৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা সরকারের-----!!!!!!!!! ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ ♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে নতুন ৪ বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। দেশকে বিশ্বের বুকে উন্নত একটি দেশ হিসেবে পরিচিত করার লক্ষে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন। "এরমধ্যে ২০১৬ সালের মধ্যে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। ২০২১ সালে ২৪হাজার মেগাওয়াট, ২০৩১ সালের মধ্যে ৪০হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাযজ্ঞের কাজ শুরু হল আজ থেকে(২৫/০২২০১৬ইং)। " নতুন ৪ বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে বিদ্যুৎ ঘাটতি কমে যাবে। দেশের সব মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনা যাবে।যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌছেনি সেখানে সৌর বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা রেখেছে সদাধয় সরকার। প্রথমে তিনি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় ৯০টি গ্রামের ৬০০০ পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর চট্টগ্রামের পটিয়ার ১০৮ মেগাওয়াট ইসিপিভি চট্টগ্রাম লিমিটেড, কুমিল্লার জাঙ্গালিয়ার ৫২ দশমিক ২ মেগাওয়াট লাকধানাভি বাংলা পাওয়ার লি., গাজীপুরের কড্ডার ১৫০ মেগাওয়াট বিপিডিবি-আরপিসিএল পাওয়ারজেন লি. এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের ২২৫ মেগাওয়াট সিসিপিপি (এসটি ইউনিট) বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন তিনি। বিদ্যুৎ খাতে বর্তমান মহাজোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈর্ষনীয় সাফল্য দেশী বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগে উৎসাহীত করবে নি:সন্দেহে। উপরে উল্লেখীত পরিকল্পিত বিদ্যুৎ প্লান্ট গুলী "রুপকল্প ২০৪১" এর প্রস্তুতি মুলক প্রজেক্ট। জাতির জনকের কন্যা শুধু স্বপ্নই দেখাননা, বাস্তবে রুপায়ন করে গনমানুষের আস্থা ও বিশ্বাসকে করে চলেছেন দৃড থেকে দৃডতর। এছাড়াও গত দুই বছরে "রুপকল্প ২০২১" বাস্তবায়নের লক্ষে দেশরত্মের সরকার বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করে অন্ধকারাচ্ছন্ন জাতিকে আলোতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। ১৯৯৬ ইং সালে সরকার গঠন করার পর বিভিন্ন মুখী প্রকল্প গ্রহন করে দেশকে বিদ্যুতের চাহিদা মাপিক উৎপাদন কাঠামো প্রস্তুত করেন। ২০০১ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে নীজ আবাসস্থলে আসার আগেই ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার লাভ শুরু করে। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের উপর নেমে আসে বিভীষিকাময় কালরাত্রী। ২৪ ঘন্টার মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদ শপথ নেয়ার আগেই সচিবালয় থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদ পয্যন্ত সরকারি কর্মচারিদের আওয়ামীমনা অভিযোগের ভিত্তিতে গনহারে বদলি, চাকুরী চ্যুতি, মানষিক নীপিড়নের উদ্দেশ্যে ও,এস,ডি করে প্রসাশন ব্যবস্থায় অস্থীর এক পরিবেশ নীমিষেই সৃষ্টি করে ফেলে। আওয়ামী লীগের সাম্ভাব্য একাদিক এম,পি প্রার্থীকে চিহ্নিত করে ধরপাকড়, হত্যার হুমকি এমনকি সেনাসদস্যদেরকে লেলিয়ে দিয়ে বাড়ীঘর পয্যন্ত লুটপাট করতে দ্বিধা করেনি। জেলার প্রধান নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে যুদ্ধাংদেহী মনোভাবে পাড়া মহল্লা সহ আশপাশে আক্রমন করে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। অনেক জেলা নেতা পালিয়ে বাঁচলেও অনেকেই জেলের অভ্যন্তরে অমানষীক নির্য্যাতনের স্বীকার হন। নেতাদের নামে একাধিক কল্পিত মামলা দিয়ে মানষিকভাবে দুর্বল করে দেয়। যুবলীগ-ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা দিকবিদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে অনেকে পালিয়ে বাঁচেন, কেউ জেলে,আবার কেউ কেউ তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধের স্বীকারে মৃত্যুকে আলীঙ্গন করতে বাধ্য হন। এমতবস্থায় সাধারন নির্বাচনে নেতাকর্মী শুন্য আওয়ামী লীগ চরম পরাজয় বরন করে।এইখানে আমি একটা উল্লেখযোগ্য তথ্য জানিয়ে রাখতে চাই--" "জাতির জনকের কন্যা এই চরম মহুর্তকে আলীঙ্গন করে ভোটের মাঠ থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার না করে, লড়াই চালিয়ে যুগান্তকারি বিচক্ষন নেতৃত্ব দিয়ে পরিপক্ষ রাজনীতিবিদের চরম পরাকাষ্ঠার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হন।" দলের ভিতরে বাহিরে ভোটের মাঠ ছেড়ে আন্দোলনের ডাক দেয়ার জন্য প্রচন্ড চাপকে উপেক্ষা করে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে সারা দেশ চষে বেড়ান। শেখ হাসিনা যদি চাপের মুখে সেই দিন নতি স্বীকার করতেন, তবে বর্তমান বাংলাদেশের ইতিহাস হত অন্যরকম আর এক কাল যুগের ইতিহাস।যেখান থেকে জাতিকে আর হয়তবা টেনে তোলা সম্ভব নাও হতে পারতো। ষড়যন্ত্রের নমুনা দেখা গিয়েছিল ক্ষমতা ছাড়ার অল্প কিছুদিন আগেই। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্রগ্রামের এক জনসভায় ভাষন দিতে গেলে-- তথাকথিত ফ্রিডম পার্টি নামে সরকারের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের প্ররোচনায় সরকারের পোষ্য এসবি,ডিএস বির সদস্যরা আইন শৃংখলা রক্ষার নাম করে জনসভার চতুর্দিকে অবস্থান গ্রহন করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা ভাষন শেষ করার আগ মহুর্তে বৃষ্টির মত গুলি বর্ষন শুরু করে অবস্থান নেয়া জোয়ানেরা। জাতির জনকের কন্যাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই ন্যক্কারজনক মিশন নিয়ে মাঠে নামে অশুভ শক্তি। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্র লীগ, এস,এস,এফ এর কর্মীবাহিনী মানব ঢাল তৈরী করে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে নেত্রীকে সেইদিন প্রানে রক্ষা করেন। সেইদিন এস এস এফের এক সদস্য সহ বহু ছাত্রজনতা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে অকাতরে জীবন দিয়ে প্রমান করেন--,জাতির জনকের কন্যার জীবন রক্ষার স্বার্থে নীজের জীবন তুচ্ছ। সেদিনের বিভৎস্য, নারকীয় ঘটনায় অনেকেই পঙ্গুত্ব বরন করে আজও মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভয়াবহ এই রাষ্ট্রীয় হত্যাযজ্ঞকে তোয়াক্কা না করে শান্তিপুর্ন উপায়ে মেয়াদ শেষে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন জাতির জনকের কন্যা। শিশু গনতন্ত্রের নজিরবিহীন এক ইতিহাস সৃষ্টি করেন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে। ইতিপুর্বে শান্তিপুর্ন ক্ষমতা হস্তান্তরের ইতিহাস বাংলাদেশে আর কখনই ঘটেনি। ষড়যন্ত্রের যদি এখানে শেষ হত তাহলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বৃত্তেই থাকতো। লক্ষনীয় উপলব্দি সেই দিন আওয়ামী লীগ সহ দেশবাসি অবাক বিস্ময়ে বাংলাদেশের নারকীয় ঘটনা অবলোকন করে। বিশ্ববাসিও ঘটনার উপর কড়া নজরই রেখেছিল। স্বাভাবিক মেয়াদান্তে ক্ষমতা হস্তান্তর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। সেই রীতি, বাধ্যবাধকতাকে অনুসরন করে তত্বাবধায়কের হাতে ক্ষমতা দেয়ার ৩/৪ ঘন্টা আগে তথাকথিত বিজয় মিছিলের আয়োজন করে চার দলীয় জোট সারা দেশব্যাপি এক নৈরাজ্যকর পরিস্থীতি সৃষ্টি করে। চার দলীয় জোটের বিজয় মিছিল থেকে সারা দেশব্যাপি আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা কর্মীদের দোকানপাট, ,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ীঘরে একযোগে হামলা করে লুটপাট অগ্নিসংযোগ, মারপিট, হত্যা যজ্ঞের মধ্যযুগীয় তান্ডব লীলায় দেশব্যাপি চরম এক নৈরাজ্যকর পরিস্থীতির সৃষ্টি করে। তাঁরা সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়ী বাড়ী তল্লাসী করে বসত ঘরে আগুন, মন্দিরে আগুন, হিন্দু মেয়েদের লুট, আওয়ামী নেতাকর্মী ,সংখ্যালঘুদের বাড়ীঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে চারখার করে দেয়। এমন নৈরাজ্যকর,বিভিষিকার কাল অধ্যায় পাকহানাদারদের দ্বারাও সংঘটিত হয়েছে বলে ধারনা করা যায়না। মায়ের সামনে মেয়েকে, ভাইয়ের সামনে বোনকে দর্শন করতেও তাঁরা দ্বিধাবোধ করেনি। প্রকাশ্য দিনের বেলায় পুকুরের মাছ, গোয়ালের গরু এবংকি হাঁসমুরগী পয্যন্ত লুটপাট করে নিয়ে যেতে তাঁদের ধর্মের বিবেকে সামান্যতম দ্বীধা হয়েছে বলে মনে হয়না। অসংখ্য হিন্দু পরিবার সমাজের চক্ষু লজ্জায় পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যে উধাও হয়ে গেছেন আজও তাঁদের খোঁজ মেলেনি। রাজনীতি যে এত বিভৎস্য হতে পারে, প্রতিহিংসার আগুনের তাপ যে এত খরতাপে রুপ নিতে পারে কেউ কোনদিন কল্পনাও করতে পারেনি। বিশ্বের কোথাও এমন তান্ডব হয়েছে, ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া দলের উপর এমন অত্যাচার নিয্যাতন নেমে এসেছে ইতিহাসে নেই।হীটলার, মসোলীনি,চেঙ্গিস খাঁ নয়,তাঁর আগের যুগেও মিলবেনা এই বর্বরতার ইতিহাস। ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ উপলব্দি করতে পারবেনা--বর্ণনাও করতে পারবেনা এই বর্বতার বিবরন। তাঁরপরও জাতির জনকের কন্যা নৌকার বৈঠা ছেড়ে এক সেকেন্ডের জন্য পাটাতনে এসে বিশ্রাম নেননি। ঘোর অন্ধকার অবস্থায় দলকে সংগঠিত করে ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশের কোথাও আওয়ামী লীগ নেতারা স্বাচ্ছন্দে ভোটে অংশ নিতে পারেনি। ফলে দলের চরম ভরাডুবি হয়। শত্রুরা শক্তিশালী এবং সক্রিয় থাকা সত্বেও জননেত্রী সুদুরপ্রসারী অথছ বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকি স্বরুপ বেশ কিছু সমস্যার আজীবনের জন্য সমাধান করেন।গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে অখন্ড পাকিস্তানের ২৩ বছর স্বাধীন বাংলাদেশের ২১ বছর কোন সরকার আন্তরীক ভাবে, দেশপ্রেম নিয়ে মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহন করেননি। ঘন ঘন ভারত সফর করলেও দাবী উত্থাপন করতে ভুলে যান( হাস্যকর উক্তি)।তৎসময়ের সংসদের শক্তিশালী বিরুধী দল এবং তাঁর নেত্রী বিবৃতি দিয়ে আগাম ঘোষনা দিয়ে রেখেছিল কমপক্ষে দশ হাজার কিউসেক পানি না আনলে তাঁরা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে দিবেন না। জাতির জনকের কন্যা ভারত সফরে গেলে ভারত সরকার সম্মান সুচক চল্লিশ হাজার কিউসেক পানি বিনা বাক্যব্যায়ে দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। জাতির জনকের নির্মম হত্যার পর মেজর জিয়া ঠান্ডা মাথায় পাহাড়ের অভ্যন্তরে বাঙ্গালী উদ্বাস্তুদের জমি বরাদ্ধ দিয়ে মহা সংকটের জম্ম দিয়ে যান।সংকট শেষাবদি সসস্ত্র যুদ্ধে রুপ নিলে,দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে অজানা অচেনা পথে ঘাটে বেঘোরে সেনাসদস্য সহ বি,ডি,আর,পুলিশ বেসামরিক বাঙ্গালী শরনার্থীরা প্রান দিতে থাকেন। সমস্যার শান্তিপুর্ন সমাধানের পথে না গিয়ে সামরিক বেসামরিক সরকার সমুহ একই ভুখন্ডের অধিবাসীর মধ্যে বলপুর্বক দীর্ঘস্থায়ী এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের দিকে জাতিকে ঠেলে দেয়। জাতির জনকের কন্যার বিচক্ষন নেতৃত্বে সেই যুদ্ধ বন্ধ করে পাহাড়ে উন্নয়নের রাস্তা পরিস্কার করতে সক্ষম হয়।পাহাড়িরা বিপুল পরিমান অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। শান্তিচুক্তির পর বিরুদিদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া প্রাকাশ্য বলেছিল ফেনী জেলার শুভপুর ব্রীজ পয্যন্ত নাকি শেখ হাসিনা ভারতকে দিয়ে দিয়েছেন।তাঁর দল ক্ষমতায় এলে শান্তি চুক্তি বাতিল করার অঙ্গিকারও ব্যক্ত করেছিলেন খালেদা জিয়া।ক্ষমতা উপভোগ করে ছেড়েও দিয়েছেন শান্তি চুক্তি বাতিল করতে তিনি ভুলেই গেছেন।!! ১৯৯৬ ইং সালে যুগান্তকারী সমস্যা সমাধান করেও আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের জালে আটকা পড়ে পরবর্তি নির্বাচনে ফসল ঘরে তুলতে পারেনি। ইহার চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে। এই পরাজয়ের গ্লানীর রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই জাতির জনকের কন্যা দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দেন। অর্থাৎ দলের চরম মহুর্তে সভানেত্রীর পদত্যাগ কর্মীদের পাগল করে দেয়। দলের সর্বস্তরে অজানা এক আবেগীয় আশংকায় পেয়ে বসে। দলকে বাঁচানোর, কর্মীদের মনোবল ফিরিয়ে আনতে আর কোন বিকল্প বিচক্ষন নেত্রী জাতির জনকের কন্যার সামনে খোলা ছিলনা। আবেগের উপর চরম কষাঘাত করে মহুর্তে দলকে পুর্নজ্জিবীত করতে তাঁর তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত মহা ঔষদের কাজ করে। দল ফিরে পায় তাঁর পুরানো সাংগঠনিক শক্তি, নেতারা নেমে পড়েন নতুন শক্তিতে বলিয়ান হয়ে।তার পরবর্তি ইতিহাস সবারই নিশ্চয়ই জানা আছে। দেশরত্ম দলকে সংগঠিত করে নেমে পড়েন গ্রামে গঞ্জে। বাংলাদেশের মানুষের মনে ঠাই করে নেন আপন যোগ্যতায়। ২০০৮ইং সালের সাধারন নির্বাচনে পুর্নশক্তি নিয়ে সরকারে ফিরে আসেন বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে। তাঁর আগেই চার দলীয় সরকার বিশ্বের সেরা দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় পাঁচ বারের জন্য নাম লিখে রেখে গেছেন। তিন মাসের তত্বাবধায়ক দুই বছর সময় পার করে দুই নেত্রীকে জেলের অভ্যন্তরে রেখে নতুন চক্রান্তে মেতে উঠেন।তত্বাবধায়কের দুই বছরও ভিক্ষুকের সনদ রেখে যায় পরবর্তি সরকারের জন্য। কোন ষড়যন্ত্র কায্যকর না হওয়ায় দুই নেত্রীকে মুক্তি দিয়ে দুই বছর পর সাধারন নির্বাচন দিয়ে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত করে দিয়ে যান ত্যাগের অর্জন তত্বাবধায়ক সরকার। শেষ তত্বাবধায়ক প্রধান সহ তাঁর কুশিলবেরাও সেই একই পথেই নিক্ষিপ্ত হন ইতিহাসের অমোঘ নিয়মে । আজও তাঁদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়না ২০০৮ সালে সরকার গঠন করে ঝুকিপুর্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বল্পসময়ের জন্য বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে স্থায়ী বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের দিকে মনোযোগ দেন মহাজোট সরকার। সরকারের পরিকল্পিত সিদ্ধান্তে বিগত পাঁছ বছরে আড়াই হাজার মেগওয়াট সচল বিদ্যুৎ নিয়ে যাত্রা শুরু করে "রুপকল্প ২০২১ " উন্নয়ন, অগ্রগতির নতুন এক মহাপরিকল্পনা ঘোষনা করেন।সেই ধারাবাহিকতায় সাড়ে ছয় হাজার মেগওয়াট বিদ্যুৎ রেখে মেয়াদ শেষে সাধারন নির্বাচনের ঘোষনা দেন। নির্বাচনের পর নতুন সরকার ইতিমধ্যে দুই বছর পুর্তি উৎসব পালন করেছে।আমি ফেলে আসা দুই বছরে বিদ্যুৎ খাতে মহাজোট সরকারের অগ্রগতি নিয়ে কিঞ্চিত আলোচনা করতে চাই। *(১)*:-গত দুই বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা (গ্রীড কানেকটেড) ১০২৮৯ মেগাওয়াট থেকে ১১৯৫২ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। *(২):- ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৬৬৭৫ মেগাওয়াট। ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন দাঁড়ায় ৮১৭৭ মেগাওয়াট। *(৩);-- ২০১৩ সালের মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩২১ কিলোওয়াট আওয়ার হতে বর্তমানেও ৩৭১ কিলোওয়াট আওয়ারে উন্নীত হয়েছে। "রুপকল্প ২০২১" এর আওতায় প্রকল্প সমুহ সফল বাস্তবায়নের পর সামান্যতম সময় নষ্ট না করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে ""রুপকল্প ২০৪১)এর জন্য নেয়া প্রকল্প সমুহের বাস্তবায়ন নির্দিষ্ট করে দেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী। ""রুপকল্প২০৪১""বাস্তবায়নে বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষমাত্রার এইরুপ মহাযজ্ঞের নির্দিষ্ট ঘোষনা জাতির জনকের কন্যা ছাড়া আর কে দিতে পারে। বর্তমান বিশ্বে একজন নেতাও আগামী ২৫ বছরের কর্মযজ্ঞের আগাম স্বপ্ন দেখাতে পারবেনা,অতীতেও পারেনি কেউ। !♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥

রুপকল্প ২০২১ শেষান্তে রুপকল্প ২০৪১ এর প্রস্তুতিতে সর্বাজ্ঞে প্রয়োজনীয় জ্বালানী বিদ্যুৎ উৎপাদনের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ঘোষনা করেছেন।নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কাজটির পরিকল্পনা নির্দিষ্ট করে দেয়ার সাহষী পদক্ষেপ নিয়ে দেশবাসিকে উদ্দেলীত করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন