২০১৫ সালে শেখ হাসিনার সরকারের শিক্ষা-শিল্পে অভাবনীয় অগ্রগতির খন্ডচিত্র------ ================================== শিল্প:-- === সর্বজনের সম্যক উপলব্দি আছে,বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প অপ্রতিদন্ধিত ভাবে বিশ্ব শাষন করছে।সরকারের ব্যাপক সুবিধা নিয়ে এই খাত আরো অগ্রসর হবে বলে সর্বমহল আশাবাদি।তাঁর সাথে উন্নত সুতা উৎপাদন করা গেলে গার্মেন্টসয়ের কাঁচামাল আমদানী অনেকাংশে কমে এলে বাংলাদেশ বিপুল ভাবে লাভবান হতে পারে।বর্তমান সরকার ও এই খাত উন্নয়নের জন্য বহুমুখি প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। বস্ত্র শিল্পে বিপুল প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে, যাতে উন্নতমানের আধুনিক প্ল্যান্টে কাপড় বুননে গতি আসে। গ্যাসও ২২০ ভোল্টেজ বিদ্যুতের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার উদ্যোগ ইতিমধ্যেই নেয়া হয়েছে। রিলিফ মূল্যে গ্যাস ও ববিদ্যুৎ দেয়ার জন্য পরিক্ষা নিরিক্ষা অব্যাহত আছে। এ খাত ফরওয়ার্ড ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজে বিপ্লব আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায়না। কাঁচা তুলা আমদানিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় একটি দেশ। সরকারিভাবে সেন্ট্রাল অ্যাপলুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করে বড় বড় বস্ত্র মিলকে ভাড়ায় সার্ভিস দেয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। শিল্পায়নে ঔষধ, চামড়া, খেলাধুলার সরঞ্জাম, হালকা যন্ত্রপাতি, জাহাজ নির্মাণ, মটরসাইকেল, বাইসাইকেল, আসবাবপত্র, প্রসাধনী ইত্যাদি বিপুল পরিমানে রপ্তানী করে মুল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা আনায়ন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।উল্লেখিত সৌখিন পন্য সামগ্রির মান বিশ্বের যে কোন দেশের পন্যের মানের চাইতে অনেক গুন ভাল প্রমানীত হওয়ায় ধীরে ধীরে বিশ্ব বাজার বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রনে চলে আসা শুরু হয়েছে।আশা করা করা যায় চীন, তাইওয়ান,থাইল্যান্ডের বর্তমান বাজার বাংলাদেশের অনুকুলে নিয়ে আসার সম্ভাবনার স্বপ্ন আর বেশি দূরে নয়। বর্তমান সরকার ইতিমধ্যেই পাটের থলে ব্যাবহারে কড়াকড়ি আরোপ করেছেন।পাট উৎপাদন ও ন্যায্য মুল্য পাওয়ার নিশ্চয়তায় এই খাত পুরাতন গৌরব ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারে। ২০৪১ সালের রুপকল্পকে সামনে রেখে পাট শিল্পকে আধুনিক যুগ উপযোগি করার সকল প্রচেষ্টা ইতিমধ্যে গৃহিত হয়ে সফল বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।পাটের উৎপাদন ও রপ্তানিতে বহুমাত্রিকতা আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঢাকা -চট্রগ্রাম রেলওয়ের ব্রডগেজে ডাবল লাইনের কাজ প্রায় শেষ পয্যায়।ঢাকা-চট্রগ্রাম সড়কপথের চারলেনে উন্নিত করার কাজ ও সমাপ্তির পথে।এই দুইটি ব্যাস্ততম পথের কাজ সমাপ্ত হলে পন্য আনা নেয়ায় বৈপ্লবিক গতি আসবে আশা করা যায়।বৃহৎ বন্দর চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দরে বিপুল পরিমান পন্য পড়ে থাকার চিরায়ত দৃশ্যে ব্যাপক পরিবর্তন হবে আশা করি।পরিকল্পিত গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ শেষ হওয়ার আগেই স্থল সীমানায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গুলি সমাপ্ত করার মেঘা প্রকল্প হাতে নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। রেলের ব্রডগেজীকরণ, ডাবল ট্রেকিং ও বিদ্যুতায়নও উৎপাদনের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন দৃশ্যমানতা শুরু হয়েছে ২০১৫ সালের শেষের দিকে এসে। বাংলাদেশের বিদ্যমান পরিকল্পনা কমিশনকে নাম সর্বস্ব না রেখে সংস্থাটিকে আরো শক্তিশালী, আধুনিক,প্রযুক্তি নির্ভর পরিকল্পনা কমিশন স্থাপন করা সময়ের দাবী। বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে আরো গতিশীল,আধুনিক লোকবলে বলিয়ান,সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা প্রদান আবশ্যক। যৌক্তিক ও প্রবৃদ্ধি সহায়ক মুদ্রানীতি প্রনয়ন করা গেলে প্রতিটি পদক্ষেপের সুফল অচিরেই ধরা দেয়ার কোন বিকল্প থাকবে না। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার সফল উদ্যোগ আগে থেকেই গৃহিত রয়েছে,তথাপি আরো কায্যকর ও আকর্ষনীয় করার লক্ষে রাষ্ট্রীয় সুযোগ অবারিত করা একান্ত কাম্য।দেশের অভ্যন্তরে বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার সফল উপায় অনুসন্ধান প্রয়োজন।দেশীয় উদ্যোগক্তাগন প্রয়োজনীয় সুযোগ পেলে বিদেশে টাকা পাচার অনেকাংশেই কমে আসবে মনে করি। দেশে টাকার ব্যাবহারে সংকুচিত ক্ষেত্রের কারনে ফি বছর বিপুল পরিমান টাকা বিদেশে পাছার হয়ে বিদেশেই বিনিয়োগ হচ্ছে।বাংলাদেশে জাতীয় সঞ্চয় সামষ্টিক আয়ের শতকরা ৩১ ভাগ আর সামষ্টিক আয়ের বিনিয়োগের হার শতকরা ২৯ ভাগ। এই রহস্যের অন্যতম বড় কারণ সম্পদ ও মূলধন পাঁচার। ওয়াশিংটনের গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি জিএফআইএর হিসাবে ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পয্যন্ত দশ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৫৫৮৮ কোটি ডলারের মূলধন পাচার হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছেন। একক ভাবে ২০১৩ সালে এই পাচারের পরিমাণ প্রায় ৯৬৬ কোটি ডলার। এতে উদ্ভিগ্নতার তেমন কিছু আছে বলে মনে করি না। বিদেশী যে সমস্ত বিনিয়োগ বাংলাদেশে হচ্ছে সেই সমস্ত টাকাও সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে পাচার হয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। তাঁরপর ও সরকার টাকা পাচার রোধে যথাযথ আইনি ব্যাবস্থা নিচ্ছেন। শিক্ষা:-- ======== সরকার প্রত্যেক জেলা শহরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার পরিকল্পনা ২০১৫ সালেই দৃশ্যমান হয়েছে।প্রতিটি গ্রামে ন্যুনতম একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের কাজ দফল ভাবে শেষ হয়েছে।বর্তমানে হাতে নেয়া হয়েছে ন্যুনতম দুরত্বে একটি প্রাইমারি বিদ্যালয়-শিশুরা যেন অনেকদুর পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে না হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সরকার সারা দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতিয় করন করে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন।দীর্ঘ ৪০ বছর পর তাঁর কন্যা আবার ল্ব দেশের সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করন করেন এবং প্রত্যেক গ্রামে ন্যুনতম একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সফল ভাবেই তা বাস্তবায়ন করেন।শুধু তাই নয় সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মাদ্রাসাকেও এমপিও ভুক্ত করে চরম দুর্দশা গ্রস্থ শিক্ষক কর্মচারীদের দু:খ লাগবে সহায়ক ভুমিকা পালন করেন।দেশের সকল শ্রেনীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুন্যপদ পুরনে ব্যাবস্থা গ্রহন করে বহু শিক্ষিত বেকার যুবকের কর্মসংস্থান করেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও দুর্ভোগ লাগব হয় ২০১৫ সালেই।শিক্ষার জন্য অবকাঠামো একটি আবশ্যক্যিয় উপাদান।সেই লক্ষে প্রত্যেক ইউনিয়ন অনুযায়ী প্রতিটি মাধ্যমিক প্রাথমিক,মাদ্রাসার প্রয়োজনীয় ভবন নির্মানের উদ্যোগ সফল ভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে ২০১৫ সাল শেষ হওয়ার আগেই। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ।তথ্য প্রযুক্তিতে নতুন প্রজম্মকে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে আগেই প্রত্যেক জেলা শহরে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিয়ে শেখ হাসিনার সরকার আংশিক বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলেন।সরকার পরিবর্তন হেতু এই প্রকল্পের কাজ থেমে গিয়েছিল।২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহন করে উক্ত প্রকল্পটি আরো ব্যাপক ও বিস্তৃত করে গ্রহন করা হয়।বর্তমানে তথ্য ও প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ ঈর্শনীয় অগ্রগতি অর্জন করে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল হয়ে এই খাতে নেতৃত্ব দখল করতে পেরেছে।বাংলাদেশের সকল শাখা প্রশাখাকে,জীবনের প্রতিটি স্তরে ডিজিটিলাইজেসনের প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে কম্পিউটার সরবরাহ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।ছাত্র /ছাত্রীদের হাতে কম্পিটার পৌছে দেয়ার প্রক্রিয়া গ্রহন করা হয়েছে।আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই শিক্ষাকে ই-এডুকেশনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে ধারনা করা যায়।বছরের শুরুতে জানুয়ারীর এক তারিখে শিশুদের হাতে বই তুলে দেয়ার রেওয়াজ ইতিমধ্যে সাফল্যজনক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারের নারী শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারুপের ফসল ২০১৫ সালে সর্বস্তরে পরিস্ফুটিত হয়ে উঠে।সর্বক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন, উচ্চ শিক্ষায় অবৈতনিকীকরন,সরকারের বিভিন্ন উচ্চপয্যায় নারীদের জন্য অগ্রাধিকরন প্রক্রিয়ার সুফল বছরের শেষ নাগাদ দৃশ্যমান হয়ে জনমনে আশার আলো সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।যেহেতু নারীরা সমাজের অর্ধেক হওয়া সত্বেও বিভিন্ন সামাজিক বাধ্যবাধকতা ও অবহেলার কারনে পিছিয়ে ছিল, সেখান থেকে উত্তরন ছাড়া সার্বিকভাবে দেশ উন্নয়ন সম্ভব নয়।উচ্চশিক্ষায় অবাধ বিচরনের সুফলের কারনেই সেনা বাহিনী সহ সরকারের উচ্চপয্যায় নারী কর্মকর্তারা সাফল্যজনক ভাবে ২০১৫ সালে স্থান করে নিতে পেরেছেন,ইহা দৃশ্যমান ভাবে সমাজকে আশাম্বিত করতে পেরেছে। বাংলাদেশের প্রচলিত মান্ধাতার আমলের কেরানি সৃষ্টির শিক্ষাকে যুগযোগি আধুনিকরন প্রক্রিয়ার কাজ অনেক আগে থেকে শুরু হলেও সমাজে তাহা দৃশ্যমান ছিলনা। আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, যুগউপযোগী শিক্ষা ব্যাবস্থা চালু করার নিমিত্তে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহন করেছিলেন।স্বল্প সময়ের মধ্যে তাঁর সরকারের পতন হলে, পরবর্তি সরকার সমুহ জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়ার শিক্ষা নীতি প্রবর্তন করে শিক্ষা ক্ষেত্রে এক অরাজগ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।সেখান থেকে মাননীয় শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৬ ইং সালে ক্ষমতায় এসে নতুন করে শিক্ষা নীতি প্রনয়ন পুর্বক শিক্ষাকে তথ্য ও প্রযুক্তির ধারায় অগ্রাধিকার দিয়ে ঢেলে সাজানোর পদক্ষেপ গ্রহন করে। ২০০৮ ইং সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার নিয়ে নতুন প্রজম্মের ব্যাপক সমর্থন আদায় করে বিশাল সমর্থন নিয়ে ক্ষমতা গ্রহন করে। ডিজিটালের অঙ্গিকারের বাস্তবায়নের নিমিত্তে স্বপ্ল ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহন করা হয় শিক্ষাক্ষেত্রে।রাষ্ট্রীয় ভাবে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার প্রদান করে সার্বিক কর্মযজ্ঞ শুরু করে।মেয়াদান্তে শিক্ষা ক্ষেত্রে নেয়া যুগান্তকারী পদক্ষেপ সমুহের সাফল্য সরকারের ঝুড়িতে এসে জমা হতে থাকে।২০১৫ সালে দিবালোকের মতই সাফল্য সমুহ জনমানষে দৃশ্যমান হয়ে ফুটে উঠে। পরিশেষে বলতে চাই,২০১৫ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক রাজনৈতিক আবহ প্রবাহিত হলেও, দেশরত্মের দৃড মনোবলের নিকট সকল ষড়যন্ত্রই পরাস্ত হতে বাধ্য হয়।২০১৫ সাল জনজীবন থেকে কেড়ে নিতে চেয়েছিল শান্তি,অগ্রগতি,সমৃদ্ধি।রাজনীতিতে আমদানী করা হয়েছিল আগুন সন্ত্রাসের মত অমানবিক কর্মসুচির।রাজনীতি দেশকে করতে চেয়েছিল অরাজগতা,বিশৃংখলা,নৈরাজ্যের স্বর্গভুমি।উত্থান ঘটাতে চেষ্টা হয়েছিল আইন না মানার এক ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্তের।উস্কে দিতে চেষ্টা হয়েছিল আমাদের সুশৃংখল গর্বিত সেনাবাহিনীকে।ক্ষেপানোর চেষ্টা হয়েছিল সম্মানীত আলেম সমাজকে। জাতির জনকের কন্যা সকল অশুভ শক্তিকে মনোবল,দৃডতা,দেশপ্রেম দিয়ে প্রতিহত করে উন্নয়ন অগ্রগতির চাকা সচল রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহন করে বিধাতার আসীম কৃপায় সফলতা লাভে সক্ষম হন।অশুভ কালো শক্তি সাময়িক পরাভুত হলেও এখন ও নিচ্ছিন্ন হয়নি।সকল অশুভ শক্তিকে সমুলে উৎপাটন করার নিয়ন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে দেশকে কাংখিত লক্ষে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানের শান্তিপুর্ন রাজনৈতিক আবহ বিরাজমান থাকলে আগামী ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উচ্চ আয়ের দেশে রুপান্তরীত হয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে ইনশাল্লাহ।জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানের পথে দেশ অনেকদুর এগিয়ে গেছে নিসন্দেহে বলা যায়। (চলমান) জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

শিক্ষা শিল্প খাতে বাংলাদেশ প্রভুত উন্নতি সাধন করেছে।একদা যে দেশটিতে সুঁই তৈরীর কারখানা নেই বলে উপহাস করা হত সেই দেশটি এখন নিজস্ব কারখানায় জাহাজ উৎপাদন করে বিশ্ব বাজারে রপ্তানী করছে।আলাদীনের চেরাগের মতই সব কিছু রাতারাতি পরিবর্তন সুচিত করতে পেরেছেন জাতির জনকের কন্যার অক্লান্ত পরিশ্রম, দেশের প্রতি আকৃত্তিম ভাল ভাসা,নিখাদ দেশপ্রেমের কারনেই।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন