২০১৫ নিয়ে গেছে বহু কিছু, দিয়ে গেছে অনন্তকালের মিথ্যার সাক্ষাৎ প্রমান----!! ================================ ২০১৫ সালটি শেষ হয়ে গেল,রেখে গেল বাঙ্গালী জাতির জন্য কিছু অবিস্মরনীয় কালান্তরের মিথ্যার বেসাতির নিলর্জ্জ সাক্ষী।একদা যারা মুক্তি যুদ্ধা এবং মুক্তি যুদ্ধের ঘোষনাকারি বলে মিথ্যার বেসাতি করে জাতিকে দ্বিখন্ডিত করে রেখেছিল তাঁদের মুখোষ পুরাপুরি এই বছরটিতেই উম্মোচিত হল।মুক্তি যুদ্ধাদের দ্বিখন্ডিত করে তাঁদের নীজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্যই মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরে ভাগ বসিয়েছিল তা আর নতুন প্রজম্মকে তথ্য উপাত্ত দিয়ে বুঝিয়ে দেয়ার দরকার হবেনা। যুদ্ধ অপরাধের বিচার, মানবতা বিরুধী বিচার বিশ্বের স্বীকৃত একটি আইনী ধারা।বিজিয়ী মুক্তিযোদ্ধা বিজিত রাজাকারের বিচার অনুষ্ঠান করবে ইহাই ছিল স্বাভাবিক।মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তি জাতির জনকের সরকার তা শুরুও করেছিলেন।'৭৫ এর মর্মান্তিক ইতিহাসের নজিরবিহীন হত্যাকান্ড সংঘটিত করে পাকি ভাবধারার মোস্তাকের নেতৃত্বে যে সরকার গুলি বাংলাদেশের শাষনকায্য পরিচালনা করে তাঁরা পরিকল্পিত প্রচারনার মাধ্যমে অনেকগুলী মিথ্যা প্রচারনাকে সত্যে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিল।তম্মধ্যে প্রধানতম বিষয়গুলির মধ্যে অন্যতম দুটি বিষয় আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই। (এক) যুদ্ধাপরাধের বিচার করার প্রয়োজন নেই,এতে জাতিকে দ্বিখন্ডিত করা হবে। (দুই)মেজর জিয়াউর রহমান ২৭ তারিখে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষনা দিয়েছেন।মেজর জিয়া যুদ্ধের ঘোষনা না দিলে যুদ্ধই হতনা। সুপ্রিয় পাঠক গন আমরা জানি একটা মিথ্যাকে সত্যে পরিনত করতে হাজারো মিথ্যার কাহিনীর জম্ম দিতে হয়।তেমনি আহম্মকদের ও তথৈবচ। আমরা সবাই জানি আমাদের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ।'৭১ ইং সালের ১৬ই ডিসেম্বরের বিজয় অর্জিত হওয়ার পর থেকে আজ পয্যন্ত'২৬ তারিখের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বা সরকারী ছুটিতে হেরফের হয়েছে তা শুনা যায়নি বা পরিবর্তনের প্রচেষ্টা কোন মহল করেছে এমনটি মনে হয়নি।তাহলে মেজর জিয়া কোন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেছিলেন??'২৭তারিখ কোন বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস,কারা সেই দিনটি উৎযাপন করে? দ্বিতীয় যে মিথ্যার আশ্রয়টি তাঁরা নিয়েছিল, তা হচ্ছে জাতিকে বিভক্ত করা জাতীয় উন্নয়নের জন্য বড় আগাত হিসেবে বিবেচিত হবে।সুতারাং স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষ এই ধরনের রাজনৈতিক আলোচনা যারা করবে তাঁরা জাতিকে বিভক্ত করার জন্যই বলবে।অকাট্য যুক্তি সাধারন মানুষকে সহজেই পক্ষে নেয়ার জন্য যথেষ্ট রসদ বক্তব্যটিতে রয়েছে।সুকৌশলে বক্তব্যটি জনসমক্ষে প্রচার করে যুদ্ধাপরাধীদের মেজর জিয়া জেল থেকে মুক্ত করে দেন,গোলাম আযমকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাবস্থা করেন।যুদ্ধাপরাধের চলমান সকল মামলা আইনী প্রক্রিয়া ছাড়াই প্রত্যাহার করে আদালত থেকে সকল নথি রাতারাতি গায়েব করে দেন।তাঁর আগে জাতির জনকের এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়যন্ত্র ব্যাবহার করে এমনসব নিলর্জ্জ মিত্থ্যা অপপ্রচার চালায় যাতে বাংলার অবিসংবদ্ধিত নেতা জাতির জনকের বা তাঁর দলের ঘুরে দাঁড়ানোর কোন শক্তি আর অবশিষ্ট না থাকে।৭৫ এর পরবর্তিত পরিস্থিতিতে তাদের চেষ্টা সফলও হয়। বিএনপি মুলত: মুক্তিযুদ্ধের জামা গায়ে দিয়ে রাজাকার প্রতিপালন,তাঁদের প্রতিষ্ঠার পিছনে মুল সহায়ক শক্তি,রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাঁদের নিম্নশ্রেনীর কর্মিদের পয্যন্ত প্রতিষ্ঠিত করার শক্তি -জনগনকে তথ্য উপাত্ত দিয়ে বুঝিয়ে দিলেও জনগন বিশ্বাস করতেন না। বিশ্বাস না করার একমাত্র কারন তাদের কৌশলি প্রচারনা, পরলিকল্পিত কর্মকান্ড, ধীরে চলার নীতি, মুক্তিযোদ্ধা জিয়ার কাল চশমার আড়ালে মুক্তিযুদ্ধা নিধনের প্রক্রিয়া, তথ্য ও পরিকল্পনায় গোপনীয়তা রক্ষায় সফলতা।তাঁরা কিন্তু একদিনে বা তড়িঘড়ি কোন কাজ করেননি,প্রথমেই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সত্যকে তাঁরা জনগনের আড়ালে নিয়ে যায়,তারপরই বাংলাদেশকে ধীরে ধীরে পাকি ভাবধারায় নিয়ে যাওয়ার প্র্রক্রিয়া গ্রহন করে। জাতির জনকের কন্যা যখনি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচারের প্রক্রিয়া গ্রহন করেন তখনি তাঁদের অবস্থান পরিষ্কার হয়ে ধরা দিল জনমনে। বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য শেষ পয্যন্ত নকশাল ধারার আন্দোলন পরিচালনা করে বেগম জিয়া - অরাজগতা,বিশৃংখলা,নৈরাজ্য, হত্যা,গুপ্তহত্যা, জঙ্গী তোষন,আগুন সন্ত্রাস এবং কি সেনাবাহিনী কে পয্যন্ত উস্কানী দিতে দ্বিধাবোধ করেননি। প্রিয় পাঠকগন,আপনারা নিশ্চয়ই জানেন প্রথমবার '৯১ এ বিএনপি তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে বেগম জিয়া প্রথমবারের মত প্রধান মন্ত্রী হয়ে নিউইউর্ক সফরে যান১৯৯২ সালে। নিউইয়র্কের প্লাজা হোটেলের সামনে খালেদা জিয়ার গাড়ির বহর আটকে দিয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করেছিল সেদিন নিউইয়র্কের আকাশ বাতাস শত শত তরুণ। বেগম জিয়া পেছনের দরজা দিয়ে প্লাজা হোটেল ত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন। এরপর ছিল বেগম জিয়ার প্রেসব্রিফিং। সেখানে একজন সাংবাদিক বেগম জিয়াকে জিজ্ঞেস করেছিলেন‘শহীদ জননী বেগম জাহানারা ইমাম জাতীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করেছেন। তিনি ঘাতক-দালাল রাজাকারদের বিচার দাবি করছেন। আপনার সরকার খুনিচক্রের হোতা গোলাম আযমের বিচার করছেন না কেন?’ প্রশ্নটি শোনার পর তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন খালেদা জিয়া। তিনি বলতে থাকেন, ‘জাহানারা ইমাম কে? গণআন্দোলন করার তিনি কে? তিনি কী করেছেন দেশের জন্য?’ এই সাংবাদিক সম্মেলনের বক্তব্যটি পত্রিকার পাতায় আঙ্গুল বসিয়ে দিয়ে বুঝিয়ে বলেও বিশ্বাস করাতে পারিনি মানুষকে। অথচ আমরা জানি এবং চিনি জাহানারা ইমামকে! শহীদ রুমীর আম্মা জাহানারা ইমাম একাত্তরে কী করেছেন, তার সাক্ষী ‘একাত্তরের দিনগুলি’। শহীদ জননীই সর্বপ্রথম বলেছিলেন, তরুণ প্রজন্ম একতাবদ্ধ হয়ে চাইলেই এই বাংলার মাটিতে ঘাতক-দালালদের বিচার করা সম্ভব হবে। শহিদ জননীর ভবিষ্যৎ বাণী অনুযায়ী এই তরুণ প্রজন্মই তা চেয়েছে ২০০৮ ইং সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বিশাল ব্যাবধানে সরকার গঠন করার সুযোগ দিয়ে।নির্বাচনী অঙ্গিকারের বাস্তবায়নের প্রথমিক কাজ শুরু করেই দেশরত্ম প্রথমেই জাতির দায় মোচনের কাজটি শুরু করেছেন।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা এই বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে দৃড সংকল্পের কথাও বার বার জাতির সামনে তুলে ধরে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা জেনেছি, বিচারের রায়ের প্রথমদিন মাননীয় ট্রাইব্যুনাল বলেছিলেন, বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাস ও ট্রাইব্যুনাল-২-এর জন্য এ এক ঐতিহাসিক দিন, যেদিন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা প্রভৃতি আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার করে প্রথম রায় দেয়া হচ্ছে। নয় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের ফসল এই বাংলাদেশ। ওই নয় মাসে এ দেশে ভয়াবহ ও লোমহর্ষক অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল। ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন, প্রায় চার লাখ নারী ধর্ষণ-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং এক কোটিরও বেশি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এই অপরাধ সংঘটন কারীদের বিচার হয়নি, যা এই জাতি ও এ দেশের রাজনৈতিক মনস্তত্ত্বে এক গভীর ক্ষত রেখে গেছে। শাস্তির বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, গণহত্যা ও হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ মানবতাবোধের জন্য এক প্রচণ্ড আঘাত। খালেদা জিয়া একটি গোষ্ঠীর পক্ষে কথা বলছেন।এই সত্যটি এখন কি বা ২০১৬ ইং এর নতুন ইংরেজী সালে নতুন প্রজর্ম্মকে বুঝিয়ে বলতে হবে?নতুন প্রজর্ম্মের বন্ধুদের কি তথ্য উপাত্ত দিয়ে বলতে হবে কে স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি,দেশের সমৃদ্ধি কামনা করেন,বাংলাদেশকে বা কোন দল বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলার জন্য নিয়ন্তর কাজ করে যাচ্ছে।কোন সরকার কার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিনত হল? বাংলাদেশটি কার উদর থেকে জম্ম নিয়ে স্বাধীনতার ৪০বছর পয্যন্ত খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলে এখন জীবন পেল? তাই বলছিলাম আমার হৃদয়ের অব্যার্থ্য এক আশংকার কথা। যা প্রতিনিয়ত কুড়ে কুড়ে মন মানষিকতাকে ক্যানসারের মত নিংড়ে সব রক্ত শুষে নির্ভেজাল এক মুর্তিতে রুপান্তরীত করে তুলছে।আর তা হল স্বাধীনতা বিরুধীদের প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র। তাঁদের প্রতিপালক বেগম জিয়ার নি:শর্ত আত্মসমর্পন আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে বেশি করে। সত্রু কোলে পিষ্টে না বসতে পারলে কোন দিন ক্ষতি করতে পারেনা।খালেদা আবার কেন কোলে উঠে বসেছে ইহাই আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। তাই বলছিলাম, যে সব যুদ্ধাপরাধী এখনো বিচারের অপেক্ষায় আছে, তাদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা দরকার। যারা এখনও বিচার প্রক্রিয়ায় আসেনি বা আনা হয়নি তাঁদের সত্বর প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হোক।কারণ জাতি জেনে গিয়েছে, জাতি বুঝে গিয়েছে- কারা এসব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে। আর কারা এদের মন্ত্রী বানিয়েছিল। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের রেখে যাওয়া পতাকা এই প্রজন্ম বয়ে যাবেই। কারণ তিনি একটি মৌলবাদহীন, জঙ্গিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এই প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে চেয়েছিলেন। তাঁর ইচ্ছাকে মায্যদা দেয়ার জন্যই বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করা প্রয়োজন।জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য আগামী প্রজর্মকে নির্ভেজাল কন্টকমুক্ত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করে রেখে যাওয়া জাতির জনকের কন্যার একান্ত দায় বলে বাংলাদেশের মানুষ মনে করে। জনগনের সেই ইচ্ছার মুল্য দেশরত্ম দিয়ে যাচ্ছেন অক্ষরে অক্ষরে নতুন প্রজম্মও তাই মনে করে। সত্যের জয় হবেই,অপশক্তির পতন অনিবায্য। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা

নতুন প্রজর্ম্ম ইতিমধ্যেই সম্যক ধারনা পেতে সক্ষম হয়েছেন,বাংলাদেশের প্রতি কোন রাজনৈতিক দলটির অন্তরের টান আছে?কোন নেতা বাংলাদেশের জন্য নাড়ীর আতান অনুভব করেন।কার নেতৃত্ব বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির উচ্চাসনে নিয়ে যেতে পারে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন