তিস্তা নিয়ে আর তিক্ততা নয়--বন্ধু পুরাতন ভাল,খেলনা নতুন।
(রুহুল আমিন মজুমদার)

       বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী ৮এপ্রিল ভারত সফরের সকল আয়োজন সম্পন্ন। উক্ত সফরকে উপলক্ষ করে দুই দেশের কূটনৈতিক পাঁড়ায় চাঞ্চল্যতা দেখা দিয়েছে।বিশেষ করে মৌদি সরকারের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার সফর সফল করার লক্ষে বেশ কিছু নতুন নতুন পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে। যাহা ইতিপূর্বে ভারতের কোন সসরকার অন্য কোন দেশের সসরকার প্রধানের সফর উপলক্ষে আদৌ করা হয়নি।
     যেমন:-ভারতের প্রধান মন্ত্রীর বাসভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে  রাত্রী যাপনের অনুরুধ (২) বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রীর সম্মানে দেয়া নৈশভোজে ৫রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রন(৩)সফরের পূর্বে প্রতিশ্রুত ২০০বিলিয়ন ডলার ঋনের টাকা তড়িগড়ি ছাড়(৪) প্রতিশ্রুত তিস্তা চুক্তি আগামী মে মাসের ২৫ তারিখে স্বাক্ষরের আগাম প্রতিশ্রুতি (৫) রেল পথে জ্বালানী সরবরাহে  বিগ্নতা ও ব্যায়বহুল বিবেচনায় পাইপ লাইনে সসরবরাহের নিশ্চয়তা প্রদান(যদিও ভারতের অর্ধেক জনসংখ্যার জ্বালানী চাহিদা পূরন ভারত করতে পারেনি) সহ নানা আগাম কর্মসূচি বাস্তবায়ন  করে করে চলেছে।
    ইতিপূর্বে ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন- তিস্তা সহ অভিন্ন নদীর পানি সম্পর্কে উদ্ভূত জটিলতা নিরসন পুর্বক শিগ্রই বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি স্বাক্ষর হবে এবং অন্যান্ন নদীর পানি বন্টন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।শেখ হাসিনার ভারত সফর দুই দফায় স্থগিত হয়ে তৃতীয় দফায় ঘোষিত হওয়ার পর মমতার একটি বিবৃতি তৃতীয় দফায় শেখ হাসিনার ভারত সফর অনুষ্ঠানের উপর নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।মমতা ঐ বিবৃতিতে বলেছিলেন পশ্চিম্বঙ্গের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে তিস্তা চুক্তি নয়।
    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সরাসরি মমতার বিবৃতির প্রতিক্রিয়া না জানালেও চট্রগ্রামে নৌবাহিনীর জন্যে সংগৃহিত দুটি সাবমেরিন কমিশনিং করার অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় বলেন--বাংলাদেশ কাউকে আক্রমন করার জন্যে নয়,বরঞ্চ আক্রান্ত হলে সমূচিত জবাব দেয়ার সামর্থ্য অর্জনে যা যা করার প্রয়োজন সব কিছু সামরিক বাহিনীতে  করবে। বিশ্বমানের সামরিক শক্তি অর্জনের লক্ষে তাঁর সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সংসদে দাঁড়িয়ে সাংসদের এক প্রশ্ন উত্তরে তিনি বলেন--আমেরিকার টাকায় বাংলাদেশ চলে না বরঞ্চ আমাদের টেক্সের টাকায় আমেরিকানদের চলতে হয়। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী উক্তরুপ হুমকি কাকে কি উদ্দেশ্যে দিলেন অন্য ককেউ না বুঝলেও বোদ্ধামহলের বুঝতে অসুবিধা হয়নি।
    জাতির জনকের কন্যা ভারত সফর সম্পর্কে ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোন প্রকার মন্তব্য থেকে বিরত থাকলেও ভারতের "র" এবং আমেরিকার সি,আই এ এর বিরুদ্ধে এক গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করে বলেন-- ২০০১ ইং সালে ভারত এবং আমেরিকার গোয়েন্দা বাহিনীর ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের ক্ষমতার রদবদল হয়েছিল। চারদলীয় জোট ক্ষমতায় গেলে ভারতকে গ্যাস দেয়ার গোপন চুক্তির ফলশ্রুতিতে উক্ত ষড়যন্ত্র অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রধান মন্ত্রীর গুরুতর উক্ত অভিযোগ উত্থাপনের পর বিএনপি দলের তৃতীয় শ্রেনীর নেতাদের মুখে ক্ষীন প্রতিবাদ দেখা গেলেও শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের পক্ষ থেকে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এবং কি ভারত এবং আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকেও কোন প্রতিবাদ দেখা যায়নি।
    এর আগে শেখ হাসিনা বার কয়েক বলেছেন, আমি জাতির পিতার কন্যা, দেশের স্বার্থ্য বিগ্নিত হয় এমন কোন কাজ, চুক্তি, সমঝোতা আমি করতে পারিনা। উক্ত বিবৃতির সত্যতার স্বাক্ষরও তিনি রেখেছেন ভারত থেকে নিম্ন মানের যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় নিষিদ্ধ করে তাঁর সরকার চীন থেকে আধুনিক সাবমেরিন সহ অত্যাধুনিক  যুদ্ধাস্ত্র সংগ্রহে মনযোগী হয়ে।বাংলাদেশের জলসীমায় সাবমেরিন পৌছামাত্র ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঢাকায় ছুটে আসেন সামরিক সহযোগীতার অঙ্গিকার নিয়ে।বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পয্যায় আলোচনাও করেছেন তিনি।তাঁর সফর সার্থক যে হয়নি তা বুঝা যায় পরবর্তিতে বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অভ্যন্তরে  চাপা ক্ষোভ বহি:প্রকাশের ফলশ্রুতিতে।
    আগেই বলেছি আসন্ন সফরে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন বিষয়ে ভারতের প্রধান মন্ত্রী মৌদি বাংলাদেশ সফরকালিন সময়ে মমতার উপস্থীতিতে  প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।যে কোন উপায়ে তাঁর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করার লক্ষে তাঁর সরকারের চেষ্টার কমতি আছে বলে মনে হয়না।  তাঁর সরকারের চেষ্টায় নতুন ভাবে সংযোজিত হল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া রাষ্ট্রী নৈশভোজে মমতা সহ তিস্তা সম্পর্কিত আরো ৫রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রনের মধ্য দিয়ে।ভারত সরকারের ইতিহাসে এই প্রথম কোন রাষ্ট্রীয় অতিথির সম্মানে ভোজসভায় ৫জনের অধিক মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রন জানানো এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্যে রাষ্ট্রীয় বরাদ্ধকৃত: বাসভবনে  অন্যকোন দেশের রাষ্ট্র প্রধানকে  রাত্রী যাপনের অনুরুধ জানানো।
    ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নৈশভোজের আমন্ত্রন গ্রহন বর্জনের উপর বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রীর ভারত সফর অনেকাংশে নির্ভরশীল বলা যায়।অবশ্য মমতার পক্ষ থেকে নৈশভোজের আমন্ত্রন সম্পর্কিত বিষয় এখনও কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
    এর আগে অবশ্য মমতা পশ্চিমবঙ্গের বেসরকারি টেলিভিসনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ঘোষনা দিয়ে উভয় সরকারের শীর্ষপয্যায়কে আশ্বস্ত করেছিলেন আগামী মে মাসের ২৫ তারিখে ঢাকায় তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরীত হবে।উক্ত ঘোষনার কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে না পাওয়ায় তিস্তা সংশ্লিষ্ট ৫রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে আমন্ত্রন  জানানো মৌদি সরকারের সর্বশেষ ইতিবাচক আন্তরিকতার বহি:প্রকাশ, এতে কোন সন্দেহের অবকাশ আছে বলে মনে করিনা।
    উল্লেখিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীগন নৈশভোজে যোগ দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের পক্ষে বিরাজমান বাঁধা সমূহ দূর করতে আগ্রহি হবেন বলে ভারতের কেন্দ্রিয় সরকার  আশাবাদি। মমতাসহ অন্যান্ন মুখ্যমন্ত্রীগন তিস্তাচুক্তিতে একমত না হলেও বিকল্প পথে উক্ত চুক্তি সাক্ষরিত হবে তাঁর ইঙ্গিত এর আগেই দিয়ে রেখেছেন মৌদি দরকারের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার মাধ্যমে। মমতা নিজেই ঘোষনা দিয়ে বলেছেন ২৫ মে ঢাকায় তিস্তা চুক্তি সাক্ষরীত হবে।
    বাংলাদেশ মনে করে--কেন্দ্রীয় সরকারের  চুক্তির বিষয়ে রাজ্যের মতামত নিতে হবে, এমন কোন আইনগত বাধানিষেদ নেই।বরঞ্চ রাজ্য কোন বিদেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হতে গেলে কেন্দ্রিয় সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। রাজ্যের বাধার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রকারান্তরে ভারত সরকার  তিস্তাচুক্তি বিষয়ে কালক্ষেপন করার পথ অনুসরন করছে।সুতারাং তিস্তা বিষয়ে পরিস্কার ধারনা ব্যাতিরেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফর কোনপ্রকার ফলপ্রসূ ফলাফল বয়ে আনবেনা ।
    অপরপক্ষে মৌদি সরকার এমন একটি মহৎ চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের কাউকে বৈরি করতে চাননা। চুক্তি স্বাক্ষর হলেও বৈরি ভাবাপন্ন রাজ্যের কারনে চুক্তিকায্যকরে ভালফল বয়ে আনবেনা বলে মনে করে। আর তাই সংশ্লিষ্ট সকল রাজ্যকে তিস্তা চুক্তি বিষয়ে একমতে নিয়ে আসার ইতিবাচক একের পর এক উদ্যোগ গ্রহন করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
       বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সরকার বিরোধী দল সমূহ এবং জাতীয় পত্রিকা সমুহ 'মমতার' টেলিভিশন ঘোষনার পর হিমশীতল বরফাকার ধারন করেছে। বিরুধী দলের এইরুপ চুপসে যাওয়াকে  বাংলাদেশ সরকার ভালভাবে নেয়নি। দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক দল, শুসিল সমাজ, সর্বোপরি  নাগরিক গনের ঐক্যবদ্ধ ভুমিকার প্রয়োজন আছে বলে সরকার মনে করে। এইরুপ নিস্তব্দতায় বাংলাদেশ সরকারের দৃডতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে অভিজ্ঞমহলও মনে করেন।
     সামরিক চুক্তি বিষয়ের ন্যায় সেনসেটিব অথছ  অনুল্লেখিত একটি বিষয়ে আলোচনা,  সমালোচনা ভারতকে এ বিষয়ে আগ্রহি করার চক্রান্ত বলে অনেকে মনে করে। বাংলাদেশের তিনদিকে শক্তিধর দেশ ভারত পরিবেষ্টিত একদিকে বঙ্গোবসাগর। বাংলাদেশের সামরিক চুক্তির প্রয়োজন দেখা দিলে অন্যকোন তৃতীয় দেশের সঙ্গেই সেই চুক্তি স্বাক্ষরীত হবে।বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক চুক্তি ভারতের প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা। বাংলাদেশেরই প্রয়োজন---তবে বাংলাদেশ তাঁর উন্নয়ন অগ্রগতি নিরবচ্ছিন্ন রাখার স্বার্থে ভারতের সঙ্গে অনা-আক্রমন চুক্তি করতে পারে নিজেদের স্বার্থে।
       তিস্তা নিয়ে তিক্ততা না বাড়িয়ে ভারতের প্রতিবেশি দুই শক্তিধর চীন এবং পাকিস্তানকে সুযোগ না দেয়ার ভারতীয় পক্ষের তৎপরতাকে অ-শুভশক্তির প্রেতাত্বা কতৃক "সামরিক গোপন চুক্তি"র গুজব ছড়িয়ে বন্ধুসুলভ দুই প্রতিবেশি দেশের মধ্যে অন্য আর এক তিক্ততা সৃষ্টির অপপ্রায়াস চালিয়ে যাচ্ছে।এহেন ষড়যন্ত্র দেশ ও জাতির জন্যে মহাবিপদ ঢেকে আনতে পারে। ভারতের সঙ্গে অমিমাংসীত বিষয়ে মিমাংসা সংক্রান্ত আলোচনা না করে অনুল্লেখিত বিষয়ে বিতর্ক উপস্থাপন অনভিপ্রেত। আশাকরি অপপ্রচার থেকে সকল পক্ষ ইতিবাচক আলোচনায় ফিরে আসবে।
    বাংলাদেশ সরকারের মনোভাব পরিবর্তনে ভারত সরকার একাধিক বিকল্প প্রস্তাবের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ৫রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নৈশভোজে আমন্ত্রন সর্বশেষ ইতিবাচক পদক্ষেপ। উক্ত প্রস্তাব তখনই বাংলাদেশের নিকট গ্রহনযোগ্য হবে যখন মমতা ঘোষনা দিয়ে বলবেন তিনি নৈশভোজে যোগদান করবেন এবং তিস্তাচুক্তি স্বাক্ষরে বিরাজমান বাঁধা সমূহ অপসারনে তাঁর রাজ্য ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহন করবে।তখন কেবলমাত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার ৮এপ্রিল ভারত সফর  যথার্থ ফলাফল নিয়ে আসতে পারে।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা        জয়বঙ্গবন্ধু"

    

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা