পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
ছবি

আওয়ামী লীগ আধুনিক ও গতিশীল বিএনপি সেকেলে ও গতানুগতিক

ছবি

কলামটি শেখ হাসিনার জম্মদিন উপলক্ষে উৎসর্গ করা হল। ********************************************** হাসিনা সরকারের "সুশাষন ও কল্যান রাষ্ট্র বিনির্মাণ"--অন্ধজনের গনতন্ত্র রক্ষা। ___________________________________________________ “সুশাসনে তথ্য ও প্রযুক্তি” খাতে পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যান্ত সম্মানিত:- জয়।" জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বাংলাদেশের 'প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার সুযোগ্যপুত্র 'আই সিটি বিশেষজ্ঞ' 'প্রধান মন্ত্রীর আই সি টি বিষয়ক "অবৈতনীক উপদেষ্টা" বাংলা দেশের গর্ব "বিনয়ীও নম্র'' একান্ত দেশপ্রেমিক জনাব "সজিব ওয়াজেদ জয়"পারিবারিক প্রথাগত নম্রতা আর বিনয়ের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এই বিবৃতিতে।নিম্নে তাঁর দেয়া বিবৃতিটি হুবহু তুলে দিলাম। ”আমাদের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচির জন্য "সুশাসনে তথ্য ও প্রযুক্তি” খাতে পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যান্ত সম্মানিত ও বাধিত” বলে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা' সজীব ওয়াজেদ জয়।" তিনি স্ট্যাটাসে আরও লিখেন, ”প্রকৃতপক্ষে এ পুরস্কার আমাদের আওয়ামী লীগ সরকারের সকল সদস্যের জন্য সর্বজৈষ্ঠ মন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের প্রকৌশলীবৃন্দ, সকলেই ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণাটিকে সাদরে গ্রহণ করেছেন”। জয় আরও লিখেন, ”সেইসাথে তা বাস্তবে রূপ দিতে অক্লান্তভাবে কাজ করে চলেছেন। সুশাসন ও নাগরিক সেবার উন্নতিসাধনে 'তথ্যপ্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের প্রয়োগে' আজ বাংলাদেশকে 'পথিকৃৎ ও অগ্রগণ্য' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে অবদান রাখতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত। উল্লেখ্য, সোমবার নিউইয়র্কের হোটেল মিলিয়েনিয়ামের রিভারভিউ সম্মেলন কক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তিনি ‘আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ এ ভূষিত হন। হলিউড অভিনেতা রবার্ট ডেভি জয়ের হাতে এই পুরষ্কার তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন তার "মা" 'বাংলাদেশের 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন তিনি "সজিব ওয়াজেদের' মা হ'তে পেরে গর্ব অনুভব করছেন। সম্মানিত পাঠক বন্ধুরা জয়ের বিবৃতিটি লক্ষ করুন--"সুশাষনের জন্য" তথ্য ও প্রযুক্তি"র সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্যই তিনি আন্তজাতিক ভাবে প্রথম প্রবর্তিত পুরষ্কারটি প্রথম পেয়েছেন।" বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের 'প্রচার ও প্রকাশনা সেল" "বাংলাদেশের মিডিয়া সমুহ" "সরকারের মন্ত্রীবর্গ" উল্লেখিত বিষয়টিকে শুধুমাত্র "তথ্য ও প্রযুক্তিতে" পুরষ্কার হিসেবে দায়সারা প্রচার করে দায়িত্ব শেষ করেছেন। বিষয়টির গভীরে অন্তনিহীত তাৎপয্য "সু-শাষন" শব্দটিকে কৌশলে এড়িয়ে সরকারের শাষন ব্যবস্থাকেই খাটো করে দেখার চেষ্টা করেছেন।কুচক্রি মহল কতৃক বিকৃত অপপ্রচারের বিপরীতে "সুশাষন প্রতিষ্ঠার প্রানান্তকর চেষ্টার নিমিত্তে 'সজিব ওয়াজেদ জয়' কতৃক উদ্ভাবীত "ডিজিটিলাইজেসন" আন্তজাতিকভাবে প্রসংশীত হওয়ার ফলে তিনি উল্লেখিত পুরষ্কারে ভুষিত হলেন। যে বিষয়টি সর্বাজ্ঞে প্রচার পাওয়ার প্রয়োজন ছিল "সুশাশন" সেই বিষয়টিকেই বাদ দিলেন মিডিয়া এবং আওয়ামী লীগের প্রচার সেল।" বিষয়টি রাজনৈতিক সচেতন মহলকে বিস্মিত না করে পারেনা। এই প্রসংঙ্গে আর একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই,- গত কিছুদিন আগে "টি আই বি' কতৃক আয়োজিত 'সর্বাদিক দুর্নীতি গ্রস্ত' দেশের সুচক নির্ণয় ও প্রকাশনার' নিমিত্তে আয়োজিত সভায় 'সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা 'বেগম সুলতানা কামাল' তাঁর বক্তব্যে বলেন ' দেশের আকাশচুম্ভি উন্নয়ন হলেও গনতন্ত্রের অনুপস্থীতি জনগন মেনে নিবে কিনা ভাববার সময় এসেছে"।বেগম সুলতানা কামাল নি:সন্দেহে অনেকের নিকট প্রতিষ্ঠিত একজন বুদ্ধিজীবি এবং 'জৈষ্ঠ শুশীল সমাজের' আওতাভুক্ত।তাঁদের শুসীল শীষ্যদের একাংশ প্রতিনিয়ত 'উন্নয়ন অগ্রগতি'র চিত্রকে খাটো করে দেখানোর প্রানান্তকর চেষ্টার বিপরীতে উল্লেখীত বক্তব্যটি "মারাণাস্ত্র" হিসেবে কাজ করতে পারত।কিন্তু আমাদের 'মিডিয়া এবং আওয়ামী লীগের প্রচার সেল' বর্তমান সরকারের 'বিরুদ্ধবাদী প্রতিষ্ঠিত এই বুদ্ধিজীবির' বক্তব্যটিকে কোড করেননি। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই- "বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শাষন ব্যবস্থাকে আন্তজাতিক মহল "সু-শাষন" হিসেবে চিহ্নিত করে সরকার 'প্রধান এবং সরকারের ভিতরে বিশেষ অবদান রাখা ব্যাক্তিবর্গ'কে আন্তজাতিক পুরষ্কারে ভুষিত করে 'স্বীকৃতি' দিয়ে উৎসাহীত করে যাচ্ছে।"অন্যদিকে সমালোচকদের মুখেও "ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তেনা প্যাঁচিয়ে" স্বীকার করে নিচ্ছেন যে, "অভাবনীয় উন্নয়ন অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে।" সম্মানীত পাঠকবর্গ দেশের"সু-শাষন" এবং "উন্নয়ন অগ্রগতি" দৃশ্যমান থাকাবস্থায় গনতন্ত্রের অনুপস্থীতি কিভাবে থাকে?উভয়ের প্রথম এবং প্রধান শর্তই হচ্ছে "গনতন্ত্র"। ইহা আমার বিশ্লেষন নয়--"রাজনীতি বিজ্ঞানের বিশ্লেষন।" আমাদের জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন যে-- "শুধুমাত্র নির্ভেজাল জাতীয় নির্বাচন একটি দেশের গনতন্ত্রের উপস্থীতি-অনুপস্থীতি নির্ণয়ের মুর্খ্য বিষয় নয়-'নির্বাচন অনুসঙ্গ মাত্র।' বিদ্যমান রাজনৈতিক দল সমূহের মধ্যে বৃহৎ বা ক্ষুদ্রাংশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিলে গনতন্ত্রের শুন্যতা আছে "এইরুপ চিন্তা চেতনা ধারনকারিরা ষড়যন্ত্রের কীট মাত্র"। রাষ্ট্রের বহু অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্যে ''নির্বাচন ' একটি অনুষঙ্গ' মাত্র 'অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গ' নয়।" গনতান্ত্রিক দেশের "নির্বাচন ক্ষমতাবদলের চিরন্তন নিয়মাতান্ত্রিক পদ্ধতি - অস্বীকারের কোন উপায় নেই। কিন্তু "নির্বাচনে ভারসাম্য রক্ষার জন্য সমশক্তি সম্পন্ন রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব অপরিহায্য" ইহাও অস্বীকারের কোন উপায় নেই। বর্তমান সরকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার।জাতির জনকের আদর্শে লালিত সংগঠন এবং তাঁরাই জৈষ্ঠকন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে।বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষে দিবারাত্র পরিশ্রম করে দেশ ও জাতির জন্য জাতীয় ও আন্তজাতিক খ্যাতি অর্জনের মাধ্যমে 'জাতিকে মার্য্যদা -দেশকে উন্নয়ন অগ্রগতির' শীর্ষে নিয়ে যাচ্ছেন।কুচক্রিমহল শত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শচ্যুত করতে পারেননি। তাঁর একমাত্র পুত্র প্রধান মন্ত্রীর "অবৈতনিক উপদেষ্টা" হয়েও জাতির জন্য নিয়ে এসেছেন "সুশাষনের ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার'' এর উপর 'প্রথম প্রবর্তীত প্রথম আন্তজাতিক স্বীকৃতি'।এর চেয়ে বিরল সম্মান আর কি হ'তে পারে? জাতি হিসেবে আমরা এতই অকৃতজ্ঞ যে -দেশের অভ্যন্তরে বাস করেও 'তাঁর কাজের মুল্যায়ন দুরের কথা-" বিদেশীদের মুল্যায়নের যথাযথ প্রচারেও অবজ্ঞা আর অবহেলা করছি।প্রচার যদিও যৎকিঞ্চিত করি-'তাও ভুলে ভরা আগোছালো'। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে তিনি অত্যান্ত মনোকষ্টের কারনেই ''সরকারের জৈষ্ঠ মন্ত্রী এবং আমলাদের প্রসংশা" করে স্বভাব সুলভ "নম্রতা আর ভদ্রতা" সহকারে উক্ত বিবৃতিটি-"তাঁর নিজস্ব পেইজবুক পেইজে পোষ্ট করেছেন।" "জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"

ছবি

নব্য জামায়াতি জঙ্গিদের মুলনীতি--মুসলিম হত্যা,নারী জঙ্গিদের সঙ্গে যৌন লীলা।

ছবি

"সজীব ওয়াজেদ জয়ে"র পুরষ্কার প্রাপ্তি-অপ্রকাশীত দূ'টি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়------- ________________________________________ জাতীর জনকের দৌহিত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনার একমাত্র 'পুত্র সন্তান জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়' 'আই,সি,টি' খাতের উন্নয়ন এবং বাংলাদেশকে 'ডিজিটালাইজেসনের' ক্ষেত্রে গুরুত্ব পুর্ণ অবদানের জন্য 'আন্তজাতিক মানসম্পন্ন' এই বছর 'প্রথম প্রবর্তীত' পুরস্কারে ভুষিত হয়েছেন। ‘আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ হাতে সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা 'সজীব ওয়াজেদ জয়' গতকাল সোমবার ‘আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেছেন। ডিজিটাল বিশ্বের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা রবার্ট ডেভির হাত থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন জয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বাংলাদেশ সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অব গভর্নেন্স অ্যান্ড কম্পিটিটিভনেস, প্ল্যান ট্রিফিনিও, গ্লোবাল ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাটের নিউ হেভেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেস সম্মিলিতভাবে এই পুরস্কার দিয়েছে। পুরস্কারটি 'পরবর্তী সময়ে প্রতিবছর প্রদান করা হবে'। বাংলাদেশের পত্রপত্রিকা এবং আন্তজাতিক মিডিয়া সমুহে খবরটি গুরুত্ব সহকারে প্রচারীত হচ্ছে।এই পুরষ্কার প্রাপ্তির পিছনে আরো দু'টি গুরুত্ব পুর্ণ তথ্য কোন সংবাদ মাধ্যমে তেমন ফলাও করে প্রকাশ করছে না। প্রথমত: অনেক নামিদামি কলামিষ্ট তাঁদের লেখনীতে গুরুত্ব সহকারে একটি বিষয় বলতে চাইতেন যে, "প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় অন্য সকল মন্ত্রনালয় কেন্দ্রিক উপদেষ্টাদের চাইতে কয়েকগুন বেশী বেতনভাতা সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন করেন।"কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বলেই উক্ত টাকা তিনি নামমাত্র উপদেষ্টার খাতায় নাম লিখে টাকা উত্তোলন করে বিদেশে আরাম আয়েশে জীবন যাপন করছেন। দ্বিতীয়ত: জয়ের প্রাপ্ত আন্তজাতিক পুরষ্কারটি এই প্রথম চালু করেছেন উল্লেখীত কতৃপক্ষ। এখন থেকে প্রতিবছর উক্ত বিষয় বিশ্বের দেশে দেশে 'শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী'কে নিয়মিত উল্লেখীত পুরষ্কারটি দেয়া হবে।প্রথম প্রবর্তিত পুরষ্কার বাংলাদেশ সরকারের অংশ জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় পেলেন! বাংলাদেশ সরকারের জন্য উক্ত বিষয়টি এবং তৎসংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়টি একেবারেই নতুন।সরকার প্রধানের আইসিটি উপদেষ্টার পদটিও বাংলাদেশের জন্য সৃষ্ট নতুন একটি পদ।তাবৎ দুনিয়ার আইসিটি বিশেষজ্ঞদের পেছনে ফেলে 'সজীব ওয়াজেদ জয়' উক্ত পুরষ্কারটি প্রথম বছরই দখল করতে সক্ষম হলেন। কত বেশী গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখায় তিনি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হলেন-সমালোচকেরা কি ব্যাখ্যা দিবেন?এর চেয়ে গৌরবের বিষয় বাংলাদেশের জন্য আর কি হতে পারে, তাঁরা কি বলবেন ? প্রথমোক্ত বিষয়টি নিয়ে স্বনামধন্য "কলামিষ্ট এবং টকশোর" রাতের কোকিলেরা কোন প্রকার তথ্য যাছাই করা ছাড়াই প্রতিনিয়ত অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন যে- 'সজীব ওয়াজেদ জয়' নামমাত্র উপদেস্টায় নাম লিখিয়ে দ্বিগুন তিনগুন বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। প্রকৃত সত্য হচ্ছে জাতির জনকের দৌহিত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র ছেলে জয় তাঁর উপদেষ্টা পদের "বেতন ভাতাতো গ্রহন করেনইনা তাঁর মন্ত্রনালয়ে যাওয়া আসার জন্য বরাদ্ধকৃত গাড়ীর জ্বালানীও সরকারি পোল থেকে গ্রহন করেন না। "সর্বশেষ তথ্য হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজনে নীজ কর্মস্থল ছেড়ে আসার "এয়ার টিকেটের টাকাও সজীব সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন করেন না। নামমাত্র উপদেষ্টা হয়ে কি আন্তজাতিক পুরষ্কার পেতে পারে? জাতির জনকের পরিবারে জম্মনেয়া প্রতিটি সদস্য -যিনি যেখানে কর্মরত: আছেন তিনি সেখানেই সমগ্র মানব জাতির জন্য অবদান রেখে চলেছেন।প্রত্যেকেই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে উজ্জ্বল নক্ষত্রের ন্যায় আলো ছড়িয়ে বাঙ্গালী জাতীকে আলোকীত করে চলেছেন। বাংলাদেশকে পৌঁছে দিচ্ছেন গৌরবের শিখরে। টুঙ্গীপাড়ায় এই পরিবারটির জম্মই হয়েছিল অকৃতজ্ঞ বাঙ্গালী জাতীকে শুধু দেয়ার জন্য।সাগরসম রক্ত অকাতরে বিলিয়ে দিয়েও 'তথাকথিত অকৃতজ্ঞ বাঙ্গালী'দের সমালোচনার মুখ বন্ধ করতে পারেনি। পরিবারের প্রতিটি সদস্য 'অবতৈনীক দিবানীশি পরিশ্রম' করে জাতিকে প্রতিবছরই একাধিক গৌরবের মকুট পরালেই কি আর সমালোচনা বন্ধ করা যাবে? 'জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

ছবি

রুপপুর পারমাণবিক মেঘা প্রকল্প--আমলাদের হরিলুটের উর্বর ক্ষেত্র। ০______________________________________________ বর্তমান সরকারের সমুদ্র বিজয়, সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়ন, পদ্মা সেতু নির্মান, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মানের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আরো একটি যুগান্তকারি সাফল্যের পালক যোগ হতে চলেছিল-আর তা হচ্ছে বর্তমান জাতির জনকের কন্যার সরকারের "পারমানবিক প্রকল্প বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহন ও অর্থ যোগান দেয়ার বাস্তব মুখী পদক্ষেপ গ্রহন"। পত্রপত্রিকার খবর অনুযায়ী দেশ ও জনগনের ভবিষ্যত বিদ্যুৎ চাহিদা পূরনের নিমিত্তে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আবারও বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সুচুতুর আমলারা। তাঁরা অন্যসব প্রকল্পের লুটপাটের ধারাবাহিকতায় রুপপুর পারমানবিক মেঘা প্রকল্পকেও ''আরাম আয়েসের স্বর্গ রাজ্য'' বানানোর উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে অপ-তৎপরতা শুরু করেছে। প্রাথমিক পয্যায়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও মন্ত্রী বাহাদুর যদি "যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহন না করেন- ব্যাংক লুট, শেয়ারবাজার ষড়যন্ত্র, পদ্মাসেতু ষড়যন্ত্রের ন্যায় অচিরেই আরো একটি নেতিবাচক উদাহরনের সম্মুখীন হতে হবে বাংলাদেশ সরকার ও জনগনকে।" আমি নিন্মে ক্ষুদ্র পরিসরে উইকিপিডিয়া এবং পত্রপত্রিকার বিশ্লেষনধর্মী তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষনের যৎকিঞ্চিত চেষ্টা করেছি মাত্র।আশা করি সকলের বোধদয়ের জন্য নিম্নের আলচনাটি যথেষ্ট না হলেও কিঞ্চিত ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের পাবনায় রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পাধীন একটি সরকারী উদ্যোগ। বিদ্যুতের চাহিদা সরবরাহ নিশ্চিত পরিকল্পনায় ১৯৬১ সালে পাবনায় রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সহায়ক প্রকল্পের বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, কর্মকর্তাদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণসহ অত্যাধুনিক বাসস্থান গড়ে তোলা হয়েছিল।[১] ১৯৭১ সালের পরেই অর্থের অভাবে পরিত্যক্ত হয় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।[২] ইতিহাস সম্পাদনা:- ঈশ্বরদী থানার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রথম পরিকল্পনা শুরু হয় ১৯৬১ সালে। [২] সেজন্য ২৬০ একর জমিও অধিগ্রহণ করা হয়। ২০০৮ সালে তৎকালিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রকল্পটি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। ২০১১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সঙ্গে একটি প্রাথমিক চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, রাশিয়া সরকারের সহায়তায় রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিট স্থাপন করা হবে। প্রতিটি ইউনিট এক হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন।[১] চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়া পারমাণবিক চুল্লির আজীবন জ্বালানি সরবরাহ করবে ও বর্জ্য বা স্পেন্ট ফুয়েল সেদেশে নিয়ে যাবে। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে দক্ষ জনবল তৈরিতেও রাশিয়া প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে এবং তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়ও দেশটি সহায়তা দেবে। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে ৫ বছর মেয়াদী ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অন কো-অপারেশন ইন দ্য ফিল্ড অব দ্য ইউজ অব নিউক্লিয়ার পাওয়ার ফর পিসফুল পারপাজেস শীর্ষক চুক্তি অনুসারে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।[৩] বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পাদনা:- রূপপুরের ২টি কেন্দ্র থেকে মোট ২,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে৷[১] নির্মান ব্যয় সম্পাদনা কেন্দ্র ২টি নির্মাণে ৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷[১] তথ্য সুত্র:উইকিপিডিয়া: ^ উল্লেখিত তথ্যসুত্র সকলের অবগতির জন্য উল্লেখ করা হল।এখানে আমার কোন আপত্তি বা অভিযোগের বিষয়াদি নেই।বিষয়টি হচ্ছে এই মেঘা প্রকল্পকে পুঁজি করে একশ্রেনীর আমলা লুটপাটের যে চকে সরকারকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন সে সম্পর্কে উদ্ভেগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলের গোচরে নিয়ে আসা। পত্রপত্রিকার খবর অনুযায়ী-- রূপপুর প্রকল্পকে পুঁজি করে বিশাল সংখ্যক পদস্থ আমলা ইতিমধ্যে রাশিয়া ভ্রমণ সমাপ্ত করেছেন। এ প্রসঙ্গে আলোচনার আগে রূপপুর আণবিক প্রকল্প নিয়ে অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার কিছু কথা বলা দরকার। রূপপুর পাবনা জেলার ঈশ্ব^রদী উপজেলায় অবস্থিত। তবে এর প্রকৃত অবস্থান পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কাছে রেলওয়ে নগর পাকশী থেকে কাছে। ষাটের দশকের প্রথম দিকে এই প্রকল্পের নাম শোনা যায়। সে সময় তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন ড. আই এইচ ওসমানী। তিনি বৈজ্ঞানিক। তবে কর্মজীবন শুরু করেন ভারতের এলিট সিভিল সার্ভিস আইসিএস হিসেবে। পাকিস্তানে পরবর্তীতে তারা 'আইসিএস' 'সিএসপি' নামে পরিচিত হয়।বাংলাদেশ স্বাধীনের পর সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আবশ্যকীয় হিসেবে প্রযোজ্য "বিসিএস" ক্যাডার সার্ভিস" হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ড. ওসমানী আণবিক শক্তি কমিশনের দায়িত্ব নেয়ার পর পাকিস্তানের আমলাদের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তার কর্মসূচিতে তারা পদে পদে বাধা দেন। এক পর্যায়ে তিনি বিরক্ত হয়ে প্রকাশ্যে বলেছিলেন যে, ইঁৎবধঁপৎধঃরপ ঋড়ংংরষ-দের জন্য কোনো কাজ করা যাচ্ছে না। এই রূপপুর প্রকল্পের তিনি উদ্যোক্তা ছিলেন। আমলাদের ষড়যন্ত্রের কারনে কিছু দিনের ভেতর তাকে সরে যেতে হয়। ইতোমধ্যে রূপপুর প্রকল্পের জন্য প্রাথমিক কাজ অর্থাৎ জমি হুকুমদখল করা হয়। বিরাট পরিমাপের জমি। জমির ক্ষতিপূরণ দেয়াকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ দুর্নীতি ঘটে,যা তৎসময়ের পত্রপত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছিল। এতে তৎকালীন পাবনার ডাকসাইটে আমলা কর্তব্যরত আমলা "জেলা প্রশাসক " আসামি হয়ে জেলে যেতে হয়েছিল। আইয়ুব আমলে জেলা প্রশাসকরা অত্যন্ত শক্তিশালী এবং আইয়ুবের নিকট তারা নীল আঁখির বালক ছিল। অথচ এই জেলা প্রশাসকের দুর্নীতি এত জঘন্য এবং বিশাল যে-- সেই পাবনা জেলায় দায়রা জজের কোর্টে আসামি হিসেবে তার বিচার এবং কয়েক বছরের জেল হয়। রূপপুর প্রকল্পের এই লিগ্যাসি জেনেও বর্তমানের স্বাধীন দেশের আমলারা সেই পথেই আবার পা বাড়াচ্ছেন।(তথ্য সুত্র:-ভোরের কাগজ ১৯/৯/ ২০১৬) ১৯৬০ ইং সাল হ'তে ১৯৯৬ ইং সাল মাঝখানে অনেক সরকার দেশ পরিচালনায় অংশ নিয়েছে। উক্ত জনস্বার্থ্য সম্পর্কীত প্রকল্পটি সম্পর্কে কোন তথাকথিত দেশপ্রেমিক সরকার সমুহ আদৌ কোন পদক্ষেপ নেয়নি এবং কি পরিত্যাক্তও ঘোষনা করেনি। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথম বার (১৯৯৬-০১) যখন দায়িত্ব গ্রহন করেন, তখন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ব্যাপারে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।দেশপ্রেমিক সরকার ছাড়া দেশ উন্নয়ন হয়না- তাঁরই জলন্ত দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পেলাম জাতির জনকের কন্যা যখন সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেন ১৯৯৬ ইং সালে। জোট সরকার ২০০১ ইং সালে ক্ষমতায় এসে পুনরায় "রুপপুর প্রকল্প" হিমাগারে পাঠিয়ে দেয়।২০০৬ ইং সালের পর সেনাশাষিত তত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে প্রকল্পটি নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করে এবং রাশিয়ার সাথে কয়েক দফা যোগাযোগ স্থাপন করে।অ-নির্বাচিত সরকার বিধায় রাশিয়া তেমনভাবে এগিয়ে আসেনি। ২০০৮ ইং সালে জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসেই অন্য সকল দেশ উন্নয়ন মুলক যুগপযোগী পদক্ষেপের পাশাপাশি "রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি" ভবিষ্যত বিদ্যুৎ চাহিদার প্রতি লক্ষ রেখে দীর্ঘমেয়াদী "বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্র" হিসেবে একনেক সভায় সরকার নীতিগতভাবে গ্রহন করে। প্রকল্পটি চালু ও অর্থের সংস্থানে সরকারের বহুমুখী কর্মতৎপরাতার ফলে "মুক্তিযুদ্ধের বন্ধুরাষ্ট্র রাশিয়া " সকল প্রকার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায়। (গত কয়েক দিন আগে খবর বেরিয়েছে যে, গত ৫ মাস এক ডজন সচিবসহ অন্তত পক্ষে একশ’ জন সরকারি কর্মকর্তা রাশিয়া ভ্রমণ করেছেন। হাজার হাজার ডলার ব্যয় করা হয়েছে রূপপুর পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প তহবিল থেকে। এমনকি অনেকে এই তহবিলের অর্থ দিয়ে অন্য মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাদেরও রাশিয়া পরিদর্শন করিয়েছেন।২০১৬ ইং এর ৩ মার্চ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ জন সরকারি প্রতিনিধি ইউরেশিয়ান দেশ সমুহ ভ্রমণ করেছেন। গত জুলাই মাসে দুইজন মন্ত্রী, সচিব ও সিনিয়র সচিবসহ বেশ কয়েকজন মস্কো গিয়েছেন। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিষয়ক সচিব সিরাজুল হক খান তাঁর আমলা সুলভ গৎবাঁধা জবাবে বলেছেন যে-"যারা গিয়েছেন তারা সবাই রূপপুর আণবিক শক্তি প্রকল্পের কাজে জড়িত"। এখানে আমি বিশেষ ভাবে উল্লেখ করতে চাইযে- এই পর্যন্ত যারা ভ্রমণে গিয়েছিলেন তাদের ভেতর " মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও তার একান্ত সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, রেল সচিব, জাহাজ চলাচল সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক সচিব, শিক্ষা সচিব, আইএমইডি সচিব এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব। আমাদের কি বিশ^াস করতে হবে, এদের সবাইকে যেতে হয়েছে প্রকল্পের স্বার্থে।"তথ্যসুত্র:- ইত্তেফপাক, প্রথম আলো,ভোরের কাগজ)। জুন মাসের ২৮ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সচিব সিরাজুল হক খান প্যারিস গিয়েছিলেন দ্বিতীয় নিউক্লিয়ার প্রদশর্নীতে এবং তার আগে ২৩ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত জেনেভাতে ইউরোপীয় নিউক্লিয়ার গবেষণা সংস্থার সম্মেলনে। এই পুরো ব্যয় বহন করা হয়েছে রূপপুর প্রকল্প তহবিল থেকে। সচিব তো কয়েক দিন পর সিনিয়র সচিব হয়ে অন্য মন্ত্রণালয়ে যাবেন। তিনি কী অবদান রাখবেন এই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে। তারপরও যদি প্রোটকল দাবি করে থাকে এ ধরনের সম্মেলনে একজন সচিবের যাওয়ার প্রয়োজন, তাহলে তার ব্যয়ভার বহন করবে মন্ত্রণালয়। রূপপুর প্রকল্প তহবিল কেন এই দায়িত্ব নেবে। বর্তমান সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৩ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশন রাশিয়ার সঙ্গে রূপপুর আণবিক শক্তি প্রকল্পের কাজ শুরুর জন্য ৫০.৮৭ বিলিয়ন টাকার একটি চুক্তি সই করে। গত জুলাই মাসের ২২-২৮ তারিখে বাংলাদেশের বৃহত্তম প্রতিনিধি দল মস্কো যান চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য। যার পরিমাণ মার্কিন ডলায় ১১.৩৬ বিলিয়ন। কয়েক ঘণ্টার চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার অজুহাতে বিরাট দলটি ছয় দিন কাটিয়ে এলেন মস্কোতে। সম্মানিত পাঠক, লক্ষ করলে দেখা যাবে যে, এটি প্রায় এক লাখ কোটি টাকার প্রকল্প। আর এ দেশে কোনো প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে এবং নির্দিষ্ট ব্যয়ে শেষ হওয়ার উদাহরন চোখে পড়েনা। অতএব সময় ও ব্যয় দুটোই বাড়বে। অবশ্য আপাতত বলা হয়েছে যে, ২০২৩-২৪ সালের ভেতর প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এটা মেগা প্রকল্প। উদারভাবে শুরু হয়েছে আমলাদের ভ্রমণ। এরপর হয়তো এভাবে শুরু হবে প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ এবং অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের বিভিন্ন তৎপরতা যার উদ্দেশ্য হবে কিছু পয়সা হাতিয়ে নেয়া-- প্রকল্পের কাজ দীর্ঘায়িত করে ফি বছর বাজেট বরাদ্ধ বৃদ্ধি করে নতুন উদ্যমে লুটপাটের ক্ষেত্র বহাল রাখা। উপসংহারে শুধু একটি কথাই বলতে চাই-সমুদয় ঋনের সুদাসল বাংলাদেশের জনগনই পরিশোধ করতে হবে।আমলাদের ভ্রমন বিলাসের জন্য জনগন ঋনেরভাবে ন্যুজ হ'তে প্রস্তুত নয়।উন্নয়ন মুলক কাজ সঠিক তদারকির অভাবে একশ্রেনীর মধ্যস্বত্বভোগি এবং আমলাদের যোগসাজসে লুটপাটের খেসারত জনগন আর কতকাল বহন করবে। বর্তমান সরকারের মেয়াদকালও কেবল কম নয়- অন্যকারও উপর দুষ চাপিয়ে বৈতরনী পার হওয়ার সময়ও শেষ হয়েছে অনেক আগেই।সুতারাং অযৌক্তিক ব্যায়ভার নিয়ন্ত্রন করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।এই দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার কোন পথ খোলা আছে বলে জনগন মনে করেনা।উপযুক্ত স্থানে উপযুক্ত লোক বসাতে নিশ্চয়ই ৭/৮ বছর সময় নেয়ার প্রয়োজন পড়েনা।

জামায়াতের নাম থেকে রাজনীতি সর্বত্রই শঠতা--নিষিদ্ধে বাঁধা কোথায়? ________________________________________________________________________ অনেকদিন থেকে কিছু লিখতে পারিনি নানাহ কারনে।অদ্য লিখতে বসে উপজিব্য বিষয় খুঁজতে গিয়ে মনের ভিতরে ভীতি এবং উৎকন্ঠার একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয় বারবার উঁকি দিয়ে জানান দিচ্ছে-"আমিই লেখার আবশ্যকীয় উপাদান"।আমাকে নিয়ে লেখ এবং ফ্যাসিষ্ট রাজনীতি থেকে সরলপ্রান ইসলাম ধর্মের অনুসারি এবং বাংলদেশকে রক্ষায় যৎকিঞ্চিত অবদান রাখার চেষ্টায় ব্রতি হও। যথোপযুক্ত নির্দেশনায় লেখায় ব্রতি হয়ে জামায়াতের উত্থান পর্বের শঠতা, রাজনৈতিক কর্মকান্ডে শঠতা, বাংলাদেশকে অদ্য পয্যন্ত স্বীকার না করেও রাজনীতি বহাল রাখা, ছাত্র সংগঠনের উৎপত্তি ও বিকাশ ইত্যাদি অনেকগুলী বিষয় মনের আঙ্গীনায় একত্রে জড়ো হয়ে "ট্রাফিক জ্যাম"করে দিয়েছে ভাবনা গুলীকে। সবগুলী বিষয় মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের জনমনে প্রতিনিয়ত দোলা দিয়ে যাচ্ছে-সময়মত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল সরকারে থেকেও কেন কোন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হচ্ছেনা"? প্রশ্নটি ইতিমধ্যে সর্বস্তরে ঘুরপাক হয়ে উত্তরের সন্ধানে একাধিক গভেষনাগারে নিরিক্ষার বিষয়বস্তুতে পরিনত হয়েছে। 'জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ' পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে 'বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম' (নির্বাচন কমিশনের কারনে) এবং তাঁদের রাজনীতি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে সরকার ধীরে চলনীতি গ্রহন করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের জনগনের উৎকন্টা বাড়িয়ে দিচ্ছেন।উচ্চ আদলতের সুনির্দিষ্ট রায় এবং জনগনের ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকা সত্বেও বিষয়টি সরকার তেমন জোরালোভাবে নিচ্ছেনা। ২০১৩ সালের ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ঐতিহাসিক রায় দেন আদালত। আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে সর্বস্তরের মানুষের দাবি ছিল, অবিলম্বে নিষিদ্ধ হোক জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি। কিন্তু এখনো দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়নি। আমরা যারা ৭১ পরবর্তি স্কুল, কলেজ, ইউনিভারসিটিতে পড়ুয়া ছিলাম-তাঁরা দেখেছি শিবির নামক ফ্যসিষ্ট ছাত্র সংগঠনটির উত্থান এবং তাঁদের প্রলোভিত কর্ম তৎপরতা। স্বচক্ষে দেখা সেই সমস্ত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নাগরীক বেশী বেশী উৎকন্ঠিত সরকারের প্রলম্ভিত জামায়াত শিবির নিষিদ্ধের কর্মতৎপরতায়। আমরা ভীত হয়ে পড়ি যখন মনে পড়ে শিবিরের কর্মী সংগ্রহের অভিনব প্রতারনা মুলক কর্মতৎপরতার মাধ্যমে কোমলমতি শিশু কিশোরদের মেধা ও মননে এবং তাঁদের ধ্যান ধারনায় ধর্মীয় অনুভুতিকে কাজে লাগিয়ে কৌশলে মগজ ধোলাইয়ের প্রক্রিয়া।যে প্রক্রিয়ায় শিশুদের অভিভাবকেরাও বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনা বা সুযোগ থাকেনা।কারন প্রশিক্ষিত শিবির ক্যাডারদের আচরনে অস্বাভাবিক নম্রতা শিশু কিশোরদের অভিভাবককেও তাৎক্ষনিক বিমুকদ্ধ করতে বেগ পেতে হয়না।চঞ্চল প্রকৃতির আদুরে ছেলেটি যখন মসজিদ মুখো হতে দেখা যায় তখন কোন অভিভাবকের ভাল না লেগে খারাপ লাগবে।ছেলটিকে যে ধর্মের নামে দিনে দিনে অ-ধর্মের দিকে টেনে নিচ্ছে ভদ্রবেশী মুখোশের অন্তরালে সঙ্গীয় ইবলিশ- সে বিবেচনা কয়জন অভিভাবকের মাথায় আসবে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানি হায়নাদের দোসর আলবদর-আলশামস ও রাজাকার বাহিনী তথা জমায়েতে ইসলামীর সকল অপকর্মের সহযোগী ছাত্র সংগঠনের নাম ছিল ইসলামী ছাত্র সংঘ। পরে ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের হত্যার পর জেনারেল জিয়ার ক্ষমতা গ্রহন করে জামায়েতের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় দুষিত ছাত্র সংগঠন 'ছাত্র সংঘের' নাম পরিবর্তন করে 'বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির' নামে ১৯৭৭ সালে এই সংগঠনটি পুরুজ্জিবিত করে। ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ইসলামী ছাত্র সংঘ নামে সংগঠনটি বাঙ্গালী নিরীহ মা-বোনদের ধর্ষণ, সংখ্যালঘু তথা মুক্তি যুদ্ধে অংশগ্রহনকারীদের মা-বাবা, ভাইবোন সহ যুদ্ধে অংশ নেওয়া মুক্তিযুদ্ধাদের হত্যা, লুটপাট, ঘরবাড়ি জ্বালানো এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারীদের ঠিকানা ও নানা তথ্য দেয়া ও নানা স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ডে অসামান্য অবদান রেখেছিল। ৭১’এ বুদ্ধিজীবী হত্যাযজ্ঞে তৎকালীন এই ছাত্র সংঘঠনটির সক্রিয় অংশগ্রহন ছিলো অসামান্য অবদান।১৯৭১ সালের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখে ১৯৭৭’এ নতুন নামে অর্থাৎ “ নতুন বোতলে পুরোন মদ” এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে মাঠে নামে নতুন উদ্দমে “ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির"।মানব সভ্যতাকে ভুলুন্ঠিত করার ক্ষেত্রে ফ্যাসিষ্ট রাজনৈতিক 'জামায়াতে ইসলামী দলের সহযোগী ছাত্র সংগঠনটির তুলনাই হতে পারেনা। যেমন গুরুদের কর্ম তেমনি তাঁদের শিষ্যদের বাধ্যবাধকতার অনুসরন। শিবিরের প্রাথমিক লক্ষ্য হল মাদ্রাসা এবং স্কুলের কোমলমতি শিশুদের মাঝে ইসলামের ভয়-ভিতি এবং স্বল্প মুল্যের উপঢৌকন যেমন-পোস্টার, স্টিকার,ক্যালেন্ডার,গল্পের বই, চকোলেট,চুইমগাম ইত্যাদি উপহার সামগ্রি হাতে দিয়ে আকৃষ্ট করা।তারপর ধীরে ধীরে শিবিরের মূলমন্ত্রের দিকে ধাবিত করে একজন দক্ষ শিবির কর্মীতে রুপান্তরিত করা। একজন পূর্নাঙ্গ শিবির কর্মী হতে হলে একজন ছাত্রকে পার করতে হয় কমপক্ষে চারটি ধাপ- সমর্থক, কর্মী, সাথী ও সদস্য। এর মাঝে প্রথম ধাপ অর্থাৎ সমর্থক হওয়া থেকে কর্মী করাকালীন সময়টিতে অভিজ্ঞ শিবির কর্মীরা ঐ ছাত্রটিকে রাখেন কড়া নজরদারিতে। এই ধাপটি সফল ভাবে পার করতে পারলে রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে স্বাবলম্বিতা ও নানা সাফল্যের স্বপ্নীল প্রলোভনে মোহিত করে ঐ ছাত্রটিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে সদস্য করা পর্যন্ত আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়না। পরকালের ভয়ভীতি ভিতরে প্রবেশ করাতে পারলে দক্ষকর্মী গঠনে আর খুব একটা বেগ পেতে হয়না। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হওয়ার মাত্র পাঁচদিন আগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিল প্রবাসী মুজিবনগর সরকার। একই সঙ্গে চারটি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হয়েছিল। অন্য তিনটি হলো, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি, মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলাম। ‘কোলাবরেটর একটিভিটিজ’ বা দালালি তৎপরতার দায়ে এসব সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাষনামলেও জামায়াত সহ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু ১৯৭৫-পরবর্তী সামরিক সরকারের আমলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান তা উন্মুক্ত করে দেন এবং স্বাধীন দেশে রাজনীতি করার অধিকার পায় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াত সহ অন্য নিষিদ্ধ দল গুলি। জাতি হিসেবে আমাদের চরম দুর্ভাগ্য, তথাকথিত স্বাধীনতার পক্ষের এবং গনতন্ত্রের ধারক বাহক বলে দাবিদার একাধিক রাজনৈতিক শক্তির সহযোগী হয়ে একসময় জামায়াত স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার ও হয়েছিল।সরকারের নীতি নির্ধারকতো বটেই তাঁদের দলের একাধিক নেতা মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছিল। তবে একাত্তরের এই ঘাতক-দালালদের প্রতি জনমনে ঘৃণা যে এতটুকু ম্লান হয়নি সেটা দেখতেও আমাদের বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। জনতার রায়েই তাদের পতন হয়। স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাসীন হয়ে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইতোমধ্যে দলটির আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ কয়েক জনের মৃত্য্যুদণ্ড এবং অনেকের যাবজীবন কারাদন্ড কার্যকর হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ট্রাইব্যুনালের একাধিক জামায়াত নেতার রায় প্রসংগে সংগঠন হিসেবে জামায়াতকে অপরাধী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে সাম্প্রতিক সময় জামায়াত-শিবির চরম সন্ত্রাস-নাশকতা চালিয়ে তাঁদের ফ্যাসিষ্ট মনোবৃত্তির পরিচয় অক্ষুন্ন রাখতে সামান্যতম দ্বিধা করেনি। ঠিক যেন তাঁরা ৭১ কেই আবার মনে করিয়ে দিল। উচ্চ আদালত বলেছেন, জামায়াত সন্ত্রাসী সংগঠন। অভিজ্ঞজনদের অভিমত ট্রাইব্যুনাল এবং উচ্চ আদালতের রায়ের উপর ভিত্তি করেই সরকার নির্বাহী আদেশে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে পারে, কিন্তু করা হচ্ছে না। অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার করতে খসড়া আইন তৈরি করা হলেও দুই বছরেও সেই আইনের খসড়া ওঠেনি মন্ত্রিসভায়। সবকিছু মিলিয়ে জামায়াত নিষিদ্ধ করা ও জামায়াতের বিচার প্রক্রিয়া অনেকটাই এখন হিমাগারে-যা জনমনে নিদারুন হতাশাও ভীতির সৃষ্টি করছে প্রতিনিয়ত। এই কথাটি স্পষ্টই বলা যায় -বাংলাদেশের রাজনীতি, সামাজিকতায়, জীবনাচারে ভদ্রতার আড়ালে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড লালনকারী একমাত্র রাজনৈতিক দল জামায়াত।দলটির নেতাকর্মীগন ধর্মের মুখোশের আড়ালে অধর্মের যতসব নেতিবাচক দিক প্রতিপালন করা সম্ভব সব টুকুই বিরাজমান রেখে জনগনের চোখে ধুলো দেয়ার নীতি অনেকটা বছরই বলবৎ রাখতে পেরেছিলেন।লক্ষ করলে স্পষ্টই প্রতিয়মান হয় -তাঁদের দাঁড়ি গোঁফ থেকে শুরু করে পোশাক আশাকের বেলায়ও প্রকৃত ইসলামী কোন নীতি আদর্শের আওতায় পড়েনা।তাঁদের আচার আচরনে মাত্রাতিরিক্ত ভক্তি শ্রদ্ধা কেবলই শঠতার পরাকাষ্টা বৈ অন্য কিছু নয়। এক্ষেত্রে ইবলিশ শয়তানও তাদের নিকট হার মেনে মনুষ্যালয় ছেড়ে সপ্তম আকাশে আশ্রয় গ্রহন করতে বাধ্য হয়েছে। '৭১ এর পুর্ববত্তি রাজনৈতিক অবস্থান এবং মুক্তিযুদ্ধে বর্বরতার ইতিহাস বাদ দিলেও '৭৫ পরবর্তী শিক্ষলয়ে মেধাবী ছাত্রদের হাত ও পায়ের রগ কাটা থেকে শুরু করে ২০১৪ ইং সাল পয্যন্ত সন্ত্রাস, নাশকতা, আগুন বোমা, ব্যাংক বীমায় আগুন ও লুটপাট, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করার চক্রান্ত, সরকারি গাছ কর্তন, জ্যান্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা সহ এমন কোন মানবতা বিরুধী কাজ নেই যা তাঁদের দ্বারা সংগঠিত হয়নি।সর্বশেষ বিভিন্ন নামে জঙ্গী তৎপরতায়ও শিবিরের সাবেক নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের জনমনে ভীতির সঞ্চার করছে। পরিশেষে বলা যায়,অতিভক্তি কখনই ভাল ফল ভয়ে আনেনি-চারিত্রিক শঠতা যাদের মধ্যে বিদ্যমান তাকলকরাই কেবল অতিভক্তি প্রদর্শন করে থাকে। রাজনীতির ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম হতে পারেনা বা হয়না। জামায়াতের জম্ম, উত্থান,বিকাশ, বর্তমান অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে গভেষনায় প্রবৃদ্ধ হলেই -যে কোন সচেতন রাজনৈতিক কর্মীর অনুধাবন করা আদৌ কঠিন কোন বিষয় হবে বলে আমি মনে করিনা।