লিখাটি মুক্তিযুদ্ধ আর্কাইবস থেকে নেয়া।ইতিহাসে সত্য-মিথ্যা,রটনা- ঘটনা নতুন প্রজর্মকে নিবিড় ভাবে জানানো প্রয়োজন। মুক্তিযোদ্ধা ই-আর্কাইবস সে লক্ষে মহতি উদ্যোগ গ্রহন করেছে। ----------------------------------------- রক্তাক্ত নভেম্বর: কী চেয়েছিলেন খালেদ ও তাহের নভেম্ভর ৮, ২০১৫ ============================= (দ্বিতীয় কিস্তি) ড মো আনোয়ার হোসেন রক্তাক্ত নভেম্বর: কী চেয়েছিলেন খালেদ ও তাহের নভেম্ভর ৮, ২০১৫ ============================= ৩. সংসদে জেনারেল খালেদ মোশাররফের কন্যা সংসদ সদস্য মেহজাবিন খালেদের লিখিত বক্তব্য শুনেছি অভিনিবেশ সহকারে। মুক্তিযুদ্ধের তিন বীর সেনানী খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হুদা এবং মেজর হায়দার– যাঁরা ৭ নভেম্বর সিপাহী অভ্যুত্থানের পর নৃশংস হত্যার শিকার হন, তাদের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা খুব জরুরি। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য তিনি জিয়াউর রহমানকে দায়ী করছেন। এ বিষয়ে মেহজাবিনের সত্যাশ্রয়ী তথ্য উপস্থাপন আমাকে আশান্বিত করেছে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের ইতিহাসের ধূসরতম অধ্যায়, ১৯৭৫ সালের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ ঘিরে অত্যন্ত দ্রুতলয়ের ঘটনাবলী– যার অধিকাংশ এখনও অন্ধকারে ঢাকা, রহস্যাবৃত— তার বস্তুনিষ্ঠ অনুসন্ধান এবং সত্য বের করে আনা খুবই প্রয়োজন। মেহজাবিন সেই দাবি করেছেন। এ প্রসঙ্গে শুরুতেই দুএকটি তথ্য জানিয়ে রাখি। ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে নভেম্বরের অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ছিলেন বেঙ্গল ল্যান্সারের (ট্যাংক রেজিমেন্ট) মুক্তিযোদ্ধা অফিসার মেজর নাসির উদ্দিন। ‘গণতন্ত্রের বিপন্ন ধারায় বাংলাদেশের সেনাবাহিনী’ শীর্ষক একটি মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন তিনি। ৭ নভম্বের তিন সেনানায়কের হত্যাকাণ্ড বিষয়ে মেজর নাসির তাঁর পুস্তকে লিখেছেন। ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের যে কক্ষে ঘাতকরা তাদের হত্যা করে সেই একই কক্ষে একই রাতে মেজর নাসিরকেও আটকে রাখা হয়। অলৌকিকভাবে তিনি বেঁচে যান। তাই নাসিরের বর্ণনা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন: “বিদ্রোহের খবর শুনে তিনি (খালেদ মোশাররফ) বঙ্গভবন ছেড়ে লালমাটিয়ায় তাঁর মামার বাসায় আসেন। সেখান থেকে টেলিফোনে খবর সংগ্রহের চেষ্টা করেন। এরপর সম্ভবত কর্নেল হুদার পীড়াপীড়িতে তিনি শেরে বাংলা নগরে ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে আসেন। রংপুর থেকে কর্নেল হুদাই দুদিন আগে এই ব্যাটালিয়নটি ঢাকায় নিয়ে আসেন খালেদকে সহায়তা দেওয়ার জন্য। ৭১এ খালেদই ব্যাটালিয়নটি সৃষ্টি করেন তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীনে। [...] ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে খালেদের উপস্থিতির কথা জানাজানি হলে কর্নেল তাহের ও মীর শওকত বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার লোকদেরকে প্ররোচনা দিয়ে বিদ্রোহের আহ্বান জানান। শেষমেশ ১০ ইস্ট বেঙ্গল বিদ্রোহ করে বসে। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। বিদ্রোহের এক পর্যায়ে সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে এই জলিল ও আসাদই জেনারেল খালেদ, হুদা ও হায়দারকে হত্যা করে।” [নাসিরউদ্দিন, পৃষ্ঠা- ১৫১] উল্লেখ্য, ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় ব্রিগেডিয়ার মীর শওকত মেজর নাসিরকে ১০ ইস্ট বেঙ্গলে পাঠিয়ে দেন এবং সে রেজিমেন্টের ঘাতক অফিসার মেজর জলিল ও মেজর আসাদ নাসিরকে ঐ কক্ষটিতে পাঠান যেখানে সকাল ১১ টায় তারা হত্যা করেছে তিন সেনানায়ককে। [নাসিরউদ্দিন, পৃষ্ঠা- ১৪৯] এ প্রসঙ্গে সবার বিবেচনার জন্য জানাই, মেজর নাসিরের উক্তি থেকে মনে হতে পারে যে, তাহেরের নেতৃত্বে ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থানে মীর শওকত সহযোগী ছিলেন। তা একেবারেই সত্য নয়। মুক্তিযুদ্ধের পর কর্নেল তাহের অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল থাকাকালে সেনা অফিসারদের লুণ্ঠিত সম্পদ ফেরত দেবার জন্য যে আদেশ জারি করেছিলেন সেখানে অভিযুক্তদের তালিকার শীর্ষে ছিলেন মীর শওকত। এ প্রসঙ্গে গোপন আদালতে প্রদত্ত তাহেরের জবানবন্দি দেখব: In the month of April 1972, after all necessary treatment following the amputation was completed, I returned to Bangladesh. I rejoined the Bangladesh Army in the position of Adjutant General. I reinforced discipline in the Army when it was a difficult task. [...] I initiated disciplinary proceedings against certain senior officers, such as Brigadier Mir Sawkat and Major General Safiullah concerning certain illegalities. My position was that everything any officer had illegally acquired must be returned, so that they may stand up as brave and clean men before the nation’s freedom fighters. [Taher’s Last Testament: Bangladesh the Unfinished Revolution, Page: 67] তাহেরের বক্তব্য থেকে বোঝা যায় মীর শওকতের সঙ্গে তার বৈরিতা শুরু থেকেই। ১৯৭৬ সালে প্রহসনের বিচারে তাহেরের মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হওয়ার পর ব্রিগেডিয়ার মীর শওকত নিজে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করে ফাঁসির মঞ্চ পরীক্ষা করে যান। যদিও এটা কোনোভাবেই তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। আগাগোড়া জেনারেল জিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন মীর শওকত। মেজর নাসিরের বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, হত্যা করার জন্যই মীর শওকত নাসিরকে ১০ ইস্ট বেঙ্গলে পাঠিয়েছিলেন মেজর জলিল ও মেজর আসাদের হাতে। খালেদসহ তিনজন সেনানায়কের হত্যাকাণ্ডের সময় তাহের নন, ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণে ছিলেন জিয়া-মীর শওকত ও তাদের অনুগত অফিসাররা। সবচেয়ে বড় কথা, অভ্যুত্থানী সিপাহীদের হাতে নয়, ১০ বেঙ্গল রেজিমেন্টের (খালেদের নিজের হাতে গড়া ব্যাটালিয়ন) দুজন অফিসার মেজর জলিল ও মেজর আসাদের হাতে নিহত হন তিন সেনানায়ক। উল্লেখ্য যে, এই দুজনের কেউই তাহেরের নেততৃাধীন বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সদস্য ছিলেন না। পরবর্তীতে জানা গেছে, জেনারেল জিয়ার ইঙ্গিতেই তাদের হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে কর্নেল শাফায়াত জামিল রচিত ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ রক্তাক্ত মধ্য-আগস্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর’ পুস্তকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে। উল্লেখ্য, কর্নেল শাফায়াত জামিলের নেতৃত্বাধীন ৪৬তম ব্রিগেড খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থানে মূল ভূমিকা পালন করে। শাফায়াত জামিল লিখছেন: “শেষ রাতের দিকে দশম বেঙ্গলের অবস্থানে যান খালেদ। পরদিন সকালে ঐ ব্যাটালিয়নে নাশতাও করেন তিনি। বেলা এগারটার দিকে এল সেই মর্মান্তিক মুহূর্তটি। ফিল্ড রেজিমেন্টে অবস্থানরত কোনো একজন অফিসারের নির্দেশে দশম বেঙ্গলের কয়েকজন অফিসার অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় খালেদ ও তাঁর দুই সঙ্গীকে গুলি ও বেয়নেট চার্জ করে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি আজও। সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হলে ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত বারটার পর ফিল্ড রেজিমেন্টে সদ্যমুক্ত জিয়ার আশপাশে অবস্থানরত অফিসারদের অনেকেই অভিযুক্ত হবেন এ দেশের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম সেনানায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ মোশাররফকে হত্যার দায়ে। তথাকথিত সিপাহী বিপ্লবের অন্যতম নায়ক কর্নেল তাহের এবং তৎকালীন জাসদ নেতৃবৃন্দও এর দায় এড়াতে পারবেন না।” [শাফায়াত জামিল, পৃষ্ঠা: ১৪৪-১৪৫] তাই সংসদে যখন মেহজাবিন খালদে পিতার হত্যাকারী হিসেবে জিয়াকে চিহ্নিত করেন, তখন তিনি সত্য উচ্চারণই করেন। কারণ কর্নেল শাফায়াত জামিলের ভাষ্য অনুযায়ী ৬ নভেম্বর দিবাগত রাত বারটার পর ফিল্ড রেজিমেন্টে সদ্যমুক্ত জিয়ার আশেপাশে অবস্থানরত একজন অফিসারের নির্দেশে ঐ হত্যাকাণ্ড ঘটে। তাহের সিপাহী অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন, জাসদ তাতে রাজনৈতিক সহায়তা দিয়েছে, তাই শাফায়াত জামিল, “তথাকথিত সিপাহী বিপ্লবের অন্যতম নায়ক কর্নেল তাহের এবং তৎকালীন জাসদ নেতৃবৃন্দকেও” এই হত্যার দায় থেকে বাদ দেননি। তাহের ও জাসদ সম্পর্কে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন সেনানায়কদের মনোভাব কর্নেল শাফায়াত জামিলের মতোই। কারণ, তারা একের পর এক ষড়যন্ত্র এবং হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে গেছেন সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে থেকে। অন্যদিকে, তাহের ১৯৭২ সালেই বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম ক্যু প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করেন এবং এসব বিষয়ে বঙ্গবন্ধুকে সাবধান করে সেই ১৯৭২এর সেপ্টেম্বরেই পদত্যাগপত্র পেশ করেন, সেনাবাহিনী ছেড়ে দেন। একমাত্র তাহেরই সেনাবাহিনীর মধ্যকার প্রাসাদ-ষড়যন্ত্র ও হত্যাকাণ্ড চিরতরে বন্ধ ও তার গণবিরোধী চরিত্র বদলের জন্য সেনাবাহিনীর মৌলিক পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

পরিষ্কার অনুমান করা যায়,প্রথম অবস্থায় যদিও অভ্যুত্থানকারিরা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকে ইস্যু করে সেনা সদস্যদের সংগঠিত করেছিল,স্বল্প সময়ের মধ্যেই ব্যাক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে জীবন দিতে হয়েছে,।চতুর জিয়া দুর্বল মহুর্তের অপেক্ষাই করছিলেন।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা