ধরিত্রির মানস্কন্যা বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা
খালেদা তারেক-ইউনুসেরা লন্ডনে বসে যতই ষড়যন্ত্র,দেনদরবার করুক না কেন লাভ হবেনা।বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন দেখেছে,দেখেছে বিদেশিদের প্রসংশার সনদ।গুজব চড়িয়ে তিলকে তাল বানিয়ে প্রচারের দিন ও শেষ।লুট পাটের অভিযোগ মোকাবেলা করার সাহষ যে ব্যাক্তির নেই ,তাঁর আবার বড় গলায় দুর্নীতি নিয়ে কথা বলতে সামান্যতম লজ্জাও লাগেনা।বাংলাদেশের সাধারন একজন ব্যাবসায়ীও দুর্নীতির মামলা লড়ে তাঁর ইমেজ সমাজে রক্ষা করে চলেছেন।কিন্তু খালেদা জিয়ার দুই পুত্র পারেননি,একজন ফেরার হয়ে মারাই গেলেন।বাংলাদেশকে তালেবান রাষ্ট্র বানাবার চক্রান্ত ব্যর্থ হওয়ার পর,একের পর এক থলের বিড়াল বের হওয়ার উপক্রমে মুরুব্বিদের সাথে পরামর্শ করতে বৃটেন গিয়ে সেখানেও মিথ্যার পেন্ডোলাম ছেড়ে, দুর্নীতির বরপুত্রকে পাশে রেখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন।দেশ রত্মের পরিবার যদি দুর্নীতিতে জড়িতই থাকতেন, তবে বাংলাদেশের দুর্নীতির সুচক কিভাবে ১৬৯ এর পরে হয়।মধ্যম আয়ের দেশ কিভাবে হয়।,।ক্ষমতা ছাড়বেনা ঠিকই বলছেন,কার কাছে ছাড়বে,ভোটে যিনি জিতবে তাঁর কাছেই তো? মার্কিনীদের জরিপের ফলাফল আপনার চোখে পড়েছে, তাই বলছেন শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়বে না।বুঝেই যখন গেছেন, তখন বাড়াবাড়ি না করে আগুন সন্ত্রাসের অভিযোগের মোকাবেলা করার জন্য ভাল রকম পরামর্শ করে আসেন।দেশে যেমন মিথ্যের উপর ভর করে রাজনীতি করেন,বিদেশেও তাই করবেন, এতে বাংলা দেশের মানুষ সাধারন বিচলিত হবে বলে মনে হয় না।
"শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রবাসী নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে ‘কারাগারে’ পরিণত করেছে। বিএনপির যত নেতাকর্মী আছে, ‘প্রত্যেকের নামে’ মামলা দিয়েছে।
খালেদা জিয়ার সবে জ্বালা শুরু হয়ে গেছে।পলাতক নেতা কর্মিদের তোপের মুখে পড়ে হুশ হয়েছে।নেতা কর্মিদের আগুন সন্ত্রাসের জন্য উস্কানি দিয়ে, সব নেতা কর্মিকে মামলার বেড়াজালে আটকিয়ে এখন সরকারের দোষ!!!
খালেদা জিয়া আর বলেন,হতাশার সুরে---
“এই হল বাংলাদেশ, যেখানে মানুষ ঠিক মত ঘুমাতে পারে না। কোথায় ঘুমাবে? দেশে কোনো মৌলিক অধিকার নাই, মানবাধিকার নাই, আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই।…”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ইংগিত করে বিএনপিনেত্রী বলেন, “এই আওয়ামী লীগ কিছুতেই ক্ষমতা ছাড়বে না। উনি গদি ছাড়বেন না। কেন গদি ছাড়বেন না বলেন তো?”
এরপর তিনি নিজেই জবাব দেন, এতো ‘লুটপাট ও খুন’ সরকার করেছে যে ক্ষমতা ছাড়লে তারা ‘পার পাবে না’।
খালেদা দাবি করেন, তার দল ঐক্যের রাজনীতি করতে চায়।
আওয়ামী লীগের মধ্যেও ‘ভালো লোক’ ও ‘দেশপ্রেমিক’ আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবং তাতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘তাদের’ সঙ্গে নিয়েই তিনি দেশকে ‘সামনের দিকে’ চালিয়ে নিতে চান।
খালেদা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে এখন সরকারবিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশের মাধ্যমে এ সরকারকে ‘টিকিয়ে রাখা’ হয়েছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কাউকে ‘কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না’।
“আমরা আশাবাদী, মানুষই একদিন রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে”, বলেন বিএনপি নেত্রী।
জিঁহ্যাঁ জনাবা বেগম সাহেবান,মানুষ নামার প্রয়োজন আছে এত দিন পর বুঝতে পারলেন?জঙ্গী,নাশকতা,আগুন,লুটপাট,হত্যা ইত্যাদ দিয়ে পারেননি,এখন জনগনের উপর ভরসা করলেন!!সব হারিয়ে মনে হিল জনগনের কথা!!!
খালেদা-তারেক বিদেশে বসে যত বড় বড় কথাই বলুন ,বাংলাদেশ আজ যে পর্যায়ে উঠে এসেছে তাতে তাদের ক্ষান্ত দেয়া ছাড়া উপায়ইবা কী? এখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭০ বছর, মাথাপিছু আয় প্রায় ১৫০০ মার্কিন ডলার, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলারের মতো, খাদ্যোৎপাদন ৪ কোটি টন, শিক্ষার হার ৬২ শতাংশ, মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে ৪র্থ, এমজিডি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এ অঞ্চলে সবার আগে, জিডিপির হার ৬+, এবার আশা করছে ৭ শতাংশ হবে, বিদেশীরা বলছেন ৬ দশমিক ৭ শতাংশ, নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে কী জনপ্রতিনিধিত্ব, কী শিক্ষা, কী প্রশাসন, কী জুডিসিয়ারিং সর্বক্ষেত্রে নারীরা শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার ও বিরোধী নেতা নারী, বাংলাদেশের হাইকোর্ট-সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতির আসনে নারী, প্রশাসনের শীর্ষপদে সচিব নারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নারী, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীতে উচ্চপদে নারী, এ মুহূর্তে ৩৫০ আসনের পার্লামেন্টে ৭০ জন নারী, মেয়র, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ সর্বত্র নারীর পদচারণা। এসবই সম্ভব হয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন ও মর্যাদা প্রদানের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার আন্তরিক সদিচ্ছার কারণে। বস্তুত নারী শিক্ষা ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় মহীয়সী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত, সর্বজন শ্রদ্ধেয় সুফিয়া কামালের সারিতে শেখ হাসিনার নাম। এ মুহূর্তে ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে প্রায় ১০ কোটি সেলফোন ব্যবহৃত হচ্ছে, সাফল্যজনকভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে শেখ হাসিনার সরকার। এই তো গেল একদিক, আরেকদিক হলো অবকাঠামো উন্নয়ন এবং পল্লী বিদ্যুতায়নের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে আজ যে কোন সময় ও কালের চেয়ে বেশি প্রাণচাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছে। আজ শহর-গঞ্জের দিন মজুরের চেয়ে গ্রামের কৃষি, অবকাঠামো ও পরিবহন শ্রমজীবীরা তুলনামূলকভাবে বেশি রোজগার করছে। গ্রামে এখন কামলা পাওয়া সহজ নয়, বরং দুর্লভই বলতে হবে। শেখ হাসিনা গ্রামীণ জীবনকে এমন পর্যায়ে তুলে এনেছেন যেখানে মানুষ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে যেমন দোরগোড়ায় স্থাস্থ্যসেবা, অনলাইন কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদেশে কর্মরত স্বামী-সন্তানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারছেন, তেমনি ছাত্রছাত্রীরা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কিংবা চাকরির দরখাস্ত বা ব্যবসায়ীরা গ্রামে বসে অনলাইনে টেন্ডার তথা ব্যবসায়ে অংশগ্রহণ করছেন। ৭-৮ বছর আগে যে উত্তরবঙ্গ ছিল ভয়াবহ মঙ্গাকবলিত, সেখানে ‘মঙ্গা’ শব্দটি আজ অতীত। মানুষ দু’বেলা পেটপুরে খেতে পারছে, আনন্দ-ফুর্তি করতে পারছে। আমাদের কৃষি এবং মৎস্য গবেষক ও বিজ্ঞানীরা বিলুপ্ত কৃষিপণ্য এবং মৎস্য পুনরুদ্ধার বা প্রজনন গবেষণায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে চলেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে আজ রক্তপাত নেই, বরং কমলা, আঙ্গুর, আপেল, মাল্টা, স্ট্রবেরি প্রভৃতি বিদেশী ফলও প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হচ্ছে, বাজারজাত হচ্ছে। আমাদের বিজ্ঞানীরা দেশীয় বরই এবং পেয়ারাকে হাইব্রিডের মাধ্যমে এমন উন্নতমানের সুস্বাদু ফলে পরিণত করেছেন যে, এখন আপেল বা মাল্টার পাশাপাশি রাখলে মানুষ বাওকুলট-বাংলাদেশ এ্যাগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি) এবং পেয়ারাই কিনে বাড়ি ফিরছেন। টেক্সটাইল এবং গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির প্রসারের সুফল হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের (শহর-গ্রাম উভয় ক্ষেত্রে) পোশাক-আশাকেও দারুণ পরিবর্তন এসেছে। এই কয়েক বছর আগেও শহরের ফুটপাথগুলোতে যেখানে পুরনো কাপড়ের (ব্যবহৃত) পসরা জমজমাট ছিল, আজ আর তা নেই। সেই পসরা এখন দখল হয়েছে গার্মেন্টসের নতুন পোশাক-আশাকে।
এসবের পুরো কৃতিত্বই শেখ হাসিনাকে দিতে হবে। যারা দেবে না তারা অন্ধ। নেতৃত্বে যেটুকু দুর্বলতা আছে তারও উত্তরণ ঘটেছে তাঁর সাহসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতার হত্যার বিচারের উদ্যোগ এবং ৩৮ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের শহীদানের ঋণ পরিশোধ, জাতির আকাক্সক্ষা অনুযায়ী একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অনুষ্ঠান ও অপরাধীদের শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা ‘জিরো টলারেন্স ডিক্লেয়ার’ করে যেভাবে সাহসিকতার সঙ্গে আল কায়দা, আইএস, বোকো হারাম, মুসলিম ব্রাদারহুড বা তালেবানদের এজেন্ট জামায়াত-শিবির, হিযবুল মুজাহিদিন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হামজা ব্রিগেডের মতো জঙ্গীদের মোকাবেলা করে চলেছেন, তা বিশ্বের কাছে এক বিস্ময়। ঝড়-জলোচ্ছ্বাস বা জলবায়ু পরিবর্তনে তাঁর ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। যে কারণে বিশ্বের খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে একটার পর একটা সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে সম্মানিত করছে, জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থা সর্বশেষ ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’, ‘সেরেস’, ‘সাউথ-সাউথ’ ইত্যাদি পুরস্কারে ভূষিত করেছে। তবে এসবের একটা বিপদও আছে। একদিকে বেগম খালেদা জিয়া ও তার হেজাবি জোটকে অস্থির করে তুলছে এবং তা পেট্রোলবোমা বা আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যা শেখ হাসিনার সাহসী ও দক্ষ ব্যবস্থাপনায় নিরসন হয়। দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনার সাফল্যের সুযোগে দলের অনেক নেতাকর্মী, এমপি, মন্ত্রী তথা জনপ্রতিনিধির মধ্যে একটা ‘ভাব’ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাদের কর্মকান্ডে। অনেক সময় শেখ হাসিনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, যদিও তা শেখ হাসিনা ও একমাত্র ছোট বোন শেখ রেহানার শিক্ষা, সততা, শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং তাঁদের সন্তানদেরও একইভাবে শিক্ষা, সততা ও সংস্কৃতিমনা করে গড়ে তোলা, এই আলোকবর্তিকার আলোর নিচে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। অবশ্য বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া, যার মনোজগত হাওয়া ভবন সংস্কৃতিতে আবর্তিত, তার কাছে শেখ হাসিনার কোন কৃতিত্বই কৃতিত্ব নয়, কোন অর্জনই অর্জন নয়। কয়েকদিন আগে টিভিতে দেখলাম, খালেদা জিয়া লন্ডনে দলীয় এক সমাবেশে বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবার দুর্নীতিতে নিমজ্জিত(!)। দেশের অর্থনীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সরকার বড় বড় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে, টাকার অভাবে শুরু করতে পারছে না।’ কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ আনলেও তিনি একটিরও প্রমাণ দেখাতে পারেননি। কারণ যার অস্তিত্ব নেই বা যে কথার ভিত্তি নেই তার প্রমাণ দেয়া যায় না।
স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষিত মানুষের অভাব আজকের বাংলাদেশে নেই। তাছাড়া খালেদা জিয়া যখন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বক্তৃতা করছিলেন তখন তার পাশেই দাঁড়ানো ছিল দুর্নীতির বরপুত্র ফেরারি আসামি পুত্র তারেক রহমান। খালেদা জিয়া যখন বলেন অর্থাভাবে কোন প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারছে না সরকার তখন বলতে হয়, তিনি নিজস্ব অর্থে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ দেখেন না বা চার লেনে উন্নীত কোন মহাসড়কেও ভ্রমণ করেছেন বা সমাপ্তির পথে রাজধানীর ফ্লাইওভারগুলোও তার চোখে পড়েছে বলে মনে হয় না। যার চোখে দৃষ্টি অনুপস্থিত তার সামনে হাতি এনে দাঁড় করালেও তার কাছে মনে হবে অন্য প্রাণী।
সর্বশেষ যে কথা বলে লেখাটি শেষ করতে চাই তা হলো- জাতিসংঘ শেখ হাসিনার ৬৯তম জন্মদিনের একদিন আগে ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’, অর্থাৎ ‘ধরিত্রীর আদরের কন্যা’ এবং ‘টেলিকমিউনিকেশন এ্যাওয়ার্ড’ দুটি তাঁর হাতে তুলে দেয়। এর চেয়ে বড় জন্মদিনের উপহার আর কি হতে পারে? হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ, ধরিত্রীর আদরের কন্যা শেখ হাসিনা।
দেশরত্ম শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে নিরলস ভাবে,একাগ্রচিত্তে কাজ করে যাচ্ছেন।বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরীত করেছেন,২০৪১সালে উন্নত দেশে রুপান্তর করার জন্য ইতিমধ্যে অনেক গুলী প্রজেক্ট হাতে নিয়ে সাফল্য জনক ভাবে এগিয়ে চলেছেন।কোন ষড়যন্ত্রই তাঁর অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারবেনা।ইতিমধ্যে ধরিত্রীর আদরের কন্যার স্বীকৃতি জাতি সঘই দিয়েছে।আপনি যখন ইউনুসের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তখন দেশরত্ম বাংলাদেশের মানুষের প্রসংশার স্বীকৃতি তাঁর থলে ভরে নিয়ে আসার জন্য উদ্যত।ব্যবধান আপনি নীজেই বিচার করুন
"শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রবাসী নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে ‘কারাগারে’ পরিণত করেছে। বিএনপির যত নেতাকর্মী আছে, ‘প্রত্যেকের নামে’ মামলা দিয়েছে।
খালেদা জিয়ার সবে জ্বালা শুরু হয়ে গেছে।পলাতক নেতা কর্মিদের তোপের মুখে পড়ে হুশ হয়েছে।নেতা কর্মিদের আগুন সন্ত্রাসের জন্য উস্কানি দিয়ে, সব নেতা কর্মিকে মামলার বেড়াজালে আটকিয়ে এখন সরকারের দোষ!!!
খালেদা জিয়া আর বলেন,হতাশার সুরে---
“এই হল বাংলাদেশ, যেখানে মানুষ ঠিক মত ঘুমাতে পারে না। কোথায় ঘুমাবে? দেশে কোনো মৌলিক অধিকার নাই, মানবাধিকার নাই, আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই।…”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ইংগিত করে বিএনপিনেত্রী বলেন, “এই আওয়ামী লীগ কিছুতেই ক্ষমতা ছাড়বে না। উনি গদি ছাড়বেন না। কেন গদি ছাড়বেন না বলেন তো?”
এরপর তিনি নিজেই জবাব দেন, এতো ‘লুটপাট ও খুন’ সরকার করেছে যে ক্ষমতা ছাড়লে তারা ‘পার পাবে না’।
খালেদা দাবি করেন, তার দল ঐক্যের রাজনীতি করতে চায়।
আওয়ামী লীগের মধ্যেও ‘ভালো লোক’ ও ‘দেশপ্রেমিক’ আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবং তাতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘তাদের’ সঙ্গে নিয়েই তিনি দেশকে ‘সামনের দিকে’ চালিয়ে নিতে চান।
খালেদা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে এখন সরকারবিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশের মাধ্যমে এ সরকারকে ‘টিকিয়ে রাখা’ হয়েছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কাউকে ‘কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না’।
“আমরা আশাবাদী, মানুষই একদিন রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে”, বলেন বিএনপি নেত্রী।
জিঁহ্যাঁ জনাবা বেগম সাহেবান,মানুষ নামার প্রয়োজন আছে এত দিন পর বুঝতে পারলেন?জঙ্গী,নাশকতা,আগুন,লুটপাট,হত্যা ইত্যাদ দিয়ে পারেননি,এখন জনগনের উপর ভরসা করলেন!!সব হারিয়ে মনে হিল জনগনের কথা!!!
খালেদা-তারেক বিদেশে বসে যত বড় বড় কথাই বলুন ,বাংলাদেশ আজ যে পর্যায়ে উঠে এসেছে তাতে তাদের ক্ষান্ত দেয়া ছাড়া উপায়ইবা কী? এখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭০ বছর, মাথাপিছু আয় প্রায় ১৫০০ মার্কিন ডলার, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলারের মতো, খাদ্যোৎপাদন ৪ কোটি টন, শিক্ষার হার ৬২ শতাংশ, মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে ৪র্থ, এমজিডি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এ অঞ্চলে সবার আগে, জিডিপির হার ৬+, এবার আশা করছে ৭ শতাংশ হবে, বিদেশীরা বলছেন ৬ দশমিক ৭ শতাংশ, নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে কী জনপ্রতিনিধিত্ব, কী শিক্ষা, কী প্রশাসন, কী জুডিসিয়ারিং সর্বক্ষেত্রে নারীরা শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার ও বিরোধী নেতা নারী, বাংলাদেশের হাইকোর্ট-সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতির আসনে নারী, প্রশাসনের শীর্ষপদে সচিব নারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নারী, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীতে উচ্চপদে নারী, এ মুহূর্তে ৩৫০ আসনের পার্লামেন্টে ৭০ জন নারী, মেয়র, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ সর্বত্র নারীর পদচারণা। এসবই সম্ভব হয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন ও মর্যাদা প্রদানের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার আন্তরিক সদিচ্ছার কারণে। বস্তুত নারী শিক্ষা ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় মহীয়সী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত, সর্বজন শ্রদ্ধেয় সুফিয়া কামালের সারিতে শেখ হাসিনার নাম। এ মুহূর্তে ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে প্রায় ১০ কোটি সেলফোন ব্যবহৃত হচ্ছে, সাফল্যজনকভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে শেখ হাসিনার সরকার। এই তো গেল একদিক, আরেকদিক হলো অবকাঠামো উন্নয়ন এবং পল্লী বিদ্যুতায়নের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে আজ যে কোন সময় ও কালের চেয়ে বেশি প্রাণচাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছে। আজ শহর-গঞ্জের দিন মজুরের চেয়ে গ্রামের কৃষি, অবকাঠামো ও পরিবহন শ্রমজীবীরা তুলনামূলকভাবে বেশি রোজগার করছে। গ্রামে এখন কামলা পাওয়া সহজ নয়, বরং দুর্লভই বলতে হবে। শেখ হাসিনা গ্রামীণ জীবনকে এমন পর্যায়ে তুলে এনেছেন যেখানে মানুষ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে যেমন দোরগোড়ায় স্থাস্থ্যসেবা, অনলাইন কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদেশে কর্মরত স্বামী-সন্তানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারছেন, তেমনি ছাত্রছাত্রীরা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কিংবা চাকরির দরখাস্ত বা ব্যবসায়ীরা গ্রামে বসে অনলাইনে টেন্ডার তথা ব্যবসায়ে অংশগ্রহণ করছেন। ৭-৮ বছর আগে যে উত্তরবঙ্গ ছিল ভয়াবহ মঙ্গাকবলিত, সেখানে ‘মঙ্গা’ শব্দটি আজ অতীত। মানুষ দু’বেলা পেটপুরে খেতে পারছে, আনন্দ-ফুর্তি করতে পারছে। আমাদের কৃষি এবং মৎস্য গবেষক ও বিজ্ঞানীরা বিলুপ্ত কৃষিপণ্য এবং মৎস্য পুনরুদ্ধার বা প্রজনন গবেষণায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে চলেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে আজ রক্তপাত নেই, বরং কমলা, আঙ্গুর, আপেল, মাল্টা, স্ট্রবেরি প্রভৃতি বিদেশী ফলও প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হচ্ছে, বাজারজাত হচ্ছে। আমাদের বিজ্ঞানীরা দেশীয় বরই এবং পেয়ারাকে হাইব্রিডের মাধ্যমে এমন উন্নতমানের সুস্বাদু ফলে পরিণত করেছেন যে, এখন আপেল বা মাল্টার পাশাপাশি রাখলে মানুষ বাওকুলট-বাংলাদেশ এ্যাগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি) এবং পেয়ারাই কিনে বাড়ি ফিরছেন। টেক্সটাইল এবং গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির প্রসারের সুফল হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের (শহর-গ্রাম উভয় ক্ষেত্রে) পোশাক-আশাকেও দারুণ পরিবর্তন এসেছে। এই কয়েক বছর আগেও শহরের ফুটপাথগুলোতে যেখানে পুরনো কাপড়ের (ব্যবহৃত) পসরা জমজমাট ছিল, আজ আর তা নেই। সেই পসরা এখন দখল হয়েছে গার্মেন্টসের নতুন পোশাক-আশাকে।
এসবের পুরো কৃতিত্বই শেখ হাসিনাকে দিতে হবে। যারা দেবে না তারা অন্ধ। নেতৃত্বে যেটুকু দুর্বলতা আছে তারও উত্তরণ ঘটেছে তাঁর সাহসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতার হত্যার বিচারের উদ্যোগ এবং ৩৮ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের শহীদানের ঋণ পরিশোধ, জাতির আকাক্সক্ষা অনুযায়ী একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অনুষ্ঠান ও অপরাধীদের শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা ‘জিরো টলারেন্স ডিক্লেয়ার’ করে যেভাবে সাহসিকতার সঙ্গে আল কায়দা, আইএস, বোকো হারাম, মুসলিম ব্রাদারহুড বা তালেবানদের এজেন্ট জামায়াত-শিবির, হিযবুল মুজাহিদিন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হামজা ব্রিগেডের মতো জঙ্গীদের মোকাবেলা করে চলেছেন, তা বিশ্বের কাছে এক বিস্ময়। ঝড়-জলোচ্ছ্বাস বা জলবায়ু পরিবর্তনে তাঁর ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। যে কারণে বিশ্বের খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে একটার পর একটা সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে সম্মানিত করছে, জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থা সর্বশেষ ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’, ‘সেরেস’, ‘সাউথ-সাউথ’ ইত্যাদি পুরস্কারে ভূষিত করেছে। তবে এসবের একটা বিপদও আছে। একদিকে বেগম খালেদা জিয়া ও তার হেজাবি জোটকে অস্থির করে তুলছে এবং তা পেট্রোলবোমা বা আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যা শেখ হাসিনার সাহসী ও দক্ষ ব্যবস্থাপনায় নিরসন হয়। দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনার সাফল্যের সুযোগে দলের অনেক নেতাকর্মী, এমপি, মন্ত্রী তথা জনপ্রতিনিধির মধ্যে একটা ‘ভাব’ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাদের কর্মকান্ডে। অনেক সময় শেখ হাসিনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, যদিও তা শেখ হাসিনা ও একমাত্র ছোট বোন শেখ রেহানার শিক্ষা, সততা, শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং তাঁদের সন্তানদেরও একইভাবে শিক্ষা, সততা ও সংস্কৃতিমনা করে গড়ে তোলা, এই আলোকবর্তিকার আলোর নিচে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। অবশ্য বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া, যার মনোজগত হাওয়া ভবন সংস্কৃতিতে আবর্তিত, তার কাছে শেখ হাসিনার কোন কৃতিত্বই কৃতিত্ব নয়, কোন অর্জনই অর্জন নয়। কয়েকদিন আগে টিভিতে দেখলাম, খালেদা জিয়া লন্ডনে দলীয় এক সমাবেশে বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবার দুর্নীতিতে নিমজ্জিত(!)। দেশের অর্থনীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সরকার বড় বড় প্রকল্প হাতে নিচ্ছে, টাকার অভাবে শুরু করতে পারছে না।’ কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ আনলেও তিনি একটিরও প্রমাণ দেখাতে পারেননি। কারণ যার অস্তিত্ব নেই বা যে কথার ভিত্তি নেই তার প্রমাণ দেয়া যায় না।
স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষিত মানুষের অভাব আজকের বাংলাদেশে নেই। তাছাড়া খালেদা জিয়া যখন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বক্তৃতা করছিলেন তখন তার পাশেই দাঁড়ানো ছিল দুর্নীতির বরপুত্র ফেরারি আসামি পুত্র তারেক রহমান। খালেদা জিয়া যখন বলেন অর্থাভাবে কোন প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারছে না সরকার তখন বলতে হয়, তিনি নিজস্ব অর্থে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ দেখেন না বা চার লেনে উন্নীত কোন মহাসড়কেও ভ্রমণ করেছেন বা সমাপ্তির পথে রাজধানীর ফ্লাইওভারগুলোও তার চোখে পড়েছে বলে মনে হয় না। যার চোখে দৃষ্টি অনুপস্থিত তার সামনে হাতি এনে দাঁড় করালেও তার কাছে মনে হবে অন্য প্রাণী।
সর্বশেষ যে কথা বলে লেখাটি শেষ করতে চাই তা হলো- জাতিসংঘ শেখ হাসিনার ৬৯তম জন্মদিনের একদিন আগে ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’, অর্থাৎ ‘ধরিত্রীর আদরের কন্যা’ এবং ‘টেলিকমিউনিকেশন এ্যাওয়ার্ড’ দুটি তাঁর হাতে তুলে দেয়। এর চেয়ে বড় জন্মদিনের উপহার আর কি হতে পারে? হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ, ধরিত্রীর আদরের কন্যা শেখ হাসিনা।
দেশরত্ম শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে নিরলস ভাবে,একাগ্রচিত্তে কাজ করে যাচ্ছেন।বাংলাদেশকে ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরীত করেছেন,২০৪১সালে উন্নত দেশে রুপান্তর করার জন্য ইতিমধ্যে অনেক গুলী প্রজেক্ট হাতে নিয়ে সাফল্য জনক ভাবে এগিয়ে চলেছেন।কোন ষড়যন্ত্রই তাঁর অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারবেনা।ইতিমধ্যে ধরিত্রীর আদরের কন্যার স্বীকৃতি জাতি সঘই দিয়েছে।আপনি যখন ইউনুসের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তখন দেশরত্ম বাংলাদেশের মানুষের প্রসংশার স্বীকৃতি তাঁর থলে ভরে নিয়ে আসার জন্য উদ্যত।ব্যবধান আপনি নীজেই বিচার করুন
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন