মুক্তি যুদ্ধের অহংকার ও বিপর্যস্ত চেতনা।
'৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙ্গালীর কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্জন।এই যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিল ধর্ম,বর্ন, জাতিসত্বা নির্বিশেষে দেশের সর্বস্তরের মানুষ।'১৯৭১ সালের ১৬ই দিসেম্ভর মুক্তিবাহিনী ভারতীয় যৌথ বাহিনীর নিকট পাকিস্তানি বাহিনীর প্রায় তিরানব্বই হাজার সৈন্য আত্মসমর্থন করে।যারা ইসলামের দোহাই দিয়ে হত্যা করেছে তিরিশ লক্ষ নিরীহ নিরস্ত্র মানুষ,দর্শন করেছে প্রায় সোয়া চার লক্ষ বাঙ্গালী নারী,ধ্বংশ করেছে হাজার হাজার জনপথ।পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর যুদ্ধারাধির প্রধান দোষর ছিল এদেশীয় জামায়াতে ইসলামী,যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় ইয়াহিয়া সামরীক জান্তার যাবতীয় দুষ্কর্মের সহযোগীতারভপাশাপাশি নিজেরাও উদ্যোগি হয়ে রাজাজাকার,আলবদর,আলশামস,প্রভৃতি ঘাতক বাহিনী গঠন করে। আমাদের দুর্ভাগ্য,৭১ এ যে জামায়াতে ইসলামী স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় নস্যাৎ করবার জন্য গনহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের মতো নৃসংসতম অপরাধ করেছিল তারা এখন বি,এন,পির ক্ষমতা লিস্পার সুযোগ নিয়ে জোটের অন্যতম অংশিদার।
'৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ শুধুমাত্র একটি পতাকা কিংবা জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের যুদ্ধ ছিল না বলি যখন মুক্তি যুদ্ধ বলি তখন বুঝতে হবেসর্বস্তরের মানুষ এই যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিল সার্বিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষায়।১৯৪৭ সালে বৃটিশ উপনিবেশিকের অবসান ঘটেছিল ধর্মীয় দ্বিজাতিতত্বের ভিত্তিতে ভারত বর্ষকে দ্বিখন্ডিত করে ইসলামিক রাষ্ট্র পাকিস্তানের মাধ্যমে।পাকিস্তানের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেছিলেন ভারত বর্ষে হিন্দু ও মসুল্মান দুটি আলাদাজাতি,তারা একদেশে তাঁরা একদেশে থাকতে পারেনা।তাঁর এ দাবী বৃটিশ শাসকেরা লুফে নিয়েছিল,কারনবৃটিশদের ঔপ্নিবেশের মুল নীতি ছিল--শাসনের জন্য বিভাজন।ভারত বর্ষে মসুল্মান্দের জন্য আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মুল্য দিতে গিয়ে শত সহস্র মানুষ জীবন দিয়েছে,লক্ষ লক্ষ সম্পন্ন মানুষ ভিটেছাড়া হয়েছে,কত পরিবার দেশ ছাড়া হয়েছে, কোটি কোটি মানুষের জিবনে নেমে এসেছে সীমাহীন দুর্যোগ।
জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্বের ধারনা কতযে ভ্রান্ত অর্থহীন,রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত ছিল তার পরিচয় পাওয়া যাবে পাকিস্তানের আইন সভার প্রথম সভাপতি হিসেবে প্রদত্ত তাঁর ১১ই আগষ্ট ১৯৪৭ ইং তারিখের ভাষনে।এই ভাষনে তিনি বলেছিলেন,'আপনারা যে কোন ধর্ম,বর্ন ও বিশ্বাসের অনুসারী হতে পারেন,এর সঙ্গে রাষ্ট্রের কোন সম্পর্ক নেই।আপনারা দেখবেন,সময়ের ব্যবধানে হিন্দু আর হিন্দু থাকবেনা,মসুল মান আর মসুলমান থাকবেনা--- ধর্মীয় অর্থে নয়,কারন এটা ব্যাক্তিগত বিশ্বাসের অন্তগত,এটা হবে রাজনৈতিক অর্থে,রাষ্ট্রের নাগরীক হিসেবে।
জিন্নাহর এই বক্তব্য নি:সন্দেহে স্যেকুলার গনতান্ত্রিক হয় তাহলে সেখানে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ ও হানাহানি থাকেনা।জিন্নাহর এই বক্তব্যই নাকচ করে দেয়,ভারত বর্ষের সংখ্যালঘু মসুলমানদের জন্য স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের তত্ব। খন্ডিত পাকিস্তানে যদি ধর্ম বর্ন বিশ্বাস নির্বিশেষ সব মানুষ সমান অধিকার ও মার্যদা নিয়ে বাস করতে পারে অখন্ড ভারতবর্ষেও তা সম্ভব ছিল,নেতারা যদি সাম্প্রদায়িক বিরোধের সমাধান সাম্প্রদায়িক হানাহানির মধ্যে না খুঁজে সেক্যুলার মানবিকতা ও গনতন্ত্রের ভেতর অনুস্নধান করতেন।
সাম্প্রদায়িক স্বার্থের কথা বিবেচনা করলেও ধর্মিয় দ্বিজাতিতত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান সৃষ্টি ভারত বর্ষের মসুলমানদের অবস্থান সামগ্রিক ভাবে বিপন্ন করেছে। পাকিস্তান নামের সময় ভারত বর্ষের মসুলমানদের ভেতর এমন এক উম্মাদনা সৃষষ্টি করা হয়েছিল যে,তাঁরা মনে করেছিল পাকিস্তান শুধু তাঁদেরই জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে,পাকিস্তানে গেলে তাঁদের রাতারাতি ভাগ্যের পরিবর্তন হয়ে যাবে।যার ফলে তাঁদের অনেকে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাকিস্তানে এসে প্রথমেই অমসুলমান বিতাড়নের জেহাদে নিয়োজিত হয়েছে।এর পাশাপাশি ভারতের বহু জায়গায় সাম্প্রদায়িক মনোভাপান্ন হিন্দুরা দেশত্যাগে অনিশ্চুক বহু নিরীহ মসুলমানকে পাকিস্তানে চলে যেতে বাধ্য করেছে,ভেবেছে ভারতে মসুলমানরেরা না থাকলে তাঁদের অবস্থা ভাল হবে।
জিন্নাহর পাকিস্তান কিছু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটালেও এতেব্বিপুল সংখ্যাগরিষ্টের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি,হিন্দু--মসুলমান নির্বিশেষে বহু মানুষের জীবন জীবিকা ধ্বংশ করেছে।মসুলমানদের জন্য স্বতন্ত্র পাকিস্তান ভারতের সংখ্যালুঘু মসুলমানদের আরও সংখ্যা লঘু ও প্রান্তিকিকরন করেছে।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পুর্ব বাংলার যেসব বাঙ্গালী মসুলমানের আবেগ উচ্ছাস ও স্বপ্ন কম ছিল না তাঁদের ও মোহ ভঙ্গ হয়েছে নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ছয় মাসের মধ্যেই।পাকিস্তানের আইন সভায় ৪৮ ইং সালের ফেব্রুয়ারীতে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত দাবী করেছিলেন উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্র ভাষার স্বীকৃৃতি প্রদানের জন্য।প্রধান মন্ত্রী লিয়াকত আলী খাঁন থেকে আরাম্ভ করে সরকারী দলের বাঙালী সদস্যরা পয্যন্ত তাঁর এই দাবী নাকচ করে দেন।পাকিস্তানের নেতারা এতে দেশকে বিচ্ছিন্ন করার ভারতীয় ষড়্যন্ত্রের গন্ধ আবিষ্কার করেছিলেন।২১শে মার্চ '৪৮ ইং তারিখে ঢাকায় এক জনসভায় জিন্নাহ স্পষ্ট করে বললেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা শুধু উর্দুই হবে। যারা এর বিরোধিতা করবে তাঁদের পাকিস্তানের শত্রু হিসেবে গন্য করা হবে।।পাকিস্তানের প্রতিয়াশঠাতার বাংলা ও বাঙালী বিদ্বেসি এই মনোভাবের ভেতর নিহিত ছিল পাকিস্তানের ভাঙ্গন ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সংকেত।
বাংলাদেশের ছাত্র ওযুব সমাজ ৪৮ এর জনসভাতেই জিন্নাহর স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রতিবাদ করেছিল।এই প্রতিবাদের মাধ্যমেই সুচিত হয় রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন।মাতৃভাষার মার্যদা প্রতিষ্ঠার জন্য বাঙালী অকাতরে বুকের রক্ত ঢেলে ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার দাবী শুধু ভাষার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না।এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাঙালির আত্মপরিচয়ের চেতনা বিকশিত হয়,যার যৌক্তিক পরিনতি হচ্ছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ।বিশ্বের মাঞ্চিত্রে বাঙালীর প্রথম স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্র,বাঙালীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অহংকার।
(চলবে)
শাহরিয়ার কবির,মুক্তিযুদ্ধ আর্কাইবস থেকে সংগ্রহ। ধারাবাহিক ভাবে দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
'৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ শুধুমাত্র একটি পতাকা কিংবা জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের যুদ্ধ ছিল না বলি যখন মুক্তি যুদ্ধ বলি তখন বুঝতে হবেসর্বস্তরের মানুষ এই যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিল সার্বিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষায়।১৯৪৭ সালে বৃটিশ উপনিবেশিকের অবসান ঘটেছিল ধর্মীয় দ্বিজাতিতত্বের ভিত্তিতে ভারত বর্ষকে দ্বিখন্ডিত করে ইসলামিক রাষ্ট্র পাকিস্তানের মাধ্যমে।পাকিস্তানের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেছিলেন ভারত বর্ষে হিন্দু ও মসুল্মান দুটি আলাদাজাতি,তারা একদেশে তাঁরা একদেশে থাকতে পারেনা।তাঁর এ দাবী বৃটিশ শাসকেরা লুফে নিয়েছিল,কারনবৃটিশদের ঔপ্নিবেশের মুল নীতি ছিল--শাসনের জন্য বিভাজন।ভারত বর্ষে মসুল্মান্দের জন্য আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মুল্য দিতে গিয়ে শত সহস্র মানুষ জীবন দিয়েছে,লক্ষ লক্ষ সম্পন্ন মানুষ ভিটেছাড়া হয়েছে,কত পরিবার দেশ ছাড়া হয়েছে, কোটি কোটি মানুষের জিবনে নেমে এসেছে সীমাহীন দুর্যোগ।
জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্বের ধারনা কতযে ভ্রান্ত অর্থহীন,রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত ছিল তার পরিচয় পাওয়া যাবে পাকিস্তানের আইন সভার প্রথম সভাপতি হিসেবে প্রদত্ত তাঁর ১১ই আগষ্ট ১৯৪৭ ইং তারিখের ভাষনে।এই ভাষনে তিনি বলেছিলেন,'আপনারা যে কোন ধর্ম,বর্ন ও বিশ্বাসের অনুসারী হতে পারেন,এর সঙ্গে রাষ্ট্রের কোন সম্পর্ক নেই।আপনারা দেখবেন,সময়ের ব্যবধানে হিন্দু আর হিন্দু থাকবেনা,মসুল মান আর মসুলমান থাকবেনা--- ধর্মীয় অর্থে নয়,কারন এটা ব্যাক্তিগত বিশ্বাসের অন্তগত,এটা হবে রাজনৈতিক অর্থে,রাষ্ট্রের নাগরীক হিসেবে।
জিন্নাহর এই বক্তব্য নি:সন্দেহে স্যেকুলার গনতান্ত্রিক হয় তাহলে সেখানে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ ও হানাহানি থাকেনা।জিন্নাহর এই বক্তব্যই নাকচ করে দেয়,ভারত বর্ষের সংখ্যালঘু মসুলমানদের জন্য স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের তত্ব। খন্ডিত পাকিস্তানে যদি ধর্ম বর্ন বিশ্বাস নির্বিশেষ সব মানুষ সমান অধিকার ও মার্যদা নিয়ে বাস করতে পারে অখন্ড ভারতবর্ষেও তা সম্ভব ছিল,নেতারা যদি সাম্প্রদায়িক বিরোধের সমাধান সাম্প্রদায়িক হানাহানির মধ্যে না খুঁজে সেক্যুলার মানবিকতা ও গনতন্ত্রের ভেতর অনুস্নধান করতেন।
সাম্প্রদায়িক স্বার্থের কথা বিবেচনা করলেও ধর্মিয় দ্বিজাতিতত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান সৃষ্টি ভারত বর্ষের মসুলমানদের অবস্থান সামগ্রিক ভাবে বিপন্ন করেছে। পাকিস্তান নামের সময় ভারত বর্ষের মসুলমানদের ভেতর এমন এক উম্মাদনা সৃষষ্টি করা হয়েছিল যে,তাঁরা মনে করেছিল পাকিস্তান শুধু তাঁদেরই জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে,পাকিস্তানে গেলে তাঁদের রাতারাতি ভাগ্যের পরিবর্তন হয়ে যাবে।যার ফলে তাঁদের অনেকে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাকিস্তানে এসে প্রথমেই অমসুলমান বিতাড়নের জেহাদে নিয়োজিত হয়েছে।এর পাশাপাশি ভারতের বহু জায়গায় সাম্প্রদায়িক মনোভাপান্ন হিন্দুরা দেশত্যাগে অনিশ্চুক বহু নিরীহ মসুলমানকে পাকিস্তানে চলে যেতে বাধ্য করেছে,ভেবেছে ভারতে মসুলমানরেরা না থাকলে তাঁদের অবস্থা ভাল হবে।
জিন্নাহর পাকিস্তান কিছু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটালেও এতেব্বিপুল সংখ্যাগরিষ্টের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি,হিন্দু--মসুলমান নির্বিশেষে বহু মানুষের জীবন জীবিকা ধ্বংশ করেছে।মসুলমানদের জন্য স্বতন্ত্র পাকিস্তান ভারতের সংখ্যালুঘু মসুলমানদের আরও সংখ্যা লঘু ও প্রান্তিকিকরন করেছে।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পুর্ব বাংলার যেসব বাঙ্গালী মসুলমানের আবেগ উচ্ছাস ও স্বপ্ন কম ছিল না তাঁদের ও মোহ ভঙ্গ হয়েছে নতুন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ছয় মাসের মধ্যেই।পাকিস্তানের আইন সভায় ৪৮ ইং সালের ফেব্রুয়ারীতে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত দাবী করেছিলেন উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্র ভাষার স্বীকৃৃতি প্রদানের জন্য।প্রধান মন্ত্রী লিয়াকত আলী খাঁন থেকে আরাম্ভ করে সরকারী দলের বাঙালী সদস্যরা পয্যন্ত তাঁর এই দাবী নাকচ করে দেন।পাকিস্তানের নেতারা এতে দেশকে বিচ্ছিন্ন করার ভারতীয় ষড়্যন্ত্রের গন্ধ আবিষ্কার করেছিলেন।২১শে মার্চ '৪৮ ইং তারিখে ঢাকায় এক জনসভায় জিন্নাহ স্পষ্ট করে বললেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা শুধু উর্দুই হবে। যারা এর বিরোধিতা করবে তাঁদের পাকিস্তানের শত্রু হিসেবে গন্য করা হবে।।পাকিস্তানের প্রতিয়াশঠাতার বাংলা ও বাঙালী বিদ্বেসি এই মনোভাবের ভেতর নিহিত ছিল পাকিস্তানের ভাঙ্গন ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সংকেত।
বাংলাদেশের ছাত্র ওযুব সমাজ ৪৮ এর জনসভাতেই জিন্নাহর স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রতিবাদ করেছিল।এই প্রতিবাদের মাধ্যমেই সুচিত হয় রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন।মাতৃভাষার মার্যদা প্রতিষ্ঠার জন্য বাঙালী অকাতরে বুকের রক্ত ঢেলে ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার দাবী শুধু ভাষার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না।এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাঙালির আত্মপরিচয়ের চেতনা বিকশিত হয়,যার যৌক্তিক পরিনতি হচ্ছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ।বিশ্বের মাঞ্চিত্রে বাঙালীর প্রথম স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্র,বাঙালীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অহংকার।
(চলবে)
শাহরিয়ার কবির,মুক্তিযুদ্ধ আর্কাইবস থেকে সংগ্রহ। ধারাবাহিক ভাবে দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন