর্ম গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রতিটি জেলাতে একটি করে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়।সেই মোতাবেক বেশ কয়টি জেলায় তদ্রুপ বিশ্ব বিদ্যালয় স্থাপিত হলেও ২০০১ ইং সালের নির্বাচনে ক্ষমতা ত্যাগে সম্পুর্ন প্রজেক্ট নতুন জোট সরকার বাতিল করে দেয়। ২০০৮ ইং সালে মহাজোট বিপুল জনসমর্থনে সরকার গঠন করে প্রজেক্টটি আবার নতুন উদ্যোগে চালু করে। এর সাথে আরো নতুন কিছু প্রজেক্ট সংযুক্ত করে দক্ষ জনবল সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহন করে। প্রযুক্তিটি উপজেলা, ইউনিয়ন পয্যন্ত ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। অবশ্য ২০০৮ ইং সালের নির্বাচনে মহাজোটের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার। ফলে তরুন প্রজম্ম মহাজোটের প্রতি ব্যপক সমর্থন ব্যক্ত করায় বিপুল বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়, এবং মহাজোটের নেত্রী জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। সরকার গঠন করে জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে এক সুদুর প্রসারী, যুগউপযোগী, বিশ্ব সভ্যতার সাথে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার মহাপরিকল্পনার ঘোষনা করেন। পরিকল্পনার বিস্তারীত বিবরন দিতে গিয়ে '২০২১ ইং সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরে তাঁর নীজস্ব ভাবনা "রুপকল্প ২০২১" জনগনকে অবহিত করেন। রুপকল্প ২০২১" ঘোষনা করে স্বল্পমেয়াদি,মধ্যমেয়াদি, দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পিত কর্মসুচি গ্রহন করে ২০১৫ ইং সাল শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ সুফল পেতে শুরু করেছে। বিশ্বব্যাংক নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশকে।২০১৮ ইং সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে বলে দেশী বিদেশী অভিজ্ঞমহল, দাতা সংস্থা সমুহ আশা প্রকাশ করেছেন।উন্নয়নের গতিধারা সমুন্নত রাখার জন্য ২০১৪ ইং সালের সাধারন নির্বাচনের প্রাক্কালে "উন্নত, সমৃদ্ধ,বিজ্ঞান সম্মত,শিল্প সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তর করার জন্য সরকার "রুপ কল্প ২০৪১ " ঘোষনা করে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রনয়ন পুর্বক দেশকে এগিয়ে নিতে এবং সমৃদ্ধ দেশ গঠনে পদ্মা সেতু,রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র,গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মানের মত ব্যয়বহুল বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন।ইতিমধ্যে সফল ভাবে প্রকল্প গুলীর কাজ শুরু হলে, জনমনে আশা উদ্দিপনা সঞ্চার করতে সক্ষম হয়েছে। যে স্বপ্ন নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,সেই ডিজিটালের উলঙ্গ সুবিদা নিয়ে অশুভ শক্তি রাষ্ট্র ও জনগনের স্বস্তি,শান্তি,নিরাপত্তা কেড়ে নিতে উদ্যোগী হচ্ছে বার বার। পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে নাশকতা, জঙ্গিবাদ,উগ্রধর ্মীয় গোষ্টির ৩২ টি সাইট শনাক্ত হয়েছে। সাইটগুলীর উপর গোয়েন্দা সংস্থা নজরদারী অব্যাহত রেখেছে। ২০১৫ইং সালে কয়েকজন ব্লগার হত্যায় সাইট গুলী সক্রিয়ভাবে কাজে লাগানো হয়েছিল।হত্যাকান্ডের পর সাইটগুলি নিষ্ক্রীয় করে এখন পয্যন্ত আর সচল করেনি। সরকার প্রযুক্তিটি নিয়ন্ত্রন, ব্যবহার,সফলতা অর্জনের আগেই বিজ্ঞানের উন্নতি বা প্রযুক্তির ব্যবহার একেবারেই সহ্য করেননা তদীয় শ্রেনীর সামান্য একটি অংশ (কোনভাবেই পার্সেন্টেজের হিসেবে আসেনা) ডিজিটাল প্রযুক্তিটির আরো উন্নত সংস্করনে নাশকতার কাজে ব্যবহারে উৎসাহবোধ বা নিরাপদ মনে করছেন। ইহার ব্যবহার আরামদায়ক বলে গন্য করে যথেচ্ছ ব্যবহার করে দেশে অরাজগতা, নাশকতায় ইন্দন দেয়ার হাতিয়ারে রুপান্তরীত করেছেন। উন্নত দেশের ছেলেমেয়েরা ব্যবহার করে তাঁদের সভ্যতার নিদর্শনকে অনূকরনীয় অনুসরনযোগ্য করে প্রযুক্তি বিক্রি করে,সাইট ভাড়া দিয়ে ডলার আয় করে জীবনের স্বাচ্ছন্দ আনছেন। আমরা তাঁদের সাইট কোটি কোটি ডলার ব্যয়ে ভাড়া নিয়ে অপব্যবহার করে ডেকে আনছি ধ্বংশ, অরাজগতা, নাশকতা, চুরি,ডাকাতি চিনতাইয়ের মত নানাবিধ নেতিবাচক উপসর্গ। এই প্রকৃতির একটি খবর দেশব্যপি আলোড়ন তুলেছিল গত কয়েক মাস আগে। এমনিতর কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক গুলীতে। গত কয়েক বছরে ট্রাস্ট ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ইউসিবিএল ও ঢাকা ব্যাংকের বুথ থেকে ইবিএল কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। ঢাকা ট্রিবিউনে আজকে ১৩/০২ তারিখে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় গত দুই/ তিন দিন চট্রগ্রাম ইস্টার্ন ব্যাংকের সাইট হ্যাক করে কোটি কোটি টাকা তুলে নেওয়ার তথ্য পেয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। " গভীর চিন্তা উদ্রেককারী খবরটি হচ্ছে, এই সমস্ত ডাকাতি,ব্যংক লুটের বৃহদাংশ টাকা জঙ্গী লালনে খরছ করা হচ্ছে বলে গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছেন। আরো বড় চমৎকারিত্ব নিয়ে আর একটা খবর পত্রপত্রিকায় গত ৯/০২ ইং তারিখে প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ সরকারকে তথ্য দিয়েছে,'২০১৫ ইং সালে বিদেশী হত্যাকান্ড বিএনপি জামাতের ইন্দনে হয়েছে।মহাজোট সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তাঁরা এই ন্যক্কার জনক হত্যাকান্ডে উৎসাহ যুগিয়েছে। খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর রাতের পর রাত" টকবাজিদের মুখ থেকে আর মিষ্টিও বের হতে দেখা যাচ্ছেনা।" বিশ্বের বহু উন্নতদেশে পেইজ বুক সহ বহু সামাজিক সাইট বন্ধ থাকলেও তাঁদের দেশের ব্যবহারকারিরা সরকারের সমালোচনা করেনা বা ব্যাঙ্গ করে, কাটুন একে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায়না। জঙ্গী দমনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা মনে করে সরকারকে আরো উৎস খোঁজে বন্ধ করার জন্য উৎসাহীত করে। আমাদের দেশে প্রযুক্তিটি নতুন ব্যবহারকারী হলেও কয়েকদিন সামাজিক সাইট সমুহ বন্ধ থাকায় মৌলিক বাক স্বাধীনতা হরন করেছে বলে একশ্রেনীর স্বার্থান্বেষি মহল চিৎকার চেঁচামেছি শুরু করে দিয়েছিলেন। যিনি উষ্মা প্রকাশ করে ব্যাঙ্গ চিত্র আপলোড করছেন তিনি কস্মিনকালেও চিন্তা করেন নাই রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গ করে বিকল্প উপায়ে সামাজিক সাইট গুলি নিয়মিত ব্যাবহার করে তিনিও রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গ করে অপরাধ করছেন। অথছ ফ্রান্সের মত সভ্য একটা দেশ আমাদের একই সময়ে সামাজিক সাইট সমুহ বন্ধকরে এখন পয্যন্ত বহাল রেছে। তাঁরা সব গেছে বলে হায়হুতাশ করছে তেমনটি পত্রপত্রিকায় দেখা যায়না। যারা এই সমস্ত অপকর্ম, ব্যাঙ্গচিত্র একেছেন, হায় হুতাস করেছেন তাঁরাই জঙ্গিদের সমর্থক বলে আমি মনে করি। প্রযুক্তি সমৃদ্ধি দিচ্ছে ঠিকই কিন্তু কেড়ে নিচ্ছে সুখ।ভাল কাজের বিপরীতে মন্দ কাজও থাকবে,থাকাটাই স্বাভাবিক।আজকের পত্রিকায় আর একটি ইতিবাচক খবর ছোট আকারে সংবাদপত্রে চাপা হয়েছে।গত ১২/০২ইং তাও চট্রগ্রামে বিদেশীর নিকট থেকে ছয় লক্ষ টাকা চিনিয়ে নেয়া চিনতাই কারিরা সিসিক্যামরায় বন্দি আছেন।ছবি সহ খবরটি প্রযুক্তির উপকারিতা চিহ্নিত করলেও অপকারিতা রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার। দেশের শান্তি শৃংখলা,চুরি ডাকাতি,জঙ্গীপনা রোধে, ব্যংক লুট, উগ্র ধর্মীয় জঙ্গিবাদ প্রচারে কঠোর সাইবার আইন প্রয়োজন।ধর্মীয় উগ্রতা, নাস্তিকতা,খোদাদ ্রোহী, ধর্মদ্রোহী রোধে প্রযুক্তিকে কঠোর আইনি বেষ্টনীতে নিয়ে আসা ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নেই। নাস্তিক আমার বিশ্বাস নিয়ে কটাক্ষ করবে ইহা যেমন মানা সম্ভব নয়- তেমনি উগ্রধর্মীয় গোষ্টি আমার প্রীয় শান্তির ধর্ম,মানবতার ধর্মের গায়ে রক্তলেপন করবে ইহাও মেনে নেয়া সম্ভব নহে। কাফের আবু জাহেলকে যে ভাবে নিয়ন্ত্রন করা হয়েছিল ঠিক সেই ভাবেই নাস্তিক নিয়ন্ত্রন করতে হবে।আবার যে উগ্র ধর্মীয় গোষ্টি ইসলামের চার খলিফার মধ্যে তিন খলিফাকেই হত্যা করেছিল, প্রীয় নবীজির আদরের দোহিত্রকে যে উগ্র ধর্মীয় মতবাদের প্রবক্তা ইয়াজিদের প্ররোচনায় হত্যা করেছিল তাঁরাই সেই উগ্রতা আজও অব্যহত রেখেছে। উপসংহারে স্পষ্টত:ই বলা যায়,ফসল যতই হৃষ্টপুষ্ট হোকনা কেন, ছাগল ভেড়া থেকে রক্ষার জন্য ক্ষেতের চতুর্দিকে ভেড়া দিতেই হয়।ভেড়া না দিলে ফসল কৃষকের ভাগ্যন্নয়নে কোন ভুমিকা রাখতে পারেনা।তেমনি ডিজিটাল বাংলাদেশের সমৃদ্ধি নিশ্চিতে,জনকল্যানে প্রযুক্তি ব্যবহারে "প্রযুক্তিকেও কঠোর আইনী বেষ্টনিতে নিয়ে আসার কোন বিকল্প থাকতে পারেনা। ব্যক্তিগতভাবে আমি ৫৭ধারা ৫৭০০ধারা কিছুই বুঝিনা,বুঝার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করিনা।আমি বুঝি প্রযুক্তির অপব্যবহার করে কেহ যাতে জঙ্গীপনা করতে না পারে,ব্যংক লুট করতে না পারে,আমার প্রীয় নেতানেত্রীর বিভৎস ছবি আপলোড করে আমার রাতের ঘুম কেড়ে নিতে না পারে তাঁর নিশ্চয়তা বিধান সরকারকেই করতে হবে। এতে সকারের জনপ্রীয়তা থাকবে কি থাকবেনা সাধারন মানুষের জানার প্রয়োজন নেই। চলবে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা।

ছবি

ডিজিটাল প্রযুক্তি অশুভ শক্তির অপব্যবহার রোধ এবং জনকল্যানে ব্যবহার নিশ্চিতে আইনী কাঠামোর বেষ্টনী সময়ের দাবী-- ===== ===== তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বর্তমান বাংলাদেশ, নতুন প্রজর্ম্মের ছেলে মেয়েদের নিকট অত্যাবশ্যকীয় হয়ে উঠেছে -পেইজ বুক সহ অন্য সব সামাজিক সাইট গুলি। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যাবহার সর্বসাধারনের নাগালের মধ্যে হয়ে উঠার বয়স কিন্তু একেবারেই কম।কম হলেও বেশিরভাগ যুবক যুবতী যে হারে আসক্ত হয়ে পড়েছে অন্য পুরাতন ব্যবহারকারী দেশ সমুহের ছেলে মেয়েরা সমহারে আসক্ত হয়নি। অন্যভাবে বলা যায় আমাদের তরুন প্রজর্ম্ম প্রযুক্তিটি যত বেশি আগ্রহ সহকারে গ্রহন করেছে উন্নত দেশ সমুহের যুবক যুবতীরা তত আগ্রহ সহকারে গ্রহন করেনি। আমাদের দেশের বেশীর ভাগ ছেলে মেয়ে ব্যবহার করে আড্ডায় সময় কাটানোর অন্যতম মাধ্যম হিসেবে। আবার কিছু ছেলেমেয়ে বিনোদনের উপকরন হিসেবে গ্রহন করে সর্বক্ষন পর্ণোসাইট গুলি ঘুরে বেড়ায়।খুব কম সংখ্যক মানুষ আছেন যারা প্রয়োজনীয় কাজে বা উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে এই প্রযুক্তি জনমানুষের ভাগ্য উন্নয়নের চেষ্টায় রত: থাকেন। উন্নত দেশ সমুহের নতুন প্রজর্ম বেশির ভাগই কিন্তু আমাদের প্রজর্ম্মের বিপরীতে অবস্থান। তাঁরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে জ্ঞান অর্জন করছে,অনেকেই টাকা রুজির হাতিয়ারে পরিনত করেছে। উপার্জনের উপযুক্ত মাধ্যমে প্রযুক্তিটিকে পরিনত করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর তনয় জনাব সজীব ওয়াজেদ (জয়)প্রধান মন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মনোনীত হয়ে বিদেশে অর্জীত জ্ঞান দেশের কল্যানে ব্যবহারের জন্য প্রযুক্তিটি যত দ্রুত ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন, তত দ্রুত বাংলাদেশ সরকার প্রযুক্তিটি অপব্যবহার রোধে নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থাপনা আয়ত্ব করতে পারেনি। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষনের সুব্যবস্থা করতে পারেননি। '১৯৯৬ ইং সালে শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহন করে প্রযুক্তিটি সর্বসাধরনের ব্যাবহার করার সুযোগ সৃষ্টি করে মোবাইল কোম্পেনী গুলির মনোপলী ব্যাবসা রোধে একক অনুমতির দরজা ভেঙ্গে সকলের ব্যবসার দরজা খুলে দিয়ে অবাধ নেট ওয়ার্ক আমদানীর ব্যবস্থা করে দেয়। সমসাময়ীক সময়ে তথ্য প্রযুক্তি নীর্ভর তরুন প্রজর্ম গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রতিটি জেলাতে একটি করে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়।সেই মোতাবেক বেশ কয়টি জেলায় তদ্রুপ বিশ্ব বিদ্যালয় স্থাপিত হলেও ২০০১ ইং সালের নির্বাচনে ক্ষমতা ত্যাগে সম্পুর্ন প্রজেক্ট নতুন জোট সরকার বাতিল করে দেয়। ২০০৮ ইং সালে মহাজোট বিপুল জনসমর্থনে সরকার গঠন করে প্রজেক্টটি আবার নতুন উদ্যোগে চালু করে। এর সাথে আরো নতুন কিছু প্রজেক্ট সংযুক্ত করে দক্ষ জনবল সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহন করে। প্রযুক্তিটি উপজেলা, ইউনিয়ন পয্যন্ত ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। অবশ্য ২০০৮ ইং সালের নির্বাচনে মহাজোটের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার। ফলে তরুন প্রজম্ম মহাজোটের প্রতি ব্যপক সমর্থন ব্যক্ত করায় বিপুল বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়, এবং মহাজোটের নেত্রী জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। সরকার গঠন করে জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে এক সুদুর প্রসারী, যুগউপযোগী, বিশ্ব সভ্যতার সাথে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার মহাপরিকল্পনার ঘোষনা করেন। পরিকল্পনার বিস্তারীত বিবরন দিতে গিয়ে '২০২১ ইং সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরে তাঁর নীজস্ব ভাবনা "রুপকল্প ২০২১" জনগনকে অবহিত করেন। রুপকল্প ২০২১" ঘোষনা করে স্বল্পমেয়াদি,মধ্যমেয়াদি, দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পিত কর্মসুচি গ্রহন করে ২০১৫ ইং সাল শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ সুফল পেতে শুরু করেছে। বিশ্বব্যাংক নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশকে।২০১৮ ইং সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে বলে দেশী বিদেশী অভিজ্ঞমহল, দাতা সংস্থা সমুহ আশা প্রকাশ করেছেন।উন্নয়নের গতিধারা সমুন্নত রাখার জন্য ২০১৪ ইং সালের সাধারন নির্বাচনের প্রাক্কালে "উন্নত, সমৃদ্ধ,বিজ্ঞান সম্মত,শিল্প সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তর করার জন্য সরকার "রুপ কল্প ২০৪১ " ঘোষনা করে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রনয়ন পুর্বক দেশকে এগিয়ে নিতে এবং সমৃদ্ধ দেশ গঠনে পদ্মা সেতু,রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র,গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মানের মত ব্যয়বহুল বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন।ইতিমধ্যে সফল ভাবে প্রকল্প গুলীর কাজ শুরু হলে, জনমনে আশা উদ্দিপনা সঞ্চার করতে সক্ষম হয়েছে। যে স্বপ্ন নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,সেই ডিজিটালের উলঙ্গ সুবিদা নিয়ে অশুভ শক্তি রাষ্ট্র ও জনগনের স্বস্তি,শান্তি,নিরাপত্তা কেড়ে নিতে উদ্যোগী হচ্ছে বার বার। পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে নাশকতা, জঙ্গিবাদ,উগ্রধর ্মীয় গোষ্টির ৩২ টি সাইট শনাক্ত হয়েছে। সাইটগুলীর উপর গোয়েন্দা সংস্থা নজরদারী অব্যাহত রেখেছে। ২০১৫ইং সালে কয়েকজন ব্লগার হত্যায় সাইট গুলী সক্রিয়ভাবে কাজে লাগানো হয়েছিল।হত্যাকান্ডের পর সাইটগুলি নিষ্ক্রীয় করে এখন পয্যন্ত আর সচল করেনি। সরকার প্রযুক্তিটি নিয়ন্ত্রন, ব্যবহার,সফলতা অর্জনের আগেই বিজ্ঞানের উন্নতি বা প্রযুক্তির ব্যবহার একেবারেই সহ্য করেননা তদীয় শ্রেনীর সামান্য একটি অংশ (কোনভাবেই পার্সেন্টেজের হিসেবে আসেনা) ডিজিটাল প্রযুক্তিটির আরো উন্নত সংস্করনে নাশকতার কাজে ব্যবহারে উৎসাহবোধ বা নিরাপদ মনে করছেন। ইহার ব্যবহার আরামদায়ক বলে গন্য করে যথেচ্ছ ব্যবহার করে দেশে অরাজগতা, নাশকতায় ইন্দন দেয়ার হাতিয়ারে রুপান্তরীত করেছেন। উন্নত দেশের ছেলেমেয়েরা ব্যবহার করে তাঁদের সভ্যতার নিদর্শনকে অনূকরনীয় অনুসরনযোগ্য করে প্রযুক্তি বিক্রি করে,সাইট ভাড়া দিয়ে ডলার আয় করে জীবনের স্বাচ্ছন্দ আনছেন। আমরা তাঁদের সাইট কোটি কোটি ডলার ব্যয়ে ভাড়া নিয়ে অপব্যবহার করে ডেকে আনছি ধ্বংশ, অরাজগতা, নাশকতা, চুরি,ডাকাতি চিনতাইয়ের মত নানাবিধ নেতিবাচক উপসর্গ। এই প্রকৃতির একটি খবর দেশব্যপি আলোড়ন তুলেছিল গত কয়েক মাস আগে। এমনিতর কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক গুলীতে। গত কয়েক বছরে ট্রাস্ট ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ইউসিবিএল ও ঢাকা ব্যাংকের বুথ থেকে ইবিএল কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। ঢাকা ট্রিবিউনে আজকে ১৩/০২ তারিখে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় গত দুই/ তিন দিন চট্রগ্রাম ইস্টার্ন ব্যাংকের সাইট হ্যাক করে কোটি কোটি টাকা তুলে নেওয়ার তথ্য পেয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। " গভীর চিন্তা উদ্রেককারী খবরটি হচ্ছে, এই সমস্ত ডাকাতি,ব্যংক লুটের বৃহদাংশ টাকা জঙ্গী লালনে খরছ করা হচ্ছে বলে গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছেন। আরো বড় চমৎকারিত্ব নিয়ে আর একটা খবর পত্রপত্রিকায় গত ৯/০২ ইং তারিখে প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ সরকারকে তথ্য দিয়েছে,'২০১৫ ইং সালে বিদেশী হত্যাকান্ড বিএনপি জামাতের ইন্দনে হয়েছে।মহাজোট সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তাঁরা এই ন্যক্কার জনক হত্যাকান্ডে উৎসাহ যুগিয়েছে। খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর রাতের পর রাত" টকবাজিদের মুখ থেকে আর মিষ্টিও বের হতে দেখা যাচ্ছেনা।" বিশ্বের বহু উন্নতদেশে পেইজ বুক সহ বহু সামাজিক সাইট বন্ধ থাকলেও তাঁদের দেশের ব্যবহারকারিরা সরকারের সমালোচনা করেনা বা ব্যাঙ্গ করে, কাটুন একে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায়না। জঙ্গী দমনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা মনে করে সরকারকে আরো উৎস খোঁজে বন্ধ করার জন্য উৎসাহীত করে। আমাদের দেশে প্রযুক্তিটি নতুন ব্যবহারকারী হলেও কয়েকদিন সামাজিক সাইট সমুহ বন্ধ থাকায় মৌলিক বাক স্বাধীনতা হরন করেছে বলে একশ্রেনীর স্বার্থান্বেষি মহল চিৎকার চেঁচামেছি শুরু করে দিয়েছিলেন। যিনি উষ্মা প্রকাশ করে ব্যাঙ্গ চিত্র আপলোড করছেন তিনি কস্মিনকালেও চিন্তা করেন নাই রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গ করে বিকল্প উপায়ে সামাজিক সাইট গুলি নিয়মিত ব্যাবহার করে তিনিও রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গ করে অপরাধ করছেন। অথছ ফ্রান্সের মত সভ্য একটা দেশ আমাদের একই সময়ে সামাজিক সাইট সমুহ বন্ধকরে এখন পয্যন্ত বহাল রেছে। তাঁরা সব গেছে বলে হায়হুতাশ করছে তেমনটি পত্রপত্রিকায় দেখা যায়না। যারা এই সমস্ত অপকর্ম, ব্যাঙ্গচিত্র একেছেন, হায় হুতাস করেছেন তাঁরাই জঙ্গিদের সমর্থক বলে আমি মনে করি। প্রযুক্তি সমৃদ্ধি দিচ্ছে ঠিকই কিন্তু কেড়ে নিচ্ছে সুখ।ভাল কাজের বিপরীতে মন্দ কাজও থাকবে,থাকাটাই স্বাভাবিক।আজকের পত্রিকায় আর একটি ইতিবাচক খবর ছোট আকারে সংবাদপত্রে চাপা হয়েছে।গত ১২/০২ইং তাও চট্রগ্রামে বিদেশীর নিকট থেকে ছয় লক্ষ টাকা চিনিয়ে নেয়া চিনতাই কারিরা সিসিক্যামরায় বন্দি আছেন।ছবি সহ খবরটি প্রযুক্তির উপকারিতা চিহ্নিত করলেও অপকারিতা রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার। দেশের শান্তি শৃংখলা,চুরি ডাকাতি,জঙ্গীপনা রোধে, ব্যংক লুট, উগ্র ধর্মীয় জঙ্গিবাদ প্রচারে কঠোর সাইবার আইন প্রয়োজন।ধর্মীয় উগ্রতা, নাস্তিকতা,খোদাদ ্রোহী, ধর্মদ্রোহী রোধে প্রযুক্তিকে কঠোর আইনি বেষ্টনীতে নিয়ে আসা ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নেই। নাস্তিক আমার বিশ্বাস নিয়ে কটাক্ষ করবে ইহা যেমন মানা সম্ভব নয়- তেমনি উগ্রধর্মীয় গোষ্টি আমার প্রীয় শান্তির ধর্ম,মানবতার ধর্মের গায়ে রক্তলেপন করবে ইহাও মেনে নেয়া সম্ভব নহে। কাফের আবু জাহেলকে যে ভাবে নিয়ন্ত্রন করা হয়েছিল ঠিক সেই ভাবেই নাস্তিক নিয়ন্ত্রন করতে হবে।আবার যে উগ্র ধর্মীয় গোষ্টি ইসলামের চার খলিফার মধ্যে তিন খলিফাকেই হত্যা করেছিল, প্রীয় নবীজির আদরের দোহিত্রকে যে উগ্র ধর্মীয় মতবাদের প্রবক্তা ইয়াজিদের প্ররোচনায় হত্যা করেছিল তাঁরাই সেই উগ্রতা আজও অব্যহত রেখেছে। উপসংহারে স্পষ্টত:ই বলা যায়,ফসল যতই হৃষ্টপুষ্ট হোকনা কেন, ছাগল ভেড়া থেকে রক্ষার জন্য ক্ষেতের চতুর্দিকে ভেড়া দিতেই হয়।ভেড়া না দিলে ফসল কৃষকের ভাগ্যন্নয়নে কোন ভুমিকা রাখতে পারেনা।তেমনি ডিজিটাল বাংলাদেশের সমৃদ্ধি নিশ্চিতে,জনকল্যানে প্রযুক্তি ব্যবহারে "প্রযুক্তিকেও কঠোর আইনী বেষ্টনিতে নিয়ে আসার কোন বিকল্প থাকতে পারেনা। ব্যক্তিগতভাবে আমি ৫৭ধারা ৫৭০০ধারা কিছুই বুঝিনা,বুঝার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করিনা।আমি বুঝি প্রযুক্তির অপব্যবহার করে কেহ যাতে জঙ্গীপনা করতে না পারে,ব্যংক লুট করতে না পারে,আমার প্রীয় নেতানেত্রীর বিভৎস ছবি আপলোড করে আমার রাতের ঘুম কেড়ে নিতে না পারে তাঁর নিশ্চয়তা বিধান সরকারকেই করতে হবে। এতে সকারের জনপ্রীয়তা থাকবে কি থাকবেনা সাধারন মানুষের জানার প্রয়োজন নেই। চলবে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা।

ছবি

রাজশাহীতে এখনও জিন্নাহ মিউনিসিপ্যাল পার্ক--!!!!! ====♥♥♥♥==== ====♥♥♥♥==== দেশে যখন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ফাঁসি কার্যকরের পালা চলছে, ঠিক তখনও রাজশাহীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে পাকিস্তানের জাতির পিতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নামে পার্ক। স্বাধীনতা অর্জনের ৪৫ বছর পার করছে বাংলাদেশ। কিন্তু এখনও পাকিস্তানিদের এ স্মৃতি মুছে ফেলা যায়নি বিভাগীয় নগরী রাজশাহী থেকে। নগরীর সিপাইপাড়া এলাকায় বিশাল আয়তনের পুকুরকে ঘিরে গড়ে ওঠা জিন্নাহ মিউনিসিপ্যাল পার্কের দেখভাল করে যাচ্ছে খোদ জেলা প্রশাসনই। পাকিস্তানের শোষণ ও শাসন থেকে রক্ষা পেতে নয় মাস যুদ্ধ করে লাখ লাখ বাঙালি প্রাণ দিয়েছেন। সেই পাকিস্তানের স্বপ্নদ্রষ্টা কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নামে এখনও পার্ক বহাল রয়েছে। এই পার্কটি জৌলুস হারালেও নামফলকটি জ্বলজ্বল করছে ঠিকই। এতো বছর ধরে এ নামটি নাকি সবার নজর ফাঁকি দিয়েই এসেছে। অথচ এর পশ্চিমপাশেই রয়েছে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার ও কারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উত্তরে সরকারি হাইস্কুল যা রাজশাহী সরকারি মাদ্রাসা নামে পরিচিত। আর দক্ষিণে মহানগর পুলিশের অফিসার্স মেস। পশ্চিমে রয়েছে শাহ্ মখদুম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ।   ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গভর্নর জিন্নাহ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর ১৯৭০ সালের ৫ ডিসেম্বর নগরীর সিপাইপাড়া এলাকায় জিন্নাহ মিউনিসিপ্যাল পার্কের উদ্বোধন করেন রাজশাহীর তৎকালীন জেলা প্রশাসক কেএ জামান। এর কয়েক মাস পরই স্বাধীনতার লাল সূর্যটা ছিনিয়ে আনার প্রত্যয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামে বাঙালি।    খবরটি আজকের পত্রিকা দৈনিক যুগান্তরে সবিস্তারে রাজশাহী ব্যুরুর সাংবাদিক এর বরাতে উঠেছে।       আমার এক সুহৃদ পেইজ বুক বন্ধু এই মাসে ভাষার উপর আমার প্রতিটি কলামে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রায় একই মর্মবস্তু নিয়ে কমেন্ট করে তাঁর মনের অন্তদহনের কথা প্রকাশ করে যাচ্ছে।আমি তাঁর কমেন্ট পড়ে যাচ্ছি কোন উত্তর দিতে পারছিলামনা।আমি নিম্নে তাঁর কমেন্টের আংশীক কপিপেষ্ট করে আপনাদের জ্ঞাতার্থে তুলে দিচ্ছি--         Shaikh Muhammad Robiul Islam     ""যে দেশে এখনও ১৯৫২ সালে আমার মাতৃভাষাকে অপমান কারি, পাকিস্তানের জাতির পিতা ( বাংলা ভাষাকে রাষ্টভাষার দাবির বিরধীতাকারী একপষান্ড) কায়দে আজম মোহাম্মদ আলী জীন্নাহ'র নামে বিভিন্ন স্থাপনা, প্রতিষ্ঠান, সড়ক, মহল্লা বা পাড়া এমন কি মসজিদও থাকে ( খুলনায় খাঁন জাহান আলী রোড ও যশোর রোডের সংযোগ স্থানে, ফেরিঘাট মোড়ে অবস্থিত)  সেখানে আমরা বড়ই অসহায় । তারা যত গভীরে গিয়ে  বাঙ্গালী জাতীর অস্তিমজ্জায় -----!!!""         আমি আশ্চায্যাম্ভীত, মর্মাহত, বেদনাতুর, লজ্জিত,ক্ষুব্দ, অতিশয় বিক্ষুব্দ। রাজশাহীর পার্কের এত বড় নামপলক থাকার পরও কারো নাকি চোখে পড়েনি। বিষয়টি আমাকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি,এবং আমাদের ভাষা শহীদদের সাথে প্রতারনার সামিল বক্তব্য বলেই আমি মনে করি। এই বক্তব্য অযোগ্য নেতৃত্বের দুর্বলতাকে ঢাকা দেয়ার কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।         কেন সেখানে নামপলক রয়েছে সারা বাংলার মানুষ জানে।চট্রগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়, চট্রগ্রাম সরকারি মহসীন কলেজ পাকিস্তানী শাষকদের শাষনেই বিগত বছরগুলী   শাষিত হয়েছে। সত্য স্বীকারে লজ্জার কিছুই নেই। যে সাংবাদিক ভাই আজকের সংবাদটি পত্রিকায় পরিবেশন করেছেন তিনিও কেন এত বছর পর জানতে পেরেছেন তাও আমরা জানি। সাংবাদিকতার পেশা নীতি আদর্শের পেশা,সাহসিকতার পেশা।যেকোন পরিস্থীতিতে সত্য প্রকাশ করাই তাঁদের ধর্ম।তাঁরা বিগত ৪৪ বছর সেই ধর্ম পালন করতে পারেননি।এখন যথাযথ ভাবে ধর্ম পালনের সুযোগের সৎব্যবহার করার মানষিকতা তাঁদের মধ্যেও সৃষ্টি হয়েছে। বিলম্বে হলেও খবরটি জাতির সামনে তুলে ধরেছেন।         আমি আমার প্রীয় মুজিব আদর্শের ভাই যারা উল্লেখিত রাজশাহী ও যশোর অঞ্চলে অন-লাইনে কাজ করেন,মুজিব আদর্শ প্রচারে মুল্যবান সময় ব্যয় করেন--তাঁদের উদ্দেশ্যে শুধু একটি কথাই বলবো।আপনার এলাকায় জিন্নাহ'র স্মৃতি চিহ্ন বহাল তবিয়তে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে,শুনতে আপনার নিকট কেমন লাগছে?         ২১ তারিখের এখনও নয় দিন সময় বাকি আছে, আগামী সাপ্তাহর মধ্যে একটা দিন ধার্য্য করে জিন্নাহ 'নামপলকের মিনার সহ পাশের গনশৌচাগারে নিক্ষেপ করবেন। আমার আকুল আবেদন থাকবে সাথে আপনারা ইট, বালু, সিমেন্ট, নামপলক নিয়ে যাবেন। গুড়িয়ে দেয়ার সাথে সাথে সাথে নিয়ে যাওয়া নামপলক স্থাপন করে দিবেন। সেই নামপলক ভাষা শহিদের নামের উপর দেয়ার চেষ্টা করবেন।প্রকাশ্য দিবালোকে করবেন,বাঁধা এলে উপড়ে পেলবেন।         বসে বসে শুধু ভাষা আন্দোলনের মহত্ব লিখে গেলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়না। নীজ হাতেও কিছু কাজ করে নিতে হবে।প্রসাশনের উপর ভরসা করে কোন লাভ হবেনা, ওরা অপেক্ষায় আছে তাঁদের দোষর কবে আসবে আবার ক্ষমতায়। এই প্রসাশন আপনাদের সরকারের নিয়োগকৃত প্রসাশন নহে,২১ বছরের কমপক্ষে ২৪টি বেইছ বিসিএস উন্নিত হওয়া তাঁবেদার সন্তানদের ছেলেরা। আপনাদের নেতারা যেমন টাকার বিনিময়ে রাজাকারের ছেলেদের চাকুরির সুপারিশ করেছেন,চাকুরী দিয়েছেন।ওরা টাকা নিয়েছেন ঠিকই তবে নীজেদের সন্তানদের কাছ থেকে নিয়েছেন, চাকুরিও দিয়েছেন। একটা  মুক্তিযুদ্ধার সন্তানের চাকুরীর জন্য সুপারীশও  করেনি টাকাও নেয়নি,চাকুরিও দেয়নি।যে কয়জন নিয়োগ পেয়েছে একান্ত মেধার বলেই পেয়েছেন,সংখ্যায় অত্যান্ত নগন্য।      এবারের একুশে ফেব্রুয়ারী সকল পাকিস্তানী প্রেতাত্বার স্থাপনামুক্ত ২১শে ফেব্রুয়ারী উৎযাপন করতে চায় জাতি। তাই আসুন যেখানে যার স্থাপনা  আছে, সব ভেঙ্গে চুড়ে গুড়িয়ে দিই।আগামী প্রজম্ম যেন প্রশ্ন করতে না পারে, আমার পুর্বজম্মে এই তল্লাটে কোন ভাষা প্রেমিক ছিলনা।,মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোন সচেতন লোক ছিলনা।তাই আমরা আজ এত বছর পর তাঁদের পরবর্তি প্রজম্ম তাঁদের রেখে যাওয়া জঞ্জাল পরিষ্কার করার দায়িত্ব নিতে হচ্ছে।তারা যা পারেনি আমরা তা করে দিয়ে প্রমান করেছি, "আমরা পারি"।                  জয় বাংলা  বলে আগে বাড়ো          জয় বাংলা     জয় বঙ্গবন্ধু           জয়তু জাতির জনকের কন্যা              দেশরত্ম  শেখ  হাসিনা    

ছবি

  ভাষা শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ,মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সৌধ--বাঙ্গালী জাতির অহংকারের দুই স্তম্ভ---- =======♥♥♥♥♥♥♥======= বাঙ্গালী জাতির এমন কতগুলী গর্বের, সৌর্য্য বির্য্যের,অহংকারের দিবস রয়েছে যা অন্য কোন জাতির মধ্যে নেই।গৌরবের সমস্ত দিবস গুলী আবার বাঙ্গালী জাতীয়তাবোধের আত্মঅহমিকার একেকটি দৃষ্টান্ত।প্রত্যেকটি দিবস সুনির্দিষ্ট ভাবে বাঙ্গালী জাতির অসাম্প্রদায়ীকতা, ধর্মনিপেক্ষতা, সংস্কৃতি কৃষ্টি জাতিগত অভ্যেসকে শানীত করে।স্মরন করিয়ে দেয় পুর্বপুরুষদের ত্যাগের মহিমা,সংগ্রামের ইতিহাস, বীরত্বের অনুপম দৃষ্টান্তকে।যেমন প্রথমত: আমাদের ভাষা দিবস, ৬৬ শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ এর গন অভ্যুত্থান,৭০ এর নির্বাচন,বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন , স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, আমাদের গৌরবের মুক্তিযুদ্ধ  ইত্যাদি। কোন দিবসেই সাম্প্রদায়িকতার সামান্যতম চোঁয়া নেই।কোন দিবসেই সাম্প্রদায়িক শক্তি,ধমীয় গোষ্টি, উগ্রবাদী, চরম ডান, চরম বাম ইত্যাদি কোন অশুভ শক্তির কোন অবদান নেই।   সমস্ত দিবসের মধ্যে দুই প্রতিকীয় নিদর্শন বাঙ্গালী জাতির সৌয্যবিয্যের,অহংকারের, বেদনার রক্তস্রোত, বীরত্ব, ত্যাগের প্রতীক হয়ে উধ্বাকাশে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে।প্রথমটি আমাদের ভাষা শহীদদের স্মরনে নির্মিত শহীদ মিনার। দ্বিতীয়টি হচ্ছে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরনে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ। প্রথমটি ভাষা শহীদদের স্মৃতি বিজড়িত ফেব্রুয়ারি মাস আমাদের জাতির লক্ষ্য এবং লক্ষ্যাভিমুখী চলার গতিপথকে সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতির সেই পথ লক্ষ্য করে চলার ৬৪ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। অখন্ড পাকিস্তানী উপনিবেশিকদের শাষন শোষনের বিরুদ্ধে সংঘটিত যত আন্দোলন সংগ্রাম সংগঠিত হয়েছে সকল আন্দোলন সংগ্রামের প্রেরনা,শক্তি, সাহষ যুগিয়েছে ভাষা শহিদ স্মৃতি স্তম্ভ। বাঙ্গালী জাতির চলার এই পথ কখনোই  কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। দেশি-বিদেশি শত্রুরা হত্যা-ক্যু, ষড়যন্ত্র চক্রান্তসহ নানা বাধা-বিঘ্ন, সমস্যা,সংকট সৃষ্টি করে বাঙ্গালী জাতির অগ্রগতি রুদ্ধ ও পশ্চাৎমুখী করতে মরিয়া হয়ে প্রচেষ্টা চালালেও জাতি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি। ভাষা শহিদ স্মৃতি স্তম্ভ এমন এক অশিরীরি শক্তির উম্মেষ ঘটাতে সাহায্য করেছে,সারা জাতি একই সুতার জাতীয়তাবোধে উদ্ভোদ্ধ হয়ে পাকিস্তানী আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত সেনা বাহিনীর উপর বাঁশের লাঠি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তেও দ্বিধাবোধ করেনি।   পাহাড়ি ঝর্নার জলাধার যেমন নদীকে লক্ষ্যাভিমুখী চলার ক্ষেত্রে পানি জোগান দিয়ে চলে; ঠিক সেই রকম ভাষা শহীদ মাস ফেব্রুয়ারী এবং স্তম্ভটিও  আমাদের চেতনাকে শাণিত করে লক্ষ্যাভিমুখী চলতে অসিম শক্তি, অফুরন্ত সাহস যুগিয়ে চলেছে অবিরাম। বাঙ্গালী জাতির কাছে ফেব্রুয়ারি মাস এবং স্মৃতি স্তম্ভ এক ও অভিন্ন হয়ে  চির প্রেরণার অবিনাশী উৎসের সন্ধান দেয়। বাঙ্গালী চেতনাকে শানীত করে চিরজাগরুক করে রাখে প্রতিটি বাঙ্গালীর মানসপটে। দ্বিতীয় স্তম্ভটি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার নিমিত্তে নির্মিত। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙ্গালী জাতি নুন্যন্নতম কয়েকটি বিষয়ে জাতিগত ভাবে একমত হতে পেরেছিল বিদায়, পাকিস্তানী সসস্ত্র সেনাদের বিরুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙ্গালীরা ঝাপিয়ে পড়েছিল।বাঙ্গালী জাতি এত বেশি নৈতিক বলে বলিয়ান ছিলেন যে--মাত্র নয় মাসের মধ্যেই পাকিস্তানী প্রশিক্ষীত সেনাবাহিনীকে পয্যুদস্ত করে স্বাধীনতা চিনিয়ে এনেছিলেন।আর এই চেতনায় উদ্ভোদ্ধ হতে পেরেছিলেন ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকেই।ভাষা শহিদের জন্য নির্মিত স্তম্ভে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারী মাস জুড়ে যে প্রশিক্ষন বাঙ্গালী জাতি পেয়েছিল সেই প্রশিক্ষন সেনা প্রশিক্ষনের চাইতে আরো কঠোর,শৃংখলাবদ্ধ, নিয়ম- বর্তিতার গুনে সমৃদ্ধ।  রাষ্ট্রীয় বেতনধায্য নিয়মিত সসস্ত্র  বাহিনীকে  বিনাবেতনের নৈতিক বলে বলিয়ান স্বেচ্ছা সেবক মুক্তিযুদ্ধাদের হাতে চরম পরাজয় মেনে নিতে হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তি প্রতিটি আন্দোলনের প্রেরনা শহিদ মিনার থেকে সংগৃহীত।স্বৈরাচার বিরুধী আন্দোলন,৯০এর গন অভ্যুত্থান,মহিয়ষী নারী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গড়ে উঠা ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির অভিযাত্রা ইত্যাদি সকল অসাম্প্রদায়িক চেতনার উম্মেষের প্রেরনাদাত্রী শহিদ মিনার।   এইকথাটি বলার অপেক্ষা রাখেনা যে,অসাম্প্রদায়িক ভাষা আন্দোলনের পরিনতি মুক্তিযুদ্ধ।মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ পরিনতি আমাদের গৌরবের স্বাধাধীনতা।তেমনি মহিয়ষী নারী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে সংঘঠিত অসাম্প্রদায়িক চেতনা সমৃদ্ধ আন্দোলনের পরিনতি বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার শক্তিকে শানীত করেছিল।বাঙ্গালী জাতিকে স্মরন করিয়ে দিতে পেরেছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অহংকারের অর্জিত অঙ্গিকার সমুহ।সুনির্দিষ্ট ভাবে চিহ্নিত করেছিল সাম্প্রদায়িক শক্তির হোতাদের। প্রতিকী বিচারের আয়োজন করে প্রতিকি ফাঁসির রায় পয্যন্ত দিতে পেরেছিল যুগের সাহষি মহিষী গর্বিনী "বাংলার মা জাহানারা ঈমাম।" এই মহতি উদ্যোগের প্রসবস্থল শহিদ মিনারের পাদদেশেই। তাই লক্ষ করলে দেখা যায়,অশুভ সাম্প্রদায়িক গোষ্টি দেশের যেকোন দুর্বিপাকে পদদলনের লক্ষবস্তুতে পরিনত করে বাঙ্গালী জাতীর গর্বের এই দুইটি স্তম্ভ। তাঁরা সম্যক ভাবেই জানে স্তম্ভ দুইটিই বাঙ্গালী জাতির শক্তি এবং প্রেরনার উৎস।অখন্ড পাকিস্তানীরা যে দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেছে ভাষা স্মৃতিস্তম্ভকে, ঠিক একই দৃষ্টি ভঙ্গিতে দেখে তাঁদের এদেশীয় প্রেতাত্বারা।পাকিস্তানীরা যেমনি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে চাইতো আমাদের ভাষা শহিদের অহংকার তেমনি তাদের প্রেতাত্বাদের চেষ্টাও অবিরত একই ধারায়। ভুলন্ঠিত করতে চায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অহংকারের স্মৃতি স্তম্ভকে। বাঙ্গালী জাতির  পরম সৌভাগ্য হচ্ছে, মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত লক্ষ্যাভিমুখী অগ্রসর হতে যে রাজনৈতিক দল নেতৃত্ব দিয়েছে, সেই দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।পাকিস্তানী সাম্প্রদায়িক গোষ্টির বিরুদ্ধে  চউড়াবুক পেতে দিয়ে বাঙ্গালী জাতিকে জাতীয়তার পরিচয়ে পরিচিত করেছেন তিনিই শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।স্বাধীন বাংলাদেশে জাতীয়তা বোধকে যদি জাগ্রত করে থাকেন জাহানারা ইমাম, তাঁর পরিচর্য্যা, পুষ্টি সাধন, লালন পালন করে যাচ্ছেন জাতির জনকের জৈষ্ঠ কন্যা বর্তমান বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা। তিনিও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মানীত সভানেত্রী।সুতারাং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই একমাত্র সংগঠন, জাতির যাহা কিছু অর্জন তাঁর প্রসব দাতা আওয়ামী লীগ। অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক বাহক নেতৃত্বদানকারি দল একমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই এই জাতির আশা আখাংকার মুর্তপ্রতিক। জাতির জনকের কন্যা  রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ধারাবাহিক ভাবে ৭ বছর ধরে অধিষ্ঠিত থেকে বাঙ্গালী জাতিকে ইতিমধ্যে ক্ষুদামুক্ত,দারিদ্রমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। জাতির জনক বাঙ্গালী জাতিকে দিয়ে গেছেন স্বাধীনতা, উন্নয়ন অগ্রগতির রুপরেখা। তার সুযোগ্য কন্যা সেই লক্ষকে সামনে রেখে দিয়ে যাচ্ছেন উন্নত, সমৃদ্ধ, বিজ্ঞান মনস্ক, শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ।  পরিচ্ছন্ন, পরিকল্পিত"" রুপকল্প ২০২১ ""ঘোষনা করে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরের কর্মযজ্ঞ শুরু করে ইতিমধ্যে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌছে জাতিকে নিম্ন মধ্যম আয়ের সনদ দিয়ে সম্মানীত করতে সক্ষম হয়েছেন।২০২১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করে জাতিকে উন্নত জীবন উপহার দিতে সক্ষম হবেন বলে বিশ্ববাসির অভিমত।ইতিমধ্যে রুপকল্প ২০৪১ ঘোষনা করে পরিকল্পিত ভাবে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আশা করা যায় ২০৪১ ইং সালের আগেই বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।সেই লক্ষেই পদ্মা সেতু, গভীর সমুদ্রবন্দর, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে। আজকের যাহা কিছুই অর্জনের তার পিছনের শক্তি হিসেবে কাজ করছে মহান ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারী, প্রতিনিয়ত স্মরন করিয়ে দিয়ে যাচ্ছে ভাষা স্মৃতি স্তম্ভ।মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের বাস্তবায়নের পথ নির্দেশদাতা  ডিসেম্বর,অহংকার মুল্যবোধ জাগ্রত করে রেখে যাচ্ছে বীর মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মরনে নির্মিত স্মৃতি সৌধ।বাঙ্গালী জাতির জাতীয়তাবোধের উম্মেষ,মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রাপ্ত অঙ্গিকার এক ও অভিন্ন হয়ে মিশে আছে প্রতিটি বাঙ্গালীর শিরা উপশিরায়, ত্যাগের প্রতিটি স্তরে,অহংকারের সিঁথিতে।       জয় বাংলা     জয় বঙ্গবন্ধু     জয়তু জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা  

ছবি

ছোট খবর গুরুত্ব অধিক----- >>>>>♠♠♠♠♠>>>>> বাংলাদেশে গত বছরে অধিকাংশ মানুষের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক আয় বেড়েছে বলে একটি জরিপে উঠে এসেছে। =========♥♥♥♥♥♥♥========= যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) এর জন্য এই জরিপ করে দিয়েছে নিয়েলসন-বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির নেতা জন ম্যাককেইনের নেতৃত্বে পরিচালিত আইআরআইকে ডানপন্থিদের একটি হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে। ২০১৫ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে চালানো এই জরিপে ৬৪ জেলার ২ হাজার ৫৫০ জনের মতামত নেওয়া হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৩০ শতাংশ বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থাকে ভালো বলেছেন। ৪৯ শতাংশের মতে অর্থনীতি ‘কোনো না কোনোভাবে ভালো’। আর ৭ শতাংশের মতে খুবই খারাপ, কোনো না কোনোভাবে খারাপ বলেছেন ১২ শতাংশ। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক আয় বেড়েছে বলে ৭২ শতাংশ জানিয়েছে। ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকার কথা জানিয়েছে। আর ৫ শতাংশ আগের চেয়ে খারাপ হওয়ার কথা বলেছে। ৯০ শতাংশ জানিয়েছে, তাদের পরিবার স্বচ্ছন্দে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে পারছে। এগুলো কিনতে হিমশিম খাওয়ার কথা জানিয়েছে ১০ শতাংশ। তবে বাজারের ওপর ভরসা রাখতে পারেননি বেশিরভাগ মানুষ। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা জানিয়েছেন ৬১ শতাংশ মানুষ। ১২ শতাংশ মনে করছে দাম অপরিবর্তিত থাকবে। দাম কমার বিষয়ে আশাবাদী ১৪ শতাংশ। জরিপে অংশগ্রহণকারীরা বেকারত্বকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সমস্যার বিচারে বেকারত্বকে ৩৩ শতাংশ, দুর্নীতিকে ৩২ শতাংশ, যানজটকে ২৮ শতাংশ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ২৫ শতাংশ ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে ২১ শতাংশ চিহ্নিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাজে সন্তোষ জানিয়েছেন জরিপে অংশ নেওয়া ৭৭ শতাংশ মানুষ। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে অভিযোগের মুখে থাকা নির্বাচন কমিশনের কাজে সন্তুষ্ট ৬২ শতাংশ। পুলিশের কাজে অসন্তুষ্টির কথা বলেছেন জরিপে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ। ৪২ শতাংশের মতে আইনশৃঙ্খলারক্ষায় নিয়োজিত এই বাহিনী ঠিক কাজ করছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল বলেছেন বেশিরভাগ মানুষ। ২১ শতাংশের মতে খুবই স্থিতিশীল, ৪৯ শতাংশ মনে করে ‘কোনো না কোনোভাবে স্থিতিশীল’। ২১ শতাংশ রাজনৈতিক অবস্থাকে অস্থিতিশীল বলেছেন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে বলে আশাবাদী ৫০ শতাংশ। ১৭ শতাংশের মতে এর কোনো পরিবর্তন হবে না। ১৩ শতাংশ খারাপের আশঙ্কা করেছেন। বর্তমান সরকারের মেয়াদ পূর্তির পরে পরবর্তী সংসদ নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে ৫১ শতাংশ। পক্ষান্তরে ৩৬ শতাংশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের পক্ষে। ২০১৬ সালের মধ্যে নির্বাচন চায় ৩ শতাংশ, পরবর্তী দুই/তিন বছরের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে ১ শতাংশ মানুষ। আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে খুবই আগ্রহী ৮৪ শতাংশ। আর ভোট দিতে অনীহা জানিয়েছেন ১ শতাংশ। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৪৭ শতাংশ জানিয়েছেন, কাকে ভোট দেবেন সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের মতামত মুখ্য ভূমিকা রাখে। কারো কথা প্রভাবিত না হওয়ার কথা জানিয়েছেন ২৫ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বলে মনে করেন ৫৯ শতাংশ। তাদের মধ্যে ৩৪ শতাংশের এ বিষয়ে জোরালো বিশ্বাস রয়েছে। অন্যদিকে ইসির স্বাধীনতায় সন্দিহান ২৯ শতাংশ। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের পক্ষে বলেছেন ৬৮ শতাংশ মানুষ। ২৯ শতাংশ এর বিপক্ষে মত দিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা রেখেছেন বেশিরভাগ মানুষ। ক্ষমতাসীন দলের প্রতি ৪৮ শতাংশের সমর্থনের বিপরীতে বিএনপির পক্ষে ২৪ শতাংশ রায় দিয়েছেন। এই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগের (৭৯ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা নবম শ্রেণি পর্যন্ত। এর মধ্যে ২২ শতাংশ নিরক্ষর। তাদের অধিকাংশই ৫৯ শতাংশ টেলিভিশন থেকে খবর পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি দেখা টিভি চ্যানেলের তালিকায় উপরের দিক থেকে রয়েছে সময় টিভি (২৩%), বিটিভি (১৮%), এটিএন (১৪%), এনটিভি (১০%), আরটিভি (৭%), চ্যানেল আই (৬%), ইটিভি (৪%), চ্যানেল একাত্তর (৩%)। ( তথ্য সুত্র:বিডি নিউজ২৪ ডটকম) জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো জুয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

    বিএনপি উন্নয়ন, অগ্রগতি, গনতন্ত্রকে সমান্তরাল করে  অশুভ লক্ষনের ইঙ্গিতই দিচ্ছে---- =======♥♥♥♥♥=======   বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত গনতন্ত্রের সংজ্ঞা বা ধারনা একেক দেশে একেক রকম।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বাংলাদেশ উপযোগী গনতান্ত্রীক বৈশিষ্ট নির্ধারনের জন্য তাঁর রাজনীতির অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে এক সুদুর প্রসারী চিন্তা চেতনার বহি:প্রকাশ ঘটাতে চেয়েছিলেন।মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী নবীন সরকার গঠনের প্রাক্কালে ছাত্রনেতারা,যুদ্ধে যাদের অগ্রনী ভুমিকা ছিল,তাঁরা প্রস্তাব রেখে বলেছিলেন সমাজ তান্ত্রীক ধারায় দেশকে এগিয়ে নিতে। কর্নেল তাহের সহ অনেকেই পাকিস্তানী ধাঁচের সেনাবাহিনীর কাঠামো ভেঙ্গে নতুন করে সেনাবাহিনীর কাঠামো তৈয়ার করার জন্য বলেছেন। বড়  সমস্যা ছিল প্রভুত্ববাদী প্রশাসন। পাকিস্তানী  মানষিকতা সম্পন্ন সিএসপি অফিসার, যাদের মননে ছিল জনগনের উপর প্রভুত্ব করার চেতনা। তাঁদেরকে প্রশাসন কাঠামোর অন্দরে রেখে পরিবর্তন কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাঁদের দ্বারা স্বাধীন দেশের প্রসাশন নিয়ন্ত্রন করা কল্পনার জগতে বসবাস সমান কথা। জাতির জনক বাংলার আবাহাওয়ায় রাজনীতি করেছেন।  এই দেশের কৃষক শ্রমিক, আলেম ওলামাদের সংগে থেকেই রাজনীতি করেছেন। এই দেশের মানুষের মন মেজাজ সম্পর্কে ছিল তাঁর অগাধ জ্ঞান। ষড় ঋতুর প্রভাবে এই অঞ্চলের মানুষের মন মেজাজেও পরিবর্তনের আবাস সদা পরিলক্ষিত হতে দেখেছেন। তিনি সম্যকভাবে উপলব্দি করতে পেরেছিলেন,এই অঞ্চলের মানুষ ধার্মীক বটে তবে সাম্প্রদায়ীক  মন -মানষিকতা পোষন করেনা। ধর্মপালনে উগ্রতা নেই,কিন্তু বিশেষ ক্ষেত্রে ছাড় দেয়ার অভ্যেস ও নেই। বৃটিশ রাজের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলনে যেমনি দেখেছেন মাওলানাদের মহত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে, তেমনি দেখেছেন কংগ্রেসের শীর্ষপদে থেকে মন্ত্রীত্ব করতে। ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে মুসলিম লীগের শীর্ষ পদে যেমনটি উদারমনা দেওবন্দ মাদ্রাসার মাওলানারা সম্পৃত্ত ছিলেন,  তেমনি কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলীর মত পাশ্চাত্য ঘেষা ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত নেতাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও ছিল বঙ্গবন্ধুর ঝুলিতে। ১৯৪৭ ইং সালে ভারতীয় উপমহাদেশ ছেড়ে বৃটিশ রাজ চলে গেলে পাকিস্তান সৃষ্টির উষালগ্নটি গভীর চিত্তে ধারন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু তাঁর মননে।   অখন্ড পাকিস্তানের সময়ে শুধু নয়, বৃটিশরাজের সময়েও লক্ষ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু অত্যান্ত সতর্ক দৃষ্টিতে। এতদঞ্চলে কমিউনিষ্টরা জনসম্পৃত্ততা পায়নি, বরঞ্চ ধর্মদ্রোহী নাস্তিক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। তেমনি উগ্র সাম্প্রদায়ীক ধর্মীয় রাজনীতিও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আতুড় ঘরেই নি:শেষ হয়ে গেছে। পলিমাটি বিধৌত অত্র  ষড় ঋতুর অঞ্চলে বিশুদ্ধ গনতান্ত্রিক চর্চা ছাড়া অন্য কোন শাষন পদ্ধতি টেকসই হবেনা। জাতির জনক মর্মে মর্মে বিষয়টি হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছিলেন। অত্র অঞ্চলের জনগনকে সহজে যেমন উত্তেজিত করা যায়না আবার উত্তেজিত হলে থামানো সম্ভবও হয়না।কথাটি বার বার উচ্ছারন করেছেন জাতির জনক। রাজনীতির কবি তাই চটজলদি কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুর্নগঠনকে আগে অগ্রাধিকার দিলেন। খাদ্য উৎপাদন,শিল্প কলকারখানা মেরামত,পুল কালভার্ট মেরামত,সম্পদ অনুসন্ধান, প্রসাশনের শুন্য পদ পুরন, সেনাবাহিনী পুর্নগঠন, আইন শৃংখলা বাহিনী সচল করন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরামত ও জাতীয় করন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতিয়করন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মেরামত ও নির্মান, ইসলামি গভেষনার জন্য জাতিয় ভাবে ইসলামী ফাউন্ডেশন গঠন,জাতীয় মসজিদ নির্মান, সম্পদ আহরনে বিদেশী কোম্পেনীর সাথে চুক্তি সম্পাদন, রাস্তাঘাট নির্মান, কৃষি কাজে ব্যবহায্য সামগ্রি সংগ্রহকরন ইত্যাদি কাজকে অগ্রাধিকার দিয়ে সম্পন্ন করেন। বাংলাদেশ পুরাপুরি সচল,খাদ্যের অভাব নেই, রাস্তাঘাট সচল,আইনশৃংখলা সরকারের নিয়ন্ত্রনে। তখনি জাতির জনক তাঁর আজীবনের লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার নিমিত্তে তাঁর সুদুরপ্রসারী চিন্তা চেতনার ফসল কালজয়ী দর্শন "বাকশাল" গঠনের প্রক্রিয়ার কথাটি সংসদকে জানালেন। তিনি দৃড কন্ঠে ঘোষনা দিয়ে বললেন তাঁর দর্শন বাস্তবায়নের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য।জাতীয় ঐক্যের জন্য জাতীয় সরকার প্রয়োজন।আর সেই জাতীয় সরকারের নাম দেয়া হয় কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ। পশ্চিমা গনতন্ত্র নয়, চীনের কমিউনিষ্ট শাষন নয়, সৌভিয়েত ইউনিয়নের সমাজতান্ত্রীক সমাজ ব্যবস্থাও নয়। ""নির্ভেজাল গনতন্ত্রের বাংলাদেশি মতবাদ।""--- প্রশাসনের সর্বস্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনীধিরাই হবে নীতি নির্ধারক। সকল শ্রেনী পেশার  নির্বাচিত প্রতিনীধিরাই হবে সরকারের পরিচালক। সর্বস্তরে জনপ্রতিনীধিদের নিকট জবাবদিহীতার ব্যবস্থা রেখে আমুল সংস্কারের পদক্ষেপ নিলেন। কিন্তু বিধিবাম,তাঁর স্বপ্ন আতুড় ঘরেই নির্মম রক্তস্রোতে ভেসে গেছে।বাঙ্গালী জাতিকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে পাকিস্তানী প্রেতাত্বারা অন্ধকার যুগে। দীর্ঘ একুশ বছর জাতির পিতার অনুসারীদের মুখ বন্ধ করে চালিয়ে দেয়া হয়েছে হিটলারের চেয়ে জগন্য ফ্যাসিবাদি শাষন শোষন।একতরফা অপপ্রচার চালিয়ে জনগনকে বিচ্যুত করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারা থেকে। ভীতশ্রদ্ধ করেছে কালজয়ী দর্শন "বাকশাল"কে। বর্তমান সময়কেও তাঁরা তুলনা করতে চায় বাকশাল শাষনের সঙ্গে। তাইতো বাংলাদেশের মানুষের প্রতিটি পদে মনে পড়ে "বাকশাল"এর মর্মধ্বনি। এই যদি হয় সেই "বাকশাল " তবে জাতি কেন হারালো   ""একুশটি  বছর।""  হারানো একুশ বছর যদি যুক্ত হয় জাতীয় জীবনে তবে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ বিশ্বের প্রথম কাতারের দেশ থাকার কথাইতো ছিল। অপরিপক্ষ স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি,নতুন করে বিতর্ক করে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায়। উন্নয়ন, অগ্রগতিকে গনতন্ত্রের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থানে নিয়ে যেতে চায়। দিকভ্রান্ত রাজনৈতিক শক্তি গানিতিক হারে বহমান উন্নয়ন অগ্রগতিকেও সহ্য করতে পারছেনা। জনগন স্বাধীনতার স্বাধ উপভোগ করুক তাও তাঁদের সহ্য হচ্ছেনা।বিতর্ক উত্থাপন করছে মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগের অর্জনের বিরুদ্ধে,বিতর্ক উত্থাপন করছে উন্নয়ন অগ্রগতির।বিতর্ক উত্থাপন করতে চায় গনতান্ত্রীক ধারাবাহিকতার।ভোটে অংশ না নিয়ে একদলীয় শাষন কায়েমের  অবারীত সুযোগ দিয়ে ওরা বিপাকে ফেলতে চেয়েছিল বর্তমান সরকারকে। বিধিবাম, জাতির জনকের কন্যা রাজনৈতিক দুরদর্শিতা দিয়ে প্রমান করতে সক্ষম হয়েছেন, "ভোটে অংশ না নিয়ে তোমরাই জনবিচ্ছিন্ন হয়েছ"।ভোট সফলভাবে অনুষ্ঠান করে সরকার প্রসংশিত হয়েছে। গনতান্ত্রীক বিশ্বের মধ্যে অন্যতম "গনতন্ত্রের ধারক বাহক" দক্ষিন পুর্ব এশিয়ার গনতান্ত্রীক দেশ সমুহের অন্যতম আন্তদেশীয় সংসদীয় ফোরামের সভাপতি বাংলাদেশের সংসদের স্পীকার কে নির্বাচিত করেছে। গনতন্ত্রের পুজারী বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার, জনগনের আশা আখাংকার প্রতিক গনতন্ত্রের মানষ কন্যা, জাতির জনকের কন্যার বিচক্ষনতায় গনতান্ত্রীক ধারাবাহিকতা রক্ষা পেয়েছে।আর এই  ঝুকি পুর্ন অবদানের পুরস্কার হিসেবে সম্মানীত পদটি উপহার দিয়ে সম্মানীত করেছে বাংলাদেশের জনগনকে। বিশ্বের অন্যতম গনতন্ত্রের চর্চা কেন্দ্র, আন্তদেশীয় সংসদীয় ফোরামের স্পিকার "বাংলাদেশের  সংসদের "স্পীকারকে মনোনীত করে। তাঁর পরেও নিলর্জ্জের মতই প্রশ্ন উত্থাপন করার চেষ্টায় অহর্নিশ দিবাস্বপ্নে বিভোর অপশক্তি এবং তাঁদের পৃষ্টপোষকের দল।"গনতন্ত্র নেই বলে জনগনকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কি হতে পারে তাঁদের বর্তমান চক্রান্ত।     উন্নয়ন তো চীনেও হচ্ছে সেখানে কি গনতন্ত্র আছে? জাপানেও হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া বা অন্যান্য দেশেও হচ্ছে।সেখানে কি বাংলাদেশের ভোটের গনতন্ত্র? প্রতিটি দেশের বাস্তবতা আলাদা, রাষ্ট্রীয় বিকাশ অভিজ্ঞতাও আলাদা আলাদা। সর্বাজ্ঞে প্রয়োজন জনসম্পৃক্ততা বা জনকল্যাণকামী উন্নয়ন হচ্ছে কিনা।জনগনের চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন কর্মকান্ড অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে কিনা। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে জনগণের আর্থ,সামাজিক, শিক্ষা,সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক চেতনার মানে পরিবর্তন হচ্ছে কিনা। সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, মালয়েশিয়ায় বেহাল উন্নয়ন ঘটেছে। মূলত তাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আর্থ,সামাজিক, শিক্ষা,সাংস্কৃতিক খাতগুলো কে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। চীনে রাজনীতিকে বিশেষ ধাঁচে প্রবাহিত করা হয়েছে,গনতন্ত্রের চোঁয়া সেখানে নেই। তবে নির্বাচন পদ্ধতি ঠিকই আছে,তবে পশ্চিমা ধাঁচের নির্বাচনী ব্যবস্থা নয়। যে সত্যটি জানান দিচ্ছে তা হচ্ছে প্রতিটি দেশ এবং জাতিকে এগুতে হবে। নিজস্ব সমাজ এবং জনমানসের বাস্তবতা কে বিবেচনায় নিয়েই। আমেরীকা ভারত, ব্রিটেন যা পেরেছে বাংলাদেশ সেইভাবে পারবে এমন কোন কথা নেই। তাঁদের দেশে ভিন্ন ভিন্ন জাতি গোষ্টির অস্তিত্ব প্রায় সমান সমান,বাংলাদেশে তা নয়। বাংলাদেশে ৯৫/ বাঙ্গালী মসুলমান।সংখ্যা গরিষ্ট মানুষের ধ্যানধারনাকে অগ্রাধিকার দিয়েই রাজনীতি,অর্থনীতিকে সাজাতে হবে। ইউরোপের প্রতিটি রাষ্ট্রই নিজস্ব বাস্তবতায় উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে সাজিয়ে নিয়েছে। কোনো দেশের সঙ্গেই অন্য দেশের হুবহু মিল নেই। গণতন্ত্রের বিকাশের বিষয়টি অনেক বেশি স্বাতন্ত্রিক ও বায়বীয়।উলঙ্গ গনতন্ত্র পৃথিবীর কোন দেশেই নেই। বাংলাদেশ এবং ফ্রান্সে একই সময় সামাজিক মাধ্যম পেইজবুক/ টুইটার বন্ধ করা হয়েছিল। বাংলাদেশ অনেক আগে খুলে দিলেও ফ্রান্সে কিন্তু এখনও আগের মতই বন্ধ আছে। বাংলাদেশে যাহা মতামত প্রকাশে বাধা, ফ্রান্সের সমাজে তাহাই উপযুক্ত ব্যবস্থা হিসেবে মেনে নিয়েছে জনগন। সুতরাং উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রের তত্ত্বকে দুনিয়াব্যাপী এক বা অভিন্ন করার কোনো সুযোগ নেই। বর্তমান অশুভ শক্তি সেই স্পর্ষকাতর বিষয়ের মধ্যেই বিভেদ তৈরী করতে চায়। উন্নয়ন হচ্ছে পরিকল্পনার স্বচ্ছতা,গভেষনা এবং উদ্ভাবনী চিন্তা ব্যতীত যাহা কস্মিন কালেও ঘটানো সম্ভব নয়।  গণতন্ত্র তো আরো জটিল বিষয়।হাওয়ায় উড়ে গনতন্ত্র।আপনার নিকট যাহা গনতন্ত্র আমার নিকট তা নাও হতে পারে। শুধু বিএনপি আওয়ামী লীগ নির্বাচন করলেই গনতন্ত্র সুরক্ষিত হবে? এমন কোন তত্ব তথ্য কেহ দিতে পারবে? না পারবেনা। আরো বহু দল ও মত বিদ্যমান আছে,তাঁরা অংশ না নিলে কিভাবে হবে গনতন্ত্র চর্চা বা রক্ষা। একদল নির্বাচন থেকে দূরে থাকলেই গনতন্ত্র বিঘ্নিত হবে বা নেই এই অপপ্রচার কাম্য হতে পারেনা।সমাজের প্রত্যেক ক্ষেত্রে জনমতের প্রতিফলন হলেই গনতন্ত্র চলমান ও বিকাশমান ধরে নিতে হবে।তা না হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় পুরাতন কাসুদ্দি কেয়ামত পয্যন্ত দুরিভুত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।   জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এই সত্যটি অন্তর দিয়ে অনুভব করেছিলেন। তাই পশ্চিমা শাষন শোষনের  গনতন্ত্রকে হত্যা করে বাংলাদেশের উপযোগী,বাংলাদেশের আবহাওয়ায় সৃষ্ট গনতন্ত্রের বীজ বপন করতে চেয়েছিলেন। যে গনতন্ত্রে উন্নয়ন অগ্রগতিতে বাধার কোন সম্ভাবনা ছিলনা। যেহেতু সকলেরই অংশ গ্রহন ছিল সরকারে,সকলেরই অংশগ্রহন ছিল উন্নয়ন অগ্রগতি,সমৃদ্ধির ধারায়।   দীর্ঘ একুশ বছর পর জাতির জনকের জৈষ্ঠ কন্যা, স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গনতন্ত্রের ধারাবাহিকতা সৃষ্টি করেছিলেন।কিন্তু পরাজিত শত্রুর দোষর দেশি বিদেশী চক্রান্তে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে সামিল হতে পারেননি। ২০০৮ ইং সালের সাধারন নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরীষ্টতা নিয়ে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করে। সরকার গঠন করেই এক মহুর্ত সময়ক্ষেপন না জাতির জনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ায় মনোনিবেশ করেছেন।তাঁর সুফল দেশবাসি ইতিমধ্যে পেতে শুরু করেছে।দেশকে স্বল্প সময়ের মধ্যে পরিকল্পিত উন্নয়নের ধারায় নিয়ে এসেছেন।সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে নেতৃত্বের গতি প্রকৃতি নির্নয়ে ব্যস্ত।আলাদীনের চেরাগের কল্পিত সমৃদ্ধিকে হার মানিয়ে দারিদ্রের কষাঘাতে নিস্পেষিত  বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরীত করেছেন।বিশ্বের উন্নয়নকামী দেশসমুহের উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে বিশ্ব নেতৃত্ব করায়াত্ব করেছেন। এমনতর সময়ে মিমাংশীত বিষয়ে বিতর্ক উত্থাপন করে,উন্নয়ন অগ্রগতি এবং গনতন্ত্রকে সমান্তরালে রেখে বিচার অশুভ ইঙ্গিতেরই লক্ষন।         জয়বাংলা     জয়বঙ্গবন্ধু   জয়তু জাতির জনকের কন্যা      দেশরত্ম  শেখ হাসিনা

ছবি

  ছোট খবর অধিক গুরুত্ব-- ===♥♥♥=== ভাষা শহীদ সালামের জম্মস্থান গৌরবের ফেনী-- >>>>>♥♥♥♥♥>>>>>   ৫২ এর ভাষা শহিদদের মধ্যে অন্যতম এক নাম আব্দুস সালাম গৌরবের ফেনীকে আরো গৌরম্বান্বিত করেছে। সংগ্রাম আর আন্দোলনের তীর্থভুমি ফেনীকে করে তুলেছিল দেশে বিদেশে পরিচিতভৌগলিক ভাবে ঢা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মধ্যবর্তি স্থানে অবস্থান করার কারনে এমনিতে দেশের যে কোন আন্দোলন সংগ্রামের ঝড়োহাওয়ার  ঘুর্নীপাকে ফেনী সকল জেলার আআগেই অগ্নিশর্মা আকার ধারন করে সারা দেশকে করেছে আলোড়িত উদ্বেলীত। এই জেলায় জম্ম নিয়েছে বহু মনীসি,কবি, সাহিত্যিক, বিপ্লবী, সংগ্রামী জননেতা।তাঁদের সকলের কর্মকে মহিমাম্বিত করেছে ২১শের ভাষা শহিদ  আব্দুস সালামের রক্ত।    ভাষা শহীদ সালাম ফেনী জেলার  দাগন ভুঁইয়া উপ জেলাস্থ মাতু ভুঁইয়া ইউনিয়নের লক্ষন পুর গ্রামে জম্ম গ্রহন করেন।পরবর্তিতে গ্রামটির নাম,সালাম নগরে রুপান্তরীত হয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশে রুপান্তরীত হয়।পিতার নাম ফাজিল মিয়া মাতা জনাবা দৌলতের নেছা।    ৫২ সালে সালামের বয়স ছিল ২৭ বছর,সে মতিঝিলের একটি অফিসে পিয়ন হিসেবে চাকুরীরত চিলেন।পারিবারিক অসচ্ছলতার কারনে বেশি লেখাপড়াও করতে পারেননি সালাম।  ঢাকা মেডিকেলের ছাত্ররা মিছিল বের করলে সালাম সেই মিছিলে যোগ দেয়। প্রথমবস্থায় গুলীতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে লুটিয়ে পড়ে। সঙ্গীয় সহযোদ্ধারা ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করলে ৭ই এপ্রিল দীর্ঘ এক মাস মৃত্যুর দঙ্গে পাঞ্জা লড়ে  অবশেষে লড়াকু সৈনীক শেষ নি:শ্বাস  ত্যাগ করেন।   দীর্ঘ অবহেলা,লাঞ্চনা, বঞ্চনার পর অবশেষে  ফেনীর কিংবদন্তি নেতা জয়নাল আবেদীন হাজারীর দৃড অবস্থানের কারনে ফেনীর জেলার একমাত্র স্টেডিয়ামের নামকরন ভাষা শহিদ আব্দুস সালামের নামে নাকরন করা হয়। ২০০০ইং সালে মরনোত্তর ২১শে খেতাবে ভুষিত করে সরকার।২০০৮ ইং সালে সালাম নগরে স্থাপন করা হয় আব্দুস সালাম জাদুঘর ও গনগ্রন্থাগার।এই স্থাপনার জন্য গ্রামের তিন জন মিলে এক খন্ড জমি দান করেন ২০০৮ইং সালে।সেই বছরেই স্থাপনাটি নির্মান করা হয়। ২০১৪ ইং সালে মাননীয় জেলা পরিষদের প্রসাশকের উদ্যোগে উক্ত স্থাপনার চর্তুদিকে সীমানা প্রাচির নির্মান করা হয়।    দু:খ্যজনক হলেও সত্য, সালামের স্মৃতি রক্ষার জাদুঘরে স্মৃতি বলতে কিছুই নেই।সালামের ভাই আব্দুল করিম জানান,সালামের রক্তমাখা জামাটি ফেনীর মরহুম জননেতা বঙ্গবন্ধু সরকারের জেলা গভর্নর জনাব খাজা আহম্মেদের নিকট দেয়া হয়েছিল সংরক্ষনের উদ্দেশ্যে।জামাটিও খাজা আহম্মদের মৃত্যুর পর আর পাওয়া যায়নি।গনগ্রন্থাকারে দশটি আল্মিরা ভর্তি মুক্তিযুদ্ধের ও ভাষা সক্রান্ত বই ভর্তি থাকলেও নিয়মিত তদারকির অভাবে দর্শানার্থীরা বই পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জেলা পরিষদের তত্বাবধানে এবং বেতন পরিশোধে দুইজন তত্বাবধায়ক নিয়োগ দেয়া হলেও কালেভদ্রে তাঁদের দেখা মেলা ভার। এমতবস্থায় উক্ত প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়মিত তত্বাবধায় -কের উপস্থিতি নিশ্চিত করে দর্শানার্থী ও পয্যটকদের মহান এই ভাষা শহীদের স্মৃতিকে অম্লান,চিরজাগরুক রাখার তড়িৎ  ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সদাশয় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।                 জয় বাংলা      জয়বঙ্গবন্ধু           জয়তু জাতিরজনকেরকন্যা            দেশরত্ম শেখ হাসিনা      

ছবি

       বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের বিরুধীতা করে স্বাধীনতা বিরুধী দল হিসেবে মুখোষ উম্মোচন করেছেন--- =====♥♥♥♥♥===== রাজনীতির সমশক্তি হারিয়ে বিএনপি দুটি পথ আঁকড়ে ধরেছে খুব শক্ত করে। প্রথমটি হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বাধা প্রদান এবং মীমাংসিত সত্য  সমুহকে নতুন করে উত্থাপন করে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা। দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, রাজনীতির প্রচলিত ধারা মিটিং, মিছিল, পথসভা, পোষ্টারিং, জনসভার ধারাকে পরিবর্তন করে মিডিয়া নির্ভর, দালাল নির্ভর, বিদেশ নির্ভর, সন্ত্রাস নির্ভর, ষড়যন্ত্র নির্ভর ও বিবৃতি নির্ভর করে তোলা। অর্থাৎ মেজর জিয়ার হাতে যে রীতিতে  উৎপত্তি হয়েছিল  সেই ধারায় ফেরৎ যাওয়া।      প্রথম বিষয়টি নিয়ে প্রপাগান্ডা করার মিশন হাতে নেয়ার জাতীয় ও আন্তজাতিক বহুবিধ কারন বিদ্যমান রয়েছে। উল্লেখিত মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, জাতির জনক ইত্যাদি বিষয় দলীয় অবস্থান তুলে ধরাও সময়ের দাবি ছিল। ইতিমধ্যে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি,দলটির প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযুদ্ধা এবং স্বাধীনতার ঘোষনাকারি প্রচার করা যতদিন প্রয়োজন ছিল ততদিন প্রচার করেছে। সুবিধা যা নেয়ার প্রয়োজন ছিল এবং মুক্তিযুদ্ধাদের যতটুকু সমর্থন দরকার ছিল ততটুকু নিষ্কাষন হয়ে গেছে।  তাছাড়া তৎসময়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি প্রমান না করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে  অবস্থান নেয়া দুষ্করই ছিল। কারন সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত শিশু বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের বাস্তবচিত্র স্বচক্ষে দেখা সকল শ্রেনী পেশার মানুষ তখনও জীবিত এবং রাজনীতিতে সক্রিয়। মুক্তিযুদ্ধারা ত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করে যথোপযুক্ত কাজের সন্ধান না পেয়ে দিকভ্রান্ত। যে কোন অপরাজনীতি, স্বাধীনতা বিরুধী চক্রান্তে রাজপথে নেমে যাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা ছিল। ফলে স্বাধীনতার বিপক্ষ দেশী বিদেশী শক্তি সমুহ মুক্তিযুদ্ধের ভিতরে লুকিয়ে থাকা গুপ্তচর মেজর জিয়াকেই বেছে নিয়েছিল- মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির বিপরীতে বিপক্ষ শক্তির সংগঠিত হওয়ার কুশিলব হিসেবে।দীর্ঘ ২১বছর এহাত ঐহাত করে যাঁদের পুর্ণবাসন দরকার ছিল তাঁদের পুর্ণবাসন করার কাজ শেষ।অর্থবিত্ত বিদেশীদের সমর্থন ইত্যাদি মিলে মহিরুহ আকারই ধারন করা সম্ভব হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ এবং তাঁর মিত্রদের যতদিন খাঁচায় বন্দিরাখার প্রয়োজন ছিল তাঁরচেয়ে বেশীই রাখা সম্ভব হয়েছে।   আওয়ামী লীগ যেহেতু তাঁর পুর্নশক্তি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা এবং ঐতিহ্যে ফেরৎ এসে গেছে সুতারাং এইখানে বিভ্রান্ত,প্রতারনা, বা অন্যকোন উপায়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তিকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা আদায় সম্ভব হবেনা।  তাঁর চেয়ে বরং উদ্দেশ্যের জায়গায় ফেরৎ যাওয়াই যুক্তিযুক্ত হবে।বিলম্বে স্বাধীনতা বিরুধী সাম্রদায়ীক শক্তির মধ্যে নতুন নেতৃত্বের মেরুকরনে- তাঁদের সমর্থন হারানোর সম্ভাবনা জোরালো হয়ে উঠতে পারে। মুল চরিত্রে ফিরে আসায় সাম্প্রদায়ীক শক্তি, বিদেশী বন্ধুরাষ্ট্র সমুহ-যারপরনাই খুশী হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল  হবে।তাঁদের রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক অন্যান্ন ঐকান্তিক সমর্থন বীনাপরিশ্রমে,বিনাবাক্যব্যয়ে পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল থেকে উজ্জলতর হবে। খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান এইক্ষেত্রে শতভাগ সঠিক, যুগান্তকারী ,  বাস্তবসম্মত, শঠতাবর্হিভুত, প্রতারনা বর্জিত, দলের আদর্শ ও উদ্দেশ্যের সাথে সম্পুর্ন সংগতিপুর্ণ। রাজনৈতিক অবস্থান  পরিস্কার করে দলটি সবিশেষ উপকারিতা পাবে চিন্তাধারা থেকেই মুক্তিযুদ্ধের ৪৪বছর পর মখোশ উম্মোচন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের আগে এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধা মেজর জিয়ার কুকীর্তি জনসমক্ষে প্রচারিত হয়নি। সেই সুবাধে জাতির জনকের নির্মম হত্যাকান্ডের পর দিকভ্রান্ত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির একাংশ জিয়াকে অবলম্বন ভেবে মাথায় তুলে নিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অন্যতম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি জাসদ। বিচ্ছিন্নভাবে কর্নেল অলি, সাদেক হোসেন খোকা,মেজর আক্তারুজ্জমান,মেজর জিয়া,কর্নেল অব: জাপর ইমাম বীর বিক্রম সহ অনেকেই।      ১৫ই আগষ্টের পর ৭ই নভেম্বর মাত্র তিন মাসের মধ্যে জাসদ তাঁদের ভুল বুঝতে পারলেও, ক্ষোভে দু:খ্যে একে অপরকে দোষারপের বলয়ে বহুধাবিভক্ত হয়ে বর্তমানে রাজনীতিতে ভাঁড়ের ভুমিকায় অবতিন্ন হয়েছে।তাঁদের একাংশ মহাজোটে অংশ নিয়ে বর্তমান সরকারের মন্ত্রীত্ব পেয়ে অতীতের জ্বালা মিটাতে অরাজনৈতিক, কুরুচিপুর্ণ বক্তব্য দিয়ে প্রকারান্তরে সরকারকেই বিব্রত করে চলেছে প্রতিনিয়ত।  অন্য বিচ্ছিন্ন মুক্তিযুদ্ধারা প্রতিনিয়ত বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছে, বর্তমান বিএনপি মেজর জিয়ার বিএনপির অবস্থান থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। অর্থাৎ তাঁরা প্রকারান্তরে বুঝাতে চেষ্টা করেন মুক্তিযুদ্ধা মেজর জিয়ার দল রাজাকার তোষননীতি, রাজাকার পুর্নবাসননীতি সমচীন হচ্ছেনা। মুলত: তাঁরা জিয়ার দলে মিলেমিশে একাকার হয়ে অতীতে যে ভুল করেছেন সেই ভুলের প্রায়চিত্ত করার কোন রাস্তা না পেয়ে বেগম জিয়ার উপর দোষ চাপিয়ে জনগনের নিকট মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারনকারি ব্যক্তি ও দল প্রমান করার প্রানান্তকর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।    দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে,বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতিতে দিকভ্রান্ত বিএনপি গনতন্ত্রকে উন্নয়ন অগ্রগতির সংগে সাংঘর্ষিক অবস্থানে নেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত গনতন্ত্রের মায়াকান্নায় বিভোর।যেহেতু দলটি তাঁর আদর্শিক অবস্থানে থেকে জ্বালাও পোড়াও, নাশকতা ইত্যাদি আইন শৃংখলা অবনতিকর কর্মসুচি দিয়ে জনসম্পৃত্ততা হারিয়েছে তাই বিবৃতি,সেমিনার, টকশো নির্ভর হয়ে কোনরকমে অস্তিত্ব ধরে রেখেছে।  রাজপথে নামার নৈতিক অধিকার হারিয়ে রাজনৈতিক বিকারগ্রস্ততার শিকারে পরিনত হয়েছে। রাজপথে জনপ্রতিরোধের মুখে বিশদলের শীর্ষ নেত্রীকে ভোট প্রার্থনা পরিত্যাগ করে কয়েকবার ফেরৎ আসতে হয়েছে। তাছাড়া নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের অতীত অভিজ্ঞতাও দলটির নেই। মুলত: দেশী বিদেশী শক্তির ইন্দনে জাতির পিতার   সরকারকারকে বিব্রত করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে যে রীতিতে দলের প্রতিষ্ঠাতা ক্ষমতা দখল করেছিলেন,সেই একই পদ্ধতি বেগম জিয়া গ্রহন করেন।কিন্তু বিধিবাম, ষড়যন্ত্রের কুশিলবেরা এবং সব সেক্টর সমভাবে মাঠে না নামায় চরমভাবে জাতির পিতার জৈষ্ঠকন্যার বিচক্ষনতা, ধৈয্য, সহশীলতার নিকট চরম পরাজয় বরন করে অফিস ছেড়ে বাসায় গমন করতে বাধ্য হয়। পরাজয়ের গ্লানীতে ভোগে দলটি বহুধাভাগে বিভক্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দলীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি বহুলাংশে কমে প্রকাশ্য সভায় মারামারী পয্যায় গড়িয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়ার খেশারত প্রতিনিয়ত দলকে দিতে হচ্ছে।দলটি এতই জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে, গত পৌর নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীদের সামান্য প্রতিরোধ করার ক্ষমতা হারিয়ে জ্ঞানশুন্য হয়ে পড়েছে।  রাজপথে নামার শক্তি সামর্থ হারিয়ে মিডিয়া, টক শো, বিবৃতির মাধ্যমে অস্তিত্ব জানান দিতে বর্তমান অগ্রসরমান অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করতে সামান্য বিবেকে বাধা দিচ্ছেনা। রাজনীতির অনেকটা মিডিয়া নির্ভর হয়ে পড়ায় গণতন্ত্র সম্পর্কে রাজনীতিবিদদের কথাবার্তা মিডিয়ার কল্যাণে শোনা যায়।আবার ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যে সব টকশো হয়- তাতেও গণতন্ত্র সম্পর্কে প্রতিনিয়ত শ্রোতারা নানা কথা শুনে। প্রিন্ট মিডিয়ায় যেসব লেখালেখি হচ্ছে তাও পড়ে নানা কথা জানা যাচ্ছে। গণতন্ত্র সম্পর্কে বিএনপি ও বাম সংগঠনগুলোর নেতাদের বক্তব্যকে এক বা অভিন্ন বলে অভিহিত না করেও যে সুরটি উভয়ের কণ্ঠ থেকে ভেসে আসে তা হচ্ছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ-বিএনপির অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ হয়নি। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে, দেশে এখন যে সরকার ক্ষমতায় আছে সেটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়।ফলে দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই, গণতন্ত্র বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। বিএনপি এখন তাই গণতন্ত্রের মায়াকান্নাই শুধু নয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে মাঠে নামতে নেতাকর্মীকে সংঘবদ্ধ হতে বলছে।জনগণকে সমর্থন জানাতে আহ্বান জানাচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার জ্বালাময়ী প্রতিটি ভাষণেই দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে বিএনপির পেছনে দাঁড়াতে আহ্বান জানাচ্ছেন। আওয়ামী লীগকে তিনি গণতন্ত্র হরণকারী এবং ফ্যাসিবাদী শক্তি হিসেবেও বারবার অভিহিত করে বক্তৃতা করছেন।     এখানে শুভংকরের ফাঁক সৃষ্টি করে ভোটের সাথে উন্নয়ন অগ্রগতিকে এক ও অভিন্ন করে একে অপরের সাথে বৈরীতার সৃষ্টির চেষ্টায় লিপ্ত থেকে আরেকবার পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে সকলের অগোচরেই চলে যাচ্ছে দলটি। অনভিজ্ঞ রাজনীতিকদের সেই দিকে কোন লক্ষই নেই।      গনতন্ত্র যে সমাজে থাকেনা সেই সমাজে উন্নয়ন হতে পারেনা।আমাদের পাশ্ববর্তি দেশ মিয়ানমার তাঁর জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত।ভারতীয় উপমহাদেশের সমৃদ্ধশালী দেশ গনতন্ত্রের অভাবে দারিদ্রের নীছে বসবাস করছে। দারিদ্রের কষাঘাতে অধিবাসী ননধিবাসী বিতর্কে বাংলাদেশে প্রায় দুই লক্ষ মিয়ানমার শরনার্থী বিগত কয়েক বছর দুর্বিসহ জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।     বাংলাদেশে সর্বক্ষেত্রেই যদি গনতন্ত্রের উপস্থীতি না থাকে তবে তাঁদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক এত উন্নয়ন অগ্রগতি হচ্ছে কি করে? গনতন্ত্র যদি নাইবা থাকে, সরকার যদি অবৈধই হয় তবে স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচনে কিভাবে অংশগ্রহন করছে? অবৈধ সরকারের নির্বাচন অবৈধ নয় কি?     মুলত: বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতির দৃশ্যমান ধারাবাহিকতা দেশের অভ্যন্তরে এবং বিশ্বব্যাপি প্রসংশার মুখে দিশেহারা হয়ে,ক্ষমতা পাওয়ার আশা নির্বাসনে যাওয়ায় রাজনৈতিক শিষ্টাচার, রীতিনীতি,  ধারা ভুলে জ্ঞানশুন্যের মতই বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছে। রাজনীতির সাধারন ধারাবাহিকতা কে জনমন থেকে মুছে দেয়ার এক অশুভ চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। ডান-বামের এই মহামিলন জাতির পিতাকে বাঙ্গালী জাতির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল।অশুভ চক্রটি এখনও তাঁদের সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে তাঁর কন্যাকেও বাঙ্গালী জাতির কাছ থেকে চিনিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টায় লিপ্ত।     বাঙ্গালী জাতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অশুভ শক্তির চক্রান্ত রুখে দিয়ে আগামী ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশকে উন্নত,সমৃদ্ধ করবে ইনশাল্লাহ।সেই লক্ষ নিয়ে জাতির জনকের কন্যা দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে জাতিকে দারিদ্রের অভিশাপ থেকে মুক্ত করার লক্ষেই এগিয়ে নিচ্ছেন দেশকে। জয় ইনশাল্লাহ হবেই হবে।      জয় বাংলা    জয় বঙ্গবন্ধু     জয়তুদেশরত্ম  শেখ হাসিনা          

ছবি

ভাষার মাসের প্রধান দাবি--এফ,এম রেডিও অবিলম্বে সম্প্রচার বন্ধ করতে হোক ---- ========♥♥♥♥====== বাংলা ভাষা বাঙ্গালীর ত্যাগের ভাষা।পৃথিবীর কোন জাতি ভাষা রক্ষা করার জন্য জীবন দিতে হয়েছে এইরুপ শুনা যায়না।ত্যাগের বিনিময়ে বাংলা বিশ্ব দরবারে স্থান করে নিয়েছে।অবশ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান জাতি সংঘের সাধারন অধিবেশনে দাঁড়িয়ে বাংলায় বক্তৃতা করে বাংলার মহত্বতাকে বিশ্বের নিকট তুলে ধরেছিলেন।তাঁরই ধারাবাহিকতায় তাঁর কন্যার নির্ভেজাল সহযোগিতায় বাঙ্গালীর ত্যাগের ২১শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতি সংঘ। জাতি সংঘের সদস্য দেশ সমুহ সেই থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারী মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। নি:সন্দেহে ইহা অত্যান্ত গৌরবের বিষয়।কিন্তু এই গৌরবকে ম্লান করে দিচ্ছে এফ,এম রেডিও সহ আরো কতিপয় সম্প্রচার কেন্দ্র।বাংলা ভাষাকে বিকৃত ভাবে উচ্ছারন করে তাঁরা ভাষা শহিদের রক্তের সাথে তামাশাই করছে।এমনিতে বিভিন্ন উপসর্গে ভোগে বাংলা ভাষা স্বাস্থ্যগত ভাবে দুর্বল হওয়ার উপক্রম। নতুন উপসর্গ বিকৃত উচ্ছারন মরার উপর খড়ার গা হিসেবেই চিহ্নিত হচ্ছে।বিদেশী শাষন শোষনের নিমিত্তে আমদানী হওয়া শব্দ সমষ্টিতো আছেই, তার উপর বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার প্রাধান্য দিতে গিয়ে বাংলা ভাষার চারিত্রিক বৈশিষ্টে নিত্য পরিবর্তনের হাওয়া লক্ষনীয় ভাবে ফুটে উঠেছে। বিদেশী ভাষা শব্দমালা,আঞ্চলীক ভাষার প্রয়োগ বাংলার চারিত্রিক বৈশিষ্টে কোন প্রভাব রাখতে পারেনি,বরঞ্চ অনেক ক্ষেত্রে ভাষাকে সমৃদ্ধ ও অলংকারিক করতে সাহায্য করেছে।তাঁরপরও উক্তরুপ ব্যবহারে কোঠোরতা অবলম্বন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ""কিন্তু ভাষাকে বিকৃত, জড়তা মিশিয়ে উচ্ছারন এবং বাংলার সাথে অপ্রয়োজনে ইংরেজী শব্দ মিশিয়ে প্রয়োগ করে বাক্য তৈরী করে বাংলা ভাষাকে ওরা কোথায় নিয়ে যেতে চায় ইহাই ভাবিয়ে তুলেছে সর্বমহলকে।"" ভারতীয় উপমহাদেশ প্রায় সাত শত বছর মোগল ও অন্যান্ন সাম্রাজ্যের করতলগত ছিল। তাঁদের ভাষা রাজভাষা হিসেবে প্রচলিত ছিল।ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক কবি সাহিত্যিকের কবিতায় প্রবন্ধে ফার্সী ভাষার আধিক্য ছিল। মুলত:ঐ সমস্ত শব্দ সমুহ বাংলাকে সমৃদ্ধই করেছিল।ফার্সী ভাষা চাপিয়ে দেয়ার কোন রাজ ফরমান জারি হয়েছিল এইরুপ শুনা যায়না। ইংরেজরা ভারত দখল করার পরও রাতারাতি ইংরেজি ভাষা ভারতবাসীর ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেনি। তারা মোগল রাজদরবারের পোশাক-আশাক, ভাষা বহুদিন অপরিবর্তিত রেখেছিল। তারপরও ইংরেজি ভাষা ভারতের মানুষ সাগ্রহে গ্রহণ করে। এই ভাষা সমৃদ্ধি, শক্তি এবং আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শক্তিশালী বাহন হওয়াই মুল কারন ছিল। ইংরেজি ভাষা শুধু অবিভক্ত ভারতের মানুষের নয়, সারা বিশ্বের মানুষের ভাষা-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। বিশ্বময় ইংরেজ শাষনের পতন হলেও তাঁদের ভাষা এখনও টিকে আছে,সমৃদ্ধ ভাষা হিসেবেই। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে ইংরেজী ভাষার বিশ্বময়তার মৃত্যু হবেনা। ইংরেজি ভাষা শেখার জন্য এখনও বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে মানুষ ছোটে যাচ্ছে ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অধ্যয়নের জন্য,প্রয়োজনীয় গভেষনার জন্য। "চতুর্মুখী সাঁড়াশি আক্রমনের মুখেও বাংলা ভাষার জাতীয় চরিত্র এখনও অটুট রয়েছে। বাংলাভাষা অন্য কোন ভাষার উপর অধিপত্য বিস্তার করার প্রয়োজনে নয়, অন্যভাষার অধিপত্য থেকে রক্ষার জন্য বাংলাকে সমৃদ্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে। " বাংলা ভাষা এখনও নিজ গৃহে সমৃদ্ধ করার উদ্যোগের অভাবে পরবাসী। পাকিস্তানিরা উর্দু চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল,রক্ষা করার জন্য ত্যাগের প্রয়োজন হয়েছে। উর্দুর বদলে বাংলায় এখন আধিপত্য বিস্তার করছে হিন্দি। বাংলা কবিতা গানে অনুপ্রবেশ ঘটছে হিন্দির। আমরা এত দুর্ভাগা জাতি ভালো করে ইংরেজিও শিখছি না,আবার বাংলাও শিখছিনা। শিক্ষিত প্রজন্মের মধ্যে একটা জড়ষড় বাংরেজি ভাষা সৃষ্টি হচ্ছে। ধর্মান্ধতা আমাদের ভাষাভিত্তিক জাতীয়তা বোধকে ম্লান করে দিচ্ছে। এখনি একুশের ভাষা দিবস উদযাপনে আদি চরিত্র পিরিয়ে আনা প্রয়োজন। শুধু ভাষার মাসে নয়, প্রতিনিয়ত ভাষা উৎকর্ষের প্রয়োজন, বাংলা ভাষার বিজ্ঞানসম্মত উন্নয়ন প্রয়োজন। সব কাজে ব্যবহারের উপযোগী করার জন্য সরকার ও জনগণের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। সরকার এ কাজে ভাষা ইনস্টিটিউটকে আরো উদ্যোগী ভুমিকা পালন করার নির্দেশনা দেয়া প্রয়োজন।বিজ্ঞান গভেষনা উপযোগী পুস্তক বাংলায় অনুবাদের প্রতি মনযোগী হতে হবে। অনুবাদের ক্ষেত্রে সরকারী পৃষ্টপোষকতা প্রয়োজন। বাংলা কবিতা প্রবন্ধ,বিভিন্ন রচনাবলী অন্য ভাষায় অনুবাদের প্রক্রিয়ায় জোর দিতে হবে। যাহাই করা হোকনা কেন, সর্বাজ্ঞে ""রেডিও এফ,এম,"" এর মত সম্প্রচার কেন্দ্রগুলি স্থায়ীভাবে বন্ধের এই মাসেই উদ্যোগ নিতে হবে।বিদেশী ভাষার প্রয়োগের জন্য নয়,ভাষা বিকৃতির জন্য বন্ধ করতে হবে।যুৎসই বিদেশী শব্দ বাংলাকে সমৃদ্ধ করতে পারে,বিকৃত উচ্ছারন ভাষার বিনাশ ঘটাতে পারে। ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার খবর পাঠক,উপস্থাপকদের ভাষা বিষয়ক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা অবশ্যই করা প্রয়োজন। বিশেষ করে ব্যাঙের ছাতারমত গজিয়ে উঠা মিডিয়া গুলী অনুষ্ঠানে বৈচিত্রতা আনায়নের জন্য এমন সব নতুন প্রজম্মের তরুন তরুনীদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে যাদের বাংলা উচ্ছারনে "তথাকথিত বৈচিত্রে "বাংলার বারটা বাজতে আর বেশি দেরী হবেনা। এই ভাষার মাসেই উদ্যোগ গুলী নিতে হবে। কতৃপক্ষের মনে রাখা উচিৎ, "মা'' মাকড়সা ডিম দিয়ে বাচ্ছা করে,সেই বাচ্ছাই মা মাকড়সাকে খেয়ে ক্ষুধা নিবারন করে।যথাসময়ে যথাকাজটি না করা হলে অসময়ে কাজটি করা সহজ সাধ্য হয়ে উঠেনা। অন্য ভাষার নতুন কোনো হামলায় আমাদের ভাষা জাতীয়তাবোধের দুর্বল দুর্গ বিপন্ন হওয়ার আগেই ব্যবস্থা গ্রহন করা মহান ভাষার মাসের মহৎ দাবী পুরনের মহতি উদ্যোগ হতে পারে। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির পিতার যোগ্য কন্যা, দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

খবর ছোট গুরুত্ব অধিক ====♠♠♠♠♠♠======= জাতিসংঘ প্যানেলে শেখ হাসিনা---বান কি-মুনের ফোন*** >>>>>>>>>>>>♥♥♥♥>>>>>>>>> জাতিসংঘের একটি প্যানেলে সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব বান কি-মুন। রোববার রাত ৮টায় জাতিসংঘ মহাসচিব এই ফোন করেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। তিনি বলেন, ফোনালাপে তারা পারস্পারিক শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর বান কি-মুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে জানান, জাতিসংঘ 'ইউনাইটেড নেশনস হাই-লেভেল প্যানেল অন ওয়াটার' নামে একটি প্যানেল করতে যাচ্ছে। এই প্যানেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সদস্য হিসেবে রাখার প্রস্তাব করেন বান কি-মুন। প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাবে সম্মতি জানান। ইহসানুল করিম যুগান্তরকে জানান, আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতিসংঘে পুলিশের একটি সম্মেলন হবে। এই সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল পাঠাতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন বান কি-মুন। আর আগামী ডিসেম্বরে ঢাকায় 'গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি। ইহসানুল করিম আরো বলেন, ফোনালাপে এই সম্মেলনে অংশ নিতে জাতিসংঘ মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বান কি-মুনকে বলেছেন- বাংলাদেশ এখন স্থিতিশীল। সকল রাজনৈতিক দল এখন ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। এর আগে সকল দলের অংশগ্রহণে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।'       জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো          জয় বাংলা       জয় বঙ্গবন্ধু         জয়তু জাতির জনকের কন্যা              প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি

স্বাধীনতার পর জিয়া পরিবার বাঙ্গালী জাতিকে ২১শের চেতনা বিচ্যুত করার উদ্যোগতা------ ========♥♥♥♥♥♥>>>>>>> বাঙালি জাতির ইতিবাচক যা কিছু অর্জন তার নেপথ্য ১৯৫২-র একুশের শহীদদের আত্মত্যাগ, আত্মোৎসর্গ। তেমনি এক অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিল আমাদের জাতীয় পোষাকের ক্ষেত্রেও। বাঙ্গালীর জাতীয় পোষাক "পায়জামা-পাঞ্জাবী।"তার স্থলে নিয়ে এলেন সাফারী স্যুটকোট। পাশ্চাত্যের পোষাকের অনুকরনে,পোষাক পরিচ্ছেদ ব্যবহার করে দেশের তরুন সমাজকে পশ্চিমের সংস্কৃতি অনুসরনে উদ্ভোদ্ধ করে- বাঙ্গালী পোষাকের প্রতিও ঘৃনার আবহ সৃষ্টির চেষ্টায় ছিলেন।একশ্রেনীর লোক জিয়ার অনুকরনে ঐ পোষাকেই অভ্যস্থ হতে দেখা যায়। রাজনীতিবীদদের সাধারন বাঙ্গালীর জাতীয় পোষাকের উপযোগীতা ভুলিয়ে দিলেন। বাঙ্গালী সাধারন নারীদের প্রথম পছন্দই ছিল তাঁতের শাড়ি,মাথায় ঘোমটা দিয়ে স্বাভাবিক নারী চরিত্রের বৈশিষ্টের প্রকাশ ঘটানো।সেই জায়গায় মেজর জিয়া তাঁর স্ত্রীকে পাতলা সিল্কের শাড়ীতে ঘোমটা হীন ভাবে জনসমক্ষে উপস্থাপন করে আমাদের মেয়েদের আবহমানকালের আব্রুর প্রতি চরম বিশ্বাস ঘাতকতা করেছেন।পক্ষান্তরে জাতির জনকের জৈষ্ঠ কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আজো বাঙ্গালীর সেই ঐতিয্যের প্রতি নীজেকে নিবেদিত রেখে তাঁতের শাড়ী -- মাথায় যথারীতি ঘোমটা দিয়েই চলাফেরা করেন। বৃটিশ শাষিত ভারতীয় উপমহা দেশের জাতীয় নেতারা পাঞ্জাবী পায়জামা পরিধান করেই রাজনীতি করেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতির ত্রান কর্তা হিসেবে আবিভাবের পর কখনই জামা গায়ে দিয়ে বের হতেন না।লম্বা ঢিলেঢালা পাঞ্জাবি পায়জামাই ব্যবহার করতেন তিনি। একুশ এর চেতনায় ছিল শুধু বাংলা ভাষায়, বাংলা শব্দে কথা বলবে বাঙ্গালী।অন্য ভাষায় শিক্ষা,গভেষনায় বাঁধা থাকবেনা।তবে সেই ভাষা মায়ের ভাষার বিকল্প নহে। অবশ্যই দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে নাগরীকেরা যেকোন ভাষায় জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। মেজর জিয়া ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জাতীয় স্থাপনা সমুহের নাম পাকিস্তানী ধারায় ইংরেজী ঊর্দু ভাষায় পরিবর্তনের সাথে সাথে বাংলা ভাষায়ও বিকৃতির চেষ্টা অব্যাহত রাখলেন।'৫২সালে যেমনটি দেখা গিয়েছিল একদল বাঙ্গালী উর্দু,ফার্সি,বাংলা মিশিয়ে জাগাখিচুড়ি ভাষায় রুপান্তরের আপ্রান চেষ্টায় রত: ছিলেন ঠিক তদ্রুপ রেডিও টেলিভিষনে উপস্থাপকগন এমন এক জড়তাপুর্ন ভাষার চর্চা শুরু করেছেন যা বাংলা না অন্য কোন দেশের ভাষা বুঝাই দুষ্কর ছিল।এখনও তাঁদের সেই চেষ্টার কমতি আছে বললে ভুল হবে।রেডিও এফ,এম শুনে বুঝাই যাবেনা এরা কোন দেশের ভাষায় কথা বলছেন,এরা কোন গ্রহের প্রানী। কাকডাকা ভোরে প্রভাতফেরি করে খালি পায়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে শুরু হতো দিন- এসবের ভেতর দিয়ে উপলব্ধি করার চেষ্টা ছিল শহীদদের আত্মত্যাগের প্রেরণাকে। মেজর জিয়া ক্ষমতা দখল করে কাক ডাকা ভোরের প্রভাত ফেরীকে পরিনত করেছেন ইংরেজ বেনীয়াদের থার্টি ফাষ্ট অনুসরনে মধ্যরাতের উৎসবে। আজও তাঁর পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হয়নি। পাকিস্তানি, ইংরেজ, ফরাসীরা চলে গেছে কিন্তু আমাদের রক্তের ভেতর রেখে গেছে দাসত্বের বীজ। সেই বীজের মুলৎপাটন করেছিল ৫২'এর ভাষা আন্দোলন। বিজাতীয় সংস্কৃতি লালন করা একুশের চেতনার পরিপন্থী। আমাদের দেশের এক মনীষী লিখেছিলেন, ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’ আর আমরা মাথা বিকিয়ে বসে আছি। একুশের প্রতিবাদী চেতনা, একুশে অর্জন-সেখান থেকে আমরা এখন যোজন যোজন মাইল দূরে অবস্থান করছি। জাতির জনকের স্বল্পতম সময়ের সরকারে সমাজ বিরুদ্ধ কর্মকান্ড,ইসলাম ধর্মের অনুশাষনের পরিপন্থি মদ, জুয়া, পতিতাবৃত্তি ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে আইন পাশ করেছিলেন। মেজর জিয়া সেই আইন বাতিল করে মদ আমদানীর অবাধ লাইসেন্স প্রথা চালু করে স্বল্প সময়ের মধ্যে বিদেশি মদের লোভনীয় বাজারে পরিনত করেছেন বাংলাদেশকে। বেগম জিয়া ক্ষমতায় এসে তাঁর পরিবারের উদ্যোগে দর্শনায় "কেরু এন্ড কো:"" নামে মদের কারখানাই করে ফেলেছেন। লোকমুখে ব্যাপক প্রচারীত তিনি নীজেও মদে আসক্ত। ,'৭৫ এর কাল রাতে জাতির জনককে স্ব-পরিবারে হত্যা করে সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিজাতীয় করন করে প্রথমেই ভাষা আন্দোলনের চেতনাচ্যুত করার উদ্যোগি হলেন জিয়ার নেতৃত্বে পাকিস্তানী প্রেতাত্বারা। বাঙ্গালীর শ্বাস্বত: জারি সারী স্থলে" ব্যারাইটি শো" নামে উলঙ্গ নৃত্যের মহাৎসব। জাতিয় পোষাক পায়জামা পাঞ্জাবির স্থলে সাফারিস্যুট কোট। রমনীদের তাঁতের শাড়ীর স্থলে পিনপিনে সাদা সিল্কের শাড়ী। মাথায় আভ্রুর চিরায়ত বাঙ্গালী ধারার পরিবর্তে-খোলা মাথায় আচল হাওয়ায় উড়িয়ে জনসমক্ষে উপস্থিতি। >>>>>>>>>>>>চলবে>>>>>>>>>>>>> জয় বাংলা জয়বঙ্গ বন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

অস্পৃশ্য মনে করে সবাই : বেলা রানী শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০১৬(কপি পেষ্ট) >>>>>>♥♥♥>>>>> শরীফা বুলবুল: গত বছর ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ১৫ জন নির্যাতিত মাকে খুঁজে বের করেন। তাদের দেয়া হয়েছে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি। জীবনের বেশিরভাগ সময়ই এদের কেটেছে দুর্বিষহভাবে। না রাষ্ট্র, না সমাজ কেউ খোঁজ রাখেনি এ দেশ, এদেশের পতাকা অর্জনের পেছনের এই আত্মত্যাগকারীদের। তাদেরই একজন মুরাদনগর উপজেলার নগরপাড় গ্রামের মৃত নরেন্দ্র চন্দ্র দাসের স্ত্রী বেলা রানী দাস। ভোরের কাগজের কাছে একত্তরের অপমান আর বঞ্চনার কথা বলতে গিয়ে এই মা জানান, ৪৪ বছর ধরে অভাব-অনটন, রোগ-শোকে ভুগছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে হারিয়েছেন ইজ্জত, স্বামী এবং সাজানো সংসারও। গত বছর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি মিলেছে তার। পেয়েছেন সরকারি জমিও। কিন্তু জায়গা দিয়ে কি লাভ। দুই বেলা খেয়েপড়ে বেঁচে থাকতে তার দরকার অর্থের। তাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মাসিক সম্মানী ভাতা চান বেলা রানী দাস (৬৫)। বেলা রানী স্বামীর মৃত্যুর পর আর বিয়েও করেননি। নিঃসন্তান এই মুক্তিযোদ্ধা বাবা-মার সংসারেই রয়ে গেছেন সারা জীবন। ৪-৫ বছর আগে বাবা-মা মারা যান। বর্তমানে ভাইয়ের সংসারে থাকছেন তিনি। স্বাধীনতার ৪৪ বছরে এসে ৭ মাস আগে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। বেলা রানী জানান, বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধের ডামাডোলের সময় দেশ ছিল উত্তাল। তখন কোনো একদিন পাকিস্তানি সেনারা তার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। তাকে হত্যার পর বেলার ওপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। যে নির্যাতনের কথা মনে পড়লে এখনো বেলার দুচোখ জলে ভিজে ওঠে। তারপর শুরু হয় বঞ্চনার গল্প। যে বঞ্চনা আজ অবধি চলছে। দেশ স্বাধীন হলেও ভালো নেই তিনি। নানা রোগে ভুগছেন, কিন্তু সামর্থ্যরে অভাবে চিকিৎসা করাতেও পারছেন না। তিনি আরো জানান, ৪৪ বছর কেটে গেছে এতদিন তার খোঁজ নেয়নি কেউ। গত বছর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়ার পর সরকার তাকে ৪ শতক জমি বরাদ্দ দিয়েছে। যেখানে একটি ঘরও নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু কাজ অর্ধেক শেষ না হতেই ঠিকাদার চলে গেছে। ফলে ঘরটির নির্মাণাধীন অবস্থায় পড়ে আছে। তা ভেবে দিশাহারা লাগছে বেলার। কারণ যেখানে তার দুবেলা খাবারই জোটে না। সেখানে বাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ করবেন কি করে? তিনি জানান, একাত্তরে নির্যাতিত হয়েছি বলে, সমাজের লোকজন খারাপ দৃষ্টিতে দেখে, নোংরা ভাষায় গালি দেয়। কখনো গোপনে কখনো প্রকাশ্যে ধিক্কার দেয়। নির্যাতিত নারী বলে অচ্যুত মনে করে দূরে ঠেলে রাখে তাকে সবাই। ৪৪ বছর আগে তার জীবনে ঘটে যাওয়া অপমানের জন্য ঘৃণা-ক্ষোভ কম নেই এই মায়ের। এর পর রাজাকারদের বিচার হচ্ছে জেনে খুশি হয়েছেন বলে জানালেন তিনি। তবে সব রাজাকারের ফাঁসি হলে শান্তি পাবেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘাপটি মেরে থাকা ছোট রাজাকার বড় রাজাকার সবার শাস্তি হোক। কারণ ওই রাজাকাররাই তো তার মতো নারীদের জীবন থেকে সুখ-শান্তি-সংসার কেড়ে নিয়েছিল। তছনছ করে দিয়েছিল সব আশা-ভরসা। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ সময় পর হলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ায় তিনি তাই আশায় বুক বেঁধে আছেন। তাদের কাউকে যেন রেহাই দেয়া না হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে সারাজীবন নিঃসঙ্গ বেলা অনাহারে অর্ধাহারে থাকতে থাকতে শরীরে নানা রোগ বাসা বেঁধেছে। শরীর দুর্বল হয়ে পড়েছে। ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারেন না। কাজ করতে পারেন না। টাকার অভাবে ডাক্তারও দেখাতে পারেন না। স্বাধীন বাংলাদেশের তথাকথিত সমাজের চোখে অস্পৃশ্য! এই অবস্থার দায় কার তা সরকারের কাছে জানতে চান বেলা রানী দাস। বেলার চাওয়া তাদের ইজ্জতের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীন দেশে মানুষের কাছে একটু ভালো ব্যবহার আশা করা কি খুব অন্যায় হবে?

ছবি

নীরবে, নীবৃত্তে চলে গেল ঐতিহাসিক ছয়দফার উত্থাপনের পঞ্চাশতম দিবস------!!!!! ============ ♥♥♥========= আজ মহান এক ঐতিহাসিক দিন বাঙ্গালী এবং বাংলাদেশ পার করে দিল।৫ই ফেব্রুয়ারী ১৯৬৬ ইং সালে লাহোরে ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খাঁন কতৃক আহুত সর্বদলীয় গোল টেবিল বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সনদ ৬দফা উত্থাপন করেছিলেন।সেই হিসেব অনুযায়ী ৬দফা উত্থাপনের ৫০ বছর পুর্ন হল। পরিতাপের বিষয় ৬দফা রাজনৈতিক দাবীর ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবদ্দশায় কোন আপোস করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বা রাজনৈতিক ভাবে আপোসের মানষিকতা ঘুনাক্ষরেও প্রকাশ করেছিলেন এইরুপ উদাহরন অদ্যাবদি তাঁর সহকর্মী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক বা পাকিস্তানের এযাবৎ কালের শাষক বর্গ থেকে কোন আভাস ইঙ্গিত, বিবৃতি, স্মৃতিচারন, তথ্য সংবলিত দলিল, বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা বা অন্য কোন তৃতীয় পক্ষ হতে কোন দিন কোন তথ্য প্রমান কোন পক্ষ উপস্থাপন করতে পারেনি। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন ৯মাস পাকিস্তানি কারাগারে তাঁদের হেফাযতে থেকেও কোন আপোষ প্রস্তাবের জন্য বা সরকারের কোন বিশেষ ব্যাক্তির সাথে আপোষের প্রস্তাবে কোন রুপ বাক্যালাপ করেছেন বা করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন এইরুপ তথ্য কোন মহল বা পাকিদের পক্ষ হতেও উত্থাপিত অদ্যাবদি হয়নি। যদিও তাঁর প্রীয় বাংলাদেশে কি হচ্ছে, কেমন আছে তাঁর স্বজন, সহকর্মীরা তাঁর কোন খবর তিনি জানতেন না।তিনি শুধু জানতেন জেলের অভ্যন্তরে তাঁর বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং বিচারে তাঁর ফাঁসির হুকুম হয়েছে।সর্বচ্ছ রাষ্ট্রীয় কতৃপক্ষের স্বাক্ষরের পর তাঁর ফাঁসী কায্যকর করা হবে।বঙ্গবন্ধুকে সমাধীস্থ করার জন্য তাঁর কনডেম সেলের সামনে একটি সুপরিসর কবর খোঁড়ে রাখা হয়েছে।এমনি বিপদ সংকুল পরিস্থিতিতেও বঙ্গবন্ধু ছিলেন অবিচল, স্বাভাবিক। মানষিক ভাবে ছিলেন দৃড। অথছ ৬দফার একটি দফাও যদি বঙ্গবন্ধু চাড় দিতেন তাহলেও আজীবনের জন্য সারা পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী হয়ে বাকী জীবন আরাম আয়েশেই কাটিয়ে দিতে পারতেন। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা প্রণয়ন, উপস্থাপন নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত। অতিবাম কমিউনিষ্টদের কেউ কেউ বলতেন যে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ৬দফা প্রস্তুত করে দিয়েছে। আবার উগ্র ভারত বিরোধীরা বলতেন এটি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা "র" তৈরী করে দিয়েছে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর জন্য। "৫৪ ইং সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে অখন্ড ভারতের সকল দলের সমন্বয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করা হয়েছিল। তাঁদের সকলের সম্মতিতে ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হয়েছিল। নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করতে পারলে ২১ দফার আলোকে পাকিস্তানের শাষন তন্ত্র রচনা করবেন জনগনের নিকট অঙ্গিকার ছিল। '২১ দফা জনগন স্বত:স্ফুর্ত ভাবে গ্রহন করেছিল বিধায় যুক্তফ্রন্ট বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আরোহন করেছিল। তাঁর পরবর্তি ইতিহাসে আমি যাবনা। আমি শুধু '২১ দফার একটি দফা পাঠকদের অনুধাবনর্থে এখানে তুলে ধরতে চাই---। এখানে ২১ দফার ১৯ নম্বরটি তুলে ধরা হল-- ============ ======= “ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তান কে স্বশাসিত ও ‘সভরেন্ট’ করা হবে এবং দেশরক্ষা, পররাষ্ট্র ও মুদ্রা ব্যবস্থা ব্যতীত অন্য সব বিষয় অবশিষ্ঠাত্মক ক্ষমতাসহ পূর্ব পাকিস্তানে নৌবাহিনীর হেড কোয়ার্টার এবং একটি সমরাস্ত্র কারখানা নির্মাণ পূর্বক, পূর্ব পাকিস্তানকে আত্মরক্ষার স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হবে। আনসার বাহিনীকে সশস্ত্র বাহিনীতে পরিণত করা হবে।” সম্মানিত পাঠক বন্ধুরা উপরের কথাগুলোর সঙ্গে ছয় দফার কতটুকু দূরত্ব ছিল আপনারাই বিচার করবেন। আমি অত্যান্ত সংক্ষেপে ছয় দফার উল্লেখ করতে চাই। (১) ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তান একটি যুক্তরাষ্ট্র হবে যেখানে প্রদেশসমূহ পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ভোগ করবে। পাকিস্তানে সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের ভোটের মাধ্যমে সার্বভৌম আইন পরিষদ গঠিত হবে। (২) কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা কেবল দুটি বিষয় যথা দেশরক্ষা এবং বৈদেশিক নীতিতে সীমাবদ্ধ থাকবে। (৩) দুটি অঞ্চল যথা পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম অঞ্চলের জন্য সহজে বিনিময়যোগ্য দুটি পৃথক মুদ্রা ব্যবস্থা চালু থাকবে। (৪) কেন্দ্রীয় সরকারের কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। এই ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অঙ্গরাজ্যগুলো থাকবে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার অঙ্গরাজ্যের রাজস্বের একটি নির্দিষ্ট অংশ লাভ করবে। (৫) পাকিস্তান ফেডারেশনভুক্ত দুটি অঙ্গরাজ্যের (পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান) বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দুইটি পৃথক খাত থাকবে। বহির্বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত পূর্ব পাকিস্তানের আয় পূর্ব পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং পশ্চিম পাকিস্তানের আয় পশ্চিম পাকিস্তানের সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। (৬) আঞ্চলিক সংহতি এবং সংবিধান রক্ষার জন্য সংবিধানে অঙ্গরাজ্যগুলোকে স্বীয় কর্তৃত্বাধীন আধাসামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও রক্ষার ক্ষমতা দিতে হবে। অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানকে ইহার নিজস্ব আধা সামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন এবং পোষণের অধিকারী হবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট স্বঘোষিত ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের পদত্যাগের পর জেনারেল ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৬৮-৬৯-এ আইয়ুবের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে তিনি সরে যেতে বাধ্য হন। জেনারেল ইয়াহিয়া নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু তার নির্বাচনী প্রচারণায় দ্ব্যার্থহীনভাবে বলেন যে, তিনি এই নির্বাচনকে ছয় দফার ম্যান্ডেট হিসেবে নিয়েছেন এবং ব্যাপক প্রচারেরও উদ্যোগ নিলেন। এখানে আমি আর একটি বিষয় গুরুত্ব সহ উল্লেখ করতে চাই--নির্বাচনের আগে পাকিস্তানকে চারটি প্রদেশে বিভক্ত করা হয়,চার প্রদেশের জন্য প্রাদেশিক সরকারের বিধান করা হয়।পশ্চিমাঞ্চলের অংশে একক তিন প্রদেশ পুর্বাংশে শুধুমাত্র পুর্ব পাকিস্তান(বর্তমান বাংলাদেশ)।এতেও ক্ষমতা পশ্চিমের হাতে থাকবে কিনা সন্দিহান হয়ে প্রেসিডেন্ট তাঁর নীজ ক্ষমতায় কি করতে পারবেন তাঁর উল্লেখ করে( পি-২) জারী করলেন।অর্থাৎ ""প্রেসিডেন্ট যদি মনে করেন নির্বাচিত সংসদ দেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে তাহলে তিনি সংসদ বাতিল করতে পারবেন।"" এই ন্যক্কার জনক শর্ত থাকা শর্তেও বঙ্গবন্ধু সাধারন নির্বাচনে অংশ নিলেন। ""বঙ্গবন্ধুর পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী হওয়ার প্রয়োজন নেই,প্রয়োজন শুধু পুর্ব পাকিস্তানের জনগনের ভাগ্যের ব্যাপারে একক সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার।যে অধিকার দেশে বিদেশে গ্রহন যোগ্য হতে পারে।"" নির্বাচনে অভূতপূর্ব সাফল্য পেলেন তিনি। ভোট পড়েছিল শতকরা ৫৫ ভাগ। প্রদত্ত ভোটের শতকরা ৭৫ ভাগ আওয়ামী লীগের বাক্সে পড়ে। পূর্ব পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দকৃত জাতীয় পরিষদের ১৬৯টি আসনের ভেতর ১৬৭টিতে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়। এর সঙ্গে সংযুক্ত হয় মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৭টি আসন। প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০টি আসনের ভেতর ২৮৮টি আওয়ামী লীগের দখলে.। ’৭০-এর নির্বাচনে পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো পাঞ্জাব এবং সিন্ধু প্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন। তবে বঙ্গবন্ধু সংখ্যাগরিষ্ঠতার মতো নয়। শোনা যায় যে, পাকিস্তানের সামরিক এবং বেসামরিক গোয়েন্দারা নাকি এই মর্মে রিপোর্ট দিয়েছিল যে, কোনো দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তাহলেই পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার ’৫৪-’৫৬ সালের মতো রাজনৈতিক খেলা খেলবে। বিধিবাম--বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসকদের বলে দিলেন যে, ছয় দফা থেকে সরে আসার কোনো সুযোগ নেই। কারন তিনি ছয়দফার ম্যান্ডেট চেয়ে জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। ছয় দফার ভিত্তিতে সংবিধান প্রণয়ন করাই হবে তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের বাস্তবায়ন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সাহেবের ঝুলিতে তখন যুক্তফ্রন্ট নির্বানোত্তর অভিজ্ঞতা। দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাঙ্গালী জাতির স্বাতন্ত্রবোধ, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। ""বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সব নির্বাচিত জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের ১৯৭১-এর ৩ ফেব্রুয়ারি রমনা মাঠে জনসমক্ষে এই মর্মে শপথ পড়ালেন যে,"" তারা কোনো অবস্থাতে ছয় দফা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত থেকে এক ইঞ্চিও সরে আসবেন না।""-----!! প্রীয় পাঠক বন্ধুরা,বঙ্গবন্ধু সুদুরপ্রসারী রাজনীতিবীদ। তিনি জানতেন ছয়দফা পাকিস্তানি শাষক চক্র মানতে পারবেন না।আর তাই ছয় দফা প্রনয়নের বছরই ঢাকা ইউনিভারসিটি কেন্দ্রিক"" নিউক্লিয়াস"" গঠন করে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুক্তির জন্য লড়াই করার সকল ব্যবস্থা পাকা করতে ছাত্র নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব বন্টন করে দিয়ে রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু জানতেন বলেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একদল "" বিশ্বস্ত তরুন বাঙ্গালী অফিসার" ভারতের আগড়তলা পাঠিয়ে ভারতের সহযোগিতা কি হতে পারে তাঁর ধারনা নিয়ে রেখেছিলেন। " আর যদি ছয়দফা কোন কারনে মেনেও যায়,তাহলে পাকিস্তানের ইতিহাস হত অন্যরকম আর এক ইতিহাস।পশ্চিম পাকিস্তানের তিন প্রদেশ পুর্ব পাকিস্তানের নিকট থেকে স্বাধীনতা নেয়ার সংগ্রামে লিপ্ত থাকতে হত হয়তোবা বহুযুগ।" পরিতাপের বিষয়, কমপক্ষে অর্ধশত বুদ্ধিজীবি বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চাননি। ইতিহাস না জেনেও ইতিহাস বীদ হওয়ার খায়েশে নিত্য বিতর্কিত আলোচনাই নতুন প্রজম্মকে শেখানোর চেষ্টায় রত:। আহম্মকের দল ছোট্র কথাটাও বুঝতে চেষ্টা করেনা,"একক রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে থেকে আগে আক্রমন করা যায়না, এতে বহি:বিশ্বের স্বীকৃতি পাওয়া যেতনা"। স্বাধীনতা চেয়েছিল নাকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব চেয়েছিল, তাঁর রাজনৈতিক জীবন বিশ্লেষন করলেই পাওয়া যায়। ছয় দফাইতো বলে দিচ্ছে বঙ্গবন্ধু কি চেয়েছিলেন। নীরবেই চলে গেল ঐতিহাসিক ছয় দফার পঞ্চাশ বছর পুর্তির দিনটি। অথছ বঙ্গবন্ধুর সেই দিনের সকল বাধা উপেক্ষা করে ছয়দফা যদি উত্থাপন না করতেন তাহলে হয়তোবা বাঙ্গালী আজও পাকিস্তানের করদ রাজ্যের অন্তভুক্ত হয়েই থাকতে হত। দু:খ্যজনক হলেও সত্য কথাটি হচ্ছে, জাতির জনকের প্রতিষ্ঠিত দল বাংলাদেশের ক্ষমতায়, তাঁর চেয়ে বড় কথা তাঁর কন্যা দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকা সত্বেও দিবসটি নিয়ে দলীয় অথবা রাষ্ট্রীয়ভাবে খুব বেশী তোড়জোড় পরিলক্ষিত হয়নি। জয় বাংলা জয়বঙ্গন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি

     নওগাঁয়  মুল্যবান খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান--- ==============================    পদ্মা সেতুর ওপারে সাগর সংলগ্ন এলাকায় বালুচরে মহামুল্যবান রত্ন রাজির অনুসন্ধানের অনন্দের রেশ কাটতে না কাটতে এবার পাওয়া গেল মুল্যবান খনিজ সম্পদের সন্ধান।গরীব বাংলাদেশের মানুষের জীবন্মান উন্নয়নের জন্য আল্লাহই যেন সম্পদের পাহাড় গড়ে দিচ্ছে একে একে।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সরকার গঠন করেই গ্যাসের অনুসন্ধানের জন্য ১৯৭২ ইং সালের চুক্তির উদ্যোগ নিয়েছিলেন সৌভিয়েত ইউনিয়নের সংজ্ঞে।বঙ্গবন্ধুর সেই উদ্যোগে অনেকেই সেই দিন সন্দিহান ছিলেন আদৌ গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যাবে কিনা।পরবর্তিতে পাওয়া গেল বিপুল গ্যাসের মজুদ।জাতির পিতা  অন্তদৃষ্টি দিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন এই বাংলায় রয়েছে বিপুল সম্পদের প্রাচুজ্য। উপনিবেশিক শাষক কোন সময়ে অন্তর দিয়ে চাইবেনা আমাদের সম্পদের অনুসন্ধান করে উত্তোলন।শোষনের যাঁতাকলে পিষ্ট করার জন্য যতটুকু করা প্রয়োজন তাঁর বাইরে তাঁরা যাবেনা।বাঙ্গালী অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হোক তা তাদের কাম্য নয়।তাইতো তিনি নতুন সরকার গঠন করেই সম্পদ অনুসন্ধানে ডেকে এনেছিলেন বিদেশী কোম্পেনী।বিদেশীদের অনুকরনে তাঁদের দোষরেরাও একই পথেই চলেছেন।খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান,উত্তোলন,বিদ্যুৎ উৎপাদন সহ দেশ সার্বিক উন্নতির জন্য যাহাই প্রাথমিক প্রয়োজন, সেই দিকে তাঁদের কোন মনোযোগ দিতে দেখা যায়নি।   বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৮ ইং সালে সরকার গঠন করার পর প্রথমেই মনোযোগ দেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের মত জটিল ও সময়সাপেক্ষ  সভ্যতার আধাঁর উৎপাদনের। দেশকে সাময়ীক অন্ধকার থেকে আলোতে পিরিয়ে আনার লক্ষে এবং কলকারখানা সচল রাখার স্বার্থে বিরুপ সমালোচনাকে তোয়াক্কা না করে ব্যক্তিপয্যায়ে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দেন।সরকারি ভাবে গ্রহন করেন স্বল্প,মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রজেক্ট।তাঁর সুফল ইতিমধ্যে দেশবাসী পেতে শুরু করেছে।    দেশপ্রেমের অন্তর্নিহিত তাৎপয্য বুঝতে পেরে মহান আল্লাহ খুশী হয়ে বাঙ্গালী জাতীকে উপঢৌকন পাঠানো শুরু করেছেন।জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বেই সমুদ্র বিজয় থেকে সমুদ্রের সম্পদ আহরনের অসীম সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন।বাংলাদেশকেও করেছেন দ্বিগুন আয়তনের ভুখন্ডের অধিকারি।এবার সুযোগ দিলেন সাধারন বালু থেকে রত্নারাজী আহরনের সুযোগ, আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতে সন্ধান পাওয়া গেল মুল্যবান খনিজ সম্পদের। এবার উত্তরের আরেক জেলা নওগাঁয় মিলেছে খনিজ সম্পদের সন্ধান। এরই মধ্যে জেলার তাজপুরে কাজ শুরু করেছে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর। কর্তৃপক্ষ বলছে, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে পারে খনন কাজ। এ নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই এলাকাবাসীর। নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার তাজপুর গ্রাম। কদিন আগেও এখানে ছিলো সবার অবাধ বিচরণ; কিন্তু, হঠাৎ কোরেই টানানো হয়েছে সংরক্ষিত স্থানের সাইনবোর্ড। বলা হচ্ছে এখানে খনিজ সম্পদের সন্ধান পেয়েছে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর। নতুন খনিজ সম্পদ সন্ধানের খবরে, যেন ঝড় উঠেছে গোটা এলাকার আড্ডা ও বৈঠকখানার চায়ের কাপে। ২০১৪ থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত ওই এলাকায় জরিপ চালায় ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় খনিজ সম্পদের উপস্থিতি সন্দেহে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কূপ খননের কাজে নেমেছে সংস্থাটির ৩০ সদস্যের টিম। মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট অশেষ শোকরগোজারি,আল্লাহ অবেহেলীত বাঙ্গালী জাতিকে সম্পদের প্রাচুয্যে  বলিয়ান হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন।আল্লাহ সম্পদ দান করেন ঐ সমস্ত ব্যাক্তিকে যে সম্পদের রক্ষনাবেক্ষন করতে পারবেন।আল্লাহ অশেষ মেহেরবান।        জয়বাংলা      জয়বঙ্গবন্ধু       জয়তু জাতির জনকের কন্যা      জয়হোক বাঙ্গালী জাতির অনুসন্ধান দলের প্রধান জানালেন, এই স্থানে পাললিক শীলার পুরুত্ব অনেক বেশি। তাই কি ধরনের সম্পদ মিলবে তা এখনই বলা কঠিন।

ছবি

আমারে দেহনের কেউ নাই : হাফিজা বেওয়া ============================== শনিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ভোরের কাগজ(কপিপেষ্ট) =============================== শরীফা বুলবুল: শেরপুর জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে ছায়া ঢাকা, পাখি ডাকা গ্রাম সোহাগপুর। ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই এ গ্রামে রাজাকার-আলবদরদের সহায়তায় পাকিস্তানি সেনারা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করে প্রায় ১৮৭ জন পুরুষকে। ধর্ষণ করে ১৩ জন গৃহবধূকে। স্বামী, সন্তান এবং সম্ভ্রম হারানোর সেই বিভীষিকা নিয়ে এখনো কোনোমতে বেঁচে আছেন তারা। তাদেরই একজন হাফিজা বেওয়া। মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, অসুখে চিকিৎসা নেই। নেই স্বীকৃতি। মাসিক ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে এক হাজার টাকা, ব্র্যাক থেকে ৪০০ টাকা ও বয়স্ক ভাতার ৩০০ টাকায় কোনো মতে চলে তার জীবন তরী। ভোরের কাগজের কাছে এভাবেই নিজের দুঃখগাথা শোনালেন শেরপুর জেলা সদরের সোহাগপুর গ্রামের নির্যাতিত নারী হাফেজা বেওয়া। তিনি জানান, মাত্র ১৪ বছর বয়সে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী ইব্রাহীমের সঙ্গে দক্ষিণ সোহাগপুরে বসত গড়েছিলেন তিনি। একাত্তর সালে সবেমাত্র বিয়ের তিন মাস পার হয়েছে। স্বামীর কৃষিকাজ আর ঘরে হাঁস, মুরগি, গরু-ছাগল পালনের আয়ে ভালোই চলছিল তাদের সংসার। সেদিন সকাল বেলা। স্বামী ইব্রাহীম বাড়ির অদূরের ক্ষেতে চারজন কামলা নিয়ে গিয়েছিলেন আমন ধানের চারা ভাঙতে। সেখানেই সবাইকে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। হাফিজা তখন মাঠে গরুকে ঘাস খাওয়াচ্ছিলেন। হঠাৎ গুলির শব্দে ভীত হাফিজা বাড়ির পথে পা বাড়াতেই পেছন থেকে তাড়া করে পাকিস্তানি সেনাদের কয়েকজন তাকে ধরে ঘরে এনে হাত পা বেঁধে ফেলে শুরু করে পাশবিক নির্যাতন। তিনি বলেন, আমি বেহুঁশ হইয়্যা গেছিলাম। হুঁশ হওয়ার পর খবর পাইলাম স্বামীরে মাইরা বন্দে ফালাইয়্যা রাখছে। দৌড়াইয়া গেলাম। দেখলাম, খালি লাশ আর লাশ। ছড়াইয়্যা ছিটাইয়্যা পইড়্যা রইছে। শুধুমাত্র গিলাপে জড়াইয়্যা কোনোমতে স্বামীর লাশ মাটি চাপা দেয়ার পর আমি পাগল অইয়্যা গেলাম। দিনে-রাইতে রাজাকার-বদরদের অত্যাচার সহ্য না করতে পাইর‌্যা শেষ পর্যন্ত পোলাপান লইয়্যা পার্শ্ববর্তী নকলা গ্রামে মানুষের বাড়িতে রাইত কাটাই। দেশ স্বাধীন অইলে স্বামীর ভিটায় ফিরি। জমিটুকু অন্য মাইনষে দখল কইরা নেয়। কাম কইরা, ভিক্ষা কইরা, দিন পার করি। এক ছেলে সেও বিয়াশাদি কইরা আলাদা সংসার পাতছে। এখন আমারে দেহনের কেউ নাই। তিনি বলেন, যুদ্ধের দিনগুলোতে শুধু সামান্য আটার জাউ খাইয়্যা বাইচ্যা আছিলাম। ওই সময়ে সন্তান না থাকায় দ্বিতীয় বিয়া অইছিল। হেই স্বামীও মইর‌্যা গেছে। হাফিজার শরীরে এখন বার্ধক্য এসে ভর করেছে। শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগ। সরকারি সহযোগিতা পেলে স্বস্তি মিলবে কষ্টে মোড়া জীবনটায়। বীরাঙ্গনারা পাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি। এমন ঘোষণা শুনে হাফিজার কষ্টের জীবনে যেন একটুখানি আনন্দের ছোঁয়া লেগেছে। তিনি বললেন, সরকার যদি শেষ জীবনে এই সম্মানটুকু দেয়, তাইলে মইর‌্যাও শান্তি পামু। উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালে ওই সোহাগপুরের নির্যাতিত অনেকে সাক্ষ্য দেন তখনকার আলবদর নেতা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে। গুলির মুখ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিও সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন। ২০১৩ সালের ৯ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে দুটি অভিযোগে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল এবং ওই বছরের ৬ জুন কুখ্যাত আলবদর কামারুজ্জামান রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে তার আইনজীবীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে আপিল আবেদন করেন। পরে চলতি বছরের ৩ নভেম্বর সোমবার সকাল সোয়া ৯টায় আপিলের রায়ে সোহাগপুর হত্যাকাণ্ডের জন্য মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে অন্যটিতে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। ওই রায়ের পর সোহাগপুরের নির্যাতিত মা হাফেজা বেওয়া এবং তার স্বজনরা বলেছেন, এত দিন পর তারা শান্তি পেলেন এবং কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় তাদের পূর্ণ সন্তুষ্টি আসবে। হাফেজা বেওয়া মানবতবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত আসামি মো. কামারুজ্জামানের মামলার সাক্ষী।

ছবি

২১শের চেতনা নস্যাতে-মেজর জিয়া ধর্মকেই হাতিয়ার করছিল--- ================================= ফেব্রুয়ারী মাস বাঙ্গালী জাতির জন্য এক অনন্য মাস।১৯৫২ ইং সালের ২১ফেব্রুয়ারী ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তা বোধের যে চেতনা বাঙ্গালী মননে চুড়ান্ত রেখাপাত করেছিল,তাঁরই ধারাবাহিকতায় বাঙ্গালীরা ১৯৭১ ইং সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে।তাই সঙ্গত কারনে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকারে রুপ পরিগ্রহ করে সর্বস্তরের বাঙ্গালীদের ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তাবোধ, অবশ্য অখন্ড পাকিস্তানের পুর্বাংশে বসবাসরত হিন্দূ-মুসলিম বাঙলা ভাষাবাসির মধ্যেই ভাষা আন্দোলনের বিস্তৃতি ঘটেছিল। তাই আন্দোলনের প্রাথমিক পয্যায় থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতার চরিত্র ও বৈশিষ্টে ভাষা আন্দোলনের মুল চেতনার রুপ পরিগ্রহ করে।তাছাড়া এই এলাকায় বসবাসরত হিন্দু, মুসলিম বাংলা ভাষাবাসি বাঙ্গালীদের সংস্কৃতি কৃষ্টি, চালচলন,আচার আচরন, উৎসব পার্বন আবহমানকাল থেকে একই বৃত্তে বন্দি হওয়ায় উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে অভাবনীয় মিল খোঁজে পাওয়া যায়। বাঁচার তাগিদে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া মেজর জিয়া দ্বি-জাতিতত্বের পাকিস্তানী ধারাকে প্রতিষ্ঠিত করার মানষে কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে অনুসরন করে এই ক্ষেত্রেও বাঙ্গালী সরলপ্রান মুসলমানদের ধোঁকা দিয়ে স্বার্থ্য সিদ্ধির উদ্দেশ্যে নীজে এবং তাঁর পরিবার সম্পুর্ন পাশ্চাত্য ধারায় জীবন যাপনে অভ্যস্ততা সত্বেও ক্ষমতা দখলের প্রারম্ভে প্রথম জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষনে "বিসমিল্লাহ হির রাহ মানির রাহিম" উচ্চারন করে ভাষন শুরু করেন। যদিও আরবী চর্চায় অনভ্যস্ততার কারনে উচ্চারনে যথেষ্ট অসংগতি সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়।একই চিত্র তাঁর নাজায়েজ সহধর্মীনি বেগম জিয়ার ক্ষেত্রেও একই ধারাবাহিকতা দেখা যায়। আবহমান বাঙ্গালী মুসলমান নারীদের চিরায়ত রীতি মাথায় ঘোমটা পরিধান করে চলাপেরা করা।বেগম জিয়ার ক্ষেত্রে তা কখনও দেখা যায়নি,এখনও দেখা যায়না।অথছ সরল প্রান মুসলমানদের সস্তা ধর্মীয় অনুভুতিকে রাজনীতি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে সাম্প্রদায়িকতার পুরাতন ধারা পিরিয়ে আনে। বিদেশী উপনিবেশিক শাষকদের অনুকরনে শোষনের ধারা অব্যাহত রাখতে অতীতের পাকিস্তানী শাষকদের মতই ধর্মীয়জ্ঞানে সমৃদ্ধ না হওয়া সত্বেও ধর্মকে ডাল হিসেবে ব্যবহার করার নীতি গ্রহন করে। ভাষা শহীদদের ত্যাগের বিনিময়ে গড়ে উঠা অসাম্প্রদায়ীক চেতনাকে কবর দিয়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাস্প ছড়িয়ে দেয়। সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা উচ্ছেদ করার পরিকল্পনাই এসেছে পাকিস্তানি সাম্প্রদায়িক চেতনার উৎস থেকে।সেন্টিমেন্ট থেকে। ভাষা আন্দোলন ছিল সর্বতোভাবে ধর্মনিরপেক্ষ আন্দোলন। জিয়াউর রহমান সামরীক ফরমান জারি করে ‘বাংলাদেশি’ শব্দের আড়ালে ভাষা আন্দোলনের স্পর্ধাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৭২-এ প্রণীত সংবিধানকে তিনি ইসলামিকরণ করে ভাষা আন্দোলনের চেতনায় গড়ে উঠা মহান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারকে বাঙ্গালী জাতীয়তা বোধকে কবর দিয়েছিলেন। তিনি ক্ষমতায় আরোহন করেই বিসমিল্লাহ করে প্রথমে জাতির জনকের সরকার কতৃক "মদ জুয়া" নিষিদ্ধ করে জাতীয় সংসদে পাশ করা আইন বাতিল করে দেন।অবাধে মদ জুয়ার লাইসেন্স প্রদান করে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির পথ পরিস্কার করে দেন। জাতির জনকের সরকার কতৃক অনৈসলামিক কর্মকান্ড রোধে পতিতাবৃত্তি সহ উলঙ্গনৃত্য রোধে বিধিনীষেদ প্রত্যাহার করে পতিতাবৃত্তির লাইসেন্স প্রথা চালু করেন। যুবকদের নৈতিক পদস্থলনের অন্যতম উপায় উলঙ্গনৃত্য চালু করে দেশব্যাপি চরম অপসংস্কৃতি লালনের লীলাভুমিতে পরিনত করেন।তৎসময়ে উদ্ভব হয় প্রিন্সেস সংস্কৃতি,পালিয়ে যায় বাংলার ঐতিহ্যের জারি,সারি,পালাগান, যাত্রা আর পুথির সংস্কৃতি।জায়গা করে নেয় প্রিন্সেস জরিনা, প্রিন্সেস ডলি,প্রিন্সেস রত্মা নামে অসংখ্য অগনিত অপসংস্কৃতির কীট। জাতির জনকের সরকার"তথাকথিত" ইসলামী পাকিস্তানী সরকার " কতৃক উপমহাদেশের বৃহত্তর জুয়ার আসর "রেস কোর্স ময়দানকে" ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জুয়ার (বড় আসর) প্রচলন নিষিদ্ধ করে তথায় গাছের বাগান করে বাংলার স্বাধীনতার অন্যতম আর এক মনিষী হোসেন শহীদ সরওয়ার্দীর নামে "সরওয়ার্দী উদ্যান " নামকরন করেন। সচুতুর মেজর জিয়া মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে জাতিকে প্রস্তুতিমুলক, দিকনির্দেশনামুলক জাতির জনকের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষনের স্পৃহা জনমন থেকে মুছে দেয়ার লক্ষে এবং বাংলার আর এক ঐতিহাসিক ব্যাক্তিত্বের নাম মুছে দেয়ার লক্ষে তথায় শিশুপার্ক করে।উদ্দেশ্য ছিল সরোওয়ার্দী উদ্যানকে ভীন্ননামে আগামী প্রজম্মের নিকট তুলে ধরা। আল্লাহ তাঁর রাসুলের মাধ্যমে প্রেরন করেছিলেন বিশ্বমানবতার মুক্তির ধর্ম ইসলাম,পৃথিবীর পথভ্রষ্ট মানব জাতিকে পথ দেখানোর জন্য সার্বজনীন করে।একক কোন জাত গোষ্টিকে অপব্যবহার করার জন্য নহে।ইসলামকে একক ব্যবহার করতে গেলেই তাঁর সার্বজনীনতার ব্যাঘাত ঘটে।তাই মহান আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল স্ব স্ব মাতৃভাষার মর্যাদা দিয়েছিলেন, দেশপ্রেমের মর্যাদা দিয়েছিলেন। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স:)দশম হিজরির ৮ জিলহজ সমগ্র মানব্জাতির উদ্দেশ্যে তার বিদায় হজ্বের মহামুল্যবান ভাষণটি দেন। ঐ ভাষন সম্পর্কে মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ তার ‘বিদায় হজ’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন মহানবী কীভাবে তার ভাষণটি শুরু করেছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘নবী প্রথমে আকাশের দিকে চাহিয়া তাহার প্রভুর প্রশংসা ও শোকর গোযারি করিলেন এবং তারপর উদাত্ত কণ্ঠে তাঁর বক্তৃতা প্রদান শুরু করিলেন।" অর্থাৎ মহানবীও ‘বিসমিল্লাহ’ বলে ভাষণটি শুরু করেননি। সৃষ্টির আদিকাল থেকে চলে আসা মানব সভ্যতার প্রথম ও প্রধান চুক্তি বা সংবিধান বা আইন যাই বলিনা কেন "মদীনা সনদ"।মদিনা সনদের প্রারম্ভেও ‘বিসমিল্লাহ’ লেখা নেই। মহান আল্লহর অশেষ মেহেরবানীতে নবী করিমের কায্যাদি নির্বাহ যদি হয়ে থাকতো আল্লাহর হুকুমেই তবে তিনিও কি ভুল করেছিলেন? আল্লাহ তাঁর প্রেরিত সার্বজনীন ধর্মকে এককত্বের পিঞ্জরে বন্দি করে তাঁর শ্রেষ্ঠত্বকে সামান্যতম খাটো হতে দেননি। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ধর্মীয় ভণ্ডামি থেকে মেজর জিয়া সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহ’ সংযোজন করেন। জাতীয় সংবিধান একটি সর্বজনীন দলিল। সেই দলিলে একটি ধর্মের প্রাধান্যের ঘোষণা লিপিবদ্ধ করা হলে সেই সংবিধান সাম্প্রদায়িক দলিলে রূপান্তরিত হয়। জিয়া সেই কাজটি করেছেন অবলিলায়। জাতির জনকের রাজনীতির,জতীয়তাবোধের উৎপত্তি,বাঙ্গালীর স্বাতন্ত্রতাবোধের চেতনার উৎস ভাষা আন্দোলনের অপরিসিম শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য। ভাষা আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জিয়া বিশ্বাস করতেন না। উচ্চাবিলাসী নিলজ্জ জিয়া ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ বেতারে নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা দিয়ে সমগ্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। চাপের মুখে সাথে সাথে বেহায়া জিয়া আবার প্রত্যাহারও করেছিলেন। তাঁর সম্পুর্ন কর্মকান্ড পয্যালোছনা করলে স্পষ্ট যে, তিনি পরিবেশের চাপে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি অত্যন্ত অল্প সময়ের জন্য সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি অনেক ক্যাম্পে মুজিবনগর সরকারের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। সেই প্রমানাদিও জাতির জনককে দেয়া হয়েছিল। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু খবর পেয়েছিলেন পাকিস্তান থেকে ‘সোয়াত’ জাহাজে অস্ত্র আসছে চট্রগ্রাম বন্দরে। এই খবর পেয়ে বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামের অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রধান মেজর জিয়াউর রহমানের কাছে লোক মারফত খবর পাঠান যেন চট্টগ্রামে ‘সোয়াত’ থেকে যেন অস্ত্র না নামানো হয়--জিয়া বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মান্য করেননি। বঙ্গবন্ধু আর জিয়ার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। ড. রফিকুল ইসলাম সম্পাদিত "সম্মুখ সমরে বাঙালি" বইয়ে সংকলিত ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের প্রবন্ধে তথ্যটি দেয়া আছে। আবদুল মতিনের বইতে লেখা আছে জেনারেল ওসমানী জিয়াকে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন বেঈমানির কারনে ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে মৃত্যুদন্ড দিতে চেয়েছিলেন। প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের হস্তক্ষেপে তা সম্ভব হয়নি। অথচ ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জিয়ার জ্ঞাতসারেই খন্দকার মোশতাক ডালিম-ফারুকদের কেন্দ্রীয় কারাগারে "জাতীয় চার নেতা হত্যার" নির্দেশ দিয়েছিলেন মেজর জিয়া।জিয়া ক্ষমতার মুল মসনদ দখল করার আগে ঠান্ডামাথায় প্রতিপক্ষ মুক্তিযুদ্ধা সেনা অফিসার নিধন প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। জিয়া প্রথমেই তাঁর জীবনদাতা খালেদ মোশারফ, কর্নেল তাহেরকে হত্যা করে তাঁর হত্যা মিশন শুরু করেছিলেন। ক্ষমতায় গিয়ে কাল্পনিক অভ্যুত্থানের নাটক সাজিয়ে হাজার হাজার মুক্তিযুদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে ক্ষমতা নিস্কন্টক করতে চেয়েছিলেন। দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর সরকার অবিভক্ত বাংলার সিভিল সার্জেন্ট ও প্রাক্তন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের সচিব এ রবকে প্রধান করে জাতীয় পে-কমিশন গঠন করেন। কমিশনকে সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বেতনের স্কেল নির্ধারণের পরামর্শ দেয়া হয়। কমিশন তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে বুলগেরিয়া, যুগোশ্লাভিয়া ও পূর্ব জার্মানিতে সে দেশের পে-পলিসি সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ করার জন্য প্রেরণ করেন। সে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন জিয়াউর রহমান। অথচ এই পে-কমিশনের একজন প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর জন্য যে গ্রেডের ও পে-স্কেলের সুপারিশ করেন তা সেনাবাহিনীতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর সমর্থন সরকারের উপর না থাকার জন্যই কাজটি করেছিলেন। সেনা বাহিনীর মাথা গরম করার জন্য এই কৌশল গ্রহণ করেছিলেন বলে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা অওরবর্তিতে একাদিক সাক্ষাৎকারে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। বিষয়টি সম্পর্কে বিষদভাবে উল্লেখ আছে (অধ্যাপক আবু সাইয়িদ-বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ফ্যাক্টস্ এন্ড ডকুমেন্টস পৃ : ৯৮) মুক্তি যুদ্ধের সময় জেনারেল ওসমানীকে সেনাপ্রধানের পদ থেকে অপসারণের চক্রান্ত, সর্বোপরি যুুদ্ধের সময় সর্বক্ষেত্রে তার অদক্ষতা ও ব্যর্থতার জন্য মুজিবনগর সরকার কর্তৃক কায্যত:" জেডফোর্স "ভেঙেদেয়া ইত্যাদি কারণে সেনাপ্রধান পদে তার নিয়োগ ওসমানী এবং তাজউদ্দীন আহমদ দুজনেরই ঘোর অসম্মতি ছিল। (আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী- বাংলাদেশ ও সেনাবাহিনী পৃ : ১৫)বইটিতে পুর্নাঙ্গ তথ্য দেয়া আছে। জিয়াউর রহমানের উচ্চাভিলাষ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগ নেতারা সচেতন ছিলেন। জেনারেল ওসমানীও সন্দিহান ছিলেন। এ সময় জিয়াকে পূর্ব জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কৌশলী জিয়া কর্নেল খুরশিদের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর কাছে সুপারিশ পাঠান। তাতে কাজ নাহওয়াতে কর্নেল হামিদকে ধরে, আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েলকে ব্যবহার করে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে সক্ষম হন। (কর্নেল হামিদ- তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা)।বইটিতে তথ্য সন্নেবেশিত রয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার ১০ দিন পর উপ সেনাপ্রধান থেকে সেনাপ্রধান, আড়াই মাস পর সেনাপ্রধান এবং ডেপুটি সামরিক আইন প্রশাসক, আধা বছর পর সেনাপ্রধান এবং প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, স্বরাষ্ট্র, তথ্য ও অর্থমন্ত্রী, সোয়া এক বছর পর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতি হন। হুবহু মীর কাশিমের চরিত্র যেন নকল করা।’ (মিনা ফারাহ- হিটলার থেকে জিয়া, পৃ : ৬৭)। সুপ্রিয় পাঠকগনলক্ষ করলে দেখা যায়-- বাঙ্গালী, বাংলাদেশ,বাঙ্গালী জাতিকে নিয়ে যতবারই ষড়যন্ত্রের জাল পাতা হয়েছে ততবারই পবিত্র ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করা হয়েছে।বারবার যত্রতত্র এই মহান শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে ধর্মের আবেদনকে তাঁরা নষ্ট করেছে।তাই দেখা যায়, মাল্টিপারপাস খ্যাত বা ইসলামী অর্থলগ্নিকারি প্রতিষ্ঠান সমুহ যত্রতত্র ইসলামী পবিত্র "শব্দসমুহ "ব্যবহার করে "সুদের মত" হারাম ব্যবসায় জড়াতেও বাংলাদেশের মুসলমান ভাইয়েরা দ্বিধাবোধ করছেনা। যতবারই ইসলামকে বা ইসলাম ধর্মকে সামনে রেখে কায্যসীদ্ধির চেষ্টা হয়েছে,ততবারই ইসলাম সম্পর্কে সামান্যতম জ্ঞান বহন করেনা-এমন ব্যাক্তিরাই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। পাকিস্তান সৃষ্টি থেকে অদ্যাবদি নন্যুন্নতম ইসলামী অনুশাষন না মানা ব্যক্তিরাই, ইসলামের বা ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়ে নেতৃত্ব দেয়ার চেষ্টা করেছে। বাঙ্গালী জাতি বার বার তাঁদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ধর্মব্যবসায়ীদের চক্রান্ত রুখে দিয়েছে। পাকিস্তান সৃষ্টির দ্বিজাতি তত্ব থেকে বিগত শাফলাচত্বরে সফি সাহেবের অবস্থান পয্যন্ত একই ধারাবাহিকতার প্রমান দেয়।কায়েদে আজমের ইসলাম থেকে বেগম জিয়ার সাম্প্রতিক সফি হুজুরের শাফলা চত্বরে অবস্থানকে সরকার উৎখাতের ঘোষনা একই গোলক ধাঁধায় আবর্তিত। >>>>>>>>>>>>>>চলবে>>>>>>>>>>>>>>>>>> জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

ইজ্জত হারিয়ে এখনো পাগল আফিয়া খাতুন চৌধুরী =======================কপি পেষ্ট ==== শরীফা বুলবুল : ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদারবাহিনী জগন্নাথ দীঘি সংলগ্ন এলাকায় ক্যাম্প স্থাপন করে। তখন সোনাপুর গ্রামে পাকবাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন বেড়ে যায়। পাক হানাদারদের ভয়ে গ্রামের নারীরা ছিল সন্ত্রস্ত। আজ এ ঘর তো কাল ওই ঘরে গিয়ে বিবাহযোগ্য কিংবা বিবাহিত যুবতী মেয়ে কিংবা মহিলাদের তুলে নিয়ে যেত। এরই মধ্যে রাজাকারদের সহায়তায় ক্যাম্পের দায়িত্বরত পাক হাবিলদারের কাছে খবর পৌঁছে যায় সুন্দরী বিধবা খঞ্জনীর কথা। তাকে হাবিলদারের হাতে তুলে দিলে গ্রামে অন্য নারীদের ওপর নির্যাতন করা হবে না। এ কথামত স্থানীয় রাজাকার নুরুল ইসলাম নুরু ওরফে নুরু মিয়া, আফজ উদ্দিন ফজল হক ও তার মা জোর করে খঞ্জনীকে হানাদারদের জগন্নাথ দীঘি ক্যাম্পে নিয়ে যান ১৯৭১ সালের জুন মাসের কোনো এক রাতে। ওই রাতেই হাবিলদার এই রাজাকারদের উপস্থিতিতে জোর করে খঞ্জনীকে বিয়ে করেন। এর পরদিন থেকেই সোনাপুর গ্রামে পাকবাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন কমে যায় এবং ১৬ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত এ গ্রামের কোনো নারী আর সম্ভ্রম হারাননি। ভোরের কাগজের কাছে ফেনী জেলার বরইয়া চৌধুরী বাড়ির আফিয়া খাতুন চৌধুরী ওরফে খঞ্জনীর একাত্তরের দিনগুলোতে পাকিস্তানি হানাদারদের অপমানের কথা জানান স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। তখন যে গ্রামে ডাকঘর ছিল তার নাম জোয়ার কাছাড়। সোনাপুর গ্রামের স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, জুলাই মাসের শেষ দিকে জগন্নাথ দীঘি সংলগ্ন চিওড়া রাস্তার মাথায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি এম্বুসে পড়ে খঞ্জনীর কথিত স্বামী পাকিস্তানি হাবিলদার মারা যান। এরপরও খঞ্জনীকে হানাদার বাহিনী ছাড়েনি। ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাত পর্যন্ত তাকে হানাদারদের ক্যাম্পে থাকতে হয়েছে। এই সময়ে সোনাপুর গ্রামসহ আশপাশের অসংখ্য গ্রামের অসহায় লোকজনকে পাকবাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে সামর্থ্য অনুয়ায়ী সাহায্য করেছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে নিজের ইজ্জত বিলিয়ে দিয়ে আশপাশের শত শত নারীর ইজ্জত সম্ভ্রম রক্ষা করা আফিয়া খাতুন চৌধুরী সমাজ সংসারে নষ্ট, ভ্রষ্ট ও অস্পৃশ্য হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে সীমাহীন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। শুধু নিজের ইজ্জত দিয়েই গ্রামের মেয়েদের ইজ্জত রক্ষা করেননি তিনি। আশপাশের অনাহারী অভাবী মানুষজনদের জন্য কৌশলে পাক হানাদারদের ক্যাম্প থেকে খাবার দিয়ে তাদের জীবন রক্ষা করেছেন। অথচ খাবার দিয়ে যে সব পরিবারকে তিনি বাঁচিয়ে রেখেছিলেন, নিজের নারীত্ব বিসর্জন দিয়ে যেসব মা-বোন-স্ত্রীদের পাকবাহিনীর লোলুপ দৃষ্টি থেকে রক্ষা করেছেন, সে সব মানুষই দেশ স্বাধীন হওয়ার পর খঞ্জনী যখন গ্রামে ফিরে এলেন তখন তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে নষ্টা, ভ্রষ্টা বলে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। স্বামী, সংসার হারিয়ে পথে পথে ভিক্ষাবৃত্তি করে, অনাহারে, অর্ধাহারে জীবন কাটাতে কাটাতে এক সময় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। বর্তমানে কুমিল্লা নগরীর পূর্ব বাগিচাগাঁও এলাকার একটি বস্তিতে দরিদ্র মেয়ের কাছে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। আফিয়া খাতুন চৌধুরী ওরফে খঞ্জনী ১৯৩৯ সালে ফেনী জেলার বরইয়া চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হাসমত আলী চৌধুরী ও মা মছুদা খাতুন। গায়ের রং ফর্সার পাশাপাশি দেখতেও ছিল বেশ সুন্দরী আফিয়া। ১৯৬৩ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথ দীঘি ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের রুহুল আমিন মানিক ওরফে হেকমত আলীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ১৯৬৪ সালে রোকসানা ও ১৯৬৫ সালে আবদুল মতিন নামে এই দুই ছেলেমেয়ে জন্মগ্রহণ করে। খঞ্জনীর স্বামী, ছেলেমেয়ে ও শাশুড়ি বোচন বিবিকে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই সুখের সংসার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সুখ খঞ্জনীর জীবনে বেশি দিন স্থায়ী হলো না। ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রামের রেলওয়ের বৈদ্যুতিক শাখায় কর্মরত থাকা অবস্থায় নগরীর পাহাড়তলীর ভেলুয়াদীঘির পাড়ের ভাড়া বাসায় রহস্যজনকভাবে মারা যান তার স্বামী হেকমত আলী। স্বামী মারা যাওয়ার পর বাবার বাড়ি থেকে প্রস্তাব আসার পরেও স্বামীর ভিটে-মাটি ছেড়ে যাননি খঞ্জনী। এতিম দুই ছেলেমেয়ে ও শাশুড়িকে নিয়ে চরম অভাব অনটনে কোনো মতে দিন কাটাচ্ছিলেন তিনি। দুই সন্তানের জননী হলেও অপূর্ব সুন্দরী খঞ্জনীর গায়ের রূপ লাবণ্য কমেনি এতটুকু যা সহজেই দৃষ্টি কাটত সবার। ওই রূপই কাল হয়ে দাঁড়ায় তার। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হয়েছে আওয়াজ শুনে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে আসেন খঞ্জনী বেগম। স্বর্বস্ব হারিয়ে ছুটে যান তার মেয়ে রোকসানা ও ছেলে মতিনের কাছে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, খঞ্জনী বেগম যাদের জন্য ইজ্জত বিলিয়ে দিয়েছেন, পাক হানাদার বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে যাদের খাবার দিয়ে ক্ষুধা মুক্ত করেছেন তারা তাকে দেখেই অগ্নিশর্মা হয়ে উঠলেন। বলতে লাগলেন, এই নষ্টা, ভ্রষ্টা, অসতী খঞ্জনী বেগমকে সোনাপুরে জায়গা দেয়া যাবে না। তাকে ছোঁয়া যাবে না। শাশুড়ি বোচন বিবিও সন্তানদের তার কাছে রেখে এক কাপড়ে বিদায় করে দিলেন খঞ্জনী বেগমকে। সোনাপুর থেকে বাবার বাড়ি ফেনীতে গিয়েও আশ্রয় মেলেনি খঞ্জনী বেগমের। কারণ, পাকবাহিনীর ক্যাম্পে ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে ক্ষুধার জ্বালায় ভিক্ষা করতে শুরু করে। রাত কাটে কোনো বাজারে অথবা রেলস্টেশনে। শাশুড়ির কাছে থাকতে গিয়ে অভাব অনটনে অনাহারে মারা যায় ছয় বছরের ছেলে আবদুল মতিন। জানা যায়, নষ্টা নারী বলে সোনাপুরের তৎকালীন সমাজপতিরা মৃত ছেলেকেও দেখতে দেয়নি খঞ্জনী বেগমকে। এভাবে এক সময় তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। নিজে নিজে বকবক করেন, রাস্তাঘাটে কিংবা স্টেশনে গান করেন, কবিতা বলেন, পুঁতি পরেন। বলা যায়, পুরোদস্তুর পাগল হয়ে যায় খঞ্জনী বেগম। এভাবে কেটে যায় স্বাধীনতার পর তার জীবন থেকে ২৮টি বছর। ১৯৯৯ সালের শেষ দিকে এসে খঞ্জনী বেগম আশ্রয় পান ফেনীতে তার ভাই সেনাবাহিনী কর্মকর্তা আবদুর রহমান চৌধুরীর বাড়িতে। কিন্তু সেই আশ্রয়টিতেও অস্পৃশ্য থেকে গেছে তার জীবন। ভাই, ভাবী ও তার ছেলেরা কেউ তাকে নিজের ঘরে রাখেনি। ভাই আবদুর রহমান চৌধুরী দয়া করে তার জন্য বরাদ্দ দিয়েছিলেন ৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও আড়াই ফুট প্রস্থের একটি মাটির ঘর। সেখানে ধানের খড় বিছিয়ে খাওয়া-দাওয়া, ঘুমানো সব কাজ করতে হতো। জানা গেছে, ভাই আবদুর রহমান চৌধুরী আনোয়ারা বেগম নামে এক চাচিকে মাসের খোরাকি বাবদ কিছু চাল দিতেন। চাচি রান্না করে খঞ্জনী বেগমকে দিতেন। খঞ্জনী বেগম তা কখনো খেতেন আবার কখনো খেতেন না। তবে সারাক্ষণ বিরবির করে আনমনাভাবে কথা বলতেন। তিনি খেলেন কি খেলেন না তার খবর নিতেন না কেউ। তিনি যত দিন আবদুর রহমান চৌধুরীর বাড়িতে ছিলেন ততদিন তার স্ত্রী বড় দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তার ধারণা, খঞ্জনী বেগম এখানে থাকলে ভবিষ্যতে সন্তানদের বিয়ে-শাদীতে সমস্যা হতে পারে। বীরঙ্গনা খঞ্জনী বেগমের দুই ছেলে মেয়ের মধ্যে ছেলেটি ছয় বছর বয়সেই মারা যায়। আর মেয়ে রোকসানা বেগমকে ফুল মিয়া নামক এক শ্রমজীবীর সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। এক সময় ফুল মিয়া ও রোকসানা দুই জনেই কুমিল্লা বিসিকের পাবন ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন। এখন মানসিক ভারসাম্যহীন মা খঞ্জনী বেগম তার সঙ্গে থাকেন বলে নিজের চাকরিটুকু ছেড়েছেন। জানা যায়, খঞ্জনীর শাশুড়ি বোচন বিবি মারা যাওয়ার পর খঞ্জনীর স্বামীর ১৮ শতক জায়গার মধ্যে স্থানীয় জনৈক আবদুছ সাত্তার তাদের ৯ শতক জায়গা জোর করে দখল করে নেন। যদিও খঞ্জনী বেগমকে নিয়ে মেয়ে রোকসানা চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বর্তমানে থাকেন মেয়ে রোকসানা ও মেয়ের জামাতা ফুল মিয়ার সঙ্গে কুমিল্লা নগরীর পূর্ব বাগিচাগাঁওয়ের বড় মসজিদ সংলগ্ন বড় মসজিদের ওয়াকফ এস্টেটের বস্তির দুকক্ষের একটি খুপড়ি ঘরে। রোকসানা ও ফুল মিয়া দম্পত্তির রয়েছে সুরাইয়া, মুন্না ও তারিন নামে তিনটি সন্তান। মেয়ে ও মেয়ের জামাতা জানালেন, চলতি বছর কুমিল্লা জেলা প্রশাসক এবার খঞ্জনীর নামে চৌদ্দগ্রামের কালকোট মৌজার ৩১ দাগের হালে ৬৪০ এর ৫ শতক খাস জায়গা দিয়েছেন। কিন্তু এই জায়গায় আমরা দখলে যেতে পারছি না। প্রভাবশালীরা আমাদের যেতে দিচ্ছে না। প্রশাসনও আমাদের জায়গা বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। মেয়ে রোকসানা আরো বলেন, আমার মার কোনো অপরাধ ছিল না। এলাকার রাজাকাররা আমার মাকে পাঞ্জাবিদের হাতে তুলে দিয়েছে তাদের মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষা হবে বলে। আবার ক্যাম্প থেকে মা তাদের জন্যই বিভিন্ন খাবার পাঠাত যাতে তারা খেয়ে থাকে। অথচ যে দিন মা ছাড়া পেল সেদিন মা, মাগো মা বলে কান্নাকাটি করলেও গ্রামের লোকজন মায়ের কাছে আমাদের যেতে দেয়নি। বলেছে, তোর মা খারাপ। যে দেশের জন্য আমার মা ইজ্জত দিল সে দেশ আজো আমার মাকে বীরাঙ্গনা উপাধি দিল না। সরকারিভাবে যে খাস জমি দিয়েছে তা আজো আমরা দখল নিতে পারছি না বড় লোকদের ভয়ে।

ছবি

অশুভশক্তি বাঙ্গালী চেতনার উম্মেষস্থলকেই--বিনাশের চেষ্টায় লিপ্ত------------- ===================================== শুরু হয়েছে ভাষা আন্দোলনের মাস। আমাদের জাতীয়তাবোধের চেতনার মূল ভিত্তি উম্মেষের ভাষা আন্দোলনের অমর মাস। আমাদের জাতীয় সঙ্গীত রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি তেমনি ভাষা আন্দোলনের অমর সঙ্গীত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী রচিত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র অন্তনীহিত তাৎপয্যের পরিষ্ফুটনের মাস " ফব্রুয়ারী মাস।" প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মনে পড়ে বঙ্গবিবেক বলে খ্যাত আবুল ফজলের অমর একটি বইয়ের নাম ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’।বইটির অন্তরনিহীত ভাবের পরিস্ফুটন-বাঙ্গালী চেতনাকে শানীত করার মন্ত্রে দিক্ষিত হওয়ার মাস "ফেব্রুয়ারী মাস"। বাঙ্গালী জাতি কখনই মাথা নত করেনি। বাঙ্গালী চেতনায় যতবার আঘাত এসেছে ততবার বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে চক্রান্ত প্রতিহত করেছে। তবু কালের পরিক্রমায় মীরজাফর থেকে মোস্তাক, মোস্তাক থেকে জিয়ার জম্ম হয়েছে এই বাংলায়,বাংলার গর্বীত মায়ের উদরে। তাঁরা কলংকীত করেছে বারে বারে, বিভিন্নভাবে বাঙ্গালীর জাতীয়তাবোধকে, বাঙ্গালীর শ্বাস্বত: সংস্কৃতি আবহমানকালের কৃষ্টিকে।বিশ্ব দরবারে বাঙ্গালী জাতি কে পরিচয় করে দিতে চেয়েছে-ভাষাহীন, সাম্প্রদায়িক, খুনী, আইন, বিচার, রাষ্ট্র কাঠামো না মানা অসভ্য জাতি হিসেবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর তৎকালীন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান একুশের চেতনাকে অত্যন্ত কৌশলে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা ভিত্তিক গড়ে উঠা সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে তাঁর মেধা,কৌশল,প্রজ্ঞা এবং রাজনৈতিক দুরদর্শীতা দিয়ে তিলে তিলে দেশ ভিত্তিক আন্দোলনে রূপদান করেছিলেন। সেই দেশটির নামও রেখেছিলেন তিনি নীজের মুখে, স্বাধীনতা পাওয়ার মাত্র কয় বছর আগেই। মীর জাফর জিয়া অনুধাবন, অনুকরন করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামের ধারাবাহিকতা, তাঁর শয়তানীর অন্তদৃষ্টি দিয়ে।কোথায় থেকে কোথায় এসে পরিনতি পেয়েছিল জাতির জনকের সংগ্রামের ইতিহাস। জিয়াও বঙ্গবন্ধুর শুরু থেকে ধংশের কৌশল অবলম্বন করে সুচুতুরতার সঙ্গে, অত্যান্ত সুক্ষভাবে। তিনি ভাষা আন্দোলনের মুলচেতনা বাঙ্গালী জাতিয়তা বোধকে কনডেম করে জিন্নাহর ধর্ম ভিত্তিক" দ্বি-জাতি " তত্ত্বের চেতনা প্রয়োগ করতে থাকেন তার রাজনৈতিক কৌশলে। তিনি হাজার বছরে গড়ে উঠা বাঙালীর ইতিহাস ঐতিহ্য,কৃষ্টি সংস্কৃতি সর্বপরি ভাষার ভিত্তিতে গড়ে উঠা "বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের" স্থলে ১৯৭১ ইং সালের ১৬ ই ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ কে প্রতারীত করে তাঁর অনুকরনে "বাংলাদেশী জাতীয়তা বাদ" স্থাপন করেন। এই এক শঠতার ধুম্রসৃষ্টি করে মহামায়ার ইন্দ্রজাল বিছানোর চতুরতার করুন এক নিদর্শন। মানুষ মানুষকে প্রতারিত করে,ঠকায় কিন্তু দেশএবং জাতির সাথেও তদ্রুপ করতে পারে সাধারন আমজনতা কি বুঝার কোন সামর্থ রাখে? প্রীয় পাঠক আপনাদের অনেকেরই মনে আছে, মেজর জিয়ার প্রথম "রাজাকার প্রধানমন্ত্রী শাহ আজি জুর রহমান "১৯৭৯ সালে সংসদে দাঁড়িয়ে বাংলা ভাষাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ বলে -বাংলা ভাষার নামকরণের ঘোষণা দিয়েছিলেন।প্রেসিডেন্ট মেজর জিয়ার পরামর্শেই তিনি এই ঘোষনা দিয়েছিলেন।কারন মুক্তিযোদ্ধার রঙ গাঁয়েমাখা মীরজাফর জিয়ার পরামর্শ ছাড়া "প্রেসিডেন্ট শাসিত" সরকারের প্রধান মন্ত্রী এই ঘোষনা দিতে পারেননা। প্রধান মন্ত্রীর চাকরিটাইতো মহামান্য"রাষ্ট্র পতির " ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর নির্ভরশীল। দেশ ভাগ হতে পারে, খন্ড বিখন্ড হতে পারে একই ভাষাভাষীর মানুষ কিন্তু ভাষা কি ভাগ হতে পারে না। বর্তমান মধ্যপ্রাচ্যের "আরব জাতি " বহুধাভাগে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন নামে দেশ শাষন করছে কিন্তু তাঁদের জাতিয়তাবোধের "আরব জাতীয়তাবাদ" কি পরিবর্তন হয়েছে,নাকি কখনও কেউ পরিবর্তন করার উদ্যোগ নিয়েছে? তাঁদের আরবী ভাষার কি পরিবর্তন হয়েছে। তাঁদের সংস্কৃতির বন্ধন যদি আরবি ভাষা হতে পারে, আমাদের সংস্কৃতির বন্ধন বাংলার উদ্ভবে অসুবিধা কোথায়? বিয়ে, জম্মদিন,আরব জাতির নিজস্ব জাতীয় উৎসবে আনন্দে,পালা পার্বনে উলুধ্বনী দেয়ার প্রথা বা তাঁদের আবহমান কালের কৃষ্টির কি পরিবর্তন হয়েছে? নবী করিম(স:) করেছেন নাকি পরবর্তি কোন ধর্মীয় নেতা করেছেন? তাঁদের মসুলমানিত্ব কি চলে গেছে? তবে আমাদের বাঙ্গালী সংস্কৃতি অনুসরনে ভাষার ব্যবহারে কেন যাবে ধর্ম? মুলত: শাহ আজিজকে দিয়ে হিন্দু-বিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি উস্কে দিয়ে সাধারন বাঙ্গালী মসুলমানদের সস্তা সেন্টিমেন্টকে পুজি করে পাকিস্তানী ধারাকে পুন:প্রতিষ্ঠিত করার মানষে জিয়া উপরিক্তো ঘোষনাটি সংসদে দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।এখানেই শেষ হলেতো ভালই ছিল,তারপরের ইতিহাস আরো বর্বর, করুন,হৃদয়বিদারক। "বাংলাদেশ বেতারের" নাম পরিবর্তন করে তিনি রাখেন "রেডিও বাংলাদেশ".।চালনা বন্দরের নাম পরিবর্তন করে রাখেন, "পোর্ট অব চালনা"।আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনী "জয় বাংলা" শ্লোগানকেও পরিবর্তন করার স্পর্ধা দেখান মীরজাপর মুক্তিযুদ্ধা জিয়া। জয় বাংলার জায়গায় পাকিস্তানী ভাবধারার শ্লোগান বাংলাদেশ জিন্দাবাদ স্থাপন করেন।সময় পেলে হয়তোবা "পাকছার জমিননেছা দোবাতকেও"আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতির অঙ্গ "জাতীয় সঙ্গিত" বলে চালিয়ে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহন করতেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের চিঠিপত্র, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের জন্য যে পত্র দেয়া হত সেখানে" নিমন্ত্রন" শব্দটি পয্যন্ত উঠিয়ে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৎসময়ের সভাপতি বর্ষিয়ান জননেতা জনাব মরহুম আবদুল মালেক উকিল প্রতিবাদ জানালে তাঁকে "ভগবান দাশ" বলে বিদ্রুপ করতেও তাঁদের বিবেকে বাঁধেনি। ছোট ছোট পরিবর্তন করে বাঙ্গালী মননে ধারন করিয়ে- বড় পরিবর্তনের সুদুরপ্রসারী চিন্তা করেছিলেন জিয়া। তাঁর সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন বিগত ১৯৯৬ ইং সাল পয্যন্ত সরকার গুলী। বাংলাদেশের সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, যদি বাংলা-ইংরেজী শব্দ প্রয়োগ বা বিন্যাসে অসামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হয়,সেই ক্ষেত্রে বাংলা শব্দটির প্রাধান্য পেয়ে প্রতিস্থাপিত হবে।মেজর জিয়া এই জায়গাটুকুতেও পরিবর্তন করে বসিয়ে দেন ইংরেজীর প্রধান্যের বিষয়টি। আমাদের ভাষা,সংস্কৃতি,কৃষ্টিতে ছোট ছোট পরিবর্তন করে বড় পরিবর্তনের মানষিকতা গড়ে তোলার প্রয়াস নিয়েছিলেন পরবর্তি সামরিক বেসামরীক সরকার সমুহ। >>>>>চলবে>>>>> জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

মুক্তিযুদ্ধে কেবল সম্ভ্রমই নয় স্বামীও হারিয়েছি : তাজিয়া ===================== ( কপি পেষ্ট)===== শরীফা বুলবুল: যুদ্ধে আমি কেবল সম্ভ্রমই হারাইনি, স্বামীকেও হারিয়েছি। অল্প বয়সে বিধবা হয়েছি। আমার স্বামী সরকারি চাকরি করতেন। ছুটি নিয়ে বাড়ি এসে আর চাকরিতে ফিরে যাননি। মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তার অনেক সাহস ছিল, শরীরে শক্তিও ছিল। মাঝে মাঝে আমার কাছে ডিম, ডাল, চাল কিনে পাঠাতেন। বলতেন, কষ্ট হবে জানি, তারপরেও নিজেদের রান্নার পর অতিরিক্ত রান্না হিসেবে এগুলোও রান্না করে দিও। নইলে আমার সহকর্মীরা না খেয়ে থাকবে। কখনো কখনো নিজের ঘরের ডিম, মুরগি রান্না করেও মুক্তিযোদ্ধাদের খাইয়েছি। ছেলেমেয়েগুলো ছোট ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রান্না করতে গিয়ে অনেক সময় সন্তানদেরও খোঁজ নিতে পারিনি। স্বামী ৭-৮ দিন পরপর বাড়ি আসতেন। কখনো কখনো রান্না করে রাখতাম। লোক এসে নিয়ে যেত। একদিন দুপুরবেলা স্বামী ঘরে আসছিলেন। এমন সময় খবর পেয়ে পাকিস্তানি আর্মিরা এসে স্বামীকে ধরে বটতলায় নিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। এর পর আমাকে নির্যাতন করে। চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার সাচার ইউনিয়নের আইনপুর গ্রামের তাজিয়া খাতুন ভোরের কাগজের কাছে এভাবেই একাত্তরের বঞ্চনার কথা বললেন। তিনি জানান, ১৯৭১ সালে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রান্নাবান্না করেছেন। হারিয়েছেন প্রিয় স্বামীকেও। সেই থেকে আজও তিনি বিধবা হয়েই বেঁচে আছেন। বয়সের ভারে ন্যূব্জ তাজিয়া খাতুন ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না, আবার বলতে পারলেও ভালোভাবে শোনেন না। সম্প্রতি কুমিল্লার জেলা প্রশাসক তাকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করায় বীর নারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাজিয়া খাতুন জানান, তার বাবার নাম নিজাম উদ্দিন। মায়ের নাম আইনবী। বাবা-মায়ের তিন ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। ৬০ দশকের শুরুর দিকে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার দক্ষিণ দোল্লাই নবাবপুর ইউনিয়নের বিচুন্দাইর গ্রামে সরকারি চাকরি করা ফুল মিয়ার সঙ্গে অল্প বয়সেই তার বিয়ে হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই তিনি ২ ছেলে ও ২ মেয়ের মা হন। তাজিয়া জানান, তার স্বামীর বাড়ি কুমিল্লার বিচুন্দাইর গ্রামে হলেও তিনি এখন বড় ছেলে আবদুল খালেকের সঙ্গে থাকেন। আবদুল খালেক বিচুন্দাইর থেকে চলে গিয়ে মাইজাখার ইউনিয়নের বামলীখোলায় শ্বশুর বাড়িতে বাড়ি করে স্থায়ীভাবে বাস করছেন। তাজিয়া খাতুন একদিকে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ফুল মিয়ার স্ত্রী, অপর দিকে তিনি নিজেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী। মুক্তিযোদ্ধার নির্যাতিত স্ত্রী এবং মুুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী এ দুই পরিচয়ের দাবি নিয়েই তিনি দাবি জানান, স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ফুল মিয়ার কবরটি যেন সরকারিভাবে সংরক্ষণ করা হয়। তিনি বলেন, যে দেশের জন্য আমার স্বামী জীবন দিল, আমি বিধবা হলাম- সেই দেশ, সরকার আজও আমার স্বামীর কবরটি সংরক্ষণ করেনি। জেলা প্রশাসক আমাকে জমি দিয়েছে, সম্মান জানিয়েছে ভালো কথা। এতে আমি খুশি এবং কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমার এখন একটাই দাবি- বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার স্বামীর কবরটি সংরক্ষণ করা হোক। যাতে কবরের সামনে দিয়ে যখন মানুষ চলাচল করবে তখন যেন বলতে পারে এটি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফুল মিয়ার কবর। যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন। সরকারের কাছে আমার শেষ জীবনে এই একটি মাত্র চাওয়া। পাশাাপশি তাজিয়া খাতুন আরো একটি দাবি জানালেন, সরকার যেন তার নাতিদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়। বাড়ি থেকে ধরে এনে বটতলায় প্রকাশ্য দিনেরবেলায় পাকবাহিনী মেরে ফেলে ফুল মিয়াকে। তাকে মারার পেছনে স্থানীয় রাজাকারদেরও সহায়তা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার যুদ্ধাপরাধীদের যে বিচার করছে এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। তবে বড় রাজাকারদের বিচার করলে হবে না। আমার স্বামীর মতো মুক্তিযোদ্ধাদের যারা নির্বিচারে মেরেছে তাদেরও বিচার করতে হবে। তাহলে মরেও শান্তি পাব।

ছবি

শেখ হাসিনার ‘মৃত্যুকামনাকারী’ যুবক পাচ্ছেন সরকারি কাজ! ============================= মতিঝিলের শাপলা চত্বরে চলছে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ। সারা দেশ উত্কণ্ঠায়। বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মাঠে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তত্পর। সেই সময় হেফাজতের সমর্থনে অনলাইনে গড়ে ওঠে অসংখ্য প্রপাগান্ডা টিম। এ রকমই একটি টিমের নেতৃত্বে ছিলেন মনির হোসেন। তিনি ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে একটি স্ট্যাটাস দেন, ‘পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে, হাসিনার হইছে সেই দশা।’ ওই সময় এ রকম বিতর্কিত ও রাষ্ট্রদ্রোহী অসংখ্য স্ট্যাটাস দেন মনির। মনির মনে করেছিলেন শেখ হাসিনার সরকারের পতন হবে এবং তিনি বিএনপি জোট সরকারের কাছ থেকে তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কাজগুলো হাতে পাবেন। কিন্তু বিএনপি জোট ক্ষমতায় না এলেও মনির একটি আইটি প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে ঠিকই সেসব কাজ পেয়েছেন। জানা গেছে, সম্প্রতি আইসিটি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি প্রকল্পের কাজ পেয়েছেন মনির। ক্রিয়েটিভ আইটি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি ওই কাজ পান। প্রতিষ্ঠানটির স্বঘোষিত চেয়ারম্যান ও সিইও তিনি। অভিযোগ আছে, মনির কয়েক বছর আগে প্রতিষ্ঠানটির বৈধ চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করে নিজেই প্রতিষ্ঠানের মালিক ঘোষণা দেন। প্রতিষ্ঠানটি হেফাজতের তাণ্ডবের সময় প্রপাগান্ডায় ভূমিকা রেখেছিল বলে অভিযোগ আছে। উপরের উল্লেখীত খবরটি বেরিয়েছে "বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় আজকের সংষ্করনে।খবরটি পড়ে হতবাক হয়ে গেলাম। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সর্বস্তরের জনগনকে নি:সন্দেহে মর্মাহত করবে খবরটি। সদাশয় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট আবেদন থাকবে, উপরিক্তো খবরটির সত্যাসত্য যাছাই পুর্বক তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। উল্লেখীত কাজ প্রদানে অনিয়মে জড়িত ব্যাক্তিগনের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করছি।অবিলম্বে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে কালতালিকা ভূক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি। সকল মুজিবসেনাদের খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে দেয়ার আহব্বান জানাচ্ছি। এহেন প্রতিষ্ঠান সমুহকে চিহ্নিত করে তালিকা প্রকাশের দাবি উত্থাপনের জন্য সর্বস্তরের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে সোচ্ছার হওয়ার আহব্বান জানাচ্ছি।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে কোন রাজাকার দোষরদের প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় আনুকুল্য পেতে পারেনা। অন-লাইন,অপ-লাইনের সকল মুজিব আদর্শের বন্ধুরা সেই লক্ষে কাজ করে যাওয়ার আহব্বান রইল। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

বাংলাদেশ,বাঙ্গালী জাতি, বাংলা ভাষা--অনন্তকাল বেঁচে থাকবে বিশ্ববাসীর অন্তরে------============================== রাতের পরে দিন,সুখের অপর পৃষ্টে দু:খ্য।বাংলা পৃথিবীর সেরা মাধুয্যময় ভাষা।যে ভাষাকে পাকিস্তানীরা বাঙ্গালীর মুখ থেকে কেড়ে নিতে চেয়েছিল, সেই ভাষা সংগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্যকে বাঙ্গালী হৃদয়ে ধারন করার নিয়ন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বাঙালীরা, বিগত প্রায় ৬৫ বছর। বিজাতীয়রা আঘাত দিয়েছে শোষন করার জন্য,বাংলা ভাষার গর্ভে জম্মনেয়া কুলাঙ্গারেরাও কম চেষ্টা করেনি, বাঙলা ভাষার মাধুয্য বিনষ্ট করার জন্য। ১৯৭৫ইং সালের ১৫ আগষ্ট কাল রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে নির্মম,নিষ্ঠুরভাবে খুন করে বাঙালীর সকল জাতীয় প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে ইংরেজীতে চালু করছিল।জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে বাংলা চালু করার মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার থেকে জাতিকে বহুদুরে ঠেলে দেয়।অফিস আদালত,স্কুল কলেজে বাংলা ব্যবহারের উদ্যোগ মাঝপথে থামিয়ে দেয়।ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে পয্যন্ত ইংরেজী ব্যবহারে উৎসাহিত করে।ফলে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জাতীয় নীতি আজও সর্বত্র কায্যকর হয়নি। বাংলাদেশের সর্বচ্ছো আদালতের রায় বর্তমান সময়েও ইংরেজীতে দেয়ার নিয়ম রয়েছে। সুখের বিষয় এই, মুক্তিযুদ্ধ আর্কাইবসের উদ্যোগে ঢাকা ইউনিভারসিটির একদল আইনের ছাত্র "মানবতা বিরুধী অপরাধের রায় বাংলায় অনুবাদ করা"র বিশাল এক কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়ে কাজ শুরু করেছেন।ইতিমধ্যে শ্রেষ্ঠ মানবতা বিরুধী অপরাধী বি,এন,পি দলীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে।আশা রাখতে পারি অচিরেই অন্য মানবতা বিরুধী অপরাধীদের রায়ও বাংলায় প্রকাশ করে, নতুন প্রজম্মকে তাঁদের অপরাধ সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিবেন।চলমান ধারাবাহিকতায় আশা করা যায় উচ্চ আদালতের মান্যবর বিচারকগন ধীরে হলেও বাংলায় রায় লিখার অভ্যেস গড়ে তুলবেন। ১৯৯৬ এর সাধারন নির্বাচনে জাতির পিতার কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে,কয়েকজন বাংলাভাষী ২১শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষনার জন্য জাতিসংঘের সদর দপ্তরে আবেদন করেন।জাতির জনকের কন্যা বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় ২১ শে ফেব্রুয়ারীকে জাতি সংঘের সাধারন অধিবেশনে সেই বছরই আন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষনা করে।সেই থেকে অদ্যাবদি ২১ শে ফেব্রুয়ারী জাতি সংঘের সদস্য রাষ্ট্র সমুহ যথাযোগ্য মার্যাদায় পালন করে আসছে।বিশ্ব সভ্যতা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন বাঙ্গালীর ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত অসামান্য অর্জনের স্মৃতিচারন করবে বিশ্বের শত শত রাষ্ট্রের কোটি কোটি মানুষ। বাঙ্গালী আজ আনন্দে আত্মহারা,তাঁদের রক্তের বিনিময়ে" মায়ের মুখের ভাষা বাঙলা" আজ সুদুর আফ্রিকার সিরেলিওনের কালমানুষদের দ্বিতীয় জাতীয় মাতৃ ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে। সিয়েরালিওনের নিজস্ব ভাষা ক্রিয়। আর সেখানে দ্বিতীয় জাতীয় ভাষা বাংলা। বাংলাদেশের বাইরে পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশের মানুষ বাংলা ভাষাকে এতটাই আপন করে নিয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়, বাংলাদেশের কিছু উল্লেখযোগ্য দিবস তারা উৎযাপন করে।এবার অনেক আগেই সেখানে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো "একুশে ফেব্রুয়ারি’ "গানটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় শিল্পীরা তা যথাযথভাবে কণ্ঠে তুলে নেন এবং চর্চা করছেন। আর এ কাজে সহযোগিতা করেছেন ওখানে কর্মরত কয়েকজন বাংলাদেশি। শিল্পীরা বাংলা এবং ক্রিয় ভাষায় গেয়ে যাচ্ছেন গানটি। আগামী ২১ শে ফেব্রুয়ারী গানটি ক্রিয় ভাষার সাথে বাংলায় ও জাতীয় ভাবে গাইবেন সিয়েরেলিওনের শিল্পিরা। ধীরে হলেও বাঙ্গালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য,সৌয্য বিয্য, ত্যাগ ও মহিমা বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়ছে।বিশ্ববাসী জানার সুযোগ পাচ্ছে বাঙ্গালীর বিরত্ব গাঁথার অমর কাহিনী।বাঙ্গালী জাতি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকবে সেই মহান ব্যাক্তির নিকট, যাঁর ত্যাগ, মহিমা, সংগ্রাম,সাহষে আজ বিশ্বব্যাপি" বাঙালী বীরের "জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। যার অপরিসীম অবদান- নিয়ন্তর সংগ্রামের সাধনায় বাঙ্গালী নীজস্ব স্বাধীন সার্বভৌম দেশের গর্বীত নাগরীক হতে পেরেছেন। বাঙালী জাতি গর্বভরে আগামীদিনের ইতিহাস চর্চায় দেখতে পাবে, মহিয়ষীএক নারী- পিতা,ভাই, আত্মীয় স্বজন সব কিছু হারিয়েও বাঙ্গালী জাতিকে বাঙ্গালীত্বের গৌরবের শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিয়ন্ত্রর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।যার প্রচেষ্টায় বিশ্বের দেশে দেশে বাঙ্গালী মাথা উঁচু করে গর্বীতকন্ঠে, শীরদাঁড়া সোজা করে বলতে শিখেছে আমি বাঙালি, আমার দেশ বাংলাদেশ,আমার জাতির জনক সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। আমার দেশকে উন্নত,আধুনীক,বিজ্ঞানমনস্ক,শিল্পসমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার পিছনে যিনি যুগশ্রেষ্ঠ অবদান রেখে চলেছেন, তিনি আর কেহ নন--বাঙালী জাতির জনক, বাংলাদেশের স্বাধীনতার রুপকার,সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জৈষ্ঠ কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

বাঙ্গালী অশুভ শক্তিকে পরাভুত করবে -- তাঁদের হাজার বছরের সংষ্কৃতির বন্ধন দিয়ে------ ====================== আজ ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম দিন।মাসটি বাঙ্গালী জীবনে এক বেদনাবিধূর মাস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফব্রুয়ারী দিনটি হতে। ১৯৪৭ ইং সালের ১৪ই আগষ্ট ভারতীয় উপমহাদেশ  "দ্বিজাতিতত্ব " নামক ভুল দর্শনের ভীত্তিতে বৃটিশ শাষকদের হাত হতে স্বাধীনতা লাভ করে। একদিকে ভারত,অন্যদিকে মসুলমান অধ্যুষিত পাকিস্তান।ভুল "ধর্মীয় জাতীয়তার দর্শনের "ভিতরেই লুকিয়েছিল শোষনের কালছায়া। বাংলাকে উপনিবেশীক শাষক- দের কলোনী করে দীর্ঘমেয়াদে শোষন করার চক্রান্ত। বহু আখাংকীত স্বাধীনতার স্বপ্নের মধ্যেই তাঁর বীজ রোপিত হয়েছিল। কথাটি আমি এই কারনেই বলছি,ইসলাম একটি শ্বাস্বত: ধর্ম। মানব জাতির জন্য শান্তির অভয়বানী নিয়ে নবী করিম (স:) এর মাধ্যমে আল্লাহ সকল জাতির হেদায়েতের জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।ইসলাম ধর্ম এবং কোরানেপাক নাজেল করার সাথে সাথে পুর্ববর্তি সকল আসমানী কিতাব নিষিদ্ধ করে শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (স:)এবং সর্বশেষ আল্লাহ প্রদত্ত কোরানকে অনুসরন করার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরানেই আছে,নবী করীম (স:)নীজেও বলেছেন এর পর আর কোন নবী বা রাসুল দুনিয়াতে আসবেনা, কোন কিতাবও নাজেল হবেনা। প্রেরীত ধর্ম  স্ব-স্ব-ভাষায় পালন করা যাবে। মহান আল্লাহ সকল ভাষাই বুঝেন,সকলের ইবাদত কবুল করবেন।পৃথিবীতে বিচরন করা প্রত্যেক জাতি, গোত্র, গোষ্টির মানুষের  "ইসলাম ধর্ম "গ্রহন করার এবং পালন করার অধিকার আছে। জাতিগত বেদাভেদ ভীন্ন একটি বিষয়। বাঙ্গালী জাতির মধ্যে যেমন" হিন্দু মুসলিম "আছে তেমনি অন্যান্ন জাতির মধ্যেও হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান আছে। জাতি বলতে আমরা বুঝি--একই  ভাষা,সংস্কৃতি,কৃষ্টি, চালচলন, আচার আচরন ইত্যাদি বিষয় সমুহ যদি কোন একটা নির্দিষ্ট জনপদে এক ও অভিন্ন থাকে তবে তাঁরা একটি জাতি হতে পারে। যেমন আমাদের দেশের উপজাতি গোষ্টি গুলি-তাঁদের মধ্যে বেশীর ভাগ যদিও বৌদ্ধ ধর্মালম্বি হয় হিন্দু ধর্মের অনুসারীও অনেকেই আছে। জাতীবেদে আমরা তাঁদের বলি মার্মা,ত্রিপরা, চাকমা, মুরং ইত্যাদি। সুতারাং লক্ষনীয় বিষয়টি হচ্ছে পাকিস্তানীরা যদিও  ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়, তাঁদের ভাষা আরবী নহে। তাঁদের মধ্যেও জাতীবেদ আছে,হিন্দু, মসুলমান, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, উপজাতি ইত্যাদি রয়েছে। জাতিগত পার্থক্যও বিদ্যমান-যেমন পাঞ্জাবি,পাঠান, বিহারী, পোস্তন ইত্যাদি।ভাষাগত দিক থেকেও সবাই উর্দুতে কথা বলেনা। প্রত্যেক জাতী গোষ্টির আলাদা আলাদা নিজস্ব ভাষা সংষ্কৃতি, কৃষ্টি  বিদ্যমান রয়েছে। অখন্ড পাকিস্তানের কোন জাতি গোষ্টির ভাষা পরিবর্তনের প্রয়োজন হলনা,"বাংলা ভাষাকে কেন পরিবর্তন প্রয়োজন হল?" কোন ভাষার মধ্যে হিন্দুয়ানীর গন্ধ পাওয়া গেলনা বাংলা ভাষার মধ্যে কেন হিন্দুয়ানী গন্ধ পাওয়া গেল? হিন্দি ভাষা আর উর্দু ভাষার মধ্যে তেমন পার্থক্য না থাকা সত্বেও উর্দুকে পরিবর্তন না করে বাংলাকে কেন  পরিবর্তন করে মসুলমানি করাতে হবে? বাঙ্গালী হিন্দুর চাইতে কয়েকগুন বেশি পাঠান,পাঞ্জাবী হিন্দু থাকা সত্বেও তাঁরা ধর্মভ্রষ্ট না হয়ে বাঙ্গালীরা কেন ধর্মভ্রষ্ট হবে? বিহারীদের মধ্যে হিন্দিভাষার প্রচলন থাকলেও তাঁদের মুসল- মানী না করিয়ে বাঙ্গালীদের করার প্রয়োজন কেন হল? মুলত: বাঙ্গালী জাতিকে সুদীর্ঘকাল শাষন শোষন করার উদ্দেশ্যে  প্রথমেই ভাষা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে।বাঙ্গালী জাতির বাঙ্গালীত্ব কেড়ে নিয়ে শংকর জাতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ভাষার উপর আঘাত করে।এই আঘাতেও কিন্তু অনেক বাঙ্গালী নেতার সায় ছিল। তাঁরাও তাঁদের সাথে সুর মিলিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। ১৯৪৮ সাল হতেই ভাষাকে কেন্দ্র করে বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। বাংলার রাজনীতিবিদ, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীরা সেই ষড়ন্ত্রের স্বরূপ যথাসময়ে উদঘাটন এবং উদ্দেশ্য চিহ্নিত করতে সক্ষম হন। তারা তাদের লেখনী, বক্তৃতা, বিবৃতি, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, সিনেমা, গান ও নাটকের মাধ্যমে সারা দেশের মানুষকে মাতৃভাষা বাংলা রক্ষার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ করা শুরু করেন। যদিও ভাষা রক্ষা করার দাবির আন্দোলন আপাত: দৃষ্টিতে সাংষ্কৃতিক আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত হয়, কালক্রমেই তা বাঙ্গালী মানষে গভীর রেখাপাত করতে সক্ষম হয়।১৯৫২ সালে ঢাকা ইউনিভারসিটি কেন্দ্রীক আন্দোলন যখন সর্বস্তরের ছাত্রদের আলোড়িত করে ছাত্র গনআন্দোলনের রুপ পরিগ্রহ করে, উক্ত আন্দোলনকে জোর করে দমনের উদ্দেশ্যে পাকিস্তানী শাষকচক্র ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী ১৪৪ধারা জারি করে। সর্বপ্রকার মিছিল মিটিং, সমাবে -শের উপর নিশেদাজ্ঞা আরোপ করে। ১৪৪ধারা ভেঙ্গে মিছিল করার চেষ্টা কালে শাষক চক্রের প্রত্যক্ষ হুকুমে পুলিশ নির্বিচারে গুলী চালায়।তৎক্ষনাৎ লুটিয়ে পড়ে -সালাম, জব্বার, রফিক, সফিক।আন্দোলন আর থামায় কে? ,অচিরেই ছাত্র আন্দোলনের আগুন ঢাকা থেকে সারা দেশের গ্রাম-গঞ্জ এবং শহর-নগরে ছড়িয়ে পড়ে। মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ (সাবেক পুর্বপাকিস্তান)। সরকার বিভিন্ন কায়দায় আরবি হরফে বাংলা লেখার চেষ্টা করতে থাকে।এর প্রতিবাদেই ফুঁসে উঠেছিল আন্দোলন। তাঁরা সাধারন বাঙ্গালি মসুল মানদের বুঝানোর চেষ্টা করে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিতে বিজাতীয় সংস্কৃতির আবহ রয়েছে।সুতারাং চলমান ভাষায় কথা বলা মসুলমানদের বড় রকমের গুনাহ হবে। হিন্দুয়া -নীর গন্ধভরা ভাষা আখ্যায়িত করে ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালানো হয়। মজলুম জননেতা মৌলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শেরেবাংলা এ, কে, ফজলুল হক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কমরেড মনি সিংহ, ইত্তেফাক সম্পাদক বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সহ আরো অনেক নেতাদের সঠিক ভূমিকাও দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য সেই অপচেষ্টা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। জনমনে ঘোমট ক্ষোভ প্রশমন করা যায়নি,যদিও তাঁদের পরিকল্পনা বাতিল করে। বাঙ্গালী নেতারা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন পশ্চিম পাকিস্তা - নীদের সাথে পুর্ব পাকিস্তানের মিলন হবেনা। নীজেদেরকে নিয়ে নীজেরাই ভাবতে হবে। ভাষা রক্ষা করার দাবীতে সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবি, শিল্পি, অভিনেতা অভিনেত্রী ইত্যাদি শ্রেনী পেশার মানুষের মধ্যে যে চেতনাবোধ এবং সুদৃড ঐক্য গড়ে উঠেছিল সে চেতনা বোধ ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের সুপ্ত বাসনা ক্রমান্বয়ে পরবর্তি বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম,নির্বাচনে "কুইনীনের" মতই কায্যকরি ভুমিকা পালন করতে থাকে। মানুষকে আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করার কাজে শিল্পী-সাহিত্যিকদের অবদান ছিল অনেকটা ঘটকের মতো। শিল্পি সাহিত্যিকদের "ইস্পাত কঠিন" একতাবদ্ধতার কারনে পুর্ব পাকিস্তানের সকল রাজনৈতিক দলকে "জোটবদ্ধ "করতে প্রভুত সাহায্য করে।গঠিত হয় হক-ভাসানীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট।এর আগে কখনই জোট বদ্ধ আন্দোলন ও নির্বাচনের রাজনীতি দেখা যায়নি। ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তির প্রত্যক্ষ প্রভাব আমরা দেখতে পাই ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে। ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলনে। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে। তখন ভাষার দাবীতে যে আন্দো -লন গড়ে উঠেছিল,  বাঙ্গালীর ঘরে জম্ম নিয়ে,মাছে ভাতে বাঙ্গালী হয়েও একশ্রেনীর ধর্মাগ্ধ মানুষ অধার্মীক পাকিস্তানের দালালদের যোগসাজসে বিরুধীতার ভুমিকায় অবতিন্ন হয়েছিল।তাঁর ধারাবা -হিকতা দেখা যায় ৫৪সালের যুক্তফ্রন্ট সরকারের বিরুধীতায়। ৬৬ ইং সালের বঙ্গবন্ধুর ৬দফার বিরুদ্ধে অপ্প্রচার, প্রপাগান্ডায়।   ছয় দফা  দাবী মানা হলে  পুর্ব পাকিস্তানের সব মসুলমান হিন্দুই হয়ে যাবে।দেশ ভারত হয়ে যাবে।৬৯ ইং সালের গন অভ্যু -ত্থানকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টার মধ্যেও দেখা যায় অশুভ শক্তির ছায়া। '৭০ সালের সাধারন নির্বাচনে চক্রটির মুল নির্বাচনী প্রচারই ছিল,নৌকায় ভোট দিলে ইসলাম থাকবেনা। পুর্বপাকিস্তান  ইন্ডিয়া হয়ে যাবে। মসজিদ থাকবেনা,সব মসজিদ মন্দির হয়ে যাবে।'৭০ এর সাধারন নির্বাচনে ইসলাম ধর্মকে উলঙ্গ ব্যবহার করে নৌকার বিজয়কে থামানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে নুরুল আমীন গংদের প্রচার প্রচারনায় জনগন কান না দিয়ে বিপুল সংখ্যা গরীষ্ট ভোট ও আসন জনগন  আওয়ামী লীগকে দেয়। একই ধারাবাহিকতায় তাঁদের প্রেতাত্বাদের আস্ফালন দেখা গেছে নির্মম নিষ্ঠুর ভাবে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে। পাকিস্তনী সেনাদেরকে প্রত্যক্ষ অস্ত্রহাতে চক্রটি সহযোগিতা করে।বিভিন্ন বাহিনীর জম্ম দিয়ে মুক্তি যোদ্ধা,বাংলার বুদ্ধিজীবি -দের হত্যার মধ্যে। বাঙ্গালী মা বোনদের ধরে নিয়ে খাঁন সেনাদের মনোরঞ্জনে তুলে দেয়ার মধ্যে।প্রকাশ্য ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে ফতোয়া জারী করতেও চক্রটি দ্বিধা করেনি। ফতোয়া জারী করে বলেছিল, বাঙ্গালী মা বোনদের ইজ্জত লুটে নেয়া নাকি জায়েজ হবে"। মুক্তি যুদ্ধে পরাজিত হয়ে চক্রটি কিছু সময়ের জন্য গর্তে লুকিয়ে ছিল।গর্তে লুকালে কি হবে ষড়যন্ত্র ঠিকই অব্যাহত রেখেছিল।সেই ষড়যন্ত্রের নির্মম আঘাত বাঙ্গালীর অস্তিত্বে বসিয়ে দেয় ১৯৭৫ ইং সালের ১৫ই আগষ্ট নিকষ কাল রাতে।বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের উম্মেশকারী, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বনদ্রষ্টা,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে। পিরিয়ে নেয় বাঙ্গালীর নিজস্ব জাতীয়তা বোধের বাঙলাদেশকে উপনিবেশিকদের পুরাতন ধারায়। নাম রাখে, বঙ্গবন্ধুর দেয়া স্বপ্নের বাংলাদেশ ভিত্তিক" বাংলা দেশী জাতীয়তা বাদ".। কি চরম ধোঁকা,মাত্র সাড়ে তিন বছর আগে যে দেশটি জম্ম নিল সেই দেশের কৃষ্টি,সংষ্কৃতি,আচার আচরন কবে নিল জম্ম? তাও বাঙ্গালীকে গেলানো হল অভিনব কায়দায়। চক্রটি আবার চরম ভাবে পরাজিত হয় ২০০৮ইং সালের নির্বাচনে।বাঙ্গালীর মেধা,মনন, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদান কারি সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তাঁর নেত্রী জাতির জনকের জৈষ্ঠকন্যা শেখ হাসিনার নিকট।পরাজিত হলে কি হবে,ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সরকারের মদদ পেয়ে চক্রটি ইতিমধ্যেই ব্যাপক শক্তি সঞ্চয় করতে সক্ষম হয়েছে।২০১৪-১৫ সালে সাধারন নির্বাচনকে সামনে রেখে চক্রটি করুন নির্মম,নগ্নভাবে ঝাপিয়ে পড়ে বাঙ্গালীদের উপর। নষ্ট করতে থাকে বেসুমার রাষ্ট্রীয় সম্পদ।পুড়ে মারে জ্যান্ত মানুষ। পেট্রোল বোমার আঘাতে ক্ষত বিক্ষত করে দেয় সাধারন মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।সারা গায়ে আগুনের ঝলসে যাওয়া ডগডগে ক্ষত নিয়ে পঙ্গুত্ব বরন করে শত শত মানুষ।আগুনে পুড়িয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করেনি আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ "কোরান শরীফ"পয্যন্ত। বর্তমান সরকারের দৃডতা, অকোতোভয় মনোভাব, দেশ প্রেমের অফুরন্ত বৈশিষ্টের কারনে পরাজিত হয়েছে ঠিকই তবে ষড়যন্ত্র অব্যাহত গতিতে চলছে। সুযোগ পেলেই কাপুরুষের মত পিছন দিক থেকে একের পর এক আঘাত করছে,লেখক, সাহিত্যিক, রাজনীতিক, ব্লগার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান,ধর্মীয় সমাবেশে। তাঁরই সর্বশেষ আঘাত লক্ষ করা যায় ব্রাম্মন- বাড়িয়া। ভাড়া নিয়ে তর্কের এক পয্যায় ওরা হামলে পড়ে আমাদের সংষ্কৃতি, কৃষ্টির  উৎসস্থল গুলীতে। ভেজ্ঞে ফেলে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কায্যালয় সহ অন্যন্ন স্থাপনা।   ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাম্প্রদায়িক শক্তির সহিংস হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সারা দেশের নাট্য কর্মীদের অভিভাবক সংগঠন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। উভয় সংগঠনের পক্ষ থেকে সহিংসতা সৃষ্টিকারী সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর বিচার ও তাদের প্রতিরোধের আহ্বান জানানো হয়। সমাবেশে উপস্থিত বক্তাদের মতে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে উপলক্ষ করে এই তাণ্ডব চালানো হয়েছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির আক্রমণের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মন- বাড়িয়ায় রাজনৈতিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ভোটের রাজনীতির কারনে রাজনৈতিক দলগুলো এই সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারেনি। বৃহৎ সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে এই ব্যর্থতা ঘোচাতে হবে। সহিংসতা ঘটানো অপশক্তির সঙ্গে সম্পৃক্তরা জানে না যে, সংস্কৃতির বিনাশ নেই। এটি সহজাত প্রক্রিয়ায় চলে। কোনো -ভাবেই এর গতি রুদ্ধ করা যায় না। মৌলবাদী শক্তির এমন ঝটিকা আক্রমণ অনেক দিন ধরেই চলছে। আর সব সময় তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে বিজ্ঞান মনস্ক ও প্রগতিশীল মানুষ এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। এই অপশক্তির মোকাবেলায় কেবল মাত্র মাদ্রাসা শিক্ষা যুগপোযুগী করলেই হবেনা। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। সর্ব শক্তি দিয়ে তাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।যে কোন মুল্যে তাঁদের বিনাশ করতে হবে।সকল অশুভ শক্তির উৎসস্থল জ্বালিয়ে পুড়িয়ে চারখার করে দিয়ে আগামী প্রজম্মের জন্য নতুন বাংলাদেশ, প্রগতিশীল বাংলাদেশ, অসাম্প্র দায়ীক বাংলাদেশ,জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।    আমি মনে করি,সাধারন চিন্তাচেতনার একজন সচেতন নাগরীকের উপলব্দি করায় কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে, ব্রাম্মনবাড়ীয়ার সহিংস ঘটনার পরপরই চক্রটির ত্রান কর্তার ভুমিকায় '৭৫সাল থেকে অবতির্ন্ন বিএনপি জামায়াত জোট ও তাঁদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহন করে প্রতিষ্ঠিত সত্যকে অস্বীকার করে জনমনে বিভ্রান্তি চড়ানোর নয়া কৌশলের দিকে তাকালেই। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিতর্ক উত্থাপন করে একের পর এক  চ্যালেঞ্জ চুঁড়ে জাতিকে সহিংস করে তোলার অপপ্রয়াস এবং মুক্তিযুদ্ধাদের ধৈয্যচ্যুতি ঘটিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ স্বীকার করার অপচেষ্টা ছাড়া আর কি হতে পারে?৭৫ ইং থেকে ২০০৬ইং মাঝ খানে ১৯৯৬-২০০১ ইং বাদ দিলে তাঁরাই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ ব্যয় করে শহিদ দিবস সহ অন্যান্ন জাতীয় দিবস পালন করেছে। তখন মনে ছিলনা, মুক্তিযুদ্ধে ত্রীশ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়নি। এখন তাঁদের মনে হচ্ছে পরম বন্ধুরা যখন একের পর এক ফাঁসীর রজ্জুতে ঝুলছে।তাঁদের বাছাবার সকল চেষ্টা ব্যার্থ হওয়ার পর নতুন আঙ্গিকে ষড়যন্ত্রের নকশা বাস্তবায়নের ছকের অংশই হচ্ছে লাগাতার মুক্তিযোদ্ধা,  শহীদ পরিবার,মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙ্গালী অস্তিত্বে আঘাতের মর্ম। প্রাচীন যুগ থেকে এই দেশের সাহিত্যপ্রীতি প্রবণতা ও সঙ্গীতের প্রাধান্য দেখা যায়। লোকনৃত্যে, সাহিত্যে ও শিল্পে একটি আধ্যা -ত্মিকতার ছাপ দৃশ্যমান। বাংলার ভাটিয়ালি, বাউল, মুর্শিদি, মারফতি প্রভৃতি গানের মধ্যে এখানকার জনজীবনের অন্তরের সুরটি ধ্বনিত হয়। কবিগান, যাত্রা, জারি, সারি, পালাগান, কীর্তন ইত্যাদির সঙ্গে এই দেশের মানুষের সম্পর্ক নিবিড়। যত দিন বাঙালি আছে, বাংলা ভাষা আছে, শহীদ মিনার আছে, একুশে ফেব্রুয়ারি আছে, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ দাসের কবিতা আছে, লালন ফকির, হাসনরাজা ও ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর সঙ্গীত আছে তত দিন জঙ্গিরা যত চেষ্টাই করুক না কেন, সহিংসতা, সন্ত্রাস ও ধর্মান্ধতার মাধ্যমে আবহমান বাংলার এই সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে পারবে না। বাঙালি জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এবারের ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারীতে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার ও সূর্যসম রক্ত শপথ।    "জয় বাংলা     জয় বঙ্গবন্ধু             জয়তু দেশরত্ম  শেখ হাসিনা"