রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।


 

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন দেশের ক্ষমতা গ্রহন করে প্রথমে দেশ পরিচালনার রীতি নীতি সুষ্ঠু ও বিতর্কহীন করার লক্ষে বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করার পদক্ষেপ গ্রহন করেন।মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনার আলোকে সংবিধানে ধর্মকে অপব্যাবহার করে, মায্যদা হানীর হাত থেকে রক্ষার লক্ষে,হিন্দু,মুসলিম বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকল ধর্মের জনগনের ধর্মীয় স্বাধীনতা উপভোগের সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষে, ধর্ম নিরপেক্ষতাকে রাষ্টীয় চার মুল নীতির অন্যতম নীতি হিসেবে গ্রহন করেন।মুক্তি যুদ্ধের চেতনার লক্ষই ছিল,বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ।ধর্ম নিরপেক্ষতার অর্থ কখনই ধর্ম হীনতা নহে,বরং সকল ধর্মের মানুষের ধর্ম পালন করার স্বাধীনতাকে স্বিকৃতি দেয়া রাষ্ট্রীয় ভাবে।একক কোন ধর্মকে রাষ্ট্রীয় ভাবে পৃষ্টপোষকতা না করা।ইসলাম ধর্মের মুল বানীও তাই।আমাদের নবী করিম (স:)বিদায়ি হজ্বের ভাষনেও এই নীতির কথাটাই সাহাবিদের স্বরন করিয়ে দিয়ে গেছেন,মহা পবিত্র গ্রন্থ কোরানেও তদ্রুপ নির্দেশনাই দিয়ে গেছেন বার বার।একশ্রেনীর ধর্মব্যাবসায়ীরা জাতীর জনকের সদুর প্রসারী মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিকে অমানবিক ভাবে উপস্থাপন করে জনমনে বিভ্রান্তি চড়ানোর অপককৌশল গ্রহন করে।বঙ্গবন্ধুর সকার স্বল্প সময়ের সরকার,মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে মীরজাপরের দল ৭৫ইং সালের ১৫ই আগষ্ট রাতের অন্ধকারে নৃসংশ ভাবে হত্যা করে ইতিহাসের জগন্যতম কাল অধ্যায়ের সুচনা করে।স্বল্প সময়ে জাতির জনক ইসলাম ধর্মের প্রচার প্রসারের জন্য যতটুকু সুদুরপ্রসারী কর্ম সৃজন করে গেছেন তৎপরবর্তিতে যত সরকারই ইসলামের দোহাই দিয়ে,ধর্মের আবরনে মুখ ঢেকে বাংলাদেশের খমতার মসনদ দখল করেছেন,তাঁর শতভাগের একভাগ কাজ ও করতে পারেননি আমি দৃডভাবেই বলতে পারি।আমি নিম্নে জাতির জনকের ইসলামের খেদমতের কিছু নমুনা তুলে ধরতে চাই।
(১)ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা।
(২)জাতীয় পয্যায় রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় ঈদেমিলাদুন্নবী (স:)উৎ্যাপনের ব্যবস্তা গ্রহন।
(৩) স্বায়ত্বশাষিত মাদ্রাসা বোর্ড গঠন করে দেশের সকল মাদ্রাসাকে বোর্ডের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে এসে একই সিলেবাসে পাঠদানের ব্যবস্থা গ্রহন।
(৪)বর্তমান বিশ্বের ইসলামী উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত তাবলীগের জমায়েত বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়।এই জমায়াতকে বৃহত্তর পরিসরে করার সুচনা জাতির জনকই করেন।তুরাগ নদীর তীরে বিশাল সরকারী জায়গা তাবলীগ জামায়াতের নামে বরাদ্ধ দিয়ে এই জামায়াত বৃহত্তর পরিসরে করার সুযোগ করে দেন।
(৫) কাকরাইলে মারকাজ মসজীদের জন্য সরকারী জায়গ জাতির জনকই বরাদ্ধ করেন।শুধু তাই নয়,মসজীদের উন্নয়ন কাজের জন্য সরকারী কোষাগার থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ ও জাতির জনক বরাদ্ধ দেন।
(৬)বর্তমানের জাতিয় মসজিদ বায়তুল মোকারম মসজিদ।এই মসজিদের প্রয়োজনীয় ভুমি জাতির জনকই বরাদ্ধ করেন এবং সুন্দর স্থাপত্যকলায় নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরকারী কোষাগার থেকে বরাদ্ধ দেন।এই মসজিদকে জাতীয় মসজিদ ঘোষনা করে কমপ্লেক্স আকারে নির্মানের নির্দেশ প্রদান করেন।ঈমাম,মোয়াজ্জিন,ঝাড়ুদার,করনিক সহ অন্যান্ন প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিয়ে তাঁদের সরকারী বেতনের ব্যাবস্থা জাতির জনকই করেন।
(৭) ইসলাম ধর্মের গবেষনা,প্রয়োজনীয় বিষায়াদি প্রকাশ প্রকাশনার জন্য অর্থ বরাদ্ধ জাতির জনকের সরকারের সময়ে প্রবর্তন করা হয়।
(৮) সদ্য স্বাধীন দেশের হাজীদের হজ্ব কাফেলার সাথে সরকারী প্রতিনীধি প্রেরনের ব্যবস্থা  নতুন জাতির জনকের সরকারের এক সুদুর প্রসারী নবসংযোজন।যাহা বর্তমানেও চালু আছে।
(৯)প্রথম জাতির জনকের সরকার হাজীদের ব্যায়ভার কমানোর জন্য সরকারি তহবিল থেকে ভুর্তকি দিয়েছিলেন,পরবর্তিতে  তথাকথিত  কোন ইসলামের মুখোশধারী, ভন্ড ইসলামের ধ্বজাদারি  সরকার এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করেন নাই।
(১০) ইসলামি সকল উৎসব পার্বনে সকারী ছুটির ঘোষনা জাতির জনকের সকারের সময় হতেই চালু করা হয়।
(১১)মদ উৎপাদন,বিপনন,জুয়া, পতিতালয় নিষিদ্ধ করে আইন প্রনয়ন,আইন ভঙ্গের শাস্তি জাতির জনকের সরকারের অতুলনীয় সিদ্ধান্ত ছিল।পরবর্তি ইসলামী সরকার গুলী আইন বাতিল করে অবাধ লাইসেন্স প্রদান করেন।যাহার ফলে বর্তমানে সমাজকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে, বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনে।
রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় ইসলামী পাকিস্তানী সরকার বর্তমানের সরওয়ার্দী উদ্যানে বৃহত্তর জুয়ার আসর বসাতেন ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে।বঙ্গবন্ধুর নতুন সরকার জুয়া বন্ধ করে সরওয়ার্দি উদ্যানে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করেন।যাতে ভবিষ্যতে কোন অশুভ শক্তি এই মাঠকে অশুভ কাজে ব্যাবহার করতে না পারেন তাঁর চিরস্থায়ী ব্যাবস্থা পাকা করে রেখে যান।
(১২) ও,আই,সি বিশ্বের শীর্ষ ইসলামী সংস্থা।জাতির জনকের ও,আই,সি সম্মেলনে যোগদান করে সংস্থাটির সদস্য পদ গ্রহন করেন এবং মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে বিশ্ব মুসলিমের সম্পর্ক উন্নয়নের নতুন দিগন্তের দ্বার উম্মোচন করেন।
(১৩) ইংরেজী শিক্ষাকে স্বায়ত্ব শাষন দেয়ার লক্ষে কাজ শুরু হলে জাতির জনক একই নীতি মালার আলোকে মাদ্রাসাকেও অন্তভুক্ত করে নজীর বিহীন যুগান্তকারি মাদ্রাসা শিক্ষার সংস্কার কাজের উদ্ভোধন করেন।এর আগে তথাকথিত ইসলামী পাকিদের সরকার ইংরেজী শিক্ষা দুরের কথা মাদ্রাসা শিক্ষাকে ভিক্ষার উপর নির্ভরশীল করে রেখেছিলেন।মাদ্রাসা শিক্ষাকে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ানোর হাত থেকে জাতির জনকের সরকারই পরিত্রান দিয়েছিলেন।
পরবর্তিতে দেশরত্ম শেখহাসিনার সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে দেশের স্কুল কলেজের সাথে মাদ্রাসা গুলিকেও নিবন্ধন দিয়ে হাজার হাজার মাদ্রাসার শিক্ষকের রুটি রুজির ব্যবস্থা কএএ দেন।
মাঝখানে ১৯৭৫ইং থেকে ২০০৮ ইং পয্যন্ত আওয়ামী লীগের সরকার সহ প্রায় ৩৫ বছরের মধ্যে কোন সরকার ইসলামের জন্য উল্লেখযোগ্য  কোন কাজ করেছেন কিনা,  দেশবাসির দৃষ্টিগোচরে নেই।
  নি:সন্দেহে বলা যায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান চলমান বিশ্বের ইসলামী উম্মাহর মধ্যেসর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম সংস্কারক বটে।
দেশরত্ম শেখ হাছিনা একজন স্বাশ্বত বাঙ্গালি মহিলার ন্যায় তাঁতের শাড়ী পরিধান করেন।তাঁতের বাংলাদেশী শাড়ী তাঁর অধিকতর পছন্দের পোষাক।মাথার ঘোমটা কখনও ছিল না চরম শত্রুও বলতে পারবে না।চলাফেরায় একজন সাধারন আবহমান বাংলার  মা বোনের থেকে আলাদা ভাবার কোন অবকাশ নেই।তিনি যথারীতি একজন ধর্মঈয় অনুভূতি সম্পন্না মহিলা।ধর্মীয় অনুশাষন কঠোর ভাবে মেনে চলা বাল্যকাল থেকে অভ্যস্ত। ফজরের নামাজ আাদায় করে, পবিত্র কোরানে পাক তেলাওয়াত করা ছাড়া নাস্তা করেছেন এমন দিন খুব কমই যায়।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কস্মিন কালেও কাজা করেছেন এমন সাক্ষী কেউ দিতে পারবেন বলে মনে হয় না।এমনতর ধর্মানুরাগী,ধর্মপালনকারী নেতৃত্বকে একশ্রেনীর মাওলানা,মৌলবী,ধর্ম ব্যাবসায়ীরা ধর্মবিরাগী প্রধান মন্ত্রী হিসাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন।তাঁর সরকারকে নাস্তিক প্রতিপালনকারী সরকার হিসেবে চিন্নিত করে কলংকের তিলক পরাতে সচষ্ট।আমার দৃড় বিশ্বাস দেশরত্ম  জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের লাখো কর্মীবাহিনী,অসম্প্রদায়ীক সকল শ্রেনী পেশার মানুষ,মুক্ত বুদ্ধিসম্পন্ন প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবি,সর্বপুরী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক ও বাহক সকলেই মিলিত ভাবে, সকল ষড়যন্ত্রকে পায়ের নিচে পিষ্ট করে, জাতির জনক বঙ্গ বন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক,ধর্মনিরপেক্ষ  সোনার বাংলা নির্মান করবেনই।
কোন বাধা এই অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারবেনা ইনশাল্লা।

বি,এন,পি জামাত জোট, খেলাফত,
হেফাজতিরা সব সময় নিজেদের
ইসলামের সোল এজেন্ট মনে করে।
ধর্মকে ব্যাবহার করে, ধর্মপ্রান মুসলিম
ভাইদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।
প্রাথমিক অবস্হায় যদিও কিছুটা সফল হয়,চুড়ান্ত পয্যায় ব্যর্থতার ভাগ
তুলনা মুলক ভাবে বেশি।ইসলামের
রীতি নীতি,আরকান আহকাম,ফরজ
সূন্নত কিছুই পালন না করে খালেদা জিয়া ধর্মীয় দলগুলির নেতৃত্বে সমাসীন রয়েছেন।শুধুমাত্র মাঝে মাঝে লোক দেখানো হজ্ব করার মধ্যে
খালেদা জিয়ার ধর্ম পালন সীমাবদ্ধ।
তিনি সঠিক ভাবে বিছ্ মিল্লহ্ উচ্চারন
করতে পারেন না।কয়েক বার সরকার গঠন করার সুযোগ পেলেও ইসলামের
প্রচার প্রসারের জন্য উল্লেখ যোগ্য কোন কাজ করেন নাই।বাঙালি মসুল
মান বয়স্ক নারী হওয়া সত্বেও মাথার
ঘোমটা পয্যন্ত দেন না।ঘন ঘন জিয়ার
মাঝারে যাওয়া আর নীজ বাসভবনে
নারী পুরুষ যৌথ ভাবে অনৈতিক,
অসৌজন্য,দৃষ্টিকটু ভঙ্গিতে মিলাদ
করা ছাড়া আর কোথও ইসলামের
রীতি নীতি মেনে চলার উদাহরন খোজে পাওয়া যাবে না।
এই পরিবেশে নারীপরুষ একান্ত জড়াজড়ি ভাবে মিলাদ করা ইসলাম
অনুমোদন করে কিনা জানিনা।আমি
ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ একজন নাখান্দা মসুলমান হিসাবে বলতে পারি, এতে নেকের চেয়ে বধের অংশই
নির্গাত বেশী হবে।গত কিছুদিন আগে
অবরোধ চলা কালিন সময়ে অবরুদ্ধ
অফিস থেকে বের হতে না পেরে গাড়িতে দাড়িয়ে আছর নামাজের আগে বক্তৃতা শুরু করে মাগরীবের পর
শেষ করে অফিসে ফেরৎ গেছেন।ইলেকট্রোনিক মিডিয়া সরাসরি ঐ বক্তৃতা সম্প্রচার করেছে।
তিনি আছর এবং মাগরীব ইচছা করে
ক্বাজা করেছেন।নামাজ কি ইচ্ছা করে
ক্বাজাকরা যায়? নাকি তিনি নামাজ
পড়েন না? আমি বলি অবশ্যই তিনি
নামাজ আদায় করেন না।তার পরও
তিনি সুনামের সহিত মহামান্য মাওলানা মৌলবি সাহেবদের নেত্রী।যদিও ইসলামে নারী নেত্রীত্ব হারাম বলে তাঁরাই ফতোয়া দিয়ে জনগনকে সবসময়ে বিভ্রান্ত করে রাখেন। খালেদা জিয়া ,সকল তথাকথিত ধর্মীয় রীতি নীতি বর্হিভূত ভাবে বিয়ে শাদী,চলাফেরা,খানাপিনা সবই করেন।আর খালেদা জিয়া তথাকথিত ইসলামী সংগঠন সমুহের মহিয়ষি নেত্রী।এই নেত্রীর নেত্রীত্বে
সুচারু ভাবে মুসলমানদের উস্কানি
দিয়ে পবিত্র কোরানে আগুন দিতে
হস্ত কম্পন হয় না।পবিত্র মসজিদে বোমাবাজি করতে সামান্য হৃদয়ে
কম্পন ধরেনা ।মাদ্রাসায় আগুন দিয়ে
ধর্মীয় কিতাব পোড়াতে মনে এতটুকু
বাধা দেয় না।
আমার দৃড় বিশ্বাস, মিথ্যা বলা,
পবিত্র কোরানে আগুন,মসজিদে আগুন,মাদ্রসা পোড়ানোর অভিশাপে খালেদা জিয়ার শারিরীক ,মানসিক,,রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক,সামাজিক ভাবে ধীরে ধীরে পতনের দিকে দাবিত হচ্ছেন।আমি চেলেন্জ করে বলতে পারি খালেদা আর কখনও বাংলা দেশের প্রধান মন্ত্রী হতে পারবেনা।
মানুষের বিচার সবাই দেখে,আল্লার বিচার কেহ দেখেনা।ধীরে ধীরে বান্দার উপর গজব নাজিল হয়।মানুষ শুধু অনূসুচনা করতে পারে, অনূভব করতেপারে না।

বাংলাদেশ আমার, আমি বৌদ্ধ, খিষ্টান,হিন্দু অথবা মুসলমান"যাহাই হইনা কেন,আমি বাংলা দেশের নাগরিক।একশ্রেনীর সংগঠন তাঁর নেতা নেত্রীরা ধর্মকে পুজি করে, ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে,খমতায় যাওয়ার বা খমতা পাকাপোক্তভাবে চিরস্থায়ী হওয়ার জন্য।ধর্মকে মুলত:ধারন করে না।ধর্ম ধারন করার বিষয়,বাড়াবাড়ি করার বিষয় নয়।
বত`মান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হচ্ছে ধর্ম`কে নিয়ে রাজনীতি করা ।মানুষরুপি নরপশু গুলা এই কাজ করে থাকে । তাই ঐ নরপশু গুলার সম্পর্কে` নিজে জানুন ও অন্যকে জানতে সহায়তা করুন ।
ধর্মে` ধর্মে` বিভেদ আর নয়, তার চেয়ে ধম`কে শক্তি হিসাবে ব্যবহার করে মানুষের কল্যানে কাজ করুন । দুনিয়ার সকল মানুষের জন্য সকলের কল্যানে ।আমি স্পষ্ট বলতে চাই,আমি হাজার বছরের বাঙ্গালী,পুর্ব পুরুষেরা যখন মানবতার ধর্ম,আধুনিক ধর্ম, দুনিয়ায় আল্লাহ কতৃক নাজেল কৃত ধর্মের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম গ্রহন করেছে, তখন থেকে মুসলিম,১৯৭১ ইং সালের ১৬ ই ডিসেম্বর হতে বাংলাদেশী।
আসুন একসাথে বলি ধর্ম` যার যার বাংলাদেশ সবার।
ধর্ম যার যার --উৎসব পার্বন সবার।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন