বিএনপি উন্নয়ন, অগ্রগতি, গনতন্ত্রকে সমান্তরাল করে  অশুভ লক্ষনের ইঙ্গিতই দিচ্ছে---- =======♥♥♥♥♥=======   বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত গনতন্ত্রের সংজ্ঞা বা ধারনা একেক দেশে একেক রকম।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বাংলাদেশ উপযোগী গনতান্ত্রীক বৈশিষ্ট নির্ধারনের জন্য তাঁর রাজনীতির অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে এক সুদুর প্রসারী চিন্তা চেতনার বহি:প্রকাশ ঘটাতে চেয়েছিলেন।মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী নবীন সরকার গঠনের প্রাক্কালে ছাত্রনেতারা,যুদ্ধে যাদের অগ্রনী ভুমিকা ছিল,তাঁরা প্রস্তাব রেখে বলেছিলেন সমাজ তান্ত্রীক ধারায় দেশকে এগিয়ে নিতে। কর্নেল তাহের সহ অনেকেই পাকিস্তানী ধাঁচের সেনাবাহিনীর কাঠামো ভেঙ্গে নতুন করে সেনাবাহিনীর কাঠামো তৈয়ার করার জন্য বলেছেন। বড়  সমস্যা ছিল প্রভুত্ববাদী প্রশাসন। পাকিস্তানী  মানষিকতা সম্পন্ন সিএসপি অফিসার, যাদের মননে ছিল জনগনের উপর প্রভুত্ব করার চেতনা। তাঁদেরকে প্রশাসন কাঠামোর অন্দরে রেখে পরিবর্তন কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাঁদের দ্বারা স্বাধীন দেশের প্রসাশন নিয়ন্ত্রন করা কল্পনার জগতে বসবাস সমান কথা। জাতির জনক বাংলার আবাহাওয়ায় রাজনীতি করেছেন।  এই দেশের কৃষক শ্রমিক, আলেম ওলামাদের সংগে থেকেই রাজনীতি করেছেন। এই দেশের মানুষের মন মেজাজ সম্পর্কে ছিল তাঁর অগাধ জ্ঞান। ষড় ঋতুর প্রভাবে এই অঞ্চলের মানুষের মন মেজাজেও পরিবর্তনের আবাস সদা পরিলক্ষিত হতে দেখেছেন। তিনি সম্যকভাবে উপলব্দি করতে পেরেছিলেন,এই অঞ্চলের মানুষ ধার্মীক বটে তবে সাম্প্রদায়ীক  মন -মানষিকতা পোষন করেনা। ধর্মপালনে উগ্রতা নেই,কিন্তু বিশেষ ক্ষেত্রে ছাড় দেয়ার অভ্যেস ও নেই। বৃটিশ রাজের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলনে যেমনি দেখেছেন মাওলানাদের মহত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে, তেমনি দেখেছেন কংগ্রেসের শীর্ষপদে থেকে মন্ত্রীত্ব করতে। ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে মুসলিম লীগের শীর্ষ পদে যেমনটি উদারমনা দেওবন্দ মাদ্রাসার মাওলানারা সম্পৃত্ত ছিলেন,  তেমনি কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলীর মত পাশ্চাত্য ঘেষা ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত নেতাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও ছিল বঙ্গবন্ধুর ঝুলিতে। ১৯৪৭ ইং সালে ভারতীয় উপমহাদেশ ছেড়ে বৃটিশ রাজ চলে গেলে পাকিস্তান সৃষ্টির উষালগ্নটি গভীর চিত্তে ধারন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু তাঁর মননে।   অখন্ড পাকিস্তানের সময়ে শুধু নয়, বৃটিশরাজের সময়েও লক্ষ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু অত্যান্ত সতর্ক দৃষ্টিতে। এতদঞ্চলে কমিউনিষ্টরা জনসম্পৃত্ততা পায়নি, বরঞ্চ ধর্মদ্রোহী নাস্তিক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। তেমনি উগ্র সাম্প্রদায়ীক ধর্মীয় রাজনীতিও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আতুড় ঘরেই নি:শেষ হয়ে গেছে। পলিমাটি বিধৌত অত্র  ষড় ঋতুর অঞ্চলে বিশুদ্ধ গনতান্ত্রিক চর্চা ছাড়া অন্য কোন শাষন পদ্ধতি টেকসই হবেনা। জাতির জনক মর্মে মর্মে বিষয়টি হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছিলেন। অত্র অঞ্চলের জনগনকে সহজে যেমন উত্তেজিত করা যায়না আবার উত্তেজিত হলে থামানো সম্ভবও হয়না।কথাটি বার বার উচ্ছারন করেছেন জাতির জনক। রাজনীতির কবি তাই চটজলদি কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুর্নগঠনকে আগে অগ্রাধিকার দিলেন। খাদ্য উৎপাদন,শিল্প কলকারখানা মেরামত,পুল কালভার্ট মেরামত,সম্পদ অনুসন্ধান, প্রসাশনের শুন্য পদ পুরন, সেনাবাহিনী পুর্নগঠন, আইন শৃংখলা বাহিনী সচল করন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরামত ও জাতীয় করন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতিয়করন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মেরামত ও নির্মান, ইসলামি গভেষনার জন্য জাতিয় ভাবে ইসলামী ফাউন্ডেশন গঠন,জাতীয় মসজিদ নির্মান, সম্পদ আহরনে বিদেশী কোম্পেনীর সাথে চুক্তি সম্পাদন, রাস্তাঘাট নির্মান, কৃষি কাজে ব্যবহায্য সামগ্রি সংগ্রহকরন ইত্যাদি কাজকে অগ্রাধিকার দিয়ে সম্পন্ন করেন। বাংলাদেশ পুরাপুরি সচল,খাদ্যের অভাব নেই, রাস্তাঘাট সচল,আইনশৃংখলা সরকারের নিয়ন্ত্রনে। তখনি জাতির জনক তাঁর আজীবনের লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার নিমিত্তে তাঁর সুদুরপ্রসারী চিন্তা চেতনার ফসল কালজয়ী দর্শন "বাকশাল" গঠনের প্রক্রিয়ার কথাটি সংসদকে জানালেন। তিনি দৃড কন্ঠে ঘোষনা দিয়ে বললেন তাঁর দর্শন বাস্তবায়নের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য।জাতীয় ঐক্যের জন্য জাতীয় সরকার প্রয়োজন।আর সেই জাতীয় সরকারের নাম দেয়া হয় কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ। পশ্চিমা গনতন্ত্র নয়, চীনের কমিউনিষ্ট শাষন নয়, সৌভিয়েত ইউনিয়নের সমাজতান্ত্রীক সমাজ ব্যবস্থাও নয়। ""নির্ভেজাল গনতন্ত্রের বাংলাদেশি মতবাদ।""--- প্রশাসনের সর্বস্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনীধিরাই হবে নীতি নির্ধারক। সকল শ্রেনী পেশার  নির্বাচিত প্রতিনীধিরাই হবে সরকারের পরিচালক। সর্বস্তরে জনপ্রতিনীধিদের নিকট জবাবদিহীতার ব্যবস্থা রেখে আমুল সংস্কারের পদক্ষেপ নিলেন। কিন্তু বিধিবাম,তাঁর স্বপ্ন আতুড় ঘরেই নির্মম রক্তস্রোতে ভেসে গেছে।বাঙ্গালী জাতিকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে পাকিস্তানী প্রেতাত্বারা অন্ধকার যুগে। দীর্ঘ একুশ বছর জাতির পিতার অনুসারীদের মুখ বন্ধ করে চালিয়ে দেয়া হয়েছে হিটলারের চেয়ে জগন্য ফ্যাসিবাদি শাষন শোষন।একতরফা অপপ্রচার চালিয়ে জনগনকে বিচ্যুত করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারা থেকে। ভীতশ্রদ্ধ করেছে কালজয়ী দর্শন "বাকশাল"কে। বর্তমান সময়কেও তাঁরা তুলনা করতে চায় বাকশাল শাষনের সঙ্গে। তাইতো বাংলাদেশের মানুষের প্রতিটি পদে মনে পড়ে "বাকশাল"এর মর্মধ্বনি। এই যদি হয় সেই "বাকশাল " তবে জাতি কেন হারালো   ""একুশটি  বছর।""  হারানো একুশ বছর যদি যুক্ত হয় জাতীয় জীবনে তবে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ বিশ্বের প্রথম কাতারের দেশ থাকার কথাইতো ছিল। অপরিপক্ষ স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি,নতুন করে বিতর্ক করে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায়। উন্নয়ন, অগ্রগতিকে গনতন্ত্রের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থানে নিয়ে যেতে চায়। দিকভ্রান্ত রাজনৈতিক শক্তি গানিতিক হারে বহমান উন্নয়ন অগ্রগতিকেও সহ্য করতে পারছেনা। জনগন স্বাধীনতার স্বাধ উপভোগ করুক তাও তাঁদের সহ্য হচ্ছেনা।বিতর্ক উত্থাপন করছে মুক্তিযুদ্ধের ত্যাগের অর্জনের বিরুদ্ধে,বিতর্ক উত্থাপন করছে উন্নয়ন অগ্রগতির।বিতর্ক উত্থাপন করতে চায় গনতান্ত্রীক ধারাবাহিকতার।ভোটে অংশ না নিয়ে একদলীয় শাষন কায়েমের  অবারীত সুযোগ দিয়ে ওরা বিপাকে ফেলতে চেয়েছিল বর্তমান সরকারকে। বিধিবাম, জাতির জনকের কন্যা রাজনৈতিক দুরদর্শিতা দিয়ে প্রমান করতে সক্ষম হয়েছেন, "ভোটে অংশ না নিয়ে তোমরাই জনবিচ্ছিন্ন হয়েছ"।ভোট সফলভাবে অনুষ্ঠান করে সরকার প্রসংশিত হয়েছে। গনতান্ত্রীক বিশ্বের মধ্যে অন্যতম "গনতন্ত্রের ধারক বাহক" দক্ষিন পুর্ব এশিয়ার গনতান্ত্রীক দেশ সমুহের অন্যতম আন্তদেশীয় সংসদীয় ফোরামের সভাপতি বাংলাদেশের সংসদের স্পীকার কে নির্বাচিত করেছে। গনতন্ত্রের পুজারী বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার, জনগনের আশা আখাংকার প্রতিক গনতন্ত্রের মানষ কন্যা, জাতির জনকের কন্যার বিচক্ষনতায় গনতান্ত্রীক ধারাবাহিকতা রক্ষা পেয়েছে।আর এই  ঝুকি পুর্ন অবদানের পুরস্কার হিসেবে সম্মানীত পদটি উপহার দিয়ে সম্মানীত করেছে বাংলাদেশের জনগনকে। বিশ্বের অন্যতম গনতন্ত্রের চর্চা কেন্দ্র, আন্তদেশীয় সংসদীয় ফোরামের স্পিকার "বাংলাদেশের  সংসদের "স্পীকারকে মনোনীত করে। তাঁর পরেও নিলর্জ্জের মতই প্রশ্ন উত্থাপন করার চেষ্টায় অহর্নিশ দিবাস্বপ্নে বিভোর অপশক্তি এবং তাঁদের পৃষ্টপোষকের দল।"গনতন্ত্র নেই বলে জনগনকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কি হতে পারে তাঁদের বর্তমান চক্রান্ত।     উন্নয়ন তো চীনেও হচ্ছে সেখানে কি গনতন্ত্র আছে? জাপানেও হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া বা অন্যান্য দেশেও হচ্ছে।সেখানে কি বাংলাদেশের ভোটের গনতন্ত্র? প্রতিটি দেশের বাস্তবতা আলাদা, রাষ্ট্রীয় বিকাশ অভিজ্ঞতাও আলাদা আলাদা। সর্বাজ্ঞে প্রয়োজন জনসম্পৃক্ততা বা জনকল্যাণকামী উন্নয়ন হচ্ছে কিনা।জনগনের চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন কর্মকান্ড অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে কিনা। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে জনগণের আর্থ,সামাজিক, শিক্ষা,সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক চেতনার মানে পরিবর্তন হচ্ছে কিনা। সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, মালয়েশিয়ায় বেহাল উন্নয়ন ঘটেছে। মূলত তাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আর্থ,সামাজিক, শিক্ষা,সাংস্কৃতিক খাতগুলো কে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। চীনে রাজনীতিকে বিশেষ ধাঁচে প্রবাহিত করা হয়েছে,গনতন্ত্রের চোঁয়া সেখানে নেই। তবে নির্বাচন পদ্ধতি ঠিকই আছে,তবে পশ্চিমা ধাঁচের নির্বাচনী ব্যবস্থা নয়। যে সত্যটি জানান দিচ্ছে তা হচ্ছে প্রতিটি দেশ এবং জাতিকে এগুতে হবে। নিজস্ব সমাজ এবং জনমানসের বাস্তবতা কে বিবেচনায় নিয়েই। আমেরীকা ভারত, ব্রিটেন যা পেরেছে বাংলাদেশ সেইভাবে পারবে এমন কোন কথা নেই। তাঁদের দেশে ভিন্ন ভিন্ন জাতি গোষ্টির অস্তিত্ব প্রায় সমান সমান,বাংলাদেশে তা নয়। বাংলাদেশে ৯৫/ বাঙ্গালী মসুলমান।সংখ্যা গরিষ্ট মানুষের ধ্যানধারনাকে অগ্রাধিকার দিয়েই রাজনীতি,অর্থনীতিকে সাজাতে হবে। ইউরোপের প্রতিটি রাষ্ট্রই নিজস্ব বাস্তবতায় উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে সাজিয়ে নিয়েছে। কোনো দেশের সঙ্গেই অন্য দেশের হুবহু মিল নেই। গণতন্ত্রের বিকাশের বিষয়টি অনেক বেশি স্বাতন্ত্রিক ও বায়বীয়।উলঙ্গ গনতন্ত্র পৃথিবীর কোন দেশেই নেই। বাংলাদেশ এবং ফ্রান্সে একই সময় সামাজিক মাধ্যম পেইজবুক/ টুইটার বন্ধ করা হয়েছিল। বাংলাদেশ অনেক আগে খুলে দিলেও ফ্রান্সে কিন্তু এখনও আগের মতই বন্ধ আছে। বাংলাদেশে যাহা মতামত প্রকাশে বাধা, ফ্রান্সের সমাজে তাহাই উপযুক্ত ব্যবস্থা হিসেবে মেনে নিয়েছে জনগন। সুতরাং উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রের তত্ত্বকে দুনিয়াব্যাপী এক বা অভিন্ন করার কোনো সুযোগ নেই। বর্তমান অশুভ শক্তি সেই স্পর্ষকাতর বিষয়ের মধ্যেই বিভেদ তৈরী করতে চায়। উন্নয়ন হচ্ছে পরিকল্পনার স্বচ্ছতা,গভেষনা এবং উদ্ভাবনী চিন্তা ব্যতীত যাহা কস্মিন কালেও ঘটানো সম্ভব নয়।  গণতন্ত্র তো আরো জটিল বিষয়।হাওয়ায় উড়ে গনতন্ত্র।আপনার নিকট যাহা গনতন্ত্র আমার নিকট তা নাও হতে পারে। শুধু বিএনপি আওয়ামী লীগ নির্বাচন করলেই গনতন্ত্র সুরক্ষিত হবে? এমন কোন তত্ব তথ্য কেহ দিতে পারবে? না পারবেনা। আরো বহু দল ও মত বিদ্যমান আছে,তাঁরা অংশ না নিলে কিভাবে হবে গনতন্ত্র চর্চা বা রক্ষা। একদল নির্বাচন থেকে দূরে থাকলেই গনতন্ত্র বিঘ্নিত হবে বা নেই এই অপপ্রচার কাম্য হতে পারেনা।সমাজের প্রত্যেক ক্ষেত্রে জনমতের প্রতিফলন হলেই গনতন্ত্র চলমান ও বিকাশমান ধরে নিতে হবে।তা না হলে রাষ্ট্র পরিচালনায় পুরাতন কাসুদ্দি কেয়ামত পয্যন্ত দুরিভুত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।   জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এই সত্যটি অন্তর দিয়ে অনুভব করেছিলেন। তাই পশ্চিমা শাষন শোষনের  গনতন্ত্রকে হত্যা করে বাংলাদেশের উপযোগী,বাংলাদেশের আবহাওয়ায় সৃষ্ট গনতন্ত্রের বীজ বপন করতে চেয়েছিলেন। যে গনতন্ত্রে উন্নয়ন অগ্রগতিতে বাধার কোন সম্ভাবনা ছিলনা। যেহেতু সকলেরই অংশ গ্রহন ছিল সরকারে,সকলেরই অংশগ্রহন ছিল উন্নয়ন অগ্রগতি,সমৃদ্ধির ধারায়।   দীর্ঘ একুশ বছর পর জাতির জনকের জৈষ্ঠ কন্যা, স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গনতন্ত্রের ধারাবাহিকতা সৃষ্টি করেছিলেন।কিন্তু পরাজিত শত্রুর দোষর দেশি বিদেশী চক্রান্তে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে সামিল হতে পারেননি। ২০০৮ ইং সালের সাধারন নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরীষ্টতা নিয়ে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করে। সরকার গঠন করেই এক মহুর্ত সময়ক্ষেপন না জাতির জনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ায় মনোনিবেশ করেছেন।তাঁর সুফল দেশবাসি ইতিমধ্যে পেতে শুরু করেছে।দেশকে স্বল্প সময়ের মধ্যে পরিকল্পিত উন্নয়নের ধারায় নিয়ে এসেছেন।সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময়ে নেতৃত্বের গতি প্রকৃতি নির্নয়ে ব্যস্ত।আলাদীনের চেরাগের কল্পিত সমৃদ্ধিকে হার মানিয়ে দারিদ্রের কষাঘাতে নিস্পেষিত  বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরীত করেছেন।বিশ্বের উন্নয়নকামী দেশসমুহের উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে বিশ্ব নেতৃত্ব করায়াত্ব করেছেন। এমনতর সময়ে মিমাংশীত বিষয়ে বিতর্ক উত্থাপন করে,উন্নয়ন অগ্রগতি এবং গনতন্ত্রকে সমান্তরালে রেখে বিচার অশুভ ইঙ্গিতেরই লক্ষন।         জয়বাংলা     জয়বঙ্গবন্ধু   জয়তু জাতির জনকের কন্যা      দেশরত্ম  শেখ হাসিনা

  সংসদের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে,ভোটের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে,গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে ইত্যাদি বাক্য সমুহ আপেক্ষিক।বলার জন্য বলা,মুলত আমার সময় মত সব ঠিক যতক্ষন হবেনা ততক্ষন কিছুই নেই,সময় হলে সব ঠিক আছে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা