পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে
ছবি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট একটি মানবিক খোলা আবেদন--

ছবি

জাতির জনক হত্যায় জিয়ার সম্পৃত্ততা যাছাইয়ে কমিশন গঠনের উদ্যোগ---

ছবি

শোকের মাস আগষ্টে বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী দর্শন "বাকশালের" মহত্বই কেবল মনে পড়ে-- _________________________ শোকের মাস আগষ্ট।বাঙ্গালি তাঁর বাঙ্গালীত্বের ইতিহাসের চরম সত্যকে বুকে ধারন করে অনন্তকাল বয়ে বেড়াবে।মহাভারতে বাঙালীর উপস্থিতি ছিল আবহমানকাল থেকেই, কিন্তু স্বাতন্ত্রতা ছিল না, স্বাধীনতা ছিল না, ছিল না কোন সার্বভৌম রাষ্ট্র।তিলে তিলে নিজের এবং পরিবারের জীবন বিপন্ন করে, যে বাঙ্গালী সব কিছুই এনে দিলেন,তাঁকেই হত্যা করা হল-তাঁরই সৃষ্ট বাংলাদেশে। আগষ্ট মাস এলে জাতি শোক পালনের পাশাপাশি তাঁর জীবনের উল্লেখ্যোগ্য ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনায় মেতে উঠেন।স্বরণ করেন প্রত্যেক বাঙ্গালী নাগরিক, তবে বিশ্লেষনে পার্থক্য আছে বিস্তর। অনেকেই বলতে শুনা যায় বা লেখনীতেও প্রকাশ করেন- '৭৫ইং সালে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য বা গনতন্ত্র হত্যা করার জন্য @১৫ই আগষ্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞটি সংঘঠিত হয়েছিল। আমি মনে করি তাঁরা হয় না জেনে বলছেন, নয় তারা ভাল করে জানেন বিধায় বংঙ্গবন্ধুর মহত্বকে খাটো করে উপস্থাপন করার হীনমন মানষীকতায় ভোগার কারনেই কথাটা বলেন।বাকশাল প্রতিষ্ঠার ঘোষনা দেয়ার এক বছর আগে বংঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার চেষ্টা হয়েছিল-তখন কেন হত্যা করার চেষ্টা হল? দু::খ্যজনক হলেও সত্য যে, তারাই বলার চেষ্টা করেন বাকশাল একদলীয় শাষন,একনেতার শাষন।তারাই বলেন গনতন্ত্র হত্যা করা হয়েছিল বাকশালের মাধ্যমে।এই প্রসংঙ্গে তাঁরা সংবিধানের অন্যতম ভিত্তি গনতন্ত্রের কথাটা উল্লেখ করতে চান। জ্ঞানপাপীরা গনতন্ত্রের উল্লেখ সংবিধানে ঠিকই দেখেন,গনতন্ত্রের সাথে সমাজতন্ত্র এর সংজ্ঞায় কি সুনির্দিষ্টতা আছে বেমালুম দেখেন না। চিরন্তন সত্য হচ্ছে বঙ্গবন্ধু একদিনের জন্যও সংবিধানের বাহিরে গিয়ে দেশ শাষন করেননি।কোন অবস্থায় বাকশাল একদলীয় শাষন ছিল না।একনেতার শাষনও ছিল না। মূলত: বাকশাল ছিল সব রাজনৈতিক দল,পেশাজীবি, রাজনীতিবীদ, শুসীল সমাজের সমন্বয়ে গঠীত জাতীয় উন্নয়ন, ন্যায়ভিত্তিক আইনের শাষন প্রতিষ্ঠার চলমান সংবিধান সম্মত 'জাতীয় দল।' বাকশালের উদ্দেশ্য ছিল অবশ্যই সংবিধান স্বীকৃত, মুক্তিযুদ্ধের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিক। যে উদ্দেশ্যে বা যে স্বপ্ন নিয়ে তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তানের আপামর জনগন ১৯৭১সালে মুক্তি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল-শোষন মুক্ত, ধর্মনিরপেক্ষ,গনতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষকে সামনে রেখে--তাঁরই বাস্তব রুপায়ন হচ্ছে "বাকশাল"। আঁতুড় ঘরে হত্যা করা দর্শনের বিরুদ্ধে একতরফা ২১ বছর অপ্প্রচার চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর মহৎ দর্শনকে জনমনে ভীতিকর শাষন ব্যাবস্থা রুপে চিত্রিত করার তাঁদের চেষ্টা শতভাগ সফল হয়েছে আওয়ামী নেতাদের এইভসম্পর্কীত বিষয়ে বাস্তব কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করার কারনে। আমি নিবিড়ভাবে পয্যবেক্ষন করে দেখেছি- আওয়ামী লীগের বহু বড় নেতার আলোচনায় অংশ নিয়েছি,আওয়ামীঘেষা বহু বুদ্ধিজীবির প্রবন্ধ নিবন্ধ পড়ে দেখেছি-কারো আলোচনা বা লেখনীতে বাকশালের বিস্তারীত বিবরণ তেমন ভাবে বিধৃত হয়নি। বিরুধীরা ইনীয়ে বিনীয়ে আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের শাষন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে- যে দোষ বড় করে দেখাতে চায় "বাকশাল" এই বুঝি হয়ে গেল।তুলনা মুলক আওয়ামী নেতারা 'বাকশালের' মহত্ত প্রচার ও প্রসারে বা লেখালেখিতে বিরুধীদের তুলনায় একেবারে নগন্যই বলা চলে। আওয়ামী নেতারা উপলব্দি করার আদৌ কোন চেষ্টা কস্মিনকালেও করেনি যে- ' বাকশাল' দর্শনেই জাতীর জনকের সকল মহত্ত নিহীত।তৎসময়ের দুই পরাশক্তির শীতল যুদ্ধের কারনে বিশ্ব দুই শিবিরে বিভক্ত ছিল-এই সত্যটি অস্বীকার করার কি কোন উপায় আছে? মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বিরুধীতাকারী শক্তি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ অপরদিকে মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ সহযোগীতাকারী শক্তি সমাজতান্ত্রীক বিশ্ব- ইহা কি মিথ্যা? সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ দুইয়ের মাঝামাঝি অবস্থানে থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি গ্রহন করার বিকল্প রাজনৈতিক কোন অবস্থান কি ছিল বা এখনও আছে? পরাশক্তিদ্বয়কে অবজ্ঞা করে সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের শাষনকায্য পরিচালনা, উন্নয়ন, অগ্রগতি, সামাজিক স্থীরতা নিশ্চিত করার বিকল্প রাজনৈতীক অবস্থান আর কি হতে পারে? রাষ্ট্রীয় নীতি স্থীরকৃত ছাড়া শাষন ব্যবস্থা কি করে গড়ে তোলা সম্ভব হত? বৃটিশ-পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কাঠামো একান্তই যদি পরিবর্তনের প্রয়োজন না থাকে তাহলে দেশ স্বাধীন করার কি এমন কারন ছিল? ৪৫ বছর শাষক শ্রেনীর আইনী কাঠামো যথারীতি অনূসরন করে বাংলাদেশ কি কাংখিত উন্নয়ন অগ্রগতি লাভ করেছে? সমাজ কি শোষন বঞ্চনার হাত থেকে রেহাই পেয়েছে? সম্পদের সুষম বন্টনের নীতি কি অনুসৃত হয়েছে? ধনী কি আরো ধনী হয়নি? বাইশ পরিবারের স্থান কি বাইশ হাজার পরিবার দখল করেনি? ধনীক শ্রেনী সৃষ্টির জন্যই কি মুক্তিযুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছিল? মুক্তিযুদ্ধের কোন অঙ্গীকারই কি ছিলনা? যদি কোন উদ্দেশ্য নাইবা থাকে তবে কেন, কি উদ্দেশ্যে আপামর নিরস্ত্র বাঙ্গালীজাতী সসস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল? মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি সমূহের একতরফা অপ-প্রচারের কারনে জনমনে 'বাকশাল' সম্পর্কে প্রচুর বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সম্মূখ্যে বাকশালের ইতিবাচক দিকগুলী এবং তখনকার সময়ের বিশ্ব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আর্থসামাজিক পরিস্থীতি তুলে ধরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির প্রয়োজন ছিল। সেই দায়িত্ব যদি তাঁরা বা অন্য কোন মহল বিবেকের তাড়নায়ও কাঁধে তুলে নেয়- তাহলে বঙ্গবন্ধুর পরিপক্ক রাজনৈতিক জীবনের একটি গুরুত্ব পূর্ণ অংশ সম্পর্কে নতুন প্রজর্ম্মের বহু ভুল ধারনার অবসান হতে পারে,এই আমার বিশ্বাস। 'জাতীয়দল' গঠনের ধারনা নতুন কোন আবিস্কার নয়, আধূনীক বিশ্বের দেশে দেশে রাজনৈতিক,সামাজিক, অর্থনৈতিক সংকটে এই প্রকৃতির সরকার গঠনের উদ্যোগ সময়ে সময়ে দেখা যায়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তাঁর একাধিক বক্তৃতা-বিবৃতিতে 'বাকশাল' যে একটি সাময়িক রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যবস্থা তা উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে যে গনতন্ত্রের চর্চা বা অনুশীলন করা হচ্ছে এই গনতন্ত্র পশ্চিমা ইহুদীদের গনতন্ত্র। আমাদের পবিত্র ধর্ম 'ইসলামে' বর্তমানের অনূসৃত গনতন্ত্রের কোন স্থান নেই। খোলাফায়ে রাশেদীনের শাষনামলে চার খলীফা যে গনতন্ত্রের অনুশীলন করে ইসলামের সৌন্দয্য, মাধূর্য্য, সাম্যতা, সহনশীলতা, ন্যায়পরায়নতা বিশ্বের বিদ্যমান সকল জাতীর নিকট উপস্থাপন করে ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটিয়েছিলেন-''বাকশাল' দর্শনের গনতন্ত্র" অনেকাংশে সেই একই রুপরেখায় সৃজন করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বাদ প্রত্যেক নাগরীকের ঘরে পৌছে দেয়ার লক্ষে বঙ্গবন্ধু 'বাকশাল' গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সহজ ভাবে বলা যায়- বিদ্যমান সমবায় সমিতি গুলি যে রুপরেখায় পরিচালিত হয়ে সমিতি ভুক্ত সদস্যদের জীবনমান উন্নয়ন করে চলেছে- একইভাবে 'বাকশাল' কে "বৃহত্তর জাতীয় সমিতি" আকারে চিন্তা করলেও- আদৌ ভুল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। সমবায় সমিতিশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শ্রমিক ইউনিয়ন, ব্যাংক, বীমা, স্বায়ত্ব শাষিত প্রতিষ্ঠান সমুহের নির্বাচনে যদি গনতন্ত্র অনুসৃত হয় তবে 'বাকশালে'কেন নয়?এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান গুলীর পরিচালনায় যদি গনতন্ত্রের ব্যাঘাত ঘটে থাকে তাহলে ধরে নিতে পারি 'বাকশাল' দর্শনের গনতন্ত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি হত। বিরুদীদের ভয়ের কারন 'বাকশাল' নয়, বাকশাল দর্শনের 'মহত্বে'। 'বাকশাল' মতবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়ে মর্মানুযায়ী দেশ পরিচালিত হলে স্বাধীনতা বিরুদী রাজাকার, আলবদর, সাম্প্রদায়ীক শক্তি সমূহের রাজনীতি করার অধিকার থাকে না।কোনপ্রকার সাম্প্রদায়ীকতার স্থান ইসলামে নেই-এই সত্যটি যারা বিশ্বাস করেনা তাঁরাই অসাম্প্রদায়ীক চেতনায় বিশ্বাসীদের নাস্তিক, ধর্মদ্রোহী ইত্যাদি বলে নীজেদের পাঁপকে আড়াল করার চেষ্টা করেন। মানবতার ধর্ম ইসলাম- যে গনতন্ত্রের সমর্থন করে না সেই গনতন্ত্রের চর্চায় নিজেদের নিমগ্ন রেখে প্রকারান্তরে ইসলাম ধর্মের সৌন্দয্যকেই অস্বীকার করেন। সমগ্র মানব জাতীর কল্যানে প্রেরীত হওয়ার কারনে ইসলাম ধর্ম সার্বজনীন ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সার্বজনীন ইসলাম ধর্মকে সাম্প্রদায়ীক গোষ্ঠি তাঁদের নীজেদের স্বার্থ্য সিদ্ধির উদ্দেশ্যে একক জাতী 'মসুলমানের' ধর্মে রুপান্তর করে প্রকারান্তরে মহান আল্লাহর হুকুমের সরাসরি বিরুদীতা করে চলেছে। বঙ্গবন্ধু প্রথম জীবনে রাজনীতিতে ভুল করেনি। নিখিল ভারত মুসলিম লীগের ছাত্র রাজনীতি করার প্রাক্কালে পাকিস্থান সৃষ্ট্রিতে গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা রেখেছিলেন। ১৯৪০সালের লাহোর প্রস্তাবের ৩নং ধারায় পরিষ্কার উল্লেখ ছিল, ভারতবর্ষকে এমন ভাবে ভাগ করতে হবে, উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলে একাধিক মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা সমুহে,একাধিক স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হবে।এই ধারাটিকে বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু ছাত্র থাকা অবস্থায় পাকিস্থান সৃষ্টির পক্ষে জোরালো ভুমিকা রেখেছিলেন।তাঁর সমসাময়ীক নেতা কাস্মীরের শেখ আবদুল্ল্যা 'কংগ্রেস' পক্ষে থাকায় স্বাধীনতা দুরের কথা, জীবনের সবচেয়ে মুল্যবান সময় জেলেই কাটাতে হয়েছে।তাঁরই একান্ত বন্ধু রাজনৈতিক গুরু নেহেরুর শাষনামলে কাস্মীরের স্বাধীনতা দাবি করায়। ১৯৪৫ ইং সালে দিল্লি কনভেনশনে কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ যদি 'দ্বিজাতী তত্ব' প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য 'বঙ্গবভঙ্গ 'সংশোধন না করতেন তাহলে ১৯৪৭ ইং সালেই পুর্ববঙ্গ-পশ্চিমবঙ্গ মিলে একটি অথবা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে একাধিক স্বাধীন রাষ্ট্র সৃষ্ট্রি হত।জিন্নাহ পরবর্তীতে তাঁর ভুল বুঝতে পেরে মৃত্যুর আগে আপসোসও করেছেন।তাঁর প্রমান পাওয়া যায় তাঁর 'ব্যাক্তিগত চিকিৎসক কর্নেল এলাহী বক্সের নিকট থেকে।' বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ মোদাব্বের হোসেন করাচিতে অনুষ্ঠিত 'সম্পাদকদের সম্মেলনে' এই তথ্য প্রকাশ করেন।তথ্যসুত্র:-(সাংবাদিকের রোজনামচা)। ছাত্র মুজিব বাঙ্গালীর স্বাতন্ত্রতা বুঝতে তখন ভুল করেনি-পরিপক্ষ মুজিব দেশ গড়ায় ভুল করবেন!! যারা বলেন বাকশাল' একদলীয় শাষন-তাঁরা হয় বোকা নয়তো বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি, এছাড়া আর কিছুই নয়। নির্বাচিত সরকার ও সেই সরকারের পাহাড়সম জনপ্রীয় নেতাকে উৎখাত ও হত্যার পাপ মোচন করার জন্য আঁতুড় ঘরের বাসিন্দা 'বাকশাল' সম্পর্কে অপপ্রচার চালিয়েছে।,বর্তমানের লেখক বুদ্ধিজীবি, আওয়ামী লীগের নেতারা কেন বঙ্গবন্ধুর জীবনের সবচেয়ে স্বর্ণালী অধ্যায়,আজীবনের লালিত স্বপ্ন,বঙ্গবন্ধুর মৌলিক রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে আলোকপাত করেন না--তা বোধগম্য নয়।যে আদর্শকে কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহল এখনও তাঁদের গলার ফাঁস মনে করে সর্বদাই জনমনে আতংক সৃষ্টির কৌশল হিসেবে ব্যাবহার করে চলেছে। "জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"

ছবি

আগষ্ট বাঙ্গালীজাতী, বাংলাদেশের বেদনার অশ্রু ঝরানোর মাস। ______________________________________________ আগষ্ট মাসটি বাঙ্গালী, বাংলাদেশ, বাঙ্গালী জাতির জন্য ব্যাথাতুর মাস।প্রকৃত বাঙ্গালী আনমনে এই মাসটিতে বুকের অন্তজ্বালা অনুভব করে-ব্যাথার সাগরে নিমজ্জিত থাকে। হাজার বছরের পরাধীনতার শৃংখলমুক্ত করে যে মহামানব বাঙ্গালী জাতিকে জাতিসত্বার অস্তিত্বের অধিকারী করেছেন-সেই মহামানবকে 'বাঙ্গালী জাতি সত্বার' পরিচিতি অর্জনের পর, মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়েছে।এই আগষ্ট মাসেই তাঁর জীবিত দুই কন্যার মধ্যে জৈষ্ঠকন্যা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে জনসমাবেশে বক্তৃতা দেয়ার শেষ পয্যায় বোমা-গুলীর ঝড়োবৃষ্টির তান্ডব চালিয়ে হত্যা করতে গিয়ে আই,ভি রহমান সহ ২৯জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল।২১শে আগষ্ট ঘাতক চক্রের সেই বিভীষিকাময় সান্ধ্য তান্ডবের শিকার হাজার হাজার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী আজও তাঁদের শরীরে ক্ষতচিহ্ন নিয়ে পঙ্গুত্বের জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে।২১শে আগষ্টের হামলাটি তৎসময়ের ক্ষমতাসীন জোট সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় সংঘটিত হয়েছিল-দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে গেছে, তাঁদেরই 'পেইডএজেন্ট" সাজানো একমাত্র হামলাকারী' নোয়াখালীর দিনমজুর জর্জমিয়ার কারামুক্তি এবং তাঁর মায়ের বক্তব্য থেকে। ১৯৭১ ইং সালের ১৬ই ডিসেম্বরের আগে চারহাজার বছরের ইতিহাস পয্যালোচনা করে দেখা গেছে-বাঙ্গালী জাতি কখনই স্বাধীনতা উপভোগ করেনি, বাঙ্গালীরাও যে সমৃদ্ধ ইতিহাস ঐতিহ্য, সংস্কৃতি-কৃষ্টির অধিকারী একটি স্বতন্ত্র জাতি-তাঁর উপলব্দি বা পরিচিতি বা স্বাধীন ভুখন্ড অভাগা জাতীর কোনটাই ছিলনা। পরাধীনতায় থেকেও বাঙ্গালী যে বীরের জাতি তাঁর প্রমান রাখতেও কার্পন্য করেনি।তাই দেখা যায় বিদেশী শাষক শোষকদের অপশাষনের বিরুদ্ধে স্বাধীন ভুখন্ডের আশায়,জাতিসত্বার অন্তনিহীত চাপা আর্তনাদের বহিপ্রকাশ ঘটাতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে অসম বিদ্রোহের দাবানলে জ্বলে উঠেছে অঞ্চলভিত্তিক সাহষী বীরদের নেতৃত্বে। ক্ষুদিরাম, তিতুমীর সহ আরো অনেক সাহষী বীর স্বাধীনচেতা যোদ্ধারা তার প্রমান রেখে গেছেন মহাভারতের সমগ্র ইতিহাস জুড়ে। কালের প্রবাহে অনেক রথী মহারথী স্বপ্ন বুনেছেন অন্তরে, বহি:প্রকাশও ঘটিয়েছেন ক্ষেত্র বিশেষ- বাঙ্গালী জাতিসত্বা, স্বাধীনতা, সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার। বাঙ্গালী জাতিসত্বা বিকাশের ক্রমবর্ধমান পরিক্রমায় কারো অবদানই তুচ্ছ নয়। কিন্তু সকলকে ছাড়িয়ে ফরিদপুরের টুঙ্গিপাঁড়ায় পড়ন্ত জমিদার বংশের লিকলিকে এক বালক, নাম তাঁর খোকা, অন্তর দিয়ে অনুভব করেছেন কিশোরত্বে-বাঙ্গালী জাতী পরাধীন, তাঁর জাতী সত্বার কোন স্বীকৃতি নেই, নীজস্ব কোন আবাসস্থল নেই, নীজ ভুখন্ডে অন্যের গোলাম মাত্র। দীর্ঘ তেইশ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম, বিরামহীন সংগ্রাম, অপরিসীম ত্যাগ, অসীম সাহষে ঘুমন্ত ভেঁতু বাঙ্গালীকে জাতীসত্বায় দীক্ষা দিয়ে জাগ্রত করে তোলেন। তিনি নীজে হয়ে উঠেন 'খোকা' থেকে ছাত্রজনতার 'মুজিবভাই' বাঙ্গালীর 'অন্তর আত্বা।' তাঁর পরবর্তী ইতিহাস শুধুই ত্যাগ, বিচক্ষনতা, তীক্ষ্ম বুদ্ধি, সুদুরপ্রসারী চিন্তাচেতনার বহি:প্রকাশ,চতুরতা,তেজস্বী নেতৃত্ব, বাগ্মিতার মায়াজাল বিচিয়ে অন্তরজয়ের জগৎ বিখ্যাত উদাহরন সৃষ্টির ইতিহাস।ছাত্রজনতার বঙ্গবন্ধু ক্রমে বাঙ্গালী মননে প্রাপ্তির অদম্য আক্ষাংকাকে শীর্ষস্তরে নিয়ে "নো রিটার্নের স্থানে" পৌঁছে দেয়ার কাব্যিক ইতিহাস সৃষ্টিকারী মহামানবে রুপান্তরের ইতিহাস। 'বঙ্গবন্ধু মুজিব' নয়মাসের সসস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অশিরীরি উপস্থীতিতে বাঙ্গালীর ত্রানকর্তা, বাঙ্গালী জাতীসত্বার চুড়ান্ত উম্মেশকারী "বাঙ্গালী জাতীর জনক 'বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান'' হয়ে উঠেন। সেই মহান নেতা বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই ১৯৭৫ ইং সালের ১৫ই আগষ্ট বিভিষীকাময় কালরাতের অন্ধকারে একদল বিপদগামি ভাড়াটিয়া সেনা সদস্য স্বপরিবারে হত্যা করে। যারা বাংলা দেশের অভ্যুদয় মেনে নিতে পারেনি, বাঙালি জাতীসত্বাকে মেনে নিতে পারেনি, বাঙ্গালীর স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি, বাঙ্গালী জাতী বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াক চায়নি-দেশী বিদেশী শত্রু তাঁরাই বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করেছে। সাম্রাজ্যবাদী চক্র এবং তাঁদের এদেশীয় দোষরেরা কোনো দিনও চায়নি, বাংলাদেশ স্বাধীন হোক। ১৯৪৭ইং সালে বাঙ্গালীরা বিনারক্তক্ষয়ে স্বাধীনতা পাওয়ার মহেন্দ্রক্ষন হাতের মুঠায় পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি-শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর ন্যায় বিচক্ষন জাতীয় নেতার অভাবে। অবশ্যম্ভাবী সেই স্বাধীনতা চিনিয়ে নিয়ে গেছে পশ্চিম পাকিস্তানী, পাশ্চাত্য সংস্কৃতি লালনকারী, শিয়াধর্মালম্বি, ভারতের সিন্ধু রাজ্যের অধিবাসী, বিলেতে শিক্ষা গ্রহনরত: চতুর ব্যারিষ্টার কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।প্রকৃত ধর্মজ্ঞান না থাকা সত্বেও ধর্মের ঠিকাদারী গ্রহন করে সাম্প্রদায়িকতার বীজবাস্প সমৃদ্ধ "দ্বি-জাতিতত্ব" মন্ত্রের জালে নিবিষ্ট করে অশিক্ষিত বাঙ্গালীকে ধোঁকা দিয়ে দুই হাজার মাইলের ব্যবধানে পাকিস্তানের সাথে সংযুক্ত করে-শাষন শোষনের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পাকাপোক্ত করতে সক্ষম হন।পুর্ববাঙলা মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর দুরদর্শী নেতৃত্বে ২৩বছরের সংগ্রাম সাধনায় মুক্ত হলেও অদ্যাবদি পশ্চিম বঙ্গ শোষন শাষনের যাতাকল থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। সাম্রাজ্যবাদীমহল বঙ্গের এক অংশকে শক্তিধর ভারতের সাথে অন্য অংশকে বিজতীয় পাঞ্জাবী-পাঠানদের সাথে যুক্ত করে দেন। বাঙ্গালী জাতীকে সংখ্যালঘু ও শক্তিহীন করে শোষন শাষনের যাতাকলে পৃষ্ট করা শুরু করে উভয় দেশ। এমনি এক প্রেক্ষাপটে নতুন দিগন্তের সুর্যের আভা নিয়ে উদিত হয় মহাকালের এক মহাকবি।ধীরে ধীরে সুয্যের আলোকচ্ছটা উজ্বল রশ্মি ছড়িয়ে পুর্ববাংলাকে আলোকিত করতে থাকে। তিনিই প্রথম শুনালেন স্বাধীনতার কবিতা, ভীতু বাঙ্গালী জাতীকে অকতোভয় সেনানী করে গড়ে তোলে তাঁর আলোকরশ্মী।তিনি জাতীসত্বার দিশারীতে রুপান্তরীত হয়ে পুর্ববাংলার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত পয্যন্ত বিরামহীন ছুটে চলেছেন জাতিসত্বা উম্মেশ ঘটানোর কঠিনতম স্বপ্নের বার্তা নিয়ে। দীর্ঘ তেইশ বছর একটানা জেল জুলুম, নিয্যাতন, নিপীড়ন, মৃত্যুকুপ পরোয়া না করে, সাড়ে সাতকোটি বাঙ্গালীকে জাতীয়তাবোধের চেতনায় শানীত করে বাঙ্গালী মননে স্বাধীনতার স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়ে দিতে সক্ষম হন। অবশেষে মহানেতা জাতিকে শুনালেন তাঁর অমর কবিতা,""এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।"এমন কবিতার অমর সুধা বাঙালী জীবনে আর কোন দিন শুনেনি, দুনিয়ার কোথাও এই সুর সুদুর অতীতে বেজে উঠেনি। মোহমন্ত্রের জালে মুগ্ধ বাঙ্গালী নিমিষে পরিনত হলো অসীম সাহসী দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ মুক্তিকামি জাতি হিসেবে।তাইতো বাঙালী সেদিন আধুনিক দুর্দষ্য তিরানব্বই হাজার সেনাসদস্যের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঁশের লাঠি হাতে। চিনিয়ে এনেছিল জয় মাত্র নয়মাসে।পরাস্ত করেছিল সাম্রাজ্যবাদের দালাল এদেশীয় দোষরদের।কিন্তু বাঙালীতো কোন দিন জম্মেও স্বাধীনতা দেখেনি।করবে কিভাবে উপভোগ? রক্তে রয়ে গেছে বিদেশীদের শাষন শোষনের বীষক্রিয়া? আজ্ঞে-জাঁহাপনা বলার চিরায়ত অভ্যেস কি আর সহজে বদলায়? মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ওই সাম্রাজ্যবাদের চক্রান্তে হত্যা করে মহাকালের মহামানব, সর্ব যুগের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের।মহান আল্লাহর অসীম কৃপায় বিদেশে অবস্থানের কারনে বেঁচে যান তাঁর দুই কন্যা। আজকের আধুনিক, উন্নত, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, এবং তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা। এমন একসময়ে ঘাতকের দল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মিশনে নামে, যখন সদ্য স্বাধিনতা প্রাপ্ত দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির স্বপ্ন বুননে নিমগ্ন জাতির জনক-সমগ্র জাতীকে ঐক্যবদ্ধ করার মহতী চিন্তায় বিভোর। পৃথিবীর বুকে উন্নত, সমৃদ্ধ, বিজ্ঞান মন্স্ক জাতি গঠনের জন্য তাঁর আজীবনের লালীত স্বপ্ন শোষন মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষে গনতান্ত্রিক সমাজ তন্ত্রের দর্শন জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন।সেই লক্ষে পৌনে দুইশত বছরের ইংরেজ শাষনের রীতি নীতির আমুল পরিবর্তন করে বাঙ্গালী জাতির সামনে তুলে ধরেছিলেন মৌলিক গনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মানের ঐতিহাসিক দর্শন "বাকশাল"। অল্প সময়ের মধ্যে সুফল ও আসা শুরু করেছিল। সমাজের প্রত্যেক স্তরে নির্বাচিত প্রতিনীধির মাধ্যমে প্রশাসনিক কাঠামো জনগনের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার এক অভিনব চিন্তা চেতনার কর্মসুচি। এমন চিন্তা চেতনা শুধুমাত্র যুগশ্র্রেষ্ঠ মহামানবের কর্মে এবং চিন্তায় আসতে পারে। জাতির জনককে হত্যার পর বিশ্বের তাবৎ মনীষিগন স্তম্ভিত হয়ে শুধু একটি বাক্যই উচ্ছারন করেছিলেন-'বাংলাদেশ একজন মহামানব, সমাজ সংস্কারক হারাল।বিশ্বহারাল শোষিত বঞ্চিত মানুষের মহান নেতা।"১৬ই আগষ্ট ১৯৭৫ ইং বি,বি,সি বাংলা থেকে সেদিন সর্বক্ষন শুধু বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন, তাঁর যুগশ্রেষ্ঠ নতুন দর্শন 'বাকশাল' নিয়েই আলোচনা করেছে। তাঁরা নীজেরাই স্বীকার করে বলেছিল, ইংরেজ শাষনের পর তাঁদের রেখে আসা আইন কানুন পরিবর্তন, পরিবর্ধন, যোগপযোগী করার দু:সাহষ আর কোন নেতাই দেখাতে পারেনি এবং কি মহাত্মা গান্ধীজিও না। দীর্ঘ শাষনে অভ্যস্ত সেই আইন কানুন পরিবর্তন অবশ্যই কঠিনতম পদক্ষেপ। সেই কঠিন এবং কন্টকাকীর্ন কাজটি করার পদক্ষেপ নিতে পারে একমাত্র যুগশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষগন। জাতীরজনক মনেপ্রানে বাঙ্গালী, বাংলাদেশকে ভালবাসতেন বলেই জীবনবাজী রেখে দেশকে স্বাধীন করার প্রয়াস গ্রহন করেছিলেন। তেমনি 'বাকশাল' গঠন করে রাষ্ট্রের সর্বস্তরে সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিক আইনকানুন প্রবর্তন করে দেশ ও জাতীকে ''উন্নত সমৃদ্ধ' করার প্রয়াস গ্রহন করেছিলেন- বাংলাদেশের মহাননেতা, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। জাতির জনকের অকাল মৃত্যুর পর দেখতে দেখতে কেটে গেল ৪৩টি বছর। আজও কি পরিবর্তন করা সম্ভব হয়েছে বৃটিশদের রেখে যাওয়া আইন কাঠামো? আজও কি বিচারের বানী নির্বিত্তে কাঁদেনা? আজও কেন স্বচ্ছ বিচারের আশায় ট্রাইবুনাল করার উদ্যোগ গ্রহন করার প্রয়োজন হয়? আজও কি সমাজের সর্ব অঙ্গে দুর্নীতির কালোছায়া দূর করা সম্ভব হয়েছে? আজও কি দেশের সম্পদ লুটপাট করে আঙ্গুলফুলে কলাগাছ হচ্ছেনা? আজও কি শ্রমিক তাঁর ন্যায্য মুজুরীর জন্য রাজপথে তাজা রক্ত ঢেলে দিতে হচ্ছেনা? আজও কি কৃষক সারের দাবী করতে গেলে তার বুকে গুলী চালানো হয়না?আজও কি বন্ধ হয়েছে সরকারী অর্থ আত্বসাৎ করে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার দৃষ্টিকুটু প্রবনতা? পরিবর্তন মানুষ মেনে নানেয়ার অভ্যেস চিরায়াত। জননেত্রী দেশরত্ন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের বাস্তবায়নের প্রারম্ভে অনেকেই দাঁত বের করে হাসতে দেখেছি। অপ্রীয় হলেও সত্য- কটুক্তি করতেও অনেকের মুখে আটকায়নি।এখন দেখা যায় তাঁরাই সেই ডিজিটালের সুযোগ সর্বাজ্ঞে ব্যাবহার করার জন্য উদগ্রীব। এতবছর পর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশের মনীষিরা যখন ইতিবাচক কথা বলে-তখন একটি কথাই মনে পড়ে-'গাধা পানি খায় তবে-গোলা করে খায়।' অর্থাৎ গাদাকে স্বচ্ছ পানিতে নামিয়ে দিলে সে পানিকে এমন ভাবে গোলা করে-যাতে তাঁর চেহারা পানিতে ভেসে না উঠে। আমাদের অভাগা বাঙ্গালী জাতীরও হল ঠিক একই অবস্থা। যে মুজিব-ইন্দিরা মৈত্রী চুক্তিকে গোলামীর জীঞ্জির আখ্যা দিয়ে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পথ প্রসস্ত করা হয়েছিল,সেই গোলামী চুক্তি তাঁর কন্যার হাতে বাস্তবায়নের উদ্যোগে জানানো হলো স্বাগতম। বলা হল বাংলাদেশের জন্য যুগান্তকারী অর্জন।শেখ হাসিনাকে দেয়া হল 'দেশরত্ন' উপাধি।এই আমরা বাংলা দেশের জনগন এই আমাদের দেশহিতৌষী সুযোগ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং সুশীল সমাজ। মুলত: ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়নি-হত্যা করা হয়েছিল তাঁর দর্শনকে,বাঙালী জাতীয়তাবোধকে, সর্বোপরি বাংলাদেশকে। বিশ্বের দেশ সমুহ যখন একে অন্যের চিন্তা চেতনা, দর্শন ধার করে রাষ্ট্রীয় নীতিতে সংযোজন করে দেশ পরিচালনায় ব্যাস্ত-তখনি বাঙ্গালী জাতির জনকের মেধা থেকে বের হল এক অনন্য চিন্তা চেতনার রাষ্ট্র পরিচালনার আধুনীক দর্শন।ইত্তেফাক কতৃপক্ষ যার নাম রেখেছিলেন-"বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ সংক্ষেপে (বাকশাল)। বাকশালই হচ্ছে মৌলিক গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থা। রাষ্ট্র পরিচালনার আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত, গনতন্ত্রের সর্বত্তম ব্যাবহারের বৈজ্ঞানীক উপায়। বিশ্বের কোন জাতির কোলে বংগবন্ধু সমতুল্য মহামানব, ধর্মসংস্কারক, মানবাতাবাদী,গনতন্ত্রের পুজারি, অসীম সাহসী নেতা জম্মগ্রহন করেনি,ভবিষ্যতে করবে কিনা সন্দেহ আছে। অশুভশক্তি, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হয়ে তাঁর বদলা নিল চরম মুল্যে।তাঁরা বাঙ্গালী জাতীয়তাবোধের উম্মেষকারীর পরিবার সহ ধ্বংস করে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেছে। শুধু তাই নয় তাঁর পরিবারের একমাত্র জীবিত দুই কন্যার জীবন কেড়ে নিতেও বার বার ফনা তুলে ফোঁস ফোঁস করছে অবিরত।২১শে আগষ্ট তেমন এক রক্তস্নাত প্রচেষ্টার অংশ। অশুভ শক্তির একমাত্র চেষ্টা বাঙ্গালী জাতীয়তাবোধের একমাত্র নেতৃত্বকারী সংগঠন বাংলাদেশ আইয়ামীলীগকে ধংস করা। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে হলে তাঁর নেত্রী একমাত্র অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক-বাহক, পৃষ্টপোষক, বাঙ্গালী জাতীয়তাবোধের জম্মদাতার ললনা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে হবে। তাইতো দেখা যায় কমপক্ষে উনিশ বার তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে অশুভ শক্তি ব্যর্থ অভিযান পরিচালনা করতে। বাংলাদেশ, বাঙ্গালী জাতী যতদিন থাকবে বিশ্ব মানচিত্রে ততদিন ঘুরে ঘুরে ফিরে আসবে আগস্ট বাঙ্গালী-বাংলাদেশের বেদনার অশ্রু ঝরাতে। " জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা"