মমতার টেলিভিশন ঘোষনা শেষ পয্যন্ত শেখ হাসিনার মৌনতা ভঙ্গে কাজে আসেনি-----
(রুহুল আমিন মজুমদার)
মমতার ২৫ মে তিস্তা চুক্তি ঢাকায় টেলিভিশন ঘোষনাও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মৌনতা ভাঙ্গাতে না পেরে মৌদি সরকার নতুন করে আবারও উদ্ভিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এবার শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে স্বরাজকে উপস্থীত রেখে মমতার সঙ্গে মৌদি আলোচনা করে নিবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশকে। স্বরাজের সঙ্গে মমতার নাকি খুবই ভাল সম্পর্ক যা মৌদির সঙ্গে নেই।
এর আগে মমতা জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনার সফর সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।২৫ মে ঢাকায় তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর হবে তিনি এতটুকু জানেন।তিনি আরো বলেছিলেন যাই কিছু করা হোক না কেন পশ্চিম বঙ্গের স্বার্থ রক্ষা করেই করা হবে।ভারতের প্রধানমন্ত্রী মমতা কে শেখ হাসিনার সফর সম্পর্কে অবহিত করা হয়নি বলে স্বীকার করে বলেন- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফর কালে তিনি স্বরাজের উপস্থীতিতে মমতার সঙ্গে কথা বলে নিবেন।
মৌদি উক্ত বার্তায় প্রকারান্তরে ২৫ মে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর নিশ্চিতকরন প্রশ্নে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করার লক্ষে উক্ত প্রস্তাব দিয়েছেন বলে অভিজ্ঞ কূটনৈতিক মহল মনে করেন। উল্লেখ্য বিগত ছয় সাতবছর তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর হবে হবে বলেও মমতার বাধার কারনে করা হয়নি।মমতা কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন আরো আগে, তিস্তার পানি বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিম বঙ্গ ভাগাভাগি করে নিতে আগ্রহি।এতদিন মমতার দাবির বিষয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সাড়া দেয়নি। কারন হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের ধারনা-পশ্চিম বঙ্গের সঙ্গে এইরুপ সমঝোতায় উপনিত হতে গেলে ভারতের অন্যান্ন প্রদেশও একই দাবি তোলার সম্ভাবনা রয়েছে।সুতারাং পশ্চিম বঙ্গের স্বার্থ বিবেচনা না করে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিতে আগ্রহি কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এইরুপ মনোভাবের তিব্র বিরোধি মমতা।তিনি মনে করেন--বাংলাদেশের সাথে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন হয়ে গেলে পশ্চিম বঙ্গের দাবি অনির্দিষ্ট কাল ঝুলিয়ে রাখবে কেন্দ্রীয় সরকার।একই দেশের অধিবাসি হয়েও কেন্দ্রীয় সরকার উজানের পানি অযৌক্তিকভাবে পশ্চিমবঙ্গকে দিচ্ছেনা।
বাংলাদেশ মনে করে--ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বৈদেশিক চুক্তির বিষয়ে রাজ্যের মতামত নিতে হবে এমন কোন আইনগত বাধানিষেদ নেই। রাজ্যের বাধার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে ভারত সরকার তিস্তাচুক্তি বিষয়ে অযৌক্তিক ভাবে কালক্ষেপন করছে বলে মনে করে।সুতারাং তিস্তা বিষয়ে পরিস্কার ধারনা ব্যাতিরেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফর কোনপ্রকার ফলপ্রসূ ফলাফল বয়ে আনবেনা বলে বাংলাদেশ মনে করে।
বাংলাদেশ সরকারের উল্লেখিত মনোভাব পরিবর্তনে ভারত সরকার একাধিক বিকল্প প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছেন।অদ্যাবদি ভারতের কোন প্রস্তাবেই শেখ হাসিনা বা বাংলাদেশ সরকারের মৌনতা ভাঙ্গাতে পারেনি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সরকার বিরোধী দল সমূহ এবং জাতীয় পত্রিকা সমুহ 'মমতার' টেলিভিশন ঘোষনার পর হিমশীতল বরফাকার ধারন করেছে। বিরুধী দলের এইরুপ চুপসে যাওয়াকে সরকার ভালভাবে নেয়নি। দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক দল, শুসিল সমাজ, সর্বোপরি নাগরিক গনের ঐক্যবদ্ধ ভুমিকার প্রয়োজন আছে বলে সরকার মনে করে। এইরুপ নিস্তব্দতায় বাংলাদেশ সরকারের দৃডতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে অভিজ্ঞমহলও মনে করেন।
এদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের বাকি আছে আর মাত্র এগার দিন। সফর ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে নাটকিয়তাও জমে উঠেছে দুই দেশের কূটনৈতিক পয্যায়।বিরাজমান অবস্থায় ৮ এপ্রিলের আগে মৌদির বিশেষ প্রতিনীধির এক বা একাধিক ব্যাক্তি বিশেষের আকস্মিক বাংলাদেশ সফর অনুষ্ঠিত হলেও আশ্চার্য্যের কিছুই থাকবে না।
জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'
(রুহুল আমিন মজুমদার)
মমতার ২৫ মে তিস্তা চুক্তি ঢাকায় টেলিভিশন ঘোষনাও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মৌনতা ভাঙ্গাতে না পেরে মৌদি সরকার নতুন করে আবারও উদ্ভিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এবার শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে স্বরাজকে উপস্থীত রেখে মমতার সঙ্গে মৌদি আলোচনা করে নিবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশকে। স্বরাজের সঙ্গে মমতার নাকি খুবই ভাল সম্পর্ক যা মৌদির সঙ্গে নেই।
এর আগে মমতা জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনার সফর সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।২৫ মে ঢাকায় তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর হবে তিনি এতটুকু জানেন।তিনি আরো বলেছিলেন যাই কিছু করা হোক না কেন পশ্চিম বঙ্গের স্বার্থ রক্ষা করেই করা হবে।ভারতের প্রধানমন্ত্রী মমতা কে শেখ হাসিনার সফর সম্পর্কে অবহিত করা হয়নি বলে স্বীকার করে বলেন- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফর কালে তিনি স্বরাজের উপস্থীতিতে মমতার সঙ্গে কথা বলে নিবেন।
মৌদি উক্ত বার্তায় প্রকারান্তরে ২৫ মে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর নিশ্চিতকরন প্রশ্নে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করার লক্ষে উক্ত প্রস্তাব দিয়েছেন বলে অভিজ্ঞ কূটনৈতিক মহল মনে করেন। উল্লেখ্য বিগত ছয় সাতবছর তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর হবে হবে বলেও মমতার বাধার কারনে করা হয়নি।মমতা কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন আরো আগে, তিস্তার পানি বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিম বঙ্গ ভাগাভাগি করে নিতে আগ্রহি।এতদিন মমতার দাবির বিষয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সাড়া দেয়নি। কারন হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের ধারনা-পশ্চিম বঙ্গের সঙ্গে এইরুপ সমঝোতায় উপনিত হতে গেলে ভারতের অন্যান্ন প্রদেশও একই দাবি তোলার সম্ভাবনা রয়েছে।সুতারাং পশ্চিম বঙ্গের স্বার্থ বিবেচনা না করে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিতে আগ্রহি কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এইরুপ মনোভাবের তিব্র বিরোধি মমতা।তিনি মনে করেন--বাংলাদেশের সাথে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন হয়ে গেলে পশ্চিম বঙ্গের দাবি অনির্দিষ্ট কাল ঝুলিয়ে রাখবে কেন্দ্রীয় সরকার।একই দেশের অধিবাসি হয়েও কেন্দ্রীয় সরকার উজানের পানি অযৌক্তিকভাবে পশ্চিমবঙ্গকে দিচ্ছেনা।
বাংলাদেশ মনে করে--ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বৈদেশিক চুক্তির বিষয়ে রাজ্যের মতামত নিতে হবে এমন কোন আইনগত বাধানিষেদ নেই। রাজ্যের বাধার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে ভারত সরকার তিস্তাচুক্তি বিষয়ে অযৌক্তিক ভাবে কালক্ষেপন করছে বলে মনে করে।সুতারাং তিস্তা বিষয়ে পরিস্কার ধারনা ব্যাতিরেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফর কোনপ্রকার ফলপ্রসূ ফলাফল বয়ে আনবেনা বলে বাংলাদেশ মনে করে।
বাংলাদেশ সরকারের উল্লেখিত মনোভাব পরিবর্তনে ভারত সরকার একাধিক বিকল্প প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছেন।অদ্যাবদি ভারতের কোন প্রস্তাবেই শেখ হাসিনা বা বাংলাদেশ সরকারের মৌনতা ভাঙ্গাতে পারেনি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সরকার বিরোধী দল সমূহ এবং জাতীয় পত্রিকা সমুহ 'মমতার' টেলিভিশন ঘোষনার পর হিমশীতল বরফাকার ধারন করেছে। বিরুধী দলের এইরুপ চুপসে যাওয়াকে সরকার ভালভাবে নেয়নি। দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক দল, শুসিল সমাজ, সর্বোপরি নাগরিক গনের ঐক্যবদ্ধ ভুমিকার প্রয়োজন আছে বলে সরকার মনে করে। এইরুপ নিস্তব্দতায় বাংলাদেশ সরকারের দৃডতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে অভিজ্ঞমহলও মনে করেন।
এদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের বাকি আছে আর মাত্র এগার দিন। সফর ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে নাটকিয়তাও জমে উঠেছে দুই দেশের কূটনৈতিক পয্যায়।বিরাজমান অবস্থায় ৮ এপ্রিলের আগে মৌদির বিশেষ প্রতিনীধির এক বা একাধিক ব্যাক্তি বিশেষের আকস্মিক বাংলাদেশ সফর অনুষ্ঠিত হলেও আশ্চার্য্যের কিছুই থাকবে না।
জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন