মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে গত দুই (২০১৪/১৫) বছরে দৃশ্যমান অগ্রগতির খন্ডচিত্র****** ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ বাঙ্গালী,বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধ এক বিরল অর্জন।বিশ্বের খুব কম জাতি গোষ্টি আছে এত বিশাল ত্যাগ স্বীকার করে দেশ স্বাধীন করেছে।সারা বিশ্ব তন্নতন্ন করে খোঁজ পাওয়া যাবেনা একটা দেশ,যে দেশের জনগন স্বাধীনতার জন্য, মুক্তির জন্য জাতিগত ভাবে এক ও অভিন্ন হতে পেরেছিল। কিঞ্চিত ধর্মাশ্রয়ী কিছু ব্যাক্তি , সংগঠন ছাড়া সব শ্রেনী পেশার মানুষ এককাতারে সামিল হয়েছিল স্বাধীনতার উদগ্র কামনায়। অশিক্ষিত, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, পিছিয়ে পড়া জাতিকে একত্রিত করে একসুরে স্বাধীনতার মন্ত্রে দিক্ষা দিয়ে আধুনিক সসস্ত্র সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বাঁশের লাঠি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ার মন্ত্রে দিক্ষিত করতে পেরেছিলেন এক মাত্র শেখ মজিবুর রহমান। তাই বাংলার ছাত্র সমাজ উনসত্তরের গন অভ্যুত্থানের পর পুর্ব বাংলার কৃষক শ্রমিক,ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে বিশাল সমাবেশে "বঙ্গবন্ধু" উপাদিতে ভুষিত করেন জাতীয় নেতা "শেখ মজিবুর রহমানকে।" তাঁর পরের ইতিহাস বাঙ্গালীর চরম মুল্য পরিশোধে শুধুই বিজয়ের ইতিহাস।'৭০ এর নির্বাচনের আগে পরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপকৌশলের বলি হয়ে মৃত্যুকে বরন করে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন প্রায় এক লক্ষের বেশি 'সংখ্যালুঘু হিন্দু।" রাতের আধাঁরে গুপ্ত হত্যা করে বাঙ্গালীর জাতিয়তাবোধের চেতনাকে বিলীন করে দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত ভাবে চালিয়েও নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিশাল জয় থামাতে পারেনি। নির্বাচনে মাত্র দুইটি আসন ছাড়া সব কয়টি আসন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পেলেও, বাঙ্গালীর হাতে খমতা না দেয়ার জন্য শুরু করে চক্রান্ত।অনিবার্য্য হয়ে উঠে মুক্তিযুদ্ধ। সেই মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজী রেখে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন এই দেশের শিক্ষিত, অশিক্ষিত যুবক যুবতিরা,বাংলার আপামর জনগন। এককোটি মানুষ ভারতে শরনার্থী শিবিরে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়। প্রায় পৌনে চার লক্ষ মা বোন তাঁদের নারীত্বের গৌরব বিকিয়ে দিতে বাধ্য হয়। ত্রীশ লক্ষের অধিক মানুষের জীবনহানীর বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। সেই বীর মুক্তিযুদ্ধারাই ছিল গত চল্লিশ বছর অবহেলীত। রাষ্ট্রের সর্বচ্ছো আসন থেকে তাঁদের প্রতি ঘৃনার নি:শ্বাস ছেড়ে সারাদেশের বাতাসকে করে তোলা হয় বিষাক্ত। ফলে যে "মা" তার ইজ্জত দিয়ে দেশের অমুল্য রত্ম, বাংলা মায়ের "গর্বের মা" হতে পারতেন তিনি হয়ে গেছেন সমাজ, পরিবার, আত্মীয় স্বজনের নিকট অস্পৃষ্য। *যে মুক্তিযোদ্ধা* ভাইটি হতেন সমাজের দন্ডমুন্ডের অধিকারি--সেই ভাইটি রিক্সা, ঠেলা গাড়ী অথবা রাজাকারের বাড়ীর পাহারাদার হতে বাধ্য হলেন। অনেকেই ক্ষোবে, দু:খ্যে আত্মহত্যার মত ঘৃনিত মৃত্যুকে বেঁচে নিলেন, অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হলেন। ছোট্র একটি অংশ তাঁদের সংগে হাত মিলিয়ে কোন রকম জীবন চালিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।এমনতর অবস্থায় জাতির জনকের কন্যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে সকল চক্রান্ত কে পায়েদলে প্রতিষ্ঠার দরজায় পৌছালেন।বাঙ্গালীর আকাশের কালোমেঘ ধীরে ধীরে দুরিভুত হয়ে লাল লিলীমার আভা হয়ে ফুটে উঠতে লাগল। ১৯৯৬ ইং সালে জাতির জনকের কন্যা সরকার গঠন করে মুক্তিযোদ্ধা ভাতার সীমিত নীতি ঘোষনা করেন।২০০৮ ইং সালে বিপুল বিজয়ে বাংলাদেশের সরকার পরিচালনার সুযোগ পেলে প্রথমেই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযুদ্ধাদের প্রতি গভীর ভাবে নজর দেন।তাঁদের আত্মসম্মান, সামাজিকসম্মান, আর্থিক সঙ্গতির উন্নয়নের লক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহন করেন। গেল দুইবছরে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাগ্য উন্নয়নে নেয়া পদক্ষেপের বিবরনী তুলে ধরার প্রয়াসে আজকের এই নিবন্ধ******* *(১) সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতা ৮০০০ টাকায় এবং ভাতা ভোগীদের সংখ্যা ২ লক্ষে উন্নীত করা হয়েছে। *(২) ৬৭৬ জন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাকে মাসিক ২০০০০ টাকা এবং বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মাসিক ১৫০০০ টাকা হারে সম্মানী ভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে। *(৩) বিভিন্ন শ্রেণির যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারবর্গের মাসিক রাষ্ট্রীয় ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করে পঙ্গুত্বের হার অনুযায়ী মাসিক সর্বনিম্ন ১৮০০০ টাকা এবং মাসিক সর্বোচ্চ ৪৮০০০ টাকা হারে ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। *(৪)প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য নিয়মিত ভাতা প্রদান একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ভূমিহীন ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্পটিতে ২৯৭১টি বাসস্থান নির্মাণ করা হয়েছে। *(৫) জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৪৩টি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। *(৬) সকল উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ৮১টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। *(৭) মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৫৯টি স্মৃতিস্তভের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। *(৮) মুক্তিযুদ্ধে বিরঙ্গনাদের সামাজিক মার্য্যদা প্রতিষ্ঠার লক্ষে তাঁদের মুক্তিযুদ্ধা স্বীকৃতি একটি যুগান্তকারি পদক্ষেপ।এই অর্থবছরে তালিকা প্রনয়ন পুর্বক তাঁদেরকেও ভাতার আওতায় আনা এবং অন্যান্ন সুযোগ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।*** **বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদান কারী সংগঠন। '৭৫ এর কালোরাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে ঘাতকেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল। জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্টিত হতে সক্ষম হয়েছেন। নির্বাচিত হয়েই যুদ্ধপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ গ্রহন করেন। ইতিমধ্যে শীর্ষ কয়েক যুদ্ধাপরাধীর বিচার শেষে রায় কায্যকর করা হয়েছে।অনেকের মামলা শেষ পয্যায়ে, নতুন মামলা সংযোজনের প্রক্রিয়াও সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের মুল ধারায় দেশকে নিয়ে আসার জন্য দিবারাত্রী নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। পদেপদে মৃত্যুর ঝুঁকি উপেক্ষা করে বাঙ্গালী জাতি, বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির ধারায় নিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। পরিশেষে বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনাশকারী অপশক্তি তাঁদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আর একটি '৭৫ ঘটানোর প্রচ্ছন্ন হুমকিও প্রদান করে রেখেছে। ইতিমধ্যে ষড়যন্ত্রের জাল চিহ্নিত করে তা উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। জাতির জনকের কন্যার দৃড় মনোবল, দুরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব সকল অপশক্তি রুখতে সহায়ক ভুমিকা রেখে চলেছে। এই সময়ে সকল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির দৃড় ঐক্যই কেবল পারে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রুপান্তরের অঙ্গিকার বাস্তবায়নে দেশরত্মের হাতকে শক্তিশালী করতে।** ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ** দেশরত্ম শেখ হাসিনা**
বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর থেকে উন্নয়ন অগ্রগতির ধারায় দেশকে নিয়ে যেতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।বিশ্বব্যাপি অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলেও বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া সচল রেখে মুক্তিযুদ্ধের মুল ধারায় নিয়ে আসার আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
**জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু**
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন