অতীতের আলোকিত নেতৃবৃন্দ--বর্তমান প্রজম্ম ========≠======================== বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে পুরানো দল।দলটির মধ্যে রয়েছে অগনিত আদর্শবাদী, ত্যাগী, সংগ্রামী নেতা। অধিকাংশ নেতা সজ্জন কর্মীবান্ধব,দলের প্রতি আনুগত্যশীল।সার্বক্ষনীক রাজনীতি করার অনেক সামথ্যবান, নীতিবান নেতা কর্মীর দেখা মেলে দলটিতে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী দর্শনকে প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য লড়াই সংগ্রামের মধ্যে অনেকেই নীজের জীবন যৌবন কখন অমানিশার অন্ধকারে ঢেকে দিয়েছেন টেরও পাননি। যখন বাধ্যকের পীড়ন অনায়াসে শরীর ও মনকে আড়ষ্ট করা শুরু করেছে তখনি টের পেলেন কতবড় ঘোর স্বপ্নের মধ্যে ডুবে ছিলেন। সময়তো কারও জন্য অপেক্ষা করেনা, অসময়ে ইচ্ছা হলেও পারিপাশ্বিকতা সমর্থন করেনা। সংগতকারনে ভাই,বোন,আত্মীয় স্বজনের বোঝা হওয়া ছাড়া উপায় কি?সুতারাং অযত্ন,অবহেলায় বাধ্যক্যের জীবনে নেমে আসে এক বিভীষিকাময় অন্ধকার।নিকট অতীতের ত্যাগের গৌরবকে মনে হতে থাকে জীবনের নিমগ্মচিত্তের বড় বোকামি। আপামর জনগনের আদর্শ মানুষ আর বহু নেতা কর্মীর অনুস্মরনীয় -অনুকরনীয় হয়ে বেঁচে আছেন--ঘুনাক্ষরেও তাঁর মনে পড়েনা। অসহনীয় বাধ্যক্য সব অর্জনকে চাপা দিয়ে অভিমানকে সামনে নিয়ে আসে।তখনি কেবল নীজের জীবন, অনুসারীদের বিচ্ছিন্নতাকে মনে হতে থাকে- কেবলই অবজ্ঞা আর অবহেলা। অতীতের হাজারো মানূষের শ্রদ্ধা,ভালবাসায় সীক্ত হতে হতে কখন নীজে রীক্ত হয়ে গেলেন কস্মিনকালেও ভাবিত করেনি যাকে,সেই হয়ে যান আপনজনের আপদ। তেমনি সময় পার করছে দলটির অধিকাংশ পোড়খাওয়া নেতাকর্মী। একদা যাদের ত্যাগের মহিমায় সুন্দর সমাজ, সামাজিক সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে ধীরলয়ে,সমাজ পেয়েছে মানব সেবার দীক্ষা। মানব সেবাব্রতে জীবন উৎসর্গকারী বাধ্যক্যপীড়িত মানুষটি আপনজনের নিত্য অবহেলায় একবারের জন্যেও মনে করেনা মরেও সে অমর। কালের বিবর্তনে রাজনীতিতে সবার অলক্ষে উত্থান ঘটেছে ভোগবিলাসী, আদর্শচ্যুত, উদ্দেশ্য পরায়ন, নামবিলাসী,তৌরন সর্বস্ব নেতা কর্মীর। তাঁদের হীনমানষিকতায় তুলে নিচ্ছে জনমানবের আনুগত্যতা, সামাজিক স্থীরতা, সম্মান আর শ্রদ্ধা। চতুর্দিকে দেখা দিচ্ছে অবক্ষয়ের অন্তজ্বালা। রাজনীতি হয়ে পড়েছে বিনিয়োগের উর্বর ভূমি। অমরত্বের অদেখা গৌরবের স্থলে-স্থান করে নিচ্ছে নগদ প্রাপ্তির অহংকার। ঘৃনীত হচ্ছেন বঞ্চিত জনগোষ্টির অভিসম্পাতে। রাজনীতিকে নিয়ে যাচ্ছেন জনমানবের অগ্নিস্ফুলিঙ্গে।স্মরনে পড়েনা তাঁদের অমরত্ব সুদুরপরাহত--হয়ে আছেন মনের অজান্তে সমাজের বিষাক্তকীট, দেশ ও দশের শত্রু, পরিবারের কলংক। নামিয়ে দিতে পারলে অন্ধকারে বেঁচে যাবে দেশ, সমাজ আর সভ্যতা। এই দুষ্ট চক্রের অনেকেই আজ আসীন হয়ে আছেন সমাজের এমন এক জায়গায়,সাধারনে তাঁরা সবাই অসাধারন। আয়ত্ব করে নিয়েছেন প্রচারের সব সামাজিক মাধ্যম। নীমিষেই বৃহৎ অর্জনকে করে দিতে পারেন বিসর্জন। দিনে দিনে ফুলে ফেঁপে হয়েছেন একেকজন বটবৃক্ষ। ভুলে গেছেন অতীত,পুর্বপুরুষেরা করেছেন তাঁবেদারী, বিজাতীয় উপনিবেশিকদের। ঘুনাক্ষরেও করেনা স্মরন, বৃক্ষ হতে পেরেছেন কার অবদানে। বহুল প্রচলিত প্রবচন,ছোট লোক বড় হলে বন্ধুকে কাঁদায়। এই মহুর্তে দেশ ও জাতিকে শৃংখলায় আনায়ন একান্ত জরুরী। তাঁর জন্য চাই আদর্শবান দল।আদর্শ ভিত্তিক দল বলতে বর্তমানে একটি দলকেই বুঝায়,সে দলটি হচ্ছে ঐতিহ্যের ধারক বাহক,তৃনমুল থেকে উঠে আসা দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।যে দলের রয়েছে জাতির জনকের কালজয়ী দর্শন,ধারন করার আদর্শ, গতিশীল নীতি।এই দলের নেতা কর্মীদের জাতির জনকের রেখে যাওয়া কালজয়ী দর্শন চর্চা অপরিহায্য। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চাই মেধাবী রাজনীতিবীদ হয়ে উঠার একমাত্র উপায় হতে পারে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করা ছাড়া দলের বিকাশ সম্ভব নয় । উধ্বতন নেতৃবৃন্দের দলের অভ্যন্তরে আদর্শ ধারনক্ষম নেতাকর্মীর উত্থান ঘটাতে মনপ্রান দিয়ে কাজ করা একান্ত প্রয়োজন। নীতি আদর্শ, সৎ, ত্যাগী নেতাদের বিচরন যত দ্রুত হবে, দুষ্ট চক্রের বিতাড়ন তত নিম্নগামী হবে।আদর্শবান, ত্যাগী নেতারা যত বেশী দল থেকে দূরে সরবে জনগন তত বেশী কষ্ট পাবে। জনগন যত বেশি কষ্ট পাবে, জাতির জনকের আত্মা ততবেশী গোমরে গোমরে কাঁদবে। কারন জাতির জনকের মত আর কোন নেতা বাঙ্গালী জাতিকে ভালবাসতে পারেননি।এই জাতির জন্য তাঁর পরিবারের সমতুল্য ত্যাগ কোন বাঙ্গালী নেতা অতীতেও পারেনি,ভবিষ্যতেও পারবেনা।বাঙ্গালী জাতিরজন্য বদন্যতা, মমত্ববোধ, মহত্বতা, ত্যাগ ,রক্ত, জীবন যৌবন যাহা কিছু সব একটি মাত্র পরিবারেই দিয়েছে,সেই পরিবারটিই হচ্ছে জাতির জনকের পরিবার। এমনতর সময়ে অনুসরন,অনুকরনযোগ্য একজনই আছেন, সেই পরিবারেরই সকল গুনাবলী ধারন করে আছেন। বিশ্বের কোটি মানুষ যাঁকে অনুস্মরন করা শুরু করেছেন,অনুকরন করা শুরু করেছেন।তাঁদের জীবনকেও তাঁর মত করে সাজাতে ব্যস্ত, তিনিই জাতির জনকের জৈষ্ঠ কন্যা,বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাছিনা। জাতির জনকের কন্যা এমন কতক গুন পারিবারিক ভাবেই বহন করে চলেছেন। তিনি অতিশয় প্রচার বিমূখ একজন পর্দানশীল মহিলা।প্রচারের দায়িত্ব আমাদের। আমাদের প্রচার মাধ্যম গুলীর। প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতা ও সৌজন্যতার প্রকাশ তার সরলতায়। আমাদের দেশের মিডিয়ার দায় অবশ্যই আছে তার মহত্ব প্রচারের। তাঁর আচরনে উদারতা থাকলে তাকে জাগিয়ে রাখার। সেটা না করলে যে মহিলাটি আমাদের জন্যে এতকিছু করছেন যার শত্রু পদে পদে, তাঁর অজান্তে শত্রু শুধু বাড়ছেই। '৭১/৭৫ এর রাজাকার, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা সংগঠিত হচ্ছে দেশে বিদেশে।তাকে মর্যাদা দিতে চায়না,জাতির জনককে স্বীকার করেনা,এক সেকেন্ডের জন্য ভালো থাকতে দিচ্ছেনা। আমরা ঘরপোড়া মানুষ, বঙ্গবন্ধু শাষনামল দেখেছি। তার মতো মহান হৃদয়বান সার্থক বাঙালি একটিও নেই,অদুর ভবিষ্যতে জম্ম ও নিবেনা। পরনের লুঙ্গি, প্যান্ট, জামা, গায়ের চাদর খুলে দিয়ে দিতেন গরীব অসহায়দের।গ্রামের সাসাধারন মানুষদের জড়িয়ে ধরতেন, বাড়িতে নেতা কর্মী বা গ্রামের কেহ এলে না খেয়ে যেতে দিতেন না। তাঁকে নিয়ে কত ছলচাতুরী, কত কৌশলে তাকে ছোট করার অপচেষ্টা,তাঁর পরিবারকে হেয় করার কত অপচেষ্টা। পীঠা উৎসবের কথাই বলি।কোন নেতা,কোন দেশে,কোন আমলে মাটিতে সবার সাথে বসে আনন্দকে ভাগাভাগি করেছেন? কখনও কি কেউ দেখেছেন নাকি দেখবেন?আমাদের মিডিয়া কি এই মাটির মানুষটির পিঠা উৎসবে সমাগতদের বেশিরভাগই প্রধানমন্ত্রীকে ভালোবাসেন। তার চেতনাকে ধারণও করেন। কিন্তু সেটাই যথেষ্ট নয়। ব্যক্তিগত ভালোবাসার পাশাপাশি আদর্শের দিকটা তুলে ধরাও জরুরি। এমন এক সমাজে আমরা থাকি, এমন এক অতীত আমাদের ঘিরে আছে যেখানে পিঠা খেয়ে পিঠ প্রদর্শনে সময় লাগে না। প্রধানমন্ত্রীর মাটিতে উপবিষ্ট ছবিটির প্রচার গ্রামগঞ্জে ব্যাপক প্রচার হওয়া জরুরী ছিল। তিনি যে মাটির কাছাকাছি ও মানুষের পাশাপাশি সেটা গ্রামের মানুষের মতো ভালো কেউ বোঝবেনা। গ্রামের মানুষ তারা ভালোবাসে ও চায় বলেই আওয়ামী লীগ টিকে আছে। বারবার শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে দল জেগে ওঠার প্রেরণা পায় গ্রামের মানূষের কাছে। গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ দল বেঁধে ঝুঁকি নিয়ে ভয়ভীতি এড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের দেশকে সামনে নিয়ে যাচ্ছে। একদিন তাদের ডেকেও নিশ্চয়ই প্রধান মন্ত্রী পিঠা খাওয়াবেন আশা করি। জনতার নেত্রী বলেই আপনাকে আমরা জননেত্রী বলি,দেশের মঙ্গল চান বলেই আপনাকে দেশরত্মে ডাকতে ভাল লাগে। জননেত্রী হওয়ার জন্য যে মাটির মানুষের স্পর্শ প্রয়োজন, সেটা আপনার চেয়ে ভালো আর কেউ জানে না,জানবেওনা কোন দিন। জননেত্রীর ইহাই আদর্শ।এই আদর্শকেই অনুশ্মরনের কথা বলছিলাম।জননেত্রীর মানব কল্যান,জনগনের কল্যান করার অদম্য আকাঙ্ক্ষা,দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অদম্য স্পৃহাই নীতি।এই নীতিকেই অনুস্মরন করার কথা বলছিলাম। জননেত্রীর আদর্শ, উদ্দেশ্যকে সঠিক ভাবে ধারন করার মানষিকতা সম্পন্ন প্রজম্ম গড়ে তোলাই সময়ের দাবী। বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুনগত পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন আলোকিত রাজনীতির চর্চা।আলোকিত রাজনীতির চর্চার জন্য চাই সার্বক্ষনিক সময় দেয়ার মত সেই সমস্ত আলোকিত মানুষদের যারা আপনার আদর্শকে ধারন করতে পারে,মাটি ও মানূষের কল্যান কামনায় নীজের ভোগ বিলাস ত্যাগ করতে পারে।জাতির জনকের কালজয়ী দর্শনকে ধারন করে লোভ লালসার স্পৃহা অবদমন করতে পারে।আলোকীত রাজনীতি বীদদের রাজনীতিতে সার্বক্ষনিক বিচরন ছিল বলেই '৫২'৬৯'৭১'৯০ এর সৃষ্টি হতে পেরেছিল।বর্তমানের প্রজম্ম দিয়ে নিদেন পক্ষে আন্দোলন সংগ্রামের সিঁড়ি তৈয়ার করা যাবে না,তাঁরই প্রমান রেখে গেল ২০১৪--২০১৫ ইং সাল। জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয় হোক জাতির পিতার কন্যার

   রাজনীতির গতি প্রকৃতি নিয়ন্ত্রন করার জন্য দেশ প্রেমিক রাজনীতি বীদের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকায্য।আলোকিত মানুষেরাই আলোকিত সমাজ গড়ে তুলতে পারে।আলোকিত মানুষেরাই দর্শন ধারন করার ক্ষমতা রাখে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা