পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
ছবি

আমরা মুজিবাদর্শের লড়াকু সৈনিক:--- আদর্শ বিসর্জনে মহাখুশী--------------!! _____________________________ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মধ্যে আদর্শ, দর্শন শিক্ষায় শিক্ষিত, দলের অনুগত নেতাকর্মীর-অভাব প্রচন্ডভাবে অনুভুত হচ্ছে।অতীতে জাতির জনকের আদর্শ ধারন করে এমন অনেক নেতা কর্মী দেখা মিলতো, যারা নীজের জীবন যৌবন কখন হারিয়ে বৃদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে উপস্থিত হয়েছেন নীজেই জানতেন না। হাজার হাজার নেতাকর্মী চিরকুমারত্বকে সঙ্গে নিয়ে পরপারে চলে গেছেন- অনেক আগেই। উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয় পয্যায়ে বাস্তবায়ন করে বাঙ্গালী জাতির মধ্যে ধর্মীয় বিভাজনের যে হিংসা বিদ্বেষ প্রোথিত করে দিয়েছিল স্বার্থান্বেষী মহল তাঁর মুল ঊৎপাটন। ভাষা শহীদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ কে আলীঙ্গন। বাঙ্গালীর হাজার বছরের লালিত সংস্কৃতি ও কৃষ্টির মহিমায় গড়ে উঠা জাতি, ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠিত করে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সোনার বাংলা গঠন। ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদের ধারণা উপমহাদেশে ভুল প্রমানীত হয়েছে,জাতিকে হিংসার চরমে নিয়ে গেছে। শতশত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তাঁর প্রকৃষ্ট প্রমান।আরবের জাতিয়তাবাদও গড়ে উঠেছে ভাষার ভিত্তিতে। ইসলাম ধর্মের বধ্যভুমি হওয়া সত্বেও তাঁরা ধর্মভিত্তিক জাতিয়তাকে প্রশ্রয় দেয়নি।তাঁদের ভাষার জন্য এবং আরবে জম্ম গ্রহন করায় নীজেদের ধন্য মনে করে। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে গড়ে উঠা জাতীয়তা বোধের উম্মেষের পরিনতি মুক্তিযুদ্ধ।ভাষা আন্দো -লনের মুল চেতনাই ছিল অসাম্প্রদায়িক। মুক্তিযুদ্ধকে মনেপ্রানে ধারন করলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে এসে যায় অসাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থা তথা ধর্মনিরপেক্ষতা। রাষ্ট্র ভাষা ও সংস্কৃতিক আন্দোলন ভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে আলিঙ্গন , বিভাজনমূলক রাজনীতিকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ এবং ঐক্যবদ্ধতামূলক দর্শনকে ধারণ করা ছিল মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গিকার। আর তাই বঙ্গবন্ধু মুজিব ১৯৭২ এর সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে সন্নিবেশিত করেন।'৭২ এর সংবিধানই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের পুর্ণ প্রতিফলন। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির লক্ষ্য হল- রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রকে বিনষ্ট করা এবং ধর্মভিত্তিক বিভাজনকে উস্কে দেয়া। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা স্পষ্টতই আমাদের স্বাধীনতার মূল্যবোধের পরিপন্থি। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল সংক্রান্ত রিট খারিজের পর মুজিব সেনাদের উল্লাস দেখে আশ্চায্যই হলাম। আওয়ামী লীগের রাজনীতির মুল চালিকাশক্তি 'দর্শন ও 'আদর্শ' বাদ দিয়ে কিসের উপর দাঁড়িয়ে থাকবে দল? আদর্শ, দর্শনের মৃত্যু হলে দলের কি মৃত্যু হয়না? আওয়ামী লীগের মৃত্যু কি অনিবায্য? জাতির জনকের কন্যা জাতির জনকের আদর্শকে নীজ হাতে হত্যা করবেন? আমাদের নেতাকর্মীরা কিভাবে ভাবেন? আওয়ামী লীগ বর্তমান সময় পয্যন্ত-জাতির জনকের আদর্শের বাহিরে এককদম দেয়ার ক্ষমতা অর্জন করেনি। প্রতিনিয়ত বঙ্গবন্ধুর কথা বলেই জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসছে।প্রধান মন্ত্রী নীজেও এখন পয্যন্ত জাতির জনককে স্বরন ব্যতিত তাঁর বক্তব্য শুরু করতে আমি দেখিনি। যে কিংবদন্তি নেতার গুনগান গেয়ে ২১বছর পরেও ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে দল- তাঁর আদর্শকে বর্জন করবে আওয়ামী লীগ? কি করে সম্ভব? কখনও হতে পারেনা! কখনও নয়, আমি বিশ্বাস করিনা। পাকিস্তানের প্রভাবশালী মুসলিম লীগ দলের মৃত্যু হয়েছে ভুল দর্শন গ্রহনের কারনে,পাকিস্তান দ্বিখন্ডিত হয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের উদ্ভব হল ঠিক একই কারনে।আরও বহুধাবিভক্ত হওয়ার প্রহর গুনছে কম করে হলেও তিনটি প্রদেশ। চোখের সামনে একাধিক উদাহরন থাকার পরও মুজিব সৈনিকেরা কি করে উল্লাস করতে পারেন? বর্তমান আওয়ামী লীগ মুজিব আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে?আওয়ামী লীগ এবং মুজিব আদর্শের আওয়ামী লীগের মধ্যে আদর্শগত ও দর্শন ধারনগত মতাদর্শে বড় রকমের শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে এই শুন্যতা দুরীকরনে অচিরেই পদক্ষেপ না নিলে চরম মুল্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে এই শুন্যতা পুরন করতে হবে। নেতাকর্মীদের মধ্যে রাজনৈতিক "জ্ঞানের পরিধি" শুন্যতার পিছনে আমি 'ঘুরে ফিরে' একটি কারনই উৎঘাটন করতে পেরেছি। আর তা হল,--" জ্ঞানের অভাব,লেখাপড়া না করা,নেতার স্তুতিতে সর্বক্ষন ব্যয়, নেতাদের আমিত্বের অহংবোধ,কর্মিদের ব্যক্তিগতকাজে ব্যবহার, নতুন নেতৃত্ব বিকাশে সর্বক্ষমতা প্রয়োগ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি।" মহামান্য আদালত 'রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের' রিট খারিজ করেছে।খারিজের অর্থ কি পুর্নবহাল?পঞ্চম সংশোধনী সর্ব উচ্চ আদালত বাতিল করেছে।অষ্টম সংশোধনীও বাতিল করেছে।দুই সামরিক সরকারের করা আইন বিধি শাষন বাতিল বলে রায় দিয়েছে।রিট পিটিশন বাতিল হলে রাষ্ট্র ধর্ম বহাল হবে কোথায়? আদালত পঞ্চম সংশোধনী বাতিল রায় আবার বাতিল করেছে?সংশোধনী থাকলেইতো বহাল হবে,না থাকলে কোথায় হবে? এইখানেই বিষয়টি মহত্ব নিহীত আছে,"আদালত কতৃক ৫ম/৮ম সংশোধনী রায়ের আংশিক কায্যকর করেছে সরকার, "বাদবাকী অংশ গ্রহন বর্জন কিছুই করেনি" -আগামী প্রজম্মের জন্য তুলে রেখেছেন জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী" ২০৪১ সালে রুপকল্প" বাস্তবায়িত হয়ে উন্নত,সমৃদ্ধ শিক্ষিত জ্ঞানভিত্তিক জাতিগঠন করে তাঁদের নিকট থেকে রায় নিয়ে বাস্তবায়ন করবে নতুন প্রজম্মের তেজস্বী কোন একনেতা। তাঁর আগে উন্নত,শিল্প সমৃদ্ধ দেশ গঠন করার জন্য যত টুকু ছাড় প্রয়োজন দিয়ে যেতে রাজী আছেন দেশরত্ম। সেই পয্যন্ত মহাখুশী থাকুন মুজিব আদর্শের লড়াকু সৈনীক বন্ধুরা। রাজনীতি শেখার জানার বুঝার সময় এখন কোথায়, ডিজিটাল যুগের ছেলে মেয়েরা এনালগের ইয়া বড় পুস্তক পড়বেইবা কেন? মাঠে ঘাঠে নেতা জনগনের মাঝে বিচরন করে তাদের মনের ভাষা স্লোগানে শ্লোগানে দাবিতে রুপান্তর করতেন। রুপান্তরীত দাবী নেতার মুখে প্রকাশ পেত চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে।বর্তমানের রাজনীতিতে নেতার নির্দেশ তৃনমুলে বাস্তবায়ন করার নিমিত্তে গড়ে তোলা হয় একাধিক সিন্ডিকেট । নিয়ন্ত্রন করা হয় দল ও সরকার। ভাইয়ের জায়গা দখল করেছে বস-নির্দেশনা দাতার পরিচিতি বেড়ে হয়েছে হাই কমান্ড।জনগনের নেতা নিয়ন্ত্রনের ভার -চলে এসেছে নেতায় কর্মী নিয়ন্ত্রনে। ""হতেও পারি আদর্শচ্যুত""------------ _______________________________ জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা

ছবি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা, উন্নয়ন, অগ্রগতি, ধৈয্যের চাকায় পৃষ্ট করে----অশুভ শক্তির চক্রান্তের জবাব দিতে চান------ _______________________________ তারেক জিয়ার গোপন রাজনৈতিক আশ্রয়, ২৮বছর পর "রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম" বাতিল রিট শুনানীর জন্য উত্থাপন, শেখ হাসিনা বিহীন নির্বাচনের হুমকি সবকিছুই শক্তিধর রাষ্ট্রের গোপন ষড়যন্ত্রের অংশ। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলাসহ অন্যান্য ১৩টি মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হওয়ায় গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে অনুরোধ করেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। ওই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারপোল সচিবালয় প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দলিলাদি বিশ্লেষণের পর রেড নোটিশ জারি করেছিল। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা রেড নোটিশ প্রত্যাহার করেছে ইন্টারপোল।বিষয়টি অত্যান্ত সংগোপনেই করা হয়েছে।এই ধরনের নোটিশ প্রত্যাহার করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশকে জানানোর বিধান থাকলেও সংস্থাটি তা জানায়নি। বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ইন্টারপোল জানায় তারেক প্রটেকটিব স্ট্যাটাসে আছে। রাজনৈতিক আশ্রয়ের মতোই প্রটেকটিভ স্ট্যাটাসও বিদেশে আশ্রয় গ্রহণের অন্য একটি উপায়, হয়তোবা হতে পারে। কোনো তদন্তাধীন ফৌজদারি মামলায় বা বিচাধীন মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার বিধান ও দৃষ্টান্ত আছে। তারেক রহমান একাধিক ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র ভুক্ত আসামি, যা আদালতে বিচারাধীন।এইরুপ ক্ষেত্রে রেড নোটিশ জারি হওয়া কোন ব্যাক্তি কোন দেশের সরকারের অনুমতিতে--সেই দেশে বসবাস করার জন্য বৈধ আশ্রয় নিতে পারে কিনা- বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখছে।এইরুপ আশ্রয়ের ব্যপারটি গোপনীয় হবে কেন? ইন্টারপোলই বা কেন-কোন দেশের প্রটেকটিব স্ট্যাটাস পেয়েছে তারেক--বলতে অপরাগতা প্রকাশ করবে? গত কিছু দিন আগে খালেদা জিয়া প্রকাশ্য তাঁর দলীয় কাউন্সিলে হুমকি দিয়ে বলেছে,বাংলাদেশে নির্বাচন হবে-তবে সেই নির্বাচন হাসিনা মুক্ত হবে। বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার বিস্ময় প্রকাশ করে তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন। প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে গিয়ে প্রধান মন্ত্রী অনেকটা তকদির বাদীর মতই বলতে শুনা গেছে, "আল্লাহর হুকুম না থাকলে কেহ-ই মারতে পারবেনা।" '৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট জাতির জনকের পরিবার, আত্মীয়স্বজন সহ হত্যা করা হয়েছিল-নিশ্চয়ই সবার মৃত্যু আল্লাহর হুকুমে হয়নি,'অনেকের অকাল মৃত্যুও হয়েছে।'সব আল্লাহর হুকুমে সংঘটিত হলে "অকাল " শব্দটি আদৌ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা ছিলনা। আল্লহর হুকুম অবশ্যই থাকে,সাথে নীজের অসতর্কতার কারনে অকাল মৃত্যুকেও অস্বীকার করার উপায় নেই। অপরদিকে গত ৭/৮বছর উচ্চ আদালতের রায়কে বিদ্রুপ করে বহু বিবৃতি বহুজনেই প্রধান করেছেন। রায়ের বিরুদ্ধে হরতালের প্রকাশ্য ঘোষনাও দিয়েছেন- কোন কোন রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব প্রাপ্ত মুখপাত্র। অনেক বুদ্ধিজীবিকে আদালতের কাঠ গড়ায় হাজির করলেও শাস্তি কাউকেই পেতে হয়নি।প্রকাশ্য রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দেয়া বক্তব্যের জন্য বা হরতাল ডাকার জন্য আদালত কাউকে সুয়োমটোও দেননি, কারো বিরুদ্ধে রুলও জারি করেননি। বাংলাদেশ সরকারের দুইজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমনতর আদালত অবমাননায় শাস্তি দিতে কার্পন্য করেনি আদালত।একই সময় আদালতে ২৮বছর আগে করা রাষ্ট্র ধর্ম 'ইসলাম' সংযোজনের বিরুদ্ধে করা রিট কোন পক্ষ থেকে শুনানীর আবেদন না করা সত্বেও শুনানীর জন্য উত্থাপন করেছে।খবরটি প্রকাশের পরক্ষনেই মহল বিশেষের পক্ষ হতে বিক্ষোভ সমাবেশ, হরতাল, বিবৃতি ইত্যাদি খুব জোরের সাথেই দেয়া শুরু হয়েছিল।আগের মতই যুক্তি বা প্রসঙ্গ তুলতে গেলেই নাস্তিক, কাফের, মোনাফেক ইত্যাদি বিশেষনের ফুল- জুড়িও যথারীতি শুরু হয়েছিল। ভয়ে দেশের বিশিষ্ট আলেম উলামারা বিষয়টির প্রয়োজন এবং ধর্মের সাথে সম্পর্ক আছে কি নেই--এই সম্পর্কেও ভালমন্দ মুখ খুলতে সাহষ করেনি।এইক্ষেত্রে দেখা গেছে 'আওয়ামী ওলামা লীগ' সবার আগে আগে হাঁটার চেষ্টাও লক্ষনীয়ভাবে ফুটে উঠেছে।এর আগেও তাঁদের কিছু বিতর্কীত ভুমিকা দেশবাসির দৃষ্টিতে সম্যক এসেছে। তবে কি ঘরের মধ্যেও কিছু বীজ '৭৫এর মতই বপন করা আছে ? গতিবিধি, আচার আচরন লক্ষ করলে অনুধাবন করলে বুঝতে কষ্ট হয়না, জাতির জনকের কন্যার দৃষ্টিতে সবকিছুই স্পষ্ট আছে। তিনি ধৈয্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে সব কিছুই একের পর এক মোকাবেলা করে যাচ্ছেন। যথাসময়ে যথার্থ্য সিদ্ধান্তটি তাঁর কাছ থেকে জাতি পাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারিরাও ব্যপারটি বুঝতে পেরে প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তের বিরুধীতা করতেও দ্বিধা করছেনা। জনগনকে ধারনা দেয়ার আপ্রান চেষ্টা হচ্ছে -প্রধানমন্ত্রীর নিকট একক ক্ষমতা থাকা উচিৎ নয়।খমতা রাষ্ট্রপতির সাথে কিছুটা ভাগাভাগি করা দরকার। তাঁরা যখন খমতায় ছিলেন তখন ব্যপারটি তাঁদের মনেই ছিলনা-এখন মনে হচ্ছে।মনে হওয়ার মুল কারন বিশেষ বিশেষ মহুর্তে আওয়ামী লীগের অনেক দাপুটে নেতা পালিয়ে গেলেও জাতির জনকের কন্যা একাই যুদ্ধের ময়দানে সেনাপতির ভুমিকায় অবতির্ন্ন হচ্ছেন এবং বিজয় চিনিয়ে আনছেন দল ও দেশের জন্য। অশুভ শক্তির পরাজয়ই ঘটছে শুধু। পরাজিত হতে হতে দলের অস্তিত্ব নিয়েই টানাপোড়ন শুরু হয়েছে। সর্বশেষ পরাজয়টি এত সহজে, অল্পসময়ে ঘটবে অশুভ শক্তি বুঝে উঠতে পারেনি। গত দুই বছরের চেষ্টায় দেশীবিদেশী পরিকল্পনায়, মা-ছেলের একাধিক বৈঠকের সিদ্ধান্তে গড়ে উঠা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছিল "রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম" রিট। প্রধানমন্ত্রী দলের কিংবা আশেপাশের কারো সাথে কোন পরামর্শ না করে ঠান্ডা মেজাজে দুই বছরের ষড়যন্ত্র মাত্র পাঁছমিনিটের শুনানীতে ব্যার্থ্য করে দিলেন। তিনি তাঁর সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আইনী লড়াই না করার সিদ্ধান্ত দিয়ে- ষড়যন্ত্রের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিলেন। জাতির জনকের কন্যা সম্যক বুঝতে পেরেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান সাম্প্রদায়িক সংকট, উগ্র জঙ্গীবাদের উত্থান, সামরিক অভ্যুত্থান, মৌলবাদের উত্থান ইত্যাদি অশুভ শক্তির চক্রান্ত আইন করে বা পুলিশী শাষন দিয়ে নির্মুল করা যাবে না। জাতিকে শিক্ষা,সংস্কৃতি, কৃষ্টিতে এগিয়ে নিতে হবে।শিক্ষার আলো প্রতিটি ঘরে ঘরে জ্বালাতে হবে। শিক্ষাকে প্রযুক্তির শিক্ষায় রুপান্তরীত করে বিজ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গড়ে দেশকে আলোকীত করতে হবে। স্বল্প সময়ে দারিদ্রতা দূর করতে হবে।কৃষি নির্ভর অর্থিনীতির সাথে শিল্পকে সম্পৃত্ত করে সমান গুরুত্ব দিয়ে দেশকে সমৃদ্ধ-স্বাবলম্ভী করে তুলতে হবে। দেশ ও জাতি সমৃদ্ধশালী হলে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই সমাজের বিদ্যমান কুসংস্কার দূর হয়ে যাবে।সুদুরপ্রসারী চিন্তাচেতনার বাস্তবায়ন ঘটাতে তিনি দেশি বিদেশি বর্তমানের চক্রান্ত সমুহ সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছেন-প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হলে তাঁদের খমতার স্বপ্ন-স্বপ্নই থেকে যাবে। মা-ছেলেকে সারা জীবন জেলে রাখার উপকরন সরকারের হাতের মূঠোয়তো আছেই।বাংলাদেশ তাঁর কাংখিত উন্নয়ন অগ্রগতির সোপানে পৌছে গেলে বৃহৎ রাষ্ট্র সমুহের খবরদারিই বা কোথায় থাকবে? এমনিতে বিশেষ ব্যাক্তি ও কয়েক জোটে অংশ না নিতে বিশেষ দুত ও টেলিফোনে অনুরুধ প্রত্যাখ্যাত হয়ে মোড়লগীরি অনেকাংশে কমিয়ে দিতে হয়েছে। উন্নতি অগ্রগতির রেলগাড়ী যে গতিতে চলা শুরু করেছে, একই গতিতে ষড়যন্ত্রের গাড়ী চালাতে না পারাও বিরুধী দলের ব্যর্থতা মনে করে মোড়ল রাষ্ট্র। ফলে মধ্যবর্তি নির্বাচনের জন্য কান্নাকাটিও কানে নিচ্ছেনা আগের মত।তাঁরা চায় শেখ হাসিনাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া ছাড়া বর্তমান অগ্রগতির চাকা থামানো যাবেনা। সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও বিপুল সংখ্যা গরিষ্টতা পাবে আওয়ামী লীগ। জনগনের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে আর কোন খবরদারীই মেনে নিবেনা দেশরত্ম শেখ হাসিনা। তারচেয়ে বর্তমান অবস্থায় ইস্যু সৃষ্টি করে অরাজগতা, নাশকতা সৃষ্টি করে জনপ্রিয়তায় ধ্বস নামানোই হবে একমাত্র লক্ষ। পরিকল্পনার প্রথম ধাপ কায্যকর সম্ভব হলে দ্বিতীয় ধাপ তাঁদের-হত্যা মিশনের দিকেও দাবিত করা যাবে- তাঁদের পেইড এজেন্টদের। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ষড়যন্ত্র জাতির জনকের কন্যা কৌশলে এড়িয়ে দেশ ও জাতিকে স্বস্তি দিতে পেরেছেন।সাধারন মানুষের প্রচুর প্রসংশায় মুখরীত সারা বাংলাদেশ। __________________________ জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা

ছবি

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম খমতায় যাওয়ার অস্ত্র--ধর্মীয় কোন বিষয় নয়-------- ___________________________________ ধর্মের যে কোন ইস্যুতে শতকরা একশত ভাগ সমর্থন পাওয়া যায়।ধর্মের সাথে প্রতারনা হচ্ছে এটা একজনও বুঝার মত নেই।কারন বুঝতে গেলে বা বলতে গেলে তাঁকে নাস্তিক উপাদি পেতে হবে। তাই অনেকে জেনেও না জানার ভান করেন।যাহা ইসলামের জন্য, ইসলামী আন্দোলনের জন্য বড় ক্ষতিকর।দুনিয়াবি স্বার্থের জন্য আল্লাহর নির্দেশনার বাইরেও ফতোয়া দেয়া বা রাষ্ট্রকে কোন বিষয়ে বাধ্য করা আর যাই হোক ধর্মের মঙ্গল হতে পারেনা, বা ইসলামের মঙ্গল হতে পারেনা। মাওলানা সাহেবেরা ওয়াজে বলেন নবীকে অনুকরন করতে হবে।তিনি যা বলেছেন এবং যা করেছেন সব কিছুই আল্লাহর হুকুমেই করেছেন।আল্লাহ সর্বজ্ঞানী এবং সর্বজান্তা।আমরা মনে প্রানে বিশ্বাস করি, বিশ্বাস না করলে বা সামান্য সন্দেহ পোষন করলে ইমান থাকেনা । ইমানহীন মানুষ বা ইমানহীন মসুলমান বেহেস্তে যেতে পারবেনা। আল্লাহ,আল্লাহর রাসুল, তাঁর প্রেরিত গ্রন্থ, আল্লাহর নবী রাসুলগনকে মনে- প্রানে বিশ্বাস করাকেই ঈমান বলে। মহান আল্লাহ সর্বযুগের জ্ঞানী করে তাঁর প্রিয় বন্ধু হযরত মোহাম্মদ (স:) কে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন।নবী করিম (স:)রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করেছেন।তিনি দুনিয়ার মানুষের শিক্ষার জন্য অনুসরন করার জন্য--তিনি সেই রাষ্ট্র পরিচালনাও করেছেন। নবী যে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন সেই রাষ্ট্রেও রাষ্ট্র ধর্ম ছিলনা। মহান আল্লাহ জানতেন রাষ্ট্র -ধর্ম পালন করেনা-রাষ্ট্র একটা জড় পদার্থ্য। রাষ্ট্র এর নাগরিকদের পরিচালনার জন্য যে আইন, নিয়ম বা বিধি তাহা আল্লাহর প্রেরিত শ্রেষ্ঠ কিতাব কোরানে উল্লেখ করে দিয়েছেন। কোরানে ঘোষিত আইন দ্বারা স্ব-স্ব-রাষ্ট্রের নাগরিকদের পরিচালনা করার জন্য বলেছেন। মানুষকেও অর্থাৎ মসুলমানদেরকেও সেই আইন অবশ্যই পালনীয় বলে হুকুম করেছেন। নবী করিম (স:) সেই ভাবেই রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। নবী করিম (স:) এর উফাতের পর তাঁর বিশ্বস্ত সাহাবীরাও তাঁর প্রতিষ্ঠিত খেলাফতের খলিফা নির্বাচিত হয়ে নবীজির রাষ্ট্র পরিচালনাকে অনুসরন করে খেলাফত পরিচালনা করেছেন। খলিফারাও রাষ্ট্র ধর্ম - রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁদের সংবিধানে সংযোজন করেন নাই। সংযোজন করতে পারেন না কারন,-"কোরানের উপর হাত দেয়ার ক্ষমতা আল্লাহ কাউকে দেননি।" কোরান সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ সংবিধান করে আল্লাহ নীজে তৈরী করে হযরত মহাম্মদ (স:) এর মাধ্যমে মানবের কল্যানে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ সব কিছু জানেন- রাষ্ট্র ধর্ম থাকতে হবে এই গুরুত্ব পুর্ন ইস্যুটি কোরানের আয়াতের সংযোজন না করার নিশ্চই কোন যৌক্তিকতা পাননি আল্লাহ। অথবা ভিন্নধর্মী মানুষের বসবাস রাষ্ট্র সমুহে থাকবে এই কারনে ইস্যুটি আল্লাহ কোরানে দেননি, রাসুলকেও বলেননি। ভিন্ন ধর্মের উপর আল্লাহর মনোনীত ধর্মকে চাপিয়ে দিলে(একজন হোক) আল্লহর শ্রেষ্ঠত্ব থাকেনা- তাঁর বন্ধু হযরত মোহাম্মদ (স:) এর মহানুভবতাও প্রশ্নের সম্মুখ্যীন হয়। তাই সর্বজ্ঞানী আল্লাহ মানব জীবনে ধর্ম্ম ধারন এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনে জেহাদের নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম " প্রতিষ্ঠিত করতে বলেননি। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম কে সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ সংবিধান-আল্লাহর প্রেরীত সংবিধান "আল-কোরানে" অনুমোদন করেনি। নিশ্চয়ই আল্লাহ সে ভাবেই হুকুম করেছিলেন, আল্লহই ভাল জানেন। আরও পরিষ্কার ভাবে বলা যায়, দুনিয়াতে ইসলাম আসার পর থেকে(১৪০০বছর) ইসলাম ধর্মের উপর গভেষনাকারি লক্ষ কোটি আলেম উলামা, বুজর্গ, জ্ঞানী শ্রাদ্ধাবাজন ব্যাক্তি জম্মগ্রহন করেছেন, ইসলাম প্রচার-প্রসারে সারাজীবন উৎসর্গ করেছেন- লক্ষ লক্ষ বুজর্গ, অনেক বুজর্গ রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন, অনেক ইসলামী চিন্তাবীদ ইসলামী শাষন প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করেছেন-শাষন করেছেন- কস্মিন কালেও কেউ কোন দিন আন্দোলন সংগ্রাম দূরে থাকুক প্রস্তাবও রাখেনি রাষ্ট্রীয় সংবিধানে"রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম" থাকা বাঞ্চনীয় বা থাকা উচিৎ। এমন একটি বিষয় কোন প্রকার দাবীছাড়া, আন্দোলন ছাড়া, নির্বাচনী ওয়াদা ছাড়া-হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ হঠাৎ করে ১৯৮৮ইং সালে রাষ্ট্রীয় সংবিধানে সংযোজন করেন।আলেম উলামাদের পক্ষ থেকে তেমন কোন প্রতিক্রিয়াও দেখানো হয়নি।ভাল হয়েছে মন্দ হয়েছে তাও বলা হয়নি। রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম সংবিধানে সংযোজনের পর রাষ্ট্রের বিশিষ্ট নাগরিকদের পক্ষ থেকে একটি রিট পিটিশন করা হয়েছিল।সেই রিটের শুনানী করতে ২৮ বছর কোন সরকার সাহষ করেনি।এটা এমন একটা ইস্যু প্রত্যেক মুসলিমের প্রানে আঘাত লাগার মত একটি বিষয় নিশ্চয়ই। আদালতের রায় যদি বিপক্ষে যায় জনগনের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার ভয়ে কোন সরকার সে দিকে তাকিয়েও দেখেনি। আজকে যারা হম্বিতম্বি করে জনগনের সহানুভুতি আদায়ের চেষ্টায়রত: ছিলেন-রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম, "ছিল, আছে, থাকবে" বলে রাজপথ কাঁপানোর হুমকি ধমকি দিচ্ছিলেন-তাঁরাও কমপক্ষে দুইবারে দশ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু এই রিট নিষ্পত্তির কোন উদ্যোগ নেননি। সুযোগের সদ্বব্যবহার করার জন্য অথর্ব, অযোগ্য রাজনৈতিক দল ও ব্যাক্তি সকলেই কোমরে গামছা বেঁধে লড়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অযোগ্য বলছি এই কারনে,- আদালতের রায়ের পর সরকারের প্রতিক্রিয়া বা রায় বিপক্ষে গেলে সরকার আপিল করে কিনা বা সরকার মামলায় লড়ার কেমন প্রস্তুতি নিয়েছেন -কোন কিছু বিবেচনা না করেই কোমরে মোটা রশি বেঁধে পেলেছেন নাস্তিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য।" অনৈতিক, অরাজনৈতিক, আইন অমান্যকারিদের দ্বারা আর যাই হোক রাজনীতি হয়না, দেশ শাষনও হয়না। আদালতের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে হরতাল, আন্দোলন, মন্তব্য আমাদের দেশে পান্তাভাততুল্য হয়ে গেছে। আদালত না মানার সংস্কৃতি সৃষ্টির আপ্রান চেষ্টা হচ্ছে কোন কোন মহল থেকে, ইহা দিবালোকের মতই সত্য। আমার সহজ সরল প্রশ্ন হচ্ছে, নবীর কর্মে যাহা ছিলনা, হাদিছে যাহার উল্লেখ নাই, সাহাবীদের শাষনে যাহা ছিলনা, আলেম উলামাদের নির্দেশনায় যাহা অতীতে কোন দিন প্রকাশিত হয়নি,সর্বশেষ কোরানে যাহার নির্দেশ নাই।এই বিষয়টি নিয়ে মনের ভিতর উকি দেয়া দুটি প্রশ্ন সকলের উদ্দেশ্যে রেখে যেতে চাই--- (১) মাওলানা সাহেবেরা যে আন্দোলনের হুমকি দিলেন (কোরানের আলোকে) -বিরুদী দলের পক্ষ থেকে প্রকাশ্য যে উস্কানী দিলেন, ইহা কতটুকু শরিয়ত সম্মত হয়েছে। (২) ইহুদিদের রচিত বিধি গনতন্ত্র এবং মানুষের সৃষ্ট সংবিধানে "আল্লাহর ধর্ম ইসলাম" কে সংযোজন কতটুকু শরিয়ত সম্মত হয়েছে? জাতির জনকের কন্যা অত্যান্ত প্রাজ্ঞ রাষ্ট্র নায়ক। তিনি সচতুর ভাবে, মনযোগ সহকারে বিষয়টি পয্যবেক্ষন করেছেন।রাষ্ট্রনায়কোচিত মনোভাবের পরিচয় তুলে ধরেছেন।বিষয়টি যেহেতু ৫ম এবং ৮ম সংশোধনী সম্পৃত্ত সেহেতু আদালত রায় কি দিতে পারেন তিনি জানেন। সুতারাং এখানে বাড়াবাড়ি করে গর্তের শৃগালকে বের হওয়ার সুযোগ দিয়ে লাভ নেই। আদালত আন্দোলনকারিদের মুখে চুনকালি মেখে আবার গর্তেই প্রবেশের রায় দিয়েছে। সংশোধন বাতিল রায় যথারীতি বহালই আছে,ভবিষ্যতেও ইনশাল্লাহ বহাল থাকবে। ------------------------------------ জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বহাল--সরল্প্রান আল্লাহভক্তরা খুশি হলেও অপমানিত ইসলাম____ ____________________________ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চ্যালেঞ্জ করে ২৮ বছর আগে করা রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নাঈমা হায়দার, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। আদেশে বলা হয় আবেদনকারীদের আবেদনের অধিকার (লোকাস স্টান্ডি) নাই। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জগলুল হায়দার আফ্রিক ও সুব্রত চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। বিষয়টি নিয়ে এমন প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছে যে, যারা রাষ্ট্রধর্মের পক্ষে তাদের সঙ্গে একমত হবেন না, তারাই ধর্ম বিরোধী বা তারা মুসলমান নন। সরকার হেফাজতকে তুষ্ট রাখতে গিয়ে আইনী লড়াই বন্ধ করে বিরুদ্ধে সহকারি এটর্নিকে আদালতে জেরা করার জন্য তুলে দিল। সরকারের এই আস্কারা পেয়ে হেফাজতিরা ভবিষ্যতেও চুতানাতায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিল।শাফলা চত্বরের ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহন না করায় তাঁরা রাষ্যত্র ধর্ম থাকা না থাকার সাথে ইসলামের কোন সং্যোগ না থাকা সত্বেও হুমকি দিতে পেরেছে।তারা জানে যে সরকার তাদের কিছু বলবে না৷ দেশের প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের একটা বড় অংশ সরকারের কাছে নিজেদের বিবেক বিক্রি করে দিয়েছেন৷ হেফাজতের বিরুদ্ধে তারা কোনো কথা বা সমাবেশ করুক, তা সরকার চায় না৷ ফলে বুদ্ধিজীবীরা নিরব থাকছেন৷ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সরকারের তল্পিবাহক, তারাও চুপ এক্ষেত্রে মুখে কুলুপ এঁটে বসে ছিলেন। এমন অবস্থায় আদালতের রিটের শুনানীকে কেন্দ্র করে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছিল হেফাজত৷ বিএনপি চাইছিল হেফাজত বিশৃঙ্খলা তৈরি করুক৷ তাহলে সরকার বিপদে পড়বে।সরকার চাইছে, কোনো অবস্থাতেই যেন হেফাজত মাঠে নামার পরিবেশ না পায়। হেফাজতকে তুষ্ট করার এই নীতিতে ২৮ বছর আগে করা রিট আদালত খারিজ করে দিল। এক্ষেত্রে হেফাজত এবং সরকার জিতেছে,হেরেছে মানবতা,অপমানিত হয়েছে ইসলাম ধর্ম।রাষ্ট্রীয় প্রতারনার উজ্বল সাক্ষী হয়ে থাকবে রাষ্ট্র "ধর্ম ইসলাম।" রাষ্ট্রের কোন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে ইসলামের ছোয়া না থাকলে ও শুধুমাত্র সংবিধানে রেখে বেহেস্ত পাড়ি দেয়ার মত মুর্খতাও জনগনকে উপহার দিয়ে সন্তুষ্ট করা যায় এই মামলা খারিজ তাই প্রমান করেছে। ও আই সি ভুক্ত ৫৭টি দেশের মধ্যে সবেমাত্র তিনটি দেশ "রাষ্ট্র ধর্ম যুক্ত দেশে"র তালিকায় যুক্ত হল।অন্য দুটি দেশের মতই আগামী দশকের আগেই পাকিস্তানের (গতকাল ৭২জন) বর্তমান পরিস্থীতির মুখামুখি হওয়ার প্রস্তুতি এখন থেকে শুরু করার জন্য পরামর্শ না দিয়ে আদালত রিট খারিজ করে দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে সাহায্য করেছে। শেষ ভাল যার সব ভাল তার-প্রধানমন্ত্রীর হাজারো সুনামের মধ্যে আর একটি মুর্খ্যদের খুশী রাখার সুনাম যুক্ত হল। ________________________ জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম---জামায়াত থেকে হেফাজত--আন্দোলনের নেতৃত্ব হাইজ্যাক------ ___________________________ ____________________________ অখন্ড ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের উৎপত্তি ধর্মীয় চেতনা "দ্বিজাতি তত্বের" ভিত্তিতে হয়েছিল। পাকিস্তান সৃষ্টির প্রাক্কালে এই ব-দ্বিপের বা পুর্ব পাকিস্তানের ধর্মীয় নেতাদের উল্লেখ যোগ্য কোন ভুমিকা ছিলনা। বরঞ্চ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ সহ বেশ কিছু আলেম ওলেমা অখন্ড ভারতের স্বাধীনতার পক্ষে অহিংস আন্দোলনের প্রবক্তা মহত্মা গান্ধীজির পক্ষেই অবস্থান নিয়েছিলেন। বৃটিশদের শাষনকাল পুরোটাই বিচ্ছিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম ,বিদ্রোহ হলেও কায্যত: সফলতার ধারেকাছেও উপমহাদেশের আন্দোলনকারিরা বা বিদ্রোহকারিরা যেতে পারেনি। বিশ্বযুদ্ধই শেষ পয্যন্ত ইংরেজদের এদেশ ছাড়তে বাধ্য করে। বিলেতে লেখাপড়া করা জিন্নাহ বিনা আন্দোলন, বিনা রক্তপাতে পাকিস্তানের নেতায় রুপান্তরিত হন এবং নেতৃত্ব প্রদান করেন।বৃটিশ রাজত্বের পুরো সময়কাল ব্যাপি মাওলানা-মৌলবিদের স্বাধীনতার প্রশ্নে উল্লেখ্যোগ্য অবদানের বিষয় ইতিহাসে তেমন খুঁজে পাওয়া যায়না।অসংগঠিত-বিচ্ছিন্ন, অপরিকল্পিত কিছু আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টার- -ব্যাক্তি বিশেষ পাওয়া যায়। পাকিস্তান সৃষ্টির পর অখন্ড পাকিস্তানের ৫৬শতাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বললেও বাংলাকে উপেক্ষা করে উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা করার পরিকল্পনায় পুর্ব পাকিস্তানে গড়ে উঠা ভাষা রক্ষার লড়াইয়ে কোন আলেম ওলামাকে দেখা যায়নি।এক্ষেত্রেও অনেকেই বাংলা 'বিজাতীয় ভাষা', বাঙ্গলা 'বাঙালী হিন্দুদের' ভাষা অজুহাত দাঁড় করে শাষক শ্রেনীর পক্ষ অবলম্বন করেছিল। অথছ উর্দু পশ্চিম পাকিস্তানের আপামর জনগনের ভাষাও ছিলনা। মাত্র পাকিস্তানের ৫শতাংশ মানুষ কথা বলতেন উর্দুতে। তাঁরা কিন্তু সামরিক, বেসামরিক সরকারের সকল অবস্থায় পাকিস্তানের রাষ্ট্র ক্ষমতা--তাঁদেরই নিয়ন্ত্রনে ছিল। পবিত্র কোরানে স্বয়ং আল্লাহ বার বার প্রত্যেক জাতি গোষ্টির ভাষাকে তাঁদের জাতির জন্য নেয়ামত বলে ঘোষনা করেছেন। তিনি পৃথিবীতে যত আসমানী কিতাব নাজিল করেছেন সব গুলি কিতাবই ভীন্ন ভীন্ন জাতি গোষ্টির নিকট প্রেরন করেছেন এবং তদীয় নবীর ভাষাতেই প্রেরন করেছেন। আমাদের নবী করিম (স:) আরবের সম্ভ্রান্ত কোরাইশ বংশে জম্ম গ্রহন করেছিলেন। তাঁদের ভাষা শুদ্ধ আরবী ভাষা ছিল বিধায় কোরান ভালভাবে হৃদয়ঙ্গম করার জন্য আরবী ভাষায় প্রেরীত হয়েছে। আল্লাহ নীজেই তাঁর পবিত্র কোরানে আরবী ভাষায় কোরা'আন নাজেল করার এই কারনটি ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁরপরও আমাদের আলেম-ওলামাদের বৃহদাংশ ভাষা আন্দোলনে শরিক হতে পারেননি। শুধু বৃহদাংশ নয়-বলতে গেলে এক শতাংশও ভাষার দাবীতে সোচ্ছার হতে পারেননি। পাকিস্তান সৃষ্টির পর-গনতান্ত্রিক আন্দোলনের বিপক্ষে তো ছিলেনই বরং জামায়াতে ইসলামী ছাত্র সংগঠন "ছাত্র সংঘ" সৃষ্টি করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন সমুহকে নিধনের প্রক্রিয়া গ্রহন করে। আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে "ছাত্র লীগ" গঠিত হলে অংকুরেই এই সংগঠনকে ধ্বংসের জন্য এমন কোন হীন কাজ নেই যা তাঁরা করেনি।কত মেধাবী ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল, কত মেধাবী ছাত্র পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল তার কোন ইয়ত্তা নেই। স্কুল, কলেজ, বিশ্ব বিদ্যালয়ে প্রভাবশালী সংগঠন ছিল "ছাত্র সংঘ"। বর্তমানে আমরা যেই সংগঠনটি "ছাত্র শিবির" হিসেবে চিনি-জানি। শাষক দল মুসলিম লীগের ছাত্র সংগঠন "এনএসএফ" এর সাথে জোট গঠন করেই তাঁরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে "শ্বেত সন্ত্রাসের" রাজত্ব কায়েম করেছিল। পাকিস্তানের ২৩বছরের শাষনামল সম্পুর্ন সময়কালটাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের "ছাত্রসংসদ" তাঁদেরই নিয়ন্ত্রনে ছিল--হাতে গোনা কয়টি "ছাত্র ইউনিয়নের" নেতৃত্বে প্রগতিশীল ছাত্রদের হাতে ছিল। ছাত্রদের মাঝে ব্যাপক প্রভাব থাকলেও জনগনের মাঝে জামায়াতের বা অন্য ইসলামী দলগুলীর তেমন প্রভাব ছিলনা। তবে বর্তমানের মতই সাংগঠনিক ভাবে সুশৃংখল- শক্তি সামর্থ ছিল। পাকিস্তানের প্রথম পয্যায়ে "কোরান হাদিসের অপব্যাখ্যার" কারনে দলটির নেতা "মাওলানা মওদুদীর মৃত্যু দন্ডের রায়" হওয়ার কারনে পাকিস্তানের পুরো সময়কালটাই জামায়াতের জন্য কঠিন সময় পার করতে হয়েছিল। সৌদী "বাদশাহর" অনুরুধে পাকিস্তান সরকার আদালতের রায় মওদুদীর উপর বাস্তবায়ন থেকে বিরত থাকে। শেখ মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরিকল্পিত রাজনৈতিক কর্মসুচি প্রনয়ন, নিখুঁতভাবে কর্মসুচি বাস্তবায়নের কারনে দিন দিন তাঁর গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি পেতে থাকলে তথাকথিত "ইসলামী দলগুলী " পাকিস্তানের "শাষক গোষ্টির" সাথে গলা মিলিয়ে "ভারতের দালাল, ভারতের চর, ভারতের নিকট দেশ বিক্রির পায়তারা" ইত্যাদি নানাহ অপ্প্রচারের অপকৌশল গ্রহন করে। শেখ মজিবুর রহমানের রাজনৈতিক কর্মসুচি সমুহ জনগনের নিত্যদিনের সমস্যা-সংকট নিয়ে প্রনীত হওয়ার কারনে এবং প্রনীত কর্মসুচি জনগনের মাঝে ব্যাপক প্রচারের উদ্দেশ্যে তাঁর নিরলস পরিশ্রম,একাগ্রতা, যথাসাধ্য জনসংযোগ, কর্মসুচি বুঝিয়ে বলার পারঙ্গমতা ইত্যাদি কারনে দিনদিন ব্যাপক জনসম্পৃতা গড়ে উঠতে থাকে।ফলত: ষড়যন্ত্র হয়েছে সত্য শেষ পয্যন্ত কোন ষড়যন্ত্রই কায্যকর হয়নি।সংগত কারনে শেখ মজিবুর রহমানের সুপ্ত বাসনা বাঙ্গালী জাতির স্বাতন্ত্রতার দিকে ধীরে ধীরে জাতিকে তিনি নিয়ে যেতে থাকেন,এবং সফলতায় রুপ দিতে পেরেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের মনের সুপ্ত বাসনার বহি:প্রকাশের এক পয্যায়ে পরিকল্পিত পরিকল্পনায় মহান মুক্তিযুদ্ধের অনিবায্যতা ফুটে উঠে।শেষাবদি মুক্তিযুদ্ধের অনিবায্যতা দেখা দেয়ার প্রাক্কালেও এই সমস্ত সম্মানীত মাওলানা মৌলবিদের একশতাংশও ৬৯এর গন অভ্যুত্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্ররম্বিকতায় সম্পৃত্ত হতে পারেননি।বরঞ্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বিভিন্ন বাহিনী গঠন করে মুক্তি যুদ্ধাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে সম্মুখ সমরে লিপ্ত হয়েছিল। জামায়তে ইসলামী সাংগঠনিকভাবে, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েই মুক্তিযুদ্ধের বিরুধীতা ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সাহায্য করেছিল। অখন্ড ভারতীয় উপমহাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় থেকে শুরু করে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সকল জনসম্পৃত্ত আন্দোলন সংগ্রামে মাওলানা সাহেবদের বিরুধীতার কারনে সম্প্রদায়টি সম্পুর্ন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের জনগনের কোন কল্যানকর, জনহীতকর, রাজনীতি, দেশ শাষন ইত্যাদি কোন কাজেই ভুমিকা রাখতে সক্ষম হয়নি। ফলত: দেখা গেছে অখন্ড পাকিস্তানের স্বাধীনতা ধর্মীয় চেতনায় সংঘঠিত হলেও কোন ধর্মীয় মাওলানার উপস্থিতি নিশ্চিত না হয়ে, পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত আইন বিষয়ে লেখাপড়া করা ব্যরিষ্টার "মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ" সাহেবের নেতৃত্বে সংগঠিত হয়। ফলত: তিনি পাকিস্তানের জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি পান, এবং "কায়েদে আজম" উপাধিতেও ভুষিত হন। বাংলাদেশের রাজনীতিতেও একই অবস্থা বিরাজমান। মাওলানা-মৌলবি সাহেবরা সমাজের সম্মানীত এবং শ্রদ্ধার পাত্র হওয়া সত্বেও রাজনীতিতে জনগনের সম্পৃত্ততা শুন্যের কোঠায়।তাঁদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বাংলায় উচ্চশিক্ষিত গোলাম আজমের নেতৃত্বে "জামায়াতে ইসলাম" -"ইসলাম ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যা করেও শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়। দলটির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অদ্যাবদি কোন উচ্চপয্যায়ের ধর্মীয় মাওলানার সমর্থন সংগ্রহ করতে পারেনি।দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও কোন মাওলানা বা আরবী শিক্ষায় শিক্ষিত পন্ডিত ব্যক্তির উপস্থীতি দেখা যায়না। শেষ পয্যায়ে সাংগঠনিক শক্তি সঞ্চয়ের পর "মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে" সামনের কাতারে নিয়ে আসেন এবং ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্ট্রির অপ-কৌশল গ্রহন করে। একই অবস্থা দেখা যায়১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার পর মেজর ডালিমের কণ্ঠে রাষ্ট্রীয় বেতারে যে ঘোষণাটি প্রচার করা হয় তাতে বলা হয়েছিল, ‘স্বৈরাচারী মুজিবের পতন ঘটানো হয়েছে--"এখন বাংলাদেশ একটি "ইসলামী রাষ্ট্র" হবে।’খমতার মসনদে "খোন্দকার মোসতাক"কে দেখা যায় "জিন্নাহ টুপি" পরিহিত অবস্থায়।ফারুক ডালিম গং "সেনাবাহিনীর বিপদ গামী সদস্য"-"খোন্দকার মোস্তাক" জাতির জনকের মন্ত্রী সভার "প্রভাব শালী মন্ত্রী।"মোস্তাকের সাথে যারা "মিরজাফরী"তে সংযুক্ত ছিলেন তাঁরাও বেশির ভাগ "আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী অথবা প্রভাশালী" নেতা ছিলেন। উনারা সবাই ছিলেন সামনের সারিতে-- -তখনও "নেপথ্যের নায়ক"দের দেখা মিলে নাই। পরবর্তিতে দেখা যায় সামনের অথবা নেপথ্যের মধ্যে যারাই জড়িত ছিলেন তাঁরা কেউই "ইসলামী জ্ঞান সমৃদ্ধ" ছিলেন না। অথছ "গনপ্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশ" কে "ইসলামী প্রজাতন্ত্র" বানিয়ে রাষ্ট্রীয় উচ্চ পয্যায়ের অনুমোদনে "মুখপাত্র ডালিম" ঘোষনা করে দিয়েছেন। এইক্ষেত্রেও ইসলামকে সুচারুভাবে ব্যবহার করে ন্যাক্কারজনক হত্যাকে ইসলাম রক্ষার নামে চালিয়ে দেয়া হল। অর্থাৎ বাংলাদেশকে একটি "ইসলামী রাষ্ট্র বানানোর জন্য এবং ইসলাম কায়েম" করার জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে, এমন ধারণাই তুলে ধরা হয়েছিল জাতির সামনে। এই ন্যক্কার জনক হত্যাকে ইসলামের নামে চালিয়ে দেয়ার বিরুদ্ধেও মাওলানা মৌলবি সাহেবেরা টু-শব্দটি পয্যন্ত করেননি। এরপর রেডিও টিভিতে ইসলামী গজল,আরবী সুরা কেরাত জোরেসোরেই প্রচার করা শুরু করেছিলেন। ইসলাম রক্ষার ধুয়া বেশ জোরেশোরেই চালানো হয়েছিল। এই হত্যাকারিদের মধ্যে কেহই মাওলানা-মৌলবী ছিলেন না। অথছ ইসলাম রক্ষা করার মহান দায়িত্ব পালন করার জন্য জাতির জনকের পরিবার সহ হত্যা করে ফেলেছেন। এক্ষেত্রে আমাদের সম্মানীত মাওলানারা খুনীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে খুঁনীদের তাঁবেদার হিসেবে নীজেদের উপস্থাপন করলেন। ঘৃনা প্রকাশ না করে তাঁদেরকে প্রকাশ্য সহযোগিতা করার উদ্যোগ নিলেন। তাঁরা কি "ইসলামী প্রজাতন্ত্র" করেছিল? নাকি জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য ইসলামকে ব্যবহার করা হল? ইসলাম ধর্ম কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা উপলব্ধি করার বা মুল্যায়ন করার প্রয়োজনীয়তাও মাওলানা সাহেবেরা করেছেন বলে মনে হয়না। জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য ইসলাম ধর্মের অপব্যবহার করা হলো, এর খেসারৎ দিতে হল জাতিকে ৪০ বছর। এই পয্যায় পয্যন্ত কিন্তু আজকের হেফাজতিদের উত্থান ঘটেনি। জামায়াতের ধর্ম এবং দেশ বিরুধী কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদি আজকের হেফাজতিরা। মুক্তিযুদ্ধের আগে তাঁদের অস্তিত্ব ছিলনা। মুক্তিযুদ্ধের পর ক্রমশ তাঁরা বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা শুরু করে। একপয্যায়ে আলিয়া মাদ্রাসা সমুহ এবং জামায়াত কতৃক বাধাপ্রাপ্ত হলেও তাঁদের আচার- আচরন, আমল - আ'কীদা গুনে সাধারন মসুলমানদের মন জয় করতে তাঁরা সমর্থ হয়। স্বল্প সময়ে ব্যাপক প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়ে, 'জামায়াতের যুদ্ধপরাধের কারনে রাজনৈতিক কোনঠাসার সুযোগ নিতে "বিভিন্ন আকীদায় বিশ্বাসী " -সবাই মিলে গঠন করে "হেফাজতে ইসলাম"। গঠনের প্রারম্ভেই "অরাজনৈতিক" ব্যাক্তি হওয়ায় রাজনৈতিক অদুরদর্শিতার কারনে বড় রাজনৈতিক দলের প্রলোভনের স্বীকার হয়ে "হঠকারি রাজনৈতিক" সিদ্ধান্ত নিয়ে বসেন। মিথ্যা অজুহাতে সরকার উৎখাতের উদ্দেশ্যে প্রতারনার কৌশল গ্রহন করে। সন্ধ্যা পয্যন্ত "শাপলা চত্বরে" অবস্থানের সরকারি অনুমতি গ্রহন করে লাগাতার অবস্থানের ঘোষনা দিয়ে ঢাকা অচল করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তার পরবর্তি দৃশ্য সবার জানা। ২০১৪--১৫ ইং সালে তাঁদের সম্পুন্ন মুখোশ দেখা গেছে শাফলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে ধর্ম রক্ষার নিমিত্তে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, পবিত্র কোরানে আগুন ইত্যাদি অপকর্ম নির্দিদ্বায় চালাতে দেখে।এক্ষেত্রেও নেতৃত্ব মেনে নিয়েছিলেন যে নারী সঠিকভাবে "বিসমিল্লাহ " উচ্চারন করতে পারেননা "বেগম খালেদা জিয়ার।" সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে অবস্থান প্রত্যাহার করে ফিরে যাবেন ওয়াদা করে লাগাতার অবস্থানের ঘোষনা দিয়ে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠলেন। এক্ষেত্রে তাঁদের প্রতারনা, কুপরী সর্বযুগের ইসলামী আন্দোলনকে শুধু কুলসিতই করেনি-সম্মানীত মাওলানাদের উপর সাধারন মানুষের--যে "আস্থা বিশ্বাস ছিল তাঁর মুলেও কুঠারাগাত করেছে।" ভারতীয় উপমহাদেশের পুর্বাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী হওয়া সত্বেও ইসলামী দল কোনকালে শক্তি সঞ্চয় করতে পারেনি শুধুমাত্র তাঁদের গোড়ামীর কারনে। তাছাড়া ইসলামের বহুমত ও পথের পার্থক্য তাঁদের শক্তিশালী দলে আত্ব প্রকাশে বাধাগ্রস্ত করেছে। এই অঞ্চলের শতকরা ৯৫শতাংশ মানুষ জাতিগত ভাবে বাঙ্গালী, ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে "ইসলাম ধর্মের অনুসারী" এইটুকু সহজ কথাও তারা বুঝতে চেষ্টা করেনা। আমাদের সম্মানীত ধর্মীয় মাওলানা সাহেবেরা ইসলামের প্রথম যুগের "চার খলিফার শাষন" কালের প্রতিও দৃষ্টি দিতে রাজী নয়। "নবী করিম (স:) এর স্বল্প সময়ের শাষন, বিদায়ী হজ্বের ভাষন, হুদায়বিয়ার সন্ধি, মদিনা সনদের" প্রতিও দৃষ্টি নিবন্ধ করতে চায়না। নবী করীম (স:)এর প্রীয় সাহাবিদের যে শাষন ছিল তাঁকে "খোলাফায়ে রাশেদীনের" শাষন বলে অভিহীত করা হয়।"খোলাফায়ে রাসেদী"নের চার খলিফার মধ্যে তিনজনকেই উগ্র ইসলামী জঙ্গীবাদীরা হত্যা করেছিল। তাঁরা কারা তাও আমাদের দেশের মাওলানা-মৌলবীরা চিহ্নিত করতে রাজী নয়। তাঁরা যে রীতিতে শাষন ব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন.,তাঁর ধারেকাছেও যেতে রাজী নয়-আমাদের দেশের ইসলামী দলের ধারক বাহকেরা। ইসলামের আদিভুমি সৌদী আরব, আরবেই ইসলাম ধর্মের জন্য মনোনীত হন আল্লাহর রাসুল হযরত মোহাম্মদ (স:)। তাঁর নিকটই প্রেরন করেন আল্লাহ তাঁর পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কোরান। তাঁরা যদি ইসলাম ধর্মের বাইরে তাঁদের নিজস্ব সংস্কৃতি কৃষ্টি লালন করতে পারেন, আমরা বাঙ্গালী মসুলমানেরা বাঙ্গালী সংস্কৃতি কৃষ্টি লালন করতে গেলে নাস্তিক হব কেন? তাঁরা তাঁদের উৎসবে-পার্বনে উলুধ্বনি দিয়ে, ঢাকঢোল-বাজনা বাজিয়ে উৎসব করেন.।আমরা ভাষা শহিদের বিরত্বগাঁথা স্বরনে ফুল দিলে বেদা'আত হবে কেন? যতদিন ইসলামী আন্দোলন বাঙ্গালী সংস্কৃতি-কৃষ্টির সাথে সঙ্গতিপুর্ন হবেনা ততদিন জিয়া-মোস্তাকের মত খুনীরা ইসলামের দোহাই দিয়ে সরল প্রান বাঙ্গালী মসুলমানদের বিভ্রান্ত করতে থাকবে। আমাদের মাওলানা সাহেবেরা তাঁদেরই তাবেদারি করতে থাকবেন। তাঁর কিছু দৃশ্য ইতিমধ্যে আবার দৃশ্যমান হওয়া শুরু হয়েছে। আজকেই ২৭/০৩ ইং "রাষ্ট্রধর্ম" ইসলামের বিরুদ্ধে ২৮ বছর আগে দায়ের করা এক রিট পিটিশনের শুনানী শুরু হওয়ার কথা।এই রিট পিটিশনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে মিথ্যের বেসাতি। রাষ্ট্র ধর্ম ছিল-আছে থাকবে। "ছিল"মানে কখন থেকে ছিল?কতবড় মিথ্যার আশ্রয় তাঁরা নিল।মুলত:রাষ্ট্র ধর্ম ১৯৮৮ইং এর আগে কখনই ছিলনা। ১৯৮৮ইং হতে এরশাদ "রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম" সংবিধানে সংযোজনকারি। আদালতের সিদ্ধান্ত কি হবে-উকিলের শুনানী বর্তমান সংবিধানের সাথে "রাষ্ট্রধর্ম" কতটুকু সামঞ্জস্য তাঁর উপর রায় নির্ভর করবে। মাঝখানে মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে যারা গুনাহর সাগরে ডুবে যাচ্ছেন-তাঁদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী গতবছরই ঘোষনা দিয়ে রেখেছেন।তাঁরা চাইলেই তিনি "খেলাফতের শাষন" প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতেও রাজি আছেন। তারপরেও যেন ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, ষড়যন্ত্র করে নবী-রাসুল এবং পবিত্রধর্ম ইসলামকে কোন মহল অপব্যাখ্যা না করেন-অপমান না করেন। একবছর গত হয়ে গেছে আমাদের মৌলবী সাহেবেরা কেউই সাড়া দেননি প্রধানমন্ত্রীর আহব্বানে। রাষ্ট্রীয় আইন কোরান ও সুন্নাহ ভিত্তিক করার বিধান কোরান হাদিছে উল্লেখ আছে।সেই মোতাবেক শাষন কালও আমাদের সামনে উদাহরন হয়ে আছে,"খোলাফায়ে রাশেদীনের শাষন কাল। -"রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম" থাকতে হবে এমন কিছু কি কোরানে বা হাদিছে আছে? সাহাবি কতৃক শাষন করা এমন কোন দেশ বা শাষনামলের উদাহরন কেউ কি দিতে পারবে? অত্যান্ত দু:খ্যজনক হলেও সত্য আপাত: জামায়াতের ওয়াহাবি আস্পালন থেকে নিস্তার পেলেও ইয়াজিদের অনুসারীদের কবল থেকে জাতি রক্ষা পাবে কিনা মহান আল্লাহপাকই ভাল জানেন। ______________________________ জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥দেশরত্ম শেখ হাসিনা♥

ছবি

রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম প্রবর্তন---উপমহাদেশের মসুলমান সমাজে ধর্ম পালন---- ___________________________________ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান৷ ১৯৮৮ ইং সালের আগে রাষ্ট্রধর্ম যখন ইসলাম ছিল না, তখনও এ দেশের মানুষ ধর্ম পালন করতেন। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করার পরেও মানুষ ধর্ম পালন করেন৷ ধর্ম পালনে আগেও কোনো সমস্যা ছিল না, এখনও নেই। সব ধর্ম-বর্ণের মানুষকে নিয়ে রাষ্ট্র। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম৷ তারা অধিকারও বেশি ভোগ করেন৷ আলাদা করে রাষ্ট্রের কোনো ধর্মীয় পরিচয়ের প্রয়োজন হয় না। রাষ্ট্রের ধর্মীয় পরিচয় না থাকলে, কোনো ক্ষতি হয় না। ধর্মীয় পরিচয় থাকলে, অন্য ধর্মের মানুষ নিজেদের নিরাপত্তাহীন ভাবেন, দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক ভাবেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দায়িত্ব সংখ্যায় যারা কম তাদের দেখে রাখা--নবীজীর নির্দেশনাও তাই। নিজের অধিকারের নামে তাদের মনে ভীতি তৈরি করা কোন অবস্থায় কাম্য হতে পারেনা। বর্তমানে বাংলাদেশে ভীতি তৈরির সংস্কৃতি চলছে। আদালত, প্রসাশন, রাষ্ট্রীয় কাঠামো ইত্যাদি না মানার সংস্কৃতি চালু করার আপ্রান চেষ্টা চলছে। যুগে যুগে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম ধর্ম পালন করে আসছে,ইসলাম ধর্মের অনুসারিরা। রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম জেনারেল এরশাদ ধর্মীয় নেতাদের আস্ফালন বন্ধ করা বা তাদের টেক্কা দেয়া বা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যে--- যে কোন কারনেই সংবিধানে সংযোজন করেছেন। ব্যাক্তি জীবনে তিনি কেমন ধর্মপালনকারি বাংলাদেশের মানুষ ভাল করেই জানে।আবহমান কাল থেকে রাষ্ট্র ধর্ম না থাকায় ধর্মপালনে যেমন সমস্যা হয়নি তেমনি রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম হওয়ার পরেও এক রাকাত নামাজ নতুন করে এবাদতে সংযুক্ত হয়নি। মোগল গেল,আফগান গেল,নবাব গেল, বৃটিশ গেল, পাকিস্তান গেল বাংলাদেশের ১৭বছর কেটে গেল ধর্ম পালনে অসুবিধা হলনা---এখন কেন হবে? তথাকথিত ধর্মধারিরা শ্লোগান বের করেছে,"রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম ছিল, থাকবে।"কখন ছিল, কোথায় ছিল,কবে থেকে ছিল,কে সংযোজন করেছিল,কখন করেছিল? এইসব বিষয় তাঁদের লেখনিতে আসেনা, বক্তব্যেও আসেনা,ওয়াজ মাহফিলেও বলেনা। রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম থাকায় কি সুবিধা পেয়েছেন? যুগে যুগে ছিলনা-- কি অসুবিধা ভোগ করেছেন? সুবিধা অনেক ছিল- ২০০১ সালে সংখ্যালুঘু হিন্দুদের উপর অকথ্য নির্য্যাতন, তাঁদের মা বোনদের উপর অত্যাচার, সম্পদ দখল, বাড়ী ঘরে আগুন, পুকুরের মাছ-গোয়ালের গরু লুট, গোলার ধান লুট ইত্যাদি অপকর্ম নির্দিদ্বায় চালাতে বিবেকে বাঁধেনি। কারন আমরা সংখ্যাগুরু মসুলমান। বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ট শুধু নয় প্রায় সব মুসলিম দেশে 'রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম' না থাকার কারনে তাঁদের ধর্ম পালনে কোন সমস্যা হচ্ছে বলেতো শুনিনা। এবার মুল আলোচনায় আসা যাক, "প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা ঘোষনা দিয়ে বলেছেন---""খেলাফতের শাষন চলবে, রাসূলে পা'কের বিদায় হজ্বের ভাষনের আলোকে দেশ পরিচালনা করা হবে"। কি আশ্চার্য্য!! --কোন মাওলানা, কোন ধর্মীয় ব্যাক্তিত্ব, রাজনৈতিক দল, ইসলামী দল সমুহ কেহই আনন্দ মিছিল বের করেনি, ,মিষ্টি বিতরন হয়নি, প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়নি, শুকরানা নামাজ আদায় হয়নি, মসজিদে -ওয়াজ মাহফিলে প্রসংশা সুচক বক্তব্য দেয়া হয়নি। কেন? কি কারন? ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হোক -আপনারা চাননা?খোলাফায়ে রাশেদীনের শাষনের আলোকে খেলাফত প্রতিষ্ঠা হোক-নবীর নির্দেশনায় দেশ চলুক আপনাদের কাম্য নয়? কার ইসলাম কাম্য আপনাদের? ইয়াজিদের ইসলাম? আমার নবীর আদরের দৌহিত্রদের যারা হত্যা করেছে, খোলাফায়ে রাশেদীনের তিন খলিফাদের যারা হত্যা করেছিল- তাঁদের ইসলাম? আমি মনে করি বর্তমানের আন্দোলন কারিরা নীজেদের বিশ্বাস, আকীদা নিজেরাই প্রকাশ করে দিচ্ছেন।সাধারন মসুলমানগন তাঁদেরকে ভক্তি শ্রদ্ধা করে অন্তর থেকে।তাঁদের বেসভুষা, আমল, আকীদা ইত্যাদি অনুসরন যোগ্য। তাঁরা কোন আকীদায় বিশ্বাসী সাধারন মানুষের মনে আদৌ কোন প্রশ্ন উত্থিত হয়নি। ধীরে ধীরে জামায়াতে ইসলামীর ন্যায় তাঁদেরও মখোশ উম্মোচন হচ্ছে-- তাঁরা নীজেরাই উম্মোচন করার উদ্যোগ নিয়েছেন। হাস্যকর বটে-রাষ্ট্রের কোন অঙ্গে-প্রত্যঙ্গে ইসলামের ছোঁয়া নেই, সংবিধানে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম থাকলেই চলবে।আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের সাথেও প্রতারনা---!! __________________ জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

জাতির জনকের সাড়ে তিন বছর ধর্মনিরপেক্ষতার শাষন--ইসলাম ধর্ম প্রচার-প্রসারের ভিত্তি রচনার শাষন ___________পুন:প্রকাশ___________________ -- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার আদর্শে বিশ্বাস করে। আমাদের নবী করিম হযরত মোহাম্মদ (স:) নীজেও ধর্ম নিরপেক্ষতার নিদর্শন তাঁর কথা, কাজে, আচার,আচরনে উদাহরন হিসেবে রেখে গেছেন। পৃথিবীর প্রথম লিখিত চুক্তি হযরত মোহাম্মদ (স:) এবং কাফেরদের মধ্যে স্বাক্ষরীত হয়,সেই চুক্তিটিরও কোন ধর্মের মুলবানী শীর্ষে বা পাদদেশে লিখিত করে রাখেননি। ধর্ম নিরপেক্ষতা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ভাবে কোন ধর্মকে বিশেষ প্রাধান্য না দেয়া,সকলের ধর্ম-কর্ম করার অধিকার সাংবিধানীক ভাবে স্বীকৃতি দেয়া।এই নীতিকে অসৎ ধর্ম ব্যবসায়ী রাজনৈতিক দল ও গোষ্টি সমুহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ধর্মহীন, নাস্তিক্যবাদী ইত্যাদি বলে উপহাস করার চেষ্টা করে। এই প্রসংগে আমার নীজের একটা অভিজ্ঞতা না বলে পারছিনা।হেফাজতীদের শাপলা চত্বরে অবস্থানের প্রাক্কালে এইরুপ এক বিরুপ অবস্থার মুখামুখি আমাকে হতে হয়েছিল। আমার এলাকার মাদ্রাসার কিছু মৌলবী মাদ্রসা অফিসে সভা চলাকালিন কথাটি উত্থাপন করে।উল্লেখ্য ঐ আন্দোলনের প্রাক্কালে সবশ্রেনীর মাওলানা-মৌলবীদের গাঁয়ে একটু আলাদা বাতাসের দাপট লক্ষনীয় ভাবে ফুটে উঠেছিল। আমি একা তাঁদের সাথে কথা বলে সময়ই নষ্ট করা হবে, সংখ্যাধিক্য হুজুরের সাথে তর্ক একেবারে প্রমান উপস্থাপন করা ছাড়া করা আমার বোকামী ছাড়া আর কিছুই হবেনা। আমার হাতের ফোনের মধ্যে নিম্নের পোষ্টারটা ছিল।আমি কোন কথা না বলে পোষ্টারটি বের করে সুপার সাহেবকে দিয়ে বললাম আপনি মরুব্বী মানুষ, এই পোষ্টারটা আপনিই পড়ে আমাদের শুনান। তিনি পড়ে শেষ করার পর জিজ্ঞাসা করলাম, এখানে কোন কিছু কি অতিরঞ্জিত বা ভুল বা মিথ্যা আছে কিনা? হুজুর মহোদয় কোন কথা না বলে এদিক সেদিক কথা ঘুরাতে চাইতেছিল। আমি বললাম মহোদয়গন বিতর্কের বিষয়বস্তু অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করে মুল বিষয়কে আড়াল করার চেষ্টা করবেননা। " চতুর্দিকে তাকিয়ে একটু অনুমান করলাম, মানষিক ভাবে কিছুটা দুর্বল মনে হয় করতে পেরেছি। তাঁর পরতো লম্বা একখান বক্তৃতাই মেরে দিলাম। " আপনাদের সবাইকে আগামী একমাস সময় দিয়ে যাচ্ছি। আপনাদের উধ্বতন যারা আছেন তাঁদের নিকট থেকে হলেও তথ্য সংগ্রহ করবেন। ** বিগত ৩৭/৩৮ বছরের মধ্যে সকল সরকার মিলে (আওয়ামী লীগের ৯৬-২০০১ সহ) এই পোষ্টারের চার ভাগের এক ভাগ কাজও যদি করে থাকে তবে আমি কথা দিচ্ছি আওয়ামী লীগ আর জীবনেও মুখে আনবনা**। আর যদি না করে আপনাদেরকে এই কথাও বলবনা বাজিতে হেরে গেছেন, "সুতারাং আপনারা সবাই আপনাদের আদর্শচ্যুত হতে হবে।" তবে একটা অনুরুধ করব অপপ্রচার করবেন না। শুধু অপপ্রচার নয় মিথ্যা অপপ্রচার করবেন না। মিথ্যা বলা মহাপাপ,আপনারাই ওয়াজ মাহফিলে বলে থাকেন।অযথা মিথ্যা বলে নরক কিনে নিবেন কেন?তাঁর চাইতে ভাল হবে, যদি বলেন--ইসলাম ধর্মের অনুসারী সংখ্যাধিক্যের দেশ হিসেবে খেলাফতের শাষন প্রয়োজন।তাহলেও যুক্তিসংগত দাবি মানা যেতে পারে। আঁচ করলাম মনে হচ্ছে যেন আরও একটু দুর্বল হয়ে গেছে। সুযোগ বুঝে, বলেই ফেললাম--"আজকে যে ভাত বা নাস্তা বাসা থেকে করে এসেছেন তাও আওয়ামী লীগ সরকারের ধর্মভীতির কারনেই করে আসতে পেরেছেন। আওয়ামী লীগ ধর্মভীতু, ধর্ম ধারনকারী দল নাহলে তাও পারতেন না।" যেমন পারেন নাই বিগত ২২/২৩ বছর। অনেক চেষ্টাইতো করেছিলেন, আমাদের চাঁদার টাকা খরছ করে, এমপিও কি করাতে পেরেছিলেন?আপনারা বা আপনাদের আস্তিক সরকারই তো ক্ষমতায় ছিল, কেন পারেননি? শুনেছিলাম বহু টাকা ঘোষ দিয়ে রেখেছিলেন, পারেননি কেন? না পারার একমাত্র কারন,' আপনাদের দল ধর্মের দোহাই দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়, ধর্ম ধারন করেনা। আওয়ামী লীগ ধর্মকে ব্যবহার করে মহান আল্লাহকে নাখোস করে ক্ষমতায় যেতে চায়না, ধর্মকে মাথায় তোলে রাখে, অন্তরে ধারন করে।" আওয়ামী লীগ নাস্তিক সরকার, ঘোষ দিয়েছেন? কেউ কি টাকা চেয়েছে? নাস্তিকেরা ঘুষ খায়না, ধর্মকে ভয় করে, পরকালের ভয় করে, তাই আপনাদের নিকট থেকে একটাকাও কোন আওয়ামী লীগ নেতা দাবী করেনি। প্রীয় বন্ধুগন,বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র ক্ষমতার বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর।মুক্তিযুদ্ধে বিধস্ত বাংলাদেশ। নেইতো নেই কিছুই নেই। যুদ্ধফেরৎ মুক্তিযোদ্ধা, বিরঙ্গনা মা বোনেরা, খাদ্য নেই, ব্যাংকে জমানো টাকা নেই। রাজাকারের সমস্যা, সবার হাতে অস্ত্র। অতিবিপ্লবী, প্রতিবিপ্লবী--কেউ চায় শ্রেনী শত্রু খতম করে মাওবাদি কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা,কেউ চায় বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র। আইন শৃংখলা বাহিনী নেই, সীমান্তে পাহারার ব্যবস্থা নেই। "এমন পারিপাশ্বিক পরিস্থীতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যদি ইসলামের মৌলিক কাজ গুলী করে দিয়ে যেতে পারেন--"আমরা বিগত ৪০বছর বাড়তি কি কাজটি করেছি? ধর্ম বিক্রি করে ক্ষমতায় টিকে থাকা বা ক্ষমতায় যাওয়া ছাড়া? কোন সুহৃদ বন্ধু কি আমাকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারবেন?" ________________________________ শুভশক্তির উদয় হোক--অশুভ শক্তি নিপাত যাক। ♠ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু♠ জয়তু জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

গনতন্ত্র--ধর্ম নিরপেক্ষতা____রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম!------ __________________________________________ __________________________________________ মহান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার পুরনে "মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ" সরকার সমুহ অঙ্গিকারাবদ্ধ থাকার কথা ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে অনেক কিছু করার চাইতে তাঁদের ত্যাগ, শহীদি রাস্তা বেচে নেয়ার কারন, আপামর জনগনের মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে অসম যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার পিছনের অঙ্গিকার ইত্যাদি আশা আখাংকা পুরন অগ্রাধিকার পাওয়া উচিৎ ছিল। দু:খ্যজনক হলেও সত্য '৭৫এর পট পরিবর্তনের পর ক্ষমতা দখলকারি শাষকবর্গ বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ধ্যান-ধারনায় নিয়ে যায়। যে কারনে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারন করেছে বাঙ্গালী-সেই কারনের গর্তেই ফেলে দেয় বাংলাদেশকে। শাষক শ্রনীর মধ্যে একজন মেজর জিয়া প্রথম উদ্যোগক্তা এবং অন্যতম। রাজাকার পুর্নবাসনের, সংবিধান সংশোধনের-সকল প্রক্রিয়া তাঁর হাতেই সমাপ্ত করেন তিনি। অথছ তাঁর দল তাঁর মৃত্যুর পর তাঁকে স্বাধীনতার ঘোষক প্রতিষ্ঠায় আপ্রান চেষ্টায় ব্রতি হয়। তিনি নিজেই তাঁর প্রকাশিত বইয়ে উল্লেখ করে গেছেন বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষন শুনেই আমরা স্বাধীনতার রেড সিগন্যাল পেয়ে যাই। সে যাই হোক-মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এক অঙ্গিকার ছিল ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হলে নতুন দেশ বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় হয়,বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বিকৃতি লাভ করে। জাতির জনক পাকিস্তানের জেল খানা থেকে মুক্ত হয়ে নতুন বাংলাদেশের সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেন। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারকে প্রাধান্য দিয়ে সর্বাজ্ঞে দেশ পরিচালনায় লিখিত সংবিধান তৈরী করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। অখন্ড পাকিস্তানের ২৩ বছর শাষনতন্ত্র ছাড়াই দেশ পরিচালনা করা হয়েছিল। শুধু ধর্মকে ব্যবহার করেছিল-পুর্ব বাংলাকে শাষন শোষন করার উদ্দেশ্যে।অবশ্য পাকিস্তানের উৎপত্তিও হয়েছিল ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে। অথছ তাঁরা অর্থাৎ শাষক শ্রেনীর কেহই ব্যাক্তি জীবনে ধর্ম পালন করতেন না,পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। সে যাহাই হোক মুল কথায় আসা যাক--জাতির জজনক বঙ্গবন্ধু তাঁর সরকারের রচিত সংবিধানে চার মুলনীতির মধ্যে অন্যতম নীতি ধর্ম নিরপেক্ষতা সংবিধানে সংযোজন করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন।আপামর জনগনের আশা-আখাংকাকে মুল্য দিয়েছিলেন। তাঁর পরবর্তি সরকার গুলী সংবিধান থেকে নীতিটি সংশোধন করেন।সেনাশাষক এরশাদ তাঁর বিরুদ্ধে গন আন্দোলন তুঙ্গে গেলে সাম্প্রদায়ীক গোষ্টি সমুহকে হাতে নেয়ার উদ্দেশ্যে তড়িগড়ি 'ধর্ম''কে হাতিয়ারে রুপান্তর করে জনরোষ থেকে বাঁচার অপকৌশল গ্রহন করেন। একান্তই জনগনের সঙ্গে প্রতারনা করে ক্ষমতায় টিকে থাকার অংশ হিসেবেই পবিত্র "ইসলাম"কে তড়িগড়ি "রাষ্ট্রধর্ম" হিসেবে সংবিধানে সংযোজন করেন। এতেও কিন্তু তাঁর শেষ রক্ষা হয়নি,জনগন ঠিকই বুঝতে পেরেছিল তার চক্রান্তের কৌশল। জালিম সরকারকে বাংলাদেধের মানুষ ক্ষমতা থেকে টেনে নামিয়ে আনেন ঢাকার রাজপথে,আজও তিনি রাজপথেই আছেন-সিংহাসন আর দেখেননি। স্বৈরাচার এরশাদ অত্যান্ত নেক্কারজনক ভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হন। উল্লেখ্য--সেনা শাষকেরা ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ারে পরিনত করেছেন একমাত্র সাধারন ধর্মানুরাগী, মানুষের ধর্মের প্রতি একাগ্রতাকে পুঁজি করে ফ্যাসিষ্ট শাষন অব্যাহত রাখার স্বার্থে--ধর্মের উন্নতি, অগ্রগতি প্রচার,প্রসার, পালনের স্বার্থে করেননি। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের সরকারে থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরন করেও ইসলামের প্রচার প্রসারে মাত্র সাড়ে তিন বছরে যতটুকু অবদান রেখে গেছেন- তাঁর সিকিভাগ কাজও তথাকথিত ধর্মদগত ৪০/৪২বছরের বাংলাদেশের ইতিহাসে হয়নি। ধর্মকে সংবিধানে সংযোজন করলেই ইসলাম রক্ষা পাবে-নাকরলে নয় এইরুপ যারা চিন্তা করেন, তাঁরাই মুলত:ইসলামকে বিক্রি করে স্বার্থ উদ্ধারে ব্রতি হওয়ার জন্যই বলেন। সাড়ে তিন বছরে ইসলামের মুল কাজ গুলি যদি ধর্ম নিরপেক্ষ সরকারের শাষনে হতে পারে-৪২ বছর 'রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম' সংবিধানে থাকার পরে ও সিকিভাগ কাজ হলনা কেন? মুসলিম অধ্যুষিত দেশ সমুহে রাষ্ট্রধর্ম না থাকার কারনে কোন দেশে ধর্ম পালনে মুসলমান সমাজ বাধাগ্রস্থ্য হচ্ছে? ধর্ম পালনকে রুপক দৃষ্টিতে যারা দেখেন তারাই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা পছন্দ করেন। নামাজের জন্য এয়ার কন্ডিশন মসজিদের প্রয়োজন চিন্তা করেন।ধর্ম ধারন করার বিষয়-লোক দেখানোর বিষয় নয়। লক্ষনীয় বিষয়টি হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশে যত রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রক্ষমতায় ধর্মকে ব্যবহার করে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন ব্যাক্তিজীবনে তাঁরা একজনও ধর্ম পালনতো করেনইনা,-বাহ্যিক ধর্মীয় অনুশাষন গুলীও মেনে চলতে দেখা যায়না বা দেখা যায়নি। বাংলাদেশের ধর্মানুরাগী মানুষকে বোকা বানিয়ে ধোঁকা দেয়া ছাড়া -তাঁদের উদ্দেশ্য আর কি হতে পারে? ইসলামী শাষন কায়েমের জন্য ইসলামী বিপ্লবের প্রয়োজন অথবা সাচ্ছা ইসলামী দলের রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন। নির্বাচনের মাধ্যমেও যাওয়ার সুযোগ আছে-বিপ্লব করেও সুযোগ আছে।সে দিকে মনোযোগি না হয়ে গনতান্ত্রিক গনসংগঠনের কাঁধে ভর দিয়ে ইসলামের চিন্তা করা আর বোকার স্বর্গে বাস করা সমান কথা। "রাষ্ট্রের কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ইসলামের ছোঁয়া থাকবেনা- অথছ সংবিধানে থাকবে, ধর্মকেও প্রতারনার হাতিয়ার বানাতে চায় গোষ্টিটি। রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হোক নয়তো ধর্ম নিরপেক্ষ থাকুক-আল্লাহর সাথে প্রতারনা করা কোন অবস্থায় সঠিক নয়।" ধর্মের বিরুধীতা নয়, সকল ধর্মের সমান সুযোগ নিশ্চিত করাই ধর্মনিরপেক্ষতার মুল কথা।অর্থাৎ ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার-এই নীতিতে দেশ শাষনকরার নামই ধর্মনিরপেক্ষতা। ইহাকেই সাম্প্রদায়িক গোষ্টি ধর্মহীনতার অভিযোগে অভিযুক্ত করে অপপ্রচার করার কৌশল অবলম্বন করে। এই পয্যায়ে স্বার্থান্বেষি মহল ইসলামের প্রথম যুগের শাষন ব্যবস্থাকেও বিবেচনায় আনতে চায়না। তাঁদের থেকেও ধর্ম বিষয়ে বেশি জ্ঞানের অধিকারি চিন্তা করে নিজেদের। আর একশ্রেনীর মানুষ ইদানিং দেখা যায় অন্যধর্মের প্রতি ঘৃনারভাব ছড়িয়ে, ঘৃনার উদ্রেক ঘটিয়ে, গালাগাল করে ইদলাম ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করার দিকেই মনোযোগি।তাঁরা মনে করে ধর্ম পালন না করে,ধর্মীয় অনুশাষন না মেনেও অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃনা পোষন করে বেহেস্তে যাওয়া যাবে। এই শ্রেনীর লোকেরা আবার ধর্ম সম্পর্কেও কিছু জানেনা- ধর্ম পালন বা ধারন কিছুই করেনা।ধর্মধারন করার পরেইতো পালনের বিষয়টি আপনা আপনি আল্লাহ ভীতি চলে আসে মনে।তখন মসজিদে না গিয়ে উপায় থাকেনা। স্বার্থান্বেষি মহলটি একদিকে বলে গনতন্ত্রের কথা-অন্যদিকে বলে ধর্মের কথা। ধর্মীয় শাষন আর গনতান্ত্রিক শাষনে আকাশ পাতাল ব্যবধান তাও তাঁরা ভুলে যায়।"গনতন্ত্রের চর্চা করতে গেলেইতো ধর্মের কথা বাদ দিতে হবে --ধর্মীয় শাষন কায়েম করতে গেলে গনতন্ত্র থাকেনা।" "বর্তমান গনতন্ত্র মনুষ্য সৃষ্ট বা পশ্চিমা ইহুদীদের সৃষ্ট একটা আধুনিক শোষন শাষনের দলিল। একদিকে সেই দলিল রক্ষার কথা বলে---অন্যদিকে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম চায়।" ইসলামী শাষন হচ্ছে--"আল্লাহ নির্দেশিত সর্ব উত্তম শাষন পদ্ধতি।" এই সর্ব উত্তম শাষন পরিচালনার জন্য সর্বত্তম ইসলামী জ্ঞান সমৃদ্ধ দলের প্রয়োজন, ইসলামের আলোতে আলোকিত সর্ব উত্তম নেতার প্রয়োজন। আল্লাহ কখনও দুই মুখী নীতির বান্দা পছন্দ করে না। দৌদল্ল্যমান ব্যাক্তি না পায় বেহস্ত -না পায় দোযগ। "সেই দিকে মনোযোগি না হয়ে-মসজিদে নামাজরত: মুসল্লিদের উপর বোমা মেরে মুসল্লি হত্যা করে- ঐ একই বোমায় নীজেও আত্মহত্যা করে। উভয় মৃত্যুর জন্য আল্লাহ নিকৃষ্ট দোজগ বরাদ্ধ করে রেখেছেন।"তাঁরাও নাকি ইসলাম কায়েমের জন্য জেহাদে অংশ নিয়েছে।আল্লাহর রাসুল মসুলমানদের বাণী এবং ইসলামের রীতিনীতি শিক্ষা দিয়েছেন।বিধর্মীদের কাছে ইসলাম প্রচার করেছেন-খলিফাদের শাষনামলে বিধর্মীদের সাথে ধর্ম যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন জয়ী হয়ে ইসলামের পতাকাতলে তাঁদের আসার আহব্বান জানিয়েছেন। জোর পুর্বক কাউকে ইসলাম ধর্মগ্রহনে বাধ্য করার উদাহরন তো পাওয়া যায়না। বরঞ্চ ইসলামের সৌন্দয্যে মুগ্ধ হয়ে দলে দলে কাফের, ইহুদি, খ্রিষ্টান বিভিন্ন জাতি গোষ্টির মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন। যারা গন সংগঠনের অধিনে, গনতান্ত্রিক শাষন বহাল থাকাবস্থায় ইসলামের কথা বলে জনমনে বিভ্রান্তি ঘটানোর অপ্প্রয়াস চালায় তারাই বর্নবাদি, সাম্প্রদায়িক, ইসলাম ধ্বংসকারী, ইসলামের অপব্যাখ্যাকারি। সরলমনা বাঙ্গালী মসুলমানদের বিভ্রান্ত করে স্বার্থ উদ্ধার করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। ইসলাম রক্ষা করা তাঁদের উদ্দেশ্য মোটেই নয়। আল্লাহ নীজেই বলেছেন,"তাঁর প্রেরীত কোরান তিনি নিজেই হেফাজত করবেন।" সেখানে কারা বলে ধর্মরক্ষার কথা, কোরান হেফাজতের কথা--যারা আমাদের মহানবীর বিশ্বস্ত সাহাবাদের শাষনকাল "খোলাফায়ে রাশেদীনের" চার খলিফার মধ্যে তিন খলিফাকেই হত্যা করেছিলেন--ইসলামের কথা বলে তাঁরা। যারা আমার নবী মোহাম্মদ মোস্তফা (স:) এর আদরের দৌহিত্র হাসান -হোসেনকে কারবালায় হত্যা করেছিল তাঁরা। তাঁরা নীজেদের ইসলামের বড় পন্ডিত চিন্তা করে, ইসলামের ধারক বাহক মনে করে নীজেদের। তাঁরা নবী বংশের চেয়ে বেশি জ্ঞানী মনে করে নীজেদের। কথায় কথায় মানুষকে কাফের বলা যাদের মজ্জাগত দোষ---কথায় কথায় মানুষকে নাস্তিক বলা যাদের রোগ তারা"। এই শ্রেনী থেকে বাংলাদেশের বাঙ্গালী মসুলমানদের রক্ষা করতে হবে-তাঁদের অশুভ চক্রান্ত থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হবে।অশুভ, ভন্ড, বক ধার্মীকদের থেকে দেশ জাতিকে রক্ষা করতে হলে ৭২' এর সংবিধান অবিকল পুর্ণবহালের বিকল্প কিছুই নেই, কিছুই থাকতে পারেনা। মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী মসুলমানদের চিন্তাচেতনার প্রতি লক্ষ রেখেই এই সংবিধান রচনা করেছেন। তাঁর সময়ে ধর্মপালনে কোন অসুবিধা হয়েছিল এমনটি আজও কেউ বলতে পারেনি, তাঁর আমলে ইসলামের প্রচার প্রসারে যে অগ্রগতি উন্নতি সাধিত হয়েছিল-- তথাকথিত রাষ্ট্রধর্ম প্রনেতাদের এবং দাবিকারীদের সময়ে তার চেয়ে বেশি কাজ ইসলামের জন্য হলে জাতি'৭২এর সংবিধান বাস্তবায়নের দাবী প্রত্যাহার করবে। ধর্মীয় শাষন কায়েম করতে না পারলে অন্তত--সকল ধর্মকে অন্তর দিয়ে রক্ষার জন্যে হলেও ৭২'এর সংবিধান অবিকল পুর্ণবহাল করার চেয়ে অদ্যাবদি কোন বিকল্প দর্শন এখনও আবিস্কৃত হয়নি। ৪০ বছর পর জাতি মর্মে মর্মে অনুধাবন করছে --জাতির জনকের প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি সিদ্ধান্ত ছিল সুদুর প্রসারী চিন্তা চেতনার ফসল--বাঙ্গালী জাতির স্বার্থে--বাংলাদেশের স্বার্থে। সুতারাং উপসংহারে বলতে চাই, আর কালবিলম্ব নয়-'৭২ এর সংবিধান পুর্ণবহাল করে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার এর পুর্নাঙ্গরুপ দিতে সরকার ব্যবস্থা গ্রহন করবে। জাতির আশা আখাংকার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মাকে সম্মান জানাবে, ,বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সর্বস্তরে প্রাধান্য দিবে-- বাঙ্গালী জাতীর একান্ত প্রত্যাশা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার নিকট। _________________________________ শুভশক্তির উদয় হোক- অশুভশক্তি নিপাত যাক জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥দেশরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা♥

ছবি

অগ্নিঝরা মার্চের ভুবনজয়ী ভাষন--সমসাময়ীক বিশ্বের অমুল্য সম্পদ ------ ____________________________________ ------------------------------------ ৭ই মার্চের ভাষন আগামী বহুযুগ গভেষনার পরও নতুন নতুন তথ্য উৎঘাটিত হতে থাকবে।প্রতিটি শব্দমালা বিশ্লেষনযোগ্য,প্রতিটি পংক্তি এক একটি কবিতাগুচ্ছ, প্রতিটি অনুচ্ছেদ বিশ্লেষনে পাওয়া যায়-- মহাভারততুল্য ভুবনজয়ী মহাকাব্য। " বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের ভাষায় বঙ্গবন্ধু ভাষনটি দিয়েছিলেন বহু যুগের গবেষনায় নির্দিষ্ট করে বলা যাবেনা। এত সহজ সরল,বোধগম্য ভাষায় ভাষন দেয়া যায়,জনতাকে উদ্বেলীত করা যায়,উদ্ভোদ্ধ করা যায় শুত্রুর প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা চিনিয়ে আনতে----তাও কি কল্পনা করা যায়---!!!" তখনকার সময়ের অনুনোন্নত ক্যামরায়, ভয়েস রেকর্ড়ারেও যে ভাষনের প্রতিটি শব্দ সব শ্রেনী-পেশার মানুষের নিকট আজও বোধগম্য। সম আবেগের আবেদনে আপ্লুত করে,প্রতিটি স্বাধীনচেতা,রাজনীতি সচেতন মানুষকে। এমন একটি মোহমন্ত্রের জাদুকরি ভাষন তিনি দিয়েছিলেন ৭ই মার্চ-- যে ভাষন শুনতে গেলেই মনে হয় আজও আমরা সেই পরাধীনতার যুগেই আছি। মুক্তির লড়াইয়ে আজই নাম লেখানোয় অনুপ্রানীত করে তোলে। "এমন শব্দচয়নের ইঙ্গিতপুর্ণ স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়া সম্ভব কেবল ঐশ্ব্ররিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ কোন মহামানবেরই। অতীত,বর্তমানতো বটেই -প্রজম্ম থেকে প্রজম্মান্তরে ৭ই মার্চের ভাষন জাতিকে অনুপ্রানীত করবে, উদ্বেলীত করবে, শিহরন জাগাবে শিরায় উপশিরায় প্রতিটি বাঙ্গালীর।" বাঙ্গালী জাতি এবং তাঁর আগামির সন্তানদের- প্রজম্ম থেকে প্রজম্ম দেশপ্রেমে উদ্ভোদ্ধ করে যাবে মহাকাব্যিক, মন্ত্রমুগ্ধকর ৭ই মার্চের ভাষন। মহান নেতার মহান উক্তির প্রতিটি চরতে চরতে বিদ্যমান রয়েছে বাঙ্গালী জাতির ঘটমান বর্তমান, দুস্বপ্নের অতীত, কাংখ্যিত ভবিষ্যতের অমুল্য দিকনির্দেশনা। বাঙালী জাতির অমুল্য ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংগ্রামের বীরত্ব,শত্রু প্রতিহত করার কৌশল, অভ্যন্তরীন শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ সমসাময়িক বিশ্বের অবস্থা ও অবস্থান সংযোজিত-মহাকাব্যিক ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষন। বাঙ্গালী জাতী ও বাংলাদেশ,বিশ্বের নিপিড়িত নিয্যাতীত, মুক্তিকামি মানুষের অমুল্য সম্পদের রত্ম ভাণ্ডারে রুপান্তরীত হয়ে থাকবে অনন্তকাল। প্রেরনা যোগাবে স্বাধীনতা রক্ষায়,জাতির মান-মার্য্যদা রক্ষা করে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলার।সাহষ যোগাবে অনন্তকাল- দেশের স্বার্থ রক্ষায় অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিতে। স্বপ্নে বিভোর করবে উন্নতি অগ্রগতির শিখরে উঠে-বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়ার। তাইতো কবি তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি অমর কবিতায় ছন্দ মিলিয়ে লিখে রেখেছেন বাঙ্গালীর হৃদয়ে --- "যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা যমুনা বহমান ততোদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মজিবুর রহমান" **জয় বাংলা**জয় বঙ্গবন্ধু** আমর হোক জাতির জনকের স্বপ্ন নিপাত হোক মুক্তিযুদ্ধের শত্রুদের

ছবি

সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কঠোরতায়-সরকারি কর্মচারিরা বলির পাঠায় পরিনত:--- ♥__________________________________♥ এই প্রথম কোন স্থানীয় নির্বাচনে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারী কর্মকর্তা /কর্মচারিদের চাকুরী গড়ে হারানো ও জেল জরিমানার দৃষ্টান্ত স্থাপিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসে।এর আগে বিচ্ছিন্ন দু একটি উদাহরন থাকলেও গড়পড়তা ছিলনা। কমিশন সুত্র ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এলাকার জগনের মতামতের ভিত্তিতে জানা যায় -- নির্বাচনে পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন স্ব-স্ব এলাকার জনগনও সন্তুষ্ট। অনিয়মের কারণে প্রথমধাপে ৬৫টি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এগুলোতে ভোটগ্রহণ করা হবে। সাতক্ষীরায় ১৪টি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টিতে ভোটের আগের রাতে ব্যালটে সিল মারা হয়েছিল বলে জানা গেছে। দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাতক্ষীরার যেসব কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে সেখানে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাতক্ষীরায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ও যেসব উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে সেসব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কমিশনে এসে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। অন্য যেসব জায়গায় ভোট বন্ধ করা হয়েছে সেগুলোতেও তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানা গেছে। গতকাল সন্ধায় আবদুল্ল্যা আল নোমানের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন কায্যালয়ে বিএনপির একটি প্রতিনীধি দল নির্বাচন কমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ করে ৫০ টি ইউপির ভোট পুর্ননির্বাচনের দাবি করেন।যে সমস্ত ইউপির সম্মন্ধে বিএনপি অভিযোগ উত্থাপন করেনি ঐ সমস্ত ইউপির নির্বাচনও বাতিল করেছেন নির্বাচন কমিশনার। এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার বলে রাখতে চাই, বিএনপিকে মাঠে ময়দানে, রাজনীতি এবং নির্বাচনে সংগঠিত ভাবে রাখার জন্য সরকারের অভ্যন্তরে এক অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে নি:সন্দেহে বলা যায়। তবে ইহা একান্ত বাস্তব সত্য যে স্বতন্ত্র এবং বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ না নিলে কোন কেন্দ্রেই এজেন্ট পেতনা বিএনপি। আওয়ামী লীগ /বিএনপি থেকে যারা সুষ্ঠ নির্বাচনে জনগনের মতের প্রতিফলনে নির্বাচিত হয়েছেন আমি তাঁদের অভিন্দন জানাই -"তাঁরাই সত্যিকারের রাজনীতিবীদ।" বিএনপিকে রাজনীতি, নির্বাচনে ধরে রাখার জন্য সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারিদের এবং আওয়ামী লীগ তাদের নেতাকর্মিদের অকাতরে বলি দিতেও কুন্ঠাবোধ করছেনা। ইতিমধ্যে শতাধিক পুলিশ চাকুরি হারাবার সীমানায় অবস্থান করছেন।প্রিজাইডিং অফিসারদের মধ্যে শিক্ষকের সংখ্যা অত্যাধিক। তাঁদের অনেকেই চাকুরী হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে।অনেকআওয়ামী নেতা জেলে বন্দি রয়েছেন।অনেকের জীবনহানী এবং অনেকে পঙ্গুত্ব বরনের পয্যায় রয়েছে। একশ্রেনীর মাস্তানদের দল নমিনেশন দিয়ে, কতগুলি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারির জীবন জীবিকার উপর আঘাত আসছে তা কি কোন রাজনীতিবিদ বা দল চিন্তা করছে? যেই সমস্ত প্রার্থী সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ব্যাখ্যা দিয়ে জনগন থেকে ভোট আদায় করে নিয়ে আসতে পারবেনা ধারনা করেছে তাঁরা কি আদৌ দলের মঙ্গল কামনা করে? নৌকা বা ধানের শীষ কি তাঁর নীজের মার্কা? যে ব্যাক্তির দলের সমর্থনের উপর আস্থা নেই, সরকারের এত উন্নয়ন কর্মকান্ডের উপর আস্থা নেই, তাঁর নীজের ব্যাক্তিত্বের উপর আস্থা নেই -সেই ব্যাক্তি ভোটে নমিনেশন চাইবে কেন? আওয়ামী লীগ বিতর্কিত পঞ্চাশটি ইউপি না ফেলে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু বা দলের অভ্যন্তরে এমন কি কম্পনের সৃষ্টি হত? পুর্ননির্বাচন ঘোষিত ৬৫ টি এককভাবে বিএনপিকে বা অন্য আর কোন দলকে বিনাভোটে দিয়ে দিলেও এক- তৃতীয়াংশ ইউপিতে তাঁদের বিজয় সম্ভব হতনা। তবে কেন সাতক্ষিরা সহ অন্য আরো দুই একটি জায়গায় ভোট কারচুপি করার সুযোগ দিয়ে পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখোমুখি করা হল? এইক্ষেত্রে বিএনপির আমলে নিয়োগ প্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার কারনেও ভোটে কারচুপি হতে পারে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ষড়যন্ত্রের অংশও হতে পারে। দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মাঝে যদি এইরুপ সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার অভিযোগ থাকে- তবে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। এই কথাটি বলছি এই কারনে-বিভিন্ন থানায় দেখা যায় কিছু অফিসার ছাত্রদল/শিবিরের ক্যাডার ছিল। ব্যাক্তি গত ভাবে আমি তাঁদের জানি এবং চিনি।তাঁরা আওয়ামী লীগের চেয়েও বড় আওয়ামী লীগার হয়ে দল ও সরকারের বারটা বাজিয়ে দিচ্ছে-সুযোগ সন্ধানী আওয়ামী নেতাদের কারনে। বিএনপি এবং নির্বাচন কমিশনের ভাষ্য অনুযায়ী বাদবাকি ৫৪৭ ইউপি সম্পর্কে তাঁদের কোন অভিযোগ নেই। অভিযোগ না থাকলেও মিডিয়ায় বার বার ১৫/ ১৬ ইউপির ভোট কারচুপির সচিত্র প্রতিবেদন ফলাও করে দেখানোর ফলে জনমনে সুষ্ঠ নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যাপারে নেতিবাচক ধারনার জম্ম হওয়া কি অস্বাভাবিক? আওয়ামী লীগ বা অন্যকোন দলের প্রার্থী জিততেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা তাঁদেরকে দলের পক্ষ থেকে কি দেয়া হয়েছিল? ঘুষের বিনিময়ে উক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের ভোট কারচুপিতে প্রলুব্ধ করা হয়েছিল কিনা আগে তা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এইরুপ কর্মে তাঁদের বরখাস্তাদেশ মেনে নেয়া যায়। যদি তাই না হয়, সরকারি দল বা অন্য কোন দলের প্রভাবের কারনে কারচুপি সংগঠিত হয় তাহলে সরকারি কর্মচারিদের চাকুরি বরখাস্তের আগেই সংশ্লিষ্ট এলাকার ক্ষমতাধর নেতার বহিস্কার হওয়া প্রয়োজন। যিনি নমিনেশন প্রদানে মুর্খ্য ভুমিকা পালন করেছেন, তাঁর সহযোগি যারা ছিলেন, সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদেরকে স্ব-স্ব দল থেকে বহি:স্কার করা উচিৎ। তাঁদের প্রভাব প্রতিপত্তির কারনেই চাকুরির উপর নির্ভরশীল বেশ কিছু পুলিশ অফিসার, সাধারন গরিব পুলিশ, শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারির জীবন জীবিকার উপর অসহনীয় দুর্ভোগ নেমে আসবে দিব্যি চোখেই দেখা যাচ্ছে। কঠোরতা যদি সবমহল থেকে করা হবে-তবে প্রার্থী নির্বাচন তৃনমুল থেকেই করা উচিৎ ছিল।,তাহলে আজকের এই মড়ার ফাঁদে কাউকেই পড়তে হতনা।দল এবং সরকারের ভাবমুর্তির উপরেও আঁছড় পড়ার কোন সম্ভাবনা ছিলনা। প্রথম ধাপের নির্বাচনের কঠোরতার কারনে অন্যধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার বিএনপির পরামর্শের উপর নির্ভর করে তদন্ত ছাড়াই বরখাস্তের আদেশ কতটুকু আইন সিদ্ধ তাও ভেবে দেখা দরকার সংশ্লিষ্ট মহলের। নির্বিচারে গুলি করে হত্যার মত কারন সৃষ্টি হয়েছিল কিনা তাও তদন্ত করার দরকার।নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্রেকে একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায়না। পরিশেষে বলতে চাই,নির্বাচন সুষ্ঠু সুন্দর হোক দেশবাসি কামনা করে।অযথা কোন মহলকে সুযোগ দিতে যেন কাউকে বলি দেয়া না হয় সেই দিকেও নজর রাখা দরকার সংশ্লিষ্ট সব মহলের। ___________________________ জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম ♥প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা♥

ছবি

খালেদা জিয়ার 'রুপকল্প২০৩০'---জাতির জনকের কন্যার ঘোষিত "রুপকল্পের" ফাঁকের ফাঁকি ______!! ♥_________________________________♥ বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা '২০০৮ইং সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নে বিভোর করে নতুন প্রজম্মের ভোটারদের ভোট পক্ষে এনে বিপুল ভোটে জিতে সরকার গঠন করেন।সরকারে বসে ক্ষমতা উপভোগ করার চাইতে ক্ষমতাকে জনগনের কল্যানে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে কঠিন এক সংগ্রামের প্রস্তুতি গ্রহন করেন। তাঁর সরকারকে এই কঠিন সংগ্রামে সর্বতোভাবে নিয়োজিত করেন। তিনি দেশ উন্নয়নের ধারনাকে তিনভাগে ভাগ করে সুদুরপ্রসারী, বাস্তব মুখী চিন্তাচেতনার এক কল্পিত উন্নয়ন রেখচিত্র অংকন করে অগ্রসর হওয়ার মানসে সরকারের প্রাথমিক সংস্কার শুরু করেন। সফলভাবে সরকারের সংস্কার কায্যক্রম শেষে তিনি তাঁর কল্পিত চিন্তার ফসল 'রুপকল্প ২০২১' ঘোষনা করেন।তিনি উক্ত 'রুপকল্প'বাস্তবায়নে স্বল্প মেয়াদি, মধ্যমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন করে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকতা কর্মচারি, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদেরকে স্ব-স্ব কাজে মনোযোগী হতে উৎসাহীত করে তোলেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে বিগত জোট সরকারের পাঁছবারের দুর্নীতিতে শীর্ষে থাকা দেশটিকে রাষ্ট্রের সকল সুচকে উন্নয়নের দৃশ্যমান পয্যায় নিতে সক্ষম হন।ফলে ২০১৪/ ১৫ সালের বিএনপি জোট কতৃক লাগাতার আন্দোলন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, রাহাজানি, আগুন সন্ত্রাস সত্বেও দেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নিত করেন। ২০১৪ সালের সাধারন নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতির জনকের কন্যা তদ্রুপভাবে বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তর করে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর আর একটি "রুপকল্প ২০৪১" ঘোষনা করে তিন ধাপে ইতিমধ্যে প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। প্রথম প্রথম জোটের শীর্ষনেতারা ডিজিটাল বাংলাদেশকে ব্যঙ্গাত্বকভাবে জাতির সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে' 'রুপকল্প২০২১'কে নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।তাঁরা দেশে বিদেশে অপপ্রচার চালাতে থাকে যে-- জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা '২০২১'সাল পয্যন্ত ক্ষমতা ছাড়বেনা। ২০১৪ সালের সাধারন নির্বাচনে অংশ না নিয়ে গনতন্ত্রকে নস্যাৎ এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মানসে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নিয়ে লাগাতার সন্ত্রাসের দিকে ঝুকে পড়ে চারদলীয় জোট। দেশে বিদেশে অপপ্রচার চালাতে থাকে যে, নির্বাচনে অংশ নিয়ে কোন লাভ হবেনা '২০৪১'সাল পয্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়বেনা। অপপ্রচারকে সঙ্গী করে দেশব্যাপি শ্বেতসন্ত্রাসের কালোথাবা বিস্তার ঘটায়। তাঁদের এই ষড়যন্ত্রে যোগ দেয় নব্য রাজাকার শিবির, '৭১এর রাজাকার জামায়াত, সাম্প্রদায়িক উগ্র জঙ্গী গোষ্টি হেফাজত, চরম ডান-বাম গোষ্টি সমুহ। জাতির জনকের কন্যার অসিম ধৈয্য,রাষ্ট্র নায়কোচিত মনোভাবের কারনে চরমভাবে পরাজিত হয়ে লেজগুটিয়ে আগুন সন্ত্রাসের নেত্রী আন্দোলন বন্ধ করে বাসায় চলে যান।তাঁর ঘোষিত অসযোগের কর্মসুচি আজও প্রত্যাহারভকরেননি। নেত্রী দরজা জানালা বন্ধ করে স্বেচ্ছায় বন্দি থাকেন দীর্ঘ দিন। ইতিমধ্যে আন্দোলন ব্যার্থতার কারনে জোট ও দলে নিষ্ক্রিয়তা দেখা দেয়ায় নতুন এবং অভিনব এক উপায় খুজে বের করেন। দেশ ইতিমধ্যে তাঁদের ব্যংঙ্গকে উপেক্ষা করে মধ্যম আয়ের দেশের রুপান্তরিত হয়ে জনমনে স্বস্তি-শান্তি, আনন্দ-উল্লাসের জোয়ার আসে। সরকারের প্রতি অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় আস্থা ও বিশ্বাস অবিশ্বাস্যভাবে বেড়ে যাওয়ায় আন্দোলন সংগ্রামে জনসম্পৃত্ততা পাওয়া যাচ্ছিলনা। উপায়ান্তর না পেয়ে বিএনপি তাঁদের দলীয় কাউন্সিলের আয়োজন করে। উক্ত কাউন্সিলে বেগম জিয়া 'জাসদের' আন্দোলনের হাতিয়ার 'দ্বি-কক্ষ' বিশিষ্ট আইনসভা এবং আওয়ামীলীগের উন্নয়নের দর্শন' 'রুপকল্প' হাইজ্যাক করে 'চোখের লজ্জা' বিসর্জন দিয়ে 'রুপকল্প ২০৩০' খসড়া ঘোষনা প্রকাশ করে। ""উল্লেখ্য যে আওয়ামীলীগের ঘোষিত,('রুপকল্প ২০২১--২০৪১' মধ্যম--উন্নত, সমৃদ্ধ) বাংলাদেশের পরিকল্পিত স্বপ্ন-রেখচিত্র। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা বলেননি যে '২০৩০' আগে বা পরে বাংলাদেশ "উন্নত মধ্যম' আয়ের" দেশে রুপান্তরীত হবে।"এই ফাঁক টুকুকে কাজে লাগিয়ে জ্ঞানের সাগর খালেদা জিয়া 'উন্নত-মধ্যম' আয়ের 'রুপকল্প ২০৩০' ঘোষনা করেছেন।এই এক জনতার সঙ্গে প্রতারনার নয়া কৌশল বটে!!" সৃষ্টিতে দলটি বন্দুকের নলে ক্ষমতা পেয়েছিল। ন্যাশানাল আওয়ামীপার্টির মার্কা 'ধানের শীষ' হাইজ্যাক করে দল বানিয়েছিল।বিভিন্ন দলের সুযোগ সন্ধানী নেতাদের ভাগিয়ে এবং দালাল, রাজাকারদের সমন্বয়ে সরকার বানিয়েছিল খুনি মেজর জিয়াউর রহমান। তাঁরই ধারাবাহিকতা রক্ষাকল্পে তাঁরপত্নি উৎসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পতন বিলম্ভীত করার উদ্দেশ্যে অন্য রাজনৈতিক দলের দর্শন হাইজ্যাক প্রক্রিয়ায় নিলজ্জ ভাবে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। *এবার জনরোষের কবলে পড়ে দীর্ঘদিন স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি থেকে নতুন ফন্দি-ফিকিরের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের ঘোষিত 'রুপকল্প ২০৪১'এবং 'রুপকল্প ২০২১'এর মাঝামাঝি 'রুপকল্প ২০৩০' কে "মধ্যম উন্নত" নামকরন করে বাহবা নেয়ার অপ-কৌশল গ্রহন করেছেন।* ____________________________________ সত্যের জয় হোক______প্রতারক চক্র নিপাত যাক জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা♥

ছবি

দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থেকে অবশেষে ইন্টারপোলের রেকর্ড থেকে বাদ তারেক রহমানের নাম_____!!-_________________________________ _________________________________ ইন্টারপোলের রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম। দশট্রাক অস্ত্র আটক,জঙ্গি হামলা, জঙ্গি কানেকশন সহ বিবিধ কারনে ইন্টারপোল তারেকের উপর রেড এলার্ট জারি রেখেছিল। বিশেষ করে বর্তমান প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার উপর২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন- ইন্টারপোল। বিষয়টি অনেক আগের হলেও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ হতে দীর্ঘদিন তেমন কোন সাড়া না পাওয়ার কারনে এবং উচ্চ আদালতের কোন নির্দেশনা না পেয়ে রেড এলার্ট জারি স্থগিত হতে পারে বা বাতিলও হতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল আগে থেকে ধারনা করেছিলেন।অবশেষে তাঁর নাম রেকর্ড থেকে বাদই দিল। বাংলাদেশ সরকার বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কি কারনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন এই মহুর্তে বোধগম্য নয়। ইন্টারপোলের রেড এলার্ট প্রত্যাহার হওয়ায় লন্ডনে বসবাসরত: বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ উল্লাস পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে একটি সুত্র জানায়।লন্ডন প্রবাসী বিএনপির মধ্যে তারেক জিয়ার প্রতি রেড এলার্ট থাকার কারনে সব সময়ে আতংক বিরাজ করত বলে সুত্রটি জানায়। খালেদা জিয়ার শেখ হাসিনা মুক্ত নির্বাচন,হেফাজতের অগ্নিঝরা মার্চের বেদনাবিদুর ২৫শে মার্চ বিক্ষোভের ঘোষনা,তারেক জিয়ার রেড এলার্ট নোটিশ প্রত্যাহারের ঘটনা একই দিন একই সময়ের মধ্যেই ঘটেছে।সময়ের ব্যবধান এক থেকে দেড় ঘণ্টা। বিষয়টি সর্বমহলকে ভাবিয়ে তুলেছে।বেগম খালেদা জিয়া ২০১৪ ইং সালে এইরুপ ঘোষনা দেয়ার কয়েকদিন পর থেকে নাশকতা, জঙ্গী হামলা, আগুন বোমা নিক্ষেপ করে জীবন্ত মানুষ অঙ্গার করা শুরু হয়েছিল। হত্যা, নাশকতা, জঙ্গী হামলা নিয়ন্ত্র করা হয়েছে এইরুপ তৃপ্তির ঢেঁকুর সরকারের একাধিক মন্ত্রী, নীতি নির্ধারকেরা তুললেও সসধারনে আতংক কমাতে পারেনি।ইতিমধ্যে একই সময়ে তিনটি গুরুত্বপুর্ন ইস্যু একত্রে ঘটার কারনে জনমনে আবার নতুন চিন্তার উদ্রেক করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বেগম জিয়ার কয়েকটি মামলার রায় হওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে।সর্বমহল নিশ্চিত এবং কি বিএনপির সিনিয়র নেতারাও নিশ্চিত বেগম জিয়ার সাজা হতে পারে।এই মহুর্তে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে মামলা গুলি প্রত্যাহার বা নিদেনপক্ষে স্থগিত করানোর মত আন্দোলন গড়ে তোলার সামর্থ্য দলটির নেই। মাঠ পয্যায়ের নেতাকর্মীরা গতবারের সন্ত্রাস নির্ভর আন্দোলনের কারনে নার্ভাস হয়ে ঘরে বসে গেছেন।তৃনমুলে তেমন আন্দোলন সংগঠিত করার সম্ভাবনা তিরোহীত হওয়ার কারনে আবার ২০১৪/১৫ এর পরিবেশ সৃষ্টি করে বিদেশী বন্ধুরাষ্ট্রের মধ্যস্থ্যতায় রেহাই পাওয়া যায় কিনা শেষ কামড় দিয়ে দেখতে পারেন বলে অভিজ্ঞমহল মনে করছেন।এতে আন্তজাতিক শক্তিধর একাধিক রাষ্ট্রের ইন্দনও যে নেই হলফ করে বলা যায়না। বিদেশী কয়েক দেশের মেহমান এম,পি /মন্ত্রী পরিচয় গোপন করে কৃষক/শ্রমিকের ভিজিট ভিসায় বাংলাদেশে প্রবেশ করে খালেদা জিয়ার কাউন্সিল অধিবেসনে যোগ দিয়েছে এবং কি বিএনপি নেত্রীর সাথে গুলশানের বাসায় একাধিক বৈঠকে মিলিত হয়ে শলাপরামর্শে সময় কাটাচ্ছেন বলে একটি বিশ্বস্থ্য সুত্র নিশ্চিত করেছে। সদাশয় সরকারের প্রতি আবেদন থাকবে উল্লেখীত বিষয়াদি খতিয়ে দেখে সত্যতা যাচাই পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করে বাংলাদেশের জনগনের জানমাল রক্ষায় রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহন করে জনমনে সৃষ্ট আতংক নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহন করার জোর দাবী জানাচ্ছি। ___________________________________ ___________________________________ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥দেশরত্ম প্রধান্মন্ত্রী শেখ হাসিনা♥

ছবি

সাধারণ ছেলেটির চলনবিল থেকে বিশ্বজয়ের অসাধারণ গল্প’_____________ প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০১৬(কপি পেষ্ট বিবার্তা) খোন্দকার আল আনিম পরশ :রচয়িতা _________________________________ জুনাইদ আহমেদ পলক। বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষিত ও সচেতন তরুণদের কেউ তার কথা জানেন না বা শোনেননি অথবা চেনেন না এমন কাউকে পাওয়া যাবে কিনা সেটা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ভাই-বোনদের মধ্যে সবার ছোট। পাঁচ ভাই-বোনের প্রত্যেকেরই নাম চোখের প্রতিশব্দ দিয়ে, যেমন- নয়ন, মণি, আঁখি, দৃষ্টি ও পলক। বাবা মরহুম ফয়েজ উদ্দীন ছিলেন একজন কৃষক। পাশাপাশি ছিলেন মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন নাটোরের সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। মা জামিলা ফয়েজ একজন গৃহিনী। ১৯৮০ সালের ১৭ই মে নাটোর জেলার চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলায় জন্মগ্রহন করেন তিনি। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ভর্তি হন সিংড়া দমদমা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়েই গড়ে তুললেন দূর্দম ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান। এখান থেকেই মূলত শুরু হয় তার সংগঠন কেন্দ্রিক পথচলা। এলকার সকল কিশোরদের সংগঠিত করে খেলার মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট আর ভলিবল আয়োজন করা ছিল তার প্রায়শই কর্মকাণ্ড। শৈশব-কৈশোরে তিনি বেড়ে উঠেছেন ঘুড়ি উড়িয়ে, কখনো মাছ ধরে আবার কখনো বা চলনবিলে সাঁতার কেটে। মাটি ও মানুষের সাথে তার নাড়ির সম্পর্কটা খুব ছোটবেলা থেকেই। বাবা মরহুম ফয়েজ উদ্দিনকে দেখেছেন; কিভাবে তিনি মিশে যেতেন সাধারণ মানুষের মাঝে, কিভাবে মানুষের সমস্যা সমাধানে উজাড় করে দিতেন নিজেকে। বাবার কাছে গল্প শুনে খুব অল্প বয়সেই বঙ্গবন্ধুকে নিজের মধ্যে ধারণ করে ফেললেন তিনি। যেন বঙ্গবন্ধু তার কাছে রুপকথার গল্পের মতো। ছাত্রজীবন থেকেই তুখোড় মেধাবী পলক বিতর্ক, আবৃত্তি ও উপস্থিত বক্তৃতা করতেন। সম্পৃক্ত ছিলেন রোভার স্কাউটের সাথে। ১৯৯৪ সালে বয়েজ স্কাউট নাটোর জেলা দলের নেতৃত্ব দেন পলক। ১৯৯৫ সালে সিংড়া দমদমা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় পাঁচ বিষয়ে লেটার নম্বরসহ স্টার মার্ক নিয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৯৭ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন পলক। এরই মধ্যে তার বাবা ইন্তেকাল করেন কিন্তু থেমে থাকেননি পলক। বাবাকে হারিয়ে কঠিন জীবন সংগ্রামে বাস্তবতাকে সঙ্গী করে শুধুমাত্র স্থানীয় রাজনীতির প্রতি প্রবল ঝোক থাকার কারণে ও মা এবং এলাকার মানুষের পাশে থাকার কথা চিন্তা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়ে এলাকায় ফিরে এসে ভর্তি হন বাড়ীর পাশের গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজে। মূলত সেখান থেকেই ছাত্র রাজনীতিতে জোড়ালো উত্থান শুরু হয় পলকের। ১৯৯৯ সালে কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ভোটে ভিপি নির্বাচিত হন। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতেন একদিন মহান জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন। ছাত্র জীবনে যখন ঢাকায় যেতেন তখন শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবনের দিকে গভীরভাবে তাকিয়ে থাকতেন। নানা চড়াই-উৎড়াই পার করে একে একে উপজেলা ও জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নিজের শক্ত অবস্থান করে নেন পলক। যার পেছনে বিরাট অবদান ছিল তার এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের। তিনি ২০০১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এমএসএস এবং ২০০৩ সালে ঢাকা ন্যাশনাল ল কলেজ থেকে এলএলবি পাশ করে প্রথমে নাটোর জর্জ কোর্টে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইনজীবি হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। ছাত্ররাজনীতি থেকে ধীরে ধীরে গণরাজনীতিতে পদার্পন করেন তিনি। এরই মধ্যে, ২০০২ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের মতো প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী একটি রাজনৈতিক দলে সারাদেশের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ হিসাবে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাত্র ২৮ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন লাভ করে দীর্ঘ ৩৭ বছর পর সিংড়া আসনে নৌকা প্রতীককে অর্ধলক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে চমক সৃষ্টি করেন পলক। মেধা, সততা, নিষ্ঠা, কর্মশক্তি ও সুন্দর বচন ভঙ্গির মাধ্যমে দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ তরুণ প্রজন্মকে সাথে নিয়ে প্রকৃত অর্থে জনকল্যাণমুখী রাজনীতির প্রয়াস উপস্থাপিত করে দেশবাসীর নজন কাড়েন পলক। সুন্দর, মার্জিত, ভদ্র ও সাবলীল ভাষায় অতি অল্প সময়ের মধ্যে তথ্যবহুল এবং যৌক্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করে টকশো’তে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। পাশাপাশি আস্থা অর্জন করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নীতি-নির্ধারকদের। যার স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসাবে স্থান পান পলক। নিজ নির্বাচনী এলকায় প্রচুর পরিমাণ বৃক্ষ রোপনের স্বীকৃতি স্বরূপ একই বছর তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জাতীয় সম্মাননা হিসাবে ১ম পুরস্কার গ্রহণ করেন। তার এই পথচলায় অন্যতম অনুপ্রেরণার উত্‍স হচ্ছেন তার মা জামিলা ফয়েজ ও স্ত্রী কলেজ শিক্ষিকা আরিফা জেসমিন কনিকা। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি অনুভব করতেন প্রকৃত অর্থে দেশপ্রেমিক ও মেধাবীরা যদি ছাত্ররাজনীতিতে না আসে; তাহলে আমাদের ৫২ বা ৭১ এর যে চেতনা সেটার বাস্তবায়ন কোনো ক্রমেই সম্ভব হবে না। ছোটবেলা থেকে মানুষের জন্য কিছু একটা করার তীব্র তাগিদ অনুভব করতেন তিনি। রাজনীতি ও তার পরিবার কখনোই বিচ্ছিন্ন কোনো অংশ নয়। পরিবারের প্রতিটি সদস্যই কোনো না কোনোভাবে তার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। দেখা যায়, কখনো আওয়ামী লীগের কোন সম্মেলনে অতিথিদের ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নিচ্ছে তার শিশু সন্তান অপূর্ব, অর্জন আর অনির্বাণ। রাজনীতিকে কখনোই তিনি নেশা বা পেশা হিসাবে নেননি। রাজনীতি হচ্ছে তার সাধণা যার মাধ্যমে তিনি জাতি ও রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। রাজনীতির কারণে কখনোই তাকে তার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হয়নি। সারাদিনের প্রচন্ড কর্মব্যস্ততার মাঝেও রাতে পরিবারের সদস্যদের সময় দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমন কি, মানুষের সাথে সার্বক্ষণিক সংযুক্ত থাকার মাধ্যম হিসাবে প্রযুক্তিকেই বেছে নিয়েছেন তিনি। তার প্রতিদিনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে যে কেউই অবগত হতে পারেন; সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে। শত ব্যাস্ততার মাঝেও ফেসবুকে আপডেট ও নিয়মিত মেইল চেক করা তার প্রতি মূহুর্তের অভ্যাস। যখন বর্ষায় চলনবিল পানিতে ভাসে কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে, ঘূর্ণিঝড়ে কৃষকের পাকা ধান আর ঘর-বাড়ী বিনষ্ট হয়ে যায়, তখনও দলীয় নেতা-কর্মী আর প্রশাসনকে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে ফেসবুকে তিনি লিখেন, ‘আমি এলাকায় আছি, সার্বক্ষণিক যে কোনো সমস্যায় সরাসরি যোগাযোগ করুন। আমি সমস্যা সমাধানে সর্বাত্বক চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।’ ২০১৩ সালের শেষের দিকে গুটিকয়েক সংসদ সদস্যের অশালীন, অসত্য ও অসংসদীয় ভাষা ব্যবহারে মহান জাতীয় সংসদ যখন তার পবিত্রতা হারাচ্ছিল, ঠিক সেই মুহুর্তে সংসদে সাহসী ও সময়োপযোগী বক্তব্য প্রদান করে সারাদেশের মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন। বিএনপি-জামাতের আগুন সন্ত্রাসকে মোকাবেলা করে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে ৭০হাজারেরও বেশী ভোটের ব্যবধানে দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ১২ জানুয়ারি বর্তমান মন্ত্রীসভার সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপরই শুরু হয় তার নতুন পথচলা। একদিন বলেই বসলেন, ‘আমাকে যে কোনো মূল্যে সফল হতেই হবে। বয়স কম হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে অনেক বড় দ্বায়িত্ব দিয়েছেন। আমি ব্যার্থ হলে ভবিষ্যতে আর কেউ তরুণদের সামনে আনবে না, বড় কোন দ্বায়িত্ব দিবে না।’ মেধা ও প্রযুক্তি নির্ভর জাতি ও রাষ্ট্র গঠনে দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে বেরাচ্ছেন পলক। প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি দেশের সর্ববৃহত্ত কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের উপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে হাইকোর্ট। তার হাত ধরেই বিআরটিসি বাস কখনো বা টিএসসি কখনো বা মধুর ক্যান্টিনে ফ্রী হয়েছে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক। চলনবিলের প্রত্যন্ত এলকায় জন্ম নেওয়া প্রতিভাবান এই ছেলেটি আজ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার ২০১৬’ নির্বাচিত হয়ে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও অগ্রযাত্রাকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। পথচলা এখনো অনেক বাঁকি। আমাদের প্রত্যাশা বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে সামনে রেখে তিনি এগিয়ে যাবেন বহুদূর।_ ___________________________ জয়বাংলা বলে আগে বাড় জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥ দেশরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা♥ অভিন্দন মাননীয় মন্ত্রী পলক।আরও কম বয়সে ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদক এবং থানার সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব অনেক বছর পালন করেও অদম্য ইচ্ছা থাকা সত্বেও জনসেবা করার সুযোগ কোন দিন পাইনি।মানুষের সেবা করায় আল্লাহর হুকুম থাকা অবশ্যক।সবার ভাগ্যে জোটেনা।আপনার প্রতি নিয়ন্তর শুভকামনা থাকবে। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু

ছবি

২৫ মার্চ সারাদেশে হেফাজতের বিক্ষোভ ~~স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি গভীর চক্রান্তের ঈঙ্গিত ---!! ~~~~~~~~~~~♥~~~~~~~~~ ২৫ মার্চ সারাদেশে হেফাজতের বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষনা। বাংলাদেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের ষড়যন্ত্র চলছে এমন অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে আগামী ২৫ মার্চ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী। বেগম খালেদা জিয়ার হাসিনা মুক্ত নির্বাচনের ঘোষনা দেয়ার এক দেড় দেড় ঘন্টার মধ্যেই পুর্ব প্রস্তুতি বা কোনরুপ আলাপ আলোচনা ছাড়া ঘোষনাটি দেয়া হয়। সরকার কতৃক এইরুপ কোন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বা হচ্ছে আলোচনা না থাকলেও হেফাজত কোন সুত্র থেকে খবরটি পেয়েছেন তা উল্লেখ করেন নাই।তাছাড়া ২৫ই মার্চ ১৯৭১ ইং সালে পাকিস্তানী দখলদার বাহিনী কতৃক যে নারকীয় আক্রমন চালানো হয়েছিল বাঙ্গালী এবং বাংলাদেশের উপর- সেই বেদনা বিদুর দিনটিকে হেফাজতিরা বিক্ষোবের জন্য বেছে নেয়ায় এইরুপ কর্মসুচি ঘোষনায় যথেষ্ট সন্দেহ উদ্রেক না হয়ে পারেনা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি কিঞ্চিত পরিমান আন্তরীকতা পোষন কারি কোন সংগঠন মার্চের ২৫/২৬ তারিখ কোন রাজনৈতিক বা সামাজিক কর্মসুচি দিতে পারেনা।এই অশুভ চক্রের ষড়যন্ত্র অংকুরেই ধ্বংশের সকল প্রস্তুতি গ্রহন করার দাবি জানাচ্ছি।প্রয়োজনে স্বাধীনতা বিরুধী চক্রান্ত রুখতে রাষ্ট্র শক্তি ব্যবহার করার আহব্বান জানাই। ___________________ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা♥

ছবি

কাউন্সিল অধিবেশনে বেগম জিয়ার বক্তব্য--খাঁচায় বন্দি পাখীর মুক্ত হওয়ার আকুতি---- ♥~~~~~~~~~}~~~~~~♥ *সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকা না--থাকার মধ্যে বেহেশত ও দোজখের মতো দুস্তর ব্যবধান সৃষ্টি হয়েছে। স্বর্গচ্যুত হয়ে নরকযন্ত্রণা ভোগের ভয়ে অনেকে ক্ষমতা ছাড়তে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। তাই ক্ষমতায় টিকে থাকতে বা ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে সব রকমের অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, ‘এই দূষিত রাজনীতির চক্র থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।* উপরের অংশ টুকু প্রথম আলো থেকে নেয়া বেগম জিয়ার গতকালের সম্মেলন উদ্ভোধন করে দেয়া বক্তব্যের অংশ বিশেষ। বক্তব্যে স্পষ্ট প্রমান হয় তিনি উপলব্দি করতে পেরেছেন, তিনি কেন ২০০৬সালে খমতা কুক্ষিগত করে রাখতে চেয়েছিলেন। হাওয়া ভবন কেন্দ্রিক ক্ষমতার অপব্যবহার, লুটপাট সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন। ভাষনটি লক্ষ করলে সহজভাবেই বোধগম্য হওয়ার কথা।খমতায় থেকে 'বেহেস্তের স্বাধ গ্রহন করে ছেড়ে দিলেই নরকের মধ্যে থাকা' এই কথা বলে তিনি ২০০১ ইং সালের তত্বাবধায়ক সরকার কতৃক সদ্য ক্ষমতা পরিত্যাগ করা আওয়ামী লীগের উপর নির্মম নির্য্যাতন এবং নির্বাচন পরবর্তি বিএনপি-জামাত কতৃক পরাজিত আওয়ামী লীগের উপর হামলে পড়ে অত্যাচার, নির্য্যাতনের যে ন্যক্কারজনক ইতিহাস স্থাপন করেছিলেন-সেই কথাটিই মনে করিয়ে দিলেন। ২০০১ইং সালের নির্বাচন পরবর্তী আওয়ামী লীগের উপর অত্যাচারের বিভীষিকার কথা স্বরনে থাকায় ২০০৬ইং সালে নিয়মাতান্ত্রিক তত্বাবধায়কের হাতে ক্ষমতা না দিয়ে-বিকল্প উপায়ে ক্ষমতায় ফিরে আসার সকল ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করেছিলেন-সরল স্বীকারোক্তির মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের মানুষকে তাও মনে করিয়ে দিলেন। একদিকে তিনি এবং তাঁর পরিবারের ক্ষমতার অপব্যবহার, লুটপাটের কথা বলছেন অন্যদিকে আগুন সন্ত্রাস করে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছেন তাও অকপটে স্বিকার করে নিলেন। কে-কিভাবে বেগম জিয়ার ভাষন ব্যাখ্যা বিশ্লেষন করবেন জানিনা,"আমি মনে করি স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার কৃতকর্মের শ্বেতপত্র নীজ হাতে রচনা করে জনসমক্ষে প্রচারের জন্য প্রকাশ করেছেন।" দলীয় কাউন্সিলে তাঁদের দলের অভ্যন্তরীন বহুবিষয় থাকবে, সরকার বিরুদী অনেক কথাই বলা হবে, রাজনীতি সমাজনীতি রণনীতি ইত্যাদি সব কিছুই থাকবে--থাকাটা স্বাভাবিক,বরং নাথাকাটা অস্বাভাবিক। কিন্তু নীজ সরকার ও দলের অতীত কর্মকান্ডের এমন স্বীকারোক্তি আমার রাজনৈতিক জীবনে আর কখনও শুনিনি। আমার মত আগোচালো একজন তৃতীয় শ্রেনীর লেখক রাজনীতিবীদ দীর্ঘদিন থেকে খালেদা জিয়ার গতকালের বক্তব্যের এই অংশটুকু বিশদভাবে বিবরন দিয়ে লেখালেখি করে নতুন প্রজম্মের বন্ধুদের অতীত জানার জন্য কাহিনীকারে লিখে আসছিলাম। আমি মুলত: বলতে চেয়েছিলাম ঘুরেফিরে একটি কথাই জোট সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার, লুটপাট এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার অপকৌশল কেন করেছিলেন-তাঁরই বিষদ বিবরন দিয়ে বলার চেষ্টা করেছি। সর্বশেষ যে কোন উপায়ে ক্ষমতা দখল করার বাসনা কেন করেছিলেন তাও আমার লিখাগুলিতে বর্ননা দিতে চেষ্টা করে আসছিলাম। আমার এতদিনের লিখাগুলীর সারসংক্ষেপ-বেগম জিয়ার বক্তব্যে পরিস্কারভাবে উঠে আসায়--আমার লিখার সার্থকতা ও সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হওয়ায়-আমার নীজের কাছে খুবই ভাল লাগছে-আনন্দ লাগছে। * তাঁর বক্তব্য আমি মনে করি খাঁচায় বন্দি পাখির মুক্ত হওয়ার আকুল আকুতি। সরকারের সাথে সমঝোতা করে হলেও পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমায় নির্গাত শাস্তিভোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার নয়াকৌশল।* এই বিষয়টি নিয়ে বিশদব্যাখ্যা দিয়ে লিখার মানসে সুপ্রীয় পাঠকদের সামান্য ইঙ্গিত দিয়ে গেলাম। ~~~~~~~~~♥~``~`~~ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা♥

ছবি

চ্যানেল আই অনলাইন অনলাইন ডেস্ক:- ভবিষ্যতে ইতিবাচক রাজনীতি করবে বিএনপি: খালেদা জিয়া। ♥~~~~~~~~~```~♥ বিএনপি’র ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, তার দল ‘ওয়ানডে ডেমোক্রেসি’তে বিশ্বাস করে না, ক্ষমতায় গেলে দেশে সুশাসনের জন্য দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। ভবিষ্যতে ইতিবাচক রাজনীতি করবে বিএনপি। আমার কথা:- -অতীতে নেতিবাচক রাজনীতি করেছেন স্বীকার করে নিলেন।তবে কি তথ্য মন্ত্রী ইনু সাহেবের ধারনাই সঠিক?একসাথে ছিলেনতো--তাই পেটের খবর বন্ধুর আগেই বলে দিতে পেরেছেন। `৭২--'৭৫ এ জিয়ার বাসায় বিশেষ এসাইনমেন্টে নিয়োগ ছিলেন সাবেক বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রী ইনু সাহেবের--! একই বক্তৃতায় খালেদা :- আন্দোলন নস্যাৎ করতে ক্ষমতাসীন দলই নাশকতা ও অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া। এজন্য বিএনপি ও শরীকদের দায়ী করে হামলা-মামলা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। আমার কথা:--কয়লা ধুইলেও ময়লা যায়না।বক্তব্যের প্রথমে কি বলেন মাঝে আবার পুরাতন অভ্যেসের বসে সরকারের কাঁধে আগুন সন্ত্রাসের দোষ তুলে দেয়ার প্রয়াস--! একই সভায় খালেদা- কাউন্সিলে বর্তমান সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেন খালেদা জিয়া। এই রূপকল্প অনুযায়ী অর্থনীতি,শিক্ষা, কৃষি, ধর্ম, খেলাধূলা ইত্যাদি খাত নিয়ে দলটির ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি। আগামী নির্বাচনে এই রূপকল্প বা ভিশন ধরেই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে বলে জানান বিএনপি নেত্রী। আমার কথা:- তাহলে জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার রুপকল্পও চুরি হয়ে গেল? না নকল রুপকল্প বানিয়ে বাজারে ছেড়ে দিল? তবে কি শেখ হাসিনার রুপকল্পের বাজারে কাটতি বেশি? ২০৩০ সালে খমতার আশা করে বিএনপি --! (বিএনপির আবালদের কথার প্রতিধ্বনি)।"রুপকল্প ২০৪১"ঘোষনার পর নেতৃস্থানীয় বিএনপির নেতারাও বক্তব্যে, বিবৃতিতে অপ-প্রচার করে বলেছিল,"শেখ হাসিনা জোর পুর্বক হলেও' ২০৪১'সাল পয্যন্ত খমতা দখল করে রাখবে। " তবে কি আমাদের মন্ত্রী নাসিম সাহেবের কথাই ঠিক। আগামী নির্বাচনের পরের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে--!! অংকের হিসাবেতো ঠিক আছে মনে হচ্ছে-!! হায়রে বিএনপি---হায়রে খালেদা খেই হারিয়ে কি বলতে কিযে বলেন নীজেই জানে না।আমি বহুবার বলতে চেষ্টা করেছি,বলেছি -"আওয়ামী লীগ আজ যাহা চিন্তা করে--অন্য রাজনৈতিক দল তা দশ/বিশ বছর পরে চিন্তা করে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পরিকল্পনা ঘোষনা করার পর ব্যাঙ্গ করে চন্দ্র সুর্য্যকেও ডিজিটাল বলতেন বিএনপি। ডিজিটালের সুফল যখন মানুষের ঘরের দরজায় কড়া নাড়া শুরু করেছে তখন মুখ বন্ধ করে শুরু করেছে পরিবর্তনের বিরুদ্ধে নিরব আগুন সন্ত্রাস। "রুপকল্প২০২১" ঘোষনার পর বলা হল খমতার মেয়াদ ভারতের নিকট থেকে ২০২১ সাল পয্যন্ত নবায়ন করে এনেছে।এরই মধ্যে ভারতকে বাংলাদেশ দিয়ে দেয়ার চুক্তি সম্পন্ন করে রেখেছে।" "রুপকল্প ২০২১" এর সুফল যখন জনগনের দৃষ্টিসীমায় এসে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, তখন জনজীবনের পরিবর্তনের বিরুদ্ধে শুরু করে আগুন সন্ত্রাসের তান্ডব লীলা। তাণ্ডবের মধ্যেই শেখ হাসিনা যখন "রুপকল্প ২০৪১" ঘোষনা করেন তান্ডবের মাত্রা তখন শিখরে।খালেদা জিয়া সুরক্ষিত কক্ষে বসে ডিজিটাল সুবিধা নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছে তাঁর অনুসারীরা জ্যান্ত মানুষ পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিচ্ছে।আর অপপ্রচার করা হচ্ছে শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল পয্যন্ত খমতায় থাকার পারমিশন "দাদা বাবুদের" নিকট থেকে আদায় করে নিয়েছে- আমরা আর নির্বাচন করে কি লাভ। উত্তর পাড়াকে পয্যন্ত ষড়যন্ত্রের জালে জড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। যখন কিছুই হলনা এবার বলছেন ছাত্র লীগের ছেলেরা পুলিশের পোষাক গাঁয়ে দিয়ে গুলী করে মানুষ হত্যা করছে। পুলিশ আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে রাখার স্বার্থে তাঁদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছে, তারা বলে ছাত্র লীগ গুলী করেছে। আসল কথা হল বর্তমানের কর্মরত: সাধারন সিপাহী থেকে আরাম্ভ করে থানার ইনচার্জ পয্যন্ত তাঁদের ক্যাডার এবং শিবিরের ক্যাডার নিয়োগ দেয়া হয়েছিল,। তাঁদের বদ্ধমুল ধারনা 'আমরা দেখেশুনে আমাদের দলীয় ক্যাডারদের পুলিশে নিয়োগ দিলাম তাঁরা কেন আমাদের গুলি করবে।' তাঁরাতো মুলত: তাঁদের গুলী করছেনা, গুলি করছে সন্ত্রাসী, বোমাবাজদের। জনগনের সম্পদ রক্ষা করা পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব--বিএনপি খমতায় গেলে মনে করে বাংলাদেশটাই তাঁদের, সবাইকে একইভাবে চিন্তা করাই তাদের ধর্ম। সর্বশেষে জনগনের মন থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বলা শুরু করেছেন এবার "ইতিবাচক রাজনীতি"করবেন। "রুপকল্প ২০৩০"প্রনয়ন করবেন। অধিকতর গনতন্ত্রের জন্য দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট (পুরাতন বন্ধু জাসদের থীওরি) আইন সভা করবেন। আমি গত কয়দিন আগে একটি লেখায়ও উল্লেখ করেছিলাম বিএনপির কোন নীতি আদর্শ নেই।তাঁরা হাওয়ায় ভেসে দেশ শাষন করেছে।আগামী প্রজম্মকে এর জবাব দিতে হবে--বর্তমানের রাজনীতিবীদেরা। আওয়ামী লীগ থেকে রুপকল্প চুরি, জাসদের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইন সভার নীতি হাইজ্যাক করে দেশ চালানো যাবেনা। রাজনীতিও পরিচালনা করা যাবেনা। নেতারা যেমন বিভিন্ন নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়ে একজায়গায় একত্রিত হয়েছেন খুনী জিয়া থেকে সুবিধার প্রলোভনে তেমনি জিয়াও 'ন্যাপের ধানের শীষ' জোরপুর্বক বন্দুকের নলের মুখে দখল করে রেডিমেট দল গঠন করে সবাইকে খমতার হালুয়া রুটির ভাগ বাটোয়ারা দিয়েছেন। খালেদা জিয়াও সেই পদাঙ্ক অনু সরন করে অন্য দলের নীতি আদর্শ চুরি -হাইজ্যাক করে হালুয়া রুটির ভাগ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোনরকমে রাজনীতির মাঠে টিকে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।গ্রামের একটা কথা বহুল প্রচলিত, "খোঁজা দুধে পোলা বাঁচেনা।" বিএনপির এই চাটুকারিতা,চুরি, হাইজ্যাক দিয়ে আর যাই হোক দেশও চলবেনা রাজনীতিও হবেনা। "পাতার বাঁধে জোয়ার আটকাতে পারবেনা।" ~~~~~~~~~~♥~~~~~~~~~ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

গোয়েবেলসীয় মিথ্যাচার শুরু হয়েছে--'৭২--'৭৫ এর ন্যায় সব অশুভ শক্তি আবার একমঞ্চে---!!! ♥~~~~~~~~~~~~♥ মুক্তিযুদ্ধে তিনি বাংলাদেশের ঝোঁপ জঙ্গলে ছিলেন।দেশ স্বাধীন হলে ডাকাতি, রাহাজানী,খুন, লুটতরাজে লিপ্ত হলেন।শ্রেনী শত্রু খতমের নামে কত শত লোক হত্যা করেছেন তাঁর হিসেবও রাখা সম্ভব হয়নি।তিনি নাকি সর্বহারার রাজ কায়েম করবেন!! দলে সর্বচ্ছো কমরেডের সংখ্যা ৭/৮ জন--!! আমি সিরাজ শিকদারের কথা বলছিলাম।বিয়ে করেছেন কিনা কারো কাছে সঠিক তথ্য নেই। জীবদ্দশায় পালিয়ে বেড়িয়েছেন এই জঙ্গল থেকে ঐ জঙ্গলে।ছেলে টি কার জম্ম ছেলের মায়ের ও জানা নেই। ছেলেটি নাকি এখন বিদেশ থাকেন। বিদেশে বসে মাঝে মাঝে নাম না জানা অচল পত্র- পত্রিকায় বিবৃতি প্রকাশ করেন।নাম তার শুভ শিকদার। তেমনি এক বিবৃতি দিয়েছেন তিনি,পত্রিকার নাম "প্রথম বাংলাদেশ ডট নেট।" নাম দেখেই চেনা যায় কোন গাঁয়ের বৈরাগী। তিনি জাতির জনকের পরিবার নিয়ে প্রবাসে বসে কটু মন্তব্য করেছেন।দেশে আসার সাহষ কোনদিনও হবেনা। তাঁর বাবা ৭/৮ জনের গ্যাং নিয়ে ৭২-৭৫সারাদেশে ডাকাতি করে বেড়িয়েছেন। ধর্ম কি তাঁর জানা ছিলনা। ধর্মকে আফিমের নেশার সাথে তুলনা করতেন (নাউজুবিল্লাহ)। শোষনের হাতিয়ার হিসেবে চিহ্নিত করতেন। প্রচলিত ইসলামের নিয়ম কানুন, আকীদা আখলাকের উপর কোন বিশ্বাস ছিলনা( নাস্তিক)। যে কোন মহিলার সাথে যৌনতাকে সিদ্ধ বলে মনে করতেন (নাউজুবিল্লাহ)।সমকামিতা তাঁদের পান্তাভাত। যে লোকটি প্রচলিত ধর্মের অনুশাষন মেনে জীবন যাপনে অভ্যস্থ ছিলনা, বিয়ে, ঘর, সংসারে যার আস্থা বিশ্বাস ছিলনা-তাঁর আবার ছেলে হয় কি করে? ছেলেটি তাঁর কথিত বাবা সিরাজ শিকদারের হলেও জারজ-না হলেও জারজ। জারজের পরিবার, সমাজ, ধর্ম চিন্তা কিসের আবার? তাঁর জম্ম কোন জাতের বা কোন ধর্মের পুরুষের বীয্যে হয়েছে- মা বলে যাকে জানেন সেও বলতে পারবেনা। মহান আল্লাহর কি কেরামতি- ব্যভিচারিনী, ব্যভিচারী, লুটেরা, সুযোগ সন্ধানী, খুনী, জারজ সব এক নিমিষেই একজায়গায়, একসময়ে, এককথায়, একজোট হতে সময় লাগেনা। শিয়ালের মত একটায় যদি হুয়াক্কা-হু করে উঠে সব শিয়াল একই সুরে, একই তালে হুয়াক্কা-হু করে একত্মতা প্রকাশ করে। সিরাজ শিকদার,দেমাং শিকদার, আবদুল হক, তোহা এঁদের মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ভালভাবেই চিনে। শ্রেনী শত্রু খতমের নামে কি করেছে বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি।সুতারাং জারজ সন্তানের মিথ্যাচারের জবাব মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ সঠিক সময়ে,সঠিক ভাবেই দিবে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু '৭৫এ দেশকে যখন স্থীতিশীলতায় এনে উন্নতির পথে ধাবিত করার পরিকল্পনা গ্রহন করে বাস্তবায়নের পয্যায় ছিলেন ঠিক তখন অশুভচক্র তাঁর আসপাশ থেকে দীর্ঘদিনের সহচরদের একজন একজন করে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। ঐ শুন্যস্থান পুরন করেছিল অন্দোকার-খোন্দকারের মীরজাপর চাটুকারের দল।জাতির জনকের কন্যাও যখন স্বাধীনতার ৪০বছর পর পরিকল্পিত উপায়ে ধীর,স্থীর ভাবে ৭২-৭৫এর ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশকে রাজনৈতিক স্থীতিশীলতায় এনে উন্নতি অগ্রগতির সোপান রচনায় মহাপরিকল্পনা গ্রহন করে বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছেন ঠিক তখনই তাঁর চারপাশ থেকে মেধাবী সহচরদের একজন একজন করে সরিয়ে নিচ্ছেন। জায়গা করে নিচ্ছে '৭৫এর সেই "খোন্দকার খবিস,রাবিশেরা।" রাজনীতি, রাষ্ট্র পরিচালনায় অনেক সময় কঠিন এমন অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়,যে সিদ্ধান্ত নিলে রাজনীতি, রাষ্ট্রনীতির বিশাল ক্ষতি-না নিলে জনমনে অশান্তি,অবিশ্বাস। যেহেতু রাষ্ট্র জনগনের সেহেতু, সরকার জনগনের চাওয়া পাওয়াকে অধিকতর গুরুত্ব দিতে বাধ্য থাকেন।এই গুরুত্বের স্থানেই নিয়ে যাচ্ছেন অশুভ শক্তি প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বস্ত সহচরদের। বঙ্গবন্ধুর সময়ে কেড়ে নিয়েছিলেন তাজউদ্দিনদের তাঁর কন্যার সময়ে নিয়ে গেছে-তাজুদ্দিনের পুত্র সহ সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, ড. আতিউর, ড. বারাকাত সহ অসংখ্য মেধাবি সৎ মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তাদের। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী নিজেও উপলব্দি করতে পেরেছেন ড. আতিউর জন আখাংকার বলি হচ্ছেন,ফলত:অশ্রু সংবরন করতে পারেননি।বঙ্গ বন্ধুও উপলব্দি করেছিলেন তাজউদ্দিনকে বলি দিয়ে আপাত:স্বার্থ উদ্ধার করা ছাড়া উপায় নেই।অশুভ চক্র তাঁদের 'চালের ঘোড়াকে এমন জায়গায় নিয়ে বসিয়ে রাখেন মন্ত্রী যেদিকেই মুভ নিতে উদ্যত হোক ঘোড়ার খুরার নীছে আসতেই হয়।' তবে আশার কথা হচ্ছে, জাতির জনকের কন্যার সামনে '৭৫এর অভিজ্ঞতা সামনে আছে -- জাতির পিতার ছিলনা। পরিশেষে বলতে চাই, খসে পড়া যোগ্য নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি কোন অবস্থায় যেন তাজুদ্দিনের বিকল্প না হয় সেই আশাই করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ।যে কোন অবস্থায় জাতির জনকের কন্যা যেন একাকিত্ব অনুভব না করেন সেই দিকে আপনাদের দৃষ্টি যেন নিবন্ধিত থাকে। জাতির জনক কালোমেঘ অতীতের অভিজ্ঞতার শুন্যতায় কেটে উঠতে পারেননি-তাঁর কন্যার অভিজ্ঞতার কোন কমতি নেই।কালমেঘ সরিয়ে নতুন সুর্য্যের অর্বিভাব ঘটাতে সক্ষম হবেন ইনশাল্লাহ সেই বিশ্বাস জনগনের আছে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু

ছবি

তথ্য ও প্রযুক্তিখাত বাংলাদেশের জন্য নতুন একটি ধারনা।বর্তমান বাংলাদেশের সরকারি নীতি নির্ধারক, প্রনয়নকারি,বাস্তবায়নের যারা জড়িত আছেন তাঁদের বেশিরভাগ কর্মকর্তা কর্মচারি নতুন করে প্রশিক্ষন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।যারা এই প্রযুক্তি কনডেম করে দুর্নীতি,চুরি করে যাচ্ছেন তাঁরা বর্তমানের একাডেমিক শিক্ষা থাকার কারনে বিষয়টিতে উন্নত প্রশিক্ষন গ্রহনে সমস্যা হচ্ছেনা বা নীজেরাও অনেক সুত্র আবিস্কার করে প্রয়োগ করে যাচ্ছেন।অশুভ চক্র বিদেশী হ্যাকার এবং সাইট ভাড়া নিয়ে আর্থিক খাতে অরাজগতা সৃষ্টির চেষ্টাও করে যাচ্ছে।এই থেকে পরিত্রানের জন্য আর্থিক খাত সরকারের আর্থিক খাত সমুহে প্রয়োজনে উন্নত প্রশিক্ষন,মেধাবি সৎ কর্মকর্তাদের বিদেশে রাষ্ট্রীয় অনুকুল্যে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করা যেতে পারে। নতুন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সমুহ হতে বের হওয়া মেধাবীদের স্ব-প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা ও আর্থিক খাত সমুহে নিয়োগ প্রধান ত্বরান্বিত করা উচিৎ।দেশে বিদেশে প্রযুক্তিবিদ সকল বাংলাদেশীকে দেশে কাজ করার জন্য অনুপ্রানিত করা দরকার।কোন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার যাতে বিদেশে পাড়ি জমাতে না পারে তাঁর জন্যও আইন প্রনয়ন একান্ত প্রয়োজন।যেহেতু এদেশের মানুষের কষ্টার্জিত টাকায় তাঁরা লেখাপড়া করেছেন, সেহেতু তাঁদের সেবা পাওয়ার অধিকার এদেশের মানুষের সর্বাজ্ঞে।প্রশিক্ষনের জ্ঞান দিয়ে একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত-উন্নত প্রশিক্ষনের মেধাবী লুটেরাদের লুট কোনক্রমেই বাধা দিয়ে রাখা সম্ভব নয়। সরকার প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে যে বাজেট প্রদান করেন তাঁর বিশ পার্সেন্ট ঐ খাতকে নিরাপদ,রক্ষনা- বেক্ষন,প্রশিক্ষন ইত্যাদিতে ব্যায়ের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। উন্নত দেশ সমুহে প্রযুক্তির উন্নয়নে বরাদ্ধের ১০/এর অধিক নিরাপত্তার জন্য ব্যয় করেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি।বাংলাদেশে ১/পার্সেন্টের ও কম বরাদ্ধে নিরাপত্তা কিভাবে আশা করে নীতিনির্ধারক গন বোধগম্যতায় আসেনা। পরিশেষে বলতে চাই,সরকারের নীতিনির্ধারকদের নিকট জনগনের প্রত্যাশা উন্নত প্রযুক্তির এই খাতটি জম্মের আগে মাতৃগর্ভে যেন বিকলাঙ্গ না হয়-সেই দিকে সর্বচ্ছো নজরদারিতে কোন কার্পন্য যেন নাহয়। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

ছবি

জীবন দিয়ে প্রমান করেছেন জাতির জনক বাংলাদেশ, বাঙ্গালী জাতিকে তিনি তাঁর জীবন এবং পরিবারের জীবনের চাইতেও অধিক ভাল বাসতেন। জাতির জনককে হারিয়ে বাঙ্গালীও বুঝতে পেরেছেন-তাঁরা কি রত্মটিকে হারিয়েছেন। তাইতো খুনীদের মুখে চুনকালি মেখে বাঙ্গালী ফেরৎ নিয়ে এসেছে তাঁদের প্রানের আত্মাকে। বাঙ্গালী জাতি আসন পেতেছেন তাঁদের মনের মনিকোঠায়,যেখান থেকে কেউ তাঁকে আর বের করে হত্যা করতে পারবেনা।তাঁরই প্রমান রেখেছেন ২১শে আগষ্ট-গুলিবৃষ্টির মধ্যেও তাঁদের আত্মাকে ভিজতে দেয়নি। একে একে ২৯ জনের অধিক বাঙ্গালী স্বেচ্ছায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে পরিস্কার-পরিচন্ন করে দিয়েছে গুলী-বোমা বৃষ্টির ধোঁয়াকে।একরোখা বাঙ্গালী তাঁরপরেও তাঁদের প্রানের আত্মাকে বের করতে দেয়নি বাঙ্গালী সেদিন বঙ্গবন্ধু এভিন্যুতে। জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থলোপাট--আমাদের মুল্যবোধের মাত্রাজ্ঞান--- ♥~~~~~~~~~~~♥ বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থচুরি দেশের জন্য বড় অশনি সংকেত নি:সন্দেহে। গত দুই তিন দিন যাবত: অনেকেই অর্থ কেলেংকারির ঘটনায় সরকারের উচ্চমহল জড়িত আছে বলে জনগনকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি ও বিশ্বাস করি সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জড়িত না হলে এই কাজটি করা সহজ হতনা। অশুভ চক্রটির সমর্থক গোষ্টি পেইজবুক সহ সামাজিক অন্যান্ন মাধ্যমে আকারে ইঙ্গিতে আই, টি বিশেষজ্ঞ মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর পুত্র জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে মন্তব্য করতেও ছাড়ছেন না।এবং কি আমার মত কাঁচা বস্তাপঁচা লেখকদের লেখায় কমেন্ট করে বলে যাচ্ছেন তাঁদের সন্দেহের বিষয়াবলী।তাঁরা বন্দুকের নিশানা ঠিকই নিয়েছে--সজীব যেহেতু আই,টি বিশেষজ্ঞ, টাকা চুরির ঘটনাটিও আই,টি সংক্রান্ত। সুতারাং সুযোগ হারানো যাবেনা, সাধারন মানুষকে সহজেই ভাগে আনার এইতো সময়। "সাঈদীকে যেদিন চাঁদে দেখা গেছে সেই দিন থেকে মিডিয়া ষড়যন্ত্রের কবর রচিত হয়েছে। এরপরেও আহম্মকের দলের শিক্ষা হয়নি। সামান্যতম হুশ জ্ঞান হয়েছে বলে মনে হয়না।" আমি তাঁদের উদ্দেশ্যে সংক্ষেপে একটি কথাই বলব, আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন বহুকাল থেকে আমার মত পাতি লেখকদের মনের ভাব প্রকাশ করার কোন মাধ্যম ছিলনা। পত্রপত্রিকা যাই ছিল প্রতিষ্ঠিত লেখক সাংবাদিকদের লেখা চাপালেও কালেভদ্রে অনেক চেষ্টা তদবিরে আমার মত পাতি লেখকদের লেখা পত্রিকার চিঠি পত্র বিভাগে ছোট আকারে স্থান করে নিতে অনেক কষ্টই হত। সারা বাংলাদেশের সব লেখক সাংবাদিক একত্র করে গুনে ১০/২০হাজার পুর্ন করার যুগ ছিলনা। পাঠের জন্য ১/২দিনের বাসি পত্রিকা পেতে অনেক ঘাম জরাতে হত। সেই অবস্থান থেকে মাত্র ৪/৫বছরের ব্যবধানে আমরা সাধারনেরা এমন এক মাধ্যম পেয়েছি-যে মাধ্যমে আমার বউ কি রাঁধে, আমি কি খাচ্ছি সেকেন্ডের মধ্যে সারা পৃথিবীর মানুষকে জানাতে পারি, তাঁদের জীবন্ধারাও আমি জেনে নিতে পারছি। আমি শুধু উদাহরনের জন্য বলছি-সম্মান শ্রদ্ধা রেখেই বলছি-স্বনামধন্য লেখক জনাব আবদুল গাফফার চৌধুরীর লেখা যদি এক লক্ষ মানুষ পড়ে-আমার বস্তাপঁচা লেখাটিও নিদেনপক্ষে দশ হাজার মানূষ হলেও পড়ে। ব্যবধান শুধু এইটুকু-জনাব গাফফার সাহেবের লেখা হয়তোবা ইতিহাসের অংশ হবে-আমার লেখা হবেনা। পাঠক উনারও আমজনতা আমারও তাই। এইযে অবারিত সুযোগ পেলাম, এই সুযোগকে আমি যথেচ্ছ ব্যবহার করতে পারি? ৪/৫বছর আগে যেখানে মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা উপভোগ করেছে সর্ব- সাকুল্যে ২০হাজার লেখক।সেখানে বর্তমানে প্রায় আট থেকে নয় কোটি মানুষ একই বিষয়, একই সময়ে- তাঁর মতামত স্বাধীনভাবে, ইচ্ছামত, যেভাবে মন চায় সেইভাবে প্রকাশ করার সুযোগ পাচ্ছে। আর সেই সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার অন্যতম কর্ণধার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জনাব সজিব ওয়াজেদ (জয়)।শুধু মতামত আমার ওয়ালে নয়, অন্যের লেখায় আমার মতামতও সন্নিবেশিত করার সুযোগ আমরা আমজনতা পেয়েছি শ্রেষ্ঠ সামাজিক মাধ্যম পেইজবুকের মাধ্যমে। অনেক আগে যদিও মাধ্যমটির প্রচলন উন্নত বিশ্বে শুরু হয়েছিল কিন্তু আমাদের দেশে মাধ্যমটি এসেছে বিগত ৪/৫ বছর আগে,সর্বসাধারনের ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছি আরো ২বছর পর। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুত্র চুরির দায়ে বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে,একজনের বিদেশে মৃত্যুও হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের গায়ে যদি কিছু রঙ লাগানো যায় মন্দ কি!! আমার কলামের মন্তব্য কারিরা বেশির ভাগ খালেদার মতই স্ব-শিক্ষিত বলে মনে হয়েছে আমার। মন্তব্য লেখার মাধুয্য এবং শব্দের বানান রীতি লক্ষ করে আমি যে অভিজ্ঞতা লাভ করেছি তাতে মনে হয়েছে হাইস্কুল পার হতে পারেনি একজনও। তাঁদের নিকট আমার সবিনয় জিজ্ঞাসা, আপনার বিশ্বাসের শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু? আদৌ আছে, নাকি মায়ের মতই স্ব-শিক্ষিত? আপনিও কি তাই? যদি তাই না হন হীনমন্যতায় ভুগছেন কেন? আপনি কি জানেন না- হিন্দু জমিদার অধ্যুষিত বাংলায় যে কয়জন মুসলিম জমিদার ছিলেন-তাঁর মধ্যে ফরিদ পুরের শেখ পরিবার অন্যতম একটি পরিবার?সেই পরিবারের বংশধর রাষ্ট্রীয় অর্থ চুরি করা লাগবে? তাঁর যে লেখাপড়া আছে-এই লেখাপড়ায় কি সাচ্ছন্দে পরিবার পরিজন প্রতিপালন করা যায়না? আপনি যে মন্তব্যটা সামাজিক মাধ্যম পেইজবুকে করেছেন, সজিবের জম্ম না হলে- বিশ বছর পরেও করতে পারতেন কি? আপনার বিশ্বাসের একদা চেড়াগেঞ্জী আর ভাঙ্গা স্যুটকেসের মালিক- বৃটেনের মত ব্যায়বহুল শহরে বছরের পর বছর ভাড়া বাড়ীতে পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে থাকে-চিন্তা করেছেন কখনও? ডান্ডি ডায়িং, কোকো জাহাজ, একাদিক বাড়ী, কালোটাকা (যাহা কর পরিশোধ করে খালেদা জিয়া নিজেই সাদা করেছে) কোত্থেকে এসেছে এই বিশাল সম্পদ-ভেবে দেখেছেন কখনও? আমি স্বীকার করছি বিগত সরকার সমুহের রাষ্ট্রীয় বাজেটের অর্ধেকাংশ টাকা হ্যকিংয়ের মাধ্যমে চুরি হয়েছে।তাঁরপরও বর্তমান সরকারের অর্থনীতিতে কোন প্রভাব পড়বেনা বলে মনে করি। অতীতের সরকার সমুহের পাঁচগুনেরও বেশী শুধুমাত্র বর্তমান সরকারের উন্নয়ন বাজেট। তাছাড়া এই চুরি শুধু বাংলাদেশেই ঘটেছে তাই নয়, আমেরিকার মত উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর দেশে আরো অনেক আগেই ঘটনাগুলি ঘটেছে। তাই বলে তাঁদের দেশের বিরুদীদল বা জনগন ওবামা পুত্রকে দুষারোপ করেনি।এর অর্থ এই নয় আমি চুরিকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি,আমি আপনাদের মুল্যবোধের, হীনমানষিকতার,শিক্ষার,চিন্তাচেতনার মাত্রাজ্ঞানকে ঘৃনা জানানোর উদ্দেশ্যে বলছি। আমার দৃড বিশ্বাস, হলমার্ক, পুঁজিবাজার লুটের বিরুদ্ধে সরকার যেই দৃডতা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করেছে- ঠিক একই দৃডতায় হ্যকিংয়ের ঘটনাটির বিরুদ্ধেও সরকার ব্যবস্থা গ্রহন করবে।প্রকৃত দুষি ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করবে। অবশ্য সকারের এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর তাৎক্ষনিক পদক্ষেপে আশ্বস্ত হওয়ার যথেষ্ট উপকরন আছে।ইতিমধ্যে নেয়া ব্যবস্থা সমুহ যথাযথ বলে জনমনে স্বস্থির আবহ তৈরী হয়েছে। সরকারের একাদিক এজেন্সি তদন্ত শুরু করে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বলেছেন- তদন্তের স্বার্থে তাঁরা যে কাউকেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। প্রয়োজনে বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সেখানে পদ-পদবি তাদের কোন বিবেচনায় আসবে না। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এবং লুট হওয়া টাকাও ফেরত আনতে পারবে বলে সিআইডি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সি আইডি দুইটি বিষয়ের উপর জোর দিচ্ছেন-- (এক) সদ্য নিয়োগ পাওয়া আইটি কনসালটেন্টের মৌখিক পরামর্শে সব বিভাগ, সেল, ইউনিট, উইং এবং শাখা অফিসের কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও সার্ভারের সরবরাহকৃত সিকিউরিটি প্যাচ নামের সার্ভার ইনস্টল করা হত। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশ ব্যাংকের সব তথ্য ফাঁস হওয়ার আশংকা করছেন সিআইডি সহ সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ। (দুই) চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার আগে থেকেই কেন ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ ও ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের ডিলিং রুমের দুটি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বিকল ছিল? যার ফলে ওই ঘটনার সময় ডিলিং রুমে কারা ছিল, সুইফট কোড ব্যবহার করে কারা কাজ করছিল- তা নির্ণয় করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তদন্ত দল। উপরে উল্লেখীত দুই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হয়েছে বলে সি আইডি সুত্র নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ চুরির ঘটনায় জড়িত ম্যানিলার ৬ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ফিলিপাইন। এর মধ্যে কিম উন নামে চীনের এক নাগরিক ফিলিপাইন ছেড়ে হংকংয়ে পালিয়ে গেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের মধ্যে ফিলিপাইনের কয়েকটি অ্যাকাউন্টে চলে যায় মোট ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। ফিলিপাইনের ব্যাংকে যাওয়া এই অর্থ পাচারের সঙ্গে চীনের ওই নাগরিক অন্য ৫ জনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে ম্যানিলার অর্থপাচার বিরোধী কাউন্সিল (এএমএলসি) জানিয়েছে। উপরে উল্লেখিত বিষয় সমুহ পয্যালোচনা করলে দেখা যায়, ঘটনার সুত্র, প্রকৃত দুষি ব্যাক্তি, ডলারের পরিমান ইত্যাদি সুনির্দিষ্ট ভাবে চিহ্নিত হয়েছে। কোনভাবেই সরকারের সংশ্লিষ্টতা না পেয়ে অশুভ চক্রের মাথায় ভাঁজ পড়েছে। ষড়যন্ত্র, চক্রান্তের রাজনীতির স্থায়ীত্ব বেশি দিন থাকেনা। অবিবেচক বিরুদীদল চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন না ঘটালে পতনের গতি আরো দ্রুতই হবে মনে করি। সত্যের জয় চিরকাল,মিথ্যার পতন অবশ্যাম্ভাবি।শুধু প্রয়োজন ধৈয্য, সহনশীলতা, আত্মবিশ্বাস, একাগ্রতা, ক্ষিপ্রতা, বিচক্ষনতা, সর্বপুরী অগাধ দেশপ্রেম। এইসমস্ত গুনের সব গুলিরই অধিকারি জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যেই তার একাধিক প্রমান জাতি হাতেনাতে পেয়েছে বলে আমি মনেপ্রানে বিশ্বাস করি। সত্যের জয় হোক, মিথ্যা নিপাত যাক জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

ধর্ম রাষ্ট্র ও জামায়াতের রাজনীতি--আওয়ামী ধারার রাজনীতিবীদদের চিন্তা-চেতনা----+ ♥~~~~`~~~~~~ ♥ গত ১৩-৩-২০১৬ বিশিষ্ট তথ্য ও প্রযুক্তিবীদ,লেখক, কলামিষ্ট জনাব আবদুল জব্বার সাহেবের একটি নিবন্ধ চাপা হয়েছিল আজকের কাগজ পত্রিকায়।নিবন্ধটির শিরোনাম ছিল --"ধর্মরাষ্ট্র ও জামায়াতের রাজনীতি"। তিনি যে তথ্য নিবন্ধটিতে তুলে ধরেছেন বলতে গেলে ভয়াবহ। ভয়াবহ বলছি এই কারনে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ জানেনা জামায়াতে ইসলামী দলটির ধর্মীয় মুল্যবোধ এবং চেতনার উৎসস্থল সম্মন্ধে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি নীজেও সন্দিহান ছিলাম মুলত: দলটি ইসলামের কোন ধারাটি অনুসরন করে।তিনি লিখেছেন-- জামায়াতের রাজনৈতিক ইতিহাসে পাকিস্তানের একটি রাজ্য দখল করা ছাড়াও বাংলাদেশের সরকারের অংশীদার হতে পারা তাদের দু’টি বিশাল সাফল্য। বাংলাদেশে ২০০৫-২০০৬ সময়কালে ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশপন্থী (যাদের আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বলি) রাজনৈতিক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য তৎকালীন সরকার ও সরকারি দলকে অত্যন্ত সফলভাবে ব্যবহার করার জন্যও তারা কৃতিত্বের দাবি করতে পারে। দেশটিকে একটি ধর্মরাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য জামায়াতবিরোধী ধর্মীয় গোষ্ঠী গুলোকেও জামায়াত অত্যন্ত সতর্কতায় তাদের সঙ্গে রাখতে পেরেছে। এর আগে মোল্লারাই জামায়াতের বিরোধিতা করত। জামায়াতের 'ওহাবি ভাবধারার ধর্মচিন্তা 'এ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ মানে না। বিশ্ব তবলিগ আন্দোলনেরও জামায়াত বিরোধিতা করে। কিন্তু ২০০১-এর নির্বাচনে জামায়াতসহ সব ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় যাওয়া থেকে বাধা দেয়ার জন্য একযোগে চারদলীয় জোটকে সমর্থন করে। পাকি জামায়াতের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রজ্ঞার তুলনা করে তিনি লিখেছেন- বাংলাদেশের জামায়াত চতুরতায় হুসেইন আহমেদের পাকিস্তানি জামায়াতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। পাকি জামায়াত-আমেরিকা, ব্রিটেন ও পশ্চিমা দুনিয়ার কট্টর সমালোচক এবং লাদেনের সহযোগী হওয়া সত্ত্বেও আফগানিস্তান নিয়ে বাংলাদেশের জামায়াত একটি কথাও বলেনি। ইরাক নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করেনি। গুয়েন্তানামায় মার্কিনিদের হাতে পবিত্র কুরআনের অবমাননা হওয়া সত্ত্বেও তারা টুঁ শব্দটি করেনি। বরং জনৈক জামায়াত নেতা ওয়াশিংটন সফর করে আমেরিকাকে বোঝাতে চেষ্টা করেছে যে, তারা ‘আমেরিকাকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে।’ জঙ্গি হামলার পর থেকে জামায়াতে চারিত্রিক পরিবর্তনের কথা বলতে গিয়ে তিনি লিখেছেন--'১৭ আগস্টে বোমা হামলার পর সম্ভবত তাদের কথা এখন আর পশ্চিমারা বিশ্বাস করতে পারছে না। সেজন্য জামায়াতের বক্তব্যে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। পাক-জামায়াতের মতোই তারা "ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোশাদ "এবং ' ভারতকে' সরাসরি আক্রমণ করেছে। রাজনৈতিক শক্তি বা জনসমর্থনের তুলনামুলক আলোচনা করতে গিয়ে তিনি লিখেছেন-- পাকিস্তানে জামায়াত যথেষ্ট শক্তিশালী। কিছুটা জনসমর্থনও তাদের আছে। কারণ ভারত থেকে পাকিস্তানে যাওয়া মুসলমান মোহাজের, অনুন্নত ধর্মান্ধ উপজাতীয় এবং অশিক্ষিত-অল্পশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত পাকিস্তানিদের মধ্যে ধর্মরাষ্ট্র ও ভারত বিরোধিতার প্রভাব অনেক। পাকিস্তানের অর্ধেক মানুষ ওসামা বিন লাদেনকে সমর্থন করে। সম্ভবত এই কারণেই ওসামা বিন লাদেনকে আমেরিকানরা ধরতে পারছিল না। পাকিস্তানের ভেতরে ওসামাকে হত্যা করে আমেরিকা সেই সত্যটি প্রমাণ করেছে। সেই তুলনায় বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে মৌলবাদ তথা ধর্মরাষ্ট্র তেমন প্রবল নয়। তবে ভারত খুব কাছের ও প্রভাবশালী প্রতিবেশী হওয়ায় ভারত বিরোধিতার জুজুটি পাকিস্তান আমল থেকেই এদেশে কার্যকর ও অব্যাহতভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তারা অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গেই পা ফেলে। বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বা তালেবান রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা তাদের আজকের নয়। একাত্তর পূর্ববর্তী জামায়াত পুরো পাকিস্তানকেই ধর্মরাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু একাত্তরে বাংলাদেশের অভ্যুদয় তাদের সেই পরিকল্পনায় বাধ সাধে। বর্তমান জামায়াতের পরিকল্পনা সম্পর্কে বর্ননা করতে গিয়ে তিনি লিখেছেন--এখন তারা একটি নয়, এই উপমহাদেশে কমপক্ষে দু’টি ধর্মরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। "আমার নিকট মনে হচ্ছিল এই একটি কারনেই বাংলাদেশের যুদ্ধ অপরাধীর বিচার এবং সর্বোচ্ছ আদালতের রায়ের প্রতি কোন শ্রদ্ধাবোধ না রেখে তিব্র বাসায় পাকিস্তান উৎকন্ঠা জানায়,বাংলাদেশের জামায়াত রায়ের পরেই হরতাল দেয়ার সাহষ দেখায়।" জঙ্গি হামলা ও জঙ্গি কানেকসান সম্মন্ধে তিনি লিখেছেন-- তারা মায়ানমার-থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া ও ভারতসহ এশীয় দেশগুলোর মুসলিম জঙ্গি সংগঠনগুলোর পৃষ্ঠপোষকতাও করে। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং আমেরিকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গেও তাদের সখ্য ও সম্পৃক্ততা আছে। ২০০৩ সালে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জামায়াত নেতার বাড়ি থেকে ওসামা বিন লাদেনের দুই সহযোগী গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর জাতিসংঘ ১২৬ নং কমিটি গঠন করে। জাতি সংঘ কতৃক কমিটি গঠনকে তিনি বড় আগাত বলে বর্ননা দিয়ে লিখেছেন-- জামায়াতের জন্য এটি সম্ভবত একটি বড় ধরনের আঘাত। এটি জামায়াতের জন্য একটি বড়রকমের সেটব্যাক। এই প্রসংগে বাংলাদেশের জামায়াতের রাজনৈতিক দুরদর্শিতার পরিচয় দিতে গিয়ে তিনি লিখেছেন--বাংলাদেশের জামায়াত এই বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। ফলে তারা হুসেইন আহমেদের সঙ্গে একসঙ্গে প্রকাশ্যে ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করেনি। জামায়াতের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার বর্ননা ফিতে গিয়ে কলামিষ্ট আবদুল গাফফার সাহের লিখা থেকে উদ্ধৃতি তোলে ধরে লিখেছেন-- জামায়াত যে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তাদের পথে পা ফেলছে তা ২০০৫ সালে ১৪ আগস্টে জনকণ্ঠে প্রকাশিত আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর লেখায় প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের জামায়াতীরা এখন লন্ডনের পূর্ব লন্ডন এলাকাটি প্রায় দখল করে ফেলেছে। বাংলাদেশেও ব্যাংক, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও, মিডিয়া ইত্যাদি সমন্বিত কার্যক্রমের সাহায্যে জামায়াত বাংলাদেশকে একটি ধর্মরাষ্ট্র বানানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে। মাদ্রাসার শিশু থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, বস্তি থেকে গুলশান-বারিধারা, কেরানি থেকে সচিব, ফেরিওয়ালা থেকে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর; সবকিছুতেই জামায়াত পরিকল্পিতভাবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ করছে। বাংলাদেশের আর কোনো রাজনৈতিক সংগঠন এই সুপরিকল্পিত পথে পা বাড়ায়নি। মুক্তিযুদ্ধে চরম পরাজয়ের পর আবার গাঝাড়া দিয়ে উঠে আসার ও কিঞ্চিত বর্ননা লিখাটিতে পাওয়া যায়।তিনি লিখেছেন--একাত্তরে স্রোতের বিপরীতে থেকে সম্পূর্ণভাবে পরাস্ত হয়ে-মাত্র ৩৪ বছরে জামায়াত যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসেছে সেটি তাদের এইসব পরিকল্পিত কর্মকাণ্ডেরই ফসল। পক্ষান্তরে জামায়াতীদের যাদের মোকাবেলা করার কথা, তাদের কেউ কে' ১৯৭৫এর পর জামায়াতের সহযোগী হয়েছে। স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে জামায়াত বাংলাদেশপন্থী ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক শক্তির পাশে এসেও দাঁড়াতে পেরেছিল। এরপর তারা দেশের আওয়ামী বিরোধী শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় যায়। বাংলাদেশের পতাকাবাহী গাড়িতে চড়ে তারাই দেশের সমাজকল্যাণ আর শ্রম বিষয়ে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা হাতে পায়। তাঁদের মতবাদের আলোচনায় তিনি অন্তত:আমার নিকট নতুন একটি তথ্য তুলে ধরেছেন,যাহা আমার মত অনেকেই হয়ত জানে না।তিনি লিখেছেন--জামায়াতের দুর্ভাগ্য তারা"ওহাবি মতবাদের অনুসারী।" আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ ইসলামের মূূূূল বৈশিষ্ট্যে বিশ্বাস করে, কিন্তু ওহাবি মতবাদকে গ্রহণ করে না। সেজন্যই প্রায় শতবর্ষেও জামায়াতীরা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। তারাও জানে, বিশ্বের কোনো দেশেই ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। ফলে অগণতান্ত্রিক পথ তাদের বেছে নিতেই হচ্ছে। তিনি তাঁদের দমনের ব্যপারে অনেকটা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এই জন্য যে তাঁদের আরো অনেক গুলী শাখা সংগঠন আছে যাদের খবর সাধারন মানুষ এবং কি সরকারও জানেনা।তিনি লিখেছেন-- জামায়াত রাজনৈতিক সংগঠন নয়,-" তারা ওহাবি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি পরিবার।"জামায়াত এই পরিবারের প্রকাশ্য সংগঠন- এমন আরো ডজন ডজন প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো তাদের গোপন সশস্ত্র সংগঠন। ফলে এদেশে ওহাবি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জামায়াতী স্বপ্নকে প্রতিহত করতে হলে কেবলমাত্র জামায়াতের কথা ভাবলেই হবে না- তাদের শিকড় থেকে ডালপালা পর্যন্ত উপড়ে ফেলতে হবে। কিন্তু সেই কাজটি আমরা সঠিকভাবে করছি না। বিএনপির ছত্রছায়াতেই কেবল নয়, বিপুল আর্থিক ক্ষমতা নিয়ে ২০১৬ সালেও তারা ক্রমশ শক্তিশালী হয়েছে। আমাদের জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের চাপে থাকার পরও জামায়াত দুর্বল হচ্ছে না। তিনি তার লিখায় প্রতিকারেরও সুন্দর একটা ইঙ্গিত দিতে পেরেছেন বলে আমি মনে করি। তিনি প্রসঙ্গটিতে লিখেছেন--আমার নিজের বিশ্বাস এর অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে আমরা যারা বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নির্ভর বাংলাদেশটা গড়ে তুলেছি তারা সাংস্কৃতিক আন্দোলনটা করিনি। যতক্ষণ অবধি আমরা আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিকে দেশের সব মানুষের আত্মা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারি তবে জামায়াতের সঙ্গে পেরে উঠব না। আজকের ডিজিটাল যুগে এই লড়াইটা সবার আগে ডিজিটাল পদ্ধতির হওয়া উচিত। আমরা সেটিও খুব ভালোভাবে করছি না। আশাবাদটা এখানেই যে, আমাদের নতুন প্রজন্ম ইতিহাসের সত্যকে আবিষ্কারের দিকে দিনে দিনে অনেক বেশি মনোযোগী হচ্ছে। এজন্যই ওদের হাতে জামায়াত পরাজিত হবে। উপসংহারে বলতে চাই, যে সমস্ত বন্ধুরা মনে করেন ৫০/১০০ মানবতা বিরোধীর বিচার করে দিলে তাঁরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেনা। অনেক বুদ্ধিজীবি, লেখক, সাহিত্যিক জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে দিলেই শেষ, আর অস্তিত্ব থাকবেনা-আমি তাঁদের সাথে একমত নই। একমত নই এই কারনে, যে দুষ্ট চক্রটি মুক্তিযুদ্ধে এত বড় পরাজয়ের প্রতিশোধ মাত্র সাড়ে তিন বছরে নিতে পেরেছে, যে অশুভ চক্রটি মাত্র২০ /২৫ বছরের মধ্যে তাঁদের শিকড় পল্লিবধুর রন্ধন শালায় নিয়ে যেতে পেরেছে, যে শক্তির একটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করা যায়নি, একটি কিন্ডার গার্টেন বন্ধ করা যায়নি- তাঁদেরকে রাজনীতি নিষিদ্ধ করে বা দুই একজনকে ফাঁসি দিয়ে তৎপরতা বন্ধ করা যাবে বিশ্বাস করা আর বোকার স্বর্গে বাস করা সমান কথা আমি মনে করি। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

২৭শে মার্চ সাম্প্রদায়িক চেতনার দ্বিতীয়বার কবর রচিত হবে ---জাতি আশায় বুক বেঁধেছে--- ♥~~~~~~~~~~~~~♥ বাংলাদেশের সংবিধান সমসাময়িক বিশ্বের অন্যতম লিখিত একটি দলিল আকারে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।দেশ বিদেশের অভিজ্ঞ সংবিধান বিশারদেরা এই সংবিধানের ভুয়সি প্রসংশা করে একাধিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা করেছিলেন তৎসময়ে।জাতির জনকের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের আলোকে জনমানুষের চাহিদার প্রতি সম্যক যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলেন, তাঁর সবটুকু উজাড় করে এই সংবিধান সৃজনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তরুন কিন্তু অভিজ্ঞ কিছু আইনজ্ঞ ও পোড় খাওয়া কয়েক রাজনীতিবিদের হাতে।তাঁর নির্দেশ ও পরামর্শ নিয়ে তাঁরা স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রনয়ন করে ছিলেন তৎসময়ের গনতান্ত্রিক বিশ্বের সেরা সুলিখিত সংবিধান,- "গনপ্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশ সরকার" শিরোনামের বিখ্যাত রাষ্ট্র পরিচালনার দলিলটি। পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে আজকে সেই সংবিধানের চিটেফোঁটাও অবশিষ্ট নেই।যা আছে তা পোষ্ট মর্টেম করা পঁচাগন্ধযুক্ত লাশ।তাই বলছিলাম ১৯৭২-এর সংবিধান নেই। কমপক্ষে পনের বার অপারেশনের পর এখন যা আছে, তা ১৯৭২এর ধ্বংসাবশেষ মাত্র। মর্মর অবস্থায় কোন ররকমে নি:শ্বাসটা বের হয়ে জানান দিচ্ছে আমাকে তোমরা চিকিৎসা কর,আমি ভাল হয়ে যাব। বর্তমান সরকার বড় রকমের সুযোগ পেয়েও ১৯৭২-এ ফিরে যায়নি। আমাদের সংবিধানের উপর স্বৈরাচারী সরকার সমুহ অনেক আঘাত করেছেন। জিয়া-এরশাদ তালিকার শীর্ষে। ক্ষমতায় থাকার জন্য দুজননেই সংবিধানকে তাদের বাপদাদার সম্পত্তির মতো করে একবার পুকুর কেটেছে,একবার দিঘি কেটেছে। ইচ্ছামত অপারেসন করে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছেন। সবচেয়ে বড় অপারেশনটি করেছে কুখ্যাত খুনী মেজর জিয়া ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে।সংবিধানের হাত,পা মাথা যা ছিল সব কেটে ফেলে দিয়েছেন। স্বৈরাচার এরশাদ ৮ম সংশোধনীর মাধ্যমে অস্থিমর্জ্যাই বের করে ফেলে দিয়েছেন,সেখানে স্থাপন করেছে ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টির চেতনার ক্যাপসোল। সেনা শাষকদ্বয়ের দুটি সংশোধনীর মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ পুনরায় পাকিস্তানের মতো একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত হল। আদালতের রায়ের বর্ননানুসারে অবশ্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ১৯৭২এর সংবিধানে ফিরে আসতে পারত।রায়ের ব্যাখ্যায় বর্ননায় যা পাওয়া যায় তাতেই ৭২ এর সংবিধান পুন:জ্জিবিত কোন সন্দেহ নেই। সরকার শুধু ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল’ অংশটুকু গ্রহণ করেছেন। রায়ের বাকি অংশ দীর্ঘ দিন ধর্মব্যবসায়ীদের শাষনে অদৃষ্টবাদিদের যে উত্থান ঘটেছে তাঁদের এবং নব জম্মনেয়া উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদীদের সন্তুষ্ট করতে বাদবাকি রায় এড়িয়ে গেছেন। লাভ কি হল? সরকার কি তাঁদের কালোথাবা থেকে রাষ্ট্রযন্ত্রকে রক্ষা করতে পেরেছেন? নাকি তাঁদের হত্যা তালিকা থেকে জাতির জনকের কন্যার নাম বাদ দিতে পেরেছেন? নবী করিম (স:)এর বিশ্বস্ত সাহাবী খোলাফায়ে রাসাদীনের তিন খলিফাও তাঁদের বিষাক্ত ছোঁবল থেকে রক্ষা পায়নি, জাতির জনকের কন্যা কিভাবে পাবেন আশা করেন? যাইহোক রাষ্ট্রধর্মের বিরুদ্ধে ২৮ বছর আগে দায়ের করা রিট-পিটিশনের উপর পুনরায় শুনানি শুরু হচ্ছে ২৭ মার্চ ২০১৬ইং তারিখে।যেহেতু পুর্ববতী রায়ে ৫ম ও ৮ম সংশোধনী বাতিল করেছে, মেজরদ্বয়ের শাষন অবৈধ ঘোষনা করেছে,সেহেতু২৭শে মার্চের রাষ্ট্র ধর্মের উপর শুনানীতে "রাষ্ট্র ধর্ম" বাতিল হচ্ছে ইহা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এই রীট যারা করেছিলেন সেই স্বনাম ধন্য ব্যাক্তিবর্গ এত দিন জীবিত থাকার কথা নয়। তাঁদেরকে মরনোত্তর অভিনন্দন জানাই।যারা জীবিত আছেন তাঁদের প্রতিও রইল অগ্রিম প্রানঢালা ভালবাসা। হাইকোর্টের দেরিতে হলেও হুঁশ হয়েছে রিটটির মীমাংসা হওয়ার দরকার, তাই কায্য তালিকার অন্তভুক্ত হয়েছে।দেশবাসী বিশেষকরে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের মানুষ চায় তাঁদের সংগ্রামের, যুদ্ধের অঙ্গিকার বাস্তবায়ন হোক। জনগন এটাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত, মামলার রায় যাই হোক, স্বাগত জানাবেই। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আশা করে সরকার রায় যথাযথ বাস্তবায়ন করবেন। এ কথাটি বলার কারণ এই যে, বহু মামলার রায়ের কথা আমরা জানি, রায় অবজ্ঞা করেনি সত্য,বাস্তবায়নও করেনি সরকার। ভারতের মত পরমতসহিঞ্চু দেশেও রাজীব গান্ধী সরকার মৌলবাদীদের খুশি করতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে লোকসভায় "শাবনুর" মামলার রায় উল্টে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশেও বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে আমরা চাই না তদ্রুপ কোন নজির স্থাপিত হোক। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা এখন যে কোনো সময়ের চাইতে অনেক বেশি স্বাধীন।গনমানুষের যথেষ্ট আস্থা ফিরে এসেছে।জাতিয় ও আন্তজাতিক চাপ উপেক্ষা করে কোটি কোটি ডলারের লোভ সংবরন করে বেশ কিছু রায় ইতিমধ্যে বহাল রেখে জন আস্থার শিখরে আদালতকে নিয়ে যেতে পেরেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে মহামান্য প্রধান বিচারপতির কিছু পদক্ষেপ ও কথাবার্তায় জনগন আন্তরিকভাবে গ্রহন করেছে।যদিও বিচারপতি মহোদয় সম্পর্কে একাধিক ঘটনা বাজারে চড়িয়ে চিটিয়ে আছে- তিনি যে সাক্ষ-প্রমানকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন ইতিমধ্যেই তা প্রমান করতে পেরেছেন। সবচাইতে মজার ব্যপারটি হল দুই মন্ত্রীকে আদালতে তলব করে বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ও উৎসাহব্যঞ্জক ঘটনা ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন । একটি দেশের সাধারণ মানুষের সর্বশেষ আস্থার স্থল হচ্ছে আদালত।যে দেশের আদালত যতটা স্বাধীন সেই দেশের গণতন্ত্র ততটাই মজবুত। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা সদ্য দুই মন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলেছেন - ‘দুই মন্ত্রীর বক্তব্য সরকারের বক্তব্য নয়’- আওয়ামী লীগের বক্তব্যও নয়। প্রধান মন্ত্রী বিচক্ষনতার সঙ্গে জবাব দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন সরকার এবং সরকারের বর্তমান প্রশাসন আদালতকে সমীহ করে। আমি সর্বান্তকরনে মনে করি জাতির জনকের কন্যা একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে বার্তা দিতে পেরেছেন, "বর্তমান সরকার এবং সরকারের প্রশাসন চায় আদালত স্বাধীন ও বলিষ্ঠভাবে কাজ করুক।দেশে আইনের শাষন,আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ফিরে আসুক।বিচার হীনতার সংস্কৃতির অবসান হোক।সে যেই হোকনা কেন আইনের চোখে সবাই সমান।অপরাধ করে কেউ যেন রক্ষা না পায়, এই সত্যটি প্রতিষ্ঠিত হোক। পরিশেষে বলতে চাই, ২৩বছরের শাষন শোষন বঞ্চনার হাত থেকে মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুজিব জাতিকে মুক্ত করে স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিকের মার্য্যদায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বাঙ্গালী জাতিকে একটি দেশ উপহার দিয়েছেন। অধিকারি করেছেন লাল সবুজের পতাকার, দিয়েছেন নীজেরা নীজেদের শাষন করার দলিল।সব কিছুই অবিকল ফেরৎ আনার আপ্রান চেষ্টারত: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার। আবেদন থাকবে '৭২ এর দলিলখানাও যেন ২৭শে মার্চ অপারেশন শেষে হাসপতাল থেকে আসার পর আপনার হাতে সুশ্রুষা পেয়ে যথামার্য্যদায় অবিকলকারে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সহ সর্বস্তরে প্রতিস্থাপিত হতে পারে তাঁর উদ্যোগ গ্রহন করবেন। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা

ছবি

সরকার ও নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক শুন্যতা পুরনের জন্য--আওয়ামীলীগের উপর অত্যাচারের সহজপথ বেচে নিয়েছে--- ♥-----------------------------♥ বিএনপির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন তৎপরতা করেও কেন্দ্রীয় বা তৃনমুলের নেতা কর্মীদের মধ্যে প্রানের সঞ্চার সৃষ্টি করতে পারেন নাই।গতকাল কাউন্সিলের লগো উম্মোচন অনুষ্ঠানে নেতারা প্রকাশ্য বক্তব্য দিয়ে তৃনমুলে প্রান সঞ্চার হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, বিএনপির বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত ভাইসচেয়ারম্যান তারেকের ক্ষমতার পরিধি নির্দিষ্ট করে দিচ্ছেন বলে প্রকাশ্য গায়েশ্বর চন্দ্র রায় মিডিয়াকে বলছেন। "সুপ্রীয় পাঠক ভাইয়েরা--'উপরের উল্লেখিত দুটি বক্তব্য গতকালের ধরে নিয়ে আমি আলোচনা করতে চাই। বিষয়টি আপনাদেরও ভালভাবে উপলব্দি করার অনুরুধ জানাই।" প্রায় শুনা যায়,আওয়ামী লীগ জোর পুর্বক -সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন এবং কি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিনা-প্রতিদ্বন্ধিতায় অথবা কাউকে নমিনেশন সাবমিট করতে না দিয়ে দখল করে নিচ্ছে।ব্যাপারটি বা অভিযোগটি সর্বাংশে মিথ্যা আমি বলবোনা।যথেষ্ট সত্যতা রয়েছে-- বিএনপি নিজেরা যেখানে মিডিয়াকে বলছে এবং কি প্রকাশ্যেই বলছে--"তৃনমুলে নেতাকর্মিদের উজ্জিবীত করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন (সবেমাত্র)।" সেখানে আমরা আমজনতা বুঝতে পারি আওয়ামী লীগকে প্রতিরোধ করার অবস্থা বর্তমান তৃনমুল বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে নেই, বা সেই ধরনের কোন সংগঠন তৃনমুলে নেই (ইহাই সত্য)। "বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত ভাইসচেয়ারম্যান তারেকের কর্মের পরিধি সীমাবদ্ধ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি মিডিয়ার সামনে একাধিকবার দিয়ে যাচ্ছেন বর্তমানে তৎপর বিএনপি নেতৃবৃন্দ।" সুপ্রীয় পাঠক লক্ষ করুন,বিষয়টিতে গুড়তাৎপয্য রয়েছে:--আমরা এখানে দু'টা দিক ধরে নিতে পারি -(১) এর আগে বিএনপির কোন সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র ছিলনা এবং কেন্দ্রিয় নেতাদের কর্মপরিধি নির্দিষ্ট ছিলনা। (২) তারেক কে দলের অভ্যন্তরে কোন নেতা গ্রহন করে নিতে পারে নাই। তাঁর স্বেচ্ছাচারিতার কারনে, জৈষ্ঠ নেতাদের সাথে বেয়াদপি, তদারকি বা খবরদারী ইত্যাদি নানাবিদ কারন হতে পারে। " যার ফলে কেন্দ্রীয় নেতারা কাউন্সিল ঘোষনার পরেও দলীয় কাজে অংশগ্রহন থেকে বিরত রয়েছেন। কাউন্সিল সফল না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় তারেকের কর্মপরিধি নির্দিষ্ট করে দেয়ার আগাম ঘোষনা দিতে হল দলটিকে(সঠিক)।" মাননীয় নির্বাচন কমিশন, গনতান্ত্রীক দলসমুহের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, গভীর রাতের বুদ্ধিজীবি, রাজনীতি বিশ্লেষক গন এবং সচেতন দেশবাসি, রাজনৈতিক,সামাজিক নেতৃবৃন্দ:----, "হা-ডু-ডু খেলা " একসময় আমাদের দেশের অত্যান্ত জনপ্রীয় একটি খেলা ছিল। এখনও অনেকেরই খেলাটি সম্পর্কে কমবেশি ধারনা আছে। গ্রামে গঞ্জে খ্যাতনামা 'বলি'দের নামডাক ছিল। গ্রামের অনেকেই খেলাটিকে 'বলি' খেলা নামেও ডাকতেন। প্রতিযোগিতা মুলক খেলায়,--গরু, খাঁসী, ছাগল ইত্যাদি বিজয়ী দলকে উপহার দেয়ার রেওয়াজ প্রচলিত ছিল। খেলায় বিভিন্ন এলাকার নামকরা 'বলি'রা ভাড়ায় আসতেন। খেলা শুরু হলে, "অধিকতর 'বলিয়ান বলি' অপেক্ষাকৃত 'কম বলের বলি'কে কিভাবে পরাস্ত করতেন?" "কোন ঘোষিত দল যথাসময়ে খেলায় অংশ নিতে না এলে,"খেলা পরিচালনা কমিটি কি সিদ্ধান্ত নিতেন?" মনে আছে কি আপনাদের?" ""নির্বাচন কি গনতান্ত্রিক দেশের একটি প্রতিযোগিতা- মুলক আন্ত রাজনৈতিক দল সমুহের মধ্যে শক্তি সামর্থ প্রদর্শনের উপযুক্ত খেলা নয়?'এই খেলায় কি আওয়ামী লীগের কর্মীরা জীবন বাজী রেখে দর্শকদের ভাল খেলা উপহার দিয়ে বিজয়ী হয়ে আসেনি? চারদলীয় জোটকে শক্তিহীন করে ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দিতে নেতা কর্মীদের কি কোন ভুমিকা নেই?কোন ত্যাগ নেই? সরকারি ক্ষমতা উপভোগের জন্য নেতাকর্মীরা কি কোন ত্যাগ স্বীকার করেনি? দল সরকারে গেলে সরকারের সুযোগ গ্রহন করে-নীজের মার্য্যদা বৃদ্ধি করবেন, আর্থিক অনটন ঘোঁচাবেন - ইহা কি বাড়তি চাওয়া নেতা কর্মীদের? যেখানে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করা দল প্রকাশ্য স্বীকার করছেন, "তৃনমুলে দল গোছানোর চেষ্টা সবেমাত্র চালিয়ে যাওয়ার।কেন্দ্রীয় নেতাদের বশে রাখতে নতুন নতুন অফার দিতে হচ্ছে। আন্দোলনে-নির্বাচনে, রাজনীতিতে-রাজপথে, হাটে-ঘাটে, সমাজে-নামাজে কোথাও কোন অস্তিত্ব নেই। দলটির কোথাও কোন তৎপরতা নেই। যেখানে দলটির বক্তৃতা-বিবৃতিতে প্রতিনিয়ত স্পষ্ট ফুটে উঠছে অবক্ষয়ের চিত্র, শক্তিহীনতার চিত্র, সাংগঠনিক ভিত্তির চিত্র, দলীয় মান অভিমানের চিত্র। সেখানে আওয়ামীলীগ জোর পুর্বক সব নিয়ে যাচ্ছে বলা কি আদৌ যৌক্তিক? নির্বাচন কমিশন কোন তদন্ত না করে বিভিন্ন ইউনিয়ন-পৌর সভার নির্বাচন স্থগিত করে দিচ্ছেন ইহা কি আদৌ যৌক্তিক হচ্ছে? "বিএনপি বা অন্যকোন দল শক্তি সঞ্চয় করে সংগঠিত হয়ে যদি ভোটযুদ্ধে অংশ নিতে না পারে-আওয়ামী লীগ কি তাঁদের অপেক্ষায় বসে থাকবে? সমশক্তি সম্পর্ন্ন বা কাছাকাছি শক্তি সম্পর্ন্ন না হলে কোন দেশে-সুষ্ঠু,অবাধ ভোট করতে পেরেছে, প্রতিদন্ধি না থাকলে কাকে ভোট প্রয়োগ করবে ? বর্তমান প্রচলিত গনতন্ত্রে- কোন গনতান্ত্রিক দেশে নিস্তেজ দলকে সতেজ দল মাঠে দাঁড়ানোর অবারীত সুযোগ দিচ্ছে বা দেয়? একটাও নেই, কখনই ছিলনা-থাকবেও না কোন দিন, কোন দেশেই। সবার জন্য সমান সুযোগ দেয়ার জন্য যারা মধ্য রাতে মায়াকান্নায়- টি, ভি বক্স ভাসিয়ে দিচ্ছেন, তাঁদেরকে বলতে চাই- সমান সুযোগ গ্রহন করার জন্য আপনার শক্তি আছে কিনা তা কি দেখেছেন? নীজের শরীরে বল না থাকলে অন্যের বলে বলিয়ান হয়ে ভাল খেলা কি দর্শকদের উপহার দেয়া যায়? নির্বাচন কমিশন, সরকার, সরকারের প্রশাসন যতই বল দিকনা কেন- বিএনপি মাঠে আসতে পারবেনা, আসার বল তাঁদের নিকট নেই। নতুন অফার দিয়ে যেখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের অফিস মুখি করতে পারছেনা দলটি- সেখানে আওয়ামী লীগের উপর অত্যাচার, নির্য্যাতন করে, মামলা-হামলা করে সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল করে দেয়ার কি যৌক্তিকতা থাকতে পারে? আমাদের সবার স্বরনে রাখা উচিৎ-আওয়ামী লীগও একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। সাধারন নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে দলটি। আওয়ামী লীগ দল হিসেবে সরকার নয়। সরকার পরিচালনার দায়িত্ব যখন পায়নি তখনও দলটি ছিল। সরকারের ক্ষমতা চলে গেলেও এই দেশের গনমানুষের সাথে দলটি থাকবে। দেশের গনমানূষের ভাগ্যন্নয়নে কাজ করে যাবে। মাঠে ঘাটে অজস্র নেতাকর্মী রয়েছে-অবিরাম রাজনীতির সাথে সম্পৃত্ত রয়েছেন।যদি কোন দিন সুযোগ হয়- নির্বাচিত প্রতিনীধি হয়ে এলাকার মানুষের হিতে কাজ করবেন-এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখবেন। সেই সুযোগ আসার পর জনগন কতৃক 'প্রত্যাখ্যাত কোন রাজনৈতিক দল'কে মাঠে আনার জন্য আওয়ামী লীগের উপর অত্যাচার করবেন! নিয্যাতন করবেন! তাঁদের সেবার স্পৃহাকে স্থবির করে দিবেন! ইহা কি দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় পড়ে? ইহা কি প্লেয়িং ফিল্ডের সংজ্ঞায় পড়ে? প্লেয়ার থাকলেই তো প্লেয়িং ফিল্ডের প্রয়ো- জনীয়তা ছিল। যেখানে প্লেয়ার নেই-সেখানে কার জন্য প্লেয়িং ফিল্ড খুঁজেন মধ্য রাতে টিভি বক্সে? আগে মাঠে প্লেয়ার আনার চেষ্টা না করে ফিল্ড খুঁজেন কেন? প্লেয়ার আসলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাঠ সমান হয়ে যায়-এটাও কি আপনাদের মত বুদ্ধিজীবিদের বলে দিতে হবে, শিখিয়ে দিতে হবে? অবিলম্বে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের উপর নিয্যাতন বন্ধ করে স্থগিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাই।নির্বাচন কেন্দ্রিক সকল মামলা প্রত্যাহার পুর্বক আটক নেতা কর্মীদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানাই। ২০০৫ সালে চার দলীয় জোট সরকারের রাষ্ট্রপতির বিশেষ অডিনেন্সে নিয়োগকৃত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ তদন্তে সংসদীয় কমিটি গঠন করার দাবি জানাই। প্রশাসনের সর্বস্তরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে রাজাকারের সন্তানদের চিহ্নিত করার দাবি জানাই। জাতির জনকের পরিবারের সর্বচ্ছ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিধানের জোর দাবি জানাই। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি

বিএনপির হাওয়ায় ভেসে দেশশাষন--ইতিহাসের নজিরবিহীন শাষন হয়ে থাকবে --- ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ভাড়াটিয়াদের তথ্য প্রদানের বিরুদ্ধে করা রিট উচ্চ আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। জঙ্গীরা বাড়ী ভাড়া নিয়ে আস্তানা বানিয়ে নাশকতা করা থেকে জনগনের জানমাল রক্ষা করার নৈতিক দায়িত্ব থেকে সরকার এই তথ্য চেয়েছিলেন। পত্রপত্রিকায় ভুয়া খবর চাপিয়ে নাশকতায় উস্কানী দেয়ার একাধিক প্রমান পাওয়ার পর ভুয়া খবর চাপানোর অপরাধে একজন সম্পাদককে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা করলে আদালত উক্ত সম্পাদক সাহেবকে জেলহাজতে প্রেরন করে। নাশকতা, ব্লগার হত্যা ইত্যাদি কারনে সরকার জঙ্গীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে দমনের জন্য অভিযান পরিচালনায় আস্তানা, গোলাবারুদ, জিহাদি বই পুস্তক, কম্পিউটার,বোমা তৈরীর সরঞ্জাম সহ একাদিক জঙ্গী গ্রুপ আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। চার দলীয় জোট নেত্রী কঠোর ভাষায় উক্ত অভিযানের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে বলেন, "সরকার ভাল ছেলেদের ধরে জঙ্গী বানিয়ে জেলখানা ভর্তি করে তুলছে। তথ্যভিত্তিক সংবাদ পরিবেশন সাংবাদিকদের নৈতিক দায়িত্ব। সাংবাদিকতা সর্বকালের জন্য মহৎ পেশা। পত্র-পত্রিকায় রাষ্ট্র ও সরকার বিরুদী বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট, কল্পিত কাহিনী প্রচার, ধমীয় উস্কানী,কবি সাহিত্যিক হত্যায় উস্কানী ইত্যাদি অপপ্রচার চালিয়ে--একাধিক পত্রিকা জনজীবন দুর্বিসহ করে তুললে সরকার নাগরীকদের জানমাল, সম্পদ রক্ষার স্বার্থে - জড়িত আমার দেশ পত্রিকা সহ ইসলামী টি,ভি চ্যানেল বন্ধের নির্দেশ দেন। , চার দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিন্দা জানিয়ে বলেন, "সরকার মানুষের কন্ঠ রোধ করেছে এবং বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা হরন করেছে।"বর্তমান সরকার বাকশালি শাষন কায়েমের উদ্দেশ্যে জনগনের মতামত প্রকাশের উপর কঠোর নিষেদাজ্ঞা জারী করেছে।" সাম্প্রতিক সময়ে হয়ে যাওয়া একাধিক পৌরনির্বাচনে বিএনপি ও চার দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থীরা স্বেচ্চায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে ভোটের প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকে। চার দলীয়জোট অভিযোগ উত্থাপন করে বলেন,'তাঁদের মনোনীত প্রার্থীদের জোর পুর্বক নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে সরকার নিজেদের প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া গ্রহন করেছেন। এইরুপ পৌরসভা সমুহের তালিকা প্রনয়ন পুর্বক নির্বাচন কমিশনের নিকট দাখিল করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েও--অদ্যাবদি সেই তালিকা নির্বাচন কমিশনে দাখিল না করে প্রত্যহ একই অভিযোগের চর্বিত চর্বনে ব্যস্ত রয়েছে। অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষনা দিয়ে নীজ কায্যালয়ে অবস্থান করে চার দলীয় জোটনেত্রী সারা দেশব্যাপি আগুন সন্ত্রাস, নাশকতা, লুটপাট, নারী শিশু হত্যা, যানবাহনে আগুন দিয়ে যাত্রীদের পুড়িয়ে মারা সহ অসংখ্য অগনিত অপরাধ সংগঠিত করে। আইন-শৃংখলা রক্ষা, জানমালের নিরাপত্তা, সম্পদ রক্ষা, চলাচলের স্বাধিনতা নিশ্চিত করন সরকারের দায়িত্ব--উক্ত সেবার নিশ্চয়তা সরকার থেকে পাওয়ার জনগনের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। হত্যার মত অপরাধ দমনে সরকার ব্যবস্থা গ্রহন করলে, চার দলীয় জোটনেত্রী এবং জোটের পক্ষ থেকে বলা হয় সরকার বিরুদি রাজনীতিক নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা হামলা করে আন্দোলন বানচাল করেছে। অবিলম্ভে নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তিও দাবী করেন। ১/১১ এর সরকারের সঙ্গে সমঝোতার প্রেক্ষিতে তারেক জিয়া ও কোকোকে বিদেশে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে পাঠান চার দলীয় জোট।১/১১ এর সরকার চাঁদাবাজি, ঘোষ, দুর্নীতির একাধিক অভিযোগে বেগম জিয়ার ছেলেদ্বয়ের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা রুজু করে। আপাতত: জেলমুক্তির প্রেক্ষিত বিবেচনায়--সমঝোতার নিরিখে উভয়কে বিদেশে পাঠিয়ে হাঁফ চেড়ে বেঁচেছিলেন খালেদা জিয়া। সেনা সমর্থীত তত্বাবধায়ক সরকারের দেয়া মামলা গুলি আদালতের রীতি-নিয়মানুসারে আসামীর অনুপস্থীতিতে বিচার কাজ শুরু হলে," বিএনপির নেত্রী জোটের পক্ষ থেকে বলতে থাকেন যে--তারেক জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য সরকার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।" বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে ১/১১ সরকারের আনীত অভিযোগ, "জিয়া চ্যারিটেবল ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ, জিয়া অর্ফানেজের তহবিল তশরুপ, মিগ কেনায় ঘুষ গ্রহন ইত্যাদি মামলা গুলী আদালতের স্বাভাবিক ধর্মানুযায়ী কায্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।আইনের প্রক্রিয়া অনুযায়ী মামলা গুলী বর্তমানে শেষ পয্যায়। এমত:বস্তায় প্রথম থেকেই উক্ত মামলাগুলী প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে চার দলীয় জোট। আদালতে হাজিরা না দিয়ে আদালতের স্বাভাবিক কায্যক্রমকে বিঘ্নিত, আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখানোর নজীর স্থাপন করেছে খালেদা পরিবার। প্রত্যেক মামলায় সাজা নিশ্চিত জেনে বাঁচার বহুবীদ চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায়--উপায় খোঁজে না পেয়ে সরকারের সাথে একাধিক প্রস্তাব নিয়ে সমঝোতা করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন। সরকারের সর্বস্তরে জানাজানি হয়ে গেলে সেই চেষ্টাও ভেস্তে যেতে বসেছে জেনে নীজ দলের গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনে যুদ্ধাপরাধীদের সংজ্ঞ ত্যাগের প্রতিশ্রুতি সম্ভলীত প্রস্তাবনা নিয়ে অগ্রসর হওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন খালেদা জিয়া। এতেও ফলোদয় না হওয়ার পর বর্তমানে অভিযোগ উত্থাপন করে বলছেন যে," খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরানো এবং বিএনপিকে ধ্বংশ করার জন্য সরকার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।" ২০০১ ইং সাল থেকে ০৫ইং পয্যন্ত চারদলীয় জোট সরকারে থেকে জামায়াতকে সংগে নিয়ে দেশব্যাপি স্বেতসন্ত্রাস, লুটপাট, দুর্নীতি, স্বজন প্রীতির চরম পয্যায় পৌছান। তারেক কতৃক প্রভুত্বতন্ত্র কায়েমের নিমিত্তে হাওয়া ভবনকেন্দ্রিক বিকল্প সরকার পরিচালনা করে জনগন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী পুলিশ,বিডিয়ার, সেনাবাহিনী সহ সুশীল সমাজের বিরাগভাজন হয়ে পড়েন। এমত:বস্থায় নিয়মতান্ত্রীক তত্ববধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনে চরম পরাজয় আঁছ করতে পেরে--সকল নিয়ম রীতি লঙন পুর্বক নীজ দলীয় রাষ্ট্রপতিকে তত্বাবধায়ক প্রধান করে সাধারন নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহন করে। জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট নির্বাচন প্রত্যাখ্যান পুর্বক চারদলীয় জোট সরকারের পদত্যাগ, তত্বাবধায়কের হাতে খমতা হস্তান্তরের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে জনগন ঝাঁপিয়ে পড়েন। অবস্থা বেগতিক দেখে দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগে বাধ্য হয় জোট সরকার। খালেদা জিয়া সরকারে থাকাবস্থায় তারেক জিয়া কতৃক প্রভুত্ববাদ কায়েমের লক্ষে নেয়া পদক্ষেপের কারনে দলটি জনগনের রোষানলে পড়েন।এই সুযোগটি সার্বিকভাবে গ্রহন করে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার। তাঁরা প্রতিষ্ঠিত দুইদলকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে চিরবিদায়ের ষড়যন্ত্র শুরু করে। ব্যপারটি অসম্ভব জেনে- দুই নেত্রীকে দলীয় পদ থেকে অপসারনের উদ্দেশ্যে কারাবন্দি করে নিয্যাতন শুরু করে। ইহাও অসম্ভবের পর-উপায়ান্তর না দেখে দুই নেত্রীকে মুক্তি দিয়ে সাধারন নির্বাচনের ঘোষনা দেয়। আওয়ামী লীগ দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের ত্যাগের বিনিময়ে ঘুরে দাঁড়ালেও বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেদের কোন্দলের ঘুরপাকে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ফলত: ঘোষিত ২০০৮ ইং সালের সাধারন নির্বাচনে দলটির চরম ভরাডুবি ঘটে। ভোটে পরাজয়ের পর খালেদা জিয়াকে অর্জিত অবৈধ সম্পদ রক্ষা,ছেলেদের আগামী দিনের রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক, সামাজিক,পারিবারিক অস্তিত্ব রক্ষা করার স্বাভাবিক রোগে পেয়ে বসে। খালেদা জিয়ার পরিবার কতৃক রাষ্ট্রীয় বাড়ী গাড়ী রক্ষা, অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ দখলে রাখার মানসে নির্বাচিত মহাজোট সরকারের প্রথম থেকে সহিংস আন্দোলনের পথ বেঁচে নেয়। সঙ্গত কারনে পারিবারিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্দোলনে জনগনের সম্পৃত্ততা না পাওয়ায়-জামায়াত শিবির ও জঙ্গী গোষ্টি সমুহ খালেদার এই দুর্বল সময়ের সুযোগ গ্রহন করে নিতে সময়ক্ষেপন করেনি। সুযোগ গ্রহন করেই আন্দোলনকে সন্ত্রাস, নাশকতা, লুটতরাজের কালিমা লেপন করে জাতীয় ও আন্তজাতিক ভাবে বিরোদীতার সম্মুখ্যিন হয়ে রনে ভঙ্গ দেন। কথিত আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতা, আগুন সন্ত্রাস, লুটপাট, অগ্নি সংযোগের হাজার হাজার পুলিশি অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক মামলায় ধরপাকড় শুরু হলে দলটি চরম বিপয্যয়ের মুখে পড়ে অস্তিত্বের সংগ্রামে লিপ্ত হতে বাধ্য হয়। এমত:বস্তায় আন্দোলন সংগ্রামে ভীতশ্রদ্ধ নেতাকর্মীগন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সুযোগ সন্ধানী নেতাদের করুনা লাভের উদ্দেশ্যে রাজপথ, আন্দোলন, রাজনীতি, নির্বাচন ছেড়ে এলাকা ভিত্তিক সমঝোতা পুর্বক নীজের সংসার, পরিবার ব্যবসাপাতি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলত: ইউনিয়ন, পৌরসভার মত জনসম্পৃত্ত স্থানীয় নির্বাচনে সামান্যতম প্রতিযোগিতা, প্রতিরোধ গড়ে তোলার শক্তি সামর্থ্য অবশিষ্ট নেই। চারদলীয় জোট কতৃক জোর পুর্বক নমিনেশন কাঁধে তোলে দিলেও পথিমধ্যে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের হাতে সেই নমিনেশন তুলে দিচ্ছেন। কেউ কেউ নমিনেশন পাওয়ার পরও দল বা জনগনের সংগে কোন যোগাযোগ রক্ষা না করে গাঁঢাকা দিয়ে অস্তিত্ব রক্ষার চেষ্টায় ব্রতি রয়েছেন। এই অবস্থাকে বিএনপি ভোট বিহীন নির্বাচন আখ্যা দিয়ে নীজেদের ব্যর্থ্যতা আড়াল করার নীতি গ্রহন করে জনগনকে সরকার সম্পর্কে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল গ্রহন করেছেন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। মুলত:আন্দোলন, সংগ্রাম, রাজনীতি, নির্বাচন বিমুখ নেতাকর্মীদের মাঠে রাখার সকল চেষ্টা ব্যর্থ্য হতে দেখে জেলা-উপজেলায় দল পুর্নগঠনের ঘোষনা দেয় দলটি। এতেও নেতাকর্মীদের উজ্জিবিত করতে না পেরে , কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে টানার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি পুর্নগঠনের ঘোষনা দিয়ে নমিনেশন বিক্রির চেষ্টা করে। সরকারের পক্ষ হতে কল্পিত বাধার রনহুংকারে মাঠ গরম রাখার চেষ্টাও বিফলে যাওয়ার পর-- শেষ খবর পাওয়া পয্যন্ত কোন দলীয় নেতা ফরম কিনেছেন শুনা যায়নি। অবস্থা দলের অভ্যন্তরেই বেগতিক দেখে-- দলের নেতাদের শান্ত করার উদ্দেশ্যে,চেয়ারপার্সনের সংস্পর্শে নিতে নতুন ঘোষনা দিতে বাধ্য হলেন। "তারেক জিয়ার সহসভাপতির ক্ষমতা নির্দিষ্ট চকে বেঁধে দেয়ার ঘোষনা প্রদান করে দলটি।"এতেই বুঝা যায় সামরিক চাউনিতে জম্ম নেয়া দলটির আদর্শতো নেয়ই--গঠনতন্ত্রও নেয়ই বা কখনও ছিলনা। এইরুপ একটি দল কিভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে টিকে ছিল, বাংলাদেশ শাষন করেছে--উহাই আগামী প্রজম্মের নিকট বিরাট প্রশ্নবোধক হয়ে থাকবে। ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥জয় বাংলা ♥♥জয় বঙ্গবন্ধু♥ জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥দেশরত্ম শেখ হাসিনা♥

ছবি

শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৫ পাকিস্তানের নিকট প্রাপ্য সম্পদ আদায়ে আন্তজাতিক আদালতের শরনাপন্ন হওয়া সময়ের দাবি--- ===============পুন:প্রকাশ========== 1971 ইং সালে পাকিস্তানের সুসজ্জিত ৯৩ হাজার সৈন্য বাঙ্গালী প্রশিক্ষনহীন,স্বল্প প্রশিক্ষিত মুক্তিযুদ্ধাদের নিকট চরম পরাজয়ের গ্লানি আজও ভুলতে পারেনি। ভুলার কথাও নয়,উর্বর ভুমি হাত ছাড়া হলে সবাই কিছুনা কিছু গ্নানিতে ভোগে।তবে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও গ্লানিকর এইজন্য যে জাতির জনকের আকাশসম ব্যাক্তিত্বের নিকট দ্বিতীয় পরাজয়। পরাজয়টি ঘটেছিল দ্বিতীয় আন্তজাতিক ইসলামি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্রকরে।স্বাধীনতার পর প্রথম ইসলামী শীর্ষ সম্মেলনকে ঘিরে পাকিস্তানের বিরুদীতা সত্বেও বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগদান করে ইসলামী উম্মাহ সদস্য পদ গ্রহন করেন।দ্বিতীয় সম্মেলন ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের লাহোর অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক বিচক্ষনতা এবং দক্ষ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের যোগ্য কূটনীতি পরিচালনার কারনে মুসলিম বিশ্বের প্রায় সকল রাষ্ট্রকে নিমন্ত্রন পুর্বক স্বীকৃতি আদায় করে শক্ত অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানকে একঘরে করে দিতে সক্ষম হন। সম্মেলন কে ঘিরে আন্তজাতিক রাজনীতির কুটচালে বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যটিক রাজনীতির নিকট পাকিস্তান সরকারের চরম পরাজয় ঘটানোর উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু শেষ পেরাগ তাঁদের ঘাড়ের মাঝ বরাবর ঠুকে দেন। বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে যোগদানের প্রশ্নে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ স্বীকার পুর্বক পাকিস্তানের স্বীকৃতি দাবি করে বলেন, "যে দেশ আমার দেশকে মেনে নেয় নাই,বাংলাদেশের বাস্তবতা মানতে পারেননি--"সেই দেশে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আমার বাংলাদেশ অংশ গ্রহন করতে পারেনা।" ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রিত অন্য মুসলিম দেশ গুলীও সম্মেলন অনুষ্ঠানে সংশয় প্রকাশ করে বিবৃতির ঝড় উঠলে পাকিস্তান বাংলাদেশক" স্বাধীন সার্বভৌম দেশ" হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রন পত্র পাঠাতে বাধ্য হন। ২৩বছরের পাকিস্তানের সময়টিতে দেশটির সামরিক ও সামন্ততান্ত্রিক নেতৃত্ব তৎকালিন পুর্ব পাকিস্তানকে শোষন করার মানষে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল। তখনকার মানসিকতা থেকে পাকিস্তান আজও বের হয়ে আসতে পারেনি। বলা যায় সম্পর্ক উন্নত করায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার দিকেই তাঁদের জোঁক।তাঁর একমাত্র কারন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যখনি আওয়ামী লীগ আসে তখনি পুরাতন বকেয়া নিয়ে কুটনৈতিক ভাবে কথাবার্তা শুরু করে।আওয়ামী লীগ মনে করে উক্ত পাওনা সম্পদ নৈতিকভাবে এবং হিস্যা অনুসারে বাংলাদেশ প্রাপ্য। এই পাওনা আদায় করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা সব সময়ই করে আসছে। বাংলাদেশ কখনও পাকিস্তানকে অমর্যাদা করে এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ঘটনায় কোন বিবৃতি বা অনৈতিক হস্তক্ষেপ করেনি। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে হত্যা, নারী নির্যাতন, মানবাধিকার লংঙনের অভি- যোগে '১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা আটক' অবস্থায় বিচারের পদক্ষেপ নিলে তৎকালিন পাকিস্তানের ভূট্রো সরকার জনগনের নিকট চরম ভাবে জবাবদিহীতার সম্মুখীন হয়। তাঁদের সেনা অফিসারদের বিচারের উদ্যোগ নিলে পাকিস্তানের জনগন এবং সরকারে আতংকের সৃষ্টি করে। তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো অভ্যন্তরীন ভাবে চাপের সম্মুখীন হন।বঙ্গবন্ধুর চিন্তা চেতনায় তখন প্রায় আড়াই লাখ বাঙালি পাকিস্তানে অবস্থানরত ছিল-- তাঁদের ফেরৎ আনার বিষয়টি ঘুরপাক খাচ্ছিল।তাঁদের মা বাবা আত্মীয়স্বজনও বাংলাদেশে তাঁদের ভাগ্য নিয়ে চিন্তায় অস্থির ছিলেন।একসময় বড় সংকট হয়ে বঙ্গবন্ধুর সরকারকে বিব্রত করবে এটা নিশ্চিত বুঝতে পেরেছিলেন জাতির জনক। তাদের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের প্রশ্নেও পাকিস্তান জটিলতা সৃষ্টি করে রেখেছিল।সেনা অফিসার ছাড়াও বাংলাদেশের মাটিতে আত্মসমর্পণকারী ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সেনা তখন বঙ্গবন্ধুর শক্তি। বাংলাদেশের অধিবাসিদের ফেরত আনার বড় হাতিয়ার। তাঁদেরকে নিয়ে ভুট্টো কম বিপদে পড়েছিলেন বললে ভুল হবে রীতিমত বিভ্রান্ত ছিলেন।ভূট্রোর হাতেও বাংলাদেশি নাগরিক গন ৯৩ হাজার সেন্য ফেরৎ নেয়ার বড় হাতিয়ার।এর বাইরে বাংলাদেশ শর্ত দিয়ে দাবি করেছিল পাকিস্তানের স্বীকৃতি। অন্যদিকে পাকিস্তান দাবি করেছিল ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীসহ ৯৩ হাজার সেনাসদস্যের নিঃশর্ত মুক্তির। ১৯৭৩ সালের ২৮ আগস্ট ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে পাকিস্তান যুদ্ধপরাধি সেনা কর্মকর্তাদের বিচার করবে মর্মে, বাংলাদেশ পাকিস্তানি সৈন্যদের বিচারের দাবি প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল, তার অবসান ঘটেছিল। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যেসব ব্যক্তি মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের বিচার করা যাবে না- এ ধরনের কোনো শর্তই চুক্তিতে ছিল না। জাতির জনক ঘোষনা দিয়েছিলেন যাঁরা মানবতা বিরুধি অপরাধে জড়িত ছিলেন না, অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রাজাকার আলবদর, আলসামস হয়ে মুক্তিযুদ্ধাদের বিরুদ্ধে তথা স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষে অস্ত্র ধরেছিলেন তাঁদেরকে সাধারন ক্ষমা করে দিয়ে বলেছিলেন দেশ উন্নয়নে কাজ করার জন্য।যাঁরা হত্যা, লুন্ঠন,নারি দর্শন,অগ্নিসংযোগের মত মানবতা বিরুধি অপরাধে জড়িত ছিলেন তাঁদের জাতির জনক ক্ষমা করেননি।তাঁদের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছিল,কারো কারো বিচার শেষে জেল জরিমানা হয়েছিল এবং অনেকেই জেলে ছিলেন। পাকিস্তান বার বার যে চুক্তির কথা তাঁদের প্রতিবাদে এবং বিবৃতিতে উল্লেখ করে বলতে চায় তা হচ্ছে ১৯৭৪ সালের ৯ এপ্রিলে সম্পাদিত চুক্তি।তাতেও মানবতাবিরোধী অপরাধে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার করা যাবে না- এমন সুনির্দিষ্ট কোন শর্ত উল্লেখ করা নেই। তারপরও বার বার চুক্তিটির উল্লেখ করে পাকিস্তান বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।তাই বলা যায় তাঁরা বর্তমান বাংলাদেশের বাস্তবতা এখন পয্যন্ত মেনে নিতে পারেননি। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের ভুমিকায় পরিষ্কার অনুধাবন করা যাচ্ছে,'১৯৭৪ সালের ২৪ ফেব্রয়ারি লাহোরে দ্বিতীয় ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাঁর আগে, যে স্বীকৃতি বাংলাদেশকে দিয়েছিল তা তাদের অন্তর থেকে দেয়নি বাধ্য হয়েই দিয়েছিল। ১৯৭৪ থেকে ২০১৫ সময়টা অনেক দীর্ঘ। এত দীর্ঘ সময়েও দুদেশের মধ্যে বিরাজমান অর্থনৈতিক সমস্যা অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রাপ্যতার বিষয়টি সমাধান হয়নি।১৯৭৫ ইংরেজী সালে বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যুর পর নামে বেনামে পাকিস্তানিরাই দেশ শাষন করেছিল। ফলে তাঁরা বাংলাদেশের পাওনা সম্পদ ফেরৎ দেয়ার বিষয় নিয়ে একরকম স্বস্তিতেই ছিল।দীর্ঘ ২১ বছর এই নিয়ে কোন কূটনৈতিক তৎপরতা তাঁদের মোকাবেলা করার প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু এবার বিধিবাম, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতার পক্ষ শক্তির যেভাবে উম্মেষ ঘটেছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে, তাঁদের তল্পিবাহকেরা আবার ক্ষমতায় আসতে আদৌ পারবে কিনা বা আসলেও অনেক সময়ের প্রয়োজন হতেপারে, এমনটি চিন্তা চেতনার উদ্রেক হওয়ায় পাকিস্তানের সর্বস্তরের রাজনীতিক, চিন্তাবীদ, শুশীলদের মনে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। ফলশ্রতিতে আগের বিচারের রায় গুলীতে কিছু রাজনৈতিক দল,সামাজিক সংগঠন,ব্যাক্তি বিশেষ কোন প্রতিক্রিয়া না জানালেও এবার সাকা-মোজাহীদ প্রশ্নে একে অপরের প্রতি বৈরী ভাবাপন্ন রাজনৈতিক দল গুলিও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে একহাট্রা হয়েছে। আগবাড়িয়ে কিঞ্চিত বর্তমানের কূটনৈতিক সম্পর্ককেও ধংস করার মানষে সব রাজনৈতিক দল একজোট হয়ে বাংলাদেশের মানবতা বিরুধীদের বিচারের বিপক্ষে অবস্থান গ্রহন করেছে। পাকিস্তানের কাছে পাওনা সম্পদ ফেরত, বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিক বিহারীদের পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন, বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে, আগে থেকেই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল দেশটি। পাকিস্তানের কাছে পাওনা সম্পদের বিষয়টি একাদিকবার বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হলেও পাকিস্তান তেমন সাড়া আদৌ দেয়া প্রয়োজন আছে- তেমনটিও মনে করেনি। বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময়ে ১৯৭৪ সালে প্লানিং কমিশন ২ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা পাওনা দাবি করে একটি রিপোর্ট প্রণয়ন করেছিল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের আগে পাকিস্তানের সম্পত্তি, জনসংখ্যা, সংখ্যাসাম্য নীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও সম্পদের পরিমাণ হিসাব করে ওই পাওনা টাকার দাবি বিভিন্ন পয্যায়ে উত্থাপন করে আসছে বাংলাদেশ। "গত ৪০ বছরে এ ব্যাপারে তেমন কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় বর্তমান বিশ্ববাজারের তুলনামুলক মুল্য নির্ধারন করে আন্তজাতিক আদালতে শরনাপন্ন হওয়া যায় কিনা এই বিষয়টি যখন বর্তমান বাংলাদেশ সরকার খতিয়ে দেখছে, তখনি দেশটির কাঁপুনি এসেছে,যে কোন ভাবে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার মানষেই তাঁরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা করছিল। এমনি মহুর্তে দুই জনের ফাঁসির আদেশকে তাঁরা ইস্যু হিসেবে নিয়ে বর্তমানের যৎকিঞ্চিত সম্পর্ক আছে তাও বৈরী করার ষড়যন্ত্র করছে। পাকিস্তান বাংলাদেশ বিমানকে একটি পুরনো টাইপের বোয়িং বিমান ফেরৎ দিয়ে বাংলাদেশের প্রাপ্যতাকে আগেই নৈতিক স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে--যা একত্রিত পাকিস্তানের সম্পদের উপর আমাদের প্রাপ্যতার তুলনায় কিছুই নয়। ১৯৮৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরের সময় পাকিস্তান নীতিগত ভাবে বাংলাদেশের সম্পদ ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে একটি কাউন্সিল গঠন করতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের সরকারে পরিবর্তন আসাতে বিষয়টি নিয়ে পরবর্তিতে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানি বিহারীদের পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে বহু দেনদরবার হলেও কোনো অগ্রগতি অদ্যাবদি পরিলক্ষিত হয়নি। এসব পাকিস্তানি নাগরিক এখনও মনমানষিকতায়, চেতনায় পাকিস্তানি ভাবাদর্শ বহন করে এবং তাঁরা পাকিস্তানের নাগরিক দাবি করে-সেখানে যেতেও চায়। অনেকে বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করে চলেও গেছে। প্রায় ২ লাখ পাকিস্তানি এখনও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছে। যাহা বাংলাদেশের জন্য বিরাট এক বোঝা। ১৯৮৫ইং সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক এদের নিতে রাজি হয়েছিলেন,এবং ঘোষনাও দিয়েছিলেন। জনাব ভূট্রোর মেয়ে পাকিস্তানের পিপলস পার্টি নেতা বেনজির ভুট্টোর বিরোধিতায় জিয়াউল হক মাঝপথে প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেন। ভুট্টো যেমন এদের পাকিস্তানি বলে স্বীকৃতি দেননি তাঁর মেয়েও সেই পথ অনুসরন করে বিহারীদের পাকিস্তানি বলতেও রাজি হলেন না। এখানে উল্লেখ করতে চাই যে কারনটি পাকিস্তানিদের খুব বেশি ভাবিয়ে তুলেছে তা হল দল হিসেবে কংগ্রেস এবং দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশের অকৃত্তিম বন্ধু, এটা আন্তজাতিক সম্প্রদায়ও অনেকটা তাই মনে করে।সেই কংগ্রেস ভারতের সরকারে থাকাকালিন সমুদ্র সীমানা নির্ধারনের পুরাতন অমিমাংশিত বিষয়টি শেখ হাসিনার সরকার আন্তজাতিক আদালতে উত্থাপন করে রায় নিয়ে এসেছে।ভারত সরকার আন্তজাতিক পয্যায় সবিশেষ বিব্রতকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করে,আরও হেনস্তা হওয়ার ভয়ে বিষটি নিয়ে আর বাড়াবাড়ি করার চেষ্টাও করেনি। দ্বিপক্ষিয় আলোচনার মাধ্যমে মিমাংসার প্রস্তাব দিলেও তা শেখ হাসিনার সরকার প্রত্যাখ্যান করে আন্তজাতিক আদালতে চলে যায়।মিয়ানমারের সাথে তাঁর আগেই আন্তজাতিক আদালতের মাধ্যমে সমুদ্রের হিস্যা জয়ী হয়ে বাংলাদেশের স্বার্থ শতভাগ নিশ্চিত করেছে।শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের স্বার্থের প্রশ্নে কোন বন্ধু রাষ্ট্রকে ছাড় দিয়ে আপোষ করার উদাহরন এই পয্যন্ত তাঁদের দৃষ্টিতে আসেনি।পাকিস্তানকেও যে প্রাপ্যতার প্রশ্নে ছাড় দিবেনা তা অংক করে বুঝিয়ে দেয়ার প্রয়োজন নেই।সুতারাং সম্পর্কের বৈরীতায় প্রাপ্য অংশ নিয়ে তালবাহানা করার জন্য অনেক আগে থেকেই বৈশম্য সৃষ্টি করে রাখার দিকেই তাঁদের জোঁক পরিলক্ষিত হয়। নিম্নে তাঁর কিঞ্চিত উদাহরন দেয়ার চেষ্টা করছি। পত্রপত্রিকার তথ্যানুসারে এবং বাংলাদেশ সরকারের আমদানী ও রপ্তানী ব্যুরুর তথ্যানুসারে দেখা যায়, বাংলাদেশে পাকিস্তানের রফতানির পরিমাণ বেড়েছে শতকরা ২৭ দশমিক ৬ ভাগ হারে। বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানের আমদানি বেড়েছে মাত্র ৯ দশমিক ২ ভাগ হারে। ২০১০-১১ সময়সীমায় বাণিজ্যের পরিমাণ যেখানে ছিল ৯৮৩ মিলিয়ন ডলার, বর্তমানে তা নেমে এসেছে মাত্র ৩৪০ মিলিয়ন ডলারে। এছাড়াও বর্তমানের বিশ্ব অস্থিরতার মুল ইস্যুর দিকে নজর দিলে দেখা যায়,পাকিস্তানি নাগরিক, এমনকি ঢাকাস্থ দূতাবাসের কর্মচারীরা ইতিমধ্যে নানা অপকর্মে নিজেদের জড়িত করেছেন। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে দেখা যায়, বেশকিছু পাকিস্তানি নাগরিক বাংলাদেশে ভারতীয় জাল নোটের অবৈধ ব্যবসা তথা পাচারের সঙ্গে জড়িত। এই সমস্ত টাকা অধিকাংশ জঙ্গি প্রতিপালনের খরছ যোগায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।এদের মধ্যে বেশ কজন ইতিমধ্যে গ্রেফতারও হয়েছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জনৈক মাজহার খান (যিনি ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশনে কর্মরত ছিলেন) অকূটনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং বাংলাদেশ তাকে বহিষ্কার করেছে। বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা বিস্তারে কোনো কোনো পাকিস্তানি নাগরিক সরাসরি জড়িত,অনেকেই ইতিমধ্যে গ্রেপতার হয়েছেন, কিছু কিছু গোয়েন্দা নজরদারিতে আছে, অনেকেই পালিয়ে বেঁচে গেছেন। মাদক ব্যাবসায় জড়িত- অনেকে গ্রেফতার হয়েছে,অনেকে গ্রেফতার এড়িয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।পাকিস্তান দুতাবাসের আশ্রয় প্রশ্রয়ে অনৈতিক কাজে উৎসাহ পাচ্ছে এমন অভিযোগও আছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সার্ক, কমনওয়েলথ, ডি-৮, ওআইসিসহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য। এক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় থাকার কথা ছিল।পরিবেশ পরিস্থীতি অনুকুলে থাকলেও তা হয়নি। বরঞ্চ দিন দিন নিম্নমুখিতাই প্রকাশ পাচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনায় পাকিস্তান যখন হস্তক্ষেপ করে, তখন দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও অবনতি হতে বাধ্য। বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পাকিস্তানিদের নেতিবাচক প্রচারণাকে সহ্য করবে না। এতে করে সাধারণ মানুষের মাঝে পাকিস্তান বিরোধী মনোভাব যা আছে এতে আরও শক্তিশালী হবে। বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশ প্রায় প্রতিটি সামাজিক সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে। আর্থিক ভিত্তি, নারীশিক্ষা, বৈদেশিক রিজার্ভ, মুদ্রামান, সাস্থ্যসেবা, শিশুমৃত্যুর হার কমানো, রেমিটেন্স ইত্যাদি প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে আছে। পাকিস্তান বর্তমান বিশ্বের কোন রাষ্ট্রের জন্য কোনো ক্ষেত্রেই কোনো মডেল নয়। বাংলাদেশ বহু ক্ষেত্রেই বিশ্বের বহু রাষ্ট্রের অনুকরনীয় অনুস্বরনীয় দৃষ্টান্ত।শেখ হাসিনা বিভিন্ন পয্যায়ে যেভাবে বিশ্ব নেতৃত্বে আসীন হচ্ছেন--, পাকিস্তান তাঁর ধারে কাছেও অবস্থান নিতে পারছেনা।৪৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে রুপান্তরীত হলেও ৭০ বছরের পাকিস্তানের অবস্থান বহু দেশের নিম্নেই রয়ে গেছে।এই সমস্ত বিষয় গুলিও তাঁদের নেতৃত্বকে মর্মপীড়া দেয়।তাই বর্তমান সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করে চাপে রাখতেও এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে আমি মনে করি। সার্কে উভয় দেশই আছে বটে, কিন্তু এ ক্ষেত্রেও দেখা যায়, পাকিস্তান মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে তার সম্পর্ককে যতটুকু গুরুত্ব দেয়, সার্কের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ককে এখন আর তত গুরুত্ব দেয় না। পাকিস্তান যদি বাংলাদেশের ব্যাপারে তার পুরাতন ধ্যান ধারনায়, মন মানসিকতায় পরিবর্তন না আনে, তাহলে দুদেশের সম্পর্কের অবনতিতো হবেই,পাকি সমর্থক এখনও যে সমস্ত বেজম্মা আড়ালে-আবড়ালে মুখ ঢেকে দালালি করে তাঁদের দুর্দশা বাড়বে বৈ কমবেনা। সম্পর্ক চিন্নতো হবেই ন্যাক্কার জনক অপদস্ত হয়ে আন্তজাতিক ভাবে বাংলাদেশের সম্পদ ফেরৎ দিতে বাধ্য হবে। বাংলাদেশের জনগন এখনও আশা করে পাকিস্তান তার শাষককের মানসিকতায় পরিবর্তন আনবে এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না, এটাই নতুন প্রজম্ম প্রত্যাশা করে। সর্ব শেষে বলতে চাই, পাকিস্তানের নিকট একত্রিত থাকা অবস্থায় আমাদের প্রাপ্য সম্পদের বর্তমান বিশ্ববাজারের মুল্যে- মুল্য নির্ধারন করে আদায়ের জন্য আন্তজাতিক শালিসি ব্যাবস্থাপনার আয়োজন করা বর্তমানে সময়ের দাবি। পাকিস্তানের প্রতি যতই অনুরাগ, আবেগ প্রদর্শন করা হোকনা কেন কখনই তাঁরা বাংলাদেশকে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করে নিবেনা।জাতির জনকের নির্মম হত্যায় পাকিস্তানের সরাসরি হাত ছিল ইহা পরিষ্কারভাবে আন্তজাতিক মহলের বিবেচনায় রয়েছে।তাঁদেরও সম্যক উপলব্দি আছে।সুতারাং জাতির জনককে হত্যার পাপ তাদের সর্বসময়ে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। ইচ্ছা থাকলেও ভাগ্য তাঁদের প্রলম্বিত করবেই।অযথা সময়ক্ষেপন না করে সকল সম্পর্ক চিন্ন করে অযাচিত ষড়যন্ত্রের চোবল থেকে আগামি প্রজম্মকে রক্ষা করার জন্য জাতির পিতার কন্যা বর্তমান বিশ্বের অন্যতম নেতা বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার নিকট আবেদন জানাচ্ছি। ♥জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু♥ জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা **প্রাপ্য সম্পদ আদায়ে গড়িমসি করে কোন লাভ হবেনা,পাকিস্তান কখনই বাংলাদেশের বন্ধু হবেনা। কারন তাঁদের পাঁপ তাঁদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে, পথের কাঁটা হয়ে সম্পর্ক প্রলম্বিত করছে।** ♥ আজকে১২/০৩/২০১৬ইং পত্রিকার পাতায় খবরে প্রকাশ, বাংলাদেশ অখন্ড পাকিস্তানের সম্পদের হিস্যা আদায়ে আন্তজাতিক আদালতে মামলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।♥ **************-******** জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো ♥জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু♥ জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা♥

ছবি

অবশেষে প্রমান হল ঢেঁকি স্বর্গেও বাড়াবাঁধে--- ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ অবশেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নজরে এসেছে। ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব আলিম সাহেবকে সম্পর্ন অবৈধ ভাবে একজন নির্বাচনী কর্মকর্তার চিঠির বরাতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।কোন প্রকার তদন্ত, সাক্ষী, এবং কি আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ না দিয়েই এই সাময়িক বরখাস্তাদেশ জারী করেছেন।কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নিজস্ব তদন্ত প্রতিবেদনে বিষয়গুলী স্পষ্টাকারে উঠে এসেছে। এই সংক্রান্ত বিষয় তৎক্ষনাৎ আমার একটা কলাম অন-লাইনে গত৬/৩/২০১৬ইং তারিখে পোষ্ট করেছিলাম। সকলের জ্ঞাতার্থে আমি তাঁর আংশিক নিম্নে আবার কপি পেষ্ট করে দিলাম।------- পোষ্টটির শিরোনাম ছিল," **নির্বাচন-রাজনীতি সারা বাংলাদেশ---ফেনী-ফুলগাজী এক ও অভিন্ন নয়""।** ** আমি ফুলগাজীর সকল ইউপির নির্বাচন স্থগিত এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা জানাই।অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করে নির্বাচনী কায্যক্রম শুরু করার দাবি জানাচ্ছি। উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব আলীমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্বর প্রত্যাহার করে স্বাভাবিক কায্যক্রমের পরিবেশ সৃষ্টির জোর দাবী জানাচ্ছি। সংশ্লিষ্ট সব মহলের নিকট আবেদন থাকবে ফুল- গাজীর রাজনীতির অঙ্গন স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ গ্রহন করুন। মামলা প্রত্যাহার করুন, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করুন, রাজনীতি স্বাভাবিক করুন ইহাই অন্তিম মহুর্তের সাবেক নেতা হিসেবে আমার আবেদন"** ---অবশেষে আমার উল্লেখিত বিষয়াবলীর সত্যতা আওয়ামী লীগের তদন্তদল হাতেনাতে পেয়ে উপলব্দি করতে পেরেছেন। নির্বাচন কমিশনে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়েছেন প্রতিনীধিদল এবং তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছেন। বিএনপির শাসনামলে নিয়োগ পাওয়া ৪৬০ জন (প্রত্যেক উপজেলার জন্য একজন)নির্বাচনী কর্মকর্তা ছাত্রদল /যুবদল/ছাত্রশিবিরের ক্যাডার নিয়োগ দেয়া হয়েছিল তড়িগড়ি করে।নিয়োগ পাওয়া তেমনি এক কর্মকর্তার চিঠির বরাতে কমিশন ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে চিঠি লিখেন।চিঠির বরাতে দুই ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে বরখাস্তাদেশ জারী করে মন্ত্রনালয়। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে দেখা করে এ অভিযোগ করা হয় বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের প্রধান দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ। তিনি বলেন, “প্রকৃত ঘটনা অন্যভাবে ঘুরিয়ে যে নির্বাচন কর্মকর্তা সেই অভিযোগ করেছেন, তিনি ২০০৫ সালে নিয়োগকৃত, যিনি সম্পূর্ণভাবে একটি রাজনৈতিক দলের আদর্শে আদর্শিত কর্মী, তার সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরাখাস্ত করেছে।” জনাব হানিফ বলেন, “আমাদের অভিযোগ ছিল, ঘটনার সঠিক তদন্ত না করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু একজন ব্যক্তির কথার ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।" 'গনতান্ত্রিক সরকারের জন্য নির্বাচন একটি গুরুত্বপুর্ন বিষয়। যেহেতু মেয়াদান্তে সাধারন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেই আবার ক্ষমতায় আসতে হবে।'২০০৫ইং সালের সব কয়টি পত্র পত্রিকায় তাঁদের নিয়োগ অবৈধ, দলীয় ক্যাডার, জোট সরকারের নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়ার কৌশল' ইত্যাদি শিরোনামে খবর চাপানো হয়েছিল। দেশী-বিদেশী গনমাধ্যমেও খবরটি গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছিল। এমন একটি গুরুত্বপুর্ন পদের নিয়োগ গত সাত বছরেও মহাজোট সরকার সংশোধন না করায় আমি বিস্মিত, স্তম্ভিত, হতাশ না হয়ে পারিনা।' অদ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে জোর আবেদন জানাতে চাই, "নিয়োগ পাওয়া উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া, শিক্ষা, অতীত অভিজ্ঞতা, লিখিত পরিক্ষার কাগজ, ,ভাইবা বোর্ডের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সত্বর সংসদীয় তদন্তদল গঠন করা হোক। দিনেদিনে এইসব কর্মকর্তারাই মহাজোট সরকারের সকল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে,জনমনে বিরুপ ধারনা প্রথিত করতে সক্ষম হয়ে উঠছে। ♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা♥

ছবি

প্রকল্পের নাম: "১৫লাখ গ্রাহক সংযোগ প্রকল্প "--!! ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ গত ০৯/০৩/২০১৬ ইং তারিখে একনেকের বৈঠকে নতুন নামে বিদ্যুৎ সংযোগের একটি প্রকল্প গ্রহন করেছে সরকার। অতীতে এত সুনির্দিষ্ট করে কোন প্রকল্প গ্রহন করে তা বাস্তবায়ন করতে দেখা যায়নি। প্রকল্পটির নামের মধ্যেই তাঁর মহত্ব লুকায়িত। বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে বলা যায়,"অতীতের প্রকল্প নেয়া এবং বাস্তবায়নের গ্যাপ পুরন" করার জন্যই সুনির্দিষ্ট "নাম- সংখ্যাভিত্তিক" প্রকল্প গ্রহন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী "রুপকল্প২০২১"এ দেয়া তাঁর ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার জন্যই প্রত্যেক উন্নয়ন প্রকল্পে ভিন্ন ভিন্ন দৃডতা সংক্রান্ত শব্দাবলীর দেখা মিলছে। আমলা নির্ভর প্রশাসনে এহেন সুনির্দিষ্ট সময় ও প্রকল্প ব্যায় বেঁধে দেয়া ছাড়া কাজ আদায় করা সম্ভবও নয়।বাংলাদেশকে উন্নয়ন -অগ্রগতির কাংখিত লক্ষে পৌঁছানোর জন্য জাতির জনকের কন্যার আন্তরীকতার বহিপ্রকাশ থেকেই শব্দাবলীর ব্যবহার হচ্ছে বলে আমি মনে করি। সারা দেশে নতুন করে আরো ১৫ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় আনবে সরকার। নতুন করে ৪৪ হাজার কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করে এ বিপুলসংখ্যক গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় আনা হবে। এ জন্য ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ’ নামের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। ‘এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের মোট ৮২ ভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় চলে আসবে। ২০১৮ সালে প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রধানমন্ত্রী যে অঙ্গীকার করেছিলেন এ প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষে তা পূরণে অনেকটাই এগিয়ে যাবে সরকার।’‘প্রকল্পটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েই অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করবে সরকার।’ ‘বর্তমানে দেশের ৭৪ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় রয়েছেন। তবে এখনো দেশের বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ বিদ্যুতের বাইরে রয়েছেন। বিশেষ করে দ্বীপ বনভূমি, পাহাড়ি এলাকা, জলাভূমি এবং দুর্গম এলাকাসহ প্রায় ১২ শতাংশ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব নয়।’ প্রকল্পটির মাধ্যমে ৪৪ হাজার কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ, নতুন উপকেন্দ্র ৮৩টি ও ৩৫টি উপকেন্দ্র আপগ্রেড করা হবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, জনগনের জীবনমান উন্নত হচ্ছে, সভ্যতার প্রধান উপাদান জ্বালানী সমস্যার সমাধান হচ্ছে, ইলেকট্রোনিক সামগ্রী দেশেই উৎপাদন হচ্ছে, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত হচ্ছে। স্বাধীনতার মর্ম জনগনের মধ্যে প্রোথিত হচ্ছে, দেশ সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য কমে আসছে। জনগন দেশপ্রেমে উদ্ভোদ্ধ হচ্ছে, জন আখাংকার প্রতিফলন সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপে পরিস্ফুটিত হচ্ছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর প্রতিটি সিদ্ধান্ত, পদক্ষেপ, গ্রহন, বর্জনের মধ্যে যে দৃডতার মনোভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে এই দৃডতাই বাংলাদেশের অগ্রগতির পথ রচনা করে দিচ্ছে। তিনি একদিকে জনগনকে স্বপ্নে বিভোর করছেন, অন্যদিকে স্বপ্ন পুরনের দিকনির্দেশনা দিয়ে জনগনের ঘুম ভাঙ্গাচ্ছেন। জনগন তাঁদের সকল শক্তি উজাড় করে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। সরকারের কঠিন সিদ্ধান্ত সমুহ বাস্তবায়নে অন্তরের সকল প্রেম উজাড় করে দিয়ে সহজে করার পথ রচনা করছেন। প্রকৃতই তিনি জনগনের নেত্রী, দেশের নেত্রী, বিশ্বনেত্রীর ভুমিকায় অবতির্ন্ন হয়েছেন। ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥জয়বাংলা♥♥ জয় বঙ্গবন্ধু♥ জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা♥

ছবি

পাগল হয়ে গেল নাকি !!! ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, 'দুর্নীতি আর লুটপাটের মাধ্যমে বর্তমান সরকার দেশকে একেবারে ধ্বংস করে দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে সরকার কোটি কোটি টাকা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। দেশকে ধ্বংস করেই তারা বিদায় হবে।' এটা কোন কথা হইল! বিএনপির সব নেতা কি দিন দিন পাগল হয়ে যাচ্ছে? চরম শত্রু ও বলেনা সরকার লুটপাট করতে পারে। সরকার পরিচালনায় অংশ নেয়া কোন কোন ব্যক্তি বিশেষ হয়তো লুটপাট করতে পারে।সুনির্দিষ্ট করে, তথ্য প্রমান সহ উপস্থাপন করলে হয়তো তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করা যেত।হাওয়ায় উড়িয়ে কোন বক্তব্য বিবৃতি দায়িত্বশীল ব্যক্তি বিশেষের দেয়া কি উচিৎ? সরকারের সবাই যদি লুটই করে দুর্নীতিতে -আন্তজাতিক সংস্থা সমুহের জরিপের ফলাফলে এত পিছনে কেন? আপনাদের সময় কোন লুট হয়নি,সবাই ফেরেস্তা ছিলেন,পাঁছ বছরের শাষনে পাঁছবার চ্যাম্পিয়ন কেন হলেন? অভিযোগ উত্থাপন করা বিরুধী দলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই বলে অভিযোগের সুনির্দিষ্টাতাও থাকবেনা? মুল ব্যপারটি হচ্ছে তাঁদের রাজনীতির বর্তমান যে অবস্থা -ক্ষমতা সুদুরপরাহত ;নির্গাত বুঝতে পেরে মাথা কারো ঠিক নেই। ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো জয়তু জাতির পিতার কন্যা ♥ দেশরত্ম শেখ হাসিনা♥

ছবি

রাজনীতির সাথে অর্থনীতির সার্থক সমন্বয় সাধন ~~ মহাজোট সরকারের সফলতার মুল কারন*** ♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥ মুলত: উনিশ শতকের প্রারম্ভে রাষ্ট্র ব্যবস্থা বা রাজনীতি প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। তাঁর আগে নগর কেন্দ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা বা নগর রাষ্ট্র, ছোট ছোট সমাজ ভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামোর অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া যায়। উনিশ শতকের বিপ্লবী মতবাদের ¯স্রষ্টা কার্ল মার্কস এর মতে, রাজনীতি হচ্ছে অর্থনীতির অন্তনীহিত অংশ। অর্থনীতির ভিত্তির উপর রাজনীতি নির্ভরশীল। অর্থনীতি সুদৃড না হলে রাজনীতি বা রাষ্ট্র ব্যবস্থা টিকে থাকেনা। অর্থনৈতিক অবস্থাই রাজনীতির ভিত্তি মুল। এক কথায় মার্কসীয় তত্ত্ব অনুসারে অর্থনীতিই হচ্ছে রাজনীতির নিয়ামক বা পরিচালক। শ্রেণিবিভক্ত সমাজে উৎপাদিকা শক্তি হিসেবে উৎপাদনযন্ত্র অর্থাৎ জায়গা জমি,কলকারখানা ইত্যাদির উপর শ্রমিক শ্রেণির অংশিদারিত্ব না থাকার সুযোগে রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে বুর্জোয়া ধনিক শ্রেণি। বুর্জোয়া রাষ্ট্রব্যবস্থার অবসান, সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠা এবং শ্রেনীহিন, সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠা রাজনীতির মর্মকথা হয়ে উঠে উনিশ শতকের প্রথমার্ধ থেকে। প্রথমোক্তটির গুনে গড়ে উঠে সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারনবাদ, সামন্তবাদী বুর্জুয়া ধনিক শ্রেনী কতৃক শাষন শোষনের নতুন মতবাদ। শঠতায় নিমজ্জিত এই শ্রেনী নীজেদের পরিচিতি--আপন গোত্রের নামে না রেখে 'গনতন্ত্রের' নামটি ধারন করে (মুলত সামন্তবাদ)। একের পর এক রাজ্য দখল করে শাষন শোষনের নতুন নতুন ক্ষেত্র আবিস্কারের পর--ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে গনতন্ত্রকে সংজ্ঞায়িত করে।তাঁদের শাষন শোষন অব্যাহত রাখতে গ্রহন করে জোর যার মুল্লুক তাঁর নীতি। এই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রের মালিকানা বংশানুক্রমিক অর্থাৎ রাজা মারা গেলে যুবরাজ রাষ্ট্রের শাষনভার পাওয়ার অধিকারি হতেন। ক্ষমতাসীনদের আশেপাশের প্রত্যেকটি পরিবার এবং তার সুবিধাভোগীরা হতেন ক্ষমতাবান অভিজাত শ্রেণি। দ্বিতীয়টির উৎসমতে শ্রেণিভেদ লোপ না পেলেও বিশেষ করে ইংল্যান্ডে গণতান্ত্রিক আন্দোলননের মাধ্যমে রানীর শাষনস্থলে জনপ্রতিনীধি কতৃক শাষন এবং ফরাসি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের উপর জনগণের ক্ষমতা অব্যাহত গতিতে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। আমেরিকার স্বাধীনতা ও লিখিত আকারে সংবিধান এই প্রক্রিয়াকে অনেকটাই অগ্রসর করে দেয়। অনেক স্থানে রাজতন্ত্র উচ্ছেদ হয়ে প্রজাতন্ত্র কায়েম হয়। অনেক স্থানে মার্ক্সীয় মতবাদের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে নতুন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। কেবল তাত্ত্বিকভাবেই নয় বাস্তবে রাষ্ট্র শাসনে জনগণের অংশগ্রহণ, নির্বাচন ব্যবস্থা, সরকারের জবাবদিহিতা প্রভৃতি ক্রমেই বিকাশমান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়ায়। উনিশ শতকের প্রারম্ভে কেবল পুরুষের সীমিত ভোটাধিকার ছিল। ক্রমশ: তাহা প্রক্রিয়াগত সংস্কারে সর্বজনীন ভোটাধিকারের রীতিতে উন্নিত হয়, যাহা জনগনের আন্দোলন সংগ্রামের ফসল হিসেবে অর্জিত। অনেকগুলো দেশে বিশেষ করে আমেরীকা ও বৃটেনে বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে নারীর ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। নারী নির্বাচিত হওয়ার অধিকার বিংশ শতাব্দীতে অর্জিত হলেও রাষ্ট্রক্ষমতায় এখনও কোন কোন দেশে সমান অংশীদারিত্ব অর্জিত হয়নি। গনতন্ত্রের ধ্বজাধারী আমেরীকায় এই পয্যন্তও কোন নারী প্রেসিডেন্ট হতে পারেনি।বৃটেনে মার্গারেট থ্যাচার ছাড়া সম্ভবত:আর কোন নারী নেতৃত্ব উল্লেখ করার মত আসেনি। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শিশু গনতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হলেও জেন্ডার সমতায় বিশ্বের সকল দেশকে পেছনে পেলে উদার গনতান্ত্রিক চর্চায় এবং নারীর অংশিদারিত্বে শীর্ষস্থানটি দখল করে নিতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার থেকে রাষ্ট্রক্ষমতার সর্বোচ্চ পয্যায় পর্যন্ত জনগণের সচেতন সক্রিয় অংশগ্রহণ, জনকল্যাণে রাষ্ট্রের অবদান, আদর্শবাদ, দারিদ্র বিমোচন, সামাজিক বৈষম্য লোপ, সর্বস্তরে নারীর ক্ষমতায়ন, সংসদে নারীর সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও সরাসরি নির্বাচন ব্যাবস্থায় উত্তরন, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্টির নাগরিক অধিকার রক্ষা, বিশ্বায়ন ও পরিবেশ দূষণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য চিকিৎসা প্রভৃতির জনকল্যান মুলক কর্মকান্ড হয়ে পড়েছে রাজনীতির মুলভিত্তি। অর্থাৎ বাংলাদেশ কল্যান মুলক রাষ্ট্রের দিকে ধাবমান--উন্নয়ন অগ্রগতিকে সর্বচ্ছ অগ্রাধিকার দিয়ে নাগরীকদের জীবনমানে বৈশম্যের অবসান ঘটানোই রাজনীতির উপজিব্য বিষয় হিসেবে স্থীর সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। *লক্ষ স্থীর হওয়ার কারনে রাষ্ট্রের সকল সামাজিক, অর্থনৈতিক সুচক ইতিমধ্যে উধ্বমুখি হওয়া শুরু হয়েছে। দারিদ্রতা কাটিয়ে নিম্নমধ্য আয়ের দেশে রুপান্তরীত হয়েছে, মঙ্গা দূর হয়েছে, শিক্ষা-বিশেষ করে নারী শিক্ষা ও চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এই সকল ক্ষেত্রে আন্তজাতিক স্বীকৃতিও হস্তগত করেছে।আন্তজাতিক সংস্থা সমুহে একের পর এক নেতৃত্বের পদে সমাসীন হচ্ছে। এশিয়ার বৃহত্তম গনতান্ত্রীক ফোরাম সমুহে নেতৃত্ব করায়াত্ব করেছে। মুসলিম দেশ সমুহ বিশেষ করে তেল সমৃদ্ধ দেশ সমুহের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক পয্যায় থেকে উন্নততর পয্যায় নিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে।ফলে তাঁদের দেশে বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়োগে বিগত সরকার সমুহের সময়ে আরোপিত নিষেদাজ্ঞা একে একে প্রত্যাহারীত হয়ে কাজের বৃহত্তর পরিসর উম্মুক্ত হচ্ছে।* জাতির জনকও চেয়েছিলেন গনতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র। মালিকানা ঠিক রেখে উৎপাদনে শ্রমিক শ্রেনীর অংশিদারিত্ব। শোষনহীন সমাজ, সামাজিক বৈশম্য রোধ, অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা, রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগনের সর্বাধিক অংশগ্রহন নিশ্চিত-সর্বক্ষেত্রে জবাব দিহীতা নিশ্চিত করাই ছিল জাতির জনকের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পুরনে তাঁর জৈষ্ঠ কন্যা রাষ্ট্রের, সমাজের, অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুত সংষ্কার কায্যক্রম গ্রহন করেণ। কায্যক্রমের ফলপ্রসু সিদ্ধান্ত সমুহ বাস্তবায়নে যুগ যুগান্তরের অমিমাংসাসীত বিষয় সমুহ মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহন করে সফল ভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। চিরায়ত কৃষিনির্ভর অর্থনৈতিক ধ্যানধারনার সাথে, শিল্পসমৃদ্ধ অর্থনীতির সংযোগ ঘটানোর নিয়ন্তর প্রচেষ্টায় সফলভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন। ফলত দেশ অতীতের বদনাম গুছিয়ে বিশ্বদরবারে সম্ভাবনার উর্বরভুমি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। গত শতাব্দির শেষের দিকে স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পর থেকে চলতি শতাব্দির অনেকটা সময় ক্ষুদা দারিদ্রতা, সামাজিক বৈশম্য, অর্থনৈতিক বৈশম্য, দুর্নীতি বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে হুমকির মধ্যে পেলে দিয়েছিল। রাষ্ট্রটি টিকবে কিনা অনেকেই সন্দিহান হয়ে উঠেছিলেন। দারিদ্রতা, দুর্নীতি, নেতৃত্বের অযোগ্যতা, রাষ্ট্র ভিত্তি "গনতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের" অংশ থেকে "প্রজাতন্ত্রকে" আড়ালে রেখে "গনতন্ত্রকে" গ্রহন করার উদম্য বাসনা, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় মুলভিত্তি সমুহকে আড়ালে রেখে প্রভুত্ববাদ কায়েমের চেষ্টা, আন্তজাতিক সংস্থা সমুহে নেতৃত্বের অপারগতা, প্রতিবেশি রাষ্ট্র সহ মুসলিম রাষ্ট্র সমুহের সাথে সম্পর্কের শীতলতা ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যার্থতা ও বৈশম্যের সুযোগে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে জম্ম নিতে শুরু করেছিল--নিয়তিবাদ বা অদৃষ্টবাদ,প্রভুত্ববাদ, সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রধর্মীয় গোষ্টির উত্থান, জঙ্গিবাদ। সমাজের অশুভশক্তি সমুহ মারাত্মক আকারে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল। সাম্রাজ্যবাদী চক্র তাঁদের ফর্মুলা সফলভাবে বাস্তবায়নের কারনে চার দলীয় সরকারকে আধুনীক মুসলিম দেশ(modarete muslim country) উপাদিতেও ভুষিত করেছিল। মুলত: বাংলাদেশকে ব্যার্থ্য রাষ্ট্র বানানোর সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। আন্তজাতিকভাবে বাংলাদেশ উপহাসের উদাহরন হয়ে দেখা দিয়েছিল। সঙ্গত কারনে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে নিতে পেরেছিল একশ্রেনীর বুর্জুয়া সুবিধাবাদি ধনীক গোষ্টি। তাঁরা ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত তত্বাবধায়ক সরকারকে বিতর্কিত ও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ও ভীতিকর শাষন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল দুইটির দুই শীর্ষ নেতাকে বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ অযোগ্য আখ্যা দেয়ার লক্ষে নতুন ফর্মুলা বাহির করে,""মাইনাস টু ফর্মুলা"".ক্ষমতা দখলের দিনকে ভবিষ্যত প্রজম্মের নিকট বিরত্বের প্রকাশ ঘটানোর লক্ষে নাম দেয়া হয় ""১/১১"" সরকার। তাঁরা ক্ষমতায় আরোহন করেই বিরাজনীতিকরন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রাজনীতিবীদদের ঢালাও দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে জেলে নিতে শুরু করে।প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের ভয় দেখিয়ে দেশান্তরীত করার কৌশল গ্রহন করে। সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সমুহকে নিস্তেজ করে প্রতিবাদের উৎসমুখে বরফ ঢেলে দেয়।তিনমাসের তত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর আপ্রান চেষ্টা করেও ফল্প্রসু ভীত গড়তে না পারায় জাতিয় নেতাদের মুক্তি দিয়ে সাধারন নির্বাচন ঘোষনা দিতে বাধ্য হয়। অবশ্য এইরুপ পরিস্থীতি সৃষ্টি করে তাঁদের ক্ষমতা দখলের পথটি পরিষ্কার করে দিয়েছিল ফ্যসিস্ট চার দলীয় জোট সরকারের "প্রভুত্ব বাদ" প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে নেয়া রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত সমুহ। তাঁদের উদম্য আক্ষাংকা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জাতি অনেকদুর পিছনে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের সংরক্ষিত মুল্যবান বৈদিশীক মুদ্রা, ডলার, স্বর্ণ বিদেশে পাচার হয়ে অর্থনীতিতে বিরাট সংকটের সৃষ্টি করেছিল। সমকালীন রাজনীতি ও রাজনৈতিক ধ্যানধারনায় একটি বিষয় প্রকট আকারে দৃশ্যমান হয়ে দেখা দিয়েছে "প্রভুত্বতন্ত্র"। মুখে গনতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না দেখালেও দলীয় গঠনতন্ত্রকে প্রভুত্বতন্ত্র কায়েমের সকল শক্তির উৎস করে রেখেছেন। এবারকার বৃহৎ বিরুধীদলের কাউন্সিলের আগে দলের দুই শক্তিধর নীতিনির্ধারক পদের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন বিক্রির চাতুরতার ন্যক্কারজনক এই দৃশ্যটি স্পষ্ট দেখা গেছে। ঐ দুই পদে দলের কোন মেম্ভার ফরম খরিদ করেননি। বিনাভোটে মা-ছেলে দুই জনই নির্বাচিত হয়েছেন। দলের রাজনৈতিক কাঠামোকে মা-ছেলের পায়ের নীছে রেখে দিয়ে প্রতিযোগিতার আহব্বান জানালেই দলে গনতন্ত্র কায়েম হয়ে যাবে? যেখানে তাঁবেদারি সন্তুষ্টির উপর নির্ভর করে দলীয় পদ পাওয়া না পাওয়া, মন্ত্রিত্ব পাওয়া না পাওয়া-- সেখানে তাঁদের সঙ্গে পদের লড়াইতে নামবে নেতারা!! মা-ছেলের পাঁয়ের নীছে বসে জুতা পরিস্কার করে যারা উচচ পদে সমাসীম হবেন --তাঁরা কেন প্রতিদ্বন্ধিতা করে দলীয় প্রভু-ভক্তির প্রতিযোগিতায় পিছনে যাবেন? "ফ্যসিষ্ট শক্তির উৎসস্থলের প্রধান শক্তি জামায়াত কে প্রশ্রয় দিয়ে সন্ত্রাস অরাজগতার বিষবাস্প সমাজের রন্ধে রন্ধে বপন করে অশুভশক্তির আগমনের পথকে সুগম করার চিরায়ত নীতি থেকে দলটি ১/১১ এর বড় রকমের ঝাঁকুনির পরও শিক্ষা নিতে পারেনি। দলীয় কাঠামোতে গনতন্ত্রের চর্চার অভাব রেখে রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে গনতন্ত্রের কথা বলা ফ্যসিষ্ট শাষন কায়েমের পুর্বেকার লক্ষন নয় কি? "গন প্রজাতন্ত্রী "বাংলাদেশের "প্রজাতন্ত্রের" অংশকে আড়াল করার কৌশল স্থীর রেখে রাষ্ট্র খমতা দখল করার ইচ্ছা ভবিষ্যত বাংলাদেশে আর সম্ভব নাও হতে পারে। "" বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে নির্বাচনী ব্যবস্থায়ও বড় রকমের সংস্কার কায্যক্রম গ্রহন করে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।স্থানীয় সরকার সমুহে দলীয় প্রর্থী ও প্রতিকে নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। দলীয় সরকারের রাষ্ট্রীয় কায্যক্রম সফল বাস্তবায়নের লক্ষকে সামনে রেখে চিরায়ত নির্বাচনী প্রক্রিয়া ভেঙ্গে অধিকতর জবাবদিহীতামুলক, সকল দল ও সামাজিক শক্তির অংশ গ্রহন নিশ্চিতপুর্বক নির্বাচনী ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। এই শুভ উদ্যোগও কায়েমী স্বার্থবাদীদের বিরুদীতার মুখে পড়ে নেতিবাচক মন্তব্য ও বিবৃতির কারনে স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহন বিঘ্নিত হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে যদিও কিছুটা নিস্তেজ, অনানন্দদায়ক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় অচিরেই তা কেটে যাবে আশা করা যায়। আগামী নির্বাচনে স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহন ও প্রতিযোগিতা নিশ্চিত হবে ইনশাল্লাহ।নির্বাচন রাষ্ট্রীয় উৎসবে পরিনত হবে।এই মহতি সংস্কারের বিরুদ্ধে অশুভ শক্তির ষড়যন্ত্র নিস্ফল হবে। "" মহাজোট সরকার রাজনীতিকে অর্থনীতির পুরিপুরক বা অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রগতিকে গনতান্ত্রিক ধারায় সংযোগ স্থাপন করে সমাজের সর্বক্ষেত্রে সফল বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। "গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ" সাংবিধানিক ভাবে স্বীকৃত সংবিধানের শীর্ষে উপস্থাপিত ব্যবস্থাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সর্বক্ষেত্রে জনগনের নির্বাচিত প্রতিনীধির নিকট জবাবদিহীতার অঙ্গিকার পুরনে নিয়ন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।"" মহান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার, ৩০লক্ষ শহিদের আত্মত্যাগ, প্রায় পৌনে চারলক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তোলার মহান দায়িত্ব নিয়ে জাতির জনকের কন্যা ২০০৮ইং সালে দায়িত্ব গ্রহন করে। ইতিমধ্যে সফল ভাবে সরকারের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সংস্কার সাধন পুর্বক অর্থনীতিকে রাজনীতির পুরিপুরক নীতিতে পরিনত করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। কায়েমী স্বার্থবাদি চক্রের ষড়যন্ত্রকে অসীম ধৈয্যের সঙ্গে মোকাবেলা করে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত সমুহ বাস্তবায়িত করে চলেছেন।"রুপকল্প ২০২১" সফল বাস্তবায়নের কারনে ইতিমধ্যে দেশ দারিদ্রতা জয় করে নিম্নমধ্য আয়ের দেশে রুপান্তরীত হয়েছে। অচিরেই মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটাতে যাচ্ছে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা। "রুপকল্প ২০৪১" এর কায্যক্রমও দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সমুহকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। বিদ্যুৎ, সমুদ্রবন্দর, সড়ক ও সেতু, বিমান বন্দর, নৌবন্দর, জ্বালানী সহ আনুষাঙ্গিক বিষায়াদির কয়েকটি বড় বড় প্রজেক্টের কাজ উদ্ভোধন করে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অচিরেই প্রকল্পগুলীর সফলতা দৃশ্যমান হবে। উল্লেখিত সংস্কার এবং অর্থনৈতিক উন্নতি ও অগ্রগতি-রাজনীতির পরিপুরক হওয়ায় দৃশ্যত অগ্রগতির সফলতায় বিশ্ব আজ হতবাক। তৃতীয় বিশ্বের দেশ সমুহের উন্নয়নের রোল মডেল বর্তমান জাতির জনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ।" গন "এর সাথে "প্রজা"র সার্থক সমন্বয়ের কারনেই উন্নতি অগ্রগতি দৃশ্যমান হচ্ছে। গনতন্ত্রকে রাষ্ট্র ও সরকারের সর্বক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়ে অর্থনীতির সাথে সফল সংযোগ ঘটিয়েছেন। ইতিমধ্যে জনমনেও নতুন ধারনাটি সফল ভাবে উপস্থাপন করে অগ্রগতি সাধনের প্রক্রিয়ার সফলতা দৃশ্যমান করতে পেরেছেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী। নতুন ধারনার পুরস্কারও বাংলাদেশ নগদেই পেয়েছে--স্বীকৃতি মিলছে বিশ্বজুড়ে। হার্ভার্ড ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে করা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘দ্য গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট, ২০১৫’-তে রাষ্ট্রক্ষমতায় নারীর অবস্থান বিবেচনায় সবাইকে পেছনে ফেলে বিশ্বের এক নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। তথাকথিত সভ্যদুনিয়াকে বিস্মিত করে বাংলাদেশ উদার গনতান্ত্রিক দেশের সাটিফিকেট অর্জনে সক্ষম হয়েছে। জাতির জনক বাঙালী জাতিকে অসীম ত্যাগের বিনিময়ে দিয়েছেন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় পতাকা একটি নতুন দেশ"বাংলাদেশ"।তাঁর কন্যা জাতির জনকের আদর্শে উজ্জিবীত হয়ে জাতিকে নিয়ন্তর পরিশ্রমের বিনীময়ে, সদা মৃত্যুর ঝুঁকি উপেক্ষা করে, অশুভ শক্তির প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র ধৈয্যের সঙ্গে মোকাবেলা করে দিয়ে যাচ্ছেন অর্থনৈতিক উন্নতি-অগ্রগতি। রাজনীতিকে গড়ে তুলছেন অর্থনীতির পরিপুরক করে। জনগনের আশা আখাংকার প্রতিফলন ঘটাতে স্বাধীনতার স্বাদ ঘরে ঘরে পৌছানোর লক্ষে --গনতন্ত্রের সঙ্গে অর্থনীতির সমন্বয়ের মধ্যমে দিয়ে যাচ্ছেন সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ। ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ জয় বাংলা♥জয়বঙ্গ বন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা♥

ছবি

সৌজন্যেঃ মুক্তিফৌজ - M.F মশিউর রহমান। (কপি পেষ্ট) Language of the common man in the street ... --বঙ্গবন্ধুকে আত্মস্থ করতে চাইলে priority basis -এ যা গবেষণা এবং বিশ্লেষণ করতে হবে, তা হলো তার বক্তৃতা। বঙ্গবন্ধু প্রতি মিনিটে দু ''শ থেকে আড়াইশো শব্দ তার বক্তৃতায় উচ্চারণ করতেন!! যা সাধারণ মানুষের মনোজগতে আইলার মতো বয়ে যেতো। বঙ্গবন্ধু তার বক্তৃতায় কোন রুপক শব্দ (বাতিনী) ব্যবহার করতেন না। তিনি সহজ কথা সহজভাবে প্রাকৃতজনের (আমজনতা) কাছে তুলে ধরতেন। এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর সহজাত ক্ষমতা যা তাকে বাঙালি জাতির সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিত্ত্বে পরিনত করেছে। --হ্যামলেটকে একবার তার সতীর্থ জিজ্ঞেস করেছিল, "what are you reading my lord? "। উত্তরে হ্যামলেট বলেছিলেন, "words, words & words!! " সত্যি, শব্দের কি অদ্ভুত ক্ষমতা!! --বঙ্গবন্ধু তার বক্তৃতায় এমন সব শব্দ উচ্চারণ করতেন যার যে কোন একটি শব্দ পাল্টাতে গেলে পুরো বক্তৃতার তাৎপর্যই পরিবর্তন হয়ে যাবে। যেমন, 'দাবায়ে রাখতে পারবেনা "--এই শব্দ গুচ্ছের বিকল্প শব্দ গুচ্ছ ব্যবহার করলে তা আর বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা থাকেনা। যেন বাংলা শব্দকোষ নির্দিষ্ট করে বঙ্গবন্ধুর জন্য কিছু শব্দ ভান্ডার জমিয়ে রেখেছিল যা শুধু বঙ্গবন্ধুর মুখেই শোভা পেতো। --শিক্ষিত -অশিক্ষিত, ছোট -বড় সবার কাছেই বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য -বিবৃতি ছিল বোধগম্য। কঠিন বাস্তবকেও বঙ্গবন্ধু নির্লিপ্ততার সাথে আলিঙ্গন করে স্বপ্ন বুনে গেছেন সাধারণ জনগনের মুক্তির কথা, বাঙালি জাতির মুক্তির কথা, বাংলা মায়ের মুক্তির কথা। তাইতো অন্নদাশঙ্কর রায় বলে গেছেন -- "যতদিন রবে পদ্মা -মেঘনা -গৌরি -যমুনা বহমান, ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান। " ★বাংলার কোন এক অখ্যাত কবি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমার নজরে আসা সবচেয়ে যথার্থ মন্তব্য করে গেছেন (স্যালুট সেই নাম না জানা মুজিব ভক্তকে) -- "মুজিব মানেই মুক্তি, পিতার সাথে সন্তানের, না লেখা প্রেম চুক্তি।

ছবি

৭ই মার্চের ঐতিহাসিক পটভুমি****** ************************ আজ থেকে ৪৫ বছর আগে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণটি দিয়েছিলেন।১০ লক্ষাধিক লোকের সামনে পাকিস্তানি দস্যুদের কামান-বন্দুক-মেশিনগানের হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ওই দিন বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ কী পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু সেই ইতিহাস বিখ্যাত ভাষণ দিয়েছিলেন? ১৯৭০-এর ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯ আসনের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পায় ১৬৭টি আসন বাকি ২টি আসন পায় পিডিপি। ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর তৎকালীন সামরিক প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ’৭১-এর ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের পিপিপি নেতা জেড এ ভুট্টো এবং পাকিস্তান সামরিক চক্র সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে অর্থাৎ আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে ষড়যন্ত্র শুরু করে। ১ মার্চ এই দিনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়ার কথা ছিল পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের।সারা দেশের মানুষ তাই রেডিও আর টেলিভিশন খুলে বসে থাকলো তার কথা শোনার জন্য।কিন্তু দেশবাসীকে হতাশ করে,ইয়াহিয়ার যায়গায় অন্য আরেকজন এসে ঘোষণা করলো,"পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বাতিল করেছেন।তিনি পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিকে একটি গভীর রাজনৈতিক সংকট হিসেবে উল্লেখ করেছেন।" তখন তীব্র ক্ষোভে ফেটে পরলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।তিনি বাঙালি জনগণের মুক্তির ডাক দিলেন।সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বলেন এটি কোন গণতন্ত্র নয় বরং এটি পাকিস্তানি শাসকদের স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।আমরা বাঙালিরা ঘৃণাভরে এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করলাম এবং ২ মার্চ ঢাকা ও ৩ মার্চ সারাদেশব্যাপী বাংলার সাধারণ মানুষ হরতাল পালন করবে।পরবর্তী দিক নির্দেশনার জন্য আপনারা(বাঙালিরা) ৭ মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করুণ। এরপর বাঙালি জাতির ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য স্বাধীনতার স্লোগান দিল, “বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো।" শুরু হলো অসহযোগ আন্দোলন ।গঠিত হলো স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ২ মার্চ ঢাকা এদিন ছিলো হরতালের নগরী, মিছিলের নগরী এবং কারফিউর নগরী।দিনের হাইলাইট ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের জাতীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল থেকেই মিছিল ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়মুখী। স্মরণকালে এমন ছাত্র সমাবেশ দেখেনি কেউ! নিউমার্কেটের মোড় থেকে নীলক্ষেতের সড়ক দিয়ে পাবলিক লাইব্রেরি পর্যন্ত যার বিস্তার। এদিন বটতলায় ওড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা, ওড়ায় ছাত্রলীগের নেতৃত্বাধীন ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ।সমাবেশ শেষে বিশাল এক মিছিল রড ও লাঠি উচিয়ে ঢাকা শহর প্রদক্ষিন করে। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হচ্ছে এদিন থেকে পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান কথাটা একরকম হাওয়া হয়ে যায় বাঙালীদের মুখ থেকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সন্ধ্যায় তার প্রেস কনফারেন্সে বারবার বাংলাদেশ উচ্চারণ করেন। সারা শহরে সরকারের পেটোয়া বাহিনী হরতাল ঠেকাতে মাঠে নামে। পঞ্চাশ জনের মতো গুলিবিদ্ধ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এদের বেশীরভাগই তেজগাঁও এলাকার। তেজগাঁও পলিটেকনিক স্কুলের ছাত্র্ আজিজ মোর্শেদ ও মামুনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনার পর আজিজ মারা যান। সামরিক আইন প্রশাসকের তরফে এদিন কারফিউ জারি করা হয়। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত এই কারফিউ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অব্যহত থাকবে বলে ঘোষণা করা হয়। সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলন করেন শেখ মুজিবুর রহমান যাতে নিরস্ত্রদের উপর গুলি বর্ষণের তীব্র নিন্দা করা হয়। পরদিন ৩ মার্চ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে অর্ধদিবস (ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা) হরতালের ডাক দেন মুজিব।পরদিন ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে পল্টনে এক সমাবেশের ঘোষণা দেন তিনি। ৩ মার্চ নিহতদের স্মরণে পালন করা হয় শোক দিবস ।পল্টনে ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের সভায় প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধু আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমি থাকি আর না থাকি, বাংলার স্বাধিকার আন্দোলন যেন থেমে না থাকে। বাঙালির রক্ত যেন বৃথা না যায়। আমি না থাকলে- আমার সহকর্মীরা নেতৃত্ব দিবেন। তাদেরও যদি হত্যা করা হয়, যিনি জীবিত থাকবেন, তিনিই নেতৃত্ব দিবেন। যে কোনো মূল্যে আন্দোলন চালাইয়া যেতে হবে- অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।” বঙ্গবন্ধু আগেই ঘোষণা করেছিলেন, ৭ মার্চ রোববার রেসকোর্স ময়দানে তিনি পরবর্তী কর্মপন্থা ঘোষণা করবেন। ৪ মার্চ গন বিক্ষোভে টালমাটাল ছিল ৪ মার্চ ১৯৭১। দিন যতই যাচ্ছিল এক দফার দাবী অথ্যাৎ স্বাধীনতার আকাঙ্খার তীব্রতা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছিল । এ দিন সামরিক জান্তার সান্ধ্যআইন ভঙ্গ করে রাজপথে নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ । খুলনায় বাঙালী অবাঙালীদের মাঝে সংঘর্ষ হয় এই দিন। ঢাকায় আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় হরতালে দমন পীড়নের নিন্দা জানানো হয় ।লাগাতার হরতালের এই দিনে ঢাকা সহ সাড়া দেশ অচল হয়ে পড়ে ।পূর্ব পাকিস্হান মহিলা পরিষদের নেত্রী কবি সুফিয়া কামাল ও মালেকা বেগম যৌথ বিবৃতিতে ৬ ই মার্চ বায়তুল মোকাররম এলাকায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের আহব্বান জানান । এই দিনে ঘটে এক গুরুত্বপূর্ন ঘটনা । এই দিনে রেডিও পাকিস্হান ঢাকা'র নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘ঢাকা বেতার কেন্দ্র’। সে দিনের সেই ঘটনা চলমান আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে ।যা আমাদের মুক্তির পথকে এগিয়ে নেয় । ৬ মার্চ ৭ মার্চের একদিন আগে অর্থাৎ ৬ মার্চ জে. ইয়াহিয়া খান টেলিফোনে কথা বলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা, আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে। ৬ মার্চ এও ঘোষণা করা হলো যে, ২৫ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। পরিস্থিতির চাপে ভীতসন্ত্রস্ত পূর্ব পাকিস্তান সামরিক সদর দপ্তর থেকে বিভিন্নভাবে শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগকে এই মেসেজ দেয়া হয় যে, ৭ মার্চ যেন কোনোভাবেই স্বাধীনতা ঘোষণা না করা হয়। ৭ মার্চ জনসভাকে কেন্দ্র করে কামান বসানো হয়। এমনকি আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র প্রস্তুত রাখা হয়। মেজর সিদ্দিক সালিক তার গ্রন্থে লিখেছেন, পূর্ব পাকিস্তানের জিওসি ৭ মার্চের জনসভার প্রাক্কালে আওয়ামী লীগ নেতাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “পাকিস্তানের সংহতির বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা হলে তা শক্তভাবে মোকাবেলা করা হবে। বিশ্বাসঘাতকদের (বাঙালি) হত্যার জন্য ট্যাংক, কামান, মেশিনগান সবই প্রস্তুত রাখা হবে। প্রয়োজন হলে ঢাকাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হবে। শাসন করার জন্য কেউ থাকবে না কিংবা শাসিত হওয়ার জন্যও কিছু থাকবে না।” ৭ মার্চ এমন এক কঠিন সংকটময় পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৭ মার্চ রেসকোর্সে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের সামরিক কর্তৃপক্ষকে চারটি শর্ত দিয়ে ভাষণের শেষাংশে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, “এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।” ***সংগৃহিত********** ♠জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু♠

ছবি

তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের ব্যাপকতার আগে**** আইনী কাঠামোর ব্যাপকতা বেশী প্রয়োজন**** ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ !♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ আইসিটি আইন,৫৭ধারা, সামাজিক সাইট সাময়িক বন্ধকরন--ইত্যকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের উপকরন সমুহ নিয়ে নানাহ ঘটনা প্রবাহ ঘটছে।তথ্যও প্রযুক্তিগত বিষয়ক বিষয়ে নতুন প্রজম্মের নতুন ধারনার শুভলক্ষন সমুহকে জনমানসে ভীতিকর করে তুলতে একশ্রেনীর অপরাধচক্র গড়ে উঠেছে দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাইরে। এই কয়দিন আগেও অনেকেই বাহবা দিতে দেখেছি সাইবারযোদ্ধা খ্যাত আন্তদেশীয় হ্যাকার গোষ্টি সমুহকে।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপুর্ন অফিসিয়াল সাইট সমুহকে হ্যাক করে তাঁরা নাকি সাইবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে বাংলাদেশকে জয়ী করছেন,তাঁদেরকে অনেকে ধন্যবাদ দিতে দেখা গেছে।ক্রমবর্ধমান সাইবার হ্যাকারেরা সময়ের পরিক্রমায় সাইবার ক্রিমিনালে রুপান্তরীত হয়ে দেশ ও জনগনের অশান্তির কারন হয়ে দেখা দিতে পারে কয়জনেই বা চিন্তা করেছেন? সম্প্রতি ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর এটিএম কার্ড জালিয়াতির সঙ্গে দেশের প্রভাবশালী ৪০ থেকে ৫০ জন ব্যবসায়ী জড়িত বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম। মনিরুল বলেন, এ ঘটনায় জড়িত বিদেশি নাগরিক থমাস পিটারকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে আনা হয়েছে। তিনি গত এক বছরে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব কাজে দেশের ৪০ থেকে ৫০ জন ব্যবসায়ী জড়িত। তিনি আরো বলেন, এদের মধ্যে মার্চেন্ট, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী, সঙ্গীতাঙ্গন এবং ব্যাংকারদের বিশাল একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে ৩-৪ জনকে শনাক্ত করেছে। বাকীদের ব্যাপরে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এর আগে ইস্টার্ন ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের এটিএম বুথ জালিয়াতির ঘটনায় থমাস পিটারসহ সিটি ব্যাংকের ৩ জনকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। থমাস পিটার জার্মান নাগরিক ছিলেন বলে নিশ্চিত করেন মনিরুল ইসলাম। এই বিদেশি নাগরিক জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করতেন। শাহাজালাল বিমান বন্দরে বিপুল পরিমান এটিএম কার্ড় পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান এর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে অপরাধিরা তথ্য প্রযুক্তিতে সাধারনের চেয়ে অগ্রগামি।তিনি এক সেমিনারে বলেছেন,---"অর্থ কার্যক্রম যত বেশি অটোমেশন তথা ডিজিটাল হবে, তত ঝুঁকি বাড়বে। সাইবার হ্যাকাররা আমাদের চেয়ে বেশি স্মার্ট। এজন্য সবধরণের নিরাপত্তা ফায়ার-ওয়াল নির্মাণ করতে হবে। বুধবার এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। একই সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে যাতে ভ্যাট দেওয়া যায় সে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য এনবিআরের প্রতি আহ্বান জানান গভর্নর। দেশ ডিজিটালের দিকে যতই ধাবিত হচ্ছে, অপরাধ মাত্রায় ততই নতুন নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে।আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যে হারে টাকা গায়েব হওয়া শুরু হয়েছে এতে এই খাত বিপয্যয়ের মুখে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। আমাদের তথাকথিত বুদ্ধিজীবি গন আইসিটি আইন প্রনয়ন করতে গেলে হৈ হৈ শুরু করে দেন।সম্প্রতি মোবাইল রেজি: এর জন্য আঙ্গুলের চাপ কেন নেয়া হচ্ছে, এক হাইকোর্টের উকিল সাহেব রিট পিটিশন দায়ের করে দিয়েছেন।মামলা করা উকিল সাহেবের নাগরিক অধিকার স্বীকার করি। দুস্কৃতিকারিদের হাত থেকে আমার ছবি বিকৃতকরন,আমার ব্যাংক একাউন্ট এবং সঞ্চিত টাকার হেফাজত,অদ্ভুত ধর্মীয় কাহীনি প্রচার করে আমার ধর্ম বিশ্বাসের মুলে কুঠারাঘাত করন ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আরও কঠিন আইনি ব্যবস্থাপনা চাই।আমার চাওয়ার মুল্য কি রাষ্ট্র বাধ্য নয়? আমার একটি জিজ্ঞাসা, কোন দেশে,কখন, কি করে নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুরক্ষা করতে পেরেছে আইনী বেষ্টনি ছাড়া? দারিদ্রতা বিমোচনের জন্য রাষ্ট্র যেমন কোটি কোটি টাকা ভুর্তুকি দিয়ে সামাজিক বেষ্টনি নির্মান করে সফল হয়েছেন,তেমনি আইসিটি বলি আর ডিজিটাল বলি,-এটিকেও কঠোর আইনী বেষ্টনীতে নিয়ে আসতে হবে। দুস্কৃতকারিরা বিদেশ থেকে প্রযুক্তি এক্সপার্ট আমদানী করে, প্রযুক্তি সাইট ভাড়া নিয়ে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদী কায্যক্রম পরিচালনা করবে, বাংলাদেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমুহ লুটপাট করে সব টাকা নিয়ে যাবে অথছ তাঁদের শাস্তি দেয়ার জন্য কঠোর আইন প্রনয়ন করা যাবেনা ইহা কিছুতেই একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশে সম্ভব হতে পারেনা। ৫৭ ধারা এবং সামাজিক সাইট গুলি কিছুদিন বন্ধ থাকাকালিন যে সমস্ত ব্যক্তিবর্গ ভিন্ন উপায়ে ঐ সমস্ত সাইট সমুহ চালু করে বিভিন্নধরনের ব্যঙ্গোক্তি করেছেন,ভঙ্গচিত্র এঁকে উস্মা প্রকাশ করেছেন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁদের চিহ্নিত করে ধরা হলে দেখা যাবে বেশির ভাগই জঙ্গি অথবা জঙ্গীবাদের সমর্থক।তাঁরা এবং তাঁদের সমর্থক মধ্যরাতের টকবাজেরা চায়না, আইনী কঠোরতায় তাঁদের অপরাধ প্রবনতায় ভাটা পড়ুক,তাঁদের অপরাধ কর্মে কোন বিঘ্ন ঘটুক। দেশের নাগরীকেরা চায় শান্তি, স্থীতিশীলতা,সম্পদ আহরন ও আহরীত সম্পদ সুরক্ষার গ্যারান্টি।রাষ্ট্র সাংবিধানীক ভাবেই বাধ্য নাগরীকের জানমাল,ইজ্জত সম্মান রক্ষায় যথা সময় যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করুক রাষ্ট্র।সুতারাং গুটিকতক মধ্যরাতের টকবাজের সমালোচনায় এই খাতে বার বার সরকার আইন প্রনয়নে উদ্যোগ নিয়ে পিছনে হঠে যাওয়া কোন অবস্থায় সুখকর হতে পারেনা। যারা বলে মতপ্রকাশে বাধা দেয়ার জন্য সরকার আইন প্রনয়ন করছে, বা মতপ্রকাশের অধিকার সরকার হরন করছে-- মতপ্রকাশের অধিকার না থাকলে এই কথাটিই তিনি কিভাবে জনসমক্ষে প্রচার করছেন? অবিলম্ভে আঞ্চলিক বা আন্তদেশীয় সরকারি উদ্যোগ গ্রহন করে সাইবার অপরাধ দমনে কায্যকর উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।তথ্য ও প্রযুক্তিকে জনকল্যানে নিবিড়ভাবে উপভোগ্য করতে কঠোর আইনী বেষ্টনী গড়ে তোলা সময়ের দাবী।মান্ধাতার আমলের প্রেস ও পাবলিকেন্সনস আইন দিয়ে বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল উপভোগের চিন্তা দেশকে গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দিতে পারে। ****************************** !**************************-** ♥♥জয় বাংলা♥♥জয় বঙ্গবন্ধু♥♥ জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥দেশরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা♥

ছবি

রক্তঝড়া, অগ্নিঝরা প্রতিরোধের মাস মার্চ। ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ১৯৭১ সালের এই মাসে তীব্র হয় স্বাধীনতার আন্দোলন। এরপর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের অনিবার্য পরিণতিতে শুরু হয় বাঙালি জাতির প্রতিরোধের লড়াই, স্বাধীনতার লড়াই, মুক্তিকামী জনতার মহান মুক্তিযুদ্ধ।২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। অর্থাৎ ২৫শে মার্চের মধ্য রাতের পর। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের আগেই ইপিআরের ওয়ারলেস ম্যাসেজে তিনি ঘোষনাটি বিশ্ববাসির উদ্দেশ্যে দিয়ে যান। হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালী তার আত্মপরিচয়ের সন্ধান পেল এই মার্চ মাসেই।একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চ। কয়েক শতাব্দীর ঔপবিনেশিক দুঃশাসনের পথ পেরিয়ে ১৯৪৭ সালে ‘পাকিস্তান’ নামে বাঙালীর ভাগ্যে যা জুটেছে, তা ভিন্নরূপে আরেক অপশাসন, নির্যাতন আর বঞ্চনা ছাড়া কিছুই নয়। এশুধু মাত্র উপনিবেশিক শোষনের হাত বদল।বাঙালী জাতি ওই শোষণ-বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি পেতে নেমে পড়ে রাজপথে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সীমাহীন দেশপ্রেম, তুলনাহীন রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, অসীম সাহস, দূরদর্শিতা আর দৃঢ় নেতৃত্বে এই পলি মাটির ভূখন্ড একাত্তরের মার্চে এসে অগ্নিগর্ভ রুপ ধারন করে। অগ্নিঝরা মার্চের দ্বিতীয় দিনে ঢাকাসহ পুরো দেশ পরিণত হয়েছিল এক বিক্ষুব্ধ জনপদে। এদিন ওড়ানো হয়েছিল মানচিত্র খচিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা। এর আগের দিন ১ মার্চ পাকিস্তানের তৎকালীন শাসক ইয়াহিয়া খান এক ফরমানের মাধ্যমে জাতীয় পরিষদ অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেন।সারা পুর্ব বাংলা বিক্ষোবে ফেটে পড়ে। অবৈধ এবং স্বৈরাচারী ঘোষণায় বাঙালী জাতির কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সংখ্যা গরিষ্ঠের প্রতিনিধিরা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু করা ছাড়া অধিকার আদায়ের কোন বিকল্প নেই। পাকিস্তানী শাসকদের এই মনোভাবের বিস্ফোরণ ঘটেছিল ২ মার্চ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার ছাত্র এদিন বটতলায় জমায়েত হন। বটতলার সমাবেশে ইয়াহিয়ার স্বৈরাচারী ঘোষণার ধিক্কার জানানো হয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। বটতলার ঐতিহাসিক সমাবেশে তৎকালীন ডাকসুর ভিপি আসম আবদুর রব স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকাটি উত্তোলন করেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের ৯ মাস এই পতাকাই বিবেচিত হয়েছে আমাদের জাতীয় পতাকা হিসেবে।পতাকা উত্তোলনের দিনটিকে মুক্তিযুদ্ধের এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার টার্নিং পয়েন্ট বলা যায়। এদিকে বঙ্গবন্ধুর ডাকে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আহূত ৭ মার্চের ঐতিহাসিক জনসভা সর্বাত্মকভাবে সফল করার প্রস্তুতি চালায় আওয়ামী লীগ। এই জনসভাকে কেন্দ্র করে মুক্তিপাগল বাঙালীর মধ্যে এক অন্য ধরনের গণজাগরণের সৃষ্টি হয়। পাক হানাদার বাহিনীর কর্তাব্যক্তিদের ললাটেও তখন চিন্তার বলিরেখা। ওই জনসভায় বঙ্গবন্ধু কি স্বাধীনতার ডাক দেবেন? দিলে কি পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে-এ নিয়ে পাকিস্তানের উভয় অংশে তোলপাড় চলছিল। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে জঙ্গিবিমান কয়েক দফা চক্কর দেয় জনসভাস্থলের উপর দিয়ে। একদিকে জনসভার প্রস্তুতি, অন্যদিকে গোটা দেশেই উত্তাল আন্দোলন-বিক্ষোব রীতিমতো অগ্নিগর্ভ করে তোলে পুর্ব বাংলাকে।প্রতিটি বাঙালীর চোখে-মুখে একই প্রত্যাশা- পাকিস্তানী দখলদারদের হটিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। আর সেই লক্ষ্য পূরণেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙলার দামালছেলেরা, কৃষক,শ্রমিক আবাল বৃদ্ধ বনিতা সশস্ত্র প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। শুরু হয় স্থানে স্থানে সামরিক ট্রেনিং।ঢাকা ইউনিভারসিটির মেয়েরাও বাদ ছিলেননা যুদ্ধ প্রস্তুতিতে। আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা, মুক্তিযুদ্ধ একদিনের বা একঘোষনার ফসল নয়।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তিলে তিলে জাতিকে গড়ে তুলেছেন স্বাধীনতার মন্ত্রে।প্রকাশ্য অ-প্রকাশ্য বহু কর্মকান্ডই ঘটেছিল পাকিস্তানী শাষনের ২৩ বছরের দীর্ঘ ইতিহাসে।বঙ্গবন্ধু যাকে যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন সে সেই দায়িত্বের বাহিরে অন্য কিছু জানার সুযোগ ছিলনা বা বঙ্গবন্ধু জানার সুযোগ দেননি। ৬৬ইং সালেই ঢাকা ইউনিভারসিটি কেন্দ্রিক স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য ছাত্র নেতাদের মধ্য থেকে শেখ মণির নেতৃত্বে নিউক্লিয়াস গঠন করে যুদ্ধ প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেন। তৎসময়ের কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কোন নেতাই জানতেননা। পাকিস্তান সেনা বাহিনীর বাঙ্গালী সেনা অফিসারদের মধ্য থেকে একদল বিশ্বস্ত সেনা অফিসারকে আগড়- তলা পাঠিয়ে ভারতের অবস্থান এবং করনীয় নিশ্চিত হয়েছেন ইহা কি কেউ জানতেন? মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অগ্নিঝরা মার্চ উপলক্ষে প্রতিদিনই নানা কর্মসূচী পালন করবে। এসব কর্মসূচীর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, যুদ্ধাপরাধী ও পাকিস্তানের দালালদের ঘৃণা-ধিক্কার ও প্রতিরোধের মন্ত্রে উজ্জিবীত করা হবে।আগামী প্রজম্মকে জানানো হবে বাঙ্গালী জাতিসত্তা ও বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস। ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥জয় বাংলা ♥ জয় বঙ্গ বন্ধু♥

ছবি

অগ্নিঝরা মার্চ--বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন-- স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়>>>> ♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥ বছর ঘুরে অগ্নিঝরা মার্চমাসটি প্রতিবারের মত আবারো এসে গেছে বাঙ্গালী হৃদয়ে প্রতিবাদের,সংগ্রামের, বিপ্লবের এক অবিস্মরনীয় মাস হয়ে। এই মাসেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ২৩বছরের সংগ্রাম,সাধনার পরিপুর্নতা পেয়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের শুরু এবং অবিস্মরনীয় বিজয়ের মাধ্যমে।এই মাসেই বাঙ্গালী তাঁর বিরত্বের ঢালা মেলে ধরার সুযোগ পেয়েছিল।এই মাসের ৭তারিখে পেয়েছিল স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা মুলক প্রেরনাদায়ি অমুল্য এক যুগান্তকারি ভাষন।এই মাসেই পাকিস্তানী হায়নার দল বাংলাদেশ আক্রমন করে গনতান্ত্রিক আন্দোলন বানচাল করার জন্য পোড়ামাটি নীতি গ্রহন করেছিল।এই মাসেই স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।এই মাসেই শুরু করেছিল বাঙ্গালী তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধ। আর এই মহান মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধুর নামেই পরিচালিত হয়েছিল। যুদ্ধকালে গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার 'মুজিব নগর সরকার' নামেই পরিচিত ছিল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ শুরু করার জন্য পাকিস্তান সরকার শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগকে এককভাবে দায়ী করেছিল। পাকিস্তান রাষ্ট্রকে ভেঙ্গে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টি করবার পথ সুগম করার অপরাধে পাকিস্তানী সামরিক সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে মৃত্যুদণ্ড দিতে বদ্ধপরিকর হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বজনমতের ভয়ে সেই দণ্ড কার্যকর করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। বাংলাদেশ এক ঘোষণায় স্বাধীন হয়ে গেছে যারা ভাবেন, তারা আসলে এদেশকেই মেনে নিতে পারেন না বা ইতিহাসের বিরুদ্ধে অবস্থান করে পরাজিত শক্তির পক্ষাবলম্বন করেন। বঙ্গবন্ধু ধীরে ধীরে বাঙালি জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। তাঁর সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো তিনি আমাদের বাঙালি জাতিসত্তাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এই প্রক্রিয়া হঠাৎ করে শুরু হয়নি। বাঙালির দীর্ঘদিনের আত্মানুসন্ধান, দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও সংগ্রামের অমোঘ পরিণতি হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। বিস্ময় জাগে বৈকি এখন যে, এই ভূখণ্ড যেটি ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর প্রথমে 'পূর্ববাংলা' এবং পরে 'পূর্বপাকিস্তান' নামে পরিচিত ছিল, সেটিকে ১৯৬৯ সালে 'বাংলাদেশ' বলে ঘোষণা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই জাঁদরেল পাকিস্তানী সামরিক শাসক গোষ্ঠীর ভ্রূকুটি উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু এই নামটি বেচে নিয়েছিলেন। প্রত্যেক সভায় বাংলাদেশের নাম বলেই বক্তৃতা দিতেন।তিনিই এদেশের রাজনীতিকে মধ্যযুগীয় ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক আবর্ত থেকে উদ্ধার করে আধুনিক ধর্মনিরপেক্ষ ধারায় প্রবাহিত করার উদ্যোগতা।অন্য আরো অনেকেই ছিলেন, "শেখ মুজিবের অবদান ছিল অনন্য।" বাংলাদেশের মানুষের সম্মিলিত ইচ্ছার ধারক বাহক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। যে জাতীয় চেতনার উন্মেষের ফলে আমাদের ছোট বেলার সময়কালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আবির্ভাব ঘটেছে, সেই জাতীয় চেতনার উন্মেষের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অবিস্মরণীয়।১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর বাঙালি মুসলমানদের রাজনৈতিক ও সমাজ চিন্তায় অভূতপূর্ব পরিবর্তন সাধিত করেছিলেন একমাত্র বঙ্গবন্ধু। পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী তার প্রতিই একক নেতা হিসেবে বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করেছিলেন। তাকেই বার বার জেলে পুরেছেন,তাঁরজন্যই আগরতলা মামলা সাজিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেছিলেন। ২৫ শে মার্চ তাঁকেই বন্দী করে পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিয়েছিলেন। ৭ই মার্চের স্বাধিনতার দিক নির্দেশনামুলক ভাষন শুধু বঙ্গবন্ধুই দিয়েছিলেন।লাখো জনতা সে দিন বঙ্গবন্ধু কি বলেন সেই দিকেই মনোনিবেশ রেখেছিলেন।তিনিই বজ্রকন্ঠে বলেছিলেন, "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।" ৭০ এর সাধারন নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ মাত্র দুইটা আসন ব্যতিরেকে তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তানের সব কয়টি আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনিই বাঙ্গালী জাতির একক নেতৃত্বদানকারি নেতা হিসেবে দেশে বিদেশে স্বীকৃত ছিলেন। ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে তিনিই স্বাধীনতা ঘোষনা করেছিলেন।অব্যবহিত পরেই তাঁকেই বন্দি করে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়েছিল সামরীক জান্তা।তাঁকেই বন্দি করে কারাগারের অভ্যন্তরে বিচারে ফাঁসীর রায় দিয়েছিল। তিনিই মুক্তিযুদ্ধের নয়মাস কারাগারে ছিলেন। বিশ্ব মিডিয়া ২৬/২৭ তারিখ বারবার প্রচার করেছিল,"২৬শে মার্চ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেছেন। তাঁর অনুপস্থীতিতে বাঙালীরা পাকিস্তান্যি সেনাবাহিনীকে পদে পদে প্রতিরোধ শুরু করেছে।" বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত একমাত্র ব্যাক্তি তাজ উদ্দিনের সঙ্গেই ভারতের প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী প্রথম আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এবং আলোচনায় বসেছিলেন।স্বাধীনতার পর পাকিস্তানী কারাগার থেকে মুক্তির পর দেশে আসার প্রাক্কালে বৃটেনের বিশেষ বিমান তাঁর জন্যই পাঠিয়েছিলেন। তাঁকেই বিভিন্নদেশ অভিনন্দন পত্র দিয়েছিল। বিমানের যাত্রা বিরতিতে তাঁকেই বাংলাদেশের জাতির জনকের মায্যদায় বিদেশী রাষ্ট্র সমুহ বিমান বন্দরে অভ্যর্থনা জানিয়েছিল। তাঁর ডাকেই মুক্তিযুদ্ধারা তাঁরই পায়ের নীছে অস্ত্র সমর্পন করেছিল।তাঁর ডাকেই মুক্তিযোদ্ধারা দেশ গঠনে ঝাপিয়ে পড়েছিল। তিনিই রাজাকার আলবদরের বিচারের জন্য আন্তজাতিক যুদ্ধাপরাধী ট্রাইবোনাল গঠন করে বিচার কায্য শুরু করেছিলেন।তাঁর সরকারের সাথে চুক্তি করেই পাকিস্তানী বন্দি সেনাসদস্যদের ফিরিয়ে নিয়ে বাঙ্গালী বেসামরিক বাসিন্দাদের ফেরৎ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের সারকার।তাঁর সরকারকেই বিশ্ববাসি স্বীকৃতি দিয়েছিল,তাঁর নামেই বিদেশী সরকার সমুহ উপঢৌকন পাঠিয়ে মৈত্রীচুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিলেন। "তিনিই বাংলাদেশের জাতির জনক। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাঙ্গালী জাতির মুক্তিদাতা, স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, বাঙ্গালী জাতীয়তা বোধের উম্মেষকারী,স্বাধীন বাংলা দেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান"। ♥♥♥♥♥♥♥♥♥ জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু

ছবি

ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সরকারের উদ্যোগ--জন বিচ্ছিন্ন বিরুদী দলকে উজ্জিবীত করতে পারেনি-- ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ এবারই প্রথম সরকার এবং নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠ ও গ্রহনযোগ্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য বেশ কিছু নতুন রীতিনীতি প্রয়োগ করতে যাচ্ছেন।দলীয় মনোনয়নে স্থানীয় নির্বাচনে অভিজ্ঞতা না থাকায় সাধারনে কিছু ভুল বুঝাবুঝি আছে। তা কাটিয়ে উঠার জন্য সরকার আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করছে- সাধারনে দৃশ্যমান করার জন্য বেশ কিছু তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন নির্বাচন কমিশন। দেশের বিরুদীদলের নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা, দোদল্যমানতা, মনোবল, দলের প্রতি আন্তরীকতা, দীর্ঘদিন ক্ষমতা না পাওয়ার আশংকা, সংগ্রামী লড়াকু মনোভাবের ঘাটতি হেতু নির্বাচন প্রতিযোগিতা মুলক হবে বলে মনে হয়না। দেশের কোথাও সংঘটিতভাবে বিএনপির প্রর্থীরা মনোনয়ন দাখিলের খবর পাওয়া যায়নি। এই সুযোগটি সরকারি দলের নেতৃবৃন্দ বেশ ভাল ভাবেই কাজে লাগানোর চিন্তায় আছেন। ইতিমধ্যে নীজেদের আত্মীয় স্বজনকে মনোনয়ন দিয়ে মাঠে নামিয়েছেন। গ্রহনযোগ্যতার অভাবে তাঁরাও নির্বাচনী আমেজ আনতে সক্ষম হচ্ছেননা। সর্বত্র আনন্দঘন পরিবেশের স্থলে বিস্বাদময় পরিবেশ বিরাজমান। সরকারি দলের প্রভারের বিপরীতে কোথাও কোথাও নিয়মতান্ত্রীক প্রতিবাদের সুযোগ থাকা সত্বেও বিচ্ছিন্ন ভাবে চোরাগুপ্তা হামলা চালানোর খবর পাওয়া যাচ্ছে। নীতি নৈতিকতাহীন নেতৃত্ব জনসম্পৃত্ত কর্মসুচিতে ভয় পেয়ে নির্বাচন কমিশনের অফিস ভাংচুরের মত সরকারি সম্পদ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এদিকে সরকার এবং নির্বাচন কমিশন সর্বশক্তি নিয়োগ করেও ফললাভ হবে বলে মনে হয়না।নিস্তেজ বিরুদীদলকে সতেজ করে নির্বাচনী মাঠে নামানোর সরকারি উদ্যোগ যথাযথ হলেও তৃনমুলের নেতৃত্বে কোন প্রভাব রাখতে সক্ষম হচ্ছেনা। সর্বত্র গাবাঁচিয়ে চলার মনোভাবের রোগে ধরেছে বিরুদীদলের তৃনমুলে। কেন্দ্রীয়ভাবে নেতিবাচক প্রচারনা বন্ধ করে কর্মী উজ্জিবীত করার প্রক্রিয়া গ্রহন না করা পয্যন্ত বিএনপিকে দিয়ে আর নির্বাচন,আন্দোলন,সংগ্রাম কিছুই সম্ভব হবেনা।নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক নেয়া কতেক পদক্ষেপ তুলে ধরছি----- (১) প্রথমধাপের দু’টি ইউপির ভোট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। উচ্চ আদালতের নির্দেশে দু’টি ইউপির ভোট বাতিল করা হয়েছে। ইউপি দু’টি হলো-ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার মুজিবনগর ও লালমোহন উপজেলার রামগঞ্জ। (২) গত ১১ ফেব্রুয়ারি ৭৫২টি ইউপির তফসিল ঘোষণা করে ইসি। এর মধ্যে নানা জটিলতায় ১৪টি ইউপির ভোট বাতিল আগেই করা হয়। বর্তমানে ৭৩৬টি ইউপিতে ২২শে মার্চ ভোট হবে। (৩) দ্বিতীয় ধাপে একটি ইউপির ভোট বাতিল করা হয়েছে। সেটি হলো-চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষীপুরমডেল ইউপি। (৪)আগামী ৩১ মার্চ ওই ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা ছিল। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৬৮৪টি ইউপির তফসিল ঘোষণা করা হয়। (৫)বিভিন্ন কারণে ১২টি ইউপির তফসিল বাতিল করা হয়। বর্তমানে ৬৭১টি ইউপি ভোট হবে। (৬) আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন উপলক্ষে আট উপ-সচিবের নেতৃত্বে মনিটরিং টিম গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। (৭)এই টিমের সঙ্গে ইসি সচিবালয়ের ২৬জন কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে উপ-সচিব সামসুল আলমকে চট্টগ্রাম বিভাগ, আবুল কাসেমকে ঢাকা বিভাগ, ইসরাইল হোসেনকে ময়মনসিংহ বিভাগ, মো. মতিয়ার রহমানকে বরিশাল ও সিলেট বিভাগ, ফরহাদ আহম্মদ খানকে রাজশাহী বিভাগ, আব্দুল ওয়াদুদকে খুলনা বিভাগ এবং রকিবউদ্দিন মন্ডলকে রংপুর বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। (৮) ইসি সচিবালয়ের উপ-সচিব (আইন) মহসিনুল হককে আইনি দিকগুলো পর্যালোচনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন। (৯) এবার ছয় ধাপে ইউপি ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৭৩৬ টি ইউপির ভোট হবে ২২ মার্চ। এরপর ৩১ মার্চ ৬৭২টি ইউপি, ২৩ এপ্রিল ৭১১টি ইউপি, ৭ মে ৭২৮টি ইউপি, ২৮ মে ৭১৪টি ইউপি এবং ৪ জুন ৬৬০টি ইউপিতে ভোট হবে। উপরে উল্লেখীত পদক্ষেপ সমুহ নি:সন্দেহে সরকারের সুষ্ঠ নির্বাচনের ইঙ্গিতবহ। অতীতে কখনই এই পদক্ষেপ সমুহ নেয়া হয়নি। তথাপি বিএনপি সহ অন্যান্ন বিরুদীদলের নেতাকর্মীদের ভোটে অংশগ্রহন করার এবং দলবদ্ধ প্রচারনায় উৎসাহ যোগাতে পারেনি। বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নমিনেশন প্রাপ্ত নেতারা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে আঁতাতের মাধ্যমে ভোটের লড়াই থেকে সরে যাচ্ছে। এমতবস্থায় ভোটের আমেজ ধংস হয়ে নিস্তেজ, অনানন্দদায়ক, নির্বাচন প্রহসনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বিএনপি সরকারে যেমন ব্যর্থ্যতার ষোলকলা পুর্ন করে মঈন-ফকরুলদের মত ষড়যন্ত্রকারিদের ক্ষমতায় ঢেকে এনে নীজেদের দলীয় বিপয্যয়ের পথ পরিষ্কার করেছিল। বিরুধী দলের ভুমিকা পালন করতে গিয়ে সন্ত্রাস, বোমাবাজি, মানবতা বিরুধী অপরাধীদের পক্ষ নিয়ে জন সম্পৃত্ততা হারিয়ে গনতন্ত্র, নির্বাচন, আন্দোলন, সংগ্রামকেও বিপদাপন্ন করে তুলেছেন। নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্ধিতা না করলে, জনগনকে সম্পৃত্ত করে ভোট যুদ্ধে না নামলে নির্বাচন কমিশনের বা সরকারের কি করার আছে।এমতবস্তায় বিনাপ্রতিদ্বদ্ধিতায় নির্বাচিত হওয়ার কালচার শক্তভাবে শিকড় গেঁড়ে বসার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায়না। সরকারি দলের মাঠকর্মীরা চাইবেই প্রভাব বিস্তার করে নির্বাচিত হতে। সকল সরকারের সময়ে এহেন পাশ্চাত্যের গনতন্ত্রে প্রভাব বিস্তারের ভুমিকা পরিলক্ষিত হয়েছে। তখনকার বিরুদীদলের অনড় ভুমিকার কারনে উজ্জিবীত নেতাকর্মী ভোটে ঝাপিয়ে পড়েও কারচুপি, ভোট ডাকাতি অনেক ক্ষেেত্রে প্রতিহত করতে পারেনি। অনস্বীকায্য ভাবে জোর, জবরদখল, হানাহানি, মারামারির মত অনভিপ্রেত ঘটনা সমুহ ঘটেছে। বর্তমানে চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরুদীদলের কেন্দ্রীয় পয্যায়ে নেতীবাচক প্রচার, ব্যার্থ্য আন্দোলনের খতিয়ান, পেট্রোল বোমায় মানুষ পুড়িয়ে মারার মত নেতিবাচক কর্মকান্ড বলবৎ থাকা অবস্থায় তৃনমুলের নেতৃবৃন্দ উজ্জিবীত থাকার প্রশ্নই আসেনা। সুতারাং যা হওয়ার তাই হবে, নির্বাচন একতরফা, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হওয়ার উদাহরনই সৃষ্টি হবে। সরকার বা নির্বাচন কমিশন যতই উদ্যোগ নিবে কোন লাভ হবেনা--.। ♥♥♥♥♥♥♥♥♥ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥দেশরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা♥