বিশেষ ট্রাইবুনাল করে আগুন সন্ত্রাসের বিচার কবে শুরু হবে??
আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল কখন হবে====বিস্তারীত ক্লিক করুন
==================[[======
জননেত্রী জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে সংসদ সদস্যের প্রশ্ন উত্তর পর্বে জানিয়েছিলেন বিগত দিনের পেট্রোল বোমা হামলা,সম্পদ ধংশ,ভীতি প্রদর্শন, যানবাহনে আগুন ইত্যাদি মানবতা বিরুদি অপরাধের বিচার করার জন্য ট্রাইবোনাল গঠন করবেন।শান্তিপ্রিয় মানুষ আশ্বস্থ হয়েছিল এই ভেবে,শেষ পুয্যন্ত জঙ্গিপনার বিচার হবে,আইন সবার জন্য সমান ভাবে প্রয়োগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন জাতির জনকের কন্যা।আইনের শাষন প্রতিষ্টার অঙ্গিকার রক্ষা করবেন।দীর্ঘ দিন পার হয়ে গেলেও উক্ত ঘোষনার কোন অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হওয়ায় জনগন কিছুটা আশাহত।আগুন সন্ত্রাসের নেতা নেত্রীদের আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হলে, ভবিষ্যতের জন্য খারাপ নজির সৃষ্টি হয়ে থাকবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক গন মনে করেন।সরকারের জঙ্গীদমন,যুদ্ধাপরাধির বিচার,২১শে আগষটের গ্রেনেড হামলার বিচার,অন্যসব চাঞ্চল্যকর হত্যার বিচার অনুষ্ঠান করে বিশ্ব দরবারে আইনের শাষন কায়েমের যে উজ্জ্বল ভাবমুর্তি স্থাপন করেছিলেন,সেই ভাব মুর্তিতে চিড় ধরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
তাছাড়াও বিগত তত্বাবধায়ক সরকার কতৃক দুর্নীতি বিরুধি অভিযানে যে সমস্ত
রাজনীতিবিদ বা কোন দলের শীর্ষনেতা যদি নীতিহীন-দুনীতিগ্রস্ত হয়, সেই দলের অপরাপর নেতারাও দুনীতি পরায়ন হওয়াটা স্বাভাবিক।শীর্ষনেতারা দুনীতি করে বা অনৈতিক ভাবে টাকা রোজগারে লিপ্ত থাকে, এইধরনের নেতা খুজে নিতে সময়ের প্রয়োজন হতেপারে কিন্তু কোন দুনীতিতে লিপ্ত নেই, এই প্রকৃতির নেতা খুজে নিতে সময়ক্ষেপনের প্রয়োঞ্জন হয় না।অনেকের নিকট কথাটার সত্যতা নাও থাকতে পারে,তাদেরকে গভীরভাবে চিন্তা করার অনুরোধ করবো।
আমাদের দেশের প্রত্যেক নাগরিকের
চিন্তা চেতনায় গভির ভাবে প্রোথিত যে, নেতাই দুনীতিবাজ।এমন ধারনা,নেতা হয় শুধু দুনীতি করে টাকা রোজগারের জন্য।নাগরিকদের মনে এই ধারনা বদ্ধমুল হওয়ার পিছনেও অকাট্য যুক্তি বিদ্যমান আছে।তবে সর্বাংশে তদ্রুপ নয়,তাহা একটু গভীর মনোযোগে চিন্তায় নিলে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যেতে পারে।সারা বিশ্বের দেশ সমুহ শাষন করে কোন না কোন ভাবে রাজনীতিবিদরাই।আবহমান কাল থেকেই নিয়মটি প্রত্যেক দেশেই কমবেশি ক্ষনকালের বিরতিতে হলেও পালিত হয়ে আসছে।কোন দেশের শীষ নেতা দুনিতি করেছে বলতে পারবেন?যে দেশেই যে শীষ নেতা দুনীতিতে জড়িয়েছেন, তার দল বা তার পরিবার রাজনীতি থেকে
ছিটকে ইতিহাসের অতলগব্বরে হারিয়ে গেছেন।ফিলিফাইনের মাকোস পরিবার
প্রমানিত দুনীতিবাজ হওয়ার পর ফিলি ফাইনের রাজনীতি থেকে ঐ পরিবার হারিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।তবে তৃতীয় বিশ্বের নেতাদের মধ্যে দুনীতির কিছুটা উদাহরন থাকলেও উন্নত বিশ্বে ছিটে ফোঁটাও মেলানো দুষ্কর বলা যায়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সনের ওয়াটার
গেট কেলেংকারি? অর্থসংক্রান্ত কোন বিষয় নয়।রাজনীতির শীর্ষ পয্যায়ে থেকে ভোগ বিলাশের নিমিত্তে অনৈতিক টাকা আহরনের বিষয়ই আমার প্রতিপাদ্য। প্রায় দেশের রাষ্ট্র নায়কদের বহু ধরনের কেলেংকারি পাওয়া যেতে পারে, অথনৈতিক বিষয়ক কেলেংকারি খুজে বের করা কষ্টসাধ্য,"আমার আলোচ্য বিষয়।"
রাষ্ট্র পরিচালক সে যে দেশেরেই হোক, অর্থবিষয়ক কেলেংকারিতে জড়িত আছে প্রমানিত হলে,তারপরিবারের জন্য রাজনীতির কবর হয়ে যায়,রাজনৈতিক অংগন থেকে বিদায় নিতে হয়।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে উক্ত নিয়মের ব্যতিক্রম হবে আশা করা যায় না।দীঘ নয় বছর দেশ শাষন করার পর,জাতীয়পাটি চেয়ারম্যান জনাব এরশাদ দুনীতির কারনে গনআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা চ্যুতির২৫বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর ও রাজনীতিতে ভাল অবস্থানে পৌছাতে পারেন নাই।দিন যতই গড়াচ্ছে ততই তার দল বা তিনি নিজেও অন্য দল বা ব্যক্তির উপর নিভর হয়ে রাজনৈতিক ময়দানে উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন।দিনে দিনে দল ছোট হয়ে বিলিন হওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।রাজনীতিতে বারংবার ভুলের কারনেও একসময়ের গনমুখি জনগন নির্ভর দল রাজনৈতিক ময়দান থেকে জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার উদাহরন এই
উপমহাদেশে বিদ্যমান আছে।পাকিস্তান
রাষ্টের স্বাধিনতায় নেতৃত্ব দানকারি দল মুসলিম লীগ, মহান মুক্তি যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারনে বাংলাদেশের
রাজনৈতিক ময়দান থেকে অনেক আগেই বিলিন হয়ে গেছে,ইহা কিন্তু বেশিদিন আগের কথা নহে।
আমদের সকলেরই জানা আছে,মেজর জিয়া কতৃক প্রতিষ্ঠিত বি,এন,পি--যে ভাবেই ক্ষমতায় আসুকনা কেন,কয়েক বারই বাংলাদেশের সরকার পরিচালনা করেছেন।ভাল করেছেন মন্দ করেছেন আমি সে দিকে আলোকপাত করবো না।
জিয়া পরিবার ২০০৬সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর, খালেদা জিয়া এবং তার সন্তান তারেক জিয়া ও কোকো সরকারকে যথা রীতি টেক্স প্রদান করে কালোটাকা সাদা করেছেন। এটা প্রমানিত চিরন্তন সত্য। যে পরিবারের বাংলাদেশ কয়েকবার শাষন করার সৌভাগ্য হয়েছে, একটা বৃহৎ দলের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন দুই যুগেরও অধিক সময়, সেই দলের প্রধান বা তার পরিবার কাল টাকা সাদা করতে পারে ইহা সপ্তম আচায্য থেকেও আরও বিষ্ময় সৃষ্টিকারি ঘটনা।পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজির আছে কিনা আমার জানা নাই।
এখানে বিষয়টা অনেকেরই জানার বাহিরে রয়ে গেছে বা সঠিকভাবে অনেকেই বুঝতে পারেন নাই,আসলে কাল টাকা কি? আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে যতটুকু বুঝি,কাল টাকা হচ্ছে"আয় বহিভুত টাকা"।"অর্থাৎ নিদিষ্ট বা ঘোশিত সম্পদ থেকে বছরান্তে যে আয় আসার কথা তার চাইতে বেশী টাকা যদি কারো নিয়ন্ত্রনে বা হেফাজতে থাকে তাকেই কালো টাকা হিসাবে অভিহিত করা হয়।""
এখন প্রশ্ন হল জিয়া পরিবারের নিকট কাল টাকা জমা হওয়ার উৎস কোথায় থেকে এল? কি ভাবে এত কাল টাকার মালিক হলেন?কি করে সম্ভব হল?একটা দেশের প্রধান এবং পরিবারের সকল সদস্য কালটাকা আহরনের রাস্তাই বা কিকরে পেলেন?কোন রকমেই বিশ্বাস করার কারন হত না,"যদি তারা নিজেরাই উদ্যোগি হয়ে সরকারি কোষাগারে নিদিষ্ট পরিমান কর পরিশোধ করে,কালটাকা সাদা না করতেন"।
এরশাদের বিরোদ্ধে দুনীতির ব্যাপক অভিযোগ ছিল।এখনও তিনি মানুষের মন থেকে দুর্নিতির অভিযোগ দুরিভুত করতে পারেন নাই।তার ক্ষেত্রে কাল টাকা সাদা করার প্রমান আমার মনে হয় নাই।খালেদার পরিবারের ক্ষেত্রে তারা নিজেরাই প্রমান করে দিল।উন্নত বিশ্বের কোন দেশ যদি হত,তাহলে কত বছর জেলে থাকতে হত, তার কোন হিসাব করা যেত না।জিয় পরিবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবার ফিরে আসতে পারবে কস্মিন কালেও বিশ্বাস করার কোন কারন নাই।
বাংলাদেশের মানুষ আগে যেমন হুজুগে কান দিতেন বা প্রোপাগান্ডা বিশ্বাস করতেন তদ্রুপ বর্তমানে করেন না, তাঁর প্রমান ও ইতিমধ্যে
বহুবার দেখা গেছে।মানবতা বিরোদি অপ্রাধারের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগে পরে কম গুজুব ছড়ানোর চেষ্টা হয়নি,সাময়িক গুজবের আবেদন পরিলক্ষিত হলেও,সময়ে তা হাওয়ায় মিলিয়ে যেতেও দেখা গেছে।আওয়ামী লীগ ধর্মবিরুদি আইন প্রনয়ন করেছে বলে হেফাজতিরা যে গুজুব ছড়িয়েছিল,তাও সময়ে মানুষের মন থেকে দুরীভূত হয়ে গেছে।আবহমান কাল থেকে লক্ষ করলে দেখা যায়,আমাদের দেশের তথাকথিত ধর্মীয় দল গুলী সব সময়ে গুজব ছড়িয়ে স্বার্থ সিদ্ধির চেষ্টা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে যায়।বাঙ্গালী মসুলমান সমাজ ধর্মভীরু তবে ধর্মান্ধ নয়। তাই হেফাজতিরদের মিথ্যে প্রপাকান্ডে প্রথম দিকে সাড়া দিলেও মিথ্যা প্রমানীত হওয়ার পর, সফি হজুরের সঙ্গ ত্যাগ করতেও দেখা গেছে।মিথ্যা প্রপাকান্ডের মাধ্যমে সারা দেশের কওমী মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক,জামাত, বি,এন,পির সহযোগিতায়, সরকার উৎখাতের মত পরিকল্পনায় অংশ নিয়ে ঢাকার শাপলা চত্বরে ১২ঘন্টা সময়ের আবেদন করে। সরকার ধর্মীয় নেতাদের সম্মান দেখিয়ে সময় মঞ্জুর করে।পরবর্তিতে দেখা যায়, অবস্থান লাগাতার করে সহসাই সহিংসতায় ররুপ দিয়ে এক অরাজগতার আশ্রয় নিয়ে শহরে আগুন দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।আগুনে শত শত কোরান পুড়িয়ে দিতেও তাঁদের হাত কাঁপেনি।সরকার যথাসময়ে তাঁদের চক্রান্ত বুঝতে পেরে রাতের মধ্যে পুলিশি অভিযানের মাধ্যমে তাঁদের উচ্ছেদ করে।দেশ ও জনগন এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের হাত থেকে রক্ষা পায়। দেশে বিদেশে সরকার প্রসংসিত হয়।তখনকার সময়ে শ্বেত সন্ত্রাসের, গাছ নিধন,সম্পদ ধংশ,যানবাহনে আগুন,স্বর্ণদোকান লুট,ব্যাংক লুটের মামলাগুলীর অগ্রগতির কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছেনা।দীর্ঘসুত্রিতার কারনে মামলার গুরুত্বপুর্ন সাক্ষী অথবা আলামত হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।প্রয়োজনে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে মামলা গুলীর বিচার ত্বরান্বিত করা সময়ের দাবী মনে করি।
ইতিমধ্যে বিচার ব্যাবস্থাকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস কয়েক বারই করা হয়েছে।খালেদা জীয়ার পরিবারের মামলা এবং মানবতা বিরুদি অপরাধের বিচারে এই প্রয়াস লক্ষনীয় ভাবে পরিপুষ্ট।মানবতা বিরুদি অপরাধের বিচারে বাধা সৃষ্টির লক্ষে বিদেশে লবিষ্ট নিয়োগ করেও অপপ্রচারের প্রয়াস দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ।তদ্রুপ খালেদা জিয়ার পরিবারের বিচার এড়ানোর লক্ষে,জঙ্গীতোষন নীতি ধামাচাপা দিতে বিশ্বের সব চেয়ে নামী লবিষ্ট ফার্মকে মাসিক ৪০হাজার ডলারের বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করেছেন বলে দেশের সকল পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।কাজের অগ্রগতিতে এই সম্মানী দ্বিগুন হওয়ার কথাও চুক্তিতে উল্লেখ করা আছে বলে খবরে নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে দেশবাসি লক্ষ করেছে বি,এন,পি ঘরনার আইনজীবী ও বুদ্ধিজীবিরা মামলার আগে মামলা সম্পর্কে বিবৃতি দেয়া,এবং চলমান মামলায় সঠিক বিচার না পাওয়ার আশংকা ব্যক্ত করে বিচারীক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে রেখেছে।দেশের উচ্চ পয্যায়ের নাগরীকদের নিকট জনগন যা কখনই আশা করে না।
ট্রাইবুনাল গঠন করে খালদোর বিচার কেউ মেনে নেবে না : নজরুল ইসলাম খান
ভয় আর কাকে বলে? আপনারা ট্রাইবুনাল করে শত শত সেনা বাহিনির মুক্তিযুদ্ধা অফিসারের বিচারের নামে প্রহসন করে হত্যা করেছিলেন তখন কে মেনেছিল?একতরফা বিচারে আত্মপক্ষ সমর্থন করার জন্য আইনজীবি নিয়োগের ব্যাবস্থা রহিত করে,আদালতে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারী করে, অন্ধকার প্রকোষ্টে নাম মাত্র বিচারের আয়োজন করে, সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করার সময়ে, আপনি নীতিবান শ্রমিক নেতা ছিলেন কোথায়? নিয়মিত আদালতে বিচার হবে,তাঁর আগে আপনাদের কে জনগনের নিকট ওয়াদা করতে হবে,দিনের পর দিন মামলায় হাজিরা না দেয়ার জন্য কোন প্রতারনার আশ্রয় নিবেন না।আদালতের নিয়মাতান্ত্রিক সুযোগ প্রতারনার কাজে ব্যবহার করবেন না।তারেক জিয়াকে দেশে নিয়ে আসুন,আইনের হাতে সোপার্দ করুন।বিচার প্রক্রিয়ায় সহযোগীতা করে, আপনাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতার প্রমান রাখুন, তার পর বিবেচনা করবে সরকার দ্রুত বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল করবে কিনা।সাধারন আদালতের প্রতি ইতি মধ্যেই আপনারাইতো অনাস্থা দিলেন।বিচারক নাকি সরকারের হুকুম তামিল করে,এখন বলছেন সাধারন আদালতে বিচার করতে।ট্রাইব্যুনালের বিচার মানবেন না।মুলত আপনারা আকাশ থেকে ফেরেস্তা এসে বিচার করলেও রায় আপনাদের পক্ষে না গেলে মানবেন না।কারন আইনের প্রতি আপনাদের কোন শ্রদ্ধাবোধ নেই।সারা দেশব্যাপি আগুন সন্ত্রাস করে শত শত মানুষ পুড়িয়ে মারবেন,আপনাদের বিচার করা যাবে না,এই রীতি আইয়ামে জাহেলিয়ার যোগেও ছিল না।সে যুগেও হত্যার বদলে হত্যার প্রচলন ছিল।আপনারা কি সেই যুগকেও হার মানাতে চান?
যারা আগুন সন্ত্রাসে মৃত্যু বরন করেছে তাঁরাও এই দেশের নাগরিক।নাগরিক হিসেবে তাঁর ও বিচার পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার আছে।রাজনীতি বা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মানুষ হত্যা করার অধিকার বাংলাদেশ নয় শুধু, বিশ্বের কোন দেশের সংবিধানেও নেই।
বলতে পারেন খালেদা জিয়া কি রাজপথে গিয়েছিল মানুষ মারার জন্য?না যায়নি।একজন মানুষ ও বলবেনা খালেদা জিয়া রাজপথে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে মানুষ হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন।শেখ হাসিনাও বলছেনা খালেদা জিয়া নিজেই পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ জ্বালিয়েছে। আপনি নিজেই বলুন ৯২দিনের হরতাল অবরোধের ডাক কে দিয়েছিল?বিশ দলের নেতা কে?বলতে পারেন নেত্রী নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করার জন্য কর্মিদের নির্দেশ দিয়েছেন।সরকার পতনের আন্দোলনের শ্লোগান পেট্রোল বোমায় রুপান্তরীত হয়ে গেছে,নেত্রীর এখানে কোন হাত নেই।আন্দোলন নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা অর্জনের আগে কে বলেছে আন্দোলন করার জন্য?রাষ্ট্র বিজ্ঞানের কোন পাতায় লিখা আছে সরকার পতনের আন্দোলনে বোমার ব্যাবহার করা যায়?রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কোন পাতায় উল্লেখ আছে গনসংগঠন বিপ্লবি দলের ন্যায় গেরিলা তৎপরতা চালিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে পারে।বিশ্বের কোন জননেতা অফিসে অবস্থান করে বিবৃতির মাধ্যমে আন্দোলন করেছে?একমাত্র উগ্রজঙ্গিবাদি দল ছাড়া আর কোন গনতন্ত্রে বিশ্বাসি দল বা তার নেতা অফিসে বসে বা পালিয়ে থেকে আন্দোলন করার ইতিহাস আছে?রাজনীতি বিজ্ঞানে এই রুপ কোন আন্দোলনের উদাহরন দিতে পারবে?
সরকার পতনের জন্য একাধারে নব্বই দিন লাগাতার হরতাল অবরোধের ডাক কে দিয়েছিল তা মানুষ ভাল করেই জানে।অনেক বোমাবাজ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে,তারা বি,এন,পির লোক।কর্মসুচি সফল করার জন্য আতংক সৃষ্টি করতে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়েছে। কর্মিদের সংগ্রামের সফলতায় ক্ষমতায় যাবেন,ব্যর্থতার ভার কে নিবে?আন্দোলনের ফসল উপভোগ করবেন আপনি বিচার কি তৈয়ার বাপের হবে?
আপনারা ক্ষমতায় থাকাকালিন নজির সৃষ্টি করেছিলেন, ২১শে আগষ্ট বোমা হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা করে, তাঁর দায়ভার চাপিয়ে দিয়েছিলেন গরীব নোয়াখালীর নীরিহ দিন মজুর জর্জ মিয়ার উপর।তার অসহায়ত্বকে পুঁজি করে তাকে জেলে রেখে সরকারী সংস্থা ডি,বি কে দিয়ে তাঁর পরিবারের জন্য মাসে মাসে টাকাও পাঠিয়েছেন আপনারা।পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহিন ঘটনার জর্ম্ম দিয়ে ছেন আপনারাই।কুখ্যাত ইমডেমনিটি আইন করে তা সংবিধানের অংশে রুপান্তরীত করে জাতির জনকের হত্যার বিচার চাওয়ার পথ রুদ্ধ করেছিলেন এই আপনারাই।যে আইন আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগেও ছিল না।আপনারা সেই অন্ধকার যুগের আগের যুগে দেশকে নিয়ে যেতে চান কেন জানিনা।তাঁর আগেও এইধরনের কোন আইন ছিল কিনা জানা নাই,যে অপরাধ করে বিচার এড়িয়ে যেতে পারে।বা অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া রুদ্ধ করা যেতে পারে।আপনারা কি এই দেশের সব মানুষকে বোকা ভাবেন না পাগল ভাবেন?আমার ধারনা আপনারা সবাই মানষিক বিকারগ্রস্ত। যদি তাই না হয়,এই অদ্ভুত দাবি কোন সুস্থ্য মানুষের পক্ষে করা সম্ভব?
আইনের শাসন কায়েম,জনগনের জানমালের নিরাপত্তা,জঙ্গী নির্মুল,জনগনের চলাচলের নিশ্চয়তা,দুর্নীতি দমন,,ইত্যাদি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ওয়াদা।যে কোন মুল্যে জনগনের নিকট দেয়া ওয়াদা পুরন অবশ্যই করতে হবে।আইন সবার জন্যসমান।অপরাধীকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসাই সরকারের দায়ি্ত্ব ,বিচারের রায়কে নিজের পক্ষে নেয়া অপরাধির দায়িত্ব।যে সরকার প্রভাব শালিদের জন্য এক রকম,নাগরীকদের জন্য আরেক রকম আইনের প্রয়োগ করার চেষ্টা করে, সেই সরকার আর যাই হোক ন্যায় নীতির সরকার গন্য হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর প্রদত্ব ওয়াদা মোতাবেক অতিসত্ব্রর ট্রাইবুনাল গঠন করে আগুন সন্ত্রাসের বিচার শুরু করার জন্য মুক্তিযুদ্ধা,শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার,মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি,দেশের সচেতন নাগরীক,ভুক্তভুগি পরিবার সমুহ আকুল আবেদন জানাচ্ছে।এই বিচার দেশের আইনের শাষন প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একান্ত প্রয়োজন বলে বিশ্লেষক গন মনে করে।ভবিষ্যত প্রজর্ম্মের জন্য হলেও এই বিচার প্রক্রিয়ার আয়োজন করা অত্যাবশ্যক।ব্যর্থতায় ভবিষ্যতের নজীর সৃষ্টি হওয়ার যথেষ্ট আশংকা থেকে যাবে। জঙ্গীরাও উৎসাহিত হবে বলে বিশেষজ্ঞগন মনে করেন।
==================[[======
জননেত্রী জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে সংসদ সদস্যের প্রশ্ন উত্তর পর্বে জানিয়েছিলেন বিগত দিনের পেট্রোল বোমা হামলা,সম্পদ ধংশ,ভীতি প্রদর্শন, যানবাহনে আগুন ইত্যাদি মানবতা বিরুদি অপরাধের বিচার করার জন্য ট্রাইবোনাল গঠন করবেন।শান্তিপ্রিয় মানুষ আশ্বস্থ হয়েছিল এই ভেবে,শেষ পুয্যন্ত জঙ্গিপনার বিচার হবে,আইন সবার জন্য সমান ভাবে প্রয়োগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন জাতির জনকের কন্যা।আইনের শাষন প্রতিষ্টার অঙ্গিকার রক্ষা করবেন।দীর্ঘ দিন পার হয়ে গেলেও উক্ত ঘোষনার কোন অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হওয়ায় জনগন কিছুটা আশাহত।আগুন সন্ত্রাসের নেতা নেত্রীদের আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হলে, ভবিষ্যতের জন্য খারাপ নজির সৃষ্টি হয়ে থাকবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক গন মনে করেন।সরকারের জঙ্গীদমন,যুদ্ধাপরাধির বিচার,২১শে আগষটের গ্রেনেড হামলার বিচার,অন্যসব চাঞ্চল্যকর হত্যার বিচার অনুষ্ঠান করে বিশ্ব দরবারে আইনের শাষন কায়েমের যে উজ্জ্বল ভাবমুর্তি স্থাপন করেছিলেন,সেই ভাব মুর্তিতে চিড় ধরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
তাছাড়াও বিগত তত্বাবধায়ক সরকার কতৃক দুর্নীতি বিরুধি অভিযানে যে সমস্ত
রাজনীতিবিদ বা কোন দলের শীর্ষনেতা যদি নীতিহীন-দুনীতিগ্রস্ত হয়, সেই দলের অপরাপর নেতারাও দুনীতি পরায়ন হওয়াটা স্বাভাবিক।শীর্ষনেতারা দুনীতি করে বা অনৈতিক ভাবে টাকা রোজগারে লিপ্ত থাকে, এইধরনের নেতা খুজে নিতে সময়ের প্রয়োজন হতেপারে কিন্তু কোন দুনীতিতে লিপ্ত নেই, এই প্রকৃতির নেতা খুজে নিতে সময়ক্ষেপনের প্রয়োঞ্জন হয় না।অনেকের নিকট কথাটার সত্যতা নাও থাকতে পারে,তাদেরকে গভীরভাবে চিন্তা করার অনুরোধ করবো।
আমাদের দেশের প্রত্যেক নাগরিকের
চিন্তা চেতনায় গভির ভাবে প্রোথিত যে, নেতাই দুনীতিবাজ।এমন ধারনা,নেতা হয় শুধু দুনীতি করে টাকা রোজগারের জন্য।নাগরিকদের মনে এই ধারনা বদ্ধমুল হওয়ার পিছনেও অকাট্য যুক্তি বিদ্যমান আছে।তবে সর্বাংশে তদ্রুপ নয়,তাহা একটু গভীর মনোযোগে চিন্তায় নিলে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যেতে পারে।সারা বিশ্বের দেশ সমুহ শাষন করে কোন না কোন ভাবে রাজনীতিবিদরাই।আবহমান কাল থেকেই নিয়মটি প্রত্যেক দেশেই কমবেশি ক্ষনকালের বিরতিতে হলেও পালিত হয়ে আসছে।কোন দেশের শীষ নেতা দুনিতি করেছে বলতে পারবেন?যে দেশেই যে শীষ নেতা দুনীতিতে জড়িয়েছেন, তার দল বা তার পরিবার রাজনীতি থেকে
ছিটকে ইতিহাসের অতলগব্বরে হারিয়ে গেছেন।ফিলিফাইনের মাকোস পরিবার
প্রমানিত দুনীতিবাজ হওয়ার পর ফিলি ফাইনের রাজনীতি থেকে ঐ পরিবার হারিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।তবে তৃতীয় বিশ্বের নেতাদের মধ্যে দুনীতির কিছুটা উদাহরন থাকলেও উন্নত বিশ্বে ছিটে ফোঁটাও মেলানো দুষ্কর বলা যায়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সনের ওয়াটার
গেট কেলেংকারি? অর্থসংক্রান্ত কোন বিষয় নয়।রাজনীতির শীর্ষ পয্যায়ে থেকে ভোগ বিলাশের নিমিত্তে অনৈতিক টাকা আহরনের বিষয়ই আমার প্রতিপাদ্য। প্রায় দেশের রাষ্ট্র নায়কদের বহু ধরনের কেলেংকারি পাওয়া যেতে পারে, অথনৈতিক বিষয়ক কেলেংকারি খুজে বের করা কষ্টসাধ্য,"আমার আলোচ্য বিষয়।"
রাষ্ট্র পরিচালক সে যে দেশেরেই হোক, অর্থবিষয়ক কেলেংকারিতে জড়িত আছে প্রমানিত হলে,তারপরিবারের জন্য রাজনীতির কবর হয়ে যায়,রাজনৈতিক অংগন থেকে বিদায় নিতে হয়।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে উক্ত নিয়মের ব্যতিক্রম হবে আশা করা যায় না।দীঘ নয় বছর দেশ শাষন করার পর,জাতীয়পাটি চেয়ারম্যান জনাব এরশাদ দুনীতির কারনে গনআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা চ্যুতির২৫বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর ও রাজনীতিতে ভাল অবস্থানে পৌছাতে পারেন নাই।দিন যতই গড়াচ্ছে ততই তার দল বা তিনি নিজেও অন্য দল বা ব্যক্তির উপর নিভর হয়ে রাজনৈতিক ময়দানে উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন।দিনে দিনে দল ছোট হয়ে বিলিন হওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।রাজনীতিতে বারংবার ভুলের কারনেও একসময়ের গনমুখি জনগন নির্ভর দল রাজনৈতিক ময়দান থেকে জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার উদাহরন এই
উপমহাদেশে বিদ্যমান আছে।পাকিস্তান
রাষ্টের স্বাধিনতায় নেতৃত্ব দানকারি দল মুসলিম লীগ, মহান মুক্তি যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারনে বাংলাদেশের
রাজনৈতিক ময়দান থেকে অনেক আগেই বিলিন হয়ে গেছে,ইহা কিন্তু বেশিদিন আগের কথা নহে।
আমদের সকলেরই জানা আছে,মেজর জিয়া কতৃক প্রতিষ্ঠিত বি,এন,পি--যে ভাবেই ক্ষমতায় আসুকনা কেন,কয়েক বারই বাংলাদেশের সরকার পরিচালনা করেছেন।ভাল করেছেন মন্দ করেছেন আমি সে দিকে আলোকপাত করবো না।
জিয়া পরিবার ২০০৬সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর, খালেদা জিয়া এবং তার সন্তান তারেক জিয়া ও কোকো সরকারকে যথা রীতি টেক্স প্রদান করে কালোটাকা সাদা করেছেন। এটা প্রমানিত চিরন্তন সত্য। যে পরিবারের বাংলাদেশ কয়েকবার শাষন করার সৌভাগ্য হয়েছে, একটা বৃহৎ দলের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন দুই যুগেরও অধিক সময়, সেই দলের প্রধান বা তার পরিবার কাল টাকা সাদা করতে পারে ইহা সপ্তম আচায্য থেকেও আরও বিষ্ময় সৃষ্টিকারি ঘটনা।পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজির আছে কিনা আমার জানা নাই।
এখানে বিষয়টা অনেকেরই জানার বাহিরে রয়ে গেছে বা সঠিকভাবে অনেকেই বুঝতে পারেন নাই,আসলে কাল টাকা কি? আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে যতটুকু বুঝি,কাল টাকা হচ্ছে"আয় বহিভুত টাকা"।"অর্থাৎ নিদিষ্ট বা ঘোশিত সম্পদ থেকে বছরান্তে যে আয় আসার কথা তার চাইতে বেশী টাকা যদি কারো নিয়ন্ত্রনে বা হেফাজতে থাকে তাকেই কালো টাকা হিসাবে অভিহিত করা হয়।""
এখন প্রশ্ন হল জিয়া পরিবারের নিকট কাল টাকা জমা হওয়ার উৎস কোথায় থেকে এল? কি ভাবে এত কাল টাকার মালিক হলেন?কি করে সম্ভব হল?একটা দেশের প্রধান এবং পরিবারের সকল সদস্য কালটাকা আহরনের রাস্তাই বা কিকরে পেলেন?কোন রকমেই বিশ্বাস করার কারন হত না,"যদি তারা নিজেরাই উদ্যোগি হয়ে সরকারি কোষাগারে নিদিষ্ট পরিমান কর পরিশোধ করে,কালটাকা সাদা না করতেন"।
এরশাদের বিরোদ্ধে দুনীতির ব্যাপক অভিযোগ ছিল।এখনও তিনি মানুষের মন থেকে দুর্নিতির অভিযোগ দুরিভুত করতে পারেন নাই।তার ক্ষেত্রে কাল টাকা সাদা করার প্রমান আমার মনে হয় নাই।খালেদার পরিবারের ক্ষেত্রে তারা নিজেরাই প্রমান করে দিল।উন্নত বিশ্বের কোন দেশ যদি হত,তাহলে কত বছর জেলে থাকতে হত, তার কোন হিসাব করা যেত না।জিয় পরিবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবার ফিরে আসতে পারবে কস্মিন কালেও বিশ্বাস করার কোন কারন নাই।
বাংলাদেশের মানুষ আগে যেমন হুজুগে কান দিতেন বা প্রোপাগান্ডা বিশ্বাস করতেন তদ্রুপ বর্তমানে করেন না, তাঁর প্রমান ও ইতিমধ্যে
বহুবার দেখা গেছে।মানবতা বিরোদি অপ্রাধারের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগে পরে কম গুজুব ছড়ানোর চেষ্টা হয়নি,সাময়িক গুজবের আবেদন পরিলক্ষিত হলেও,সময়ে তা হাওয়ায় মিলিয়ে যেতেও দেখা গেছে।আওয়ামী লীগ ধর্মবিরুদি আইন প্রনয়ন করেছে বলে হেফাজতিরা যে গুজুব ছড়িয়েছিল,তাও সময়ে মানুষের মন থেকে দুরীভূত হয়ে গেছে।আবহমান কাল থেকে লক্ষ করলে দেখা যায়,আমাদের দেশের তথাকথিত ধর্মীয় দল গুলী সব সময়ে গুজব ছড়িয়ে স্বার্থ সিদ্ধির চেষ্টা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে যায়।বাঙ্গালী মসুলমান সমাজ ধর্মভীরু তবে ধর্মান্ধ নয়। তাই হেফাজতিরদের মিথ্যে প্রপাকান্ডে প্রথম দিকে সাড়া দিলেও মিথ্যা প্রমানীত হওয়ার পর, সফি হজুরের সঙ্গ ত্যাগ করতেও দেখা গেছে।মিথ্যা প্রপাকান্ডের মাধ্যমে সারা দেশের কওমী মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক,জামাত, বি,এন,পির সহযোগিতায়, সরকার উৎখাতের মত পরিকল্পনায় অংশ নিয়ে ঢাকার শাপলা চত্বরে ১২ঘন্টা সময়ের আবেদন করে। সরকার ধর্মীয় নেতাদের সম্মান দেখিয়ে সময় মঞ্জুর করে।পরবর্তিতে দেখা যায়, অবস্থান লাগাতার করে সহসাই সহিংসতায় ররুপ দিয়ে এক অরাজগতার আশ্রয় নিয়ে শহরে আগুন দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।আগুনে শত শত কোরান পুড়িয়ে দিতেও তাঁদের হাত কাঁপেনি।সরকার যথাসময়ে তাঁদের চক্রান্ত বুঝতে পেরে রাতের মধ্যে পুলিশি অভিযানের মাধ্যমে তাঁদের উচ্ছেদ করে।দেশ ও জনগন এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের হাত থেকে রক্ষা পায়। দেশে বিদেশে সরকার প্রসংসিত হয়।তখনকার সময়ে শ্বেত সন্ত্রাসের, গাছ নিধন,সম্পদ ধংশ,যানবাহনে আগুন,স্বর্ণদোকান লুট,ব্যাংক লুটের মামলাগুলীর অগ্রগতির কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছেনা।দীর্ঘসুত্রিতার কারনে মামলার গুরুত্বপুর্ন সাক্ষী অথবা আলামত হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।প্রয়োজনে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে মামলা গুলীর বিচার ত্বরান্বিত করা সময়ের দাবী মনে করি।
ইতিমধ্যে বিচার ব্যাবস্থাকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস কয়েক বারই করা হয়েছে।খালেদা জীয়ার পরিবারের মামলা এবং মানবতা বিরুদি অপরাধের বিচারে এই প্রয়াস লক্ষনীয় ভাবে পরিপুষ্ট।মানবতা বিরুদি অপরাধের বিচারে বাধা সৃষ্টির লক্ষে বিদেশে লবিষ্ট নিয়োগ করেও অপপ্রচারের প্রয়াস দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ।তদ্রুপ খালেদা জিয়ার পরিবারের বিচার এড়ানোর লক্ষে,জঙ্গীতোষন নীতি ধামাচাপা দিতে বিশ্বের সব চেয়ে নামী লবিষ্ট ফার্মকে মাসিক ৪০হাজার ডলারের বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করেছেন বলে দেশের সকল পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।কাজের অগ্রগতিতে এই সম্মানী দ্বিগুন হওয়ার কথাও চুক্তিতে উল্লেখ করা আছে বলে খবরে নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে দেশবাসি লক্ষ করেছে বি,এন,পি ঘরনার আইনজীবী ও বুদ্ধিজীবিরা মামলার আগে মামলা সম্পর্কে বিবৃতি দেয়া,এবং চলমান মামলায় সঠিক বিচার না পাওয়ার আশংকা ব্যক্ত করে বিচারীক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে রেখেছে।দেশের উচ্চ পয্যায়ের নাগরীকদের নিকট জনগন যা কখনই আশা করে না।
ট্রাইবুনাল গঠন করে খালদোর বিচার কেউ মেনে নেবে না : নজরুল ইসলাম খান
ভয় আর কাকে বলে? আপনারা ট্রাইবুনাল করে শত শত সেনা বাহিনির মুক্তিযুদ্ধা অফিসারের বিচারের নামে প্রহসন করে হত্যা করেছিলেন তখন কে মেনেছিল?একতরফা বিচারে আত্মপক্ষ সমর্থন করার জন্য আইনজীবি নিয়োগের ব্যাবস্থা রহিত করে,আদালতে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারী করে, অন্ধকার প্রকোষ্টে নাম মাত্র বিচারের আয়োজন করে, সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করার সময়ে, আপনি নীতিবান শ্রমিক নেতা ছিলেন কোথায়? নিয়মিত আদালতে বিচার হবে,তাঁর আগে আপনাদের কে জনগনের নিকট ওয়াদা করতে হবে,দিনের পর দিন মামলায় হাজিরা না দেয়ার জন্য কোন প্রতারনার আশ্রয় নিবেন না।আদালতের নিয়মাতান্ত্রিক সুযোগ প্রতারনার কাজে ব্যবহার করবেন না।তারেক জিয়াকে দেশে নিয়ে আসুন,আইনের হাতে সোপার্দ করুন।বিচার প্রক্রিয়ায় সহযোগীতা করে, আপনাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতার প্রমান রাখুন, তার পর বিবেচনা করবে সরকার দ্রুত বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল করবে কিনা।সাধারন আদালতের প্রতি ইতি মধ্যেই আপনারাইতো অনাস্থা দিলেন।বিচারক নাকি সরকারের হুকুম তামিল করে,এখন বলছেন সাধারন আদালতে বিচার করতে।ট্রাইব্যুনালের বিচার মানবেন না।মুলত আপনারা আকাশ থেকে ফেরেস্তা এসে বিচার করলেও রায় আপনাদের পক্ষে না গেলে মানবেন না।কারন আইনের প্রতি আপনাদের কোন শ্রদ্ধাবোধ নেই।সারা দেশব্যাপি আগুন সন্ত্রাস করে শত শত মানুষ পুড়িয়ে মারবেন,আপনাদের বিচার করা যাবে না,এই রীতি আইয়ামে জাহেলিয়ার যোগেও ছিল না।সে যুগেও হত্যার বদলে হত্যার প্রচলন ছিল।আপনারা কি সেই যুগকেও হার মানাতে চান?
যারা আগুন সন্ত্রাসে মৃত্যু বরন করেছে তাঁরাও এই দেশের নাগরিক।নাগরিক হিসেবে তাঁর ও বিচার পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার আছে।রাজনীতি বা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মানুষ হত্যা করার অধিকার বাংলাদেশ নয় শুধু, বিশ্বের কোন দেশের সংবিধানেও নেই।
বলতে পারেন খালেদা জিয়া কি রাজপথে গিয়েছিল মানুষ মারার জন্য?না যায়নি।একজন মানুষ ও বলবেনা খালেদা জিয়া রাজপথে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে মানুষ হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন।শেখ হাসিনাও বলছেনা খালেদা জিয়া নিজেই পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ জ্বালিয়েছে। আপনি নিজেই বলুন ৯২দিনের হরতাল অবরোধের ডাক কে দিয়েছিল?বিশ দলের নেতা কে?বলতে পারেন নেত্রী নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করার জন্য কর্মিদের নির্দেশ দিয়েছেন।সরকার পতনের আন্দোলনের শ্লোগান পেট্রোল বোমায় রুপান্তরীত হয়ে গেছে,নেত্রীর এখানে কোন হাত নেই।আন্দোলন নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা অর্জনের আগে কে বলেছে আন্দোলন করার জন্য?রাষ্ট্র বিজ্ঞানের কোন পাতায় লিখা আছে সরকার পতনের আন্দোলনে বোমার ব্যাবহার করা যায়?রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কোন পাতায় উল্লেখ আছে গনসংগঠন বিপ্লবি দলের ন্যায় গেরিলা তৎপরতা চালিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে পারে।বিশ্বের কোন জননেতা অফিসে অবস্থান করে বিবৃতির মাধ্যমে আন্দোলন করেছে?একমাত্র উগ্রজঙ্গিবাদি দল ছাড়া আর কোন গনতন্ত্রে বিশ্বাসি দল বা তার নেতা অফিসে বসে বা পালিয়ে থেকে আন্দোলন করার ইতিহাস আছে?রাজনীতি বিজ্ঞানে এই রুপ কোন আন্দোলনের উদাহরন দিতে পারবে?
সরকার পতনের জন্য একাধারে নব্বই দিন লাগাতার হরতাল অবরোধের ডাক কে দিয়েছিল তা মানুষ ভাল করেই জানে।অনেক বোমাবাজ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে,তারা বি,এন,পির লোক।কর্মসুচি সফল করার জন্য আতংক সৃষ্টি করতে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়েছে। কর্মিদের সংগ্রামের সফলতায় ক্ষমতায় যাবেন,ব্যর্থতার ভার কে নিবে?আন্দোলনের ফসল উপভোগ করবেন আপনি বিচার কি তৈয়ার বাপের হবে?
আপনারা ক্ষমতায় থাকাকালিন নজির সৃষ্টি করেছিলেন, ২১শে আগষ্ট বোমা হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা করে, তাঁর দায়ভার চাপিয়ে দিয়েছিলেন গরীব নোয়াখালীর নীরিহ দিন মজুর জর্জ মিয়ার উপর।তার অসহায়ত্বকে পুঁজি করে তাকে জেলে রেখে সরকারী সংস্থা ডি,বি কে দিয়ে তাঁর পরিবারের জন্য মাসে মাসে টাকাও পাঠিয়েছেন আপনারা।পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহিন ঘটনার জর্ম্ম দিয়ে ছেন আপনারাই।কুখ্যাত ইমডেমনিটি আইন করে তা সংবিধানের অংশে রুপান্তরীত করে জাতির জনকের হত্যার বিচার চাওয়ার পথ রুদ্ধ করেছিলেন এই আপনারাই।যে আইন আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগেও ছিল না।আপনারা সেই অন্ধকার যুগের আগের যুগে দেশকে নিয়ে যেতে চান কেন জানিনা।তাঁর আগেও এইধরনের কোন আইন ছিল কিনা জানা নাই,যে অপরাধ করে বিচার এড়িয়ে যেতে পারে।বা অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া রুদ্ধ করা যেতে পারে।আপনারা কি এই দেশের সব মানুষকে বোকা ভাবেন না পাগল ভাবেন?আমার ধারনা আপনারা সবাই মানষিক বিকারগ্রস্ত। যদি তাই না হয়,এই অদ্ভুত দাবি কোন সুস্থ্য মানুষের পক্ষে করা সম্ভব?
আইনের শাসন কায়েম,জনগনের জানমালের নিরাপত্তা,জঙ্গী নির্মুল,জনগনের চলাচলের নিশ্চয়তা,দুর্নীতি দমন,,ইত্যাদি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ওয়াদা।যে কোন মুল্যে জনগনের নিকট দেয়া ওয়াদা পুরন অবশ্যই করতে হবে।আইন সবার জন্যসমান।অপরাধীকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসাই সরকারের দায়ি্ত্ব ,বিচারের রায়কে নিজের পক্ষে নেয়া অপরাধির দায়িত্ব।যে সরকার প্রভাব শালিদের জন্য এক রকম,নাগরীকদের জন্য আরেক রকম আইনের প্রয়োগ করার চেষ্টা করে, সেই সরকার আর যাই হোক ন্যায় নীতির সরকার গন্য হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর প্রদত্ব ওয়াদা মোতাবেক অতিসত্ব্রর ট্রাইবুনাল গঠন করে আগুন সন্ত্রাসের বিচার শুরু করার জন্য মুক্তিযুদ্ধা,শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার,মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি,দেশের সচেতন নাগরীক,ভুক্তভুগি পরিবার সমুহ আকুল আবেদন জানাচ্ছে।এই বিচার দেশের আইনের শাষন প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একান্ত প্রয়োজন বলে বিশ্লেষক গন মনে করে।ভবিষ্যত প্রজর্ম্মের জন্য হলেও এই বিচার প্রক্রিয়ার আয়োজন করা অত্যাবশ্যক।ব্যর্থতায় ভবিষ্যতের নজীর সৃষ্টি হওয়ার যথেষ্ট আশংকা থেকে যাবে। জঙ্গীরাও উৎসাহিত হবে বলে বিশেষজ্ঞগন মনে করেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন