২১শের চেতনা নস্যাতে-মেজর জিয়া ধর্মকেই হাতিয়ার করছিল--- ================================= ফেব্রুয়ারী মাস বাঙ্গালী জাতির জন্য এক অনন্য মাস।১৯৫২ ইং সালের ২১ফেব্রুয়ারী ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তা বোধের যে চেতনা বাঙ্গালী মননে চুড়ান্ত রেখাপাত করেছিল,তাঁরই ধারাবাহিকতায় বাঙ্গালীরা ১৯৭১ ইং সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে।তাই সঙ্গত কারনে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকারে রুপ পরিগ্রহ করে সর্বস্তরের বাঙ্গালীদের ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তাবোধ, অবশ্য অখন্ড পাকিস্তানের পুর্বাংশে বসবাসরত হিন্দূ-মুসলিম বাঙলা ভাষাবাসির মধ্যেই ভাষা আন্দোলনের বিস্তৃতি ঘটেছিল। তাই আন্দোলনের প্রাথমিক পয্যায় থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতার চরিত্র ও বৈশিষ্টে ভাষা আন্দোলনের মুল চেতনার রুপ পরিগ্রহ করে।তাছাড়া এই এলাকায় বসবাসরত হিন্দু, মুসলিম বাংলা ভাষাবাসি বাঙ্গালীদের সংস্কৃতি কৃষ্টি, চালচলন,আচার আচরন, উৎসব পার্বন আবহমানকাল থেকে একই বৃত্তে বন্দি হওয়ায় উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে অভাবনীয় মিল খোঁজে পাওয়া যায়। বাঁচার তাগিদে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া মেজর জিয়া দ্বি-জাতিতত্বের পাকিস্তানী ধারাকে প্রতিষ্ঠিত করার মানষে কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে অনুসরন করে এই ক্ষেত্রেও বাঙ্গালী সরলপ্রান মুসলমানদের ধোঁকা দিয়ে স্বার্থ্য সিদ্ধির উদ্দেশ্যে নীজে এবং তাঁর পরিবার সম্পুর্ন পাশ্চাত্য ধারায় জীবন যাপনে অভ্যস্ততা সত্বেও ক্ষমতা দখলের প্রারম্ভে প্রথম জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষনে "বিসমিল্লাহ হির রাহ মানির রাহিম" উচ্চারন করে ভাষন শুরু করেন। যদিও আরবী চর্চায় অনভ্যস্ততার কারনে উচ্চারনে যথেষ্ট অসংগতি সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়।একই চিত্র তাঁর নাজায়েজ সহধর্মীনি বেগম জিয়ার ক্ষেত্রেও একই ধারাবাহিকতা দেখা যায়। আবহমান বাঙ্গালী মুসলমান নারীদের চিরায়ত রীতি মাথায় ঘোমটা পরিধান করে চলাপেরা করা।বেগম জিয়ার ক্ষেত্রে তা কখনও দেখা যায়নি,এখনও দেখা যায়না।অথছ সরল প্রান মুসলমানদের সস্তা ধর্মীয় অনুভুতিকে রাজনীতি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে সাম্প্রদায়িকতার পুরাতন ধারা পিরিয়ে আনে। বিদেশী উপনিবেশিক শাষকদের অনুকরনে শোষনের ধারা অব্যাহত রাখতে অতীতের পাকিস্তানী শাষকদের মতই ধর্মীয়জ্ঞানে সমৃদ্ধ না হওয়া সত্বেও ধর্মকে ডাল হিসেবে ব্যবহার করার নীতি গ্রহন করে। ভাষা শহীদদের ত্যাগের বিনিময়ে গড়ে উঠা অসাম্প্রদায়ীক চেতনাকে কবর দিয়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাস্প ছড়িয়ে দেয়। সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা উচ্ছেদ করার পরিকল্পনাই এসেছে পাকিস্তানি সাম্প্রদায়িক চেতনার উৎস থেকে।সেন্টিমেন্ট থেকে। ভাষা আন্দোলন ছিল সর্বতোভাবে ধর্মনিরপেক্ষ আন্দোলন। জিয়াউর রহমান সামরীক ফরমান জারি করে ‘বাংলাদেশি’ শব্দের আড়ালে ভাষা আন্দোলনের স্পর্ধাকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৭২-এ প্রণীত সংবিধানকে তিনি ইসলামিকরণ করে ভাষা আন্দোলনের চেতনায় গড়ে উঠা মহান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারকে বাঙ্গালী জাতীয়তা বোধকে কবর দিয়েছিলেন। তিনি ক্ষমতায় আরোহন করেই বিসমিল্লাহ করে প্রথমে জাতির জনকের সরকার কতৃক "মদ জুয়া" নিষিদ্ধ করে জাতীয় সংসদে পাশ করা আইন বাতিল করে দেন।অবাধে মদ জুয়ার লাইসেন্স প্রদান করে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির পথ পরিস্কার করে দেন। জাতির জনকের সরকার কতৃক অনৈসলামিক কর্মকান্ড রোধে পতিতাবৃত্তি সহ উলঙ্গনৃত্য রোধে বিধিনীষেদ প্রত্যাহার করে পতিতাবৃত্তির লাইসেন্স প্রথা চালু করেন। যুবকদের নৈতিক পদস্থলনের অন্যতম উপায় উলঙ্গনৃত্য চালু করে দেশব্যাপি চরম অপসংস্কৃতি লালনের লীলাভুমিতে পরিনত করেন।তৎসময়ে উদ্ভব হয় প্রিন্সেস সংস্কৃতি,পালিয়ে যায় বাংলার ঐতিহ্যের জারি,সারি,পালাগান, যাত্রা আর পুথির সংস্কৃতি।জায়গা করে নেয় প্রিন্সেস জরিনা, প্রিন্সেস ডলি,প্রিন্সেস রত্মা নামে অসংখ্য অগনিত অপসংস্কৃতির কীট। জাতির জনকের সরকার"তথাকথিত" ইসলামী পাকিস্তানী সরকার " কতৃক উপমহাদেশের বৃহত্তর জুয়ার আসর "রেস কোর্স ময়দানকে" ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জুয়ার (বড় আসর) প্রচলন নিষিদ্ধ করে তথায় গাছের বাগান করে বাংলার স্বাধীনতার অন্যতম আর এক মনিষী হোসেন শহীদ সরওয়ার্দীর নামে "সরওয়ার্দী উদ্যান " নামকরন করেন। সচুতুর মেজর জিয়া মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে জাতিকে প্রস্তুতিমুলক, দিকনির্দেশনামুলক জাতির জনকের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষনের স্পৃহা জনমন থেকে মুছে দেয়ার লক্ষে এবং বাংলার আর এক ঐতিহাসিক ব্যাক্তিত্বের নাম মুছে দেয়ার লক্ষে তথায় শিশুপার্ক করে।উদ্দেশ্য ছিল সরোওয়ার্দী উদ্যানকে ভীন্ননামে আগামী প্রজম্মের নিকট তুলে ধরা। আল্লাহ তাঁর রাসুলের মাধ্যমে প্রেরন করেছিলেন বিশ্বমানবতার মুক্তির ধর্ম ইসলাম,পৃথিবীর পথভ্রষ্ট মানব জাতিকে পথ দেখানোর জন্য সার্বজনীন করে।একক কোন জাত গোষ্টিকে অপব্যবহার করার জন্য নহে।ইসলামকে একক ব্যবহার করতে গেলেই তাঁর সার্বজনীনতার ব্যাঘাত ঘটে।তাই মহান আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল স্ব স্ব মাতৃভাষার মর্যাদা দিয়েছিলেন, দেশপ্রেমের মর্যাদা দিয়েছিলেন। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স:)দশম হিজরির ৮ জিলহজ সমগ্র মানব্জাতির উদ্দেশ্যে তার বিদায় হজ্বের মহামুল্যবান ভাষণটি দেন। ঐ ভাষন সম্পর্কে মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ তার ‘বিদায় হজ’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন মহানবী কীভাবে তার ভাষণটি শুরু করেছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘নবী প্রথমে আকাশের দিকে চাহিয়া তাহার প্রভুর প্রশংসা ও শোকর গোযারি করিলেন এবং তারপর উদাত্ত কণ্ঠে তাঁর বক্তৃতা প্রদান শুরু করিলেন।" অর্থাৎ মহানবীও ‘বিসমিল্লাহ’ বলে ভাষণটি শুরু করেননি। সৃষ্টির আদিকাল থেকে চলে আসা মানব সভ্যতার প্রথম ও প্রধান চুক্তি বা সংবিধান বা আইন যাই বলিনা কেন "মদীনা সনদ"।মদিনা সনদের প্রারম্ভেও ‘বিসমিল্লাহ’ লেখা নেই। মহান আল্লহর অশেষ মেহেরবানীতে নবী করিমের কায্যাদি নির্বাহ যদি হয়ে থাকতো আল্লাহর হুকুমেই তবে তিনিও কি ভুল করেছিলেন? আল্লাহ তাঁর প্রেরিত সার্বজনীন ধর্মকে এককত্বের পিঞ্জরে বন্দি করে তাঁর শ্রেষ্ঠত্বকে সামান্যতম খাটো হতে দেননি। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ধর্মীয় ভণ্ডামি থেকে মেজর জিয়া সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহ’ সংযোজন করেন। জাতীয় সংবিধান একটি সর্বজনীন দলিল। সেই দলিলে একটি ধর্মের প্রাধান্যের ঘোষণা লিপিবদ্ধ করা হলে সেই সংবিধান সাম্প্রদায়িক দলিলে রূপান্তরিত হয়। জিয়া সেই কাজটি করেছেন অবলিলায়। জাতির জনকের রাজনীতির,জতীয়তাবোধের উৎপত্তি,বাঙ্গালীর স্বাতন্ত্রতাবোধের চেতনার উৎস ভাষা আন্দোলনের অপরিসিম শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য। ভাষা আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জিয়া বিশ্বাস করতেন না। উচ্চাবিলাসী নিলজ্জ জিয়া ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ বেতারে নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা দিয়ে সমগ্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। চাপের মুখে সাথে সাথে বেহায়া জিয়া আবার প্রত্যাহারও করেছিলেন। তাঁর সম্পুর্ন কর্মকান্ড পয্যালোছনা করলে স্পষ্ট যে, তিনি পরিবেশের চাপে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি অত্যন্ত অল্প সময়ের জন্য সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি অনেক ক্যাম্পে মুজিবনগর সরকারের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। সেই প্রমানাদিও জাতির জনককে দেয়া হয়েছিল। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু খবর পেয়েছিলেন পাকিস্তান থেকে ‘সোয়াত’ জাহাজে অস্ত্র আসছে চট্রগ্রাম বন্দরে। এই খবর পেয়ে বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামের অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রধান মেজর জিয়াউর রহমানের কাছে লোক মারফত খবর পাঠান যেন চট্টগ্রামে ‘সোয়াত’ থেকে যেন অস্ত্র না নামানো হয়--জিয়া বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মান্য করেননি। বঙ্গবন্ধু আর জিয়ার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। ড. রফিকুল ইসলাম সম্পাদিত "সম্মুখ সমরে বাঙালি" বইয়ে সংকলিত ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের প্রবন্ধে তথ্যটি দেয়া আছে। আবদুল মতিনের বইতে লেখা আছে জেনারেল ওসমানী জিয়াকে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন বেঈমানির কারনে ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে মৃত্যুদন্ড দিতে চেয়েছিলেন। প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের হস্তক্ষেপে তা সম্ভব হয়নি। অথচ ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জিয়ার জ্ঞাতসারেই খন্দকার মোশতাক ডালিম-ফারুকদের কেন্দ্রীয় কারাগারে "জাতীয় চার নেতা হত্যার" নির্দেশ দিয়েছিলেন মেজর জিয়া।জিয়া ক্ষমতার মুল মসনদ দখল করার আগে ঠান্ডামাথায় প্রতিপক্ষ মুক্তিযুদ্ধা সেনা অফিসার নিধন প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। জিয়া প্রথমেই তাঁর জীবনদাতা খালেদ মোশারফ, কর্নেল তাহেরকে হত্যা করে তাঁর হত্যা মিশন শুরু করেছিলেন। ক্ষমতায় গিয়ে কাল্পনিক অভ্যুত্থানের নাটক সাজিয়ে হাজার হাজার মুক্তিযুদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে ক্ষমতা নিস্কন্টক করতে চেয়েছিলেন। দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর সরকার অবিভক্ত বাংলার সিভিল সার্জেন্ট ও প্রাক্তন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের সচিব এ রবকে প্রধান করে জাতীয় পে-কমিশন গঠন করেন। কমিশনকে সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বেতনের স্কেল নির্ধারণের পরামর্শ দেয়া হয়। কমিশন তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে বুলগেরিয়া, যুগোশ্লাভিয়া ও পূর্ব জার্মানিতে সে দেশের পে-পলিসি সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ করার জন্য প্রেরণ করেন। সে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন জিয়াউর রহমান। অথচ এই পে-কমিশনের একজন প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর জন্য যে গ্রেডের ও পে-স্কেলের সুপারিশ করেন তা সেনাবাহিনীতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর সমর্থন সরকারের উপর না থাকার জন্যই কাজটি করেছিলেন। সেনা বাহিনীর মাথা গরম করার জন্য এই কৌশল গ্রহণ করেছিলেন বলে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা অওরবর্তিতে একাদিক সাক্ষাৎকারে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। বিষয়টি সম্পর্কে বিষদভাবে উল্লেখ আছে (অধ্যাপক আবু সাইয়িদ-বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ফ্যাক্টস্ এন্ড ডকুমেন্টস পৃ : ৯৮) মুক্তি যুদ্ধের সময় জেনারেল ওসমানীকে সেনাপ্রধানের পদ থেকে অপসারণের চক্রান্ত, সর্বোপরি যুুদ্ধের সময় সর্বক্ষেত্রে তার অদক্ষতা ও ব্যর্থতার জন্য মুজিবনগর সরকার কর্তৃক কায্যত:" জেডফোর্স "ভেঙেদেয়া ইত্যাদি কারণে সেনাপ্রধান পদে তার নিয়োগ ওসমানী এবং তাজউদ্দীন আহমদ দুজনেরই ঘোর অসম্মতি ছিল। (আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী- বাংলাদেশ ও সেনাবাহিনী পৃ : ১৫)বইটিতে পুর্নাঙ্গ তথ্য দেয়া আছে। জিয়াউর রহমানের উচ্চাভিলাষ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগ নেতারা সচেতন ছিলেন। জেনারেল ওসমানীও সন্দিহান ছিলেন। এ সময় জিয়াকে পূর্ব জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কৌশলী জিয়া কর্নেল খুরশিদের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর কাছে সুপারিশ পাঠান। তাতে কাজ নাহওয়াতে কর্নেল হামিদকে ধরে, আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েলকে ব্যবহার করে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে সক্ষম হন। (কর্নেল হামিদ- তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা)।বইটিতে তথ্য সন্নেবেশিত রয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার ১০ দিন পর উপ সেনাপ্রধান থেকে সেনাপ্রধান, আড়াই মাস পর সেনাপ্রধান এবং ডেপুটি সামরিক আইন প্রশাসক, আধা বছর পর সেনাপ্রধান এবং প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, স্বরাষ্ট্র, তথ্য ও অর্থমন্ত্রী, সোয়া এক বছর পর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতি হন। হুবহু মীর কাশিমের চরিত্র যেন নকল করা।’ (মিনা ফারাহ- হিটলার থেকে জিয়া, পৃ : ৬৭)। সুপ্রিয় পাঠকগনলক্ষ করলে দেখা যায়-- বাঙ্গালী, বাংলাদেশ,বাঙ্গালী জাতিকে নিয়ে যতবারই ষড়যন্ত্রের জাল পাতা হয়েছে ততবারই পবিত্র ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করা হয়েছে।বারবার যত্রতত্র এই মহান শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে ধর্মের আবেদনকে তাঁরা নষ্ট করেছে।তাই দেখা যায়, মাল্টিপারপাস খ্যাত বা ইসলামী অর্থলগ্নিকারি প্রতিষ্ঠান সমুহ যত্রতত্র ইসলামী পবিত্র "শব্দসমুহ "ব্যবহার করে "সুদের মত" হারাম ব্যবসায় জড়াতেও বাংলাদেশের মুসলমান ভাইয়েরা দ্বিধাবোধ করছেনা। যতবারই ইসলামকে বা ইসলাম ধর্মকে সামনে রেখে কায্যসীদ্ধির চেষ্টা হয়েছে,ততবারই ইসলাম সম্পর্কে সামান্যতম জ্ঞান বহন করেনা-এমন ব্যাক্তিরাই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। পাকিস্তান সৃষ্টি থেকে অদ্যাবদি নন্যুন্নতম ইসলামী অনুশাষন না মানা ব্যক্তিরাই, ইসলামের বা ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়ে নেতৃত্ব দেয়ার চেষ্টা করেছে। বাঙ্গালী জাতি বার বার তাঁদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ধর্মব্যবসায়ীদের চক্রান্ত রুখে দিয়েছে। পাকিস্তান সৃষ্টির দ্বিজাতি তত্ব থেকে বিগত শাফলাচত্বরে সফি সাহেবের অবস্থান পয্যন্ত একই ধারাবাহিকতার প্রমান দেয়।কায়েদে আজমের ইসলাম থেকে বেগম জিয়ার সাম্প্রতিক সফি হুজুরের শাফলা চত্বরে অবস্থানকে সরকার উৎখাতের ঘোষনা একই গোলক ধাঁধায় আবর্তিত। >>>>>>>>>>>>>>চলবে>>>>>>>>>>>>>>>>>> জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

    বাঙ্গালীর হাজার বছরে গড়ে উঠা ইতিহাস ঐতিহ্যকে মুছে দিয়ে,আবহমানকাল থেকে লালিত সংস্কৃতি কৃষ্টিকে বিজাতীয় ভাবধারার সংমিশ্রন ঘটিয়ে ঐতিহ্য নষ্ট করে দীর্ঘদিন শাষন শোষনের পথ পরিস্কার করেছিলেন।একাজে সর্বাজ্ঞে ব্যবহার করেছেন মানুষের পবিত্র ধর্মীয় অনুভুতিকে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন