জেলে যাবেন জীবন্ত মানব-বের হবেন কপিনে মোড়ানো,সেই দিনের অপেক্ষায় এখনও বেঁচে আছি।
===============>===


  আন্দোলন এত  সহজ বিষয় নয়।আন্দোলন করার জন্য প্রধান ব্যাক্তির গ্রহন যোগ্যতা থাকতে হবে সর্বজনবিদিত।দলের নেতা কর্মিদের ত্যাগি মনোভাব থাকতে হবে।নেতা বিশুদ্ধ থাকতে হবে।ঘোষনা দিয়ে আন্দোলন হয় না।ব্যাক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির কোন আন্দোলন কোন কালে কোন সময়ে হয়নি হবেও না।লুটপাটের টাকা,জঙ্গী পোষনের মামলা,২১শে আগষ্টের বোমা হামলার মামলা থেকে বাঁচার জন্য সংক্্ষিপ্ত রাস্তায় ক্ষমতার প্রয়োজন ছিল।চেষ্টা ও হয়েছিল।কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।তাই খেদোক্তি করে খালেদাকে বলতে শুনা গেছে, সেনাবাহিনী বেইমান।৪২দিন সেজে গুজে বসে ছিলেন অরাজগতা করে আইন শৃংখলার ব্যাপক অবনতি ঘটিয়ে দেশে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, উত্তর পাড়া থেকে উনারা আসবেন, ক্ষমতায় বসিয়ে দিবেন। আইন শৃংখলার অবনতি করতে পেরেছিলিন, কিন্তু উনারা আসেননি।গোপাল গঞ্জের নাম নাকি বাদ দিয়ে কি রাখবেন,খমতায় যেতে পারেননি, নামও পরিবর্তন করা হয়নি।এত প্রতিহিংসা নিয়ে আর যাই হোক, আন্দোলন হয় না।জাতীয় নেতারা সর্বসাধারনের,একক দল বা একক এলাকার নহে।সংকির্নতা থাকলে নেতা হওয়া যায় না,বিশেষ অবস্থায় যদিও হয়,সময়ে তাঁর পরিবর্তন অনিবায্য।আজকে আমরা তাঁরই সুর শুনতে পাচ্ছি একদার সেনা ছাউনি থেকে জম্ম নেয়া দলটির সিনিয়র নেতাদের মুখ থেকে,তাঁদের বলয়ের বুদ্ধিজীবিদের কন্ঠে।
 আন্দোলনের নামে দু -দু ’ বার দেশে নিরীহ মানুষ হত্যার ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েও খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করাতে পারেননি। এমনকি ৫ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনও ঠেকাতে পারেননি। ফলে দলের ভিতরে অসম্ভব বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। প্রবীণ নেতারা নিষ্ক্রিয় এবং দল থেকে দূরে অবস্থান করছেন। নবীন নেতাকর্মীরাও হতাশ ও উদ্যমহীন। বেগম খালেদা জিয়া সম্ভবত এতোদিনে বুঝেছেন কেবল হুঙ্কার দিয়ে রাজনীতি হয় না এবং তার হাওয়া ভবন - খ্যাত কীর্তিমান পুত্র তারেক রহমানও হয়তো বুঝতে শুরু করেছেন, দেশ থেকে নিরাপদ দূরত্বে বসে কেবল বাক্যতীর মারা যাবে, আওয়ামী লীগ সরকারকে হাওয়ায় উড়িয়ে দেয়া যাবে না।পতন ঘটানো যাবে না।
নির্বাচনে যোগদান নিয়েও বিএনপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী চেয়েছিলেন নির্বাচনে অংশ নিতে। দীর্ঘকাল ক্ষমতার বাইরে থাকালে তাদের অনেকের রাজনৈতিক অস্তিত্ব বিলুপ্তির মুখে পড়বে। তাদের বেশির ভাগই মনে করেন , গত নির্বাচনে গেলে তারা জয়ী হতে পারতেন এবং এই জয়ের দ্বারা বিএনপি ক্ষমতায়ও যেতে পারত। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমানকে প্রতিহিংসাপরায়ণতা এমন পেয়ে বসেছে যে , দেশ এবং দলের স্বার্থও তাদের বিবেচনা থেকে লোপ পেয়েছিল, এবং সেখানে স্থান পেয়েছিল উদগ্র ক্ষমতালোভ এবং জিঘাংসা।নিজের পরিবার এবং সম্পদ রক্ষাই মুখ্য উদ্দেশ্যে রুপ পরিগ্রহ করেছিল।
এভাবে একটি রাজনৈতিক দল কেবল ক্ষমতালোভ , বিদ্বেষ ও হিংসার রাজনীতি দ্বারা চালিত হতে পারে না।তাঁর প্রমান ও দলটি একবাক্যে বলা যায় নগদেই পেয়ে গেছে,অপেক্ষাও বেশি দিন করার প্রয়োজন হয়নি।কয়দিন আগে জনগনের একান্ত সমস্যা বলা যায় সবশ্রেনীর মানুষের সমস্যা নিয়ে নন্যতম কর্মসুচি বিক্ষোব মিছিল দিয়ে বুঝতে পেরেছেন তাঁদের অবস্থা এবং অবস্থান কোথায় গিয়ে ঠেকেছে।

গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোট, একটি বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল, গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখ রোববার। বিএনপির এই কর্মসূচিটিও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো। বিক্ষোভের দিন এ দেশের সাধারণ মানুষ পুনরায় বিএনপির ব্যর্থ অবয়ব দেখল ওইদিন। ২০ দলের পক্ষে বিগত ২ সেপ্টেম্বর ব্যর্থ ও রুগ্ণ এই আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। কিন্তু আন্দোলন সম্পর্কে গণমাধ্যমের খবর হলো রাজধানীতে ২০ দলীয় জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কোনো নেতাদের তেমন কাউকেই রাজপথে দেখা যায়নি। উপরন্তু, এই আন্দোলন বা বিক্ষোভ কর্মসূচি সম্পর্কে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মিত্র দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলেছেন ‘জোটের নেতৃত্বে থাকা বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের কিছু জানানো হয়নি’ [সূত্র : দৈনিক কালের কণ্ঠ, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫]। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে যথারীতি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করে বিএনপি দাবি করছে যে, ‘রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে’ [সূত্র : দৈনিক কালের কণ্ঠ, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫]। আমরা আবারো দেখলাম জনগুরুত্বসম্পন্ন একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রদত্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির বিবৃতি-নির্ভরতা! আমরা বিগত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ‘অবরোধ’ কর্মসূচি চলাকালে দলটির এরকম অনেক ভৌতিক বিবৃতি দেখেছিলাম। দেখেছিলাম রক্তাক্ত ও অগ্নিদগ্ধ বাংলাদেশকে।এইখানেই চরম ব্যার্থতা তাই এবার প্রকাশ হচ্ছে তাঁদেরই বরেন্য ব্যাক্তি বর্গের বক্তৃতায় বিবৃতি থেকে।
     এতক্ষনে অরিন্দম কহিল বিষাদে!!
আমাদের মহামান্য সুশিল ইলেক্ট্রোনিক্স মিডিয়ার বরেন্য ব্যাক্তিরা বুজতে পারছেন মুল কাহিনী।উচ্চ আদালত কতৃক রঙ হেডেড খেতাব প্রাপ্ত জনাব জাফর উল্ল্যা সাহেব এবং একমাত্র অধ্যাপক বয়োজৈষ্ঠ ব্যক্তিত্ব  জনাব এমাজ উদ্দিন আহাম্মদ সাহেবেরা আওয়ামী লীগের কারনে নহে, বি,এন,পি--বি,এন,পির কারনেই আন্দোলন সংগ্রামে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে।দুই জনেই উদ্ভেগ প্রকাশ করেছেন দুই ভাবে।একজন চিন্তায় আছেন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতে কে নেতৃত্বে থাকবে বা কার নেতৃত্ব দল চলবে?আরেক একজন চাইছেন দল এর নেতৃত্ব তরুন দের প্রাধান্য দেয়ার জন্য।
 বিএনপির একটি আলোচনা সভায় গিয়ে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলে নানা পরামর্শ দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা . জাফরুল্লাহ চৌধুরী। জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হয়ে, খালেদা জিয়া যদি কারাগারে যান তাহলে দলের দায়িত্ব কে নেবেন, সে বিষয়ে আলোচনা করতেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, “ খালেদা জিয়া জেলে গেলে কি বিএনপি বন্ধ হয়ে যাবে? নিশ্চয় তা আপনারা চান না। জিয়াউর রহমান কবরে থেকে তা চান না।জাফর উল্লা সাহেব আর বলেন--
“ তার ছেলে তারেক রহমান , আমারও সে স্নেহের; লন্ডনে বসে ভালোই করছেন। তাই বলে ওইখানে বসে তার হুকুমে পার্টি চালানো যাবে না। তার সাথে আপনারা পরামর্শ করবেন। ”এইভাবেই বলছিলেন তিনি।
সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার ‘ ষড়যন্ত্র ’ পূর্ণ করে হলেও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।স্পষ্টতই তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, আর মিথ্যে বলে পার পাওয়া যাবে, দুর্নিতির দায়ে অবশ্যই খালেদা জিয়ার জেল হয়ে যাবে।যতই নাটক করে সময়ক্ষেপন করা হোক, নাটকের একসময়ে যবনিকাপাত হবে, বিরতি হবে ,তাঁর পর ও জেল মাফ হবে না,কারন ঘটনাতো মিথ্যে নয়।তখনকার সময়ে দলের হাল কে ধরবে তাঁর নিশ্চয়তা চাইতেছেন সুশিলেরা।কোনভাবে যদি যেকোন শর্তে যদি একটা নির্বাচন আদায় করা যায়, তাহলেও হয়তো নতুন কোন ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে পার পাওয়া যায় কিনা, সেই চেষ্টা করে দেখতে অসুবিধা কি/?তাই তাঁদের ভাষায় অবৈধ সরকারের সাথে যে কোন শর্তে আলোচনার টেবিলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত বি,এন,পি।অবৈধ সরকারের’ সঙ্গেই তারা সংলাপে বসতে চাইছেন এবং ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যোগ দেয়ার জন্য হাসিনা বিএনপিকে যে ছাড় দিতে চেয়েছিল সেই ছাড় নিয়ে আলোছনা করতে আগ্রহ প্রকাশ করে যাচ্ছেন।এমাজ উদ্দিন সাহেব দলের ধ্যান ধারনায় আরো গতিশীলতা আনায়নের উদ্দেশ্যে বলেন জিয়ার কর্মসুচি দিয়ে দেশ চালানো যাবে না।কিছু বিষয় বি,এন,পি কে স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে।যুগ উপযুগি কর্মসুচি প্রনয়নের ও সুপারীশ করেন তিনি।উল্লেখীত বৈদ্যিপনা থেকে স্পষ্ট বুঝা যায়, ঘরে আগুন লেগেছে,এই আগুনে দল পুড়ে চারখার হয়ে যাবে।খালেদা তারেকের নেতৃত্বের যুগ শেষ হয়ে যাবে,তাঁরপর এই সুশিলেরা কার সেবা করবেন এই চিন্তায় অস্থির হয়ে যাচ্ছেন।
আমার কথা হল,দেশে শান্তি শৃংখলা বিরাজমান।আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে,খাদ্যপন্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে।উন্নয়ন কাজ অব্যাহত গতিতে চলছে।চুরি ডাকাতি রাহাজানী যাদুঘরে চলে গেছে।উত্তর বঙ্গের মঙ্গার উত্তর সুরীদের গল্প শুনানোর পয্যায়।অভাব বিদায় নিয়েছে সেই কবে।  মানুষ সুখে আছেন,দেশের মানুষের ভোটের জন্য তেমন জোরালো কোন দাবী ও নেই।বিরুদি দলের আন্দোলন ও নেই,বিদেশীরা ও এই সরকারকে আপাতত মনে হচ্ছে মেনে  নিয়েছে,দাতা দেশের চাপ নেই,এমনতর পরিবেশে আওয়ামী লীগ কেন বি,এন,পির সাথে বসবে?ক্ষমতায় যাওয়ার আগে খমতায় কেন বসিয়ে দিবে?বিশ্বের কোন দেশে কি এইরুপ কোন কালে ঘটেছিল?রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব দলের মুখেই এমন দাবি মানায়।রাজনৈতিক দল কর্মসুচি ভিত্তিক আন্দোলন করবে,জনগনের কাছ থেকেই দাবী উঠে আসবে ভোট লাগবে নাকি সরকারের পদত্যাগ লাগবে।তত্বাবধায়ক হবে না সর্বদলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন হবে।রাজনৈতিক দল আগেই যদি বলে দেয় কি লাগবে, তাহলে জনগন এর বুঝতে কি অসুবিধা হয়, দলটি আসলেই দেউলিয়া?
আমার মতে এরশাদ সাহেব সঠিক কথাই বলেছেন অকপটে।খালেদা একসময়ে এরশাদকে উদ্দেশ্য করে যে কথাটি বলেছিলেন, এরশাদ সেই কথাটাই ফেরৎ দেয়ার জন্য বলেছেন খালেদা বলেছিলেন, এরশাদ জেলে জীবন্ত ঢুকবেন , বের হবেন লাশ হয়ে।
এবার এরশাদ বললেন "আমি জীবন্ত আছি। কে লাশ হয়ে বের হয় তা দেখার অপেক্ষায় আছি।" ’
প্রশ্ন রেখে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ বিএনপি এখন কোথায় ? প্রশ্নের উত্তরে তিনি নিজেই বলেন , ‘ বিএনপি এখন কফিনে। বিএনপি আন্দোলনের ডাক দেয়, একজন মানুষও রাস্তায় আসে না।’

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন