বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের বিরুধীতা করে স্বাধীনতা বিরুধী দল হিসেবে মুখোষ উম্মোচন করেছেন--- =====♥♥♥♥♥===== রাজনীতির সমশক্তি হারিয়ে বিএনপি দুটি পথ আঁকড়ে ধরেছে খুব শক্ত করে। প্রথমটি হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বাধা প্রদান এবং মীমাংসিত সত্য  সমুহকে নতুন করে উত্থাপন করে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা। দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, রাজনীতির প্রচলিত ধারা মিটিং, মিছিল, পথসভা, পোষ্টারিং, জনসভার ধারাকে পরিবর্তন করে মিডিয়া নির্ভর, দালাল নির্ভর, বিদেশ নির্ভর, সন্ত্রাস নির্ভর, ষড়যন্ত্র নির্ভর ও বিবৃতি নির্ভর করে তোলা। অর্থাৎ মেজর জিয়ার হাতে যে রীতিতে  উৎপত্তি হয়েছিল  সেই ধারায় ফেরৎ যাওয়া।      প্রথম বিষয়টি নিয়ে প্রপাগান্ডা করার মিশন হাতে নেয়ার জাতীয় ও আন্তজাতিক বহুবিধ কারন বিদ্যমান রয়েছে। উল্লেখিত মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, জাতির জনক ইত্যাদি বিষয় দলীয় অবস্থান তুলে ধরাও সময়ের দাবি ছিল। ইতিমধ্যে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি,দলটির প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযুদ্ধা এবং স্বাধীনতার ঘোষনাকারি প্রচার করা যতদিন প্রয়োজন ছিল ততদিন প্রচার করেছে। সুবিধা যা নেয়ার প্রয়োজন ছিল এবং মুক্তিযুদ্ধাদের যতটুকু সমর্থন দরকার ছিল ততটুকু নিষ্কাষন হয়ে গেছে।  তাছাড়া তৎসময়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি প্রমান না করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে  অবস্থান নেয়া দুষ্করই ছিল। কারন সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত শিশু বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের বাস্তবচিত্র স্বচক্ষে দেখা সকল শ্রেনী পেশার মানুষ তখনও জীবিত এবং রাজনীতিতে সক্রিয়। মুক্তিযুদ্ধারা ত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করে যথোপযুক্ত কাজের সন্ধান না পেয়ে দিকভ্রান্ত। যে কোন অপরাজনীতি, স্বাধীনতা বিরুধী চক্রান্তে রাজপথে নেমে যাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা ছিল। ফলে স্বাধীনতার বিপক্ষ দেশী বিদেশী শক্তি সমুহ মুক্তিযুদ্ধের ভিতরে লুকিয়ে থাকা গুপ্তচর মেজর জিয়াকেই বেছে নিয়েছিল- মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির বিপরীতে বিপক্ষ শক্তির সংগঠিত হওয়ার কুশিলব হিসেবে।দীর্ঘ ২১বছর এহাত ঐহাত করে যাঁদের পুর্ণবাসন দরকার ছিল তাঁদের পুর্ণবাসন করার কাজ শেষ।অর্থবিত্ত বিদেশীদের সমর্থন ইত্যাদি মিলে মহিরুহ আকারই ধারন করা সম্ভব হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ এবং তাঁর মিত্রদের যতদিন খাঁচায় বন্দিরাখার প্রয়োজন ছিল তাঁরচেয়ে বেশীই রাখা সম্ভব হয়েছে।   আওয়ামী লীগ যেহেতু তাঁর পুর্নশক্তি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা এবং ঐতিহ্যে ফেরৎ এসে গেছে সুতারাং এইখানে বিভ্রান্ত,প্রতারনা, বা অন্যকোন উপায়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তিকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা আদায় সম্ভব হবেনা।  তাঁর চেয়ে বরং উদ্দেশ্যের জায়গায় ফেরৎ যাওয়াই যুক্তিযুক্ত হবে।বিলম্বে স্বাধীনতা বিরুধী সাম্রদায়ীক শক্তির মধ্যে নতুন নেতৃত্বের মেরুকরনে- তাঁদের সমর্থন হারানোর সম্ভাবনা জোরালো হয়ে উঠতে পারে। মুল চরিত্রে ফিরে আসায় সাম্প্রদায়ীক শক্তি, বিদেশী বন্ধুরাষ্ট্র সমুহ-যারপরনাই খুশী হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল  হবে।তাঁদের রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক অন্যান্ন ঐকান্তিক সমর্থন বীনাপরিশ্রমে,বিনাবাক্যব্যয়ে পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল থেকে উজ্জলতর হবে। খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান এইক্ষেত্রে শতভাগ সঠিক, যুগান্তকারী ,  বাস্তবসম্মত, শঠতাবর্হিভুত, প্রতারনা বর্জিত, দলের আদর্শ ও উদ্দেশ্যের সাথে সম্পুর্ন সংগতিপুর্ণ। রাজনৈতিক অবস্থান  পরিস্কার করে দলটি সবিশেষ উপকারিতা পাবে চিন্তাধারা থেকেই মুক্তিযুদ্ধের ৪৪বছর পর মখোশ উম্মোচন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের আগে এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধা মেজর জিয়ার কুকীর্তি জনসমক্ষে প্রচারিত হয়নি। সেই সুবাধে জাতির জনকের নির্মম হত্যাকান্ডের পর দিকভ্রান্ত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির একাংশ জিয়াকে অবলম্বন ভেবে মাথায় তুলে নিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অন্যতম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি জাসদ। বিচ্ছিন্নভাবে কর্নেল অলি, সাদেক হোসেন খোকা,মেজর আক্তারুজ্জমান,মেজর জিয়া,কর্নেল অব: জাপর ইমাম বীর বিক্রম সহ অনেকেই।      ১৫ই আগষ্টের পর ৭ই নভেম্বর মাত্র তিন মাসের মধ্যে জাসদ তাঁদের ভুল বুঝতে পারলেও, ক্ষোভে দু:খ্যে একে অপরকে দোষারপের বলয়ে বহুধাবিভক্ত হয়ে বর্তমানে রাজনীতিতে ভাঁড়ের ভুমিকায় অবতিন্ন হয়েছে।তাঁদের একাংশ মহাজোটে অংশ নিয়ে বর্তমান সরকারের মন্ত্রীত্ব পেয়ে অতীতের জ্বালা মিটাতে অরাজনৈতিক, কুরুচিপুর্ণ বক্তব্য দিয়ে প্রকারান্তরে সরকারকেই বিব্রত করে চলেছে প্রতিনিয়ত।  অন্য বিচ্ছিন্ন মুক্তিযুদ্ধারা প্রতিনিয়ত বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছে, বর্তমান বিএনপি মেজর জিয়ার বিএনপির অবস্থান থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। অর্থাৎ তাঁরা প্রকারান্তরে বুঝাতে চেষ্টা করেন মুক্তিযুদ্ধা মেজর জিয়ার দল রাজাকার তোষননীতি, রাজাকার পুর্নবাসননীতি সমচীন হচ্ছেনা। মুলত: তাঁরা জিয়ার দলে মিলেমিশে একাকার হয়ে অতীতে যে ভুল করেছেন সেই ভুলের প্রায়চিত্ত করার কোন রাস্তা না পেয়ে বেগম জিয়ার উপর দোষ চাপিয়ে জনগনের নিকট মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারনকারি ব্যক্তি ও দল প্রমান করার প্রানান্তকর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।    দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে,বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতিতে দিকভ্রান্ত বিএনপি গনতন্ত্রকে উন্নয়ন অগ্রগতির সংগে সাংঘর্ষিক অবস্থানে নেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত গনতন্ত্রের মায়াকান্নায় বিভোর।যেহেতু দলটি তাঁর আদর্শিক অবস্থানে থেকে জ্বালাও পোড়াও, নাশকতা ইত্যাদি আইন শৃংখলা অবনতিকর কর্মসুচি দিয়ে জনসম্পৃত্ততা হারিয়েছে তাই বিবৃতি,সেমিনার, টকশো নির্ভর হয়ে কোনরকমে অস্তিত্ব ধরে রেখেছে।  রাজপথে নামার নৈতিক অধিকার হারিয়ে রাজনৈতিক বিকারগ্রস্ততার শিকারে পরিনত হয়েছে। রাজপথে জনপ্রতিরোধের মুখে বিশদলের শীর্ষ নেত্রীকে ভোট প্রার্থনা পরিত্যাগ করে কয়েকবার ফেরৎ আসতে হয়েছে। তাছাড়া নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের অতীত অভিজ্ঞতাও দলটির নেই। মুলত: দেশী বিদেশী শক্তির ইন্দনে জাতির পিতার   সরকারকারকে বিব্রত করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে যে রীতিতে দলের প্রতিষ্ঠাতা ক্ষমতা দখল করেছিলেন,সেই একই পদ্ধতি বেগম জিয়া গ্রহন করেন।কিন্তু বিধিবাম, ষড়যন্ত্রের কুশিলবেরা এবং সব সেক্টর সমভাবে মাঠে না নামায় চরমভাবে জাতির পিতার জৈষ্ঠকন্যার বিচক্ষনতা, ধৈয্য, সহশীলতার নিকট চরম পরাজয় বরন করে অফিস ছেড়ে বাসায় গমন করতে বাধ্য হয়। পরাজয়ের গ্লানীতে ভোগে দলটি বহুধাভাগে বিভক্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দলীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি বহুলাংশে কমে প্রকাশ্য সভায় মারামারী পয্যায় গড়িয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়ার খেশারত প্রতিনিয়ত দলকে দিতে হচ্ছে।দলটি এতই জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে, গত পৌর নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীদের সামান্য প্রতিরোধ করার ক্ষমতা হারিয়ে জ্ঞানশুন্য হয়ে পড়েছে।  রাজপথে নামার শক্তি সামর্থ হারিয়ে মিডিয়া, টক শো, বিবৃতির মাধ্যমে অস্তিত্ব জানান দিতে বর্তমান অগ্রসরমান অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করতে সামান্য বিবেকে বাধা দিচ্ছেনা। রাজনীতির অনেকটা মিডিয়া নির্ভর হয়ে পড়ায় গণতন্ত্র সম্পর্কে রাজনীতিবিদদের কথাবার্তা মিডিয়ার কল্যাণে শোনা যায়।আবার ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যে সব টকশো হয়- তাতেও গণতন্ত্র সম্পর্কে প্রতিনিয়ত শ্রোতারা নানা কথা শুনে। প্রিন্ট মিডিয়ায় যেসব লেখালেখি হচ্ছে তাও পড়ে নানা কথা জানা যাচ্ছে। গণতন্ত্র সম্পর্কে বিএনপি ও বাম সংগঠনগুলোর নেতাদের বক্তব্যকে এক বা অভিন্ন বলে অভিহিত না করেও যে সুরটি উভয়ের কণ্ঠ থেকে ভেসে আসে তা হচ্ছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ-বিএনপির অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ হয়নি। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে, দেশে এখন যে সরকার ক্ষমতায় আছে সেটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়।ফলে দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই, গণতন্ত্র বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। বিএনপি এখন তাই গণতন্ত্রের মায়াকান্নাই শুধু নয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে মাঠে নামতে নেতাকর্মীকে সংঘবদ্ধ হতে বলছে।জনগণকে সমর্থন জানাতে আহ্বান জানাচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার জ্বালাময়ী প্রতিটি ভাষণেই দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে বিএনপির পেছনে দাঁড়াতে আহ্বান জানাচ্ছেন। আওয়ামী লীগকে তিনি গণতন্ত্র হরণকারী এবং ফ্যাসিবাদী শক্তি হিসেবেও বারবার অভিহিত করে বক্তৃতা করছেন।     এখানে শুভংকরের ফাঁক সৃষ্টি করে ভোটের সাথে উন্নয়ন অগ্রগতিকে এক ও অভিন্ন করে একে অপরের সাথে বৈরীতার সৃষ্টির চেষ্টায় লিপ্ত থেকে আরেকবার পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে সকলের অগোচরেই চলে যাচ্ছে দলটি। অনভিজ্ঞ রাজনীতিকদের সেই দিকে কোন লক্ষই নেই।      গনতন্ত্র যে সমাজে থাকেনা সেই সমাজে উন্নয়ন হতে পারেনা।আমাদের পাশ্ববর্তি দেশ মিয়ানমার তাঁর জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত।ভারতীয় উপমহাদেশের সমৃদ্ধশালী দেশ গনতন্ত্রের অভাবে দারিদ্রের নীছে বসবাস করছে। দারিদ্রের কষাঘাতে অধিবাসী ননধিবাসী বিতর্কে বাংলাদেশে প্রায় দুই লক্ষ মিয়ানমার শরনার্থী বিগত কয়েক বছর দুর্বিসহ জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।     বাংলাদেশে সর্বক্ষেত্রেই যদি গনতন্ত্রের উপস্থীতি না থাকে তবে তাঁদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক এত উন্নয়ন অগ্রগতি হচ্ছে কি করে? গনতন্ত্র যদি নাইবা থাকে, সরকার যদি অবৈধই হয় তবে স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচনে কিভাবে অংশগ্রহন করছে? অবৈধ সরকারের নির্বাচন অবৈধ নয় কি?     মুলত: বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতির দৃশ্যমান ধারাবাহিকতা দেশের অভ্যন্তরে এবং বিশ্বব্যাপি প্রসংশার মুখে দিশেহারা হয়ে,ক্ষমতা পাওয়ার আশা নির্বাসনে যাওয়ায় রাজনৈতিক শিষ্টাচার, রীতিনীতি,  ধারা ভুলে জ্ঞানশুন্যের মতই বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছে। রাজনীতির সাধারন ধারাবাহিকতা কে জনমন থেকে মুছে দেয়ার এক অশুভ চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। ডান-বামের এই মহামিলন জাতির পিতাকে বাঙ্গালী জাতির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল।অশুভ চক্রটি এখনও তাঁদের সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে তাঁর কন্যাকেও বাঙ্গালী জাতির কাছ থেকে চিনিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টায় লিপ্ত।     বাঙ্গালী জাতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অশুভ শক্তির চক্রান্ত রুখে দিয়ে আগামী ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশকে উন্নত,সমৃদ্ধ করবে ইনশাল্লাহ।সেই লক্ষ নিয়ে জাতির জনকের কন্যা দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে জাতিকে দারিদ্রের অভিশাপ থেকে মুক্ত করার লক্ষেই এগিয়ে নিচ্ছেন দেশকে। জয় ইনশাল্লাহ হবেই হবে।      জয় বাংলা    জয় বঙ্গবন্ধু     জয়তুদেশরত্ম  শেখ হাসিনা          

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা