খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের আহব্বান সর্বকালের সর্বশেষ প্রতারনা। ============================= জাতীয়তাবাদী দলের নেত্রী তথা ২০দলের নেত্রী জাতীয় ঐক্যের আহব্বান জানিয়েছেন।তিনি এই আহব্বান জানালেন আওয়ামী লীগ সহ সারা জাতী যখন জাতির জনকের ছল্লিশতম শাহাদাৎ বার্ষিকি উপলক্ষে চল্লিশ দিন ব্যাপি শোক উৎযাপন করছে।গত পনেরই আগষ্ট ছিল জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে বর্বরতম হত্যার চল্লিশতম শাহাদাৎ দিবস।বেগম খালেদা জিয়া১৯৯৬ ইং থেকে ঐ দিন রাত ১২'০১মিনিটে তাঁর ভুঁয়া অনেক জম্মদিনের মধ্যে একটি দিন পালন করে আসছেন।এইবার সময়টাকে ১০ঘন্টা পিছিয়ে পালন করে কয়দিন পরেই জাতিয় এক্যের আহব্বান জানালেন।তিনি স্বজ্ঞানে এই আহব্বান জানিয়েছেন, না নাবুঝেই জানিয়েছেন তা এখনও বোধগম্য নয়।তিনি আরও বলেছেন "হিংসা,হানাহানী আর নয়।" ব্যাপারটা কেমন যেন মনে হচ্ছে নেত্রী স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না। জাতীয় ঐক্য আমাদের ছিল,এবং সুদৃডই ছিল।সে জাতীয় ঐক্যকে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতীর জনক এবং তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করে, কারা বিনষ্ট করেছিল।নামে বেনামে,আমেরীকার তল্পিবাহক হয়ে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বন্ধক রেখে,স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দেশকে পরিচালিত করে,মিনি পাকিস্তান বানিয়ে,জঙ্গী বাদের পৃষ্টপোষকতা করে, জঙ্গী রাষ্ট্র বানাতে ব্যর্থ হয়ে,বিয়াল্লিশ দিন পয্যন্ত আন্দোলনের নামে, অবরোধের নামে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে,এখনও অবরোধ প্রত্যাহার না করে, জাতিয় ঐক্যের আহব্বান করা সুধীজনের নিকট হাস্যকর ব্যাপার ছাড়া, আর কিছুই নহে। বিগত সাত বছর হানা হানি,বোমাবাজি,মিথ্যাচার,অশুভ শক্তির সাথে আঁতাত করে সরকার উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর এখন বোধদয় হয়েছে,আর হানাহানীর প্রয়োজন নেই। হিংসা এখন ও পরিত্যাগ না করে, হিংসা পরিত্যাগের কথা বলা একরকম প্রতারনা ছাড়া আর কি বলা যায়? এই সেই দিন বি,এন,পি দলের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহাজাহান সাহেব বি,এন,পি দল পুর্নগঠন সম্পর্কে অন্য সব নেতার মুল্যায়নের সাথে তাঁর দেয়া মতের খন্ডিতাংশ জনগনের অবগতির জন্য হুবহু তুলে দিলাম--- "সেনাসমর্থিত বর্তমান সরকার জিয়া পরিবারের প্রথম থেকে কনিষ্ঠ সদস্যকেও মামলার জালের বাইরে রাখেনি। উচ্ছেদ করেছে ভিটেমাটি থেকেও। শুধু তাই-ই নয় দেশে থাকার মতো পরিস্থিতিটুকুও জুটেনি শহীদ জিয়ার উত্তরাধিকারদের কয়েকজনের। শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে হয়েছে বিদেশ বিভুয়েই। কাক্সিক্ষত স্থানে কবরস্থ করবার মতো আবদারটুকুও পুরণ হয়নি এই পরিবারের। সংগঠনের বর্তমান অবস্থা : সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সাংগঠনিক কমিটিগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে আছে দীর্ঘ সময় ধরেই। পুরনো কমিটির দায়িত্বে চলছে সংগঠন। দলের কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ের দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই মুহুর্তে ৭৫টি জেলা কমিটির মধ্যে ৬০টি জেলা কমিটিই মেয়াদ তামাদি হয়ে গেছে।""-===> কি আর মন্তব্য করবো এই আহম্মকের বক্তব্যের।একদিকে সরকারী সম্পদ ভোগ করতে না পারার ক্ষোব,হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে লূটপাটের কারনে, তত্বাবধায়ক সরকারের দেয়া মামলায় নিশ্চিত জেল থেকে বাঁচার জন্য, চিকিৎসার নাম করে তাঁদের সাথে আঁতাত করে বিদেশে পাড়ি জমিয়ে-- বর্তমান সরকারকে দুশি সাব্যস্ত করে হিংসার আগুনে দেশ জালিয়ে পুড়িয়ে চারখার করে দিতে ব্যর্থ হয়ে, হিংসা হানা হানি বন্ধের আহব্বান জানানো প্রতারনার কোন পয্যায় পড়বে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা চুলচেরা বিচার বিশ্লেষন করে যা বলার বলবেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে যতটুকু বুঝি জাতিয় ঐক্য সর্বসাধরনের একান্ত কামনা ও বাসনা।তবে সেই জাতীয় ঐক্য রাজপথ থেকে না হলে বিবৃতির মাধ্যমে টেকসই হবে না। তথ্যভিত্তিক সমাধানের পথে অবশ্যই দেশকে অগ্রসর করে নেয়ার দায়িত্ব জাতীয় নেতাদের,তাঁর জন্য চাই দেশপ্রেমিক,নির্লোভ,সাহষী,তেজদিপ্ত জাতিয় নেতার। ১৯৭৫ ইং এর পর নামে বেনামে সেনা শাষন ছিল নাকি বর্তমান সরকার সেনা সমর্থিত সরকার তার বিচার ও ইতিহাসবিদেরা অবশ্যই করবেন।ইতি মধ্যেও বিচার শুরু হয়েছে বলে আমি মনে করি।এই প্রসঙ্গে সদ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক জরিফের ফলাফল প্রনিধানযোগ্য বলে আমি মনে করি--- রাজনীতি ও গণতন্ত্রবিষয়ক মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গত ২৩ মে থেকে ১০ জুন ১৮ থেকে বেশি বয়সের ২ হাজার ৫৫০ জন নারী-পুরুষ এই জরিপে অংশ নেন। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেক নারী এবং অর্ধেক পুরুষ। বাংলাদেশের সাতটি বিভাগে পরিচালিত জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৭৪ শতাংশ গ্রামে এবং ২৬ শতাংশ থাকেন শহরে। গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ও কনসোর্টিয়াম ফর ইলেকশনস অ্যান্ড পলিটিক্যাল প্রসেস স্ট্রেনদেনিংয়ের সহায়তায় আইআরআই নিয়েলসন-বাংলাদেশকে দিয়ে জরিপটি চালিয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে জরিপ চালিয়ে আসছে আইআরআই। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নির্দলীয় সংস্থা আইআরআই ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে। মার্কিন সিনেটর এবং ২০০৮ সালে সে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী রিপাবলিকান পার্টির সদস্য জন ম্যাককেইন এখন আইআরআইয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৭৫ ইং সালের ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক, সর্বকালের সসর্বশ্রেষ্ট বাঙলী বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান কে স্ব-পরিবারে নৃশংষভাবে হত্যা করে দেশকে সাম্রাজ্যবাদের ইশারায় একের পর এক সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বর্বর, জঙ্গী রাষ্ট্র বানানোর উদ্দেশ্যে, অবৈধ সেনাপতি শাসকরা কিংবা তাদের হাতে গড়া হঠাৎ গজানো রাজনীতিবিদরা। এ সময়ে বাংলাদেশে এক নতুন পূর্ব পাকিস্তান তৈরির আপ্রাণ চেষ্টা হয়েছে। এসব শাসকদের হাতে রাষ্ট্রের স্থপতি চরমভাবে উপেক্ষিত হয়েছেন, উপেক্ষিত হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, চেতনা ও আদর্শ। ফলে গজিয়ে উঠেছে নানা পরগাছা, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি খুঁটি গেড়ে বসেছে, ধনেজনে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসবই করা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে, যাতে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়, ব্যর্থ হয় লাখো মানুষের আত্মদানের মুক্তিযুদ্ধ, যে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পরাজিত হয়েছিল। নানা পালাবদলের পর ১৯৯০ থেকে রাষ্ট্রের আশাজাগানিয়া গণতান্ত্রিক নবযাত্রা শুরু হয়। কিন্তু সে যাত্রা মসৃণ হতে পারেনি তাঁদেরই চক্রান্তে।পৃথিবীর তাবৎ জরীপের ফলাফলে আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের শতভাগ সম্ভাবনা থাকা সত্বেও সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করে,জনরায়ের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শনের নজির বিহীন উদাহরন সৃষ্টি করা হয়।সেই যাত্রায় সরকার গঠন করে ইতিহাসের চরমতম উপহাসের পথে যাত্রা শুরু করে বি,এন,পি এবং তাঁর মিত্রশক্তি।জাতির জনকের শাহাদাৎ দিবসে খালেদা জিয়ার জম্ম উৎসব পালনের মাধ্যমে।তাঁর পরে ও আমি মনে করি বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে,অগ্রগতির স্বার্থে,মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনার স্বার্থে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই আছে।তবে তাঁর আগে বেগম খালেদা জিয়াকে আর ও কিছু কাজ করে জনমনের বিভ্রান্তি দূর করার প্রয়োজন আছে। বিশ্বের কোন দেশে স্বাধিনতা,রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব,জাতির জনক নিয়ে কোন বিতর্ক আছে,আ এমনটি শুনা যায় না।দীর্ঘ চল্লিশ বছরের অধিক কাল এমনতর বিতর্ক সৃষ্টি করে জাতিয় ঐক্যে ফাটল ধরিয়ে স্বাধীনতার বিরুধী পক্ষ তাঁদের স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছিল।এই ভাবে একটা রাষ্ট্র তাঁর কাংখিত লক্ষে পৌছাতে পারে না। রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে, সে কারণেই, একটা গুণগত পরিবর্তন হওয়া বাঞ্ছনীয়। পুরনো ব্যর্থতা ও কলঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসা বাঞ্ছনীয়। আমার বিশ্বাস, পরিবর্তনের এ ধারাটির সূচনা করে বিএনপি দেশের রাজনীতিতে সমূহ সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে, জাতীয় ঐক্যের পথে বড় বাধাটি দূর করতে পারে। এ পরিবর্তনের মূল শর্ত- অতীতের কলঙ্ক ঝেড়ে ফেলে নিঃশর্তভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রের জনক হিসেবে তাঁর ঐতিহাসিক মহিমায় গ্রহণ করা, তাঁর হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জ্ঞাপন করা, মহান মুক্তিযুদ্ধের অবিকৃত ইতিহাসকে পরিপূর্ণ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করা এবং একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী তস্করদের ঐতিহাসিক বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি আকণ্ঠ সমর্থন দান করা। রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা বা বিরোধিতা করা অপরাধ কিছু নয়, যদিও ঐতিহাসিক সত্য এই যে, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং চার যুগ পর, আজো, নানা সীমাবদ্ধতার পরও, অসাম্প্রদায়িক সমাজশক্তির নেতৃত্ব দান করছে। কাজেই অপরাধ হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতার নামে জাতির জনককে অবজ্ঞা করা, তাঁরই মুখ্য নেতৃত্বে সংগঠিত জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে উপেক্ষা করা, বিতর্কিত করা এবং রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারীদের সঙ্গে আঁতাত করে, জাতির অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও রক্তস্নাত ইতিহাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মানার প্রধানতম শর্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর স্বমহিমায় মান্য করা, মুক্তিযুদ্ধকে তার অবিকৃত ইতিহাসে মান্য করা- কোনো সন্দেহ নেই আমার এ উচ্চারণে। এ রাষ্ট্রে এর ব্যতিক্রম গ্রহণযোগ্য হতে পারে না কখনই। বঙ্গবন্ধুর যারা অনুসারী, তাদেরও উচিত হবে জাতির জনককে গণ্ডিবদ্ধ না করা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই বাঙালিকে সার্বজনীন করা। জাতির জনককে সার্বজনীন করার স্বার্থে আওয়ামী লীগ সরকারের ও দায়িত্ব রয়েছে বলে আমি মনে করি।জাতির জনকের জম্ম বার্ষিকীও শাহাদাৎ বার্ষিকি রাষ্ট্রীয় পয্যায় গুরুত্ব সহকারে পালনের সিন্ধান্ত সাংবিধানিক ভাবে করা।সকল জাতিয় দিবস রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় করার পদক্ষেপ গ্রহন।জাতীয় দিবসকে উপলক্ষ করে চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহন।পুর্নাঙ্গভাবে বা অবিকৃত ভাবে ৭২ এর সংবিধান অনুসরন করে রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় আইন কাঠামো সংশোধন,নতুন আইন সংসদে অনুমোদনের ব্যাবস্থা গ্রহন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এক দিনের চিন্তায় বা এক দশকের চিন্তায় বাংলাদেশ স্বাধীন করেননি।১৯৪৭সালেই বেকার হোষ্টেলে যখন ছিলেন তখন বন্ধুদের ডেকে বলেছিলেন, পাকিস্তানের সদ্য স্বাধিনতা স্বাধীনতা নয়।আমাদের জাতিয়তার ভিত্তিতে বাঙ্গালীদের আলাদা স্বাধীনতার প্রয়োজন আছে।তাঁর জন্য আমাদেরকে দেশে যেতে হবে। আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। ১৯৪৮ সালেই ভাষা আন্দোলন শুরু করে জেলে গিয়ে তিনি সেই কাজ শুরু করে দেন। বছরের পর বছর ধরে এই দেশের মানুষকে স্বাধীনতার স্বপ্নে উজ্জীবিত করে তোলেন। রুমী, আজাদ, বদি, বাকের, জুয়েলের মতো ৩০ লাখ মানুষ সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে হ্যামিলিনের বাঁশিওয়ালার ডাকে সাড়া দেয়। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। গণতন্ত্র ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা আমাদের আরেকটা স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করছে—উন্নত দেশ, আলোকিত সমাজ, মানবিক রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র আর সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা একে অপরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়, পরস্পরের সহায়ক।তাঁরই প্রমান রেখেছেন জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা। সদ্য প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের জরিপ ফলাফলে বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে স্বিকৃতি দিয়েছে।বছরব্যাপি জ্বালাও পোঁড়াও না হলে মধ্য আয়ের দেশেই রুপান্তরীত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্ছ আয়ের দেশে রুপান্তরীত করার স্বপ্ন কল্প তৈরী করে ইতিমধ্যে দেশব্যাপি কর্মযজ্ঞ শুরু করে দিয়েছেন।নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হবে বলে আশা করা যায়।গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মানের কাজ এগিয়ে চলেছে।পারমানবিক চুল্লির কাজ প্রায় শেষ পয্যায়,উন্নতির প্রধান শর্ত বিদ্যুৎয়ায়ন।আশা করা যায় রুপপুর পারমানবিক চুল্লি থেকে আশানুরুপ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।রেল ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করার লক্ষে বৃটিশের রেল কোপমানীর রেখে যাওয়া রেল লাইনের পাশাপাশি আর ও একটি রেল লাইনের পুনস্থাপনের কাজ দ্রুত শেষ হওয়ার পথে।প্রত্যেক মহাসড়ককে চার লেনে উন্নিত করার কাজ এগিয়ে চলেছে সমান তালে। এই কর্মযজ্ঞের মধ্যে যদি নুন্যতম জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে সোনায় সোহাগা।তবে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি, স্বাধীনতা বিরুধীদের নতুন চক্রান্ত হচ্ছে জাতীয় ঐক্যের আহব্বান।নুন্যতম সহানুভুতি পাওয়ার কৌশল।সরকারের ট্রাইবুনাল করে আগুন সন্ত্রাসের বিচার প্রক্রিয়া থেকে বাঁচার অপচেষ্টা।পরিবারের অথর্ব ছেলের জীবন রক্ষা করার সর্বশেষ নমনীয়তা।সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর জাতীয় ঐক্যের আহব্বান জানিয়ে বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দেয়ার নতুন আবিষ্কৃত ফর্মুলা।দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করে সহানুভুতি আদায় করার নয়া কৌশল ছাড়া আর কিছুই নহে।

জাতীয় ঐক্যে রাজপথে গড়ে  না উঠলে,বিবৃতির ঐক্য প্রতারনার সামিল হতে বাধ্য----।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা