তিতাস গ্যাসে শুধুমাত্র গ্যাসই চুরি হয়না -"ঘনিভূত(কনডেনসেট) তেলও চুরি হয়।"
(রুহুল আমিন মজুমদার)
বাস্তবতায় জনমনের ধারনা গ্যাস কোম্পেনিতে গ্যাস ছাড়া চুরি করার আর কি বা আছে। কথাটি একেবারে মিথ্যে নয়, অন্য যাহা পাওয়া যায় তা পরিশোধন করার পরই কেবল ব্যবহারযোগ্য বিধায় কারো দৃষ্টি সে দিকে থাকার কথাও নয়। তিতাস গ্যাসে অঞ্চলভিত্তিক সিন্ডিকেটের খবর তথায় সম্পৃত্ত সকলের জানা আছে। ঐ সমস্ত সিন্ডিকেট কত যে শক্তিশালী সম্পৃত্ত ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান ছাড়া সর্বসাধারনের কল্পনাও করা সম্ভব নয়।
বিশ্বের গ্যাস সমৃদ্ধ কোন দেশেই পাবলিক ব্যবহায্য জ্বালানি হিসেবে গ্যাস উত্তোলন ও ববিতরনের প্রাথমিক পয্যায় থেকেই পাইপ লাইনে অনির্দিষ্ট ব্যবহার নির্দিষ্ট টাকায় পদ্ধতি অনুসৃত হয়নি।সকল দেশে যদিও সিলিন্ডারে গ্যাস ব্যবহার করার রীতি প্রচলিত আছে কিন্তু বাংলাদেশেই একমাত্র বিপরীত পাইপলাইনেতো বটেই অ-প্রয়োজনীয় ব্যবহার রোধকল্পে নেয়া পদক্ষেপও কখনও কায্যকর করা যায়নি। গ্যাস আবিস্কারের প্রাথমিক যুগে অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার দীর্ঘ ৫২/৫৩ বছর চলমান থাকার পরেও থামানো সম্ভব হয়নি।সরকারের উদ্যোগ এবং সদিচ্ছা ছিলনা তা কিন্তু নয়, একাধিকবারের চেষ্টা তিতাসের অভ্যন্তরে গড়ে উঠা দুর্নীতিবাজ চক্র নস্যাৎ করে দিতে সক্ষম হয়েছে।এই থেকে অনুমান করা সম্ভব তাঁদের শক্তি কোথায়? নিম্নে তদ্রুপ শক্তির একটি ঘটমান ঘটনার বিবরন আপনাদের জ্ঞাতার্থে পূণ:আলোচনা করার প্রয়োজন মনে করি----
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) মালিকানাধীন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির গ্যাসের ঘনীভূত তেল (কনডেনসেট) চুরিতে ধরা পড়া ২ কর্মচারীকে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি দোষী সাব্যস্ত করলেও রহস্যজনক কারণে তাদের দু'বার সাময়িক বরখাস্তের পর দু'বার পুনর্বহাল করা হয়।ঘটনাটি ২০১২ সালে সংঘটিত হয়।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন গাজীপুরের মাওনা সামিট পাওয়ার প্লান্ট থেকে চালানবিহীন কনডেনসেট (তেল) তিতাসের তালিকাভুক্তির বাইরে ট্যাঙ্কলরিতে (ঢাকা-মেট্রো-ন-১২৩৭) ভরার সময় এক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় ওই প্ল্যান্টে কর্মরত পেট্রোলম্যান মো. জসিম উদ্দিনের হাত পুড়ে যায়। এ ঘটনায় পরের দিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করতে গিয়ে অনুমোদনবিহীন ট্যাঙ্কলরিতে তেল চুরির ঘটনা ফাঁস হয়। দেখা গেছে, একইভাবে একই ট্যাঙ্কলরিতে করে ২০০৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১ লাখ ৮৮ হাজার লিটার কনডেনসেট চুরি হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৬১ লাখ টাকা।
এ চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি তিতাসের পেট্রোল ম্যান ফরিদ ও জসিমকে সাময়িক বরখাস্ত করে কৃর্তপক্ষ। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এ ব্যাপারে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আখেরুজ্জামান বাদী হয়ে বাংলাদেশ গ্যাস আইন এবং ৩৮০/৩৪ দ-বিধিতে ফরিদ ও জসিমসহ ৬ জনকে বিবাদী করে গাজীপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (শ্রীপুর) এর সিআর মো. নং- ১১৫/২০১২ করেন। মামলার অন্য বিবাদীরা হলো ট্যাংকলরি চালক শাহীন, আফসার, হারুন ও মনির। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা ট্যাংকলরি (ঢাকা মেট্রো ন- ১২৩৭) দিয়ে ১ লাখ ৮৮ হাজার লিটার কনডেনসেট চুরি হয়েছে। যাহার বাজার মূল্য প্রায় ৬১ লাখ টাকা।
এ দিকে মামলা চলমান অবস্থায় রহস্যজনকভাবে ২০১২ সালের ৫ এপ্রিল তিতাস গ্যাসের সংস্থাপন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মমতাজ বেগম স্বাক্ষরিত এক পত্রে ফরিদ ও জসিমকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ ২৫ মার্চ হতে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেয়া হয়। এতে আরো উল্লেখ করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্তান্তে পরবর্তী ব্যবস্থা গৃহীত হবে। ২০১২ সালের ২৮ জুন আদালতে ফরিদ ও জসিম জামিন নিতে গেলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। তিতাসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (সংস্থাপন) মমতাজ বেগম ২০১২ সালের ২ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত অপর এক পত্রে আইনগত মতামত ও সিআর মামলা থাকার কারণে ফরিদ ও জসিমকে পুনরায় ২০১২ সালের ২৫ মার্চ থেকে কার্যকর করে সাময়িক বরখাস্ত করেন। ঐ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ঐ সময়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত তারা কোম্পানির কোনো অফিসে প্রবেশ করতে পারবে না এবং স্থানীয় ঠিকানা ত্যাগ ও পরিবর্তন করতে পারবে না। এ দিকে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি উপ-মহাব্যবস্থাপক (সংস্থাপন) মমতাজ বেগম বরখাস্তকৃত ঐ ২ পেট্রোলম্যানকে বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহার করে আবার কাজে যোগ দানের অনুমতি দেন। তবে পত্রে তিনি বিভাগীয় তদন্তে ঐ দুই জনকে দোষী সাব্যস্ত করে চাকরিতে অবিলম্বে যোগদানের নির্দেশ দেন। উক্ত নির্দেশ সরকারি চাকুরীবিধির কোন নীতিতে বা কোম্পেনী আইনের কোন ধারায় আইন সম্মত নয়। উক্ত বিষয় দায়িত্ব প্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা তখনকার পরিস্থীতিতে মুখ খুলতে না চাইলেও প্রজ্ঞাপন দাতা উপ-মহাব্যবস্থাপক (সংস্থাপন) মমতাজ বেগম সাংবাদিকদের সঙ্গে উদ্যত পুর্ণ আচরন করেন বলে তখনকার সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।(সংগৃহিত)
উক্ত কর্মচারিদের ভাগ্যে পরবর্তীতে কি ঘটেছিল বা মামলার ভাগ্যেই বা কি ঘটেছিল আজও জানা যায়নি।সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি ও মন্ত্রানালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিষয়টির সর্বশেষ অবস্থা ব্যাখ্য দিয়ে জনকৌতুহল নিবারন জরুরি প্রয়োজন মনে করি।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই---বিগত ৫২ বছর একচেটিয়া উক্ত সংস্থায় লুটপাট, গ্যাস চুরি, তেলচুরি চলতে থাকলেও বন্ধ করার কায্যকর কোন ব্যবস্থা আজব্দি কোম্পেনির পক্ষ থেকে বা সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়নি। এক্ষেত্রে সেন্ডিকেট ফুলেফেঁপে সংশ্লিষ্ট তদারকি সংস্থাকে বিভ্রান্ত করার শক্তি অর্জন করে নিশ্চিন্তে লুটপাট অব্যাহত রেখেছে।সকল প্রকার দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি নির্মূলে প্রয়োজন বেসরকারি খাতে উক্ত সংস্থার আংশিক হস্তান্তরের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনায় অমূল পরিবর্তন সাধন করা বর্তমান সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। তবেই কেবল সকল গৃহস্থালী গ্যাস সিলিন্ডারে সরবরাহ, শিল্প কারখানায় মিটার ডিজিটিলাইজেশনের মাধ্যমে বিলিং পদ্ধতি চালু করা সম্ভব হবে। উক্ত পদ্ধতিতেই কেবলমাত্র সরকারের প্রভূত আয় করা সম্ভব উক্ত খাতটি থেকে।সরকার এবং ব্যাক্তির যৌথ মালিকানায় ব্যাবস্থাপনা ব্যাতিরেকে সর্বসাধারনের সমমূল্যে গ্যাস সরবরাহ কখনই সম্ভব হবে বলে মনে করিনা।
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
ruhulaminmujumder27@gmail.com
(রুহুল আমিন মজুমদার)
বাস্তবতায় জনমনের ধারনা গ্যাস কোম্পেনিতে গ্যাস ছাড়া চুরি করার আর কি বা আছে। কথাটি একেবারে মিথ্যে নয়, অন্য যাহা পাওয়া যায় তা পরিশোধন করার পরই কেবল ব্যবহারযোগ্য বিধায় কারো দৃষ্টি সে দিকে থাকার কথাও নয়। তিতাস গ্যাসে অঞ্চলভিত্তিক সিন্ডিকেটের খবর তথায় সম্পৃত্ত সকলের জানা আছে। ঐ সমস্ত সিন্ডিকেট কত যে শক্তিশালী সম্পৃত্ত ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান ছাড়া সর্বসাধারনের কল্পনাও করা সম্ভব নয়।
বিশ্বের গ্যাস সমৃদ্ধ কোন দেশেই পাবলিক ব্যবহায্য জ্বালানি হিসেবে গ্যাস উত্তোলন ও ববিতরনের প্রাথমিক পয্যায় থেকেই পাইপ লাইনে অনির্দিষ্ট ব্যবহার নির্দিষ্ট টাকায় পদ্ধতি অনুসৃত হয়নি।সকল দেশে যদিও সিলিন্ডারে গ্যাস ব্যবহার করার রীতি প্রচলিত আছে কিন্তু বাংলাদেশেই একমাত্র বিপরীত পাইপলাইনেতো বটেই অ-প্রয়োজনীয় ব্যবহার রোধকল্পে নেয়া পদক্ষেপও কখনও কায্যকর করা যায়নি। গ্যাস আবিস্কারের প্রাথমিক যুগে অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার দীর্ঘ ৫২/৫৩ বছর চলমান থাকার পরেও থামানো সম্ভব হয়নি।সরকারের উদ্যোগ এবং সদিচ্ছা ছিলনা তা কিন্তু নয়, একাধিকবারের চেষ্টা তিতাসের অভ্যন্তরে গড়ে উঠা দুর্নীতিবাজ চক্র নস্যাৎ করে দিতে সক্ষম হয়েছে।এই থেকে অনুমান করা সম্ভব তাঁদের শক্তি কোথায়? নিম্নে তদ্রুপ শক্তির একটি ঘটমান ঘটনার বিবরন আপনাদের জ্ঞাতার্থে পূণ:আলোচনা করার প্রয়োজন মনে করি----
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) মালিকানাধীন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির গ্যাসের ঘনীভূত তেল (কনডেনসেট) চুরিতে ধরা পড়া ২ কর্মচারীকে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি দোষী সাব্যস্ত করলেও রহস্যজনক কারণে তাদের দু'বার সাময়িক বরখাস্তের পর দু'বার পুনর্বহাল করা হয়।ঘটনাটি ২০১২ সালে সংঘটিত হয়।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন গাজীপুরের মাওনা সামিট পাওয়ার প্লান্ট থেকে চালানবিহীন কনডেনসেট (তেল) তিতাসের তালিকাভুক্তির বাইরে ট্যাঙ্কলরিতে (ঢাকা-মেট্রো-ন-১২৩৭) ভরার সময় এক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় ওই প্ল্যান্টে কর্মরত পেট্রোলম্যান মো. জসিম উদ্দিনের হাত পুড়ে যায়। এ ঘটনায় পরের দিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করতে গিয়ে অনুমোদনবিহীন ট্যাঙ্কলরিতে তেল চুরির ঘটনা ফাঁস হয়। দেখা গেছে, একইভাবে একই ট্যাঙ্কলরিতে করে ২০০৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১ লাখ ৮৮ হাজার লিটার কনডেনসেট চুরি হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৬১ লাখ টাকা।
এ চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি তিতাসের পেট্রোল ম্যান ফরিদ ও জসিমকে সাময়িক বরখাস্ত করে কৃর্তপক্ষ। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এ ব্যাপারে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আখেরুজ্জামান বাদী হয়ে বাংলাদেশ গ্যাস আইন এবং ৩৮০/৩৪ দ-বিধিতে ফরিদ ও জসিমসহ ৬ জনকে বিবাদী করে গাজীপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (শ্রীপুর) এর সিআর মো. নং- ১১৫/২০১২ করেন। মামলার অন্য বিবাদীরা হলো ট্যাংকলরি চালক শাহীন, আফসার, হারুন ও মনির। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা ট্যাংকলরি (ঢাকা মেট্রো ন- ১২৩৭) দিয়ে ১ লাখ ৮৮ হাজার লিটার কনডেনসেট চুরি হয়েছে। যাহার বাজার মূল্য প্রায় ৬১ লাখ টাকা।
এ দিকে মামলা চলমান অবস্থায় রহস্যজনকভাবে ২০১২ সালের ৫ এপ্রিল তিতাস গ্যাসের সংস্থাপন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মমতাজ বেগম স্বাক্ষরিত এক পত্রে ফরিদ ও জসিমকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ ২৫ মার্চ হতে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেয়া হয়। এতে আরো উল্লেখ করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্তান্তে পরবর্তী ব্যবস্থা গৃহীত হবে। ২০১২ সালের ২৮ জুন আদালতে ফরিদ ও জসিম জামিন নিতে গেলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। তিতাসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (সংস্থাপন) মমতাজ বেগম ২০১২ সালের ২ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত অপর এক পত্রে আইনগত মতামত ও সিআর মামলা থাকার কারণে ফরিদ ও জসিমকে পুনরায় ২০১২ সালের ২৫ মার্চ থেকে কার্যকর করে সাময়িক বরখাস্ত করেন। ঐ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ঐ সময়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত তারা কোম্পানির কোনো অফিসে প্রবেশ করতে পারবে না এবং স্থানীয় ঠিকানা ত্যাগ ও পরিবর্তন করতে পারবে না। এ দিকে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি উপ-মহাব্যবস্থাপক (সংস্থাপন) মমতাজ বেগম বরখাস্তকৃত ঐ ২ পেট্রোলম্যানকে বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহার করে আবার কাজে যোগ দানের অনুমতি দেন। তবে পত্রে তিনি বিভাগীয় তদন্তে ঐ দুই জনকে দোষী সাব্যস্ত করে চাকরিতে অবিলম্বে যোগদানের নির্দেশ দেন। উক্ত নির্দেশ সরকারি চাকুরীবিধির কোন নীতিতে বা কোম্পেনী আইনের কোন ধারায় আইন সম্মত নয়। উক্ত বিষয় দায়িত্ব প্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা তখনকার পরিস্থীতিতে মুখ খুলতে না চাইলেও প্রজ্ঞাপন দাতা উপ-মহাব্যবস্থাপক (সংস্থাপন) মমতাজ বেগম সাংবাদিকদের সঙ্গে উদ্যত পুর্ণ আচরন করেন বলে তখনকার সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।(সংগৃহিত)
উক্ত কর্মচারিদের ভাগ্যে পরবর্তীতে কি ঘটেছিল বা মামলার ভাগ্যেই বা কি ঘটেছিল আজও জানা যায়নি।সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি ও মন্ত্রানালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিষয়টির সর্বশেষ অবস্থা ব্যাখ্য দিয়ে জনকৌতুহল নিবারন জরুরি প্রয়োজন মনে করি।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই---বিগত ৫২ বছর একচেটিয়া উক্ত সংস্থায় লুটপাট, গ্যাস চুরি, তেলচুরি চলতে থাকলেও বন্ধ করার কায্যকর কোন ব্যবস্থা আজব্দি কোম্পেনির পক্ষ থেকে বা সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়নি। এক্ষেত্রে সেন্ডিকেট ফুলেফেঁপে সংশ্লিষ্ট তদারকি সংস্থাকে বিভ্রান্ত করার শক্তি অর্জন করে নিশ্চিন্তে লুটপাট অব্যাহত রেখেছে।সকল প্রকার দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি নির্মূলে প্রয়োজন বেসরকারি খাতে উক্ত সংস্থার আংশিক হস্তান্তরের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনায় অমূল পরিবর্তন সাধন করা বর্তমান সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। তবেই কেবল সকল গৃহস্থালী গ্যাস সিলিন্ডারে সরবরাহ, শিল্প কারখানায় মিটার ডিজিটিলাইজেশনের মাধ্যমে বিলিং পদ্ধতি চালু করা সম্ভব হবে। উক্ত পদ্ধতিতেই কেবলমাত্র সরকারের প্রভূত আয় করা সম্ভব উক্ত খাতটি থেকে।সরকার এবং ব্যাক্তির যৌথ মালিকানায় ব্যাবস্থাপনা ব্যাতিরেকে সর্বসাধারনের সমমূল্যে গ্যাস সরবরাহ কখনই সম্ভব হবে বলে মনে করিনা।
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
ruhulaminmujumder27@gmail.com
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন