২০১৫ নিয়ে গেছে বহু কিছু, দিয়ে গেছে অনন্তকালের মিথ্যার সাক্ষাৎ প্রমান----!! ================================ ২০১৫ সালটি শেষ হয়ে গেল,রেখে গেল বাঙ্গালী জাতির জন্য কিছু অবিস্মরনীয় কালান্তরের মিথ্যার বেসাতির নিলর্জ্জ সাক্ষী।একদা যারা মুক্তি যুদ্ধা এবং মুক্তি যুদ্ধের ঘোষনাকারি বলে মিথ্যার বেসাতি করে জাতিকে দ্বিখন্ডিত করে রেখেছিল তাঁদের মুখোষ পুরাপুরি এই বছরটিতেই উম্মোচিত হল।মুক্তি যুদ্ধাদের দ্বিখন্ডিত করে তাঁদের নীজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্যই মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরে ভাগ বসিয়েছিল তা আর নতুন প্রজম্মকে তথ্য উপাত্ত দিয়ে বুঝিয়ে দেয়ার দরকার হবেনা। যুদ্ধ অপরাধের বিচার, মানবতা বিরুধী বিচার বিশ্বের স্বীকৃত একটি আইনী ধারা।বিজিয়ী মুক্তিযোদ্ধা বিজিত রাজাকারের বিচার অনুষ্ঠান করবে ইহাই ছিল স্বাভাবিক।মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তি জাতির জনকের সরকার তা শুরুও করেছিলেন।'৭৫ এর মর্মান্তিক ইতিহাসের নজিরবিহীন হত্যাকান্ড সংঘটিত করে পাকি ভাবধারার মোস্তাকের নেতৃত্বে যে সরকার গুলি বাংলাদেশের শাষনকায্য পরিচালনা করে তাঁরা পরিকল্পিত প্রচারনার মাধ্যমে অনেকগুলী মিথ্যা প্রচারনাকে সত্যে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিল।তম্মধ্যে প্রধানতম বিষয়গুলির মধ্যে অন্যতম দুটি বিষয় আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই। (এক) যুদ্ধাপরাধের বিচার করার প্রয়োজন নেই,এতে জাতিকে দ্বিখন্ডিত করা হবে। (দুই)মেজর জিয়াউর রহমান ২৭ তারিখে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষনা দিয়েছেন।মেজর জিয়া যুদ্ধের ঘোষনা না দিলে যুদ্ধই হতনা। সুপ্রিয় পাঠক গন আমরা জানি একটা মিথ্যাকে সত্যে পরিনত করতে হাজারো মিথ্যার কাহিনীর জম্ম দিতে হয়।তেমনি আহম্মকদের ও তথৈবচ। আমরা সবাই জানি আমাদের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ।'৭১ ইং সালের ১৬ই ডিসেম্বরের বিজয় অর্জিত হওয়ার পর থেকে আজ পয্যন্ত'২৬ তারিখের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বা সরকারী ছুটিতে হেরফের হয়েছে তা শুনা যায়নি বা পরিবর্তনের প্রচেষ্টা কোন মহল করেছে এমনটি মনে হয়নি।তাহলে মেজর জিয়া কোন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করেছিলেন??'২৭তারিখ কোন বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস,কারা সেই দিনটি উৎযাপন করে? দ্বিতীয় যে মিথ্যার আশ্রয়টি তাঁরা নিয়েছিল, তা হচ্ছে জাতিকে বিভক্ত করা জাতীয় উন্নয়নের জন্য বড় আগাত হিসেবে বিবেচিত হবে।সুতারাং স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষ এই ধরনের রাজনৈতিক আলোচনা যারা করবে তাঁরা জাতিকে বিভক্ত করার জন্যই বলবে।অকাট্য যুক্তি সাধারন মানুষকে সহজেই পক্ষে নেয়ার জন্য যথেষ্ট রসদ বক্তব্যটিতে রয়েছে।সুকৌশলে বক্তব্যটি জনসমক্ষে প্রচার করে যুদ্ধাপরাধীদের মেজর জিয়া জেল থেকে মুক্ত করে দেন,গোলাম আযমকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাবস্থা করেন।যুদ্ধাপরাধের চলমান সকল মামলা আইনী প্রক্রিয়া ছাড়াই প্রত্যাহার করে আদালত থেকে সকল নথি রাতারাতি গায়েব করে দেন।তাঁর আগে জাতির জনকের এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়যন্ত্র ব্যাবহার করে এমনসব নিলর্জ্জ মিত্থ্যা অপপ্রচার চালায় যাতে বাংলার অবিসংবদ্ধিত নেতা জাতির জনকের বা তাঁর দলের ঘুরে দাঁড়ানোর কোন শক্তি আর অবশিষ্ট না থাকে।৭৫ এর পরবর্তিত পরিস্থিতিতে তাদের চেষ্টা সফলও হয়। বিএনপি মুলত: মুক্তিযুদ্ধের জামা গায়ে দিয়ে রাজাকার প্রতিপালন,তাঁদের প্রতিষ্ঠার পিছনে মুল সহায়ক শক্তি,রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাঁদের নিম্নশ্রেনীর কর্মিদের পয্যন্ত প্রতিষ্ঠিত করার শক্তি -জনগনকে তথ্য উপাত্ত দিয়ে বুঝিয়ে দিলেও জনগন বিশ্বাস করতেন না। বিশ্বাস না করার একমাত্র কারন তাদের কৌশলি প্রচারনা, পরলিকল্পিত কর্মকান্ড, ধীরে চলার নীতি, মুক্তিযোদ্ধা জিয়ার কাল চশমার আড়ালে মুক্তিযুদ্ধা নিধনের প্রক্রিয়া, তথ্য ও পরিকল্পনায় গোপনীয়তা রক্ষায় সফলতা।তাঁরা কিন্তু একদিনে বা তড়িঘড়ি কোন কাজ করেননি,প্রথমেই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সত্যকে তাঁরা জনগনের আড়ালে নিয়ে যায়,তারপরই বাংলাদেশকে ধীরে ধীরে পাকি ভাবধারায় নিয়ে যাওয়ার প্র্রক্রিয়া গ্রহন করে। জাতির জনকের কন্যা যখনি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচারের প্রক্রিয়া গ্রহন করেন তখনি তাঁদের অবস্থান পরিষ্কার হয়ে ধরা দিল জনমনে। বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য শেষ পয্যন্ত নকশাল ধারার আন্দোলন পরিচালনা করে বেগম জিয়া - অরাজগতা,বিশৃংখলা,নৈরাজ্য, হত্যা,গুপ্তহত্যা, জঙ্গী তোষন,আগুন সন্ত্রাস এবং কি সেনাবাহিনী কে পয্যন্ত উস্কানী দিতে দ্বিধাবোধ করেননি। প্রিয় পাঠকগন,আপনারা নিশ্চয়ই জানেন প্রথমবার '৯১ এ বিএনপি তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে বেগম জিয়া প্রথমবারের মত প্রধান মন্ত্রী হয়ে নিউইউর্ক সফরে যান১৯৯২ সালে। নিউইয়র্কের প্লাজা হোটেলের সামনে খালেদা জিয়ার গাড়ির বহর আটকে দিয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করেছিল সেদিন নিউইয়র্কের আকাশ বাতাস শত শত তরুণ। বেগম জিয়া পেছনের দরজা দিয়ে প্লাজা হোটেল ত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন। এরপর ছিল বেগম জিয়ার প্রেসব্রিফিং। সেখানে একজন সাংবাদিক বেগম জিয়াকে জিজ্ঞেস করেছিলেন‘শহীদ জননী বেগম জাহানারা ইমাম জাতীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করেছেন। তিনি ঘাতক-দালাল রাজাকারদের বিচার দাবি করছেন। আপনার সরকার খুনিচক্রের হোতা গোলাম আযমের বিচার করছেন না কেন?’ প্রশ্নটি শোনার পর তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন খালেদা জিয়া। তিনি বলতে থাকেন, ‘জাহানারা ইমাম কে? গণআন্দোলন করার তিনি কে? তিনি কী করেছেন দেশের জন্য?’ এই সাংবাদিক সম্মেলনের বক্তব্যটি পত্রিকার পাতায় আঙ্গুল বসিয়ে দিয়ে বুঝিয়ে বলেও বিশ্বাস করাতে পারিনি মানুষকে। অথচ আমরা জানি এবং চিনি জাহানারা ইমামকে! শহীদ রুমীর আম্মা জাহানারা ইমাম একাত্তরে কী করেছেন, তার সাক্ষী ‘একাত্তরের দিনগুলি’। শহীদ জননীই সর্বপ্রথম বলেছিলেন, তরুণ প্রজন্ম একতাবদ্ধ হয়ে চাইলেই এই বাংলার মাটিতে ঘাতক-দালালদের বিচার করা সম্ভব হবে। শহিদ জননীর ভবিষ্যৎ বাণী অনুযায়ী এই তরুণ প্রজন্মই তা চেয়েছে ২০০৮ ইং সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বিশাল ব্যাবধানে সরকার গঠন করার সুযোগ দিয়ে।নির্বাচনী অঙ্গিকারের বাস্তবায়নের প্রথমিক কাজ শুরু করেই দেশরত্ম প্রথমেই জাতির দায় মোচনের কাজটি শুরু করেছেন।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা এই বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে দৃড সংকল্পের কথাও বার বার জাতির সামনে তুলে ধরে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা জেনেছি, বিচারের রায়ের প্রথমদিন মাননীয় ট্রাইব্যুনাল বলেছিলেন, বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাস ও ট্রাইব্যুনাল-২-এর জন্য এ এক ঐতিহাসিক দিন, যেদিন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা প্রভৃতি আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার করে প্রথম রায় দেয়া হচ্ছে। নয় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের ফসল এই বাংলাদেশ। ওই নয় মাসে এ দেশে ভয়াবহ ও লোমহর্ষক অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল। ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন, প্রায় চার লাখ নারী ধর্ষণ-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং এক কোটিরও বেশি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এই অপরাধ সংঘটন কারীদের বিচার হয়নি, যা এই জাতি ও এ দেশের রাজনৈতিক মনস্তত্ত্বে এক গভীর ক্ষত রেখে গেছে। শাস্তির বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, গণহত্যা ও হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ মানবতাবোধের জন্য এক প্রচণ্ড আঘাত। খালেদা জিয়া একটি গোষ্ঠীর পক্ষে কথা বলছেন।এই সত্যটি এখন কি বা ২০১৬ ইং এর নতুন ইংরেজী সালে নতুন প্রজর্ম্মকে বুঝিয়ে বলতে হবে?নতুন প্রজর্ম্মের বন্ধুদের কি তথ্য উপাত্ত দিয়ে বলতে হবে কে স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি,দেশের সমৃদ্ধি কামনা করেন,বাংলাদেশকে বা কোন দল বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলার জন্য নিয়ন্তর কাজ করে যাচ্ছে।কোন সরকার কার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিনত হল? বাংলাদেশটি কার উদর থেকে জম্ম নিয়ে স্বাধীনতার ৪০বছর পয্যন্ত খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলে এখন জীবন পেল? তাই বলছিলাম আমার হৃদয়ের অব্যার্থ্য এক আশংকার কথা। যা প্রতিনিয়ত কুড়ে কুড়ে মন মানষিকতাকে ক্যানসারের মত নিংড়ে সব রক্ত শুষে নির্ভেজাল এক মুর্তিতে রুপান্তরীত করে তুলছে।আর তা হল স্বাধীনতা বিরুধীদের প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র। তাঁদের প্রতিপালক বেগম জিয়ার নি:শর্ত আত্মসমর্পন আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে বেশি করে। সত্রু কোলে পিষ্টে না বসতে পারলে কোন দিন ক্ষতি করতে পারেনা।খালেদা আবার কেন কোলে উঠে বসেছে ইহাই আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। তাই বলছিলাম, যে সব যুদ্ধাপরাধী এখনো বিচারের অপেক্ষায় আছে, তাদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা দরকার। যারা এখনও বিচার প্রক্রিয়ায় আসেনি বা আনা হয়নি তাঁদের সত্বর প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হোক।কারণ জাতি জেনে গিয়েছে, জাতি বুঝে গিয়েছে- কারা এসব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে। আর কারা এদের মন্ত্রী বানিয়েছিল। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের রেখে যাওয়া পতাকা এই প্রজন্ম বয়ে যাবেই। কারণ তিনি একটি মৌলবাদহীন, জঙ্গিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এই প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে চেয়েছিলেন। তাঁর ইচ্ছাকে মায্যদা দেয়ার জন্যই বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করা প্রয়োজন।জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য আগামী প্রজর্মকে নির্ভেজাল কন্টকমুক্ত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করে রেখে যাওয়া জাতির জনকের কন্যার একান্ত দায় বলে বাংলাদেশের মানুষ মনে করে। জনগনের সেই ইচ্ছার মুল্য দেশরত্ম দিয়ে যাচ্ছেন অক্ষরে অক্ষরে নতুন প্রজম্মও তাই মনে করে। সত্যের জয় হবেই,অপশক্তির পতন অনিবায্য। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা

নতুন প্রজর্ম্ম ইতিমধ্যেই সম্যক ধারনা পেতে সক্ষম হয়েছেন,বাংলাদেশের প্রতি কোন রাজনৈতিক দলটির অন্তরের টান আছে?কোন নেতা বাংলাদেশের জন্য নাড়ীর আতান অনুভব করেন।কার নেতৃত্ব বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির উচ্চাসনে নিয়ে যেতে পারে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা