ইউপি নির্বাচনে বিএনপি তৃনমুলের ব্যার্থ্যতা--সরকারের কাঁধে তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত==== ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ বিএনপি জাদুঘরের পথে বলেছিলাম বছর খানেক আগে। অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। আগুন সন্ত্রাসের মাশুল আগামী কত প্রজর্ম্ম দিতে হবে তাঁর ইয়ত্তা নেই। কেন্দ্রীয় বিশ দলীয় জোট থেকে শুরু করে তৃনমুল পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিষ বাস্প ছড়িয়ে পড়েছে। যার সাক্ষাৎ প্রমান পাওয়া যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের হালহকিকতের দিকে তাকালে। কিছু দিন আগে ঘোষিত সাড়ে সাতশত ইউপি নির্বাচনের তফসিলের দিকে তাকালে দেখা যায়,১০৩ ইউনিয়নে প্রার্থী দেয়ার কোন নেতাকর্মী পায়নি বিএনপি।১৫০ইউপিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সমঝোতা করে প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।২০০ ইউপিতে নমিনেশন নিয়েছে ঠিকই কিন্তু প্রায় ১০০টিতে ভোটের মাঠে থাকবে বলে মনে হয়না। মাঠে থাকলেও প্রতিরোধ বা প্রতিযোগিতা, কেন্দ্রে কেন্দ্রে এজেন্ট নিয়োগ থেকে বিরত থাকবে। ১০০টি বা তার কমবেশী ইউপিতে নির্বাচনী হাওয়া যথারীতি প্রতিযোগীতামুলক হবে। লড়াইয়ে ৩৫/৪০ ইউপিতে জয় চিনিয়ে নিতে পারবে বলে আশা করা যায়। বাদবাকী ২৫০ ইউপিতে নামে বেনামে জামাতে ইসলামকে ধানের শীষ মার্কা দিয়ে ভোট যুদ্ধে নামিয়ে দিয়েছেন। জামাতে ইসলাম যে সমস্ত ইউপিতে প্রতিদ্বন্ধিতায় নেমেছেন সেই সমস্ত ইউপিতে নৌকা প্রতিকের সাথে সঙ্গত কারনে সংঘর্ষ হবে। ব্যাপক সহিংসতা হওয়ার আশংকাও উড়িয়ে দেয়া যায়না। এখানে যে ১০০ইউপিতে আগেই ভোট যুদ্ধে হেরে বসে আছেন, তাঁরা বাধ্য হয়ে নমিনেশন নিয়েছেন। অথবা বলা যায় থানা বা জেলা নেতারা বাধ্য করেছেন নমিনেশন নিতে। কেউ কেউ নিয়েছেন, অন্য কেউ নমিনেশন নিলে আগামীতে সে তাঁর জন্য কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে--এই ভেবে, আগেই নমিনেশন তাঁর পকেটস্ত করে রেখে দিয়েছেন। কেউ কেউ আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে নিয়ে নমিনেশন হাইজ্যাক করে নেয়ার সুযোগ দিয়ে নীজেই দলের কাছে পতিচ্ছন্ন নেতা হিসেবে ভাবমুর্তি তুলে ধরেছেন। লক্ষনীয় বিষয়টি হচ্ছে জামাতের নেতারা যে সমস্ত ইউপিতে ধানের শীষ নিয়ে লড়াইতে নেমেছেন, সেই সমস্ত ইউপিতে একটা নমিনেশনও হাইজ্যাক বা চিনতাই হয়নি। অথছ তাঁদের নমিনেশন চিনতাই হওয়ার সম্ভাবনাই ছিল বেশী। এই থেকে উপলব্দি করা যায় মুল ব্যপারটি কোথায়। চিনতাই হওয়া ইউপি নমিনেশনের ব্যাপারে বিএনপি কেন্দ্র থেকে বলছেন, "আওয়ামী লীগ ভোটের আগে জবরদখল করার জন্য তাঁদের প্রার্থীদের নমিনেশন চিনতাই করে নিয়ে গেছে।ভোটকে সরকার প্রহসনের ভোটে রুপান্তর করেছেন। "মুলত:গত পৌরনির্বাচনেও বিএনপির নেতারা তাঁদের দলের সাথে ঠিক এই প্রতারনাই করেছেন,জনগন বুঝে উঠতে পারেনি।ব্যাপারটি এবারকার ইউনিয়ন পরিষদের ভোটে পরিষ্কার হল। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রায় একই অবস্থা বিরাজমান। আমার নীজের ইউনিয়ন সহ অধিকাংশ ইউনিয়নে নমিনেশন দিতে পারবে কিনা সন্দেহ। ছাত্রদল-যুব দলের নেতারা বাড়ী বাড়ী গিয়ে নমিনেশনের জন্য প্রার্থী খোঁজে না পেয়ে হাল ছেড়ে একে অপরের উপর দোষ দেয়ার অভিনয়ে ব্যাস্ত আছে। ইতিমধ্যে শুনা যাচ্ছে অনেকে আগামী দিনের সুযোগ সুবিধার বিনিময়ে প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, কেউ কেউ প্রার্থীতা রাখবেন কিন্তু ভোট যুদ্ধে অংশ নিবেন না। আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপির এই হযরলব অবস্থাকে শতভাগ কাজে লাগিয়ে আমার নীজের ইউনিয়ন সহ বেশ কিছু ইউনিয়নে অযোগ্য, অথর্ব, হাইব্রিড কিছু আত্মীয় স্বজনকে আগামীর নেতা হিসেবে পোক্ত করার উদ্দেশ্যে নমিনেশন দিয়ে মাঠে নামিয়ে দিয়েছেন।স্বাভাবিক অবস্থায় ভোট হলে এরা কেহই তিনশ ভোটের কৌটা পার হতে পারবেনা। অথছ সারা জীবন দলের জন্য সব হারিয়ে এই একটি মুহুর্তের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন ইউনিয়নের অনেক নেতা কর্মী। আবার আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বিএনপির অসংঘটিত মুহুর্তকে কাজে লাগিয়ে কিছুটা প্রভাব বিস্তার করে বিনা প্রতিদন্ধীতায় নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড় গড়ার চিন্তাভাবনায় আছেন। উপরের আলোচনার অর্থ এই নয় যে, বিএনপির ভোট কম বা বিএনপি ভোটে জিতবেনা।আমার নীজের ইউনিয়ন সহ আশেপাসের সব কয়টি ইউনিয়নে ভোটের সংখ্যাধিক্যে বিএনপি অনেক এগিয়ে।স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৪/৫ জন প্রার্থী বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করলেও দেখা গেছে অতীতে আওয়ামী লীগেরই কেউনা কেউ জীতে গেছে।অর্থাৎ বিএনপির ভোট অনেক বেশী হলেও স্থানীয় এমন কোন ক্লীন ইমেজের ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নেতা নেই, যে নির্বাচনে জনগনের ভোট পেতে পারে। রাজনীতি বলি আর ভোট যুদ্ধ বলি সবার আগে প্রয়োজন সংগঠন এবং সংগঠিত শক্তি। ভোট অনেক থাকলেও সঠিক নেতৃত্বের অভাবে এবং সংগঠিত শক্তির অভাবে ভোটের বাক্সে ভোট পড়েনা। বিএনপির হয়েছে তাই, জনমতের পাল্লায় যদিও অনেক এলাকায় আওয়ামী লীগ ভাগ বসাতে পারেনি, সে ক্ষতি শতভাগ পুরন করে নিচ্ছে তাঁদের বিচ্ছিন্নতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে। প্রত্যেক ক্ষমতাধর নেতা নীজেদের আত্মীয়-স্বজনকে নমিনেশন দিয়ে অনায়াসে- অনেক ক্ষেত্রে বিনা প্রতিদন্দধীতায় পাসের ব্যবস্থা করে দলের অভ্যন্তরে স্থায়ী আসন নিচ্ছিত করে দিচ্ছেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিএনপির অনেকের আচার-আচরন লক্ষ করে দেখেছি, সবাইর বদ্ধমুল ধারনা আওয়ামী লীগ জোর করে, কেন্দ্র বন্ধ করে ভোট নিয়ে যাবে। কথাটার মধ্যে বাস্তবতা অবশ্যই আছে। প্রতিরোধ, প্রতিদন্ধীতা না থাকলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ভোটের বাক্স কি খালী উপজেলায় পাঠিয়ে দিবে? খোলা মাঠ পেয়েও কি তাঁদের প্রার্থীকে জিতাবেনা? বলতে পারেন আপনাদের সময় কি এমন হয়েছে? আমি বলব না হয়নি-হয়নি এই জন্য কোন নির্বাচন আওয়ামী লীগ বিনা চ্যালেঞ্জে আপনাদের ছেড়ে দেয়নি। বরঞ্চ প্রত্যেক ইউনিয়নে আপনাদের একক প্রার্থীর বিপরীতে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী প্রতিদন্ধীতা করেছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে বিজয়ও চিনিয়ে এনেছে। এমনও দেখা গেছে অনেক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ-আওয়ামী লীগের সাথে প্রতিদন্ধীতা করেছে, আপনাদের একক প্রার্থী ৪/৫ নাম্ভার সিরিয়ালে অবস্থান নিতে কষ্ট হয়েছে। বিএনপি নেতা কর্মীদের পিছু হঠার চরিত্র কেন্দ্র থেকে তৃনমুল পয্যন্ত বিস্তৃত।দলটির আদর্শহীনতার কারনে বেশীরভাগ নেতাকর্মী আপোষকামী। দলের প্রতি তাঁদের কোন আন্তরীকতা, ত্যাগী মনোভাব নেই। ইউনিয়ন পরিষদে শক্ত অবস্থান নিয়ে ভোটে অংশ নিতে ১০/২০লক্ষ টাকা খরছ হবে, এই ত্যাগ কেউ স্বীকার করতে রাজী নহে। "গ্রাম্য একটা কথা চালু আছে --*শোয়াতে ফেলে ব্যাং ও লাফ দিয়ে যায়।"তাঁদের বেলায় ও কথাটা শতভাগ সত্য।ক্ষমতায় যখন ছিল,আওয়ামী লীগের কোন নেতাকে রাস্তায় বেরুতে দেয়নি,১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস গ্রামের অভ্যন্তরে নেতা কর্মীদের বাড়ীতেও পালন করতে দেয়নি। সমাজের নিকৃষ্ট পরিবারের যুবক ছেলেটিও ব্যাপক দাপটে সমাজে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছিল। যে যেখানে ছিল শুধু লুটপাট আর লুটপাট। এই ছাড়া আর কিছুই তাঁরা বুঝেনা। এখন সময় যখন এসেছে, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের কাতারে অবস্থান করার--তখন কাউকে পাওয়া যাচ্ছেনা নির্বাচন করার জন্য দায়িত্ব নেয়ার। এই প্রসংগে আমার নীজের অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের একটু বলতে চাই।১৯৯৬ এ ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জনাব আজিজুল হক মজুমদার সাহেব মারা গেলে প্রথম যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দলের সমুদয় দায়িত্ব আমার উপর বর্তায়।দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী বা নেতা হিসেবে দলের সকলের অবস্থা অবস্থান করনীয় আমার উপরই থাকা স্বাভাবিক।দলীয় ভাবে ২০০১ ইং সালের নির্বাচনের পর আমরা আর কোন দিন পাঁছ বছরের মধ্যে প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করতে পারিনি বা করতে দেয়া হয়নি। তাই বলে কি আমরা বসে ছিলাম?দিনের পর দিন কর্মীদের বাড়ীতে বাড়ীতে খোঁজ খবর,ছোট ছোট মিটিং, দলীয় বিশেষ দিবস গুলী কোন নেতার বাড়ীতে করতে থাকি।এমনিতে দলের ভিতরে বাইরে আমার ব্যাক্তিগত একটা শুনাম ছিল,পারত পক্ষে আমি কোন বিএনপি নেতা কর্মীদের গালাগাল, মারধর ইত্যাদি করিনি। দলকে উজ্জিবীত করা,আর জ্বালাময়ী বক্তৃতায় নাকি আমি পারদর্শী,এই দুইটাতে বেশ সুনাম ছিল। সেই আমাকে পয্যন্ত বিএনপি রক্ষা দেয়নি।২০০৩ ইং সালে এমনি গ্রামের এক মিটিং সেরে আমার নীজ বাড়ীতে যাওয়ার পথে তাঁরা আক্রমন করে।আমার সাথের টাকা পয়সা,মোবাইল ফোন,গড়ি,মোটর সাইকেল নিয়ে যায়।আমাকে -----মহুরী নদীতে নিক্ষেপ করে।আমার বন্ধু তালিকায় ফুলগাজী-ফেনীর অনেকেই আছেন, আমার বাস্তব এই ঘটনা মিথ্যে হলে চেলেঞ্জ করার মত। তাঁরপরও কি দল বা রাজনীতি থেকে বিরত রাখতে পেরেছে? অবশ্য পরে বিএনপির উপজেলা শাখার নেতারা আমার মোটর সাইকেল অক্ষত অবস্থায় ফেরৎ দেয়। গত পাঁছ,সাত বছরের মধ্যে আমি শুনেনী বিএনপির কোন নেতা কর্মীর উপর এইধরনের কোন নির্য্যাতন হয়েছে। তাঁদের দলীয় কর্মসুচিতে বাধা দিয়েছে, কোন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বিএনপির উপর আক্রমন করেছে। তাঁরপরও কেন তাঁরা অসংগঠিত, বিচ্ছিন্ন, সাহষ হারা? কারন একটাই,খালেদা জিয়া আগুন সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিয়ে যে ভুল করেছে,আগামী দশ/বিশ বছর বিএনপি ক্ষমতার বৃত্তে আসতে পারবেনা।এই দশ /বিশ বছর ঝামেলা মুক্ত থাকার জন্য বিএনপি নেতারা কেউ দায়িত্ব নিতে চাচ্ছেনা। কেন্দ্রীয়ভাবেও দলকে উজ্জিবীত করার মত কোন কর্মসুচি দিতে পারেনি বিএনপি।মাঠ পয্যায় হতাশায় আচ্ছন্ন নেতাকর্মীরা। তৃনমুল পয্যায় বেহাল দশাকে বিএনপি নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের কাঁধে তুলে দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত।আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে দু:চিন্তাগ্রস্থ প্রতিযোগিতাহীন নির্বাচনে কিভাবে কেন্দ্রদখল প্রতিরোধ করবেন। প্রতিরোধহীন নির্বাচন সুষ্ঠ করার কোন কৌশল কি আছে? সুষ্ঠ না হলে দেশে বিদেশে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। দেশে বিদেশে সবাই জানে বিএনপি শক্তিশালী দল ২/৩বার সরকারে ছিল,তাঁরা প্রতিযোগিতা,প্রতিরোধ বা প্রতিদন্ধীতা করবে।সর্বত্র লড়াইয়ের চেলেঞ্জ করার সামর্থ্য দলটির আছে।একেবারেই অমুলক নয়। তাঁদের ভিতর বাহিরে যে পেট্রোলের আগুন জলছে সেটা কি তাঁদের ধারনায় আছে? কোথাও তাঁরা সামান্য রাজনৈতিক প্রতিরোধ করতে পারবে সেই সামর্থ্য নেই। তাঁদের দুর্বলতা তাঁরা স্বীকার না করে উলটা আওয়ামী লীগের মিথ্যা বদনামে ব্যাস্ত। সাংগঠিনিক ভাবে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের উধ্বতন মহল সাংঘাতীক দু:চিন্তাগ্রস্ত নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচন কমিশনেও শংকা দেখা দিয়েছে, ,একতরফা নির্বাচন এর আইনশৃংখলা, কেন্দ্রের দরজা বন্ধ কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়। প্রতিযোগীতাহীন নির্বাচন সুষ্ঠ করার ইতিহাস বিশ্বের কোন দেশেই নেই। পশ্চিমা পঁচা গনতন্ত্রেতো নেয়ই। নির্বাচন সুষ্ঠ না হলে গনতন্ত্র প্রশ্নবিদ্ধ। আগামী সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ, সরকারের এবং নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতাও দেশে বিদেশে প্রশ্ন বিদ্ধ হবে। বিএনপি নীজেদের দুর্বলতাকে সরকারের ব্যর্থতা প্রমানে আগেভাগেই মাঠে নেমে গেছে।এখন থেকেই পুরাতন অভ্যেসের পুর্নরাবৃত্তি শুরু করে দিয়েছে। মুলত: ষড়যন্ত্র,মিথ্যা, প্রতারনা, ছাড়া এই মহুর্তে দলটির করার আর কিছুই নেই। পরিশেষে চেলেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই,বিএনপির বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে, কোন অবস্থায় আগামী সংসদ নির্বাচনে ৩০০আসনে প্রার্থী দিতে পারবেনা। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং তাঁর নেত্রী জাতির জনকের কন্যার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক,বহিবিশ্বে গ্রহন যোগ্যতা, গানিনিতিক হারে উন্নয়ন অগ্রগতি বিরুদী দলের রাজনীতি খেই হারিয়ে অন্ধের হাতি দর্শনের কাহিনীতে রুপ নিয়েছে। ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা ♥দেশরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা♥

বিশদলীয় জোটের কেন্দ্র থেকে তৃনমুল পয্যন্ত একই অবস্থা বিরাজমান।একটা রাজনৈতিক দলের এইবেহাল অবস্থা কোন দেশেই হতে পারেনা।আদর্শ উদ্দেশ্যহীন রাজনৈতিক দল সময়ে বিলীন হবেই।মুসলিম লীগের পর বিএনপি একই পথের যাত্রী হল।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন