(খোলা     আবেদন) ------------------------------------------ জয়বাংলা                                  জয়বঙ্গবন্ধু ==================≠=============== মাননীয়      প্রধান মন্ত্রী,গন প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।   জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা                           সভানেত্রী,              বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।              কেন্দ্রীয় কমিটি,ঢাকা,বাংলা দেশ।             (বিষয়:-কোটি মানুষের প্রানের সংগঠন,জাতির জনকের হাতে গড়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে লুটেরার খপ্পর থেকে রক্ষার আকুল আবেদন)    মাননীয় সভানেত্রী       যথাবিহীত সম্মান পুর্বক নিবেদন ,আপনি বাংলাদেশের জাতির জনক সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীনতার রুপকার, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জৈষ্ঠ কন্যা।আপনার সুভাগ্য হয়েছিল জাতির জনকের পরিবারের প্রথম কন্যা সন্তান হিসেবে জন্ম গ্রহন করার,যাহা কদাচিৎ কারো ভাগ্যে জোটে। বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী না হলেও  জাতি আপনার পরিবারকে চিরদিন স্মরন করবে পরম শ্রদ্ধাভরে।অতীব দু:খ্যের বিষয় আপনি ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ ইং সালে আপনার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের অধিকাংশ সদস্যকে হারিয়ে  স্বজনহারা এতিম হয়ে দু:খ্যের সাগরে সাঁতার কেটে এখনও বেঁচে আছেন।বাঙ্গালী জাতি আপনার মতই জনককে হারিয়ে দিক নির্দেশনাহীন, নেতৃত্বহীন হয়ে বিশ্ব দরবারে দুর্নীতিবাজ,লুটেরা,ভিক্ষুক, আইন অবজ্ঞাকারী,জাতিরজনক হত্যাকারি ইত্যাদি নানা অসম্মানজনক অভিধায় অভিসিক্ত হতে হতে একপয্যায়ে জাতির  ললাটের লিখন মনে করে সহনীয় করে নীজেদের প্রস্তুত করে তুলেছিল।এমন সময় পরম করুনাময় আল্লাহ আপনার মনকে বাঙ্গালী জাতির সেবায় নিবেদন করার এবং জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানের জন্য বাঙ্গালী জাতির ফরিয়াদে অনুমোদন প্রদান করে। করুনাময়ের অপার কৃপায় পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য ব্যাথাতুর হৃদয় ক্ষনিকের জন্য ইস্পাত কঠিন হয়ে দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। হতাশার সাগরে ডুবন্ত জাতি হঠাৎ সম্বিৎ ফিরে পায়,আশায় নতুন করে বুক বাঁধে। মাননীয় জাতির জনকের কন্যা,     ১৯৯১ ইং সালে আমাদের থানা আওয়ামী লীগের সাথে আপনার নির্ধারীত এক বৈঠক ছিল।সেই বৈঠকে আমারও যোগদানের সুভাগ্য হয়েছিল।আমার রাজনৈতিক জীবনের প্রথম কোন বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতার সামনে উপস্থিত হওয়া,শুধু কেন্দ্রীয় নেতাই নন জাতির জনকের কন্যা,আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। বুকে ছিল প্রচন্ড কম্পন,মানষিকভাবে ছিলাম পয্যুদস্ত, ভাবে ছিল নার্ভাসের সীমাহীন চিহ্ন।     ভয়ের সাথে সাহষের মিশ্রন ছিল বুকে। আমাদের নেতা ছিলেন আজিজুল হক মজুমদার।গনমানুষের প্রানপ্রীয় নেতা, তিনি ছিলেন সাধারন সম্পাদক। সভাপতি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, আলী আজম হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক জনাব কাজী গোলাম মাহমুদ সাহেব।আমি ছিলাম  সাংগঠনিক সম্পাদক। সেই সময়ের দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আর কোন পদ মাঝখানে ছিলনা।বয়স যদিও ২৭/২৮ এর মাঝামাঝি চেহারা এবং শারীরিক গঠনে ছিলাম নিতান্তই তরুন। দায়িত্বও পালন করছিলাম একাধিক। আমার নীজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এবং পাশের গ্রামের  হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের গুরুদায়িত্ব আমার কাঁধে। মাননীয় দু:খী মানুষের নেত্রী,     ভয় ছিল ভিন্ন কারনে,আলোচ্য বিষয়টি ছিল আমাদের তিনজনের বহিষ্কারাদেশ প্রসঙ্গে।১৯৯১ ইং সালের  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের ফুলগাজী থানা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রে রেজুলেশন পাঠিয়ে চেয়েছিলাম বর্তমানে  মীরপুরের এম,পি জনাব কামাল আহম্মদ  মজুমদার সাহেবকে আমাদের এলাকায় যেন আওয়ামী লীগ মনোনয়ন প্রদান করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস আমাদের সংসদীয় এলাকায়,তিনি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান, উচ্চ শিক্ষিত, ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ ছাত্র লীগ, ঢাকা মহানগরের নেতা ছিলেন।     আমাদের প্রান প্রীয়জেলা নেতা জননেতা জনাব জয়নাল হাজারী সাহেব উক্তরুপ  দলীয় বীধি ভঙ্গকরে কোন প্রার্থীর পক্ষে অবস্থানকে মেনে নিতে পারেননি।তিনি নমিনেশন দাখিলের আগেই আমাদের তিনজনকে বহিষ্কার করার পদক্ষেপ গ্রহন করেন। বহিষ্কারাদেশ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই আমাদেরকে আপনার সাথে দেখা করে সম্পুর্ন বিষয়টি জানানোর প্রয়োজন দেখা দেয়। আপনার পরামর্শমত জীবনবাজি রেখে নির্বাচনী কাজে দিনরাত পরিশ্রম করেছিলাম। আপনার মনে আছে কিনা জানিনা,প্রথম পরিচিতিতেই আপনি আমাকে দেখে  একরকম হতভম্বই হয়েছিলেন  (এত কম বয়সে থানা নেতা!!) । মরহুম জনাব আজিজুল হক মজুমদার সাহেবের মুখ থেকে আমার সম্পুর্ন পরিচিতি পেয়ে গর্বিত চাহনীতে আপনি অনেকক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। অনেকটা সময় পর জিজ্ঞাসা করেছিলেন কয়জন শিক্ষক, উকিল  অন্যান্ন সমমানীত পেশার সদস্য আছে বর্তমান কায্যকরি কমিটিতে? সবিস্তারে বর্ননার পর বলেছিলেন,আপনারা আপনাদের কাজ করতে থাকুন,আমি দেখব কি হয়। তাঁরপর অনেকবারই আপনার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছে,প্রথমবারের মত মিশ্র অনুভুতি আর কখনই হয়নি। দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর আপন মা বোনের সাথে দেখা হলে যেমন আনন্দে আত্মহারা হয়ে যেতাম, ঠিক আপনার সাথে দেখা হলেও একই অনুভূতিতে আপ্লুত হতাম।    প্রীয় জননেত্রী, নমিনেশনের আগে সমর্থন ব্যক্ত করায় আপনার নিকট নালীশ পৌঁছে ছিল।এখন দেখি বিদ্রোহী প্রার্থীরাও বহাল তবিয়তে আগের দাপটেই কায্যক্রম করে যাচ্ছে।তাঁদের বহিষ্কারের উদ্যোগও নেয়া হচ্ছেনা, দলীয় পদ পদবীও কেড়ে নেয়া হচ্ছেনা।অথছ আমাদের সেইদিনের বহিষ্কারাদেশকে কেন্দ্রকরে প্রতিষ্ঠিত জন নেতাকে '৯৬ এ দল সরকার গঠন করার প্রাক্কালে ঢাকার হোটেল কক্ষে নির্মম ভাবে জীবন দিয়ে তাঁর প্রায়চিত্ত করতে হয়েছিল।যার বিচার আজো ফুলগাজী বাসি পায়নি।জননেতা আজিজুল হকের ইমেজ কাজে লাগিয়ে আজও তাঁর ঘরের কোনের সহধর্মীনি ইউপি থেকে উপজেলা ভাইস চেয়ার ম্যান নির্বাচিত হয়ে আজও জনগনের সেবা করে যাচ্ছেন।এই থেকেই প্রতিয়মান হয় তিনি কত জনপ্রীয় নেতা ছিলেন। প্রানপ্রীয় নেত্রী, তাঁর পরের ইতিহাস আপনি সম্যক অবগত আছেন।কামাল মজুমদার সাহেব এখানে নমিনেশন না পেয়ে ঢাকার মীরপুরে উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে আজ ও  ঢাকার রাজনীতিতে স্থীতাবস্থায় রয়েছেন।দলের অংশ নেয়া প্রতিটি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে দলের পক্ষে নির্বাচিত হয়ে তাঁর যোগ্যতা, দক্ষতা ও পারমঙ্গমতার সাক্ষর রেখে আমাদের সেই দিনের অবস্থান সঠিক ছিল তাঁর প্রমান রেখে চলেছেন। প্রকারান্তরে সারা বাংলাদেশে আওয়ামী রাজনীতি উত্থানপতন ঘটলেও আমাদের আসন আজও আগের অবস্থানেই রয়েছে।অথছ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু অচেনা অজানা কোন এক প্রফেসারকে দিয়ে বলেছিলেন, আমি কলা গাছ দিয়েছি,তোমাদের দায়িত্ব আমার কলাগাছকে নির্বাচিত করে আনা।জনগন সেই কলাগাছকেও বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছিল। আওয়ামী লীগের সেই ঘাঁটিতে আজ ষড়যন্ত্রকারীরা বাসা বেঁধেছে। মাননীয় বঙ্গকন্যা, সেই বাসাকে ভেঙ্গে চুরমার করার জন্য তৃনমুল থেকে এক তরুন ছাত্রনেতা প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেছিল। ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত হয়ে সারা উপজেলায় নাম কিনতে সক্ষম হয়েছিলেন তাঁর কর্মগুনে। পরবর্তিতে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সারা সংসদীয় এলাকায় হৈচৈ পেলে দিতে সক্ষম হন। দ্বিতীয়বার নির্বাচনে শত বাধা উপেক্ষা করে বিপুল ভোটে আবার ও নির্বাচিত হয়ে সত্যিকারের জননেতায় রুপান্তরীত হচ্ছিলেন। নির্বাচিত হয়েছিলেন বিনা প্রতিদন্ধীতায় ফুল গাজী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে। আপনার কায্যালয়েও ঘন ঘন যাতায়াত ছিল, এলাকার উন্নয়নের ফাইলপত্র নিয়ে।আপনিও তাঁকে ভালবাসতেন পুত্রস্নেহে। আবারও অত্র সংসদীয় আসনের জনগনের ভাগ্যবিড়ম্বিত, আশাহত,স্বপ্ন ভঙ্গ হতে হল। ভাগ্যে জুটেনি এই মহান তরুন নেতাকে ধরে রাখার।দলের ভীতরে বাহিরে  ঘুপছি মেরে থাকা শত্রুরা প্রকাশ্য দিবালোকে তাঁকে কুপিয়ে,গুলী করে এবং শেষ পয্যন্ত নারকীয় কায়দায় আগুন দিয়ে কয়লা বানিয়ে দেয়। সেদিন তাঁরা একরামকে আগুন দিয়ে কয়লা করেনি, কয়লা করেছে আমাদের সংসদীয় আসন  উদ্ধারের হাজারো আওয়ামী নেতাকর্মীর স্বপ্নকে।আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে ফিরে আসার সম্ভাবনা একেবারেই নেই।জানিনা কতবছর পর আবার সেই স্বপ্ন আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা দেখতে পাবেন।     মাননীয় নেত্রী, আজকের প্রসঙ্গটি আমার গুনগানের জন্য নয়,আপনার দৃষ্টিভঙ্গি স্মরন করে দেয়ার জন্য। তখন আপনি প্রশ্ন করতে ভুলেননি কতজন উকিল, শিক্ষক বা সম্মানীত পেশায় নিয়োজিত  ব্যাক্তি কায্যকরি কমিটির সদস্য আছে?আমার জীবনের সেরা প্রশ্নের জবাব আমি সেইদিন দিয়েছিলাম। এখন কি কোন  কায্যকরি কমিটির সভাপতি /সাধারন সম্পাদককে জীজ্ঞাসার প্রয়োজন মনে করেন না?     মাননীয় নেত্রী, আমি নিশ্চিত আপনি আমার কোন কথায় রাগ করবেননা। বলার সাহষ আপনিই দিয়েছিলেন আমাকে। ১৯৯১ ইং সালে বাংলাদেশের শিক্ষিতের হার নিশয়ই ২৫/৩০পার্সেন্টের বেশী ছিলনা।তখন আপনি প্রয়োজন অনুভব করেছেন শিক্ষিত জ্ঞানী মেধা সম্পন্ন সম্মানীত নেতাদের নেতৃত্বে থাকার।বর্তমানে ৬৫/৭০ ভাগ মানুষ শিক্ষিত থাকার পরেও আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগে সুশিক্ষায় শিক্ষিত নেতার অভাব হল কেন? কি করে অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত মাস্তানেরা দলের শীর্ষপদে আসীন হয়। ইউনিয়ন থেকে জেলা পয্যন্ত কয়জন প্রকৃতছাত্র নেতা হয়ে নেতৃত্বে আছে? আপনার নিকট কি তাঁদের বায়োডাটা আছে? আমি নিশ্চিত- এত তৃনমুলের খবর রাখার সময় আপনার নেই।যাদেরকে খবর রাখার দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন তাঁরা কি সঠিক খবর আপনার নিকট পৌচাচ্ছে       মাননীয় নেত্রী,     ভাল একটা সুযোগ আপনার হাতে আছে।আগামী ইউনিয়ন নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীদের ভোটের উপর নমিনেশন ছেড়ে দিন,দেখবেন আপনার বর্তমান অশিক্ষিত মাস্তান সভাপতি/সম্পাদকেরা একজনও নমিনেশন চাইবেনা।,তাঁরা জানে আওয়ামী লীগের হাজারো নীপিড়িত কর্মীবাহিনী তাঁদের পছন্দ করেনা।যাঁরা সাহষ করে চাইবে তাঁরা অন্য সবার  শেষে তালিকায় থাকবে।প্রকৃত ত্যাগী নেতারাই কর্মীদের ভোটে জয়ী হবে।জনগনও তাঁদেরকে নির্বাচিত করার জন্য মুখিয়ে আছে।দু:খ্যজনক হল আপনার তদারকি নেতাদের দাপটে সেই সমস্ত ত্যাগী নেতারা গঠিত নমিনেশন বোর্ড়ে যাবেনা প্রার্থী হতে। এই কারনে তাঁরা কেউই নমিনেশন চাইবেনা।প্রকৃত বঙ্গবন্ধুর অনুসারী দলের পুজা ছাড়া কখনই  ব্যাক্তির পুজা করেনা। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যক্তিপুজা না করলে দলের কায্যক্রম থেকে ছিটকে পড়া সময়ের ব্যপার হয়ে যায়। আপনাকে বুঝিয়ে বলতে হবেনা,আপনি নীজেই উপলব্দি করতে পারেন।         মাননীয় নেত্রী,    আপনি জাতির জনকের কন্যা।রাজনীতিতে না থাকলেও আপনার মায্যদা দেশবাসি চিরকাল দিয়ে যাবে। বহু বছর পর জনগনের উপলব্দিতে এসেছে, জাতির জনকের পরিবার বাঙ্গালী জাতিকে ভালবেসে সাগরসম রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। মা তাঁর প্রীয় সন্তানের দরদ  মন দিয়ে অনুভব করে, মাসী সেই মন দিয়ে অনুভব করতে পারেনা। জাতির জনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ তাঁর কন্যার হাতে যত বেশী নিরাপদ থাকবে,অন্য কারো নিকট সেই নিরাপত্তা পাবেনা। বাংলাদেশের জনগন দাঁত হারিয়ে দাঁতের মার্যদা বুঝেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে,জাতির জনকের কন্যাকে, বাংলাদেশের জনগন আর কখনও বিমুখ করবেনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ছিটমহল বিনিময় চুক্তি কায্যকরের পর জনগনের চোখ খুলে গেছে।সারা জীবন শুনেছে বঙ্গবন্ধু দাসত্বের চুক্তি করে বেরুবাড়ী ভারতকে দিয়ে দিয়েছে,এখন দেখি এনেছে তাঁর দশগুন বেশী।ওরা ভারতে গিয়ে গঙ্গার কথা ভুলে যায়,জাতির জনকের কন্যা পানি এনে দেয়। সমুদ্রে আমাদের ন্যায্য অধিকার আছে ওরা কেউ কোন দিন বলতেও শুনেনী -,জাতির জনকের কন্যা আন্তজাতিক আদালতে মামলা দায়ের করে সমুদ্র জয় ছিনিয়ে এনেছে,শুধু তাই নয় বিজিত অঞ্চলে অধিকারও প্রতিষ্ঠিত করেছে।       মাননীয় দেশরত্ম,    বাংলার জনগন আপনার উপর আস্থা রেখেছে,সেই আস্থা গুটিকতক লুটেরার কারনে কালিমালিপ্ত হবে নিশ্চয়ই আপনি চাননা। সারা দেশব্যাপি চিরুনী অভিযান চালালেও ৫/৭ হাজারের বেশী মাস্তান সন্ত্রাসী খুজে পাওয়া যাবেনা। ৫/৭হাজার সন্ত্রাসীর দাপটে ১৬ কোটি মানুষ জিম্মি থাকবে?আপনি কি ৫/৭ হাজার ভোটে জয় পরাজয় নির্ধারন হবে মনে করেন? কেন আপনি লুটেরা মাস্তানদের নাকে রশি বাঁধার ব্যবস্থা করেননা।গত ১৩/১ এর দৈনীক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় অনুসন্ধান মুলক রিপোর্ট চেপেছে। সুনির্দিষ্ট করে বলে দিয়েছে কোন জেলার নেতা কি করেন।আপনার পক্ষ থেকেও তদ্রুপ অনুসন্ধান করে দেখুন, প্রতিবেদনটির সত্যতা আসলেই কতটুকু। সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দুই বছরেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করুন, যাবে ৫০/১০০ আসবে ৩/৫ লক্ষ। আপনার দলের কর্মিরা বুকের চাতি উধ্বে তুলে বলতে পারবে আওয়ামী লীগে কোন লুটেরার স্থান নেই,আওয়ামী লীগ লুটপাটে বিশ্বাস করেনা।         মাননীয় জাতির জনকের কন্যা, আপনি ভাল করেই জানেন,আওয়ামী লীগের আছে জাতির জনকের রেখে যাওয়া দেশীয় আবহাওয়া উপযোগী কালজয়ী দর্শন,দলের আছে  আদর্শ এবং উদ্দের্শ্য। অন্য যাদের দর্শন আছে তা বিদেশীদের নিকট থেকে হাওলাতি দর্শন, কারো নিকট আছে পবিত্র শান্তির ধর্ম  ইসলামকে বিকৃত করে স্বার্থ উদ্ধারের দর্শন। বাংলাদেশের জনগন আবহমান কাল থেকে বিদেশী দর্শন,বিকৃত ধর্মীয় দর্শন গ্রহন করেনি,করবেও না। দুই জাতকে বাদ দিলে অন্য কোন দলের উল্লেখ করার মত দর্শনতো দুরের কথা আদর্শ এবং উদ্দের্শ্য বলতেও কিছু  নেই। মাঝিহীন নৌকার যেমন গন্তব্য নির্দিষ্ট থাকেনা,ঐ সমস্ত দল গুলীর গন্তব্যের কোন নির্দিষ্টতা নেই। মাঝিহীন নৌকার শেষ পরিনতি যেমন ডুবে যাওয়ায় নিহীত, দলগুলীও পতন অনিবার্য্য,শুধু সময়ের ব্যপার।সুতারাং আপনি কিসের ভয় করেন,দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকার সর্বচ্ছো ব্যবস্থা গ্রহন করুন।,দলের অভ্যন্তরে ডুব দিয়ে থাকা আগাছা পরিষ্কার করার ব্যবস্থা গ্রহন করুন। মাননীয় সভানেত্রী,     চোখের সামনে দেখেছেন- চাটুকার নেতাদের কান্ড। পত্রিকর পাতায়  দেখেছিলাম, আপনার দরবারেও অনেকেই ধর্না দেয়ার সাহষ দেখিয়েছে। চক্ষু লজ্জাহীন, মেরুদন্ড হীন নেতাদের কোন বিবেক বুদ্ধি থাকেনা।স্বার্থ উদ্ধারে তাঁরা বহু কিছু করতে পারে। বিএনপি  ক্ষমতায় যখন ছিল খালেদা জিয়াকে  মাথা ন্যুজ করে ডাকতেন ম্যাডাম। বিএনপি জামায়াত জোট ক্ষনতা হারানোর  ৫/৭ বছর যেতে না যেতেই  খালেদা জিয়া স্বার্থান্বেষিদের নিকট হয়ে গেছেন মানষীক রুগী। আপনার নীজের বেলায়  আরও বড় বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে।,১/১১ তথাকথিত সংষ্কার বাদীরা দলের অভ্যন্তরে কতবড় ষড়যন্ত্রইনা করেছিল।সংষ্কারের প্রশ্ন উত্থাপন করে জনমনে দল এবং আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনা প্রতিষ্ঠার লক্ষে। ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে হাত মেলাতেও তাঁদের বিবেকে বাধা দেয়নি।" সংষ্কার যদিও একটা চলমান প্রক্রিয়া-তৎক্ষনাৎ প্রতিষ্ঠার দাবী উত্থাপন করার অর্থ আপনি নীজেই জেলের অভ্যন্তরে গিয়ে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন।"    মাননীয় দেশরত্ম,      চাটুকারদের   বিশ্বাস করতে নেই। আপনার চার পাশে, আপনার রন্ধন শালায়,গনভবনে চাটুকারের অবস্থান স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে । সত্বর তাঁদের বিদায়  করার ব্যবস্থা করুন।আওয়ামী লীগ বাঁচবে তাঁর প্রতিষ্ঠাতার রেখে যাওয়া বিশ্বের কোটি কোটি  নিপিড়ীত মানুষের মুক্তির সনদ মৃত্যুহীন দর্শনের কারনে।দিক নির্দেশনা পাবে দলটির আদর্শ এ উদ্দের্শের গতিশীল নীতি অনুসরনে।কোন নেতার ব্যাক্তি গত গুনের কারনে নয়।তাঁর প্রমান ৭৫ এর মোস্তাক গং "৭৫ পরবর্তি  কিংবদন্তি নেতা মোস্তফা মহসীন মন্টু ,ড.কামাল হোসেন।,হাল আমলে বঙ্গবীর খ্যাত কাদের সিদ্দিকী, তুখোড় ছাত্র নেতা খ্যাত মাহমুদুর রহমান মান্না ও আপনার স্নেহ ধন্য নামকরা ছাত্রনেতা জনাব মনসুর সাহেব সহ আরো অনেকে।আদর্শচ্যুত হয়ে তাঁরা এখন নর্দমার কীটে রুপান্তরীত হয়ে সর্বক্ষন স্বাধীনতা বিরুধীদের সাথে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। মাননীয় জাতির পিতার কন্যা,    আমি জানি, আমার এই আবেদন আপনার টেবিল পয্যন্ত পৌছবে।আরো জানি কারা পৌঁছাবে,কেন পৌছাবে।আমার দৃডবিশ্বাস,লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের ভীড়েও আপনি আমাকে চিনে নিতে কষ্ট হবেনা।কারন আপনি তীক্ষ জ্ঞানী,প্রখর দৃষ্টিসম্পন্ন নেত্রী,সুদুরপ্রসারী চিন্তাবীদ। লেখাটি পড়ার সময় পাবেন কিনা জানিনা। যদি আচমকা কোন প্যারার উপর চোখ পড়ে দেখবেন এক নিপীড়িত,নির্যাতীত, নীষ্পেষিত আওয়ামী কর্মীর অন্তরের মর্মবেদনার খন্ড খন্ড চিত্র। বাস্তব চিত্র আরো অনেক বেশী ভয়াবহ, আশংকাজনক।পৌর ভোটে জীতে মনে করার কোন কারন নেই,আপনার দলের নেতাদের অপকর্ম নেই।আপনার দলের নেতাদের অপকর্মের চাইতে জনগন প্রতিদন্ধী প্রার্থীর দলের দেশ বিরুধী কর্মকান্ডকে বড় অপরাধ বিবেচনা করেছে। ক্ষমতা দীর্ঘায়ীত হওয়ার পরও আপনার আলোতে আলোকীত হয়ে আপনার দলের প্রার্থীরা জীতেছে।আপনার সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে দেশের জন্য সহায়ক মনে করে আপনার মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে। এর অর্থ এই নয় তাঁরা প্রত্যেকে দুধে ধোয়া তুলসী পাতা। অতএব বিনীত প্রার্থনা,   দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির প্রশ্নে জনমনে কোন প্রশ্ন নেই,দলের নেতাদের হাত থেকে জনগনের মান ইজ্জত রক্ষা হলে আর কোন চাহিদাও জনগনের নেই।আপনার পরিবার নিয়ে চরম শত্রুও প্রশ্ন উত্থাপন করেনা।কিন্তু আপনার দলের এমন কোন নেতা নেই যে প্রশ্নবিদ্ধ নয়।এমতবস্থায় দলের অভ্যন্তরে শুদ্ধি অভিযান একান্ত অপিরিহায্য। আমি  যে ইউনিয়নে বাস করি--আমি নীজেও দেখিনি গত ৫/৭বছরে কায্যকরি কমিটির কোন সভা অনুষ্ঠান হতে। তাঁরা মনে হয় রেজুলেশন,নোটিশ খাতাও চিনেনা। কিভাবে পত্রিকার সেই অনুসন্ধানী রিপোর্ট অস্বীকার করি।    মাননীয় জনগনের প্রানের নেত্রী, উল্লেখীত বিষয়গুলী কোন অবস্থায় আমার ব্যক্তিস্বার্থ জড়িত কোন বিষয় নয়।সারা বাংলাদেশের লাখ নেতা কর্মীর অন্তরের ক্রন্দন।আশা করি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করে জননন্দিত নেতাদের নেতৃত্বে আসার পথ সুগম করার পদক্ষেপ নিয়ে বার্ধিত করবেন।                                       বিনীত নিবেদক                         ১৭/০১/২০১৬ ইং                          ফুলগাজী, ফেনী                       জয়বাংলা       জয়বঙ্গবন্ধু             জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা    

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা