মানবতা বিরুধীদের রক্ষায় তাঁদের দোষরেরা উলঙ্গ হয়ে গেছে----------- ================================ বিশ্ব বিদ্যালয়ের সর্বশেষ ডিগ্রি অর্জন করে সবাই উচ্চ শিক্ষিত হতে পারে,কিন্তু সবাই যে জ্ঞানী তা ঠিক নয়। আবার স্বল্প শিক্ষিত বা অশিক্ষিত সবাই যে জ্ঞানী নয় এটাও ঠিক নয়। যেমন আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম খুববেশী প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া না করেও জ্ঞানের সাগরে ডুবেছিলেন। পড়ালেখা নাজানা লোক জ্ঞানী হতে বাধা থাকেনা। জ্ঞান সবার কাছেই কম বেশি আছে,কেহ হয়তো বেশি জ্ঞানী কেহ হয়তো কম জ্ঞানী। বেশী জ্ঞানীদের মধ্যে মাত্রাতিরীক্ত জ্ঞানী যেমন আছে, তেমনি পাগলের সংখ্যাও কেবল কম নয়। কম জ্ঞানীও পাগল হয় তবে সংখ্যায় নিতান্তই কম। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সনদপত্র না থাকলে তাঁকে কিন্তু শিক্ষিত বলা যায়না।জ্ঞানের সাগর হতে পারে কিন্তু শিক্ষিত নয়। আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাহাই আছে, সব গুলীতে শিক্ষা সমাপনান্তে সনদ দেয়া হয়। সনদ স্তর অনুযায়ীই হয়।কিন্তু স্ব-শিক্ষার সনদ কোথাও দেয় এটা কিন্তু কোন দিন শুনীনি বা দেখিনি। খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশনে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে স্ব-শিক্ষিত লিখে জমা দিয়েছেন।তাঁর নমিনেশন বাতিল হয়নি।প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বৈধ বলে তা গ্রহন করেছেন।অথছ সামান্য নাম বা নাম্বারের ভুলের কারনে কতশত মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায় তাঁর কোন হিসেব নেই।তিনি যে স্ব-শিক্ষিত লিখেছেন তাঁর কি সনদ জমা দিয়েছেন? না-,তবে তাঁর নমিনেশন কিভাবে বৈধ হল? ঠিক একই প্রেক্ষাপটে তাঁর দলের মধ্যে যে সমস্ত জ্ঞানী নেতারা আছেন তাঁরা হয় মাত্রাতিরীক্ত জ্ঞানী, নয়তো সবাই খালেদার মতই স্ব-শিক্ষিত।কথাটি আমি একারনেই বলছি",খালেদা জিয়া অশিক্ষিতের কারনে শহিদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।"যেহেতু তাঁর বিশ্বের অন্যান্ন গনহত্যার সংখ্যা তত্ব কিভাবে নিরুপিত হয়েছে তাঁর ধারনায় নাও থাকতে পারে।কিন্তু বড় বড় ডিগ্রিধারীরা যে সমস্ত বিতর্কীত প্রশ্ন উত্থাপন করছেন, খালেদা জিয়ার মন্তব্যের রেশ ধরে, তাতে তাঁদেরকে শিক্ষিত বলা গেলেও কোন অবস্থায় জ্ঞানী বলা যায়না। জ্ঞানী যদিও বলা যায়, তা মাত্রাতিরীক্তের পয্যায় পড়ে।মাত্রারীক্ত অধিকাংশ জ্ঞানী আবার আগেই বলেছি পাগল।যেহেতু তাঁরা সবাই গন প্রজাতান্ত্রীক বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন অবশ্যই তাঁদের সরকারি খরছে এবং তত্বাবধানে পাবনা নিয়ে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।আরো যোগ হয়েছে শীত। বৈশ্বীক আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে নাতিষীতোষ্ব বাংলাদেশে শীতের তীব্রতা একটু বেশি বলে আবহাওয়াবীদগন তাঁদের অফিস থেকে নিশ্চিত করেছেন। একতরফা তাঁদের দোষ দিয়ে কোন লাভ নেই, শীতের কারনেও পাগলামী বেড়ে যেতে পারে বলে আমি মনে করি।তাঁর উপর যুক্ত হয়েছে,তাঁদের নেত্রীর হঠকারি সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকার দু:চিন্তা। তবে শ'খানেক বুদ্ধিজীবির উদ্দেশ্যে আমি খানিকটা তথ্য দিয়ে তাঁরা আরো বড় বদ্ধপাগল প্রমান দিতে চাই।পৃথিবীর কোনো বড় হত্যাকাণ্ড বা গণহত্যার সংখ্যাই কিন্তু সুনির্দিষ্ট আছে তাঁরা কি তথ্য দিতে পারবেন? দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের মতো এত বড় একটা যুদ্ধে,যেখানে প্রায় বিশ্বের প্রতিটি দেশ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েছিল । যুদ্ধপরবর্তিতে গবেষণার পর দেখা যায়, সেখানেও মৃত্যুর সংখ্যা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি। বলা হয়েছে ৫০ থেকে ৮০ মিলিয়ন (কিংবা পাঁচ থেকে আট কোটি)লোক গনহত্যার শিকার হয়েছে। নিউট্রন বোমার আঘাতে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে সেটা সঠিকভাবে অনুমান করার জন্য আমেরিকা কিছু শহর বেছে নিয়েছিল,বোমা বর্ষনের আগেই। সেখানে তারা আগে থেকে অন্য কোনো বোমা ফেলেনি। ক্ষয়ক্ষতির এ রকম সুনির্দিষ্ট হিসাব বের করার প্রস্তুতি নেয়ার পরও হিরোশিমা কিংবা নাগাসাকিতে কতজন মানুষ মারা গিয়েছিল তা সুনির্দিষ্ট করে আজ পয্যন্ত বলা সম্ভব হয়নি। হিরোশিমাতে নব্বই হাজার থেকে দেড় লাখ এবং নাগাসাকিতে চল্লিশ থেকে আশি হাজার লোক মারা গিয়েছিল বলে ধারনা দিতে পেরেছেন। চীনের রাজধানী নানকিংয়ে জাপানি সেনাদের গণহত্যা বিশ্ব ইতিহাসে বড় এবং নৃশংসতম গণহত্যা। গবেষকরা এখনো সেখানে কত সংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছিল সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারেননি, গভেষকদের হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা আনুমানিক দুই থেকে তিন লাখের কাছাকাছি । নাৎসিরা জার্মানিতে ইহুদিদের গনহারে হত্যা করেছিল।সেই হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা অনুমান নির্ভর করে বলেছেন গভেষকেরা পঞ্চাশ-ষাট লাখ হতে পারে। মাঝে মাঝে কোন কোন গবেষক হত্যার সংখ্যাক দেড় থেকে দুই কোটি ও বলে । সাম্প্রতিক সময়ে গণহত্যার মাঝে রুয়ান্ডাতে টুটসিদের ওপর হত্যাকাণ্ডটি বিশ্বজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। এত সাম্প্রতিক ঘটনা, তথ্য আদান-প্রদানেও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাচ্ছে অনায়াসে,তারপরও হত্যাকাণ্ডের সংখ্যাটি সুনির্দিষ্ট নয়, বলা হয়ে থাকে সেখানে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। একটা বড় ধরনের হত্যাকাণ্ডে কখনই সঠিক সংখ্যাটা বলা যায় না। হত্যাকাণ্ডের পরিসংখ্যান দেখে হতাস বা অবাক হওয়ার কিছু নাই। হত্যাকারীরা তালিকা করে হত্যাকাণ্ড ঘটায় না। পৃথিবীর কোথাও গনহত্যা করার পর হত্যাকারীদের পক্ষ থেকে কোন দিন কোন তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। আমাদের বাংলাদেশের বেলাতেও তাই হয়েছে, একটা আনুমানিক সংখ্যা বলা হয়েছে। একাত্তর সালে প্রায় এক কোটি শরণার্থী দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তাদের একটা বড় অংশ রোগে শোকে মারা গেছে, তাদের সংখ্যাটা ধরা হলে একাত্তরে শহীদদের সংখ্যা খুব সহজেই ত্রিশ লাখ ছাড়িয়ে পঞ্চাশ লাখের কাছাকাছি হতে পারে।কারন শরনার্থী শিবিরের দুর্দশা চোখে না দেখলে কাউকে বলে বুঝানো যাবেনা।এমন কোন দিন ছিলনা সারি সারি লাশের আগুনের স্তুপ কোন পাহাড়ে জ্বলেনি বা সারি সারি কবর খোঁড়ে রাখা হয়নি। যারা গণহত্যা করে তারা কখনই স্বীকার করেনা। এই পয্যন্ত কোন দেশ পৃথিবীতে এত গনহত্যা হয়েছে কেউ কি স্বীকার করেছে? তাঁরা গনহত্যা চালিয়েছে? আর্মেনিয়ানরা গত একশ বছর চেষ্টা করেও তুরস্ককে স্বীকার করাতে পারেনি তারা গণহত্যা করেছে। পাকিস্তানও বলতে শুরু করেছে তারাও বাংলাদেশে গণহত্যা করেনি! যদিও আন্তজাতিক চাপের কারনে স্বীকার করতে বাধ্য হয়, চেষ্টা থাকে সংখ্যাটাকে কম করে দেখানোর। আমাদের বাংলাদেশের উদাহরণটি সবচেয়ে বিচিত্র। একাত্তর সালে জামায়াতে ইসলামী সরাসরি পাকিস্তান মিলিটারির সঙ্গে গণহত্যায় জড়িত ছিল। তারা চেষ্টা করে সংখ্যা কমিয়ে আনতে। ধরে নেয়া যায় তাঁরা যেহেতু জড়িত তাঁরাতো কম বলবেই। কে না চায় বাঁচতে। মৃত্যুর মুখামুখি দাঁড়িয়ে মিথ্যে বলা জায়েজও আছে। সবচেয়ে হাস্যকর যুক্তিটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু নাকি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিন লাখ বলতে গিয়ে ভুলে ত্রিশ লাখ বলে ফেলেছিলেন ! কোন একটা সহচরও এক্ষেত্রে তাঁরা ব্যবহারর করেছেন সাক্ষাৎকার ধারন করে, বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জনের জন্য। যার অর্থ তিন লাখ পর্যন্ত হত্যা করা কোনো ব্যাপার নয়, ত্রিশ লাখ হলে একটু বেশি হয়ে যায়। তাই ত্রিশ লাখ মেনে নেয়া যাবে না! কম বেশি হতেই হবে।জামায়াতে ইসলামীর ব্যাপারটা মেনে নেয়া যায়।কারন তাঁরা জড়িত, তাঁরা বলবে।এর চেয়ে আরো জগন্য মিথ্যাচার করেও তাঁরা পার পেয়ে গেছে। বিএনপি এবং তাঁদের বুদ্ধিজীবীদের উত্থাপিত বিতর্ক গুলী কোন অবস্থায় মেনে নেয়া নেয়া যায়না।কারন এরা কেহই গনহত্যায় সাংগঠনিক ভাবে জড়িত ছিলনা।বিএনপি দলের সৃষ্টিও হয়নি।বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের পরের প্রজর্ম্ম। পৃথিবীর সকল নৃসংশ গনহত্যার পরিসংখ্যান অনুমান নির্ভর হওয়া সত্বেও সংশ্লিষ্ট দেশ মেনে নিয়েছে। তাঁদের দেশের রীতি বা আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। কেউ কোন দিন কোন গনহত্যার সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক উত্থাপনের চেষ্টা করেনি।প্রতিষ্ঠিত সত্য নিয়ে বিতর্ক উত্থাপন বা সন্দেহ পোষনের জন্য কঠিন আইন প্রনয়ন করা আছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগও আছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে আমরা গণহত্যার সংখ্যাটি গ্রহণ করে নিয়েছি। গ্রহন করার বয়সও হয়েছে ৪৫ বছর বা অর্ধশত বছর। সেই সংখ্যাটি যেহেতু একটা আনুমানিক এবং যৌক্তিক সংখ্যা , সেই সংখ্যাটি নিয়ে সংশয় সন্দেহ প্রকাশ করার অর্থুই হচ্ছে- আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের অসম্মান করা। আর মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান অপদস্ত করে আপনি রাজপথে বুক চিতিয়ে চলবেন তা হবেনা। আপনি আপনার মত করে আর একটি দেশ বানিয়ে নেন, মুক্তিযুদ্ধারা যুদ্ধ করে এদেশ তাঁদের করে নিয়েছে,আপনার আস্ফালন দেখার জন্য নয়,আপনি তাঁদের আস্ফালন দেখারজন্য। আজকে যদি গভেষনার জন্য প্রশ্নগুলীর উত্থাপন করা হত তবে কারো বলার কিছুই ছিলনা।বুদ্ধিজীবিরা গভেষকের আওতায় পড়েনা। বিএনপির নেতারাতো বলতেই পারেননা।তাঁরা অনেকেই মুক্তিযুদ্ধা দাবী করেন।অনেকের মুক্তিযুদ্ধার ভাতার আওতায়ও আছেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রতিষ্ঠিত সত্য নিয়ে তাঁদের কোন কথাই ক্ষমার আওতায় পড়েনা।পৃথিবীর কোন দেশেই ক্ষমা করার বিধান নেই।যদিও তাঁরা আমাদের মত ত্যাগ স্বীকার করে স্বাধীনতা লাভ করতে হয়নি।এত মা -বোনের ইজ্জত নষ্ট করা লাগেনি।তাঁদের দেশের জাতির জনককে তাঁরা হারাতে হয়নি।তাঁরপরেও তারা আইনের বিধান রেখেছে,বিতর্ক উত্থাপন কারির শাস্তির বিধান রেখেছে। এ ক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকেও আমি জড়াতে চাইনা। খালেদা জিয়া বলতে পারেন,কারন খালেদা জিয়ার একান্ত আন্তরিক অনুভুতি তাঁদের প্রতি থাকতে পারে। তিনি তাঁদের সাথে নয়মাস চলাফেরা করেছেন।তাঁদের অখ্যাত একজন মেজর মারা গেলে তিনি রাষ্ট্রীয় প্রটো - কলের তোয়াক্কা না করে বাংলাদেশের সেই যুদ্ধাপরাধী মেজরের জন্য শোক বার্তা পাঠাতেও দ্বিধা করেননি বা লজ্জা অনুভব করেননি।তাঁর আত্মার আত্মীয়ের প্রতি প্রেমের সর্বশেষ পয্যায় পয্যন্ত গেলেও কারো মনে করার কিছুই নেই। কারন বাঙালি মহিলারা প্রেমের প্রতি অত্যান্ত যত্নশীল, অনুগত,ভক্তিপুর্ন।যুগে যুগে তার উদাহরন বঙ্গীয় দেশের পথে প্রান্তরে রয়েছে। প্রেমের বহু উপাখ্যান গৃহস্তের বাড়ীর আঙ্গিনায় চাঁদনী রাতে দল বেঁধে পুথিপাঠে মনোযোগ দিয়ে শুনে আর দুই চোখের পানির স্রোত ছেড়ে দেয়। খালেদা জিয়াও প্রেমিকের বিচ্ছেদে মহিমাম্বিত সেই প্রেমের অশিরিরী স্বাদ উপভোগ করবেন, করতেই পারেন।অনন্তকাল বাংলার মানুষের মনে চিরজাগরুক থাকার সকল চেষ্টা করার সুযোগ তিনি চাইতেই পারেন। পরিশেষে বলতে চাই,এযাবৎকাল যতজনই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বাস করে বিতর্ক উত্থাপন করার চেষ্টা করেছেন বা করছেন,তাঁদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।তাঁদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির বিধান করতে হবে।ভবিষ্যতে কোন বেজর্ম্মা কোন দিন আমাদের বীর সন্তানদের, আমাদের মা বোনদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে কষ্টার্জিত সত্যকে কটাক্ষ করতে সাহষ না পায়। দৃষ্টতা কোন পয্যায় গেলে জাতির জনকের অবদানকেও অস্বীকার করার দু:সাহষ দেখাতে পারে তাও ভেবে দেখার জন্য সচেতন মহলের প্রতি আবেদন রইল। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাছিনা


   বিরুদী দল বিরুধীতা করবে,সেটা হবে দলীয় নীতি আদর্শের বিরুধীতা।সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংঘঠিত করে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ পরিষ্কার করবে।প্রয়োজনে নেতৃত্বের সমালোচনা করবে।কিন্তু বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুধীতা করতে পারে না।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের বিরুধীতা করতে পারেনা।জাতির জনকের বিরুদ্ধে বিরুপ সমালোচনা করতে পারেনা।যারা এমনটি করে বা করার চেষ্টা করে তাঁরা নির্গাত স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা