জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস অন্য সব জাতীয় দিবসের তুলনায় আলাদা আবেদন উদ্রেক করে---- ================================== আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দিবস টি বাঙ্গালী জীবনে এক অর্থে অন্য সব দিবসের চেয়ে অধিক তাৎপয্যপুর্ন। অনেকেই হয়ত দ্বিমত পোষন করবেন। বাস্তবতার নিরিখে বিচার করতে গেলে প্রথমেই আমাদের ধারনায় নিতে হবে,বঙ্গবন্ধু ২৫শে মার্চ রাতে অন্য সব নেতাদের সরিয়ে দিয়ে নীজে কেন ৩২নম্বরে রয়ে গেলেন। ভিন্নমতালম্বিরা এক্ষেত্রে নানাহ কথাই বলতে পারেন। তবে এই কথাটি সত্য যে, ভবিষ্যতদ্রষ্টা মজিব স্পটত: বুঝতে পেরেছিলেন তিনি ভারতে আশ্রয় গ্রহন করার চাইতে পাকিস্তানের জেল খানায় আশ্রয় নেয়াই অধিকতর শ্রেয় হবে।যেহেতু তাঁর ৭১ এর মার্চের আগেই অর্থ্যাৎ ৬২ ইং সাল থেকেই ঢাকা ইউনিভারসিটি কেন্দ্রিক নিউক্লিয়াস গঠন করে এবং উধ্বতন বাঙ্গালী সেনা কর্মকর্তাদের আগরতলা পাঠিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বা জনযুদ্ধের মত পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য নেয়া জাতির জনক সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছেন। --"" পাকিস্থানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে, লন্ডন হয়ে ভারতের মাটিতে পা রাখার আগেই ভারতীয় সেন্যবাহিনী ফেরৎ নেয়া সংক্রান্ত বঙ্গবন্ধুর শ্রিমতি ইন্দিরা গান্ধীর উদ্দেশ্যে প্রথম উক্তিটি, "আমার বাংলা দেশ থেকে আপনার সৈন্য কবে ফেরৎ আনবেন" বিশ্লেষন করলেই উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে।--"" জাতির জনক স্পটতই ভারতকে সর্ব বিষয়ে বিশ্বাস করতেন না,এবং ভারতকে নিরেট একটা "সম্প্রসারন বাদি" দেশ হিসেবেই গন্য করতেন। উল্লেখিত উক্তিটি তাঁর মনের গহীনে উঁকি দেয়া সন্দেহ, " চঞ্চলতায় "রুপ পরিগ্রহ করে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে তাঁর মুখ থেকে নিস্ব:রীত হয়েছে।যদিও ভারতের প্রধান মন্ত্রী ঐ পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর মুখ থেকে উক্তরুপ উক্তি শ্রবন করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না।ফলত: তিনি হঠাৎ হতভম্ব হয়ে কিছুক্ষন পর নীজকে সামলে নিয়ে বলতে বাধ্য হয়েছিলেন,"" বাংলার নেতা যখন বলবেন,তখনি ভারত ব্যাবস্থা গ্রহন করবে।"" উল্লেখিত কারনেই জাতির জনক ২৫শে মার্চ পালিয়ে না গিয়ে পাকিস্তানের কারাগার শ্রেয় মনে করেছিলেন।আরো উল্লেখ করতে চাই,বঙ্গবন্ধু মনে মনে আত্মতৃপ্তিও অনুভব করতে পারেন যে,পাকিস্তানীরা যদি তাঁকে হত্যা করে,বাঙ্গালীরা সারা জীবন তাঁকে স্মরন করবে,আর যদি জীবিত থাকেন তবে ভারতের মত বিশাল দেশের অন্যায় প্রভাব থেকে"" অনিবায্য স্বাধীন বাংলা দেশের"" সার্বভৌমত্ব এবং স্বকিয়তা মুক্ত রাখা সহজ হবে।"" একই সুত্রের আলোকে নিদ্বিদ্ধায় বলা যায়,বঙ্গবন্ধু জীবিত ফিরে না এলে হয়ত আজকের বাংলাদেশের ইতিহাস এমনতর না হয়ে অন্য কোন রুপ ধারন করলে আচার্য্য হওয়ার কিছুই থাকতোনা। তখনকার বা বর্তমানেও সম্প্রসারনবাদী রাষ্ট্র সমুহ দুর্বল রাষ্ট্র সমুহের উপর তাঁদের অধিপত্য বিস্তারের ইতিহাস নতুন কোন বিষয় নয়,বা কারো অজানা নহে। উল্লেখিত বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রবিদগন ব্যাপক বিশ্লেষনে গেলে আমার উক্তির যথার্থতা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। জয়বাঙলা জয়বঙ্গবন্ধ জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা
জাতির জনক, সর্বকালের শ্রষ্ঠ বাঙ্গালী,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন ছিলেন সাম্রাজ্য বাদ,সম্প্রসারন বাদ,ধর্ম নিরপেক্ষতা,গনতন্ত্রের পুজারী।এক জাতি থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে অন্য আর এক জাতির নিকট বন্ধক রাখা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার মানষে জেল অথবা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে দ্বিধা করেননি।তারপরও বাঙ্গালীর স্বাধীনতার প্রশ্নে তিনি কোন পরাশক্তির নিকট পরাভুত হতে চাননি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন