ধরিত্রির মানস্কন্যা বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা

খালেদা তারেক-ইউনুসেরা লন্ডনে বসে যতই ষড়যন্ত্র,দেনদরবার করুক না কেন লাভ হবেনা।বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন দেখেছে,দেখেছে বিদেশিদের প্রসংশার সনদ।গুজব চড়িয়ে তিলকে তাল বানিয়ে প্রচারের দিন ও শেষ।লুট পাটের অভিযোগ মোকাবেলা করার সাহষ যে ব্যাক্তির নেই ,তাঁর আবার বড় গলায় দুর্নীতি নিয়ে কথা বলতে সামান্যতম লজ্জাও লাগেনা।বাংলাদেশের সাধারন একজন ব্যাবসায়ীও দুর্নীতির মামলা লড়ে তাঁর ইমেজ সমাজে রক্ষা করে চলেছেন।কিন্তু খালেদা জিয়ার দুই পুত্র পারেননি,একজন ফেরার হয়ে মারাই গেলেন।বাংলাদেশকে তালেবান রাষ্ট্র বানাবার চক্রান্ত ব্যর্থ হওয়ার পর,একের পর এক থলের বিড়াল বের হওয়ার উপক্রমে মুরুব্বিদের সাথে পরামর্শ করতে বৃটেন গিয়ে সেখানেও মিথ্যার পেন্ডোলাম ছেড়ে, দুর্নীতির বরপুত্রকে পাশে রেখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন।দেশ রত্মের পরিবার যদি দুর্নীতিতে জড়িতই থাকতেন, তবে বাংলাদেশের দুর্নীতির সুচক কিভাবে ১৬৯ এর পরে হয়।মধ্যম আয়ের দেশ কিভাবে হয়।,।ক্ষমতা ছাড়বেনা ঠিকই বলছেন,কার কাছে ছাড়বে,ভোটে যিনি জিতবে তাঁর কাছেই তো? মার্কিনীদের জরিপের ফলাফল আপনার চোখে পড়েছে, তাই বলছেন শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়বে না।বুঝেই যখন গেছেন, তখন বাড়াবাড়ি না করে আগুন সন্ত্রাসের অভিযোগের মোকাবেলা করার জন্য ভাল রকম পরামর্শ করে আসেন।দেশে যেমন মিথ্যের উপর ভর করে রাজনীতি করেন,বিদেশেও তাই করবেন, এতে বাংলা দেশের মানুষ সাধারন বিচলিত হবে বলে মনে হয় না।
"শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রবাসী নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে ‘কারাগারে’ পরিণত করেছে। বিএনপির যত নেতাকর্মী আছে, ‘প্রত্যেকের নামে’ মামলা দিয়েছে।
  খালেদা জিয়ার সবে জ্বালা শুরু হয়ে গেছে।পলাতক নেতা কর্মিদের তোপের মুখে পড়ে হুশ হয়েছে।নেতা কর্মিদের আগুন সন্ত্রাসের জন্য উস্কানি দিয়ে, সব নেতা কর্মিকে মামলার বেড়াজালে আটকিয়ে এখন সরকারের দোষ!!!
খালেদা জিয়া আর বলেন,হতাশার সুরে---
“এই হল বাংলাদেশ, যেখানে মানুষ ঠিক মত ঘুমাতে পারে না। কোথায় ঘুমাবে? দেশে কোনো মৌলিক অধিকার নাই, মানবাধিকার নাই, আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই।…”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ইংগিত করে বিএনপিনেত্রী বলেন, “এই আওয়ামী লীগ কিছুতেই ক্ষমতা ছাড়বে না। উনি গদি ছাড়বেন না। কেন গদি ছাড়বেন না বলেন তো?”
এরপর তিনি নিজেই জবাব দেন, এতো ‘লুটপাট ও খুন’ সরকার করেছে যে ক্ষমতা ছাড়লে তারা ‘পার পাবে না’।
খালেদা দাবি করেন, তার দল ঐক্যের রাজনীতি করতে চায়।
আওয়ামী লীগের মধ্যেও ‘ভালো লোক’ ও ‘দেশপ্রেমিক’ আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবং তাতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘তাদের’ সঙ্গে নিয়েই তিনি দেশকে ‘সামনের দিকে’ চালিয়ে নিতে চান।
খালেদা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে এখন সরকারবিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশের মাধ্যমে এ সরকারকে ‘টিকিয়ে রাখা’ হয়েছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কাউকে ‘কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না’।
“আমরা আশাবাদী, মানুষই একদিন রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে”, বলেন বিএনপি নেত্রী।
  জিঁহ্যাঁ জনাবা বেগম সাহেবান,মানুষ নামার প্রয়োজন আছে এত দিন পর বুঝতে পারলেন?জঙ্গী,নাশকতা,আগুন,লুটপাট,হত্যা ইত্যাদ দিয়ে পারেননি,এখন জনগনের উপর ভরসা করলেন!!সব হারিয়ে মনে হিল জনগনের কথা!!!

খালেদা-তারেক বিদেশে বসে যত বড় বড় কথাই বলুন ,বাংলাদেশ আজ যে পর্যায়ে উঠে এসেছে তাতে তাদের ক্ষান্ত দেয়া ছাড়া উপায়ইবা কী? এখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭০ বছর, মাথাপিছু আয় প্রায় ১৫০০ মার্কিন ডলার, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলারের মতো, খাদ্যোৎপাদন ৪ কোটি টন, শিক্ষার হার ৬২ শতাংশ, মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে ৪র্থ, এমজিডি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এ অঞ্চলে সবার আগে, জিডিপির হার ৬+, এবার আশা করছে ৭ শতাংশ হবে, বিদেশীরা বলছেন ৬ দশমিক ৭ শতাংশ, নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে কী জনপ্রতিনিধিত্ব, কী শিক্ষা, কী প্রশাসন, কী জুডিসিয়ারিং সর্বক্ষেত্রে নারীরা শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার ও বিরোধী নেতা নারী, বাংলাদেশের হাইকোর্ট-সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতির আসনে নারী, প্রশাসনের শীর্ষপদে সচিব নারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নারী, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীতে উচ্চপদে নারী, এ মুহূর্তে ৩৫০ আসনের পার্লামেন্টে ৭০ জন নারী, মেয়র, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ সর্বত্র নারীর পদচারণা। এসবই সম্ভব হয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন ও মর্যাদা প্রদানের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার আন্তরিক সদিচ্ছার কারণে। বস্তুত নারী শিক্ষা ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় মহীয়সী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত, সর্বজন শ্রদ্ধেয় সুফিয়া কামালের সারিতে শেখ হাসিনার নাম। এ মুহূর্তে ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে প্রায় ১০ কোটি সেলফোন ব্যবহৃত হচ্ছে, সাফল্যজনকভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে শেখ হাসিনার সরকার। এই তো গেল একদিক, আরেকদিক হলো অবকাঠামো উন্নয়ন এবং পল্লী বিদ্যুতায়নের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে আজ যে কোন সময় ও কালের চেয়ে বেশি প্রাণচাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছে। আজ শহর-গঞ্জের দিন মজুরের চেয়ে গ্রামের কৃষি, অবকাঠামো ও পরিবহন শ্রমজীবীরা তুলনামূলকভাবে বেশি রোজগার করছে। গ্রামে এখন কামলা পাওয়া সহজ নয়, বরং দুর্লভই বলতে হবে। শেখ হাসিনা গ্রামীণ জীবনকে এমন পর্যায়ে তুলে এনেছেন যেখানে মানুষ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে যেমন দোরগোড়ায় স্থাস্থ্যসেবা, অনলাইন কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদেশে কর্মরত স্বামী-সন্তানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারছেন, তেমনি ছাত্রছাত্রীরা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কিংবা চাকরির দরখাস্ত বা ব্যবসায়ীরা গ্রামে বসে অনলাইনে টেন্ডার তথা ব্যবসায়ে অংশগ্রহণ করছেন। ৭-৮ বছর আগে যে উত্তরবঙ্গ ছিল ভয়াবহ মঙ্গাকবলিত, সেখানে ‘মঙ্গা’ শব্দটি আজ অতীত। মানুষ দু’বেলা পেটপুরে খেতে পারছে, আনন্দ-ফুর্তি করতে পারছে। আমাদের কৃষি এবং মৎস্য গবেষক ও বিজ্ঞানীরা বিলুপ্ত কৃষিপণ্য এবং মৎস্য পুনরুদ্ধার বা প্রজনন গবেষণায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে চলেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে আজ রক্তপাত নেই, বরং কমলা, আঙ্গুর, আপেল, মাল্টা, স্ট্রবেরি প্রভৃতি বিদেশী ফলও প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হচ্ছে, বাজারজাত হচ্ছে। আমাদের বিজ্ঞানীরা দেশীয় বরই এবং পেয়ারাকে হাইব্রিডের মাধ্যমে এমন উন্নতমানের সুস্বাদু ফলে পরিণত করেছেন যে, এখন আপেল বা মাল্টার পাশাপাশি রাখলে মানুষ বাওকুলট-বাংলাদেশ এ্যাগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি) এবং পেয়ারাই কিনে বাড়ি ফিরছেন। টেক্সটাইল এবং গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির প্রসারের সুফল হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের (শহর-গ্রাম উভয় ক্ষেত্রে) পোশাক-আশাকেও দারুণ পরিবর্তন এসেছে। এই কয়েক বছর আগেও শহরের ফুটপাথগুলোতে যেখানে পুরনো কাপড়ের (ব্যবহৃত) পসরা জমজমাট ছিল, আজ আর তা নেই। সেই পসরা এখন দখল হয়েছে গার্মেন্টসের নতুন পোশাক-আশাকে।
এসবের পুরো কৃতিত্বই শেখ হাসিনাকে দিতে হবে। যারা দেবে না তারা অন্ধ। নেতৃত্বে যেটুকু দুর্বলতা আছে তারও উত্তরণ ঘটেছে তাঁর সাহসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতার হত্যার বিচারের উদ্যোগ এবং ৩৮ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের শহীদানের ঋণ পরিশোধ, জাতির আকাক্সক্ষা অনুযায়ী একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অনুষ্ঠান ও অপরাধীদের শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা ‘জিরো টলারেন্স ডিক্লেয়ার’ করে যেভাবে সাহসিকতার সঙ্গে আল কায়দা, আইএস, বোকো হারাম, মুসলিম ব্রাদারহুড বা তালেবানদের এজেন্ট জামায়াত-শিবির, হিযবুল মুজাহিদিন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হামজা ব্রিগেডের মতো জঙ্গীদের মোকাবেলা করে চলেছেন, তা বিশ্বের কাছে এক বিস্ময়। ঝড়-জলোচ্ছ্বাস বা জলবায়ু পরিবর্তনে তাঁর ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। যে কারণে বিশ্বের খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে একটার পর একটা সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে সম্মানিত করছে, জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থা সর্বশেষ ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’, ‘সেরেস’, ‘সাউথ-সাউথ’ ইত্যাদি পুরস্কারে ভূষিত করেছে। তবে এসবের একটা বিপদও আছে। একদিকে বেগম খালেদা জিয়া ও তার হেজাবি জোটকে অস্থির করে তুলছে এবং তা পেট্রোলবোমা বা আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যা শেখ হাসিনার সাহসী ও দক্ষ ব্যবস্থাপনায় নিরসন হয়। দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনার সাফল্যের সুযোগে দলের অনেক নেতাকর্মী, এমপি, মন্ত্রী তথা জনপ্রতিনিধির মধ্যে একটা ‘ভাব’ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাদের কর্মকান্ডে। অনেক সময় শেখ হাসিনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, যদিও তা শেখ হাসিনা ও একমাত্র ছোট বোন শেখ রেহানার শিক্ষা, সততা, শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং তাঁদের সন্তানদেরও একইভাবে শিক্ষা, সততা ও সংস্কৃতিমনা করে গড়ে তোলা, এই আলোকবর্তিকার আলোর নিচে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। অবশ্য বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া, যার মনোজগত হাওয়া ভবন সংস্কৃতিতে আবর্তিত, তার কাছে শেখ হাসিনার কোন কৃতিত্বই কৃতিত্ব নয়, কোন অর্জনই অর্জন নয়। কয়েকদিন আগে টিভিতে দেখলাম, খালেদা জিয়া লন্ডনে দলীয় এক সমাবেশে বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবার দুর্নীতিতে নিমজ্জিত(!)। দেশের অর্থনীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সরকার বড় বড় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে, টাকার অভাবে শুরু করতে পারছে না।’ কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ আনলেও তিনি একটিরও প্রমাণ দেখাতে পারেননি। কারণ যার অস্তিত্ব নেই বা যে কথার ভিত্তি নেই তার প্রমাণ দেয়া যায় না।
স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষিত মানুষের অভাব আজকের বাংলাদেশে নেই। তাছাড়া খালেদা জিয়া যখন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বক্তৃতা করছিলেন তখন তার পাশেই দাঁড়ানো ছিল দুর্নীতির বরপুত্র ফেরারি আসামি পুত্র তারেক রহমান। খালেদা জিয়া যখন বলেন অর্থাভাবে কোন প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারছে না সরকার তখন বলতে হয়, তিনি নিজস্ব অর্থে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ দেখেন না বা চার লেনে উন্নীত কোন মহাসড়কেও ভ্রমণ করেছেন বা সমাপ্তির পথে রাজধানীর ফ্লাইওভারগুলোও তার চোখে পড়েছে বলে মনে হয় না। যার চোখে দৃষ্টি অনুপস্থিত তার সামনে হাতি এনে দাঁড় করালেও তার কাছে মনে হবে অন্য প্রাণী।
সর্বশেষ যে কথা বলে লেখাটি শেষ করতে চাই তা হলো- জাতিসংঘ শেখ হাসিনার ৬৯তম জন্মদিনের একদিন আগে ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’, অর্থাৎ ‘ধরিত্রীর আদরের কন্যা’ এবং ‘টেলিকমিউনিকেশন এ্যাওয়ার্ড’ দুটি তাঁর হাতে তুলে দেয়। এর চেয়ে বড় জন্মদিনের উপহার আর কি হতে পারে? হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ, ধরিত্রীর আদরের কন্যা শেখ হাসিনা।
  দেশরত্ম শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে নিরলস ভাবে,একাগ্রচিত্তে কাজ করে যাচ্ছেন।বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরীত করেছেন,২০৪১সালে উন্নত দেশে রুপান্তর করার জন্য ইতিমধ্যে অনেক গুলী প্রজেক্ট হাতে নিয়ে সাফল্য জনক ভাবে এগিয়ে চলেছেন।কোন ষড়যন্ত্রই তাঁর অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারবেনা।ইতিমধ্যে ধরিত্রীর আদরের কন্যার স্বীকৃতি জাতি সঘই দিয়েছে।আপনি যখন ইউনুসের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তখন দেশরত্ম বাংলাদেশের মানুষের প্রসংশার স্বীকৃতি তাঁর থলে ভরে নিয়ে আসার জন্য উদ্যত।ব্যবধান আপনি নীজেই বিচার করুন

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন