পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
ছবি

জঙ্গি দমনে সরকার অনেকটাই সফল,নতুন উদ্ভব দানব দমন করা সম্ভব হবে--???

ছবি

জঙ্গি দমনে সরকার অনেকটা সফল হলেও বর্তমানের দানব দমন কি সম্ভুব হবে?

ছবি

গৌরবের শিখরে আমার প্রিয় বাংলাদেশ >>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>> বাংলাদেশ আওয়ামি লীগের প্রচার সেল অত্যান্ত দুর্বল।মহান স্বাধীনতার পর থেকেই বরাবর লক্ষ করলে দেখতে পাওয়া যায়,কোন প্রপাকান্ডের জবাব দেয়ার মত সামর্থ দলটির আছে- লক্ষ করা যায়নি।বিদেশী সাংবাদিক,পয্যবেক্ষক,বিশেষজ্ঞগন বিভিন্ন ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে; যে কোন বিষয় ইতিবাচক মতামত প্রকাশ করে, তখনি কেবল বিষয়টি নিয়ে মাতামাতি হয়।প্রধান মন্ত্রী গুরুত্বপুর্ন কোন তথ্য দিলেও দলটি এযাবৎ সে তথ্যকে হাইলাইট করে জনগনের নিকট পৌছাতে বার বার ব্যার্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে।দলের নেতিবাচক বিষয়াদি নিয়ে বিরুদিরা হৈচৈ করে দেশে বিদেশে সরকারের ভাবমুর্তি বিনাশ করলেও দলটি প্রচার উইং থেকে জবাব দেয়ার জন্য তদ্রুপ কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়না।যেমন বিরুদিদল লক্ষ লক্ষ টাকা খরছ করে বিদেশী লবিষ্ট ফার্ম নিয়োগ দিয়ে প্রপাকান্ড চালাচ্ছে;বি,এন,পি নেত্রী নীজেও স্বশরীরে সে প্রপাকান্ডে যোগ দেয়ার জন্য বর্তমানেও নিউইয়র্ক অবস্থান করছেন।এই লবিষ্ট ফার্মের এগিনিষ্টে দলগতভাবে আওয়ামী লীগ পালটা লবিষ্ট নিয়োগ দেয়ার প্রয়োজন ছিল।কিন্তু বরাবরের মতই দেখা যাচ্ছে তাতো করেইনি, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক,বা দলের বিদেশ সক্রান্ত কোন উপকমিটির নেতৃত্বে- এযাবৎ কোন দেশ সফর করে, সরকারের ইতিবাচক কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে, বিদেশি বন্ধু সংস্থা বা সরকার প্রধান,সংশ্লিষ্ট বিষয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত কোন ব্যাক্তির সাথে সাক্ষাতও করেননি।দেশের অভ্যন্তরে সভা সমাবেশ, প্রবন্ধ নিবন্ধ প্রকাশ করেও কোন প্রচারনার উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।রাস্তায় রাস্তায় দেখা যায় ব্যাক্তি বিশেষের গুনগান করে বড় বড় বিলবোর্ড আর তৌরন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী নীজ উদ্যোগে ইতিবাচক কোন বিষয়ে কোথাও কোন বক্তব্য দিয়ে জানিয়ে দিলেও তা দল প্রচার করার জন্য সম্মিলিত কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়না।আওয়ামী লীগের প্রতি অনুগত লিখক বিশ্লেষকেরা যতটুকু সম্ভব লেখালেখি, টক শো করে প্রচার করেন তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে দেশের মানুষকে।কিন্তু তাঁরা এব্যাপারে দায়িত্ব প্রাপ্ত বা স্বীকৃত কোন ব্যাক্তি বা সংস্থা নন,দলের পক্ষে বলার।বিবেকের তাড়নায় হোক অথবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হওয়ায় আওয়ামী লীগের প্রতি মানষিক ভাবে দুর্বল বিদায় লিখার বা বলার চেষ্টা করে থাকেন। দেশবাসি সকলের জানা আছে বি,এন,পি ক্ষমতা ত্যাগ করার সময়ে বিদ্যুৎ এর কি বেহাল অবস্থা ছিল।তত্বাবধায়কের হাত থেকে ২০০৯সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহন করার পর দেখা গেছে কোথাও বিজলী বাতি জ্বলেনা।সে করুন অবস্থা থেকে সকারের তড়িৎ পদক্ষেপের কারনে স্বল্প সময়ে বাতি জ্বালিয়ে দেশকে অন্ধকার থেকে উত্তরনের যে মাইল ফলক স্থাপন করেছেন তাও দলীয় ভাবে প্রচারে আনতে পারেনি।সরকারীভাবে যতটুকু দেশবাসি জেনেছে তাঁর সিকিভাগও যদি দলীয় প্রচারে থাকতো, তাহলে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে নীজে বলতে হোত না বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্বাপনে আমরা সেঞ্চুরী করেছি।তাঁর আগেই দেশের মানুষ জেনে যেত মাননীয় প্রধান মন্ত্রী অদ্য কততম বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্ভোধন করার জন্য সিলেট যাচ্ছেন বা ভিডিও কনফারন্সের আয়োজন করা হচ্ছে।জাতির জনকের কন্যা নীজ থেকে এত বড় একটা সাফল্যের সংবাদ দেয়ার পরও দলের প্রচার উইং থেকে তাঁর তালিকা সংবলিত কোন তথ্যকনিকা প্রকাশ করতে পারেনি।সংবাদ মাধ্যমের কর্মী, বিশেষজ্ঞ গনের বিশ্লেষন,টেলিভিশনের টক শোতে সুশীল সমাজের ইতিবাচক আলোচনা থেকে দেশের মানুষ যতটুকু জেনেছেন ততটুকুর মধ্যেই প্রচারকায্য সীমাবদ্ধ রইলো।অথছ সকারের প্রথম অবস্থায় সংকট নিরসনের আন্তরিকতার নিদর্শন কুইকরেন্টাল প্লান নিয়ে বিরুদিরা যে অপপ্রচার করেছিল তাঁর সমুচিত জবাব প্রধান মন্ত্রীর সেঞ্চুরীর একটা সামান্য উক্তিই হতে পারতো অন্যসব প্রচারনার সমুচিত জবাব। (১)বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সেঞ্চুরি --------------------------------- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে প্রায় ৪৭৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার নতুন ৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ৩ কেন্দ্রের উদ্বোধনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে দেশে একশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হলো। এর মধ্যে ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিগত সাড়ে ৬ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ৭৩টি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। গত সাড়ে ৬ বছরে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। দেশের সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (ক্যাপটিভসহ) উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমানে ১৪ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ছাড়িয়ে যাবে বলে দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী, যা খুবই আশার কথা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর ‘বিদ্যুতের হাহাকার’ দূর করতে প্রথমে ‘ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র’ করা হয়।বর্তমানে সরকার অনেকগুলো ‘মেগা প্রজেক্ট’ হাতে নিয়েছে।মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি প্রকল্প গুলোতে একটু সময় লাগবে। কিন্তু বাংলাদেশে কখনো যেন আর বিদ্যুতের সমস্যা না হয়- সেদিকে লক্ষ রেখেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। একই অনুষ্ঠান থেকেই প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করতে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর কাজ সঠিকভাবে ও সময়মতো শেষ করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন। সরকার বিদ্যুতের মেগা প্রকল্প নিয়ে জোরোশোরে কাজ করছে এবং যথাসময়েই বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বর্তমান সরকারের সাফল্য সর্বমহলেই স্বীকৃত।আমরা আমাদের সক্ষমতার সবটুকু ব্যবহার করতে পারছি না। দেশে গ্যাসের মজুদ কমে আসছে। তেল-গ্যাসের অভাবে আমাদের সক্ষমতার অনেক কম বিদ্যুৎ আমরা এখন উৎপাদন করতে পারছি। কাজেই উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াই যথেষ্ট নয়। বর্তমান বাস্তবতায় কয়লাভিত্তিক বড় বিদ্যুৎ প্রকল্পের বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের প্রসার ঘটাতে হবে। বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালন অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনার উন্নতি ঘটাতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার ঘোষণা করেছেন সরকার প্রধান জাতির জনকের কন্য।দেশ উন্নয়নের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো, বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাথমিক কাঁচামালের সরবরাহ নিশ্চিত করা, আমদানি বাড়ানো, অপচয়-দুর্নীতি কমানো সব দিকে গুরুত্ব দিয়ে এগোতে হবে সরকারকে।সরকারের কর্মতৎপরতায় দেখা যাচ্ছে বিদ্যুৎক্ষেত্রে সরকার শতভাগ সফলতার দিকে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। (২)একশত অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষনা:-- ----------------------------------- দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে পর্যায়ক্রমে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কথা জানিয়েছেন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী। ইতোমধ্যে দেশে ২১টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে এ সংখ্যা একশতে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এতে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আরো গতিশীল হবে।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডের তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে তোলার তাগিদ দিয়ে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে নতুন নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। ইতোমধ্যে নতুন কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলের সম্ভাবনার বিষয় বিবেচনায় নেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংশ্লিষ্ট এলাকার সম্পদের পর্যাপ্ততার ভিত্তিতে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ওইসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিবেচনায় নিতে হবে। এ ধরনের উদ্যোগ বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। সরকার ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সেই অনুযায়ী কাজও করছে। এ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়ন পূর্বশর্ত। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দ্রুতবেগে দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যা প্রশংসার দাবিদার। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটি হলো নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে নতুন প্রবাহ সৃষ্টি হবে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়লে কারখানা সৃষ্টি হলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হবে মনে করছেন দেশী বিদেশী বিশেষজ্ঞন। আগামী ১৫ বছরের মধ্যে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের মাধ্যমে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান এবং ৪ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা যাবে বলে বিশেষজ্ঞগনের অভিমত।সরকার সে লক্ষ্যেই একের পর এক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। বিনিয়োগ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে নতুন আশাবাদ তৈরি হয়েছে দেশী বিদেশি মহলের নিকট। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের চেহারাই বদলে যাবে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো প্রতিষ্ঠিত করতে হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য সস্তায় শ্রম পাওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে,বাংলাদেশ দুতাবাস সমুহ বিভিন্ন প্রচারনা মাধ্যমে সেই দেশের উদ্যোগতা কোম্পেনী সমুহকে অনবরত জানানোর উদ্যোগ গ্রহন করা আবশ্যক। বাংলাদেশের প্রতি আকৃষ্ট করার অন্য উপায় গুলীও কাজে লাগানোর ব্যাবস্থা নিতে হবে। জিএসপি সুবিধাও এ ক্ষেত্রে একটি বাড়তি বিবেচনা। অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ সমস্যার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার ব্যাপক উন্নতি করেছেন বলে বিদেশী বিনিয়োগকারী গন মনে করেন,পজেটিভ এই ধারনাকে সুসংহত করার ব্যাবস্থা নেয়া প্রয়োজন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে অন্য অনেক সময়ের তুলনায় বিনিয়োগের পক্ষে -প্রচারের ক্ষেত্রে বিষয়টির উপর গুরুত্ব দেয়া যেতে পারে।অন্যসব সমস্যার সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন,যাহা বিনিয়োগে আগ্রহী করার ক্ষেত্রে এখনও বাধা হিসেবে তাঁরা মনে করে। সর্বোপরি, দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে হলে সর্বাগ্রে বর্তমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে- যে কোন মুল্যে।এর পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের গ্রামমুখী করার ব্যবস্থাও করতে হবে। তাদের দিতে হবে আয়কর মুক্তি। দূর করতে হবে অবকাঠামোগত অসুবিধা ও যোগাযোগের সমস্যা। বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য এসব পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। তাহলেই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো প্রতিষ্ঠার সাফল্য বয়ে আনবে। (৩)বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল। ---------------------------------- পত্রপত্রিকার খবরে প্রকাশ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে নতুন রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২ হাজার ৭০০ কোটি (২৭ বিলিয়ন) ডলার অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ এন্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ১৭ আগস্ট রিজার্ভ প্রথমবার ২৬ বিলিয়নের ঘর অতিক্রম করেছিল। ওইদিন রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৬ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়। বাংলাদেশের আমদানির বর্তমান গতিধারা বলছে, এ রিজার্ভ দিয়ে অন্তত ৭/৮ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মার্কিন ডলারের বিপরীতে স্থানীয় টাকার শক্তিশালী বিনিময় হার ধরে রাখা, রপ্তানি সহায়তা তহবিলের পরিমাণ ও ব্যবহারের আওতা সম্প্রসারণ, রপ্তানি ও প্রবাসী-আয় বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ইতিবাচক অগ্রগতির ফলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত নতুন উচ্চতায় উঠেছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের দাম কমায় দেশের আমদানি ব্যয় কমেছে। এটিও বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। গর্ব করার বিষয়টি হচ্ছে দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে পৌছে গেছে।এই ধারা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ আশা করি বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রহন করবে। (৪) আই,এম,এফের কিস্তি ছাড়। --------------------------------- এ যাবৎকাল দেখা গেছে বিদেশি সংস্থা,বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অন্যান্ন লগ্নিকারক প্রতিষ্ঠান সমুহ অর্থছাড়ের ব্যাপারে বিভিন্ন কলাকৌশলের আশ্রয় নিত।অনেক সময়ে এক কিস্তি ছাড়ের পর আরেক কিস্তির সময় পার হয়ে গেলেও বিভিন্ন অজুহাতের কারন দেখিয়ে বিলম্ব ঘটাত।অনেক সময় ছলচুতোয় অর্থ প্রত্যাহার করে নিয়ে অন্য আর এক দেশকে সে অর্থ দিয়ে দিত।বাংলাদেশ সহ তৃতীয় বিশ্বের দেশ সমুহের প্রতি তাঁদের এই আচরন প্রতিনিয়ত বলবৎ ছিল। দেশের অভ্যন্তরে সরকারের ব্যার্থতার দলিল হয়ে আলোচনা সমালোচনার তুফান বয়ে যেত।স্বজনপ্রীতি,দুর্নীতি,লুটপাটের বিভিন্ন মুখরোচক কল্পকাহিনী ডালপালা মেলে সাধারন মানুষের মনে সরকারের নীতি নৈতিকতা নিয়ে বিরুপ ধারনার সৃষ্টি হত। কিন্তু এইবার তাঁর উলটো চিত্র দেখা গেল বাংলাদেশের ক্ষেত্রে। প্রতিশ্রুতির কিস্তির তৎবিরের আগেই একসংগে দুইটি কিস্তি বাংলাদেশ ব্যাংকে আই,এম,এফ জমা করে দিয়েছে।বিদেশী গনমাধ্যমের আলোচনায় এসেছে,বর্তমান সরকারের কর্মযজ্ঞে সন্তুষ্টতার কারনে আই,এম,এফ এই পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। যাতে কোন প্রজেক্টের অর্থের কারনে ভোগান্তি না হয়।নিসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য ইহা একটি পজেটিব দিক।এই সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে পারলে অন্যান্ন সংস্থা গুলীও আই,এম,এফ এর পদক্ষেপকে অনুস্মরন করতে বাধ্য হবে।এতে লবিং খাতে বিপুল অর্থব্যায় সাশ্রয়ের সাথে সাথে দেশী বিদেশী ঠিকাদারদের বিল সময়মত পরিশোধে, তাঁদের নির্মান কাজের গতিও অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।সরকারের নির্দিষ্ট সময়ের বাধ্যবাধকতা সম্পন্ন কাজগুলীও যথারীতি সময়মত আদায় করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আরো সচেতন ভাবে সরকারের সকল ইতিবাচক কাজে সম্পৃত্ত থেকে সহযোগিতা করা একান্ত প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।সরকারের সফলতা সমুহকে প্রচার করার জন্য আরো উদ্যোগি ভুমিকা পালন করা দরকার।আন্তজাতিক পয্যায়ে লবিষ্ট নিয়োগ করে ষড়যন্ত্রকারীদের নেতিবাচক অপপ্রচারের যথাবিহিত জবাব দেয়ার উদ্যোগ দলীয় অর্থব্যায়ে করা প্রয়োজন।দেশের অভ্যন্তরে দলীয় ডনদের কির্ত্তি জাহির করার জন্য নির্মিত বিলবোর্ড সমুহকে সরকারের বিভিন্নকাজে সফলতার তালিকার বোর্ডে রুপান্তরীত করে সফলতার চিত্র জনসমক্ষে তুলে ধরার ব্যাবস্থা গ্রহন করা যেতে পারে। আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা কর্মিদের স্মরন রাখা প্রয়োজন'৭২--'৭৫ এ বঙ্গবন্ধু সরকারের যুগান্তকারী বহু পদক্ষেপ থাকার পরও এবং সদ্যস্বাধীনতা প্রাপ্ত যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশকে মাত্র তিন বছরের মধ্যে পুর্নগঠন করার কৃতিত্ব থাকার পরও আমেরীকা কতৃক কৃত্তিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষের আগুন জালানোর চেষ্টা সত্বেও বংগবন্ধু দেশকে স্থিতিশীল করে চালের দাম দশ টাকার মধ্যে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সরকার সফল হলেও আওয়ামী লীগ ব্যর্থ ছিল বলে অকালে জাতির জনককে জীবন দিতে হয়েছিল।সামান্য অপপ্রচারের জবাব সেদিন আওয়ামী লীগের প্রচার উইং দিতে পারেনি।যে সমস্ত উদ্ভট গুজব ছড়িয়ে জনগনকে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল, সেই সমস্ত গুজবের কোন ভিত্তি ছিলনা।আজ পয্যন্ত তাঁর প্রমান কেউ হাজির করে জননেত্রীর সংসদে দেয়া চেলেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারেনি।কথিত শেখ কামালের ব্যাংক ডাকাতির কোন নজির ২১ বছর সরকারে থেকেও তাঁরা জাতির সামনে তুলে ধরতে পারেনি,সেদিন ব্যাংকের ভল্টে কতটাকা ছিল শেখ কামাল কত টাকা নিতে পেরেছিল।অথবা কি তেলেসমাতি করে নিয়ে যাওয়া টাকার ঘাটতি ব্যাংক কতৃপক্ষ পুরন করেছিল। আওয়ামী লীগের অহমিকার কারনে,প্রচার সেলের দুর্বলতার কারনে সেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পেরেছিল।জীবন দিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রমান করেছেন বাঙ্গালি জাতিকে তিনি কত ভালবাসতেন।তাঁর গৃহিত পদক্ষেপ সারা পৃথিবীর নিয্যাতীত নিপিড়িত মানুষের পূজণীয় -অনুকরনীয়।আওয়ামী লীগের রাজনীতির হাতিয়ার,ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়িতে রুপান্তরীত হয়েছে। এখন কি সেই সমস্ত অপপ্রচার নেই?যদি না থেকে থাকে নারীকুলের সম্পত্তির আধিকার সংক্রান্ত আইনকে কেন্দ্র করে কিভাবে সরকার উৎখাতের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা করতে পারে।গুজব না চড়ালে আমাদের দেশের সম্মানীত মাওলানারা কিভাবে আন্দোলনে যেতে পারে।রাজাকার সাইদীকে চাঁদে দেখা যায় বলে গুজব ছড়িয়ে কোটি কোটি সাধারন মসুলমানের ইমান আকীদা বরবাদ করে শতবছরের ইবাদত নষ্ট করে কুপর বানিয়ে দিতে পারে। ৯৬এ জননেত্রীর সফলতা ছিল আকাশসম।গুটিকতক নেতার অহমিকা,খাই খাই ভাবের কারনে ২০০১ এর নির্বাচনে পরাজয় বরন করে নিতে হয়েছিল।সে দিনও যদি প্রচার সেল তাঁদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতেন,বিদেশ বিষয়ক উপকমিটি তাঁদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতেন,তাহলেও চরম পরাজয় হতনা।গনতন্ত্রে জয় পরাজয় আছে,মেনে নিতে হয়।কিন্তু সফলতা থাকার পর ও যদি চরম পরাজয় হয় তাও কি মানা যায়? এইবারের দেশরত্মের সরকারের সফলতায় কি কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে? চিরশত্রুর মুখ ফসকে যেখানে সফলতার গুন চলে আসছে সেখানে কেন ষড়যন্ত্র?এই পয্যন্ত দুইবারের সরকার পরিচালনায় ব্যার্থতার ক্ষেত্র কোথায় চিহ্নিত করে কেউ বলতে পারবে?শেখ হাসিনার দুরদর্শিতার,যুগ উপযুগি তড়িৎ সিদ্ধান্ত গ্রহনের দক্ষতা,বর্হিবিশ্বে তার ব্যাক্তিগত ইমেজ,গৃহিত পদক্ষেপ সমুহ কোথায় আছে ব্যার্থতা?তবে কেন সরকার উৎখাত করার জন্য ষড়যন্ত্র?শেখ হাসিনাকেও কি জীবন দিয়ে প্রমান করে যেতে হবে তাঁর পরিবারের সকলেই বাংলাদেশকে ভালবাসেন,সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চান?শেখ হাসিনাকে উপলক্ষ করে শুধু বিলবোর্ড বসাবেন?তাঁর জন্য জনগনকে কিছুই বলার নেই? জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

স্থানীয় সরকার নির্বাচন,দলীয় মনোনয়নে,গনতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি দেয়ার সাহষী উদ্যোগ।

অর্জিত সাফল্যকে ধরে রাখার জন্য ঝোঁপ সদৃশ আগাছা পরিষ্কার করার এখনি উপযুক্ত সময়। >>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>><>>>>> সুন্দরের শেষ নেই,উন্নয়নের কমতি নেই,জঙ্গি দমনে অলসতা নেই। বাইরের চেহারা দেখে বুঝার উপায় নেই নীজ ঘর অগোছালো।আগোচালো ঘরে প্রয়োজনীয় দ্রব্য -প্রয়োজনের সময়ে খুঁজে পাওয়া যায়না।হাতের কাছের একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিষ হারিয়ে যায়- আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার পরিচালিত হচ্ছে; এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের কোনো কর্মী যদি দলের বাইরে তাকিয়ে সরকারের কর্মকাণ্ড দেখে, তবে তার মনে প্রশান্তি সৃষ্টি হতে বাধ্য। কেননা বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের বাইরের সৌন্দয্য অকল্পনীয়,অদ্ভুদ,বর্ননাতীত। নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী শুধু নয় তাঁর বাইরেও এমন কাজ হচ্ছে বা চলছে, যে কাজের স্বপ্ন কখন ও কেউ কল্পনায় আনেনি।উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে।মন্ত্রী পরিষদে কোন গ্রুপিং নেই,দলে নামানা আনাড়ি কোন দলাদলি নেই।দেশ বিদেশের পত্রপত্রিকা লিখছে সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতির প্রসংশা করে প্রত্যহ , মহাপরিকল্পনা নিয়ে রূপকল্প বাস্তবায়নে অগ্রসর হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এত বড় বড় সব পরিকল্পনা-দেশী বিদেশী পরিকল্পনাবিদেরা ও তাজ্জব বনে যাওয়ার উপক্রম।আমাদের বিরুদী দল সমুহ অনেক আগেই দিক বিদিক হারিয়ে বক্তৃতা বিবৃতি দিতে শুরু করেছে।একবার বলে দেশে কোন উন্নয়ন কাজ হচ্ছে না,আরেক বার বলেন সরকার বড় বড় উন্নয়ন মুলক প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে শুধু লুটপাট করার জন্য।অর্থাৎ বিরুদিতার ধারাবাহিকতাই হারিয়ে পেলেছেন। উন্নয়ন অগ্রগতি-সংস্কার, অনেক পুরানো বিতর্কিত বিষয় সমুহ ঝুলন্ত চিকায় থেকে নামিয়ে মিমাংশা করার কাজ বলতে গেলে সমানে চলছে।সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময় শুধু চেয়েই আছে,বিশ্ব সংস্থা সমুহ একের পর এক শুধু অনুন্নত দেশ সমুহকে উদাহরন দিয়েই যাচ্ছে একদা তলাবিহীন ঝুড়ি খ্যাত বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নতি আর অগ্রগতির। কোনটার কাজ অগ্রসর হচ্ছে, কোনটার পরিকল্পনা চূড়ান্ত, কোনোটার আবার পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে। দেশের ইতিহাসে আগে আর কখনো এত বড় বড় ও আধুনিক যুগ উপযুগি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কাজ হাতে নেয়া হয়নি,কোন সরকার সাহষ ও করেনি। প্রকল্পগুলোর কথা দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কমবেশি সবার জানা। তবুও এখানে ১০টি মহাপ্রকল্পের উল্লেখ না করে পাচ্ছি না।উল্লেখ করতে হচ্ছে এই জন্যেযে, প্রচারের অভাবে অনেক কিছুই আউট অব সাইট থেকে আউট অব মাইন্ড হয়ে যায়।এমনিতে বাঙ্গালি মনভোলা প্রকৃতির।মিষ্টি মিষ্টি বচন শুনিয়ে কমপক্ষে দুইজন সেনা শাষক স্বৈরশাষন চালিয়ে গেছেন,একজন মরে বেঁচে গেছেন আরেকজন অর্ধমৃত হয়ে এখনও কোনমতে বেঁচে আছেন। নিম্নলিখিত কাজগুলোসহ অন্যান্য প্রকল্প তদারকির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে। এক. পদ্মা সেতুর কাজ পরিকল্পনামতো অগ্রসর হচ্ছে। যে সব নিন্দুক বা হতাশাবাদী ভবিষ্যৎ বাণী করেছিল নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়, তাদের মুখে ছাই দিয়ে দেশের বৃহত্তম এই স্থাপনা ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে। সময়ের আগে ২০১৮ সালের মধ্যে স্বপ্নের এই সেতু ব্যবহার করা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। দুই. ঢাকা ও চট্টগ্রামে বড় বড় উড়াল সেতু, যা ছিল এতদিন কথায় তা এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে। একের পর এক ফ্লাইওভাবের পর শান্তিনগর-মালিবাগ-মগবাজার-ইস্কাটন, সাত রাস্তার মোড় জুরে বিশাল ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ অগ্রসর হচ্ছে। তিন. ঢাকায় মেট্রোরেলের কাজ শুরুর তৎপরতা প্রত্যক্ষ করে মানুষ আশান্বিত হয়ে উঠছে। ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেল নির্মাণ শেষ হলে ঢাকার চেহারাই যাবে পাল্টে। চার. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, যা ছিল ৬০ বছর আগের পরিকল্পনা, তা এখন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। দেশ আনবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন যুগে প্রবেশের দিন গুনছে। তাছাড়া নির্মিত হচ্ছে দুটি বৃহৎ বিদ্যুৎ প্রকল্প। এই সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। লোডশেডিং কথাটা যেখানে ছিল মানুষের অনবরত বুলি, তা এখন ক্রমে মঙ্গার মতোই অতীতের বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। পাঁচ. গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরির মাস্টারপ্লানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দ্বিতীয় অগভীর সমুদ্রবন্দর, যা নির্মিত হবে পায়রায়। ছয়. কর্ণফুলীতে ট্যানেল নির্মাণ এখন আর দিবাস্বপ্ন নয়। সাত. কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আট. পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের মিরশ্বরাই ও আনোয়ারা, মৌলভীবাজার ও বাগেরহাটের মংলায় চারটি বিদেশি অর্থায়নে এবং সিরাজগঞ্জে নিজস্ব অর্থায়নে সম্পন্ন করা হবে। নয়. পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কানেকটিভিটি ব্যবস্থা গড়ে তোলার মহাপরিকল্পনা ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। দশ. সবচেয়ে সাড়া জাগানো প্রকল্প হচ্ছে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপন। ২০১৭ সালের মধ্যে যদি এটা স্থাপিত হয়, তবে মহাবিশ্বে যাবে বাংলাদেশ এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় পরনির্ভরতা যুগের অবসান হবে। উল্লিখিত দশটি কাজ দশ দিকে দশ হাতে যখন বাস্তবায়ন করার কর্মযজ্ঞ চলছে, তখন ক্রমেই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার রূপকল্প হাতের মুঠোয় এসে যাচ্ছে এবং সমুদ্রে বিজয়ের সুফল করায়ত্ত করতে ‘ব্রু ইকোনমি’ আর অন্য দিকে পার্শ¦বর্তী দেশগুলোর সঙ্গে যে সুসস্পর্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে একে পুঁজি করে আঞ্চলিক সহযোগিতাপূর্ণ অর্থনীতি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে কিভাবে হাতের মুঠোয় আনা যায়, সেই পরিকল্পনা প্রণয়নের তৎপরতা চলছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই সব বড় বড় প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করে উন্নত এক বাংলাদেশ যদি গড়তে হয়, তবে সংবিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অত্যাবশ্যক। এই সমস্ত কাজের তদারকির জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরে উচ্ছ পয্যায়ের এক তদারকি টিম দেশরত্মের দিকনির্দেশনায় কাজ করছে।দুর্মুখেরা এই কিমিটির জ্বালায় জ্বলে পুড়ে চারখার হয়ে যাচ্ছেন।এরা আবার আমাদের দলের মন্ত্রী,এম,পি ক্ষমতাধর সরকারি কর্মকর্তা।কি কারন,কারো কি বুঝতে বাকি আছে?বিরুদি দলের সাথে তাল মিলিয়ে এরাও বলতে চায় ক্ষমতাতো একজনের হাতে,আমরাতো শুধু নামে-----!!!! গ্রেনেডবাজি, বোমাবাজি ও আগুনবাজি প্রভৃতি জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে খ্যাতি বানচাল করা যায়নি।তবে গতি মন্থর করতে পেরেছে নিসন্দেহে।ভবিষ্যতেও চরমম্পন্থি কর্মসুচি যদি চলতে থাকে, উল্লিখিত উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড কল্পনার ফানুস হয়ে উবে যাওয়ার আগেই সেই তৎপরতা বানচাল করে দেয়ার মনোবল সরকারের বিদ্যমান আছে,ইহাও কম আশার কথা নহে।বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিচারে বলা যায়, দেশে এখন উল্লিখিত সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করার মতো রাজনৈতিক পারিবেশ বিরাজ করছে শতভাগ। হরতাল-অবরোধ যা ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী, তা এখন বিএনপি-জামায়াত জোটের চরম ভুল তথা সংবিধানবিরোধী-গণবিরোধী-দেশবিরুদি--সর্বশেষ তাদের দলের রাজনীতির জন্য বিরুদি হিসেবে চিন্থিত হয়েছে।ফলত; দেশবাসী আন্দোলন সংগ্রামের কর্মসুচি প্রত্যাক্ষানতো করছেই তাঁদেরকেও প্রত্যাক্ষান করেছে বলে অনুমেয়। বিএনপি এখন কার্যত সংবাদ মাধ্যমের দল। এতেও নেই স্বস্তি। নেত্রীর নামে বিবৃতি দিয়ে বিবৃতি প্রত্যাহার করে আবার সেই বিবৃতিই প্রচার করার মতো অবস্থা এখন বিএনপির। নেত্রী খালেদা জিয়া যা বলেন, তা অনেকটাই দাদা দাদুর সময়ের কলের গানের মতো চর্বিত চর্বন, মানুষের কথা সেখানে থাকে না। মানুষ তাই এ নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্যও করে না। আর ‘লন্ডনের বড় ভাই’ একেবারেই নীরব হয়েঠান্ডা হিমেল হয়ে গেছেন। এত ইতিহাস যিনি জানেন কলেজ ইউনিভারসিটিতে লেখাপড়া করা ছাড়াই, এত ইতিহাস যিনি রচনা করলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে বড় স্ক্রিনে অডিও-ভিডিও কনফারেন্স করে প্রতিনিয়ত নির্দেশ দিলেন, মানুষকে ঝলসিয়ে দিতে যিনি সালাউদ্দিন গংদের দিয়ে গোপন সংবাদ কেন্দ্র খুলে প্রতিদিন বিবৃতি দিয়ে হরতাল-অবরোধ চালু রাখলেন এবং সর্বোপরি যুদ্ধ জয়ের হুংকার দিলেন প্রতিনিয়ত, তিনি আজ নীরব অচেতন ঘুমের ঘোরে। নেত্রীর লন্ডন যাওয়া নিয়ে কতই না তোড়জোড় বিএনপির কিন্তু এখন তাঁরা আবার হতাশার সাগরে ডুবুডুবু।নেত্রী গেলেন কিন্তু ফিরে আসারতো কোন নাম নেই,তবে কি আসবেন না? গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর পরিকল্পনা গ্রহণ ও কার্যকর করতে গিয়ে দল ও জোট এখন যেন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন ও কর্মসূচি গ্রহণ তা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াই ভুলে গেছে।একসময়ের অতিবাম ঘরনার আস্ত নাস্তিক তুখুড় বাগ্মি নেতারাও চুপষে গেছেন।ফুটা বেলুনের মত। বিএনপি সুকৌশলে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে নীরবতা পালন করছে বলে একটা প্রচার রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছে।অতি উৎফুল্ল্য কর্নেল অলী আহম্মদ নীজ থেকে না অন্যকোন কারনে স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষনা দিয়ে বসে আছেন বি,এন,পি সহকারে।মনে হয় যেন খালেদাকে সামান্য চাপে রাখা, নির্বাচন মুখি করে রাখার কৌশলের অংশ হিসেবেই এই ঘোষনা আগেভাগে দিয়ে রেখেছেন। যেন নির্বাচন না করে শেষ সম্ভল খালেদাকেও যদি হারায় তাহলে তাদের আর দেখারতো আপাতত কেউ নেই। বলাই বাহুল্য, ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও প্রতিহিংসা দিয়ে আপাদমস্তক মোড়া দল ও জোট খেই হারিয়ে ঘাপটি মেরে বসে থাকার কারণ যদি এটা হয়, অসংবিধানিক কিছু একটা করার নীলনক্সা করে তা বাস্তবায়ন করবে,তবে সেই পরিকল্পনাও ভেস্তে যাবে বলে আমার দৃড বিশ্বাস। পাপে নিমজ্জিত বিএনপি দল বা জোট হিসেবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে কিছু করার মতো অবস্থা অনেক আগে হারিয়েছে।খালেদা জিয়া নীজে,দলের অন্যসব নেতারা,জোট,জোটের তল্পিবাহক নেতারা একক ভাবে- দলগত ভাবে,জোট গত ভাবে বিধ্বস্ত ও গণবিচ্ছিন্ন। মানুষ এখন উন্নয়ন চায়, নিশ্চিত জীবন-জীবিকার গ্যারান্টি চায়। এ কারণেই দেশবিরুদি অশুভশক্তি,তাঁদের বিদেশী প্রভু সকলকে একযোগে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলার জনগন। বিএনপি-জামায়াত জোটের অবস্থা এবং জনগণের মনোভাব লক্ষ করে প্রথমেই বলেছি, আওয়ামী লীগ সুন্দর একটি পরিবেশ পেয়েছে দলটির নির্বাচনী অঙ্গীকার সময়মতো বাস্তবায়ন করে এটা প্রমাণ করার জন্য যে, মুক্তিযুদ্ধে যে দল নেতৃত্ব দিয়েছে, সেই দলই পারে জাতিকে অব্যাহত উন্নয়ন দিতে, জীবন-জীবিকার সুদূরপ্রসারী নিশ্চয়তা দিতে এবং সর্বোপরি উন্নত-সমৃদ্ধ-কল্যাণমুখী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। স্বাধীনতার পরে আর কখনো ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগ বাইরে এমন পরিবেশ পায়নি। তবে এই পরিবেশ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে; কারো ভুল বা দয়ায় নয়। জাতির অগ্রগতির পথে কলঙ্ক হিসেবে চেপে থাকা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি প্রদান, বর্তমান বিশ্বে উন্নয়নের প্রধান চাবিকাঠি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বিশ্বাসযোগ্য পর্যায়ে আনা, বিএনপি-জামায়াতের যুদ্ধংদেহী অপতৎপরতা ঠেকানো, উগ্রজঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ, দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করার সাফল্যের ভেতর দিয়ে পরিবেশ উন্নয়ন উপযোগী হয়েছে। স্বাধীনতার বিশেষত পঁচাত্তরের পর থেকে বিগত নির্বাচনের আগ পর্যন্তও চিন্তা করা যায়নি, এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এক কথায় বলা যায়, এটা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিচালিত জোট সরকারের কষ্টার্জিত অর্জন এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি-প্রতিজ্ঞা-সাহস-কৌশলের সম্মিলিত যোগফল। সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মন্ত্রীত্ব নিয়ে উদ্ভূত সমস্যার সুন্দর ও যথাযথ সমাধান, ছাত্রলীগের সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে সমালোচনাহীন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, নতুন মন্ত্রী নিয়োগ, কেন্দ্রসহ জেলা ও তৃণমূলের সম্মেলন এবং সর্বোপরি জাতির পিতার জন্ম দিন পালন সম্পর্কে উদাত্ত ঘোষণা প্রভৃতি যখন কমবেশি এক সঙ্গে চলতে থাকে, তখন এমন একটা ধারণা সৃষ্টি হয়েছিল যে, এবারে ঘরের ভেতর থেকে আর ষড়যন্ত্র হবেনা। ধারনায় টিকে থাকা বেশিদিন গেলনা। প্রতিবারের মতোই আশা জাগিয়ে অথর্ব কিছু নেতা অযথা জাসদ বিতর্ক উত্থাপন করে সরকারের মধ্যেই বিভ্রান্তি চড়িয়ে দিলেন।সেখানে নেত্রীকেই শেষ পয্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হল।প্রবীন সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা প্রবীর শিকদারকে গ্রেপ্তার করিয়ে রিমান্ডে দিয়ে দেয়াহল।সেখানেও নেত্রী নীজেই শেষ পয্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হল।নিম্নমানের খাদ্য আমদানি করে শেষ অবদি আদালতের নির্দেশনা পয্যন্ত গড়াতে হল।এমন এম,পি পেল দেশবাসি মদ্যপ অবস্থায় অথবা অহংকারের বসে গুলি করে শিশুর জীবনহানি ঘটাতে উদ্যত হলেন।ফেনীতে একপ্রভাব শালী এম,পি আরেক এম,পি কে হেস্তন্যস্ত করার জন্য ছাত্রলীগ -যুবলীগকে ব্যাবহার করতে গিয়ে ২৪/২৫ জন ছাত্র যুবক অস্ত্রনিয়ে র্যবের হাতে ধরা পড়ে দীর্ঘদিন জেলে পড়ে আছেন।মাদক ব্যাবসায়ী বদি কক্সবাজারের মুর্তিমান আতঙ্ক হয়ে জনগনের বিরক্তির কারন হয়ে ধরা দিলেন।ফেনীর জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান একরামকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করে আগুন দিয়ে মধ্যযুগীয়কায়দায় পুড়িয়ে ছাই করে ফেলা হল।কোনকোন এলাকার এম,পিরা জামায়াত নেতাদের ফুলের মালা পড়িয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করাচ্ছেন।তাঁরা নীজেরাই জানেন না, আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস কোথায়।হীনমন্যতার কারনে তাঁরা দলের মধ্যে সাঁপের বাসা করার জন্য উদ্যত হচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দলের ‘আগাছা’ উপড়ে ফেলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলবেন।স্বনামধন্য মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ফেনীর এক সভায় বলেছেন,নষ্ট নেতাদের তালিকা হচ্ছে,অচিরেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন। এতটুকু জেনে উৎসাহিত আশাম্বিত হয়েছিলাম,আশাম্বিত হয়েছিল আমার মত আরো অনেকে,যারা জীবনের সবকিছুত্যাগ করে এখন অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গুত্ববরন করে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গেছে। তারপর প্রধানমন্ত্রী আর একটা নতুন শব্দ উচ্ছারন করে বলেছিলেন, ‘পরাজিত শক্তির দোসর ও চাটুকাররা এখনো কিছু আছে।’ দোসর ও চাটুকারদের সম্পর্কে এমন কথা কানে নতুন করে বেজে উঠেছিল এবং আরো উৎসাহিত হয়ে উঠেছিলাম। দোসর ও চাটুকারদের বঙ্গবন্ধু এক কথায় বলেছিলেন"চাঁটার দল।"সেই বিখ্যাত উক্তি সত্য বচনে বঙ্গবন্ধুর সাহষের জন্য বাঙ্গালীর গর্বের উক্তি না হয়ে, ভেঁতু বাঙ্গালীদের নিকট উপহাসের উক্তি হিসেবে তুলে ধরেছিল একদা ষড়যন্ত্র কারীরা।তা আবার তাঁর কন্যার মুখে দ্বিতীয়বার শুনা গেল। পিতার উদ্ধৃতি দিয়ে কন্যা আরো বলছেন, ‘জাতির পিতা বলতেন, ‘বাংলাদেশের মাটি উর্বর। এখানে চারা ফেলতেই যেমন গাছ হয়, তেমনি আগাছাও হয়। অনেক সময় আগাছা প্রকৃত গাছকেই খেয়ে ফেলে।’ জানা এই কালজয়ী উক্তিটি পড়ার পর মনে হয়েছিল, দেশের সবচেয়ে পুরনো ঐতিহ্যবাহী বড় সংগঠন ছাত্রলীগে ভাল ও মেধাবী ছাত্র বেশি, না খারাপ বেশি। নিঃসন্দেহে ভালো অগণিত অসংখ্য। তারা দলের কাছে নীজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য বা আত্মিয় স্বজনের স্বার্থের জন্য আসে না। বঙ্গবন্ধু ও শত লক্ষ শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দলে নীরবে কাজ করে। দলকে তারা প্রাণের চাইতেও ভালোবাসে। এরা মঞ্চে ওঠে না, দুষ্কর্ম করে না কিন্তু দলের জন্য নিজ অবস্থান ও অবস্থা থেকে যতটুকু পারে, ঠিক ততটুকু করে। এদেরই কিন্তু আগাছা দলের প্রান্তস্থিত স্থানে ঠেলে দেয়। একটু খেয়াল করলেই এটা দেখা যাবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের এবং শেখ হাসিনার কর্মসূচি বাস্তবায়ন উর্বর মাটিতে যে তরুণটি প্রকৃত গাছ হিসেবে গড়ে ওঠার প্রতিজ্ঞা নিয়ে ছাত্রলীগে সক্রিয় হচ্ছে; সেই সোনার ছেলেটিই এক সময় আগাছা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে বাস্তব ক্ষেত্রে আগাছারা নিজেদের শক্তিকে ক্রমেই একচ্ছত্র করে নিতে সক্ষম হচ্ছে। যে দলের মরুব্বি সংগঠনের শীর্ষ পদে প্রতি জেলা উপজেলায় মাস্তানের অবস্থান পাক্কা থাকে সেখানে কোন মেধাবি ছাত্র নেতা-- সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ না হয়ে পারে না। অনেকে বলতে শুনী আমাদের এলাকায় রাজাকারের ঘাটি।আমরা ভোটে জীততে পারি না।খোদ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী নীজেও আমাদের এলাকা নিয়ে সন্তুষ্ট নন।বহুবারই তাঁর মুখ থেকে বিরক্তির বহিপ্রকাশ ঘটতে দেখা গেছে।কিভাবে আমার এলাকায় আওয়ামী লীগ ভাল ফলাফল করবে?মানুষ কেন আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে? জননেতা খাজা আহম্মদ সাহেবের মৃত্যুর পর এখানে কি আওয়ামী লীগে সৎ, বিচক্ষন, জনসম্পৃত্ত নেতার আবির্ভাব ঘটেছে?ভাল কোন মানুষ এই জেলায় রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?আওয়ামী লীগ কি কাউকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে?এটা এমন একটি জেলা,যে জেলায় ভাল লোকেরা অপদস্ত হয়ে রাজনীতি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।কি করে মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে,কেন দিবে--যাঁরা ছিল তাঁরা লুটেরা,যাঁরা আছে তাঁরা লুটেরা,আসবে যাঁরা তাঁরা লুটেরা, নেপথ্যে যাঁরা কলকাঠি নাড়াচাড়া করে তাঁরা আর ও বড় লুটেরা।যে কয়জন ভাল লোক আছেন- মুজিব আদর্শকে ধারন করেন বিদায় দলে কোনরকমে হাজিরা দিয়ে মানসম্মান বাঁচিয়ে রাজনীতি করার অভ্যেস জিইয়ে রেখেছেন। যা ভাবি তা বলতে ভালোবাসি।মনচায় সত্য বলতে বলে বলি, এই বলার জন্য জীবনে বহু খেসারত দিতে হয়েছে,তারপর ও আমার লাজ হয়নি,সম্বিত ফেরেনি। আর কত ইজ্জত গেলে,আর কত বিঘা জমি হারালে,আর কতবার পদের উত্থানপতন হলে সম্বিত ফিরবে তাও আমি জানিনা। আগাছা মুখের কথায় উঠবে না, আশু কিছু ব্যবস্থা নিলেও হবে না। অতীতে একটা স্বতঃসিদ্ধের মতো কথা ছিল, ভালো ছাত্ররা রাজনীতি যেমন করে, তেমনি ভালো ফল করে, তেমনি ভালো চাকরি পায়। দেশকে,দলকে রাজনীতিকে দেয়ার জন্য দলে যুক্ত হতেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক নেতাই হয় ভাল জননন্দিত নেতা হয়েছেন নয়তো সি,এস,পি অফিসার হয়েছেন।এই ধারা মনে হয় মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পয্যন্ত বহাল ছিল। আগে গুনা হত কোন ছাত্র সংগঠনের কতজন রাজনীতি করা ছাত্র সিএসপি হয়েছেন, শিক্ষক-ইঞ্জিনিয়ার-ডাক্তার হয়েছেন। ছাত্র সংসদে নমিনেশন দেয়া হতো ভালো ছাত্রদের। ছাত্র সংগঠনগুলোতে ছিল মোটিভেশন ও প্রশিক্ষণ, কর্মিসভা। গল্প,উপন্যাস,ভ্রমন কাহিনী,পত্রিকা, রাজনৈতিক বই পড়া ছিল ছাত্র রাজনীতি যারা করতেন তাদের অভ্যাসের অঙ্গ। রাজনীতি করতে টাকা লাগবে, তখন আলোচনায় ছিল না। ১৯৭১-এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নমিনেশনে বা জনগণের ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে কি টাকা প্রধান বিবেচনার মধ্যে ছিল? যদি থাকত তবে কনভেশন মুসলিম লীগের টাকাওয়ালা প্রার্থীদের পরাজিত করা সম্ভব হতো না। প্রসঙ্গত, বিরোধী দলে থাকাকালিন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী রাজনৈতিক মোটিবেশনের জন্য প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা করেছিলেন। বেশ উপুকৃত হয়েছিল ছাত্র লীগের কর্মিরা।তখন ছাত্রনেতাদেরও রাজনীতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ দেখেছি। ক্লাসের পর নিবৃত্তে বসে আগামীকালের প্রস্তুতি নিতে দেখেছি। ঘরে গিয়ে মা বাবার সাথে বড়াই করে বলতে শুনেছি,আমার রাজনৈতিক ক্লাস আছে,তাড়াতাড়ি খাওয়ার দাও, যেতে হবে সময় মত।এখন অবারীত সুযোগ থাকার পর ও সেই ব্যাবস্থা নাই কেন জানিনা।নেত্রী কি ধরেই নিয়েছেন এই সময়ের ছাত্র নেতাদের দিয়ে কিছুই হবে না? একদিক থেকে এই কথাগুলো বললাম ঠিকই কিন্তু বিষয়টা সার্বিক চিন্তা-ভাবনার মধ্যে এনে দেশের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগে যেন যথাসম্ভব আগাছা না জন্মে সেই সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। সঙ্গে রাখতে হবে অবিচ্ছিন্ন আগাছা পরিষ্কার করার অক্ষয়ী ইস্পাতসম নিড়ানী। রাজনীতিতে যদি থাকে অর্থ, অস্ত্র আর পেশি শক্তির দুর্বৃত্তায়ন, তবে আগাছার চেইন একবার প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে আগাছা পরিষ্কার করা খুব একটা সোজা ব্যাপার থাকেনা।৭৫ এর পরবর্তি সরকার সমুহের ভোট কেন্দ্র দখলের সংষ্কৃতি কি এখন ও ভোটের বাজার থেকে তাড়ানো সম্ভব হয়েছে? প্রসঙ্গত বলি বন্দুকযুদ্ধ কোনো সমাধান নয়,হতে পারেনা। বরং এতে দল ও সরকারের মধ্যে ব্যবধান বাড়ে। যেমনটি বেড়েছে ৭৪পরবর্তিতে সর্বভারতীয় দল কংগ্রেসে। তাছাড়া পর পর বন্দুক যুদ্ধের ঘটনার পর,মানুষ মনে করছিল আওয়ামী লীগও মনে করেছিল সন্ত্রাস দমনে সরকারের সদিচ্ছার একটা মেসেজ তৃণমূলে যাবে, ঘটে যাওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো দুই একটি ঘটনার পর দেখা গেলো এটা মেসেজ হিসেবে তৃনমুলে তেমন কোন ইতিবাচক সাড়া দিতে সক্ষম হয়নি। সংসদ সদস্য বদির মতো যত্রতত্র চড়-থাপ্পড়,মোশারফের মত ভুমি খেকোদের দৌরাত্ব কমানো যাবে কিভাবে? পঁচাত্তরের পর জাসদ ও সেনাপ্রধানের ভূমিকা নিয়ে অযথা বিতর্কইবা ঠেকানো যাবে কিভাবে? প্রসঙ্গত, অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিতে ইতিহাস নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনা এক কথা- আর দায়িত্বশীল নেতাদের ঐক্য বা জোটে থাকা কোনো দল বা ব্যক্তিকে নিয়ে রাজনীতির মাঠে কথা তুলে কর্মী-সমর্থকদের বিভ্রান্ত করা ভিন্ন কথা। ফরিদপুর বা পঞ্চগড়ের সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি নিয়ে এবং প্রবীর সিকদারের গ্রেপ্তার নিয়ে যা হলো; তা হয়তো ফরিদপুরের বাড়ির মালিকের কথার পর চাপা পড়ে গেছে ঠিকই কিন্তু তাতে কথা কি কমবে? নাকি বদনামের সিকি অংশ কমেছে?শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিজের স্বার্থের সঙ্গে ছাত্রদের যুক্ত করে যে তান্ডব করেছেন, তাতে গ্রেপ্তার-বহিষ্কার কিংবা ভিসিকে সরানো যাই হোক না কেন, তাতে বলাবলি থামবে না বদনাম কমবে বা কমেছে?ব্যাক্তির ক্ষত শুকায়না রাজনৈতিক দলের কিভাবে শুকাবে। রাজনীতিক দলে ক্ষত একবার হলে তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুব সোজা নয়। বাসন্তীর মিথ্যা প্রচার এখন পর্যন্ত বহু মানুষ বিশ্বাস করে, আর চোখের সামনে দেখা ঘটনার দাগ কি এত সহজে মোছা সম্ভব হবে?রক্ষীবাহিনীতে ভারতীয় যুবকেরা,এই অপপ্রচার কি এখনও করে তাঁরা মানুষকে বিশ্বাস করাচ্ছেনা, না মানুষ বিশ্বাস করেনা?আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এই দেশ ভারতকে দিয়ে দিবে,এই সেদিনও কি তাঁরা অপপ্রচার করেনি?মানুষ কি বিশ্বাস করেনি? সবচেয়ে বড় কথা হলো, এসব যদি হতে থাকে, তবে সরকারের বড় বড় কাজ জনগণকে দেখানোর আগে ভানের জলে ভেসে যাবে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময়ে এত ভাঙা পুল-কালভার্ট মেরামত হলো, শত-লক্ষ শরণার্থীর পুনর্বাসন হলো এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজ হলো।যুদ্ধবিধ্বস্থ একটা দেশকে পুনগঠন করা হল- সেটা মানুষ কি মনে রেখেছে?বঙ্গবন্ধুর মুখের কথা চাটার দলকে ঠিকই মনে রেখেছ। এমনিতেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে জনগনের প্রত্যাশার ব্যারোমিটার কয়েক গুন বেড়ে যায়।শুধু বাংলাদেশের জনগন নয়,গোটা দক্ষিন এশিয়ার প্রত্যাশা কয়েক গুন বেড়ে যায়।তাছাড়া ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা এমনিতে বাড়ে,বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সমর্থন কমতে দেখা যায়।শেখ হাসিনার দুরদর্শি নেতৃত্বে সমর্থন প্রায় দ্বিগুনের কাছাকাছি বেড়েছে সত্য,লাগাতার ক্ষতের কারনে সেই বাড়তি সমর্থন কাজে লাগানো যাবে কিনা তাতে সন্দেহ রয়েছে প্রায় সমানে সমান। সর্বোপরি রয়েছে, পবিত্র ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার ও মিথ্যাপ্রচার। চলছে নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত।হেফাজতিদের খেয়াল ছিল ধর্মদ্রোহিতার তিলক পরিয়ে আজীবনের জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে দূরে রাখা।সেই প্রচেষ্টার কমতি এখনও কমেছে বলে প্রতিয়মান হয়না। স্বপ্নের সেতু পদ্মা নিয়ে কথা বলার চাইতে প্রবীর সিকদার নিয়ে ফরিদপুরের মানুষ কথা বলবে বেশি। বিদ্যুতের সাফল্যের চাইতে শাহজালালের ভিসি নিয়ে মাতামাতি হবে আরো দ্বিগুন। বঙ্গবন্ধু সেটেলাইটের সাফল্যের খবর-দখল,দুবৃত্তায়নের খবরের নিকট পরাজিত হবে।সরকারি কাজের চাইতেও মানুষ বিচার করে দলীয় কর্মকাণ্ডকে।আমাদের মধ্যে এখনও বহু নেতাই আছেন সরকার আর দলের মধ্যে পার্থক্য কি তাহা বুঝেননা। দলীয় নেতাকর্মীদের হাবভাব দেখেই মানুষ দলকে ভোট দেয়।শোক দিবসে যখন প্রচার হলো বঙ্গবন্ধুর ছবির সঙ্গে কারো ছবি প্রচার করা যাবে না, তখন আরো বেশি করে বড় ছবি ও নাম দিয়ে বিলবোর্ড আর রাস্তায় রাস্তায় তোরন নির্মান করা হয়েছে। সময় আসলে দ্রুত বেগে চলে যাচ্ছে। পুঞ্জিভূত ক্ষোভের ভার খুব বেশি হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে। বড় বড় সব অনভিপ্রেত ঘটনা পার হয়ে যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু এক সময় ছোট ঘটনায় বড় কোনো ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। দেশবাসী বিশেষত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের মূলধারার রাজনীতির মানুষ এমনটা একেবারেই চায় না।এই ধারার মানুষ সারা বাংলাদেশ তন্নতন্ন করে খুঁজে একজন মানুষ ও পাওয়া যাবে না,যে নাকি সুযোগ থাকা সর্তেও লুটপাট,দখলবাজি,চাঁদাবাজিতে জড়িত আছেন।তারা মনের গহিন থেকেই চায় না পেন্ডুলামের মতো আশা-নিরাশায় দুলতে,ক্ষনিকের টেনশান তাঁদের মনের আঙ্গিনায় ঠাঁই পেতে।তাঁরা চায় দল হয়ে উঠুক সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির সহায়ক।অবারিত সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগনের প্রত্যাশা পুরনের বাহন,উন্নয়ন অগ্রগতির পরিপূরক।গড়ে তুলুক দেশরত্ম তাঁর পিতার, বাঙ্গালী জাতির জনক, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা।কাংখিত লক্ষ অর্জনের পথের কাঁটা ইতিমধ্যে ঝোঁপের মত দৃশ্যমান আগাছা মুল গাছকে ঢেকে রেখেছে।এই দৃশ্যমান আগাছাকে সমুলে উৎপাটন করার এখনি সময়,ভবিষ্যতের ইস্পাতসম নিড়ানী তুলে রাখতে হবে সযত্নে,বর্ষা এলে জোয়ারের পানির সাথে আগাছা এসে পানির গতি পথ বদলাবার আগেই যাতে পরিস্কার করা যায় অতিথি আগাছা।সময়মত আগাছা পরিষ্কারের গাফলতির কারনে সকল উন্নয়ন অগ্রগতি,সাফল্যকে ছায়ার মত ঢেকে দিতে সময় একেবারেই নিবেনা। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

স্থানীয় সরকার নির্বাচন,দলীয় প্রতিকে--রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব এড়ানো যুগের অবসান

ছবি

মেজর জিয়ার বি,এন,পি যাদুঘরের পথে,মুজিবের আওয়ামী লীগের দেশে বিদেশে জয়জয়কার---। বর্তমান বি,এন,পির গন্তব্য বা ভবিষ্যত রাজনীতি কোন পয্যায়,কতটুকু বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই দল অবদান রাখতে পারবে,বা আদৌ এই দল ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা --বিশ্লেষনের জন্য রাজনৈতিক বিশ্লেষক হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।সাধারন একজন দিন মজুর,অথবা রিক্সাচালককে যদি প্রশ্ন করা হয়,আপনার এলাকায় বি,এন,পি দলের রাজনীতির কি খবর?সেই লোকটি তৎক্ষনাৎ যে উত্তর প্রদান করবে,একজন অতি জ্ঞানী রাজনীতি বিশ্লেষক ও হঠাৎ করে এইরুপ বলার বা কারো প্রশ্নের জবাব দেয়া সম্ভব হবে না।এক কথায় বলা যায় দলটি যে,মহাসংকটে আছে তা একবাক্যে সবাই স্বীকার করেন। বাস্তবতার আলোকে খালেদা তারেকের নেতৃত্বাধীন বিএনপি এখন চরম সংকটের মুখে। বিএনপি এখন কঠিন সময় অতিক্রম করছে।জিয়ার হাতে দল সৃষ্টির পর থেকে কোন সময় বর্তমান পরিস্থিতির মতো, এমন সংকটের মধ্যে বিএনপি আর কখনও পড়েনি।হয় ক্ষমতার স্বাদ গ্রহনে ব্যাস্ত ছিল নয়তো কাছাকাছি অবস্থানেই ছিল।তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকগন মনে করেন, বর্তমান সংকটকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার মতো নেতৃত্ব বিএনপিতে গড়ে উঠেনি।এইরুপ সংকট কখনও আদৌ আসতে পারে বা আসবে তা কস্মিন কালেও খালেদা পরিবারের চিন্তায় আসেনি।এই প্রথম প্রায় নয় বছরের কাছাকাছি দলটি ক্ষমতার বাইরে থাকায়, নানা দল ও নানা মতের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের এখন একত্রে ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এরা সবাই দলে এসেছিলেন কিছু পাওয়া কিছু নেওয়ার জন্য। কিন্তু বর্তমান বিএনপির অবস্থা দেখে এদের অনেকে ইতিমধ্যেই কেটে পড়েছেন। বাকিরাও কেটে পড়ার চিন্তা ভাবনা করছেন। এদিকে নিস্তেজ বিএনপিকে আবারও সতেজ করে তোলা অসুস্থ খালেদা জিয়ার পক্ষে এখন আর আগের মতো সহজ নয় বলেই অনেকে মনে করছেন। অন্যদিকে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান পরোক্ষভাবে বিএনপির নেতৃত্ব দিলেও তিনি কোনভাবেই দলকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকায় বিএনপি ও দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বাস্তবতা থেকে তারেক রহমান এখন অনেক দূরে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি হয়তো ঝুঁকি নিয়ে আর দেশে ফিরে আসতে চাইবেন না। এমন অবস্থায় তার ব্রিটেনে বসবাসের সময় আরো দীর্ঘ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়া অবস্থা দেখে আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে, আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান অবস্থায় লন্ডনে বসে বিএনপিকে তারেক রহমান কতটুকু নেতৃত্ব দিতে পারবেন সে বিষয়ে অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেন।দেশে ফিরে না আসার বড় কারনটি হচ্ছে,সে জানে ক্ষমতায় থাকাকালে সে কতটুকু অপরাধ করেছে,বর্তমানে তাঁর শাস্তি অনিবার্য্য।সুতারাং অন্য কোন কৌশলে ক্ষমতার রদবদল করে,তাঁদের সাথে যে কোন সমঝোতার মাধ্যমে দেশে ফিরে আসা ছাড়া তাঁর কোন পথ খোলা নেই।এই কারনে গনতান্ত্রিক জনসমর্থিত দল হওয়া সত্বেও দেশব্যাপি নাশকতা করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে,একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যায় কিনা,সেই চেষ্টা করে গেছেন এতদিন নিবিড় ভাবে।আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তদ্রুপ চেষ্টা, আর করতে পারবেন না।পলিসি শতভাগ যে ব্যর্থ মা ছেলে ঠিকই বুঝে গেছেন।তাঁই নতুন কোন পথ খোলা যায় কিনা,সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছেন "মা-ছেলে"।এই ব্যাপারে যে যাই বলুক, আমি তাঁদের একেবারেই দোষ দেইনা,কারন সবাই চায় বাঁচতে-বাঁচার জন্য যা করা দরকার তাই করবে,এতে দোষের কি আছে? খালেদা জিয়ার দলের নেতাদের এবং ব্যারিষ্টারদের আচার আচরনে পরিষ্কার ধারনা মেলে কমপক্ষে চলতি দুই মামলায় খালেদা জিয়ার শাস্তি অনিবার্য্য।সুতারাং আগামিতে সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারবেন না,এটা দিবালোকের মত সত্য। দলকে নেতৃত্ব দেয়ার মত নেতা খালেদা বা তারেক ছাড়া আর কাউকে বিশ্বাস করা যায় না।কারো নেতৃত্বে বি,এন,পি ক্ষমতায় এলেও "মা-ছেলের"প্রতি বর্তমান আওয়ামী লীগ থেকে আরও কোঠোর আচরন করবে না,তার কি গ্যারান্টি? আদিকাল থেকে সব দেশের ইতিহাসের ঘটনাপঞ্জিতো তাই বলে। বিএনপির এই দুঃসময়ে দলটি আদৌ আর সামনের দিকে এগুতে পারবে না।তাই দলের অনেক কেন্দ্রীয় নেতাকে এখন খালেদা তারেকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সমালোচনা পর্যন্ত করতে দেখা যাচ্ছে। বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে বিএনপির ভবিষ্যত ক্রমাগত ছোটো হয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যার কারণে অনেকেই মনে করছেন আর বিলম্ব না করে দলকে নুতন করে পুনর্গঠন করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থায় এ ব্যাপারে তিনি কতটুকু সফল হতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। অন্যদিকে তারেক রহমান বর্তমান সিনিয়র নেতাদের সরিয়ে দিয়ে তরুণদের হাতে বিএনপির নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী। কারণ অতীতে বিএনপির ডাকা আন্দোলনগুলোতে এসব সিনিয়র নেতাদের রাস্তায় নামতে দেখা যায়নি। অনেকের সাথে সরকারের আঁতাত রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসব নেতা বিএনপির শাসন আমলে বড় বড় ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ পেয়েছেন। বর্তমানে এগুলোকে ধরে রাখতে তারা দলের ডাকে সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে আগ্রহী নন। এদের অনেকেই শুধু শুধু নিজের অর্থনৈতিক ক্ষতি ডেকে আনতে চান না। ইতিমধ্যে এধরনের সমস্যার মধ্যে জড়িয়ে পড়েছেন ঢাকা ব্যাঙ্কের মালিক মির্জা আব্বাসসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতা। অন্যদিকে বিএনপি অদূর ভবিষ্যতে কবে আবার ক্ষমতায় আসতে পারবে কিংবা আদৌ কোনো দিন আসতে পারবে কি না সে ব্যাপারে কোনো গ্যারান্টি নেই। এমন অবস্থায় গা বাঁচিয়ে চলাটাকেই অনেক সিনিয়র নেতা উচিত বলে মনে করছেন। এদের অনেকের এখন তারেক রহমানকে পছন্দ নয়। তারেকও সুবিধাবাদী এসব নেতাদের সরিয়ে দিয়ে দলে নুতন নেতৃত্ব নিয়ে আসতে আগ্রহী। মা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে এবার এই বিষয়টি নিয়ে তারেক রহমান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এধরনের সিনিয়র নেতাদের উপদেষ্টা কিংবা অন্যভাবে দলের ক্ষমতাবান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে।সুতারাং দল যে ভাংছে এই ধারনা আর সম্ভাবনার পয্যায় নেই,বাস্তবতায় এসে মিশে গেছে। বর্তমান সরকারও নিজেদের স্বার্থে চাইবে বিএনপি ভেঙ্গে যেন কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এব্যাপারে সরকার প্রয়োজনে বিপক্ষ শক্তির প্রতি মদদ দিবে,দেওয়া স্বাভাবিক,বঙ্গবন্ধুর পরিবারের প্রতি তাঁরা যে আচরন করেছে,তা যদি শেখ হাসিনার মনে থাকে,মদদ না দিয়ে পারেনা বলে অনেকে মনে করেন। ইতিমধ্যেই অনেকে বলছেন, এই মুহূর্তে যদি খালেদা জিয়ার কোনো কিছু হয়ে যায় তাহলে বিএনপি ভেঙ্গে কয়েক টুকরো হয়ে যেতে পারে। এমন অবস্থায় খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর অবশ্যই গুরুত্ব বহন করছে। তিনি লন্ডনযাওয়ার প্রাক্কালে আদালতের নিয়ম অনুযায়ী পারমিশন নিয়েছিলেন কিনা-সে ব্যাপারে সরকার থেকে এখন পর্যন্ত পরিষ্কারভাবে কিছু বলা হয়নি। কারণ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা নিয়মমাফিক চলে আসছে। এই অবস্থায় দেশের বাইরে যাওয়ার নো অবজেকশন সার্টিফিকেট আদালত তাকে দিয়েছিল কি না,সরকারের পক্ষ থেকে সে সম্পর্কে এখনও কিছু বলা হয়নি। অনেকে বলছেন, খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে আর আসবেন না। শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে তার দীর্ঘ সময় পরিবারের সাথে থাকার সম্ভবনা রয়েছে। এই অবস্থায় দেশে বিএনপির নেতৃত্বের ভার তারেকের স্ত্রীকে দেয়া হচ্ছে এমন গুজব বাজারে আছে। যাকে দেওয়া হবে তাকে অবশ্যই অত্যন্ত বিশ্বস্ত হতে হবে। বর্তমানে যারা বেগম খালেদা জিয়ার আশেপাশে আছেন তাদের বিরুদ্ধে দলের ভেতরে রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ।কেহই দল পরিচালনা করার মত যোগ্যতা সম্পন্ন নন খালেদা পরিবার মনে করেন। পর্যবেক্ষক মহলের মতে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির সুযোগে বর্তমানে বিএনপির সিনিয়র নেতারা নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে দলের ভবিষ্যত নেতৃত্বের ব্যাপারে একটা সমঝোতায় এসে ঘাপটি মেরে বসে আছেন।তাঁরা মনে করেন, দলের জনপ্রিয়তা এখনো বর্তমান। সুতরাং ২০১৯ সালের নির্বাচনে জিয়াউর রহমানের নাম সামনে রেখে খালেদা-তারেকবিহীন বিএনপি গঠন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে দলের পক্ষে ভালো ফলাফল আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এইসময় যদি খালেদা জিয়া আবারও তত্বাবধায়ক সরকার কিংবা কোনো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে জামায়াতকে সাথে নিয়ে আন্দোলনে নামেন, তাহলে দলের ভবিষ্যত অস্তিত্ব কঠিন সমস্যার মধ্যে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। অন্যদিকে আগামী নির্বাচনের আগে সরকার হয়তো জামায়াতের সকল রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে। ফলে এককভাবে বিএনপির পক্ষে নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় আসা কোনো দিন আর সম্ভব হবে না বলেই অনেকে মনে করছেন। পরিসংখ্যান অনুসারে, বিএনপির পক্ষে এখন পর্যন্ত ৩০% ভোট আসার সম্ভবনা রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তবে দল ভেঙ্গে গেলে ভোটের ফলাফল আরো খারাপ হবে- বলেই পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন। ২০০১ সালের এক পরিসনখ্যানে দেখা গিয়েছিল, বাংলাদেশের ৩০% মানুষ সরাসরি আওয়ামী লীগবিরোধী মনমানষিকতা পোষন করেন।এখন অবশ্য অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে।তার পরও ধরে নিতে পারি, এই জনগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ ও ভারতবিরোধী যে কোনো মোর্চায় সবসময় সমর্থন জানাবে। এই জনগোষ্ঠীকেই সম্ভবত খালেদা-তারেকবিহীন বিএনপি আগামীতে তাদের পক্ষে নিয়ে আসার চেষ্টা করবে। ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকায় আসার একটা বড় সুযোগ আশা করে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর ও পরবর্তিতে তার সাংগঠনিক কর্মসূচির ওপর। বাংলাদেশের জনগণ চায় দেশে একটা শক্তিশালী বিরোধী দলের অবস্থান। বর্তমানে এরশাদের জাতীয় পার্টিকে কেউ বিরোধী দল হিসেবে দেখছে না। কারণ সরকারের সাথে আপোষ করে তারা ক্ষমতায় রয়েছে। অন্যদিকে অনেকে মনে করেন, বিএনপির এই দুর্বলতার সুযোগে এরশাদের জাতীয় পার্টি ক্ষমতা থেকে সরে এসে সরকার বিরোধী দলের ভূমিকায় মাঠে নামলে জনগণের একটা ভালো সমর্থন দলটির পক্ষে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ক্ষমতায় থাকা আর না থাকা নিয়ে দলটির মধ্যে বর্তমানে রয়েছে মতানৈক্য। এই কারণে এরশাদের ইচ্ছা থাকা সত্বেও তিনি জাতীয় পার্টিকে সরকারবিরোধী ভূমিকায় নিয়ে আসতে পারছেন না। অনেকের মতে, বিএনপিকে ঠেকাতে সরকারের সাথে একটি আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দলের ভূমিকায় রাজনৈতিক ভাবে মাঠে নামানোর চেষ্টা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হলো বর্তমান অবস্থায় এরশাদ কি পারবেন জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দল হিসেবে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে?একেক সময় একেক রকম বিবৃতি দিয়ে জনগনের নিকট দলটি পাগলের দল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।জনগনের নিকট আদৌ এরশাদের কোন গ্রহন যোগ্যতা নেই।তাঁদের দ্বারা কি বিরুদি দলের ভুমিকা পালন করা সম্ভব হবে? কিংবা খালেদা-তারেকবিহীন বিএনপি কি পারবে আগামী নির্বাচনে বিরোধী দলের আসনে বসতে? বিএনপির বর্তমান দুঃসময়ের সুযোগে কর্নেল অলি, ব্যারিস্টার হুদা ও বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতা বিএনপিতে ফিরে আসার পায়তারা করছেন। তবে তারা বিএনপিতে এলে দলের বর্তমান অবস্থার আদৌ কোনো পরিবর্তন হবে কি না তাতে সন্দেহ রয়েছে। বরং আরো খারাপও হতে পারে। কারণ এই তিন জনই তিন মেরুর মানুষ। অন্যদিকে অলি ও বদরুদ্দোজা একসময়ে এক হয়েও এক থাকতে পারেননি।গত জীবনে ক্ষমতার প্রতিযোগিতায় তারা কেউ কাউকে মানতে বা ছাড় দিতে রাজি হননি।বি,এন,পিতে এলে তাঁরা দুইজন আগের অবস্থায় ফিরে যাবেন না তাও বলা যায় না। কামাল,ইউনুস,ইব্রাহীম,কাদের, অলি, হুদা ও বদরুদ্দোজা এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে আদৌ কোনো গুরুত্ব বহন করেন না। এই অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়া জেনে শুনে খাল কেটে কুমির নাও আনতে পারেন। যদিও তিন জনই আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বিএনপির এই ক্রাইসিসকে সদ্ব্যবহার করে নিজেদের অবস্থান বিএনপিতে পাকাপোক্ত করতে। উল্লেখযোগ্য যে, একসময় এই তিনজনই বিএনপি থেকে বের হয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রচন্ড সমালোচনা করেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে একটা পরিবর্তন প্রয়োজন বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন। দেশে এখন কোনো কায্যকর জনসমর্থিত,দেশপ্রেমে উদবুদ্ধ বিরোধী দল নেই।এটা দিবা লোকের মত সত্য কথা। চারিদিকে শুধু আওয়ামী লীগের জয় জয়কার। অন্যদিকে বিএনপি গত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নাশকতায় অংশ নিয়ে, আগুন সন্ত্রাস করে, মানুষ পুড়িয়ে মারা,ধন সম্পদের বেহাল ক্ষতি সাধন করাতে জনগন তাঁদের এখন আর ভাল চোখে দেখছে না।জনগনের কটুবাক্য নিক্ষেপে নেতারাও নিস্ক্রিয় হওয়া শুরু করেছেন।এমতবস্থায় দিন দিন দলটি দুর্বল হয়ে আসছে। বর্তমানে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত তাদের কোথাও আর দেখা যায় না। অনেকে দল পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগে চলে আসছেন। এইকারণে আজ একটি প্রশ্ন সবার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে, বিএনপির বিকল্প কি? কারণ বিএনপি বর্তমানে যেখানে অবস্থান করছে সেখান থেকে তাদের আগের জায়গায় ফিরে আসা আদৌ আর সম্ভব হবে না- তাতে কোন সন্দেহ নেই।এই সন্দেহ বি,এন,পির খোদ নেতারাও করেন না। এখন বিএনপিতে থাকা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি চিন্তা ভাবনা করছে জিয়ার নামকে সামনে রেখে খালেদা-তারেকবিহীন বিএনপি প্রতিষ্ঠার কথা। খালেদা জিয়ার লন্ডন অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বড় একটা অংশ খালেদা তারেককে বাদ দিয়ে দল পুর্নগঠন করার প্রকিয়া শুরু করবেন। খালেদা জিয়া যদিও আসেন,সিনিয়রদের বাদ দিয়ে দল পুর্ংঠন করার চেষ্টা করেন,তাহলেও বড় রকমের একটা উত্থান পতন ঘটবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে সব কিছুই নির্ভর করতে পারে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ভবিষ্যত সাংগঠনিক ভাবে কতটুকু পরিপক্ষতা সহকারে দলের কায্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন। লন্ডন থেকে এসে খালেদা জিয়া যদি তারেক রহমানের পরামর্শ অনুসারে বিএনপিতে একটা পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন তখন বয়োজৈষ্ঠ নেতাদের খালেদা-তারেকবিহীন বিএনপি প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে নিশ্চিত করে বলা যায়। খালেদা জিয়া দলের এই কঠিন সময়ে কি ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এটাই এখন দেখার বিষয়। অন্যদিকে তিনি লন্ডনে কতদিন অবস্থান করবেন তাও এখন আর নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না।সহসা ফিরে আসা না আসার মধ্যে দলের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। বিএনপির এই অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সরকার কি চুপ করে বসে থাকবে? নিশ্চই না! ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা খালেদা তারেক বিহীন বিএনপি গঠনের কথা প্রকাশ্যে মিডিয়ায় বলেছেন।আওয়ামী লীগ চায় বি,এন,পি থাকুক অবশ্যই বিএনপি থাকবে।তবে খালেদা-তারেকের নেতৃত্বে নয়। সুতরাং আজ হোক আর কাল হোক অবশ্যই আসবে খালেদা-তারেকবিহীন বিএনপি। গনতন্ত্র মনা দেশপ্রেমিক কোন ব্যাক্তি চাইবে না বা চাইতে পারেনা শক্তিশালী সরকারী দলের বিপরীতে বিরুদীদল শক্তিহীন থাকুক।কোন গনতান্ত্রিক দেশের ও কাম্য নয়।যাহাই ঘটুক,যাহাই হোক,দেশ পরিচালনার জন্য,উন্নয়ন অগ্রগতি নিরবিচ্ছিন্ন রাখার মানষে শক্তিশালী, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের,স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসি গনতান্ত্রীক দেশপ্রেমিক, দায়ীত্বশীল বিরুদি দলের একান্ত কাম্য,বর্তমান প্রেক্ষাপটে।এই সত্যকে অস্বিকার করার অর্থই হবে, দেশের ভবিষ্যতকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়া। বি,এন,পি সম্পর্কে যে দিক থেকে আলোচনা করিনা কেন,ভবিষ্যতের দিকে তাকালে কেবলেই দেখা যায় যাদুঘর।আল্লাহর সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া এই দল বাংলাদেশের রাজনীতিতে কস্মিনকালেও সফল হবে না,বা সফল ভাবে ফিরে আসতে পারবে না,শতভাগ নিশ্চিত করেই বলা যায়।সুতারাং এখনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরন ঘটুক ইহাই কামনা করি মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে।আল্লাহ যেন আমাদের দেশে সুস্থ্যধারায় রাজনীতির চর্চা অব্যাহত রাখার ক্ষমতা সম্পন্ন নেতার আবির্ভাব ঘটিয়ে দেন,এই কামনাই করি। " জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু" " জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা"

ছবি

রাজনীতি থেকে ব্যাবসায়ি,সেনা কর্মকর্তা,তথাকথিত সুশিলদের হঠানোর এখনি মোক্ষম সুযোগ =============================== মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ক্রমস অসাধু কালোটাকার মালিক,সেনা কর্মকর্তা,দেশি বিদেশী এন,জি,ওর স্বত্বাধিকারী একশ্রেনীর সুশীলের রাজনীতিতে আর্বিভাব ঘটে।তাঁরা বিভিন্ন দলে অনুপ্রবেশ করে প্রকৃত রাজনীতিক,যুবসমাজ,দেশ বাসির একদা অহংকারের ছাত্রসমাজকে বিভ্রান্ত করে অবৈধ টাকার বিনিময়ে পথভ্রষ্ট করে দলের অভ্যন্তরে এবং জনমনে প্রভাব প্রতিপত্তি সৃষ্টি করে নীজেদের আখের গোচানোর কাজে মনোনিবেশ শুরু করে।দিনে দিনে আজ তা মহিরুহ আকার ধারন করে গোটা রাজনৈতিক ব্যাবস্থাকে গ্রাস করেছে।মেধাবী ছাত্রদের হাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ তুলে দিয়ে অবৈধ পথে খরছ করার পথ সৃষ্টিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করা শুরু করে প্রথমত সেনা কর্মকর্তারা,তার পরেই অবস্থান করে ব্যাবসায়ি নেতারা।সারা দেশের যুব সমাজ তাঁদের হীন উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আজ নেশার জগতে হাবুডুবো খাচ্ছে।তাঁরা না লাগছে দেশের সৃজনশীল কাজে, না লাগছে পরিবারের অভাব মোচনের কোন কাজে।নেশাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে করতে হচ্ছে ছিনতাই,ডাকাতি,রাহাজানির মত অসামাজিক কাজ। সমাজে দেখা দিচ্ছে ক্ষনে ক্ষনে অস্থিরতা।ইয়াবা ব্যাবসায়ী, স্বর্ন চোরাচালান,সেনাশাষনের সময় দুর্নীতি,ঘোষের টাকার মালিক সেনা কর্মকর্তাদের ছেলে মেয়েদের সাথে ফ্যাশনের প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ভদ্র সুশীল ঘরের ছেলে মেয়েরা চলে যাচ্ছে বিপদগামীতার পথে।অবৈধ টাকার মালিকেরা সারা দেশকে প্রতিটি ক্ষেত্রে সৃষ্টি করছে ভয়াবহ, মারাত্বক পরিস্থিতি।দেশের প্রতিটি নাগরিক কমবেশি ভুগছেন কন না কোন ভাবে। অনেকের উপলব্ধি ও মনের কথা বলেছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। দুঃখ করে বলেছেন, রাজনীতি এখন ব্যবসায়ীদের পকেটে চলে গেছে। এমন তিক্ত কথা কিশোরগঞ্জের এই মিঠা মানুষটি বলেছেন একেবারে প্রকাশ্যে। অষ্টগ্রাম পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক নাগরিক সমাবেশে ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। আবদুল হামিদ বলেন, সততা বজায় না রাখলে একজন রাজনীতিবিদ কিছুই করতে সক্ষম হবেন না। কেউ অর্থ-বিত্ত করতে চাইলে তাদের জন্য অনেক উপায় আছে। তাদের রাজনীতিতে আসা উচিত নয়। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘদিনের সহচর হাওরবাসীর এই জনপ্রতিনিধি দাবি করেন তার রাজনীতি মানুষের কল্যাণে। সরকারি কাজ থেকে কোনদিন অবৈধভাবে একটি লাল পয়সাও পকেটে নেননি বলে সাহসী উচ্চারণও করেন রাষ্ট্রপতি। রাজনীতির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য একমাত্র জনগণ। আর সেটা পূরণ হয় রাজনীতিকদের মাধ্যমে। কোন রাজনীতিক দেশ ও জাতির কল্যাণের বদলে দল বা ব্যক্তিস্বার্থে কাজ করলে তাকে রাজনীতিক বলা যায় না। বলতে হবে রাজনীতি নামের ব্যবসা। শুধু ব্যবসায়ীরাই রাজনীতির এ বাণিজ্য করছেন না। চাঁদাবাজ, বিত্তশালী, প্রভাবশালীরা নিজ স্বার্থকে আরও প্রতিষ্ঠিত করতে রাজনীতিতে ভিড়ছেন। অল্প সময়ে অবস্থানও তৈরি করে নিচ্ছেন। এদের দুর্বৃত্তায়নে রাজনীতিকরা নাস্তানাবুদ হচ্ছেন। এ ধারা দেশকে কোথায় নেবে সেই দুর্ভাবনা বিবেকবানদের প্রতিনিয়ত তাড়া করছে। রাষ্ট্রপতির কণ্ঠে প্রতিফলিত হয়েছে সেরকম তাড়নাই। খোলা চোখে তাকালে আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতির এই কয়টি বাক্যের মধ্যে গুড় তাৎপয্য আছে।তিক্ত অভিজ্ঞতা না হলে এমন সত্য কথাটি রাষ্ট্রপতির মুখ থেকে বের হত না।নির্বাচনে লক্ষ লক্ষ টাকার চড়াচড়ি মুলত এই সমস্ত ব্যবসায়ী নেতাদের কারনেই উদ্ভব হয়েছে।তাঁরা অজস্র টাকা পয়সা খরছ করে দলের মধ্যে প্রভাব বলয় সৃষ্টি করতে গিয়েই কর্মিদের নষ্ট করেছে।অর্থলোভী জেলা উপজেলা এবং কি কেন্দ্রীয় নেতারাও তাঁদের অর্থের নিকট নতজানু হতে দেখা গেছে।ব্যাবসায়ীরা রাজনীতিকে ব্যাবসার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার কারনেই রাজনীতিতে দুর্নীতির অনুপ্রবেশ ঘটেছে।আগে কখন ও এমনটি হত না। সময়ের ব্যবধানে রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্যরকম বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন ছড়িয়ে পড়েছে রাজনীতি। এমন প্রতিষ্ঠান খুব কম রয়েছে যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক ব্যাক্তি বিশেষের সংশ্লিষ্টতা না আছে। রাজনৈতিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা থাকার অর্থই হচ্ছে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটানোর প্রবনতার অঘোষিত মহড়া। তাই ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক- সামাজিক সমৃদ্ধিতে রাজনৈতিক পরশ নেয়ার একটি প্রবণতা সমাজে সাদা চোখেই দেখা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ প্রবণতার ভালো-মন্দ অবশ্যই আলোচনা হতে পারে। আশার কথা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বা রাজনীতিতে সম্পৃত্ত থাকার প্রবনতা আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশী নির্দ্ধিদায় বলা যায়।রাজনীতি সচেতন ব্যাক্তির কর্মক্ষমতা তুলনা মুলক অন্য নিরেপেক্ষ ব্যাক্তির তুলনায় বেশি থাকবে বলার অপেক্ষা রাখে না।প্রত্যেক সামাজিক প্রতিষ্ঠান,স্কুল কলেজ এবং কি পাড়া মহল্লার ক্লাব গুলিতেও জাত রাজনৈতিক এবং সদ্য ব্যাবসায়ী নেতার মধ্যে পার্টিশান সহজেই অনুমায়িত হচ্ছে।ব্যাবসায়ীর টাকার কাছে নিবেদিত রাজনৈতিক নেতাটি গো হারা হেরে লেজ গুটিয়ে বাড়ীতে আশ্রয় নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকছেনা।আমি কোন মতেই ব্যাবসায়ীদের রাজনীতির বিপক্ষে নই।আমি বিপক্ষে টাকায় উঠতি যুবক,সমাজের চরিত্রবান ছেলেটির চরিত্র হননের বিপক্ষে।অতিরিক্ত টাকার কারনে আমাদের যুব সমাজ দিনে দিনে নেশার কবলে ডুবে যাচ্ছে আমি তাঁর বিপক্ষে।ব্যবসায়ী বা অন্য কারো রাজনীতি করতে বাধা নাই।কিন্তু বলয় সৃষ্টির নেশায় ছাত্রদের ব্যাবহার করতে গিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা তুলে দিয়ে তাঁদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তাঁরা। আবার রাজনীতিকদের ব্যবসা করায়ও কোন বাধা নেই। কিন্তু রাজনীতিতে জেঁকে বসা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য কি দেশ ও জনগণের কল্যাণ, না রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি ও ক্ষমতাকে ব্যবহার করে নিজের ব্যবসা বিস্তার। এটি গুরুতর প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। পাল্টা প্রশ্নও রয়েছে। ব্যবসার জন্য রাজনীতি, আবার রাজনীতির জন্য ব্যবসা এ দু"য়ের কোনটাই দেশের জন্য মঙ্গল হতে পারে না,ফলের জন্যতো নহেই। ব্যবসায়ীর চিন্তায় লাইসেন্স সংগ্রহ, জমি পাওয়া, ভবন নির্মাণ, বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস সংযোগ এবং নিরাপত্তার আয়োজন প্রতিটি ক্ষেত্রেই কমবেশি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রচলিত আইন ও নিয়ম লঙ্গন করে বিল প্রদান থেকে শুরু করে কর ফাঁকি সর্বক্ষেত্রে লাভের অংক কষা। বিভিন্ন পর্যায়ের এ কাজগুলো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে সহজ হয়ে যায়। আরও অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের রাজনীতির এই বাস্তবতা অস্বীকার করা হবে সত্যকে চাপা রাখার অপচেষ্টা। এখানে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর তহবিলের প্রধান উৎস ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের অনেকের অর্থ উপার্জন স্বচ্ছ নয়। আবার কোন ব্যবসায়ী রাজনৈতিক দলকে কত অর্থ দিচ্ছেন এবং তা কিভাবে ব্যয় হচ্ছে সেটাও স্বচ্ছ নয়।ব্যাবসায়ী দিচ্ছেন তাঁর ব্যাবসার উদ্দেশ্যে দলগুলী নিচ্ছে দল পরিচালনার জন্য।সঙ্গতভাবে দুপক্ষই একে অপরের স্বার্থ বিবেচনা করবে,এতে জনগনের কি উপকার হবে তাও ভাবনার বিষয়।জনগনের তথা দেশের যে অপুরনীয় ক্ষতি সাধিত হচ্ছে রাষ্ট্রপতি উপলব্দি করতে পেরেছেন বিধায় সত্য কথাটি অকপটে বলতে পেরেছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রত্যাশা, তার মতো নির্মোহ, সৎ রাজনীতিকরাই রাজনীতি করুক। দেশ পরিচালনা করুক। এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের সঙ্গে কেউ দ্বিমত করেছেন বলে জানা যায়নি। আবার তার এ বক্তব্য ও প্রত্যাশা সাধুবাদ জানিয়ে কেউ বা কোন মহল সামনেও আসেনি। বরং আড়ালে-আবডালে অন্যরকম আলোচনা রয়েছে চুপিসারে, নিঃশব্দে। ব্যবসায়ী পক্ষের অনেকেরই কথা হচ্ছে- বর্তমান যুগটাই ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের। কোন কিছুই ব্যবসা বা ব্যবসায়ীমুক্ত নয়। কে ব্যবসায়ী আর কে নয়, সেটা উত্থাপন করা অমুলক। আমাদের দেশে সামাজিক ব্যবসার পক্ষে অনেকেই। শিক্ষা নিয়ে,স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে এবং কি ফেইজ বুক নিয়েও ব্যবসা চলছে। বাইরের দুনিয়ায় তা আরও ব্যাপক। বিল গেটস-মার্ক জাকারবার্গ তথ্য-প্রযুক্তি ও প্রযুক্তি পণ্য ব্যবসায়ী, তালেবান-আইএসসহ জঙ্গিরা ধর্মব্যবসায়ী, আইসিসি-ফিফা হলো ক্রীড়া ব্যবসায়ী, হলিউড-বলিউড হলো সংস্কৃতি ও ফ্যাশন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন দাতাসংস্থা লগ্নি করে টাকা-- বলে উন্নয়ন সহযোগি অর্থাৎ উন্নয়ন ব্যবসায়ী। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান গুলিও নানা ভাবে ব্যবসা করার ধান্ধায় আছে।এত বেসরকারি মানবধিকার সংস্থা কাজের টাকার যোগান আসে কোত্থেকে? সেই ধারায় রাজনীতিও ব্যবসার কাতারে চলে যাবে তাতে আমি বিচলিত নই মোটেই। ব্যবসায়ীদের রাজনীতি বা রাজনীতিকদের ব্যবসা করাকে নিরুৎসাহিত করা তত সহজ বিষয় নয় কোন দলের পক্ষেই। তবে, নিয়ন্ত্রন করা যে দরকার তা পোড় খাওয়া মানুষটি ঠিকই আঁচ করতে পেরেছেন।ভারতে টাটা, আম্বানির মতো বিভিন্ন গ্রুপ বা প্রতিষ্ঠানগুলো রাজনীতিতে আমাদের দেশের মতো করে সম্পৃত্ত নয়। তবে তারা রাজনৈতিক দলগুলোকে আর্থিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে এটা স্বীকৃত সত্য।স্বাধীনতার আগে পরেও ব্যবসায়ীরা আমাদের দেশে রাজনৈতিক দল গুলিকে অর্থ সাহায্যই করেছেন। সরাসরি রাজনীতিতে প্রবেশ করে রাজনীতিকে কুলষিত করেন নাই বা রাজনীতিকরা করতে দেননি।বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনে তিনি সাহায্য চেয়েছিলেন প্রকাশ্যভাবে,"আমার সংগ্রাম কমিটির কাছে পৌছে দিবেন"।এখানে লক্ষ করুন" পৌছে দিবেন "কথাটা বলে তিনি রাজনীতিকে কিভাবে মহিমাম্বিত করেছেন।কোন ব্যাক্তি যাবে না পৌছে দিতে হবে,প্রাধান্য কি ভাবে দিয়েছিলেন কর্মিদের।এখন আমাদের নেতারা ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকেন টাকার জন্য,তাও নিজের খরছের টাকা দলের জন্য নহে। বৃত্তি বা পেশা হিসেবে ব্যবসার চমৎকারিত্ব দুনিয়াব্যাপি।আমাদের মহান ধর্ম ইসলামেও ব্যাবসাকে এগিয়ে রেখেছেন পেশা হিসেবে। ব্যবসার মূল কথা বা অর্থই হচ্ছে লাভ। যেকোন উপায়ে লাভ করাই সকল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য। লাভ করতে গিয়ে ইনকাম ট্যাক্স, সেলস ট্যাক্স,কাস্টমস, পুলিশ, কোট-কাছারি ইত্যাদি থেকে বাঁচার জন্য অন্য ভাবে বলতে গেলে ফাঁকি দেয়ার জন্য রাজনীতিতে নাম লিখানো প্রয়োজন মনে করেন।জনসেবা করার জন্য নয়,নীজের সেবা কন্টক মুক্ত করাই উদ্দেশ্য থাকে অধিকাংশ ব্যাবসায়ী মন্ত্রী এবং সাংসদের। গত দুই আড়াই দশকে দেশে ব্যবসায়ীদের একটি নতুন সফল শ্রেণী তৈরি হয়েছে। লবণ, সয়াবিন তেল, তৈরি পোশাক, ঝুট কাপড়, বালু, জমি, ফ্ল্যাট, শেয়ার থেকে ইয়াবা সোনা চোরাচালানী পর্যন্ত নানা আইটেমের ব্যবসায় তারা শতভাগ সফল। বাজার নিয়ন্ত্রণের সরকারি প্রচেষ্টা তারা ভন্ডুল করে দিতে ও তাঁরা নাকি সক্ষম। তাদের অনেকে ইদানীং ভীষণ সফল রাজনীতিতেও। এক সময় নির্বাচনসহ বিভিন্ন উপলক্ষে তারা মোটা অঙ্কের চাঁদা দিয়ে দল বা সরকারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেন। তারপরও স্বার্থের পক্ষে নীতি ও আইন প্রণয়নে তাদের অনেক দেনদরবার,মন্ত্রীদের নিকট বা রাজনীতিবীদদের দরজায় ধর্নার প্রয়োজন হত।বর্তমানে ব্যবসায়ীরাই রাজনীতিবিদ, রাজনীতিবিদরাই ব্যবসায়ী,সুতারাং কারো দরবারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। নিজেদের স্বার্থে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা তাদের কব্জায়।শুধুমাত্র সাহষ করে প্রয়োগের উদ্যোগ নেয়া।এই অবস্থায় চলতে থাকলে একসময় দেখা যাবে মাদক বিক্রি বিপনন আমদানী রপ্তানী কোন কিছুতে আইনত আর বাঁধা থাকবে না বরং সেবন না করাই হবে জেল জরিমানার কারন।কারন তাঁদেরতো ব্যাবসা করতেই হবে। গত দুই দশকের সংসদ সদস্যদের পেশাগত অবস্থানও সেই ইঙ্গিত দেয়। সংসদের অর্ধেকেরও বেশি সদস্য নাকি নিজেদের পরিচয়ে লিখেছেন ব্যবসায়ী। এক জরিপে দেখানো হয়েছে, নবম সংসদে ব্যবসায়ীদের ৩০ শতাংশ সরাসরি তৈরি পোশাক শিল্পের সঙ্গে যুক্ত।গতবারের সংসদে আওয়ামী লীগের ২৩৫ এমপির মধ্যে ১২০ জনই ব্যাবসায়ী। বিএনপির ৩০ সদস্যের ১৮ জনই ব্যবসায়ী। চলতি দশম সংসদে ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলের পরিসংখ্যানে তত হেরফের হওয়ার নয়। বরং খানিকটা বেশিও হতে পারে। মনোনয়ন পেতে নীতি, আদর্শ বা ত্যাগের চেয়ে অর্থ-বিত্তের বিবেচনাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সব দলে। দলীয় পদ-পদবি হাসিলে তার চেয়ে অধিক । কে কত বিত্তশালী, কতটাকা দিতে পারবে উদ্ধতন নেতাকে,গুনে দিবে না খোলা চেকে দিবে-সেটাই হয়ে আছে যোগ্যতার মানদন্ড। আত্মীয়করন তো আগে থেকেই ব্যাধি। এমনতর পরিস্থিতিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতির উপলব্ধিটি সচেতন যে কারো জন্যই চিন্তার বিষয়। বিশেষ করে ক্ষমতাসীনসহ জনসম্পৃক্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে রাষ্ট্রপতির মন্তব্য বেশি করে বিবেচনা জরুরি বলে আমি মনে করি। একদিকে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন অন্যদিকে পেশিশক্তির মহড়া, তার উপর ব্যাবসায়ী চিন্তাচেতনা -রাজনৈতিক দলগুলোকে সুস্থ চিন্তা-চেতনা থেকে কত দূরে নিয়ে যাচ্ছে তা বিভিন্ন ঘটনার দিকে তাকালেই বোঝা যায়। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নে সামাজিকও রাজনীতিক ভীতটা ইতিমধ্যে ভেঙে গেছে। দুর্বল হয়ে পড়েছে মানুষের সহ্য, আদর্শ, মানবিক মূল্যবোধ। লোপ পেয়েছে সত্য, সততা ও আদর্শবোধ। ভয়াবহ একটি অপনীতির ঘোর অমানিশার অন্ধকার ঘিরে ফেলেছে সমাজের নিম্ন, মধ্যম এমনকি নিরীহ শ্রেণীটিকে। দিব্যি ভাল আছেন শুধু অসৎ,দুবৃত্ত,লোভি,ক্ষমতা লিপ্সু, অপরাজনৈতিক কলা কৌশলি,দখলবাজ,বর্নচোরা, কালোবাজারী,মাদকব্যবসায়ী লুটেরা। লক্ষ্য করলেই দেখা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে যেসব মন্ত্রী, এমপি, নেতার কর্মকান্ডে সরকার বেকাদায় পড়েছিল বা পড়ার সমুহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল- তারা কেহই রাজনীতি থেকে উঠে আসা নন, তৃণমূল থেকেও উঠে আসেননি। ব্যবসা, চাকরিসহ বিভিন্ন লাভজনক ক্রিয়াকর্মে বিভিন্ন দলীয় সরকার বা সামরিক শাসকদের সঙ্গে দিব্যি মানিয়ে চলতে অভ্যস্ত তারা। দুই বড় দলেই তাদের দেখা মেলে। তারা সহজেই দল ও সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদ বাগিয়ে নিতে পারেন, যা মাঠ-ঘাটের নেতাকর্মীরা পারেন না।সত্যিকারের রাজনীতিবিদেরা তোষামোদি করেন না বা করতে জানেননা, তাই পদে পদে বর্তমানে তাঁরাই হচ্ছেন লাঞ্চিত,বঞ্চিত।ব্যাবসায়ীদের তোয়াজনীতির নিকট ধরাশায়ী হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আরেক বোমা ফাটানো মন্তব্য করেছেন সাবেক সিএসপি অফিসার, বর্তমান অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান। রাজনীতির একটু বাইরের হলেও প্রাসঙ্গিক। তিনি তদবিরের তোড়ে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠার কথা প্রকাশ্যে বলেছেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, এ দেশের মানুষ অনেক কিছু না পারলেও তদবিরের কাজটা খুব ভালো বোঝে এবং পারে। তিনি জানিয়েছেন, তার কাছে যত লোক আসে, তাদের ৯০ শতাংশই আসেন তদবিরের কাজ নিয়ে। এসব তদবিরের অধিকাংশই আবার অসঙ্গত। অর্থাৎ প্রকারান্তরে দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতি। পারিবারিক পর্যায় থেকে শুরু করে সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, এমনকি রাষ্ট্রীয় কাজে তদবিরের রাজত্ব। বাড়ি তৈরি করতে প্ল্যান পাস করতে হয়। বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির সংযোগ দরকার। এ ধরনের কাজের ফাইল সহজে নড়ে না। নড়াতে অনেকে প্রভাবশালী ব্যক্তির শরণাপন্ন হতে হয়। এক্ষেত্রে কিছু ক্যাশ টাকা ধরিয়ে দেয়া এখন আর তত অপরাধ মনে করেন না অনেকে। চাকরির আবেদন থেকে শুরু করে উত্তীর্ণ হওয়া, নিয়োগপ্রাপ্তি, পদোন্নতি, এমনকি যুৎসই জায়গায় পোস্টিংয়ের তকদির নিশ্চিত করতে হয়।তাঁর সুনিশ্চিত ব্যাবস্থাও আমাদের স্বনামধন্য ব্যাবসায়ীরা করে রেখেছেন।প্রত্যেক অফিসে বিনা প্রয়োজনে সুন্দরী মহিলাদের নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন।প্রয়োজনে তাঁদেরকে তদবীরের কাজে ব্যাবহার করতে দ্বিধা করেন না, নীতি নৈতিকতায় ও বাঁধে না। ব্যাবসায়ী নেতারা রাজনীতিকেও অফিস আদালতের মত করে তদবীরের মাধ্যমে হাসিল করতে সচেষ্ট থাকেন।মাঠে ঘাটে যুবক শ্রেনীর হাতে তুলে দেন মাদকের যোগান,উদ্ধস্তরে করেন ব্যবসায়ীক ধ্যান ধারনায় তদবীর। বাজিমাতের প্রয়োজনে রইলো বাকী আর কি। বর্তমান সরকার এমন সময়ে এক যুগ উপযোগি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।দলীয় প্রতিকে হবে স্থানীয় নির্বাচন।প্রাথী বাছাইয়ের ক্ষমতা যদি স্ব-স্ব এলাকার কর্মি বাহিনীর উপর থাকে তাহলে অচিরেই উপরে উল্লেখিত অভিশাপ থেকে দেশ ও জাতি রক্ষা পাওয়ার পথ প্রসস্ত হবে।তৃন্মুলের নেতা কর্মিদের প্রার্থী বাছাইয়ে ভুমিকা রাখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার অর্থ হবে অবৈধ কালোটাকার নিকট রাজনীতি হেরে যাওয়া।অচিরেই গ্রাস করবে গোটা রাষ্ট্র যন্ত্রকে।নিবেদিত, অনুগত নেতা কর্মিরা কখনই নেতা নির্বাচনে ভুল করেনা,ইহা প্রমানীত সত্য।সৎ,মেধাবি, ত্যাগী নেতা কর্মি কখনই লোভ লালসায় আত্মসমর্পন করেনা করতে পারেনা।তাঁদের নেতা নির্বাচন অতীতে কখনই ভুল হয়নি,সুযোগ পেলে ভবিষ্যতেও হবেনা,দৃড় আস্থা অন্তত এই একটি ব্যাপারে পোষন করা যায়। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা

ছবি

স্থানীয় সরকার নির্বাচন,প্রার্থী বাছাই-আমার অভিমত:--- ============================ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই ও মনোনয়নের কোনো পদ্ধতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সহ কোন দলের গঠন তন্ত্রেই নেই।ইহা একটা নতুন অবশ্যম্ভাবি অধিকতর গনতান্ত্রীক পদ্ধতি হতে পারে, যদি দল গুলি নিয়মাতান্ত্রিকভাবে চিন্তা করে।অনেক দল এবং ব্যাক্তি বিভ্রান্তিতে আছেন পদ্ধতিটি কেমন হতে পারে।দল গুলিও এই মনোনয়ন কীভাবে হবে, তা ঠিক করতে শিগগিরই দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা ডাকার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।কোন কোন দল ইতিমধ্যে এই নির্বাচনকে ঘিরে নীজেদের দলীয় শক্তি সামর্থ্য যাচাই করার নিমিত্তে ইতিমধ্যে তৃনমুল পয্যায়ে নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন নেতা কর্মিদের। এদিকে, দলীয় পরিচয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তের পরই সরকারি দলের আগ্রহী প্রার্থীরা মন্ত্রী, নেতা ও সাংসদদের পেছনে ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছেন। প্রতিটি পৌরসভায় পাঁচের অধিক দলীয় নেতা নির্বাচন করতে চাওয়ায়, এবার প্রার্থী বাছাই করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।বি,এন,পিতেও প্রার্থীর চড়াচড়ি হবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে। স্থানীয় নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সব ধরনের নির্বাচনই রাজনৈতিক দলে গতি আনে। স্থানীয় নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে চাঙাভাব এসেছে। সাত বছর ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার কারণে দলীয় কার্যক্রম" দিবস ভিত্তিক "হয়ে পড়েছিল। অনেকে টাকা বানানোর পেছনে ছুটেছেন। এখন স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে সবাই তৎপর হয়ে উঠেছেন। স্থানীয় নির্বাচন জোটগতভাবে হবে নাকি আলাদা হবে—এ নিয়ে তৃনমুলের নেতা কর্মিদের মনে বিভ্রান্তি দেখা গেলেও আনন্দের কমতি নেই।অনেকেই দলের প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচিত হয়ে যাওয়ার দিবাস্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন,বিশেষ করে দলের হাইব্রিড নেতাদের মধ্যে অনেকেই। প্রতীক ও দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের মাধ্যমে নির্বাচনের বিষয়টি সরকারের অনেক ভাবনার ফসল। এ জন্য দলীয় প্রার্থী বাছাই এবং সেসব প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য দল থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ইহাই স্বাভাবিক।তবে তাহা কোনক্রমেই জোরপুর্বক নয়।প্রচার প্রচারনার মাধ্যমেই। আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই সারা দেশের মেয়াদোত্তীর্ণ ২৪৫টি পৌরসভায় নির্বাচন শুরু হয়ে যাবে। এরপর মার্চ-এপ্রিল থেকে শুরু হবে ৪ হাজার ৫৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এসব নির্বাচন এত দিন নির্দলীয় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছিল। দলীয় প্রতীক ও প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি ঠিক করার জন্য সাংগঠনিক প্রস্তুতির বিষয় আছে। দলীয় ফোরামে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে। দলের মধ্যে মনোনয়নের জন্য সুস্থ প্রতিযোগিতাকে উৎসাহিত করা বাঞ্চনীয়।আগে নেতা নির্বাচনে আওয়ামী লীগে কিছুটা গনতান্ত্রিক পদ্ধতির কারনে প্রতিযোগিতা লক্ষ করা যেত।স্থানীয় সরকার নির্বাচন হেতু এবার হয়তো প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে। সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থীটাই যাতে দলীয় মনোনয়ন পান, সেই পদ্ধতিই অবলম্বন করা উচিৎ হবে। অনানুষ্ঠানিক হলেও সব সময় দলীয় প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে।যেহেতু এবার আইনি ভাবে দলীয় নির্বাচন হবে,সেহেতু বাছাই প্রক্রিয়াটিও সাংগঠনিক পদ্ধতিতে প্রার্থী বাছাই হবে স্বাভাবিক। দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে অনেকে টাকাওয়ালা ও পেশিশক্তির অধিকারী হয়েছেন। মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে এঁদেরই তোড়জোড় বেশি। দল নিশ্চয় টাকা নয়, ত্যাগী নেতা দেখে মনোনয়ন দেবে। এইক্ষেত্রে ব্যত্যায় ঘটলে অনেক এলাকায় দলের অস্তিত্ব ধরে রাখা কষ্টকর হবে আমি মনে করি। জেলা থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত নানা বলয় আছে প্রত্যেক দলে।দির্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারনে আওয়ামী লীগে আর ও বেশি হবে ইহাই স্বাভাবিক। কতিপয় পদ্ধতি মেনে প্রাথীবাছাই করা হলে বহলাংশে ত্যাগী রাজনৈতিক কর্মীরাই মোনোনয়ন পাবেন আমার দৃড বিশ্বাস।দলীয় প্রতীকে ভোট হলে প্রার্থী বাছাইয়ে সাংসদ,জেলা,উপজেলার নেতাদের ভূমিকা রাখার সুযোগ না দিয়ে তৃনমুলের কর্মিদের হাতে ক্ষমতা দেয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।কারণ, সাংসদ জেলা,উপজেলার প্রভাবশালী নেতারা অযোগ্য আত্মীয়স্বজনদের সব পৌরসভা ও ইউনিয়নে বসিয়ে দিতে তৎপর থাকে অতীতে দেখা গেছে। নিজের লোকদের বসাতে তাঁদের সামান্যতম বিবেকে বাঁধাও দেয়না।তখন তারা নিলর্জ্জের মতই নেতা কর্মিদের সাথে আচরন করে।অর্থলোভি কর্মিরাও অনেকটা নেতার নির্দেশ পালনে তৎপর থাকে।এতে দলের সর্বনাশ হলেও তাঁদের মনে সামান্যতম অনুভুতি জর্ম্ম নিতে দেখা যায়না।ত্যাগী নেতারা সুযোগ না পেয়ে হতাশ হয়ে একসময়ে রাজনীতি বিমুখ হতে দেখা যায়,সুযোগ সন্ধানী নেতারা ঠিকই এই সময়ের জন্যই অপেক্ষায় থাকে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাচনের জন্য ১১ সদস্যের একটি সংসদীয় বোর্ড থাকে। দলীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সংসদীয় দলের নেতা পদাধিকার বলে সদস্য। অন্যরা কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। তদ্রুপ ইউনিয়ন,পৌর সভা,ওয়ার্ডের নির্বাচনে নেতৃত্ব বাচাইয়ের প্রক্রিয়ার মত একই রীতি অনুস্মরন করা বাঞ্চনীয়। নিম্নের মতামতটি একান্তই আমার নিজস্ব মতামত,কোন ক্রমেই দল বা জোটকে,নেতৃবৃন্দকে বিভ্রান্ত করার জন্য নহে,বিবেচনা করার জন্য আবেদন মাত্র। "ধরা যাক ওয়ার্ডের মেম্বার পদে প্রার্থী বাছাইয়ে ঐ ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি সম্পাদক ব্যতিত আরও মনোনীত দশ জন কাউন্সিলর নিয়ে বাছাই কমিটি করা যেতে পারে।সর্বমোট বার জনের ভোটে যিনি প্রথম হবেন তিনি দলীয় নমিনেশন পাবেন।যিনি দ্বিতীয় হবেন তিনি পাইপ লাইনে থাকবেন,কোন কারনে প্রথম জনের নমিনেশন বাতিল হলে দ্বিতীয়জন ভোটে অংশ গ্রহন করার সুযোগ থাকবে।তেমনী ভাবে প্রত্যেক ওয়ার্ডের ঐ বার জন করে নয় ওয়ার্ড থেকে ১২*৯=১০৮ সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদক সর্বমোট ১১০ জনের ভোটে যিনি প্রথম হবেন তিনি দলীয় নমিনিশনের জন্য বিবেচিত হবেন,দ্বিতীয় জন প্রথম জনের নমিনিশন কোন কারনে বাতিল হলে দ্বিতীয় জন নমিনেশন পেয়েছেন ধরে নিতে হবে।প্রক্রিয়াটি উপজেলা পয্যায় পয্যন্ত একইভাবে অনুস্মরন করা যেতে পারে। প্রক্রিয়াটিতে জেলা,উপজেলা,সংসদ সদস্যদের কোনক্রমেই রাখা যাবে না।যদি উদ্ধতনের হস্তক্ষেপের সুযোগ দেয়া হয়, গনতন্ত্রকে সুদৃড ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করার সরকারের যে ইচ্ছা, এতে বড় রকমের বাঁধার সৃষ্টি হবে,দল ক্রমশ নেতা নির্ভর হতে বাধ্য হয়ে যাবে।দলীয় তৃনমুলের নেতাদের শোষন করে উদ্ধতন নেতারা গাড়ী বাড়ীর মালিক হবে, দলের বিকাশ ঘটবে না।ইহা কোন অবস্থায় একজন সত্যিকারের মুজিব আদর্শের বিশ্বাসী সৈনীকের কাম্য হতে পারে না।" বর্তমানে পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করে আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু আছে। বর্তমানে জেলার নেতা, স্থানীয় সাংসদ, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ক্ষেত্রবিশেষে অঞ্চলভিত্তিক বড় নেতারা এ কাজ করেন। কিছু কিছু স্থানে তৃণমূলের ভোটের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই করা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় নেতারা সমঝোতার ভিত্তিতে একজনকে নির্বাচন করেন। তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মনোনয়ন ঠিক করা হয়নি এই যাবৎ।এবার তাও সম্ভব হবে একই প্রক্রিয়ায়।উল্লেখিত প্রক্রিয়াটিতে তোষন নীতি স্পষ্ট।বেশ ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ার কারনে তা কিছুটা রদবদল আনায়ন জরুরী মনে করি।কোন অবস্থায় উদ্ধতন নেতাদের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ দেয়া উচিৎ হবে না,উদ্ধতন নেতাদের বাছাই পর্বে অংশগ্রহন,"" অংশটিতে সংশোধনী এনে কর্মীদের ভোটে নেতা নির্বাচন পদ্ধতি অনুমোদন করা আওয়ামী লীগের মত বড় সংগঠনের একান্ত কাম্য।"" এতে দলের অভ্যন্তরীন কোন্দল অনেকাংশে নির্মুল করা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।সর্বক্ষেত্রে কর্মিদের উপর নির্ভরতা থাকা প্রয়োজন।এতে দলের ত্যাগী,কর্মিবান্ধব,জনগনের জন্য নিবেদিত ব্যাক্তিরাই নেতৃত্বে উঠে আসবেন।দল যেমন উপকৃত হবে জনগন ও দলের কতিপয় হাইব্রিডের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

বীরঙ্গনাদের মুক্তিযুদ্ধার স্বীকৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অমুল্য বহি:প্রকাশ। ≠========================== ধন্যবাদ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা। দীর্ঘ বছর পর হলেও আমাদের গৌরবের মুক্তিযুদ্ধে নারী জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ হারিয়ে যাঁরা আজকের বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রের নিকট উপহাসের পাত্রী হয়ে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বিকৃতি দিলেন।যদিও প্রাথমিক অবস্থায় তাঁর সংখ্যা সাগরের এক বিন্দু বৃষ্টির ফোঁটা সমতুল্য। মুক্তিযুদ্ধে বিপুলসংখ্যক নারী মাতৃভূমির স্বাধীনতা অর্জনের পথে লাঞ্ছিত; নিপীড়িত,নির্যাতীত হয়েছেন। আমরা বক্তৃতা,বিবৃতিতে বলি প্রায় দুই লক্ষ মা,বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি।কিন্তু এদেশ তাঁদেরকে এত বছর শুধু অবহেলাই নয়,মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য করে রেখেছিল।ছিল না কোন রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা,সামাজিক সম্মান।আমরা ভুলতে বসেছিলাম এদেশীয় দোষরেরা তাঁদের জোর পুর্বক পাঞ্জাবি খাঁন সেনাদের হাতে তুলে দিয়েছিল।তৎকালিন জামায়াতের আমীর গোলাম আযম সহ রাজাকারের বংশদবদেরা ফতোয়া দিয়ে গর্বের কন্ঠে বলেছিল গানিমতের মাল,ইসলামে নাকি জায়েজ আছে,বাঙালী মা বোনদের দর্শন করা।আজকে তাঁদেরও বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে।নারী জীবনের সবচেয়ে গ্লানিময় অধ্যায় হলো নারীর সম্ভ্রমহানি। যুদ্ধের সময় সম্ভ্রম হারানো নির্যাতিত নারীদের অনেকে মারা গেছেন, বেশীর ভাগ সমাজের গ্লানী সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। এখনও যারা বেঁচে আছেন তাদের জীবন এখনও দুঃসহ ও অবমাননাকর। নারীর এই আত্মত্যাগ, সম্ভ্রমহানি খুবই বেদনাবহ। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হানাদারবাহিনীর হাতে নির্যাতিত নারীদের ‘বীরাঙ্গনা’ খেতাবে ভূষিত করেন। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘দেশের জন্য তারা ইজ্জত দিয়েছে, মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে তাদের অবদান কম নয়, বরং কয়েক ধাপ ওপরে। তাই তাদের বীরাঙ্গনার মর্যাদা দিতে হবে, যথারীতি সম্মান দেখাতে হবে।’ সে সময় উন্নত সামাজিক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সরকার এই সম্মাননা দেন এবং সংবর্ধনার মাধ্যমে বিশেষ সম্মানে তাদের ভূষিত করেন। জাতীর জনক যদি বেঁচে থাকতেন,আজকের বীরঙ্গনারাই হতেন বাংলাদেশের সম্মানীয়,রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা পাওয়া সোনালী পরিবার।প্রাথমিকভাবে তাদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বিভিন্ন নারী পুনর্বাসন ও কল্যাণমূলক সংস্থা গঠন করে অনেক বিরঙ্গনাকে সেখানে স্থানান্তর করে পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করেন।উৎপাদনমুখী বিভিন্ন প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করে দেন।সেখান থেকে অনেকেই আজকে প্রতিষ্ঠিত শিল্প উদ্যোক্তা হতে পেরেছেন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতার নির্মম হত্যাকান্ডের পর বীরাঙ্গনারা স্বাধীন দেশে নানাভাবে অবহেলিত এবং মানবেতর জীবনযাপন করা শুরু করে ।জাতির জনকের প্রস্থানের সাথে তাঁদের ভাগ্যের বিড়ম্বনাও আগমন ঘটা শুরু করে। তবে আশার কথা দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে বীরাঙ্গনারা যে আশায় বুক বেঁধেছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার সরকার। অবশেষে বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছেন। চলতি বছরের জুলাই থেকে মুক্তিযোদ্ধার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন তাঁরা। একটি রিট আবেদনের জবাবে বীরাঙ্গনাদের সমন্বিত তালিকা প্রস্তুত করে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্মান ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে গত বছরের জানুয়ারি মাসে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ১৩ অক্টোবর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ২৫তম সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন সংজ্ঞার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নতুন সংজ্ঞায় একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের নৃশংস নির্যাতনের শিকার নারীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ৪১ জনের নামে গেজেট প্রকাশ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৪ বছর পর বীরাঙ্গনারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন। গেজেটে বলা হয়েছে, মৃত বীরাঙ্গনার পরিবারও গেজেটে তাঁর নাম প্রকাশের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন। আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে বীরাঙ্গনা নিজে বা তার দাবিদাররা মন্ত্রণালয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির আবেদন করতে পারবেন। আমরা আশা করবো অন্যসব সরকারী সেবার মত বিরঙ্গনাদের তালিকা প্রনয়ন,অন্তভুক্তি,ভাতা তালিকায় প্রবেশ,প্রাপ্তি পয্যন্ত যেন কোন বিড়ম্বনার শিকার না হয় তার প্রতি কোঠোর দৃষ্টি রাখা হবে।প্রয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় থেকে নজরদারীর জন্য বিশেষ টিম গঠন করে দেয়া যেতে পারে কিনা, ভেবে দেখা ঊচিৎ।বিড়ম্বনার শিকারে পরিনত হলে অনেকে যারা এখন ও জীবিত আছেন, তাঁরা তালিকায় নাম দেয়ার জন্য উৎসাহিত হবে না।এক্ষেত্রে বীরঙ্গনা নারীদের বংশ পরস্পরায় রাষ্ট্রীয় সুবিধাদি পাওয়ার বিষয়গুলি ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে আত্মসম্মান বাঁচাতে লুকিয়ে থাকা বীরঙ্গনাদের মনে সাহস যোগাতে পারে,সামাজিক বাঁধা পেরিয়ে তালিকায় নাম নিবন্ধন করতে। একাত্তরে নির্যাতিত নারীদের তালিকা কোথাও সংরক্ষিত নেই। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই সংখ্যা আড়াই থেকে সাড়ে চার লাখ। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সামাজিক সম্মান না থাকায় অনেকে নির্যাতিত হওয়ার কথা প্রকাশ করেন না। নির্যাতিতদের খুঁজে বের করে তালিকাভুক্ত করে গেজেট করা নিঃসন্দেহে কঠিন কাজ। বাংলাদেশের মত সামাজিক প্রেক্ষাপটে স্পর্শকাতর একটি বিষয়। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক উঠেছে, নির্যাতিত নারী মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না আশা করা যায়।এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যারা গেজেট ভুক্ত হয়েছেন তারা যেন তাদের প্রাপ্য সম্মান, প্রথম ধাপে মাত্র ৪১ জনের নাম গেজেটভুক্ত হয়েছে, পর্যায়ক্রমে বাকিদের নাম গেজেটভুক্ত করতে যেন কালবিলম্ব না হয়, সেটা নিশ্চিত করা জরুরী। যতকাল স্বাধীনতা বিরুদীদের অস্থিত্ব থাকবে,ততকাল সম্মানের অধিকারী মা,বোনেরা অসম্মান নিয়ে সমাজে টিকে থাকতে হবে।রাজাকারের পরিবারের সরকারী সকল সুযোগ নিষিদ্ধ না করে,বীরঙ্গনাদের সম্মান দিলে, সেই সম্মান বহন করা কতটুকু সম্ভব হবে বলা যায় না।রাজাকারের তালিকা প্রনয়ন করা সহজ সাধ্য হওয়া সত্বেও, কেন তালিকা প্রনয়ন করা হচ্ছে না, বোধগম্য নয়।প্রাথমিক ভাবে রাজাকার পরিবারের সকলের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি। যারা সরকারি চাকুরীতে এখন ও বহাল আছেন,সত্বর তাঁদের চাকুরীচ্যুত করে,নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সাহষ যোগানো যেতে পারে।তখনি কেবল মনে হতে পারে, আমাদের জন্য, আমাদের ভবিষ্যত প্রজর্ম্মের জন্যই আজকের এই সামাজিক,রাষ্ট্রীয় সম্মান সরকার উপহার দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে,সুতারাং সাড়া দেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

দলীয় প্রতিকে স্থানীয় নির্বাচন,নতুন সমাজ গড়ার অঙ্গিকারের একধাপ অগ্রগতি।

ছবি

জামায়াত শিবিরের যত সম্পদ জঙ্গি উত্থানের উৎস।

ছবি

বহুল আলোচিত আই,সি,টি ও সাইবার অপরাধ দমন আইনে শিথিলতা বিড়ম্বনার কারন হতে পারে================================== নব্বইয়ের দশকে বি,এন,পি ক্ষমতায় এসে মাত্র ২/৩টি মোবাইল কোম্পানীকে ব্যবসার অনুমতি দিয়ে মোনোপলি ব্যবসার সুযোগ করে দেয়।ইউনুস সাহেবের পল্লিফোনের এক একটা সিমের দাম এক লক্ষ বিশ /ত্রিশ হাজার টাকায় গ্রামের গরীব মহিলাদেরকে লোনের উপর ব্যবসা করার জন্য দেয়।প্রতি মিনিট দশ টাকা ইনকামিং এবং আউট গোয়ীং পাঁচ টাকা করে গ্রামের বাজারে ব্যবসা শুরু করে।কত কোটি টাকা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রামীন ব্যাংক পাবলিক থেকে নিয়ে গেছে তাঁর হিসেব আজ পয্যন্ত কোন বিশেষজ্ঞ অংক করে বের করতে পারেননি।পরবর্তিতে সিটি সেল ও একটেল বাজারে এলে দাম কমে ৪০/৪৫হাজার টাকায় স্থির হয়।ঐ সময়ে অপটিক্যাল ক্যবল বিনে পয়সায় বাংলাদেশকে অপার করলেও খালেদা সরকার তা গ্রহন করেননি। কারন হিসেবে বলা হয়েছিল দেশের গুরুত্ব পুর্ন তথ্য বাহিরে প্রকাশ হয়ে যাওয়ার কথা।তখন যদি অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করা সম্ভব হত দেশ ডিজিটালাইজেসনের পথে আরও অগ্রগামী থাকতো নিদ্ধিদায় বলা যায়।ছিয়ানব্বইতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এই ক্ষেত্রে সকল নিশেদাজ্ঞা প্রত্যাহার করে বাজারের বন্ধ দরজা খুলে দেয়।ফলে মোবাইল এবং সিমের দাম কমতে থাকে।বর্তমানে সীম মোবাইলের সাথে ফ্রি পাওয়া যায়,অনেক ক্ষেত্রে আরও অগ্রগামি হয়ে ১০০/টাকা রিসার্জ করলে সীম বিনাপয়সায় পাওয়া যায়।এই সহজলভ্যতার ও খারাপ দিক লক্ষনীয় ভাবে ফুটে উঠেছে।অল্পবয়স্ক ছেলে মেয়েদের হাতে মোবাইল চলে যাওয়ার কারনে সমাজে অস্থিরতাও সৃষ্টি হয়েছে,অপব্যায়তো বেড়েছেই।এমন ও দেখা যায় দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা কানের কাছে মোবাইল ধরে বসে আছে। ব্যবসা বানিজ্য যোগাযোগে যেমন বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে অন্যদিকে ছেলে মেয়েরাও তাঁদের যাহা করার বয়স এখনও হয়নি তাহাই করে যাচ্ছে।যৌবনে যাহা প্রযোজ্য তাহাই কিশোর বয়সে ঘটে যাচ্ছে অবলীলায়।মোবাইলই হলো প্রথম ডিজিটাল প্রযুক্তি যেটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রবেশ করে জীবন মান দ্রুত পরিবর্তন করে দিয়েছে। সমাজের সব স্তরে এভাবে আর কোনো ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রবেশ করেনি। আমরা রেডিও-টিভির কথা বলতে পারি। সে সমস্ত প্রযুক্তি অনেক আগেই এসেছে কিন্তু মানুষের জীবন মানের উপর তেমন প্রভাব পড়েনি। যেভাবে মোবাইল এসেছে সেভাবে আর কোন প্রযুক্তি আসেনি। রেডিও-টিভি একপক্ষীয়। এসব থেকে আমরা তথ্য পেতাম। কিন্তু মোবাইল হলো দ্বিপক্ষীয়, ইন্টার এ্যাকটিভ যোগাযোগ মাধ্যম। ফলে এটি কেবলমাত্র ফোনের প্রযুক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এটি এসএমএসের সহায়তায় ডাটা আদান-প্রদানে আমাদের যুক্ত করেছে। এতে সাউন্ড ও ভিডিও যুক্ত হয়েছে এবং ইন্টারনেটের সহায়তায় ডিজিটাল সভ্যতা বা জ্ঞানভিত্তিক সভ্যতার মাঝেআমরা প্রবেশ করেছি।ভাব চক্করে মনে হচ্ছে, মোবাইলের মতো একটি যন্ত্র যাতে ইন্টারনেট ও কথা বলার সুযোগ থাকবে সেটিই হবে আগামী দিনের ডিজিটাল যন্ত্র। যাহোক ইন্টারনেটই যে সব প্রযুক্তির কেন্দ্র, সেটি নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়।ফেইজ বুক বর্তমানে সবচাইতে বড় ও গভীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।বর্তমানে বাংলাদেশে ষোল কোটি মানুষ তম্মধ্যে তের কোটি মোবাইল ব্যাবহারকারী রয়েছে।ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে মোবাইলের বদৌলতে টেলিঘনত্বের মাপকাঠিতে অনেক ওপরে আছে বাংলাদেশ। আমাদের মোবাইলের ব্যবহারও অবিশ্বাস্য গতিতে বেড়েছে। কোনো সন্দেহ নেই যে, উভয়ক্ষেত্রেই আমাদের অল্প বয়সের মানুষরা এতে বেশি করে যুক্ত হচ্ছেন বিশেষ করে স্কুল কলেজ গামী ছেলে মেয়েরা। মোবাইল ও ইন্টারনেট নামক ডিজিটাল যুগের দুটি যোগাযোগ মাধ্যমের প্রসারের ফলে দেশেরর সার্বিক অগ্রগতি হবে এবং হচ্ছে এটি অর্থনীতিবিদদের ধারনা।সার্বিকভাবে ইন্টারনেটের প্রভাব এখন আর আগের মতো ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটার বা গুগল সার্চের মধ্যেই সীমিত নয়। বিশেষ করে থ্রিজি বা ৪জি প্রযুক্তির বদৌলতে ইন্টারনেট একটি ডিজিটাল জীবনধারা গড়ে তুলছে। মানবসভ্যতা এর আগে আর কখনো এমন গভীর প্রভাব বিস্তারকারী প্রযুক্তির মুখোমুখি হয়নি।এর পরবর্তিতে আরও উন্নত প্রযুক্তি ৫/৬/৭জি আসবেনা তা কি বলা যায়? আগামী দিনের রাজনীতি, আন্দোলন,জনমত সংঘটন,ভোটের ব্যরোমিটার উঠানামা সব কিছুই ফেইজ বুক,গুগল,ইন্টারনেটের মাধ্যমে হবে ইহা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়।শাহবাগের জমায়েত এবং সফল আন্দোলন তাঁরই প্রকৃষ্ট প্রমান।মোবাইল ও ইন্টারনেট জীবনধারায় কি প্রভাব ফেলবে সেই আলোচনা করতে হলে প্রথমেই বুঝতে হবে এসব প্রযুক্তি মানুষের জীবনযাপনে কি পরিবর্তন এনেছে। উনিশ শতকের আশির দশকের মাঝামাঝিতে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের টেলিফোন এবং ১৯৬০ সালে পরস্পরের তথ্য বিনিময়ের নেটওয়ার্ক কালক্রমে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হয়ে এখন যখন মোবাইল ও ইন্টারনেটের সভ্যতা তৈরি করেছে তখন বস্তুত এটি জীবনের প্রায় সব অলিন্দ্যে প্রবেশ করে জীবনের অংশ হয়ে বসে আছে। মোবাইল তো বটেই ইন্টারনেট এখন জীবনের সব যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, ভাব বিনিময়, তথ্য-উপাত্ত বিনিময় ও সামাজিক-ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যম। এটি এখন কেবল কথা বা লেখা বিনিময় করে না, সাউন্ড, ভিডিও-এর পাশাপাশি একটি চমৎকার ইন্টারএ্যাকটিভ মাধ্যম হিসেবে এই প্রযুক্তি গড়ে উঠেছে। থ্রিজি প্রযুক্তির মোবাইল থেকেই আমরা বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ স্যাটেলাইট টিভিগুলো মোবাইল ফোনে দেখি। ইন্টারনেট মাধ্যমটি এখন টিভি দেখার, ভিডিও দেখার, গান শোনার, সিনেমা দেখার এবং লেখাপড়া করার শ্রেষ্ঠতম মাধ্যম। এই মাধ্যমটি এখন ব্যবসা-বাণিজ্যের বা শিল্প কলকারখানার কেন্দ্রবিন্দু। এমনকি ইন্টারনেট এখন রাজনীতির সবচেয়ে বড় মাধ্যম। রাজনীতিবিদ-মন্ত্রী, সংসদ সদস্যরা এখন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে মনের ভাব তাঁর নির্বাচনী এলাকার মানুষকে জানান দিচ্ছেন।ঐ এলাকার মানুষ ও পোষ্ট বা স্টেটাস দিয়ে তাঁর এলাকার সমস্যাদির কথা এম,পি মহোদয়কে জানিয়ে দিচ্ছেন। গণজাগরণ মঞ্চের জন্ম, বিস্তার ও বিকাশ এবং হেফাজতে ইসলামসহ নানা প্রকৃতির মানুষের ডিজিটাল অপরাধ বিষয়ক বক্তব্য প্রত্যহ প্রকাশিত ও প্রচারিত হচ্ছে। এখন বাংলাদেশ সম্ভবত এই বিষয়টি নিয়েই অনেক বেশি আলোড়িত,আলোচিত,সমালোচিত।অনেকেই ইতিমধ্যে এই সমস্ত মাধ্যমের খারাপ দিক গুলীর নেশায় আসক্ত হয়ে সব ভুলে একাকিত্বতায় ভুগছেন।মোবাইলের সুবিধা যেমন অবারীত হচ্ছে,তাঁর সাথে যুক্ত হচ্ছে ডিজিটাল অপরাধ বিষয়ক নানাবিদ কর্মকান্ড।বর্তমানে যে সকল অপরাধ কর্ম সংঘটিত হচ্ছে মোবাইলের ব্যবহার সেখানে না থেকে পারে না।এমন ও দেখা যায় কোন অপরাধি চির্হিত হলে তাঁর দখলে একাধিক মোবাইল সিম পাওয়া যাচ্ছে।এতেই বুঝা যাচ্ছে সিমের অপব্যবহার হচ্ছে যথেচ্ছ ভাবে।মোবাইল কোম্পানীগলী ব্যবসার উদ্দেশ্যে যত্রতত্র ভাবেই সিম বিক্রি করে দিচ্ছে।বর্তমান সরকার সিম নাম্বার অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।নি:সন্দেহে এটা একটি ভাল উদ্যোগ হতে পারে।কলরেটের ক্ষেত্রে আর ও একধাপ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হলে ব্যাবহার কারিরাই উপকৃত হবে।যাহাই সিদ্ধান্ত নেয়া হোক না কেন, মন্দদিক থাকবে।অপরাধ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবে অন্য আর এক প্রকার কৌশল। অদোপান্ত বিশ্লেষন করলে দেখা যায় ক্ষেত্রটি যেহারে প্রসারীত হচ্ছে, ব্যক্তিজীবন,রাজনীতি,সামাজিক জীবন,অপরাধ প্রবনতা ইত্যাদি, সেমত কিরে উহাকে নিয়ন্ত্রন বা সৃষ্ট অপরাধ প্রবনতা নিয়ন্ত্রন করার মত তেমন কোন আইন বা বিধি বিধান গড়ে উঠেনি।যেটুকু গড়ে উঠেছে সেইটুকু আবার অপব্যাবহার হতেও দেখা গেছে।যেমন ৫৭ধারায় সাংবাদিক প্রবির শিকদারকে গ্রেপতার করে রিমান্ড দেয়া হল।আবার ফেইজবুকের কল্যানে রিমান্ড বাতিল করে মুক্তি ও পেল।মুলত আই,সি,টি আইন গড়ে উঠে নাই বলে প্রবির শিকদার ৫৭ ধারার অপব্যাবহারের শিকার হলেন।আইসিটি আইন প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী ও ব্যবহারকারী এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান সময়ের তাগিদে এ রকম একটি আইন প্রণয়ের জন্য সোচ্চার ছিলেন। ২০০৬ সালে প্রণীত হওয়ার পর থেকে দুবার কয়েকটি ধারায় সংশোধনী এনে এই আইনকে কঠোর করা হয়েছে। তারপর থেকেই মূলত একেকটি ঘটনা ঘটে আর মাঝে মাঝে আইসিটি আইন নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। কোনো কোনো ধারা বাতিলের দাবি ওঠে, আদালতে রিট হয়, পত্রপত্রিকা আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। আইন অপপ্রয়োগের সুযোগ থাকলে এবং সেই সুযোগ ব্যবহৃত হলে এরকমটি ভবিষ্যতেও ঘটবে এটি নিঃসন্দেহে বলা যায়। তাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাসহ যেসব ধারায় শাস্তির বিধান রয়েছে সে সবের চেয়ে যেসব ধারা, বিশেষত ৭৬ ও ৮৬ ধারাসহ অন্যান্য ধারায় বর্ণিত বিধান বলে প্রথমোক্ত ধারাগুলোকে বিপজ্জনক করা হয়েছে, সেগুলোতে রদবদল এনে এই আইনে ভারসাম্য নিয়ে আসার প্রয়োজন।অন্যদিকে, সরকার ইতোমধ্যে ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন’ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ আইনের একটি খসড়া প্রণয়ন করে আইসিটি ডিভিশনের সংশ্লিষ্ট সংস্থা, সংগঠন, পেশাজীবী, আইনজীবী প্রমুখের মধ্যে বিতরণ পূর্বক তাদের সঙ্গে পর্যালোচনা সভা করে একটি চূড়ান্ত প্রস্তাব দেয়ার দ্বারপ্রান্তে রেয়েছে। অচিরেই মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদনের পর সংসদে বিল আকারে উত্থাপন ও পাস হয়ে তা চূড়ান্ত আইনে রূপলাভ করবে। মূলত সাইবার জগতের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্যই ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন’ প্রণয়ন করা হচ্ছে। তবে প্রশ্নের উদ্রেক ঘটা অস্বাভাবিক নয় যে, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ বিষয়ক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে দেশে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন’ বিদ্যমান আছে। এই প্রযুক্তির মধ্যেই সাইবার জগতের জন্য কঠোর বিধান প্রয়োজন অনুভুত হচ্ছে। ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন’ এবং প্রণীতব্য ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন’-আলাদা আলাদা বাঞ্চনীয়।আপাত দৃষ্টে উভয়ের ধরন একই মনে হলেও অপরাধ প্রবনতার মধ্যে স্পষ্টতই ব্যবধান লক্ষনীয়। খসড়া ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন’-এর মধ্যে ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন’-এর বেশ কিছু বিধানাবলি এক রকম হওয়ার কারনে সমালোচনা হতে পারে।কিন্তু ভেবে দেখা প্রয়োজন যে অপরাধের ধরন এক নহে।কোন কোন মহল থেকে বিধানাবলীর পুনরোক্তি রদের জন্য দাবি উত্থাপিত হচ্ছে।তাঁদের যুক্তি হচ্ছে যে, আইন দুটির মধ্যে একই ধরনের বিধান বিদ্যমান থাকলে, কোন আইন কখন কোন অপরাধের বেলায়, কার জন্য প্রয়োগ করা হবে বা কে কোন আইনের আশ্রয় গ্রহণ করবেন তা নিয়ে জটিলতা বা দ্বিধা-দ্বন্ধের সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই দুটি আইনের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা আবশ্যক। সে ক্ষেত্রে সাইবার সিকিউরিটি আইন প্রণয়নের প্রাক্কালে আইসিটি আইনেও প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে দুটি আইনে সার্বিক ভারসাম্য রক্ষাপূর্বক সম্ভাব্য জটিলতা এড়ানোর ব্যাবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলছেন।যুক্তি কেবলই মন্দ নহে,তবে ভেবে দেখা প্রয়োজন সাইবার অপরাধে যারা জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা আই,সিটি এ তদ্রুপ অপরাধের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন,গুটিকতক অপরাধির অপরাধের কারনে আই,সি,টির সুবিধা থেকে গনহারে বঞ্চিত করা ঠিক হবে কিনা।রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপুর্ন সাইট হ্যাক করা আর মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পোষ্ট দিয়ে বিরুদিতার মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য আছে।যেহেতু পার্থক্য আছে সেহেতু আইনের মধ্যেও পার্থক্য রাখা উচিৎ আমি মনে করি। আই,সি,টি এবং সাইবার দুটি কে প্রয়োজনে আলাদা আলাদা নিয়ন্ত্রন সংস্থা সৃষ্টি করে আলাদা আলাদা আইন করা প্রয়োজন।নচেৎ এই দুটি প্রযুক্তি মানুষের জীবনের সাথে যেভাবে জড়িয়ে আছে এতে বিড়ম্বনার সম্ভাবনা আরো বেশী করে জড়িয়ে আছে।আইনের কঠোরতায় বিগ্ম ঘটলে,সেবা নেয়া দুষ্কর হবে।জননন্দিত ব্যাক্তিদের সম্মানহানীর সম্ভাবনা থেকেই যাবে।ক্ষেত্র বিশেষ অপপ্রয়োগের কারনে শিথিলতা কাম্য নহে।

ছবি

আওয়ামী লীগের মধ্যে ঘাপটিমেরে থাকা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের বের করে দিয়ে, আগাছা পরিস্কারের প্রাথমিক কাজের উদ্ভোধন করা হোক।------------__------------------------------ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা অবিরত দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।একদিকে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখা অন্য দিকে কায়েমীস্বার্থ বাদী ভোগ বিলাসীদের লালসা থেকে দেশকে রক্ষা। একদিকে আইনের শাষন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে ৪০ বছরের ফেলে রাখা মামলার নিস্পর্তি,অন্য দিকে যুগের পালাবদলে সৃষ্ট আই, এস,টি, আই অপরাধ থেকে নতুন প্রজর্ম্মকে রক্ষা করার কঠিন চেলেঞ্জ মোকাবেলা করা।একদিকে বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা,অন্যদিকে যুগ যুগান্তর অনুচ্ছারীত বাংলাদেশের বৃহৎ স্বার্থ(সমুদ্র সীমা নির্ধারন,সিমান্ত চুক্তি,পানি বন্টন চুক্তি সমুহ)প্রতিবেশী সুলভ সম্পর্ক বজায় রেখে মিমাংশা করন।কোন বিষয়কে বাদ না রেখে সমানে সব দিকে ফ্রন্ট খুলে, ধীর স্থির ভাবে একের পর এক সুকৌশলে বিজয় চিনিয়ে এনে বাংলাদেশকে করে চলেছেন সমৃদ্ধ, বাড়িয়ে তুলেছেন সীমানা, অর্থনৈতিক গতিধারাকে ক্রমশ করছেন পরিপুষ্ট স্ফীত।সারা বিশ্ব যখন মন্দার কবলে পড়ে ভুখা নাঙ্গা মানুষের আহাকারে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে বিশ্ব অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম, তখন বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র, একদা পর পর ছয় বার বিশ্ব ব্যাংক কতৃক স্বীকৃতি পাওয়া, দুর্নীতিতে শীর্ষস্থান অধিকারি, বাংলাদেশেকে পরিকল্পিত কর্মসূচি গ্রহনের মাধ্যমে এশিয়ার সকল দেশের শেষে নিতে সক্ষম হয়েছেন।অর্থনীতিকে করে নিয়েছেন পরনির্ভরতা থেকে স্বাবলম্বি,আমদানী কারক ভিক্ষাবৃত্তির দেশকে গড়ে তুলেছেন রপ্তানিকারক ও সাহায্যকারী দেশের পদমার্য্যদায়।বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা এমন একটি পয্যায় নিতে সক্ষম হয়েছেন, একাদা যাহা কোন দিন কোন বিশেষজ্ঞ কল্পনাও করেননি এইরুপ কর্মযজ্ঞ বাংলাদেশের মত একটি গরীব দেশে সম্ভব হতে পারে।তাঁর প্রমান ও রেখেছে তাঁদের নেতিবাচক মন্তব্যের মধ্য দিয়ে।এমনতর কয়েক বিষয়ে আমি আপন্সদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি:---এক. পদ্মা সেতুর কাজ পরিকল্পনামতো অগ্রসর হচ্ছে। যে সব নিন্দুক বা হতাশাবাদী ভবিষ্যৎ বাণী করেছিল নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়, তাদের মুখে ছাই দিয়ে দেশের বৃহত্তম এই স্থাপনা ক্রমেই দৃশ্যমান হচ্ছে। সময়ের আগে ২০১৮ সালের মধ্যে স্বপ্নের এই সেতু ব্যবহার করা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। দুই. ঢাকা ও চট্টগ্রামে বড় বড় উড়াল সেতু, যা ছিল এতদিন কথায় তা এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে। একের পর এক ফ্লাইওভাবের পর শান্তিনগর-মালিবাগ-মগবাজার-ইস্কাটন, সাত রাস্তার মোড় জুরে বিশাল ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ অগ্রসর হচ্ছে। তিন. ঢাকায় মেট্রোরেলের কাজ শুরুর তৎপরতা প্রত্যক্ষ করে মানুষ আশান্বিত হয়ে উঠছে। ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেল নির্মাণ শেষ হলে ঢাকার চেহারাই যাবে পাল্টে। চার. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, যা ছিল ৬০ বছর আগের পরিকল্পনা, তা এখন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। দেশ আনবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন যুগে প্রবেশের দিন গুনছে। তাছাড়া নির্মিত হচ্ছে দুটি বৃহৎ বিদ্যুৎ প্রকল্প। এই সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। লোডশেডিং কথাটা যেখানে ছিল মানুষের অনবরত বুলি, তা এখন ক্রমে মঙ্গার মতোই অতীতের বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। পাঁচ. গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরির মাস্টারপ্লানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দ্বিতীয় অগভীর সমুদ্রবন্দর, যা নির্মিত হবে পায়রায়। ছয়. কর্ণফুলীতে ট্যানেল নির্মাণ এখন আর দিবাস্বপ্ন নয়।সাত. কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আট. পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের মিরশ্বরাই ও আনোয়ারা, মৌলভীবাজার ও বাগেরহাটের মংলায় চারটি বিদেশি অর্থায়নে এবং সিরাজগঞ্জে নিজস্ব অর্থায়নে সম্পন্ন করা হবে। নয়. পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কানেকটিভিটি ব্যবস্থা গড়ে তোলার মহাপরিকল্পনা ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। দশ. সবচেয়ে সাড়া জাগানো প্রকল্প হচ্ছে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপন। ২০১৭ সালের মধ্যে যদি এটা স্থাপিত হয়, তবে মহাবিশ্বে যাবে বাংলাদেশ এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় পরনির্ভরতা শেষ করার সুযোগ অবারিত হবে।উল্লিখিত দশটি কাজ দশ দিকে দশ হাতে যখন বাস্তবায়ন করার কর্মযজ্ঞ চলছে, তখন ক্রমেই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার রূপকল্প হাতের মুঠোয় এসে যাচ্ছে এবং সমুদ্রে বিজয়ের সুফল করায়ত্ত করতে ‘ব্রু "ইকোনমি’ আর অন্য দিকে পার্শ¦বর্তী দেশগুলোর সঙ্গে যে সুসস্পর্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে একে পুঁজি করে আঞ্চলিক সহযোগিতাপূর্ণ অর্থনীতি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে কিভাবে হাতের মুঠোয় আনা যায়, সেই পরিকল্পনা প্রণয়নের তৎপরতা চলছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই সব বড় বড় প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করে উন্নত এক বাংলাদেশ যদি গড়তে হয়, তবে সংবিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অত্যাবশ্যক। গ্রেনেডবাজি, বোমাবাজি ও আগুনবাজি প্রভৃতি জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যদি চলতে থাকে, তবে যে উল্লিখিত উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড কল্পনার ফানুস হয়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই বিচারে বলা যায়, দেশে এখন উল্লিখিত সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করার মতো রাজনৈতিক পারিবেশ বিরাজ করছে। হরতাল-অবরোধ যা ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী, তা এখন বিএনপি-জামায়াত জোটের চরম ভুল তথা সংবিধানবিরোধী-গণবিরোধী-দেশবিরোধী রাজনীতির জন্য দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করছে।বিএনপি এখন কার্যত সংবাদ মাধ্যমের দল হয়ে গেছে। এতেও নেই স্বস্তি। নেত্রীর নামে বিবৃতি দিয়ে বিবৃতি প্রত্যাহার করে আবার সেই বিবৃতিই প্রচার করার মতো অবস্থা এখন বিএনপির। নেত্রী খালেদা জিয়া যা বলেন, তা অনেকটাই ভাঙা কলের গানের মতো চর্বিত চর্বন, মানুষের কথা সেখানে থাকে না। মানুষ তাই এ নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্যও করে না। আর ‘লন্ডনের ভাইয়া’ একেবারেই নীরব হয়ে গেছেন। এত ইতিহাস যিনি রচনা করলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে বড় স্ক্রিনে অডিও-ভিডিও কনফারেন্স করে প্রতিনিয়ত নির্দেশ দিলেন, মানুষকে ঝলসিয়ে দিতে যিনি সালাউদ্দিন গংদের দিয়ে গোপন সংবাদ কেন্দ্র খুলে প্রতিদিন বিবৃতি দিয়ে হরতাল-অবরোধ চালু রাখলেন এবং সর্বোপরি যুদ্ধ জয়ের হুংকার দিতে থাকলেন, তিনি আজ নীরব। নেত্রীর লন্ডন যাওয়া নিয়ে কতই না তোড়জোড় ছিল।শেষ অবদি গেলেন।বলা হল ১৬ তারিখের মধ্যে ফিরে আসবেন।এখন বলছেন না নেত্রী চোখের চিকিৎসার পর ফিরে আসবেন।দোয়া করি নেত্রীর চোখ ভাল হোক জাতির জনকের কন্যার উন্নয়ন অগ্রগতি, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান তিনি যেন চোখের ব্যেন্ডেজ খুলেই দেখতে পান। গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর পরিকল্পনা গ্রহণ ও কার্যকর করতে গিয়ে দল ও জোট এখন যেন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন ও কর্মসূচি গ্রহণও ভুলে গেছে। সুদীর্ঘ ৯ মাস পর ২০ দলীয় জোটের বৈঠক দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চললেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। বিএনপি সুকৌশলে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে নীরবতা পালন করছে বলে একটা প্রচার রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছে। বলাই বাহুল্য, ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ও প্রতিহিংসা দিয়ে আপাদমস্তক মোড়া এই দল ও জোট ঘাপটি মেরে বসে থাকার কারণ যদি এটা হয় যে, অসংবিধানিক কিছু একটা করার নীলনক্সা করে তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে এই চক্র; তবুও এটাই বলতে হবে, পাপে নিমজ্জিত বিএনপি দল বা জোট হিসেবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে কিছু করার মতো অবস্থায় নেই। দল বিধ্বস্ত ও গণবিচ্ছিন্ন। মানুষ এখন উন্নয়ন চায়, নিশ্চিত জীবন-জীবিকার গ্যারান্টি চায়। এ কারণেই করছে বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান।বিএনপি-জামায়াত জোটের অবস্থা এবং জনগণের মনোভাব উল্লিখিত ধরনের হওয়ায় আওয়ামী লীগ সুন্দর একটি পরিবেশ পেয়েছে দলটির নির্বাচনী অঙ্গীকার সময়মতো বাস্তবায়ন করে এটা প্রমাণ করার জন্য যে, মুক্তিযুদ্ধে যে দল নেতৃত্ব দিয়েছে, সেই দলই পারে জাতিকে অব্যাহত উন্নয়ন দিতে, জীবন-জীবিকার সুদূরপ্রসারী নিশ্চয়তা দিতে এবং সর্বোপরি উন্নত-সমৃদ্ধ-কল্যাণমুখী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। স্বাধীনতার পরে আর কখনো ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগ বাইরে এমন পরিবেশ পায়নি। তবে এই পরিবেশ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে; কারো ভুল বা দয়ায় এমনটা নয়। জাতির অগ্রগতির পথে কলঙ্ক হিসেবে চেপে থাকা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি প্রদান, বর্তমান বিশ্বে উন্নয়নের প্রধান চাবিকাঠি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বিশ্বাসযোগ্য পর্যায়ে আনা, বিএনপি-জামায়াতের যুদ্ধংদেহী অপতৎপরতা ঠেকানো, উগ্রজঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ, দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করার সাফল্যের ভেতর দিয়ে পরিবেশ উন্নয়ন উপযোগী হয়েছে। স্বাধীনতার বিশেষত পঁচাত্তরের পর থেকে বিগত নির্বাচনের আগ পর্যন্তও চিন্তা করা যায়নি, এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এক কথায় বলা যায়, এটা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিচালিত জোট সরকারের কাংিক্ষত ও কষ্টার্জিত অর্জন এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি-প্রতিজ্ঞা-সাহস-কৌশলের কাছে সম্মিলীত অক্ষ বিষ দলের চরম পরাজয়ের কারনে। জাতির জনক তাঁর সারা জীবনের ত্যাগের ফসল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতাকে নিজের রক্ত এবং পরিবারের সদস্যদের রক্ত দিয়ে উৎসর্গ করে দিয়ে গেছেন বাঙালী জাতিকে।তাঁর জীবিত জৈষ্ঠ কন্যা দেশরত্ম সকল মেধা,প্রজ্ঞা,বিচক্ষনতা দিয়ে, বাঙালী জাতিকে দিয়ে যাচ্ছেন উন্নত, সমৃদ্ধ,মায্যদাপুর্ন বাংলাদেশ। আমাদের স্মরনে রাখা প্রয়োজন আছে গুটিকতক দুষ্কৃতকারীর কারনে এতসব অর্জন কোন অবস্থায় বিসর্জন দেয়া যায় না।তাই এখনি সময় আগাছা পরিষ্কার করে,সন্ত্রাসী, অস্রধারী,চোর ডাকাতদের কবল থেকে দলকে মুক্ত করে প্রকৃত দেশপ্রেমিক ত্যাগী নেতাদের হাতে সর্বক্ষেত্রে দলের নেতৃত্ব তুলে দেয়ার।আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন আগে যে খেটে খাওয়া মানুষটি আওয়ামী লীগ বলতে বুঝতো ভারতের তল্পিবাহক একটি দল এখন এই মহুর্তে সেই একই মানুষটি বুঝে আওয়ামী লীগ মানে উন্নত জীবন জীবিকার গ্যারান্টি দাতা, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রুপকার,দক্ষিন পুর্ব এশিয়ার মধ্যে নেতৃত্ব দানকারি দেশের প্রতিষ্ঠাতা,মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার বাস্তবায়নকারী,স্বাধীনতার স্বপ্ন পুরন কারী দলের নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আর তাঁর সুদক্ষ কারিগর জাতির পিতার কন্যা দেশরত্ম বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী বিশ্ব নেতা শেখ হাসিনা ওয়াজেদ।পাঁচ দশ হাজার সন্ত্রাসী, মাস্তান,চাঁদাবাজকে যটপট ফেলে দিলে আওয়ামী লীগের তেমন কিছুই হবেনা বরং জগনের নিকট দল্টির গ্রহন যোগ্যতা আর কয়েক ধাপ বেড়ে একমাত্র জনগনের দলে রুপান্তরীত হওয়ার সুবর্ন সুযোগই অবারীত হবে।জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুজয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

আমাদের নতুন উপদ্রব তথাকথিত!!" নাগরীক সমাজ ----------------------------- সুশীল কুশিলবদের উদ্ভিগ্মতা কোথায়,উন্নয়নে না বিশ্বদরবারে জাতির পিতার কন্যার নেতৃত্ব গ্রহনের হিংসায়?ইলেক্ট্রোনিং মিডিয়া সেমিনার বৈঠকি সভায় তাঁদের বক্তব্যে জনগন এখন হাসে।নতুন শব্দ চয়ন করে কথা বলা শিখেছেন আমাদের নাগরীক সমাজ, তথা সুশীল ভদ্র সমাজের তথাকথিত ভদ্রজনেরা।আগে আগে বলতে শুনতাম লালঝান্ডাধারী আমাদের সমাজতন্ত্রীরা,তাঁদের ভাষায় যাদের নাস্তিক অখ্যা দিতে কখনই কার্পন্য করতেন না।এখন অবশ্য তাঁরা শব্দ সমুহ ভুলে গেছেন,তাঁদের থেকে ধার করা শব্দ ব্যাবহার শুরু করেছেন বর্তমানের ধর্মধারী আস্তিক সাহেবেরা।যেমন:-- ক্ষমতার ভারসাম্য’, ‘ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ’এককেন্দ্রিকতা,সমবন্টন প্রভৃতি কথাগুলো বর্তমান দিনগুলোতে গোলটেবিলের মাধ্যমে সামনে আনতে চাইছে ‘উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ’ নামে নিরপেক্ষ দাবিদার সুশীল সমাজের একটি সংগঠন। সংগঠনের নামটাই বলে দেয়, উল্লিখিত বিষয়গুলোতে কোন ধরনের মতামত গোলটেবিলে ব্যক্ত করা হবে। আর আলোচ্য দুই বিষয়ের সঙ্গেই ক্ষমতা শব্দ যুক্ত আছে বিধায় এটাও বলতে হবে যে, ক্ষমতা নিয়েই এই সংগঠনটির চিন্তাভাবনা আবর্তিত হচ্ছে। ক্ষমতার ভারসাম্য বিষয়ে ইতোপূর্বে একটি গোলটেবিলের পর আরও কয়েকবার কয়েক স্থানে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে গোলটেবিল অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ভাব দৃষ্টে মনে হচ্ছে আরও হবে। এই গোলটেবিলের বক্তৃতা যতটুকু পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, তা বিবেচনায় নিলেই বোঝা যাবে যে, এই নাগরিক সমাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা কতটা ক্ষমতা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ওই গোলটেবিল থেকে বলা হয়েছে যে, খারাপ অবস্থা এবং তা ‘আরো খারাপ’ হবে। ‘অতিকেন্দ্রিক অতিরিক্ত ক্ষমতা, এককেন্দ্রিক ক্ষমতা শুধু রাষ্ট্র নয়, পারিবারিক ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ক্ষমতা মানুষকে হিতাহীত জ্ঞানশূন্য করে দেয়। ক্ষমতার প্রতি অতিরিক্ত অনুরাগ, মাদকতা ও উন্মাদনায় কিছু কিছু মানুষ পাগল হয়ে যায়।’ সত্বর ক্ষমতা পাওয়ার মানষে তাঁরা যে উম্মাদপ্রায় ,নিবিড়ভাবে সর্বসময়ে এড়িয়ে যেতে সুক্ষ কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন, জনগন যেন বুঝতেই পারছেন না।এই সুশিলেরা গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর পরিকল্পনায় কয়দিন আগে ব্যর্থ হয়েছেন,তাও বিস্মৃত হয়ে প্রলাপ বকা শুরু করেছেন। উল্লিখিত কথাগুলো বিবেচনায় নিলে এটা বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, এই সংগঠনে জড়ো হওয়া ব্যক্তিরা পর্যবেক্ষণে দেখতে পাচ্ছেন যে, বর্তমানে সরকারের কারো কারো হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। ক্ষমতা নিয়ে তারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হচ্ছে এবং কিছু কিছু মানুষ পাগল হয়ে যাচ্ছে। পাগল হওয়ার কারণ হচ্ছে, অনুরাগ, মাদকতা ও উন্মাদনা। অর্থাৎ তারা ধরেই নিচ্ছেন, পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে এবং এ জন্যই তারা উদ্বিগ্ন। প্রথমেই বলে নিতে হয়, ক্ষমতাকে এই মহল বিশেষ দেশের অর্থাৎ পাকিদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের রাজনীতি থেকে পৃথক করে নিয়ে বিচার করছেন। যেন মনে হচ্ছে, বর্তমান সময়ে ক্ষমতার আগে-পিছে কিচ্ছু নেই, কোনো সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস নেই, কোনো উন্নয়ন ও অগ্রগতির বাস্তব কাজ নেই, কোনো আশু ও সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নেই; কেবল আছে অনুরাগ, মাদকতা ও উন্মাদনা। এইভাবে দেখলে তো ষোল আনা মিছেই মনে হবে। একে কি বলা যাবে, একদেশদর্শী নাকি অন্ধ?অবশ্য তাঁদের নেত্রী ইতিমধ্যে বলে রেখেছেন তিনি চক্ষু চিকিৎসার পর দেশে ফিরে আসবেন।আল্লাহই মালুম কবে চিকিৎসা শেষ হয়।ফিরে আসার ব্যপারটা আল্লাহ কবুল করুক। তাঁরা আদৌ দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী দল, যার তৃনমুল পয্যায়ে রয়েছে সুদৃড অবস্থান, সে সংগঠনের নির্ভেজাল, ঐক্যবদ্ধ,সংগঠনগত, রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক জনগনকে সংগে রেখে অকুন্ট সমর্থন। যে সমর্থনের জোরে বলিয়ান হয়ে জাতির পিতার কন্যা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন আগামী প্রজর্ম্মের বাসযোগ্য বাংলা দেশ গড়ার তথা জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার অভিষ্ট লক্ষে। এখানে বলতেই হয় যে, কেবল খারাপ-খারাপ ভাবলে উদ্বিগ্ন হতেই হবে। আর উদ্বিগ্ন মনোভাব হওয়াটা তাঁদের জন্যই স্বাভাবিক যারা দেখেও না দেখার ভান করে।জেগে জেগে ঘুমায়। সারা পৃথিবী দেখে,উনারা দেখেন না।বিশ্ব নেতারা প্রসংশা করলেও তাঁদের ভাবনায় আসে উদ্ভিগ্মনতা।যতবেশী মিডিয়া সুবিধা দেয়া হচ্ছে, তত বেশী নামধারী সুশিল সৃষ্টি হচ্ছে।মিডিয়া মালিকদের আত্মীয় স্বজনেরাও অনেক সময় সুশিল হয়ে বক্তৃতা দিতে দেখা যায়।বলা হয় মিডিয়ার কন্ঠরোধ করেছে সরকার,এই বক্তব্যের চেয়ে আর খারাপ বা মিথ্যা কি বক্তব্য দেয়ার জন্য দিচ্ছেনা বা আর কোন বাক্য ব্যাবহার করলে বা আর কি বক্তব্য সম্প্রচার করার আছে।যাহা বললে কন্ঠের স্বভাবিকতা পেতেন বুঝতে পারিনা।তাঁদের মধ্যে আন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কোন কোন বিশিষ্ঠজন ইদানিং বলা শুরু করে দিয়েছেন,প্রেসিডেন্টের হাতে আর একটুখানি খমতা দেয়া যায় কিনা ভেবে দেখার জন্য।প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করে হলেও।সরকারে বিভক্তির আর কোন উপায় বুদ্ধিজীবিরা খুঁজে পাচ্ছেন না আমাদের খ্যাতির শীর্ষরা!!! অবশ্য তাঁদের বিষের দল থেকে যারাই বেরিয়ে আসতে পেরেছেন তাঁরা দিব্যি সব খোলা চোখে দেখেন। সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা ও বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সম্প্রতি জাতিসংঘের 'চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ' পুরষ্কার অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করলেন বিএনপির বহিষ্কৃত ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। গত শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মহাত্মা গান্ধীর ১৪৬তম জন্মবার্ষিকী ও বিশ্ব অহিংস দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধো আইনজীবী পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় নাজমুল হুদা বলেন, 'আমি আজকে শেখ হাসিনার বন্দনার জন্য দাঁড়াইনি, যা সত্যি তাই বলছি। বাংলাদেশ শেখ হাসিনার পক্ষে। শেখ হাসিনা সহিংস আন্দোলনের হাত থেকে এ দেশের মানুষকে মুক্ত করেছেন। বি,এন,পি মুলত বিভ্রান্ত হয়ে নানাহ বিবৃতি বিভিন্ন ভাবেই দিচ্ছেন।মুখপাত্র লিটন বলেন, ধরিত্রীর সম্মামনা পাওয়ায় প্রধান মন্ত্রী ,তাঁর দল খুশী,আবার ব্যারিষ্টার মাহবুব বলেন এই পুরস্কার টাকায় কেনা,খালেদা বলেন আওয়ামী লীগকে সংজ্ঞে রেখে সরকার গঠন করবেন।আর সুশিল বলেন আমরা উদ্ভিগ্ম। সুশিল সমাজ উদ্ভিগ্ম হতে পারেন সরকার দ্রুত যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন এবং বিশ্ব নেতারা দেশরত্মকে যেভাবে গ্রহন করেছেন এবার জাতি সংঘের অধিবেশনে,বা জরিপের ফলাফল যেভাবে উচ্চবাচ্য না করে মেনে নিয়েছেন বিশ দল সহ সুশিলেরা,নাগরীকেরা বুঝতে পেরেছেন আওয়ামী লীগ থেকে ক্ষমতা নিতে দশক লেগে যেতে পারে হয়তোবা।এত দিন কি আর ফালু আলুরা বেঁচে থাকবেন? লুটপাটের পেশী শক্তির ব্যাবহারের একটা সময় সীমা তো নিশ্চয়ই আছে।সব সময় কি আর মানুষের সমান যায়?উত্থান পতন তো বিধির বিধান বলতে একটা ব্যাপার অবশ্যই আছে----। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের পাশাপাশি জনগনের সহযোগিতা এবং বহিবিশ্বে জনমত গঠন করার বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়

মুক্তি যুদ্ধের প্রারম্ভে চট্রগ্রামের যুদ্ধ প্রস্তুতি এবং স্বাধীনতার ঘোষনা সম্প্রচার।