গৌরবের মার্চে জঙ্গী তৎপরতা দেশ ও জাতির জন্যে অশনিসংকেত।
(রুহুল আমিন মজুমদার)
সম্মিলীত অ-শুভশক্তির জঙ্গী অংশটি জঙ্গী তৎপরতার জন্যে বাঙ্গালীর অত্যান্ত গৌরবের মাসকে বেছে নিল কেন? তাঁদের আইডোলজি তো স্বাধীনতার বিপক্ষে থাকার কথা নয়! তাঁরা আল্লাহর আইন কায়েম করতে চায়, এই পথে জীবন উৎসর্গ করাকে বেহেস্তে যাওয়ার অন্যতম চাবিকাঠি মনে করে। তা হয়তো হ'তে পারে।কিন্তু স্বাধীনতার মাসকে তাঁদের জীবন উৎসর্গ করার জন্যে বেছে নিবে কেন? তবে কি তাঁদের মধ্যে স্বাধীনতা বিরুধী মতাদর্শের আধিক্য ইদানিং বেশী? নাকি তাঁরা স্বাধীনতা বিরুধী চক্রের খপ্পরে পড়েছে?বিগতদিনের হামলায় তো দিন, ক্ষন, মাস বেছে নেয়ার তেমন কোন কিছু চোখে পড়েনি!!
বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ে কারা বিরোধিতা করেছিল? রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক ভাবে জামায়াতে ইসলাম পাকিস্তান ছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য সংগঠিত শক্তি বা দলতো ছিল না! তাঁদের সাথে জড়িত ছিল একশ্রেনীর পীর মাশায়েখ, মীরজাপর এর বংশধর। এর আগে সংগঠিত হামলা গুলির ব্যাপকতা যদিও বিস্তৃত ছিল, তবে নির্দিষ্ট করে বাঙ্গালীর কোন গৌরবের মাসকে বেছে নিতে দেখা যায়নি।
এই প্রথম দেখা যায় স্বাধীনতার মাস মার্চকেই তাঁরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করে বেহেস্তে যাওয়ার অন্যতম মাস হিসেবে বেছে নিয়েছে।তার আগে উপোয্যপুরী হামলাও চোখে পড়েনি এবার কিন্তু এই ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম চোখে পড়ার মত।
গতবছর জুলাই মাসে গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক অভিযানের মধ্যে বেশ কিছুদিন পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও এ বছর মার্চের শুরু থেকে জঙ্গিরা নতুন করে তাদের তৎপরতার জানান দিতে শুরু করেছে।
৬ মার্চ: হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান ও তার সহযোগীদের আদালত থেকে কাশিমপুর কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার পথে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়।
৭ মার্চ:--কুমিল্লায় একটি বাসে তল্লাশির সময় পুলিশের দিকে বোমা ছোড়ার পর ধরা পড়ে ‘নব্য জেএমবির’ দুই জঙ্গি। তাদের মধ্যে একজনকে সঙ্গে নিয়ে ওই রাতে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
১৫ মার্চ:--সীতাকুণ্ড পৌর এলাকার আমিরাবাদের এক বাড়ি থেকে বিস্ফোরকসহ এক জঙ্গি দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রেমতলা এলাকায় আরেক বাড়িতে অভিযানে যায় পুলিশ।
১৬ মার্চ: দীর্ঘ ১৯ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখার পর প্রেমতলার ওই বাড়িতে শুরু হয় ‘অপারেশন অ্যাসল্ট সিক্সটিন’। আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ও গুলিতে এক নারীসহ চার জঙ্গি নিহত হন। এছাড়া ভেতরে বোমায় বিক্ষত এক শিশুর লাশ পাওয়া যায়।
১৭ মার্চ:--শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় আশকোনায় র্যবের একটি ব্যারাকে ঢুকে পড়ার পর শরীরে বাঁধা বোমার বিস্ফোরণে নিহত হয় সন্দেহভাজন এক জঙ্গি।
১৮ মার্চ: --মোটর সাইকেল আরোহী এক ব্যক্তি ভোর সাড়ে ৪টার দিকে খিলগাঁওয়ের ‘শেখের জায়গা’ মোড়ের কাছে চেক পোস্টে ঢুকে পড়ার পর র্যব সদস্যদের গুলিতে নিহত হন এক ব্যক্তি। র্যব কর্মকর্তারা বলছেন, হামলাকারীর দেহে বিস্ফোরক বাঁধা ছিল।
২০ মার্চ:--চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তবে সেখানে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।
২৫ মার্চ:-- সিলেটে জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন ‘স্প্রিং রেইন' শুরু হয়েছে। প্যারা-কমান্ডোদের নেতৃত্বে আছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরুল কায়সার। প্যারা-কমান্ডোদের সঙ্গে আছেন সোয়াত সদস্যরা। এছাড়া বাইরে আছেন পুলিশ, র্যব, পিবিআই, ডিবি, এসবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শত শত সদস্য আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি উস্তার মিয়ার মালিকানাধীন ভবন ‘আতিয়া মহলে’ এ অভিযান শুরু হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা এ খবর নিশ্চিত করেন।
এদিকে, সকাল পৌনে ৮টার দিকে আতিয়া মহলের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া আতিয়া মহলের এক কিলোমিটারের মধ্যে সাংবাদিকসহ কাউকে অবস্থান করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আশপাশে রাখা হয়েছে সাজোয়া যান, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি।
শুক্রবার সারা রাত সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ইউনিট ও সোয়াট সদস্যরা বাসাটি ও তার আশাপাশের এলাকা ঘিরে রেখে অভিযান চালাতে প্রস্তুতি নেয়। ওই এলাকায় ও তার আশপাশে বাড়ানো হয় পুলিশের সংখ্যা।
শুক্রবার ভোর থেকে আতিয়া মহল ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাঁচতলা ওই ভবনে নারীসহ একাধিক ‘জঙ্গি’ রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। চুড়ান্ত পরিণতি কি হয়েছে বা জঙ্গীদের ভাগ্যে কি ঘটেছে নিশ্চিত খবর এখনও প্রকাসগ্মহ হয়নি।তবে ঘন্টা দু'য়েকের মধ্যে খবর এসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিণতি যাহাই হোক না কেন--তাঁদের উদ্দেশ্য শতভাগ সফল হবে নিশ্চিত বলা যায়। তাঁরা বেহেস্তে চলে যাবেন সন্দেহ নেই।এখন অভিজ্ঞ মহলের ভেবে দেখা প্রয়োজন জঙ্গী নেতৃত্ব কাদের হাতে কুক্ষিগত হয়েছে। লোক সমাজে আলেম উলামা সেজে ওয়াজ নসিহতের মাধ্যমে হেদায়েতের অন্তরালে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় কারা জড়িত রাষ্ট্রকে খুঁজে বের করতে হবে। ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা কে কোথায় খুঁজে বের করা খুবই কষ্টসাধ্য তাও কিন্তু নয়।যে সমাজে দেশপ্রেমিক সাধারন জনগন বসবাস করে সেই সমাজে রাষ্ট্র বিরোধি,স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীও বাস করে। জনগন জঙ্গী বিরুধী ম্নোভাবাপন্ন এতে কোন সন্দেহ নেই।অদ্যকার ঘটনাটিও জনগনের পক্ষ থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বের করা সম্ভব হয়েছে।সুতারাং জামায়াত শিবিরের দীর্ঘ দিনের দাপুটে নেতাকর্মীরা কে কোথায়, কিভাবে আছে জানা যাবেনা ইহা বিশ্বাস করার কোন কারন নেই।এক্ষেত্রে তৃনমূলের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির সচেতন রাজনৈতিক কর্মীদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা নৈতিক দায়িত্ব মনে করি।
ruhulaminmujumder27@gmai.com
(রুহুল আমিন মজুমদার)
সম্মিলীত অ-শুভশক্তির জঙ্গী অংশটি জঙ্গী তৎপরতার জন্যে বাঙ্গালীর অত্যান্ত গৌরবের মাসকে বেছে নিল কেন? তাঁদের আইডোলজি তো স্বাধীনতার বিপক্ষে থাকার কথা নয়! তাঁরা আল্লাহর আইন কায়েম করতে চায়, এই পথে জীবন উৎসর্গ করাকে বেহেস্তে যাওয়ার অন্যতম চাবিকাঠি মনে করে। তা হয়তো হ'তে পারে।কিন্তু স্বাধীনতার মাসকে তাঁদের জীবন উৎসর্গ করার জন্যে বেছে নিবে কেন? তবে কি তাঁদের মধ্যে স্বাধীনতা বিরুধী মতাদর্শের আধিক্য ইদানিং বেশী? নাকি তাঁরা স্বাধীনতা বিরুধী চক্রের খপ্পরে পড়েছে?বিগতদিনের হামলায় তো দিন, ক্ষন, মাস বেছে নেয়ার তেমন কোন কিছু চোখে পড়েনি!!
বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ে কারা বিরোধিতা করেছিল? রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক ভাবে জামায়াতে ইসলাম পাকিস্তান ছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য সংগঠিত শক্তি বা দলতো ছিল না! তাঁদের সাথে জড়িত ছিল একশ্রেনীর পীর মাশায়েখ, মীরজাপর এর বংশধর। এর আগে সংগঠিত হামলা গুলির ব্যাপকতা যদিও বিস্তৃত ছিল, তবে নির্দিষ্ট করে বাঙ্গালীর কোন গৌরবের মাসকে বেছে নিতে দেখা যায়নি।
এই প্রথম দেখা যায় স্বাধীনতার মাস মার্চকেই তাঁরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করে বেহেস্তে যাওয়ার অন্যতম মাস হিসেবে বেছে নিয়েছে।তার আগে উপোয্যপুরী হামলাও চোখে পড়েনি এবার কিন্তু এই ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম চোখে পড়ার মত।
গতবছর জুলাই মাসে গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক অভিযানের মধ্যে বেশ কিছুদিন পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও এ বছর মার্চের শুরু থেকে জঙ্গিরা নতুন করে তাদের তৎপরতার জানান দিতে শুরু করেছে।
৬ মার্চ: হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান ও তার সহযোগীদের আদালত থেকে কাশিমপুর কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার পথে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়।
৭ মার্চ:--কুমিল্লায় একটি বাসে তল্লাশির সময় পুলিশের দিকে বোমা ছোড়ার পর ধরা পড়ে ‘নব্য জেএমবির’ দুই জঙ্গি। তাদের মধ্যে একজনকে সঙ্গে নিয়ে ওই রাতে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
১৫ মার্চ:--সীতাকুণ্ড পৌর এলাকার আমিরাবাদের এক বাড়ি থেকে বিস্ফোরকসহ এক জঙ্গি দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রেমতলা এলাকায় আরেক বাড়িতে অভিযানে যায় পুলিশ।
১৬ মার্চ: দীর্ঘ ১৯ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখার পর প্রেমতলার ওই বাড়িতে শুরু হয় ‘অপারেশন অ্যাসল্ট সিক্সটিন’। আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ও গুলিতে এক নারীসহ চার জঙ্গি নিহত হন। এছাড়া ভেতরে বোমায় বিক্ষত এক শিশুর লাশ পাওয়া যায়।
১৭ মার্চ:--শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় আশকোনায় র্যবের একটি ব্যারাকে ঢুকে পড়ার পর শরীরে বাঁধা বোমার বিস্ফোরণে নিহত হয় সন্দেহভাজন এক জঙ্গি।
১৮ মার্চ: --মোটর সাইকেল আরোহী এক ব্যক্তি ভোর সাড়ে ৪টার দিকে খিলগাঁওয়ের ‘শেখের জায়গা’ মোড়ের কাছে চেক পোস্টে ঢুকে পড়ার পর র্যব সদস্যদের গুলিতে নিহত হন এক ব্যক্তি। র্যব কর্মকর্তারা বলছেন, হামলাকারীর দেহে বিস্ফোরক বাঁধা ছিল।
২০ মার্চ:--চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তবে সেখানে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।
২৫ মার্চ:-- সিলেটে জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন ‘স্প্রিং রেইন' শুরু হয়েছে। প্যারা-কমান্ডোদের নেতৃত্বে আছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরুল কায়সার। প্যারা-কমান্ডোদের সঙ্গে আছেন সোয়াত সদস্যরা। এছাড়া বাইরে আছেন পুলিশ, র্যব, পিবিআই, ডিবি, এসবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শত শত সদস্য আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি উস্তার মিয়ার মালিকানাধীন ভবন ‘আতিয়া মহলে’ এ অভিযান শুরু হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা এ খবর নিশ্চিত করেন।
এদিকে, সকাল পৌনে ৮টার দিকে আতিয়া মহলের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া আতিয়া মহলের এক কিলোমিটারের মধ্যে সাংবাদিকসহ কাউকে অবস্থান করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আশপাশে রাখা হয়েছে সাজোয়া যান, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি।
শুক্রবার সারা রাত সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ইউনিট ও সোয়াট সদস্যরা বাসাটি ও তার আশাপাশের এলাকা ঘিরে রেখে অভিযান চালাতে প্রস্তুতি নেয়। ওই এলাকায় ও তার আশপাশে বাড়ানো হয় পুলিশের সংখ্যা।
শুক্রবার ভোর থেকে আতিয়া মহল ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাঁচতলা ওই ভবনে নারীসহ একাধিক ‘জঙ্গি’ রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। চুড়ান্ত পরিণতি কি হয়েছে বা জঙ্গীদের ভাগ্যে কি ঘটেছে নিশ্চিত খবর এখনও প্রকাসগ্মহ হয়নি।তবে ঘন্টা দু'য়েকের মধ্যে খবর এসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিণতি যাহাই হোক না কেন--তাঁদের উদ্দেশ্য শতভাগ সফল হবে নিশ্চিত বলা যায়। তাঁরা বেহেস্তে চলে যাবেন সন্দেহ নেই।এখন অভিজ্ঞ মহলের ভেবে দেখা প্রয়োজন জঙ্গী নেতৃত্ব কাদের হাতে কুক্ষিগত হয়েছে। লোক সমাজে আলেম উলামা সেজে ওয়াজ নসিহতের মাধ্যমে হেদায়েতের অন্তরালে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় কারা জড়িত রাষ্ট্রকে খুঁজে বের করতে হবে। ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা কে কোথায় খুঁজে বের করা খুবই কষ্টসাধ্য তাও কিন্তু নয়।যে সমাজে দেশপ্রেমিক সাধারন জনগন বসবাস করে সেই সমাজে রাষ্ট্র বিরোধি,স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীও বাস করে। জনগন জঙ্গী বিরুধী ম্নোভাবাপন্ন এতে কোন সন্দেহ নেই।অদ্যকার ঘটনাটিও জনগনের পক্ষ থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বের করা সম্ভব হয়েছে।সুতারাং জামায়াত শিবিরের দীর্ঘ দিনের দাপুটে নেতাকর্মীরা কে কোথায়, কিভাবে আছে জানা যাবেনা ইহা বিশ্বাস করার কোন কারন নেই।এক্ষেত্রে তৃনমূলের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির সচেতন রাজনৈতিক কর্মীদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা নৈতিক দায়িত্ব মনে করি।
ruhulaminmujumder27@gmai.com
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন