বিএনপি উন্নয়ন, অগ্রগতি, গনতন্ত্রকে সমান্তরাল করে  অশুভ লক্ষনের ইঙ্গিতই দিচ্ছে---- =======♥♥♥♥♥=======   বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত গনতন্ত্রের সংজ্ঞা বা ধারনা একেক দেশে একেক রকম।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বাংলাদেশ উপযোগী গনতান্ত্রীক বৈশিষ্ট নির্ধারনের জন্য তাঁর রাজনীতির অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে এক সুদুর প্রসারী চিন্তা চেতনার বহি:প্রকাশ ঘটাতে চেয়েছিলেন।মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী নবীন সরকার গঠনের প্রাক্কালে ছাত্রনেতারা,যুদ্ধে যাদের অগ্রনী ভুমিকা ছিল,তাঁরা প্রস্তাব রেখে বলেছিলেন সমাজ তান্ত্রীক ধারায় দেশকে এগিয়ে নিতে। কর্নেল তাহের সহ অনেকেই পাকিস্তানী ধাঁচের সেনাবাহিনীর কাঠামো ভেঙ্গে নতুন করে সেনাবাহিনীর কাঠামো তৈয়ার করার জন্য বলেছেন। বড়  সমস্যা ছিল প্রভুত্ববাদী প্রশাসন। পাকিস্তানী  মানষিকতা সম্পন্ন সিএসপি অফিসার, যাদের মননে ছিল জনগনের উপর প্রভুত্ব করার চেতনা। তাঁদেরকে প্রশাসন কাঠামোর অন্দরে রেখে পরিবর্তন কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাঁদের দ্বারা স্বাধীন দেশের প্রসাশন নিয়ন্ত্রন করা কল্পনার জগতে বসবাস সমান কথা। জাতির জনক বাংলার আবাহাওয়ায় রাজনীতি করেছেন।  এই দেশের কৃষক শ্রমিক, আলেম ওলামাদের সংগে থেকেই রাজনীতি করেছেন। এই দেশের মানুষের মন মেজাজ সম্পর্কে ছিল তাঁর অগাধ জ্ঞান। ষড় ঋতুর প্রভাবে এই অঞ্চলের মানুষের মন মেজাজেও পরিবর্তনের আবাস সদা পরিলক্ষিত হতে দেখেছেন। তিনি সম্যকভাবে উপলব্দি করতে পেরেছিলেন,এই অঞ্চলের মানুষ ধার্মীক বটে তবে সাম্প্রদায়ীক  মন -মানষিকতা পোষন করেনা। ধর্মপালনে উগ্রতা নেই,কিন্তু বিশেষ ক্ষেত্রে ছাড় দেয়ার অভ্যেস ও নেই। বৃটিশ রাজের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলনে যেমনি দেখেছেন মাওলানাদের মহত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে, তেমনি দেখেছেন কংগ্রেসের শীর্ষপদে থেকে মন্ত্রীত্ব করতে। ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে মুসলিম লীগের শীর্ষ পদে যেমনটি উদারমনা দেওবন্দ মাদ্রাসার মাওলানারা সম্পৃত্ত ছিলেন,  তেমনি কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলীর মত পাশ্চাত্য ঘেষা ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত নেতাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও ছিল বঙ্গবন্ধুর ঝুলিতে। ১৯৪৭ ইং সালে ভারতীয় উপমহাদেশ ছেড়ে বৃটিশ রাজ চলে গেলে পাকিস্তান সৃষ্টির উষালগ্নটি গভীর চিত্তে ধারন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু তাঁর মননে।   অখন্ড পাকিস্তানের সময়ে শুধু নয়, বৃটিশরাজের সময়েও লক্ষ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু অত্যান্ত সতর্ক দৃষ্টিতে। এতদঞ্চলে কমিউনিষ্টরা জনসম্পৃত্ততা পায়নি, বরঞ্চ ধর্মদ্রোহী নাস্তিক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। তেমনি উগ্র সাম্প্রদায়ীক ধর্মীয় রাজনীতিও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আতুড় ঘরেই নি:শেষ হয়ে গেছে। পলিমাটি বিধৌত অত্র  ষড় ঋতুর অঞ্চলে বিশুদ্ধ গনতান্ত্রিক চর্চা ছাড়া অন্য কোন শাষন পদ্ধতি টেকসই হবেনা। জাতির জনক মর্মে মর্মে বিষয়টি হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছিলেন। অত্র অঞ্চলের জনগনকে সহজে যেমন উত্তেজিত করা যায়না আবার উত্তেজিত হলে থামানো সম্ভবও হয়না।কথাটি বার বার উচ্ছারন করেছেন জাতির জনক। রাজনীতির কবি তাই চটজলদি কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুর্নগঠনকে আগে অগ্রাধিকার দিলেন। খাদ্য উৎপাদন,শিল্প কলকারখানা মেরামত,পুল কালভার্ট মেরামত,সম্পদ অনুসন্ধান, প্রসাশনের শুন্য পদ পুরন, সেনাবাহিনী পুর্নগঠন, আইন শৃংখলা বাহিনী সচল করন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরামত ও জাতীয় করন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতিয়করন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মেরামত ও নির্মান, ইসলামি গভেষনার জন্য জাতিয় ভাবে ইসলামী ফাউন্ডেশন গঠন,জাতীয় মসজিদ নির্মান, সম্পদ আহরনে বিদেশী কোম্পেনীর সাথে চুক্তি সম্পাদন, রাস্তাঘাট নির্মান, কৃষি কাজে ব্যবহায্য সামগ্রি সংগ্রহকরন ইত্যাদি কাজকে অগ্রাধিকার দিয়ে সম্পন্ন করেন। বাংলাদেশ পুরাপুরি সচল,খাদ্যের অভাব নেই, রাস্তাঘাট সচল,আইনশৃংখলা সরকারের নিয়ন্ত্রনে। তখনি জাতির জনক তাঁর আজীবনের লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার নিমিত্তে তাঁর সুদুরপ্রসারী চিন্তা চেতনার ফসল কালজয়ী দর্শন "বাকশাল" গঠনের প্রক্রিয়ার কথাটি সংসদকে জানালেন। তিনি দৃড কন্ঠে ঘোষনা দিয়ে বললেন তাঁর দর্শন বাস্তবায়নের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য।জাতীয় ঐক্যের জন্য জাতীয় সরকার প্রয়োজন।আর সেই জাতীয় সরকারের নাম দেয়া হয় কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ। পশ্চিমা গনতন্ত্র নয়, চীনের কমিউনিষ্ট শাষন নয়, সৌভিয়েত ইউনিয়নের সমাজতান্ত্রীক সমাজ ব্যবস্থাও নয়। ""নির্ভেজাল গনতন্ত্রের বাংলাদেশি মতবাদ।""--- প্রশাসনের সর্বস্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনীধিরাই হবে নীতি নির্ধারক। সকল শ্রেনী পেশার  নির্বাচিত প্রতিনীধিরাই হবে সরকারের পরিচালক। সর্বস্তরে জনপ্রতিনীধিদের নিকট জবাবদিহীতার ব্যবস্থা রেখে আমুল সংস্কারের পদক্ষেপ নিলেন। কিন্তু বিধিবাম,তাঁর স্বপ্ন আতুড় ঘরেই নির্মম রক্তস্রোতে ভেসে গেছে।বাঙ্গালী জাতিকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে পাকিস্তানী প্রেতাত্বারা অন্ধকার যুগে। দীর্ঘ একুশ বছর জাতির পিতার অনুসারীদের মুখ বন্ধ করে চালিয়ে দেয়া হয়েছে হিটলারের চেয়ে জগন্য ফ্যাসিবাদি শাষন শোষন।একতরফা অপপ্রচার চালিয়ে জনগনকে বিচ্যুত করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারা থেকে। ভীতশ্রদ্ধ করেছে কালজয়ী দর্শন "বাকশাল"কে। বর্তমান সময়কেও তাঁরা তুলনা করতে চায় বাকশাল শাষনের সঙ্গে। তাইতো বাংলাদেশের মানুষের প্রতিটি পদে মনে পড়ে "বাকশাল"এর মর্মধ্বনি। এই যদি হয় সেই "বাকশাল " তবে জাতি কেন হারালো   ""একুশটি  বছর।""  হারানো একুশ বছর যদি যুক্ত হয় জাতীয় জীবনে তবে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ বিশ্বের প্রথম কাতারের দেশ থাকার কথাইতো ছিল। অপরিপক্ষ স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি,নতুন করে বিতর্ক করে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায়। উন্নয়ন, অগ্রগতিকে গনতন্ত্রের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থানে নিয়ে যেতে চায়। দিকভ্রান্ত রাজনৈতিক শক্তি গানিতিক হারে বহমান উন্নয়ন অগ্রগতিকেও সহ্য করতে পারছেনা। জনগন স্বাধীনতার স্বাধ উপভোগ করুক তাও তাঁদের সহ্য হচ্ছেনা।বিতর্ক উত্থাপন করছে মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগের অর্জনের বিরুদ্ধে,বিতর্ক উত্থাপন করছে উন্নয়ন অগ্রগতির।বিতর্ক উত্থাপন করতে চায় গনতান্ত্রীক ধারাবাহিকতার।ভোটে অংশ না নিয়ে একদলীয় শাষন কায়েমের  অবারীত সুযোগ দিয়ে ওরা বিপাকে ফেলতে চেয়েছিল বর্তমান সরকারকে। বিধিবাম, জাতির জনকের কন্যা রাজনৈতিক দুরদর্শিতা দিয়ে প্রমান করতে সক্ষম হয়েছেন, "ভোটে অংশ না নিয়ে তোমরাই জনবিচ্ছিন্ন হয়েছ"।ভোট সফলভাবে অনুষ্ঠান করে সরকার প্রসংশিত হয়েছে। গনতান্ত্রীক বিশ্বের মধ্যে অন্যতম "গনতন্ত্রের ধারক বাহক" দক্ষিন পুর্ব এশিয়ার গনতান্ত্রীক দেশ সমুহের অন্যতম আন্তদেশীয় সংসদীয় ফোরামের সভাপতি বাংলাদেশের সংসদের স্পীকার কে নির্বাচিত করেছে। গনতন্ত্রের পুজারী বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার, জনগনের আশা আখাংকার প্রতিক গনতন্ত্রের মানষ কন্যা, জাতির জনকের কন্যার বিচক্ষনতায় গনতান্ত্রীক ধারাবাহিকতা রক্ষা পেয়েছে।আর এই  ঝুকি পুর্ন অবদানের পুরস্কার হিসেবে সম্মানীত পদটি উপহার দিয়ে সম্মানীত করেছে বাংলাদেশের জনগনকে। বিশ্বের অন্যতম গনতন্ত্রের চর্চা কেন্দ্র, আন্তদেশীয় সংসদীয় ফোরামের স্পিকার "বাংলাদেশের  সংসদের "স্পীকারকে মনোনীত করে। তাঁর পরেও নিলর্জ্জের মতই প্রশ্ন উত্থাপন করার চেষ্টায় অহর্নিশ দিবাস্বপ্নে বিভোর অপশক্তি এবং তাঁদের পৃষ্টপোষকের দল।"গনতন্ত্র নেই বলে জনগনকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কি হতে পারে তাঁদের বর্তমান চক্রান্ত।     উন্নয়ন তো চীনেও হচ্ছে সেখানে কি গনতন্ত্র আছে? জাপানেও হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া বা অন্যান্য দেশেও হচ্ছে।সেখানে কি বাংলাদেশের ভোটের গনতন্ত্র? প্রতিটি দেশের বাস্তবতা আলাদা, রাষ্ট্রীয় বিকাশ অভিজ্ঞতাও আলাদা আলাদা। সর্বাজ্ঞে প্রয়োজন জনসম্পৃক্ততা বা জনকল্যাণকামী উন্নয়ন হচ্ছে কিনা।জনগনের চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন কর্মকান্ড অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে কিনা। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে জনগণের আর্থ,সামাজিক, শিক্ষা,সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক চেতনার মানে পরিবর্তন হচ্ছে কিনা। সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, মালয়েশিয়ায় বেহাল উন্নয়ন ঘটেছে। মূলত তাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আর্থ,সামাজিক, শিক্ষা,সাংস্কৃতিক খাতগুলো কে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। চীনে রাজনীতিকে বিশেষ ধাঁচে প্রবাহিত করা হয়েছে,গনতন্ত্রের চোঁয়া সেখানে নেই। তবে নির্বাচন পদ্ধতি ঠিকই আছে,তবে পশ্চিমা ধাঁচের নির্বাচনী ব্যবস্থা নয়। যে সত্যটি জানান দিচ্ছে তা হচ্ছে প্রতিটি দেশ এবং জাতিকে এগুতে হবে। নিজস্ব সমাজ এবং জনমানসের বাস্তবতা কে বিবেচনায় নিয়েই। আমেরীকা ভারত, ব্রিটেন যা পেরেছে বাংলাদেশ সেইভাবে পারবে এমন কোন কথা নেই। তাঁদের দেশে ভিন্ন ভিন্ন জাতি গোষ্টির অস্তিত্ব প্রায় সমান সমান,বাংলাদেশে তা নয়। বাংলাদেশে ৯৫/ বাঙ্গালী মসুলমান।সংখ্যা গরিষ্ট মানুষের ধ্যানধারনাকে অগ্রাধিকার দিয়েই রাজনীতি,অর্থনীতিকে সাজাতে হবে। ইউরোপের প্রতিটি রাষ্ট্রই নিজস্ব বাস্তবতায় উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে সাজিয়ে নিয়েছে। কোনো দেশের সঙ্গেই অন্য দেশের হুবহু মিল নেই। গণতন্ত্রের বিকাশের বিষয়টি অনেক বেশি স্বাতন্ত্রিক ও বায়বীয়।উলঙ্গ গনতন্ত্র পৃথিবীর কোন দেশেই নেই। বাংলাদেশ এবং ফ্রান্সে একই সময় সামাজিক মাধ্যম পেইজবুক/ টুইটার বন্ধ করা হয়েছিল। বাংলাদেশ অনেক আগে খুলে দিলেও ফ্রান্সে কিন্তু এখনও আগের মতই বন্ধ আছে। বাংলাদেশে যাহা মতামত প্রকাশে বাধা, ফ্রান্সের সমাজে তাহাই উপযুক্ত ব্যবস্থা হিসেবে মেনে নিয়েছে জনগন। সুতরাং উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রের তত্ত্বকে দুনিয়াব্যাপী এক বা অভিন্ন করার কোনো সুযোগ নেই। বর্তমান অশুভ শক্তি সেই স্পর্ষকাতর বিষয়ের মধ্যেই বিভেদ তৈরী করতে চায়। উন্নয়ন হচ্ছে পরিকল্পনার স্বচ্ছতা,গভেষনা এবং উদ্ভাবনী চিন্তা ব্যতীত যাহা কস্মিন কালেও ঘটানো সম্ভব নয়।  গণতন্ত্র তো আরো জটিল বিষয়।হাওয়ায় উড়ে গনতন্ত্র।আপনার নিকট যাহা গনতন্ত্র আমার নিকট তা নাও হতে পারে। শুধু বিএনপি আওয়ামী লীগ নির্বাচন করলেই গনতন্ত্র সুরক্ষিত হবে? এমন কোন তত্ব তথ্য কেহ দিতে পারবে? না পারবেনা। আরো বহু দল ও মত বিদ্যমান আছে,তাঁরা অংশ না নিলে কিভাবে হবে গনতন্ত্র চর্চা বা রক্ষা। একদল নির্বাচন থেকে দূরে থাকলেই গনতন্ত্র বিঘ্নিত হবে বা নেই এই অপপ্রচার কাম্য হতে পারেনা।সমাজের প্রত্যেক ক্ষেত্রে জনমতের প্রতিফলন হলেই গনতন্ত্র চলমান ও বিকাশমান ধরে নিতে হবে।তা না হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় পুরাতন কাসুদ্দি কেয়ামত পয্যন্ত দুরিভুত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।   জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এই সত্যটি অন্তর দিয়ে অনুভব করেছিলেন। তাই পশ্চিমা শাষন শোষনের  গনতন্ত্রকে হত্যা করে বাংলাদেশের উপযোগী,বাংলাদেশের আবহাওয়ায় সৃষ্ট গনতন্ত্রের বীজ বপন করতে চেয়েছিলেন। যে গনতন্ত্রে উন্নয়ন অগ্রগতিতে বাধার কোন সম্ভাবনা ছিলনা। যেহেতু সকলেরই অংশ গ্রহন ছিল সরকারে,সকলেরই অংশগ্রহন ছিল উন্নয়ন অগ্রগতি,সমৃদ্ধির ধারায়।   দীর্ঘ একুশ বছর পর জাতির জনকের জৈষ্ঠ কন্যা, স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গনতন্ত্রের ধারাবাহিকতা সৃষ্টি করেছিলেন।কিন্তু পরাজিত শত্রুর দোষর দেশি বিদেশী চক্রান্তে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে সামিল হতে পারেননি। ২০০৮ ইং সালের সাধারন নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরীষ্টতা নিয়ে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করে। সরকার গঠন করেই এক মহুর্ত সময়ক্ষেপন না জাতির জনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ায় মনোনিবেশ করেছেন।তাঁর সুফল দেশবাসি ইতিমধ্যে পেতে শুরু করেছে।দেশকে স্বল্প সময়ের মধ্যে পরিকল্পিত উন্নয়নের ধারায় নিয়ে এসেছেন।সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে নেতৃত্বের গতি প্রকৃতি নির্নয়ে ব্যস্ত।আলাদীনের চেরাগের কল্পিত সমৃদ্ধিকে হার মানিয়ে দারিদ্রের কষাঘাতে নিস্পেষিত  বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরীত করেছেন।বিশ্বের উন্নয়নকামী দেশসমুহের উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে বিশ্ব নেতৃত্ব করায়াত্ব করেছেন। এমনতর সময়ে মিমাংশীত বিষয়ে বিতর্ক উত্থাপন করে,উন্নয়ন অগ্রগতি এবং গনতন্ত্রকে সমান্তরালে রেখে বিচার অশুভ ইঙ্গিতেরই লক্ষন।         জয়বাংলা     জয়বঙ্গবন্ধু   জয়তু জাতির জনকের কন্যা      দেশরত্ম  শেখ হাসিনা

  সংসদের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে,ভোটের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে,গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে ইত্যাদি বাক্য সমুহ আপেক্ষিক।বলার জন্য বলা,মুলত আমার সময় মত সব ঠিক যতক্ষন হবেনা ততক্ষন কিছুই নেই,সময় হলে সব ঠিক আছে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন