বাংলাদেশের "৭২ইং সালে প্রনীত সংবিধান বিশ্বের যে কোন গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংবিধান থেকে উন্নত লিখিত একটি সংবিধান।তার পর স্বাধীনতার "৪৫বছর পর ও দক্ষ সুসংগঠিত,গনতান্ত্রিক চর্চায় অভ্যস্থ কোন্ন রাজনৈতিক দল বা সংগঠন অদ্যাবদি গড়ে উঠেনি।দক্ষ রাজনীতিবিদ নেই এই কথা বলা ঠিক হবে না।অসংখ্য রাজনীতিবিদ থাকা সত্বেও দল গড়ে উঠেনি বলাই শ্রেয় মনে করি।৬৯ এর গন আন্দোলনের পর তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তানে বর্তমানের আওয়ামী লীগ একক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পর অপরাপর দল গুলী অস্তিত্ব সংকটে পড়ে।অস্তিত্ব সংকটে পড়ার নমুনা ধরা পড়ে ৭০এর নির্বাচনের পর।সেই যে দু:খ্য লাগানিয়া বাংলাদেশের শুরু আজও তাঁর কপালে সুখের দেখা মেলেনি।
  একহাতে যেমন তালি বাজেন,এক পরিবারে সমাজ হয় না,একক প্রার্থীর নির্বাচনের প্রয়োজন হয় না,তেমনি এক দলে গনতন্ত্রের চর্চাও হয়না।বি,এন,পি সেনা চাউনি থেকে জর্ম নেয়ার পর,দলটিকে উর্দি পরা থেকে সিভিলে নিয়ে আসতে আওয়ামী লীগকে কম মুল্য দিতে হয়নি।৭২থেকে ৭৫ এ যা কিছু ঘটেছিল,সব কিছুওর মুলেই কায্যকর,জনসমর্থিত,গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক বিপক্ষ শক্তির অনুপস্থিতির কারনেই ঘটেছিল।রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক বিপক্ষশক্তিশালী বিরোধি দল না থাকলে কি হয় ভালই শিক্ষা গ্রহন করেছিল।শিক্ষা নিয়েছিল বলেই বি,এন,পির মত স্বৈরাচারী দল কে সিভিল সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য মুল্য দিয়ে, রাজপথে তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে মিনিমাম পশ্চিমা ভোটের গনতন্ত্রের রাস্তায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়।দেশের সব শ্রেনী পেশার মানুষ আশা করেছিল সমশক্তি সম্পন্ন দুটি দল বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।বিশ্ব নেতৃবৃন্দ সমভাবেই দুই দলকে বিবেচনা করায় অভ্যস্থ্য হয়ে গিয়েছিল।যদিও তৃতীয় শক্তির একান্ত প্রয়োজন ছিল তা আর হয়ে উঠেনি।তৃতীয় শক্তির উত্থানের জন্য চেষ্টা কম হয়েছেতা বলা যাবে না।জাতীয় ও আন্তজাতিক ভাবে বহু চেষ্টার পর ও তা সম্ভব হয়নি বলা যায়।আন্তজাতিক শক্তি সমুহ অরাজনৈতিক ব্যাক্তির হাতে রাজনীতির তৃতীয় শক্তির চাবি দেয়ার কৌশলের কারনে ব্যর্থ  হয়েছে বলাই উত্তম হবে আমি মনে করি।বাংলাদেশের মানুষ যদিও ধর্মাগ্ধ নয়--তথাপি অধর্মকেও প্রশ্রয় দিতে আগ্রহী নয়, এই ক্ষেত্রেও তাই প্রমান হল।ইসলাম সুদ দেয়া নেয়া এবং তাঁর সাক্ষী সবার জন্য পরকালে শাস্তির ব্যাবস্থা রেখেছেন,বিদেশি শক্তি সমুহ একজন স্বিকৃত সুধখোর ড: ইউনুস কে  তৃতীয় শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে চরম ভাবে ব্যর্থ হলেন।বাংলাদেশের মানুষ তাঁকে প্রথম উত্থাপনেই প্রত্যাক্ষান করে বসে।তাঁর পরবর্তিতে দেশবাসি এবং বিশ্ব বাসি প্রথমসারি বা দ্বিতীয়সারি যে কোন অবস্থানে হোক্না কেন যে রাজনৈতিক দলকে চিন্তা করেছিল সেই দলটিও রাজনৈতিক ভুলের কারনে ইতিমধ্যেই অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে বলে দেশবাসি যেমন মনে করে তেমনি বিশ্ববাসীও মনে করে।দলটির প্রধান নেতার স্বামীর প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলকে স্বামী প্রদত্ত সম্পদ বিবেচনায়,তাঁর পরিবার রক্ষার কাজে ব্যাবহার করতে গিয়ে এই অস্তিত্বের সংকটে ফেলেছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক গন মনে করেন।তাছাড়াও দেশে বিদেশে জনমত গড়ে উঠা মানবতা বিরুধিদের বিচারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তাঁদের স্বার্থ রক্ষা করার চেষ্টা অব্যাহত রাখাও জনগন ভাল ভাবে নেয়নি।ফলে দিনে দিনে দলটি  গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মসুচিতে সন্ত্রাসের আমদানী করে সাময়িক ভাবে জেতার চেষ্টা করেও হীতে বিপরীত হলে, রাজনৈতিক ময়দান থেকেই বিদায় নেয়।
  দেশ আবার স্বাধীনতার ৪৫বছর পর এসে ৭২--৭৫এর মতই গভীর সংকটে নিপতিত হচ্ছে বলে অনুমেয়।শক্তিশালী,জনসমর্থিত,রাজনৈতিক আদর্শ সম্বলীত রাজনৈতিক দলের অনুপস্থিতিতে দেশে যে সমস্ত অশুভ শক্তির উদয় হয় বর্তমানেও তাঁর লক্ষন সুস্পষ্ট ভাবে লক্ষনীয়। বাংলাদেশের প্রসাশন,রাজনীতি,সমাজিকতা,সর্বপুরী রাষ্ট্র পরিচালনায় ইতিমধ্যে প্রস্ফটিত হওয়া শুরু হয়েছে।আজকের প্রথম আলো পত্রিকায় দৈনীক গার্ডিয়ান পত্রিকার একটি প্রতিবেদন চাপিয়েছে।তাঁর আংশিক তুলে দিলাম-----

‘গার্ডিয়ান’ প্রতিবেদন বলছে, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকার সাবেক কর্মকর্তারা হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যে, ‘বাংলাদেশ যেটি কিনা দারুণভাবে দরিদ্র, ১৬ কোটি মানুষ নিয়ে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ, সেটি ক্রমবর্ধমানভাবে ‘রাইপ ফর রেডিক্যালাইজেশন’। এ কথার সরল মানে কি এই যে, ‘বাংলাদেশ নতুন করে একটি উগ্রপন্থা উত্থানের দ্বারপ্রান্তে?’
এরপর তাঁরা যা বলেছেন, তা আরও চিন্তার বিষয়। বিএনপির হিংসাত্মক অবরোধ কর্মসূচি নেই, এমনকি তাদের বা মৌলবাদী জামায়াতে ইসলামীর তরফে অন্তত প্রকাশ্যে বড় ধরনের কোনো কর্মসূচির যেখানে আলামত নেই। যুদ্ধাপরাধের বিচারের পর জামায়াত বড় বেশি দুর্বল। বিএনপি একই কারণে ততটা না হলেও সন্দেহাতীতভাবে বিপর্যস্ত। তাদের মাজা ভেঙে গেছে। জাতীয় পার্টি সরকারের অংশ। সেখানে আমরা কোথায় নিরাপত্তা বোধ বেড়ে যাওয়ার মতো কথা শুনব, কিন্তু তা নয়। ‘গার্ডিয়ান’ বলছে, অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী ঘটনা কমে গেছে সেটা ঠিক। কিন্তু তাতে নিরাপদ বোধ করার কারণ নেই। পত্রিকাটির মতে, জেএমবির সেলগুলো ক্রমশ সক্রিয় হতে শুরু করেছে। ‘গার্ডিয়ান’ বলেছে, ‘সুন্নি মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশ এমন একটি মৌলবাদী পুনরুজ্জীবনের পথে রয়েছে, যা পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশের মতো পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনীয়।’ এর আলোকে একটি প্রশ্ন কি এ রকমভাবে দাঁড় করানো চলে যে, বাংলাদেশ পাকিস্তান হওয়ার হুমকিতে আছে? এমন আশঙ্কার আদৌ কোনো ভিত্তি থাকলে আমাদের অর্জন কোথায়?
বৈশ্বিক জিহাদবাদ বা জঙ্গিবাদ কোনো একটি ভূখণ্ডের নিজস্ব সমস্যা হিসেবে চাপা থাকছে না। তবে এর মধ্যে যেসব রাষ্ট্র যত বেশি ভঙ্গুর ও নাজুক থাকবে, তার বিপদ তত বেশি। যেখানে গণতন্ত্র, সুশাসন ও আইনের শাসন যত বেশি কম বা শিথিল থাকবে, সেখানে ধর্মের নামে অধর্ম বা তার অপব্যবহার তত বেশি ঘটবে।

গার্ডিয়ান’কে শাহরিয়ার কবিরের মন্তব্য, ‘জামায়াত সব সন্ত্রাসের গডফাদার।’ তবে সমাজে সন্ত্রাসের আরও গডফাদার, আরও উদ্বেগজনক উৎস আছে।
‘গার্ডিয়ান’-এর দুই প্রতিবেদক সাইমন টিসডার ও অ্যানা রিদোত আরও মারাত্মক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন, ‘ নাগরিক স্বাধীনতায় নেতিবাচক প্রভাব সত্ত্বেও ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ সরকারের কঠোর অবস্থানকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। কিন্তু ঢাকার ভেতরের খবর রাখেন এমন মহল বলছে, তাঁরা একটি বৃহৎ দৃশ্যপট খেয়াল করছেন না। রাডারের নিচে দেখা যাচ্ছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপকভিত্তিক রেডিকালাইজেশন প্রবণতা।’
এ থেকে উত্তরণের পথ কী? অধিকতর গণতন্ত্রচর্চা তো বটেই।
 এই অধিকতর গনতন্ত্রের চর্চার জন্য অধিকতর গনতান্ত্রিক শক্তিশালী বিরুদি দলের প্রয়োজনীয়তা কি অস্বিকার করার উপায় আছে??সেই দলের রাজনৈতিক উপস্থিতি কি বাংলা দেশে বর্তমানে আছে??তৃতীয় কোন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান কি গত ৪৫ বছরেও সম্ভব করতে পেরেছেন আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ??এই না এর পিছনেও কিন্তু কারন আছে।স্বৈরাচারী সেনা শাষক গন বার বার অভ্যুত্থান পালটা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে তাঁদের ক্ষমতাকে পাকাপাকি করার নিমিত্তে যে নীতি বিবর্জিত অরাজনৈতিক কর্মকান্ড করেছেন,লোভ লালসা,প্রলোভন দিয়ে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের চরিত্র কিনেছেন,ভয়ভীতি দেখিয়ে দলে ভিড়িয়ে অবাধ লুটপাটের সুযোগ দিয়ে চরিত্র হনন করেছেন তাঁরই খেসারতে আমাদের জনগনের রক্তে গড়া রাজনীতিবিদেরা, জনগনের আস্থা হারিয়ে জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারনে, তৃতীয় কোন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটাতে পারেননি বলে আমি মনে করি।প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল ও ব্যাক্তিস্বার্থে রাজনৈতিক কর্মকান্ড করতে গিয়ে আজকে বিলীনের দ্বারপ্রান্তে এসে পড়েছে।আর তাই রাজনৈতিক শুর্নতার কারনে আজকে সমাজের মধ্যেও একধরনের বল প্রয়োগের আভাস দেখা যাচ্ছে।স্বেচ্ছাচারিতার লক্ষন ফুটে উঠেছে।৭২--৭৫ এর মতই গুজবের ডালপালা বিড় হয়ে দেখা দিচ্ছে সমাজে।জনগন আস্থা রাখতে পারছেনা প্রশাসনের উপর।পত্রিকায় এসেছে গুজুবকেই প্রাধান্য দিতে শুরু করেছে মানুষ ।তেমনি ঘটনার ফসল টাঙ্গাইলের ঘটে যাওয়া ঘটনাটি।সরকারি দলের ছোট ভাই এর কারনে তিনটি প্রান জড়ে গেছ্বে।এখানেও পুলিশ কর্মকতার সাথে সুসম্পর্কের  গুজবের মধ্যে সত্যের সঙ্গে কল্পনার রং মিশল। গুজব হলো জনতার মিডিয়া, দুষ্কালে এটা মারাত্মক অস্থিতিশীলতার হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। তারা জানতে পারল, ওই প্রতিহিংসাপরায়ণ স্বামীর বাড়িতে ভাড়া থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তার প্রশ্রয়ও নাকি ছিল। এমন অভিযোগ মানুষকে পুলিশের প্রতিও ক্ষিপ্ত করে তুলল। এবং তারা নারী-পুরুষ, কিশোর-বৃদ্ধ মিলে শয়ে শয়ে থানা ঘেরাওয়ে রওনা হলো। থানার পুলিশ যথারীতি লাঠি ও টিয়ার গ্যাস চালাল। তাতেও কাজ না হলে পুলিশ তার বন্দুকের ব্যবহার করে বসল। রাস্তায় পড়ে থাকল তিনজনের লাশ, আহত হলো ৫০ জন।
রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করার পরও কেন থানা ঘেরাও করতে গেল জনতা, সেই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমেই এই প্রশ্নের নির্ভরযোগ্য উত্তর পাওয়া সম্ভব। আমাদের অনুমান, রফিকুল ইসলাম প্রভাবশালী হওয়ায়, থানার কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা থাকায়, এলাকাবাসী থানার ওপর আস্থা রাখতে পারেনি। অহরহ এ রকম আস্থা ভঙ্গের অভিজ্ঞতা যাদের আছে, তারা সন্দিহান হবেই। যখন হাজার হাজার মানুষ শক্ত কোনো অবস্থান নেয়, তখন যাবতীয় কর্তৃপক্ষের উচিত ধৈর্য ধারণ করা, মানুষের কথা শোনা, আস্থা অর্জনের চেষ্টা করা, অন্যায়ের প্রতিবাদে তাদের ভরসা হওয়ার দরকার তখন। এ দায়িত্বটা প্রথমত, এলাকার রাজনৈতিক নেতাদের, বিশেষ করে সরকারি দলের নেতাদের, যেহেতু বিরোধী দল কার্যত বিলীন।
দ্বিতীয়ত, জেলার প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিদের। তৃতীয়ত, ঘটনার মধ্যে পড়া পুলিশ কর্মকর্তাদের। কিন্তু মিডিয়ার বিবরণ থেকে মনে হয়, কেউই আন্তরিক চেষ্টা করেনি। এলাকার সাবেক সাংসদ লতিফ সিদ্দিকী পদ হারিয়েছেন, এলাকায় যাওয়াতেও তাঁর ভয়। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদেরও কি তেমনই জনবিচ্ছিন্ন অবস্থা?এখানেও যদি আজকে বিরুদি দলের বিবেকবান ব্যাক্তিত্বের উপস্থিতি থাকতো তাহলে কোন অবস্থায় এমনতর ঘটনা ঘটার সুযোগ হতনা বলে আমার বিশ্বাস।রাজনৈতিক ব্যাক্তি তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব দিয়েই এই ঘটনার মিমাংসার চেষ্টা করতেন শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে।জননন্দিত নেতার নেতৃত্বের বাহিরে জনগন যাওয়ার প্রশ্নই উঠতোনা।
  শক্তিশালী,কায্যকর,জনসমর্থিত বিরুদি দলের অনুপস্থিতিতে সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হচ্ছে আমলাতন্ত্রের উত্থান ঘটা।৭২--৭৫ এর অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায়, রাজনৈতিক শুর্নতা পুরন করে আমলারা।এমনতর অবস্থায় জাতির জনকও সম্মুখিন হতে হয়েছিল।জাতির জনক তাঁর অনেক জনসমাবেসে বলতে শুনা গেছে,""আমার কৃষক দুর্নীতি করে না,আমার শ্রমিক,দুর্নীতি করেনা--দুর্নীতি করে শিক্ষিত লোকেরা,দুর্নীতি করে আমলারা।শিক্ষিত ভাইয়েরা, আপনারা কার টাকায় আজকে ইঞ্জিনিয়ার সাহেব হয়েছেন,কার টাকায় আজকে ডাকতার সাহেব হয়েছেন,আপনাদের কাছে আমার অনুরুধ রইলো আপ্নারা তাঁদের সাথে অন্তত ভাল ব্যাবহার করেন"".।বঙ্গবন্ধু বলেই অকপটে সত্য বলতে পেরেছিলেন প্রকাশ্য জনসমাবেশে।তাঁর পর তাদের ঠেকাতে পারেননি।আজকের দিনেও আমরা লক্ষ করছি সেই একই ধারায় আমলারা ফিরে এসেছে। বিগত কয়দিনের পত্রপত্রিকায় সেই ধরনের ইঙ্গিত লুর্ন খবরা খবর চাপানো হচ্ছে।সকারের সিদ্ধান্ত দিয়ে আবার পিছনে যাওয়াতেও আমলাদের দৌরাত্বের ইঙ্গিত বহন করে।

সম্প্রতি কিছু ঘটনার প্রেক্ষাপটে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে যে, ঘুণেধরা আমলাতন্ত্র এবং চরম উচ্চাভিলাষী আমলাদের নানা রকম কারসাজি সরকারের বিভিন্নমুখী সাফল্যকে কিছুটা মস্নান করে দিচ্ছে। এটা সরকারের নীতিনির্ধারকরা বুঝেও না বোঝার ভান করলেও জনগণ ঠিকমতো নিচ্ছে না। এই যে, সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত জনগণ ঠিকমতো গ্রহণ করছে না, তার ফলশ্রুতি হচ্ছে সরকারের ওপর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়তে পারে। আমলাদের কারণে সরকারের ওপর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
গণতান্ত্রিক এবং সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থায় রাষ্ট্র পরিচালনা করেন জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ, সংসদ সদস্য এবং তাদের মাধ্যমে মনোনীত মন্ত্রীরা। সব গণতান্ত্রিক দেশে আমলারা কাজ করেন মন্ত্রীদের নির্দেশে। মন্ত্রিপরিষদ সভার নির্দেশ, পরামর্শ এবং সিদ্ধান্তের আলোকে মন্ত্রণালয়ের সব ধরনের কর্মকা- সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার একমাত্র মন্ত্রীদের। এভাবেই চলছিলও। কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে আমলারা অনেক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন মন্ত্রী এবং সরকারের ওপর। আমলারা সুকৌশলে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলেও সেই সিদ্ধান্তের ফলে কোন বিরূপ পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তার দায় কোন আমলাই গ্রহণ করেন না। তখন সব দায়-দায়িত্ব জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে সরকার এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের ওপর। কোন সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সরকারকে পিছু হটে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে এবং ভাবমূর্তি সংকটে পড়তে হয়।
  এমনতর পরিস্থিতিতে দেশের বুদ্ধিজীবি,সাংবাদিক,রাজনীতিবিদ সকলের নতুন করে চিন্তা করার প্রয়োজন আছে।রাজনীতি শুন্য, বিরুদিদল শুন্য ভাবে দেশ চলতে পারেনা।পতিত,অধ:পতিত দিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।কোন কালে অধ:পতিত কোন পরিবার আবার ঘুরে দাঁড়াতে সহজে পারেনি,যুগের পর যুগ অপেক্ষার পর হয়তো কোন পরিবার পেরেছে,।রাষ্ট্রের ব্যাপারটি একই হলেও এক্ষেত্রে তদ্রুপ সময়ক্ষেপন সম্ভব নহে,বা রাজনীতি শুন্য থাকতে দেয়া উচিৎ নহে।বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটানো দেশের জন্য প্রয়োজন,সমাজের স্থীরতার জন্য প্রয়োজন,আগামী প্রজর্মের সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন পুরন করার জন্য প্রয়োজন।আর সেই বিকল্প শক্তি হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ,স্বাধীনতায় বিশ্বাসি,দেশপ্রেমিক,আদর্শবান জনপ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে।
অবশ্যই অচিরেই সেই শক্তির উত্থান জাতির কল্যানের ধারক বাহক আর্শিবাদ বয়ে আনবে।

 জয়বাংলা    জয়বঙ্গবন্ধু
জহতু দেশরত্ম শেখহাসিনা।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা