ডিজিটাল প্রযুক্তি অশুভ শক্তির অপব্যবহার রোধ এবং জনকল্যানে ব্যবহার নিশ্চিতে আইনী কাঠামোর বেষ্টনী সময়ের দাবী-- ===== ===== তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বর্তমান বাংলাদেশ, নতুন প্রজর্ম্মের ছেলে মেয়েদের নিকট অত্যাবশ্যকীয় হয়ে উঠেছে -পেইজ বুক সহ অন্য সব সামাজিক সাইট গুলি। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যাবহার সর্বসাধারনের নাগালের মধ্যে হয়ে উঠার বয়স কিন্তু একেবারেই কম।কম হলেও বেশিরভাগ যুবক যুবতী যে হারে আসক্ত হয়ে পড়েছে অন্য পুরাতন ব্যবহারকারী দেশ সমুহের ছেলে মেয়েরা সমহারে আসক্ত হয়নি। অন্যভাবে বলা যায় আমাদের তরুন প্রজর্ম্ম প্রযুক্তিটি যত বেশি আগ্রহ সহকারে গ্রহন করেছে উন্নত দেশ সমুহের যুবক যুবতীরা তত আগ্রহ সহকারে গ্রহন করেনি। আমাদের দেশের বেশীর ভাগ ছেলে মেয়ে ব্যবহার করে আড্ডায় সময় কাটানোর অন্যতম মাধ্যম হিসেবে। আবার কিছু ছেলেমেয়ে বিনোদনের উপকরন হিসেবে গ্রহন করে সর্বক্ষন পর্ণোসাইট গুলি ঘুরে বেড়ায়।খুব কম সংখ্যক মানুষ আছেন যারা প্রয়োজনীয় কাজে বা উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে এই প্রযুক্তি জনমানুষের ভাগ্য উন্নয়নের চেষ্টায় রত: থাকেন। উন্নত দেশ সমুহের নতুন প্রজর্ম বেশির ভাগই কিন্তু আমাদের প্রজর্ম্মের বিপরীতে অবস্থান। তাঁরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে জ্ঞান অর্জন করছে,অনেকেই টাকা রুজির হাতিয়ারে পরিনত করেছে। উপার্জনের উপযুক্ত মাধ্যমে প্রযুক্তিটিকে পরিনত করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর তনয় জনাব সজীব ওয়াজেদ (জয়)প্রধান মন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মনোনীত হয়ে বিদেশে অর্জীত জ্ঞান দেশের কল্যানে ব্যবহারের জন্য প্রযুক্তিটি যত দ্রুত ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন, তত দ্রুত বাংলাদেশ সরকার প্রযুক্তিটি অপব্যবহার রোধে নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থাপনা আয়ত্ব করতে পারেনি। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষনের সুব্যবস্থা করতে পারেননি। '১৯৯৬ ইং সালে শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহন করে প্রযুক্তিটি সর্বসাধরনের ব্যাবহার করার সুযোগ সৃষ্টি করে মোবাইল কোম্পেনী গুলির মনোপলী ব্যাবসা রোধে একক অনুমতির দরজা ভেঙ্গে সকলের ব্যবসার দরজা খুলে দিয়ে অবাধ নেট ওয়ার্ক আমদানীর ব্যবস্থা করে দেয়। সমসাময়ীক সময়ে তথ্য প্রযুক্তি নীর্ভর তরুন প্রজর্ম গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রতিটি জেলাতে একটি করে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়।সেই মোতাবেক বেশ কয়টি জেলায় তদ্রুপ বিশ্ব বিদ্যালয় স্থাপিত হলেও ২০০১ ইং সালের নির্বাচনে ক্ষমতা ত্যাগে সম্পুর্ন প্রজেক্ট নতুন জোট সরকার বাতিল করে দেয়। ২০০৮ ইং সালে মহাজোট বিপুল জনসমর্থনে সরকার গঠন করে প্রজেক্টটি আবার নতুন উদ্যোগে চালু করে। এর সাথে আরো নতুন কিছু প্রজেক্ট সংযুক্ত করে দক্ষ জনবল সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহন করে। প্রযুক্তিটি উপজেলা, ইউনিয়ন পয্যন্ত ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। অবশ্য ২০০৮ ইং সালের নির্বাচনে মহাজোটের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার। ফলে তরুন প্রজম্ম মহাজোটের প্রতি ব্যপক সমর্থন ব্যক্ত করায় বিপুল বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়, এবং মহাজোটের নেত্রী জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। সরকার গঠন করে জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে এক সুদুর প্রসারী, যুগউপযোগী, বিশ্ব সভ্যতার সাথে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার মহাপরিকল্পনার ঘোষনা করেন। পরিকল্পনার বিস্তারীত বিবরন দিতে গিয়ে '২০২১ ইং সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরে তাঁর নীজস্ব ভাবনা "রুপকল্প ২০২১" জনগনকে অবহিত করেন। রুপকল্প ২০২১" ঘোষনা করে স্বল্পমেয়াদি,মধ্যমেয়াদি, দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পিত কর্মসুচি গ্রহন করে ২০১৫ ইং সাল শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ সুফল পেতে শুরু করেছে। বিশ্বব্যাংক নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশকে।২০১৮ ইং সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে বলে দেশী বিদেশী অভিজ্ঞমহল, দাতা সংস্থা সমুহ আশা প্রকাশ করেছেন।উন্নয়নের গতিধারা সমুন্নত রাখার জন্য ২০১৪ ইং সালের সাধারন নির্বাচনের প্রাক্কালে "উন্নত, সমৃদ্ধ,বিজ্ঞান সম্মত,শিল্প সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তর করার জন্য সরকার "রুপ কল্প ২০৪১ " ঘোষনা করে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রনয়ন পুর্বক দেশকে এগিয়ে নিতে এবং সমৃদ্ধ দেশ গঠনে পদ্মা সেতু,রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র,গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মানের মত ব্যয়বহুল বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন।ইতিমধ্যে সফল ভাবে প্রকল্প গুলীর কাজ শুরু হলে, জনমনে আশা উদ্দিপনা সঞ্চার করতে সক্ষম হয়েছে। যে স্বপ্ন নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,সেই ডিজিটালের উলঙ্গ সুবিদা নিয়ে অশুভ শক্তি রাষ্ট্র ও জনগনের স্বস্তি,শান্তি,নিরাপত্তা কেড়ে নিতে উদ্যোগী হচ্ছে বার বার। পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে নাশকতা, জঙ্গিবাদ,উগ্রধর ্মীয় গোষ্টির ৩২ টি সাইট শনাক্ত হয়েছে। সাইটগুলীর উপর গোয়েন্দা সংস্থা নজরদারী অব্যাহত রেখেছে। ২০১৫ইং সালে কয়েকজন ব্লগার হত্যায় সাইট গুলী সক্রিয়ভাবে কাজে লাগানো হয়েছিল।হত্যাকান্ডের পর সাইটগুলি নিষ্ক্রীয় করে এখন পয্যন্ত আর সচল করেনি। সরকার প্রযুক্তিটি নিয়ন্ত্রন, ব্যবহার,সফলতা অর্জনের আগেই বিজ্ঞানের উন্নতি বা প্রযুক্তির ব্যবহার একেবারেই সহ্য করেননা তদীয় শ্রেনীর সামান্য একটি অংশ (কোনভাবেই পার্সেন্টেজের হিসেবে আসেনা) ডিজিটাল প্রযুক্তিটির আরো উন্নত সংস্করনে নাশকতার কাজে ব্যবহারে উৎসাহবোধ বা নিরাপদ মনে করছেন। ইহার ব্যবহার আরামদায়ক বলে গন্য করে যথেচ্ছ ব্যবহার করে দেশে অরাজগতা, নাশকতায় ইন্দন দেয়ার হাতিয়ারে রুপান্তরীত করেছেন। উন্নত দেশের ছেলেমেয়েরা ব্যবহার করে তাঁদের সভ্যতার নিদর্শনকে অনূকরনীয় অনুসরনযোগ্য করে প্রযুক্তি বিক্রি করে,সাইট ভাড়া দিয়ে ডলার আয় করে জীবনের স্বাচ্ছন্দ আনছেন। আমরা তাঁদের সাইট কোটি কোটি ডলার ব্যয়ে ভাড়া নিয়ে অপব্যবহার করে ডেকে আনছি ধ্বংশ, অরাজগতা, নাশকতা, চুরি,ডাকাতি চিনতাইয়ের মত নানাবিধ নেতিবাচক উপসর্গ। এই প্রকৃতির একটি খবর দেশব্যপি আলোড়ন তুলেছিল গত কয়েক মাস আগে। এমনিতর কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক গুলীতে। গত কয়েক বছরে ট্রাস্ট ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ইউসিবিএল ও ঢাকা ব্যাংকের বুথ থেকে ইবিএল কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। ঢাকা ট্রিবিউনে আজকে ১৩/০২ তারিখে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় গত দুই/ তিন দিন চট্রগ্রাম ইস্টার্ন ব্যাংকের সাইট হ্যাক করে কোটি কোটি টাকা তুলে নেওয়ার তথ্য পেয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। " গভীর চিন্তা উদ্রেককারী খবরটি হচ্ছে, এই সমস্ত ডাকাতি,ব্যংক লুটের বৃহদাংশ টাকা জঙ্গী লালনে খরছ করা হচ্ছে বলে গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছেন। আরো বড় চমৎকারিত্ব নিয়ে আর একটা খবর পত্রপত্রিকায় গত ৯/০২ ইং তারিখে প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ সরকারকে তথ্য দিয়েছে,'২০১৫ ইং সালে বিদেশী হত্যাকান্ড বিএনপি জামাতের ইন্দনে হয়েছে।মহাজোট সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তাঁরা এই ন্যক্কার জনক হত্যাকান্ডে উৎসাহ যুগিয়েছে। খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর রাতের পর রাত" টকবাজিদের মুখ থেকে আর মিষ্টিও বের হতে দেখা যাচ্ছেনা।" বিশ্বের বহু উন্নতদেশে পেইজ বুক সহ বহু সামাজিক সাইট বন্ধ থাকলেও তাঁদের দেশের ব্যবহারকারিরা সরকারের সমালোচনা করেনা বা ব্যাঙ্গ করে, কাটুন একে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায়না। জঙ্গী দমনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা মনে করে সরকারকে আরো উৎস খোঁজে বন্ধ করার জন্য উৎসাহীত করে। আমাদের দেশে প্রযুক্তিটি নতুন ব্যবহারকারী হলেও কয়েকদিন সামাজিক সাইট সমুহ বন্ধ থাকায় মৌলিক বাক স্বাধীনতা হরন করেছে বলে একশ্রেনীর স্বার্থান্বেষি মহল চিৎকার চেঁচামেছি শুরু করে দিয়েছিলেন। যিনি উষ্মা প্রকাশ করে ব্যাঙ্গ চিত্র আপলোড করছেন তিনি কস্মিনকালেও চিন্তা করেন নাই রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গ করে বিকল্প উপায়ে সামাজিক সাইট গুলি নিয়মিত ব্যাবহার করে তিনিও রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গ করে অপরাধ করছেন। অথছ ফ্রান্সের মত সভ্য একটা দেশ আমাদের একই সময়ে সামাজিক সাইট সমুহ বন্ধকরে এখন পয্যন্ত বহাল রেছে। তাঁরা সব গেছে বলে হায়হুতাশ করছে তেমনটি পত্রপত্রিকায় দেখা যায়না। যারা এই সমস্ত অপকর্ম, ব্যাঙ্গচিত্র একেছেন, হায় হুতাস করেছেন তাঁরাই জঙ্গিদের সমর্থক বলে আমি মনে করি। প্রযুক্তি সমৃদ্ধি দিচ্ছে ঠিকই কিন্তু কেড়ে নিচ্ছে সুখ।ভাল কাজের বিপরীতে মন্দ কাজও থাকবে,থাকাটাই স্বাভাবিক।আজকের পত্রিকায় আর একটি ইতিবাচক খবর ছোট আকারে সংবাদপত্রে চাপা হয়েছে।গত ১২/০২ইং তাও চট্রগ্রামে বিদেশীর নিকট থেকে ছয় লক্ষ টাকা চিনিয়ে নেয়া চিনতাই কারিরা সিসিক্যামরায় বন্দি আছেন।ছবি সহ খবরটি প্রযুক্তির উপকারিতা চিহ্নিত করলেও অপকারিতা রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার। দেশের শান্তি শৃংখলা,চুরি ডাকাতি,জঙ্গীপনা রোধে, ব্যংক লুট, উগ্র ধর্মীয় জঙ্গিবাদ প্রচারে কঠোর সাইবার আইন প্রয়োজন।ধর্মীয় উগ্রতা, নাস্তিকতা,খোদাদ ্রোহী, ধর্মদ্রোহী রোধে প্রযুক্তিকে কঠোর আইনি বেষ্টনীতে নিয়ে আসা ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নেই। নাস্তিক আমার বিশ্বাস নিয়ে কটাক্ষ করবে ইহা যেমন মানা সম্ভব নয়- তেমনি উগ্রধর্মীয় গোষ্টি আমার প্রীয় শান্তির ধর্ম,মানবতার ধর্মের গায়ে রক্তলেপন করবে ইহাও মেনে নেয়া সম্ভব নহে। কাফের আবু জাহেলকে যে ভাবে নিয়ন্ত্রন করা হয়েছিল ঠিক সেই ভাবেই নাস্তিক নিয়ন্ত্রন করতে হবে।আবার যে উগ্র ধর্মীয় গোষ্টি ইসলামের চার খলিফার মধ্যে তিন খলিফাকেই হত্যা করেছিল, প্রীয় নবীজির আদরের দোহিত্রকে যে উগ্র ধর্মীয় মতবাদের প্রবক্তা ইয়াজিদের প্ররোচনায় হত্যা করেছিল তাঁরাই সেই উগ্রতা আজও অব্যহত রেখেছে। উপসংহারে স্পষ্টত:ই বলা যায়,ফসল যতই হৃষ্টপুষ্ট হোকনা কেন, ছাগল ভেড়া থেকে রক্ষার জন্য ক্ষেতের চতুর্দিকে ভেড়া দিতেই হয়।ভেড়া না দিলে ফসল কৃষকের ভাগ্যন্নয়নে কোন ভুমিকা রাখতে পারেনা।তেমনি ডিজিটাল বাংলাদেশের সমৃদ্ধি নিশ্চিতে,জনকল্যানে প্রযুক্তি ব্যবহারে "প্রযুক্তিকেও কঠোর আইনী বেষ্টনিতে নিয়ে আসার কোন বিকল্প থাকতে পারেনা। ব্যক্তিগতভাবে আমি ৫৭ধারা ৫৭০০ধারা কিছুই বুঝিনা,বুঝার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করিনা।আমি বুঝি প্রযুক্তির অপব্যবহার করে কেহ যাতে জঙ্গীপনা করতে না পারে,ব্যংক লুট করতে না পারে,আমার প্রীয় নেতানেত্রীর বিভৎস ছবি আপলোড করে আমার রাতের ঘুম কেড়ে নিতে না পারে তাঁর নিশ্চয়তা বিধান সরকারকেই করতে হবে। এতে সকারের জনপ্রীয়তা থাকবে কি থাকবেনা সাধারন মানুষের জানার প্রয়োজন নেই। চলবে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা