২১শের চেতনা নস্যাতে-মেজর জিয়া ধর্মকেই হাতিয়ার করছিল--- ================================= ফেব্রুয়ারী মাস বাঙ্গালী জাতির জন্য এক অনন্য মাস।১৯৫২ ইং সালের ২১ফেব্রুয়ারী ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তা বোধের যে চেতনা বাঙ্গালী মননে চুড়ান্ত রেখাপাত করেছিল,তাঁরই ধারাবাহিকতায় বাঙ্গালীরা ১৯৭১ ইং সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে।তাই সঙ্গত কারনে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকারে রুপ পরিগ্রহ করে সর্বস্তরের বাঙ্গালীদের ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তাবোধ, অবশ্য অখন্ড পাকিস্তানের পুর্বাংশে বসবাসরত হিন্দূ-মুসলিম বাঙলা ভাষাবাসির মধ্যেই ভাষা আন্দোলনের বিস্তৃতি ঘটেছিল। তাই আন্দোলনের প্রাথমিক পয্যায় থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতার চরিত্র ও বৈশিষ্টে ভাষা আন্দোলনের মুল চেতনার রুপ পরিগ্রহ করে।তাছাড়া এই এলাকায় বসবাসরত হিন্দু, মুসলিম বাংলা ভাষাবাসি বাঙ্গালীদের সংস্কৃতি কৃষ্টি, চালচলন,আচার আচরন, উৎসব পার্বন আবহমানকাল থেকে একই বৃত্তে বন্দি হওয়ায় উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে অভাবনীয় মিল খোঁজে পাওয়া যায়। বাঁচার তাগিদে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া মেজর জিয়া দ্বি-জাতিতত্বের পাকিস্তানী ধারাকে প্রতিষ্ঠিত করার মানষে কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে অনুসরন করে এই ক্ষেত্রেও বাঙ্গালী সরলপ্রান মুসলমানদের ধোঁকা দিয়ে স্বার্থ্য সিদ্ধির উদ্দেশ্যে নীজে এবং তাঁর পরিবার সম্পুর্ন পাশ্চাত্য ধারায় জীবন যাপনে অভ্যস্ততা সত্বেও ক্ষমতা দখলের প্রারম্ভে প্রথম জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষনে "বিসমিল্লাহ হির রাহ মানির রাহিম" উচ্চারন করে ভাষন শুরু করেন। যদিও আরবী চর্চায় অনভ্যস্ততার কারনে উচ্চারনে যথেষ্ট অসংগতি সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়।একই চিত্র তাঁর নাজায়েজ সহধর্মীনি বেগম জিয়ার ক্ষেত্রেও একই ধারাবাহিকতা দেখা যায়। আবহমান বাঙ্গালী মুসলমান নারীদের চিরায়ত রীতি মাথায় ঘোমটা পরিধান করে চলাপেরা করা।বেগম জিয়ার ক্ষেত্রে তা কখনও দেখা যায়নি,এখনও দেখা যায়না।অথছ সরল প্রান মুসলমানদের সস্তা ধর্মীয় অনুভুতিকে রাজনীতি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে সাম্প্রদায়িকতার পুরাতন ধারা পিরিয়ে আনে। বিদেশী উপনিবেশিক শাষকদের অনুকরনে শোষনের ধারা অব্যাহত রাখতে অতীতের পাকিস্তানী শাষকদের মতই ধর্মীয়জ্ঞানে সমৃদ্ধ না হওয়া সত্বেও ধর্মকে ডাল হিসেবে ব্যবহার করার নীতি গ্রহন করে। ভাষা শহীদদের ত্যাগের বিনিময়ে গড়ে উঠা অসাম্প্রদায়ীক চেতনাকে কবর দিয়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাস্প ছড়িয়ে দেয়। সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা উচ্ছেদ করার পরিকল্পনাই এসেছে পাকিস্তানি সাম্প্রদায়িক চেতনার উৎস থেকে।সেন্টিমেন্ট থেকে। ভাষা আন্দোলন ছিল সর্বতোভাবে ধর্মনিরপেক্ষ আন্দোলন। জিয়াউর রহমান সামরীক ফরমান জারি করে ‘বাংলাদেশি’ শব্দের আড়ালে ভাষা আন্দোলনের স্পর্ধাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৭২-এ প্রণীত সংবিধানকে তিনি ইসলামিকরণ করে ভাষা আন্দোলনের চেতনায় গড়ে উঠা মহান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারকে বাঙ্গালী জাতীয়তা বোধকে কবর দিয়েছিলেন। তিনি ক্ষমতায় আরোহন করেই বিসমিল্লাহ করে প্রথমে জাতির জনকের সরকার কতৃক "মদ জুয়া" নিষিদ্ধ করে জাতীয় সংসদে পাশ করা আইন বাতিল করে দেন।অবাধে মদ জুয়ার লাইসেন্স প্রদান করে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির পথ পরিস্কার করে দেন। জাতির জনকের সরকার কতৃক অনৈসলামিক কর্মকান্ড রোধে পতিতাবৃত্তি সহ উলঙ্গনৃত্য রোধে বিধিনীষেদ প্রত্যাহার করে পতিতাবৃত্তির লাইসেন্স প্রথা চালু করেন। যুবকদের নৈতিক পদস্থলনের অন্যতম উপায় উলঙ্গনৃত্য চালু করে দেশব্যাপি চরম অপসংস্কৃতি লালনের লীলাভুমিতে পরিনত করেন।তৎসময়ে উদ্ভব হয় প্রিন্সেস সংস্কৃতি,পালিয়ে যায় বাংলার ঐতিহ্যের জারি,সারি,পালাগান, যাত্রা আর পুথির সংস্কৃতি।জায়গা করে নেয় প্রিন্সেস জরিনা, প্রিন্সেস ডলি,প্রিন্সেস রত্মা নামে অসংখ্য অগনিত অপসংস্কৃতির কীট। জাতির জনকের সরকার"তথাকথিত" ইসলামী পাকিস্তানী সরকার " কতৃক উপমহাদেশের বৃহত্তর জুয়ার আসর "রেস কোর্স ময়দানকে" ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জুয়ার (বড় আসর) প্রচলন নিষিদ্ধ করে তথায় গাছের বাগান করে বাংলার স্বাধীনতার অন্যতম আর এক মনিষী হোসেন শহীদ সরওয়ার্দীর নামে "সরওয়ার্দী উদ্যান " নামকরন করেন। সচুতুর মেজর জিয়া মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে জাতিকে প্রস্তুতিমুলক, দিকনির্দেশনামুলক জাতির জনকের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষনের স্পৃহা জনমন থেকে মুছে দেয়ার লক্ষে এবং বাংলার আর এক ঐতিহাসিক ব্যাক্তিত্বের নাম মুছে দেয়ার লক্ষে তথায় শিশুপার্ক করে।উদ্দেশ্য ছিল সরোওয়ার্দী উদ্যানকে ভীন্ননামে আগামী প্রজম্মের নিকট তুলে ধরা। আল্লাহ তাঁর রাসুলের মাধ্যমে প্রেরন করেছিলেন বিশ্বমানবতার মুক্তির ধর্ম ইসলাম,পৃথিবীর পথভ্রষ্ট মানব জাতিকে পথ দেখানোর জন্য সার্বজনীন করে।একক কোন জাত গোষ্টিকে অপব্যবহার করার জন্য নহে।ইসলামকে একক ব্যবহার করতে গেলেই তাঁর সার্বজনীনতার ব্যাঘাত ঘটে।তাই মহান আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল স্ব স্ব মাতৃভাষার মর্যাদা দিয়েছিলেন, দেশপ্রেমের মর্যাদা দিয়েছিলেন। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স:)দশম হিজরির ৮ জিলহজ সমগ্র মানব্জাতির উদ্দেশ্যে তার বিদায় হজ্বের মহামুল্যবান ভাষণটি দেন। ঐ ভাষন সম্পর্কে মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ তার ‘বিদায় হজ’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন মহানবী কীভাবে তার ভাষণটি শুরু করেছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘নবী প্রথমে আকাশের দিকে চাহিয়া তাহার প্রভুর প্রশংসা ও শোকর গোযারি করিলেন এবং তারপর উদাত্ত কণ্ঠে তাঁর বক্তৃতা প্রদান শুরু করিলেন।" অর্থাৎ মহানবীও ‘বিসমিল্লাহ’ বলে ভাষণটি শুরু করেননি। সৃষ্টির আদিকাল থেকে চলে আসা মানব সভ্যতার প্রথম ও প্রধান চুক্তি বা সংবিধান বা আইন যাই বলিনা কেন "মদীনা সনদ"।মদিনা সনদের প্রারম্ভেও ‘বিসমিল্লাহ’ লেখা নেই। মহান আল্লহর অশেষ মেহেরবানীতে নবী করিমের কায্যাদি নির্বাহ যদি হয়ে থাকতো আল্লাহর হুকুমেই তবে তিনিও কি ভুল করেছিলেন? আল্লাহ তাঁর প্রেরিত সার্বজনীন ধর্মকে এককত্বের পিঞ্জরে বন্দি করে তাঁর শ্রেষ্ঠত্বকে সামান্যতম খাটো হতে দেননি। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ধর্মীয় ভণ্ডামি থেকে মেজর জিয়া সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহ’ সংযোজন করেন। জাতীয় সংবিধান একটি সর্বজনীন দলিল। সেই দলিলে একটি ধর্মের প্রাধান্যের ঘোষণা লিপিবদ্ধ করা হলে সেই সংবিধান সাম্প্রদায়িক দলিলে রূপান্তরিত হয়। জিয়া সেই কাজটি করেছেন অবলিলায়। জাতির জনকের রাজনীতির,জতীয়তাবোধের উৎপত্তি,বাঙ্গালীর স্বাতন্ত্রতাবোধের চেতনার উৎস ভাষা আন্দোলনের অপরিসিম শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য। ভাষা আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জিয়া বিশ্বাস করতেন না। উচ্চাবিলাসী নিলজ্জ জিয়া ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ বেতারে নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা দিয়ে সমগ্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। চাপের মুখে সাথে সাথে বেহায়া জিয়া আবার প্রত্যাহারও করেছিলেন। তাঁর সম্পুর্ন কর্মকান্ড পয্যালোছনা করলে স্পষ্ট যে, তিনি পরিবেশের চাপে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি অত্যন্ত অল্প সময়ের জন্য সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি অনেক ক্যাম্পে মুজিবনগর সরকারের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। সেই প্রমানাদিও জাতির জনককে দেয়া হয়েছিল। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু খবর পেয়েছিলেন পাকিস্তান থেকে ‘সোয়াত’ জাহাজে অস্ত্র আসছে চট্রগ্রাম বন্দরে। এই খবর পেয়ে বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামের অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রধান মেজর জিয়াউর রহমানের কাছে লোক মারফত খবর পাঠান যেন চট্টগ্রামে ‘সোয়াত’ থেকে যেন অস্ত্র না নামানো হয়--জিয়া বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মান্য করেননি। বঙ্গবন্ধু আর জিয়ার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। ড. রফিকুল ইসলাম সম্পাদিত "সম্মুখ সমরে বাঙালি" বইয়ে সংকলিত ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের প্রবন্ধে তথ্যটি দেয়া আছে। আবদুল মতিনের বইতে লেখা আছে জেনারেল ওসমানী জিয়াকে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন বেঈমানির কারনে ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে মৃত্যুদন্ড দিতে চেয়েছিলেন। প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের হস্তক্ষেপে তা সম্ভব হয়নি। অথচ ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জিয়ার জ্ঞাতসারেই খন্দকার মোশতাক ডালিম-ফারুকদের কেন্দ্রীয় কারাগারে "জাতীয় চার নেতা হত্যার" নির্দেশ দিয়েছিলেন মেজর জিয়া।জিয়া ক্ষমতার মুল মসনদ দখল করার আগে ঠান্ডামাথায় প্রতিপক্ষ মুক্তিযুদ্ধা সেনা অফিসার নিধন প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। জিয়া প্রথমেই তাঁর জীবনদাতা খালেদ মোশারফ, কর্নেল তাহেরকে হত্যা করে তাঁর হত্যা মিশন শুরু করেছিলেন। ক্ষমতায় গিয়ে কাল্পনিক অভ্যুত্থানের নাটক সাজিয়ে হাজার হাজার মুক্তিযুদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে ক্ষমতা নিস্কন্টক করতে চেয়েছিলেন। দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর সরকার অবিভক্ত বাংলার সিভিল সার্জেন্ট ও প্রাক্তন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের সচিব এ রবকে প্রধান করে জাতীয় পে-কমিশন গঠন করেন। কমিশনকে সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বেতনের স্কেল নির্ধারণের পরামর্শ দেয়া হয়। কমিশন তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে বুলগেরিয়া, যুগোশ্লাভিয়া ও পূর্ব জার্মানিতে সে দেশের পে-পলিসি সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ করার জন্য প্রেরণ করেন। সে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন জিয়াউর রহমান। অথচ এই পে-কমিশনের একজন প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর জন্য যে গ্রেডের ও পে-স্কেলের সুপারিশ করেন তা সেনাবাহিনীতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর সমর্থন সরকারের উপর না থাকার জন্যই কাজটি করেছিলেন। সেনা বাহিনীর মাথা গরম করার জন্য এই কৌশল গ্রহণ করেছিলেন বলে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা অওরবর্তিতে একাদিক সাক্ষাৎকারে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। বিষয়টি সম্পর্কে বিষদভাবে উল্লেখ আছে (অধ্যাপক আবু সাইয়িদ-বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ফ্যাক্টস্ এন্ড ডকুমেন্টস পৃ : ৯৮) মুক্তি যুদ্ধের সময় জেনারেল ওসমানীকে সেনাপ্রধানের পদ থেকে অপসারণের চক্রান্ত, সর্বোপরি যুুদ্ধের সময় সর্বক্ষেত্রে তার অদক্ষতা ও ব্যর্থতার জন্য মুজিবনগর সরকার কর্তৃক কায্যত:" জেডফোর্স "ভেঙেদেয়া ইত্যাদি কারণে সেনাপ্রধান পদে তার নিয়োগ ওসমানী এবং তাজউদ্দীন আহমদ দুজনেরই ঘোর অসম্মতি ছিল। (আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী- বাংলাদেশ ও সেনাবাহিনী পৃ : ১৫)বইটিতে পুর্নাঙ্গ তথ্য দেয়া আছে। জিয়াউর রহমানের উচ্চাভিলাষ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগ নেতারা সচেতন ছিলেন। জেনারেল ওসমানীও সন্দিহান ছিলেন। এ সময় জিয়াকে পূর্ব জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কৌশলী জিয়া কর্নেল খুরশিদের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর কাছে সুপারিশ পাঠান। তাতে কাজ নাহওয়াতে কর্নেল হামিদকে ধরে, আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েলকে ব্যবহার করে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে সক্ষম হন। (কর্নেল হামিদ- তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা)।বইটিতে তথ্য সন্নেবেশিত রয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার ১০ দিন পর উপ সেনাপ্রধান থেকে সেনাপ্রধান, আড়াই মাস পর সেনাপ্রধান এবং ডেপুটি সামরিক আইন প্রশাসক, আধা বছর পর সেনাপ্রধান এবং প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, স্বরাষ্ট্র, তথ্য ও অর্থমন্ত্রী, সোয়া এক বছর পর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতি হন। হুবহু মীর কাশিমের চরিত্র যেন নকল করা।’ (মিনা ফারাহ- হিটলার থেকে জিয়া, পৃ : ৬৭)। সুপ্রিয় পাঠকগনলক্ষ করলে দেখা যায়-- বাঙ্গালী, বাংলাদেশ,বাঙ্গালী জাতিকে নিয়ে যতবারই ষড়যন্ত্রের জাল পাতা হয়েছে ততবারই পবিত্র ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করা হয়েছে।বারবার যত্রতত্র এই মহান শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে ধর্মের আবেদনকে তাঁরা নষ্ট করেছে।তাই দেখা যায়, মাল্টিপারপাস খ্যাত বা ইসলামী অর্থলগ্নিকারি প্রতিষ্ঠান সমুহ যত্রতত্র ইসলামী পবিত্র "শব্দসমুহ "ব্যবহার করে "সুদের মত" হারাম ব্যবসায় জড়াতেও বাংলাদেশের মুসলমান ভাইয়েরা দ্বিধাবোধ করছেনা। যতবারই ইসলামকে বা ইসলাম ধর্মকে সামনে রেখে কায্যসীদ্ধির চেষ্টা হয়েছে,ততবারই ইসলাম সম্পর্কে সামান্যতম জ্ঞান বহন করেনা-এমন ব্যাক্তিরাই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। পাকিস্তান সৃষ্টি থেকে অদ্যাবদি নন্যুন্নতম ইসলামী অনুশাষন না মানা ব্যক্তিরাই, ইসলামের বা ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়ে নেতৃত্ব দেয়ার চেষ্টা করেছে। বাঙ্গালী জাতি বার বার তাঁদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ধর্মব্যবসায়ীদের চক্রান্ত রুখে দিয়েছে। পাকিস্তান সৃষ্টির দ্বিজাতি তত্ব থেকে বিগত শাফলাচত্বরে সফি সাহেবের অবস্থান পয্যন্ত একই ধারাবাহিকতার প্রমান দেয়।কায়েদে আজমের ইসলাম থেকে বেগম জিয়ার সাম্প্রতিক সফি হুজুরের শাফলা চত্বরে অবস্থানকে সরকার উৎখাতের ঘোষনা একই গোলক ধাঁধায় আবর্তিত। >>>>>>>>>>>>>>চলবে>>>>>>>>>>>>>>>>>> জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

    বাঙ্গালীর হাজার বছরে গড়ে উঠা ইতিহাস ঐতিহ্যকে মুছে দিয়ে,আবহমানকাল থেকে লালিত সংস্কৃতি কৃষ্টিকে বিজাতীয় ভাবধারার সংমিশ্রন ঘটিয়ে ঐতিহ্য নষ্ট করে দীর্ঘদিন শাষন শোষনের পথ পরিস্কার করেছিলেন।একাজে সর্বাজ্ঞে ব্যবহার করেছেন মানুষের পবিত্র ধর্মীয় অনুভুতিকে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা