জেলে যাবেন জীবন্ত মানব-বের হবেন কপিনে মোড়ানো,সেই দিনের অপেক্ষায় এখনও বেঁচে আছি।
===============>===
আন্দোলন এত সহজ বিষয় নয়।আন্দোলন করার জন্য প্রধান ব্যাক্তির গ্রহন যোগ্যতা থাকতে হবে সর্বজনবিদিত।দলের নেতা কর্মিদের ত্যাগি মনোভাব থাকতে হবে।নেতা বিশুদ্ধ থাকতে হবে।ঘোষনা দিয়ে আন্দোলন হয় না।ব্যাক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির কোন আন্দোলন কোন কালে কোন সময়ে হয়নি হবেও না।লুটপাটের টাকা,জঙ্গী পোষনের মামলা,২১শে আগষ্টের বোমা হামলার মামলা থেকে বাঁচার জন্য সংক্্ষিপ্ত রাস্তায় ক্ষমতার প্রয়োজন ছিল।চেষ্টা ও হয়েছিল।কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।তাই খেদোক্তি করে খালেদাকে বলতে শুনা গেছে, সেনাবাহিনী বেইমান।৪২দিন সেজে গুজে বসে ছিলেন অরাজগতা করে আইন শৃংখলার ব্যাপক অবনতি ঘটিয়ে দেশে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, উত্তর পাড়া থেকে উনারা আসবেন, ক্ষমতায় বসিয়ে দিবেন। আইন শৃংখলার অবনতি করতে পেরেছিলিন, কিন্তু উনারা আসেননি।গোপাল গঞ্জের নাম নাকি বাদ দিয়ে কি রাখবেন,খমতায় যেতে পারেননি, নামও পরিবর্তন করা হয়নি।এত প্রতিহিংসা নিয়ে আর যাই হোক, আন্দোলন হয় না।জাতীয় নেতারা সর্বসাধারনের,একক দল বা একক এলাকার নহে।সংকির্নতা থাকলে নেতা হওয়া যায় না,বিশেষ অবস্থায় যদিও হয়,সময়ে তাঁর পরিবর্তন অনিবায্য।আজকে আমরা তাঁরই সুর শুনতে পাচ্ছি একদার সেনা ছাউনি থেকে জম্ম নেয়া দলটির সিনিয়র নেতাদের মুখ থেকে,তাঁদের বলয়ের বুদ্ধিজীবিদের কন্ঠে।
আন্দোলনের নামে দু -দু ’ বার দেশে নিরীহ মানুষ হত্যার ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েও খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করাতে পারেননি। এমনকি ৫ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনও ঠেকাতে পারেননি। ফলে দলের ভিতরে অসম্ভব বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। প্রবীণ নেতারা নিষ্ক্রিয় এবং দল থেকে দূরে অবস্থান করছেন। নবীন নেতাকর্মীরাও হতাশ ও উদ্যমহীন। বেগম খালেদা জিয়া সম্ভবত এতোদিনে বুঝেছেন কেবল হুঙ্কার দিয়ে রাজনীতি হয় না এবং তার হাওয়া ভবন - খ্যাত কীর্তিমান পুত্র তারেক রহমানও হয়তো বুঝতে শুরু করেছেন, দেশ থেকে নিরাপদ দূরত্বে বসে কেবল বাক্যতীর মারা যাবে, আওয়ামী লীগ সরকারকে হাওয়ায় উড়িয়ে দেয়া যাবে না।পতন ঘটানো যাবে না।
নির্বাচনে যোগদান নিয়েও বিএনপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী চেয়েছিলেন নির্বাচনে অংশ নিতে। দীর্ঘকাল ক্ষমতার বাইরে থাকালে তাদের অনেকের রাজনৈতিক অস্তিত্ব বিলুপ্তির মুখে পড়বে। তাদের বেশির ভাগই মনে করেন , গত নির্বাচনে গেলে তারা জয়ী হতে পারতেন এবং এই জয়ের দ্বারা বিএনপি ক্ষমতায়ও যেতে পারত। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমানকে প্রতিহিংসাপরায়ণতা এমন পেয়ে বসেছে যে , দেশ এবং দলের স্বার্থও তাদের বিবেচনা থেকে লোপ পেয়েছিল, এবং সেখানে স্থান পেয়েছিল উদগ্র ক্ষমতালোভ এবং জিঘাংসা।নিজের পরিবার এবং সম্পদ রক্ষাই মুখ্য উদ্দেশ্যে রুপ পরিগ্রহ করেছিল।
এভাবে একটি রাজনৈতিক দল কেবল ক্ষমতালোভ , বিদ্বেষ ও হিংসার রাজনীতি দ্বারা চালিত হতে পারে না।তাঁর প্রমান ও দলটি একবাক্যে বলা যায় নগদেই পেয়ে গেছে,অপেক্ষাও বেশি দিন করার প্রয়োজন হয়নি।কয়দিন আগে জনগনের একান্ত সমস্যা বলা যায় সবশ্রেনীর মানুষের সমস্যা নিয়ে নন্যতম কর্মসুচি বিক্ষোব মিছিল দিয়ে বুঝতে পেরেছেন তাঁদের অবস্থা এবং অবস্থান কোথায় গিয়ে ঠেকেছে।
গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোট, একটি বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল, গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখ রোববার। বিএনপির এই কর্মসূচিটিও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো। বিক্ষোভের দিন এ দেশের সাধারণ মানুষ পুনরায় বিএনপির ব্যর্থ অবয়ব দেখল ওইদিন। ২০ দলের পক্ষে বিগত ২ সেপ্টেম্বর ব্যর্থ ও রুগ্ণ এই আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। কিন্তু আন্দোলন সম্পর্কে গণমাধ্যমের খবর হলো রাজধানীতে ২০ দলীয় জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কোনো নেতাদের তেমন কাউকেই রাজপথে দেখা যায়নি। উপরন্তু, এই আন্দোলন বা বিক্ষোভ কর্মসূচি সম্পর্কে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মিত্র দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলেছেন ‘জোটের নেতৃত্বে থাকা বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের কিছু জানানো হয়নি’ [সূত্র : দৈনিক কালের কণ্ঠ, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫]। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে যথারীতি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করে বিএনপি দাবি করছে যে, ‘রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে’ [সূত্র : দৈনিক কালের কণ্ঠ, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫]। আমরা আবারো দেখলাম জনগুরুত্বসম্পন্ন একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রদত্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির বিবৃতি-নির্ভরতা! আমরা বিগত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ‘অবরোধ’ কর্মসূচি চলাকালে দলটির এরকম অনেক ভৌতিক বিবৃতি দেখেছিলাম। দেখেছিলাম রক্তাক্ত ও অগ্নিদগ্ধ বাংলাদেশকে।এইখানেই চরম ব্যার্থতা তাই এবার প্রকাশ হচ্ছে তাঁদেরই বরেন্য ব্যাক্তি বর্গের বক্তৃতায় বিবৃতি থেকে।
এতক্ষনে অরিন্দম কহিল বিষাদে!!
আমাদের মহামান্য সুশিল ইলেক্ট্রোনিক্স মিডিয়ার বরেন্য ব্যাক্তিরা বুজতে পারছেন মুল কাহিনী।উচ্চ আদালত কতৃক রঙ হেডেড খেতাব প্রাপ্ত জনাব জাফর উল্ল্যা সাহেব এবং একমাত্র অধ্যাপক বয়োজৈষ্ঠ ব্যক্তিত্ব জনাব এমাজ উদ্দিন আহাম্মদ সাহেবেরা আওয়ামী লীগের কারনে নহে, বি,এন,পি--বি,এন,পির কারনেই আন্দোলন সংগ্রামে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে।দুই জনেই উদ্ভেগ প্রকাশ করেছেন দুই ভাবে।একজন চিন্তায় আছেন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতে কে নেতৃত্বে থাকবে বা কার নেতৃত্ব দল চলবে?আরেক একজন চাইছেন দল এর নেতৃত্ব তরুন দের প্রাধান্য দেয়ার জন্য।
বিএনপির একটি আলোচনা সভায় গিয়ে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলে নানা পরামর্শ দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা . জাফরুল্লাহ চৌধুরী। জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হয়ে, খালেদা জিয়া যদি কারাগারে যান তাহলে দলের দায়িত্ব কে নেবেন, সে বিষয়ে আলোচনা করতেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, “ খালেদা জিয়া জেলে গেলে কি বিএনপি বন্ধ হয়ে যাবে? নিশ্চয় তা আপনারা চান না। জিয়াউর রহমান কবরে থেকে তা চান না।জাফর উল্লা সাহেব আর বলেন--
“ তার ছেলে তারেক রহমান , আমারও সে স্নেহের; লন্ডনে বসে ভালোই করছেন। তাই বলে ওইখানে বসে তার হুকুমে পার্টি চালানো যাবে না। তার সাথে আপনারা পরামর্শ করবেন। ”এইভাবেই বলছিলেন তিনি।
সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার ‘ ষড়যন্ত্র ’ পূর্ণ করে হলেও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।স্পষ্টতই তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, আর মিথ্যে বলে পার পাওয়া যাবে, দুর্নিতির দায়ে অবশ্যই খালেদা জিয়ার জেল হয়ে যাবে।যতই নাটক করে সময়ক্ষেপন করা হোক, নাটকের একসময়ে যবনিকাপাত হবে, বিরতি হবে ,তাঁর পর ও জেল মাফ হবে না,কারন ঘটনাতো মিথ্যে নয়।তখনকার সময়ে দলের হাল কে ধরবে তাঁর নিশ্চয়তা চাইতেছেন সুশিলেরা।কোনভাবে যদি যেকোন শর্তে যদি একটা নির্বাচন আদায় করা যায়, তাহলেও হয়তো নতুন কোন ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে পার পাওয়া যায় কিনা, সেই চেষ্টা করে দেখতে অসুবিধা কি/?তাই তাঁদের ভাষায় অবৈধ সরকারের সাথে যে কোন শর্তে আলোচনার টেবিলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত বি,এন,পি।অবৈধ সরকারের’ সঙ্গেই তারা সংলাপে বসতে চাইছেন এবং ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যোগ দেয়ার জন্য হাসিনা বিএনপিকে যে ছাড় দিতে চেয়েছিল সেই ছাড় নিয়ে আলোছনা করতে আগ্রহ প্রকাশ করে যাচ্ছেন।এমাজ উদ্দিন সাহেব দলের ধ্যান ধারনায় আরো গতিশীলতা আনায়নের উদ্দেশ্যে বলেন জিয়ার কর্মসুচি দিয়ে দেশ চালানো যাবে না।কিছু বিষয় বি,এন,পি কে স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে।যুগ উপযুগি কর্মসুচি প্রনয়নের ও সুপারীশ করেন তিনি।উল্লেখীত বৈদ্যিপনা থেকে স্পষ্ট বুঝা যায়, ঘরে আগুন লেগেছে,এই আগুনে দল পুড়ে চারখার হয়ে যাবে।খালেদা তারেকের নেতৃত্বের যুগ শেষ হয়ে যাবে,তাঁরপর এই সুশিলেরা কার সেবা করবেন এই চিন্তায় অস্থির হয়ে যাচ্ছেন।
আমার কথা হল,দেশে শান্তি শৃংখলা বিরাজমান।আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে,খাদ্যপন্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে।উন্নয়ন কাজ অব্যাহত গতিতে চলছে।চুরি ডাকাতি রাহাজানী যাদুঘরে চলে গেছে।উত্তর বঙ্গের মঙ্গার উত্তর সুরীদের গল্প শুনানোর পয্যায়।অভাব বিদায় নিয়েছে সেই কবে। মানুষ সুখে আছেন,দেশের মানুষের ভোটের জন্য তেমন জোরালো কোন দাবী ও নেই।বিরুদি দলের আন্দোলন ও নেই,বিদেশীরা ও এই সরকারকে আপাতত মনে হচ্ছে মেনে নিয়েছে,দাতা দেশের চাপ নেই,এমনতর পরিবেশে আওয়ামী লীগ কেন বি,এন,পির সাথে বসবে?ক্ষমতায় যাওয়ার আগে খমতায় কেন বসিয়ে দিবে?বিশ্বের কোন দেশে কি এইরুপ কোন কালে ঘটেছিল?রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব দলের মুখেই এমন দাবি মানায়।রাজনৈতিক দল কর্মসুচি ভিত্তিক আন্দোলন করবে,জনগনের কাছ থেকেই দাবী উঠে আসবে ভোট লাগবে নাকি সরকারের পদত্যাগ লাগবে।তত্বাবধায়ক হবে না সর্বদলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন হবে।রাজনৈতিক দল আগেই যদি বলে দেয় কি লাগবে, তাহলে জনগন এর বুঝতে কি অসুবিধা হয়, দলটি আসলেই দেউলিয়া?
আমার মতে এরশাদ সাহেব সঠিক কথাই বলেছেন অকপটে।খালেদা একসময়ে এরশাদকে উদ্দেশ্য করে যে কথাটি বলেছিলেন, এরশাদ সেই কথাটাই ফেরৎ দেয়ার জন্য বলেছেন খালেদা বলেছিলেন, এরশাদ জেলে জীবন্ত ঢুকবেন , বের হবেন লাশ হয়ে।
এবার এরশাদ বললেন "আমি জীবন্ত আছি। কে লাশ হয়ে বের হয় তা দেখার অপেক্ষায় আছি।" ’
প্রশ্ন রেখে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ বিএনপি এখন কোথায় ? প্রশ্নের উত্তরে তিনি নিজেই বলেন , ‘ বিএনপি এখন কফিনে। বিএনপি আন্দোলনের ডাক দেয়, একজন মানুষও রাস্তায় আসে না।’
===============>===
আন্দোলন এত সহজ বিষয় নয়।আন্দোলন করার জন্য প্রধান ব্যাক্তির গ্রহন যোগ্যতা থাকতে হবে সর্বজনবিদিত।দলের নেতা কর্মিদের ত্যাগি মনোভাব থাকতে হবে।নেতা বিশুদ্ধ থাকতে হবে।ঘোষনা দিয়ে আন্দোলন হয় না।ব্যাক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির কোন আন্দোলন কোন কালে কোন সময়ে হয়নি হবেও না।লুটপাটের টাকা,জঙ্গী পোষনের মামলা,২১শে আগষ্টের বোমা হামলার মামলা থেকে বাঁচার জন্য সংক্্ষিপ্ত রাস্তায় ক্ষমতার প্রয়োজন ছিল।চেষ্টা ও হয়েছিল।কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।তাই খেদোক্তি করে খালেদাকে বলতে শুনা গেছে, সেনাবাহিনী বেইমান।৪২দিন সেজে গুজে বসে ছিলেন অরাজগতা করে আইন শৃংখলার ব্যাপক অবনতি ঘটিয়ে দেশে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে, উত্তর পাড়া থেকে উনারা আসবেন, ক্ষমতায় বসিয়ে দিবেন। আইন শৃংখলার অবনতি করতে পেরেছিলিন, কিন্তু উনারা আসেননি।গোপাল গঞ্জের নাম নাকি বাদ দিয়ে কি রাখবেন,খমতায় যেতে পারেননি, নামও পরিবর্তন করা হয়নি।এত প্রতিহিংসা নিয়ে আর যাই হোক, আন্দোলন হয় না।জাতীয় নেতারা সর্বসাধারনের,একক দল বা একক এলাকার নহে।সংকির্নতা থাকলে নেতা হওয়া যায় না,বিশেষ অবস্থায় যদিও হয়,সময়ে তাঁর পরিবর্তন অনিবায্য।আজকে আমরা তাঁরই সুর শুনতে পাচ্ছি একদার সেনা ছাউনি থেকে জম্ম নেয়া দলটির সিনিয়র নেতাদের মুখ থেকে,তাঁদের বলয়ের বুদ্ধিজীবিদের কন্ঠে।
আন্দোলনের নামে দু -দু ’ বার দেশে নিরীহ মানুষ হত্যার ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েও খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করাতে পারেননি। এমনকি ৫ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনও ঠেকাতে পারেননি। ফলে দলের ভিতরে অসম্ভব বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। প্রবীণ নেতারা নিষ্ক্রিয় এবং দল থেকে দূরে অবস্থান করছেন। নবীন নেতাকর্মীরাও হতাশ ও উদ্যমহীন। বেগম খালেদা জিয়া সম্ভবত এতোদিনে বুঝেছেন কেবল হুঙ্কার দিয়ে রাজনীতি হয় না এবং তার হাওয়া ভবন - খ্যাত কীর্তিমান পুত্র তারেক রহমানও হয়তো বুঝতে শুরু করেছেন, দেশ থেকে নিরাপদ দূরত্বে বসে কেবল বাক্যতীর মারা যাবে, আওয়ামী লীগ সরকারকে হাওয়ায় উড়িয়ে দেয়া যাবে না।পতন ঘটানো যাবে না।
নির্বাচনে যোগদান নিয়েও বিএনপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী চেয়েছিলেন নির্বাচনে অংশ নিতে। দীর্ঘকাল ক্ষমতার বাইরে থাকালে তাদের অনেকের রাজনৈতিক অস্তিত্ব বিলুপ্তির মুখে পড়বে। তাদের বেশির ভাগই মনে করেন , গত নির্বাচনে গেলে তারা জয়ী হতে পারতেন এবং এই জয়ের দ্বারা বিএনপি ক্ষমতায়ও যেতে পারত। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমানকে প্রতিহিংসাপরায়ণতা এমন পেয়ে বসেছে যে , দেশ এবং দলের স্বার্থও তাদের বিবেচনা থেকে লোপ পেয়েছিল, এবং সেখানে স্থান পেয়েছিল উদগ্র ক্ষমতালোভ এবং জিঘাংসা।নিজের পরিবার এবং সম্পদ রক্ষাই মুখ্য উদ্দেশ্যে রুপ পরিগ্রহ করেছিল।
এভাবে একটি রাজনৈতিক দল কেবল ক্ষমতালোভ , বিদ্বেষ ও হিংসার রাজনীতি দ্বারা চালিত হতে পারে না।তাঁর প্রমান ও দলটি একবাক্যে বলা যায় নগদেই পেয়ে গেছে,অপেক্ষাও বেশি দিন করার প্রয়োজন হয়নি।কয়দিন আগে জনগনের একান্ত সমস্যা বলা যায় সবশ্রেনীর মানুষের সমস্যা নিয়ে নন্যতম কর্মসুচি বিক্ষোব মিছিল দিয়ে বুঝতে পেরেছেন তাঁদের অবস্থা এবং অবস্থান কোথায় গিয়ে ঠেকেছে।
গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোট, একটি বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল, গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখ রোববার। বিএনপির এই কর্মসূচিটিও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো। বিক্ষোভের দিন এ দেশের সাধারণ মানুষ পুনরায় বিএনপির ব্যর্থ অবয়ব দেখল ওইদিন। ২০ দলের পক্ষে বিগত ২ সেপ্টেম্বর ব্যর্থ ও রুগ্ণ এই আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। কিন্তু আন্দোলন সম্পর্কে গণমাধ্যমের খবর হলো রাজধানীতে ২০ দলীয় জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কোনো নেতাদের তেমন কাউকেই রাজপথে দেখা যায়নি। উপরন্তু, এই আন্দোলন বা বিক্ষোভ কর্মসূচি সম্পর্কে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মিত্র দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলেছেন ‘জোটের নেতৃত্বে থাকা বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের কিছু জানানো হয়নি’ [সূত্র : দৈনিক কালের কণ্ঠ, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫]। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে যথারীতি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করে বিএনপি দাবি করছে যে, ‘রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে’ [সূত্র : দৈনিক কালের কণ্ঠ, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫]। আমরা আবারো দেখলাম জনগুরুত্বসম্পন্ন একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রদত্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির বিবৃতি-নির্ভরতা! আমরা বিগত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ‘অবরোধ’ কর্মসূচি চলাকালে দলটির এরকম অনেক ভৌতিক বিবৃতি দেখেছিলাম। দেখেছিলাম রক্তাক্ত ও অগ্নিদগ্ধ বাংলাদেশকে।এইখানেই চরম ব্যার্থতা তাই এবার প্রকাশ হচ্ছে তাঁদেরই বরেন্য ব্যাক্তি বর্গের বক্তৃতায় বিবৃতি থেকে।
এতক্ষনে অরিন্দম কহিল বিষাদে!!
আমাদের মহামান্য সুশিল ইলেক্ট্রোনিক্স মিডিয়ার বরেন্য ব্যাক্তিরা বুজতে পারছেন মুল কাহিনী।উচ্চ আদালত কতৃক রঙ হেডেড খেতাব প্রাপ্ত জনাব জাফর উল্ল্যা সাহেব এবং একমাত্র অধ্যাপক বয়োজৈষ্ঠ ব্যক্তিত্ব জনাব এমাজ উদ্দিন আহাম্মদ সাহেবেরা আওয়ামী লীগের কারনে নহে, বি,এন,পি--বি,এন,পির কারনেই আন্দোলন সংগ্রামে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে।দুই জনেই উদ্ভেগ প্রকাশ করেছেন দুই ভাবে।একজন চিন্তায় আছেন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতে কে নেতৃত্বে থাকবে বা কার নেতৃত্ব দল চলবে?আরেক একজন চাইছেন দল এর নেতৃত্ব তরুন দের প্রাধান্য দেয়ার জন্য।
বিএনপির একটি আলোচনা সভায় গিয়ে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলে নানা পরামর্শ দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা . জাফরুল্লাহ চৌধুরী। জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হয়ে, খালেদা জিয়া যদি কারাগারে যান তাহলে দলের দায়িত্ব কে নেবেন, সে বিষয়ে আলোচনা করতেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, “ খালেদা জিয়া জেলে গেলে কি বিএনপি বন্ধ হয়ে যাবে? নিশ্চয় তা আপনারা চান না। জিয়াউর রহমান কবরে থেকে তা চান না।জাফর উল্লা সাহেব আর বলেন--
“ তার ছেলে তারেক রহমান , আমারও সে স্নেহের; লন্ডনে বসে ভালোই করছেন। তাই বলে ওইখানে বসে তার হুকুমে পার্টি চালানো যাবে না। তার সাথে আপনারা পরামর্শ করবেন। ”এইভাবেই বলছিলেন তিনি।
সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার ‘ ষড়যন্ত্র ’ পূর্ণ করে হলেও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।স্পষ্টতই তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, আর মিথ্যে বলে পার পাওয়া যাবে, দুর্নিতির দায়ে অবশ্যই খালেদা জিয়ার জেল হয়ে যাবে।যতই নাটক করে সময়ক্ষেপন করা হোক, নাটকের একসময়ে যবনিকাপাত হবে, বিরতি হবে ,তাঁর পর ও জেল মাফ হবে না,কারন ঘটনাতো মিথ্যে নয়।তখনকার সময়ে দলের হাল কে ধরবে তাঁর নিশ্চয়তা চাইতেছেন সুশিলেরা।কোনভাবে যদি যেকোন শর্তে যদি একটা নির্বাচন আদায় করা যায়, তাহলেও হয়তো নতুন কোন ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে পার পাওয়া যায় কিনা, সেই চেষ্টা করে দেখতে অসুবিধা কি/?তাই তাঁদের ভাষায় অবৈধ সরকারের সাথে যে কোন শর্তে আলোচনার টেবিলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত বি,এন,পি।অবৈধ সরকারের’ সঙ্গেই তারা সংলাপে বসতে চাইছেন এবং ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যোগ দেয়ার জন্য হাসিনা বিএনপিকে যে ছাড় দিতে চেয়েছিল সেই ছাড় নিয়ে আলোছনা করতে আগ্রহ প্রকাশ করে যাচ্ছেন।এমাজ উদ্দিন সাহেব দলের ধ্যান ধারনায় আরো গতিশীলতা আনায়নের উদ্দেশ্যে বলেন জিয়ার কর্মসুচি দিয়ে দেশ চালানো যাবে না।কিছু বিষয় বি,এন,পি কে স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে।যুগ উপযুগি কর্মসুচি প্রনয়নের ও সুপারীশ করেন তিনি।উল্লেখীত বৈদ্যিপনা থেকে স্পষ্ট বুঝা যায়, ঘরে আগুন লেগেছে,এই আগুনে দল পুড়ে চারখার হয়ে যাবে।খালেদা তারেকের নেতৃত্বের যুগ শেষ হয়ে যাবে,তাঁরপর এই সুশিলেরা কার সেবা করবেন এই চিন্তায় অস্থির হয়ে যাচ্ছেন।
আমার কথা হল,দেশে শান্তি শৃংখলা বিরাজমান।আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে,খাদ্যপন্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে।উন্নয়ন কাজ অব্যাহত গতিতে চলছে।চুরি ডাকাতি রাহাজানী যাদুঘরে চলে গেছে।উত্তর বঙ্গের মঙ্গার উত্তর সুরীদের গল্প শুনানোর পয্যায়।অভাব বিদায় নিয়েছে সেই কবে। মানুষ সুখে আছেন,দেশের মানুষের ভোটের জন্য তেমন জোরালো কোন দাবী ও নেই।বিরুদি দলের আন্দোলন ও নেই,বিদেশীরা ও এই সরকারকে আপাতত মনে হচ্ছে মেনে নিয়েছে,দাতা দেশের চাপ নেই,এমনতর পরিবেশে আওয়ামী লীগ কেন বি,এন,পির সাথে বসবে?ক্ষমতায় যাওয়ার আগে খমতায় কেন বসিয়ে দিবে?বিশ্বের কোন দেশে কি এইরুপ কোন কালে ঘটেছিল?রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব দলের মুখেই এমন দাবি মানায়।রাজনৈতিক দল কর্মসুচি ভিত্তিক আন্দোলন করবে,জনগনের কাছ থেকেই দাবী উঠে আসবে ভোট লাগবে নাকি সরকারের পদত্যাগ লাগবে।তত্বাবধায়ক হবে না সর্বদলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন হবে।রাজনৈতিক দল আগেই যদি বলে দেয় কি লাগবে, তাহলে জনগন এর বুঝতে কি অসুবিধা হয়, দলটি আসলেই দেউলিয়া?
আমার মতে এরশাদ সাহেব সঠিক কথাই বলেছেন অকপটে।খালেদা একসময়ে এরশাদকে উদ্দেশ্য করে যে কথাটি বলেছিলেন, এরশাদ সেই কথাটাই ফেরৎ দেয়ার জন্য বলেছেন খালেদা বলেছিলেন, এরশাদ জেলে জীবন্ত ঢুকবেন , বের হবেন লাশ হয়ে।
এবার এরশাদ বললেন "আমি জীবন্ত আছি। কে লাশ হয়ে বের হয় তা দেখার অপেক্ষায় আছি।" ’
প্রশ্ন রেখে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ বিএনপি এখন কোথায় ? প্রশ্নের উত্তরে তিনি নিজেই বলেন , ‘ বিএনপি এখন কফিনে। বিএনপি আন্দোলনের ডাক দেয়, একজন মানুষও রাস্তায় আসে না।’
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন