জেলে যাবেন জীবন্ত মানব-বের হবেন কপিনে মোড়ানো,সেই দিনের অপেক্ষায় এখনও বেঁচে আছি।
===============>===


  আন্দোলন এত  সহজ বিষয় নয়।আন্দোলন করার জন্য প্রধান ব্যাক্তির গ্রহন যোগ্যতা থাকতে হবে সর্বজনবিদিত।দলের নেতা কর্মিদের ত্যাগি মনোভাব থাকতে হবে।নেতা বিশুদ্ধ থাকতে হবে।ঘোষনা দিয়ে আন্দোলন হয় না।ব্যাক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির কোন আন্দোলন কোন কালে কোন সময়ে হয়নি হবেও না।লুটপাটের টাকা,জঙ্গী পোষনের মামলা,২১শে আগষ্টের বোমা হামলার মামলা থেকে বাঁচার জন্য সংক্্ষিপ্ত রাস্তায় ক্ষমতার প্রয়োজন ছিল।চেষ্টা ও হয়েছিল।কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।তাই খেদোক্তি করে খালেদাকে বলতে শুনা গেছে, সেনাবাহিনী বেইমান।৪২দিন সেজে গুজে বসে ছিলেন অরাজগতা করে আইন শৃংখলার ব্যাপক অবনতি ঘটিয়ে দেশে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, উত্তর পাড়া থেকে উনারা আসবেন, ক্ষমতায় বসিয়ে দিবেন। আইন শৃংখলার অবনতি করতে পেরেছিলিন, কিন্তু উনারা আসেননি।গোপাল গঞ্জের নাম নাকি বাদ দিয়ে কি রাখবেন,খমতায় যেতে পারেননি, নামও পরিবর্তন করা হয়নি।এত প্রতিহিংসা নিয়ে আর যাই হোক, আন্দোলন হয় না।জাতীয় নেতারা সর্বসাধারনের,একক দল বা একক এলাকার নহে।সংকির্নতা থাকলে নেতা হওয়া যায় না,বিশেষ অবস্থায় যদিও হয়,সময়ে তাঁর পরিবর্তন অনিবায্য।আজকে আমরা তাঁরই সুর শুনতে পাচ্ছি একদার সেনা ছাউনি থেকে জম্ম নেয়া দলটির সিনিয়র নেতাদের মুখ থেকে,তাঁদের বলয়ের বুদ্ধিজীবিদের কন্ঠে।
 আন্দোলনের নামে দু -দু ’ বার দেশে নিরীহ মানুষ হত্যার ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েও খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করাতে পারেননি। এমনকি ৫ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনও ঠেকাতে পারেননি। ফলে দলের ভিতরে অসম্ভব বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। প্রবীণ নেতারা নিষ্ক্রিয় এবং দল থেকে দূরে অবস্থান করছেন। নবীন নেতাকর্মীরাও হতাশ ও উদ্যমহীন। বেগম খালেদা জিয়া সম্ভবত এতোদিনে বুঝেছেন কেবল হুঙ্কার দিয়ে রাজনীতি হয় না এবং তার হাওয়া ভবন - খ্যাত কীর্তিমান পুত্র তারেক রহমানও হয়তো বুঝতে শুরু করেছেন, দেশ থেকে নিরাপদ দূরত্বে বসে কেবল বাক্যতীর মারা যাবে, আওয়ামী লীগ সরকারকে হাওয়ায় উড়িয়ে দেয়া যাবে না।পতন ঘটানো যাবে না।
নির্বাচনে যোগদান নিয়েও বিএনপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী চেয়েছিলেন নির্বাচনে অংশ নিতে। দীর্ঘকাল ক্ষমতার বাইরে থাকালে তাদের অনেকের রাজনৈতিক অস্তিত্ব বিলুপ্তির মুখে পড়বে। তাদের বেশির ভাগই মনে করেন , গত নির্বাচনে গেলে তারা জয়ী হতে পারতেন এবং এই জয়ের দ্বারা বিএনপি ক্ষমতায়ও যেতে পারত। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমানকে প্রতিহিংসাপরায়ণতা এমন পেয়ে বসেছে যে , দেশ এবং দলের স্বার্থও তাদের বিবেচনা থেকে লোপ পেয়েছিল, এবং সেখানে স্থান পেয়েছিল উদগ্র ক্ষমতালোভ এবং জিঘাংসা।নিজের পরিবার এবং সম্পদ রক্ষাই মুখ্য উদ্দেশ্যে রুপ পরিগ্রহ করেছিল।
এভাবে একটি রাজনৈতিক দল কেবল ক্ষমতালোভ , বিদ্বেষ ও হিংসার রাজনীতি দ্বারা চালিত হতে পারে না।তাঁর প্রমান ও দলটি একবাক্যে বলা যায় নগদেই পেয়ে গেছে,অপেক্ষাও বেশি দিন করার প্রয়োজন হয়নি।কয়দিন আগে জনগনের একান্ত সমস্যা বলা যায় সবশ্রেনীর মানুষের সমস্যা নিয়ে নন্যতম কর্মসুচি বিক্ষোব মিছিল দিয়ে বুঝতে পেরেছেন তাঁদের অবস্থা এবং অবস্থান কোথায় গিয়ে ঠেকেছে।

গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোট, একটি বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল, গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখ রোববার। বিএনপির এই কর্মসূচিটিও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো। বিক্ষোভের দিন এ দেশের সাধারণ মানুষ পুনরায় বিএনপির ব্যর্থ অবয়ব দেখল ওইদিন। ২০ দলের পক্ষে বিগত ২ সেপ্টেম্বর ব্যর্থ ও রুগ্ণ এই আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। কিন্তু আন্দোলন সম্পর্কে গণমাধ্যমের খবর হলো রাজধানীতে ২০ দলীয় জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কোনো নেতাদের তেমন কাউকেই রাজপথে দেখা যায়নি। উপরন্তু, এই আন্দোলন বা বিক্ষোভ কর্মসূচি সম্পর্কে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মিত্র দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলেছেন ‘জোটের নেতৃত্বে থাকা বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের কিছু জানানো হয়নি’ [সূত্র : দৈনিক কালের কণ্ঠ, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫]। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে যথারীতি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করে বিএনপি দাবি করছে যে, ‘রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে’ [সূত্র : দৈনিক কালের কণ্ঠ, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫]। আমরা আবারো দেখলাম জনগুরুত্বসম্পন্ন একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রদত্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির বিবৃতি-নির্ভরতা! আমরা বিগত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ‘অবরোধ’ কর্মসূচি চলাকালে দলটির এরকম অনেক ভৌতিক বিবৃতি দেখেছিলাম। দেখেছিলাম রক্তাক্ত ও অগ্নিদগ্ধ বাংলাদেশকে।এইখানেই চরম ব্যার্থতা তাই এবার প্রকাশ হচ্ছে তাঁদেরই বরেন্য ব্যাক্তি বর্গের বক্তৃতায় বিবৃতি থেকে।
     এতক্ষনে অরিন্দম কহিল বিষাদে!!
আমাদের মহামান্য সুশিল ইলেক্ট্রোনিক্স মিডিয়ার বরেন্য ব্যাক্তিরা বুজতে পারছেন মুল কাহিনী।উচ্চ আদালত কতৃক রঙ হেডেড খেতাব প্রাপ্ত জনাব জাফর উল্ল্যা সাহেব এবং একমাত্র অধ্যাপক বয়োজৈষ্ঠ ব্যক্তিত্ব  জনাব এমাজ উদ্দিন আহাম্মদ সাহেবেরা আওয়ামী লীগের কারনে নহে, বি,এন,পি--বি,এন,পির কারনেই আন্দোলন সংগ্রামে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে।দুই জনেই উদ্ভেগ প্রকাশ করেছেন দুই ভাবে।একজন চিন্তায় আছেন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতে কে নেতৃত্বে থাকবে বা কার নেতৃত্ব দল চলবে?আরেক একজন চাইছেন দল এর নেতৃত্ব তরুন দের প্রাধান্য দেয়ার জন্য।
 বিএনপির একটি আলোচনা সভায় গিয়ে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলে নানা পরামর্শ দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা . জাফরুল্লাহ চৌধুরী। জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হয়ে, খালেদা জিয়া যদি কারাগারে যান তাহলে দলের দায়িত্ব কে নেবেন, সে বিষয়ে আলোচনা করতেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, “ খালেদা জিয়া জেলে গেলে কি বিএনপি বন্ধ হয়ে যাবে? নিশ্চয় তা আপনারা চান না। জিয়াউর রহমান কবরে থেকে তা চান না।জাফর উল্লা সাহেব আর বলেন--
“ তার ছেলে তারেক রহমান , আমারও সে স্নেহের; লন্ডনে বসে ভালোই করছেন। তাই বলে ওইখানে বসে তার হুকুমে পার্টি চালানো যাবে না। তার সাথে আপনারা পরামর্শ করবেন। ”এইভাবেই বলছিলেন তিনি।
সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার ‘ ষড়যন্ত্র ’ পূর্ণ করে হলেও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।স্পষ্টতই তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, আর মিথ্যে বলে পার পাওয়া যাবে, দুর্নিতির দায়ে অবশ্যই খালেদা জিয়ার জেল হয়ে যাবে।যতই নাটক করে সময়ক্ষেপন করা হোক, নাটকের একসময়ে যবনিকাপাত হবে, বিরতি হবে ,তাঁর পর ও জেল মাফ হবে না,কারন ঘটনাতো মিথ্যে নয়।তখনকার সময়ে দলের হাল কে ধরবে তাঁর নিশ্চয়তা চাইতেছেন সুশিলেরা।কোনভাবে যদি যেকোন শর্তে যদি একটা নির্বাচন আদায় করা যায়, তাহলেও হয়তো নতুন কোন ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে পার পাওয়া যায় কিনা, সেই চেষ্টা করে দেখতে অসুবিধা কি/?তাই তাঁদের ভাষায় অবৈধ সরকারের সাথে যে কোন শর্তে আলোচনার টেবিলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত বি,এন,পি।অবৈধ সরকারের’ সঙ্গেই তারা সংলাপে বসতে চাইছেন এবং ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যোগ দেয়ার জন্য হাসিনা বিএনপিকে যে ছাড় দিতে চেয়েছিল সেই ছাড় নিয়ে আলোছনা করতে আগ্রহ প্রকাশ করে যাচ্ছেন।এমাজ উদ্দিন সাহেব দলের ধ্যান ধারনায় আরো গতিশীলতা আনায়নের উদ্দেশ্যে বলেন জিয়ার কর্মসুচি দিয়ে দেশ চালানো যাবে না।কিছু বিষয় বি,এন,পি কে স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে।যুগ উপযুগি কর্মসুচি প্রনয়নের ও সুপারীশ করেন তিনি।উল্লেখীত বৈদ্যিপনা থেকে স্পষ্ট বুঝা যায়, ঘরে আগুন লেগেছে,এই আগুনে দল পুড়ে চারখার হয়ে যাবে।খালেদা তারেকের নেতৃত্বের যুগ শেষ হয়ে যাবে,তাঁরপর এই সুশিলেরা কার সেবা করবেন এই চিন্তায় অস্থির হয়ে যাচ্ছেন।
আমার কথা হল,দেশে শান্তি শৃংখলা বিরাজমান।আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে,খাদ্যপন্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে।উন্নয়ন কাজ অব্যাহত গতিতে চলছে।চুরি ডাকাতি রাহাজানী যাদুঘরে চলে গেছে।উত্তর বঙ্গের মঙ্গার উত্তর সুরীদের গল্প শুনানোর পয্যায়।অভাব বিদায় নিয়েছে সেই কবে।  মানুষ সুখে আছেন,দেশের মানুষের ভোটের জন্য তেমন জোরালো কোন দাবী ও নেই।বিরুদি দলের আন্দোলন ও নেই,বিদেশীরা ও এই সরকারকে আপাতত মনে হচ্ছে মেনে  নিয়েছে,দাতা দেশের চাপ নেই,এমনতর পরিবেশে আওয়ামী লীগ কেন বি,এন,পির সাথে বসবে?ক্ষমতায় যাওয়ার আগে খমতায় কেন বসিয়ে দিবে?বিশ্বের কোন দেশে কি এইরুপ কোন কালে ঘটেছিল?রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব দলের মুখেই এমন দাবি মানায়।রাজনৈতিক দল কর্মসুচি ভিত্তিক আন্দোলন করবে,জনগনের কাছ থেকেই দাবী উঠে আসবে ভোট লাগবে নাকি সরকারের পদত্যাগ লাগবে।তত্বাবধায়ক হবে না সর্বদলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন হবে।রাজনৈতিক দল আগেই যদি বলে দেয় কি লাগবে, তাহলে জনগন এর বুঝতে কি অসুবিধা হয়, দলটি আসলেই দেউলিয়া?
আমার মতে এরশাদ সাহেব সঠিক কথাই বলেছেন অকপটে।খালেদা একসময়ে এরশাদকে উদ্দেশ্য করে যে কথাটি বলেছিলেন, এরশাদ সেই কথাটাই ফেরৎ দেয়ার জন্য বলেছেন খালেদা বলেছিলেন, এরশাদ জেলে জীবন্ত ঢুকবেন , বের হবেন লাশ হয়ে।
এবার এরশাদ বললেন "আমি জীবন্ত আছি। কে লাশ হয়ে বের হয় তা দেখার অপেক্ষায় আছি।" ’
প্রশ্ন রেখে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ বিএনপি এখন কোথায় ? প্রশ্নের উত্তরে তিনি নিজেই বলেন , ‘ বিএনপি এখন কফিনে। বিএনপি আন্দোলনের ডাক দেয়, একজন মানুষও রাস্তায় আসে না।’

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা