মানবতা বিরুধীদের রক্ষায় তাঁদের দোষরেরা উলঙ্গ হয়ে গেছে----------- ================================ বিশ্ব বিদ্যালয়ের সর্বশেষ ডিগ্রি অর্জন করে সবাই উচ্চ শিক্ষিত হতে পারে,কিন্তু সবাই যে জ্ঞানী তা ঠিক নয়। আবার স্বল্প শিক্ষিত বা অশিক্ষিত সবাই যে জ্ঞানী নয় এটাও ঠিক নয়। যেমন আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম খুববেশী প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া না করেও জ্ঞানের সাগরে ডুবেছিলেন। পড়ালেখা নাজানা লোক জ্ঞানী হতে বাধা থাকেনা। জ্ঞান সবার কাছেই কম বেশি আছে,কেহ হয়তো বেশি জ্ঞানী কেহ হয়তো কম জ্ঞানী। বেশী জ্ঞানীদের মধ্যে মাত্রাতিরীক্ত জ্ঞানী যেমন আছে, তেমনি পাগলের সংখ্যাও কেবল কম নয়। কম জ্ঞানীও পাগল হয় তবে সংখ্যায় নিতান্তই কম। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সনদপত্র না থাকলে তাঁকে কিন্তু শিক্ষিত বলা যায়না।জ্ঞানের সাগর হতে পারে কিন্তু শিক্ষিত নয়। আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাহাই আছে, সব গুলীতে শিক্ষা সমাপনান্তে সনদ দেয়া হয়। সনদ স্তর অনুযায়ীই হয়।কিন্তু স্ব-শিক্ষার সনদ কোথাও দেয় এটা কিন্তু কোন দিন শুনীনি বা দেখিনি। খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশনে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে স্ব-শিক্ষিত লিখে জমা দিয়েছেন।তাঁর নমিনেশন বাতিল হয়নি।প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বৈধ বলে তা গ্রহন করেছেন।অথছ সামান্য নাম বা নাম্বারের ভুলের কারনে কতশত মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায় তাঁর কোন হিসেব নেই।তিনি যে স্ব-শিক্ষিত লিখেছেন তাঁর কি সনদ জমা দিয়েছেন? না-,তবে তাঁর নমিনেশন কিভাবে বৈধ হল? ঠিক একই প্রেক্ষাপটে তাঁর দলের মধ্যে যে সমস্ত জ্ঞানী নেতারা আছেন তাঁরা হয় মাত্রাতিরীক্ত জ্ঞানী, নয়তো সবাই খালেদার মতই স্ব-শিক্ষিত।কথাটি আমি একারনেই বলছি",খালেদা জিয়া অশিক্ষিতের কারনে শহিদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।"যেহেতু তাঁর বিশ্বের অন্যান্ন গনহত্যার সংখ্যা তত্ব কিভাবে নিরুপিত হয়েছে তাঁর ধারনায় নাও থাকতে পারে।কিন্তু বড় বড় ডিগ্রিধারীরা যে সমস্ত বিতর্কীত প্রশ্ন উত্থাপন করছেন, খালেদা জিয়ার মন্তব্যের রেশ ধরে, তাতে তাঁদেরকে শিক্ষিত বলা গেলেও কোন অবস্থায় জ্ঞানী বলা যায়না। জ্ঞানী যদিও বলা যায়, তা মাত্রাতিরীক্তের পয্যায় পড়ে।মাত্রারীক্ত অধিকাংশ জ্ঞানী আবার আগেই বলেছি পাগল।যেহেতু তাঁরা সবাই গন প্রজাতান্ত্রীক বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন অবশ্যই তাঁদের সরকারি খরছে এবং তত্বাবধানে পাবনা নিয়ে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।আরো যোগ হয়েছে শীত। বৈশ্বীক আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে নাতিষীতোষ্ব বাংলাদেশে শীতের তীব্রতা একটু বেশি বলে আবহাওয়াবীদগন তাঁদের অফিস থেকে নিশ্চিত করেছেন। একতরফা তাঁদের দোষ দিয়ে কোন লাভ নেই, শীতের কারনেও পাগলামী বেড়ে যেতে পারে বলে আমি মনে করি।তাঁর উপর যুক্ত হয়েছে,তাঁদের নেত্রীর হঠকারি সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকার দু:চিন্তা। তবে শ'খানেক বুদ্ধিজীবির উদ্দেশ্যে আমি খানিকটা তথ্য দিয়ে তাঁরা আরো বড় বদ্ধপাগল প্রমান দিতে চাই।পৃথিবীর কোনো বড় হত্যাকাণ্ড বা গণহত্যার সংখ্যাই কিন্তু সুনির্দিষ্ট আছে তাঁরা কি তথ্য দিতে পারবেন? দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের মতো এত বড় একটা যুদ্ধে,যেখানে প্রায় বিশ্বের প্রতিটি দেশ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েছিল । যুদ্ধপরবর্তিতে গবেষণার পর দেখা যায়, সেখানেও মৃত্যুর সংখ্যা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি। বলা হয়েছে ৫০ থেকে ৮০ মিলিয়ন (কিংবা পাঁচ থেকে আট কোটি)লোক গনহত্যার শিকার হয়েছে। নিউট্রন বোমার আঘাতে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে সেটা সঠিকভাবে অনুমান করার জন্য আমেরিকা কিছু শহর বেছে নিয়েছিল,বোমা বর্ষনের আগেই। সেখানে তারা আগে থেকে অন্য কোনো বোমা ফেলেনি। ক্ষয়ক্ষতির এ রকম সুনির্দিষ্ট হিসাব বের করার প্রস্তুতি নেয়ার পরও হিরোশিমা কিংবা নাগাসাকিতে কতজন মানুষ মারা গিয়েছিল তা সুনির্দিষ্ট করে আজ পয্যন্ত বলা সম্ভব হয়নি। হিরোশিমাতে নব্বই হাজার থেকে দেড় লাখ এবং নাগাসাকিতে চল্লিশ থেকে আশি হাজার লোক মারা গিয়েছিল বলে ধারনা দিতে পেরেছেন। চীনের রাজধানী নানকিংয়ে জাপানি সেনাদের গণহত্যা বিশ্ব ইতিহাসে বড় এবং নৃশংসতম গণহত্যা। গবেষকরা এখনো সেখানে কত সংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছিল সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারেননি, গভেষকদের হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা আনুমানিক দুই থেকে তিন লাখের কাছাকাছি । নাৎসিরা জার্মানিতে ইহুদিদের গনহারে হত্যা করেছিল।সেই হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা অনুমান নির্ভর করে বলেছেন গভেষকেরা পঞ্চাশ-ষাট লাখ হতে পারে। মাঝে মাঝে কোন কোন গবেষক হত্যার সংখ্যাক দেড় থেকে দুই কোটি ও বলে । সাম্প্রতিক সময়ে গণহত্যার মাঝে রুয়ান্ডাতে টুটসিদের ওপর হত্যাকাণ্ডটি বিশ্বজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। এত সাম্প্রতিক ঘটনা, তথ্য আদান-প্রদানেও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাচ্ছে অনায়াসে,তারপরও হত্যাকাণ্ডের সংখ্যাটি সুনির্দিষ্ট নয়, বলা হয়ে থাকে সেখানে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। একটা বড় ধরনের হত্যাকাণ্ডে কখনই সঠিক সংখ্যাটা বলা যায় না। হত্যাকাণ্ডের পরিসংখ্যান দেখে হতাস বা অবাক হওয়ার কিছু নাই। হত্যাকারীরা তালিকা করে হত্যাকাণ্ড ঘটায় না। পৃথিবীর কোথাও গনহত্যা করার পর হত্যাকারীদের পক্ষ থেকে কোন দিন কোন তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। আমাদের বাংলাদেশের বেলাতেও তাই হয়েছে, একটা আনুমানিক সংখ্যা বলা হয়েছে। একাত্তর সালে প্রায় এক কোটি শরণার্থী দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তাদের একটা বড় অংশ রোগে শোকে মারা গেছে, তাদের সংখ্যাটা ধরা হলে একাত্তরে শহীদদের সংখ্যা খুব সহজেই ত্রিশ লাখ ছাড়িয়ে পঞ্চাশ লাখের কাছাকাছি হতে পারে।কারন শরনার্থী শিবিরের দুর্দশা চোখে না দেখলে কাউকে বলে বুঝানো যাবেনা।এমন কোন দিন ছিলনা সারি সারি লাশের আগুনের স্তুপ কোন পাহাড়ে জ্বলেনি বা সারি সারি কবর খোঁড়ে রাখা হয়নি। যারা গণহত্যা করে তারা কখনই স্বীকার করেনা। এই পয্যন্ত কোন দেশ পৃথিবীতে এত গনহত্যা হয়েছে কেউ কি স্বীকার করেছে? তাঁরা গনহত্যা চালিয়েছে? আর্মেনিয়ানরা গত একশ বছর চেষ্টা করেও তুরস্ককে স্বীকার করাতে পারেনি তারা গণহত্যা করেছে। পাকিস্তানও বলতে শুরু করেছে তারাও বাংলাদেশে গণহত্যা করেনি! যদিও আন্তজাতিক চাপের কারনে স্বীকার করতে বাধ্য হয়, চেষ্টা থাকে সংখ্যাটাকে কম করে দেখানোর। আমাদের বাংলাদেশের উদাহরণটি সবচেয়ে বিচিত্র। একাত্তর সালে জামায়াতে ইসলামী সরাসরি পাকিস্তান মিলিটারির সঙ্গে গণহত্যায় জড়িত ছিল। তারা চেষ্টা করে সংখ্যা কমিয়ে আনতে। ধরে নেয়া যায় তাঁরা যেহেতু জড়িত তাঁরাতো কম বলবেই। কে না চায় বাঁচতে। মৃত্যুর মুখামুখি দাঁড়িয়ে মিথ্যে বলা জায়েজও আছে। সবচেয়ে হাস্যকর যুক্তিটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু নাকি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিন লাখ বলতে গিয়ে ভুলে ত্রিশ লাখ বলে ফেলেছিলেন ! কোন একটা সহচরও এক্ষেত্রে তাঁরা ব্যবহারর করেছেন সাক্ষাৎকার ধারন করে, বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জনের জন্য। যার অর্থ তিন লাখ পর্যন্ত হত্যা করা কোনো ব্যাপার নয়, ত্রিশ লাখ হলে একটু বেশি হয়ে যায়। তাই ত্রিশ লাখ মেনে নেয়া যাবে না! কম বেশি হতেই হবে।জামায়াতে ইসলামীর ব্যাপারটা মেনে নেয়া যায়।কারন তাঁরা জড়িত, তাঁরা বলবে।এর চেয়ে আরো জগন্য মিথ্যাচার করেও তাঁরা পার পেয়ে গেছে। বিএনপি এবং তাঁদের বুদ্ধিজীবীদের উত্থাপিত বিতর্ক গুলী কোন অবস্থায় মেনে নেয়া নেয়া যায়না।কারন এরা কেহই গনহত্যায় সাংগঠনিক ভাবে জড়িত ছিলনা।বিএনপি দলের সৃষ্টিও হয়নি।বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের পরের প্রজর্ম্ম। পৃথিবীর সকল নৃসংশ গনহত্যার পরিসংখ্যান অনুমান নির্ভর হওয়া সত্বেও সংশ্লিষ্ট দেশ মেনে নিয়েছে। তাঁদের দেশের রীতি বা আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। কেউ কোন দিন কোন গনহত্যার সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক উত্থাপনের চেষ্টা করেনি।প্রতিষ্ঠিত সত্য নিয়ে বিতর্ক উত্থাপন বা সন্দেহ পোষনের জন্য কঠিন আইন প্রনয়ন করা আছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগও আছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে আমরা গণহত্যার সংখ্যাটি গ্রহণ করে নিয়েছি। গ্রহন করার বয়সও হয়েছে ৪৫ বছর বা অর্ধশত বছর। সেই সংখ্যাটি যেহেতু একটা আনুমানিক এবং যৌক্তিক সংখ্যা , সেই সংখ্যাটি নিয়ে সংশয় সন্দেহ প্রকাশ করার অর্থুই হচ্ছে- আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের অসম্মান করা। আর মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান অপদস্ত করে আপনি রাজপথে বুক চিতিয়ে চলবেন তা হবেনা। আপনি আপনার মত করে আর একটি দেশ বানিয়ে নেন, মুক্তিযুদ্ধারা যুদ্ধ করে এদেশ তাঁদের করে নিয়েছে,আপনার আস্ফালন দেখার জন্য নয়,আপনি তাঁদের আস্ফালন দেখারজন্য। আজকে যদি গভেষনার জন্য প্রশ্নগুলীর উত্থাপন করা হত তবে কারো বলার কিছুই ছিলনা।বুদ্ধিজীবিরা গভেষকের আওতায় পড়েনা। বিএনপির নেতারাতো বলতেই পারেননা।তাঁরা অনেকেই মুক্তিযুদ্ধা দাবী করেন।অনেকের মুক্তিযুদ্ধার ভাতার আওতায়ও আছেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রতিষ্ঠিত সত্য নিয়ে তাঁদের কোন কথাই ক্ষমার আওতায় পড়েনা।পৃথিবীর কোন দেশেই ক্ষমা করার বিধান নেই।যদিও তাঁরা আমাদের মত ত্যাগ স্বীকার করে স্বাধীনতা লাভ করতে হয়নি।এত মা -বোনের ইজ্জত নষ্ট করা লাগেনি।তাঁদের দেশের জাতির জনককে তাঁরা হারাতে হয়নি।তাঁরপরেও তারা আইনের বিধান রেখেছে,বিতর্ক উত্থাপন কারির শাস্তির বিধান রেখেছে। এ ক্ষেত্রে খালেদা জিয়াকেও আমি জড়াতে চাইনা। খালেদা জিয়া বলতে পারেন,কারন খালেদা জিয়ার একান্ত আন্তরিক অনুভুতি তাঁদের প্রতি থাকতে পারে। তিনি তাঁদের সাথে নয়মাস চলাফেরা করেছেন।তাঁদের অখ্যাত একজন মেজর মারা গেলে তিনি রাষ্ট্রীয় প্রটো - কলের তোয়াক্কা না করে বাংলাদেশের সেই যুদ্ধাপরাধী মেজরের জন্য শোক বার্তা পাঠাতেও দ্বিধা করেননি বা লজ্জা অনুভব করেননি।তাঁর আত্মার আত্মীয়ের প্রতি প্রেমের সর্বশেষ পয্যায় পয্যন্ত গেলেও কারো মনে করার কিছুই নেই। কারন বাঙালি মহিলারা প্রেমের প্রতি অত্যান্ত যত্নশীল, অনুগত,ভক্তিপুর্ন।যুগে যুগে তার উদাহরন বঙ্গীয় দেশের পথে প্রান্তরে রয়েছে। প্রেমের বহু উপাখ্যান গৃহস্তের বাড়ীর আঙ্গিনায় চাঁদনী রাতে দল বেঁধে পুথিপাঠে মনোযোগ দিয়ে শুনে আর দুই চোখের পানির স্রোত ছেড়ে দেয়। খালেদা জিয়াও প্রেমিকের বিচ্ছেদে মহিমাম্বিত সেই প্রেমের অশিরিরী স্বাদ উপভোগ করবেন, করতেই পারেন।অনন্তকাল বাংলার মানুষের মনে চিরজাগরুক থাকার সকল চেষ্টা করার সুযোগ তিনি চাইতেই পারেন। পরিশেষে বলতে চাই,এযাবৎকাল যতজনই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বাস করে বিতর্ক উত্থাপন করার চেষ্টা করেছেন বা করছেন,তাঁদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।তাঁদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির বিধান করতে হবে।ভবিষ্যতে কোন বেজর্ম্মা কোন দিন আমাদের বীর সন্তানদের, আমাদের মা বোনদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে কষ্টার্জিত সত্যকে কটাক্ষ করতে সাহষ না পায়। দৃষ্টতা কোন পয্যায় গেলে জাতির জনকের অবদানকেও অস্বীকার করার দু:সাহষ দেখাতে পারে তাও ভেবে দেখার জন্য সচেতন মহলের প্রতি আবেদন রইল। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাছিনা


   বিরুদী দল বিরুধীতা করবে,সেটা হবে দলীয় নীতি আদর্শের বিরুধীতা।সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংঘঠিত করে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ পরিষ্কার করবে।প্রয়োজনে নেতৃত্বের সমালোচনা করবে।কিন্তু বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুধীতা করতে পারে না।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের বিরুধীতা করতে পারেনা।জাতির জনকের বিরুদ্ধে বিরুপ সমালোচনা করতে পারেনা।যারা এমনটি করে বা করার চেষ্টা করে তাঁরা নির্গাত স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন