খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের আহব্বান সর্বকালের সর্বশেষ প্রতারনা। ============================= জাতীয়তাবাদী দলের নেত্রী তথা ২০দলের নেত্রী জাতীয় ঐক্যের আহব্বান জানিয়েছেন।তিনি এই আহব্বান জানালেন আওয়ামী লীগ সহ সারা জাতী যখন জাতির জনকের ছল্লিশতম শাহাদাৎ বার্ষিকি উপলক্ষে চল্লিশ দিন ব্যাপি শোক উৎযাপন করছে।গত পনেরই আগষ্ট ছিল জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে বর্বরতম হত্যার চল্লিশতম শাহাদাৎ দিবস।বেগম খালেদা জিয়া১৯৯৬ ইং থেকে ঐ দিন রাত ১২'০১মিনিটে তাঁর ভুঁয়া অনেক জম্মদিনের মধ্যে একটি দিন পালন করে আসছেন।এইবার সময়টাকে ১০ঘন্টা পিছিয়ে পালন করে কয়দিন পরেই জাতিয় এক্যের আহব্বান জানালেন।তিনি স্বজ্ঞানে এই আহব্বান জানিয়েছেন, না নাবুঝেই জানিয়েছেন তা এখনও বোধগম্য নয়।তিনি আরও বলেছেন "হিংসা,হানাহানী আর নয়।" ব্যাপারটা কেমন যেন মনে হচ্ছে নেত্রী স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না। জাতীয় ঐক্য আমাদের ছিল,এবং সুদৃডই ছিল।সে জাতীয় ঐক্যকে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতীর জনক এবং তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করে, কারা বিনষ্ট করেছিল।নামে বেনামে,আমেরীকার তল্পিবাহক হয়ে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বন্ধক রেখে,স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দেশকে পরিচালিত করে,মিনি পাকিস্তান বানিয়ে,জঙ্গী বাদের পৃষ্টপোষকতা করে, জঙ্গী রাষ্ট্র বানাতে ব্যর্থ হয়ে,বিয়াল্লিশ দিন পয্যন্ত আন্দোলনের নামে, অবরোধের নামে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে,এখনও অবরোধ প্রত্যাহার না করে, জাতিয় ঐক্যের আহব্বান করা সুধীজনের নিকট হাস্যকর ব্যাপার ছাড়া, আর কিছুই নহে। বিগত সাত বছর হানা হানি,বোমাবাজি,মিথ্যাচার,অশুভ শক্তির সাথে আঁতাত করে সরকার উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর এখন বোধদয় হয়েছে,আর হানাহানীর প্রয়োজন নেই। হিংসা এখন ও পরিত্যাগ না করে, হিংসা পরিত্যাগের কথা বলা একরকম প্রতারনা ছাড়া আর কি বলা যায়? এই সেই দিন বি,এন,পি দলের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহাজাহান সাহেব বি,এন,পি দল পুর্নগঠন সম্পর্কে অন্য সব নেতার মুল্যায়নের সাথে তাঁর দেয়া মতের খন্ডিতাংশ জনগনের অবগতির জন্য হুবহু তুলে দিলাম--- "সেনাসমর্থিত বর্তমান সরকার জিয়া পরিবারের প্রথম থেকে কনিষ্ঠ সদস্যকেও মামলার জালের বাইরে রাখেনি। উচ্ছেদ করেছে ভিটেমাটি থেকেও। শুধু তাই-ই নয় দেশে থাকার মতো পরিস্থিতিটুকুও জুটেনি শহীদ জিয়ার উত্তরাধিকারদের কয়েকজনের। শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে হয়েছে বিদেশ বিভুয়েই। কাক্সিক্ষত স্থানে কবরস্থ করবার মতো আবদারটুকুও পুরণ হয়নি এই পরিবারের। সংগঠনের বর্তমান অবস্থা : সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সাংগঠনিক কমিটিগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে আছে দীর্ঘ সময় ধরেই। পুরনো কমিটির দায়িত্বে চলছে সংগঠন। দলের কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ের দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই মুহুর্তে ৭৫টি জেলা কমিটির মধ্যে ৬০টি জেলা কমিটিই মেয়াদ তামাদি হয়ে গেছে।""-===> কি আর মন্তব্য করবো এই আহম্মকের বক্তব্যের।একদিকে সরকারী সম্পদ ভোগ করতে না পারার ক্ষোব,হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে লূটপাটের কারনে, তত্বাবধায়ক সরকারের দেয়া মামলায় নিশ্চিত জেল থেকে বাঁচার জন্য, চিকিৎসার নাম করে তাঁদের সাথে আঁতাত করে বিদেশে পাড়ি জমিয়ে-- বর্তমান সরকারকে দুশি সাব্যস্ত করে হিংসার আগুনে দেশ জালিয়ে পুড়িয়ে চারখার করে দিতে ব্যর্থ হয়ে, হিংসা হানা হানি বন্ধের আহব্বান জানানো প্রতারনার কোন পয্যায় পড়বে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা চুলচেরা বিচার বিশ্লেষন করে যা বলার বলবেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে যতটুকু বুঝি জাতিয় ঐক্য সর্বসাধরনের একান্ত কামনা ও বাসনা।তবে সেই জাতীয় ঐক্য রাজপথ থেকে না হলে বিবৃতির মাধ্যমে টেকসই হবে না। তথ্যভিত্তিক সমাধানের পথে অবশ্যই দেশকে অগ্রসর করে নেয়ার দায়িত্ব জাতীয় নেতাদের,তাঁর জন্য চাই দেশপ্রেমিক,নির্লোভ,সাহষী,তেজদিপ্ত জাতিয় নেতার। ১৯৭৫ ইং এর পর নামে বেনামে সেনা শাষন ছিল নাকি বর্তমান সরকার সেনা সমর্থিত সরকার তার বিচার ও ইতিহাসবিদেরা অবশ্যই করবেন।ইতি মধ্যেও বিচার শুরু হয়েছে বলে আমি মনে করি।এই প্রসঙ্গে সদ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক জরিফের ফলাফল প্রনিধানযোগ্য বলে আমি মনে করি--- রাজনীতি ও গণতন্ত্রবিষয়ক মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গত ২৩ মে থেকে ১০ জুন ১৮ থেকে বেশি বয়সের ২ হাজার ৫৫০ জন নারী-পুরুষ এই জরিপে অংশ নেন। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেক নারী এবং অর্ধেক পুরুষ। বাংলাদেশের সাতটি বিভাগে পরিচালিত জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৭৪ শতাংশ গ্রামে এবং ২৬ শতাংশ থাকেন শহরে। গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ও কনসোর্টিয়াম ফর ইলেকশনস অ্যান্ড পলিটিক্যাল প্রসেস স্ট্রেনদেনিংয়ের সহায়তায় আইআরআই নিয়েলসন-বাংলাদেশকে দিয়ে জরিপটি চালিয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে জরিপ চালিয়ে আসছে আইআরআই। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নির্দলীয় সংস্থা আইআরআই ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে। মার্কিন সিনেটর এবং ২০০৮ সালে সে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী রিপাবলিকান পার্টির সদস্য জন ম্যাককেইন এখন আইআরআইয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৭৫ ইং সালের ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক, সর্বকালের সসর্বশ্রেষ্ট বাঙলী বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান কে স্ব-পরিবারে নৃশংষভাবে হত্যা করে দেশকে সাম্রাজ্যবাদের ইশারায় একের পর এক সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বর্বর, জঙ্গী রাষ্ট্র বানানোর উদ্দেশ্যে, অবৈধ সেনাপতি শাসকরা কিংবা তাদের হাতে গড়া হঠাৎ গজানো রাজনীতিবিদরা। এ সময়ে বাংলাদেশে এক নতুন পূর্ব পাকিস্তান তৈরির আপ্রাণ চেষ্টা হয়েছে। এসব শাসকদের হাতে রাষ্ট্রের স্থপতি চরমভাবে উপেক্ষিত হয়েছেন, উপেক্ষিত হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, চেতনা ও আদর্শ। ফলে গজিয়ে উঠেছে নানা পরগাছা, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি খুঁটি গেড়ে বসেছে, ধনেজনে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসবই করা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে, যাতে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়, ব্যর্থ হয় লাখো মানুষের আত্মদানের মুক্তিযুদ্ধ, যে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পরাজিত হয়েছিল। নানা পালাবদলের পর ১৯৯০ থেকে রাষ্ট্রের আশাজাগানিয়া গণতান্ত্রিক নবযাত্রা শুরু হয়। কিন্তু সে যাত্রা মসৃণ হতে পারেনি তাঁদেরই চক্রান্তে।পৃথিবীর তাবৎ জরীপের ফলাফলে আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের শতভাগ সম্ভাবনা থাকা সত্বেও সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করে,জনরায়ের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শনের নজির বিহীন উদাহরন সৃষ্টি করা হয়।সেই যাত্রায় সরকার গঠন করে ইতিহাসের চরমতম উপহাসের পথে যাত্রা শুরু করে বি,এন,পি এবং তাঁর মিত্রশক্তি।জাতির জনকের শাহাদাৎ দিবসে খালেদা জিয়ার জম্ম উৎসব পালনের মাধ্যমে।তাঁর পরে ও আমি মনে করি বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে,অগ্রগতির স্বার্থে,মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনার স্বার্থে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই আছে।তবে তাঁর আগে বেগম খালেদা জিয়াকে আর ও কিছু কাজ করে জনমনের বিভ্রান্তি দূর করার প্রয়োজন আছে। বিশ্বের কোন দেশে স্বাধিনতা,রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব,জাতির জনক নিয়ে কোন বিতর্ক আছে,আ এমনটি শুনা যায় না।দীর্ঘ চল্লিশ বছরের অধিক কাল এমনতর বিতর্ক সৃষ্টি করে জাতিয় ঐক্যে ফাটল ধরিয়ে স্বাধীনতার বিরুধী পক্ষ তাঁদের স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছিল।এই ভাবে একটা রাষ্ট্র তাঁর কাংখিত লক্ষে পৌছাতে পারে না। রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে, সে কারণেই, একটা গুণগত পরিবর্তন হওয়া বাঞ্ছনীয়। পুরনো ব্যর্থতা ও কলঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসা বাঞ্ছনীয়। আমার বিশ্বাস, পরিবর্তনের এ ধারাটির সূচনা করে বিএনপি দেশের রাজনীতিতে সমূহ সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে, জাতীয় ঐক্যের পথে বড় বাধাটি দূর করতে পারে। এ পরিবর্তনের মূল শর্ত- অতীতের কলঙ্ক ঝেড়ে ফেলে নিঃশর্তভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রের জনক হিসেবে তাঁর ঐতিহাসিক মহিমায় গ্রহণ করা, তাঁর হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জ্ঞাপন করা, মহান মুক্তিযুদ্ধের অবিকৃত ইতিহাসকে পরিপূর্ণ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করা এবং একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী তস্করদের ঐতিহাসিক বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি আকণ্ঠ সমর্থন দান করা। রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা বা বিরোধিতা করা অপরাধ কিছু নয়, যদিও ঐতিহাসিক সত্য এই যে, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং চার যুগ পর, আজো, নানা সীমাবদ্ধতার পরও, অসাম্প্রদায়িক সমাজশক্তির নেতৃত্ব দান করছে। কাজেই অপরাধ হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতার নামে জাতির জনককে অবজ্ঞা করা, তাঁরই মুখ্য নেতৃত্বে সংগঠিত জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে উপেক্ষা করা, বিতর্কিত করা এবং রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারীদের সঙ্গে আঁতাত করে, জাতির অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও রক্তস্নাত ইতিহাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মানার প্রধানতম শর্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর স্বমহিমায় মান্য করা, মুক্তিযুদ্ধকে তার অবিকৃত ইতিহাসে মান্য করা- কোনো সন্দেহ নেই আমার এ উচ্চারণে। এ রাষ্ট্রে এর ব্যতিক্রম গ্রহণযোগ্য হতে পারে না কখনই। বঙ্গবন্ধুর যারা অনুসারী, তাদেরও উচিত হবে জাতির জনককে গণ্ডিবদ্ধ না করা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই বাঙালিকে সার্বজনীন করা। জাতির জনককে সার্বজনীন করার স্বার্থে আওয়ামী লীগ সরকারের ও দায়িত্ব রয়েছে বলে আমি মনে করি।জাতির জনকের জম্ম বার্ষিকীও শাহাদাৎ বার্ষিকি রাষ্ট্রীয় পয্যায় গুরুত্ব সহকারে পালনের সিন্ধান্ত সাংবিধানিক ভাবে করা।সকল জাতিয় দিবস রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় করার পদক্ষেপ গ্রহন।জাতীয় দিবসকে উপলক্ষ করে চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহন।পুর্নাঙ্গভাবে বা অবিকৃত ভাবে ৭২ এর সংবিধান অনুসরন করে রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় আইন কাঠামো সংশোধন,নতুন আইন সংসদে অনুমোদনের ব্যাবস্থা গ্রহন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এক দিনের চিন্তায় বা এক দশকের চিন্তায় বাংলাদেশ স্বাধীন করেননি।১৯৪৭সালেই বেকার হোষ্টেলে যখন ছিলেন তখন বন্ধুদের ডেকে বলেছিলেন, পাকিস্তানের সদ্য স্বাধিনতা স্বাধীনতা নয়।আমাদের জাতিয়তার ভিত্তিতে বাঙ্গালীদের আলাদা স্বাধীনতার প্রয়োজন আছে।তাঁর জন্য আমাদেরকে দেশে যেতে হবে। আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। ১৯৪৮ সালেই ভাষা আন্দোলন শুরু করে জেলে গিয়ে তিনি সেই কাজ শুরু করে দেন। বছরের পর বছর ধরে এই দেশের মানুষকে স্বাধীনতার স্বপ্নে উজ্জীবিত করে তোলেন। রুমী, আজাদ, বদি, বাকের, জুয়েলের মতো ৩০ লাখ মানুষ সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে হ্যামিলিনের বাঁশিওয়ালার ডাকে সাড়া দেয়। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। গণতন্ত্র ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা আমাদের আরেকটা স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করছে—উন্নত দেশ, আলোকিত সমাজ, মানবিক রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র আর সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা একে অপরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়, পরস্পরের সহায়ক।তাঁরই প্রমান রেখেছেন জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা। সদ্য প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের জরিপ ফলাফলে বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে স্বিকৃতি দিয়েছে।বছরব্যাপি জ্বালাও পোঁড়াও না হলে মধ্য আয়ের দেশেই রুপান্তরীত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্ছ আয়ের দেশে রুপান্তরীত করার স্বপ্ন কল্প তৈরী করে ইতিমধ্যে দেশব্যাপি কর্মযজ্ঞ শুরু করে দিয়েছেন।নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হবে বলে আশা করা যায়।গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মানের কাজ এগিয়ে চলেছে।পারমানবিক চুল্লির কাজ প্রায় শেষ পয্যায়,উন্নতির প্রধান শর্ত বিদ্যুৎয়ায়ন।আশা করা যায় রুপপুর পারমানবিক চুল্লি থেকে আশানুরুপ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।রেল ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করার লক্ষে বৃটিশের রেল কোপমানীর রেখে যাওয়া রেল লাইনের পাশাপাশি আর ও একটি রেল লাইনের পুনস্থাপনের কাজ দ্রুত শেষ হওয়ার পথে।প্রত্যেক মহাসড়ককে চার লেনে উন্নিত করার কাজ এগিয়ে চলেছে সমান তালে। এই কর্মযজ্ঞের মধ্যে যদি নুন্যতম জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে সোনায় সোহাগা।তবে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি, স্বাধীনতা বিরুধীদের নতুন চক্রান্ত হচ্ছে জাতীয় ঐক্যের আহব্বান।নুন্যতম সহানুভুতি পাওয়ার কৌশল।সরকারের ট্রাইবুনাল করে আগুন সন্ত্রাসের বিচার প্রক্রিয়া থেকে বাঁচার অপচেষ্টা।পরিবারের অথর্ব ছেলের জীবন রক্ষা করার সর্বশেষ নমনীয়তা।সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর জাতীয় ঐক্যের আহব্বান জানিয়ে বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দেয়ার নতুন আবিষ্কৃত ফর্মুলা।দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করে সহানুভুতি আদায় করার নয়া কৌশল ছাড়া আর কিছুই নহে।

জাতীয় ঐক্যে রাজপথে গড়ে  না উঠলে,বিবৃতির ঐক্য প্রতারনার সামিল হতে বাধ্য----।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন