জনরোষের ভয়ে ভীত চক্রান্তকারীরা,  বেসামাল উক্তি করে জনমনে বিভ্রান্তির চেষ্টায় লিপ্ত--- ======================================= বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খাঁন বলেছেন,, '৭৫সালে গনতন্ত্র নিহত হয়েছিল,এখন আই,সি,কিউতে আছে। "শ্রমিক নেতা জনাব নজরুল সাহেব প্রকৃত শ্রমিক নেতার মতই কথাটা বলেছেন।মৃত্যু হয়ে গেলে আবার কবর থেকে উঠে হাসপাতালের আইসিকিউতে কিভাবে আসতে পারে উনি না বললেও অনেকেই বুঝে। '৭৫এ জাতির জনক যে গনতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন,সেই গনতন্ত্র পশ্চিমাদের জোর জবরদস্তির গনতন্ত্র। লুটেরার গনতন্ত্র।যে গনতন্ত্রের সমাপ্তির কোন সংজ্ঞা নেই।পশ্চিমা সেই গনতন্ত্রের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে বিশ্ব প্রতিনিয়ত অশুভ শক্তির কালছায়ার মাসুল দিয়ে যাচ্ছে।পুঁজিবাদী উপনিবেশিকের বর্তমানের প্রচলিত  গনতন্ত্র ধনীকে আরো ধনী গরীবকে আরো গরীব করার গনতন্ত্র। সম্পদের সুসম বন্টনের বিধান তথাকথিত উপেনিবেশিক শাষক শোষকদের গনতন্ত্রে আজও খোঁজে পাওয়া যায়নি।     বঙ্গবন্ধু শাষক ও শোষকের গনতন্ত্রকে কবর দিয়ে শোষিতের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির নিমিত্তে সব দল ও মতকে একই ছাতার নীছে এনে জাতীয় দল গঠন করে সম অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে দেশ শাষন কল্পে জাতীয় দল গঠন করেছিলেন।উক্ত দলে সকল শ্রেনী, পেশার মানুষের অংশিদারিত্ব ছিল। তৃনমূল পয্যায় থেকে জাতীয় সরকার পয্যন্ত নির্বাচনের বিধান ছিল।সম্পদের সুসম বন্টনের লক্ষে সমবায় পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছিল।জাতিয় সরকারের নামের মধ্যেই তাঁর মহত্ব নিহীত আছে।"বাকশাল" অর্থাৎ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ।    জম্ম নেয়ার আগে ভ্রুন মাতৃ গর্বে হত্যা করে তাঁর মহত্বকে খাঁটো করার জন্য দীর্ঘ একুশ বছর একতরফা অপপ্রচার করে জনমনে জাতীয় সরকারের ধ্যান ধারনা সম্পর্কে ভুল চিন্তা চেতনার বীজ বপন করার আপ্রান চেষ্টা করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার বলয় থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।সেই চেষ্টার মাত্রা কিছুটাও যে কমেনি তাঁর বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছেন জনাব নজরুল সাহেব। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতির মঙ্গলের জন্যই  তাঁর সুদুর প্রসারী চিন্তা চেতনার ফসল বিশ্ব নন্দিত দর্শন "বাকশাল" মানব জাতির জন্য উপহার  দিতে পেরেছিলেন। "বাকশাল" একান্ত বঙ্গবন্ধু উদ্ভাবীত দর্শন।বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী করে রচিত দর্শন।     বিশ্বের যে কয়জন দার্শনিক,চিন্তাবীদ কালে কালে মানবের মঙ্গলের জন্য চিন্তার ফসল রেখে গেছেন তাঁদের মধ্যে মার্কস,লেলিন, মাওসেতুং, প্লোটো, সক্রেটিস অন্যতম।তাঁরা তাঁদের চিন্তা চেতনার ফসল রেখে গেছেন তাঁদের দর্শনে।বাংলাদেশের জাতির জনক বিশ্বমানবের কল্যানে তাঁর মতবাদ "বাকশাল" প্রতিফলিত করতে চেয়েছিলেন বাঙ্গালীর জাতীয় জীবনে।তাঁদেরকে যেমন মানব জাতি স্মরন করবে চিরকাল বঙ্গবন্ধুকেও স্মরন করবে বিশ্ব সভ্যতা বেঁচে থাকবে যতকাল।      বঙ্গবন্ধুর "বাকশালে" যদি গনতন্ত্র না থাকে তবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবি সমিতির নির্বাচনেও গনতন্ত্র নেই।শ্রমিক ইউনিয়নের ভোটের নির্বাচনেও গনতন্ত্র নেই।সমবায় সমিতিতেও গনতন্ত্র নেই।কোন শ্রেনী পেশার নির্বাচনে গনতন্ত্র প্রতিফলিত হয়না।জনাব নজরুল ইসলাম যে শ্রেনী থেকে উঠে এসেছেন তিনি নীজেও গনতান্ত্রিক ভাবে আসেননি।যেহেতু ঐ সমস্ত নির্বাচনে আপামর জনগনের মতামত প্রতিফলিত হয়না। শুধুমাত্র স্ব-শ্রেনীর নির্দিষ্ট ভোটার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। সেখানে বহুদলের অস্তিত্ব যেহেতু নেই,সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহন নেই,সেখানে কিভাবে গনতন্ত্র থাকে? যদি শ্রেনী পেশার নির্বাচনে গনতন্ত্রের সুনির্দিষ্ট প্রতিফলন ঘটে থাকে, তবে বাকশালেও গনতন্ত্রের প্রতিফলন অবশ্যই ছিল। বাকশালেও একই পদ্ধতির নির্বাচনের ব্যবস্থাই ছিল।স্ব-স্ব শ্রেনী পেশার উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য যেমন স্ব-স্ব শ্রেনীর নির্বাচিত প্রতিনীধিরা আপ্রান চেষ্টা করেন, তেমনি জাতিয় ভাবে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় দলের জন প্রতিনীধিরা- জাতীয় সরকার গঠন করে জাতির মঙ্গলই করতেন।   এক্ষেত্রে গনতন্ত্র ছিল না বলে জাতির সাথে এতকাল প্রতারনা করার অপকৌশল ধীরে হলেও প্রকাশ পাচ্ছে।সত্য সদাই কঠিন বাস্তবতা,সত্য প্রকাশ হবেই,মিথ্যা দূর হবেই হবে।    দিন যতই গড়িয়ে যাচ্ছে,সত্য ততই প্রকাশ হচ্ছে।সব শ্রেনী,পেশার মিথ্যেবাদীরা জনরোষ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে বেসামাল হয়ে অসংলগ্ন কথাবার্তা  মুখ ফসকে বেরিয়ে যাচ্ছে।     আর একজন প্রতিযষা বুদ্ধিজীবি জনাব এমাজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেছেন,ভারত নয়,বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছায় দেশ স্বাধীন হয়েছে। একই অনুষ্ঠানে দুইজন দুই বিতর্কিত প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোন সময়েই শুনেনি আওয়ামী লীগের কোন পয্যায়ের নেতা বলতে- ভারতের ইচ্ছায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে!! তবে ভারত মিত্র শক্তি হিসেবে অতুলনীয় সহযোগিতা করেছে মুক্তিযুদ্ধে। পাকিস্তানী তিরানব্বই হাজার সেনা মিত্রবাহিনীর নিকটই আত্মসমর্পন করেছে। যুদ্ধশেষে বঙ্গবন্ধুর জাদুকরি নেতৃত্বেই ভারতীয় সেনাবাহিনী ফেরৎ যেতে বাধ্য হয়েছিল।কোন দেশ থেকে মিত্রবাহিনী এত সহজে পিরে যেতে দেখেছে? বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছাশক্তিকে জাগরুক করার জন্য,চেতনাকে শানীত করার জন্য, স্বাধাধীনতার শেষ প্রান্তে নিয়ে যাওয়ার জন্য,পিছনে পিরে না আসার অবস্থানে পৌঁছে দেয়ার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ২৩টি বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন,মৃত্যু দুয়ার থেকে কমপক্ষে দুইবার ফিরে এসেছেন,দীর্ঘ নয় মাস তাঁর প্রীয় জম্মভূমিতে কি হচ্ছে কোন খবর না পেয়েও স্বাধীনতার প্রশ্নে তাঁর অনড় অবস্থান ধরে রেখেছেন, ফাঁসীর রায় শুনার পরও সামান্যতম বিচলীত হননি,মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের প্রতিনীধি সহ কোন কূটনৈতিক বা সরকারের উচ্চ পয্যায়ের কারো সাথে কোন দর্শন পয্যন্ত দিলেননা -এই  কথা গুলি তিনি বলতে ভুলে গেছেন!!         লক্ষনীয় বিষয়টি হচ্ছে, নতুন প্রজর্ম্ম সত্যিকার ইতিহাস জানার জন্য  যতই উৎগ্রীব হয়ে উঠছেন, স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস যতই জনমনে প্রভাব বিস্তার করছে ততই অশুভ শক্তির পায়ের নীছের মাটি সরে যাচ্ছে। বেসামাল হয়ে সর্বস্তরের স্বাধীনতার শত্রুরা, মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা, মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে অন্তরে স্বাধীনতার শত্রুদের পুনর্বাসীত করার চক্রান্তকারিরা বেসামাল হয়ে পড়েছেন। প্রত্যহ নতুন নতুন বিতর্কের জম্ম দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।       মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামী  লীগ, বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনকের জৈষ্ঠ কন্যা দেশরত্ম শেখ হাছিনার নেতৃত্বে দেশ যখন দ্রুত কাংখীত লক্ষ অর্জনের পথে দাবীত হচ্ছে, দেশ বিদেশে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির দর্পন নিয়ে সরব আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে,বিশ্বের উন্নয়ন শীল দেশ সমুহের রোল মডেল হিসেবে অবস্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে,জাতি হিসেবে বাঙ্গালী বিশ্বদরবারে মাথা উচু করে দাড়িয়েছে, আগামী ২০৪১ সালের আগেই উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছার রুপকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে-- তখনি অশুভ শক্তির পালের গোদারা বেসামাল উক্তি করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।   কোন ষড়যন্ত্রই জাতির জনকের কন্যার পথভ্রষ্ট করতে পারবেনা। দেশ ও জাতির জম্মদাতার চাইতে কারো দরদ বেশী হতে পারেনা।আগুন সন্ত্রাসের ষড়যন্ত্র ধৈয্যের সাথে মোকাবেলা  করে দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন কারি সরকার  কোন অবস্থায় বিভ্রান্ত হবেনা। লক্ষ অর্জনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে গেলেই নতুন প্রজম্মের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারনকারি প্রজম্ম আগের মতই  সেই বাধা উপড়ে ফেলতে প্রস্তুত। সত্যিকারের দেশপ্রেমী সরকার কোন অশুভ শক্তিকে ভয় পায়না বার বার প্রমানীত হওয়া সত্বেও কাল সাপ তাঁদের ছোবল অব্যাহত রেখেছে।ইনশাল্লা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ অব্যাহত গতিতে চলতে থাকবে। আগামী ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত,বিজ্ঞান সম্মত,আধুনিক  বিশ্বের নেতৃত্বে আসীন হবে।উন্নত বিশ্বের রাষ্ট্র সমুহের কাতারে বাংলাদেশের নাম জ্বল জ্বল করে জ্বলবে।জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করে তাঁর আত্মার প্রতি জাতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।সেই লক্ষকে কোন অশুভ শক্তি বানচাল করতে পারবেনা ইনশাল্লাহ।--             জয়বাংলা     জয়বঙ্গবন্ধু   জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা    

Eker poor ek beta uthvoT ukti korei za che.sorkar nirob vumika palon koroche.trader mukhe lagam dear mono ceShTai koroche name.

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা