ডিজিটাল প্রযুক্তি অশুভ শক্তির অপব্যবহার রোধ এবং জনকল্যানে ব্যবহার নিশ্চিতে আইনী কাঠামোর বেষ্টনী সময়ের দাবী-- ===== ===== তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বর্তমান বাংলাদেশ, নতুন প্রজর্ম্মের ছেলে মেয়েদের নিকট অত্যাবশ্যকীয় হয়ে উঠেছে -পেইজ বুক সহ অন্য সব সামাজিক সাইট গুলি। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যাবহার সর্বসাধারনের নাগালের মধ্যে হয়ে উঠার বয়স কিন্তু একেবারেই কম।কম হলেও বেশিরভাগ যুবক যুবতী যে হারে আসক্ত হয়ে পড়েছে অন্য পুরাতন ব্যবহারকারী দেশ সমুহের ছেলে মেয়েরা সমহারে আসক্ত হয়নি। অন্যভাবে বলা যায় আমাদের তরুন প্রজর্ম্ম প্রযুক্তিটি যত বেশি আগ্রহ সহকারে গ্রহন করেছে উন্নত দেশ সমুহের যুবক যুবতীরা তত আগ্রহ সহকারে গ্রহন করেনি। আমাদের দেশের বেশীর ভাগ ছেলে মেয়ে ব্যবহার করে আড্ডায় সময় কাটানোর অন্যতম মাধ্যম হিসেবে। আবার কিছু ছেলেমেয়ে বিনোদনের উপকরন হিসেবে গ্রহন করে সর্বক্ষন পর্ণোসাইট গুলি ঘুরে বেড়ায়।খুব কম সংখ্যক মানুষ আছেন যারা প্রয়োজনীয় কাজে বা উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে এই প্রযুক্তি জনমানুষের ভাগ্য উন্নয়নের চেষ্টায় রত: থাকেন। উন্নত দেশ সমুহের নতুন প্রজর্ম বেশির ভাগই কিন্তু আমাদের প্রজর্ম্মের বিপরীতে অবস্থান। তাঁরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে জ্ঞান অর্জন করছে,অনেকেই টাকা রুজির হাতিয়ারে পরিনত করেছে। উপার্জনের উপযুক্ত মাধ্যমে প্রযুক্তিটিকে পরিনত করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর তনয় জনাব সজীব ওয়াজেদ (জয়)প্রধান মন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মনোনীত হয়ে বিদেশে অর্জীত জ্ঞান দেশের কল্যানে ব্যবহারের জন্য প্রযুক্তিটি যত দ্রুত ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন, তত দ্রুত বাংলাদেশ সরকার প্রযুক্তিটি অপব্যবহার রোধে নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থাপনা আয়ত্ব করতে পারেনি। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষনের সুব্যবস্থা করতে পারেননি। '১৯৯৬ ইং সালে শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহন করে প্রযুক্তিটি সর্বসাধরনের ব্যাবহার করার সুযোগ সৃষ্টি করে মোবাইল কোম্পেনী গুলির মনোপলী ব্যাবসা রোধে একক অনুমতির দরজা ভেঙ্গে সকলের ব্যবসার দরজা খুলে দিয়ে অবাধ নেট ওয়ার্ক আমদানীর ব্যবস্থা করে দেয়। সমসাময়ীক সময়ে তথ্য প্রযুক্তি নীর্ভর তরুন প্রজর্ম গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রতিটি জেলাতে একটি করে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়।সেই মোতাবেক বেশ কয়টি জেলায় তদ্রুপ বিশ্ব বিদ্যালয় স্থাপিত হলেও ২০০১ ইং সালের নির্বাচনে ক্ষমতা ত্যাগে সম্পুর্ন প্রজেক্ট নতুন জোট সরকার বাতিল করে দেয়। ২০০৮ ইং সালে মহাজোট বিপুল জনসমর্থনে সরকার গঠন করে প্রজেক্টটি আবার নতুন উদ্যোগে চালু করে। এর সাথে আরো নতুন কিছু প্রজেক্ট সংযুক্ত করে দক্ষ জনবল সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহন করে। প্রযুক্তিটি উপজেলা, ইউনিয়ন পয্যন্ত ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। অবশ্য ২০০৮ ইং সালের নির্বাচনে মহাজোটের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার। ফলে তরুন প্রজম্ম মহাজোটের প্রতি ব্যপক সমর্থন ব্যক্ত করায় বিপুল বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়, এবং মহাজোটের নেত্রী জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। সরকার গঠন করে জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে এক সুদুর প্রসারী, যুগউপযোগী, বিশ্ব সভ্যতার সাথে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার মহাপরিকল্পনার ঘোষনা করেন। পরিকল্পনার বিস্তারীত বিবরন দিতে গিয়ে '২০২১ ইং সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরে তাঁর নীজস্ব ভাবনা "রুপকল্প ২০২১" জনগনকে অবহিত করেন। রুপকল্প ২০২১" ঘোষনা করে স্বল্পমেয়াদি,মধ্যমেয়াদি, দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পিত কর্মসুচি গ্রহন করে ২০১৫ ইং সাল শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ সুফল পেতে শুরু করেছে। বিশ্বব্যাংক নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশকে।২০১৮ ইং সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে বলে দেশী বিদেশী অভিজ্ঞমহল, দাতা সংস্থা সমুহ আশা প্রকাশ করেছেন।উন্নয়নের গতিধারা সমুন্নত রাখার জন্য ২০১৪ ইং সালের সাধারন নির্বাচনের প্রাক্কালে "উন্নত, সমৃদ্ধ,বিজ্ঞান সম্মত,শিল্প সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তর করার জন্য সরকার "রুপ কল্প ২০৪১ " ঘোষনা করে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রনয়ন পুর্বক দেশকে এগিয়ে নিতে এবং সমৃদ্ধ দেশ গঠনে পদ্মা সেতু,রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র,গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মানের মত ব্যয়বহুল বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন।ইতিমধ্যে সফল ভাবে প্রকল্প গুলীর কাজ শুরু হলে, জনমনে আশা উদ্দিপনা সঞ্চার করতে সক্ষম হয়েছে। যে স্বপ্ন নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,সেই ডিজিটালের উলঙ্গ সুবিদা নিয়ে অশুভ শক্তি রাষ্ট্র ও জনগনের স্বস্তি,শান্তি,নিরাপত্তা কেড়ে নিতে উদ্যোগী হচ্ছে বার বার। পত্র পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে নাশকতা, জঙ্গিবাদ,উগ্রধর ্মীয় গোষ্টির ৩২ টি সাইট শনাক্ত হয়েছে। সাইটগুলীর উপর গোয়েন্দা সংস্থা নজরদারী অব্যাহত রেখেছে। ২০১৫ইং সালে কয়েকজন ব্লগার হত্যায় সাইট গুলী সক্রিয়ভাবে কাজে লাগানো হয়েছিল।হত্যাকান্ডের পর সাইটগুলি নিষ্ক্রীয় করে এখন পয্যন্ত আর সচল করেনি। সরকার প্রযুক্তিটি নিয়ন্ত্রন, ব্যবহার,সফলতা অর্জনের আগেই বিজ্ঞানের উন্নতি বা প্রযুক্তির ব্যবহার একেবারেই সহ্য করেননা তদীয় শ্রেনীর সামান্য একটি অংশ (কোনভাবেই পার্সেন্টেজের হিসেবে আসেনা) ডিজিটাল প্রযুক্তিটির আরো উন্নত সংস্করনে নাশকতার কাজে ব্যবহারে উৎসাহবোধ বা নিরাপদ মনে করছেন। ইহার ব্যবহার আরামদায়ক বলে গন্য করে যথেচ্ছ ব্যবহার করে দেশে অরাজগতা, নাশকতায় ইন্দন দেয়ার হাতিয়ারে রুপান্তরীত করেছেন। উন্নত দেশের ছেলেমেয়েরা ব্যবহার করে তাঁদের সভ্যতার নিদর্শনকে অনূকরনীয় অনুসরনযোগ্য করে প্রযুক্তি বিক্রি করে,সাইট ভাড়া দিয়ে ডলার আয় করে জীবনের স্বাচ্ছন্দ আনছেন। আমরা তাঁদের সাইট কোটি কোটি ডলার ব্যয়ে ভাড়া নিয়ে অপব্যবহার করে ডেকে আনছি ধ্বংশ, অরাজগতা, নাশকতা, চুরি,ডাকাতি চিনতাইয়ের মত নানাবিধ নেতিবাচক উপসর্গ। এই প্রকৃতির একটি খবর দেশব্যপি আলোড়ন তুলেছিল গত কয়েক মাস আগে। এমনিতর কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক গুলীতে। গত কয়েক বছরে ট্রাস্ট ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ইউসিবিএল ও ঢাকা ব্যাংকের বুথ থেকে ইবিএল কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। ঢাকা ট্রিবিউনে আজকে ১৩/০২ তারিখে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় গত দুই/ তিন দিন চট্রগ্রাম ইস্টার্ন ব্যাংকের সাইট হ্যাক করে কোটি কোটি টাকা তুলে নেওয়ার তথ্য পেয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। " গভীর চিন্তা উদ্রেককারী খবরটি হচ্ছে, এই সমস্ত ডাকাতি,ব্যংক লুটের বৃহদাংশ টাকা জঙ্গী লালনে খরছ করা হচ্ছে বলে গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছেন। আরো বড় চমৎকারিত্ব নিয়ে আর একটা খবর পত্রপত্রিকায় গত ৯/০২ ইং তারিখে প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ সরকারকে তথ্য দিয়েছে,'২০১৫ ইং সালে বিদেশী হত্যাকান্ড বিএনপি জামাতের ইন্দনে হয়েছে।মহাজোট সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তাঁরা এই ন্যক্কার জনক হত্যাকান্ডে উৎসাহ যুগিয়েছে। খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর রাতের পর রাত" টকবাজিদের মুখ থেকে আর মিষ্টিও বের হতে দেখা যাচ্ছেনা।" বিশ্বের বহু উন্নতদেশে পেইজ বুক সহ বহু সামাজিক সাইট বন্ধ থাকলেও তাঁদের দেশের ব্যবহারকারিরা সরকারের সমালোচনা করেনা বা ব্যাঙ্গ করে, কাটুন একে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায়না। জঙ্গী দমনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা মনে করে সরকারকে আরো উৎস খোঁজে বন্ধ করার জন্য উৎসাহীত করে। আমাদের দেশে প্রযুক্তিটি নতুন ব্যবহারকারী হলেও কয়েকদিন সামাজিক সাইট সমুহ বন্ধ থাকায় মৌলিক বাক স্বাধীনতা হরন করেছে বলে একশ্রেনীর স্বার্থান্বেষি মহল চিৎকার চেঁচামেছি শুরু করে দিয়েছিলেন। যিনি উষ্মা প্রকাশ করে ব্যাঙ্গ চিত্র আপলোড করছেন তিনি কস্মিনকালেও চিন্তা করেন নাই রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গ করে বিকল্প উপায়ে সামাজিক সাইট গুলি নিয়মিত ব্যাবহার করে তিনিও রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গ করে অপরাধ করছেন। অথছ ফ্রান্সের মত সভ্য একটা দেশ আমাদের একই সময়ে সামাজিক সাইট সমুহ বন্ধকরে এখন পয্যন্ত বহাল রেছে। তাঁরা সব গেছে বলে হায়হুতাশ করছে তেমনটি পত্রপত্রিকায় দেখা যায়না। যারা এই সমস্ত অপকর্ম, ব্যাঙ্গচিত্র একেছেন, হায় হুতাস করেছেন তাঁরাই জঙ্গিদের সমর্থক বলে আমি মনে করি। প্রযুক্তি সমৃদ্ধি দিচ্ছে ঠিকই কিন্তু কেড়ে নিচ্ছে সুখ।ভাল কাজের বিপরীতে মন্দ কাজও থাকবে,থাকাটাই স্বাভাবিক।আজকের পত্রিকায় আর একটি ইতিবাচক খবর ছোট আকারে সংবাদপত্রে চাপা হয়েছে।গত ১২/০২ইং তাও চট্রগ্রামে বিদেশীর নিকট থেকে ছয় লক্ষ টাকা চিনিয়ে নেয়া চিনতাই কারিরা সিসিক্যামরায় বন্দি আছেন।ছবি সহ খবরটি প্রযুক্তির উপকারিতা চিহ্নিত করলেও অপকারিতা রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার। দেশের শান্তি শৃংখলা,চুরি ডাকাতি,জঙ্গীপনা রোধে, ব্যংক লুট, উগ্র ধর্মীয় জঙ্গিবাদ প্রচারে কঠোর সাইবার আইন প্রয়োজন।ধর্মীয় উগ্রতা, নাস্তিকতা,খোদাদ ্রোহী, ধর্মদ্রোহী রোধে প্রযুক্তিকে কঠোর আইনি বেষ্টনীতে নিয়ে আসা ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নেই। নাস্তিক আমার বিশ্বাস নিয়ে কটাক্ষ করবে ইহা যেমন মানা সম্ভব নয়- তেমনি উগ্রধর্মীয় গোষ্টি আমার প্রীয় শান্তির ধর্ম,মানবতার ধর্মের গায়ে রক্তলেপন করবে ইহাও মেনে নেয়া সম্ভব নহে। কাফের আবু জাহেলকে যে ভাবে নিয়ন্ত্রন করা হয়েছিল ঠিক সেই ভাবেই নাস্তিক নিয়ন্ত্রন করতে হবে।আবার যে উগ্র ধর্মীয় গোষ্টি ইসলামের চার খলিফার মধ্যে তিন খলিফাকেই হত্যা করেছিল, প্রীয় নবীজির আদরের দোহিত্রকে যে উগ্র ধর্মীয় মতবাদের প্রবক্তা ইয়াজিদের প্ররোচনায় হত্যা করেছিল তাঁরাই সেই উগ্রতা আজও অব্যহত রেখেছে। উপসংহারে স্পষ্টত:ই বলা যায়,ফসল যতই হৃষ্টপুষ্ট হোকনা কেন, ছাগল ভেড়া থেকে রক্ষার জন্য ক্ষেতের চতুর্দিকে ভেড়া দিতেই হয়।ভেড়া না দিলে ফসল কৃষকের ভাগ্যন্নয়নে কোন ভুমিকা রাখতে পারেনা।তেমনি ডিজিটাল বাংলাদেশের সমৃদ্ধি নিশ্চিতে,জনকল্যানে প্রযুক্তি ব্যবহারে "প্রযুক্তিকেও কঠোর আইনী বেষ্টনিতে নিয়ে আসার কোন বিকল্প থাকতে পারেনা। ব্যক্তিগতভাবে আমি ৫৭ধারা ৫৭০০ধারা কিছুই বুঝিনা,বুঝার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করিনা।আমি বুঝি প্রযুক্তির অপব্যবহার করে কেহ যাতে জঙ্গীপনা করতে না পারে,ব্যংক লুট করতে না পারে,আমার প্রীয় নেতানেত্রীর বিভৎস ছবি আপলোড করে আমার রাতের ঘুম কেড়ে নিতে না পারে তাঁর নিশ্চয়তা বিধান সরকারকেই করতে হবে। এতে সকারের জনপ্রীয়তা থাকবে কি থাকবেনা সাধারন মানুষের জানার প্রয়োজন নেই। চলবে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন