পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
ছবি

সরকারের জনপ্রশাসন, জাতির পিতার নির্দেশনা--বর্তমান সরকারের অবস্থান ও করনীয়------ ===============================        গত ২৬ জানুয়ারি থেকে ২৯ জানুয়ারি নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে পুলিশ সপ্তাহ। এ উপলক্ষে পুলিশের সেবা, পুলিশের কাংখীত ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।    পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশকে বিশ্বস্ত  বন্ধুর মতো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোনো নাগরিক যাতে ‘অহেতুক’ হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল  হামিদ। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের দরবার হলে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশে বলেছেন, জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব। পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হবে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে জনগণের বন্ধু হয়ে উঠতে হবে। আবহমানকাল থেকেই রাষ্ট্রের উচ্চতম পয্যায় থেকে এইসমস্ত হীতপোদেশ দিয়ে যাচ্ছেন এই বাহিনীকে,কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে বলে মনে হয়না।পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে স্পষ্ট বুঝা যায়,পুলিশের অপরাধ প্রবনতার পারদ ফি বছর উধ্বমূখি ছাড়া একবারের জন্যেও নিম্নমুখি হয়নি। উল্লেখ্য, পুলিশ সপ্তাহ শুরুর কয়েকদিন আগে থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে পুলিশ। পুলিশ সদস্যদের হাতে দুই সরকারি কর্মকর্তা নির্যাতিত হওয়ার ঘটনায় সংবাদের শিরোনামে আসে পুলিশ। জনহয়রানি, নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশের অভিযুক্ত ও সমালোচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপ্রধান এবং  সরকার প্রধানের আহ্বান বিশেষভাবে তাৎপর্যপুর্ন। লক্ষনীয় বিষয় হলো,"এইসমস্ত নেতিবাচক খবর সারা বছরই পত্রিকার পাতায় দেখা যায়। সরকারের উচ্চমহলের উপদেশও নিয়মিত বর্ষিত হতে থাকে।" সরকার দায়ী পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে অলসতার পরিচয় দিচ্ছেনা। সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নেয়া কঠোর পদক্ষেপের বিবরন মিডিয়ায় তেমন আসেনা।ঘটিত ঘটনার বিবরন চোখে দেখা যায়,মিডিয়ায় প্রকাশ পায়।কিন্তু বিপরীতে সরকারের নেয়া ব্যবস্থা চোখেও দেখা যায়না,মিডিয়াও প্রকাশ করেনা। ঘটিত ঘটনা যেমন বিভৎস,ন্যক্কারজনক,তাঁর জন্য নেয়া সরকারের ব্যবস্থাও অমানবিক,কল্যান রাষ্ট্রের ধারনার বিপরীত। দুর্নীতির পথ প্রসস্ত রেখে দুর্নীতি দমন করা যায়না। ভাল কাজের পুরষ্কারের ব্যবস্থা যেমন আছে,খারাপ কাজের তিরষ্কারও করে যাচ্ছে নিয়মিত। বছর শেষান্তে দেখা যায় অনেক পুলিশের চাকুরী নেই, অনেকেই জেলে,অথবা কোর্ট কাছারীতে দন্ডায়মান। অন্ধ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মানষে দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ শেষাবদি দেশ,জাতি ও নীজ পরিবারের বোঝা হয়ে অসহনীয় জীবন যাপনে বাধ্য হয়ে পড়েন। কোন কল্যানমূলক রাষ্ট্রের ইহা কাম্য হতে পারেনা।অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ করার প্রচেষ্টা গ্রহন অবশ্যই জরুরী।প্রতিযোগীতার সমাজে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবেনা, তবে কায্যকর প্রসাশনিক সংষ্কারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হবে। দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা দুর্নীতির জন্য একক দায়ী নয়, আমাদের প্রচলিত সমাজ এবং বৃটিশের রেখে যাওয়া রাষ্ট্র ব্যাবস্থাপনা বহুলাংশে দায়ী। পুলিশ সাপ্তাহ পালনের ঢামাডোলের মধ্যেই পত্র পত্রিকায় কয়টি খবর প্রকাশিত হয়।পুলিশ চেকপোস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী ও সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দাস নির্যাতিত হওয়ার পর  রাজধানীর উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরে এক ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ৩ পুলিশের বিরুদ্ধে। গত ২৭  জানুয়ারি প্রকাশিত এ সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রাজধানীর উত্তরায় এক তরুণ ব্যবসায়ীকে তার বান্ধবীসহ রাতভর আটক করে রেখে আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।  এসব ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের পেশাদারিত্ব নিয়ে। পুলিশের ওপর আস্থা হারাচ্ছে মানুষ। খুন, চাঁদাবাজি, অপহরণ আর ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর সব অপরাধের অভিযোগ পুলিশকে ঘিরে। এটি শুধু উদ্বেগজনক নয়, অত্যন্ত বিপজ্জনকও। পুলিশ নিজেই অপরাধী হলে দুর্বৃত্তরা অপরাধ সংঘটনে উৎসাহিত হবে, এটাই স্বাভাবিক। পুলিশ অপরাধ সংগঠন করবে,চাঞ্চল্যকর অপরাধে চাকুরী হারাবে,পরিবার নিয়ে অমানবিক জীবন যাপন করতে বাধ্য হবে।ইহাও রাষ্ট্রের কাম্য হতে পারেনা। সমাজ ব্যবস্থায় লক্ষনীয়ভাবে ফুটে উঠেছে প্রতিযোগীতা।প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার অদম্য অকাংখা জম্ম দিচ্ছে প্রতিটি সেক্টরে অবৈধ আয়ের আকাংখ্যা।এই থেকে পুঁজিবাদি সমাজে পরিত্রানের কোন উপায় নেই। বৃটিশ আমলের প্রতিষ্ঠিত আমলা তান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্র পরিচালনায় সুফল তড়িৎ আশা করাও বোকামী।স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রকাঠামো বিনির্মানে সংষ্কার কায্যক্রম নিয়মিতই চলমান রয়েছ।সংষ্কার একেবারেই হয়নি তাও নয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তাঁর দ্বিতীয় বিপ্লবের মাধ্যমে চেষ্টা করেছিলেন উপনিবেশিক আমলাতন্ত্রকে ভেঙ্গে স্বাধীন দেশের উপযোগী রাষ্ট্রীয় কাঠামো সৃষ্টির।কিন্তু সেই চেষ্টা প্রসববেদনার আগেই হত্যা করে উপনি-বেশিকদের দোষর, স্বাধীনতার শত্রু,ধর্মাগ্ধরা একতরফা অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে মহতি উদ্যোগের ভবিষ্যত ফলাফল সম্পর্কে জনগনকে ভীতসম্ভ্রন্ত করে তোলে। গত কয়দিন আগে পুলিশ সাপ্তাহ উপলক্ষে সম্মেলনে জন আখাংকার সম্পুর্ন বিপরীতে তদীয় কতিপয় পুলিশের পক্ষ হতে বেশ কিছু দাবি উত্থাপিত করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম দুটি দাবি হচ্ছে,"পৃথক পুলিশ বিভাগ গঠন ও বিভাগীয় তদন্তের বাইরে পুলিশের অপরাধ তদন্তে অন্য কোন কমিটি গঠন না করা।" পৃথক পুলিশ বিভাগ গঠনের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে কোন কোন পুলিশ কর্মকর্তা "সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের" উদাহরণ টেনে এনেছেন। তারা বলছেন, পৃথক পুলিশ  বিভাগ হলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়িয়ে পুলিশ নিজেই অনেক কাজ দ্রুত করতে পারবে। পুলিশ প্রধান সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবেন। পুলিশের অপরাধ তদন্তে ""বাইরের তদন্ত কমিটি গঠন" করার বিরোধিতা করেছেন কোন কোন পুলিশ কর্মকর্তা।  তাদের যুক্তি হচ্ছে, পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে বিভাগীয় কমিটিই যথেষ্ট!!!  তারা বলছেন, সরকারের অন্য কোন ক্যাডারের অপরাধ তদন্তে বাইরের কোন কমিটি গঠন করা হয় না। যতবারই তারা পৃথক বিভাগ গঠনের দাবি তোলে তত বারই তারা "সশস্ত্র বাহিনীর" উদাহরণ দেয়। তারা মনে করে, যেহেতু "সশস্ত্র বাহিনীর" পৃথক বিভাগ রয়েছে, সেহেতু পুলিশ বাহিনীরও "পৃথক বিভাগ "থাকা দরকার। যুক্তিটা অকাট্য কিন্তু ভীতরে রয়েছে প্রজান্ত্রের প্রতি" চরম দৃষ্টতা।" সশস্ত্র বাহিনীর পৃথক বিভাগ থাকা একটি গণতান্ত্রিক দেশের পক্ষে সঙ্গত নয়। স্বাধীন বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনীর পৃথক বিভাগ ছিল না। পঁচাত্তর পরবর্তীতে মেজর জিয়া  স্বীয়স্বার্থে পৃথক বিভাগ গঠন করে। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এর পরবর্তী সরকারগুলো এই ত্রুটি সংশোধন করেনি। এ ত্রুটি যত দ্রুত সংশোধন করা হবে ততই গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গল। এই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের পৃথক বাহিনী গঠনের প্রশ্নই অবান্তর।বরঞ্চ জেলা পরিষদের নির্বাচনের পর, জেলা পরিষদের হাতে পুলিশকে নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা দিলেই জন আখাংকা পুরন হতে পারে। "  আমলাতান্ত্রীক "জটিলতা শুধুমাত্র পুলিশের মধ্যে তা     নয়। সরকারের সব বিভাগেই এর কু-প্রভাব রয়েছে।   সরকারের বহু উন্নয়ন কর্মকান্ড শেষ করা যায়না আমলাতন্ত্রের জটিলতার কারনে। ফলত:দেখা যায়, বছরান্তে উন্নয়ন কাজের সিংহভাগ টাকা ফেরৎ নিচ্ছে উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা বা বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃপক্ষ। আমলাতন্ত্রের জটিলতা যতদ্রুত নিবারন করা সম্ভব হবে, তত দ্রুত বিভিন্ন বিভাগের অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘোষ, দুর্নীতি বিতাড়ন করা সম্ভব হবে। এই জন্য প্রয়োজন স্থানীয় সরকারের সর্বস্তরে "নির্বাচিত প্রতিনীধি",তাঁদের হাতে যথাযথ ক্ষমতা প্রদান। প্রয়োজনে আরও যুৎসই স্থানে কয়টি নতুন বিভাগ সৃষ্টি করে তথায় মন্ত্রী পদমায্যদায় জনপ্রতিনীধি কতৃক তদারকি,উন্নয়ন কর্মকান্ডের ব্যবস্থাপনা সহ প্রয়োজনীয় দায়িত্ব ও ক্ষমতা দেয়া যেতে পারে।জেলা পয্যায় "জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান" নির্বাচিত হওয়া বাঞ্চনীয়।তাঁদের ক্ষমতার আওতা নির্দিষ্টকরন পুর্বক জেলার সার্বিক উন্নয়নের বাজেট প্রনয়ন ,স্থানীয় উন্নয়নের সমুদয় বরাদ্ধ জেলার দায়ীত্বে দেয়া যেতে পারে। জেলার প্রশাসনের সর্বস্তরের দায়িত্ব, জেলার কর্মকর্তাদের বার্ষিক কাজের প্রতিবেদন তৈরী সহ প্রয়োজনীয় অন্যান্ন ক্ষমতা দিয়ে আইন পাশ করা যেতে পারে। এতে করে সরকারের মন্ত্রীদের অঞ্চল্প্রীতি অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করি।জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অবশ্যই প্রতিমন্ত্রীর মায্যদা দিতে হবে,কথায় নয় কাজে তাঁর প্রতিফলন থাকা বাঞ্চনীয়। তদ্রুপ ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানকে উপমন্ত্রীর মায্যদা দিয়ে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রিকরনের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকে সরকারের তৃনমুল ধরে আরো ক্ষমতায়ন করা প্রয়োজন। সংবিধানের শীর্ষে" গনপ্রজাতন্ত্র "উল্লেখ থাকা সত্বেও আমলারা রাষ্ট্র পরিচালকের মুর্খ্য ভুমিকায় থাকা অনভিপ্রেত।আমলারা জনগনের সেবক,জনগনের পক্ষে তাঁদের কর্মকান্ড হওয়ার কথা।তা না হয়ে জনগনকে হয়রানী,ঘোষ,দুর্নীতির মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের সর্বস্তরে জনপ্রতিনীধি কতৃক পরিচালনা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একটা অঙ্গিকার ছিল। দু:খ্যজনক হলেও সত্য স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও ইউনিয়ন পরিষদের প্রাপ্য ক্ষমতাও এখন পয্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি।উপজেলা অনিয়মিত,জেলায় সবেমাত্র নির্বাচনের উদ্দেশ্যে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার সমুহ যত দিন জনগনের দ্বারা পরিচালিত হবেনা,সরকারের কর্মকর্তাদের কাজের জবাবদিহীতার নিশ্চয়তার বিধান করা যাবেনা ততদিন পুলিশ নয় শুধু, কোন বিভাগেই স্বচ্ছতা আনায়ন করা যাবেনা।জনগনের রাষ্ট্র জনগন পরিচালনা করবে, রাষ্ট্রের কর্মচারি জনগনের নিকট জবাবদিহী করবে ইহাই স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিল। যেহেতু আমাদের রাষ্ট্র কাঠামো "প্রজাতান্ত্রীক", প্রজার নিয়ন্ত্রনে বা প্রজা কতৃক নির্বাচিত প্রতিনীধি দ্বারা পরিচালনার কথাই সংবিধানে স্বীকৃত রয়েছে, সেখানে "আমলাতন্ত্র  "কতৃক দেশ শাষন সংবিধান বর্হিভুত শাষন নহে কি? জনগনের নির্বাচিত প্রতিনীধি যদি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়,জনগন নির্দিষ্ট সময়ে ঐ প্রতিনীধিকে পরিবর্তন করার অধিকার রাখে। আমলার দুর্নীতির কারনে আমলা পরিবর্তনের অধিকার কি জনগন রাখে? জেলার সকল সরকারী সংস্থা যদি জেলা পরিষদের নিকট জবাবদিহী করার ব্যবস্থা থাকে, স্বয়ংক্রিয় ভাবেই দুর্নীতি কমে আসবে। এইরুপ স্থানীয় সরকারের নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ হওয়া বাঞ্চনীয়। যাতে জনগন তাঁদের পছন্দমত প্রতিনীধি নির্বাচন করতে পারে। সে যে দলেরই হোক অবশ্যই সে বাংলাদেশের নাগরীক।জনগনের সেবা করার অধিকার তাঁর রয়েছে। স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব শুধুমাত্র সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা, এতে সরকারের জনপ্রীয়তার তুলনা করা অবাঞ্চনীয়।ভাল মানুষ নির্বাচিত হওয়াই প্রধান বিবেচ্য হওয়া উচিৎ। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সমাপনান্তে আশা করি সরকার জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোযোগ দিবেন। জেলা পরিষদ নির্বাচন কোন আঙ্গিকে হবে, নির্ধারনের জন্য জনমত নেয়া জরুরী।এখনি উচ্চ পয্যায়ের স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে শক্তিশালী কমিটি করে সুপারীশ সংগ্রহ করা যেতে পারে। প্রয়োজনে অন্যান্ন দেশের স্থানীয় সরকারের নির্বাচন ও কর্মপরিধির অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেতে পারে। সর্বশেষ কথা হল "সকল স্তরে নির্বাচিত প্রতিনীধি",সকল স্তরে "জনগনের মতামতের প্রাধান্য "থাকা বাঞ্চনীয়। দীর্ঘ ২১ বছর প্রশাসনিক সংষ্কার হয়নি বলে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের সরকারও সংষ্কারে গাফেলতি করবে তা যুক্তিসংগত হতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি চাইবে উপনিবেশিক শাষনের আদলে শাষন ব্যবস্থা বলবৎ রেখে তাঁদের শোষন অব্যাহত রাখতে। তাই বলে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের রুপকার জাতির জনকের" দর্শন"" সত্যিকারের "শোষনহীন,দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ""প্রতিষ্ঠায় প্রসাশনিক সংষ্কার বিলম্বীত করার, তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল ক্ষমতায় থেকে কাম্য হতে পারেনা। জাতির জনকের আজীবনের স্বপ্ন, স্বাধীন দেশের জনগন তাঁদের নীজেদের নীজেরাই শাষন করবে। সর্বস্তরে জনগনের নির্বাচিত প্রতিনীধি প্রশাসন নিয়ন্ত্রন করার লক্ষে জেলা গভর্নর চালু করা হয়েছিল।অঙ্গিকার ছিল গভর্নর সরাসরি জনগনের নির্বাচিত প্রতিনীধি হবে। গভর্নরের হাতেই থাকবে ঐ জেলার সরকারি কর্মচারি নিয়ন্ত্রন,উন্নয়ন,বাজেট বরাদ্ধ, তদারকি সহ অন্যান্ন ক্ষমতা। এই মর্মে  প্রতিজেলায় পরিক্ষীত, ত্যাগী, জনসম্পৃত্ত সম্পন্ন ব্যাক্তিদের "নির্বাচনোত্তর দায়িত্ব " দিয়ে প্রশাসনিক সংষ্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপও নিয়েছিলেন। "স্বাধীনতা বিরুধী, রাজাকার, পাকিস্তানের  এজেন্ট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যোগসাজসে" ১৫ই আগষ্ট রাতের অন্ধকারে জাতির জনককে  স্ব-পরিবারে হত্যা করে বাঙ্গালী জাতির আশা আখাংকার বিপরীতে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে পিরিয়ে নেয়। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের বিপরীতে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে নিয়ে যেতে নকল মুক্তিযুদ্ধার অভিনয়ে পারদর্শী মেজর জিয়াকেই তাঁরা বেছে নেয়। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বদপুলিশ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করবেন।ইহা অত্যান্ত সাময়িক পদক্ষেপ।পরবর্তি যারা স্থলাবিষিক্ত হবেন তাঁরা আরো খারাপ হবেনা তাঁর গ্যারান্টি কি? "এই যেন মাথা ব্যথায় মাথাই কেটে পেলার সিদ্ধান্ত। " প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না দিয়ে কেটে ফেলা গ্রহন যোগ্য হতে পারেনা।পুলিশের কাজ রাস্তা ঘাটে বলে দেখা যায়,হৈচৈ তাই হয়তো বেশী। চারদেয়ালের অভ্যন্তরে কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন কি দেখা যায়? পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে? দুর্নীতি তদারকির দায়িত্ব প্রাপ্ত, "দুর্নীতি দমন কমিশন" এর কয়েক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে "দুর্নীতির" অভিযোগের খবর কিছুদিন আগে পত্রিকায় পড়েছিলাম। "ছাগলের উপদ্রবে ভেড়া দেয়া,ভেড়ায় যদি ছাগল খেয়ে পেলে তবে কি কিছু করার থাকে?" এই কারনেই বলছিলাম,যতদিন পয্যন্ত প্রশাসনের সর্বস্তরে জবাব দিহীতার আওতায় আনায়ন করা যাবেনা--ততদিন পয্যন্ত সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করা যাবেনা। প্রশাসনিক আমুল সংষ্কারেই পারে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি,কালটাকা আহরনের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে সমস্ত অপকর্ম নিয়ন্ত্রন করতে।     জয় বাংলা     জয় বঙ্গবন্ধ   জয়তু দেশরত্ম  শেখ হাসিনা      

ছবি

    জাতির জনকের লক্ষে-বিভ্রান্ত ছিল বিরুদীরা, মুজিব কন্যার দুরদর্শিতায়-দিশাহীন বর্তমান স্বাধীনতা বিরুদীরা----!!! ===========================     জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের রাজনৈতিক রাজনৈতীক জীবনের উত্থানের প্রারম্বিকতা আমরা যদি লক্ষ করি তবে স্পষ্ট কারোই বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয় তিনি বাঙ্গালীর স্বাধীকারের স্বপ্ন নিয়েই  তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন। অখন্ড পাকিস্তানের প্রভাব শালী রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ,পাকিস্তানের স্বাধীনতার রুপকারের রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ। দলটির সার্বিক রাজনৈতিক ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দ। সুতারাং বুঝতে বাকি নেই মুসলিম লীগ তৃনমুল থেকে সংগঠিত পাকিস্তানের একমাত্র জননন্দিত, প্রভাবশালী দল হিসেবে অবস্থান পাকাপোক্তই ছিল।     যেহেতু দলটির শীর্ষ নেতাদের বেশীর ভাগ পশ্চিম পাকিস্তানের অধিবাসি ছিলেন, সংগত কারনে এই দলের মধ্যে বিচরন করে পুর্বাংশের(বর্তমান বাংলাদেশ) যথাযথ স্বার্থরক্ষা করা যাবেনা।পুর্ব পাকিস্তানের আয়তন, জনসংখ্যা, সম্পদ ইত্যাদি বিবেচনায় কেন্দ্রীয় সরকারের একাদিক প্রভাবশালী মন্ত্রীত্ব হয়তো সব সময় পাওয়া যাবে।পুর্বপাকিস্তানের বহু রাজনীতিবীদ সেই পথে হাটলেও তরুন নেতা শেখ মজিবুর রহমানের অন্তরের বাসনায় ভীন্নতা থাকার কারনে মুসলিম লীগ থেকে বেরিয়ে তাঁর রাজনৈতিক গুরু সরোওয়ার্দী,  মাওলানা ভাসানী সহ আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে নতুন দলের ভিত্তি স্থাপন করেন। নতুন রাজনৈতিক দলের তরুন নেতা শেখ মজিবুর রহমান এই দলের তিন নম্বর নেতা হয়ে রাজনীতি শুরু করলেও অচিরেই প্রধান ব্যাক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সময় নেননি।আওয়ামী মুসলিম থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দল গঠন করার চেষ্টায় দলে ভাঙ্গন দেখা দিলে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।পাকিস্তান সৃষ্টির "দ্বিজাতি তত্বের  ভুল দর্শন "থেকে শিক্ষা নিয়ে মুলত: অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দল গঠন করার উদ্যোগি হতে তাঁকে সাহায্য করে।তিনি সম্যক বুঝতে পেরেছিলেন বাঙ্গালীরা ইসলাম ধর্মের প্রতি অনুরাগী হলেও ধর্মাগ্ধ নন। মাওলানা তর্কবাগীশ, মাওলানা ভাসানীর মত দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়ুয়া ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বদের মাঝে যেহেতু ধর্মাগ্ধতা কাজ করেনা সেহেতু সাধারন বাঙালী মুসলমানদের মধ্যে উগ্রতা বা ধর্মাগ্ধতা থাকবে কেন। তাঁর পরের ইতিহাস নিয়ে বিস্তর আলোচনা আছে আমি সে দিকে না গিয়ে শুধুমাত্র উত্থানপর্ব এবং পরিনতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই।     ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলনের পরই মুজিব তাঁর বাসনা পুরনে পদক্ষেপ গ্রহন শুরু করেন।এতদিনে বাঙ্গালীদের আলাদা রাষ্ট্র বা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রয়োজনীতা যার সৃষ্টি ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে প্রোথিত হয়েছিল তাঁর অংকুর উৎগম শুরু হয়ে গেছে।ভাষার লড়াই যদিও সাংস্কৃতির লড়াই ছিল, রাজনৈতিক শুভচেতনার উম্মেষ ঘটাতে ভাষার লড়ায়ের ভুমিকা অনবদ্য স্বাধীকারের দিকে নিয়ে যেতে প্রভুত সাহায্য করে। বাঙ্গালী চেতনার এই মোক্ষম সুযোগকে তরুন সুদুরপ্রসারী রাজনীতিক শেখ মুজিব কাজে লাগাতে বিলম্ব করেননি। পাকিস্তানের শাষনতন্ত্র প্রনয়নের উদ্দেশ্যে লাহোরে সর্বদলীয় কনভেনশন(গোল টেবিল বৈঠক) আহব্বান করে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ ১৯৬৬ ইং সালে। শেখ মজিবুর রহমান ততদিনে জনগনের মনের আঙ্গিনায় '৬৫ইং সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পুর্ব পাকিস্তানকে অরক্ষিত রেখে পশ্চিমে সৈন্য সমাবেশ ঘটানোকে ইস্যু হিসেবে দাঁড় করিয়ে জনমত প্রভাবিত করতে শতভাগ  সক্ষম হয়েছেন। বাস্তবতার নীরিখে পুর্বপাকিস্তানীরা ইস্যুটিকে তাঁদের স্বার্থের নিরিখে চিন্তা করে।ইস্যুটি ব্যাপক জনপ্রীয়তা পেতে থাকে।শেখ মজিবুর রহমান শাষনতন্ত্র রচনায় যুৎসই শর্ত খুজছিলেন। এমনতর রাজনৈতিক শর্ত দিতে হবে যে শর্ত মানাও যাবেনা দেশদ্রোহের অভিযোগও আনা যাবেনা। যেহেতু পাকিস্তানের রাষ্ট্র কাঠামো যতদিন থাকবে, ততদিন তাঁর নিয়ম কানুন আইন মেনেই রাজনৈতিক কর্মসুচি প্রনয়ন করতে হবে।অনেক ভেবে তিনি যুগান্তকারি ৬দফা দাবী প্রনয়ন করেন,প্রথমেই পুর্ব পাকিস্তানের সুশীল সমাজ,রাজনৈতিক দল গুলীর মতামত গ্রহন করতে চাইলেন।অতীব দু:খ্যের সঙ্গে বলতে হচ্ছে তাঁর ৬দফা কেহই সমর্থন করেননি।ভয়ে সবাই তাঁর সঙ্গত্যাগের উপক্রম।বঙ্গবন্ধু কেন পাকিস্তানের রাষ্ট্র কাঠামোতে থেকে ৬দফা প্রনয়ন করেছেন তা শুধু তাঁর মনের গহীনেই  সংরক্ষীত রেখেছেন। নতুন প্রজম্মকে আমি সবিনয়ে অনুরুধ করব, আপনারা ৬দফা সংগ্রহ করুন,পড়ুন।আজকে যারা বলেন শেখ মজিব স্বাধীনতা চাননি,তিনি চেয়েছিলেন অখন্ড পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী হতে।তিনি সত্যি কি চেয়েছিলেন ৬দফায় তা আছে।একটি দফাও যদি বঙ্গবন্ধু ছাড় দিতেন অনায়াসে তিনি পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী হতে পারতেন।তিনি তা করেননি।বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্য ছিল, ৬দফা না মানলে এক দফা স্বাধীনতা, আর যদি মানে তবে পুর্ব পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার জন্য তাঁদেরকেই যুদ্ধ করতে হবে। আমাদের কাছ থেকেই তাঁরা স্বাধীনতা নেয়ার সংগ্রাম করতে হত। হ্যা তিনি অখন্ড পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রীত্বের জন্যই রাজনীতি করেছেন। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই প্রধান উদ্দেশ্য ক্ষমতায় যাওয়া।তিনিও তাই চাইতেন।সেই চাওয়া ছিল সারা পাকিস্তানের একচ্ছত্র অধিপত্ত।৬দফায় তার উদ্দেশ্য প্রমান করে।৬দফা এমন রাজনৈতিক কর্মসুচি,যে কর্মসুচি কোন অবস্থায় একক রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে থেকে মানা যায়না।যদি ন্যায্য দাবী না মানে আপনারাই বলুন তখন কর্মসুচি কি হয়।বিজ্ঞ অভিজ্ঞ রাজনীতিবীদেরা আপনারাই বলুন ৬দফা মানলে কি হত, মানে নাই বিদায় কি হয়েছে। তাঁর পরের ইতিহাস সবাই জানেন,ঢাকা ইউনিভারসিটি কেন্দ্রিক স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস গঠন করে প্রাথমিক যুদ্ধ প্রস্তুতির সুচনা করলেন। আগরতলায়  পুর্ব পাকিস্তানের সেনা অফিসার যারা ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে তাঁদের একটা দলকে পাঠিয়ে স্বাধীনতার প্রশ্নে ভারতের কি ধরনের সাহায্য পাওয়া যেতে পারে তাঁর নিশ্চয়তা বিধান করলেন। আর কি বাকি রইল, হ্যা বাকি রয়েছে।পুর্ব পাকিস্তানের যে কোন রাজনৈতিক ইস্যুতে সিদ্ধান্ত গ্রহন করার একক জনগনের রায় সংবলিত রাজনৈতিক দলের।ইতিমধ্যে আগড়তলা ষড়যন্ত্র সম্পর্কে পাকিস্তান সরকার জেনে গেছে।ক্যান্টন্মেন্টের অভ্যন্তরে সার্জেন্ট জহুরুল কে বিনাবিচারে প্রকাশ্য গুলী করে হত্যা করা হয়েছে। শেখ মজিবুর রহমানকে প্রধান আসামী করে রাষ্ট্রদ্রোহ  মামলা হয়েছে, বাদী সরকার।শেখ মজিবুর রহমানকে বন্দি করা হল,বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।দেশ-বিদেশের মিডিয়ায় প্রতিদিনের খবর মুজিবকে ফাঁসী দেয়া হবে।সংক্ষিপ্ত বিচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল। রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট চলে এসেছে শেখ মজিবুর রহমানের হাতে।সারা পুর্ববঙ্গ ফুঁসে উঠেছে।স্বল্প সময়ে ঘটে গেছে গনঅভ্যুত্থান।জনতা জেল থেকে চিনিয়ে নিয়ে এসেছে তাঁদের প্রানের নেতাকে। জনগনের চাপের মুখে বিনাশর্তে মুক্তি দিয়ে জেনারেল আয়ুব খাঁন সরে গেলেন ক্ষমতার দৃশ্যপট থেকে।শেখ মজিব হয়ে উঠেছেন জনগনের নেতা, মধ্যমনি। ঢাকা ইউনিভারসিটির ছাত্ররা সম্বধনার আয়োজন করে শেখ মজিবকে উপাধি দিলেন "বঙ্গ বন্ধু".। ক্ষমতার দৃশ্যপটে নতুন জেনারেল ইয়াহিয়া।তিনি এসেই সাধারন নির্বাচন দেয়ার জন্য রাজী হলেন।তবে সামরিক ফরমানের মাধ্যমে কতিপয় শর্তযুক্ত নির্বাচন।প্রেসিডেন্ট যদি মনে করেন, নির্বাচিত সংসদ দেশের পরিপন্থি কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে,তাহলে নির্বাচন বাতিল বা সংসদ ভেঙ্গে দিতে পারবেন।বঙ্গবন্ধুর প্রয়োজন ছিল শুধু নির্বাচন।কারন তখন পুর্ব পাকিস্তানে বহু দল,বহু নেতা,কিন্তু জনরায় ছিলনা।ম্যান্ডেট ছাড়া দেশে বিদেশে কোন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহন যোগ্য হতে পারেনা।সব রাজনৈতিক দলের বিরুদীতা সত্বেও বঙ্গবন্ধু নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নিলেন। কারন তিনি ততদিনে বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁর স্বপ্ন বাস্তবে রুপ লাভ করার সময় এসে গেছে। গনঅভ্যুত্থান স্বাধীনতার স্বপ্নকে দশ বছর এগিয়ে দিয়েছে। একক দল আওয়ামী লীগ, একক নেতা শেখ মজিব,প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে ৬৯ এর গনুভ্যুত্থান।এখন প্রয়োজন শুধু গনরায়।যেমনভাবা তেমন কাজ।পুর্বপাকিস্তানের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বিরামহীন ছুটে চলা, শুধু ৬দফার যৌক্তিকতা নিয়ে বক্তৃতা।সংগের ছাত্রপ্রতিনীধিরা তাঁদের ১১ দফার প্রচার প্রসার নিয়ে ব্যস্ত। আওয়ামী লীগের ৬ দফা ছাত্রদের ১১ দফা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে ততদিনে। ৭০'এর নির্বাচনে একক সংখ্যগরিষ্টতাই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে এগিয়ে দেয় জাতির জনকের কাংখিত স্বপ্ন পুরন--দূর করে দেয় সকল বাঁধা বিপত্তি। নতুন স্বপ্ন জাগে জাতির জনক হওয়ার অনবদ্য ইচ্ছার। ২৫শে মার্চ তিনি কেন বন্দিত্ব বরন করেছেন? তাও বুঝার জ্ঞান বর্তমান রাজনীতিকদের নেই।তিনি ভারতকে সম্প্রসারনবাদি দেশ মনে করতেন।ভারতে তাঁর অবস্থান অসম আবদার হয়তো রক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যেতে হত।যেহেতু স্বাধীনতার প্রশ্নে মুক্তিযুদ্ধের সকল প্রস্তুতি তিনি আগেই সম্পন্ন করে রেখেছেন,তাই সম্প্রসারনবাদি ভারতের আশ্রয় গ্রহন করে উপনিবেশিক শাষন শোষন থেকে মুক্ত হয়ে, সম্প্রসারন বাদি দেশের তল্পিবাহক হতে চাননি বিধায়, সবাইকে যার যার মত দায়িত্ব দিয়ে নিজেই বসে ছিলেন পরিবার নিয়ে ৩২নম্বর বাসভবনে। তিনি জানতেন,যদি তাঁকে হত্যা করে,তিনি বেঁচে থাকবেন বাঙ্গালি হৃদয়ে, বিশ্বের কোটি কোটি মুক্তিকামি মানুষের মুক্তির দুত হয়ে।মৃত্যু একদিন অনিবায্য।সেই মৃত্যু যদি ঐতিহাসিক করে যেতে পারেন,তবে সারা জীবনের সংগ্রাম সার্থক।আর যদি বেঁচে যান, তবে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের রুপকার হয়ে বাকি জীবন মনের তৃপ্তিতে অতিবাহিত করবেন। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং নতুন জাতির উম্মেষকারি হিসেবে বাঙ্গালি হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন সুর্য্য যতদিন আলো বিকিরন করবে ততদিন। নি:সন্দেহে একদেশ থেকে মুক্তি পেয়ে আর এক দেশের দাসত্ববরন চাননি বলেই সুদুরপ্রসারী চিন্তাবীদ,যুগশ্রেষ্ঠ দার্শনিক মুজিব সঠিক সিদ্ধান্তই নিতে পেরেছিলেন।মুল কথায় পিরে আসি।         পাকিস্তানি উপনিবেশিক সরকারের নাগপাশ ছিঁড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যার হাতে পূর্ণতা পায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবের সুযোগ্য নেতৃত্বে ও আওয়ামী লীগের দলীয় তৎপরতায় ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগ। ১৯৭০ সালের নির্বাচনেই নির্ধারিত হয় বাঙালি জাতির ভাগ্য। ’৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারত তাহলে আজ ভিন্ন রকমের হতে পারত বাংলাদেশের ইতিহাস।     ১৯৭০ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের নীরব ভাঙচুর শুরু হয়েছিল। তখন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকেই স্থানীয় শৃঙ্খলা ও জনপ্রীতির কারণে আওয়ামী লীগ হারিয়ে দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে। ১৯৭০ সালেও আওয়ামী লীগের বিপরীতে অসংখ্য রাজনৈতিক দল ছিল। কিন্তু শেখ মুজিবের আদর্শের কাছে, তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণে অন্য কোন দলই আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করতে পারে নাই।         তাই যতবারই বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে ততবারই আওয়ামী লীগ সর্বাধিক সংখ্যক ভোট পেয়েছে।     বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাত্র পৌনে চার বছর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ পরিচালনা করার সুযোগ পায়। তারপর নিষ্ঠুর ঘাতকেরা রাতের আঁধারে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্ব-পরিবারে হত্যা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে দেশ চলে যায় পাকিস্তানি কায়দায় সামরিক বাহিনীর বুটের তলায়। আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য চলতে থাকে নানা রকম চক্রান্ত। পরিস্থিতি তখন এতই নাজুক হয়ে পড়ে যে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করার মতো মানুষও খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেদিন যারা মুজিব আদর্শ বুকে ধারণ করে টিকে থাকে- তারাই আজ হাল ধরে আছে আওয়ামী লীগের।     ১৯৭৫ সালের পরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যাপক ভাঙা-গড়া শুরু হয়। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বন্দুকের নলের সাহায্যে বাংলাদেশের ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে জন্ম দেয় রাজনৈতিক দলের, যার নাম বিএনপি। বিএনপি গঠিত হয় এদেশের সুবিধাবাদী ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির সমর্থনে। রাজাকার, আলবদর,বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারিদের যোগ সাজসে জিয়াউর রহমান অত্যন্ত চতুর ঠান্ডা মাথার খুনি ছিলেন। যারা জিয়াউর রহমানের ইতিহাস জানেন তাদের ভুলে যাওয়ার কথা নয়, হত্যার রাজনীতি শুরু করে জিয়া কিভাবে বাংলাদেশের সুস্থ ধারার গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে রক্তে রঞ্জিত করেছিলেন। জিয়া নিজেই ঘোষণা করেছিলেন- ‘I shall make politics difficult for politician’ কেন তিনি এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা উচ্চারণ করেছিলেন সেদিন? করেছিলেন এই জন্য যে সেদিন যেহেতু তিনি আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী, গণ-সম্পৃক্ত রাজিৈনতক দলকে ভেঙে চুরে তছনছ করে দিয়েছিলেন।  ছোটখাটো সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দলগুলোকে তার বশংবদ করতে পেরেছিলেন। তার সামনে কোন প্রতিপক্ষ দাঁড়ানোর মত ছিল না।   তিনি জানতেন না যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে রয়েছে বাঙালির জাতির ভালোবাসার বন্ধন, গণমানুষের চাওয়া-পাওয়ার আবেদন।জনগনের সাথে এই বন্ধন সৃষ্টি করেছে জাতির জনকের কালজয়ী দর্শন,গতিশিল নেতৃত্ব,যুগোপযোগী আদর্শ। জিয়ার আমলে আওয়ামী লীগ সাময়িক সময়ের জন্য স্থবির হয়ে  গেলেও এক সময় ঠিকই এসে রাজনৈতিক মঞ্চে আসন করে নিতে সক্ষম হয়।         ১৯৭০ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ক্রান্তিকাল দেখা দিয়েছিল। ঠিক ৪৬ বছর পরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখন সেই ধরনের ক্রান্তিকালই দেখা দিয়েছে। ১৯৭০ সালে যেভাবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক তৎপরতা আর বঙ্গবন্ধুর আকাশচুম্বি ব্যক্তিত্বের নিকট ম্লান হয়ে গিয়েছিল,  জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখনও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের কাছে ম্লান হয়ে গেছে, শেখ হাসিনার দেশে বিদেশে আকাশ্চুম্বি জনপ্রীয়তা আর ব্যক্তিত্বের নিকট চরম ভাবে ধরাশায়ী    একদিকে দেশব্যাপি উন্নয়ন অগ্রগতি,অন্যদিকে দেশ বিদেশের প্রসংশার পাহাড়।দেশরত্ম  জাতির জনকের কন্যা কি উপলব্দি করতে পারছেন তাঁর জনপ্রীয়তার ব্যরোমিটার বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছে?     বর্তমান বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে মডেল। উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের হাল ধরেছে গণমানুষের সংগঠন, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে যে দল এক সময় মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল তারাই আজ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে। দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতা ছাড়া কোন দলই টিকে থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগ আদর্শে বিশ্বাসী দল। দেশপ্রেমে উজ্জীবিত, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। আওয়ামী লীগের বর্তমান দলীয় অবস্থা সন্তোষজনক হলেও তাকে এখানেই থেমে থাকলে চলবে না।      " বাকশাল" গঠিত হওয়ার পর জাতির জনক অনুভব করতে পেরেছিলেন,দলে শুদ্ধি অভিযান চালানোর সময় এসে গেছে।শুদ্ধি অভিযানে যত দেরী হবে,তাঁর স্বপ্ন পুরনে ততই বিঘ্নতার সৃষ্টি হবে,বাস্তবায়নে সময়ক্ষেপন হবে। শত্রু নীজের বিচানায় রেখে ঘুমানোর অর্থই হচ্ছে,নীজের মৃত্যুকে পাশে রেখে ঘুমানো।পদক্ষেপ ও নিতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন,শত্রুরা তাঁকে সেই সুযোগ আর দেয়নি।তাঁর আগেই স্ব-পরিবারে তাঁকে হত্যা করে তাঁদের পথ পরিষ্কার করতে সক্ষম হয়।        আওয়ামী লীগের এই সময়টাতে  দলের ভেতর-বাহির পরিচ্ছন্ন করার সময়। আজ আওয়ামী লীগে যে সকল দুর্বৃত্ত নেতাকর্মী আছে, বয়স্ক ও বিভ্রান্ত মন্ত্রী-উপদেষ্টা আছে তাদের বিষয়ে ভাবতে হবে। আবেগ দিয়ে আওয়ামী লীগকে চললে হবে না,আবেগের সাথে বাস্তবতার সংমিশ্রন ঘটাতে হবে।আওয়ামী লীগকে, গণমুখী ও বিবেকবান, জনসম্পৃত্ত হতে হবে। ভারতে কংগ্রেসের অবস্থা ও অবস্থানের অভিজ্ঞতা সংরক্ষন করে সেই মতে আওয়ামী লীগকে তৃন্মুল থেকে সাজানোর উদ্যোগ নিতে হবে। আজ মানুষ ১৯/২০ দল, ১৪/১৫ দল, জাতীয় পার্টি কিংবা বিএনপি নয়- তাকিয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর গড়া আওয়ামী লীগের দিকে,তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার দিকে। কিভাবে দলের সাংগঠনিক শক্তিকে তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে দিয়ে আরো বেশি শক্তিশালী করা যায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এখন সেদিকেই বেশি করে মনোযোগ দিতে হবে। আসন্ন জাতীয় সম্মেলনের পূর্বেই দলের চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও দুর্বৃত্তদের দল থেকে বিতাড়ন করতে হবে। দলের নেতৃত্বে এখন প্রয়োজন খাজা আহম্মদ,তালেব আলী,নরুল ইসলাম, ওবায়দুল কাদেরের মত নিষ্ঠাবান ত্যাগি জনসম্পৃত্ত নেতাদের।           শেখ হাসিনাকে স্মরন করে দিতে চাই,বর্তমানে দল যেখানে দাঁড়িয়ে আছে,আপনার যে জনপ্রীয়তার সৃষ্টি হয়েছে ,যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলা করে ক্ষমতার বৃত্তে ফিরে আসতে খুব বেশী সময় নিবেনা।সুতারাং জনচাহিদা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ,যুব লীগ, ছাত্র লীগকে মাস্তান, লুটেরা,দুবৃত্ত মুক্ত করা আপনার দায়িত্ব। তাহলেই আওয়ামী লীগ দল হিসেবে জনগণের কাছে  আস্থাভাজন আরো টেকসই হবে। যেভাবেই হোক দেশবাসীর স্বার্থে শেখ হাসিনাকে এই কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা আওয়ামী লীগের হাতেই নির্মিত হবে বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ।জনগন আশা করে তাঁদের আগামী দিনের প্রজম্মের জন্য নিরাপদ, আধুনিক, বিজ্ঞান সম্মত, শিল্প সমৃদ্ধ, উন্নত,সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মান করতে পারে একমাত্র আওয়ামী লীগ এবং জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা। জাতির জনক দেশ দিয়েছেন,তাঁর কন্যা সুখী জীবন উপহার দিবেন, ইহাই স্বাভাবিক।          জয় বাংলা     জয়বঙ্গবন্ধু      জয়তু দেশরত্ম  শেখ হাসিনা

ছবি

    জাতির জনকের লক্ষে-বিভ্রান্ত ছিল বিরুদীরা, মুজিব কন্যার দুরদর্শিতায়-দিশাহীন বর্তমান স্বাধীনতা বিরুদীরা----!!! ===========================     জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের রাজনৈতিক রাজনৈতীক জীবনের উত্থানের প্রারম্বিকতা আমরা যদি লক্ষ করি তবে স্পষ্ট কারোই বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয় তিনি বাঙ্গালীর স্বাধীকারের স্বপ্ন নিয়েই  তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন। অখন্ড পাকিস্তানের প্রভাব শালী রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ,পাকিস্তানের স্বাধীনতার রুপকারের রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ। দলটির সার্বিক রাজনৈতিক ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দ। সুতারাং বুঝতে বাকি নেই মুসলিম লীগ তৃনমুল থেকে সংগঠিত পাকিস্তানের একমাত্র জননন্দিত, প্রভাবশালী দল হিসেবে অবস্থান পাকাপোক্তই ছিল।     যেহেতু দলটির শীর্ষ নেতাদের বেশীর ভাগ পশ্চিম পাকিস্তানের অধিবাসি ছিলেন, সংগত কারনে এই দলের মধ্যে বিচরন করে পুর্বাংশের(বর্তমান বাংলাদেশ) যথাযথ স্বার্থরক্ষা করা যাবেনা।পুর্ব পাকিস্তানের আয়তন, জনসংখ্যা, সম্পদ ইত্যাদি বিবেচনায় কেন্দ্রীয় সরকারের একাদিক প্রভাবশালী মন্ত্রীত্ব হয়তো সব সময় পাওয়া যাবে।পুর্বপাকিস্তানের বহু রাজনীতিবীদ সেই পথে হাটলেও তরুন নেতা শেখ মজিবুর রহমানের অন্তরের বাসনায় ভীন্নতা থাকার কারনে মুসলিম লীগ থেকে বেরিয়ে তাঁর রাজনৈতিক গুরু সরোওয়ার্দী,  মাওলানা ভাসানী সহ আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে নতুন দলের ভিত্তি স্থাপন করেন। নতুন রাজনৈতিক দলের তরুন নেতা শেখ মজিবুর রহমান এই দলের তিন নম্বর নেতা হয়ে রাজনীতি শুরু করলেও অচিরেই প্রধান ব্যাক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সময় নেননি।আওয়ামী মুসলিম থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দল গঠন করার চেষ্টায় দলে ভাঙ্গন দেখা দিলে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।পাকিস্তান সৃষ্টির "দ্বিজাতি তত্বের  ভুল দর্শন "থেকে শিক্ষা নিয়ে মুলত: অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দল গঠন করার উদ্যোগি হতে তাঁকে সাহায্য করে।তিনি সম্যক বুঝতে পেরেছিলেন বাঙ্গালীরা ইসলাম ধর্মের প্রতি অনুরাগী হলেও ধর্মাগ্ধ নন। মাওলানা তর্কবাগীশ, মাওলানা ভাসানীর মত দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়ুয়া ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বদের মাঝে যেহেতু ধর্মাগ্ধতা কাজ করেনা সেহেতু সাধারন বাঙালী মুসলমানদের মধ্যে উগ্রতা বা ধর্মাগ্ধতা থাকবে কেন। তাঁর পরের ইতিহাস নিয়ে বিস্তর আলোচনা আছে আমি সে দিকে না গিয়ে শুধুমাত্র উত্থানপর্ব এবং পরিনতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চাই।     ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলনের পরই মুজিব তাঁর বাসনা পুরনে পদক্ষেপ গ্রহন শুরু করেন।এতদিনে বাঙ্গালীদের আলাদা রাষ্ট্র বা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রয়োজনীতা যার সৃষ্টি ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে প্রোথিত হয়েছিল তাঁর অংকুর উৎগম শুরু হয়ে গেছে।ভাষার লড়াই যদিও সাংস্কৃতির লড়াই ছিল, রাজনৈতিক শুভচেতনার উম্মেষ ঘটাতে ভাষার লড়ায়ের ভুমিকা অনবদ্য স্বাধীকারের দিকে নিয়ে যেতে প্রভুত সাহায্য করে। বাঙ্গালী চেতনার এই মোক্ষম সুযোগকে তরুন সুদুরপ্রসারী রাজনীতিক শেখ মুজিব কাজে লাগাতে বিলম্ব করেননি। পাকিস্তানের শাষনতন্ত্র প্রনয়নের উদ্দেশ্যে লাহোরে সর্বদলীয় কনভেনশন(গোল টেবিল বৈঠক) আহব্বান করে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ ১৯৬৬ ইং সালে। শেখ মজিবুর রহমান ততদিনে জনগনের মনের আঙ্গিনায় '৬৫ইং সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পুর্ব পাকিস্তানকে অরক্ষিত রেখে পশ্চিমে সৈন্য সমাবেশ ঘটানোকে ইস্যু হিসেবে দাঁড় করিয়ে জনমত প্রভাবিত করতে শতভাগ  সক্ষম হয়েছেন। বাস্তবতার নীরিখে পুর্বপাকিস্তানীরা ইস্যুটিকে তাঁদের স্বার্থের নিরিখে চিন্তা করে।ইস্যুটি ব্যাপক জনপ্রীয়তা পেতে থাকে।শেখ মজিবুর রহমান শাষনতন্ত্র রচনায় যুৎসই শর্ত খুজছিলেন। এমনতর রাজনৈতিক শর্ত দিতে হবে যে শর্ত মানাও যাবেনা দেশদ্রোহের অভিযোগও আনা যাবেনা। যেহেতু পাকিস্তানের রাষ্ট্র কাঠামো যতদিন থাকবে, ততদিন তাঁর নিয়ম কানুন আইন মেনেই রাজনৈতিক কর্মসুচি প্রনয়ন করতে হবে।অনেক ভেবে তিনি যুগান্তকারি ৬দফা দাবী প্রনয়ন করেন,প্রথমেই পুর্ব পাকিস্তানের সুশীল সমাজ,রাজনৈতিক দল গুলীর মতামত গ্রহন করতে চাইলেন।অতীব দু:খ্যের সঙ্গে বলতে হচ্ছে তাঁর ৬দফা কেহই সমর্থন করেননি।ভয়ে সবাই তাঁর সঙ্গত্যাগের উপক্রম।বঙ্গবন্ধু কেন পাকিস্তানের রাষ্ট্র কাঠামোতে থেকে ৬দফা প্রনয়ন করেছেন তা শুধু তাঁর মনের গহীনেই  সংরক্ষীত রেখেছেন। নতুন প্রজম্মকে আমি সবিনয়ে অনুরুধ করব, আপনারা ৬দফা সংগ্রহ করুন,পড়ুন।আজকে যারা বলেন শেখ মজিব স্বাধীনতা চাননি,তিনি চেয়েছিলেন অখন্ড পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী হতে।তিনি সত্যি কি চেয়েছিলেন ৬দফায় তা আছে।একটি দফাও যদি বঙ্গবন্ধু ছাড় দিতেন অনায়াসে তিনি পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী হতে পারতেন।তিনি তা করেননি।বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্য ছিল, ৬দফা না মানলে এক দফা স্বাধীনতা, আর যদি মানে তবে পুর্ব পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার জন্য তাঁদেরকেই যুদ্ধ করতে হবে। আমাদের কাছ থেকেই তাঁরা স্বাধীনতা নেয়ার সংগ্রাম করতে হত। হ্যা তিনি অখন্ড পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রীত্বের জন্যই রাজনীতি করেছেন। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই প্রধান উদ্দেশ্য ক্ষমতায় যাওয়া।তিনিও তাই চাইতেন।সেই চাওয়া ছিল সারা পাকিস্তানের একচ্ছত্র অধিপত্ত।৬দফায় তার উদ্দেশ্য প্রমান করে।৬দফা এমন রাজনৈতিক কর্মসুচি,যে কর্মসুচি কোন অবস্থায় একক রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে থেকে মানা যায়না।যদি ন্যায্য দাবী না মানে আপনারাই বলুন তখন কর্মসুচি কি হয়।বিজ্ঞ অভিজ্ঞ রাজনীতিবীদেরা আপনারাই বলুন ৬দফা মানলে কি হত, মানে নাই বিদায় কি হয়েছে। তাঁর পরের ইতিহাস সবাই জানেন,ঢাকা ইউনিভারসিটি কেন্দ্রিক স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস গঠন করে প্রাথমিক যুদ্ধ প্রস্তুতির সুচনা করলেন। আগরতলায়  পুর্ব পাকিস্তানের সেনা অফিসার যারা ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে তাঁদের একটা দলকে পাঠিয়ে স্বাধীনতার প্রশ্নে ভারতের কি ধরনের সাহায্য পাওয়া যেতে পারে তাঁর নিশ্চয়তা বিধান করলেন। আর কি বাকি রইল, হ্যা বাকি রয়েছে।পুর্ব পাকিস্তানের যে কোন রাজনৈতিক ইস্যুতে সিদ্ধান্ত গ্রহন করার একক জনগনের রায় সংবলিত রাজনৈতিক দলের।ইতিমধ্যে আগড়তলা ষড়যন্ত্র সম্পর্কে পাকিস্তান সরকার জেনে গেছে।ক্যান্টন্মেন্টের অভ্যন্তরে সার্জেন্ট জহুরুল কে বিনাবিচারে প্রকাশ্য গুলী করে হত্যা করা হয়েছে। শেখ মজিবুর রহমানকে প্রধান আসামী করে রাষ্ট্রদ্রোহ  মামলা হয়েছে, বাদী সরকার।শেখ মজিবুর রহমানকে বন্দি করা হল,বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।দেশ-বিদেশের মিডিয়ায় প্রতিদিনের খবর মুজিবকে ফাঁসী দেয়া হবে।সংক্ষিপ্ত বিচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল। রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট চলে এসেছে শেখ মজিবুর রহমানের হাতে।সারা পুর্ববঙ্গ ফুঁসে উঠেছে।স্বল্প সময়ে ঘটে গেছে গনঅভ্যুত্থান।জনতা জেল থেকে চিনিয়ে নিয়ে এসেছে তাঁদের প্রানের নেতাকে। জনগনের চাপের মুখে বিনাশর্তে মুক্তি দিয়ে জেনারেল আয়ুব খাঁন সরে গেলেন ক্ষমতার দৃশ্যপট থেকে।শেখ মজিব হয়ে উঠেছেন জনগনের নেতা, মধ্যমনি। ঢাকা ইউনিভারসিটির ছাত্ররা সম্বধনার আয়োজন করে শেখ মজিবকে উপাধি দিলেন "বঙ্গ বন্ধু".। ক্ষমতার দৃশ্যপটে নতুন জেনারেল ইয়াহিয়া।তিনি এসেই সাধারন নির্বাচন দেয়ার জন্য রাজী হলেন।তবে সামরিক ফরমানের মাধ্যমে কতিপয় শর্তযুক্ত নির্বাচন।প্রেসিডেন্ট যদি মনে করেন, নির্বাচিত সংসদ দেশের পরিপন্থি কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে,তাহলে নির্বাচন বাতিল বা সংসদ ভেঙ্গে দিতে পারবেন।বঙ্গবন্ধুর প্রয়োজন ছিল শুধু নির্বাচন।কারন তখন পুর্ব পাকিস্তানে বহু দল,বহু নেতা,কিন্তু জনরায় ছিলনা।ম্যান্ডেট ছাড়া দেশে বিদেশে কোন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহন যোগ্য হতে পারেনা।সব রাজনৈতিক দলের বিরুদীতা সত্বেও বঙ্গবন্ধু নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নিলেন। কারন তিনি ততদিনে বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁর স্বপ্ন বাস্তবে রুপ লাভ করার সময় এসে গেছে। গনঅভ্যুত্থান স্বাধীনতার স্বপ্নকে দশ বছর এগিয়ে দিয়েছে। একক দল আওয়ামী লীগ, একক নেতা শেখ মজিব,প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে ৬৯ এর গনুভ্যুত্থান।এখন প্রয়োজন শুধু গনরায়।যেমনভাবা তেমন কাজ।পুর্বপাকিস্তানের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বিরামহীন ছুটে চলা, শুধু ৬দফার যৌক্তিকতা নিয়ে বক্তৃতা।সংগের ছাত্রপ্রতিনীধিরা তাঁদের ১১ দফার প্রচার প্রসার নিয়ে ব্যস্ত। আওয়ামী লীগের ৬ দফা ছাত্রদের ১১ দফা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে ততদিনে। ৭০'এর নির্বাচনে একক সংখ্যগরিষ্টতাই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে এগিয়ে দেয় জাতির জনকের কাংখিত স্বপ্ন পুরন--দূর করে দেয় সকল বাঁধা বিপত্তি। নতুন স্বপ্ন জাগে জাতির জনক হওয়ার অনবদ্য ইচ্ছার। ২৫শে মার্চ তিনি কেন বন্দিত্ব বরন করেছেন? তাও বুঝার জ্ঞান বর্তমান রাজনীতিকদের নেই।তিনি ভারতকে সম্প্রসারনবাদি দেশ মনে করতেন।ভারতে তাঁর অবস্থান অসম আবদার হয়তো রক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যেতে হত।যেহেতু স্বাধীনতার প্রশ্নে মুক্তিযুদ্ধের সকল প্রস্তুতি তিনি আগেই সম্পন্ন করে রেখেছেন,তাই সম্প্রসারনবাদি ভারতের আশ্রয় গ্রহন করে উপনিবেশিক শাষন শোষন থেকে মুক্ত হয়ে, সম্প্রসারন বাদি দেশের তল্পিবাহক হতে চাননি বিধায়, সবাইকে যার যার মত দায়িত্ব দিয়ে নিজেই বসে ছিলেন পরিবার নিয়ে ৩২নম্বর বাসভবনে। তিনি জানতেন,যদি তাঁকে হত্যা করে,তিনি বেঁচে থাকবেন বাঙ্গালি হৃদয়ে, বিশ্বের কোটি কোটি মুক্তিকামি মানুষের মুক্তির দুত হয়ে।মৃত্যু একদিন অনিবায্য।সেই মৃত্যু যদি ঐতিহাসিক করে যেতে পারেন,তবে সারা জীবনের সংগ্রাম সার্থক।আর যদি বেঁচে যান, তবে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের রুপকার হয়ে বাকি জীবন মনের তৃপ্তিতে অতিবাহিত করবেন। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং নতুন জাতির উম্মেষকারি হিসেবে বাঙ্গালি হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন সুর্য্য যতদিন আলো বিকিরন করবে ততদিন। নি:সন্দেহে একদেশ থেকে মুক্তি পেয়ে আর এক দেশের দাসত্ববরন চাননি বলেই সুদুরপ্রসারী চিন্তাবীদ,যুগশ্রেষ্ঠ দার্শনিক মুজিব সঠিক সিদ্ধান্তই নিতে পেরেছিলেন।মুল কথায় পিরে আসি।         পাকিস্তানি উপনিবেশিক সরকারের নাগপাশ ছিঁড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যার হাতে পূর্ণতা পায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবের সুযোগ্য নেতৃত্বে ও আওয়ামী লীগের দলীয় তৎপরতায় ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগ। ১৯৭০ সালের নির্বাচনেই নির্ধারিত হয় বাঙালি জাতির ভাগ্য। ’৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারত তাহলে আজ ভিন্ন রকমের হতে পারত বাংলাদেশের ইতিহাস।     ১৯৭০ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের নীরব ভাঙচুর শুরু হয়েছিল। তখন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকেই স্থানীয় শৃঙ্খলা ও জনপ্রীতির কারণে আওয়ামী লীগ হারিয়ে দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে। ১৯৭০ সালেও আওয়ামী লীগের বিপরীতে অসংখ্য রাজনৈতিক দল ছিল। কিন্তু শেখ মুজিবের আদর্শের কাছে, তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণে অন্য কোন দলই আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করতে পারে নাই।         তাই যতবারই বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে ততবারই আওয়ামী লীগ সর্বাধিক সংখ্যক ভোট পেয়েছে।     বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাত্র পৌনে চার বছর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ পরিচালনা করার সুযোগ পায়। তারপর নিষ্ঠুর ঘাতকেরা রাতের আঁধারে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্ব-পরিবারে হত্যা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে দেশ চলে যায় পাকিস্তানি কায়দায় সামরিক বাহিনীর বুটের তলায়। আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য চলতে থাকে নানা রকম চক্রান্ত। পরিস্থিতি তখন এতই নাজুক হয়ে পড়ে যে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করার মতো মানুষও খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেদিন যারা মুজিব আদর্শ বুকে ধারণ করে টিকে থাকে- তারাই আজ হাল ধরে আছে আওয়ামী লীগের।     ১৯৭৫ সালের পরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যাপক ভাঙা-গড়া শুরু হয়। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বন্দুকের নলের সাহায্যে বাংলাদেশের ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে জন্ম দেয় রাজনৈতিক দলের, যার নাম বিএনপি। বিএনপি গঠিত হয় এদেশের সুবিধাবাদী ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির সমর্থনে। রাজাকার, আলবদর,বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারিদের যোগ সাজসে জিয়াউর রহমান অত্যন্ত চতুর ঠান্ডা মাথার খুনি ছিলেন। যারা জিয়াউর রহমানের ইতিহাস জানেন তাদের ভুলে যাওয়ার কথা নয়, হত্যার রাজনীতি শুরু করে জিয়া কিভাবে বাংলাদেশের সুস্থ ধারার গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে রক্তে রঞ্জিত করেছিলেন। জিয়া নিজেই ঘোষণা করেছিলেন- ‘I shall make politics difficult for politician’ কেন তিনি এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা উচ্চারণ করেছিলেন সেদিন? করেছিলেন এই জন্য যে সেদিন যেহেতু তিনি আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী, গণ-সম্পৃক্ত রাজিৈনতক দলকে ভেঙে চুরে তছনছ করে দিয়েছিলেন।  ছোটখাটো সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দলগুলোকে তার বশংবদ করতে পেরেছিলেন। তার সামনে কোন প্রতিপক্ষ দাঁড়ানোর মত ছিল না।   তিনি জানতেন না যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে রয়েছে বাঙালির জাতির ভালোবাসার বন্ধন, গণমানুষের চাওয়া-পাওয়ার আবেদন।জনগনের সাথে এই বন্ধন সৃষ্টি করেছে জাতির জনকের কালজয়ী দর্শন,গতিশিল নেতৃত্ব,যুগোপযোগী আদর্শ। জিয়ার আমলে আওয়ামী লীগ সাময়িক সময়ের জন্য স্থবির হয়ে  গেলেও এক সময় ঠিকই এসে রাজনৈতিক মঞ্চে আসন করে নিতে সক্ষম হয়।         ১৯৭০ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ক্রান্তিকাল দেখা দিয়েছিল। ঠিক ৪৬ বছর পরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখন সেই ধরনের ক্রান্তিকালই দেখা দিয়েছে। ১৯৭০ সালে যেভাবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক তৎপরতা আর বঙ্গবন্ধুর আকাশচুম্বি ব্যক্তিত্বের নিকট ম্লান হয়ে গিয়েছিল,  জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখনও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের কাছে ম্লান হয়ে গেছে, শেখ হাসিনার দেশে বিদেশে আকাশ্চুম্বি জনপ্রীয়তা আর ব্যক্তিত্বের নিকট চরম ভাবে ধরাশায়ী    একদিকে দেশব্যাপি উন্নয়ন অগ্রগতি,অন্যদিকে দেশ বিদেশের প্রসংশার পাহাড়।দেশরত্ম  জাতির জনকের কন্যা কি উপলব্দি করতে পারছেন তাঁর জনপ্রীয়তার ব্যরোমিটার বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছে?     বর্তমান বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে মডেল। উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের হাল ধরেছে গণমানুষের সংগঠন, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে যে দল এক সময় মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল তারাই আজ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে। দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতা ছাড়া কোন দলই টিকে থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগ আদর্শে বিশ্বাসী দল। দেশপ্রেমে উজ্জীবিত, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। আওয়ামী লীগের বর্তমান দলীয় অবস্থা সন্তোষজনক হলেও তাকে এখানেই থেমে থাকলে চলবে না।      " বাকশাল" গঠিত হওয়ার পর জাতির জনক অনুভব করতে পেরেছিলেন,দলে শুদ্ধি অভিযান চালানোর সময় এসে গেছে।শুদ্ধি অভিযানে যত দেরী হবে,তাঁর স্বপ্ন পুরনে ততই বিঘ্নতার সৃষ্টি হবে,বাস্তবায়নে সময়ক্ষেপন হবে। শত্রু নীজের বিচানায় রেখে ঘুমানোর অর্থই হচ্ছে,নীজের মৃত্যুকে পাশে রেখে ঘুমানো।পদক্ষেপ ও নিতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন,শত্রুরা তাঁকে সেই সুযোগ আর দেয়নি।তাঁর আগেই স্ব-পরিবারে তাঁকে হত্যা করে তাঁদের পথ পরিষ্কার করতে সক্ষম হয়।        আওয়ামী লীগের এই সময়টাতে  দলের ভেতর-বাহির পরিচ্ছন্ন করার সময়। আজ আওয়ামী লীগে যে সকল দুর্বৃত্ত নেতাকর্মী আছে, বয়স্ক ও বিভ্রান্ত মন্ত্রী-উপদেষ্টা আছে তাদের বিষয়ে ভাবতে হবে। আবেগ দিয়ে আওয়ামী লীগকে চললে হবে না,আবেগের সাথে বাস্তবতার সংমিশ্রন ঘটাতে হবে।আওয়ামী লীগকে, গণমুখী ও বিবেকবান, জনসম্পৃত্ত হতে হবে। ভারতে কংগ্রেসের অবস্থা ও অবস্থানের অভিজ্ঞতা সংরক্ষন করে সেই মতে আওয়ামী লীগকে তৃন্মুল থেকে সাজানোর উদ্যোগ নিতে হবে। আজ মানুষ ১৯/২০ দল, ১৪/১৫ দল, জাতীয় পার্টি কিংবা বিএনপি নয়- তাকিয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর গড়া আওয়ামী লীগের দিকে,তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার দিকে। কিভাবে দলের সাংগঠনিক শক্তিকে তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে দিয়ে আরো বেশি শক্তিশালী করা যায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এখন সেদিকেই বেশি করে মনোযোগ দিতে হবে। আসন্ন জাতীয় সম্মেলনের পূর্বেই দলের চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও দুর্বৃত্তদের দল থেকে বিতাড়ন করতে হবে। দলের নেতৃত্বে এখন প্রয়োজন খাজা আহম্মদ,তালেব আলী,নরুল ইসলাম, ওবায়দুল কাদেরের মত নিষ্ঠাবান ত্যাগি জনসম্পৃত্ত নেতাদের।           শেখ হাসিনাকে স্মরন করে দিতে চাই,বর্তমানে দল যেখানে দাঁড়িয়ে আছে,আপনার যে জনপ্রীয়তার সৃষ্টি হয়েছে ,যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলা করে ক্ষমতার বৃত্তে ফিরে আসতে খুব বেশী সময় নিবেনা।সুতারাং জনচাহিদা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ,যুব লীগ, ছাত্র লীগকে মাস্তান, লুটেরা,দুবৃত্ত মুক্ত করা আপনার দায়িত্ব। তাহলেই আওয়ামী লীগ দল হিসেবে জনগণের কাছে  আস্থাভাজন আরো টেকসই হবে। যেভাবেই হোক দেশবাসীর স্বার্থে শেখ হাসিনাকে এই কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা আওয়ামী লীগের হাতেই নির্মিত হবে বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ।জনগন আশা করে তাঁদের আগামী দিনের প্রজম্মের জন্য নিরাপদ, আধুনিক, বিজ্ঞান সম্মত, শিল্প সমৃদ্ধ, উন্নত,সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মান করতে পারে একমাত্র আওয়ামী লীগ এবং জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা। জাতির জনক দেশ দিয়েছেন,তাঁর কন্যা সুখী জীবন উপহার দিবেন, ইহাই স্বাভাবিক।          জয় বাংলা     জয়বঙ্গবন্ধু      জয়তু দেশরত্ম  শেখ হাসিনা

ছবি

মানবতা বিরুধীদের রক্ষায় তাঁদের দোষরেরা উলঙ্গ হয়ে গেছে----------- ================================ বিশ্ব বিদ্যালয়ের সর্বশেষ ডিগ্রি অর্জন করে সবাই উচ্চ শিক্ষিত হতে পারে,কিন্তু সবাই যে জ্ঞানী তা ঠিক নয়। আবার স্বল্প শিক্ষিত বা অশিক্ষিত সবাই যে জ্ঞানী নয় এটাও ঠিক নয়। যেমন আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম খুববেশী প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া না করেও জ্ঞানের সাগরে ডুবেছিলেন। পড়ালেখা নাজানা লোক জ্ঞানী হতে বাধা থাকেনা। জ্ঞান সবার কাছেই কম বেশি আছে,কেহ হয়তো বেশি জ্ঞানী কেহ হয়তো কম জ্ঞানী। বেশী জ্ঞানীদের মধ্যে মাত্রাতিরীক্ত জ্ঞানী যেমন আছে, তেমনি পাগলের সংখ্যাও কেবল কম নয়। কম জ্ঞানীও পাগল হয় তবে সংখ্যায় নিতান্তই কম। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সনদপত্র না থাকলে তাঁকে কিন্তু শিক্ষিত বলা যায়না।জ্ঞানের সাগর হতে পারে কিন্তু শিক্ষিত নয়। আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাহাই আছে, সব গুলীতে শিক্ষা সমাপনান্তে সনদ দেয়া হয়। সনদ স্তর অনুযায়ীই হয়।কিন্তু স্ব-শিক্ষার সনদ কোথাও দেয় এটা কিন্তু কোন দিন শুনীনি বা দেখিনি। খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশনে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে স্ব-শিক্ষিত লিখে জমা দিয়েছেন।তাঁর নমিনেশন বাতিল হয়নি।প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বৈধ বলে তা গ্রহন করেছেন।অথছ সামান্য নাম বা নাম্বারের ভুলের কারনে কতশত মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায় তাঁর কোন হিসেব নেই।তিনি যে স্ব-শিক্ষিত লিখেছেন তাঁর কি সনদ জমা দিয়েছেন? না-,তবে তাঁর নমিনেশন কিভাবে বৈধ হল? ঠিক একই প্রেক্ষাপটে তাঁর দলের মধ্যে যে সমস্ত জ্ঞানী নেতারা আছেন তাঁরা হয় মাত্রাতিরীক্ত জ্ঞানী, নয়তো সবাই খালেদার মতই স্ব-শিক্ষিত।কথাটি আমি একারনেই বলছি",খালেদা জিয়া অশিক্ষিতের কারনে শহিদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।"যেহেতু তাঁর বিশ্বের অন্যান্ন গনহত্যার সংখ্যা তত্ব কিভাবে নিরুপিত হয়েছে তাঁর ধারনায় নাও থাকতে পারে।কিন্তু বড় বড় ডিগ্রিধারীরা যে সমস্ত বিতর্কীত প্রশ্ন উত্থাপন করছেন, খালেদা জিয়ার মন্তব্যের রেশ ধরে, তাতে তাঁদেরকে শিক্ষিত বলা গেলেও কোন অবস্থায় জ্ঞানী বলা যায়না। জ্ঞানী যদিও বলা যায়, তা মাত্রাতিরীক্তের পয্যায় পড়ে।মাত্রারীক্ত অধিকাংশ জ্ঞানী আবার আগেই বলেছি পাগল।যেহেতু তাঁরা সবাই গন প্রজাতান্ত্রীক বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন অবশ্যই তাঁদের সরকারি খরছে এবং তত্বাবধানে পাবনা নিয়ে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।আরো যোগ হয়েছে শীত। বৈশ্বীক আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে নাতিষীতোষ্ব বাংলাদেশে শীতের তীব্রতা একটু বেশি বলে আবহাওয়াবীদগন তাঁদের অফিস থেকে নিশ্চিত করেছেন। একতরফা তাঁদের দোষ দিয়ে কোন লাভ নেই, শীতের কারনেও পাগলামী বেড়ে যেতে পারে বলে আমি মনে করি।তাঁর উপর যুক্ত হয়েছে,তাঁদের নেত্রীর হঠকারি সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকার দু:চিন্তা। তবে শ'খানেক বুদ্ধিজীবির উদ্দেশ্যে আমি খানিকটা তথ্য দিয়ে তাঁরা আরো বড় বদ্ধপাগল প্রমান দিতে চাই।পৃথিবীর কোনো বড় হত্যাকাণ্ড বা গণহত্যার সংখ্যাই কিন্তু সুনির্দিষ্ট আছে তাঁরা কি তথ্য দিতে পারবেন? দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের মতো এত বড় একটা যুদ্ধে,যেখানে প্রায় বিশ্বের প্রতিটি দেশ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েছিল । যুদ্ধপরবর্তিতে গবেষণার পর দেখা যায়, সেখানেও মৃত্যুর সংখ্যা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি। বলা হয়েছে ৫০ থেকে ৮০ মিলিয়ন (কিংবা পাঁচ থেকে আট কোটি)লোক গনহত্যার শিকার হয়েছে। নিউট্রন বোমার আঘাতে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে সেটা সঠিকভাবে অনুমান করার জন্য আমেরিকা কিছু শহর বেছে নিয়েছিল,বোমা বর্ষনের আগেই। সেখানে তারা আগে থেকে অন্য কোনো বোমা ফেলেনি। ক্ষয়ক্ষতির এ রকম সুনির্দিষ্ট হিসাব বের করার প্রস্তুতি নেয়ার পরও হিরোশিমা কিংবা নাগাসাকিতে কতজন মানুষ মারা গিয়েছিল তা সুনির্দিষ্ট করে আজ পয্যন্ত বলা সম্ভব হয়নি। হিরোশিমাতে নব্বই হাজার থেকে দেড় লাখ এবং নাগাসাকিতে চল্লিশ থেকে আশি হাজার লোক মারা গিয়েছিল বলে ধারনা দিতে পেরেছেন। চীনের রাজধানী নানকিংয়ে জাপানি সেনাদের গণহত্যা বিশ্ব ইতিহাসে বড় এবং নৃশংসতম গণহত্যা। গবেষকরা এখনো সেখানে কত সংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছিল সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারেননি, গভেষকদের হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা আনুমানিক দুই থেকে তিন লাখের কাছাকাছি । নাৎসিরা জার্মানিতে ইহুদিদের গনহারে হত্যা করেছিল।সেই হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা অনুমান নির্ভর করে বলেছেন গভেষকেরা পঞ্চাশ-ষাট লাখ হতে পারে। মাঝে মাঝে কোন কোন গবেষক হত্যার সংখ্যাক দেড় থেকে দুই কোটি ও বলে । সাম্প্রতিক সময়ে গণহত্যার মাঝে রুয়ান্ডাতে টুটসিদের ওপর হত্যাকাণ্ডটি বিশ্বজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। এত সাম্প্রতিক ঘটনা, তথ্য আদান-প্রদানেও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাচ্ছে অনায়াসে,তারপরও হত্যাকাণ্ডের সংখ্যাটি সুনির্দিষ্ট নয়, বলা হয়ে থাকে সেখানে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। একটা বড় ধরনের হত্যাকাণ্ডে কখনই সঠিক সংখ্যাটা বলা যায় না। হত্যাকাণ্ডের পরিসংখ্যান দেখে হতাস বা অবাক হওয়ার কিছু নাই। হত্যাকারীরা তালিকা করে হত্যাকাণ্ড ঘটায় না। পৃথিবীর কোথাও গনহত্যা করার পর হত্যাকারীদের পক্ষ থেকে কোন দিন কোন তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। আমাদের বাংলাদেশের বেলাতেও তাই হয়েছে, একটা আনুমানিক সংখ্যা বলা হয়েছে। একাত্তর সালে প্রায় এক কোটি শরণার্থী দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তাদের একটা বড় অংশ রোগে শোকে মারা গেছে, তাদের সংখ্যাটা ধরা হলে একাত্তরে শহীদদের সংখ্যা খুব সহজেই ত্রিশ লাখ ছাড়িয়ে পঞ্চাশ লাখের কাছাকাছি হতে পারে।কারন শরনার্থী শিবিরের দুর্দশা চোখে না দেখলে কাউকে বলে বুঝানো যাবেনা।এমন কোন দিন ছিলনা সারি সারি লাশের আগুনের স্তুপ কোন পাহাড়ে জ্বলেনি বা সারি সারি কবর খোঁড়ে রাখা হয়নি। যারা গণহত্যা করে তারা কখনই স্বীকার করেনা। এই পয্যন্ত কোন দেশ পৃথিবীতে এত গনহত্যা হয়েছে কেউ কি স্বীকার করেছে? তাঁরা গনহত্যা চালিয়েছে? আর্মেনিয়ানরা গত একশ বছর চেষ্টা করেও তুরস্ককে স্বীকার করাতে পারেনি তারা গণহত্যা করেছে। পাকিস্তানও বলতে শুরু করেছে তারাও বাংলাদেশে গণহত্যা করেনি! যদিও আন্তজাতিক চাপের কারনে স্বীকার করতে বাধ্য হয়, চেষ্টা থাকে সংখ্যাটাকে কম করে দেখানোর। আমাদের বাংলাদেশের উদাহরণটি সবচেয়ে বিচিত্র। একাত্তর সালে জামায়াতে ইসলামী সরাসরি পাকিস্তান মিলিটারির সঙ্গে গণহত্যায় জড়িত ছিল। তারা চেষ্টা করে সংখ্যা কমিয়ে আনতে। ধরে নেয়া যায় তাঁরা যেহেতু জড়িত তাঁরাতো কম বলবেই। কে না চায় বাঁচতে। মৃত্যুর মুখামুখি দাঁড়িয়ে মিথ্যে বলা জায়েজও আছে। সবচেয়ে হাস্যকর যুক্তিটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু নাকি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিন লাখ বলতে গিয়ে ভুলে ত্রিশ লাখ বলে ফেলেছিলেন ! কোন একটা সহচরও এক্ষেত্রে তাঁরা ব্যবহারর করেছেন সাক্ষাৎকার ধারন করে, বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জনের জন্য। যার অর্থ তিন লাখ পর্যন্ত হত্যা করা কোনো ব্যাপার নয়, ত্রিশ লাখ হলে একটু বেশি হয়ে যায়। তাই ত্রিশ লাখ মেনে নেয়া যাবে না! কম বেশি হতেই হবে।জামায়াতে ইসলামীর ব্যাপারটা মেনে নেয়া যায়।কারন তাঁরা জড়িত, তাঁরা বলবে।এর চেয়ে আরো জগন্য মিথ্যাচার করেও তাঁরা পার পেয়ে গেছে। বিএনপি এবং তাঁদের বুদ্ধিজীবীদের উত্থাপিত বিতর্ক গুলী কোন অবস্থায় মেনে নেয়া নেয়া যায়না।কারন এরা কেহই গনহত্যায় সাংগঠনিক ভাবে জড়িত ছিলনা।বিএনপি দলের সৃষ্টিও হয়নি।বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের পরের প্রজর্ম্ম। পৃথিবীর সকল নৃসংশ গনহত্যার পরিসংখ্যান অনুমান নির্ভর হওয়া সত্বেও সংশ্লিষ্ট দেশ মেনে নিয়েছে। তাঁদের দেশের রীতি বা আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। কেউ কোন দিন কোন গনহত্যার সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক উত্থাপনের চেষ্টা করেনি।প্রতিষ্ঠিত সত্য নিয়ে বিতর্ক উত্থাপন বা সন্দেহ পোষনের জন্য কঠিন আইন প্রনয়ন করা আছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগও আছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে আমরা গণহত্যার সংখ্যাটি গ্রহণ করে নিয়েছি। গ্রহন করার বয়সও হয়েছে ৪৫ বছর বা অর্ধশত বছর। সেই সংখ্যাটি যেহেতু একটা আনুমানিক এবং যৌক্তিক সংখ্যা , সেই সংখ্যাটি নিয়ে সংশয় সন্দেহ প্রকাশ করার অর্থুই হচ্ছে- আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের অসম্মান করা। আর মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান অপদস্ত করে আপনি রাজপথে বুক চিতিয়ে চলবেন তা হবেনা। আপনি আপনার মত করে আর একটি দেশ বানিয়ে নেন, মুক্তিযুদ্ধারা যুদ্ধ করে এদেশ তাঁদের করে নিয়েছে,আপনার আস্ফালন দেখার জন্য নয়,আপনি তাঁদের আস্ফালন দেখারজন্য। আজকে যদি গভেষনার জন্য প্রশ্নগুলীর উত্থাপন করা হত তবে কারো বলার কিছুই ছিলনা।বুদ্ধিজীবিরা গভেষকের আওতায় পড়েনা। বিএনপির নেতারাতো বলতেই পারেননা।তাঁরা অনেকেই মুক্তিযুদ্ধা দাবী করেন।অনেকের মুক্তিযুদ্ধার ভাতার আওতায়ও আছেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রতিষ্ঠিত সত্য নিয়ে তাঁদের কোন কথাই ক্ষমার আওতায় পড়েনা।পৃথিবীর কোন দেশেই ক্ষমা করার বিধান নেই।যদিও তাঁরা আমাদের মত ত্যাগ স্বীকার করে স্বাধীনতা লাভ করতে হয়নি।এত মা -বোনের ইজ্জত নষ্ট করা লাগেনি।তাঁদের দেশের জাতির জনককে তাঁরা হারাতে হয়নি।তাঁরপরেও তারা আইনের বিধান রেখেছে,বিতর্ক উত্থাপন কারির শাস্তির বিধান রেখেছে। এ ক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকেও আমি জড়াতে চাইনা। খালেদা জিয়া বলতে পারেন,কারন খালেদা জিয়ার একান্ত আন্তরিক অনুভুতি তাঁদের প্রতি থাকতে পারে। তিনি তাঁদের সাথে নয়মাস চলাফেরা করেছেন।তাঁদের অখ্যাত একজন মেজর মারা গেলে তিনি রাষ্ট্রীয় প্রটো - কলের তোয়াক্কা না করে বাংলাদেশের সেই যুদ্ধাপরাধী মেজরের জন্য শোক বার্তা পাঠাতেও দ্বিধা করেননি বা লজ্জা অনুভব করেননি।তাঁর আত্মার আত্মীয়ের প্রতি প্রেমের সর্বশেষ পয্যায় পয্যন্ত গেলেও কারো মনে করার কিছুই নেই। কারন বাঙালি মহিলারা প্রেমের প্রতি অত্যান্ত যত্নশীল, অনুগত,ভক্তিপুর্ন।যুগে যুগে তার উদাহরন বঙ্গীয় দেশের পথে প্রান্তরে রয়েছে। প্রেমের বহু উপাখ্যান গৃহস্তের বাড়ীর আঙ্গিনায় চাঁদনী রাতে দল বেঁধে পুথিপাঠে মনোযোগ দিয়ে শুনে আর দুই চোখের পানির স্রোত ছেড়ে দেয়। খালেদা জিয়াও প্রেমিকের বিচ্ছেদে মহিমাম্বিত সেই প্রেমের অশিরিরী স্বাদ উপভোগ করবেন, করতেই পারেন।অনন্তকাল বাংলার মানুষের মনে চিরজাগরুক থাকার সকল চেষ্টা করার সুযোগ তিনি চাইতেই পারেন। পরিশেষে বলতে চাই,এযাবৎকাল যতজনই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বাস করে বিতর্ক উত্থাপন করার চেষ্টা করেছেন বা করছেন,তাঁদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।তাঁদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির বিধান করতে হবে।ভবিষ্যতে কোন বেজর্ম্মা কোন দিন আমাদের বীর সন্তানদের, আমাদের মা বোনদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে কষ্টার্জিত সত্যকে কটাক্ষ করতে সাহষ না পায়। দৃষ্টতা কোন পয্যায় গেলে জাতির জনকের অবদানকেও অস্বীকার করার দু:সাহষ দেখাতে পারে তাও ভেবে দেখার জন্য সচেতন মহলের প্রতি আবেদন রইল। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাছিনা

ছবি

  জনরোষের ভয়ে ভীত চক্রান্তকারীরা,  বেসামাল উক্তি করে জনমনে বিভ্রান্তির চেষ্টায় লিপ্ত--- ======================================= বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খাঁন বলেছেন,, '৭৫সালে গনতন্ত্র নিহত হয়েছিল,এখন আই,সি,কিউতে আছে। "শ্রমিক নেতা জনাব নজরুল সাহেব প্রকৃত শ্রমিক নেতার মতই কথাটা বলেছেন।মৃত্যু হয়ে গেলে আবার কবর থেকে উঠে হাসপাতালের আইসিকিউতে কিভাবে আসতে পারে উনি না বললেও অনেকেই বুঝে। '৭৫এ জাতির জনক যে গনতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন,সেই গনতন্ত্র পশ্চিমাদের জোর জবরদস্তির গনতন্ত্র। লুটেরার গনতন্ত্র।যে গনতন্ত্রের সমাপ্তির কোন সংজ্ঞা নেই।পশ্চিমা সেই গনতন্ত্রের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে বিশ্ব প্রতিনিয়ত অশুভ শক্তির কালছায়ার মাসুল দিয়ে যাচ্ছে।পুঁজিবাদী উপনিবেশিকের বর্তমানের প্রচলিত  গনতন্ত্র ধনীকে আরো ধনী গরীবকে আরো গরীব করার গনতন্ত্র। সম্পদের সুসম বন্টনের বিধান তথাকথিত উপেনিবেশিক শাষক শোষকদের গনতন্ত্রে আজও খোঁজে পাওয়া যায়নি।     বঙ্গবন্ধু শাষক ও শোষকের গনতন্ত্রকে কবর দিয়ে শোষিতের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির নিমিত্তে সব দল ও মতকে একই ছাতার নীছে এনে জাতীয় দল গঠন করে সম অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে দেশ শাষন কল্পে জাতীয় দল গঠন করেছিলেন।উক্ত দলে সকল শ্রেনী, পেশার মানুষের অংশিদারিত্ব ছিল। তৃনমূল পয্যায় থেকে জাতীয় সরকার পয্যন্ত নির্বাচনের বিধান ছিল।সম্পদের সুসম বন্টনের লক্ষে সমবায় পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছিল।জাতিয় সরকারের নামের মধ্যেই তাঁর মহত্ব নিহীত আছে।"বাকশাল" অর্থাৎ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ।    জম্ম নেয়ার আগে ভ্রুন মাতৃ গর্বে হত্যা করে তাঁর মহত্বকে খাঁটো করার জন্য দীর্ঘ একুশ বছর একতরফা অপপ্রচার করে জনমনে জাতীয় সরকারের ধ্যান ধারনা সম্পর্কে ভুল চিন্তা চেতনার বীজ বপন করার আপ্রান চেষ্টা করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার বলয় থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।সেই চেষ্টার মাত্রা কিছুটাও যে কমেনি তাঁর বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছেন জনাব নজরুল সাহেব। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতির মঙ্গলের জন্যই  তাঁর সুদুর প্রসারী চিন্তা চেতনার ফসল বিশ্ব নন্দিত দর্শন "বাকশাল" মানব জাতির জন্য উপহার  দিতে পেরেছিলেন। "বাকশাল" একান্ত বঙ্গবন্ধু উদ্ভাবীত দর্শন।বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী করে রচিত দর্শন।     বিশ্বের যে কয়জন দার্শনিক,চিন্তাবীদ কালে কালে মানবের মঙ্গলের জন্য চিন্তার ফসল রেখে গেছেন তাঁদের মধ্যে মার্কস,লেলিন, মাওসেতুং, প্লোটো, সক্রেটিস অন্যতম।তাঁরা তাঁদের চিন্তা চেতনার ফসল রেখে গেছেন তাঁদের দর্শনে।বাংলাদেশের জাতির জনক বিশ্বমানবের কল্যানে তাঁর মতবাদ "বাকশাল" প্রতিফলিত করতে চেয়েছিলেন বাঙ্গালীর জাতীয় জীবনে।তাঁদেরকে যেমন মানব জাতি স্মরন করবে চিরকাল বঙ্গবন্ধুকেও স্মরন করবে বিশ্ব সভ্যতা বেঁচে থাকবে যতকাল।      বঙ্গবন্ধুর "বাকশালে" যদি গনতন্ত্র না থাকে তবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবি সমিতির নির্বাচনেও গনতন্ত্র নেই।শ্রমিক ইউনিয়নের ভোটের নির্বাচনেও গনতন্ত্র নেই।সমবায় সমিতিতেও গনতন্ত্র নেই।কোন শ্রেনী পেশার নির্বাচনে গনতন্ত্র প্রতিফলিত হয়না।জনাব নজরুল ইসলাম যে শ্রেনী থেকে উঠে এসেছেন তিনি নীজেও গনতান্ত্রিক ভাবে আসেননি।যেহেতু ঐ সমস্ত নির্বাচনে আপামর জনগনের মতামত প্রতিফলিত হয়না। শুধুমাত্র স্ব-শ্রেনীর নির্দিষ্ট ভোটার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। সেখানে বহুদলের অস্তিত্ব যেহেতু নেই,সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহন নেই,সেখানে কিভাবে গনতন্ত্র থাকে? যদি শ্রেনী পেশার নির্বাচনে গনতন্ত্রের সুনির্দিষ্ট প্রতিফলন ঘটে থাকে, তবে বাকশালেও গনতন্ত্রের প্রতিফলন অবশ্যই ছিল। বাকশালেও একই পদ্ধতির নির্বাচনের ব্যবস্থাই ছিল।স্ব-স্ব শ্রেনী পেশার উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য যেমন স্ব-স্ব শ্রেনীর নির্বাচিত প্রতিনীধিরা আপ্রান চেষ্টা করেন, তেমনি জাতিয় ভাবে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় দলের জন প্রতিনীধিরা- জাতীয় সরকার গঠন করে জাতির মঙ্গলই করতেন।   এক্ষেত্রে গনতন্ত্র ছিল না বলে জাতির সাথে এতকাল প্রতারনা করার অপকৌশল ধীরে হলেও প্রকাশ পাচ্ছে।সত্য সদাই কঠিন বাস্তবতা,সত্য প্রকাশ হবেই,মিথ্যা দূর হবেই হবে।    দিন যতই গড়িয়ে যাচ্ছে,সত্য ততই প্রকাশ হচ্ছে।সব শ্রেনী,পেশার মিথ্যেবাদীরা জনরোষ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে বেসামাল হয়ে অসংলগ্ন কথাবার্তা  মুখ ফসকে বেরিয়ে যাচ্ছে।     আর একজন প্রতিযষা বুদ্ধিজীবি জনাব এমাজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেছেন,ভারত নয়,বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছায় দেশ স্বাধীন হয়েছে। একই অনুষ্ঠানে দুইজন দুই বিতর্কিত প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোন সময়েই শুনেনি আওয়ামী লীগের কোন পয্যায়ের নেতা বলতে- ভারতের ইচ্ছায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে!! তবে ভারত মিত্র শক্তি হিসেবে অতুলনীয় সহযোগিতা করেছে মুক্তিযুদ্ধে। পাকিস্তানী তিরানব্বই হাজার সেনা মিত্রবাহিনীর নিকটই আত্মসমর্পন করেছে। যুদ্ধশেষে বঙ্গবন্ধুর জাদুকরি নেতৃত্বেই ভারতীয় সেনাবাহিনী ফেরৎ যেতে বাধ্য হয়েছিল।কোন দেশ থেকে মিত্রবাহিনী এত সহজে পিরে যেতে দেখেছে? বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছাশক্তিকে জাগরুক করার জন্য,চেতনাকে শানীত করার জন্য, স্বাধাধীনতার শেষ প্রান্তে নিয়ে যাওয়ার জন্য,পিছনে পিরে না আসার অবস্থানে পৌঁছে দেয়ার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ২৩টি বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন,মৃত্যু দুয়ার থেকে কমপক্ষে দুইবার ফিরে এসেছেন,দীর্ঘ নয় মাস তাঁর প্রীয় জম্মভূমিতে কি হচ্ছে কোন খবর না পেয়েও স্বাধীনতার প্রশ্নে তাঁর অনড় অবস্থান ধরে রেখেছেন, ফাঁসীর রায় শুনার পরও সামান্যতম বিচলীত হননি,মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের প্রতিনীধি সহ কোন কূটনৈতিক বা সরকারের উচ্চ পয্যায়ের কারো সাথে কোন দর্শন পয্যন্ত দিলেননা -এই  কথা গুলি তিনি বলতে ভুলে গেছেন!!         লক্ষনীয় বিষয়টি হচ্ছে, নতুন প্রজর্ম্ম সত্যিকার ইতিহাস জানার জন্য  যতই উৎগ্রীব হয়ে উঠছেন, স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস যতই জনমনে প্রভাব বিস্তার করছে ততই অশুভ শক্তির পায়ের নীছের মাটি সরে যাচ্ছে। বেসামাল হয়ে সর্বস্তরের স্বাধীনতার শত্রুরা, মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা, মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে অন্তরে স্বাধীনতার শত্রুদের পুনর্বাসীত করার চক্রান্তকারিরা বেসামাল হয়ে পড়েছেন। প্রত্যহ নতুন নতুন বিতর্কের জম্ম দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।       মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামী  লীগ, বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনকের জৈষ্ঠ কন্যা দেশরত্ম শেখ হাছিনার নেতৃত্বে দেশ যখন দ্রুত কাংখীত লক্ষ অর্জনের পথে দাবীত হচ্ছে, দেশ বিদেশে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির দর্পন নিয়ে সরব আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে,বিশ্বের উন্নয়ন শীল দেশ সমুহের রোল মডেল হিসেবে অবস্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে,জাতি হিসেবে বাঙ্গালী বিশ্বদরবারে মাথা উচু করে দাড়িয়েছে, আগামী ২০৪১ সালের আগেই উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছার রুপকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে-- তখনি অশুভ শক্তির পালের গোদারা বেসামাল উক্তি করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।   কোন ষড়যন্ত্রই জাতির জনকের কন্যার পথভ্রষ্ট করতে পারবেনা। দেশ ও জাতির জম্মদাতার চাইতে কারো দরদ বেশী হতে পারেনা।আগুন সন্ত্রাসের ষড়যন্ত্র ধৈয্যের সাথে মোকাবেলা  করে দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন কারি সরকার  কোন অবস্থায় বিভ্রান্ত হবেনা। লক্ষ অর্জনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে গেলেই নতুন প্রজম্মের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারনকারি প্রজম্ম আগের মতই  সেই বাধা উপড়ে ফেলতে প্রস্তুত। সত্যিকারের দেশপ্রেমী সরকার কোন অশুভ শক্তিকে ভয় পায়না বার বার প্রমানীত হওয়া সত্বেও কাল সাপ তাঁদের ছোবল অব্যাহত রেখেছে।ইনশাল্লা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ অব্যাহত গতিতে চলতে থাকবে। আগামী ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত,বিজ্ঞান সম্মত,আধুনিক  বিশ্বের নেতৃত্বে আসীন হবে।উন্নত বিশ্বের রাষ্ট্র সমুহের কাতারে বাংলাদেশের নাম জ্বল জ্বল করে জ্বলবে।জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করে তাঁর আত্মার প্রতি জাতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।সেই লক্ষকে কোন অশুভ শক্তি বানচাল করতে পারবেনা ইনশাল্লাহ।--             জয়বাংলা     জয়বঙ্গবন্ধু   জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা    

ছবি

    সালা উদ্দিন কাদের চৌধুরীর দম্ভোক্তি :----- ================================= (মুক্তি যুদ্ধ আর্কাইবসের সংরক্ষিত রায়ের বাংলা অনুবাদের অনুবাদকের  ভুমিকা থেকে পেষ্ট কপি) ------------------------------------ মানবতাবিরোধী মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুর প্রথম দিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারককে হুমকি দিয়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী দম্ভোক্তি করেছিলেন, ‘চোখ রাঙাবেন না। আমি রাজাকার। আমার বাপ রাজাকার। এখন কে কী করতে পারেন, করেন।’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর এই দম্ভের কথা তাঁর বিচারের পূর্ণাঙ্গ রায়তেও লিখে রেখেছেন বিচারকেরা। সেখানে বলা হয়েছে, “বিচারের কোনো পর্যায়েই তিনি তাঁর কর্মকাণ্ডের জন্য অনুশোচনা এবং অনুতাপ দেখান নি, বরং এই আদালতের বিচারকাজকে অবমাননা এবং উপেক্ষা করেছেন। তাঁর হাবভাবকে ট্রাইব্যুনাল দম্ভ হিসাবে দেখেছে এবং বার বার সতর্ক করার পরেও তিনি পুরো বিচার প্রক্রিয়া চলার সময়েই চিৎকার-চেচামেচি করে ট্রাইব্যুনালের সৌষ্ঠবকে নষ্ট করেছেন। ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সম্মান তিনি প্রদর্শন করেন নি এবং ট্রাইব্যুনালের কর্তৃত্বকে অমান্য করে গিয়েছেন প্রতিনিয়ত।“ এই দম্ভ এবং অমান্য করার ইতিহাস সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের বহু পুরোনো। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে মুসলিম লীগ, কনভেনশন মুসলিম লীগ, জামাত-ই-ইসলামি এগুলোর মতো ডানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা দিয়েছিলো। এরা স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি রাজাকার, আল-শামস, শান্তি বাহিনী এবং অন্যান সশস্ত্র দলগুলোকে সুসংগঠিত করেছিলো এবং নির্বিচারে হত্যা লুণ্ঠন, জ্বালাও, পোড়াও নীতি নিয়েছিলো স্বাধীনতাকামী মানুষদের উপরে। এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি রাজাকার এবং আল-শামসের জন্য স্থানীয় তরুণদের নিয়োগ করতো এবং সাধারণ মানুষ, হিন্দু ধর্মালম্বী এবং আওয়ামী লীগের সমর্থকদের নির্বিচারে হত্যা করতো। এদের সহযোগিতা ছাড়া, পাকিস্তানের স্বৈরশাসকের পক্ষে খুন, নিপীড়ন এবং অন্যান্য অপরাধসমূহ করা সম্ভবপর ছিলো না। ফজলুল কাদের চৌধুরী কনভেনশনাল মুসলীম লীগের অন্যতম প্রধান একজন নেতা ছিলেন। আইয়ূব খানের মৃত্যুর পর এক সময় তিনি কনভেনশনাল মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্টও হন। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী ছিলেন, ন্যাশনাল এসেম্বলির স্পিকার হিসাবে কাজ করেছেন এবং পাকিস্তানের সাময়িকভাবে স্থলাভিষিক্ত প্রেসিডেন্টও ছিলেন। ফজলুল কাদের চৌধুরী পূর্ব পাকিস্তানে স্বাধীনতার শক্তির বিপক্ষে লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৭১ সালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। সেই সময়ে তাঁর বয়স ছিলো প্রায় ২২ বছর। ফজলুল কাদের চৌধুরীর একমাত্র সাবালক ছেলে ছিলেন তিনি। বাবার রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারী ছিলেন সালাউদ্দিন এই মতাদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপক্ষে অবস্থান নেন তিনি। নির্বিচারে হত্যা, গণহত্যা এবং অন্যান্য মানবতা-বিরোধী কর্মকাণ্ডে সরাসরি যুক্ত হয়ে যান। তাঁদের পারিবারিক বাসস্থান ‘গুডস হিল’ থেকে স্বাধীনতা বিরোধী সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। গুডস হিল হিন্দু জনগোষ্ঠী ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোকদের অত্যাচার এবং নির্যাতনের কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হতো। বাংলাদেশে একক পরিবার হিসেবে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি নৃশংস অত্যাচার চালানোর অভিযোগ রয়েছে কনভেনশন মুসলিম লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরীর পরিবারের বিরুদ্ধে। ফজলুল কাদের চৌধুরী আর তাঁর ছেলে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীই সে সময় পাকবাহিনীর সহায়তায় তার অন্য অনুচরদের নিয়ে সমগ্র রাউজান ও চট্টগ্রাম শহরে ভয়াবহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। হত্যা, নির্যাতন, লুট-তরাজ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী চালিয়ে যান একাত্তরের প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই। এই অত্যাচার বন্ধ করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের একটা ছোট দল তাঁকে হত্যা করার পরিকল্পনাও করেছিলো তাঁরা। সেই অনুযায়ী এক বৃষ্টিমুখর রাতে তাঁরা হামলা চালান সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর গাড়ির উপরে। খবর ছিলো যে, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী গাড়ির সামনের সীটে থাকবেন। পরিকল্পনা মতো হামলা চালায় মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু সালাউদ্দিন ছিলেন গাড়ির পেছনের সীটে। মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করলে ড্রাইভার নিহত হয়। পায়ে গুলি লাগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর। আহত অবস্থা পালিয়ে যান তিনি। এর পর পরই তাঁর বাবা তাঁকে লন্ডনে পাঠিয়ে দেন। এগুলো সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর একাত্তরের অপকর্মের সামান্য কিছু অংশ মাত্র। তাঁর রায়ের পূর্ণ বিবরণীতে তাঁর কুকীর্তির প্রায় সবকিছুই বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা আছে। অথচ এই ব্যক্তিটি স্বাধীনতার পরে রাজনীতিতে ফিরে এসেছেন সদম্ভে, সাড়ম্বরে। ১৯৭৮ সালের শেষ দিকে রাজনীতির পথে পা বাড়ান সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী। ৭৯ সালে মুসলিম লীগের হয়ে রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়িতে নির্বাচন করেন তিনি। রাউজান, রাঙ্গুনিয়া দু’টি সংসদীয় আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। রাঙ্গুনিয়া আসনটি রেখে রাউজান আসনটি ছেড়ে দেন সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী। পরে যোগ দেন জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে। জায়গা পান স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের মন্ত্রিপরিষদে। দায়িত্ব পালন করেছেন ত্রান মন্ত্রনালয়, গণপুর্ত মন্ত্রনালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের।পরে জাতীয় পার্টি ছেড়ে নিজেই গঠন করেন এনডিপি(ন্যাশনাল ডেমোক্রাটিক পার্টি)। এক পার্টি, এক নেতা ও এক আসন(রাউজান-চট্টগ্রাম) নিয়ে জাতীয় সংসদে তিনি এনডিপির নেতা হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন। ৯০-এর দশকে এসে যোগ দেন বিএনপিতে। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীর সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী। ২০০৯ সালের ৬ই ডিসেম্বর বিএনপি’র পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।          

ছবি

মানুষ মাত্রই ভূল, খালেদা জিয়াও ভূল করেছেন, আদালতকে বিশেষ বিবেচনায় বিচারের আবেদন ফখরুলের!!!! ----- =========================== খালেদা জিয়া ভুল করেছেন বলেই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, দলগতভাবে এই রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা নিয়ে আমাদের কোন অভিযোগ নেই বলেছেন বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার ওই মামলায় আদালত খালেদার বিরুদ্ধে সমন জারির ঘণ্টাখানেক পর জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের প্রতিনিধি সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। “স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে আমাদের ম্যাডাম খালেদা জিয়ার বক্তব্য একটু বিতর্কিতই ছিল। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উনার এরকম মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। মানুষ মাত্রই ভূল, উনিও ভূল করেছেন।” বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল আরো বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া যেহেতু একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের চেয়ারপার্সন তাই আদালত এ পরিচয়টি মাথায় রেখেই শাস্তির বিষয়টি বিশেষভাবে মূল্যায়ন করবেন বলে আশাকরি।” (দেশ বিদেশের সকল গনমাধ্যম) উল্লেখীত সংবাদটি দেশপ্রেমিক সকল নাগরিককে ক্ষুব্দ,আশাহত,দু:খ্যজনক ও আইনকে প্রভাম্বিত করার চক্রান্ত বলেই মনে করে।খালেদা জিয়া শহীদের সংখ্যার বিতর্কিত মন্তব্যটি  বেশ কিছুদিন আগে করেছিলেন। দেশের সুশীল সমাজ,মুক্তিযোদ্ধা,বিবেকবান মানুষের প্রতিক্রিয়া লক্ষনীয় ভাবে পত্রপত্রিকায় চাপানো হয়েছে।জনমত যাচাই পুর্বক সরকার মামলার অনুমতি দেয়ার পর জনগনের সেমপেথি অর্জনের জন্য মীর্জা ফকরুল উল্লেখিত বক্তব্যটি প্রদান করেছেন বলেই অভিজ্ঞগন মনে করেন। খালেদা জিয়ার বক্তব্যের পর বাবু গায়েশ্বর আরো একধাপ এগিয়ে খালেদার বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠিত করার পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর জনগনের ক্ষোব বিক্ষোবে  রুপান্তরীত হওয়ার প্রাক্কালে সরকার তড়িঘড়ি ব্যবস্থা গ্রহন করে।সরকার আপাত: বিক্ষোব প্রশমন করতে পারলেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের অবলীলায় আত্মসমর্পনের কারনে বিষয়টি পুনরায় রাজপথে আসার সম্ভাবনাকে উস্কে দিয়েছে বলে আমি মনে করি। সরকার  বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে মীমাংসার উদ্যোগকে দেশপ্রেমিক জনগন সাধুবাদ জানালেও ফকরুলের  বক্তব্যে আদালতের সিম্পেথী এবং জনগনের দৃষ্টি নমনীয় করার কৌশল হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। দেশব্যাপি ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হওয়া সত্বেও  বক্তব্যটি ভুল স্বীকারের অনেক সময় পেয়েও ভুল স্বীকার  না করে বরং প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কৌশল অবলম্বন করা হয়েছিল।এমতবস্থায় তাঁদের আইনজ্ঞ নেতারা আদালত পাড়ায় বিশৃংখলা সৃষ্টি করে আদালতের স্বাভাবিক কায্যক্রম পরিচালনায় ব্যঘাত সৃষ্টি করার অপকৌশল লক্ষনীয় ভাবে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষে পরিচালিত হচ্ছে বলেই জনগন মনে করে। শুধু আজকের এই বিষয়টি নয়, মানবতা বিরুধী বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই বিএনপি জামাত জোট আইনের শাষনের বিরুদ্ধে জনমনে বিভ্রান্তি চড়ানোর উদ্দেশ্যে নিয়ন্তর চেষ্টা অব্যাহত রেছেছে।দেশে বিদেশে ব্যাপক অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে কোটি কোটি ডলার খরছ করে লবিং ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে।প্রভাব শালী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ওবামা সহ ইউরুপিয়ান ইউনিয়নের বেশ কিছু রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান সহ আন্তজাতিক বিভিন্ন সংস্থাকে প্রভাম্বিত করে বিচার প্রক্রিয়া বানচালের চেষ্টাও করা হয়েছিল। দেশের অভ্যন্তরে খুন রাহাজানী,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে সেনাবাহিনীকে উস্কে অভ্যুত্থান পরিকল্পনাও তাঁরা বাদ দেয়নি।দেশের সম্মানীত আলেম সমাজে বিভ্রান্তি চড়িয়ে তাঁদেরকেও রাজপথে নামিয়ে লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ,নির্বিচারে গাছ কর্তন,বৈদ্যুতিক পিলার ও ষ্টেসনে হামলা চালিয়ে আইন শৃংখলার চরম অবনতি ঘটানোর পরিকল্পনা ও দেশবাসী চরম উৎকন্ঠার সহিত লক্ষ করেছে।বিএনপি জামায়াতের জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৪১দিন নিরাপদ আশ্রয়ে কায্যালয়ে অবস্থান করে তথাকথিত হরতাল ও অবরোধের নামে অসংখ্য যানবাহনে পেট্রোল বোমার আঘাতে আগুন ধরিয়ে ৪২জন জ্যন্ত মানুষকে পুড়িয়ে কয়লা করে দেয়ার দৃশ্য জনগন ভীতসম্ভ্রন্ত চোখে অবলোকন করেছে।কতশত কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে তাঁর কোন হিসেব আজও জনগন সম্যকভাবে জানেনা।সরকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি এবং অকালে অজস্র মানবের জীবন হানীর স্বেতপত্র আজও প্রকাশ করতে পারেনি।প্রত্যক্ষ নির্দেশ দিয়ে মানুষ হত্যায় উস্কানীর জন্য আজও খালেদা জিয়াকে বিচারের  সম্মুখ্যীন করার কোন উদ্যোগ নেয়নি সরকার। একজন তিনবারের সাবেক প্রধান মন্ত্রী হিসেবে, একটা জননন্দিত দলের নেত্রী হিসেবে এবং বিশ দলের দায়িত্বশীল নেত্রী হিসেবে   বেসামাল জীবন যাপনে অভ্যস্ত খালেদা জিয়া- বেসামাল কর্মসূচি দিয়ে জন জীবনে দুর্ভোগ ডেকে এনে পার পেয়ে যাবে তা জনগন ভাল চোখে দেখছে বলে মনে হয়না। উল্লেখীত অপরাধের  রাষ্ট্র কতৃক কোন আইনি ব্যবস্থা আজও গৃহিত না হওয়ায় জনমনে  ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে আমি মনে করি।উক্ত ক্ষোভ বিক্ষোভে রুপান্তরীত হয়ে যে কোন সময়ে রাজপথ  সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাওয়ার আশংকাকে উড়িয়ে দেয়া যায়না। আস্কারা পেয়ে খালেদা এবং তাঁর জোট সঙ্গীরা  বাংলাদেশের অস্তিত্ব, মুক্তিযুদ্ধের  বাংলাদেশ, স্বাধীন বাংলাদেশ, তিন লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ, ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত- মুক্তিযুদ্ধের সত্যকে অবলীলায় ব্যঙ্গাত্বক মন্তব্য করতে পেরেছেন বলে আমি মনে করি। উদার জাতির জনকের কন্যার "মায়ের ভালবাসার দুর্বলতা"কে পুঁজি করে এই যাত্রাও  রক্ষা পাওয়ার আর একটি অপকৌশলের আশ্রয় নিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত  মহাসচিব জনাব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর। বাংলাদেশের জনগন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে  উক্তরুপ বক্তব্যে মানষিক দুর্বলতায় না ভোগে আইনী প্রক্রিয়ায় আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহার অবাধ সুযোগ দেয়ার আশা পোষন করে।       জয় বাংলা        জয়বঙ্গবন্ধু      জয়তু দেশরত্ম শেখ হাছিনা

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

অতীতের আলোকিত নেতৃবৃন্দ--বর্তমান প্রজম্ম ========≠======================== বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে পুরানো দল।দলটির মধ্যে রয়েছে অগনিত আদর্শবাদী, ত্যাগী, সংগ্রামী নেতা। অধিকাংশ নেতা সজ্জন কর্মীবান্ধব,দলের প্রতি আনুগত্যশীল।সার্বক্ষনীক রাজনীতি করার অনেক সামথ্যবান, নীতিবান নেতা কর্মীর দেখা মেলে দলটিতে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী দর্শনকে প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য লড়াই সংগ্রামের মধ্যে অনেকেই নীজের জীবন যৌবন কখন অমানিশার অন্ধকারে ঢেকে দিয়েছেন টেরও পাননি। যখন বাধ্যকের পীড়ন অনায়াসে শরীর ও মনকে আড়ষ্ট করা শুরু করেছে তখনি টের পেলেন কতবড় ঘোর স্বপ্নের মধ্যে ডুবে ছিলেন। সময়তো কারও জন্য অপেক্ষা করেনা, অসময়ে ইচ্ছা হলেও পারিপাশ্বিকতা সমর্থন করেনা। সংগতকারনে ভাই,বোন,আত্মীয় স্বজনের বোঝা হওয়া ছাড়া উপায় কি?সুতারাং অযত্ন,অবহেলায় বাধ্যক্যের জীবনে নেমে আসে এক বিভীষিকাময় অন্ধকার।নিকট অতীতের ত্যাগের গৌরবকে মনে হতে থাকে জীবনের নিমগ্মচিত্তের বড় বোকামি। আপামর জনগনের আদর্শ মানুষ আর বহু নেতা কর্মীর অনুস্মরনীয় -অনুকরনীয় হয়ে বেঁচে আছেন--ঘুনাক্ষরেও তাঁর মনে পড়েনা। অসহনীয় বাধ্যক্য সব অর্জনকে চাপা দিয়ে অভিমানকে সামনে নিয়ে আসে।তখনি কেবল নীজের জীবন, অনুসারীদের বিচ্ছিন্নতাকে মনে হতে থাকে- কেবলই অবজ্ঞা আর অবহেলা। অতীতের হাজারো মানূষের শ্রদ্ধা,ভালবাসায় সীক্ত হতে হতে কখন নীজে রীক্ত হয়ে গেলেন কস্মিনকালেও ভাবিত করেনি যাকে,সেই হয়ে যান আপনজনের আপদ। তেমনি সময় পার করছে দলটির অধিকাংশ পোড়খাওয়া নেতাকর্মী। একদা যাদের ত্যাগের মহিমায় সুন্দর সমাজ, সামাজিক সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে ধীরলয়ে,সমাজ পেয়েছে মানব সেবার দীক্ষা। মানব সেবাব্রতে জীবন উৎসর্গকারী বাধ্যক্যপীড়িত মানুষটি আপনজনের নিত্য অবহেলায় একবারের জন্যেও মনে করেনা মরেও সে অমর। কালের বিবর্তনে রাজনীতিতে সবার অলক্ষে উত্থান ঘটেছে ভোগবিলাসী, আদর্শচ্যুত, উদ্দেশ্য পরায়ন, নামবিলাসী,তৌরন সর্বস্ব নেতা কর্মীর। তাঁদের হীনমানষিকতায় তুলে নিচ্ছে জনমানবের আনুগত্যতা, সামাজিক স্থীরতা, সম্মান আর শ্রদ্ধা। চতুর্দিকে দেখা দিচ্ছে অবক্ষয়ের অন্তজ্বালা। রাজনীতি হয়ে পড়েছে বিনিয়োগের উর্বর ভূমি। অমরত্বের অদেখা গৌরবের স্থলে-স্থান করে নিচ্ছে নগদ প্রাপ্তির অহংকার। ঘৃনীত হচ্ছেন বঞ্চিত জনগোষ্টির অভিসম্পাতে। রাজনীতিকে নিয়ে যাচ্ছেন জনমানবের অগ্নিস্ফুলিঙ্গে।স্মরনে পড়েনা তাঁদের অমরত্ব সুদুরপরাহত--হয়ে আছেন মনের অজান্তে সমাজের বিষাক্তকীট, দেশ ও দশের শত্রু, পরিবারের কলংক। নামিয়ে দিতে পারলে অন্ধকারে বেঁচে যাবে দেশ, সমাজ আর সভ্যতা। এই দুষ্ট চক্রের অনেকেই আজ আসীন হয়ে আছেন সমাজের এমন এক জায়গায়,সাধারনে তাঁরা সবাই অসাধারন। আয়ত্ব করে নিয়েছেন প্রচারের সব সামাজিক মাধ্যম। নীমিষেই বৃহৎ অর্জনকে করে দিতে পারেন বিসর্জন। দিনে দিনে ফুলে ফেঁপে হয়েছেন একেকজন বটবৃক্ষ। ভুলে গেছেন অতীত,পুর্বপুরুষেরা করেছেন তাঁবেদারী, বিজাতীয় উপনিবেশিকদের। ঘুনাক্ষরেও করেনা স্মরন, বৃক্ষ হতে পেরেছেন কার অবদানে। বহুল প্রচলিত প্রবচন,ছোট লোক বড় হলে বন্ধুকে কাঁদায়। এই মহুর্তে দেশ ও জাতিকে শৃংখলায় আনায়ন একান্ত জরুরী। তাঁর জন্য চাই আদর্শবান দল।আদর্শ ভিত্তিক দল বলতে বর্তমানে একটি দলকেই বুঝায়,সে দলটি হচ্ছে ঐতিহ্যের ধারক বাহক,তৃনমুল থেকে উঠে আসা দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।যে দলের রয়েছে জাতির জনকের কালজয়ী দর্শন,ধারন করার আদর্শ, গতিশীল নীতি।এই দলের নেতা কর্মীদের জাতির জনকের রেখে যাওয়া কালজয়ী দর্শন চর্চা অপরিহায্য। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চাই মেধাবী রাজনীতিবীদ হয়ে উঠার একমাত্র উপায় হতে পারে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করা ছাড়া দলের বিকাশ সম্ভব নয় । উধ্বতন নেতৃবৃন্দের দলের অভ্যন্তরে আদর্শ ধারনক্ষম নেতাকর্মীর উত্থান ঘটাতে মনপ্রান দিয়ে কাজ করা একান্ত প্রয়োজন। নীতি আদর্শ, সৎ, ত্যাগী নেতাদের বিচরন যত দ্রুত হবে, দুষ্ট চক্রের বিতাড়ন তত নিম্নগামী হবে।আদর্শবান, ত্যাগী নেতারা যত বেশী দল থেকে দূরে সরবে জনগন তত বেশী কষ্ট পাবে। জনগন যত বেশি কষ্ট পাবে, জাতির জনকের আত্মা ততবেশী গোমরে গোমরে কাঁদবে। কারন জাতির জনকের মত আর কোন নেতা বাঙ্গালী জাতিকে ভালবাসতে পারেননি।এই জাতির জন্য তাঁর পরিবারের সমতুল্য ত্যাগ কোন বাঙ্গালী নেতা অতীতেও পারেনি,ভবিষ্যতেও পারবেনা।বাঙ্গালী জাতিরজন্য বদন্যতা, মমত্ববোধ, মহত্বতা, ত্যাগ ,রক্ত, জীবন যৌবন যাহা কিছু সব একটি মাত্র পরিবারেই দিয়েছে,সেই পরিবারটিই হচ্ছে জাতির জনকের পরিবার। এমনতর সময়ে অনুসরন,অনুকরনযোগ্য একজনই আছেন, সেই পরিবারেরই সকল গুনাবলী ধারন করে আছেন। বিশ্বের কোটি মানুষ যাঁকে অনুস্মরন করা শুরু করেছেন,অনুকরন করা শুরু করেছেন।তাঁদের জীবনকেও তাঁর মত করে সাজাতে ব্যস্ত, তিনিই জাতির জনকের জৈষ্ঠ কন্যা,বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাছিনা। জাতির জনকের কন্যা এমন কতক গুন পারিবারিক ভাবেই বহন করে চলেছেন। তিনি অতিশয় প্রচার বিমূখ একজন পর্দানশীল মহিলা।প্রচারের দায়িত্ব আমাদের। আমাদের প্রচার মাধ্যম গুলীর। প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতা ও সৌজন্যতার প্রকাশ তার সরলতায়। আমাদের দেশের মিডিয়ার দায় অবশ্যই আছে তার মহত্ব প্রচারের। তাঁর আচরনে উদারতা থাকলে তাকে জাগিয়ে রাখার। সেটা না করলে যে মহিলাটি আমাদের জন্যে এতকিছু করছেন যার শত্রু পদে পদে, তাঁর অজান্তে শত্রু শুধু বাড়ছেই। '৭১/৭৫ এর রাজাকার, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা সংগঠিত হচ্ছে দেশে বিদেশে।তাকে মর্যাদা দিতে চায়না,জাতির জনককে স্বীকার করেনা,এক সেকেন্ডের জন্য ভালো থাকতে দিচ্ছেনা। আমরা ঘরপোড়া মানুষ, বঙ্গবন্ধু শাষনামল দেখেছি। তার মতো মহান হৃদয়বান সার্থক বাঙালি একটিও নেই,অদুর ভবিষ্যতে জম্ম ও নিবেনা। পরনের লুঙ্গি, প্যান্ট, জামা, গায়ের চাদর খুলে দিয়ে দিতেন গরীব অসহায়দের।গ্রামের সাসাধারন মানুষদের জড়িয়ে ধরতেন, বাড়িতে নেতা কর্মী বা গ্রামের কেহ এলে না খেয়ে যেতে দিতেন না। তাঁকে নিয়ে কত ছলচাতুরী, কত কৌশলে তাকে ছোট করার অপচেষ্টা,তাঁর পরিবারকে হেয় করার কত অপচেষ্টা। পীঠা উৎসবের কথাই বলি।কোন নেতা,কোন দেশে,কোন আমলে মাটিতে সবার সাথে বসে আনন্দকে ভাগাভাগি করেছেন? কখনও কি কেউ দেখেছেন নাকি দেখবেন?আমাদের মিডিয়া কি এই মাটির মানুষটির সে দিনের সেই দৃশ্য ধারন করেছে না প্রচার করেছে।আমরা যারা দল করি তাঁরাও কি তেমন উদ্যোগ নিয়েছি প্রচারের? পিঠা উৎসবে সমাগতদের বেশিরভাগই প্রধানমন্ত্রীকে ভালোবাসেন। তার চেতনাকে ধারণও করেন। কিন্তু সেটাই যথেষ্ট নয়। ব্যক্তিগত ভালোবাসার পাশাপাশি আদর্শের দিকটা তুলে ধরাও জরুরি। এমন এক সমাজে আমরা থাকি, এমন এক অতীত আমাদের ঘিরে আছে যেখানে পিঠা খেয়ে পিঠ প্রদর্শনে সময় লাগে না। প্রধানমন্ত্রীর মাটিতে উপবিষ্ট ছবিটির প্রচার গ্রামগঞ্জে ব্যাপক প্রচার হওয়া জরুরী ছিল। তিনি যে মাটির কাছাকাছি ও মানুষের পাশাপাশি সেটা গ্রামের মানুষের মতো ভালো কেউ বোঝবেনা। গ্রামের মানুষ তারা ভালোবাসে ও চায় বলেই আওয়ামী লীগ টিকে আছে। বারবার শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে দল জেগে ওঠার প্রেরণা পায় গ্রামের মানূষের কাছে। গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ দল বেঁধে ঝুঁকি নিয়ে ভয়ভীতি এড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের দেশকে সামনে নিয়ে যাচ্ছে। একদিন তাদের ডেকেও নিশ্চয়ই প্রধান মন্ত্রী পিঠা খাওয়াবেন আশা করি। জনতার নেত্রী বলেই আপনাকে আমরা জননেত্রী বলি,দেশের মঙ্গল চান বলেই আপনাকে দেশরত্মে ডাকতে ভাল লাগে। জননেত্রী হওয়ার জন্য যে মাটির মানুষের স্পর্শ প্রয়োজন, সেটা আপনার চেয়ে ভালো আর কেউ জানে না,জানবেওনা কোন দিন। জননেত্রীর ইহাই আদর্শ।এই আদর্শকেই অনুশ্মরনের কথা বলছিলাম।জননেত্রীর মানব কল্যান,জনগনের কল্যান করার অদম্য আকাঙ্ক্ষা,দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অদম্য স্পৃহাই নীতি।এই নীতিকেই অনুস্মরন করার কথা বলছিলাম। জননেত্রীর আদর্শ, উদ্দেশ্যকে সঠিক ভাবে ধারন করার মানষিকতা সম্পন্ন প্রজম্ম গড়ে তোলাই সময়ের দাবী। বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুনগত পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন আলোকিত রাজনীতির চর্চা। আলোকিত রাজনীতির চর্চার জন্য চাই সার্বক্ষনিক সময় দেয়ার মত সেই সমস্ত আলোকিত মানুষদের যারা আপনার আদর্শকে ধারন করতে পারে,মাটি ও মানূষের কল্যান কামনায় নীজের ভোগ বিলাস ত্যাগ করতে পারে।জাতির জনকের কালজয়ী দর্শনকে ধারন করে লোভ লালসার স্পৃহা অবদমন করতে পারে।আলোকীত রাজনীতি বীদদের রাজনীতিতে সার্বক্ষনিক বিচরন ছিল বলেই '৫২'৬৯'৭১'৯০ এর সৃষ্টি হতে পেরেছিল।বর্তমানের প্রজম্ম দিয়ে নিদেন পক্ষে আন্দোলন সংগ্রামের সিঁড়ি তৈয়ার করা যাবে না,তাঁরই প্রমান রেখে গেল ২০১৪--২০১৫ ইং সাল। জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয় হোক জাতির পিতার কন্যার

ছবি

অতীতের আলোকিত নেতৃবৃন্দ--বর্তমান প্রজম্ম ========≠======================== বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে পুরানো দল।দলটির মধ্যে রয়েছে অগনিত আদর্শবাদী, ত্যাগী, সংগ্রামী নেতা। অধিকাংশ নেতা সজ্জন কর্মীবান্ধব,দলের প্রতি আনুগত্যশীল।সার্বক্ষনীক রাজনীতি করার অনেক সামথ্যবান, নীতিবান নেতা কর্মীর দেখা মেলে দলটিতে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী দর্শনকে প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য লড়াই সংগ্রামের মধ্যে অনেকেই নীজের জীবন যৌবন কখন অমানিশার অন্ধকারে ঢেকে দিয়েছেন টেরও পাননি। যখন বাধ্যকের পীড়ন অনায়াসে শরীর ও মনকে আড়ষ্ট করা শুরু করেছে তখনি টের পেলেন কতবড় ঘোর স্বপ্নের মধ্যে ডুবে ছিলেন। সময়তো কারও জন্য অপেক্ষা করেনা, অসময়ে ইচ্ছা হলেও পারিপাশ্বিকতা সমর্থন করেনা। সংগতকারনে ভাই,বোন,আত্মীয় স্বজনের বোঝা হওয়া ছাড়া উপায় কি?সুতারাং অযত্ন,অবহেলায় বাধ্যক্যের জীবনে নেমে আসে এক বিভীষিকাময় অন্ধকার।নিকট অতীতের ত্যাগের গৌরবকে মনে হতে থাকে জীবনের নিমগ্মচিত্তের বড় বোকামি। আপামর জনগনের আদর্শ মানুষ আর বহু নেতা কর্মীর অনুস্মরনীয় -অনুকরনীয় হয়ে বেঁচে আছেন--ঘুনাক্ষরেও তাঁর মনে পড়েনা। অসহনীয় বাধ্যক্য সব অর্জনকে চাপা দিয়ে অভিমানকে সামনে নিয়ে আসে।তখনি কেবল নীজের জীবন, অনুসারীদের বিচ্ছিন্নতাকে মনে হতে থাকে- কেবলই অবজ্ঞা আর অবহেলা। অতীতের হাজারো মানূষের শ্রদ্ধা,ভালবাসায় সীক্ত হতে হতে কখন নীজে রীক্ত হয়ে গেলেন কস্মিনকালেও ভাবিত করেনি যাকে,সেই হয়ে যান আপনজনের আপদ। তেমনি সময় পার করছে দলটির অধিকাংশ পোড়খাওয়া নেতাকর্মী। একদা যাদের ত্যাগের মহিমায় সুন্দর সমাজ, সামাজিক সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে ধীরলয়ে,সমাজ পেয়েছে মানব সেবার দীক্ষা। মানব সেবাব্রতে জীবন উৎসর্গকারী বাধ্যক্যপীড়িত মানুষটি আপনজনের নিত্য অবহেলায় একবারের জন্যেও মনে করেনা মরেও সে অমর। কালের বিবর্তনে রাজনীতিতে সবার অলক্ষে উত্থান ঘটেছে ভোগবিলাসী, আদর্শচ্যুত, উদ্দেশ্য পরায়ন, নামবিলাসী,তৌরন সর্বস্ব নেতা কর্মীর। তাঁদের হীনমানষিকতায় তুলে নিচ্ছে জনমানবের আনুগত্যতা, সামাজিক স্থীরতা, সম্মান আর শ্রদ্ধা। চতুর্দিকে দেখা দিচ্ছে অবক্ষয়ের অন্তজ্বালা। রাজনীতি হয়ে পড়েছে বিনিয়োগের উর্বর ভূমি। অমরত্বের অদেখা গৌরবের স্থলে-স্থান করে নিচ্ছে নগদ প্রাপ্তির অহংকার। ঘৃনীত হচ্ছেন বঞ্চিত জনগোষ্টির অভিসম্পাতে। রাজনীতিকে নিয়ে যাচ্ছেন জনমানবের অগ্নিস্ফুলিঙ্গে।স্মরনে পড়েনা তাঁদের অমরত্ব সুদুরপরাহত--হয়ে আছেন মনের অজান্তে সমাজের বিষাক্তকীট, দেশ ও দশের শত্রু, পরিবারের কলংক। নামিয়ে দিতে পারলে অন্ধকারে বেঁচে যাবে দেশ, সমাজ আর সভ্যতা। এই দুষ্ট চক্রের অনেকেই আজ আসীন হয়ে আছেন সমাজের এমন এক জায়গায়,সাধারনে তাঁরা সবাই অসাধারন। আয়ত্ব করে নিয়েছেন প্রচারের সব সামাজিক মাধ্যম। নীমিষেই বৃহৎ অর্জনকে করে দিতে পারেন বিসর্জন। দিনে দিনে ফুলে ফেঁপে হয়েছেন একেকজন বটবৃক্ষ। ভুলে গেছেন অতীত,পুর্বপুরুষেরা করেছেন তাঁবেদারী, বিজাতীয় উপনিবেশিকদের। ঘুনাক্ষরেও করেনা স্মরন, বৃক্ষ হতে পেরেছেন কার অবদানে। বহুল প্রচলিত প্রবচন,ছোট লোক বড় হলে বন্ধুকে কাঁদায়। এই মহুর্তে দেশ ও জাতিকে শৃংখলায় আনায়ন একান্ত জরুরী। তাঁর জন্য চাই আদর্শবান দল।আদর্শ ভিত্তিক দল বলতে বর্তমানে একটি দলকেই বুঝায়,সে দলটি হচ্ছে ঐতিহ্যের ধারক বাহক,তৃনমুল থেকে উঠে আসা দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।যে দলের রয়েছে জাতির জনকের কালজয়ী দর্শন,ধারন করার আদর্শ, গতিশীল নীতি।এই দলের নেতা কর্মীদের জাতির জনকের রেখে যাওয়া কালজয়ী দর্শন চর্চা অপরিহায্য। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চাই মেধাবী রাজনীতিবীদ হয়ে উঠার একমাত্র উপায় হতে পারে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করা ছাড়া দলের বিকাশ সম্ভব নয় । উধ্বতন নেতৃবৃন্দের দলের অভ্যন্তরে আদর্শ ধারনক্ষম নেতাকর্মীর উত্থান ঘটাতে মনপ্রান দিয়ে কাজ করা একান্ত প্রয়োজন। নীতি আদর্শ, সৎ, ত্যাগী নেতাদের বিচরন যত দ্রুত হবে, দুষ্ট চক্রের বিতাড়ন তত নিম্নগামী হবে।আদর্শবান, ত্যাগী নেতারা যত বেশী দল থেকে দূরে সরবে জনগন তত বেশী কষ্ট পাবে। জনগন যত বেশি কষ্ট পাবে, জাতির জনকের আত্মা ততবেশী গোমরে গোমরে কাঁদবে। কারন জাতির জনকের মত আর কোন নেতা বাঙ্গালী জাতিকে ভালবাসতে পারেননি।এই জাতির জন্য তাঁর পরিবারের সমতুল্য ত্যাগ কোন বাঙ্গালী নেতা অতীতেও পারেনি,ভবিষ্যতেও পারবেনা।বাঙ্গালী জাতিরজন্য বদন্যতা, মমত্ববোধ, মহত্বতা, ত্যাগ ,রক্ত, জীবন যৌবন যাহা কিছু সব একটি মাত্র পরিবারেই দিয়েছে,সেই পরিবারটিই হচ্ছে জাতির জনকের পরিবার। এমনতর সময়ে অনুসরন,অনুকরনযোগ্য একজনই আছেন, সেই পরিবারেরই সকল গুনাবলী ধারন করে আছেন। বিশ্বের কোটি মানুষ যাঁকে অনুস্মরন করা শুরু করেছেন,অনুকরন করা শুরু করেছেন।তাঁদের জীবনকেও তাঁর মত করে সাজাতে ব্যস্ত, তিনিই জাতির জনকের জৈষ্ঠ কন্যা,বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাছিনা। জাতির জনকের কন্যা এমন কতক গুন পারিবারিক ভাবেই বহন করে চলেছেন। তিনি অতিশয় প্রচার বিমূখ একজন পর্দানশীল মহিলা।প্রচারের দায়িত্ব আমাদের। আমাদের প্রচার মাধ্যম গুলীর। প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতা ও সৌজন্যতার প্রকাশ তার সরলতায়। আমাদের দেশের মিডিয়ার দায় অবশ্যই আছে তার মহত্ব প্রচারের। তাঁর আচরনে উদারতা থাকলে তাকে জাগিয়ে রাখার। সেটা না করলে যে মহিলাটি আমাদের জন্যে এতকিছু করছেন যার শত্রু পদে পদে, তাঁর অজান্তে শত্রু শুধু বাড়ছেই। '৭১/৭৫ এর রাজাকার, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা সংগঠিত হচ্ছে দেশে বিদেশে।তাকে মর্যাদা দিতে চায়না,জাতির জনককে স্বীকার করেনা,এক সেকেন্ডের জন্য ভালো থাকতে দিচ্ছেনা। আমরা ঘরপোড়া মানুষ, বঙ্গবন্ধু শাষনামল দেখেছি। তার মতো মহান হৃদয়বান সার্থক বাঙালি একটিও নেই,অদুর ভবিষ্যতে জম্ম ও নিবেনা। পরনের লুঙ্গি, প্যান্ট, জামা, গায়ের চাদর খুলে দিয়ে দিতেন গরীব অসহায়দের।গ্রামের সাসাধারন মানুষদের জড়িয়ে ধরতেন, বাড়িতে নেতা কর্মী বা গ্রামের কেহ এলে না খেয়ে যেতে দিতেন না। তাঁকে নিয়ে কত ছলচাতুরী, কত কৌশলে তাকে ছোট করার অপচেষ্টা,তাঁর পরিবারকে হেয় করার কত অপচেষ্টা। পীঠা উৎসবের কথাই বলি।কোন নেতা,কোন দেশে,কোন আমলে মাটিতে সবার সাথে বসে আনন্দকে ভাগাভাগি করেছেন? কখনও কি কেউ দেখেছেন নাকি দেখবেন?আমাদের মিডিয়া কি এই মাটির মানুষটির পিঠা উৎসবে সমাগতদের বেশিরভাগই প্রধানমন্ত্রীকে ভালোবাসেন। তার চেতনাকে ধারণও করেন। কিন্তু সেটাই যথেষ্ট নয়। ব্যক্তিগত ভালোবাসার পাশাপাশি আদর্শের দিকটা তুলে ধরাও জরুরি। এমন এক সমাজে আমরা থাকি, এমন এক অতীত আমাদের ঘিরে আছে যেখানে পিঠা খেয়ে পিঠ প্রদর্শনে সময় লাগে না। প্রধানমন্ত্রীর মাটিতে উপবিষ্ট ছবিটির প্রচার গ্রামগঞ্জে ব্যাপক প্রচার হওয়া জরুরী ছিল। তিনি যে মাটির কাছাকাছি ও মানুষের পাশাপাশি সেটা গ্রামের মানুষের মতো ভালো কেউ বোঝবেনা। গ্রামের মানুষ তারা ভালোবাসে ও চায় বলেই আওয়ামী লীগ টিকে আছে। বারবার শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে দল জেগে ওঠার প্রেরণা পায় গ্রামের মানূষের কাছে। গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ দল বেঁধে ঝুঁকি নিয়ে ভয়ভীতি এড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের দেশকে সামনে নিয়ে যাচ্ছে। একদিন তাদের ডেকেও নিশ্চয়ই প্রধান মন্ত্রী পিঠা খাওয়াবেন আশা করি। জনতার নেত্রী বলেই আপনাকে আমরা জননেত্রী বলি,দেশের মঙ্গল চান বলেই আপনাকে দেশরত্মে ডাকতে ভাল লাগে। জননেত্রী হওয়ার জন্য যে মাটির মানুষের স্পর্শ প্রয়োজন, সেটা আপনার চেয়ে ভালো আর কেউ জানে না,জানবেওনা কোন দিন। জননেত্রীর ইহাই আদর্শ।এই আদর্শকেই অনুশ্মরনের কথা বলছিলাম।জননেত্রীর মানব কল্যান,জনগনের কল্যান করার অদম্য আকাঙ্ক্ষা,দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অদম্য স্পৃহাই নীতি।এই নীতিকেই অনুস্মরন করার কথা বলছিলাম। জননেত্রীর আদর্শ, উদ্দেশ্যকে সঠিক ভাবে ধারন করার মানষিকতা সম্পন্ন প্রজম্ম গড়ে তোলাই সময়ের দাবী। বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুনগত পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন আলোকিত রাজনীতির চর্চা।আলোকিত রাজনীতির চর্চার জন্য চাই সার্বক্ষনিক সময় দেয়ার মত সেই সমস্ত আলোকিত মানুষদের যারা আপনার আদর্শকে ধারন করতে পারে,মাটি ও মানূষের কল্যান কামনায় নীজের ভোগ বিলাস ত্যাগ করতে পারে।জাতির জনকের কালজয়ী দর্শনকে ধারন করে লোভ লালসার স্পৃহা অবদমন করতে পারে।আলোকীত রাজনীতি বীদদের রাজনীতিতে সার্বক্ষনিক বিচরন ছিল বলেই '৫২'৬৯'৭১'৯০ এর সৃষ্টি হতে পেরেছিল।বর্তমানের প্রজম্ম দিয়ে নিদেন পক্ষে আন্দোলন সংগ্রামের সিঁড়ি তৈয়ার করা যাবে না,তাঁরই প্রমান রেখে গেল ২০১৪--২০১৫ ইং সাল। জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয় হোক জাতির পিতার কন্যার

ছবি

শেখ হাসিনা সরকারের দেসজ উন্নয়নের অভুতপুর্ব উন্নতি ও অগ্রগতি------------ ============================== জিইডি সদস্য জনাব সামছুল আলম সাহেবের তথ্য থেকে--- ---------------- সাত বছরে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ৬.৩১ শতাংশ ----------------------------------- ১ কোটি ৩ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ----------------------------------- সাত বছরে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ৬.৩১ শতাংশ। ------------------------------------- বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ৭ বছরে দেশে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। এ সময়ে বাজেটে সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ কোটিরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনিক ও আইনি সংস্কারের ফলে রাজস্ব আহরণ তিন গুণ হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) গত সাত বছরের অর্থনৈতিকবিষয়ক এক মূল্যায়নে চিত্রটি উঠে এসেছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তথ্য প্রেরন করেছেন। গত সাত বছরের সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র ------------------------------------------- ৭ বছরে দেশজ আয় ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে সরকার অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ------------------------------- বর্তমান সরকারের দায়িত্ব গ্রহণকালে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫.১ শতাংশ, যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৬.৫১-এ উন্নীত হয়। গত সাত অর্থবছরের গড় প্রবৃদ্ধির হার ৬.৩১ শতাংশ। ইতিপূর্বে মাথাপিছু জিডিপি দ্বিগুণ হতে * ২০ বছর * অপেক্ষা করতে হলেও বর্তমানে মাত্র ৭ বছরে তা দ্বিগুণ করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় হয়েছে ১ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলারে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন বাজেটে সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে উন্নয়ন বাজেট ছিল মাত্র ২৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে ৯৭ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। সরকারি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, যোগাযোগ এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মতো ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামো বিনির্মাণের বিষয়গুলো। বেসরকারি বিনিয়োগও প্রায় ৩ গুণ বেড়েছে। ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৯৯ হাজার ২৭১ কোটি টাকা, '২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৯১১ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এতে বলা হয়, আলোচ্য সময়ে মোট রাজস্ব ও কর রাজস্ব তিন গুণের বেশি হয়েছে। মোট রাজস্ব আয় ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে ৪২ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা হতে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। এতে বলা হয়, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও আলোচ্য সময়ের মধ্যে ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার ৩৪৮ কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রতি ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির ফলে আড়াই লাখ দেশীয় কর্মসংস্থান বৃদ্ধি হয়। দেশে ও বিদেশে মিলে প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ নতুন কর্মসংস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এত কর্মসংস্থান আর অতীতে কখনও হয়নি। দারিদ্র্য নিরসন এ সরকারের এক অন্যতম সাফল্য। ২০০৫ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ শতাংশ যা ২০১৫ সালে নেমে আসে ২৪.৮ শতাংশে (প্রাক্কলিত)। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এ সরকারের আর এক অন্যতম সাফল্য। ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে দেশে চালের উৎপাদন হয় ২৬.৫ মিলিয়ন টন। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চাল উৎপন্ন হয়েছে ৩৪.৪ লাখ টন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। বর্তমান সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জন করেছে। অবকাঠামো উন্নয়ন বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের অনুকূলে সড়ক অবকাঠামো নির্মাণে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ৭৫০ মিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় তিস্তা সেতু, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে ৪ লেনে উন্নীতকরণ, ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে ফ্লাইওভার নির্মাণসহ উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নি:সন্দেহে বলা যায়, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কায্যক্রম ব্যাপৃত ও চতুর্মুখী।রাষ্ট্রের প্রত্যেক সেক্টরে সমভাবে উন্নয়ন অগ্রগতির এক মহা কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।দেশরত্ম শেখ হাসিনার লক্ষ আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের সাথে সামিল করা।এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও জাতি সংঘ কতৃক বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে পয্যবেক্ষনে রাখার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা করেছে।আগামী ২০২১ সালের আগেই কাংক্ষীত লক্ষ অর্জন করা যাবে বলে আন্তজাতিক মহল মনে করেন। দেশ ও জাতি এগিয়ে যাচ্ছে গানিতিক হারে, অভ্যন্তরীন রাজনীতি এগুচ্ছে জ্যামিতিক হারে। দেশরত্ম শেখ হাসিনা তাঁর প্রচেষ্টার শতভাগ উজাড় করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন জাতির জনকের আরধ্য স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অভিপ্রায়ে।যেখানে থাকবেনা ক্ষুদা,দারিদ্র,অশিক্ষা,হানাহানি,বিদ্বেষ।এমন সমাজ ব্যবস্থা গড়ার লক্ষে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন,যে সমাজে একজন মা,বোন শিশু বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেনা।এমন সমাজ কায়েমের লক্ষ নিয়ে দেশরত্ম অকালান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন,যে সমাজে কোন নাগরীক শিক্ষাহীন থাকবেনা।যে সমাজ নির্মানের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার নিমিত্তে তাঁরই জৈষ্ঠ কন্যা বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী পায়ে পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।গতি কোন অবস্থায় ধীর নহে,লক্ষ ও স্থীর। আধুনিক,বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তি নির্ভর,শিল্প সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেশ।জাতির জনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ। জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো--- জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম। শেখ হাসিনা

ছবি

প্রধানমন্ত্রী সিলেট বাসীকে দিয়ে এলেন  উন্নয়নের গতি, নিয়ে এলেন মন প্রান  উজাড় করা ভালবাসা----- =================================    মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট গমন   উপলক্ষে  সিলেট বাসীদের জন্য বেশ কিছু উপঢৌকন সাথে নিয়ে যান। সিলেট বাসীও উজাড় করা ভালবাসা দিয়ে জাতির জনকের কন্যাকে স্বাগত জানান।সিলেটের ইতিহাসে নজিরবিহীন জনসমাগমে মহু মহু শ্লোগানে শ্লোগানে আকাশ বাতাস মুখরীত করে তাঁদের প্রানের নেত্রীকে বরন করে নেন। কয়েকটি প্রকল্প উদ্ভোধন,ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও মদন মোহন কলেজের হীরক জয়ন্তি উৎসবে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার ২১/১ ২০১৬ ইং দুপুর বারটায় সিলেট গমন করেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী।   প্রধান মন্ত্রী প্রথমেই হযরত শাহজালাল ও শাহ পরানের মাজার জিয়ারত করে তাঁর দিনের কর্মসূচি শুরু করেন।এর পর মদনমোহন কলেজের হীরক জয়ন্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বিকেল চারটায় জনসভাস্থলে এসে পৌছান।ততক্ষনে জনসভাস্থল  কানায় কানায় পুর্ন হয়ে বহুতল ভবনের চাদে গাছের ডালে মানুষের অবস্থান নিতে হয়।স্মরন কালের বৃহত্তর এই জনসভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব বদর উদ্দিন আহম্মেদ কামরান সাহেব। প্রধান মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সিলেট নগরীকে সাজানো হয় অপরুপ সাজে।গুরুত্ব পুর্ন পয়েন্ট গুলিতে লাগানো হয়েছে বর্নিল রঙ বেরঙের ফুল গাছ। জনসভাস্থলে এসে প্রধান মন্ত্রী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড.এম এ ওয়াজেদ মিয়া আই,সি,টি ভবন,/আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রিড়া কমপ্লেক্স, দৃষ্টি প্রতিবন্ধি শিশুদের জন্য হোষ্টেল,জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন, এ,পি,বি,এন ব্যারাক ভবন,ওসমানী নগর থানা ভবন,৩০শয্যা বিশিষ্ট খাদিম পাড়া হাসপাতাল,বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস,সিলেট শহিদ সামছু উদ্দিন হাসপাতালকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালে রুপান্তর,সিলেট কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের কেন্দীয় লাইব্রেরী ভবন নির্মান প্রকল্পের উদ্ভোধন করেন। এছাড়াও সিলেট আউটার স্টেডিয়াম, খসরু পুর বাজার জিসি,পৈলনপুর-বালাগঞ্জ-জিসি সড়ক উন্নয়ন, হরিপুর জিসি-গাছ বাড়ী জিসি সড়ক (কানাইঘাট অংশ) উন্নয়ন,মৈয়াখালী বাজার-আর এন্ড সুইছ (বারোহাল ইউপি অফিস)ভায়া হাটু বিল মাদ্রাসা সড়ক উন্নয়ন,নারী পুলিশ ডরমেটরি উধ্বমুখী সম্প্রসারন কাজ,শাহ পরহান থানা ভবন নির্মান,মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের বিভাগীয় অফিস ও জেলা অফিস নির্মান, সিলেট বিভাগীয় ওজেলা এন,এস আই কায্যালয় ভবন নির্মান, হযরত গাজী বোরহান উদ্দিন মাজার, তিনতলা ভিত্তি বিশিষ্ট মসজিদ, মহিলাদের জন্য এবাদত খানা ও সংযোগ সড়ক নির্মান কাজ, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) সিলেট বিভাগ এবং সিভিল সার্জন সিলেট এর কায্যালয় ভবন নির্মান ও সিলেট ইলেক্ট্রোনিক সিটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা সিলেটের জনসভায়ও মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার চলমান রাখার দেত্যহীন ঘোষনা প্রদান করেন।এছাড়া তিনি আগুন সন্ত্রাসের বিচার অনুষ্ঠানের কথাও পুনরায় উল্লেখ করেন।মহু মহু শ্লোগানে সিলেট বাসি তাঁর ঘোষনাকে স্বাগত জানায়। সারা বাংলাদেশ ব্যপি চলমান উন্নয়ন অগ্রগতির অংশ হিসেবে সিলেটের উন্নয়ন প্রকল্প গুলি সরকার হাতে নেয়।প্রধান মন্ত্রীর উদ্ভোধনের মধ্যদিয়ে প্রকল্প গুলীর কাজ দ্রুত সম্পন্ন হওয়ার কাজ শুরু হল।       জয় বাংলা  বলে  আগে  বাড়ো         জয়  বাংলা         জয়বঙ্গবন্ধু         জয়তু দেশ রত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

শেখ হাসিনার সরকারের স্বাস্থ্যখাতে অভুতপুর্ব উন্নতির খন্ড চিত্র------- ======================= স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ অভুতপুর্ব উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হয়েছে।অতীতের সরকার সমুহ রাষ্ট্রের এই গুরুত্ব পুর্ন খাতকে শুধু অবহেলাই করেননি, আধুনিকায়নের নুন্যন্নতম পদক্ষেপও গ্রহন করেননি।বরঞ্চ গ্রামের হতদরিদ্র জনগোষ্টির স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার অধিকারের প্রতি লক্ষ রেখে ১৯৯৬ ইং সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে প্রতি ইউনিয়নের প্রত্যেক সাবেক বৃহত্তর ওয়ার্ডে একটি করে কমিউনিটি সেন্টার স্থাপনের প্রকল্প মাঝপথে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।২০০৮ ইং সালে জনগনের বিপুল সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে পুনরায় এই প্রকল্প চালু করে বর্তমানে সমাপ্তির পথে।গ্রামের মা বোনদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিতকরন প্রকল্পটি বন্ধ করে জোট সরকার গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের প্রতি চরম অবজ্ঞাই প্রদর্শন করেছিল তাই নয়,চিকিৎসা পাওয়ার নাগরীক অধিকার থেকে গ্রামীন জনগোষ্টিকে বঞ্চিত করে সংবিধানকেই অবজ্ঞা করেছিলেন।জাতির জনকের কন্যা ক্ষমতা গ্রহন করে গ্রামের মানুষকে তাঁদের প্রাপ্য সাংবিধানিক অধিকার আবার তাঁদের কাছে ফেরৎ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহন করেন।তাছাড়া আরো কতিপয় গুরুত্ব পুর্ন সিদ্ধান্ত সরকার স্বাস্থ্যখাতে গ্রহন করে। ১১ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ চালু করা হয়েছে।দারিদ্র সীমার নীছে ১লক্ষ পরিবারের মধ্যে স্বাস্থ কার্ড বিতরনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।পয্যায়ক্রমে দেশের সব দারিদ্র পরিবারের মধ্যে এই কার্ড বিতরন করা হবে।  বার হাজারের বেশি ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।১৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।আরো ১০ হাজার নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়া গ্রহন করা হয়েছে। ২০০৬ সালে গড় আয়ু  ছিল ৬৬.৫ বছর, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭১ বছরের ও বেশী।      নিসন্দেহে বলা যায়, কল্যান রাষ্ট্রের শর্তানুযায়ী রাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা একটি অন্যতম শর্ত।সেই কল্যান রাষ্ট্রের পথেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতির জনকের আজীবনের স্বপ্ন বাংলা দেশের কোন মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেনা।জাতির জনকের যোগ্য কন্যা সে লক্ষ বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। জাতি আশাম্বিত অচিরেই জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ দ্রুত শেষ করে তাঁর কাংখিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে অভিষ্ট লক্ষে পৌছা সম্ভব হবে।          জয় বাংলা          জয়বঙ্গবন্ধু         জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

    শেখ হাসিনার সরকারের স্বাস্থ্যখাতে অভুতপুর্ব উন্নতির খন্ড চিত্র------- ======================= স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ অভুতপুর্ব উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হয়েছে।অতীতের সরকার সমুহ রাষ্ট্রের এই গুরুত্ব পুর্ন খাতকে শুধু অবহেলাই করেননি, আধুনিকায়নের নুন্যন্নতম পদক্ষেপও গ্রহন করেননি।বরঞ্চ গ্রামের হতদরিদ্র জনগোষ্টির স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার অধিকারের প্রতি লক্ষ রেখে ১৯৯৬ ইং সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে প্রতি ইউনিয়নের প্রত্যেক সাবেক বৃহত্তর ওয়ার্ডে একটি করে কমিউনিটি সেন্টার স্থাপনের প্রকল্প মাঝপথে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।২০০৮ ইং সালে জনগনের বিপুল সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে পুনরায় এই প্রকল্প চালু করে বর্তমানে সমাপ্তির পথে।গ্রামের মা বোনদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিতকরন প্রকল্পটি বন্ধ করে জোট সরকার গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের প্রতি চরম অবজ্ঞাই প্রদর্শন করেছিল তাই নয়,চিকিৎসা পাওয়ার নাগরীক অধিকার থেকে গ্রামীন জনগোষ্টিকে বঞ্চিত করে সংবিধানকেই অবজ্ঞা করেছিলেন।জাতির জনকের কন্যা ক্ষমতা গ্রহন করে গ্রামের মানুষকে তাঁদের প্রাপ্য সাংবিধানিক অধিকার আবার তাঁদের কাছে ফেরৎ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহন করেন।তাছাড়া আরো কতিপয় গুরুত্ব পুর্ন সিদ্ধান্ত সরকার স্বাস্থ্যখাতে গ্রহন করে। ১১ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ চালু করা হয়েছে।দারিদ্র সীমার নীছে ১লক্ষ পরিবারের মধ্যে স্বাস্থ কার্ড বিতরনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।পয্যায়ক্রমে দেশের সব দারিদ্র পরিবারের মধ্যে এই কার্ড বিতরন করা হবে।  বার হাজারের বেশি ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।১৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।আরো ১০ হাজার নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়া গ্রহন করা হয়েছে। ২০০৬ সালে গড় আয়ু  ছিল ৬৬.৫ বছর, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭১ বছরের ও বেশী।      নিসন্দেহে বলা যায়, কল্যান রাষ্ট্রের শর্তানুযায়ী রাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা একটি অন্যতম শর্ত।সেই কল্যান রাষ্ট্রের পথেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতির জনকের আজীবনের স্বপ্ন বাংলা দেশের কোন মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেনা।জাতির জনকের যোগ্য কন্যা সে লক্ষ বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। জাতি আশাম্বিত অচিরেই জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ দ্রুত শেষ করে তাঁর কাংখিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে অভিষ্ট লক্ষে পৌছা সম্ভব হবে।          জয় বাংলা          জয়বঙ্গবন্ধু         জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

নাস্তিক সজ্জনেরাই আস্তিকদের ভরসাস্থল------- ================================ বাংলাদেশের রাজনীতি সচেতন জনগোষ্টি প্রত্যেকে মির্জা ফকরুল সাহেবকে চিনেন জানেন।তাঁর কথাবার্তা আচার আচরনে স্বতন্ত্র বৈশিষ্টের কারনে অনেকেই তাঁর সম্পর্কে ইতিবাচক ধারনা পোষন করেন। মির্জা ফকরুল সাহেবের রাজনৈতিক জীবনের উত্থান আমরা যাদের নাস্তিক বলে জানি,তাঁদের উদর থেকে। ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়ন দিয়ে শুরু করা রাজনৈতিক জীবন শেষ পয্যন্ত আস্তিকদের একমাত্র পাহারাদার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক পয্যন্ত অর্থাৎ সেকেন্ড ইন কমান্ডের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ছাত্রত্ব শেষ করে তিনি মহান পেশা শিক্ষকতাকে জীবন জীবিকা প্রতিপালনের মাধ্যম হিসেবে বেঁচে নেন। শিক্ষকতা করার সময় বাংলাদেশের একমাত্র নাস্তিকদের মুরুব্বি সংগঠন কমিউনিষ্ট পার্টির সাথে নীজেকে সম্পৃত্ত রাখেন। নাস্তিকের গুনাবলি সারা অঙ্গে জড়িয়ে থাকায় সারা এলাকায় তাঁর সজ্জনতার গুন পরিস্ফুটিত হতে বেশি সময় লাগেনি। সজ্জনতার এই গুনকে কাজে লাগিয়ে এরশাদের নতুন ঘোষিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে তাঁর বেগ পেতে হয়নি। জনগনের সাথে সম্পৃত্ত হওয়ার সাথে সাথে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের চাকা স্ব্যংক্রিয়ভাবে সচল হতে থাকে।পরবর্তিতে বিএনপিতে যোগ দিয়ে এমপি নমিনেশন পেয়ে অনায়াসে নাস্তিক সজ্জন ব্যাক্তিটি এমপি নির্বাচিত হয়ে সেই সরকারের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গুরুত্ব পুর্ন দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ভাগ্যবান নাস্তিক আস্তিকদের পাহারায় নীজেকে নিয়োজিত রাখতে সক্ষম হলেন।বর্তমানের অবস্থা অবস্থান দেশের প্রতিটি নাগরিকের নখদর্পনে রয়েছে।প্রধান আস্তিক পাহারাদার বেগম খালেদা জিয়া ইসলামি অনুশাষন কতটুকু পালন করেন তা আমি না বলতে চাইলেও সবাইর কম বেশি ধারনায় রয়েছে।দ্বিতীয় সর্বচ্ছো ব্যাক্তিটি হচ্ছেন সেই দলের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যাক্তি অর্থাৎ সেকেন্ড ইন কমান্ড সর্বজননন্দিত সজ্জন সুচুতুর নাস্তিক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক জনাব ফকরুল ইসলাম আলমগীর। দেশ বাসির পক্ষ থেকে এই দল এবং তাঁদের নেতাদের ধন্যবাদ দেয়া প্রয়োজন। ধর্মের ধারে কাছেও না থেকে,ধর্মের অনুশাষন নীজেদের জীবনে বাস্তবে প্রতিফলিত না করেও ধর্ম রক্ষা করার জন্য মঞ্চস্থ নাটকে যুগান্তকারী অভিনয় করতে পেরেছেন। সুন্দর সাবলিল ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন ইসলামে বাতিল উগ্রতাকে। দেশ বরেন্য আলেম উলামাদের রাজপথে নামিয়ে ভ্রান্ত নীতি অনুসরনে বাধ্য করে জনবিচ্ছিন্ন করে দিতে পেরেছেন।সুললিত অভিনয়ে ইবলিশ শয়তানকেও পরাভুত করার কারনে বিশ্ব সংস্থা সমুহের নিকট সরকারের দাবী রাখা উচিৎ আগামীর নোবেল পুরষ্কার ভাগাভাগি করে বাংলাদেশের বিএনপি,তাঁর প্রধান নেত্রী খালেদা, সেকেন্ড ইন কমান্ড জনাব ফকরুল ইসলাম সাহেবকে দেয়ার জন্য। আগামির ধর্ম রক্ষার সংগ্রামে আরো সুচুতুর প্রতারকের মঞ্চে অবতিন্ন হওয়ার পথকে সুগম করার স্বার্থে নোবেল জয় উজ্জিবিত করবে সমাজে লুকিয়ে থাকা ধর্মচোর বর্নচোরদের রাজপথে কঠিন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে। ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে পাকিস্তান সৃষ্টির পটভুমি বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, দ্বিজাতি তত্বের ধারক বাহক কেহই ধর্মীয় অনুশাষন প্রতিপালন না করে ইসলাম ধর্ম রক্ষায় ব্রতি থেকেছেন।ইসলাম ধর্মের প্রচার প্রসারে চুল পরিমান অবদান না রেখেও জনগনকে ধর্মের ঘোরে আবদ্ধ রাখার প্রয়াসে সফলতার সাক্ষর রেখেছেন।প্রতারীত করতে পেরেছেন সরল্প্রান মুসলিম উম্মাহকে।তাঁরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ইং সালে মাথায় বিশেষ টুপি পড়ে ইসলাম ধর্ম রক্ষার ধারাবাহিকতায় কুলঙ্গার মোস্তাকের মঞ্চে আর্বিভাব ঘটে।তাঁর নাটকের সফল মঞ্চায়ন করতে সক্ষম হয়েছিলেন মেজর জিয়া।তিনি বিসমিল্লাহ কৃত্তিমভাবে মুখে উচ্চারন করে ইসলামের ঝান্ডা উধ্বে তুলে ধরার মহৎ কাজকে প্রতারনার আবরনে সম্পুর্ন ঢেকে দিতে সক্ষম হন। তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে আলেম উলেমা সম্পৃত্ততা ছাড়াই রাজাকার আলবদর ধর্ম ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক মঞ্চে নিয়ে আসতে সফল হন। কুখ্যাত রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধান মন্ত্রী করে ধর্মচোরের আবহমান ধারাকে পরাভুত করে ইবলিশ শয়তানকে পরাস্ত করতে সক্ষম হন।ধর্মের আবহ নীজেদের বাস্তব জীবনে প্রতিফলন না করেও ধর্ম যুদ্ধের যে শোচনা পাকিস্তানের স্বপ্নদ্রষ্টা বিশেষ টুপি পড়ে শুরু করেছিলেন তাঁর ষোল কলা পুর্ন করেন মেজর জিয়া। তাঁরই ধারাবাহিকতা সুন্দর সাবলীল ভাবে এগিয়ে নিতে মেজর জিয়ার সহধর্মিনী পাকি সেনাকর্মকর্তাদের মনোরঞ্জনের ধারকবাহক বেগম খালেদা জিয়ার কোন জুড়ি নেই।তাঁর যোগ্য সহচর সজ্জন নাস্তিক জনাব ফকরুল ইসলাম সহ আপ্রান চেষ্টা অব্যাহত রেখে চলেছেন।প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্বইচ্ছায় বেয়াহাপনার যৌক্তিক ফতোয়া দেয়ার জন্য দেশবাসীর পক্ষ থেকে সর্বজনগ্রাহ্য তেঁতুল হুজুর খ্যাত শফি সাহেবের দরবারে আবেদন করা যেতে পারে। জামায়াতের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধে বাঙ্গালী ললনাদের নিয্যাতনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে দেয়া ফতোয়া, "যুদ্ধের সময় বাঙ্গালী রমনিদের উপর নির্যাতন জায়েজ" মত করে একটা ফতোয়ার দলিল সৃষ্টি করে রাখার জন্য সরকার উদ্যোগ নিলে ব্যাপক জনসমর্থন পাওয়া যেতে পারে। জয় হোক বিধর্মী নাস্তিক কতৃক ধর্মরক্ষার জয় হোক ধর্ম রক্ষার নামে নব নব উদ্যোগের জয় হোক প্রতারনার নতুন নতুন নীতি আদর্শের জয় হোক ধর্ম বেচাকেনার নতুন নতুন কৌশলের। জয় হোক ধর্মের নামে উগ্র ধর্মীয় গোষ্টির উত্থানের। জয় হোক জঙ্গী ধর্মীয় গোষ্টির, পবিত্র শান্তির বিপরীতে। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশ রত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

         (খোলা     আবেদন) ------------------------------------------ জয়বাংলা                                  জয়বঙ্গবন্ধু ==================≠=============== মাননীয়      প্রধান মন্ত্রী,গন প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।   জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা                           সভানেত্রী,              বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।              কেন্দ্রীয় কমিটি,ঢাকা,বাংলা দেশ।             (বিষয়:-কোটি মানুষের প্রানের সংগঠন,জাতির জনকের হাতে গড়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে লুটেরার খপ্পর থেকে রক্ষার আকুল আবেদন)    মাননীয় সভানেত্রী       যথাবিহীত সম্মান পুর্বক নিবেদন ,আপনি বাংলাদেশের জাতির জনক সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীনতার রুপকার, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জৈষ্ঠ কন্যা।আপনার সুভাগ্য হয়েছিল জাতির জনকের পরিবারের প্রথম কন্যা সন্তান হিসেবে জন্ম গ্রহন করার,যাহা কদাচিৎ কারো ভাগ্যে জোটে। বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী না হলেও  জাতি আপনার পরিবারকে চিরদিন স্মরন করবে পরম শ্রদ্ধাভরে।অতীব দু:খ্যের বিষয় আপনি ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ ইং সালে আপনার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের অধিকাংশ সদস্যকে হারিয়ে  স্বজনহারা এতিম হয়ে দু:খ্যের সাগরে সাঁতার কেটে এখনও বেঁচে আছেন।বাঙ্গালী জাতি আপনার মতই জনককে হারিয়ে দিক নির্দেশনাহীন, নেতৃত্বহীন হয়ে বিশ্ব দরবারে দুর্নীতিবাজ,লুটেরা,ভিক্ষুক, আইন অবজ্ঞাকারী,জাতিরজনক হত্যাকারি ইত্যাদি নানা অসম্মানজনক অভিধায় অভিসিক্ত হতে হতে একপয্যায়ে জাতির  ললাটের লিখন মনে করে সহনীয় করে নীজেদের প্রস্তুত করে তুলেছিল।এমন সময় পরম করুনাময় আল্লাহ আপনার মনকে বাঙ্গালী জাতির সেবায় নিবেদন করার এবং জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানের জন্য বাঙ্গালী জাতির ফরিয়াদে অনুমোদন প্রদান করে। করুনাময়ের অপার কৃপায় পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য ব্যাথাতুর হৃদয় ক্ষনিকের জন্য ইস্পাত কঠিন হয়ে দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। হতাশার সাগরে ডুবন্ত জাতি হঠাৎ সম্বিৎ ফিরে পায়,আশায় নতুন করে বুক বাঁধে। মাননীয় জাতির জনকের কন্যা,     ১৯৯১ ইং সালে আমাদের থানা আওয়ামী লীগের সাথে আপনার নির্ধারীত এক বৈঠক ছিল।সেই বৈঠকে আমারও যোগদানের সুভাগ্য হয়েছিল।আমার রাজনৈতিক জীবনের প্রথম কোন বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতার সামনে উপস্থিত হওয়া,শুধু কেন্দ্রীয় নেতাই নন জাতির জনকের কন্যা,আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। বুকে ছিল প্রচন্ড কম্পন,মানষিকভাবে ছিলাম পয্যুদস্ত, ভাবে ছিল নার্ভাসের সীমাহীন চিহ্ন।     ভয়ের সাথে সাহষের মিশ্রন ছিল বুকে। আমাদের নেতা ছিলেন আজিজুল হক মজুমদার।গনমানুষের প্রানপ্রীয় নেতা, তিনি ছিলেন সাধারন সম্পাদক। সভাপতি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, আলী আজম হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক জনাব কাজী গোলাম মাহমুদ সাহেব।আমি ছিলাম  সাংগঠনিক সম্পাদক। সেই সময়ের দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আর কোন পদ মাঝখানে ছিলনা।বয়স যদিও ২৭/২৮ এর মাঝামাঝি চেহারা এবং শারীরিক গঠনে ছিলাম নিতান্তই তরুন। দায়িত্বও পালন করছিলাম একাধিক। আমার নীজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এবং পাশের গ্রামের  হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের গুরুদায়িত্ব আমার কাঁধে। মাননীয় দু:খী মানুষের নেত্রী,     ভয় ছিল ভিন্ন কারনে,আলোচ্য বিষয়টি ছিল আমাদের তিনজনের বহিষ্কারাদেশ প্রসঙ্গে।১৯৯১ ইং সালের  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের ফুলগাজী থানা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রে রেজুলেশন পাঠিয়ে চেয়েছিলাম বর্তমানে  মীরপুরের এম,পি জনাব কামাল আহম্মদ  মজুমদার সাহেবকে আমাদের এলাকায় যেন আওয়ামী লীগ মনোনয়ন প্রদান করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস আমাদের সংসদীয় এলাকায়,তিনি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান, উচ্চ শিক্ষিত, ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ ছাত্র লীগ, ঢাকা মহানগরের নেতা ছিলেন।     আমাদের প্রান প্রীয়জেলা নেতা জননেতা জনাব জয়নাল হাজারী সাহেব উক্তরুপ  দলীয় বীধি ভঙ্গকরে কোন প্রার্থীর পক্ষে অবস্থানকে মেনে নিতে পারেননি।তিনি নমিনেশন দাখিলের আগেই আমাদের তিনজনকে বহিষ্কার করার পদক্ষেপ গ্রহন করেন। বহিষ্কারাদেশ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই আমাদেরকে আপনার সাথে দেখা করে সম্পুর্ন বিষয়টি জানানোর প্রয়োজন দেখা দেয়। আপনার পরামর্শমত জীবনবাজি রেখে নির্বাচনী কাজে দিনরাত পরিশ্রম করেছিলাম। আপনার মনে আছে কিনা জানিনা,প্রথম পরিচিতিতেই আপনি আমাকে দেখে  একরকম হতভম্বই হয়েছিলেন  (এত কম বয়সে থানা নেতা!!) । মরহুম জনাব আজিজুল হক মজুমদার সাহেবের মুখ থেকে আমার সম্পুর্ন পরিচিতি পেয়ে গর্বিত চাহনীতে আপনি অনেকক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। অনেকটা সময় পর জিজ্ঞাসা করেছিলেন কয়জন শিক্ষক, উকিল  অন্যান্ন সমমানীত পেশার সদস্য আছে বর্তমান কায্যকরি কমিটিতে? সবিস্তারে বর্ননার পর বলেছিলেন,আপনারা আপনাদের কাজ করতে থাকুন,আমি দেখব কি হয়। তাঁরপর অনেকবারই আপনার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছে,প্রথমবারের মত মিশ্র অনুভুতি আর কখনই হয়নি। দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর আপন মা বোনের সাথে দেখা হলে যেমন আনন্দে আত্মহারা হয়ে যেতাম, ঠিক আপনার সাথে দেখা হলেও একই অনুভূতিতে আপ্লুত হতাম।    প্রীয় জননেত্রী, নমিনেশনের আগে সমর্থন ব্যক্ত করায় আপনার নিকট নালীশ পৌঁছে ছিল।এখন দেখি বিদ্রোহী প্রার্থীরাও বহাল তবিয়তে আগের দাপটেই কায্যক্রম করে যাচ্ছে।তাঁদের বহিষ্কারের উদ্যোগও নেয়া হচ্ছেনা, দলীয় পদ পদবীও কেড়ে নেয়া হচ্ছেনা।অথছ আমাদের সেইদিনের বহিষ্কারাদেশকে কেন্দ্রকরে প্রতিষ্ঠিত জন নেতাকে '৯৬ এ দল সরকার গঠন করার প্রাক্কালে ঢাকার হোটেল কক্ষে নির্মম ভাবে জীবন দিয়ে তাঁর প্রায়চিত্ত করতে হয়েছিল।যার বিচার আজো ফুলগাজী বাসি পায়নি।জননেতা আজিজুল হকের ইমেজ কাজে লাগিয়ে আজও তাঁর ঘরের কোনের সহধর্মীনি ইউপি থেকে উপজেলা ভাইস চেয়ার ম্যান নির্বাচিত হয়ে আজও জনগনের সেবা করে যাচ্ছেন।এই থেকেই প্রতিয়মান হয় তিনি কত জনপ্রীয় নেতা ছিলেন। প্রানপ্রীয় নেত্রী, তাঁর পরের ইতিহাস আপনি সম্যক অবগত আছেন।কামাল মজুমদার সাহেব এখানে নমিনেশন না পেয়ে ঢাকার মীরপুরে উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে আজ ও  ঢাকার রাজনীতিতে স্থীতাবস্থায় রয়েছেন।দলের অংশ নেয়া প্রতিটি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে দলের পক্ষে নির্বাচিত হয়ে তাঁর যোগ্যতা, দক্ষতা ও পারমঙ্গমতার সাক্ষর রেখে আমাদের সেই দিনের অবস্থান সঠিক ছিল তাঁর প্রমান রেখে চলেছেন। প্রকারান্তরে সারা বাংলাদেশে আওয়ামী রাজনীতি উত্থানপতন ঘটলেও আমাদের আসন আজও আগের অবস্থানেই রয়েছে।অথছ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু অচেনা অজানা কোন এক প্রফেসারকে দিয়ে বলেছিলেন, আমি কলা গাছ দিয়েছি,তোমাদের দায়িত্ব আমার কলাগাছকে নির্বাচিত করে আনা।জনগন সেই কলাগাছকেও বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছিল। আওয়ামী লীগের সেই ঘাঁটিতে আজ ষড়যন্ত্রকারীরা বাসা বেঁধেছে। মাননীয় বঙ্গকন্যা, সেই বাসাকে ভেঙ্গে চুরমার করার জন্য তৃনমুল থেকে এক তরুন ছাত্রনেতা প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেছিল। ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত হয়ে সারা উপজেলায় নাম কিনতে সক্ষম হয়েছিলেন তাঁর কর্মগুনে। পরবর্তিতে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সারা সংসদীয় এলাকায় হৈচৈ পেলে দিতে সক্ষম হন। দ্বিতীয়বার নির্বাচনে শত বাধা উপেক্ষা করে বিপুল ভোটে আবার ও নির্বাচিত হয়ে সত্যিকারের জননেতায় রুপান্তরীত হচ্ছিলেন। নির্বাচিত হয়েছিলেন বিনা প্রতিদন্ধীতায় ফুল গাজী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে। আপনার কায্যালয়েও ঘন ঘন যাতায়াত ছিল, এলাকার উন্নয়নের ফাইলপত্র নিয়ে।আপনিও তাঁকে ভালবাসতেন পুত্রস্নেহে। আবারও অত্র সংসদীয় আসনের জনগনের ভাগ্যবিড়ম্বিত, আশাহত,স্বপ্ন ভঙ্গ হতে হল। ভাগ্যে জুটেনি এই মহান তরুন নেতাকে ধরে রাখার।দলের ভীতরে বাহিরে  ঘুপছি মেরে থাকা শত্রুরা প্রকাশ্য দিবালোকে তাঁকে কুপিয়ে,গুলী করে এবং শেষ পয্যন্ত নারকীয় কায়দায় আগুন দিয়ে কয়লা বানিয়ে দেয়। সেদিন তাঁরা একরামকে আগুন দিয়ে কয়লা করেনি, কয়লা করেছে আমাদের সংসদীয় আসন  উদ্ধারের হাজারো আওয়ামী নেতাকর্মীর স্বপ্নকে।আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে ফিরে আসার সম্ভাবনা একেবারেই নেই।জানিনা কতবছর পর আবার সেই স্বপ্ন আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা দেখতে পাবেন।     মাননীয় নেত্রী, আজকের প্রসঙ্গটি আমার গুনগানের জন্য নয়,আপনার দৃষ্টিভঙ্গি স্মরন করে দেয়ার জন্য। তখন আপনি প্রশ্ন করতে ভুলেননি কতজন উকিল, শিক্ষক বা সম্মানীত পেশায় নিয়োজিত  ব্যাক্তি কায্যকরি কমিটির সদস্য আছে?আমার জীবনের সেরা প্রশ্নের জবাব আমি সেইদিন দিয়েছিলাম। এখন কি কোন  কায্যকরি কমিটির সভাপতি /সাধারন সম্পাদককে জীজ্ঞাসার প্রয়োজন মনে করেন না?     মাননীয় নেত্রী, আমি নিশ্চিত আপনি আমার কোন কথায় রাগ করবেননা। বলার সাহষ আপনিই দিয়েছিলেন আমাকে। ১৯৯১ ইং সালে বাংলাদেশের শিক্ষিতের হার নিশয়ই ২৫/৩০পার্সেন্টের বেশী ছিলনা।তখন আপনি প্রয়োজন অনুভব করেছেন শিক্ষিত জ্ঞানী মেধা সম্পন্ন সম্মানীত নেতাদের নেতৃত্বে থাকার।বর্তমানে ৬৫/৭০ ভাগ মানুষ শিক্ষিত থাকার পরেও আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগে সুশিক্ষায় শিক্ষিত নেতার অভাব হল কেন? কি করে অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত মাস্তানেরা দলের শীর্ষপদে আসীন হয়। ইউনিয়ন থেকে জেলা পয্যন্ত কয়জন প্রকৃতছাত্র নেতা হয়ে নেতৃত্বে আছে? আপনার নিকট কি তাঁদের বায়োডাটা আছে? আমি নিশ্চিত- এত তৃনমুলের খবর রাখার সময় আপনার নেই।যাদেরকে খবর রাখার দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন তাঁরা কি সঠিক খবর আপনার নিকট পৌচাচ্ছে       মাননীয় নেত্রী,     ভাল একটা সুযোগ আপনার হাতে আছে।আগামী ইউনিয়ন নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীদের ভোটের উপর নমিনেশন ছেড়ে দিন,দেখবেন আপনার বর্তমান অশিক্ষিত মাস্তান সভাপতি/সম্পাদকেরা একজনও নমিনেশন চাইবেনা।,তাঁরা জানে আওয়ামী লীগের হাজারো নীপিড়িত কর্মীবাহিনী তাঁদের পছন্দ করেনা।যাঁরা সাহষ করে চাইবে তাঁরা অন্য সবার  শেষে তালিকায় থাকবে।প্রকৃত ত্যাগী নেতারাই কর্মীদের ভোটে জয়ী হবে।জনগনও তাঁদেরকে নির্বাচিত করার জন্য মুখিয়ে আছে।দু:খ্যজনক হল আপনার তদারকি নেতাদের দাপটে সেই সমস্ত ত্যাগী নেতারা গঠিত নমিনেশন বোর্ড়ে যাবেনা প্রার্থী হতে। এই কারনে তাঁরা কেউই নমিনেশন চাইবেনা।প্রকৃত বঙ্গবন্ধুর অনুসারী দলের পুজা ছাড়া কখনই  ব্যাক্তির পুজা করেনা। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যক্তিপুজা না করলে দলের কায্যক্রম থেকে ছিটকে পড়া সময়ের ব্যপার হয়ে যায়। আপনাকে বুঝিয়ে বলতে হবেনা,আপনি নীজেই উপলব্দি করতে পারেন।         মাননীয় নেত্রী,    আপনি জাতির জনকের কন্যা।রাজনীতিতে না থাকলেও আপনার মায্যদা দেশবাসি চিরকাল দিয়ে যাবে। বহু বছর পর জনগনের উপলব্দিতে এসেছে, জাতির জনকের পরিবার বাঙ্গালী জাতিকে ভালবেসে সাগরসম রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। মা তাঁর প্রীয় সন্তানের দরদ  মন দিয়ে অনুভব করে, মাসী সেই মন দিয়ে অনুভব করতে পারেনা। জাতির জনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ তাঁর কন্যার হাতে যত বেশী নিরাপদ থাকবে,অন্য কারো নিকট সেই নিরাপত্তা পাবেনা। বাংলাদেশের জনগন দাঁত হারিয়ে দাঁতের মার্যদা বুঝেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে,জাতির জনকের কন্যাকে, বাংলাদেশের জনগন আর কখনও বিমুখ করবেনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ছিটমহল বিনিময় চুক্তি কায্যকরের পর জনগনের চোখ খুলে গেছে।সারা জীবন শুনেছে বঙ্গবন্ধু দাসত্বের চুক্তি করে বেরুবাড়ী ভারতকে দিয়ে দিয়েছে,এখন দেখি এনেছে তাঁর দশগুন বেশী।ওরা ভারতে গিয়ে গঙ্গার কথা ভুলে যায়,জাতির জনকের কন্যা পানি এনে দেয়। সমুদ্রে আমাদের ন্যায্য অধিকার আছে ওরা কেউ কোন দিন বলতেও শুনেনী -,জাতির জনকের কন্যা আন্তজাতিক আদালতে মামলা দায়ের করে সমুদ্র জয় ছিনিয়ে এনেছে,শুধু তাই নয় বিজিত অঞ্চলে অধিকারও প্রতিষ্ঠিত করেছে।       মাননীয় দেশরত্ম,    বাংলার জনগন আপনার উপর আস্থা রেখেছে,সেই আস্থা গুটিকতক লুটেরার কারনে কালিমালিপ্ত হবে নিশ্চয়ই আপনি চাননা। সারা দেশব্যাপি চিরুনী অভিযান চালালেও ৫/৭ হাজারের বেশী মাস্তান সন্ত্রাসী খুজে পাওয়া যাবেনা। ৫/৭হাজার সন্ত্রাসীর দাপটে ১৬ কোটি মানুষ জিম্মি থাকবে?আপনি কি ৫/৭ হাজার ভোটে জয় পরাজয় নির্ধারন হবে মনে করেন? কেন আপনি লুটেরা মাস্তানদের নাকে রশি বাঁধার ব্যবস্থা করেননা।গত ১৩/১ এর দৈনীক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় অনুসন্ধান মুলক রিপোর্ট চেপেছে। সুনির্দিষ্ট করে বলে দিয়েছে কোন জেলার নেতা কি করেন।আপনার পক্ষ থেকেও তদ্রুপ অনুসন্ধান করে দেখুন, প্রতিবেদনটির সত্যতা আসলেই কতটুকু। সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দুই বছরেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করুন, যাবে ৫০/১০০ আসবে ৩/৫ লক্ষ। আপনার দলের কর্মিরা বুকের চাতি উধ্বে তুলে বলতে পারবে আওয়ামী লীগে কোন লুটেরার স্থান নেই,আওয়ামী লীগ লুটপাটে বিশ্বাস করেনা।         মাননীয় জাতির জনকের কন্যা, আপনি ভাল করেই জানেন,আওয়ামী লীগের আছে জাতির জনকের রেখে যাওয়া দেশীয় আবহাওয়া উপযোগী কালজয়ী দর্শন,দলের আছে  আদর্শ এবং উদ্দের্শ্য। অন্য যাদের দর্শন আছে তা বিদেশীদের নিকট থেকে হাওলাতি দর্শন, কারো নিকট আছে পবিত্র শান্তির ধর্ম  ইসলামকে বিকৃত করে স্বার্থ উদ্ধারের দর্শন। বাংলাদেশের জনগন আবহমান কাল থেকে বিদেশী দর্শন,বিকৃত ধর্মীয় দর্শন গ্রহন করেনি,করবেও না। দুই জাতকে বাদ দিলে অন্য কোন দলের উল্লেখ করার মত দর্শনতো দুরের কথা আদর্শ এবং উদ্দের্শ্য বলতেও কিছু  নেই। মাঝিহীন নৌকার যেমন গন্তব্য নির্দিষ্ট থাকেনা,ঐ সমস্ত দল গুলীর গন্তব্যের কোন নির্দিষ্টতা নেই। মাঝিহীন নৌকার শেষ পরিনতি যেমন ডুবে যাওয়ায় নিহীত, দলগুলীও পতন অনিবার্য্য,শুধু সময়ের ব্যপার।সুতারাং আপনি কিসের ভয় করেন,দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকার সর্বচ্ছো ব্যবস্থা গ্রহন করুন।,দলের অভ্যন্তরে ডুব দিয়ে থাকা আগাছা পরিষ্কার করার ব্যবস্থা গ্রহন করুন। মাননীয় সভানেত্রী,     চোখের সামনে দেখেছেন- চাটুকার নেতাদের কান্ড। পত্রিকর পাতায়  দেখেছিলাম, আপনার দরবারেও অনেকেই ধর্না দেয়ার সাহষ দেখিয়েছে। চক্ষু লজ্জাহীন, মেরুদন্ড হীন নেতাদের কোন বিবেক বুদ্ধি থাকেনা।স্বার্থ উদ্ধারে তাঁরা বহু কিছু করতে পারে। বিএনপি  ক্ষমতায় যখন ছিল খালেদা জিয়াকে  মাথা ন্যুজ করে ডাকতেন ম্যাডাম। বিএনপি জামায়াত জোট ক্ষনতা হারানোর  ৫/৭ বছর যেতে না যেতেই  খালেদা জিয়া স্বার্থান্বেষিদের নিকট হয়ে গেছেন মানষীক রুগী। আপনার নীজের বেলায়  আরও বড় বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে।,১/১১ তথাকথিত সংষ্কার বাদীরা দলের অভ্যন্তরে কতবড় ষড়যন্ত্রইনা করেছিল।সংষ্কারের প্রশ্ন উত্থাপন করে জনমনে দল এবং আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনা প্রতিষ্ঠার লক্ষে। ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে হাত মেলাতেও তাঁদের বিবেকে বাধা দেয়নি।" সংষ্কার যদিও একটা চলমান প্রক্রিয়া-তৎক্ষনাৎ প্রতিষ্ঠার দাবী উত্থাপন করার অর্থ আপনি নীজেই জেলের অভ্যন্তরে গিয়ে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন।"    মাননীয় দেশরত্ম,      চাটুকারদের   বিশ্বাস করতে নেই। আপনার চার পাশে, আপনার রন্ধন শালায়,গনভবনে চাটুকারের অবস্থান স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে । সত্বর তাঁদের বিদায়  করার ব্যবস্থা করুন।আওয়ামী লীগ বাঁচবে তাঁর প্রতিষ্ঠাতার রেখে যাওয়া বিশ্বের কোটি কোটি  নিপিড়ীত মানুষের মুক্তির সনদ মৃত্যুহীন দর্শনের কারনে।দিক নির্দেশনা পাবে দলটির আদর্শ এ উদ্দের্শের গতিশীল নীতি অনুসরনে।কোন নেতার ব্যাক্তি গত গুনের কারনে নয়।তাঁর প্রমান ৭৫ এর মোস্তাক গং "৭৫ পরবর্তি  কিংবদন্তি নেতা মোস্তফা মহসীন মন্টু ,ড.কামাল হোসেন।,হাল আমলে বঙ্গবীর খ্যাত কাদের সিদ্দিকী, তুখোড় ছাত্র নেতা খ্যাত মাহমুদুর রহমান মান্না ও আপনার স্নেহ ধন্য নামকরা ছাত্রনেতা জনাব মনসুর সাহেব সহ আরো অনেকে।আদর্শচ্যুত হয়ে তাঁরা এখন নর্দমার কীটে রুপান্তরীত হয়ে সর্বক্ষন স্বাধীনতা বিরুধীদের সাথে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। মাননীয় জাতির পিতার কন্যা,    আমি জানি, আমার এই আবেদন আপনার টেবিল পয্যন্ত পৌছবে।আরো জানি কারা পৌঁছাবে,কেন পৌছাবে।আমার দৃডবিশ্বাস,লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের ভীড়েও আপনি আমাকে চিনে নিতে কষ্ট হবেনা।কারন আপনি তীক্ষ জ্ঞানী,প্রখর দৃষ্টিসম্পন্ন নেত্রী,সুদুরপ্রসারী চিন্তাবীদ। লেখাটি পড়ার সময় পাবেন কিনা জানিনা। যদি আচমকা কোন প্যারার উপর চোখ পড়ে দেখবেন এক নিপীড়িত,নির্যাতীত, নীষ্পেষিত আওয়ামী কর্মীর অন্তরের মর্মবেদনার খন্ড খন্ড চিত্র। বাস্তব চিত্র আরো অনেক বেশী ভয়াবহ, আশংকাজনক।পৌর ভোটে জীতে মনে করার কোন কারন নেই,আপনার দলের নেতাদের অপকর্ম নেই।আপনার দলের নেতাদের অপকর্মের চাইতে জনগন প্রতিদন্ধী প্রার্থীর দলের দেশ বিরুধী কর্মকান্ডকে বড় অপরাধ বিবেচনা করেছে। ক্ষমতা দীর্ঘায়ীত হওয়ার পরও আপনার আলোতে আলোকীত হয়ে আপনার দলের প্রার্থীরা জীতেছে।আপনার সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে দেশের জন্য সহায়ক মনে করে আপনার মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে। এর অর্থ এই নয় তাঁরা প্রত্যেকে দুধে ধোয়া তুলসী পাতা। অতএব বিনীত প্রার্থনা,   দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির প্রশ্নে জনমনে কোন প্রশ্ন নেই,দলের নেতাদের হাত থেকে জনগনের মান ইজ্জত রক্ষা হলে আর কোন চাহিদাও জনগনের নেই।আপনার পরিবার নিয়ে চরম শত্রুও প্রশ্ন উত্থাপন করেনা।কিন্তু আপনার দলের এমন কোন নেতা নেই যে প্রশ্নবিদ্ধ নয়।এমতবস্থায় দলের অভ্যন্তরে শুদ্ধি অভিযান একান্ত অপিরিহায্য। আমি  যে ইউনিয়নে বাস করি--আমি নীজেও দেখিনি গত ৫/৭বছরে কায্যকরি কমিটির কোন সভা অনুষ্ঠান হতে। তাঁরা মনে হয় রেজুলেশন,নোটিশ খাতাও চিনেনা। কিভাবে পত্রিকার সেই অনুসন্ধানী রিপোর্ট অস্বীকার করি।    মাননীয় জনগনের প্রানের নেত্রী, উল্লেখীত বিষয়গুলী কোন অবস্থায় আমার ব্যক্তিস্বার্থ জড়িত কোন বিষয় নয়।সারা বাংলাদেশের লাখ নেতা কর্মীর অন্তরের ক্রন্দন।আশা করি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করে জননন্দিত নেতাদের নেতৃত্বে আসার পথ সুগম করার পদক্ষেপ নিয়ে বার্ধিত করবেন।                                       বিনীত নিবেদক                         ১৭/০১/২০১৬ ইং                          ফুলগাজী, ফেনী                       জয়বাংলা       জয়বঙ্গবন্ধু             জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা    

ছবি

   তথাকথিত নেতাদের কারনে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হোক--ত্যাগী নিবেদীত কর্মীরা কোন অবস্থায় মেনে নেবে না----- =================================           বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় একটা কলাম পড়ে ছিলাম গত কয়দিন আগে।সেখানে আওয়ামী লীগ নেতাদের নানাহ কায্যকলাপের বিষয় সুনির্দিষ্ট ব্যাক্তি -স্থান উল্লেখ করে বিস্তারীত আলোচনা দেখতে পেলাম।পত্রিকায় যা এসেছে তা হয়তবা শতভাগ সত্য অথবা মিথ্যা নহে,কম বেশি হতে পারে।পত্রিকার আংশিক আমি নিম্নে তুলে ধরা বাঞ্চনীয় মনে করি।পত্রিকাটি লিখেছে---এক সময় আওয়ামী লীগের জেলা পয্যায়ের নেতারা ছিল ঐজেলায় সর্বজন -শ্রদ্ধেয়। নির্লোভ সেই নেতারা রাজনীতির জন্য শুধু ত্যাগই করেছেন। কালক্রমে পাল্টে গেছে সেই রাজনীতির চিত্র। সর্বশেষ টানা সাত বছর দল ক্ষমতায়, তাই আওয়ামী লীগের জেলা নেতাদের সংগঠনের চেয়ে অন্যদিকেই মনোযোগ বেশি। কমপক্ষে দুই ডজন নেতা ক্ষমতা ভাগাভাগি ও নিজেদের আখের গোছানোয় ব্যস্ত। সরকারি-বেসরকারি জমি দখল থেকে শুরু করে জেলার সব ব্যবসা-বাণিজ্য ও নিয়োগের একচ্ছত্র আধিপত্য নিজেদের মধ্যে করে নিয়েছেন ভাগবাটোয়ারা। অন্যগুলোতে এ দুই পদের রাজনীতিকদের নাম ব্যবহার করে অহরহই হচ্ছে দখল, তদবির, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি। টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এসব ক্ষেত্রে এসেছে বেপরোয়া ভাব। দেখে বা শুনেও তারা কিছু বলছেন না বা বলতে পারছেন না। অবশ্য বেশকিছু জেলায় সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের চেয়ে ক্ষমতাসীন হয়ে বসেছেন হাইব্রিড নেতারা। তারা নিজেদের মতো করে চলছেন। তোয়াক্কা করছেন না ত্যাগী রাজনীতি-বীদদের।  বেশির ভাগ জেলায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চেয়ে এখন কদর বেশি সুযোগসন্ধানীদেরই। এমপিদের মাধ্যমে তারাই ছড়ি ঘোরাচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ওপর।   প্রতিবেদনটি হাজার হাজার আওয়ামী লীগ কর্মীর অন্ত: দহনের কথাই বলেছে।যে সমস্ত নেতাকর্মী বিশেষ করে যারা জাতির জনকের আদর্শকে আঁকড়ে ধরে সারাটি জীবন শুধু মাঠে ময়দানে আন্দোলন সংগ্রামই করেছেন,বিনিময় কখনই দলের নিকট কিছুই চাননি তাঁদের।এমন অনেক নেতাকর্মী আমার জানামতে এখনও কোনমতে বেঁচে আছেন যাঁরা দলের দুর্দিনে পৈতৃক সম্পদ বিক্রি করে দলীয় কর্মী লালন করতে গিয়ে ভুমিহীনের খাতায় নাম লিখিয়েছেন।সম্মান জনক চাকুরী হারিয়ে বাদবাকী জীবন বেকারের খাতায় নাম লিখিয়ে বৃদ্ধাবস্থায় মানবেতর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনের ১৮/২০ ঘন্টা সময়   সবার অগোচরে দলের আদর্শ প্রচার ও প্রসারে  নিবেদিত রেখেছেন।অনেকেই স্বজন  হারানোর বেদনা নিয়ে প্রতিনিয়ত দলের মঙ্গলে নীজকে রেখেছেন ব্যপৃত।  মিথ্যা মামলা জেল জুলুম সহ্য করেও আদর্শচ্যুত হননি কখনও।সারা দেশে এমন লাখ লাখ নেতাকর্মী বুকের অন্তদহনে জ্বলে পুড়ে চারখার হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এমন নেতাকর্মী আছে  আমি জানি চিনি,ভাল সম্পর্কে সম্পর্কিত আছি বহু আগে থেকে ২০০৮ ইং সালে নতুন প্রজম্মের উত্থান লক্ষ করে আত্মতৃপ্তিতে তাঁদের বসার জায়গা  দিয়ে নীজে রাজনীতি থেকে স্বেচ্চায় অবসর নিয়েপ্রতিনিয়ত দলের মঙ্গল কামনায় সময় কাটান।    আমি স্বীকার করি আওয়ামী লীগ বুর্জোয়া সংগঠন। জেলা উপজেলার নেতা হলে ব্যাবসা করা যাবেনা তাও নয়।দল ব্যাবসা করার জন্য অনুপ্রেরনা দেয়। স্বাবলম্বী না হয়ে রাজনীতি করা বা সমাজ সেবা করা যায়না সত্য কথা।তবে সেই ব্যবসা কোন অবস্থায় অবৈধ পথে, জোর করে, জবরদখল করে নয়।দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কোন কাজে জেলা উপজেলার নেতারা জড়াতে পারেন না কোন অবস্থাতেই।     রাজনীতির ধ্যানধারনার মধ্যে পার্থক্য এসেছে ইহা বাস্তব।বর্তমানের কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতাই  কোননা কোন ব্যবসা বানিজ্যের সাথে সম্পৃত্ত রয়েছেন।সার্বক্ষনিক রাজনীতি করেন এমন নেতা কোন দলেই খুঁজে পাওয়া যাবেনা।অথছ বেশীর ভাগ নেতাই সার্বক্ষনিক রাজনীতিতে থাকার কথা ছিল।'৭৫এর পট পরিবর্তনের আগেকার সময় সার্বক্ষনিক নেতাদের বিচরন রাজনীতিকে মুখরীত করে রেখেছিল।সম্মান শ্রদ্ধাও ছিল অন্য যে কোন পেশার চাইতে অনেক বেশী।     গুনধর, কালচশমাধারী,তথাকথিত মেজর জিয়ার, "রাজনীতিবীদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে দেব"     ------------------------ জতীয় কর্মসুচী। সেই  কর্মসূচী এমন সূক্ষভাবে পরিচালনা করাহয় যার ফলে সার্বক্ষনিক রাজনীতি এবং রাজনীতি বীদদের কবর রচনা করে পুর্নজম্ম ঘটিয়েছে রাজাকার, আলবদর,সেনা -কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী টাউট,বাটপার, কালোবাজারি নানা শ্রেনীর পঁচাগন্ধময় সমাজের কাল কীট পতঙ্গ গুলীর।       আওয়ামী লীগের লাখ লাখ ত্যাগী নিবেদিত কর্মীরা জানে উত্থিত হাইব্রীড,তথাকথিত লুটেরা শ্রনীকে স্বল্প সময়ে নিয়ন্ত্রন করা যাবেনা।২১ বছর আগে রুপিত বীজ পরিচর্যা, বিদেশী ভিটামীনের অবাধ ব্যবহারে  বটবৃক্ষ আকার ধারন করেছে,শীকড় অনেক গভীরে নিয়ে গেছে।ইচ্ছা করলেই জাতির জনকের কন্যা এর শিকড় উপড়ে ফেলতে পারবেন না। সর্বমহলে গনতান্ত্রিক চর্চার যে লক্ষন  ইতিমধ্যে ফুটে উঠেছে তাঁর ধারাবাহিকতা  যদি সচল থাকে এদের শিকড় উপড়াতে  সময় লাগবে উত্থানের অর্থেক সময় মাত্র।     আশার কথাটি হচ্ছে ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন রাজনীতিবীদদের হাতে রাজনীতির চাবি তুলে দেয়ার লক্ষে।(১)স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ও মনোনয়ন।(২)আওয়ামী লীগে বহিরাগত সন্ত্রাসী মাস্তান লুটেরাদের অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর নিশেদাজ্ঞা জারী। (৩) নির্বাচনে পেশীশক্তি,কালটাকার ব্যবহার রোধে নির্বাচন কমিশনকে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী করে আইন পাশ,আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নীজ দলীয় প্রার্থীদের বিগত পৌর নির্বাচনে চাড় না দেয়া।     অন্যসব পদক্ষেপ গুলী বিবেচনায় না এনেও উল্লেখীত তিনটি পদক্ষেপকে সুষ্ঠ ও কঠোর দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রতিপালন করা গেলে অচিরেই গনতন্ত্রের সুফল প্রত্যেক নাগরিকের ঘরের দরজায় টোকা দিবে বলে আমার বিশ্বাস।তৃতীয় নম্বার সঠিক ভাবে সরকার অনুসরন করার কারনে নগদেই তাঁর সুফল জনগন পেতে যাচ্ছে।বিএনপি একরকম সিদ্ধান্ত নিয়েই রেখেছে আগামী মার্চের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তাঁর দল এবং জোট অংশ গ্রহন করবে।শাষক দল আওয়ামী লীগ এবং জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার জন্য ইহা  কত বড় অর্জন তা কল্পনাও করা যায়না।তৃতীয় পদক্ষেপটির ব্যপারে সরকার যদি আন্তরীক না হতেন, পৌর নির্বাচনে এতবড় বিপয্যয়ের পর বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য সরকারকে ঘাম ঝরাতে হত তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।     "যাহাই হোকনা কেন,আওয়ামী লীগের সেই সমস্ত  ত্যাগী নেতাদের সাত্বনা দেয়ার মানষে আমার এই লেখনি নয়।আমার লেখনি তাঁদের জন্য যারা ফসল রোপন না করে জোর পুর্বক রোপিত  ফসল নিয়ে যাচ্ছে তাঁদের উদ্দেশ্যে।তাঁদের প্রতি অনুরুধ থাকবে,আমার ভুমিতে এসেছেন, প্রয়োজনে  আমার ঘরেও বসেন আপত্তি নেই বরং  খুশী  হব -- কিছু নিয়ম কানুন যে ভাই আগে থেকে আমি পালন করি,  তাযে আপনাকেও   মেনে  চলতে হবে --;"                   জয়বাংলা        জয়বঙ্গবন্ধু              জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা          

ছবি

  রাজনৈতিক দল বাঁচে আদর্শ ও দর্শনে--নেতার ব্যাক্তিত্বে  কখনই নয়--- ============================== স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতিকে বর্তমান সরকারের গনতন্ত্রের অভিযাত্রায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই ব্যবস্থায় তৃনমুল পয্যায় থেকে নেতৃত্ব উঠে আসার পথ যেমনটি সুগম হল অপর পক্ষে অরাজনৈতিক ব্যাক্তিদের উচ্চপয্যায়ের রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের আত্মীয়তার সুত্রে, অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকার গরিমা,কালটাকার বৈধ ব্যবহারের ইচ্ছায় বা অন্য যে কোন উপায়ে রাজনৈতিক পদ সমুহ দখল করে ত্যাগী প্রকৃত দেশদরদী,জননন্দিত নেতাদের অপমান অপদস্ত করার পথ রুদ্ধ হল।স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনীধির স্তর সমুহের সর্বচ্ছো পদটি জনগনের নির্বাচিত প্রতিনীধির মাধ্যমে পুরন করার বিধান কায্যকর প্রত্যেক গনতান্ত্রিক দেশেই রয়েছে। বাংলাদেশেও ইহার ব্যাতিক্রম নহে বরঞ্চ বিশ্বের বহু গনতান্ত্রিক দেশে অনেক ক্ষেত্রে নির্বাচিত প্রতিনীধির অস্তিত্ব না থাকলেও বাংলাদেশে অস্তিত্ব বিদ্যমান রয়েছে।যেমন আমাদের দেশের পাড়া মহল্লায় যে সমস্ত ক্লাব বা সংঘ আছে সেখানেও নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচালনা কমিটি করার বিধান অনেক আগে থেকে প্রচলিত আছে।আমাদের শিক্ষার প্রাথমিক স্তর সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয় সমুহ সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদান্তের কমটি বিদ্যমান আছে।অন্য অনেক দেশে এই ব্যাবস্থার অস্তিত্ব দেখা যায়না।সরকারি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি কমিটি কতৃক পরিচালনা করা যায় তাঁরা বিশ্বাসও করেনা।আমাদের দেশে কিন্তু এইরুপ তৃনমুলে উক্ত কমিটি সমুহ সফলভাবেই তাঁদের কায্যক্রম চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকেই। বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হওয়ার অভিজ্ঞতা নতুন বিধায় প্রাথমিক অবস্থায় জনমনে সংশয় বিদ্যমান ছিল। নির্বাচন নিয়ে জনমনে কৌতুহল, সংশয় আর ভয় কম ছিল না। কৌতুহল, সংশয় আর ভয়ের বহুবিদ যুক্তিসংগত কারন ছিল।'৭৫ইং সালের পটপরিবর্তনের পর থেকে সামরিক সরকার সমুহ গনতন্ত্রের নাম ব্যবহার করে কৌশলে ক্ষমতা ধরে রাখার মানষে প্রথমেই আমাদের প্রতিষ্ঠিত নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া গ্রহন করে। নির্বাচনে আমদানী করে পেশীশক্তি, কাল টাকার অবাধ ব্যবহার। ভোট কারচুপি করে সামরিক সরকার সমুহের পদলেহিদের নির্বাচিত করার নতুন নতুন  কৌশল,যা তাঁর আগে কেউ কল্পনাও করেনি।পাকিস্তানের অন্তভুক্ত থাকার সময় মৌলিক গনতন্ত্রের সীমিত(মেম্ভার,চেয়ারম্যান ভোটার) ভোটারের ভোটে ও কোনদিন এইভাবে ব্যালট চিনতাই,ব্যালট কেটে নির্ধারীত প্রার্থীর পক্ষে সীল মারার উদাহরন ছিলনা।প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া থেকে নির্বাচিত হওয়া পয্যন্ত দলীয় চাপ থাকা সত্বেও ব্যর্থ নির্দলীয় আবহ সৃষ্টির কৌশল অবলম্বন করে মুলত জনগনের সাথে প্রতারনাই করে যাচ্ছিল সরকার সমুহ।উক্তরুপ প্রতারনার জাল চিহ্ন করে শেখ হাসিনার সরকার দলীয় প্রতীক এবং দলের মনোনয়নে নির্বাচনের বিধান করে জাতিকে প্রতারনার হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তাছাড়াও দল সমুহের জনসমর্থনের ব্যারোমিটার উঠানামা করার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র তৃনমুল পয্যায়ে বসিয়ে রাজনৈতিক  দল সমুহকে তাঁদের কর্মকান্ডের ভালমন্দ দিকগুলীর ব্যাপারে জনগনের মতামত বা ধ্যানধারনার বিষয়ে  সতর্ক করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।রাজনৈতিক দল গুলীর ভুল সংশোধন করে নেয়ার জন্য চুলচেরা বিশ্লেষনে সময়ব্যায়ের তেমন কোন প্রয়োজনীয়তাও থাকলোনা।যেহেতু জনগনই সকল ক্ষমতার মালিক। জনকল্যান যদি রাজনীতির মুল উদ্দেশ্য হয় তাহলে জনগন যখন যাহা চাইবে রাজনৈতিক দলগুলিও সেইমতেই তাঁদের আন্দোলন সংগ্রাম, জোট,মোর্চা ইত্যাদি করার সহজ পথ খুজে নিতে পারবে।      গত ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের আগে -সকল নির্বাচনে ভোটের পর বলা হত কে কত পৌরসভায় জিতেছে। দাঙ্গাহাঙ্গামা,কারচুপি ইত্যাদির দায়বহন না করে জয়ী প্রার্থীদের সুফল ভোগ করার অনৈতিক চর্চা হয়ে আসছিল। ৫ই জানুয়ারী ২০১৬ ইং সাল থেকে অনৈতিক ভাবে সুফল ভোগের দিন শেষ হয়ে সুফল কুফলের দায়ভার রাজনৈতিক দল সমুহের কাঁধে নেয়ার যুগ শুরু হল। প্রথমিকভাবে শুরুটা অত্যান্ত সুন্দর সাবলীল আনন্দময় হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।যেহেতু সকল দল ও জোট নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছে,কোন দল বা জোটের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট ভাবে কারচুপি বা জবরদখলের মত অভিযোগ অদ্যাবদি উত্থাপিত হয়নি। ধরেই নেয়া যায় নির্বাচন সুষ্ঠ সুন্দর প্রতিযোগিতা মুলক,দাঙ্গা হাঙ্গামাহীন হয়েছে।নির্বাচন কমিশন যে সমস্ত কেন্দ্রে গোলযোগের অভিযোগ পেয়েছেন- সেই সমস্ত কেন্দ্রে পুন:নির্বাচনের ঘোষনা দিয়ে ভবিষ্যত নির্বাচন আরো সুষ্ঠ করার আরো অবাধ করার অঙ্গিকারই ব্যাক্ত করেছেন বলে আমি মনে করি। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় আওয়ামী লীগ শুধু জয়লাভই করেনি, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।  আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করবে এ ব্যাপারে আমি যেমন আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, তেমনি জনগণও ছিলেন বলে ধরে নেয়া যায়। যদিও অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিএনপির দিকে পাল্লাটা ভারি করে রেখেছিলেন, এই বলে যে যদি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়(চোরের মনে পুলিশ পুলিশ)। এখন তারা কী ভাবছেন টকশোতে এসে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে দেখা যাচ্ছেনা।   বিএনপির শোচনীয় পরাজয় ও আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ে আমি হতবাকও হইনি আশ্চর্যও হইনি। একটু আতংকিত ছিলাম এইভেবে ক্ষমতাসীন দলের কিছু নগদ বদনাম থাকে,(এটা শুধু আমাদের দেশে নয়,প্রত্যেক দেশেই)সেই সমস্ত বদনাম যদি জনগন বড় করে দেখে তবে জয়লাভ করা আওয়ামী প্রার্থীদের কষ্টকরই হবে।অথচ ভোটের পর লক্ষনীয়ভাবে দেখা যায় আওয়ামী লীগের হাইব্রিড নেতাদের  ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অপরাধ গুলী বিএনপি জোটের জাতিগত অপরাধের তুলনায় অনেক ক্ষুদ্রই মনে করেছে জনগন।  জনগন স্বতস্ফুর্ত ভাবে ভোট দিয়েছে,আওয়ামী প্রার্থিরা বেশ ভালভাবেই জয়ী হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে দেখা গেছে বিএনপি প্রার্থীর জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যেমন সুনামগঞ্জ পৌরসভা এবং সিলেটের কানাইঘাটে বিএনপি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আমরা যদি একটু পেছন ফিরে তাকাই তাহলে কী দেখতে পাই? বিগত মহাজোট সরকারের সময় যতগুলো সিটি নির্বাচন হয়েছে সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, গাজীপুর সবখানেই বিএনপির প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। সর্বশেষ ঢাকা সিটির দুই অংশ এবং চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনেও দেখা গেছে দুপুর পর্যন্ত চট্রগ্রাম ও ঢাকা উত্তরে বিএনপির প্রার্থী মঞ্জুর আলম ও তাবিথ আউয়াল ভালোই করেছিলেন। নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে হয়তো ফলাফলে ভিন্নতাও ঘটতে পারতো।    আমাদের স্মরন রাখা প্রয়োজন এবং অতীতের এইধরনের বহু উদারহরন দেয়া যেতে পারে বড় ধরনের কোনো রাজনৈতিক ভুল করলে বা ভুল রাজনৈতিক মতাদর্শের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা দল সময়ের ব্যাবধানে বিলিন হবেই। জনসম্পৃক্ততা হারালে ও একটি ব্যাপক জনসমর্থন ভিত্তিক দলের এরকম পরিণতি হতে পারে। যেমন হয়েছিল মুসলিম লীগের ক্ষেত্রে। মুসলিম লীগ  দ্বি-জাতি তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল তা ছিল ঐতিহাসিকভাবে ও বাস্তবতার আলোকে ভুল একটি রাজনৈতিক তত্ত্ব। কেননা, হিন্দু-মুসলমান হলো একটি সম্প্রদায় বা গোষ্ঠী (ধর্মীয় দিক থেকে)কোনো জাতি নয়। ধর্মের ভিত্তিতে কোনো ধরনের জাতি-গোষ্ঠী গড়ে উঠতে পারে না। ধর্মীয় জাতিগত  হলে পাকিস্তান উৎপত্তির প্রথমেই ইসলামী শাষন রাষ্ট্রব্যাবস্থা দেখা যেত।কিন্তু তা হয়নি,হয়েছে বিদখুটে গনতন্ত্রের আবরনে সেনা শাষনের উর্বর রাষ্ট্রব্যাবস্থা।রাষ্ট্রের উচ্চপয্যায়ে কোন আলেম উলামা অথবা ধর্মীয় জ্ঞানে সমৃদ্ধ কোন নেতাকে দেখা যায়নি।ধর্মীয় শাষনের নিমিত্তে নেয়া কোন পদক্ষেপ কস্মিনকালেও চোখে পড়েনি।তাহলে ধরেই নিতে পারি,দ্বি-জাতিতত্বের দর্শন মানুষকে সাময়িক অন্ধকরে স্বার্থ হাসিলের অপকৌশল ছাড়া আর কিছুই না।জনগনের এই ভুল তত্বের মাজেজা বুঝতে বা অন্ধত্ব কাটতে সময় লেগেছে ২৩ বছর। একটি জাতি-গোষ্ঠী গড়ে উঠার মূলে হলো ভাষা ও সংস্কৃতিগত মেলবন্ধন। ভাষা সংষ্কৃতির মিল অমিলের ব্যাবধানে একাদিক রাষ্ট্র ব্যাবস্থা গড়ে উঠার উদাহরন নেহায়াৎই কম নহে। ধর্মীয় ভাবে(একই ধর্মের অনুসারি) গড়ে উঠেছে এমন উদাহরন কি আছে? পঁচাত্তরের পনেরো আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে মদদ দিয়ে, পরবর্তী সময়ে নিজে সেনাপ্রধান হওয়া এবং নানা নাটক মঞ্চায়ন, মুক্তিযুদ্ধে অংশনেয়া সহকর্মী এবং অধীনস্ত মুক্তিযুদ্ধাসেনা কর্মকর্তা-সৈনিকদের হত্যা, নানা ষড়যন্ত্র করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার শীর্ষ পদে আসীন হন জিয়াউর রহমান। তিনি দেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হলেও ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী রূপ দেয়ার মানসে গড়ে তুলেন বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি। যার রাজনৈতিক দর্শন হলো বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। যা দ্বি-জাতি তত্ত্বের মতোই অবাস্তব। ""উল্লেখ করতে চাই বাংলাদেশে বসবাসরত একজন মানুষ কি পাওয়া যাবে  জাতিগত ভাবে বাংলাদেশী? বাংলাদেশী জাতি বলতে কোন অস্তিত্ব কি কোথায়ও আছে? রক্তে মাংসে, কৃষ্টি সংষ্কৃতি,ভাষা, আচার আচরন সব কিছুতেই আমাদের বাঙ্গালীর মর্জাগত অভ্যেসের চিহ্ন ফুটে উঠবে।   আমাদের আবাস ভুমির নাম বাংলাদেশ। যে দেশটি ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানী দখলদারদের বিরুদ্ধে এক অসম যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে জয়ি হয়ে অর্জন করেছিলাম।সেই দেশটির নাম রেখেছিলেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।এই দেশটির বয়স মাত্র ৪৫ বছর।আমাদের বাঙ্গালির জম্ম কখন কিভাবে কোথায় কেমন করে হল তাঁর সঠিক তথ্য কি কেউ দিতে পারবে? একদিন একবছর পাঁছবছরে কি বাঙ্গালি হয়ে জম্মগ্রহন করেছি।এই কারনইতো আমরা  সবাই বলি হাজার বছরের বাঙ্গালি। দেশভিত্তিক জাতীয়তা পৃথিবীর কোথাও নেই।দেশ অনেক আছে,দেশের অভ্যন্তরে অবশ্যই জাতিবেদ বিদ্যমান রয়েছে।দ্বিজাতিতত্ব যেমন উদ্ভট একটি ধারনা তেমনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী ধারনাও উদ্ভট, প্রতারনামুলক, মরিচিকার উৎকৃষ্ট উদাহরন ছাড়া আর কিছুই নয়।উদ্ভট দর্শনের প্রকাশ ঘটিয়ে মেজর জিয়াউর রহমান দলে সমাবেশ ঘটান সব সুবিধাবাদী-ক্ষমতা লোভীদের। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী-যুদ্ধাপরাধীদেরও স্থান হয় সে দলটিতে। দেশের প্রধানমন্ত্রী করা হয় প্রথম শ্রেণির রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানকে। জিয়াউর রহমান প্রকাশ না হওয়া তথাকথিত  ক্লিন ইমেজকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক জনসমর্থনও আদায় করতে সক্ষম হন। যার ফল এখনো দলটি ভোগ করছে। অন্যদিকে পঁচাত্তরে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগের ভাঙাচোরা অবস্থা, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, দেশের কতিপয় মিডিয়া মাফিয়া ও সুশীল নাগরিকদের আওয়ামী লীগ বিরোধী প্রচারণা, ভারত বিরোধী প্রচারণা, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনযন্ত্রের সহযোগিতা, ধর্মীয় রাজনৈতিক দল বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামাতের প্রত্যক্ষ সমর্থনে(আমেরীকা ও পাকিস্তানের মদদে) একটি ভুল রাজনৈতিক দর্শনের উপর গড়ে উঠেও দুর্দান্ত প্রতাপে দীর্ঘ দুই দশক দেশ শাষন করে। দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকার কারণে দলটি সমাজে একশ্রেণির সুবিধাভোগী গোষ্ঠীও গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। দলটির তখনকার ব্যাপক জনপ্রিয়তার পেছনে  বড় কারণ হলো জিয়াউর রহমানের তথাকথিত অপ্রকাশিত  ‘ক্লিন ইমেজ""।    উদ্ভট জাতীয়তাবাদের ধরনের মুল তত্ব যতই জনমনে সন্দেহের বহি:প্রকাশ ঘটাতে থাকে ততই তাঁদের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার নতুন নতুন ফন্দি। যার ফলশ্রুতি ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার, ২০০৮ সালের নির্বাচন ও বিএনপি-জামাত জোটের শোচনীয় পরাজয়। তারেক-কোকোর মুচলেকা দিয়ে দেশত্যাগ। দুর্নীতিতে নিমর্জিত জিয়া পরিবার ২০০৮ সালের চরম পরাজয়ের পর আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ নিতে পারেননি। ক্ষমতা হারানোর জ্বালা, মামলা-মোকদ্দমা থেকে বেগম জিয়া নিজে ও তার পুত্রকে রক্ষা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য খালেদা জিয়া একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিতে থাকেন। জনগণের উপর আস্থা হারিয়ে খালেদা জিয়া সন্ত্রাসের পথ বেঁচে নেন। আর তিনি যতই সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতিতে ঝুঁকেন ততই তার জামায়াত নির্ভরতাও বাড়তে থাকে। ফলে দলটি হয়ে পড়ে সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন। আর জনগণের প্রতি আস্থাহীনতাই খালেদা জিয়াকে ১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনে বাধ্য করে। তিনি বেছে নেন জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুনের পথ। কোন ধরনের সাংগঠনিক প্রস্তুতি ছাড়াই ডাক দিয়ে বসেন অনির্দিষ্টকালের অবরোধের। তিনি বেছে নেয় স্বেচ্ছা অবরোধবাসিনীর বেশ আর ঘোষনা করতে থাকেন লাদেন স্টাইলে  মানুষ খুনের ফরমান। পেট্রল বোমায় শত শত মানুষ হত্যা করেও যখন অবরোধ সফল করা যায়নি তখন কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই( অবরোধ প্রত্যাহার) বাসায় চলে যান।  সত্যিকার অর্থে দেশে অবরোধের কোনো প্রভাব না পড়লেও দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারিরা প্রত্যহ অবরোধের স্বাপ্নিক কাহিনী প্রচারে সামান্যতম অলসতার স্বাক্ষর রাখেননি।   করেছিলেন যদি কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা যায় তাহলে সেনাবাহিনী এবং বিদেশী কোনো শক্তি দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতার পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে। বিপ্লবের প্রধান নায়িকা সেজে আওয়ামী লীগ নিধনে রাষ্ট্র যন্ত্রকে শতভাগ ব্যাবহার করা যাবে।তাঁর পুত্রদ্বয়ের ক্ষমতা ধরে রাখার স্বাধ দীঘ দিনের জন্য পুর্ন করা যাবে। খালেদা জিয়া যদি জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুনের রাজনীতির দিকে না গিয়ে জনগণের উপর আস্থা রেখে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিতেন এবং যুদ্ধাপরাধী দল জামাত ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় ব্রতী না হতেন, তাহলে ক্ষমতায় ফিরে না আসার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও অন্ততপক্ষে সংসদে বিরোধীদলের আসনে বসতে পারতেন এবং পরবর্তী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারতেন।  ভুল তত্ব দিয়ে পাকিস্তানীরা ২৩ বছর শাষন শোষন করতে পেরেছিল, জিয়া পরিবার বাংলাদেশের অধিবাসি হয়ে উদ্ভট "বাংলাদেশী তত্ব" দিয়ে আরো বেশি সময় শাষন করতে পারতেন অবশ্যই, পতন ছিল অবশ্যাম্ভাবি।মানুষ যতই শিক্ষিত হত ততই উদ্ভট তত্বের জারিজুরি প্রকাশ হত।একসময় উদ্ভট তত্বের অসারতা প্রমানীত হলে অসম্মানজনকভাবে বিদায় নিতে হত হয়তোবা। পৌর নির্বাচনে বিএনপির যে দৈন্যদশা ফুটে উঠেছে, সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে মনে করিনা।দলটি আদৌ টিকে থাকতে পারবে বলেও আমি বিশ্বাস করিনা। গনতন্ত্রের স্বার্থে হয়তোবা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের দরজা বন্ধ করে সাময়িক রক্ষা করতে পেরেছেন।বিবেকবান নতুন প্রজম্মের চোখে যত বেশি প্রতারনার দর্শন "বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ" চোখে পড়বে,মেধায় মননে ঘোরপাক করবে- ততই " প্রতারক দল " মনে করে জনবিচ্ছিন্ন হতে থাকবে দলটি। অনেকেই মনে করেন দলটির আজকের পরিণতির জন্য বেগম জিয়া ও তার পুত্রের ভুল রাজনীতিই মূলত দায়ী। আমি তাঁদের সহিত সর্বান্তকরনে দ্বিমত পোষন করি।তাঁদের ভুলের কারনে হয়তোবা পতন ত্বরান্বিত হয়েছে, পতন ছিল অবশ্যাম্ভাবি।ভুল,প্রতারনামুলক দর্শন বা রাজনৈতিক তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা বিএনপি নামক দলটি স্বার্থবাদি তত্বের ধারক মুসলিম লীগের পরিণতি বরণ করাই রাজনৈতিক বাস্তবতা। ব্যাতিক্রমে অধিক ভাগ্যগুনে টিকে থাকা হবে জাতির জন্য দুর্ভাগ্যের নির্মম রাজনৈতিক পদস্থলন।                জয়বাংলা      জয়বঙ্গবন্ধু              জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

আস্তিকের সাথে নাস্তিকের সহবস্থান যেমন সম্ভব নয়,তেমনি রাজাকারের সাথে মুক্তিযোদ্ধার সহবস্থান সম্ভব হতে পারেনা-------- ================================ প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখার বিষয়ে যে দৃঢ়তা প্রকাশ করেছেন, তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা মনে করি, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো ধরনের বিতর্কের সুযোগ নেই। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা সর্বদা সমুন্নত রাখতে হবে। সারা দেশের মানুষ, বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে পরিচিত করানো না হলে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারবেনা। বিশ্বে এমন কোন স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশ নেই, যে দেশের দায়িত্বপুর্ন রাজনৈতিক দলের নেতা বা বুধিজীবির মুখ থেকে তাঁদের দেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে বিরুপ কোন মন্তব্য করে।অবশ্য অনস্বিকায্য যে বাংলাদেশের ন্যায় বিশ্বের কোন দেশ নেই যে দেশ তাঁদের স্বাধীনতার জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করেছে।বাঙালি জাতি এত ত্যাগ স্বীকার করেও স্বাধীনতা পেল তাঁর পর ও স্বাধীনতা নিয়ে বিরুপ মন্তব্য নতুন প্রজম্মকে শুনতে হবে এর চেয়ে দু:খ্য জনক আর কি হতে পারে।একটা প্রতিষ্ঠিত বিষয় স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর বিতর্ক উত্থাপন করার কারন কি হতে পারে তাও ক্ষতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব,মুক্তিযুদ্ধ,জাতিরজনক, জাতিয় সংসদ,জাতিয় কবি,জাতিয় পতাকা,জাতিয় পশু, জাতিয় ফুল,শহিদের সংখ্যা,ইজ্জত হারানো মা বোনের সংখ্যা ইত্যাদি যাহা কিছুই নির্ধারীত হয়ে গেছে স্বাধীনতার পরবর্তিতে তা নিয়ে বিতর্ক উত্থাপন কোনকালেই বাংলাদেশের অধিবাসি কোন নাগরিকের পক্ষ থেকে উত্থাপন হতে পারেনা। নয়মাসের যুদ্ধ, এককোটি শরনার্থীর মানবেতর জীবন যাপন,৩০লক্ষ শহীদের জীবনদান,প্রায় পৌনে চার লক্ষ মা বোনের ইজ্জত,বহু সম্পদের হানী,দীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রাম, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীনতার স্বপ্ন দ্রষ্টা সফল রুপকার বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগারে রেখে যে নতুন একটি দেশের অভ্যুদয় হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে,সেই নবাগত দেশের নতুন নাগরিকদের আবেগ কেমন ছিল তা কি লিখে বুঝানো যাবে? আজকে আমরা যে দেশটিতে বসবাস করে গর্ব করতে দ্বিধা করিনা,দেশপ্রেমে উদ্ভোদ্ধ হয়ে জনগনের সেবার মানষিকতা নিয়ে রাজনীতিতে ঝাপিয়ে পড়ি সে দেশটা যদি এখনও উপনিবেশিক শাষন শোষনের যাঁতাকলে পিষ্ট থাকতো -এই সুযোগ কি আমাদের বর্তমান রাজনীতিবীদদের কারো ভাগ্যে জুটতো? যে দেশটি নিয়ে সারা বিশ্বে অলোড়ন চলছে যদি সেই দেশের নাগরিক না হয়ে সাবেক পাকিস্তানের নাগরিক হতাম তাহলে কি তাঁদের সাথে আমারাও অসভ্য দেশের নাগরিক হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত হতামনা? মুক্তিযুদ্ধের শহিদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক উত্থাপন করেছেন বেগম খালেদা জিয়া।তিনি বেশ ভাল কাজই করেছেন আমি মনে করি।এই বিষয়টিকে কোন অবস্থায় চাপা না দিয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হতে থাকাই মঙ্গল হবে। স্বাধীনতা বিরুধী রাজাকার আলবদর ইস্যুটি জিইয়ে রেখে স্বার্থান্বেষি মহল সব সময় পানি ঘোলা করে মাছ ধরার চেষ্টা লক্ষ করেছেন দেশবাসি। নতুন প্রজম্মের চাওয়া পাওয়ার মুল্য দিতে গিয়ে মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচারের জন্য ট্রাইবোনাল গঠন করে বিচার অনূষ্ঠিত হচ্ছে।বিষয়টি স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর সুরাহার পদনির্দেশনা পেয়েছে বলে জাতি উৎফুল্ল চিত্তে দেশ গড়ায় মনোযোগ দিতে পেরেছে।দেশও ইতিমধ্যে কাংখিত লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছে। এমনি মহুর্তে শহিদের সংখ্যা বিতর্ক উত্থাপিত হয়েছে জাতির ভাগ্যগুনে। এরই সাথে অন্যান্য বিষয় ( উপরে উল্লেখিত বিষয়) সমুহ সংযুক্ত করে জাতিয় বিতর্ক অনুষ্ঠিত হতে থাকুক। অচিরেই সমাধান পেতে হলে বিতর্ক উত্থাপন জরুরি। কোন জাতিয় ইস্যু নিয়ে বিতর্ক রেখে জাতিয় উন্নয়ন সম্ভব নহে।এই প্রসঙ্গে আমি কয়টি উদাহরন আপনাদের অবগতির জন্য তুলে ধরতে চাই। বর্তমান বিশ্বে ইসলাম ধর্ম অধ্যুষিত অনেক দেশই আছে,ইসলামী শাষন আছে এমন একটি দেশও নেই? ইসলামি শাষন কায়েম হলে অন্য ধর্মালম্বিদের আলাদা কর দিয়ে বসবাস করার অধিকার অর্জন করতে হত। যেমন নবী করিম (স) এর সময়ে" জাজিরা"নামক একটি আলাদা করের ব্যাবস্থা করে দিয়েছিলেন। খোলাফায়ে রাশেদীনের সময় পয্যন্ত আইনটি বলবৎ ছিল।একক ধর্মীয় শাষনের দেশে নাস্তিকের কোন স্থান নেই।নাস্তিক শুধু ইসলামে ঘৃনিত তা নয়,সকল ধর্মেই নাস্তিক বিদ্যমান,সকল ধর্মেই তাঁরা ঘৃনিত। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে জার্মানের নাৎসি বাহিনী হেরে গেলে, নাৎসী দলকে জার্মানীতে রাজনীতি করার উপর নিষেদাজ্ঞা দেয়া হয়,যা আজও বলবৎ রয়েছে। নাৎসি সমর্থকেরা কি সেই দেশ শাষনে প্রতিনিধিত্ব করার আজও সুযোগ পেয়েছে? বিশ্বে এমন কোন দেশের নাম কি আমাকে জানাতে পারবেন,যেই দেশের স্বাধীনতা,সার্বভৌমত্বের বিরুধী দল সেই দেশের রাজনীতিতে বিদ্যমান আছে? বা সেই দেশের জনগনের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাচ্ছে? যদিও আমাদের মত ত্যাগের স্বাধীনতা কোন জাতির নেই। না কোথাও নেই।তাহলে বাংলাদেশে কেন স্বাধীনতা বিরুধীরা রাজনীতিতে থাকবে? কেন সরকারে অংশ গ্রহন করার সুযোগ পাবে? তাঁরাতো স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের উৎপত্তি চায়নি। শুধু তাই নয়, আস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সেনানী মুক্তি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে রনাঙ্গনে সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল।যে দেশ তাঁরা চায়নি সে দেশের নাগরিকত্ব কি ভাবে, কোন আইনে, কোন নৈতিকতায় চায় তাঁরা? সরাসরি যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া সংগঠন জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকার কি ভাবে পেল? কেন পেল? ইত্যাদি সকল বিষয় জাতিয় বিতর্কে ছেড়ে দিয়ে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মুক্তি যুদ্ধের মিমাংসীত বিষয় সমুহ নিয়ে বিতর্ক উত্থাপন কারিরা, স্বাধীনতা বিরুদীরা, বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকবে কি থাকবেনা তা জনগনই সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকারি। উপরে উল্লেখিত বিষয় অর্থাৎ জাতির জনক,শহীদের সংখ্যা,জাতিয় পতাকা ইত্যাদি বাঙ্গালি জাতির অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন যার কাছ থেকেই আসুকনা কেন তাকেই দেশদ্রোহি হিসেবে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা কি অন্যায় হবে। যে সমস্ত দল উল্লেখিত বাঙ্গালি জাতির অস্তিত্ব,গৌরবের নিদর্শন সমুহ মান্য করে রাজনীতি করবে তাঁরাই জনগনের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে, অন্যথায় নয়। সে যে গোত্রের, যে বংশেরই হোক স্বাধীন দেশে তাঁর প্রশ্ন উত্থাপন হতে পারেনা। যেমনি ভাবে আস্তিকের সাথে নাস্তিকের বসবাস সম্ভব নয় তেমনি স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ীদের সাথে পরাজিত শক্তির সহবস্থান হতে পারেনা। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বর্ষপুর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষন নতুন প্রজম্মকে  উজ্জিবীত করবে------- =======================   বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা গতকাল তাঁর সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের দুই বছর পুর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ায় ভাষন দিয়েছেন।ভাষনে মুলত তাঁর সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতি,বিএনপি জামায়াত জোটের নাশকতা ইত্যাদি বিষয় সংক্ষিপ্ত অথছ যুগ উপযোগি জনচাহিদার কথামালার পরিস্ফুটন ঘটিয়েছেন।আমার  এই ছোট্র জীবনের শুনা রাষ্ট্র পরিচালকদের দেয়া ভাষনের মধ্যে অন্যতম সেরা নীতি নির্ধারনী শ্রেষ্ঠ ভাষন হয়ে অনেক দিন মনে থাকবে আরো অনেকের।       এই প্রথম দেখিছি কোন প্রধান মন্ত্রী তাঁর কাজের প্রতি এত আস্থাশীলতা পোষন করে বক্তব্য দিতে।বক্তব্যের দৃডতা,নীতি আদর্শের প্রতি আনুগত্যতা, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার বাস্তবায়নের প্রতি একাগ্রতা স্বাধীনতার পক্ষের প্রতিটি নাগরিককে উজ্জিবিত করবে নি:সন্দেহে।মুক্তিযুদ্ধের নতুন প্রজম্ম দেশপ্রেমে উদ্ভোদ্ধ হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের জাল বোনার দিকনির্দেশনা পাবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।বিশেষ করে ভাষনের শেষ পয্যায়ের ইঙ্গিত পুর্ন বক্তব্যের লাইনটি ২০০৮ সালের নতুন প্রজম্মের দেড় কোটি ভোটার যে আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মহা জোট সরকারকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে সরকারে বসিয়েছিলেন তাঁদের নতুন করে  আশাম্বিত করবে। মহাজোট নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া অঙ্গিকার সরকারে এসে শতভাগ বাস্তবায়ন বিশেষ কিছু সেক্টরে অঙ্গিকারের চেয়েও অগ্রগামিতা দেশবাসিকে যেমন উৎফুল্ল করেছে,বিশ্ববাসিও বাংলাদেশের প্রতি তাঁদের দীর্ঘ দিনের লালিত নীতি আদর্শে পরিবর্তন এনে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের নীতির সাথে সামঞ্জস্যপুর্ন  নীতি গ্রহন করে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে নীজেদের সম্পৃত্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এই মহুর্তে সাক্ষাৎ উদাহরন দিতে পারি বিশ্বমোড়ল আমেরিকার।২০১৪ সালের পর থেকে ২০১৫ সালের বিএনপি জামায়াত জোটের জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচির মৃত্যুর আগ মহুর্ত পয্যন্ত বাংলাদেশ সংক্রান্ত তাঁদের নীতি, আদর্শ ভুমিকা এবং তৎপরিবর্তি সময় থেকে অদ্যাবদির ভুমিকার বিশ্লেষন করলেই আমার কথার সত্যতা পাওয়া যাবে আশা করি।   মহাজোট সরকার তাঁর অঙ্গিকার অনুযায়ী মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার অনুষ্ঠান করে যেমন নতুন প্রজর্ম্মকে দেয়া অঙ্গিকার পুরন করে আস্থা অর্জন করে চলেছেন তেমনি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং তাঁ্র মিত্র জামায়াত সহ বিশ দলীয় জোট তাঁদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে নতুন প্রজম্মের ভোটারদের আস্থা ও বিশ্বাস চরম ভাবে ভুলন্টিত করে তাঁদের সমর্থন হারিয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত। ঘাতক-দালাল-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়ার কারণে জামায়াত ২০১২ সাল থেকেই চরম সংকটকাল অতিক্রম করছিল। সব মিলিয়ে ২০১৪-এর নির্বাচনে অংশ নেয়াটা বিএনপির জন্য শুভকর, নাকি অশুভকর ছিল, তা বুঝতে তাদের সময় লেগেছে ২০১৪ থেকে ২০১৫ সাল। ২০১৫ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদপূর্তি উপলক্ষে বিএনপি চেয়েছিল এই সরকারকে কুপোকাত করে ফেলবে।'৭৫ এর ন্যায় সব মিশনকে তাঁরা মাঠে নামিয়ে একই পদ্ধতিতে সরকার পতনের কৌশল গ্রহন করে।নৈরাজ্য সৃষ্টির মানষে তারা লাগাতার আন্দোলনের ডাক দেয়।তাঁদের বিশ্বাস ছিল চরম ডান,চরম বামের স্বাধীনতা পরবর্তি ক্যান্টনমেন্টে বসে সরকারি অর্থ অস্ত্র ব্যাবহার করে মেজর জিয়ার গঠিত মিশনগুলী এখনও যথাযথ দায়িত্ব পালন করে বিপ্লব ঘটাতে পারবে। খালেদা জিয়াকে তাঁর অফিস কক্ষ থেকে এনে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবেন।বিপ্লব করে জনতা তাঁকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়েছেন নাটক সাজিয়ে আওয়ামী লীগের উপর চরম নির্যাতনের ষ্টিম রোলার চালিয়ে কেয়ামত পয্যন্ত ক্ষমতায় বা রাজনীতিতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে তার চিরস্থায়ী ব্যাবস্থা পাকাপাকি করে দিয়ে যাবেন।তাঁর স্বামী যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা দখল করেছিলেন ঠিক একই প্রক্রিয়ায় তাঁর ক্ষেত্রেও চলমান রাখার মানষে অপপ্রচারের বিষয় সমুহ সাব্যস্ত করে রেখেছিলেন।    অপপ্রচারের হাতিয়ারের মধ্যেও তেমন পার্থক্য দেখা যায়না।(এক)একনায়কতন্ত্র বাকশাল প্রতিষ্ঠা (দুই)ধর্মদ্রোহিতা বা নাস্তিকতাকে সামনে এনে প্রপাগান্ড অনেকদুর এগিয়ে রেছিলেন।    উদ্দেশ্য সাধনে প্রথমেই নির্ধারীত সাধারন নির্বাচনে অংশ না নিয়ে একতরফা নির্বাচন করার সুযোগ করে দেয় আওয়ামী লীগকে।এই উদ্দেশ্যে তত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে আইন পাশের সময়ে সংসদে থেকেও তাঁরা তেমন কোন প্রতিবাদ বিক্ষোব বা প্রতিহতের কোন কর্মসুচি গ্রহন করেনি।পরবর্তিতে একদলীয় শাষনের কালিমা লেপনের ব্যর্থ্য চেষ্টা অবশ্যই দেশবাসি প্রত্যক্ষ করেছেন। (দুই)মুক্ত চিন্তার লেখক ব্লগার একদিনে সৃষ্টি হয়নি।নাস্তিকতাও একদিনের সৃষ্ট কোন বিষয় নয়।কেউ ইচ্ছা করলেই একদিনে লিখক, সাহিত্যিক,সাংবাদিক হতে পারেনা।দীর্ঘ দিন লেখালেখি করেও গনমানুষের পাঠ উপযোগি লিখায় অভ্যস্থ হওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়না।আওয়ামী লীগ সরকারের ৩/৪ বছরের মধ্যে তাঁরা জম্মগ্রহন করে বড় বড় নাস্তিক হয়ে গেছেন এইরুপ চিন্তধার জনমনে প্রোথিত করার মানষে তাঁদের প্রচার প্রপাগান্ড অব্যাহত রাখে।এই উদ্দেশ্যে আমাদের দেশের সম্মানীত আলেম উলেমাদের মাঠে নামাতেও তাঁরা সক্ষম হয়।কয়েকজন লিখক ব্লগারকেও হত্যা করে তাঁর প্রমান সংগ্রহ করে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। তাঁদের সেই চেষ্টা বন্ধ হয়ে গেছে এমনটি কিন্তু নহে।সুযোগ পেলেই তাঁরা আবার সেই পুরাতন অবিলাষে পিরে যাবেনা এমনটি ভাবা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নহে।মোট কথা ষড়যন্ত্রের নতুন নতুন সুতার জাল বিচাতে চেষ্টার কোন কমতিই ছিলনা।আমাদের সুশৃংখল সেনাবাহিনিকেও এই ষড়যন্ত্রে সম্পৃত্ত করতে পেরেছিল অবিশ্বাস্বভাবে।তাঁর প্রমান পাওওয়া যায় সেনা বাহিনীর প্রতি খালেদা জিয়ার ন্যাক্কার উক্তি,""সেনা বাহিনী বেঈমান"" থেকেই।   ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ কেমন ছিল- তা ভুলে যাননি এ দেশের মানুষ। ২০১৪-এর জানুয়ারি থেকে ২০১৫-এর জানুয়ারি পর্যন্ত বেশ কিছু বড় কাজের গোড়াপত্তন করেছিল শেখ হাসিনার সরকার। আগের মেয়াদের কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন উন্নয়নের ঘোষণাও দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। দেশীয় খরচে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে দেখিয়েছিলেন অদম্য সাহস। এই এক বছরে আন্তর্জাতিক ফোরামের যতগুলোতে অংশ নিয়েছে এর সব কটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জয়ী হওয়া ১৪ ফোরামের মধ্যে আছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যপদে জয়। এ ছাড়া অক্টোবরে সংসদীয় গণতন্ত্রের দুই শীর্ষ বৈশ্বিক সংস্থা ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) ও কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) যথাক্রমে প্রেসিডেন্ট ও চেয়ারপারসন পদে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ। এসব অর্জন বাংলাদেশের প্রজন্মকে আরো উদ্যমী করে তোলে। ওই এক বছরেই দেশীয়-আন্তর্জাতিক রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ছয়জন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় ঘোষিত হয়েছে। ছয়জনের বিরুদ্ধেই ঘোষিত হয়েছে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের রায়। আর এই ছয় শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী হচ্ছে- আলবদর প্রধান মতিউর রহমান নিজামী, মীর কাসেম আলী, জাহিদ হোসেন খোকন ওরফে খোকন রাজাকার, মোবারক হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার ও এ টি এম আজহারুল ইসলাম। কারাগারের অন্ধপ্রকোষ্ঠে মৃত্যুর প্রহর গুনেছে শীর্ষ রাজাকার শিরোমণি মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে সাকা চৌধুরী(পরবর্তিতে রায় কায্যকর)। সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থেকেই মৃত্যুবরণ করেছে একাত্তরের ঘাতক শিরোমণি গোলাম আযম, ঘাতক আবদুল আলীম এবং বিচার চলাকালীন মারা গেছেন রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা এ কে এম ইউসুফ। এই দাবিটি ছিল দেড় কোটি নতুন ভোটারের। যারা ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোট দিয়ে মহাজোট সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। তাই তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার কোনো সুযোগ আওয়ামী লীগের ছিল না।তাঁদেরকে দেয়া অঙ্গিকারের সাথে বেঈমানি করেনি বিদায় তাঁরাও নেত্রীর পাশ থেকে এক কদমও সরে যায়নি।ফলে দেশে বিদেশে যত ষড়যন্ত্রই হয়েছে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সরকারের  তেমন বেগ পেতে হয়নি। নতুন প্রজম্মের দৃড অবস্থানের উপর ভর করে সরকার অত্যান্ত দৃডতা ও সাহষের সংজ্ঞে সব মোকাবেলা করে আজকের অবস্থানে এসে পৌঁছে জাতির উদ্দেশ্যে যুগান্তকারি দিকনির্দেশনা পুর্ন ভাষনটি দিলেন। তাঁর ভাষনের অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে বিজ্ঞজনেরা অবশ্যই চুলচেরা বিশ্লেষন করবেন।ভাষনটি বিশ্লেষন করা জাতির জন্য দেশের জন্য,আগামী প্রজম্মের জন্য একান্ত কাম্য।বিশেষ করে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তর করার যে স্বপ্ন তিনি জাতিকে দেখিয়ে যাচ্ছেন তাঁর বাস্তবতা, সত্যাসত্য পুংখ্যানুপুংখ্য ভাবে আলোচিত হওয়া প্রয়োজন।প্রত্যেক দেশপ্রেমিক লিখক, সাংবাদিক,বিশ্লেষক এই বিশ্লেষনী কর্মে অংশ নিয়ে দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন বলে আশা রাখি।আমি কিঞ্চিত বলার লোভ সামলাতে না পেরে যোগ্যতা না থাকা সত্বেও মতামত ব্যাক্ত না করে পারছিনা।প্রধান মন্ত্রীর ভাষন থেকে পাওয়া,আমার ভাল লাগা কয়টি বিষয় নিম্নে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৪ ডলার থেকে বেড়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে হয়েছে ১ হাজার ১৯০ ডলার। মূল্যস্ফীতিতে ছিল নিম্নগতি। যদিও এই নিম্নগতি ছিল ধীর, তবু ক্রমাগত মূল্যহ্রাস ভোগ ও বিনিয়োগকে উদ্বুদ্ধ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা সরবরাহে যথেষ্ট সতর্ক অবস্থানে ছিল বলেই প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির সন্তোষজনক সংখ্যা বেরিয়ে এসেছে। রপ্তানিতে একই গতি বছরজুড়ে না থাকলেও বছর শেষে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছিল। বিদেশ থেকে অর্থ প্রেরণের পরিমাণেও ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। বৈদেশিক মুদ্রার বর্তমান মজুদ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২ হাজার ২৩২ কোটি ডলার। এরকম অনেক বিষয়ই লেখা যাবে। তারপরও ২০১৫-এর শুরুতে বিএনপি-জামায়াত জোট যে জ্বালাও-পোড়াও করেছিল তা ভুলে যাননি দেশবাসী। এমনকি পরীক্ষার্থীরা রেহাই পায়নি এই জ্বালাও-পোড়াও থেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে বলেছিলেন, ‘যখন এ পরীক্ষাটা হয় তখন বাংলাদেশে একটি বৃহৎ সমস্যা চলছিল। এটি ছিল মনুষ্য সৃষ্ট। সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। যেদিন থেকে পরীক্ষা শুরু, আগে থেকে হরতাল তো ছিলই এর সঙ্গে অবরোধ যুক্ত হলো। এরপর শুরু হলো মানুষ খুন করা। হরতালের নামে গাড়িতে আগুন লাগিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারা।’ দেশের মানুষের বর্তমান মনমানষিকতায় পরিষ্কার বার্তা প্রদান করেছে, দেশের মানুষ এই সত্য কথাগুলো গ্রহণ করেছিলেন। আর করেছিলেন বলেই ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ দেশের বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা নিরপেক্ষ,কারচুপিহীন,দাঙ্গাহাঙ্গামাহীন পৌর নির্বাচনে জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে ধিক্কার দিয়েছে বিএনপি-জামায়াতি মৌলবাদী রাজনীতির প্রতি। তারা জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি না করলে তাদের ভোট ও মেয়রের সংখ্যা আরো বাড়ত নিঃসন্দেহে স্বতন্ত্র দলের সাথে প্রতিদন্ধিতার হাত থেকে অন্তত রক্ষা পেতেন। সন্দেহ নেই, বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে মুসলিম লীগের পরিণতির দিকে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে তাদের মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িকতা,ধর্মকে যত্রতত্রভাবে ব্যাবহার করে জনগনের রসাত্মক আলোচনার খোরাকে পরিনত হওয়া।ধর্ম কর্ম না করে,ধর্মের বিপরীতে জীবন যাপনে অভ্যস্থ থেকে জনগনকে ধর্মের কথা বলা ধর্মের সাথে মোনাফেকি ছাড়া আর কিছুই নয়। ইসলাম ধর্মালম্বি প্রত্যেক মানুষের মুখের লব্জ "বিছমিল্লাহ হির রাহ মানির রাহিম"আয়াত টুকু শুদ্ধ করে যে নারী বলা আজ পয্যন্ত শিখতে পারেনি তাঁর মুখে ধর্ম রক্ষাকরার অঙ্গিকার জনগন ভালভাবে গ্রগ্লহন করেনি। বাংলাদেশে ডানপন্থী একটি দলের চাহিদা আছে তা বুঝতে পেরেছিলেন জিয়াউর রহমান,তাই তিনি মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে তাঁদের দিয়ে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা দখল করতে পেরেছিলেন।তিনি যাদের দিয়ে দলটি শুরু করেছিলেন এদের কেউই কিন্তু ধার্মিক ছিলেন বা আলেম ওলামা গোত্রের ছিলেন বা ধর্ম বিষয়ে বিশেষ পান্ডিত্যের অধিকারি একজনও ছিলেন বলে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না। তারপরও তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতার দখল করেছিলেন। দীর্ঘমেয়াদি শাসন চেয়েছিলেন। একই কায়দা অনুসরণ করেছিলেন ম্যাডাম খালেদা জিয়া। তিনি এক ধাপ এগিয়ে রাজাকার কমান্ডারদের মন্ত্রী করেছিলেন। আজ ইতিহাসের কাছে তিনি সেই মাসুলই দিচ্ছেন। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে আইটি, গার্মেন্টস, বৈদেশিক মুদ্রা, ওষুধ শিল্প এবং কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। এটা সম্ভব করেছে শেখ হাসিনা সরকারের প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা। তা না মেনে কোনো উপায় নেই। বিএনপি-জামায়াত ৫ জানুয়ারি এলেই হয়তো গোলযোগ করার কথা ভাববে। কিন্তু এ দেশের মানুষ এখন আর ‘আইওয়াশ’ পছন্দ করছেন না। তারা এখন গুগল সার্চ দিয়ে জানতে পারছেন অনেক কিছুই। এটা জাতির বিবেকের অনেক বড় অর্জন। আর এই অর্জন এনে দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার। বিএনপি ভোটের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে কিনা তা সময়ই প্রমাণ করবে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর যে কথাটি আমার মত অনেককেই আপ্লুত করেছে তা হল--‘''গণতন্ত্র ও উন্নয়ন বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্ব সহ্য করতে পারে না। মানুষ শান্তিতে থাকবে, হাসিমুখে জীবন যাপন করবে, তা ওদের সহ্য হয় না। ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে বিএনপি-জামায়াত দেশে সন্ত্রাস, সহিংসতা শুরু করে।’ ওই সময় ২৩১ জন আগুনে পুড়ে নিহত এবং পেট্রলবোমায় ১১৮০ জন আহত হয়। এ ছাড়া দুই হাজার ৯০৩টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, ১৮টি রেলগাড়ি ও আটটি লঞ্চে আগুন দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।'' -বিএনপির এই কালিমা মুছে ক্ষমতার রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারবে কিনা তা সময়ে বলে দিবে। পরিশেষে বলতে চাই,বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে,মহান নেতা,সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি,জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অভিষ্ট লৈক্ষপানে,তাঁরই জৈষ্ঠকন্যা বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার  হাত ধরে। এই অগ্রযাত্রা রুখার সাধ্য কারোনেই, থামানোর কোন মন্ত্র কাউকেই দেননি মহান সৃষ্টি কর্তা।     জয়  আমাদের হবেই হবে জয়বাংলা      জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু  দেশরত্ম শেখ হাসিনা।  

ছবি

দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে দৃশ্যমান উন্নয়নের ঈর্ষনীয় অগ্রগতির খন্ডচিত্র------- ==============================   আজ ১২ জানুয়ারী, ২০১৫ সালের আজকের এই দিনে আওয়ামী লীগ সরকার দেশী বিদেশী ষডযন্ত্রের মোকাবেলা করে দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার পরিচালনা করার জন্য শফথ গ্রহন করে।বিএনপির নেতৃত্বে বিশদলীয় জোট নির্বাচন বর্জন করে লাগাতার সহহিংশতার রেশ তখন আরও বিস্তৃত আকারে প্রবাহমান।চরম অস্থিরতার মধ্যে সরকার গঠন করে প্রথমেই আইন শৃংখলা উন্নতির দিকে মনোযোগ প্রদান করে সরকার।অবশ্য ২/৩ মাসের মধ্যেই খালেদা জিয়া তাঁর  আন্দোলনের কর্মসুচি প্রত্যাহার না করেই মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে আর অফিস কক্ষমুখী না হয়ে বাসভবন মুখী হলে জ্বালাও পোড়াও,আগুন সন্ত্রাসের আন্দোলনের মৃত্যু ঘটে।আণদোলনের দাফন কাপন করার আগেই নির্বাচন কমিশন কতৃক ঘোষিত হয় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন।নির্বাচনে ৪১ দিনের আগুনের কুন্ডুলী ততদিনে ঘুরপাক খেয়ে জনমনে ক্ষোবের বর্ণি শীখায় বিস্তৃতি ঘটায়।বিশদলের নেত্রী দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঢাকার রাজপথে ভোট চাইতে গেলে জনগনের অন্তরের বর্নিশীখা খালেদা জিয়ার প্রতি বর্ষিত হতে থাকলে নির্বাচনী প্রচারনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন।    ইতিমধ্যে মহাজোট সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও অগ্রগতির অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ বিশ্ব রাষ্ট্র সমূহের একমাত্র সংস্থা জাতি সংঘ ও তাঁর অঙ্গ,সহযোগি সংস্থার পক্ষ থেকে ২৭টি আন্তজাতিক পুরষ্কারে ভুষিত হয়ে ষড়যন্ত্রের রাজনীতির দাফন কাপন সম্পন্ন করতে সক্ষম হন।বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্র সমুহ ৫ই জানুয়ারীর সাধারন নির্বাচনে আনীত অভিযোগ উন্নয়ন,অগ্রগতির  ম্যাজিক জোয়ারে ভেসে যাওয়ায় তাল হারিয়ে  সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যেতে থাকে। নির্বাচন নিয়ে কোনপ্রকার উচ্চবাচ্য না করার সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরকার অভ্যন্তরীন আইন শৃংখলা পুনদ্ধার করে প্রসাশনিক ভীত লৌহ কঠিন করে নিতে সক্ষম হয়। বিদেশী বন্ধুরাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের -সরকারের প্রতি জনগনের আস্থা শতভাগ অটুট আছে বুঝাতে, স্থানীয় সরকারের নির্বাচন" দলীয় মনোনয়ন ও প্রতিকে "করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাও সফলভাবে আইনে রুপান্তর করে বাস্তবায়ন করে।বিরুদীদলের পক্ষ থেকে কোনরুপ বাধা না আসায়, নিদেনপক্ষে সকল বিরুদী দল ও জোটগত ভাবে সমম্বিত কড়া ভাষায় নেতিবাচক কারন উল্লেখপুর্বক ন্যুনতম বিবৃতি না আসায় শেখ হাসিনা ধরেই নিয়েছিলেন তাঁর কৌশল বিএনপি জামায়াত জোট আঁচ করতে পারেনি।    হঠাৎ করে জনমত জরিপ ছাড়াই জনগন সম্পৃত্ত দেশ ও জনগনের জন্য অতীব গুরুত্ববহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এই রুপ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত কেন নেয়া হচ্ছে দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক দল সমুহ যদি বুঝতে না পারে, তাঁদের কি রাজনীতি করার বা জনগনের পক্ষে কথা বলার আদৌ কোন অধিকার থাকে? প্রত্যেকটি দেশেই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তেমন মাথা না ঘামালেও স্থানীয় সরকার নিয়ে মাথা ঘামায়না এমন একজন নাগরিকও খূজে পাওয়া যাবেনা।কারন স্থানীয় সরকারে প্রত্যেক নাগরিকের ভালমন্দ,আত্মীয় স্বজন,স্থানীয় রাজনীতি, গোত্রদন্ধ,আঞ্চলপ্রীতি ইত্যাদি নানা বিষয় জড়িত থাকে।অতীতেও দেখা গেছে জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি তেমন না হলেও স্থানীয় নির্বাচনে তাঁর উলটো ফল। রাজনীতিতে অপরিপক্ষ বিরুদী দল কোনভাবেই আঁচ করতে না পেরে সরকারের পাতানো জালে আটকা পড়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষনা প্রদান করেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিশ দলীয় জোট  নির্বাচনে চরম বিপয্যয় ঘটিয়ে দল ও জোটের  ভরাডুবি ঘটায়। অতীতের সকল নির্বাচনের রেকর্ড ভঙ্গ করে সরকার ও জনমতের প্রকৃত মতামত প্রতিফলন দৃশ্যমনান্তে সাধ্যনুযায়ী  কারচুপিহীন নির্ভেজাল নির্বাচন উপহার দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখে সফল হয়।দেশি বিদেশি ভোট পয্যবেক্ষক দল সমুহ তেমন উল্লেখযোগ্য নির্দেশিত কোন অভিযোগ আনুষ্ঠানিক ভাবে আনতে পারেনি। ফলত:বিগত নির্বাচন সমুহ নিয়ে বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্র সমুহ যেইহারে তাঁদের নেতিবাচক মতামত প্রদান অব্যাহত রাখতেন এইবার তা থেকে অনেকটাই বিরত রয়েছেন।অবশ্য নির্বাচনও সরকারের কাংখিত কারচুপিহীন ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে,যে সমস্ত কেন্দ্রে গোলযোগের খবর বার বার বিরুদীদল উত্থাপন করেছেন সরকার কোন বিতর্কে না গিয়ে, সেই সমস্ত কেন্দ্রে আজ ১২/১ ইং মঙ্গলবার উপনির্বাচনের ঘোষনা দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে যাচ্ছেন।শেষ খবর পাওয়া পয্যন্ত এখনও লাইনে মানুষ আছে,ভোট গ্রহন সুষ্ঠ ভাবেই সম্পন্ন হচ্ছে। এইখানেও সরকারের নীতি নৈতিকতার বড় বিজয় ঘটে চলেছে আমি মনে করি। সব কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থীরা পাশ করে গেলেও তাঁদের আসন সংখ্যা বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমতুল্য হবেনা।সরকারি দলের এই ক্ষেত্রে কারচুপি বা জোরজবরদস্তি করার কোন কারন আছে বলে মনে করিনা। ধায্য তারিখে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী ফলাফলেই এই পয্যন্ত  সরকারি দল নিরঙ্কুষ ভাবে বিজয়ী হয়ে আগামী তিন বছর  সরকার পরিচালনার সাটিফিকেট সংগ্রহ করার  সক্ষমতা অর্জন করে নিয়েছে। নির্বাচনের পর অবশ্য বিদ্যমান বিরুদিদল সরকারের কৌশল বুঝতে পেরে জাতিয় নির্বাচনের বিতর্ক উত্থাপনের চেষ্টা করেছিল,ততদিনে বঙ্গোবসাগরের পানি অনেকদুর গড়িয়ে গেছে ফেরৎ আসার কোন সম্ভাবনা নেই।ফলে বিশদলে ইতিমধ্যেই তাঁর প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে ভাঙ্গনের রুপ ধারন করেছে।   এই লিখা যখন শুরু করেছি তখন টেলিভিশনের পর্দায় চোখ গেলে দেখা যায় সরকার প্রধান দেশরত্ম শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে আজই সন্ধায় ভাষন দিবেন।দুই বছর পুর্তির দিনের ভাষন যেহেতু, সেহেতু গত দুই বছরের সাফল্যের বিবরনের পাশাপাশি আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনার বিবরন অবশ্যই থাকবে।    সম্পূর্ন মোনোযোগ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার ভাষনের  দিকে দাবীত হয়ে যাওয়ায় অদ্যকার শিরুনামের কলামটি লিখতে না পারায় বন্ধুদের নিকট আন্তরিক ভাবে দু:খ্য প্রকাশ করছি এবং ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ভাষন শুনে আরও সুন্দর বিস্তৃত,যুক্তিগ্রাহ্য  লিখা আপনাদেরকে আগামিকাল সকালে উপহার দেয়ার অঙ্গিকার ব্যাক্ত করছি। সবাইকে আজকের ভাষন শুনার আহব্বান, অনুরুধ জানিয়ে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি।সবাই ভাল থাকুন,সুস্থ্য থাকুন,টিভির সামনে থাকুন।ধন্যবাদ                            জয়বাংলা         জয়বঙ্গবন্ধু                        জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার সরকারের ২০১৫ সালে অর্জিত অগ্রগতির খন্ড চিত্র---================================= বাংলাদেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন এমন মানুষের সংখ্যা খুব কমই বলা যায়।সাধারন থেকে অসাধারন ব্যাক্তিবর্গ সব শ্রেনী পেশার মানুষ এককথায় বলতে শুনা যেত, "আরে এই দেশে কিছুই হবেনা"।পাকিস্তান আমলে তাঁরাই বলতেন, যে দেশে একটা সুঁই তৈরী ক্ষমতা নাই সে দেশ মজিব স্বাধীন করে মানুষকে না খাইয়ে মারবেন,মজিব ভারতের দালাল,ভারতকে আমাদের মাতৃভুমি দিয়ে দেয়ার জন্য মজিব স্বাধীনতা চাইতেছে।মজিব আসলে ভারতের দালাল".। স্বাধীনতার পরে ষড়যন্ত্র সবাই অবগতই আছেন।আমি একটা ছোট্র উদাহরন দিতে চাই,মজিব--ইন্দিরা মৈত্রী চুক্তি করার পর এমন একটা রব উঠেছিল যেন এই মহুর্তে বাংলাদেশ ভারতকে দিয়ে দিল শেখ মজিব,।দেশের ভবিষ্যত পরিকল্পনায় যত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সকল পদক্ষেপেই ভারতের দালালির গন্ধ পেয়েছে।বিপরীতে এমন কোন প্রচার প্রচারনা ছিলনা আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্য থেকে বলার মত যে, পদক্ষেপ গুলী দেশের স্বার্থেই নেয়া হচ্ছে।জাতির জনকের ভারতের সাথে সকল চুক্তির সুবিধা কিন্তু যারা বিরুধীতা করেছেন তাঁরাই উপভোগ করেছেন।১৯৬৫ইং সালের পর থেকে ২০০১ ইং সাল পয্যন্ত বলতে গেলে একতরফা ভাবেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভারতের তোষামোদি বা ভারতকে বাংলাদেশ দিয়ে দেয়ার অপপ্রচার চালিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে অথবা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। ২০১৫ সালের মুজিব --ইন্দীরা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে চিটমহল বিনিময় কায্যকর করার প্রাক্কালে জনগন সম্যক বুঝতে পেরেছে জাতির জনকের মৈত্রীচুক্তি ভারতের গোলামি নয়,বাঙ্গালী এবং বাংলাদেশের জীবন মরন সমস্যার সমাধান করে গিয়েছিলেন সর্বকালে শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব।ব্যে মজিব চুক্তি সৃজন করে নীজের জীবনকে বিপন্নের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন,সেই চুক্তির আংশিক বাস্তবায়ন করে তাঁরই জৈষ্ঠ কন্যা বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয়ভাবে দেশরত্ম উপাধীতে ভুষিত হয়,আন্তজাতিক ভাবে জাতিসংঘ ধরিত্রীর মানষ কন্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে উপঢৌকন তুলে দেয় তাঁর হাতে। আজ এই সমস্ত কথা গুলি লিখার জন্য বসিনি।জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হওয়ার কারনে আবেগ সংবরন করে রাখতে না পেরেই অনিচ্ছা সত্বেও মনের অজান্তে লিখা হয়ে গেল। যে বিষয়টির এখন অবতারনা করছি, বিষয়টি সম্পুর্ন আমার নিজস্ব সংগৃহিত।প্রতিটি জরিপের ফলাফল হালনাগাদ করা।লক্ষনীয় ব্যাপার হচ্ছে আন্তজাতিক গভেষনা এবং তাঁর ফলাফলও কিন্তু সেই একই চক্র তুড়িমেরে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত। তাঁদের মধ্যে একজন লোকও পাওয়া যাবেনা নিম্নের এই ফলাফল মেনে নিতে পারে বা পারবে।তাঁদের না মানার জন্য কিন্তু বাংলাদেশের অগ্রগতি থেমে থাকবেনা।তাঁরা মানার জন্য আমার এই কষ্টার্জিত সংগ্রহ নহে। আমার সংগ্রহ নতুন প্রজর্ম্মের তরুন রাজনীতিবীদদের জন্য,তাঁরা জানুক বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থান।তথ্য দিয়ে প্রমান দিয়ে যুক্তি দিয়ে তাঁরা কথা বলুক।কোন বেজম্মার প্রশ্নের জবাবে যেন মাথা নিছু করে স্থান ত্যাগ করতে না হয়।--- নিম্নে আংশিক হালনাগাদ তথ্য বন্ধুদের জানার জন্য তুলে ধরার চেষ্টা করছি।------ আগামী পঁচিশ বছরে পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটির মাপে পৃথিবীর তেইশতম অর্থনীতি হবে (বর্তমানে চৌত্রিশতম) বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের পিইইউ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মতে, আগামী পঁচিশ বছরে পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটির মাপে পৃথিবীর তেইশতম অর্থনীতি হবে (বর্তমানে চৌত্রিশতম) বাংলাদেশ এবং অর্থনীতির আকারে মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়াকে ছাড়িয়ে যাবে। মাস্টার কার্ডের জরিপ অনুসারে, ২০১৫ সালের শুরুতে এশিয়া প্যাসিফিকের ১৬টি দেশের মধ্যে কনজুমার কনফিডেন্স ইনডেক্সের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ১৬.৯ শতাংশ যা ৮৩.৩ পয়েন্টে পৌঁছে গেছে। দেশের শতকরা ৭২ ভাগ লোক নিজের আর্থসামাজিক অবস্থানে সন্তুষ্ট এবং ভবিষ্যতের সমৃদ্ধি সম্পর্কে আশাবাদী। যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেট দলীয় থিংক ট্যাংক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন হিসাব করছে যে, ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল ও কৃতসংকল্প পথপরিক্রমায় বাংলাদেশ ২১টি দেশের মধ্যে মোবাইল সক্ষমতায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। ২০১৬ সালে ফোর জি শুরু হয়ে গেলে অবস্থানটি আরও মজবুত হবে। এদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালনার সক্ষমতার ইতিবাচক প্রবাহ আর্থসামাজিক অগ্রগতি দ্রুততর করেছে। বস্টট কনসালন্টিং গ্রুপ বিসিজি ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডের মতো কয়েকটি দেশের সঙ্গে তুলনা করে দেখিয়েছে যে, বাংলাদেশে এখন এক কোটি বিশ লাখ লোক বার্ষিক পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার উপার্জনকারী ভোক্তাপণ্যের শক্তিধর চাহিদার উৎস যা ফি বছর শতকরা দশ ভাগ হারে বাড়বে। অর্থাৎ ভোগ্যপণ্য উৎপাদনে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ খুবই চমৎকার ক্ষেত্র। অন্য একটি গবেষণা মতে, বাংলাদেশে দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ও হার কমছে (বর্তমানে শতকরা ২৪ ভাগ) অর্থাৎ দারিদ্র পিছনে ফেলে ভোগ্যপণ্য চাহিদা বৃদ্ধিকারী মধ্যবিত্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। দেশে কোটিপতির সংখ্যা এখন প্রায় ৫৪,০০০ এবং প্রতি বছর আরও পাঁচ হাজার লোক নতুন করে কোটিপতি হচ্ছেন। বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ আর জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির আরও বেশি অর্থবহ মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশে নিম্ন মধ্যম পর্যায়ে (এইচডিআই ভ্যালু ০.৫৭০) উঠে এসেছে। প্রশ্ন উঠেছে, স্বল্পোন্নত দেশ বা লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রির বিড়ম্বনা থেকে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে উঠে আসা উচিত কিনা এবং তাতে কত সময় লাগতে পারে। অবশ্যই ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্থাৎ স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তীর বছর ২০২১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশ তথা মধ্যম মানব উন্নয়ন সূচকে উঠে আসার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে হবে এবং যদি সাম্প্রতিক অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকে তবে তা অর্জিত হবেই। সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় সকল ক্ষেত্রেই সূচকের শীর্ষ অবস্থানে। বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি শতকরা ১.১৩ ভাগ, নারীর প্রজনন প্রবণতা ২, শিশুমৃত্যুর হার হাজারে ৩৪, প্রাথমিকে ভর্তির হার প্রায় শতভাগ, ঝরে পড়ার হার শতকরা ৩০ এবং হ্রাসমান, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীর অনুপাত জনমিতির অনুরূপ, উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরতদের সংখ্যা প্রায় ৩০ লক্ষাধিক এবং জন্মকালীন গড় আয়ু প্রায় বায়াত্তর। ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের হিসাবে জেন্ডার-প্যারিটি ইনডেক্সে ২০১৫ সালে ১৪৫ টি দেশের মধ্যে সূচক ৬৪তম (২০১৪ সালে ছিল ৬৮তম) ভারতের অবস্থান ১০৮। নারীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ প্রায় শতকরা চল্লিশ ভাগ। ২০১৫ সাল বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গেছে অনেক তাজাপ্রান,বিপুল সম্পদ হয়েছে ধ্বংশ।জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রায় আমদানী করা বাস, ট্রেনের অত্যাধুনিক বগি।উৎপাটন করা হয়েছে শত শত মাইলের ব্রডগেজ স্লিপার।জীবন্ত দগ্ধ হয়েছে ৪২জন মানব। উপড়ে ফেলা হয়েছে অসংখ্য বৈদ্যুতিক পিলার,কেটে ফেলা হয়েছে সবুজ বন বনানি।রাজনীতিতে যোগ করা হয়েছে নতুন আতংক আগুন সন্ত্রাস বা পেট্রোল বোমা।সৃষ্টি করা হয়েছে দেশীয় আই এস আই জঙ্গীগোষ্টি। এত ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে জাতির জনকের কন্যা বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা অসীম সাহষ, নির্ভিক মনোবল,দৃডচেতা মন,সংকল্পের প্রতি একনিষ্ট আস্থা,নীজের কর্মের উপর শতভাগ বিশ্বাস, জনগনের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে জাতিরজনকের স্বপ্নের সোনার বাংলার অভিষ্ট লক্ষে,তাঁরই কন্যার হাত ধরে। ((চলমান পর্ব)) জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস অন্য সব জাতীয় দিবসের তুলনায় আলাদা আবেদন উদ্রেক করে---- ================================== আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দিবস টি বাঙ্গালী জীবনে এক অর্থে অন্য সব দিবসের চেয়ে অধিক তাৎপয্যপুর্ন। অনেকেই হয়ত দ্বিমত পোষন করবেন। বাস্তবতার নিরিখে বিচার করতে গেলে প্রথমেই আমাদের ধারনায় নিতে হবে,বঙ্গবন্ধু ২৫শে মার্চ রাতে অন্য সব নেতাদের সরিয়ে দিয়ে নীজে কেন ৩২নম্বরে রয়ে গেলেন। ভিন্নমতালম্বিরা এক্ষেত্রে নানাহ কথাই বলতে পারেন। তবে এই কথাটি সত্য যে, ভবিষ্যতদ্রষ্টা মজিব স্পটত: বুঝতে পেরেছিলেন তিনি ভারতে আশ্রয় গ্রহন করার চাইতে পাকিস্তানের জেল খানায় আশ্রয় নেয়াই অধিকতর শ্রেয় হবে।যেহেতু তাঁর ৭১ এর মার্চের আগেই অর্থ্যাৎ ৬২ ইং সাল থেকেই ঢাকা ইউনিভারসিটি কেন্দ্রিক নিউক্লিয়াস গঠন করে এবং উধ্বতন বাঙ্গালী সেনা কর্মকর্তাদের আগরতলা পাঠিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বা জনযুদ্ধের মত পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য নেয়া জাতির জনক সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছেন। --"" পাকিস্থানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে, লন্ডন হয়ে ভারতের মাটিতে পা রাখার আগেই ভারতীয় সেন্যবাহিনী ফেরৎ নেয়া সংক্রান্ত বঙ্গবন্ধুর শ্রিমতি ইন্দিরা গান্ধীর উদ্দেশ্যে প্রথম উক্তিটি, "আমার বাংলা দেশ থেকে আপনার সৈন্য কবে ফেরৎ আনবেন" বিশ্লেষন করলেই উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে।--"" জাতির জনক স্পটতই ভারতকে সর্ব বিষয়ে বিশ্বাস করতেন না,এবং ভারতকে নিরেট একটা "সম্প্রসারন বাদি" দেশ হিসেবেই গন্য করতেন। উল্লেখিত উক্তিটি তাঁর মনের গহীনে উঁকি দেয়া সন্দেহ, " চঞ্চলতায় "রুপ পরিগ্রহ করে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে তাঁর মুখ থেকে নিস্ব:রীত হয়েছে।যদিও ভারতের প্রধান মন্ত্রী ঐ পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর মুখ থেকে উক্তরুপ উক্তি শ্রবন করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না।ফলত: তিনি হঠাৎ হতভম্ব হয়ে কিছুক্ষন পর নীজকে সামলে নিয়ে বলতে বাধ্য হয়েছিলেন,"" বাংলার নেতা যখন বলবেন,তখনি ভারত ব্যাবস্থা গ্রহন করবে।"" উল্লেখিত কারনেই জাতির জনক ২৫শে মার্চ পালিয়ে না গিয়ে পাকিস্তানের কারাগার শ্রেয় মনে করেছিলেন।আরো উল্লেখ করতে চাই,বঙ্গবন্ধু মনে মনে আত্মতৃপ্তিও অনুভব করতে পারেন যে,পাকিস্তানীরা যদি তাঁকে হত্যা করে,বাঙ্গালীরা সারা জীবন তাঁকে স্মরন করবে,আর যদি জীবিত থাকেন তবে ভারতের মত বিশাল দেশের অন্যায় প্রভাব থেকে"" অনিবায্য স্বাধীন বাংলা দেশের"" সার্বভৌমত্ব এবং স্বকিয়তা মুক্ত রাখা সহজ হবে।"" একই সুত্রের আলোকে নিদ্বিদ্ধায় বলা যায়,বঙ্গবন্ধু জীবিত ফিরে না এলে হয়ত আজকের বাংলাদেশের ইতিহাস এমনতর না হয়ে অন্য কোন রুপ ধারন করলে আচার্য্য হওয়ার কিছুই থাকতোনা। তখনকার বা বর্তমানেও সম্প্রসারনবাদী রাষ্ট্র সমুহ দুর্বল রাষ্ট্র সমুহের উপর তাঁদের অধিপত্য বিস্তারের ইতিহাস নতুন কোন বিষয় নয়,বা কারো অজানা নহে। উল্লেখিত বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রবিদগন ব্যাপক বিশ্লেষনে গেলে আমার উক্তির যথার্থতা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। জয়বাঙলা জয়বঙ্গবন্ধ জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা

ছবি

২০১৫ সালে শেখ হাসিনার সরকারের শিক্ষা-শিল্পে অভাবনীয় অগ্রগতির খন্ডচিত্র------ ================================== শিল্প:-- === সর্বজনের সম্যক উপলব্দি আছে,বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প অপ্রতিদন্ধিত ভাবে বিশ্ব শাষন করছে।সরকারের ব্যাপক সুবিধা নিয়ে এই খাত আরো অগ্রসর হবে বলে সর্বমহল আশাবাদি।তাঁর সাথে উন্নত সুতা উৎপাদন করা গেলে গার্মেন্টসয়ের কাঁচামাল আমদানী অনেকাংশে কমে এলে বাংলাদেশ বিপুল ভাবে লাভবান হতে পারে।বর্তমান সরকার ও এই খাত উন্নয়নের জন্য বহুমুখি প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। বস্ত্র শিল্পে বিপুল প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে, যাতে উন্নতমানের আধুনিক প্ল্যান্টে কাপড় বুননে গতি আসে। গ্যাসও ২২০ ভোল্টেজ বিদ্যুতের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার উদ্যোগ ইতিমধ্যেই নেয়া হয়েছে। রিলিফ মূল্যে গ্যাস ও ববিদ্যুৎ দেয়ার জন্য পরিক্ষা নিরিক্ষা অব্যাহত আছে। এ খাত ফরওয়ার্ড ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজে বিপ্লব আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায়না। কাঁচা তুলা আমদানিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় একটি দেশ। সরকারিভাবে সেন্ট্রাল অ্যাপলুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করে বড় বড় বস্ত্র মিলকে ভাড়ায় সার্ভিস দেয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। শিল্পায়নে ঔষধ, চামড়া, খেলাধুলার সরঞ্জাম, হালকা যন্ত্রপাতি, জাহাজ নির্মাণ, মটরসাইকেল, বাইসাইকেল, আসবাবপত্র, প্রসাধনী ইত্যাদি বিপুল পরিমানে রপ্তানী করে মুল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা আনায়ন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।উল্লেখিত সৌখিন পন্য সামগ্রির মান বিশ্বের যে কোন দেশের পন্যের মানের চাইতে অনেক গুন ভাল প্রমানীত হওয়ায় ধীরে ধীরে বিশ্ব বাজার বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রনে চলে আসা শুরু হয়েছে।আশা করা করা যায় চীন, তাইওয়ান,থাইল্যান্ডের বর্তমান বাজার বাংলাদেশের অনুকুলে নিয়ে আসার সম্ভাবনার স্বপ্ন আর বেশি দূরে নয়। বর্তমান সরকার ইতিমধ্যেই পাটের থলে ব্যাবহারে কড়াকড়ি আরোপ করেছেন।পাট উৎপাদন ও ন্যায্য মুল্য পাওয়ার নিশ্চয়তায় এই খাত পুরাতন গৌরব ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারে। ২০৪১ সালের রুপকল্পকে সামনে রেখে পাট শিল্পকে আধুনিক যুগ উপযোগি করার সকল প্রচেষ্টা ইতিমধ্যে গৃহিত হয়ে সফল বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।পাটের উৎপাদন ও রপ্তানিতে বহুমাত্রিকতা আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঢাকা -চট্রগ্রাম রেলওয়ের ব্রডগেজে ডাবল লাইনের কাজ প্রায় শেষ পয্যায়।ঢাকা-চট্রগ্রাম সড়কপথের চারলেনে উন্নিত করার কাজ ও সমাপ্তির পথে।এই দুইটি ব্যাস্ততম পথের কাজ সমাপ্ত হলে পন্য আনা নেয়ায় বৈপ্লবিক গতি আসবে আশা করা যায়।বৃহৎ বন্দর চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দরে বিপুল পরিমান পন্য পড়ে থাকার চিরায়ত দৃশ্যে ব্যাপক পরিবর্তন হবে আশা করি।পরিকল্পিত গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ শেষ হওয়ার আগেই স্থল সীমানায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গুলি সমাপ্ত করার মেঘা প্রকল্প হাতে নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। রেলের ব্রডগেজীকরণ, ডাবল ট্রেকিং ও বিদ্যুতায়নও উৎপাদনের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন দৃশ্যমানতা শুরু হয়েছে ২০১৫ সালের শেষের দিকে এসে। বাংলাদেশের বিদ্যমান পরিকল্পনা কমিশনকে নাম সর্বস্ব না রেখে সংস্থাটিকে আরো শক্তিশালী, আধুনিক,প্রযুক্তি নির্ভর পরিকল্পনা কমিশন স্থাপন করা সময়ের দাবী। বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে আরো গতিশীল,আধুনিক লোকবলে বলিয়ান,সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা প্রদান আবশ্যক। যৌক্তিক ও প্রবৃদ্ধি সহায়ক মুদ্রানীতি প্রনয়ন করা গেলে প্রতিটি পদক্ষেপের সুফল অচিরেই ধরা দেয়ার কোন বিকল্প থাকবে না। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার সফল উদ্যোগ আগে থেকেই গৃহিত রয়েছে,তথাপি আরো কায্যকর ও আকর্ষনীয় করার লক্ষে রাষ্ট্রীয় সুযোগ অবারিত করা একান্ত কাম্য।দেশের অভ্যন্তরে বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার সফল উপায় অনুসন্ধান প্রয়োজন।দেশীয় উদ্যোগক্তাগন প্রয়োজনীয় সুযোগ পেলে বিদেশে টাকা পাচার অনেকাংশেই কমে আসবে মনে করি। দেশে টাকার ব্যাবহারে সংকুচিত ক্ষেত্রের কারনে ফি বছর বিপুল পরিমান টাকা বিদেশে পাছার হয়ে বিদেশেই বিনিয়োগ হচ্ছে।বাংলাদেশে জাতীয় সঞ্চয় সামষ্টিক আয়ের শতকরা ৩১ ভাগ আর সামষ্টিক আয়ের বিনিয়োগের হার শতকরা ২৯ ভাগ। এই রহস্যের অন্যতম বড় কারণ সম্পদ ও মূলধন পাঁচার। ওয়াশিংটনের গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি জিএফআইএর হিসাবে ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পয্যন্ত দশ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৫৫৮৮ কোটি ডলারের মূলধন পাচার হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছেন। একক ভাবে ২০১৩ সালে এই পাচারের পরিমাণ প্রায় ৯৬৬ কোটি ডলার। এতে উদ্ভিগ্নতার তেমন কিছু আছে বলে মনে করি না। বিদেশী যে সমস্ত বিনিয়োগ বাংলাদেশে হচ্ছে সেই সমস্ত টাকাও সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে পাচার হয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। তাঁরপর ও সরকার টাকা পাচার রোধে যথাযথ আইনি ব্যাবস্থা নিচ্ছেন। শিক্ষা:-- ======== সরকার প্রত্যেক জেলা শহরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার পরিকল্পনা ২০১৫ সালেই দৃশ্যমান হয়েছে।প্রতিটি গ্রামে ন্যুনতম একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের কাজ দফল ভাবে শেষ হয়েছে।বর্তমানে হাতে নেয়া হয়েছে ন্যুনতম দুরত্বে একটি প্রাইমারি বিদ্যালয়-শিশুরা যেন অনেকদুর পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে না হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সরকার সারা দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতিয় করন করে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন।দীর্ঘ ৪০ বছর পর তাঁর কন্যা আবার ল্ব দেশের সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করন করেন এবং প্রত্যেক গ্রামে ন্যুনতম একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সফল ভাবেই তা বাস্তবায়ন করেন।শুধু তাই নয় সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মাদ্রাসাকেও এমপিও ভুক্ত করে চরম দুর্দশা গ্রস্থ শিক্ষক কর্মচারীদের দু:খ লাগবে সহায়ক ভুমিকা পালন করেন।দেশের সকল শ্রেনীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুন্যপদ পুরনে ব্যাবস্থা গ্রহন করে বহু শিক্ষিত বেকার যুবকের কর্মসংস্থান করেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও দুর্ভোগ লাগব হয় ২০১৫ সালেই।শিক্ষার জন্য অবকাঠামো একটি আবশ্যক্যিয় উপাদান।সেই লক্ষে প্রত্যেক ইউনিয়ন অনুযায়ী প্রতিটি মাধ্যমিক প্রাথমিক,মাদ্রাসার প্রয়োজনীয় ভবন নির্মানের উদ্যোগ সফল ভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে ২০১৫ সাল শেষ হওয়ার আগেই। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ।তথ্য প্রযুক্তিতে নতুন প্রজম্মকে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে আগেই প্রত্যেক জেলা শহরে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিয়ে শেখ হাসিনার সরকার আংশিক বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলেন।সরকার পরিবর্তন হেতু এই প্রকল্পের কাজ থেমে গিয়েছিল।২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহন করে উক্ত প্রকল্পটি আরো ব্যাপক ও বিস্তৃত করে গ্রহন করা হয়।বর্তমানে তথ্য ও প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ ঈর্শনীয় অগ্রগতি অর্জন করে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল হয়ে এই খাতে নেতৃত্ব দখল করতে পেরেছে।বাংলাদেশের সকল শাখা প্রশাখাকে,জীবনের প্রতিটি স্তরে ডিজিটিলাইজেসনের প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে কম্পিউটার সরবরাহ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।ছাত্র /ছাত্রীদের হাতে কম্পিটার পৌছে দেয়ার প্রক্রিয়া গ্রহন করা হয়েছে।আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই শিক্ষাকে ই-এডুকেশনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে ধারনা করা যায়।বছরের শুরুতে জানুয়ারীর এক তারিখে শিশুদের হাতে বই তুলে দেয়ার রেওয়াজ ইতিমধ্যে সাফল্যজনক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারের নারী শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারুপের ফসল ২০১৫ সালে সর্বস্তরে পরিস্ফুটিত হয়ে উঠে।সর্বক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন, উচ্চ শিক্ষায় অবৈতনিকীকরন,সরকারের বিভিন্ন উচ্চপয্যায় নারীদের জন্য অগ্রাধিকরন প্রক্রিয়ার সুফল বছরের শেষ নাগাদ দৃশ্যমান হয়ে জনমনে আশার আলো সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।যেহেতু নারীরা সমাজের অর্ধেক হওয়া সত্বেও বিভিন্ন সামাজিক বাধ্যবাধকতা ও অবহেলার কারনে পিছিয়ে ছিল, সেখান থেকে উত্তরন ছাড়া সার্বিকভাবে দেশ উন্নয়ন সম্ভব নয়।উচ্চশিক্ষায় অবাধ বিচরনের সুফলের কারনেই সেনা বাহিনী সহ সরকারের উচ্চপয্যায় নারী কর্মকর্তারা সাফল্যজনক ভাবে ২০১৫ সালে স্থান করে নিতে পেরেছেন,ইহা দৃশ্যমান ভাবে সমাজকে আশাম্বিত করতে পেরেছে। বাংলাদেশের প্রচলিত মান্ধাতার আমলের কেরানি সৃষ্টির শিক্ষাকে যুগযোগি আধুনিকরন প্রক্রিয়ার কাজ অনেক আগে থেকে শুরু হলেও সমাজে তাহা দৃশ্যমান ছিলনা। আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, যুগউপযোগী শিক্ষা ব্যাবস্থা চালু করার নিমিত্তে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহন করেছিলেন।স্বল্প সময়ের মধ্যে তাঁর সরকারের পতন হলে, পরবর্তি সরকার সমুহ জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়ার শিক্ষা নীতি প্রবর্তন করে শিক্ষা ক্ষেত্রে এক অরাজগ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।সেখান থেকে মাননীয় শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৬ ইং সালে ক্ষমতায় এসে নতুন করে শিক্ষা নীতি প্রনয়ন পুর্বক শিক্ষাকে তথ্য ও প্রযুক্তির ধারায় অগ্রাধিকার দিয়ে ঢেলে সাজানোর পদক্ষেপ গ্রহন করে। ২০০৮ ইং সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার নিয়ে নতুন প্রজম্মের ব্যাপক সমর্থন আদায় করে বিশাল সমর্থন নিয়ে ক্ষমতা গ্রহন করে। ডিজিটালের অঙ্গিকারের বাস্তবায়নের নিমিত্তে স্বপ্ল ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহন করা হয় শিক্ষাক্ষেত্রে।রাষ্ট্রীয় ভাবে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার প্রদান করে সার্বিক কর্মযজ্ঞ শুরু করে।মেয়াদান্তে শিক্ষা ক্ষেত্রে নেয়া যুগান্তকারী পদক্ষেপ সমুহের সাফল্য সরকারের ঝুড়িতে এসে জমা হতে থাকে।২০১৫ সালে দিবালোকের মতই সাফল্য সমুহ জনমানষে দৃশ্যমান হয়ে ফুটে উঠে। পরিশেষে বলতে চাই,২০১৫ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক রাজনৈতিক আবহ প্রবাহিত হলেও, দেশরত্মের দৃড মনোবলের নিকট সকল ষড়যন্ত্রই পরাস্ত হতে বাধ্য হয়।২০১৫ সাল জনজীবন থেকে কেড়ে নিতে চেয়েছিল শান্তি,অগ্রগতি,সমৃদ্ধি।রাজনীতিতে আমদানী করা হয়েছিল আগুন সন্ত্রাসের মত অমানবিক কর্মসুচির।রাজনীতি দেশকে করতে চেয়েছিল অরাজগতা,বিশৃংখলা,নৈরাজ্যের স্বর্গভুমি।উত্থান ঘটাতে চেষ্টা হয়েছিল আইন না মানার এক ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্তের।উস্কে দিতে চেষ্টা হয়েছিল আমাদের সুশৃংখল গর্বিত সেনাবাহিনীকে।ক্ষেপানোর চেষ্টা হয়েছিল সম্মানীত আলেম সমাজকে। জাতির জনকের কন্যা সকল অশুভ শক্তিকে মনোবল,দৃডতা,দেশপ্রেম দিয়ে প্রতিহত করে উন্নয়ন অগ্রগতির চাকা সচল রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহন করে বিধাতার আসীম কৃপায় সফলতা লাভে সক্ষম হন।অশুভ কালো শক্তি সাময়িক পরাভুত হলেও এখন ও নিচ্ছিন্ন হয়নি।সকল অশুভ শক্তিকে সমুলে উৎপাটন করার নিয়ন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে দেশকে কাংখিত লক্ষে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানের শান্তিপুর্ন রাজনৈতিক আবহ বিরাজমান থাকলে আগামী ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উচ্চ আয়ের দেশে রুপান্তরীত হয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে ইনশাল্লাহ।জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানের পথে দেশ অনেকদুর এগিয়ে গেছে নিসন্দেহে বলা যায়। (চলমান) জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

মাননীয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের ২০১৫ সালের উল্লেখ্যোগ্য অগ্রগতির খন্ডচিত্র------- ================================ ২০১৫ সালে আটষট্টি বছরের পুরনো ছিটমহল সমস্যার সমাধানে জনমনে দারুণ আশা ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়।এখানে উল্লেখ্যোগ্য বিষয়টি হল,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের বাংলাদেশের সুদুর প্রসারী আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিন্তার ফসল থ মুজিব-ইন্দিরা ঐতিহাসিক চুক্তি সৃজন করে ষড়যন্ত্রকারিদের ষড়যন্ত্রের জালে আটকা পড়ে '৭৫ এর নির্মম হত্যাকে অনেকটা ত্বরান্নিত করেছিল সেই চুক্তিটি কোন প্রকার রদবদল না করে তাঁর জৈষ্ঠকন্যা বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফল বাস্তবায়ন হলে দেশে বিদেশে প্রসংশার জোয়ার উঠে।বাংলাদেশের বিদ্যমান বিরুদীদল ও বহি:বিশ্বের সকল মহল শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন উপাধীতে ভুষিত করে।বাংলাদেশের জনগন এক সম্বধনার আয়োজন করে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশরত্ম উপাধিতে ভুষিত করে। জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্যা আর্থ’ এবং “আইসিটি টেকসই উন্নয়ন’ পুরস্কারে ভূষিত করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে খাদ্য আমদানির দেশ হিসেবে দেশে বিদেশে পরিচিত ছিল। দৈবদুর্বিপাকে বিশ্বের দরবারে সাহায্যের ঝুড়ি নিয়ে ভিক্ষার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরার নজির এই সেই দিনও বাংলাদেশের অভ্যেসের দাসে পরিনত ছিল।সেই বাংলাদেশকে মাত্র ৩/৪ বছরের মধ্যে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্নতো করেছেনই অধিকিন্তু খাদ্য রপ্তানীর দেশে পরিনত করে বিশ্ববাসির দৃষ্টি আকর্শন করতে সক্ষম হয়েছেন এই ২০১৫ ইং সালেই। শেখ হাসিনাকে খাদ্য উৎপাদনের সাফল্যে জাতি সংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এফএও পুরস্কার প্রদান ভুষিত করা হয়। ওয়াশিংটনের দ্য ফরেন অ্যাফেয়ার্স ম্যাগাজিনে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০০ জন চিন্তাবিদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৩তম স্থান দিয়ে বিরল সম্মানে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে।বিশ্বের তাবৎ চিন্তাবীদ, রাষ্ট্রনায়কদের পিছনে পেলে ১৩তম স্থান অধিকার করা বাংলাদেশের মত একটা পরমুখাপেক্ষি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রকের কেউ কি কোন দিন কল্পনা করেছিল?এই বিরল সম্মান বিদেশে কর্মরত:আমাদের বাঙ্গালী ভাইদের মাথা উঁচু করে কথা বলার সুযোগ কি সৃষ্টি করে দেয়নি?? বিশ্ব ব্যাংকের বোকামিপ্রসূত ঋণ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে অসমসাহসী নেতৃত্বে শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করেন। ১২ ডিসেম্বর প্রায় ৬.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রমত্ত ও উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিতে স্বপ্নের এই পদ্মা সেতুর মুল কাজ উদ্বোধন করেন। মাননীয় প্রধান্মন্ত্রীর দপ্তরের তত্বাবধানে বাংলাদেশের পরিকল্পনায় নির্ধারীত সময়ের আগেই ২০১৮ সালে সেতুর কাজ সমাপ্ত হবে বলে আশা করেছেন সার্বিক তত্বাবধানে থাকা ক্লিন ইমেজের ধারক মাননীয় সেতু মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের এমপি।সেতুটির কাজ সমাপ্ত হলে দক্ষিণ বাংলার বিশাল সম্ভাবনাময় জনগোষ্ঠী ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির সম্ভার মূলধারায় সংযুক্ত হয়ে গোটা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক সমৃদ্ধির পালে নতুন শক্তি জোগাবে।অর্থনীতিবীদ গন ধারনা পোষন করেন সেতুটির পুর্নাঙ্গ রুপ পেলেই বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান গ্রোথ দ্বিগুন হয়ে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশের তালিকায় নাম লেখাবে। ২০১৫ সালটি নিয়ে গেছে অনেক তাজাপ্রান,বিপুল সম্পদ,উত্থান ঘটেছে আগুন সন্ত্রাসের, কিন্তু দিয়ে গেছে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন,স্থিতিশীল সরকারের কাঠামো।বাংলাদেশকে গড়ে আইনের শাষন প্রতিষ্ঠার জন্য বিধাতা দান করেছেন দৃড় মনোবলে বলিয়ান এক প্রধান মন্ত্রীকে।। (চলমান)------ জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের ২০১৫ ইং সালের দৃশ্যমান উন্নয়নের খন্ডচিত্র______ ============================   আমরা সকলেই অবগত আছি যে,আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালে বিপুল সংখ্যাধিক্যে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করার অব্যাবহিত পরই দেখা যায়, সারা বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত।দিনের পর দিন পার হয়ে গেলেও বিদ্যুতের দেখা মিলেনা।এমনতর অবস্থায় সাধারন মানুষের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।শিল্প কলকারখানা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।স্বাভাবিক জীবনে নেমে আসে দুর্ভোগের সীমাহীন দুর্গতি। বিগত সরকার সমুহ চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে মনোযোগি না হয়ে সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের লক্ষে গ্রামে গ্রামে বিদ্যুতের খুটি বিলিয়ে ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে রেখে যায়। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আরোহন করেই পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে তৎক্ষনাৎ ভাড়ায় বিদ্যুৎ প্লান্টের অবাধ আমদানী অনুমোদন দিলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হতে থাকে।যদিও রেন্টাল প্লান্ট ব্যায়বহুল,লুটপাটের আশংকাও যথেষ্ট থেকে যায়,তথাপিও জরুরী বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর আর কোন বিকল্প পথ খোলা ছিলনা।পরিস্থিতি এমন একপয্যায় দেশকে নিয়ে গেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন, অথবা আমদানী করে চাহিদা পুরন করার মত ও কোন সুযোগ বাস্তবতার নিরিখে তখন ছিলনা।প্রধান মন্ত্রী সব দিক বিবেচনা করেই রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের অনুমতি দিয়ে সাময়িক বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা মিটিয়ে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার আগামী ২০৪১ সালের রুপকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ঘোষনার সাথে বিদ্যুতের চাহিদাকে সামনে রেখে আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ ২৫০০০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা হাতে নেয়।২০১৫ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়। বিদ্যুতের সাথে সভ্যতার নিবিড় যোগসুত্র রয়েছে। তাছাড়া উন্নত বিশ্বের খাতায় নাম লিখাতে হলেও দেশকে ব্যাপকভিত্তিতে শিল্পে সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন। সবকিছু বিবেচনায় রেখে সরকার বিদ্যুত উৎপাদন,সঞ্চালন,শিল্প কারখানা গড়ে তোলা সহ নানাবিধ কর্মযজ্ঞে দেশকে নিমজ্জিত রেখেছেন।গত কিছুদিন আগে অর্থাৎ ২০১৫ সালের নভেম্বরে সিলেটের বিদ্যুৎ প্লান উদ্ভোধন করে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী প্লান উদ্ভোধনের সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।   সুখের কথা যে, সরকারের ২০৪১ সালের রুপকল্প বাস্তবায়নের যে বিশাল কর্মযজ্ঞ ইতিমধ্যে দেশব্যাপি শুরু হয়েছে, তাতে উল্লেখ করার মত কোন দুর্নীতির খতিয়ান  দেশি বিদেশি  সংস্থাই  তুলে ধরতে পারেননি।এতে বিশ্লেষক গন স্থীর সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছেন যে, সরকারের নির্ধারীত ধারনার আগেই বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে নাম লেখাতে সক্ষম হবে।জিডিপি বর্তমানের একক ঘর পেরিয়ে ডাবল ডিজিটে পৌঁছাতে আর বেশি সময় অপেক্ষা করার প্রয়োজন নাও হতে পারে। সরকারের পরিকল্পনার শতভাগ প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য -রামপালের ১২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্টের বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দেওয়া যেতে পারে যে, অত্যন্ত দক্ষ প্রযুক্তি ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করেই কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।এতে পরিবেশ বীদেরা নিশ্চয়তা পেতে পারে,যথাসময় রামপালের বিদ্যুৎ জাতিয় গ্রীডে সংযুক্ত করার পরিবেশ নিশ্চিতে এখনই সরকারকে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। গ্যাস ক্ষেত্রের উন্নয়নে ব্যাপক মনোযোগ ও বিনিয়োগ অচিরেই সুফল দিতে পারে। তবে গ্যাসের ব্যবহারে বিদ্যুৎ উৎপাদন খুবই অলাভজনক বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।তাই যদি হয় ; এর বদলে গ্যাস দিয়ে শিল্পায়নে যাওয়ার দিকেই মনোযোগি হলে দেশ উপকৃত হবে বলে মনে করি। আজ ২০১৬ ইং সালে ৭ই জানুয়ারী বাংলাদেশ যুগান্তকারি এক পদক্ষেপ বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছেন।বাংলাদেশের প্রযুক্তি ব্যাবহার করে,বাংলাদেশী সংস্থা পেট্রোবাংলা তেল, গ্যাস অনুসন্ধান কাজের উদ্ভোধন করেছেন। এতেই উপলব্দি করার যথেষ্ঠ মশল্লা বিদ্যমান আছে বলে আমি মনে করি।দেশরত্মের হাত ধরে বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রেই স্বাবলম্বিতা অর্জনের পথে কয়েশ ধাপ এগিয়ে গেছে। ২৫০০০হাজার মেঘাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষে ইতিমধ্যে সরকার উপআঞ্চলিক সহযোগিতায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছেন।২০২৫ সালের মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ, বায়োগ্যাস বিদ্যুৎ ও অন্যান্য নবায়ণযোগ্য উৎস থেকে শতকরা ১০ ভাগ বিদ্যুৎ আহরণ করে ২৫০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রাপ্তি নিশ্চিত করার কৌশল নির্ধারীত হয়েছে।  কর্মসংস্থান তথা দারিদ্র নিরসনের উপায় হিসেবে ব্যাপক শিল্পায়ন প্রচেষ্টা সফল করার লক্ষকে সামনে রেখে একের পর এক উদ্যোগ গ্রহন করে তাঁর সফল বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার।    ২০১৫ ইং সাল নিয়ে গেছে বাংলাদেশের অনেক তাজাপ্রান,জ্বলেছে বিপুল সম্পদ,উত্থান ঘটেছে আগুন সন্ত্রাসের মত ঘৃন্য রাজনৈতিক কর্মসুচির,কিন্তু দিয়ে গেছে যুগান্তকারি উন্নয়নের সফল বাস্তবায়ন,স্থিতিশীল সরকার। বিধাতা দান করেছেন লবাংলাদেশকে আইনের শাষন প্রতিষ্ঠায় দৃড সংকল্পের এক প্রধান মন্ত্রী।   এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ,তাঁর কাংখিত লক্ষে, জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অভিষ্ঠ  লক্ষে,তাঁরই জৈষ্ঠ কন্যা বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার হাত ধরে।।       (চলমান)    জয়বাংলা    জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম  শেখ হাসিনা       

ছবি

লিখাটি মুক্তিযুদ্ধ আর্কাইবস থেকে নেয়া।ইতিহাসে সত্য-মিথ্যা,রটনা- ঘটনা নতুন প্রজর্মকে নিবিড় ভাবে জানানো প্রয়োজন। মুক্তিযোদ্ধা ই-আর্কাইবস সে লক্ষে মহতি উদ্যোগ গ্রহন করেছে। ----------------------------------------- রক্তাক্ত নভেম্বর: কী চেয়েছিলেন খালেদ ও তাহের নভেম্ভর ৮, ২০১৫ ============================= (দ্বিতীয় কিস্তি) ড মো আনোয়ার হোসেন রক্তাক্ত নভেম্বর: কী চেয়েছিলেন খালেদ ও তাহের নভেম্ভর ৮, ২০১৫ ============================= ৩. সংসদে জেনারেল খালেদ মোশাররফের কন্যা সংসদ সদস্য মেহজাবিন খালেদের লিখিত বক্তব্য শুনেছি অভিনিবেশ সহকারে। মুক্তিযুদ্ধের তিন বীর সেনানী খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হুদা এবং মেজর হায়দার– যাঁরা ৭ নভেম্বর সিপাহী অভ্যুত্থানের পর নৃশংস হত্যার শিকার হন, তাদের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা খুব জরুরি। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য তিনি জিয়াউর রহমানকে দায়ী করছেন। এ বিষয়ে মেহজাবিনের সত্যাশ্রয়ী তথ্য উপস্থাপন আমাকে আশান্বিত করেছে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের ইতিহাসের ধূসরতম অধ্যায়, ১৯৭৫ সালের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ ঘিরে অত্যন্ত দ্রুতলয়ের ঘটনাবলী– যার অধিকাংশ এখনও অন্ধকারে ঢাকা, রহস্যাবৃত— তার বস্তুনিষ্ঠ অনুসন্ধান এবং সত্য বের করে আনা খুবই প্রয়োজন। মেহজাবিন সেই দাবি করেছেন। এ প্রসঙ্গে শুরুতেই দুএকটি তথ্য জানিয়ে রাখি। ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে নভেম্বরের অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ছিলেন বেঙ্গল ল্যান্সারের (ট্যাংক রেজিমেন্ট) মুক্তিযোদ্ধা অফিসার মেজর নাসির উদ্দিন। ‘গণতন্ত্রের বিপন্ন ধারায় বাংলাদেশের সেনাবাহিনী’ শীর্ষক একটি মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন তিনি। ৭ নভম্বের তিন সেনানায়কের হত্যাকাণ্ড বিষয়ে মেজর নাসির তাঁর পুস্তকে লিখেছেন। ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের যে কক্ষে ঘাতকরা তাদের হত্যা করে সেই একই কক্ষে একই রাতে মেজর নাসিরকেও আটকে রাখা হয়। অলৌকিকভাবে তিনি বেঁচে যান। তাই নাসিরের বর্ণনা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন: “বিদ্রোহের খবর শুনে তিনি (খালেদ মোশাররফ) বঙ্গভবন ছেড়ে লালমাটিয়ায় তাঁর মামার বাসায় আসেন। সেখান থেকে টেলিফোনে খবর সংগ্রহের চেষ্টা করেন। এরপর সম্ভবত কর্নেল হুদার পীড়াপীড়িতে তিনি শেরে বাংলা নগরে ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে আসেন। রংপুর থেকে কর্নেল হুদাই দুদিন আগে এই ব্যাটালিয়নটি ঢাকায় নিয়ে আসেন খালেদকে সহায়তা দেওয়ার জন্য। ৭১এ খালেদই ব্যাটালিয়নটি সৃষ্টি করেন তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীনে। [...] ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে খালেদের উপস্থিতির কথা জানাজানি হলে কর্নেল তাহের ও মীর শওকত বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার লোকদেরকে প্ররোচনা দিয়ে বিদ্রোহের আহ্বান জানান। শেষমেশ ১০ ইস্ট বেঙ্গল বিদ্রোহ করে বসে। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। বিদ্রোহের এক পর্যায়ে সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে এই জলিল ও আসাদই জেনারেল খালেদ, হুদা ও হায়দারকে হত্যা করে।” [নাসিরউদ্দিন, পৃষ্ঠা- ১৫১] উল্লেখ্য, ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় ব্রিগেডিয়ার মীর শওকত মেজর নাসিরকে ১০ ইস্ট বেঙ্গলে পাঠিয়ে দেন এবং সে রেজিমেন্টের ঘাতক অফিসার মেজর জলিল ও মেজর আসাদ নাসিরকে ঐ কক্ষটিতে পাঠান যেখানে সকাল ১১ টায় তারা হত্যা করেছে তিন সেনানায়ককে। [নাসিরউদ্দিন, পৃষ্ঠা- ১৪৯] এ প্রসঙ্গে সবার বিবেচনার জন্য জানাই, মেজর নাসিরের উক্তি থেকে মনে হতে পারে যে, তাহেরের নেতৃত্বে ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থানে মীর শওকত সহযোগী ছিলেন। তা একেবারেই সত্য নয়। মুক্তিযুদ্ধের পর কর্নেল তাহের অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল থাকাকালে সেনা অফিসারদের লুণ্ঠিত সম্পদ ফেরত দেবার জন্য যে আদেশ জারি করেছিলেন সেখানে অভিযুক্তদের তালিকার শীর্ষে ছিলেন মীর শওকত। এ প্রসঙ্গে গোপন আদালতে প্রদত্ত তাহেরের জবানবন্দি দেখব: In the month of April 1972, after all necessary treatment following the amputation was completed, I returned to Bangladesh. I rejoined the Bangladesh Army in the position of Adjutant General. I reinforced discipline in the Army when it was a difficult task. [...] I initiated disciplinary proceedings against certain senior officers, such as Brigadier Mir Sawkat and Major General Safiullah concerning certain illegalities. My position was that everything any officer had illegally acquired must be returned, so that they may stand up as brave and clean men before the nation’s freedom fighters. [Taher’s Last Testament: Bangladesh the Unfinished Revolution, Page: 67] তাহেরের বক্তব্য থেকে বোঝা যায় মীর শওকতের সঙ্গে তার বৈরিতা শুরু থেকেই। ১৯৭৬ সালে প্রহসনের বিচারে তাহেরের মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হওয়ার পর ব্রিগেডিয়ার মীর শওকত নিজে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করে ফাঁসির মঞ্চ পরীক্ষা করে যান। যদিও এটা কোনোভাবেই তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। আগাগোড়া জেনারেল জিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন মীর শওকত। মেজর নাসিরের বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, হত্যা করার জন্যই মীর শওকত নাসিরকে ১০ ইস্ট বেঙ্গলে পাঠিয়েছিলেন মেজর জলিল ও মেজর আসাদের হাতে। খালেদসহ তিনজন সেনানায়কের হত্যাকাণ্ডের সময় তাহের নন, ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণে ছিলেন জিয়া-মীর শওকত ও তাদের অনুগত অফিসাররা। সবচেয়ে বড় কথা, অভ্যুত্থানী সিপাহীদের হাতে নয়, ১০ বেঙ্গল রেজিমেন্টের (খালেদের নিজের হাতে গড়া ব্যাটালিয়ন) দুজন অফিসার মেজর জলিল ও মেজর আসাদের হাতে নিহত হন তিন সেনানায়ক। উল্লেখ্য যে, এই দুজনের কেউই তাহেরের নেততৃাধীন বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সদস্য ছিলেন না। পরবর্তীতে জানা গেছে, জেনারেল জিয়ার ইঙ্গিতেই তাদের হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে কর্নেল শাফায়াত জামিল রচিত ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ রক্তাক্ত মধ্য-আগস্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর’ পুস্তকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে। উল্লেখ্য, কর্নেল শাফায়াত জামিলের নেতৃত্বাধীন ৪৬তম ব্রিগেড খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থানে মূল ভূমিকা পালন করে। শাফায়াত জামিল লিখছেন: “শেষ রাতের দিকে দশম বেঙ্গলের অবস্থানে যান খালেদ। পরদিন সকালে ঐ ব্যাটালিয়নে নাশতাও করেন তিনি। বেলা এগারটার দিকে এল সেই মর্মান্তিক মুহূর্তটি। ফিল্ড রেজিমেন্টে অবস্থানরত কোনো একজন অফিসারের নির্দেশে দশম বেঙ্গলের কয়েকজন অফিসার অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় খালেদ ও তাঁর দুই সঙ্গীকে গুলি ও বেয়নেট চার্জ করে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি আজও। সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হলে ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত বারটার পর ফিল্ড রেজিমেন্টে সদ্যমুক্ত জিয়ার আশপাশে অবস্থানরত অফিসারদের অনেকেই অভিযুক্ত হবেন এ দেশের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম সেনানায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ মোশাররফকে হত্যার দায়ে। তথাকথিত সিপাহী বিপ্লবের অন্যতম নায়ক কর্নেল তাহের এবং তৎকালীন জাসদ নেতৃবৃন্দও এর দায় এড়াতে পারবেন না।” [শাফায়াত জামিল, পৃষ্ঠা: ১৪৪-১৪৫] তাই সংসদে যখন মেহজাবিন খালদে পিতার হত্যাকারী হিসেবে জিয়াকে চিহ্নিত করেন, তখন তিনি সত্য উচ্চারণই করেন। কারণ কর্নেল শাফায়াত জামিলের ভাষ্য অনুযায়ী ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত বারটার পর ফিল্ড রেজিমেন্টে সদ্যমুক্ত জিয়ার আশেপাশে অবস্থানরত একজন অফিসারের নির্দেশে ঐ হত্যাকাণ্ড ঘটে। তাহের সিপাহী অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন, জাসদ তাতে রাজনৈতিক সহায়তা দিয়েছে, তাই শাফায়াত জামিল, “তথাকথিত সিপাহী বিপ্লবের অন্যতম নায়ক কর্নেল তাহের এবং তৎকালীন জাসদ নেতৃবৃন্দকেও” এই হত্যার দায় থেকে বাদ দেননি। তাহের ও জাসদ সম্পর্কে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন সেনানায়কদের মনোভাব কর্নেল শাফায়াত জামিলের মতোই। কারণ, তারা একের পর এক ষড়যন্ত্র এবং হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে গেছেন সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে থেকে। অন্যদিকে, তাহের ১৯৭২ সালেই বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম ক্যু প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করেন এবং এসব বিষয়ে বঙ্গবন্ধুকে সাবধান করে সেই ১৯৭২এর সেপ্টেম্বরেই পদত্যাগপত্র পেশ করেন, সেনাবাহিনী ছেড়ে দেন। একমাত্র তাহেরই সেনাবাহিনীর মধ্যকার প্রাসাদ-ষড়যন্ত্র ও হত্যাকাণ্ড চিরতরে বন্ধ ও তার গণবিরোধী চরিত্র বদলের জন্য সেনাবাহিনীর মৌলিক পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

লিখাটি মুক্তিযুদ্ধ আর্কাইবস থেকে নেয়া।ইতিহাসে সত্য-মিথ্যা,রটনা- ঘটনা নতুন প্রজর্মকে নিবিড় ভাবে জানানো প্রয়োজন। মুক্তিযোদ্ধা ই-আর্কাইবস সে লক্ষে মহতি উদ্যোগ গ্রহন করেছে।তথ্য প্রযুক্তির উন্নত জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারনে অনেকেই উল্লেখীত বিষয়টি সামগ্রিক ভাবে উপলব্দি করত: তাথেকে প্রয়োজনীয় বিষয়ে তথ্য গ্রহন করে জ্ঞান আহরন, মেধার বিকাশ ঘটাতে পারছেননা। অথছ অত্যান্ত সহজ ও সাবলিল ভাবেই মুক্তিযুদ্ধা ই-আর্কাইবস,মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার ইত্যাদি জ্ঞান অর্জনের স্তর সমুহের সাথে সংযোগ স্থাপন করা যেতে পারে।যথাযথ সাড়া পেলে আশা পোষন করছি সময়ে সময়ে বিশিষ্ট লিখকদের প্রবন্ধ-নিবন্ধের অংশ বিশেষ প্রতিনিয়ত পোষ্ট আকারে দিয়ে যাব।এতে কিঞ্চিত যদি নতুন প্রজর্মের উপকারে আসে নীজেকে ধন্য মনে করব। ড মো আনোয়ার হোসেন রক্তাক্ত নভেম্বর: কী চেয়েছিলেন খালেদ ও তাহের নভেম্ভর ৮, ২০১৫ ============================= ১. ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, বীর উত্তম ও কর্নেল আবু তাহের, বীর উত্তম– মুক্তিযুদ্ধের দুই বীর সেনানী। আরও একটি মিল আছে দুজনের মধ্যে। দুজনই যুদ্ধাহত সেক্টর কমান্ডার। ১৯৭১ সালের ২৩ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টরে কসবার উল্টো দিকে কমলা সাগরে পাকিস্তানিদের নিক্ষিপ্ত শেলের একটি স্প্লিন্টার খালেদের কপাল ভেদ করে সম্মুখভাগের মস্তিষ্কে ঢুকে পড়ে। অন্যদিকে, ১৪ নভেম্বর ১১ নম্বর সেক্টরে ঢাকার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত কামালপুর শত্রুঘাঁটি দখলের এক সম্মুখযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর মর্টার শেলের আঘাতে তাহেরের বাম পা হাঁটুর উপর থেকে উড়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধে এই দুই সেনানায়কের এমনভাবে আহত হওয়া পরবর্তীকালে তাদের জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কী ভয়াবহ অভিঘাতের সৃষ্টি করেছিল, তা-ও আমরা দেখব। মহাবীর এই দুজনের জীবনে মিলের এ-ও আরেক উদাহরণ, যদিও তা ছিল চরম দুর্ভাগ্যজনক, প্রাণঘাতী। যেহেতু এ লেখার অন্যতম চরিত্র জেনারেল খালেদ মোশাররফ, তাই তাঁর সঙ্গে আমার সাক্ষাতের দুটো উজ্জ্বল স্মৃতি উল্লেখ করব। প্রথমটি ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে। গৌহাটি সামরিক হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স ট্রেনে মেজর তাহেরের সঙ্গে এসেছি লক্ষ্মৌ সামরিক হাসপাতালে। জানা গেল, মেজর খালেদ মোশাররফও আছেন এখানে। যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁর মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার খবর আগেই জেনেছি। ১৪ নভেম্বরে কামালপুর যুদ্ধে হাঁটুর উপর থেকে পা হারাবার পর তাহেরকে তখনও শয্যাতেই থাকতে হয়। তারপরও তাহের তাঁকে হুইল চেয়ারে বসাতে বললেন। উদ্দেশ্য খালেদ মোশাররফকে দেখতে যাওয়া। হুইল চেয়ারটি ঠেলে নিয়ে গেলাম আমি। তাহেরকে দেখে খালেদ বিছানায় উঠে বসলেন। কিছুক্ষণ কথা হল দুই যুদ্ধাহত সেনানায়কের মধ্যে। কী মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাদের দিকে তাকিয়ে ছিলাম! We were in the thick of the battle, খালেদ মোশাররফের কথাটি কেন যেন মনে গেঁথে গেল। এখনও ভুলিনি। দ্বিতীয় দেখা ১৯৭৫এর ১৫ আগস্টের পর। সম্ভবত সেপ্টেম্বরে। ৫৬, স্টাফ রোডে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের বাসায় তাহের ভাইয়ের সঙ্গে গিয়েছি এক বিকেলে। বাসাটি আমার খুব পরিচিত। কারণ এই বাংলোতেই তাহের ভাই থাকতেন অ্যাডজ্যুটেন্ট জেনারেল পদে থাকাকালে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বিরাজমান পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ে তাহের আলোচনা করতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু দেশের গভীর সংকটে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ রচনা করার তাহেরের আগ্রহে কোনো সাড়া দিলেন না খালেদ মোশাররফ। তাঁর অভিব্যক্তিহীন ও নিরাসক্ত চেহারা আমার স্পষ্ট মনে আছে। খুব বেশি কথাও তিনি বলেননি। ফেরার পথে গাড়িতে তাহের ভাইকে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাও করেছি। তাহের বলেছেন, হয়তো তিনি আর সেনাবাহিনীতে নেই বলে খালেদ মুখ খোলেননি। ১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বরে তাহেরের প্রস্তাবে খালেদ মোশাররফের নিরাসক্ত ও অভিব্যক্তিহীন মনোভাবের অন্যতম একটি কারণ যে, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মাথায় গুরুতর আঘাতজনিত সমস্যা, তা আজ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হচ্ছে। ২. শিরোনামের কথায় এবার আসি। তার আগে এই দুই সেনানায়ক সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক তথ্য দেব। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে হানাদার বাহিনীর গণহত্যার ‘অপারেশন সার্চলাইট’এর অন্যতম রূপকার মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা তাঁর A Stranger in My Own Country বইয়ে বলেন: In Comilla, Lieutenant Colonel Yakub Malik acted with vigor and kept the situation well under control. The 4 East Bengal Regiment was located at Brahmanbaria in the north, on the road to Sylhet. The second-in-command, Major Khalid Musharraf, an East Pakistani, acted with decency. When the situation became well-known, he decided to assume command of the unit from his Commanding Officer, Lieutenant Colonel Malik who, along with the two other West Pakistani Officers, was taken under protective custody. He finally handed them over to the Indian army at Agartala with the request that they should be treated properly as prisoners of war and returned safely to Pakistan at the end of the hostilities. After the war, Lieutenant Colonel Malik was all praises for Major Khalid Musharraf. [‘A Stranger in My Own Country’ Major General Khadim Hossain Raza; Page: 84 The University Press Limited, 2012] ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সকাল ১১টায় শেরেবাংলা নগরে দশম বেঙ্গল রেজিমেন্ট সদর দপ্তরে মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফের সঙ্গে নিহত হন তাঁর দুই সহযোগী, মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা ও কর্নেল এটিএম হায়দার। এ বিষয়ে ‘কর্নেল হুদা ও আমার যুদ্ধ’ বইয়ে কর্নেল হুদার স্ত্রী নীলুফার হুদা স্মৃতিচারণ করেন: “আমি বললাম, ‘জিয়া ভাই, (জেনারেল জিয়াউর রহমান) আপনি থাকতে হুদা মারা গেল কীভাবে? ওকে কে মারল?’ তখন জিয়া ইংরেজিতে বলেন, ‘হি ওয়াজ মিসগাইডেড উইথ খালেদ মোশাররফ। দ্যাটস হোয়াই হি ওয়াজ কিলড।’ আমি তাঁকে বললাম, ‘খালেদ মোশাররফকেই-বা মারা হবে কেন? তিনি তো এক ফোঁটা রক্তও ঝরাননি, তাঁকে কেন মারা হল? আপনার লোকেরা কেন তাঁকে মারবে?’ আমার এ কথার পর তিনি চুপ থাকলেন।” [‘কর্নেল হুদা ও আমার যুদ্ধ’ নীলুফার হুদা পৃষ্ঠা: ১২২, প্রথমা প্রকাশন, ২০১১] আজ এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, ৭ নভেম্বর সকাল ১১টায় দ্বিতীয় ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টে উপস্থিত মুক্ত জিয়াউর রহমানের ইঙ্গিতেই দুজন অফিসার মেজর আসাদ ও জলিল দশম বেঙ্গল রেজিমেন্টে খালেদ, হুদা ও হায়দারকে হত্যা করেন। শুধু তাই নয়, এরা এই তিন জনের লাশ একটি ট্রাকে উঠিয়ে জিয়াউর রহমানের সামনে নিয়ে আসেন যাতে তিনি স্বচক্ষে তা দেখতে পারেন। পাঠক ভেবে দেখুন, জিয়াকে বন্দি করেছিলেন খালেদ, কিন্তু হত্যা করেননি। যেমন করেননি বন্দি পাকিস্তানি অফিসারদের। অন্যদিকে, জিয়া তার প্রতিপক্ষ, নিরস্ত্র বন্দি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম তিন সেনানায়ককে বাঁচতে দিলেন না। কর্নেল তাহেরকেও জিয়া বাঁচিয়ে রাখেননি। গোপন বিচারের প্রহসন করে ফাঁসি দেওয়ার নামে ঠাণ্ডা মাথায় আপন জীবনদাতাকে হত্যা করেছেন। ধারাবাহিক ভাবে চলবে---

ছবি

খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত--- ================================== প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য। সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইন অবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।" পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে। পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামে প্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে। উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহের সহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা? আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা? সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে। এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোন মীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে" ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল?? তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনা অনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়ে আপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এই সংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না? আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল "সেনাবাহিনী বেঈমান"!!! এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তি নিরাপত্তাই তা প্রমান করে। সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তি নির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না। পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা। আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে,অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জুয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

২০১৫ নিয়ে গেছে বহু কিছু, দিয়ে গেছে অনন্তকালের মিথ্যার সাক্ষাৎ প্রমান----!! ================================ ২০১৫ সালটি শেষ হয়ে গেল,রেখে গেল বাঙ্গালী জাতির জন্য কিছু অবিস্মরনীয় কালান্তরের মিথ্যার বেসাতির নিলর্জ্জ সাক্ষী।একদা যারা মুক্তি যুদ্ধা এবং মুক্তি যুদ্ধের ঘোষনাকারি বলে মিথ্যার বেসাতি করে জাতিকে দ্বিখন্ডিত করে রেখেছিল তাঁদের মুখোষ পুরাপুরি এই বছরটিতেই উম্মোচিত হল।মুক্তি যুদ্ধাদের দ্বিখন্ডিত করে তাঁদের নীজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্যই মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরে ভাগ বসিয়েছিল তা আর নতুন প্রজম্মকে তথ্য উপাত্ত দিয়ে বুঝিয়ে দেয়ার দরকার হবেনা। যুদ্ধ অপরাধের বিচার, মানবতা বিরুধী বিচার বিশ্বের স্বীকৃত একটি আইনী ধারা।বিজিয়ী মুক্তিযোদ্ধা বিজিত রাজাকারের বিচার অনুষ্ঠান করবে ইহাই ছিল স্বাভাবিক।মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তি জাতির জনকের সরকার তা শুরুও করেছিলেন।'৭৫ এর মর্মান্তিক ইতিহাসের নজিরবিহীন হত্যাকান্ড সংঘটিত করে পাকি ভাবধারার মোস্তাকের নেতৃত্বে যে সরকার গুলি বাংলাদেশের শাষনকায্য পরিচালনা করে তাঁরা পরিকল্পিত প্রচারনার মাধ্যমে অনেকগুলী মিথ্যা প্রচারনাকে সত্যে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিল।তম্মধ্যে প্রধানতম বিষয়গুলির মধ্যে অন্যতম দুটি বিষয় আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই। (এক) যুদ্ধাপরাধের বিচার করার প্রয়োজন নেই,এতে জাতিকে দ্বিখন্ডিত করা হবে। (দুই)মেজর জিয়াউর রহমান ২৭ তারিখে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষনা দিয়েছেন।মেজর জিয়া যুদ্ধের ঘোষনা না দিলে যুদ্ধই হতনা। সুপ্রিয় পাঠক গন আমরা জানি একটা মিথ্যাকে সত্যে পরিনত করতে হাজারো মিথ্যার কাহিনীর জম্ম দিতে হয়।তেমনি আহম্মকদের ও তথৈবচ। আমরা সবাই জানি আমাদের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ।'৭১ ইং সালের ১৬ই ডিসেম্বরের বিজয় অর্জিত হওয়ার পর থেকে আজ পয্যন্ত'২৬ তারিখের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বা সরকারী ছুটিতে হেরফের হয়েছে তা শুনা যায়নি বা পরিবর্তনের প্রচেষ্টা কোন মহল করেছে এমনটি মনে হয়নি।তাহলে মেজর জিয়া কোন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেছিলেন??'২৭তারিখ কোন বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস,কারা সেই দিনটি উৎযাপন করে? দ্বিতীয় যে মিথ্যার আশ্রয়টি তাঁরা নিয়েছিল, তা হচ্ছে জাতিকে বিভক্ত করা জাতীয় উন্নয়নের জন্য বড় আগাত হিসেবে বিবেচিত হবে।সুতারাং স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষ এই ধরনের রাজনৈতিক আলোচনা যারা করবে তাঁরা জাতিকে বিভক্ত করার জন্যই বলবে।অকাট্য যুক্তি সাধারন মানুষকে সহজেই পক্ষে নেয়ার জন্য যথেষ্ট রসদ বক্তব্যটিতে রয়েছে।সুকৌশলে বক্তব্যটি জনসমক্ষে প্রচার করে যুদ্ধাপরাধীদের মেজর জিয়া জেল থেকে মুক্ত করে দেন,গোলাম আযমকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাবস্থা করেন।যুদ্ধাপরাধের চলমান সকল মামলা আইনী প্রক্রিয়া ছাড়াই প্রত্যাহার করে আদালত থেকে সকল নথি রাতারাতি গায়েব করে দেন।তাঁর আগে জাতির জনকের এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়যন্ত্র ব্যাবহার করে এমনসব নিলর্জ্জ মিত্থ্যা অপপ্রচার চালায় যাতে বাংলার অবিসংবদ্ধিত নেতা জাতির জনকের বা তাঁর দলের ঘুরে দাঁড়ানোর কোন শক্তি আর অবশিষ্ট না থাকে।৭৫ এর পরবর্তিত পরিস্থিতিতে তাদের চেষ্টা সফলও হয়। বিএনপি মুলত: মুক্তিযুদ্ধের জামা গায়ে দিয়ে রাজাকার প্রতিপালন,তাঁদের প্রতিষ্ঠার পিছনে মুল সহায়ক শক্তি,রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাঁদের নিম্নশ্রেনীর কর্মিদের পয্যন্ত প্রতিষ্ঠিত করার শক্তি -জনগনকে তথ্য উপাত্ত দিয়ে বুঝিয়ে দিলেও জনগন বিশ্বাস করতেন না। বিশ্বাস না করার একমাত্র কারন তাদের কৌশলি প্রচারনা, পরলিকল্পিত কর্মকান্ড, ধীরে চলার নীতি, মুক্তিযোদ্ধা জিয়ার কাল চশমার আড়ালে মুক্তিযুদ্ধা নিধনের প্রক্রিয়া, তথ্য ও পরিকল্পনায় গোপনীয়তা রক্ষায় সফলতা।তাঁরা কিন্তু একদিনে বা তড়িঘড়ি কোন কাজ করেননি,প্রথমেই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সত্যকে তাঁরা জনগনের আড়ালে নিয়ে যায়,তারপরই বাংলাদেশকে ধীরে ধীরে পাকি ভাবধারায় নিয়ে যাওয়ার প্র্রক্রিয়া গ্রহন করে। জাতির জনকের কন্যা যখনি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচারের প্রক্রিয়া গ্রহন করেন তখনি তাঁদের অবস্থান পরিষ্কার হয়ে ধরা দিল জনমনে। বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য শেষ পয্যন্ত নকশাল ধারার আন্দোলন পরিচালনা করে বেগম জিয়া - অরাজগতা,বিশৃংখলা,নৈরাজ্য, হত্যা,গুপ্তহত্যা, জঙ্গী তোষন,আগুন সন্ত্রাস এবং কি সেনাবাহিনী কে পয্যন্ত উস্কানী দিতে দ্বিধাবোধ করেননি। প্রিয় পাঠকগন,আপনারা নিশ্চয়ই জানেন প্রথমবার '৯১ এ বিএনপি তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে বেগম জিয়া প্রথমবারের মত প্রধান মন্ত্রী হয়ে নিউইউর্ক সফরে যান১৯৯২ সালে। নিউইয়র্কের প্লাজা হোটেলের সামনে খালেদা জিয়ার গাড়ির বহর আটকে দিয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করেছিল সেদিন নিউইয়র্কের আকাশ বাতাস শত শত তরুণ। বেগম জিয়া পেছনের দরজা দিয়ে প্লাজা হোটেল ত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন। এরপর ছিল বেগম জিয়ার প্রেসব্রিফিং। সেখানে একজন সাংবাদিক বেগম জিয়াকে জিজ্ঞেস করেছিলেন‘শহীদ জননী বেগম জাহানারা ইমাম জাতীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করেছেন। তিনি ঘাতক-দালাল রাজাকারদের বিচার দাবি করছেন। আপনার সরকার খুনিচক্রের হোতা গোলাম আযমের বিচার করছেন না কেন?’ প্রশ্নটি শোনার পর তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন খালেদা জিয়া। তিনি বলতে থাকেন, ‘জাহানারা ইমাম কে? গণআন্দোলন করার তিনি কে? তিনি কী করেছেন দেশের জন্য?’ এই সাংবাদিক সম্মেলনের বক্তব্যটি পত্রিকার পাতায় আঙ্গুল বসিয়ে দিয়ে বুঝিয়ে বলেও বিশ্বাস করাতে পারিনি মানুষকে। অথচ আমরা জানি এবং চিনি জাহানারা ইমামকে! শহীদ রুমীর আম্মা জাহানারা ইমাম একাত্তরে কী করেছেন, তার সাক্ষী ‘একাত্তরের দিনগুলি’। শহীদ জননীই সর্বপ্রথম বলেছিলেন, তরুণ প্রজন্ম একতাবদ্ধ হয়ে চাইলেই এই বাংলার মাটিতে ঘাতক-দালালদের বিচার করা সম্ভব হবে। শহিদ জননীর ভবিষ্যৎ বাণী অনুযায়ী এই তরুণ প্রজন্মই তা চেয়েছে ২০০৮ ইং সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বিশাল ব্যাবধানে সরকার গঠন করার সুযোগ দিয়ে।নির্বাচনী অঙ্গিকারের বাস্তবায়নের প্রথমিক কাজ শুরু করেই দেশরত্ম প্রথমেই জাতির দায় মোচনের কাজটি শুরু করেছেন।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা এই বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে দৃড সংকল্পের কথাও বার বার জাতির সামনে তুলে ধরে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা জেনেছি, বিচারের রায়ের প্রথমদিন মাননীয় ট্রাইব্যুনাল বলেছিলেন, বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাস ও ট্রাইব্যুনাল-২-এর জন্য এ এক ঐতিহাসিক দিন, যেদিন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা প্রভৃতি আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার করে প্রথম রায় দেয়া হচ্ছে। নয় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের ফসল এই বাংলাদেশ। ওই নয় মাসে এ দেশে ভয়াবহ ও লোমহর্ষক অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল। ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন, প্রায় চার লাখ নারী ধর্ষণ-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং এক কোটিরও বেশি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এই অপরাধ সংঘটন কারীদের বিচার হয়নি, যা এই জাতি ও এ দেশের রাজনৈতিক মনস্তত্ত্বে এক গভীর ক্ষত রেখে গেছে। শাস্তির বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, গণহত্যা ও হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ মানবতাবোধের জন্য এক প্রচণ্ড আঘাত। খালেদা জিয়া একটি গোষ্ঠীর পক্ষে কথা বলছেন।এই সত্যটি এখন কি বা ২০১৬ ইং এর নতুন ইংরেজী সালে নতুন প্রজর্ম্মকে বুঝিয়ে বলতে হবে?নতুন প্রজর্ম্মের বন্ধুদের কি তথ্য উপাত্ত দিয়ে বলতে হবে কে স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি,দেশের সমৃদ্ধি কামনা করেন,বাংলাদেশকে বা কোন দল বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলার জন্য নিয়ন্তর কাজ করে যাচ্ছে।কোন সরকার কার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিনত হল? বাংলাদেশটি কার উদর থেকে জম্ম নিয়ে স্বাধীনতার ৪০বছর পয্যন্ত খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলে এখন জীবন পেল? তাই বলছিলাম আমার হৃদয়ের অব্যার্থ্য এক আশংকার কথা। যা প্রতিনিয়ত কুড়ে কুড়ে মন মানষিকতাকে ক্যানসারের মত নিংড়ে সব রক্ত শুষে নির্ভেজাল এক মুর্তিতে রুপান্তরীত করে তুলছে।আর তা হল স্বাধীনতা বিরুধীদের প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র। তাঁদের প্রতিপালক বেগম জিয়ার নি:শর্ত আত্মসমর্পন আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে বেশি করে। সত্রু কোলে পিষ্টে না বসতে পারলে কোন দিন ক্ষতি করতে পারেনা।খালেদা আবার কেন কোলে উঠে বসেছে ইহাই আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। তাই বলছিলাম, যে সব যুদ্ধাপরাধী এখনো বিচারের অপেক্ষায় আছে, তাদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা দরকার। যারা এখনও বিচার প্রক্রিয়ায় আসেনি বা আনা হয়নি তাঁদের সত্বর প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হোক।কারণ জাতি জেনে গিয়েছে, জাতি বুঝে গিয়েছে- কারা এসব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে। আর কারা এদের মন্ত্রী বানিয়েছিল। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের রেখে যাওয়া পতাকা এই প্রজন্ম বয়ে যাবেই। কারণ তিনি একটি মৌলবাদহীন, জঙ্গিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এই প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে চেয়েছিলেন। তাঁর ইচ্ছাকে মায্যদা দেয়ার জন্যই বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করা প্রয়োজন।জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য আগামী প্রজর্মকে নির্ভেজাল কন্টকমুক্ত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করে রেখে যাওয়া জাতির জনকের কন্যার একান্ত দায় বলে বাংলাদেশের মানুষ মনে করে। জনগনের সেই ইচ্ছার মুল্য দেশরত্ম দিয়ে যাচ্ছেন অক্ষরে অক্ষরে নতুন প্রজম্মও তাই মনে করে। সত্যের জয় হবেই,অপশক্তির পতন অনিবায্য। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা

ছবি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার দৃড মনোবলের সাহষী উচ্চারন--জাতি গর্বভরে স্মরন করবে----- ================================= ""ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত ভেঙে দিচ্ছি, ভেঙে দেব"" >> প্রধানমন্ত্রী << ================================== প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাকিস্তান একাত্তরের পরাজয় ভুলতে না পেরে অনেক ষড়যন্ত্র করছে। তাদের যারা দোসর আর এজেন্ট আমাদের দেশে এখনো আছে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করতে চায়, অর্থনীতি ধ্বংস করতে চায়, দেশকে আবার গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ করতে চায়। তাদের ষড়যন্ত্র চলছে, চলবে। আমরা একে একে ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত ভেঙে দিচ্ছি, ভেঙে দেব। এ ষড়যন্ত্র ভেদ করেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে নিয়ে যাব। গতকাল বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, টিভিতে দেখলাম খালেদা জিয়াকে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে। এটা জাতির সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ এই খালেদা জিয়াই বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের মন্ত্রী বানিয়েছেন, তাদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছেন, তাদের বিচারের হাত থেকে রক্ষার জন্য আন্দোলনের নামে শত শত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে তিনি কী বোঝাতে চাচ্ছেন সেটিই হলো প্রশ্ন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু মুক্তিযোদ্ধাকেও দেখা যায় খালেদার সঙ্গে যেতে। এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয়। আমি এ ব্যাপারে দেশবাসীকে সচেতন হতে বলব। আলোচনা সভায় বিশেষ বক্তা ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আবদুল আলীমের কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মাহবুব-উল আলম হানিফ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আকতারুজ্জামান ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও অসীমকুমার উকিল সভা পরিচালনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন আমরা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর করছি বা করতে যাচ্ছি তখন খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে ছুটে এলেন, কী আকুতি নিয়ে তিনি চলে এলেন, সেটিও চিন্তা করে দেখেন। তিনি ভেবেছিলেন যে, তিনি ছুটে এসেই আন্দোলন করে সব কিছু রক্ষা করে ফেলবেন। কিন্তু পারেননি। শেখ হাসিনা বলেন, যখন কাদের মোল্লার ফাঁসি হয়, তখন কত বড় বড় জায়গা থেকে ফোন আসে। কিন্তু ফাঁসি ঠেকাতে পারেনি। কারণ দেশকে অভিশাপমুক্ত করতে হবে। যুদ্ধাপরাধের সবগুলো বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে, এতে করে দেশ অভিশাপমুক্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, যারা মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল, সেসব হত্যাকারী যুদ্ধাপরাধীর বিচার হচ্ছে, বিচার চলবে। পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে পারে। বাংলাদেশের কোনো মানুষ যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে চায় তাহলে দেশবাসীকে বলব, তাদের ঘৃণা করুন এবং যারা বন্ধ করতে চাইবে তারাও যুদ্ধাপরাধী। তাদেরও বিচার যুদ্ধাপরাধী হিসেবে করতে হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী আলীম চৌধুরীর মেয়ে নুজহাত চৌধুরী পাঠ্যক্রমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দাবি করে বলেন, ক্লাস ওয়ান থেকে টেন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসবিষয়ক আলাদা একটি সাবজেক্ট করুন। প্রতিটি যোদ্ধা, বুদ্ধিজীবীর নাম তারা মুখস্থ করবে। কোনো নীতি যেন তাদের জয় বাংলা থেকে স্বাধীন বাংলা থেকে সরিয়ে দিতে না পারে। তিনি বলেন, মাাদ্রাসা শিক্ষাকে সুপারভিশনের আওতায় আনা প্রয়োজন। তাদের অর্থনৈতিক লেনদেন অডিটের আওতায় আনা প্রয়োজন। এ সময় বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী আলবদর-প্রধান মুজাহিদের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর হয়েছে। কীভাবে এই নেত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাব, জানি না। প্রতিটি মানুষ আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।"" "" মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা, আপনার এই দৃড মনোবল রুপকথার কাহিনী হয়ে একসময়ে বাংলার ঘরে ঘরে আলোচিত হবে।আজকের বাংলাদেশ শুধু ড:নুজহাতের মত পিতৃমাতৃহীন শহিদ পরিবার, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান,দেশপ্রেমি বাঙালি ভাইবোনেরাই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।সময় খুব বেশী দূরে নয় সারা জাতি অদুরভবিষ্যতে আপনার সাহষিকতা,দৃড মনোবল,অপরিসীম নেতৃত্বের গুনাবলি, দেশের প্রতি অন্তরের গভীর থেকে অকৃত্তিম ভালবাসার উদাহরন, বাঙালি জাতি একসময়ে রুপ কথার রাণীর কাহিনীর আদলে বাঙলার ঘরে ঘরে আলোকবর্তিকা হয়ে বাঙালি জাতিকে আলোর দিশা দেখাবে। বৈরী পরিবেশে,বিশ্বমোড়লদের চোখরাঙানী, ৪০বছর রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় লালিত পালিত বিষধর সাঁপ গুলিকে আপনি একে একে বিচারের সম্মুখ্যিন করে, ধৈয্য ও সহনশিলতার চরম পরাকাষ্টা দেখিয়ে যথাযথ আইনী প্রক্ক্রিয়া অনুসরন করে কায্যকর করে যাচ্ছে আপনার সরকার তার উদাহরন শুধুই আপনি এবং আপনার সরকার। সামসাময়ীক বিশ্বইতিহাসে কোন দেশ বা কোন জাতি এমন নজীর স্থাপন করতে পারেনি।কোন দেশের যুদ্ধ অপরাধ বিচারে এমন রাষ্ট্রীয়, উচ্চ আদালতের আইনী সুযোগ,স্বচ্ছতার স্বার্থে প্রকাশ্য বিচার ব্যাবস্থা,প্রতি কায্যদিবসের প্রতিবেদন প্রতিদিন দৈনীক পত্রিকার পাতায় চাপার সুযোগ,রাষ্ট্রের কর্নধারের মার্সী দেয়ার সুযোগ রেখে করতে পারেনি।শুধুমাত্র বাংলাদেশের মানবতা বিরুধী বিচারের ক্ষেত্রে আপনি এবং আপনার সরকারই করেছে। সমালোচনাকারীরা সমালোচনা করবেই।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ভারতের সাথে ঐতিহাসিক মৈত্রী চুক্তি করেও সমালোচিত হয়েছিলেন।শুধু সমালোচনাই নয়, আমি বলবো তাঁর হত্যার পথকেও ষড়যন্ত্রকারিরা প্রসস্ত করতে সক্ষম হয়েছিল। কালের প্রবাহে আপনার হাতে তাঁর বাস্তবায়ন হলে দেশবাসি আপনাকে দেশেরত্ম উপাধীতে ভুষিত করেছেন।বিশ্ববাসী আপনাকে বিশ্বনেত্রীর আসনে বসিয়ে ধরিত্রীর মানষ কন্যারুপে আখ্যায়ীত করতেও কুন্ঠাবোধ করছেনা। ধীরে ধীরে বাংলাদেশ যতই মানবতা বিরুধী অপরাধী মুক্তহবে,রাজাকার মুক্ত হবে,জঙ্গী মুক্তহবে ততই জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথ প্রসস্ত হবে।জাতি কাংখিত স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাধ উপভোগের সুযোগ পাবে,দেশ পাবে উন্নয়ন অগ্রগতি,বাঙ্গালী জাতি পাবে বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে চলার সংগতি।"" জয় হবেই হবে। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা