ইউপি নির্বাচনে বিএনপি তৃনমুলের ব্যার্থ্যতা--সরকারের কাঁধে তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত==== ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ বিএনপি জাদুঘরের পথে বলেছিলাম বছর খানেক আগে। অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। আগুন সন্ত্রাসের মাশুল আগামী কত প্রজর্ম্ম দিতে হবে তাঁর ইয়ত্তা নেই। কেন্দ্রীয় বিশ দলীয় জোট থেকে শুরু করে তৃনমুল পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিষ বাস্প ছড়িয়ে পড়েছে। যার সাক্ষাৎ প্রমান পাওয়া যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের হালহকিকতের দিকে তাকালে। কিছু দিন আগে ঘোষিত সাড়ে সাতশত ইউপি নির্বাচনের তফসিলের দিকে তাকালে দেখা যায়,১০৩ ইউনিয়নে প্রার্থী দেয়ার কোন নেতাকর্মী পায়নি বিএনপি।১৫০ইউপিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সমঝোতা করে প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।২০০ ইউপিতে নমিনেশন নিয়েছে ঠিকই কিন্তু প্রায় ১০০টিতে ভোটের মাঠে থাকবে বলে মনে হয়না। মাঠে থাকলেও প্রতিরোধ বা প্রতিযোগিতা, কেন্দ্রে কেন্দ্রে এজেন্ট নিয়োগ থেকে বিরত থাকবে। ১০০টি বা তার কমবেশী ইউপিতে নির্বাচনী হাওয়া যথারীতি প্রতিযোগীতামুলক হবে। লড়াইয়ে ৩৫/৪০ ইউপিতে জয় চিনিয়ে নিতে পারবে বলে আশা করা যায়। বাদবাকী ২৫০ ইউপিতে নামে বেনামে জামাতে ইসলামকে ধানের শীষ মার্কা দিয়ে ভোট যুদ্ধে নামিয়ে দিয়েছেন। জামাতে ইসলাম যে সমস্ত ইউপিতে প্রতিদ্বন্ধিতায় নেমেছেন সেই সমস্ত ইউপিতে নৌকা প্রতিকের সাথে সঙ্গত কারনে সংঘর্ষ হবে। ব্যাপক সহিংসতা হওয়ার আশংকাও উড়িয়ে দেয়া যায়না। এখানে যে ১০০ইউপিতে আগেই ভোট যুদ্ধে হেরে বসে আছেন, তাঁরা বাধ্য হয়ে নমিনেশন নিয়েছেন। অথবা বলা যায় থানা বা জেলা নেতারা বাধ্য করেছেন নমিনেশন নিতে। কেউ কেউ নিয়েছেন, অন্য কেউ নমিনেশন নিলে আগামীতে সে তাঁর জন্য কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে--এই ভেবে, আগেই নমিনেশন তাঁর পকেটস্ত করে রেখে দিয়েছেন। কেউ কেউ আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে নিয়ে নমিনেশন হাইজ্যাক করে নেয়ার সুযোগ দিয়ে নীজেই দলের কাছে পতিচ্ছন্ন নেতা হিসেবে ভাবমুর্তি তুলে ধরেছেন। লক্ষনীয় বিষয়টি হচ্ছে জামাতের নেতারা যে সমস্ত ইউপিতে ধানের শীষ নিয়ে লড়াইতে নেমেছেন, সেই সমস্ত ইউপিতে একটা নমিনেশনও হাইজ্যাক বা চিনতাই হয়নি। অথছ তাঁদের নমিনেশন চিনতাই হওয়ার সম্ভাবনাই ছিল বেশী। এই থেকে উপলব্দি করা যায় মুল ব্যপারটি কোথায়। চিনতাই হওয়া ইউপি নমিনেশনের ব্যাপারে বিএনপি কেন্দ্র থেকে বলছেন, "আওয়ামী লীগ ভোটের আগে জবরদখল করার জন্য তাঁদের প্রার্থীদের নমিনেশন চিনতাই করে নিয়ে গেছে।ভোটকে সরকার প্রহসনের ভোটে রুপান্তর করেছেন। "মুলত:গত পৌরনির্বাচনেও বিএনপির নেতারা তাঁদের দলের সাথে ঠিক এই প্রতারনাই করেছেন,জনগন বুঝে উঠতে পারেনি।ব্যাপারটি এবারকার ইউনিয়ন পরিষদের ভোটে পরিষ্কার হল। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রায় একই অবস্থা বিরাজমান। আমার নীজের ইউনিয়ন সহ অধিকাংশ ইউনিয়নে নমিনেশন দিতে পারবে কিনা সন্দেহ। ছাত্রদল-যুব দলের নেতারা বাড়ী বাড়ী গিয়ে নমিনেশনের জন্য প্রার্থী খোঁজে না পেয়ে হাল ছেড়ে একে অপরের উপর দোষ দেয়ার অভিনয়ে ব্যাস্ত আছে। ইতিমধ্যে শুনা যাচ্ছে অনেকে আগামী দিনের সুযোগ সুবিধার বিনিময়ে প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, কেউ কেউ প্রার্থীতা রাখবেন কিন্তু ভোট যুদ্ধে অংশ নিবেন না। আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপির এই হযরলব অবস্থাকে শতভাগ কাজে লাগিয়ে আমার নীজের ইউনিয়ন সহ বেশ কিছু ইউনিয়নে অযোগ্য, অথর্ব, হাইব্রিড কিছু আত্মীয় স্বজনকে আগামীর নেতা হিসেবে পোক্ত করার উদ্দেশ্যে নমিনেশন দিয়ে মাঠে নামিয়ে দিয়েছেন।স্বাভাবিক অবস্থায় ভোট হলে এরা কেহই তিনশ ভোটের কৌটা পার হতে পারবেনা। অথছ সারা জীবন দলের জন্য সব হারিয়ে এই একটি মুহুর্তের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন ইউনিয়নের অনেক নেতা কর্মী। আবার আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বিএনপির অসংঘটিত মুহুর্তকে কাজে লাগিয়ে কিছুটা প্রভাব বিস্তার করে বিনা প্রতিদন্ধীতায় নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড় গড়ার চিন্তাভাবনায় আছেন। উপরের আলোচনার অর্থ এই নয় যে, বিএনপির ভোট কম বা বিএনপি ভোটে জিতবেনা।আমার নীজের ইউনিয়ন সহ আশেপাসের সব কয়টি ইউনিয়নে ভোটের সংখ্যাধিক্যে বিএনপি অনেক এগিয়ে।স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৪/৫ জন প্রার্থী বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করলেও দেখা গেছে অতীতে আওয়ামী লীগেরই কেউনা কেউ জীতে গেছে।অর্থাৎ বিএনপির ভোট অনেক বেশী হলেও স্থানীয় এমন কোন ক্লীন ইমেজের ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নেতা নেই, যে নির্বাচনে জনগনের ভোট পেতে পারে। রাজনীতি বলি আর ভোট যুদ্ধ বলি সবার আগে প্রয়োজন সংগঠন এবং সংগঠিত শক্তি। ভোট অনেক থাকলেও সঠিক নেতৃত্বের অভাবে এবং সংগঠিত শক্তির অভাবে ভোটের বাক্সে ভোট পড়েনা। বিএনপির হয়েছে তাই, জনমতের পাল্লায় যদিও অনেক এলাকায় আওয়ামী লীগ ভাগ বসাতে পারেনি, সে ক্ষতি শতভাগ পুরন করে নিচ্ছে তাঁদের বিচ্ছিন্নতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে। প্রত্যেক ক্ষমতাধর নেতা নীজেদের আত্মীয়-স্বজনকে নমিনেশন দিয়ে অনায়াসে- অনেক ক্ষেত্রে বিনা প্রতিদন্দধীতায় পাসের ব্যবস্থা করে দলের অভ্যন্তরে স্থায়ী আসন নিচ্ছিত করে দিচ্ছেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিএনপির অনেকের আচার-আচরন লক্ষ করে দেখেছি, সবাইর বদ্ধমুল ধারনা আওয়ামী লীগ জোর করে, কেন্দ্র বন্ধ করে ভোট নিয়ে যাবে। কথাটার মধ্যে বাস্তবতা অবশ্যই আছে। প্রতিরোধ, প্রতিদন্ধীতা না থাকলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ভোটের বাক্স কি খালী উপজেলায় পাঠিয়ে দিবে? খোলা মাঠ পেয়েও কি তাঁদের প্রার্থীকে জিতাবেনা? বলতে পারেন আপনাদের সময় কি এমন হয়েছে? আমি বলব না হয়নি-হয়নি এই জন্য কোন নির্বাচন আওয়ামী লীগ বিনা চ্যালেঞ্জে আপনাদের ছেড়ে দেয়নি। বরঞ্চ প্রত্যেক ইউনিয়নে আপনাদের একক প্রার্থীর বিপরীতে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী প্রতিদন্ধীতা করেছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে বিজয়ও চিনিয়ে এনেছে। এমনও দেখা গেছে অনেক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ-আওয়ামী লীগের সাথে প্রতিদন্ধীতা করেছে, আপনাদের একক প্রার্থী ৪/৫ নাম্ভার সিরিয়ালে অবস্থান নিতে কষ্ট হয়েছে। বিএনপি নেতা কর্মীদের পিছু হঠার চরিত্র কেন্দ্র থেকে তৃনমুল পয্যন্ত বিস্তৃত।দলটির আদর্শহীনতার কারনে বেশীরভাগ নেতাকর্মী আপোষকামী। দলের প্রতি তাঁদের কোন আন্তরীকতা, ত্যাগী মনোভাব নেই। ইউনিয়ন পরিষদে শক্ত অবস্থান নিয়ে ভোটে অংশ নিতে ১০/২০লক্ষ টাকা খরছ হবে, এই ত্যাগ কেউ স্বীকার করতে রাজী নহে। "গ্রাম্য একটা কথা চালু আছে --*শোয়াতে ফেলে ব্যাং ও লাফ দিয়ে যায়।"তাঁদের বেলায় ও কথাটা শতভাগ সত্য।ক্ষমতায় যখন ছিল,আওয়ামী লীগের কোন নেতাকে রাস্তায় বেরুতে দেয়নি,১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস গ্রামের অভ্যন্তরে নেতা কর্মীদের বাড়ীতেও পালন করতে দেয়নি। সমাজের নিকৃষ্ট পরিবারের যুবক ছেলেটিও ব্যাপক দাপটে সমাজে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছিল। যে যেখানে ছিল শুধু লুটপাট আর লুটপাট। এই ছাড়া আর কিছুই তাঁরা বুঝেনা। এখন সময় যখন এসেছে, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের কাতারে অবস্থান করার--তখন কাউকে পাওয়া যাচ্ছেনা নির্বাচন করার জন্য দায়িত্ব নেয়ার। এই প্রসংগে আমার নীজের অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের একটু বলতে চাই।১৯৯৬ এ ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জনাব আজিজুল হক মজুমদার সাহেব মারা গেলে প্রথম যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দলের সমুদয় দায়িত্ব আমার উপর বর্তায়।দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী বা নেতা হিসেবে দলের সকলের অবস্থা অবস্থান করনীয় আমার উপরই থাকা স্বাভাবিক।দলীয় ভাবে ২০০১ ইং সালের নির্বাচনের পর আমরা আর কোন দিন পাঁছ বছরের মধ্যে প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করতে পারিনি বা করতে দেয়া হয়নি। তাই বলে কি আমরা বসে ছিলাম?দিনের পর দিন কর্মীদের বাড়ীতে বাড়ীতে খোঁজ খবর,ছোট ছোট মিটিং, দলীয় বিশেষ দিবস গুলী কোন নেতার বাড়ীতে করতে থাকি।এমনিতে দলের ভিতরে বাইরে আমার ব্যাক্তিগত একটা শুনাম ছিল,পারত পক্ষে আমি কোন বিএনপি নেতা কর্মীদের গালাগাল, মারধর ইত্যাদি করিনি। দলকে উজ্জিবীত করা,আর জ্বালাময়ী বক্তৃতায় নাকি আমি পারদর্শী,এই দুইটাতে বেশ সুনাম ছিল। সেই আমাকে পয্যন্ত বিএনপি রক্ষা দেয়নি।২০০৩ ইং সালে এমনি গ্রামের এক মিটিং সেরে আমার নীজ বাড়ীতে যাওয়ার পথে তাঁরা আক্রমন করে।আমার সাথের টাকা পয়সা,মোবাইল ফোন,গড়ি,মোটর সাইকেল নিয়ে যায়।আমাকে -----মহুরী নদীতে নিক্ষেপ করে।আমার বন্ধু তালিকায় ফুলগাজী-ফেনীর অনেকেই আছেন, আমার বাস্তব এই ঘটনা মিথ্যে হলে চেলেঞ্জ করার মত। তাঁরপরও কি দল বা রাজনীতি থেকে বিরত রাখতে পেরেছে? অবশ্য পরে বিএনপির উপজেলা শাখার নেতারা আমার মোটর সাইকেল অক্ষত অবস্থায় ফেরৎ দেয়। গত পাঁছ,সাত বছরের মধ্যে আমি শুনেনী বিএনপির কোন নেতা কর্মীর উপর এইধরনের কোন নির্য্যাতন হয়েছে। তাঁদের দলীয় কর্মসুচিতে বাধা দিয়েছে, কোন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বিএনপির উপর আক্রমন করেছে। তাঁরপরও কেন তাঁরা অসংগঠিত, বিচ্ছিন্ন, সাহষ হারা? কারন একটাই,খালেদা জিয়া আগুন সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিয়ে যে ভুল করেছে,আগামী দশ/বিশ বছর বিএনপি ক্ষমতার বৃত্তে আসতে পারবেনা।এই দশ /বিশ বছর ঝামেলা মুক্ত থাকার জন্য বিএনপি নেতারা কেউ দায়িত্ব নিতে চাচ্ছেনা। কেন্দ্রীয়ভাবেও দলকে উজ্জিবীত করার মত কোন কর্মসুচি দিতে পারেনি বিএনপি।মাঠ পয্যায় হতাশায় আচ্ছন্ন নেতাকর্মীরা। তৃনমুল পয্যায় বেহাল দশাকে বিএনপি নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের কাঁধে তুলে দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত।আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে দু:চিন্তাগ্রস্থ প্রতিযোগিতাহীন নির্বাচনে কিভাবে কেন্দ্রদখল প্রতিরোধ করবেন। প্রতিরোধহীন নির্বাচন সুষ্ঠ করার কোন কৌশল কি আছে? সুষ্ঠ না হলে দেশে বিদেশে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। দেশে বিদেশে সবাই জানে বিএনপি শক্তিশালী দল ২/৩বার সরকারে ছিল,তাঁরা প্রতিযোগিতা,প্রতিরোধ বা প্রতিদন্ধীতা করবে।সর্বত্র লড়াইয়ের চেলেঞ্জ করার সামর্থ্য দলটির আছে।একেবারেই অমুলক নয়। তাঁদের ভিতর বাহিরে যে পেট্রোলের আগুন জলছে সেটা কি তাঁদের ধারনায় আছে? কোথাও তাঁরা সামান্য রাজনৈতিক প্রতিরোধ করতে পারবে সেই সামর্থ্য নেই। তাঁদের দুর্বলতা তাঁরা স্বীকার না করে উলটা আওয়ামী লীগের মিথ্যা বদনামে ব্যাস্ত। সাংগঠিনিক ভাবে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের উধ্বতন মহল সাংঘাতীক দু:চিন্তাগ্রস্ত নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচন কমিশনেও শংকা দেখা দিয়েছে, ,একতরফা নির্বাচন এর আইনশৃংখলা, কেন্দ্রের দরজা বন্ধ কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়। প্রতিযোগীতাহীন নির্বাচন সুষ্ঠ করার ইতিহাস বিশ্বের কোন দেশেই নেই। পশ্চিমা পঁচা গনতন্ত্রেতো নেয়ই। নির্বাচন সুষ্ঠ না হলে গনতন্ত্র প্রশ্নবিদ্ধ। আগামী সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ, সরকারের এবং নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতাও দেশে বিদেশে প্রশ্ন বিদ্ধ হবে। বিএনপি নীজেদের দুর্বলতাকে সরকারের ব্যর্থতা প্রমানে আগেভাগেই মাঠে নেমে গেছে।এখন থেকেই পুরাতন অভ্যেসের পুর্নরাবৃত্তি শুরু করে দিয়েছে। মুলত: ষড়যন্ত্র,মিথ্যা, প্রতারনা, ছাড়া এই মহুর্তে দলটির করার আর কিছুই নেই। পরিশেষে চেলেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই,বিএনপির বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে, কোন অবস্থায় আগামী সংসদ নির্বাচনে ৩০০আসনে প্রার্থী দিতে পারবেনা। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং তাঁর নেত্রী জাতির জনকের কন্যার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক,বহিবিশ্বে গ্রহন যোগ্যতা, গানিনিতিক হারে উন্নয়ন অগ্রগতি বিরুদী দলের রাজনীতি খেই হারিয়ে অন্ধের হাতি দর্শনের কাহিনীতে রুপ নিয়েছে। ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥দেশরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা♥

বিশদলীয় জোটের কেন্দ্র থেকে তৃনমুল পয্যন্ত একই অবস্থা বিরাজমান।একটা রাজনৈতিক দলের এইবেহাল অবস্থা কোন দেশেই হতে পারেনা।আদর্শ উদ্দেশ্যহীন রাজনৈতিক দল সময়ে বিলীন হবেই।মুসলিম লীগের পর বিএনপি একই পথের যাত্রী হল।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা