জোটনেত্রী খালেদা প্রতিহিংসার আগুনে বেসামাল,লক্ষ ডলার পুঁজি ঢেলে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা ফাঁস। ============== দেশের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ,দেশপ্রেমিক নাগরীক,সুশীল সমাজ,মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী,স্বাধীনতা প্রিয় জনগন আগেই বার বার বলেছিল,এবং কি আমি অভাগা নীজেও সতর্ক করে বলেছিলাম,খালেদা জিয়ার বর্তমানের সুন্দর মনভোলানো বক্তব্য আসল বক্তব্য নহে।ভিতরে কুছ কুছ কালা হ্যয়।জাতিয় ঐক্যের আহব্বান জানিয়ে গাঁটের প্যসা খরছ করে,পদ পদবীর জন্য,পরিবার রক্ষার জন্য এই প্রতিহিংসা পরায়ন মহিলা পারেনা এমন কোন কাজ নেই।যে মহিলা স্বামীর কারনে আজ বাংলাদেশের নেত্রী সেই মহিলা স্বামীর বংশের কোন লোক তাঁর ধারে পাশেও আসতে দেয়নি।অথছ নাবালক ছেলে তারেক কে দলের সিনিয়র কি একটা বানিয়ে রেখেছে।কোন আমলে ফুল গাজী থেকে চলে গেছে তাঁর দাদা প্রোদাদারা,একেবারে ফকীর বাপের বাড়ীর সবাই আজ কোটি টাকার মালিক,একাদিক বাড়ী গাড়ীর মালিক।যুদ্ধের পর স্বামীর বাড়ীর লোকজন কি না কি বলেছে, মহিলা প্রতিহিংসায় স্বামীর বাড়ীর দরজায় ও আর কোন দিন যায়নি।স্বামীর ভাই বন্ধু প্রতিবেশি কেউই তাঁর আশে পাশে নেই।যারা প্রতিষ্টিত হয়েছে তাঁরা নীজ গুনেই প্রতিষ্ঠিত হুয়েছে।প্রতিহিংসাপরায়ন মহিলার এবার আসল রুপ বেরিয়ে এসেছে।প্রত্যহ বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে যাহা বলেছেন,জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন,এইগুলী দেশের মানুষের ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে তাঁর স্বার্থ উদ্ধারের কৌশল মাত্র।এই সেই দিন অর্থাৎ গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলের এক আলোচনা সভায় ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি বলতে চাই- ভয়ের কিছু নেই। আপনাদের অভয় দিচ্ছি; আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করব না। কারো প্রতি প্রতিশোধ নেব না।” দলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে ওই আলোচনা সভা হয়। নির্বাচন কমিশন বাতিল করে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানেরও দাবি জানান খালেদা। তিনি বলেন, “আমরা শুধু চাই একটা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।” একইসঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিতে জাতীয় ঐক্যের রাজনীতির ডাকও দেন খালেদা জিয়া। “সরকার আসবে, সরকার যাবে। এদেশে কিন্তু মাত্র দুটি দলই আছে- বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। কাজেই কোনো সময় আওয়ামী লীগ কোনো সময় বিএনপি, সেটারই রদবদল হতে থাকবে। আসুন উন্নয়নের রাজনীতি করি, জাতীয় ঐক্যের রাজনীতি করি। গুম-খুন-হত্যা বন্ধ করে, মামলা-হামলা বন্ধ করে সামনের দিকে দেশটাকে এগিয়ে নিতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।” উপরের বক্তব্যটি বি,এন,পি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার।আর অনেক স্লভা সমাবেশে ও গঠন মুলক জন সম্পৃত্ত রাজনীতি করার অঙ্গিকার দিচ্ছেন।দেশের মানুষ তাঁর বক্তব্যে অনেকটা স্বস্থি বোধ ও করেছিল।তৈল,গ্যাস সম্পর্কিত সরকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের ডাকও দিয়েছিলেন।জনগন সম্পৃত্ত কর্মসূচি হওয়া সত্তেও লোক সমাগম হয়নি।সিঁধুরে গরু,মেঘ দেখলে ভয় পায়"।তেমনি ঘটেছে কর্মসুছির ক্ষেত্রেও। নকশাল ধরনের বিপ্লবী মানষিকতার অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে চোরাগুপ্তা পেট্রোল বোমার আগুনে শত শত মানুষ পুড়িয়ে, বেসুমার সম্পদ ধ্বংশ করে যখন ব্যর্থ হলেন,বিগত পাঁছ মাস মাঝে মাঝে বিবৃতি দিয়ে উপস্থিতি জানান দেয়া ছাড়া কোন কায্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করেননি।বিগত পাঁচ মাসে কম করে হলেও ৭বার ওয়াদা করেছেন আর প্রতিহিংসার রাজনীতি তিনি করবেননা।আছমকা গত ৮/৮/২০১৫ বুধবার ইত্তেফাক সহ সকল দৈনীক পত্রিকা সমুহে এমন একটি খবর প্রকাশিত হয়, যে কোন দেশ প্রেমিক নাগরীকের উদ্ভিগ্ন না হয়ে কোন গত্যান্তর থাকে না।দেশেরর জনমানুষের ভাগ্যের উন্নতি ঘটানোর অঙ্গিকার নিয়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দল কাজ করে।দেশের উন্নতি ঘটান, জনগনের জীবন যাত্রার মানের উন্নতি ঘটানো প্রত্যেক নেতা নেত্রীর ধ্যন সাধনা থাকার কথা।শুধু মাত্র পরিবার রক্ষা আর পদবী রক্ষার জন্য দেশের ক্ষতি সাধন করতে পারে কেহ এটা কি ভাবা যায়?বিগত পাঁছমাস যাবৎমূখ রোচক কথা বলে ভিতরে ভিতরে লক্ষ লক্ষ ডলার ব্যয় করে দেশের ক্ষতি করার চিন্তা ভাবনা যে সমস্ত নেতা নেত্রী করতে পারে তাঁদের কি বাংলা দেশের মাটিতে রাজনীতি করার অধিকার আছে?উল্লেখ্য যে অভিযোগ উত্থাপনের ৪৮/৫২ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও এখনও কোন বিবৃতি দিয়ে দায় অস্বিকার করা হয়নি।তাহলে ধরেই নেয়া যায় উত্থাপিত অভিযোগ সত্য? কি ছিল ইত্তেফাকে ----??আংশিক ইত্তদফাকের লহবর হুবহু তুলে দিলাম---মহাজোট সরকার কে বেকায়দায় ফেলতে এবং বাংলাদেশের ভাবমুর্তি ধুলায় মিশিয়ে দিতে নিম্নের পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করে বি,এন, পি, জামায়াত। ---- * প্রতি মাসে খরচ ৪০ হাজার ডলার * বিএনপির পক্ষে কাজ করছেন ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান * উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকানো, নির্বাচন আদায়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও মার্কিন প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা হবে। ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক লবিং-এ নেমেছে বিএনপি। বড় অঙ্কের অর্থ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে একটি বড় লবিং ফার্ম নিয়োগ করেছে দলটি। একজন ব্রিটিশ আইনজীবীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মার্কিন লবিং ফার্মের সঙ্গে যোগাযোগ চুক্তি সম্পাদন ও নিয়মিত তথ্য প্রদানের জন্য। পাঁচ বছর ধরে চলমান একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নস্যাত্ করা, সহসাই সংসদ নির্বাচন দেয়া, মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা মার্কিন প্রশাসন ও আইন প্রণেতাদের কাছে তুলে ধরার কাজ করছে মার্কিন লবিং ফার্ম। মহাজোট সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে হেয় করতে ও বেকায়দায় ফেলতেই বিএনপি এই ফার্ম নিয়োগ করে। ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক লবিং ফার্ম একিন গাম্প স্ট্রস হাওয়ার এন্ড ফেল্ডকে ফেব্রুয়ারি মাসে বিএনপির জন্য লবিং করতে নিয়োগ দেয়া হয়। বিএনপির পক্ষে মার্কিন ফার্মটির সঙ্গে চুক্তি করেন ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান। প্রাপ্ত চুক্তিপত্র ও শর্তগুলো পর্যালোচনা করে জানা যায়, ব্রিটিশ আইনজীবীর মাধ্যমে বিএনপি প্রতিমাসে মার্কিন ফার্মকে ৪০ হাজার মার্কিন ডলার দেবে। প্রথম পর্যায়ে তিন মাসের ফি এক লাখ ২০ হাজার ডলার দেয়া হয়। কাজের মাত্রা ও ধরন বিবেচনায় মাসিক ফি দ্বিগুণ বা তারও বেশি হতে পারে। ফার্মটি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের বিরুদ্ধে মার্কিন নীতিনির্ধারক, সুশীল সমাজ, থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম এবং সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ, তথ্য প্রদান ও জনমত তৈরির কাজ করবে। মার্কিন লবিং ফার্ম ‘একিন গাম্প’ এর প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন ডিসিতে। গত দুই বছরের বার্ষিক আয় (বছরে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার) বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় লবিং ফার্ম হিসেবে স্বীকৃতি পায় ‘একিন গাম্প’। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার ২১টি বড় শহরে তাদের শাখা অফিস রয়েছে। প্রায় এক হাজার আইনজীবী রয়েছে বিভিন্ন উন্নত দেশ সমুহে। একই দিন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা সংসদে প্রশ্ন উত্তর পর্বে দাঁড়িয়ে যে বক্তব্য দেন তাহা পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের সাথে হুবহু মিল দেখা যায়।এতবড় ষড়যন্ত্র ফাঁস হওয়ার পর ও খালেদা জিয়া এখন বহাল তবিয়তে রয়েছেন।বিশ্বের অন্যকোন দেশ হলে রাষ্ট্র দ্রোহিতার অভিযোগে তিনি এতক্ষনে শ্রীঘরেই থাকতেন। আমি গত কয়দিন আগে লিখেছিলাম,খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের ডাক সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক প্রতারনা।গত তিন চার মাস আগে লিখেছিলাম, খালেদা জিয়ার পরিবার রক্ষার জন্য ছেলেদের সম্পদ রক্ষার জন্য যে কোন সময় যেকোন কাজ করে ফেলতে পারবে।প্রয়োজনে তাঁকে ক্ষমতায় পৌছানোর গ্যারান্টি ফেলে দেশের কোন অংশ দিয়ে দিতেও কার্পন্ন করবে না।তাঁরই প্রতিধ্বনি পাওয়া যায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বক্তব্যে। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বন্ধ করেছে, পরাশক্তি নয় অপশক্তির কারণে। এই অপশক্তি দেশের বাইরের নয়, অভ্যন্তরের। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচার চালিয়েছে, চালাচ্ছে। এরা 'ঘরের শত্রু বিভীষণ'। এদের একজন (বেগম খালেদা জিয়া) একসময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বিরোধীদলীয় নেতাও ছিলেন। এখন কোনটাই নেই। এখন তিনি একটি দলের নেতা। তিনি চিঠি দিয়ে জিএসপি বাতিলের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশে ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপপ্রয়াশে নিউইয়র্কের একটি অখ্যাত পত্রিকায় আর্টিক্যালও লিখেছেন তিনি। অপরজন (ড. ইউনূস) একটি ব্যাংকের এমডি পদ ধরে রাখতে চেয়েছিলেন। তবে আদালতের রায়ে তার এমডি পদ বহাল না থাকায় তিনি এতটাই ক্ষিপ্ত। তারা বাংলাদেশের জিএসপির বিরুদ্ধে লেগেছেন। যুদ্ধপরাধের বিচার বন্ধ করতে বিএনপি-জামায়াত অর্থ দিয়ে আন্তর্জাতিক লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। গতকাল দশম জাতীয় সংসদের ৭ম অধিবেশনের ৭ম কার্যদিবসে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের একটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।তিনি আর বলেন--- জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে বিভিন্ন শর্তসংবলিত 'বাংলাদেশ অ্যাকশন প্ল্যান-২০১৩' বাস্তবায়নের পরামর্শ দেয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি সময়ে সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে অবহিত করা হচ্ছে। অ্যাকশন প্ল্যানের অধিকাংশ বিষয় বাস্তবায়নও হয়েছে। অবশিষ্ট বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। আশা করি, অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে।যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র লবিস্ট নিয়োগের খবরের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতা বিরোধিতাকারী হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি অর্থ দিয়ে লবিস্ট রেখে বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার পরিচালিত করছে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বিএনপি-জামায়াত উঠে পড়ে লেগেছে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। রায়ও কার্যকর করেছি।অপর এক প্রশ্নের জবাবে যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদ- কার্যকরে বিরত থেকে বিদেশ থেকে ফোন পাওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক বড় বড় হোমড়া চোমড়ারাও টেলিফোন করেছিল, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় যেন কার্যকর না হয়। ?ভালো কাজে তাদের কোন ফোন না পেলেও এ কাজে ফোন পেয়েছি, কথাও বলেছি। তবে যেখানেই যত ষড়যন্ত্র হোক, যত বাধাই আসুক না কেন একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে অনড় অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি জাতির পিতার কন্যা। ন্যায়-অন্যায় বোধ আমার আছে। আপনজন সবাকে হারিয়েছি। সব হারিয়ে ?শুধু বাংলাদেশের ?মানুষের জন্য আমরা রাজনীতি। বিচার আমরা বাংলার মাটিতে করেছি। ওই বিচার চলবে এবং চলতে থাকবে, তাতে যা-ই আসুক না কেন আমি জীবনের মায়া করি না। জীবনকে বাজি রেখেই চলি। তাই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।দালালদের কোন দেশপ্রেম ও কর্তব্যবোধ নেই' মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, কেবল লুটপাট, দুর্নীতি, মানুষ খুন, ষড়যন্ত্র করা এর সাথে জড়িত তারা বাংলাদেশের বহু ক্ষতি করেছে। ইনশাল্লাহ তারা ভবিষ্যতে আর কোন ক্ষতি করতে পারবে না। কারণ বাংলাদেশের জনগণ এখন সচেতন। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারী যারা অবশ্যই তাদের বিচার বাংলার মাটিতে আমরা করব। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পন্ন ব্যাক্তি, সচেতন দেশবাসি প্রধান মন্ত্রীর আশ্বাসে আশ্বস্থ অবশ্যই হবে।কিন্তু ষড়্যন্ত্র কারীদের এখন মুক্ত বাতাসে ঘুরতে দেয়ায় সকল দেশপ্রেমিক নাগরীকের মনের মধ্যে জ্বালা উৎগীরন শুরু হয়ে গেছে।অভিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপতার, ড:ইউনুসকে বিদেশের যে কোন স্থানে অবস্থান করুকনা কেন, বাংলাদেশে নিয়ে আসা হোক।হিলারীও তাঁ মেইল চালাচালির জন্য প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।সেখানেও শতাধিক মেইল সুদখোর ইউনুসের রয়েছে।সুতারাং তাঁকে ও বিচাররের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ষড়্যন্ত্র এমন একসময় শুরু করেছে ষড়যন্ত্র কারীরা,যখন বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে উন্নতির শীর্ষ শিখরে অবস্থান নিচ্ছে।জাতিসংঘের সম্মানীয় সব পদ পদবীগুলী বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেত্রটত্বে করতল গত হচ্ছে,এমেরীকার প্রেসিডেন্ট ওবামা ও যখন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভুয়সি প্রসংসায় পঞ্চমূখ,বিশ্বব্যাংক যখন ২০২১ সালে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বিকৃতি দেয়ার প্রস্তুতি এখন থেকে নেয়া শুরু করেছে,তখনই একে একে প্রকাশ হচ্ছে বাংলাদেশ বিরুদি ষড়যন্ত্রের জালের শিকড় কত গভীরে প্রথিত।এই প্রসংে প্রতিতযষা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আনিসুল হকের একটা নিবন্ধ এর কথা না বলে পারছিনা। নিবন্ধটির নাম ছিল""কান্না ভুলে হাসছে স্বদেশ।"তিনি মুলত উত্তর বঙ্গের লেগে থাকা মন্দার উপর তাঁর নিজ অভিজ্ঞতার কথা বলার চেষ্টা করেছেন।দেশরত্ম কি কোশল অবলম্বন করে উত্তর বঙ্গের মঙ্গা যাদুঘরে পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরই বিবরনী দিয়েছেন।তিনি লিখেছেন--- "শেখ হাসিনার সরকার, আগের দুই টার্মে বিশেষ তহবিল করেছেন। এনজিওগুলো তৎপর হয়েছে, কৃষি গবেষকেরা মঙ্গায় ফলে এমন ধানের বীজ আবিষ্কার করেছেন, যমুনা ও ধরলায় ব্রিজ হয়েছে, গার্মেন্টস হয়েছে, বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে, নির্মাণকাজে যজ্ঞ লেগেছে—এখন আর কেউ না খেয়ে থাকে না, উত্তরবঙ্গে মঙ্গা আর নেই। আমাকে যদি বলেন, ২৬ বছরের সাংবাদিকতা আর লেখকজীবনে কী পেয়েছেন, কী দেখেছেন? আমি বলব, আমি দেখেছি উত্তরবঙ্গের মানুষের মুখে মঙ্গা জয়ের হাসি। আমি তো গিয়েছিলাম রংপুরের তারাগঞ্জের গ্রামে, সাদেকা নামের এক গ্রাম্য নারীর তৈরি বেগম রোকেয়া নারী সমিতি দেখতে। তাঁদের পুরুষেরা বলেছেন, আমাদের গোলাভরা ধান, পুকুরভরা মাছ, গোয়ালভরা গরু, আমাদের সব ছেলেমেয়ে স্কুলে যায়, আমাদের গ্রামে বাল্যবিবাহ হয় না, কারণ সে রকম লক্ষণ দেখা দিলে সমিতির মেয়েরা গিয়ে বিয়েবাড়ি ঘেরাও করে, সবাই স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহার করে এবং সবার বাড়িতে টিউবওয়েল আছে—আমরা আর কী চাই। নারীদের আমরা সহযোগিতা করি। কারণ, তারা আমাদের কুঁড়েঘরে টিনের ঘর তুলে দিয়েছে। বেগম রোকেয়ার নারীস্থান নারী-পুরুষের মিলিত স্বর্গভূমি রচনা করেছে তারাগঞ্জের গ্রামটিতে। শ্রদ্ধেয় অমর্ত্য সেন, আপনার তত্ত্বের বাস্তব প্রয়োগ দেখছি এই বাংলাদেশে, গণতন্ত্র আর সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা মিলেমিশে এখানে কেবল দুর্ভিক্ষ দূর করেনি, মানুষের উন্নতি ঘটিয়েছে, নারী-পুরুষের সমমর্যাদা এখানে জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।""

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন