বিশেষ ট্রাইবুনাল করে আগুন সন্ত্রাসের বিচার কবে শুরু হবে??

  আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল কখন হবে====বিস্তারীত ক্লিক করুন
==================[[======


জননেত্রী জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে সংসদ সদস্যের প্রশ্ন উত্তর পর্বে জানিয়েছিলেন বিগত দিনের পেট্রোল বোমা হামলা,সম্পদ ধংশ,ভীতি প্রদর্শন, যানবাহনে আগুন ইত্যাদি মানবতা বিরুদি অপরাধের বিচার করার জন্য ট্রাইবোনাল গঠন করবেন।শান্তিপ্রিয় মানুষ আশ্বস্থ হয়েছিল এই ভেবে,শেষ পুয্যন্ত জঙ্গিপনার বিচার হবে,আইন সবার জন্য সমান ভাবে প্রয়োগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন জাতির জনকের কন্যা।আইনের শাষন প্রতিষ্টার অঙ্গিকার রক্ষা করবেন।দীর্ঘ দিন পার হয়ে গেলেও উক্ত ঘোষনার কোন অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হওয়ায় জনগন কিছুটা আশাহত।আগুন সন্ত্রাসের নেতা নেত্রীদের আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হলে, ভবিষ্যতের জন্য খারাপ নজির সৃষ্টি হয়ে থাকবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক গন মনে করেন।সরকারের জঙ্গীদমন,যুদ্ধাপরাধির বিচার,২১শে আগষটের গ্রেনেড হামলার বিচার,অন্যসব চাঞ্চল্যকর হত্যার বিচার অনুষ্ঠান করে বিশ্ব দরবারে আইনের শাষন কায়েমের যে উজ্জ্বল ভাবমুর্তি স্থাপন করেছিলেন,সেই ভাব মুর্তিতে চিড় ধরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
তাছাড়াও বিগত তত্বাবধায়ক সরকার কতৃক দুর্নীতি বিরুধি অভিযানে যে সমস্ত

    রাজনীতিবিদ বা কোন দলের শীর্ষনেতা যদি নীতিহীন-দুনীতিগ্রস্ত হয়, সেই দলের অপরাপর নেতারাও দুনীতি পরায়ন হওয়াটা স্বাভাবিক।শীর্ষনেতারা দুনীতি করে বা অনৈতিক ভাবে টাকা রোজগারে লিপ্ত থাকে, এইধরনের নেতা খুজে নিতে সময়ের প্রয়োজন হতেপারে কিন্তু কোন দুনীতিতে লিপ্ত নেই, এই প্রকৃতির নেতা খুজে নিতে সময়ক্ষেপনের প্রয়োঞ্জন হয় না।অনেকের নিকট কথাটার সত্যতা নাও থাকতে পারে,তাদেরকে গভীরভাবে চিন্তা করার অনুরোধ করবো।
  আমাদের দেশের প্রত্যেক নাগরিকের
চিন্তা চেতনায় গভির ভাবে প্রোথিত যে, নেতাই দুনীতিবাজ।এমন ধারনা,নেতা হয় শুধু দুনীতি করে টাকা রোজগারের জন্য।নাগরিকদের মনে এই ধারনা বদ্ধমুল হওয়ার পিছনেও অকাট্য যুক্তি বিদ্যমান আছে।তবে সর্বাংশে তদ্রুপ নয়,তাহা একটু গভীর মনোযোগে চিন্তায় নিলে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যেতে পারে।সারা বিশ্বের দেশ সমুহ শাষন করে কোন না কোন ভাবে রাজনীতিবিদরাই।আবহমান কাল থেকেই নিয়মটি প্রত্যেক দেশেই কমবেশি ক্ষনকালের বিরতিতে হলেও পালিত হয়ে আসছে।কোন দেশের শীষ নেতা দুনিতি করেছে বলতে পারবেন?যে দেশেই যে শীষ নেতা দুনীতিতে জড়িয়েছেন, তার দল বা তার পরিবার রাজনীতি থেকে
ছিটকে ইতিহাসের অতলগব্বরে হারিয়ে গেছেন।ফিলিফাইনের মাকোস পরিবার
প্রমানিত দুনীতিবাজ হওয়ার পর ফিলি ফাইনের রাজনীতি থেকে ঐ পরিবার হারিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।তবে তৃতীয় বিশ্বের নেতাদের মধ্যে দুনীতির কিছুটা উদাহরন থাকলেও উন্নত বিশ্বে ছিটে ফোঁটাও মেলানো দুষ্কর বলা যায়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সনের ওয়াটার
গেট কেলেংকারি? অর্থসংক্রান্ত কোন বিষয় নয়।রাজনীতির শীর্ষ পয্যায়ে থেকে ভোগ বিলাশের নিমিত্তে অনৈতিক টাকা আহরনের বিষয়ই আমার প্রতিপাদ্য। প্রায় দেশের রাষ্ট্র নায়কদের বহু ধরনের কেলেংকারি পাওয়া যেতে  পারে, অথনৈতিক বিষয়ক কেলেংকারি খুজে বের করা কষ্টসাধ্য,"আমার আলোচ্য বিষয়।"
রাষ্ট্র পরিচালক সে যে দেশেরেই হোক, অর্থবিষয়ক কেলেংকারিতে জড়িত আছে প্রমানিত হলে,তারপরিবারের জন্য রাজনীতির কবর হয়ে যায়,রাজনৈতিক অংগন থেকে বিদায় নিতে হয়।
  বাংলাদেশের রাজনীতিতে উক্ত নিয়মের ব্যতিক্রম হবে আশা করা যায় না।দীঘ নয় বছর দেশ শাষন করার পর,জাতীয়পাটি চেয়ারম্যান জনাব এরশাদ দুনীতির কারনে গনআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা চ্যুতির২৫বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর ও রাজনীতিতে ভাল অবস্থানে পৌছাতে পারেন নাই।দিন যতই গড়াচ্ছে ততই তার দল বা তিনি নিজেও অন্য দল বা ব্যক্তির উপর নিভর হয়ে রাজনৈতিক ময়দানে উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন।দিনে দিনে দল ছোট হয়ে বিলিন হওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।রাজনীতিতে বারংবার ভুলের কারনেও একসময়ের গনমুখি জনগন নির্ভর দল রাজনৈতিক ময়দান থেকে জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার উদাহরন এই
উপমহাদেশে বিদ্যমান আছে।পাকিস্তান
 রাষ্টের স্বাধিনতায় নেতৃত্ব দানকারি দল মুসলিম লীগ,  মহান মুক্তি যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারনে বাংলাদেশের
রাজনৈতিক ময়দান থেকে অনেক আগেই বিলিন হয়ে গেছে,ইহা কিন্তু বেশিদিন আগের কথা নহে।
    আমদের সকলেরই জানা আছে,মেজর জিয়া কতৃক প্রতিষ্ঠিত বি,এন,পি--যে ভাবেই ক্ষমতায় আসুকনা কেন,কয়েক বারই বাংলাদেশের সরকার পরিচালনা করেছেন।ভাল করেছেন মন্দ করেছেন আমি সে দিকে আলোকপাত করবো না।
জিয়া পরিবার ২০০৬সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর, খালেদা জিয়া এবং তার  সন্তান তারেক জিয়া ও কোকো সরকারকে যথা রীতি টেক্স প্রদান করে কালোটাকা সাদা করেছেন। এটা প্রমানিত চিরন্তন সত্য। যে পরিবারের বাংলাদেশ কয়েকবার শাষন করার সৌভাগ্য হয়েছে, একটা বৃহৎ দলের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন দুই যুগেরও অধিক সময়, সেই দলের প্রধান বা তার পরিবার কাল টাকা সাদা করতে পারে ইহা সপ্তম আচায্য থেকেও আরও বিষ্ময় সৃষ্টিকারি ঘটনা।পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজির আছে কিনা আমার জানা নাই।
   এখানে বিষয়টা অনেকেরই জানার বাহিরে রয়ে গেছে বা সঠিকভাবে অনেকেই বুঝতে পারেন নাই,আসলে কাল টাকা কি? আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে যতটুকু বুঝি,কাল টাকা হচ্ছে"আয় বহিভুত টাকা"।"অর্থাৎ নিদিষ্ট বা ঘোশিত সম্পদ থেকে বছরান্তে যে আয় আসার কথা তার চাইতে  বেশী টাকা যদি কারো নিয়ন্ত্রনে বা হেফাজতে থাকে তাকেই কালো টাকা হিসাবে অভিহিত করা হয়।""
   এখন প্রশ্ন হল জিয়া পরিবারের নিকট কাল টাকা জমা হওয়ার উৎস কোথায় থেকে এল? কি ভাবে এত কাল টাকার মালিক হলেন?কি করে সম্ভব হল?একটা দেশের প্রধান এবং পরিবারের সকল সদস্য কালটাকা আহরনের রাস্তাই বা কিকরে পেলেন?কোন রকমেই বিশ্বাস করার কারন হত না,"যদি তারা নিজেরাই উদ্যোগি হয়ে সরকারি কোষাগারে নিদিষ্ট পরিমান কর পরিশোধ করে,কালটাকা সাদা না করতেন"।
এরশাদের বিরোদ্ধে দুনীতির ব্যাপক অভিযোগ ছিল।এখনও তিনি মানুষের মন থেকে   দুর্নিতির অভিযোগ দুরিভুত করতে পারেন নাই।তার ক্ষেত্রে কাল টাকা সাদা করার প্রমান আমার মনে হয় নাই।খালেদার পরিবারের ক্ষেত্রে তারা নিজেরাই প্রমান করে দিল।উন্নত বিশ্বের কোন দেশ যদি হত,তাহলে কত বছর জেলে থাকতে হত, তার কোন হিসাব করা যেত না।জিয় পরিবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবার ফিরে আসতে পারবে কস্মিন কালেও বিশ্বাস করার কোন কারন নাই।
  বাংলাদেশের মানুষ আগে যেমন হুজুগে কান দিতেন বা প্রোপাগান্ডা বিশ্বাস করতেন তদ্রুপ বর্তমানে করেন না, তাঁর প্রমান ও ইতিমধ্যে
বহুবার দেখা গেছে।মানবতা বিরোদি অপ্রাধারের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগে পরে কম গুজুব ছড়ানোর চেষ্টা হয়নি,সাময়িক গুজবের আবেদন পরিলক্ষিত হলেও,সময়ে তা হাওয়ায়     মিলিয়ে যেতেও দেখা গেছে।আওয়ামী লীগ ধর্মবিরুদি আইন প্রনয়ন করেছে বলে হেফাজতিরা যে গুজুব ছড়িয়েছিল,তাও সময়ে  মানুষের মন থেকে দুরীভূত হয়ে গেছে।আবহমান কাল থেকে লক্ষ করলে দেখা যায়,আমাদের দেশের তথাকথিত ধর্মীয় দল গুলী সব সময়ে গুজব ছড়িয়ে স্বার্থ সিদ্ধির চেষ্টা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে যায়।বাঙ্গালী মসুলমান সমাজ ধর্মভীরু তবে ধর্মান্ধ নয়। তাই হেফাজতিরদের মিথ্যে প্রপাকান্ডে প্রথম দিকে সাড়া দিলেও মিথ্যা প্রমানীত হওয়ার পর, সফি হজুরের সঙ্গ ত্যাগ করতেও দেখা গেছে।মিথ্যা প্রপাকান্ডের মাধ্যমে সারা দেশের কওমী মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক,জামাত, বি,এন,পির সহযোগিতায়, সরকার উৎখাতের মত পরিকল্পনায় অংশ নিয়ে ঢাকার শাপলা চত্বরে ১২ঘন্টা সময়ের আবেদন করে। সরকার ধর্মীয় নেতাদের সম্মান দেখিয়ে সময় মঞ্জুর করে।পরবর্তিতে দেখা যায়, অবস্থান লাগাতার করে সহসাই সহিংসতায় ররুপ দিয়ে এক অরাজগতার আশ্রয় নিয়ে শহরে আগুন দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।আগুনে শত শত কোরান পুড়িয়ে দিতেও তাঁদের হাত কাঁপেনি।সরকার যথাসময়ে তাঁদের চক্রান্ত বুঝতে পেরে রাতের মধ্যে পুলিশি অভিযানের মাধ্যমে তাঁদের উচ্ছেদ করে।দেশ ও জনগন এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের হাত থেকে রক্ষা পায়।   দেশে বিদেশে সরকার প্রসংসিত হয়।তখনকার সময়ে শ্বেত সন্ত্রাসের, গাছ নিধন,সম্পদ ধংশ,যানবাহনে আগুন,স্বর্ণদোকান লুট,ব্যাংক লুটের মামলাগুলীর অগ্রগতির কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছেনা।দীর্ঘসুত্রিতার কারনে মামলার গুরুত্বপুর্ন সাক্ষী অথবা আলামত হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।প্রয়োজনে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করে মামলা গুলীর বিচার ত্বরান্বিত করা সময়ের দাবী মনে করি।
  ইতিমধ্যে বিচার ব্যাবস্থাকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস কয়েক বারই করা হয়েছে।খালেদা জীয়ার পরিবারের মামলা এবং মানবতা বিরুদি অপরাধের বিচারে এই প্রয়াস লক্ষনীয় ভাবে পরিপুষ্ট।মানবতা বিরুদি অপরাধের বিচারে বাধা সৃষ্টির লক্ষে বিদেশে লবিষ্ট নিয়োগ করেও অপপ্রচারের প্রয়াস দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ।তদ্রুপ খালেদা জিয়ার পরিবারের বিচার এড়ানোর লক্ষে,জঙ্গীতোষন নীতি ধামাচাপা দিতে বিশ্বের সব চেয়ে নামী লবিষ্ট ফার্মকে মাসিক ৪০হাজার ডলারের বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করেছেন বলে দেশের সকল পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।কাজের অগ্রগতিতে এই সম্মানী দ্বিগুন হওয়ার কথাও চুক্তিতে উল্লেখ করা আছে বলে খবরে নিশ্চিত করা হয়েছে।      
   ইতিমধ্যে দেশবাসি লক্ষ করেছে বি,এন,পি ঘরনার আইনজীবী ও বুদ্ধিজীবিরা মামলার আগে মামলা সম্পর্কে বিবৃতি দেয়া,এবং চলমান মামলায় সঠিক বিচার না পাওয়ার আশংকা ব্যক্ত করে বিচারীক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে রেখেছে।দেশের উচ্চ পয্যায়ের নাগরীকদের নিকট জনগন যা কখনই আশা করে না।
   ট্রাইবুনাল গঠন করে খালদোর বিচার কেউ মেনে নেবে না : নজরুল ইসলাম খান
    ভয় আর কাকে বলে? আপনারা ট্রাইবুনাল করে শত শত সেনা বাহিনির মুক্তিযুদ্ধা অফিসারের বিচারের নামে প্রহসন করে হত্যা করেছিলেন তখন কে মেনেছিল?একতরফা বিচারে আত্মপক্ষ সমর্থন করার জন্য আইনজীবি নিয়োগের ব্যাবস্থা রহিত করে,আদালতে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারী করে, অন্ধকার প্রকোষ্টে নাম মাত্র বিচারের আয়োজন করে, সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করার সময়ে, আপনি নীতিবান শ্রমিক নেতা ছিলেন কোথায়? নিয়মিত আদালতে বিচার হবে,তাঁর আগে আপনাদের কে জনগনের নিকট ওয়াদা করতে হবে,দিনের পর দিন মামলায় হাজিরা না দেয়ার জন্য কোন প্রতারনার আশ্রয় নিবেন না।আদালতের নিয়মাতান্ত্রিক সুযোগ প্রতারনার কাজে ব্যবহার করবেন না।তারেক জিয়াকে দেশে নিয়ে আসুন,আইনের হাতে সোপার্দ করুন।বিচার প্রক্রিয়ায় সহযোগীতা করে, আপনাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতার প্রমান রাখুন, তার পর বিবেচনা করবে সরকার দ্রুত বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল করবে কিনা।সাধারন আদালতের প্রতি ইতি মধ্যেই আপনারাইতো অনাস্থা দিলেন।বিচারক নাকি সরকারের হুকুম তামিল করে,এখন বলছেন সাধারন আদালতে বিচার করতে।ট্রাইব্যুনালের বিচার মানবেন না।মুলত আপনারা আকাশ থেকে ফেরেস্তা এসে বিচার করলেও রায় আপনাদের পক্ষে না গেলে মানবেন না।কারন আইনের প্রতি আপনাদের কোন শ্রদ্ধাবোধ নেই।সারা দেশব্যাপি আগুন সন্ত্রাস করে শত শত মানুষ পুড়িয়ে মারবেন,আপনাদের বিচার করা যাবে না,এই রীতি আইয়ামে জাহেলিয়ার যোগেও ছিল না।সে যুগেও হত্যার বদলে হত্যার প্রচলন ছিল।আপনারা কি সেই যুগকেও হার মানাতে চান?
   যারা আগুন সন্ত্রাসে মৃত্যু বরন করেছে তাঁরাও এই দেশের নাগরিক।নাগরিক হিসেবে তাঁর ও বিচার পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার আছে।রাজনীতি বা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মানুষ হত্যা করার অধিকার বাংলাদেশ নয় শুধু, বিশ্বের কোন দেশের সংবিধানেও নেই।
বলতে পারেন খালেদা জিয়া কি রাজপথে গিয়েছিল মানুষ মারার জন্য?না যায়নি।একজন মানুষ ও বলবেনা খালেদা জিয়া রাজপথে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে মানুষ হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন।শেখ হাসিনাও বলছেনা খালেদা জিয়া নিজেই পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ জ্বালিয়েছে। আপনি নিজেই বলুন ৯২দিনের হরতাল অবরোধের ডাক কে দিয়েছিল?বিশ দলের নেতা কে?বলতে পারেন নেত্রী নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করার জন্য কর্মিদের নির্দেশ দিয়েছেন।সরকার পতনের আন্দোলনের শ্লোগান পেট্রোল বোমায় রুপান্তরীত হয়ে গেছে,নেত্রীর এখানে কোন হাত নেই।আন্দোলন নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা অর্জনের আগে কে বলেছে আন্দোলন করার জন্য?রাষ্ট্র বিজ্ঞানের কোন পাতায় লিখা আছে সরকার পতনের আন্দোলনে বোমার ব্যাবহার করা যায়?রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কোন পাতায় উল্লেখ আছে গনসংগঠন বিপ্লবি দলের ন্যায় গেরিলা তৎপরতা চালিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে পারে।বিশ্বের কোন জননেতা অফিসে অবস্থান করে বিবৃতির মাধ্যমে আন্দোলন করেছে?একমাত্র উগ্রজঙ্গিবাদি দল ছাড়া আর কোন গনতন্ত্রে বিশ্বাসি দল বা তার নেতা অফিসে বসে বা পালিয়ে থেকে আন্দোলন করার ইতিহাস আছে?রাজনীতি বিজ্ঞানে এই রুপ কোন আন্দোলনের উদাহরন দিতে পারবে?
   সরকার পতনের জন্য একাধারে  নব্বই দিন লাগাতার হরতাল অবরোধের ডাক কে দিয়েছিল তা মানুষ ভাল করেই জানে।অনেক বোমাবাজ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে,তারা বি,এন,পির লোক।কর্মসুচি সফল করার জন্য আতংক সৃষ্টি করতে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়েছে। কর্মিদের সংগ্রামের সফলতায় ক্ষমতায় যাবেন,ব্যর্থতার ভার কে নিবে?আন্দোলনের ফসল উপভোগ করবেন আপনি বিচার কি তৈয়ার বাপের হবে?
   আপনারা ক্ষমতায় থাকাকালিন নজির সৃষ্টি করেছিলেন, ২১শে আগষ্ট বোমা হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা করে, তাঁর দায়ভার চাপিয়ে দিয়েছিলেন গরীব নোয়াখালীর নীরিহ দিন মজুর জর্জ মিয়ার উপর।তার অসহায়ত্বকে পুঁজি করে তাকে জেলে রেখে সরকারী সংস্থা ডি,বি কে দিয়ে তাঁর পরিবারের জন্য মাসে মাসে টাকাও পাঠিয়েছেন আপনারা।পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহিন ঘটনার জর্ম্ম দিয়ে ছেন আপনারাই।কুখ্যাত ইমডেমনিটি আইন করে তা সংবিধানের অংশে রুপান্তরীত করে জাতির জনকের হত্যার বিচার চাওয়ার পথ রুদ্ধ করেছিলেন এই আপনারাই।যে আইন আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগেও ছিল না।আপনারা সেই অন্ধকার যুগের আগের যুগে দেশকে নিয়ে যেতে চান কেন জানিনা।তাঁর আগেও এইধরনের কোন আইন ছিল কিনা জানা নাই,যে অপরাধ করে বিচার এড়িয়ে যেতে পারে।বা অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া রুদ্ধ করা যেতে পারে।আপনারা কি এই দেশের সব মানুষকে বোকা ভাবেন না পাগল ভাবেন?আমার ধারনা আপনারা সবাই মানষিক বিকারগ্রস্ত। যদি তাই না হয়,এই অদ্ভুত দাবি কোন সুস্থ্য মানুষের পক্ষে করা সম্ভব?
   আইনের শাসন কায়েম,জনগনের জানমালের নিরাপত্তা,জঙ্গী নির্মুল,জনগনের চলাচলের নিশ্চয়তা,দুর্নীতি দমন,,ইত্যাদি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ওয়াদা।যে কোন মুল্যে জনগনের নিকট দেয়া ওয়াদা পুরন অবশ্যই করতে হবে।আইন সবার জন্যসমান।অপরাধীকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসাই  সরকারের দায়ি্ত্ব ,বিচারের রায়কে নিজের পক্ষে নেয়া অপরাধির দায়িত্ব।যে সরকার প্রভাব শালিদের জন্য এক রকম,নাগরীকদের জন্য আরেক রকম আইনের প্রয়োগ করার চেষ্টা করে, সেই সরকার আর যাই হোক ন্যায় নীতির সরকার গন্য হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
 মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর প্রদত্ব ওয়াদা মোতাবেক অতিসত্ব্রর ট্রাইবুনাল গঠন করে আগুন সন্ত্রাসের বিচার শুরু করার জন্য মুক্তিযুদ্ধা,শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার,মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি,দেশের সচেতন নাগরীক,ভুক্তভুগি পরিবার সমুহ আকুল আবেদন জানাচ্ছে।এই বিচার দেশের আইনের শাষন প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একান্ত প্রয়োজন বলে বিশ্লেষক গন মনে করে।ভবিষ্যত প্রজর্ম্মের জন্য হলেও এই বিচার প্রক্রিয়ার আয়োজন করা অত্যাবশ্যক।ব্যর্থতায় ভবিষ্যতের নজীর সৃষ্টি হওয়ার যথেষ্ট আশংকা থেকে যাবে। জঙ্গীরাও উৎসাহিত হবে বলে বিশেষজ্ঞগন মনে করেন।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন