ডিজিটাল প্রযুক্তি অশুভ শক্তির অপব্যবহার রোধ এবং জনকল্যানে ব্যবহার নিশ্চিতে আইনী কাঠামোর বেষ্টনী সময়ের দাবী-- =====♥♥♥♥গতকালের পর==== বর্তমান বাংলাদেশে কি পরিমান পেইজবুক ইউজার আছে তাঁর সঠিক তথ্য দেয়া সম্ভব নয়।কারন অনেকেই একাউন্ট খুলেছে কিন্তু কালেভদ্রেও খুলে পড়ে দেখেন না বন্ধুরা কি লিখেছে।আবার এমনও আছেন সময় পেলেই পেইজবুক নিয়ে বসে যেতে দেখা যায়।খুটিয়ে খুটিয়ে কে কি লিখেছে পড়েন।তবে নির্দিদ্বায় বলা যায় অপ-লাইনের পত্রিকার চাইতে বহু গুন বেশি পেইজবুকে পড়ুয়া।অপ-লাইনের সমস্ত কাগজ অন-লাইন ভার্সনে রুপান্তরীত হওয়ার ফলে আগে কিছু পত্রিকা বিক্রি হলেও এখন তা হচ্ছেনা। বাংলাদেশে হঠাৎ করেই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০১৪ সালের শেষের দিকে ছিল প্রায় ৪.৮৪ কোটি। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ইন্টারনেটের ব্যবহারকারী যা ছিলো (মাত্র ১২ লাখ) এখন সেটি তার চাইতে বহু গুণ বেশি। এর পেছনে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইদথের দাম কমা, ইন্টারনেটে প্রয়োজনীয় কনটেন্টস পাওয়া এবং ফেসবুকের মতো সামাজিক নেটওয়ার্ক ও ব্লগিং এর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। যে কেউ এখন দেশের সকল প্রান্তের বিপুল পরিমাণ মানুষকে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হওয়া অবস্থায় দেখতে পারেন, বা ভাব বিনিময় করতে পারেন। এক সময়ে যা কেবলমাত্র কিছুসংখ্যক মানুষের সাময়িক কার্যকলাপ হিসেবে গণ্য হতো এখন সেটি দেশের প্রায় সকল এলাকার মানুষেরই প্রাত্যহিক ক্রিয়া-কর্মে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় ধরনের মাইলফলক ।এই খাত সরকারের পাশাপাশি সাধারন ব্যক্তিমালিকানা যুক্ত হওয়াটাও নিঃসন্দেহে একটি বড় ধরনের সফলতা। একই সাথে বিগত কয়েক বছরে মোবাইলের সংযোগের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়ার বিষয়টিও ইতিবাচক। মোবাইলের সংযোগ বৃদ্ধি, থ্রিজির আগমন এবং মোবাইল কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতা মুলক একে অপরের প্রতি অত্যন্ত আক্রমনাত্মক ভাবে ইন্টারনেট কানেকশন বাজারজাত করার ফলেও ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে। ডিজিটাল অপরাধের একটি বড় ক্ষেত্র হচ্ছে সামাজিক মাধ্যম ফেইজবুক,টুইটার,ম্যাসেঞ্জিং এর মত প্রকাশ মাধ্যমগুলি। এই মিডিয়া গুলি গত দুই বছর তিন বছরের অবস্থায় এখন আর নেই, আগের পরিধিতেও নেই। বরং ইন্টারনেট প্রচলিত মিডিয়াকে কেমন করে বদলে দিয়েছে এবং মিডিয়ার ডিজিটাল রূপান্তর কতোটা করে  পেলেছে সেটি উপলব্ধি,অনুভব করার বিষয়। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, আমলা, ওলেমা মাশায়েখ, ডাকতার, ইঞ্জিনিয়ার বা সাধারণ মানুষের পক্ষে দেশের ডিজিটাল মিডিয়ার জগৎ সম্পর্কে ধারণা করা সহজ ছিল না। তাদের কেউ সম্ভবত বিষয়টিকে কখনও গুরুত্ব দিয়ে আমলে নিয়ে চিন্তা করেও দেখেননি। মিডিয়ার রূপান্তরটি কত ভিন্নমাত্রার হয়েছে তাঁর ব্যাখ্যা একেক জন একেক ভাবে করলেও উপলব্দি অনুভবের ক্ষেত্রে প্রায় সবাইর বেলায় সামান্য তারতম্য পরিলক্ষিত হলেও ব্যবহারের ব্যপকতায় সবাই সহমত পোষন করেন। সামান্য একটু উদাহরন দিলে ব্যাপারটি বুঝার জন্য আরও সহজ হবে বলে মনে করি। যেমন বাংলাদেশের একটি দৈনিক পত্রিকার সর্বোচ্চ সার্কুলেশন হতে পারে ৩/৪ লাখ, যদিও বেশির ভাগেরই প্রচার সংখ্যা শ' বা হাজারের কোঠায়। কাগজে ছাপা সকল পত্রিকার পাঠক সংখ্যা হতে পারে সর্বোচ্চ ৩৫/৪০ লাখ। অন্যদিকে অনলাইনে এসব পত্রিকার পাঠকসংখ্যা প্রায় ৫/৭ গুণ বেশি এবং দেশের প্রায় ১০ কোটি লোক এখন অনলাইনে যুক্ত থাকে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ  কোন না কোনভাবে অনলাইনে খবর সংগ্রহ করে থাকে,যুৎসই খবরটি নীজ টাইমলাইনে আপলোড করে। দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সকলেই কোন না কোনভাবে খবরটি পাঠ করে থাকে। উদবেগ, উৎকন্ঠা, আনন্দ, বেদনা, উপকারিতা, অপকারিতা ইত্যাদি সব বিষয়ের প্রতিক্রিয়াও তৎক্ষনাৎ পাওয়া যায়। কিছুকাল আগেও যাহা ছিল কেবলমাত্র ভোর রাতের স্বপ্ন। এর পাশাপাশি বিশেষায়ীত অংশগুলোর কথাও বলা যায়। শুধু ফেসবুকে বাংলাদেশের প্রায় সাত কোটি লোক যুক্ত আছে। অনলাইনে একজন ব্যক্তির যোগাযোগ ক্ষমতা কতটা বেড়েছে তার হিসাবটা আমি নিজের হিসাব থেকে দিতে পারি। ১৮জুলাই২০১৫ (সকাল ১০'৩০ মিনিট) সময়কালে আমার ফেসবুক  বন্ধু ছিল ২৮৬০ জন। আজকে ১৪ ই ফেব্রুয়ারী ৪৯৯০ জন। প্রতিদিন গড়ে ৫জন কে আনফ্রেন্ড করে ২/১জন যুক্ত করে ফ্রেন্ডের সংখ্যা যদি এই পয্যায় থাকে একবার ভাবুন কত দ্রুত বন্ধুর সংখ্যা বেড়েছে আর কতজনের চোখে আমার পোষ্টটি পড়েছে।আমার নীজের পেইজ একটি সহ বন্ধুদের নয়টি পেইজের বন্ধু আছে প্রায় ১৫ হাজার। আবার আমি অনেকগুলো গ্রুপের সদস্য। এসব গ্রুপে কয়েক লাখ ইউজার যুক্ত আছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সাথেও যুক্ত হচ্ছি। এর মানে হচ্ছে আমি দেশের সকল পত্রিকার পাঠক সংখ্যার সমান মানুষের কাছে একাই যেতে পারি। তারপরেও আছে গুগুল ,টুইটার সংযুক্ত বন্ধুরা। একা একজন কত মানুষের সাথে সংযুক্ত হতে পারি আমি একা। একটু ভাবুন এই মানুষেরা কিন্তু বিশ্বের সকল প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আরও একটি বিষয় সকলের উপলব্ধি করার আছে। এমনকি কাগজের পত্রিকা গুলো অনলাইনের দাপট অপ লাইন থেকে  অনেক গুন বেশি। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যাবহার কারির  সংখ্যা প্রতি সেকেন্ড বাড়ছে এবং তা দ্রুততার সঙ্গেই বাড়ছে। ২০১৩ সালে ব্লগার কতৃক ইসলাম ধর্মের অবমাননার সূত্র ধরে সন্ত্রাস, ফেসবুকে পেইজ খুলে ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়ে মৌলবাদি সন্ত্রাসী গোষ্টিকে নৈরাজ্য, হত্যায় উৎসাহ প্রদানে অপপ্রচার,মৌলবাদের প্রসার। ব্লগারদেরকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে খুনিদেরকে লেলিয়ে দেয়া ও খুন করার মধ্য দিয়ে দেশে চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের অপকর্মের কাজটি করা হয়েছে সফলতার সঙ্গে। আমাদের জন্য এই সন্ত্রাসের সবচেয়ে বড় শংকা হচ্ছে, বাংলাদেশকে তালেবানি রাষ্ট্র বানানোর উদ্দেশ্যে ডিজিটাল মিডিয়াকে নিরাপদ ভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের অগোচরে ব্যবহার করে যাওয়া। সরকার নিরাপদকে আপদে পরিনত করতে গেলেই তাদের সমর্থক কতৃক ব্যাঙ্গাত্বকভাবে সমালোচনায় অংশ নিয়ে দেশের মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলার অপপ্রয়াসে যুক্ত হওয়া। কেবল অনলাইন মিডিয়া নয় অপ লাইনের মিডিয়া- কাগজ গুলিও এর সঙ্গে যুক্ত ছিল। বিএনপির মুখপত্র আমার দেশ পত্রিকা এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসের যোগান দিয়ে নাশকতায় উৎসাহিত করেছে। দেরীতে হলেও সরকার আমার দেশের সম্পাদককে আটক না করলে সম্ভবত সেটি চরম বিপর্যয় ডেকে আনার সম্ভাবনাই উজ্জ্বল হত। ডিজিটালাইজেশনের সুবিধা গ্রহন করে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি ফাঁস, বিচারকের টেলিফোন আলাপে আড়িপাতা, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে মিথ্যা বানোয়াট কাহিনী আপলোড করে অপপ্রচারের কথাও উল্লেখ করতে পারি। ২০১৩ইং সালের কথা এত তাড়াতাড়ি আমি মনে করি কারো স্মৃতি থেকে হারিয়ে যায়নি। সেই সময়ে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠন, হেফাজতে ইসলাম ও গণজাগরণ মঞ্চ কর্তৃক পরস্পরবিরোধী অবস্থান গ্রহণ দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চেয়েছিল সকলেই অবগত আছেন। রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকসহ সকলেরই তখন আলোচ্য বিষয় ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের ভয়াবহতম ডিজিটাল সন্ত্রাসের ভয়াবয়হতা সম্পর্কিত খবরাখবর। ডিজিটাল সন্ত্রাসকে ভিত্তি করে দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেয়ার অপচেষ্টা, হত্যা, গুম, আক্রমণ, অগ্নিসংযোগ, স্বর্নদোকান লুট, পবিত্র কোরানে আগুন দেয়া ইত্যাদি চরম ব্যাপকতা পেয়েছিল। ডিজিটালের আগে নৈরাজ্য এত ব্যপকতা কোনকালেই পরিলক্ষিত হয়নি। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে টেলিভিশনের টকশো ও রাজনৈতিক পরিমন্ডলে চা দোকানের আড্ডায় সর্বত্রই এর ব্যাপকতা মানুষের মুখে মুখে আলোচনার উপজিব্য ছিল। বর্বরতম আর একটি ব্যাপার উল্লেখ করা প্রয়োজন, এসব ডিজিটাল সন্ত্রাসের পাশাপাশি ইভটিজিং, নারীর প্রতি সহিংসতা, ডিজিটাল পর্ণোগ্রাফি, মানি লন্ডারিং, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, স্প্যামিং, হ্যাকিং ইত্যাদির মাত্রা প্রতিনিয়ত ব্যাপকভাবে বেড়ে চলেছে। এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। তর্কের ও কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।   পুরাতন এনালগ যুগের আইন প্রয়োগ করে ডিজিটাল যুগের অপরাধ দমন কোন অবস্থায় সম্ভব নয়।সেই যুগেরপ্রেস এন্ড পাবলিশিং আইন দিয়ে নতুন ডিজিটাল সামাজিক মাধ্যমের সমস্যার সমাধান করা যাবেনা। যুগের সাথে তালমিলিয়ে, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী,জঙ্গী, নাস্তিক, উগ্রধর্মীয় জঙ্গীরা ডিজিটাল অপপ্রচার, সন্ত্রাস,দুর্বত্তায়নে লিপ্ত হচ্ছে।সেই ডিজিটাল সন্ত্রাস মোকাবেলা করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রশিক্ষন প্রাপ্ত আইন শৃংখলা বাহিনী প্রয়োজন।ডিজিটাল প্রজর্ম্ম গড়ে তোলার পাশাপাশি সমগ্র সামাজিক ইন্টারনেট ভুক্ত সাইট গুলি আইনী বেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। আইনি কাঠামোর মধ্যেও ডিজিটালাইজেসনের ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন।ডিজিটাল সন্ত্রাস মোকাবেলায় প্রথমেই প্রয়োজন ডিজিটাল আইন প্রয়োগকারি সংস্থা। সুপ্রিয় পাঠক ভাইয়েরা,পোষ্টে সংযুক্ত ছবিটি মানোনীয় আইসিটি মন্ত্রী জনাব পলক ভাইয়ের তাঁর মন্ত্রনালয়ের উচ্চ পয্যায়ের সভার ছবি।ছবিটি আমি তাঁর গুগুল একাউন্টের টাইমলাইন থেকে নিয়েছি।জনাব মন্ত্রী মহোদয় আমার বন্ধু তালিকায় শীর্ষে আছেন।উনি প্রতিনিয়ত গুগুল আইডিতে উপস্থিত থাকেন।প্রতিনিয়ত তাঁর এবং সরকারের কর্মকান্ডের আপলোড দিয়ে থাকেন।মনে হবে যেন গুগুল আইডি উনার নিজস্ব আর একটি অফিস।উনার প্রত্যেক পোষ্ট আমি পেয়ে থাকি,উনিও হয়তোবা আমার পোষ্ট পেয়ে থাকেন।তাই গতকাল এবং আজকে দুই পর্বে ভাগ করে আমার নিজস্ব অভিমত তুলে ধরার প্রয়াস নিয়েছি।কোন অবস্থায় মন্ত্রী মহোদয় বা সরকারকে বিব্রত করার জন্য আমার প্রয়াস নহে। সরকারের বৃহৎ অর্জন ছোট ছোট অপরাধে বিসর্জনে পরিনত হবে,একজন বঙ্গবন্ধুর সামান্যতম আদর্শের অনুসারী হয়ে মেনে নিতে পারিনা। দেশের ৫০/১০০টকবাজের টক্রামিকে ভয় করে আইসিটি আইন প্রনয়নের বিলম্বে, জনগন অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত কঠিন আইনী বেষ্টনীতে নিয়ে আসার জন্যে সদাশয় সরকারের নিকট আবেদন জানাচ্ছি। জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো            জয়বাংলা        জয়বঙ্গবন্ধু          জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন