২০১৫ সালে শেখ হাসিনার সরকারের শিক্ষা-শিল্পে অভাবনীয় অগ্রগতির খন্ডচিত্র------ ================================== শিল্প:-- === সর্বজনের সম্যক উপলব্দি আছে,বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প অপ্রতিদন্ধিত ভাবে বিশ্ব শাষন করছে।সরকারের ব্যাপক সুবিধা নিয়ে এই খাত আরো অগ্রসর হবে বলে সর্বমহল আশাবাদি।তাঁর সাথে উন্নত সুতা উৎপাদন করা গেলে গার্মেন্টসয়ের কাঁচামাল আমদানী অনেকাংশে কমে এলে বাংলাদেশ বিপুল ভাবে লাভবান হতে পারে।বর্তমান সরকার ও এই খাত উন্নয়নের জন্য বহুমুখি প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। বস্ত্র শিল্পে বিপুল প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে, যাতে উন্নতমানের আধুনিক প্ল্যান্টে কাপড় বুননে গতি আসে। গ্যাসও ২২০ ভোল্টেজ বিদ্যুতের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার উদ্যোগ ইতিমধ্যেই নেয়া হয়েছে। রিলিফ মূল্যে গ্যাস ও ববিদ্যুৎ দেয়ার জন্য পরিক্ষা নিরিক্ষা অব্যাহত আছে। এ খাত ফরওয়ার্ড ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজে বিপ্লব আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায়না। কাঁচা তুলা আমদানিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় একটি দেশ। সরকারিভাবে সেন্ট্রাল অ্যাপলুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করে বড় বড় বস্ত্র মিলকে ভাড়ায় সার্ভিস দেয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। শিল্পায়নে ঔষধ, চামড়া, খেলাধুলার সরঞ্জাম, হালকা যন্ত্রপাতি, জাহাজ নির্মাণ, মটরসাইকেল, বাইসাইকেল, আসবাবপত্র, প্রসাধনী ইত্যাদি বিপুল পরিমানে রপ্তানী করে মুল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা আনায়ন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।উল্লেখিত সৌখিন পন্য সামগ্রির মান বিশ্বের যে কোন দেশের পন্যের মানের চাইতে অনেক গুন ভাল প্রমানীত হওয়ায় ধীরে ধীরে বিশ্ব বাজার বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রনে চলে আসা শুরু হয়েছে।আশা করা করা যায় চীন, তাইওয়ান,থাইল্যান্ডের বর্তমান বাজার বাংলাদেশের অনুকুলে নিয়ে আসার সম্ভাবনার স্বপ্ন আর বেশি দূরে নয়। বর্তমান সরকার ইতিমধ্যেই পাটের থলে ব্যাবহারে কড়াকড়ি আরোপ করেছেন।পাট উৎপাদন ও ন্যায্য মুল্য পাওয়ার নিশ্চয়তায় এই খাত পুরাতন গৌরব ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারে। ২০৪১ সালের রুপকল্পকে সামনে রেখে পাট শিল্পকে আধুনিক যুগ উপযোগি করার সকল প্রচেষ্টা ইতিমধ্যে গৃহিত হয়ে সফল বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।পাটের উৎপাদন ও রপ্তানিতে বহুমাত্রিকতা আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঢাকা -চট্রগ্রাম রেলওয়ের ব্রডগেজে ডাবল লাইনের কাজ প্রায় শেষ পয্যায়।ঢাকা-চট্রগ্রাম সড়কপথের চারলেনে উন্নিত করার কাজ ও সমাপ্তির পথে।এই দুইটি ব্যাস্ততম পথের কাজ সমাপ্ত হলে পন্য আনা নেয়ায় বৈপ্লবিক গতি আসবে আশা করা যায়।বৃহৎ বন্দর চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দরে বিপুল পরিমান পন্য পড়ে থাকার চিরায়ত দৃশ্যে ব্যাপক পরিবর্তন হবে আশা করি।পরিকল্পিত গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ শেষ হওয়ার আগেই স্থল সীমানায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গুলি সমাপ্ত করার মেঘা প্রকল্প হাতে নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। রেলের ব্রডগেজীকরণ, ডাবল ট্রেকিং ও বিদ্যুতায়নও উৎপাদনের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন দৃশ্যমানতা শুরু হয়েছে ২০১৫ সালের শেষের দিকে এসে। বাংলাদেশের বিদ্যমান পরিকল্পনা কমিশনকে নাম সর্বস্ব না রেখে সংস্থাটিকে আরো শক্তিশালী, আধুনিক,প্রযুক্তি নির্ভর পরিকল্পনা কমিশন স্থাপন করা সময়ের দাবী। বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে আরো গতিশীল,আধুনিক লোকবলে বলিয়ান,সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা প্রদান আবশ্যক। যৌক্তিক ও প্রবৃদ্ধি সহায়ক মুদ্রানীতি প্রনয়ন করা গেলে প্রতিটি পদক্ষেপের সুফল অচিরেই ধরা দেয়ার কোন বিকল্প থাকবে না। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার সফল উদ্যোগ আগে থেকেই গৃহিত রয়েছে,তথাপি আরো কায্যকর ও আকর্ষনীয় করার লক্ষে রাষ্ট্রীয় সুযোগ অবারিত করা একান্ত কাম্য।দেশের অভ্যন্তরে বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার সফল উপায় অনুসন্ধান প্রয়োজন।দেশীয় উদ্যোগক্তাগন প্রয়োজনীয় সুযোগ পেলে বিদেশে টাকা পাচার অনেকাংশেই কমে আসবে মনে করি। দেশে টাকার ব্যাবহারে সংকুচিত ক্ষেত্রের কারনে ফি বছর বিপুল পরিমান টাকা বিদেশে পাছার হয়ে বিদেশেই বিনিয়োগ হচ্ছে।বাংলাদেশে জাতীয় সঞ্চয় সামষ্টিক আয়ের শতকরা ৩১ ভাগ আর সামষ্টিক আয়ের বিনিয়োগের হার শতকরা ২৯ ভাগ। এই রহস্যের অন্যতম বড় কারণ সম্পদ ও মূলধন পাঁচার। ওয়াশিংটনের গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি জিএফআইএর হিসাবে ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পয্যন্ত দশ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৫৫৮৮ কোটি ডলারের মূলধন পাচার হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছেন। একক ভাবে ২০১৩ সালে এই পাচারের পরিমাণ প্রায় ৯৬৬ কোটি ডলার। এতে উদ্ভিগ্নতার তেমন কিছু আছে বলে মনে করি না। বিদেশী যে সমস্ত বিনিয়োগ বাংলাদেশে হচ্ছে সেই সমস্ত টাকাও সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে পাচার হয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। তাঁরপর ও সরকার টাকা পাচার রোধে যথাযথ আইনি ব্যাবস্থা নিচ্ছেন। শিক্ষা:-- ======== সরকার প্রত্যেক জেলা শহরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার পরিকল্পনা ২০১৫ সালেই দৃশ্যমান হয়েছে।প্রতিটি গ্রামে ন্যুনতম একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের কাজ দফল ভাবে শেষ হয়েছে।বর্তমানে হাতে নেয়া হয়েছে ন্যুনতম দুরত্বে একটি প্রাইমারি বিদ্যালয়-শিশুরা যেন অনেকদুর পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে না হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সরকার সারা দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতিয় করন করে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন।দীর্ঘ ৪০ বছর পর তাঁর কন্যা আবার ল্ব দেশের সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করন করেন এবং প্রত্যেক গ্রামে ন্যুনতম একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সফল ভাবেই তা বাস্তবায়ন করেন।শুধু তাই নয় সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মাদ্রাসাকেও এমপিও ভুক্ত করে চরম দুর্দশা গ্রস্থ শিক্ষক কর্মচারীদের দু:খ লাগবে সহায়ক ভুমিকা পালন করেন।দেশের সকল শ্রেনীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুন্যপদ পুরনে ব্যাবস্থা গ্রহন করে বহু শিক্ষিত বেকার যুবকের কর্মসংস্থান করেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও দুর্ভোগ লাগব হয় ২০১৫ সালেই।শিক্ষার জন্য অবকাঠামো একটি আবশ্যক্যিয় উপাদান।সেই লক্ষে প্রত্যেক ইউনিয়ন অনুযায়ী প্রতিটি মাধ্যমিক প্রাথমিক,মাদ্রাসার প্রয়োজনীয় ভবন নির্মানের উদ্যোগ সফল ভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে ২০১৫ সাল শেষ হওয়ার আগেই। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ।তথ্য প্রযুক্তিতে নতুন প্রজম্মকে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে আগেই প্রত্যেক জেলা শহরে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিয়ে শেখ হাসিনার সরকার আংশিক বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলেন।সরকার পরিবর্তন হেতু এই প্রকল্পের কাজ থেমে গিয়েছিল।২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহন করে উক্ত প্রকল্পটি আরো ব্যাপক ও বিস্তৃত করে গ্রহন করা হয়।বর্তমানে তথ্য ও প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ ঈর্শনীয় অগ্রগতি অর্জন করে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল হয়ে এই খাতে নেতৃত্ব দখল করতে পেরেছে।বাংলাদেশের সকল শাখা প্রশাখাকে,জীবনের প্রতিটি স্তরে ডিজিটিলাইজেসনের প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে কম্পিউটার সরবরাহ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।ছাত্র /ছাত্রীদের হাতে কম্পিটার পৌছে দেয়ার প্রক্রিয়া গ্রহন করা হয়েছে।আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই শিক্ষাকে ই-এডুকেশনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে ধারনা করা যায়।বছরের শুরুতে জানুয়ারীর এক তারিখে শিশুদের হাতে বই তুলে দেয়ার রেওয়াজ ইতিমধ্যে সাফল্যজনক ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারের নারী শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারুপের ফসল ২০১৫ সালে সর্বস্তরে পরিস্ফুটিত হয়ে উঠে।সর্বক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন, উচ্চ শিক্ষায় অবৈতনিকীকরন,সরকারের বিভিন্ন উচ্চপয্যায় নারীদের জন্য অগ্রাধিকরন প্রক্রিয়ার সুফল বছরের শেষ নাগাদ দৃশ্যমান হয়ে জনমনে আশার আলো সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।যেহেতু নারীরা সমাজের অর্ধেক হওয়া সত্বেও বিভিন্ন সামাজিক বাধ্যবাধকতা ও অবহেলার কারনে পিছিয়ে ছিল, সেখান থেকে উত্তরন ছাড়া সার্বিকভাবে দেশ উন্নয়ন সম্ভব নয়।উচ্চশিক্ষায় অবাধ বিচরনের সুফলের কারনেই সেনা বাহিনী সহ সরকারের উচ্চপয্যায় নারী কর্মকর্তারা সাফল্যজনক ভাবে ২০১৫ সালে স্থান করে নিতে পেরেছেন,ইহা দৃশ্যমান ভাবে সমাজকে আশাম্বিত করতে পেরেছে। বাংলাদেশের প্রচলিত মান্ধাতার আমলের কেরানি সৃষ্টির শিক্ষাকে যুগযোগি আধুনিকরন প্রক্রিয়ার কাজ অনেক আগে থেকে শুরু হলেও সমাজে তাহা দৃশ্যমান ছিলনা। আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, যুগউপযোগী শিক্ষা ব্যাবস্থা চালু করার নিমিত্তে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহন করেছিলেন।স্বল্প সময়ের মধ্যে তাঁর সরকারের পতন হলে, পরবর্তি সরকার সমুহ জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়ার শিক্ষা নীতি প্রবর্তন করে শিক্ষা ক্ষেত্রে এক অরাজগ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।সেখান থেকে মাননীয় শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৬ ইং সালে ক্ষমতায় এসে নতুন করে শিক্ষা নীতি প্রনয়ন পুর্বক শিক্ষাকে তথ্য ও প্রযুক্তির ধারায় অগ্রাধিকার দিয়ে ঢেলে সাজানোর পদক্ষেপ গ্রহন করে। ২০০৮ ইং সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার নিয়ে নতুন প্রজম্মের ব্যাপক সমর্থন আদায় করে বিশাল সমর্থন নিয়ে ক্ষমতা গ্রহন করে। ডিজিটালের অঙ্গিকারের বাস্তবায়নের নিমিত্তে স্বপ্ল ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহন করা হয় শিক্ষাক্ষেত্রে।রাষ্ট্রীয় ভাবে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার প্রদান করে সার্বিক কর্মযজ্ঞ শুরু করে।মেয়াদান্তে শিক্ষা ক্ষেত্রে নেয়া যুগান্তকারী পদক্ষেপ সমুহের সাফল্য সরকারের ঝুড়িতে এসে জমা হতে থাকে।২০১৫ সালে দিবালোকের মতই সাফল্য সমুহ জনমানষে দৃশ্যমান হয়ে ফুটে উঠে। পরিশেষে বলতে চাই,২০১৫ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক রাজনৈতিক আবহ প্রবাহিত হলেও, দেশরত্মের দৃড মনোবলের নিকট সকল ষড়যন্ত্রই পরাস্ত হতে বাধ্য হয়।২০১৫ সাল জনজীবন থেকে কেড়ে নিতে চেয়েছিল শান্তি,অগ্রগতি,সমৃদ্ধি।রাজনীতিতে আমদানী করা হয়েছিল আগুন সন্ত্রাসের মত অমানবিক কর্মসুচির।রাজনীতি দেশকে করতে চেয়েছিল অরাজগতা,বিশৃংখলা,নৈরাজ্যের স্বর্গভুমি।উত্থান ঘটাতে চেষ্টা হয়েছিল আইন না মানার এক ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্তের।উস্কে দিতে চেষ্টা হয়েছিল আমাদের সুশৃংখল গর্বিত সেনাবাহিনীকে।ক্ষেপানোর চেষ্টা হয়েছিল সম্মানীত আলেম সমাজকে। জাতির জনকের কন্যা সকল অশুভ শক্তিকে মনোবল,দৃডতা,দেশপ্রেম দিয়ে প্রতিহত করে উন্নয়ন অগ্রগতির চাকা সচল রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহন করে বিধাতার আসীম কৃপায় সফলতা লাভে সক্ষম হন।অশুভ কালো শক্তি সাময়িক পরাভুত হলেও এখন ও নিচ্ছিন্ন হয়নি।সকল অশুভ শক্তিকে সমুলে উৎপাটন করার নিয়ন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে দেশকে কাংখিত লক্ষে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানের শান্তিপুর্ন রাজনৈতিক আবহ বিরাজমান থাকলে আগামী ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উচ্চ আয়ের দেশে রুপান্তরীত হয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে ইনশাল্লাহ।জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানের পথে দেশ অনেকদুর এগিয়ে গেছে নিসন্দেহে বলা যায়। (চলমান) জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

শিক্ষা শিল্প খাতে বাংলাদেশ প্রভুত উন্নতি সাধন করেছে।একদা যে দেশটিতে সুঁই তৈরীর কারখানা নেই বলে উপহাস করা হত সেই দেশটি এখন নিজস্ব কারখানায় জাহাজ উৎপাদন করে বিশ্ব বাজারে রপ্তানী করছে।আলাদীনের চেরাগের মতই সব কিছু রাতারাতি পরিবর্তন সুচিত করতে পেরেছেন জাতির জনকের কন্যার অক্লান্ত পরিশ্রম, দেশের প্রতি আকৃত্তিম ভাল ভাসা,নিখাদ দেশপ্রেমের কারনেই।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা