সরকারের জনপ্রশাসন, জাতির পিতার নির্দেশনা--বর্তমান সরকারের অবস্থান ও করনীয়------ ===============================        গত ২৬ জানুয়ারি থেকে ২৯ জানুয়ারি নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে পুলিশ সপ্তাহ। এ উপলক্ষে পুলিশের সেবা, পুলিশের কাংখীত ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।    পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশকে বিশ্বস্ত  বন্ধুর মতো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোনো নাগরিক যাতে ‘অহেতুক’ হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল  হামিদ। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের দরবার হলে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশে বলেছেন, জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব। পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হবে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে জনগণের বন্ধু হয়ে উঠতে হবে। আবহমানকাল থেকেই রাষ্ট্রের উচ্চতম পয্যায় থেকে এইসমস্ত হীতপোদেশ দিয়ে যাচ্ছেন এই বাহিনীকে,কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে বলে মনে হয়না।পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে স্পষ্ট বুঝা যায়,পুলিশের অপরাধ প্রবনতার পারদ ফি বছর উধ্বমূখি ছাড়া একবারের জন্যেও নিম্নমুখি হয়নি। উল্লেখ্য, পুলিশ সপ্তাহ শুরুর কয়েকদিন আগে থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে পুলিশ। পুলিশ সদস্যদের হাতে দুই সরকারি কর্মকর্তা নির্যাতিত হওয়ার ঘটনায় সংবাদের শিরোনামে আসে পুলিশ। জনহয়রানি, নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশের অভিযুক্ত ও সমালোচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপ্রধান এবং  সরকার প্রধানের আহ্বান বিশেষভাবে তাৎপর্যপুর্ন। লক্ষনীয় বিষয় হলো,"এইসমস্ত নেতিবাচক খবর সারা বছরই পত্রিকার পাতায় দেখা যায়। সরকারের উচ্চমহলের উপদেশও নিয়মিত বর্ষিত হতে থাকে।" সরকার দায়ী পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে অলসতার পরিচয় দিচ্ছেনা। সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নেয়া কঠোর পদক্ষেপের বিবরন মিডিয়ায় তেমন আসেনা।ঘটিত ঘটনার বিবরন চোখে দেখা যায়,মিডিয়ায় প্রকাশ পায়।কিন্তু বিপরীতে সরকারের নেয়া ব্যবস্থা চোখেও দেখা যায়না,মিডিয়াও প্রকাশ করেনা। ঘটিত ঘটনা যেমন বিভৎস,ন্যক্কারজনক,তাঁর জন্য নেয়া সরকারের ব্যবস্থাও অমানবিক,কল্যান রাষ্ট্রের ধারনার বিপরীত। দুর্নীতির পথ প্রসস্ত রেখে দুর্নীতি দমন করা যায়না। ভাল কাজের পুরষ্কারের ব্যবস্থা যেমন আছে,খারাপ কাজের তিরষ্কারও করে যাচ্ছে নিয়মিত। বছর শেষান্তে দেখা যায় অনেক পুলিশের চাকুরী নেই, অনেকেই জেলে,অথবা কোর্ট কাছারীতে দন্ডায়মান। অন্ধ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মানষে দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ শেষাবদি দেশ,জাতি ও নীজ পরিবারের বোঝা হয়ে অসহনীয় জীবন যাপনে বাধ্য হয়ে পড়েন। কোন কল্যানমূলক রাষ্ট্রের ইহা কাম্য হতে পারেনা।অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ করার প্রচেষ্টা গ্রহন অবশ্যই জরুরী।প্রতিযোগীতার সমাজে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবেনা, তবে কায্যকর প্রসাশনিক সংষ্কারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হবে। দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা দুর্নীতির জন্য একক দায়ী নয়, আমাদের প্রচলিত সমাজ এবং বৃটিশের রেখে যাওয়া রাষ্ট্র ব্যাবস্থাপনা বহুলাংশে দায়ী। পুলিশ সাপ্তাহ পালনের ঢামাডোলের মধ্যেই পত্র পত্রিকায় কয়টি খবর প্রকাশিত হয়।পুলিশ চেকপোস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী ও সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দাস নির্যাতিত হওয়ার পর  রাজধানীর উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরে এক ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ৩ পুলিশের বিরুদ্ধে। গত ২৭  জানুয়ারি প্রকাশিত এ সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রাজধানীর উত্তরায় এক তরুণ ব্যবসায়ীকে তার বান্ধবীসহ রাতভর আটক করে রেখে আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।  এসব ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের পেশাদারিত্ব নিয়ে। পুলিশের ওপর আস্থা হারাচ্ছে মানুষ। খুন, চাঁদাবাজি, অপহরণ আর ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর সব অপরাধের অভিযোগ পুলিশকে ঘিরে। এটি শুধু উদ্বেগজনক নয়, অত্যন্ত বিপজ্জনকও। পুলিশ নিজেই অপরাধী হলে দুর্বৃত্তরা অপরাধ সংঘটনে উৎসাহিত হবে, এটাই স্বাভাবিক। পুলিশ অপরাধ সংগঠন করবে,চাঞ্চল্যকর অপরাধে চাকুরী হারাবে,পরিবার নিয়ে অমানবিক জীবন যাপন করতে বাধ্য হবে।ইহাও রাষ্ট্রের কাম্য হতে পারেনা। সমাজ ব্যবস্থায় লক্ষনীয়ভাবে ফুটে উঠেছে প্রতিযোগীতা।প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার অদম্য অকাংখা জম্ম দিচ্ছে প্রতিটি সেক্টরে অবৈধ আয়ের আকাংখ্যা।এই থেকে পুঁজিবাদি সমাজে পরিত্রানের কোন উপায় নেই। বৃটিশ আমলের প্রতিষ্ঠিত আমলা তান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্র পরিচালনায় সুফল তড়িৎ আশা করাও বোকামী।স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রকাঠামো বিনির্মানে সংষ্কার কায্যক্রম নিয়মিতই চলমান রয়েছ।সংষ্কার একেবারেই হয়নি তাও নয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তাঁর দ্বিতীয় বিপ্লবের মাধ্যমে চেষ্টা করেছিলেন উপনিবেশিক আমলাতন্ত্রকে ভেঙ্গে স্বাধীন দেশের উপযোগী রাষ্ট্রীয় কাঠামো সৃষ্টির।কিন্তু সেই চেষ্টা প্রসববেদনার আগেই হত্যা করে উপনি-বেশিকদের দোষর, স্বাধীনতার শত্রু,ধর্মাগ্ধরা একতরফা অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে মহতি উদ্যোগের ভবিষ্যত ফলাফল সম্পর্কে জনগনকে ভীতসম্ভ্রন্ত করে তোলে। গত কয়দিন আগে পুলিশ সাপ্তাহ উপলক্ষে সম্মেলনে জন আখাংকার সম্পুর্ন বিপরীতে তদীয় কতিপয় পুলিশের পক্ষ হতে বেশ কিছু দাবি উত্থাপিত করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম দুটি দাবি হচ্ছে,"পৃথক পুলিশ বিভাগ গঠন ও বিভাগীয় তদন্তের বাইরে পুলিশের অপরাধ তদন্তে অন্য কোন কমিটি গঠন না করা।" পৃথক পুলিশ বিভাগ গঠনের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে কোন কোন পুলিশ কর্মকর্তা "সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের" উদাহরণ টেনে এনেছেন। তারা বলছেন, পৃথক পুলিশ  বিভাগ হলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়িয়ে পুলিশ নিজেই অনেক কাজ দ্রুত করতে পারবে। পুলিশ প্রধান সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবেন। পুলিশের অপরাধ তদন্তে ""বাইরের তদন্ত কমিটি গঠন" করার বিরোধিতা করেছেন কোন কোন পুলিশ কর্মকর্তা।  তাদের যুক্তি হচ্ছে, পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে বিভাগীয় কমিটিই যথেষ্ট!!!  তারা বলছেন, সরকারের অন্য কোন ক্যাডারের অপরাধ তদন্তে বাইরের কোন কমিটি গঠন করা হয় না। যতবারই তারা পৃথক বিভাগ গঠনের দাবি তোলে তত বারই তারা "সশস্ত্র বাহিনীর" উদাহরণ দেয়। তারা মনে করে, যেহেতু "সশস্ত্র বাহিনীর" পৃথক বিভাগ রয়েছে, সেহেতু পুলিশ বাহিনীরও "পৃথক বিভাগ "থাকা দরকার। যুক্তিটা অকাট্য কিন্তু ভীতরে রয়েছে প্রজান্ত্রের প্রতি" চরম দৃষ্টতা।" সশস্ত্র বাহিনীর পৃথক বিভাগ থাকা একটি গণতান্ত্রিক দেশের পক্ষে সঙ্গত নয়। স্বাধীন বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনীর পৃথক বিভাগ ছিল না। পঁচাত্তর পরবর্তীতে মেজর জিয়া  স্বীয়স্বার্থে পৃথক বিভাগ গঠন করে। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এর পরবর্তী সরকারগুলো এই ত্রুটি সংশোধন করেনি। এ ত্রুটি যত দ্রুত সংশোধন করা হবে ততই গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গল। এই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের পৃথক বাহিনী গঠনের প্রশ্নই অবান্তর।বরঞ্চ জেলা পরিষদের নির্বাচনের পর, জেলা পরিষদের হাতে পুলিশকে নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা দিলেই জন আখাংকা পুরন হতে পারে। "  আমলাতান্ত্রীক "জটিলতা শুধুমাত্র পুলিশের মধ্যে তা     নয়। সরকারের সব বিভাগেই এর কু-প্রভাব রয়েছে।   সরকারের বহু উন্নয়ন কর্মকান্ড শেষ করা যায়না আমলাতন্ত্রের জটিলতার কারনে। ফলত:দেখা যায়, বছরান্তে উন্নয়ন কাজের সিংহভাগ টাকা ফেরৎ নিচ্ছে উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা বা বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃপক্ষ। আমলাতন্ত্রের জটিলতা যতদ্রুত নিবারন করা সম্ভব হবে, তত দ্রুত বিভিন্ন বিভাগের অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘোষ, দুর্নীতি বিতাড়ন করা সম্ভব হবে। এই জন্য প্রয়োজন স্থানীয় সরকারের সর্বস্তরে "নির্বাচিত প্রতিনীধি",তাঁদের হাতে যথাযথ ক্ষমতা প্রদান। প্রয়োজনে আরও যুৎসই স্থানে কয়টি নতুন বিভাগ সৃষ্টি করে তথায় মন্ত্রী পদমায্যদায় জনপ্রতিনীধি কতৃক তদারকি,উন্নয়ন কর্মকান্ডের ব্যবস্থাপনা সহ প্রয়োজনীয় দায়িত্ব ও ক্ষমতা দেয়া যেতে পারে।জেলা পয্যায় "জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান" নির্বাচিত হওয়া বাঞ্চনীয়।তাঁদের ক্ষমতার আওতা নির্দিষ্টকরন পুর্বক জেলার সার্বিক উন্নয়নের বাজেট প্রনয়ন ,স্থানীয় উন্নয়নের সমুদয় বরাদ্ধ জেলার দায়ীত্বে দেয়া যেতে পারে। জেলার প্রশাসনের সর্বস্তরের দায়িত্ব, জেলার কর্মকর্তাদের বার্ষিক কাজের প্রতিবেদন তৈরী সহ প্রয়োজনীয় অন্যান্ন ক্ষমতা দিয়ে আইন পাশ করা যেতে পারে। এতে করে সরকারের মন্ত্রীদের অঞ্চল্প্রীতি অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করি।জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অবশ্যই প্রতিমন্ত্রীর মায্যদা দিতে হবে,কথায় নয় কাজে তাঁর প্রতিফলন থাকা বাঞ্চনীয়। তদ্রুপ ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানকে উপমন্ত্রীর মায্যদা দিয়ে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রিকরনের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকে সরকারের তৃনমুল ধরে আরো ক্ষমতায়ন করা প্রয়োজন। সংবিধানের শীর্ষে" গনপ্রজাতন্ত্র "উল্লেখ থাকা সত্বেও আমলারা রাষ্ট্র পরিচালকের মুর্খ্য ভুমিকায় থাকা অনভিপ্রেত।আমলারা জনগনের সেবক,জনগনের পক্ষে তাঁদের কর্মকান্ড হওয়ার কথা।তা না হয়ে জনগনকে হয়রানী,ঘোষ,দুর্নীতির মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের সর্বস্তরে জনপ্রতিনীধি কতৃক পরিচালনা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একটা অঙ্গিকার ছিল। দু:খ্যজনক হলেও সত্য স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও ইউনিয়ন পরিষদের প্রাপ্য ক্ষমতাও এখন পয্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি।উপজেলা অনিয়মিত,জেলায় সবেমাত্র নির্বাচনের উদ্দেশ্যে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার সমুহ যত দিন জনগনের দ্বারা পরিচালিত হবেনা,সরকারের কর্মকর্তাদের কাজের জবাবদিহীতার নিশ্চয়তার বিধান করা যাবেনা ততদিন পুলিশ নয় শুধু, কোন বিভাগেই স্বচ্ছতা আনায়ন করা যাবেনা।জনগনের রাষ্ট্র জনগন পরিচালনা করবে, রাষ্ট্রের কর্মচারি জনগনের নিকট জবাবদিহী করবে ইহাই স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিল। যেহেতু আমাদের রাষ্ট্র কাঠামো "প্রজাতান্ত্রীক", প্রজার নিয়ন্ত্রনে বা প্রজা কতৃক নির্বাচিত প্রতিনীধি দ্বারা পরিচালনার কথাই সংবিধানে স্বীকৃত রয়েছে, সেখানে "আমলাতন্ত্র  "কতৃক দেশ শাষন সংবিধান বর্হিভুত শাষন নহে কি? জনগনের নির্বাচিত প্রতিনীধি যদি দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়,জনগন নির্দিষ্ট সময়ে ঐ প্রতিনীধিকে পরিবর্তন করার অধিকার রাখে। আমলার দুর্নীতির কারনে আমলা পরিবর্তনের অধিকার কি জনগন রাখে? জেলার সকল সরকারী সংস্থা যদি জেলা পরিষদের নিকট জবাবদিহী করার ব্যবস্থা থাকে, স্বয়ংক্রিয় ভাবেই দুর্নীতি কমে আসবে। এইরুপ স্থানীয় সরকারের নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ হওয়া বাঞ্চনীয়। যাতে জনগন তাঁদের পছন্দমত প্রতিনীধি নির্বাচন করতে পারে। সে যে দলেরই হোক অবশ্যই সে বাংলাদেশের নাগরীক।জনগনের সেবা করার অধিকার তাঁর রয়েছে। স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব শুধুমাত্র সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা, এতে সরকারের জনপ্রীয়তার তুলনা করা অবাঞ্চনীয়।ভাল মানুষ নির্বাচিত হওয়াই প্রধান বিবেচ্য হওয়া উচিৎ। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সমাপনান্তে আশা করি সরকার জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোযোগ দিবেন। জেলা পরিষদ নির্বাচন কোন আঙ্গিকে হবে, নির্ধারনের জন্য জনমত নেয়া জরুরী।এখনি উচ্চ পয্যায়ের স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে শক্তিশালী কমিটি করে সুপারীশ সংগ্রহ করা যেতে পারে। প্রয়োজনে অন্যান্ন দেশের স্থানীয় সরকারের নির্বাচন ও কর্মপরিধির অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেতে পারে। সর্বশেষ কথা হল "সকল স্তরে নির্বাচিত প্রতিনীধি",সকল স্তরে "জনগনের মতামতের প্রাধান্য "থাকা বাঞ্চনীয়। দীর্ঘ ২১ বছর প্রশাসনিক সংষ্কার হয়নি বলে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের সরকারও সংষ্কারে গাফেলতি করবে তা যুক্তিসংগত হতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি চাইবে উপনিবেশিক শাষনের আদলে শাষন ব্যবস্থা বলবৎ রেখে তাঁদের শোষন অব্যাহত রাখতে। তাই বলে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের রুপকার জাতির জনকের" দর্শন"" সত্যিকারের "শোষনহীন,দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ""প্রতিষ্ঠায় প্রসাশনিক সংষ্কার বিলম্বীত করার, তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল ক্ষমতায় থেকে কাম্য হতে পারেনা। জাতির জনকের আজীবনের স্বপ্ন, স্বাধীন দেশের জনগন তাঁদের নীজেদের নীজেরাই শাষন করবে। সর্বস্তরে জনগনের নির্বাচিত প্রতিনীধি প্রশাসন নিয়ন্ত্রন করার লক্ষে জেলা গভর্নর চালু করা হয়েছিল।অঙ্গিকার ছিল গভর্নর সরাসরি জনগনের নির্বাচিত প্রতিনীধি হবে। গভর্নরের হাতেই থাকবে ঐ জেলার সরকারি কর্মচারি নিয়ন্ত্রন,উন্নয়ন,বাজেট বরাদ্ধ, তদারকি সহ অন্যান্ন ক্ষমতা। এই মর্মে  প্রতিজেলায় পরিক্ষীত, ত্যাগী, জনসম্পৃত্ত সম্পন্ন ব্যাক্তিদের "নির্বাচনোত্তর দায়িত্ব " দিয়ে প্রশাসনিক সংষ্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপও নিয়েছিলেন। "স্বাধীনতা বিরুধী, রাজাকার, পাকিস্তানের  এজেন্ট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যোগসাজসে" ১৫ই আগষ্ট রাতের অন্ধকারে জাতির জনককে  স্ব-পরিবারে হত্যা করে বাঙ্গালী জাতির আশা আখাংকার বিপরীতে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে পিরিয়ে নেয়। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের বিপরীতে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে নিয়ে যেতে নকল মুক্তিযুদ্ধার অভিনয়ে পারদর্শী মেজর জিয়াকেই তাঁরা বেছে নেয়। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বদপুলিশ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করবেন।ইহা অত্যান্ত সাময়িক পদক্ষেপ।পরবর্তি যারা স্থলাবিষিক্ত হবেন তাঁরা আরো খারাপ হবেনা তাঁর গ্যারান্টি কি? "এই যেন মাথা ব্যথায় মাথাই কেটে পেলার সিদ্ধান্ত। " প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না দিয়ে কেটে ফেলা গ্রহন যোগ্য হতে পারেনা।পুলিশের কাজ রাস্তা ঘাটে বলে দেখা যায়,হৈচৈ তাই হয়তো বেশী। চারদেয়ালের অভ্যন্তরে কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন কি দেখা যায়? পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে? দুর্নীতি তদারকির দায়িত্ব প্রাপ্ত, "দুর্নীতি দমন কমিশন" এর কয়েক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে "দুর্নীতির" অভিযোগের খবর কিছুদিন আগে পত্রিকায় পড়েছিলাম। "ছাগলের উপদ্রবে ভেড়া দেয়া,ভেড়ায় যদি ছাগল খেয়ে পেলে তবে কি কিছু করার থাকে?" এই কারনেই বলছিলাম,যতদিন পয্যন্ত প্রশাসনের সর্বস্তরে জবাব দিহীতার আওতায় আনায়ন করা যাবেনা--ততদিন পয্যন্ত সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করা যাবেনা। প্রশাসনিক আমুল সংষ্কারেই পারে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি,কালটাকা আহরনের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে সমস্ত অপকর্ম নিয়ন্ত্রন করতে।     জয় বাংলা     জয় বঙ্গবন্ধ   জয়তু দেশরত্ম  শেখ হাসিনা      

নি:সন্দেহে সংষ্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া প্রত্যেক সরকারের জন্য জটিল ও বিপদ জনক।পরিবর্তনের আবাস পেলেই এক শ্রেনীর পশ্চাদ মুখী মানুষ সব গেল সব গেল বলে সোরগোল তোলার চেষ্টা করেন।তাই এই ধরনের বড় সংষ্কারের আগে নীজের দলের অভ্যন্তরে সংষ্কার নিয়ে আসা দরকার।যে কোন পঅরিস্থিতি মকাবেলা করার মত সাংগঠনিক ভিত্তি একান্ত কাম্য।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা