মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বর্ষপুর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষন নতুন প্রজম্মকে  উজ্জিবীত করবে------- =======================   বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা গতকাল তাঁর সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের দুই বছর পুর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ায় ভাষন দিয়েছেন।ভাষনে মুলত তাঁর সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতি,বিএনপি জামায়াত জোটের নাশকতা ইত্যাদি বিষয় সংক্ষিপ্ত অথছ যুগ উপযোগি জনচাহিদার কথামালার পরিস্ফুটন ঘটিয়েছেন।আমার  এই ছোট্র জীবনের শুনা রাষ্ট্র পরিচালকদের দেয়া ভাষনের মধ্যে অন্যতম সেরা নীতি নির্ধারনী শ্রেষ্ঠ ভাষন হয়ে অনেক দিন মনে থাকবে আরো অনেকের।       এই প্রথম দেখিছি কোন প্রধান মন্ত্রী তাঁর কাজের প্রতি এত আস্থাশীলতা পোষন করে বক্তব্য দিতে।বক্তব্যের দৃডতা,নীতি আদর্শের প্রতি আনুগত্যতা, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার বাস্তবায়নের প্রতি একাগ্রতা স্বাধীনতার পক্ষের প্রতিটি নাগরিককে উজ্জিবিত করবে নি:সন্দেহে।মুক্তিযুদ্ধের নতুন প্রজম্ম দেশপ্রেমে উদ্ভোদ্ধ হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের জাল বোনার দিকনির্দেশনা পাবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।বিশেষ করে ভাষনের শেষ পয্যায়ের ইঙ্গিত পুর্ন বক্তব্যের লাইনটি ২০০৮ সালের নতুন প্রজম্মের দেড় কোটি ভোটার যে আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মহা জোট সরকারকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে সরকারে বসিয়েছিলেন তাঁদের নতুন করে  আশাম্বিত করবে। মহাজোট নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া অঙ্গিকার সরকারে এসে শতভাগ বাস্তবায়ন বিশেষ কিছু সেক্টরে অঙ্গিকারের চেয়েও অগ্রগামিতা দেশবাসিকে যেমন উৎফুল্ল করেছে,বিশ্ববাসিও বাংলাদেশের প্রতি তাঁদের দীর্ঘ দিনের লালিত নীতি আদর্শে পরিবর্তন এনে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের নীতির সাথে সামঞ্জস্যপুর্ন  নীতি গ্রহন করে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে নীজেদের সম্পৃত্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এই মহুর্তে সাক্ষাৎ উদাহরন দিতে পারি বিশ্বমোড়ল আমেরিকার।২০১৪ সালের পর থেকে ২০১৫ সালের বিএনপি জামায়াত জোটের জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচির মৃত্যুর আগ মহুর্ত পয্যন্ত বাংলাদেশ সংক্রান্ত তাঁদের নীতি, আদর্শ ভুমিকা এবং তৎপরিবর্তি সময় থেকে অদ্যাবদির ভুমিকার বিশ্লেষন করলেই আমার কথার সত্যতা পাওয়া যাবে আশা করি।   মহাজোট সরকার তাঁর অঙ্গিকার অনুযায়ী মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার অনুষ্ঠান করে যেমন নতুন প্রজর্ম্মকে দেয়া অঙ্গিকার পুরন করে আস্থা অর্জন করে চলেছেন তেমনি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং তাঁ্র মিত্র জামায়াত সহ বিশ দলীয় জোট তাঁদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে নতুন প্রজম্মের ভোটারদের আস্থা ও বিশ্বাস চরম ভাবে ভুলন্টিত করে তাঁদের সমর্থন হারিয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত। ঘাতক-দালাল-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়ার কারণে জামায়াত ২০১২ সাল থেকেই চরম সংকটকাল অতিক্রম করছিল। সব মিলিয়ে ২০১৪-এর নির্বাচনে অংশ নেয়াটা বিএনপির জন্য শুভকর, নাকি অশুভকর ছিল, তা বুঝতে তাদের সময় লেগেছে ২০১৪ থেকে ২০১৫ সাল। ২০১৫ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদপূর্তি উপলক্ষে বিএনপি চেয়েছিল এই সরকারকে কুপোকাত করে ফেলবে।'৭৫ এর ন্যায় সব মিশনকে তাঁরা মাঠে নামিয়ে একই পদ্ধতিতে সরকার পতনের কৌশল গ্রহন করে।নৈরাজ্য সৃষ্টির মানষে তারা লাগাতার আন্দোলনের ডাক দেয়।তাঁদের বিশ্বাস ছিল চরম ডান,চরম বামের স্বাধীনতা পরবর্তি ক্যান্টনমেন্টে বসে সরকারি অর্থ অস্ত্র ব্যাবহার করে মেজর জিয়ার গঠিত মিশনগুলী এখনও যথাযথ দায়িত্ব পালন করে বিপ্লব ঘটাতে পারবে। খালেদা জিয়াকে তাঁর অফিস কক্ষ থেকে এনে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবেন।বিপ্লব করে জনতা তাঁকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়েছেন নাটক সাজিয়ে আওয়ামী লীগের উপর চরম নির্যাতনের ষ্টিম রোলার চালিয়ে কেয়ামত পয্যন্ত ক্ষমতায় বা রাজনীতিতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে তার চিরস্থায়ী ব্যাবস্থা পাকাপাকি করে দিয়ে যাবেন।তাঁর স্বামী যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা দখল করেছিলেন ঠিক একই প্রক্রিয়ায় তাঁর ক্ষেত্রেও চলমান রাখার মানষে অপপ্রচারের বিষয় সমুহ সাব্যস্ত করে রেখেছিলেন।    অপপ্রচারের হাতিয়ারের মধ্যেও তেমন পার্থক্য দেখা যায়না।(এক)একনায়কতন্ত্র বাকশাল প্রতিষ্ঠা (দুই)ধর্মদ্রোহিতা বা নাস্তিকতাকে সামনে এনে প্রপাগান্ড অনেকদুর এগিয়ে রেছিলেন।    উদ্দেশ্য সাধনে প্রথমেই নির্ধারীত সাধারন নির্বাচনে অংশ না নিয়ে একতরফা নির্বাচন করার সুযোগ করে দেয় আওয়ামী লীগকে।এই উদ্দেশ্যে তত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে আইন পাশের সময়ে সংসদে থেকেও তাঁরা তেমন কোন প্রতিবাদ বিক্ষোব বা প্রতিহতের কোন কর্মসুচি গ্রহন করেনি।পরবর্তিতে একদলীয় শাষনের কালিমা লেপনের ব্যর্থ্য চেষ্টা অবশ্যই দেশবাসি প্রত্যক্ষ করেছেন। (দুই)মুক্ত চিন্তার লেখক ব্লগার একদিনে সৃষ্টি হয়নি।নাস্তিকতাও একদিনের সৃষ্ট কোন বিষয় নয়।কেউ ইচ্ছা করলেই একদিনে লিখক, সাহিত্যিক,সাংবাদিক হতে পারেনা।দীর্ঘ দিন লেখালেখি করেও গনমানুষের পাঠ উপযোগি লিখায় অভ্যস্থ হওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়না।আওয়ামী লীগ সরকারের ৩/৪ বছরের মধ্যে তাঁরা জম্মগ্রহন করে বড় বড় নাস্তিক হয়ে গেছেন এইরুপ চিন্তধার জনমনে প্রোথিত করার মানষে তাঁদের প্রচার প্রপাগান্ড অব্যাহত রাখে।এই উদ্দেশ্যে আমাদের দেশের সম্মানীত আলেম উলেমাদের মাঠে নামাতেও তাঁরা সক্ষম হয়।কয়েকজন লিখক ব্লগারকেও হত্যা করে তাঁর প্রমান সংগ্রহ করে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। তাঁদের সেই চেষ্টা বন্ধ হয়ে গেছে এমনটি কিন্তু নহে।সুযোগ পেলেই তাঁরা আবার সেই পুরাতন অবিলাষে পিরে যাবেনা এমনটি ভাবা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নহে।মোট কথা ষড়যন্ত্রের নতুন নতুন সুতার জাল বিচাতে চেষ্টার কোন কমতিই ছিলনা।আমাদের সুশৃংখল সেনাবাহিনিকেও এই ষড়যন্ত্রে সম্পৃত্ত করতে পেরেছিল অবিশ্বাস্বভাবে।তাঁর প্রমান পাওওয়া যায় সেনা বাহিনীর প্রতি খালেদা জিয়ার ন্যাক্কার উক্তি,""সেনা বাহিনী বেঈমান"" থেকেই।   ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ কেমন ছিল- তা ভুলে যাননি এ দেশের মানুষ। ২০১৪-এর জানুয়ারি থেকে ২০১৫-এর জানুয়ারি পর্যন্ত বেশ কিছু বড় কাজের গোড়াপত্তন করেছিল শেখ হাসিনার সরকার। আগের মেয়াদের কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন উন্নয়নের ঘোষণাও দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। দেশীয় খরচে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে দেখিয়েছিলেন অদম্য সাহস। এই এক বছরে আন্তর্জাতিক ফোরামের যতগুলোতে অংশ নিয়েছে এর সব কটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জয়ী হওয়া ১৪ ফোরামের মধ্যে আছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যপদে জয়। এ ছাড়া অক্টোবরে সংসদীয় গণতন্ত্রের দুই শীর্ষ বৈশ্বিক সংস্থা ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) ও কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) যথাক্রমে প্রেসিডেন্ট ও চেয়ারপারসন পদে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ। এসব অর্জন বাংলাদেশের প্রজন্মকে আরো উদ্যমী করে তোলে। ওই এক বছরেই দেশীয়-আন্তর্জাতিক রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ছয়জন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় ঘোষিত হয়েছে। ছয়জনের বিরুদ্ধেই ঘোষিত হয়েছে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের রায়। আর এই ছয় শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী হচ্ছে- আলবদর প্রধান মতিউর রহমান নিজামী, মীর কাসেম আলী, জাহিদ হোসেন খোকন ওরফে খোকন রাজাকার, মোবারক হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার ও এ টি এম আজহারুল ইসলাম। কারাগারের অন্ধপ্রকোষ্ঠে মৃত্যুর প্রহর গুনেছে শীর্ষ রাজাকার শিরোমণি মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে সাকা চৌধুরী(পরবর্তিতে রায় কায্যকর)। সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থেকেই মৃত্যুবরণ করেছে একাত্তরের ঘাতক শিরোমণি গোলাম আযম, ঘাতক আবদুল আলীম এবং বিচার চলাকালীন মারা গেছেন রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা এ কে এম ইউসুফ। এই দাবিটি ছিল দেড় কোটি নতুন ভোটারের। যারা ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোট দিয়ে মহাজোট সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। তাই তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার কোনো সুযোগ আওয়ামী লীগের ছিল না।তাঁদেরকে দেয়া অঙ্গিকারের সাথে বেঈমানি করেনি বিদায় তাঁরাও নেত্রীর পাশ থেকে এক কদমও সরে যায়নি।ফলে দেশে বিদেশে যত ষড়যন্ত্রই হয়েছে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে সরকারের  তেমন বেগ পেতে হয়নি। নতুন প্রজম্মের দৃড অবস্থানের উপর ভর করে সরকার অত্যান্ত দৃডতা ও সাহষের সংজ্ঞে সব মোকাবেলা করে আজকের অবস্থানে এসে পৌঁছে জাতির উদ্দেশ্যে যুগান্তকারি দিকনির্দেশনা পুর্ন ভাষনটি দিলেন। তাঁর ভাষনের অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে বিজ্ঞজনেরা অবশ্যই চুলচেরা বিশ্লেষন করবেন।ভাষনটি বিশ্লেষন করা জাতির জন্য দেশের জন্য,আগামী প্রজম্মের জন্য একান্ত কাম্য।বিশেষ করে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তর করার যে স্বপ্ন তিনি জাতিকে দেখিয়ে যাচ্ছেন তাঁর বাস্তবতা, সত্যাসত্য পুংখ্যানুপুংখ্য ভাবে আলোচিত হওয়া প্রয়োজন।প্রত্যেক দেশপ্রেমিক লিখক, সাংবাদিক,বিশ্লেষক এই বিশ্লেষনী কর্মে অংশ নিয়ে দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন বলে আশা রাখি।আমি কিঞ্চিত বলার লোভ সামলাতে না পেরে যোগ্যতা না থাকা সত্বেও মতামত ব্যাক্ত না করে পারছিনা।প্রধান মন্ত্রীর ভাষন থেকে পাওয়া,আমার ভাল লাগা কয়টি বিষয় নিম্নে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৪ ডলার থেকে বেড়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে হয়েছে ১ হাজার ১৯০ ডলার। মূল্যস্ফীতিতে ছিল নিম্নগতি। যদিও এই নিম্নগতি ছিল ধীর, তবু ক্রমাগত মূল্যহ্রাস ভোগ ও বিনিয়োগকে উদ্বুদ্ধ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা সরবরাহে যথেষ্ট সতর্ক অবস্থানে ছিল বলেই প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির সন্তোষজনক সংখ্যা বেরিয়ে এসেছে। রপ্তানিতে একই গতি বছরজুড়ে না থাকলেও বছর শেষে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছিল। বিদেশ থেকে অর্থ প্রেরণের পরিমাণেও ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। বৈদেশিক মুদ্রার বর্তমান মজুদ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২ হাজার ২৩২ কোটি ডলার। এরকম অনেক বিষয়ই লেখা যাবে। তারপরও ২০১৫-এর শুরুতে বিএনপি-জামায়াত জোট যে জ্বালাও-পোড়াও করেছিল তা ভুলে যাননি দেশবাসী। এমনকি পরীক্ষার্থীরা রেহাই পায়নি এই জ্বালাও-পোড়াও থেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে বলেছিলেন, ‘যখন এ পরীক্ষাটা হয় তখন বাংলাদেশে একটি বৃহৎ সমস্যা চলছিল। এটি ছিল মনুষ্য সৃষ্ট। সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। যেদিন থেকে পরীক্ষা শুরু, আগে থেকে হরতাল তো ছিলই এর সঙ্গে অবরোধ যুক্ত হলো। এরপর শুরু হলো মানুষ খুন করা। হরতালের নামে গাড়িতে আগুন লাগিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারা।’ দেশের মানুষের বর্তমান মনমানষিকতায় পরিষ্কার বার্তা প্রদান করেছে, দেশের মানুষ এই সত্য কথাগুলো গ্রহণ করেছিলেন। আর করেছিলেন বলেই ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ দেশের বাংলাদেশের নির্বাচনী ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা নিরপেক্ষ,কারচুপিহীন,দাঙ্গাহাঙ্গামাহীন পৌর নির্বাচনে জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে ধিক্কার দিয়েছে বিএনপি-জামায়াতি মৌলবাদী রাজনীতির প্রতি। তারা জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি না করলে তাদের ভোট ও মেয়রের সংখ্যা আরো বাড়ত নিঃসন্দেহে স্বতন্ত্র দলের সাথে প্রতিদন্ধিতার হাত থেকে অন্তত রক্ষা পেতেন। সন্দেহ নেই, বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে মুসলিম লীগের পরিণতির দিকে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে তাদের মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িকতা,ধর্মকে যত্রতত্রভাবে ব্যাবহার করে জনগনের রসাত্মক আলোচনার খোরাকে পরিনত হওয়া।ধর্ম কর্ম না করে,ধর্মের বিপরীতে জীবন যাপনে অভ্যস্থ থেকে জনগনকে ধর্মের কথা বলা ধর্মের সাথে মোনাফেকি ছাড়া আর কিছুই নয়। ইসলাম ধর্মালম্বি প্রত্যেক মানুষের মুখের লব্জ "বিছমিল্লাহ হির রাহ মানির রাহিম"আয়াত টুকু শুদ্ধ করে যে নারী বলা আজ পয্যন্ত শিখতে পারেনি তাঁর মুখে ধর্ম রক্ষাকরার অঙ্গিকার জনগন ভালভাবে গ্রগ্লহন করেনি। বাংলাদেশে ডানপন্থী একটি দলের চাহিদা আছে তা বুঝতে পেরেছিলেন জিয়াউর রহমান,তাই তিনি মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে তাঁদের দিয়ে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা দখল করতে পেরেছিলেন।তিনি যাদের দিয়ে দলটি শুরু করেছিলেন এদের কেউই কিন্তু ধার্মিক ছিলেন বা আলেম ওলামা গোত্রের ছিলেন বা ধর্ম বিষয়ে বিশেষ পান্ডিত্যের অধিকারি একজনও ছিলেন বলে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না। তারপরও তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতার দখল করেছিলেন। দীর্ঘমেয়াদি শাসন চেয়েছিলেন। একই কায়দা অনুসরণ করেছিলেন ম্যাডাম খালেদা জিয়া। তিনি এক ধাপ এগিয়ে রাজাকার কমান্ডারদের মন্ত্রী করেছিলেন। আজ ইতিহাসের কাছে তিনি সেই মাসুলই দিচ্ছেন। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে আইটি, গার্মেন্টস, বৈদেশিক মুদ্রা, ওষুধ শিল্প এবং কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। এটা সম্ভব করেছে শেখ হাসিনা সরকারের প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা। তা না মেনে কোনো উপায় নেই। বিএনপি-জামায়াত ৫ জানুয়ারি এলেই হয়তো গোলযোগ করার কথা ভাববে। কিন্তু এ দেশের মানুষ এখন আর ‘আইওয়াশ’ পছন্দ করছেন না। তারা এখন গুগল সার্চ দিয়ে জানতে পারছেন অনেক কিছুই। এটা জাতির বিবেকের অনেক বড় অর্জন। আর এই অর্জন এনে দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার। বিএনপি ভোটের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে কিনা তা সময়ই প্রমাণ করবে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর যে কথাটি আমার মত অনেককেই আপ্লুত করেছে তা হল--‘''গণতন্ত্র ও উন্নয়ন বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্ব সহ্য করতে পারে না। মানুষ শান্তিতে থাকবে, হাসিমুখে জীবন যাপন করবে, তা ওদের সহ্য হয় না। ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে বিএনপি-জামায়াত দেশে সন্ত্রাস, সহিংসতা শুরু করে।’ ওই সময় ২৩১ জন আগুনে পুড়ে নিহত এবং পেট্রলবোমায় ১১৮০ জন আহত হয়। এ ছাড়া দুই হাজার ৯০৩টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, ১৮টি রেলগাড়ি ও আটটি লঞ্চে আগুন দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।'' -বিএনপির এই কালিমা মুছে ক্ষমতার রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারবে কিনা তা সময়ে বলে দিবে। পরিশেষে বলতে চাই,বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে,মহান নেতা,সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি,জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অভিষ্ট লৈক্ষপানে,তাঁরই জৈষ্ঠকন্যা বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার  হাত ধরে। এই অগ্রযাত্রা রুখার সাধ্য কারোনেই, থামানোর কোন মন্ত্র কাউকেই দেননি মহান সৃষ্টি কর্তা।     জয়  আমাদের হবেই হবে জয়বাংলা      জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু  দেশরত্ম শেখ হাসিনা।  

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষন ভাবলেশহীন সত্যিকারের রাষ্ট্রনায়কোচিত,দৃড মনোবলে বলিয়ান,সফলতার আনন্দে উজ্জ্বল মুখচ্ছবির দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে আগামি দিনের রাষ্ট্র নায়কদের নিকট।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন