নীরবে, নীবৃত্তে চলে গেল ঐতিহাসিক ছয়দফার উত্থাপনের পঞ্চাশতম দিবস------!!!!! ============ ♥♥♥========= আজ মহান এক ঐতিহাসিক দিন বাঙ্গালী এবং বাংলাদেশ পার করে দিল।৫ই ফেব্রুয়ারী ১৯৬৬ ইং সালে লাহোরে ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খাঁন কতৃক আহুত সর্বদলীয় গোল টেবিল বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সনদ ৬দফা উত্থাপন করেছিলেন।সেই হিসেব অনুযায়ী ৬দফা উত্থাপনের ৫০ বছর পুর্ন হল। পরিতাপের বিষয় ৬দফা রাজনৈতিক দাবীর ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবদ্দশায় কোন আপোস করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বা রাজনৈতিক ভাবে আপোসের মানষিকতা ঘুনাক্ষরেও প্রকাশ করেছিলেন এইরুপ উদাহরন অদ্যাবদি তাঁর সহকর্মী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক বা পাকিস্তানের এযাবৎ কালের শাষক বর্গ থেকে কোন আভাস ইঙ্গিত, বিবৃতি, স্মৃতিচারন, তথ্য সংবলিত দলিল, বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা বা অন্য কোন তৃতীয় পক্ষ হতে কোন দিন কোন তথ্য প্রমান কোন পক্ষ উপস্থাপন করতে পারেনি। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন ৯মাস পাকিস্তানি কারাগারে তাঁদের হেফাযতে থেকেও কোন আপোষ প্রস্তাবের জন্য বা সরকারের কোন বিশেষ ব্যাক্তির সাথে আপোষের প্রস্তাবে কোন রুপ বাক্যালাপ করেছেন বা করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন এইরুপ তথ্য কোন মহল বা পাকিদের পক্ষ হতেও উত্থাপিত অদ্যাবদি হয়নি। যদিও তাঁর প্রীয় বাংলাদেশে কি হচ্ছে, কেমন আছে তাঁর স্বজন, সহকর্মীরা তাঁর কোন খবর তিনি জানতেন না।তিনি শুধু জানতেন জেলের অভ্যন্তরে তাঁর বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং বিচারে তাঁর ফাঁসির হুকুম হয়েছে।সর্বচ্ছ রাষ্ট্রীয় কতৃপক্ষের স্বাক্ষরের পর তাঁর ফাঁসী কায্যকর করা হবে।বঙ্গবন্ধুকে সমাধীস্থ করার জন্য তাঁর কনডেম সেলের সামনে একটি সুপরিসর কবর খোঁড়ে রাখা হয়েছে।এমনি বিপদ সংকুল পরিস্থিতিতেও বঙ্গবন্ধু ছিলেন অবিচল, স্বাভাবিক। মানষিক ভাবে ছিলেন দৃড। অথছ ৬দফার একটি দফাও যদি বঙ্গবন্ধু চাড় দিতেন তাহলেও আজীবনের জন্য সারা পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী হয়ে বাকী জীবন আরাম আয়েশেই কাটিয়ে দিতে পারতেন। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা প্রণয়ন, উপস্থাপন নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত। অতিবাম কমিউনিষ্টদের কেউ কেউ বলতেন যে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ৬দফা প্রস্তুত করে দিয়েছে। আবার উগ্র ভারত বিরোধীরা বলতেন এটি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা "র" তৈরী করে দিয়েছে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর জন্য। "৫৪ ইং সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে অখন্ড ভারতের সকল দলের সমন্বয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করা হয়েছিল। তাঁদের সকলের সম্মতিতে ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হয়েছিল। নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করতে পারলে ২১ দফার আলোকে পাকিস্তানের শাষন তন্ত্র রচনা করবেন জনগনের নিকট অঙ্গিকার ছিল। '২১ দফা জনগন স্বত:স্ফুর্ত ভাবে গ্রহন করেছিল বিধায় যুক্তফ্রন্ট বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আরোহন করেছিল। তাঁর পরবর্তি ইতিহাসে আমি যাবনা। আমি শুধু '২১ দফার একটি দফা পাঠকদের অনুধাবনর্থে এখানে তুলে ধরতে চাই---। এখানে ২১ দফার ১৯ নম্বরটি তুলে ধরা হল-- ============ ======= “ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তান কে স্বশাসিত ও ‘সভরেন্ট’ করা হবে এবং দেশরক্ষা, পররাষ্ট্র ও মুদ্রা ব্যবস্থা ব্যতীত অন্য সব বিষয় অবশিষ্ঠাত্মক ক্ষমতাসহ পূর্ব পাকিস্তানে নৌবাহিনীর হেড কোয়ার্টার এবং একটি সমরাস্ত্র কারখানা নির্মাণ পূর্বক, পূর্ব পাকিস্তানকে আত্মরক্ষার স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হবে। আনসার বাহিনীকে সশস্ত্র বাহিনীতে পরিণত করা হবে।” সম্মানিত পাঠক বন্ধুরা উপরের কথাগুলোর সঙ্গে ছয় দফার কতটুকু দূরত্ব ছিল আপনারাই বিচার করবেন। আমি অত্যান্ত সংক্ষেপে ছয় দফার উল্লেখ করতে চাই। (১) ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তান একটি যুক্তরাষ্ট্র হবে যেখানে প্রদেশসমূহ পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ভোগ করবে। পাকিস্তানে সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের ভোটের মাধ্যমে সার্বভৌম আইন পরিষদ গঠিত হবে। (২) কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা কেবল দুটি বিষয় যথা দেশরক্ষা এবং বৈদেশিক নীতিতে সীমাবদ্ধ থাকবে। (৩) দুটি অঞ্চল যথা পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম অঞ্চলের জন্য সহজে বিনিময়যোগ্য দুটি পৃথক মুদ্রা ব্যবস্থা চালু থাকবে। (৪) কেন্দ্রীয় সরকারের কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। এই ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অঙ্গরাজ্যগুলো থাকবে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার অঙ্গরাজ্যের রাজস্বের একটি নির্দিষ্ট অংশ লাভ করবে। (৫) পাকিস্তান ফেডারেশনভুক্ত দুটি অঙ্গরাজ্যের (পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান) বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দুইটি পৃথক খাত থাকবে। বহির্বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত পূর্ব পাকিস্তানের আয় পূর্ব পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং পশ্চিম পাকিস্তানের আয় পশ্চিম পাকিস্তানের সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। (৬) আঞ্চলিক সংহতি এবং সংবিধান রক্ষার জন্য সংবিধানে অঙ্গরাজ্যগুলোকে স্বীয় কর্তৃত্বাধীন আধাসামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও রক্ষার ক্ষমতা দিতে হবে। অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানকে ইহার নিজস্ব আধা সামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন এবং পোষণের অধিকারী হবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট স্বঘোষিত ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের পদত্যাগের পর জেনারেল ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৬৮-৬৯-এ আইয়ুবের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে তিনি সরে যেতে বাধ্য হন। জেনারেল ইয়াহিয়া নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু তার নির্বাচনী প্রচারণায় দ্ব্যার্থহীনভাবে বলেন যে, তিনি এই নির্বাচনকে ছয় দফার ম্যান্ডেট হিসেবে নিয়েছেন এবং ব্যাপক প্রচারেরও উদ্যোগ নিলেন। এখানে আমি আর একটি বিষয় গুরুত্ব সহ উল্লেখ করতে চাই--নির্বাচনের আগে পাকিস্তানকে চারটি প্রদেশে বিভক্ত করা হয়,চার প্রদেশের জন্য প্রাদেশিক সরকারের বিধান করা হয়।পশ্চিমাঞ্চলের অংশে একক তিন প্রদেশ পুর্বাংশে শুধুমাত্র পুর্ব পাকিস্তান(বর্তমান বাংলাদেশ)।এতেও ক্ষমতা পশ্চিমের হাতে থাকবে কিনা সন্দিহান হয়ে প্রেসিডেন্ট তাঁর নীজ ক্ষমতায় কি করতে পারবেন তাঁর উল্লেখ করে( পি-২) জারী করলেন।অর্থাৎ ""প্রেসিডেন্ট যদি মনে করেন নির্বাচিত সংসদ দেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে তাহলে তিনি সংসদ বাতিল করতে পারবেন।"" এই ন্যক্কার জনক শর্ত থাকা শর্তেও বঙ্গবন্ধু সাধারন নির্বাচনে অংশ নিলেন। ""বঙ্গবন্ধুর পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী হওয়ার প্রয়োজন নেই,প্রয়োজন শুধু পুর্ব পাকিস্তানের জনগনের ভাগ্যের ব্যাপারে একক সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার।যে অধিকার দেশে বিদেশে গ্রহন যোগ্য হতে পারে।"" নির্বাচনে অভূতপূর্ব সাফল্য পেলেন তিনি। ভোট পড়েছিল শতকরা ৫৫ ভাগ। প্রদত্ত ভোটের শতকরা ৭৫ ভাগ আওয়ামী লীগের বাক্সে পড়ে। পূর্ব পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দকৃত জাতীয় পরিষদের ১৬৯টি আসনের ভেতর ১৬৭টিতে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়। এর সঙ্গে সংযুক্ত হয় মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৭টি আসন। প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০টি আসনের ভেতর ২৮৮টি আওয়ামী লীগের দখলে.। ’৭০-এর নির্বাচনে পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো পাঞ্জাব এবং সিন্ধু প্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন। তবে বঙ্গবন্ধু সংখ্যাগরিষ্ঠতার মতো নয়। শোনা যায় যে, পাকিস্তানের সামরিক এবং বেসামরিক গোয়েন্দারা নাকি এই মর্মে রিপোর্ট দিয়েছিল যে, কোনো দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তাহলেই পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার ’৫৪-’৫৬ সালের মতো রাজনৈতিক খেলা খেলবে। বিধিবাম--বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসকদের বলে দিলেন যে, ছয় দফা থেকে সরে আসার কোনো সুযোগ নেই। কারন তিনি ছয়দফার ম্যান্ডেট চেয়ে জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। ছয় দফার ভিত্তিতে সংবিধান প্রণয়ন করাই হবে তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের বাস্তবায়ন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সাহেবের ঝুলিতে তখন যুক্তফ্রন্ট নির্বানোত্তর অভিজ্ঞতা। দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাঙ্গালী জাতির স্বাতন্ত্রবোধ, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। ""বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সব নির্বাচিত জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের ১৯৭১-এর ৩ ফেব্রুয়ারি রমনা মাঠে জনসমক্ষে এই মর্মে শপথ পড়ালেন যে,"" তারা কোনো অবস্থাতে ছয় দফা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত থেকে এক ইঞ্চিও সরে আসবেন না।""-----!! প্রীয় পাঠক বন্ধুরা,বঙ্গবন্ধু সুদুরপ্রসারী রাজনীতিবীদ। তিনি জানতেন ছয়দফা পাকিস্তানি শাষক চক্র মানতে পারবেন না।আর তাই ছয় দফা প্রনয়নের বছরই ঢাকা ইউনিভারসিটি কেন্দ্রিক"" নিউক্লিয়াস"" গঠন করে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। মুক্তির জন্য লড়াই করার সকল ব্যবস্থা পাকা করতে ছাত্র নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব বন্টন করে দিয়ে রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু জানতেন বলেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একদল "" বিশ্বস্ত তরুন বাঙ্গালী অফিসার" ভারতের আগড়তলা পাঠিয়ে ভারতের সহযোগিতা কি হতে পারে তাঁর ধারনা নিয়ে রেখেছিলেন। " আর যদি ছয়দফা কোন কারনে মেনেও যায়,তাহলে পাকিস্তানের ইতিহাস হত অন্যরকম আর এক ইতিহাস।পশ্চিম পাকিস্তানের তিন প্রদেশ পুর্ব পাকিস্তানের নিকট থেকে স্বাধীনতা নেয়ার সংগ্রামে লিপ্ত থাকতে হত হয়তোবা বহুযুগ।" পরিতাপের বিষয়, কমপক্ষে অর্ধশত বুদ্ধিজীবি বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চাননি। ইতিহাস না জেনেও ইতিহাস বীদ হওয়ার খায়েশে নিত্য বিতর্কিত আলোচনাই নতুন প্রজম্মকে শেখানোর চেষ্টায় রত:। আহম্মকের দল ছোট্র কথাটাও বুঝতে চেষ্টা করেনা,"একক রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে থেকে আগে আক্রমন করা যায়না, এতে বহি:বিশ্বের স্বীকৃতি পাওয়া যেতনা"। স্বাধীনতা চেয়েছিল নাকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব চেয়েছিল, তাঁর রাজনৈতিক জীবন বিশ্লেষন করলেই পাওয়া যায়। ছয় দফাইতো বলে দিচ্ছে বঙ্গবন্ধু কি চেয়েছিলেন। নীরবেই চলে গেল ঐতিহাসিক ছয় দফার পঞ্চাশ বছর পুর্তির দিনটি। অথছ বঙ্গবন্ধুর সেই দিনের সকল বাধা উপেক্ষা করে ছয়দফা যদি উত্থাপন না করতেন তাহলে হয়তোবা বাঙ্গালী আজও পাকিস্তানের করদ রাজ্যের অন্তভুক্ত হয়েই থাকতে হত। দু:খ্যজনক হলেও সত্য কথাটি হচ্ছে, জাতির জনকের প্রতিষ্ঠিত দল বাংলাদেশের ক্ষমতায়, তাঁর চেয়ে বড় কথা তাঁর কন্যা দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকা সত্বেও দিবসটি নিয়ে দলীয় অথবা রাষ্ট্রীয়ভাবে খুব বেশী তোড়জোড় পরিলক্ষিত হয়নি। জয় বাংলা জয়বঙ্গন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ইহা একান্তই চিরন্তন সত্য যে,৬ দফার সুত্র ধরেই আন্দোলনের তিব্রতা সৃষ্টি হয়েছিল, আগরতলা মামলার উদ্ভব হয়েছিল,বঙ্গবন্ধুকে জেল মুক্ত করতেই গন অভ্যুত্থান সৃষ্টি হয়েছিল।গন অভ্যুত্থানের কারনেই ৭০ এর নির্বাচনে বিধাল বিজয় অর্জিত হয়েছিল।বিজয়ের কারনেই মুক্তিযুদ্ধের অনিবায্যতা সৃষ্টি হতে পেরেছিল।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা