ধরিত্রির মানস্কন্যা বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা

খালেদা তারেক-ইউনুসেরা লন্ডনে বসে যতই ষড়যন্ত্র,দেনদরবার করুক না কেন লাভ হবেনা।বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন দেখেছে,দেখেছে বিদেশিদের প্রসংশার সনদ।গুজব চড়িয়ে তিলকে তাল বানিয়ে প্রচারের দিন ও শেষ।লুট পাটের অভিযোগ মোকাবেলা করার সাহষ যে ব্যাক্তির নেই ,তাঁর আবার বড় গলায় দুর্নীতি নিয়ে কথা বলতে সামান্যতম লজ্জাও লাগেনা।বাংলাদেশের সাধারন একজন ব্যাবসায়ীও দুর্নীতির মামলা লড়ে তাঁর ইমেজ সমাজে রক্ষা করে চলেছেন।কিন্তু খালেদা জিয়ার দুই পুত্র পারেননি,একজন ফেরার হয়ে মারাই গেলেন।বাংলাদেশকে তালেবান রাষ্ট্র বানাবার চক্রান্ত ব্যর্থ হওয়ার পর,একের পর এক থলের বিড়াল বের হওয়ার উপক্রমে মুরুব্বিদের সাথে পরামর্শ করতে বৃটেন গিয়ে সেখানেও মিথ্যার পেন্ডোলাম ছেড়ে, দুর্নীতির বরপুত্রকে পাশে রেখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন।দেশ রত্মের পরিবার যদি দুর্নীতিতে জড়িতই থাকতেন, তবে বাংলাদেশের দুর্নীতির সুচক কিভাবে ১৬৯ এর পরে হয়।মধ্যম আয়ের দেশ কিভাবে হয়।,।ক্ষমতা ছাড়বেনা ঠিকই বলছেন,কার কাছে ছাড়বে,ভোটে যিনি জিতবে তাঁর কাছেই তো? মার্কিনীদের জরিপের ফলাফল আপনার চোখে পড়েছে, তাই বলছেন শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়বে না।বুঝেই যখন গেছেন, তখন বাড়াবাড়ি না করে আগুন সন্ত্রাসের অভিযোগের মোকাবেলা করার জন্য ভাল রকম পরামর্শ করে আসেন।দেশে যেমন মিথ্যের উপর ভর করে রাজনীতি করেন,বিদেশেও তাই করবেন, এতে বাংলা দেশের মানুষ সাধারন বিচলিত হবে বলে মনে হয় না।
"শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রবাসী নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে ‘কারাগারে’ পরিণত করেছে। বিএনপির যত নেতাকর্মী আছে, ‘প্রত্যেকের নামে’ মামলা দিয়েছে।
  খালেদা জিয়ার সবে জ্বালা শুরু হয়ে গেছে।পলাতক নেতা কর্মিদের তোপের মুখে পড়ে হুশ হয়েছে।নেতা কর্মিদের আগুন সন্ত্রাসের জন্য উস্কানি দিয়ে, সব নেতা কর্মিকে মামলার বেড়াজালে আটকিয়ে এখন সরকারের দোষ!!!
খালেদা জিয়া আর বলেন,হতাশার সুরে---
“এই হল বাংলাদেশ, যেখানে মানুষ ঠিক মত ঘুমাতে পারে না। কোথায় ঘুমাবে? দেশে কোনো মৌলিক অধিকার নাই, মানবাধিকার নাই, আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই।…”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ইংগিত করে বিএনপিনেত্রী বলেন, “এই আওয়ামী লীগ কিছুতেই ক্ষমতা ছাড়বে না। উনি গদি ছাড়বেন না। কেন গদি ছাড়বেন না বলেন তো?”
এরপর তিনি নিজেই জবাব দেন, এতো ‘লুটপাট ও খুন’ সরকার করেছে যে ক্ষমতা ছাড়লে তারা ‘পার পাবে না’।
খালেদা দাবি করেন, তার দল ঐক্যের রাজনীতি করতে চায়।
আওয়ামী লীগের মধ্যেও ‘ভালো লোক’ ও ‘দেশপ্রেমিক’ আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবং তাতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘তাদের’ সঙ্গে নিয়েই তিনি দেশকে ‘সামনের দিকে’ চালিয়ে নিতে চান।
খালেদা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে এখন সরকারবিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশের মাধ্যমে এ সরকারকে ‘টিকিয়ে রাখা’ হয়েছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কাউকে ‘কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না’।
“আমরা আশাবাদী, মানুষই একদিন রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে”, বলেন বিএনপি নেত্রী।
  জিঁহ্যাঁ জনাবা বেগম সাহেবান,মানুষ নামার প্রয়োজন আছে এত দিন পর বুঝতে পারলেন?জঙ্গী,নাশকতা,আগুন,লুটপাট,হত্যা ইত্যাদ দিয়ে পারেননি,এখন জনগনের উপর ভরসা করলেন!!সব হারিয়ে মনে হিল জনগনের কথা!!!

খালেদা-তারেক বিদেশে বসে যত বড় বড় কথাই বলুন ,বাংলাদেশ আজ যে পর্যায়ে উঠে এসেছে তাতে তাদের ক্ষান্ত দেয়া ছাড়া উপায়ইবা কী? এখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭০ বছর, মাথাপিছু আয় প্রায় ১৫০০ মার্কিন ডলার, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলারের মতো, খাদ্যোৎপাদন ৪ কোটি টন, শিক্ষার হার ৬২ শতাংশ, মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে ৪র্থ, এমজিডি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এ অঞ্চলে সবার আগে, জিডিপির হার ৬+, এবার আশা করছে ৭ শতাংশ হবে, বিদেশীরা বলছেন ৬ দশমিক ৭ শতাংশ, নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে কী জনপ্রতিনিধিত্ব, কী শিক্ষা, কী প্রশাসন, কী জুডিসিয়ারিং সর্বক্ষেত্রে নারীরা শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার ও বিরোধী নেতা নারী, বাংলাদেশের হাইকোর্ট-সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতির আসনে নারী, প্রশাসনের শীর্ষপদে সচিব নারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নারী, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীতে উচ্চপদে নারী, এ মুহূর্তে ৩৫০ আসনের পার্লামেন্টে ৭০ জন নারী, মেয়র, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ সর্বত্র নারীর পদচারণা। এসবই সম্ভব হয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন ও মর্যাদা প্রদানের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার আন্তরিক সদিচ্ছার কারণে। বস্তুত নারী শিক্ষা ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় মহীয়সী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত, সর্বজন শ্রদ্ধেয় সুফিয়া কামালের সারিতে শেখ হাসিনার নাম। এ মুহূর্তে ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে প্রায় ১০ কোটি সেলফোন ব্যবহৃত হচ্ছে, সাফল্যজনকভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে শেখ হাসিনার সরকার। এই তো গেল একদিক, আরেকদিক হলো অবকাঠামো উন্নয়ন এবং পল্লী বিদ্যুতায়নের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে আজ যে কোন সময় ও কালের চেয়ে বেশি প্রাণচাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছে। আজ শহর-গঞ্জের দিন মজুরের চেয়ে গ্রামের কৃষি, অবকাঠামো ও পরিবহন শ্রমজীবীরা তুলনামূলকভাবে বেশি রোজগার করছে। গ্রামে এখন কামলা পাওয়া সহজ নয়, বরং দুর্লভই বলতে হবে। শেখ হাসিনা গ্রামীণ জীবনকে এমন পর্যায়ে তুলে এনেছেন যেখানে মানুষ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে যেমন দোরগোড়ায় স্থাস্থ্যসেবা, অনলাইন কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদেশে কর্মরত স্বামী-সন্তানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারছেন, তেমনি ছাত্রছাত্রীরা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কিংবা চাকরির দরখাস্ত বা ব্যবসায়ীরা গ্রামে বসে অনলাইনে টেন্ডার তথা ব্যবসায়ে অংশগ্রহণ করছেন। ৭-৮ বছর আগে যে উত্তরবঙ্গ ছিল ভয়াবহ মঙ্গাকবলিত, সেখানে ‘মঙ্গা’ শব্দটি আজ অতীত। মানুষ দু’বেলা পেটপুরে খেতে পারছে, আনন্দ-ফুর্তি করতে পারছে। আমাদের কৃষি এবং মৎস্য গবেষক ও বিজ্ঞানীরা বিলুপ্ত কৃষিপণ্য এবং মৎস্য পুনরুদ্ধার বা প্রজনন গবেষণায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে চলেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে আজ রক্তপাত নেই, বরং কমলা, আঙ্গুর, আপেল, মাল্টা, স্ট্রবেরি প্রভৃতি বিদেশী ফলও প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হচ্ছে, বাজারজাত হচ্ছে। আমাদের বিজ্ঞানীরা দেশীয় বরই এবং পেয়ারাকে হাইব্রিডের মাধ্যমে এমন উন্নতমানের সুস্বাদু ফলে পরিণত করেছেন যে, এখন আপেল বা মাল্টার পাশাপাশি রাখলে মানুষ বাওকুলট-বাংলাদেশ এ্যাগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি) এবং পেয়ারাই কিনে বাড়ি ফিরছেন। টেক্সটাইল এবং গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির প্রসারের সুফল হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের (শহর-গ্রাম উভয় ক্ষেত্রে) পোশাক-আশাকেও দারুণ পরিবর্তন এসেছে। এই কয়েক বছর আগেও শহরের ফুটপাথগুলোতে যেখানে পুরনো কাপড়ের (ব্যবহৃত) পসরা জমজমাট ছিল, আজ আর তা নেই। সেই পসরা এখন দখল হয়েছে গার্মেন্টসের নতুন পোশাক-আশাকে।
এসবের পুরো কৃতিত্বই শেখ হাসিনাকে দিতে হবে। যারা দেবে না তারা অন্ধ। নেতৃত্বে যেটুকু দুর্বলতা আছে তারও উত্তরণ ঘটেছে তাঁর সাহসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতার হত্যার বিচারের উদ্যোগ এবং ৩৮ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের শহীদানের ঋণ পরিশোধ, জাতির আকাক্সক্ষা অনুযায়ী একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অনুষ্ঠান ও অপরাধীদের শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা ‘জিরো টলারেন্স ডিক্লেয়ার’ করে যেভাবে সাহসিকতার সঙ্গে আল কায়দা, আইএস, বোকো হারাম, মুসলিম ব্রাদারহুড বা তালেবানদের এজেন্ট জামায়াত-শিবির, হিযবুল মুজাহিদিন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হামজা ব্রিগেডের মতো জঙ্গীদের মোকাবেলা করে চলেছেন, তা বিশ্বের কাছে এক বিস্ময়। ঝড়-জলোচ্ছ্বাস বা জলবায়ু পরিবর্তনে তাঁর ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। যে কারণে বিশ্বের খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে একটার পর একটা সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে সম্মানিত করছে, জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থা সর্বশেষ ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’, ‘সেরেস’, ‘সাউথ-সাউথ’ ইত্যাদি পুরস্কারে ভূষিত করেছে। তবে এসবের একটা বিপদও আছে। একদিকে বেগম খালেদা জিয়া ও তার হেজাবি জোটকে অস্থির করে তুলছে এবং তা পেট্রোলবোমা বা আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যা শেখ হাসিনার সাহসী ও দক্ষ ব্যবস্থাপনায় নিরসন হয়। দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনার সাফল্যের সুযোগে দলের অনেক নেতাকর্মী, এমপি, মন্ত্রী তথা জনপ্রতিনিধির মধ্যে একটা ‘ভাব’ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাদের কর্মকান্ডে। অনেক সময় শেখ হাসিনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, যদিও তা শেখ হাসিনা ও একমাত্র ছোট বোন শেখ রেহানার শিক্ষা, সততা, শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং তাঁদের সন্তানদেরও একইভাবে শিক্ষা, সততা ও সংস্কৃতিমনা করে গড়ে তোলা, এই আলোকবর্তিকার আলোর নিচে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। অবশ্য বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া, যার মনোজগত হাওয়া ভবন সংস্কৃতিতে আবর্তিত, তার কাছে শেখ হাসিনার কোন কৃতিত্বই কৃতিত্ব নয়, কোন অর্জনই অর্জন নয়। কয়েকদিন আগে টিভিতে দেখলাম, খালেদা জিয়া লন্ডনে দলীয় এক সমাবেশে বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবার দুর্নীতিতে নিমজ্জিত(!)। দেশের অর্থনীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সরকার বড় বড় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে, টাকার অভাবে শুরু করতে পারছে না।’ কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ আনলেও তিনি একটিরও প্রমাণ দেখাতে পারেননি। কারণ যার অস্তিত্ব নেই বা যে কথার ভিত্তি নেই তার প্রমাণ দেয়া যায় না।
স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষিত মানুষের অভাব আজকের বাংলাদেশে নেই। তাছাড়া খালেদা জিয়া যখন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বক্তৃতা করছিলেন তখন তার পাশেই দাঁড়ানো ছিল দুর্নীতির বরপুত্র ফেরারি আসামি পুত্র তারেক রহমান। খালেদা জিয়া যখন বলেন অর্থাভাবে কোন প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারছে না সরকার তখন বলতে হয়, তিনি নিজস্ব অর্থে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ দেখেন না বা চার লেনে উন্নীত কোন মহাসড়কেও ভ্রমণ করেছেন বা সমাপ্তির পথে রাজধানীর ফ্লাইওভারগুলোও তার চোখে পড়েছে বলে মনে হয় না। যার চোখে দৃষ্টি অনুপস্থিত তার সামনে হাতি এনে দাঁড় করালেও তার কাছে মনে হবে অন্য প্রাণী।
সর্বশেষ যে কথা বলে লেখাটি শেষ করতে চাই তা হলো- জাতিসংঘ শেখ হাসিনার ৬৯তম জন্মদিনের একদিন আগে ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’, অর্থাৎ ‘ধরিত্রীর আদরের কন্যা’ এবং ‘টেলিকমিউনিকেশন এ্যাওয়ার্ড’ দুটি তাঁর হাতে তুলে দেয়। এর চেয়ে বড় জন্মদিনের উপহার আর কি হতে পারে? হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ, ধরিত্রীর আদরের কন্যা শেখ হাসিনা।
  দেশরত্ম শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে নিরলস ভাবে,একাগ্রচিত্তে কাজ করে যাচ্ছেন।বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরীত করেছেন,২০৪১সালে উন্নত দেশে রুপান্তর করার জন্য ইতিমধ্যে অনেক গুলী প্রজেক্ট হাতে নিয়ে সাফল্য জনক ভাবে এগিয়ে চলেছেন।কোন ষড়যন্ত্রই তাঁর অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারবেনা।ইতিমধ্যে ধরিত্রীর আদরের কন্যার স্বীকৃতি জাতি সঘই দিয়েছে।আপনি যখন ইউনুসের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তখন দেশরত্ম বাংলাদেশের মানুষের প্রসংশার স্বীকৃতি তাঁর থলে ভরে নিয়ে আসার জন্য উদ্যত।ব্যবধান আপনি নীজেই বিচার করুন

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা