মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর 'জঙ্গী বিরুধী নির্দেশনা' বৈঠক শেষেই বানচাল করার উদ্যোগ।
(রুহুল আমিন মজুমদার)
হলি আর্টিজানে জঙ্গী হামলার পর জোটগত ভাবে ১৪দল "জঙ্গীবিরুধী" প্রচারনার অংশ হিসেবে প্রতিটি থানা, জেলা, ইউনিয়ন পয্যায় কমিটি গঠন করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের পর ১৪ দলের যৌথ উদ্যোগে রাজনৈতিক কর্মী, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, সম্মানীত ব্যক্তিদের উদ্যোগে উক্ত কমিটি করার ঘোষনা দেয়া হয়েছিল।
হলি আর্টিজানে হামলার পর সরকারি ভাবে নেয়া পদক্ষেপ সমূহ দেশে বিদেশে প্রসংশিত হতে দেখা যায়।সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, র্যব বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। জনগন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ সরকারের উদ্যোগে ব্যাপকভাবে সাড়া দিতে দেখা গেছে। সর্বত্র জঙ্গীবিরোধি ঘৃনার মনোভাব পরিলক্ষিত হয়।এমন কি মৃত জঙ্গীদের লাশগ্রহনে পিতামাতারাও অস্বীকৃতি জানাতে দেখা গেছে।ফলে মৃত জঙ্গীদের বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করতে হয়েছে--ইহা নিশ্চয়ই ঘৃনার ব্যাপকতারই ফসল।
জনগনের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহনের ব্যাপকতায় সরকার বিরোধী দল সমূহের বারংবার "জঙ্গী বিরোধী জাতীয় ঐক্যে"র আহব্বান সরকার অবলীলায় প্রত্যাক্ষান করতে পেরেছিল।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শুনা গেছে--"জনগনের মাঝে জঙ্গীবিরুধী জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে অন্যকোন ঐক্যের এখন আর প্রয়োজন নেই।"
এমনতর পরিস্থীতিতে দেশব্যাপি কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে, সরকারও একাধিকবার ঘোষনা করে জঙ্গীদের শক্তি খর্ব করতে পেরেছেন এবং তাঁরা এখন বিচ্ছিন্ন। সংগঠিত হামলা করার শক্তি তাঁদের এখন আর অবশিষ্ট নেই।
রাষ্ট্রের আইনশৃংখলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, ১৪ দলীয় জোট, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরে তৃপ্তির ছায়া লক্ষ করা যায়। অতিবিশ্বাস হেতু সকলেই জঙ্গী ভীতি ভুলে স্ব-স্ব-কর্মে নিয়োজিত হয়ে পড়ে। সরকারের স্ব-স্ব সংস্থার নেয়া কর্মসূচি স্ব-স্ব-স্থানেই স্থীরিকৃত হয়ে পড়ে।
সরকার জঙ্গীদলের অর্থদাতা, অস্ত্রদাতাদের খোঁজ খবর নিতে আইনশৃংখলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা সমূহকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছিল। চলমান উক্ত সময়ের মধ্যে মালেয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড আইনশৃংলা বাহিনীর প্রতি সরকারের নির্দেশ না থাকা সত্বেও সেই সমস্ত দেশে কর্মরত: বাংলাদেশীদের দুই/পাঁছ লক্ষের মধ্যে একাধিক অর্থ সংগ্রহকারী গ্রুপের সন্ধান পেয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। বাংলাদেশে সরকারের নির্দেশ থাকা সত্বেও আইনশৃংখলা বাহিনী ১৬ কোটি মানুষের অবস্থান থাকা সত্বেও জঙ্গীদের অস্ত্র সরবরাহকারী বা অর্থ সংগ্রহকারী একটি গ্রুপেরও সন্ধান রাষ্ট্রকে দিতে পারেনি।
রাষ্ট্র পরিচালনার অধিকারি ১৪দলীয় জোট তৃনমূল পয্যায় অ-শুভশক্তির সন্ধান প্রাপ্তির লক্ষে সর্বস্তরের জনগনকে আইনশৃংখলা বাহিনী সমূহকে তথ্যদিয়ে সহযোগীতা করার আবেদন জানায়। "জঙ্গীবাদ বিরুধী প্রচার কমিটির মাধ্যমে তৃনমুলে "বাড়ীছাড়া" যুবকদের খোঁজখবর নেয়ার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। উল্লেখিত তৎপরতা থেকে আদৌ কোন খোঁজ খবর পাওয়া গিয়েছিল----এমন কোন তথ্য গনমাধ্যমে আসেনি। প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশিত "জঙ্গীবাদ বিরোধী কমিটি--'জেলা, উপজেলা ইউনিয়নে গঠিত হয়েছিল কিনা বা সভা সমাবেশ হয়েছিল কিনা উল্লেখযোগ্য তেমন কোন খবর আজও পাওয়া যায়নি।
অদ্য ২৭ মার্চ মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী আবারও পুর্বের নির্দেশনা দেন। বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের জানান--'জঙ্গীবাদের প্রসঙ্গটি অনির্ধারীত ভাবে অদ্যকার বৈঠকে আলোচিত হয়।
বৈঠকে নিজ নিজ এলাকায় জঙ্গি প্রতিরোধ কার্যক্রমে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সবাইকে সম্পৃক্ত করলে জঙ্গি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এলাকায় এলাকায় জঙ্গি প্রতিরোধ করতে তাই মন্ত্রিসভার সব সদস্যকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী জঙ্গি প্রতিরোধে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা, ইউনিয়নে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে আবারো কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
"স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত পূর্বের কমিটিগুলো সক্রিয় রয়েছে।"
লক্ষ করুন পাঠক--প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন কমিটি করে কায্যকর উদ্যোগ নিতে তাঁর মন্ত্রী বলছেন পূর্বের কমিটি বর্তমান সময় পয্যন্ত সচল রয়েছে।
সম্মানিত পাঠক--উল্লেখিত কমিটি যদি একান্তই সচল থাকে তবে তাঁদের কর্মতৎপররতার ফিরিস্তিও নিশ্চয়ই সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা আছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় "স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রীর" নিকট সবিনয় জানতে চাই----'অদ্য পয্যন্ত দেশের কোথায়, কবে, কার নেতৃত্বে জঙ্গীবিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে? ১৪ দলের নেতৃত্বে গঠিত সুশিল সমাজ সম্পৃত্ত " জঙ্গীবাদ বিরুধী কমিটি" কতজন "বাড়ীছাড়া" যুবকের সন্ধান পেয়েছে। তাঁদের মধ্যে কতজনকে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা খুঁজে পেয়েছে? আইনশৃংখলা বাহিনীই বা কতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করেছে?
আমাদের বাঙ্গালীদের একটি জাত স্বভাব 'হুজুগে আমরা 'অ-সম্ভবকে ও সম্ভব' করতে পারি। সংঘটিত ঘটনার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে আমরা কখনও পারিনি।অতীতে বাঙ্গালীর শৌয্যবিয্যের অমরকাহিনী যেমন সংরক্ষন করতে পারিনি, মায্যদা দিতে পারিনি তেমনি চল্লিশ বছর পর 'প্রগতির চাকা' সচল রাখার ক্ষেত্রে মাত্র ছয়/সাত মাস আগে সর্বস্তরের জনগনের মধ্যে গড়ে উঠা "স্ব-প্রণোদিত জনঐক্য" ও আমরা সংরক্ষন করতে পারিনি।আমরা পারি শুধুমাত্র "দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি ও শক্তি"র বাগাড়ম্ভরপূর্ণ অতিকথনের জোয়ার তুলতে।
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট আমি সবিনয়ে জানতে চাই--আপনাদের নেয়া জঙ্গীবিরোধী কমিটির অস্তিত্ব যখন ছিলনা তখন লাগাতার চার দিন দেশের কোথাও জঙ্গীদের বিরুদ্ধে দেশের শক্তিশালী বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত "বিশেষ বাহিনী"কে লাগাতার চার/পাঁছদিন যুদ্ধ করতে হয়নি।এত সংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য, সাধারন মানুষের প্রান দিতে হয়নি।শুধু তাই নয় একমাসের মধ্যে এত সংখ্যক জঙ্গী হামলারও কোন উদাহরন সৃষ্টি হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কমিটির অস্তিত্ব যদি থেকেই থাকে বিগত চার/পাঁছদিন মতণপণ লড়াই করতে হল কেন? সিলেটে "শিববাড়ী"তে অবস্থান নেয়া জঙ্গীরা কি মঙ্গলগ্রহের বাসিন্দা? আপনার সরকারের আইনশৃংখলা বাহিনী, দলের নেতাকর্মী, জোটের নেতাকর্মী যে সমাজে বসবাস করে অদ্যকার দিনে ধৃত,মৃত জঙ্গীরাও সেই সমাজের বাসিন্দা।সাধারন মানুষ স্ব-উদ্যোগে আইনশৃংখলা বাহিনীকে তাঁদের অবস্থানের খবর দিতে পারলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কমিটি পারেনি কেন? সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি নির্দেশ থাকা সত্বেও তাঁরাও কেন বিগত ছয়/সাত মাসের মধ্যে একটি জঙ্গী ঘাঁটির খবর দিতে পারেনি?
বাঙ্গালীর অর্জন সমূহ ধরে রাখার ক্ষমতা নেই এভাবে কথাটা যদি বলি হয়তো সর্বাংশে সত্য নাও হ'তে পারে।বাঙ্গালীর অর্জন সমূহ ধরে রাখার মত দৃডচেতা নেতার জম্ম হয়নি এভাবে যদি বলি সত্যিকার অর্থেই যুক্তিগ্রাহ্য হতে পারে। বাঙ্গালী জাতি ক্ষমতা অপ-ব্যাবহার করতে জানে--ক্ষমতা ব্যবহার করে জনকল্যান করতে পারেনা। ক্ষমতাভোগ করতে ঠিকই জানে---ক্ষমতা সংরক্ষনের জন্যে সামান্য সময়ও ত্যাগ করতে পারেনা। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনকের কন্যা ঠিকই জানেন তাঁর দেয়া পুর্বের নির্দেশ মাঠপয্যায়ে বাস্তবায়িত হয়নি। তাই অদ্যকার সভায় অনির্ধারীতভাবে আলোচনা উত্থাপন করে আবারো তিনি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ দেয়ার আধাঘন্টার মধ্যে তাঁরই সরকারের মাননীয় "স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জমান খাঁন কামাল" উক্ত নির্দেশনা ব্যর্থ করে দিলেন।
বাঙ্গালী কবি তাঁর স্ব-জাতির চারিত্রিক বৈশিষ্টের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে শতবছর আগেই তাঁর কবিতায় বলেছেন--"আমাদের দেশে সেই ছেলে হবে কবে--কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।"
(রুহুল আমিন মজুমদার)
হলি আর্টিজানে জঙ্গী হামলার পর জোটগত ভাবে ১৪দল "জঙ্গীবিরুধী" প্রচারনার অংশ হিসেবে প্রতিটি থানা, জেলা, ইউনিয়ন পয্যায় কমিটি গঠন করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের পর ১৪ দলের যৌথ উদ্যোগে রাজনৈতিক কর্মী, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, সম্মানীত ব্যক্তিদের উদ্যোগে উক্ত কমিটি করার ঘোষনা দেয়া হয়েছিল।
হলি আর্টিজানে হামলার পর সরকারি ভাবে নেয়া পদক্ষেপ সমূহ দেশে বিদেশে প্রসংশিত হতে দেখা যায়।সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, র্যব বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। জনগন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ সরকারের উদ্যোগে ব্যাপকভাবে সাড়া দিতে দেখা গেছে। সর্বত্র জঙ্গীবিরোধি ঘৃনার মনোভাব পরিলক্ষিত হয়।এমন কি মৃত জঙ্গীদের লাশগ্রহনে পিতামাতারাও অস্বীকৃতি জানাতে দেখা গেছে।ফলে মৃত জঙ্গীদের বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করতে হয়েছে--ইহা নিশ্চয়ই ঘৃনার ব্যাপকতারই ফসল।
জনগনের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহনের ব্যাপকতায় সরকার বিরোধী দল সমূহের বারংবার "জঙ্গী বিরোধী জাতীয় ঐক্যে"র আহব্বান সরকার অবলীলায় প্রত্যাক্ষান করতে পেরেছিল।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শুনা গেছে--"জনগনের মাঝে জঙ্গীবিরুধী জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে অন্যকোন ঐক্যের এখন আর প্রয়োজন নেই।"
এমনতর পরিস্থীতিতে দেশব্যাপি কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে, সরকারও একাধিকবার ঘোষনা করে জঙ্গীদের শক্তি খর্ব করতে পেরেছেন এবং তাঁরা এখন বিচ্ছিন্ন। সংগঠিত হামলা করার শক্তি তাঁদের এখন আর অবশিষ্ট নেই।
রাষ্ট্রের আইনশৃংখলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, ১৪ দলীয় জোট, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরে তৃপ্তির ছায়া লক্ষ করা যায়। অতিবিশ্বাস হেতু সকলেই জঙ্গী ভীতি ভুলে স্ব-স্ব-কর্মে নিয়োজিত হয়ে পড়ে। সরকারের স্ব-স্ব সংস্থার নেয়া কর্মসূচি স্ব-স্ব-স্থানেই স্থীরিকৃত হয়ে পড়ে।
সরকার জঙ্গীদলের অর্থদাতা, অস্ত্রদাতাদের খোঁজ খবর নিতে আইনশৃংখলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা সমূহকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছিল। চলমান উক্ত সময়ের মধ্যে মালেয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড আইনশৃংলা বাহিনীর প্রতি সরকারের নির্দেশ না থাকা সত্বেও সেই সমস্ত দেশে কর্মরত: বাংলাদেশীদের দুই/পাঁছ লক্ষের মধ্যে একাধিক অর্থ সংগ্রহকারী গ্রুপের সন্ধান পেয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। বাংলাদেশে সরকারের নির্দেশ থাকা সত্বেও আইনশৃংখলা বাহিনী ১৬ কোটি মানুষের অবস্থান থাকা সত্বেও জঙ্গীদের অস্ত্র সরবরাহকারী বা অর্থ সংগ্রহকারী একটি গ্রুপেরও সন্ধান রাষ্ট্রকে দিতে পারেনি।
রাষ্ট্র পরিচালনার অধিকারি ১৪দলীয় জোট তৃনমূল পয্যায় অ-শুভশক্তির সন্ধান প্রাপ্তির লক্ষে সর্বস্তরের জনগনকে আইনশৃংখলা বাহিনী সমূহকে তথ্যদিয়ে সহযোগীতা করার আবেদন জানায়। "জঙ্গীবাদ বিরুধী প্রচার কমিটির মাধ্যমে তৃনমুলে "বাড়ীছাড়া" যুবকদের খোঁজখবর নেয়ার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। উল্লেখিত তৎপরতা থেকে আদৌ কোন খোঁজ খবর পাওয়া গিয়েছিল----এমন কোন তথ্য গনমাধ্যমে আসেনি। প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশিত "জঙ্গীবাদ বিরোধী কমিটি--'জেলা, উপজেলা ইউনিয়নে গঠিত হয়েছিল কিনা বা সভা সমাবেশ হয়েছিল কিনা উল্লেখযোগ্য তেমন কোন খবর আজও পাওয়া যায়নি।
অদ্য ২৭ মার্চ মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী আবারও পুর্বের নির্দেশনা দেন। বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের জানান--'জঙ্গীবাদের প্রসঙ্গটি অনির্ধারীত ভাবে অদ্যকার বৈঠকে আলোচিত হয়।
বৈঠকে নিজ নিজ এলাকায় জঙ্গি প্রতিরোধ কার্যক্রমে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সবাইকে সম্পৃক্ত করলে জঙ্গি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এলাকায় এলাকায় জঙ্গি প্রতিরোধ করতে তাই মন্ত্রিসভার সব সদস্যকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী জঙ্গি প্রতিরোধে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা, ইউনিয়নে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে আবারো কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
"স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত পূর্বের কমিটিগুলো সক্রিয় রয়েছে।"
লক্ষ করুন পাঠক--প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন কমিটি করে কায্যকর উদ্যোগ নিতে তাঁর মন্ত্রী বলছেন পূর্বের কমিটি বর্তমান সময় পয্যন্ত সচল রয়েছে।
সম্মানিত পাঠক--উল্লেখিত কমিটি যদি একান্তই সচল থাকে তবে তাঁদের কর্মতৎপররতার ফিরিস্তিও নিশ্চয়ই সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা আছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় "স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রীর" নিকট সবিনয় জানতে চাই----'অদ্য পয্যন্ত দেশের কোথায়, কবে, কার নেতৃত্বে জঙ্গীবিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে? ১৪ দলের নেতৃত্বে গঠিত সুশিল সমাজ সম্পৃত্ত " জঙ্গীবাদ বিরুধী কমিটি" কতজন "বাড়ীছাড়া" যুবকের সন্ধান পেয়েছে। তাঁদের মধ্যে কতজনকে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা খুঁজে পেয়েছে? আইনশৃংখলা বাহিনীই বা কতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করেছে?
আমাদের বাঙ্গালীদের একটি জাত স্বভাব 'হুজুগে আমরা 'অ-সম্ভবকে ও সম্ভব' করতে পারি। সংঘটিত ঘটনার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে আমরা কখনও পারিনি।অতীতে বাঙ্গালীর শৌয্যবিয্যের অমরকাহিনী যেমন সংরক্ষন করতে পারিনি, মায্যদা দিতে পারিনি তেমনি চল্লিশ বছর পর 'প্রগতির চাকা' সচল রাখার ক্ষেত্রে মাত্র ছয়/সাত মাস আগে সর্বস্তরের জনগনের মধ্যে গড়ে উঠা "স্ব-প্রণোদিত জনঐক্য" ও আমরা সংরক্ষন করতে পারিনি।আমরা পারি শুধুমাত্র "দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি ও শক্তি"র বাগাড়ম্ভরপূর্ণ অতিকথনের জোয়ার তুলতে।
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট আমি সবিনয়ে জানতে চাই--আপনাদের নেয়া জঙ্গীবিরোধী কমিটির অস্তিত্ব যখন ছিলনা তখন লাগাতার চার দিন দেশের কোথাও জঙ্গীদের বিরুদ্ধে দেশের শক্তিশালী বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত "বিশেষ বাহিনী"কে লাগাতার চার/পাঁছদিন যুদ্ধ করতে হয়নি।এত সংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য, সাধারন মানুষের প্রান দিতে হয়নি।শুধু তাই নয় একমাসের মধ্যে এত সংখ্যক জঙ্গী হামলারও কোন উদাহরন সৃষ্টি হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কমিটির অস্তিত্ব যদি থেকেই থাকে বিগত চার/পাঁছদিন মতণপণ লড়াই করতে হল কেন? সিলেটে "শিববাড়ী"তে অবস্থান নেয়া জঙ্গীরা কি মঙ্গলগ্রহের বাসিন্দা? আপনার সরকারের আইনশৃংখলা বাহিনী, দলের নেতাকর্মী, জোটের নেতাকর্মী যে সমাজে বসবাস করে অদ্যকার দিনে ধৃত,মৃত জঙ্গীরাও সেই সমাজের বাসিন্দা।সাধারন মানুষ স্ব-উদ্যোগে আইনশৃংখলা বাহিনীকে তাঁদের অবস্থানের খবর দিতে পারলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কমিটি পারেনি কেন? সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি নির্দেশ থাকা সত্বেও তাঁরাও কেন বিগত ছয়/সাত মাসের মধ্যে একটি জঙ্গী ঘাঁটির খবর দিতে পারেনি?
বাঙ্গালীর অর্জন সমূহ ধরে রাখার ক্ষমতা নেই এভাবে কথাটা যদি বলি হয়তো সর্বাংশে সত্য নাও হ'তে পারে।বাঙ্গালীর অর্জন সমূহ ধরে রাখার মত দৃডচেতা নেতার জম্ম হয়নি এভাবে যদি বলি সত্যিকার অর্থেই যুক্তিগ্রাহ্য হতে পারে। বাঙ্গালী জাতি ক্ষমতা অপ-ব্যাবহার করতে জানে--ক্ষমতা ব্যবহার করে জনকল্যান করতে পারেনা। ক্ষমতাভোগ করতে ঠিকই জানে---ক্ষমতা সংরক্ষনের জন্যে সামান্য সময়ও ত্যাগ করতে পারেনা। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনকের কন্যা ঠিকই জানেন তাঁর দেয়া পুর্বের নির্দেশ মাঠপয্যায়ে বাস্তবায়িত হয়নি। তাই অদ্যকার সভায় অনির্ধারীতভাবে আলোচনা উত্থাপন করে আবারো তিনি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ দেয়ার আধাঘন্টার মধ্যে তাঁরই সরকারের মাননীয় "স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জমান খাঁন কামাল" উক্ত নির্দেশনা ব্যর্থ করে দিলেন।
বাঙ্গালী কবি তাঁর স্ব-জাতির চারিত্রিক বৈশিষ্টের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে শতবছর আগেই তাঁর কবিতায় বলেছেন--"আমাদের দেশে সেই ছেলে হবে কবে--কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন