মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর 'জঙ্গী বিরুধী নির্দেশনা' বৈঠক শেষেই বানচাল করার উদ্যোগ।
(রুহুল আমিন মজুমদার)

       হলি আর্টিজানে জঙ্গী হামলার পর জোটগত ভাবে ১৪দল "জঙ্গীবিরুধী" প্রচারনার অংশ হিসেবে প্রতিটি থানা, জেলা, ইউনিয়ন পয্যায় কমিটি গঠন করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের পর ১৪ দলের যৌথ উদ্যোগে রাজনৈতিক কর্মী, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, সম্মানীত ব্যক্তিদের উদ্যোগে উক্ত কমিটি করার ঘোষনা দেয়া হয়েছিল।
    হলি আর্টিজানে হামলার পর   সরকারি ভাবে নেয়া পদক্ষেপ সমূহ দেশে বিদেশে প্রসংশিত হতে দেখা যায়।সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, র্যব বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। জনগন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ সরকারের উদ্যোগে ব্যাপকভাবে সাড়া দিতে দেখা গেছে। সর্বত্র জঙ্গীবিরোধি ঘৃনার মনোভাব  পরিলক্ষিত হয়।এমন কি মৃত জঙ্গীদের লাশগ্রহনে পিতামাতারাও অস্বীকৃতি জানাতে দেখা গেছে।ফলে মৃত জঙ্গীদের বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করতে হয়েছে--ইহা নিশ্চয়ই ঘৃনার ব্যাপকতারই ফসল।
    জনগনের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহনের ব্যাপকতায় সরকার বিরোধী দল সমূহের বারংবার "জঙ্গী বিরোধী জাতীয় ঐক্যে"র আহব্বান সরকার অবলীলায় প্রত্যাক্ষান করতে পেরেছিল।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শুনা গেছে--"জনগনের মাঝে জঙ্গীবিরুধী জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে অন্যকোন ঐক্যের এখন আর প্রয়োজন নেই।"
   এমনতর পরিস্থীতিতে দেশব্যাপি কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে, সরকারও একাধিকবার ঘোষনা করে জঙ্গীদের শক্তি খর্ব করতে পেরেছেন এবং তাঁরা এখন বিচ্ছিন্ন। সংগঠিত হামলা করার শক্তি তাঁদের এখন আর অবশিষ্ট নেই।
    রাষ্ট্রের আইনশৃংখলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, ১৪ দলীয় জোট, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরে তৃপ্তির ছায়া লক্ষ করা যায়। অতিবিশ্বাস হেতু সকলেই জঙ্গী ভীতি ভুলে স্ব-স্ব-কর্মে নিয়োজিত হয়ে পড়ে। সরকারের স্ব-স্ব সংস্থার নেয়া কর্মসূচি স্ব-স্ব-স্থানেই স্থীরিকৃত হয়ে পড়ে।

      সরকার জঙ্গীদলের অর্থদাতা, অস্ত্রদাতাদের খোঁজ খবর নিতে আইনশৃংখলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা সমূহকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছিল। চলমান উক্ত সময়ের মধ্যে মালেয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড আইনশৃংলা বাহিনীর প্রতি সরকারের নির্দেশ না থাকা সত্বেও সেই সমস্ত দেশে কর্মরত: বাংলাদেশীদের দুই/পাঁছ লক্ষের মধ্যে একাধিক অর্থ সংগ্রহকারী গ্রুপের সন্ধান পেয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। বাংলাদেশে সরকারের নির্দেশ থাকা সত্বেও আইনশৃংখলা বাহিনী ১৬ কোটি মানুষের অবস্থান থাকা সত্বেও জঙ্গীদের অস্ত্র সরবরাহকারী বা অর্থ সংগ্রহকারী একটি  গ্রুপেরও সন্ধান রাষ্ট্রকে  দিতে পারেনি।
    রাষ্ট্র পরিচালনার অধিকারি ১৪দলীয় জোট তৃনমূল পয্যায় অ-শুভশক্তির সন্ধান প্রাপ্তির লক্ষে  সর্বস্তরের জনগনকে  আইনশৃংখলা বাহিনী সমূহকে তথ্যদিয়ে সহযোগীতা করার আবেদন জানায়। "জঙ্গীবাদ বিরুধী প্রচার কমিটির মাধ্যমে তৃনমুলে "বাড়ীছাড়া" যুবকদের খোঁজখবর নেয়ার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। উল্লেখিত তৎপরতা থেকে আদৌ কোন খোঁজ খবর পাওয়া গিয়েছিল----এমন কোন তথ্য গনমাধ্যমে আসেনি। প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশিত "জঙ্গীবাদ বিরোধী কমিটি--'জেলা, উপজেলা ইউনিয়নে গঠিত হয়েছিল কিনা বা সভা সমাবেশ হয়েছিল কিনা উল্লেখযোগ্য তেমন কোন খবর আজও পাওয়া যায়নি।
   
     অদ্য ২৭ মার্চ মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী আবারও পুর্বের নির্দেশনা দেন। বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের জানান--'জঙ্গীবাদের প্রসঙ্গটি অনির্ধারীত ভাবে অদ্যকার বৈঠকে আলোচিত হয়।
   
    বৈঠকে নিজ নিজ এলাকায় জঙ্গি প্রতিরোধ কার্যক্রমে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সবাইকে সম্পৃক্ত করলে জঙ্গি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এলাকায় এলাকায় জঙ্গি প্রতিরোধ করতে তাই মন্ত্রিসভার সব সদস্যকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী জঙ্গি প্রতিরোধে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা, ইউনিয়নে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে আবারো কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
   
        "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত পূর্বের কমিটিগুলো সক্রিয় রয়েছে।"
    লক্ষ করুন পাঠক--প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন কমিটি করে কায্যকর উদ্যোগ নিতে তাঁর মন্ত্রী বলছেন পূর্বের কমিটি বর্তমান সময় পয্যন্ত সচল রয়েছে।

    সম্মানিত পাঠক--উল্লেখিত কমিটি যদি একান্তই সচল থাকে তবে তাঁদের কর্মতৎপররতার ফিরিস্তিও নিশ্চয়ই সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা আছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় "স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রীর" নিকট সবিনয় জানতে চাই----'অদ্য পয্যন্ত দেশের কোথায়, কবে, কার নেতৃত্বে জঙ্গীবিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে? ১৪ দলের নেতৃত্বে গঠিত সুশিল সমাজ সম্পৃত্ত " জঙ্গীবাদ বিরুধী কমিটি" কতজন "বাড়ীছাড়া" যুবকের সন্ধান পেয়েছে। তাঁদের মধ্যে কতজনকে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা খুঁজে পেয়েছে? আইনশৃংখলা বাহিনীই বা কতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করেছে?
   
       আমাদের বাঙ্গালীদের একটি জাত স্বভাব 'হুজুগে আমরা 'অ-সম্ভবকে ও সম্ভব' করতে পারি। সংঘটিত ঘটনার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে আমরা কখনও পারিনি।অতীতে বাঙ্গালীর শৌয্যবিয্যের অমরকাহিনী যেমন সংরক্ষন করতে পারিনি, মায্যদা দিতে পারিনি তেমনি চল্লিশ বছর পর 'প্রগতির চাকা' সচল রাখার ক্ষেত্রে মাত্র ছয়/সাত মাস আগে সর্বস্তরের জনগনের মধ্যে গড়ে উঠা "স্ব-প্রণোদিত জনঐক্য" ও আমরা সংরক্ষন করতে পারিনি।আমরা পারি শুধুমাত্র "দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তি ও শক্তি"র বাগাড়ম্ভরপূর্ণ অতিকথনের জোয়ার তুলতে।
   
    মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট আমি সবিনয়ে জানতে চাই--আপনাদের নেয়া জঙ্গীবিরোধী কমিটির অস্তিত্ব যখন ছিলনা তখন লাগাতার চার দিন দেশের কোথাও জঙ্গীদের বিরুদ্ধে দেশের শক্তিশালী বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত "বিশেষ বাহিনী"কে লাগাতার চার/পাঁছদিন যুদ্ধ করতে হয়নি।এত সংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য, সাধারন মানুষের প্রান দিতে হয়নি।শুধু তাই নয় একমাসের মধ্যে এত সংখ্যক জঙ্গী হামলারও কোন উদাহরন সৃষ্টি হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কমিটির অস্তিত্ব যদি থেকেই থাকে বিগত চার/পাঁছদিন মতণপণ লড়াই করতে হল কেন? সিলেটে "শিববাড়ী"তে অবস্থান নেয়া জঙ্গীরা কি মঙ্গলগ্রহের বাসিন্দা? আপনার সরকারের আইনশৃংখলা বাহিনী, দলের নেতাকর্মী, জোটের নেতাকর্মী যে সমাজে বসবাস করে অদ্যকার দিনে ধৃত,মৃত জঙ্গীরাও সেই সমাজের বাসিন্দা।সাধারন মানুষ স্ব-উদ্যোগে আইনশৃংখলা বাহিনীকে তাঁদের অবস্থানের খবর দিতে পারলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কমিটি পারেনি কেন? সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি নির্দেশ থাকা সত্বেও তাঁরাও কেন বিগত ছয়/সাত মাসের মধ্যে একটি জঙ্গী ঘাঁটির খবর দিতে পারেনি?

     বাঙ্গালীর অর্জন সমূহ ধরে রাখার ক্ষমতা নেই এভাবে কথাটা যদি বলি হয়তো সর্বাংশে সত্য নাও হ'তে পারে।বাঙ্গালীর অর্জন সমূহ ধরে রাখার মত দৃডচেতা নেতার জম্ম হয়নি এভাবে যদি বলি সত্যিকার অর্থেই যুক্তিগ্রাহ্য হতে পারে। বাঙ্গালী জাতি ক্ষমতা অপ-ব্যাবহার করতে জানে--ক্ষমতা ব্যবহার করে জনকল্যান করতে পারেনা। ক্ষমতাভোগ করতে ঠিকই জানে---ক্ষমতা সংরক্ষনের জন্যে সামান্য সময়ও ত্যাগ করতে পারেনা। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনকের কন্যা ঠিকই জানেন তাঁর দেয়া পুর্বের নির্দেশ মাঠপয্যায়ে বাস্তবায়িত হয়নি। তাই অদ্যকার সভায় অনির্ধারীতভাবে আলোচনা উত্থাপন করে আবারো তিনি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ দেয়ার আধাঘন্টার মধ্যে তাঁরই সরকারের মাননীয় "স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জমান খাঁন কামাল" উক্ত নির্দেশনা ব্যর্থ করে দিলেন।
     বাঙ্গালী কবি তাঁর স্ব-জাতির চারিত্রিক বৈশিষ্টের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে শতবছর আগেই তাঁর কবিতায় বলেছেন--"আমাদের দেশে সেই ছেলে হবে কবে--কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।"
   
 

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা