২৫মার্চ গণহত্যা দিবস ঘোষনা সহজে হয়নি--দিবসটি অর্জনে বাঙ্গালী জাতিকে অনেক বন্ধুরপথ অতিক্রম করতে হয়েছে।
(রুহুল আমিন মজুমদার)

বাংলাদেশ তাঁর গৌরবের মুক্তিযুদ্ধের ৪৬ বছর ইতিমধ্যে অতিক্রান্ত করেছে। সময়টা খুব বেশী না হলেও মধ্য বয়স বলা যেতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে কিছুই দিতে পারেনি সত্য। তবে পাকিস্তান শাষদের সম্মিলীত ২৩ বছরের শাষনে যাহা দিতে পারেনি, জাতির জনক মাত্র দশমাসের মধ্যে তাহাই দিতে পেরেছিলেন। জাতীর জনকের স্বল্প কালিন সময়ের শাষন ব্যবস্থায় মুক্তিকামী জনগনের আশা আকাংক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে '৭২ এর সংবিধান যথাযথভাবে জাতিকে উপহার দিতে পেরেছিলেন।মুক্তিযুদ্ধে বিরুধীতাকারি রাজাকার, আলবদর, আলশামস এর বিচার প্রক্রিয়া গ্রহন করে অনেককে শাস্তি এবং অনেককে জেলখানায় বন্দি করতে পেরেছিলেন। এমনিতর অবস্থায় ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট দেশী বিদেশী চক্রান্তে জাতির জনককে হত্যা করা হলে বাঙ্গালী জাতির গৌরবের ইতিহাসের চাকা থমকে যায়।

       তাঁর পরবর্তী ইতিহাস মিথ্যা, প্রবঞ্চনা, বাঙ্গালী জাতির ইতিহাস বিকৃতি, চরিত্রহনন, অপ-রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত অ-শুভ শক্তির উত্থানের ইতিহাস।বাঙ্গালী জাতির সুদীর্ঘকালের বঞ্চনা, লাঞ্চনা,শোষন, শাষনের বিরুদ্ধে বিরত্বপুর্ণ লড়াই  সংগ্রামের ঐতিহ্যের ইতিহাসকে বাঙ্গালীর স্মৃতি থেকে মূছে দেয়ার অপচেষ্টার ইতিহাস। সুদীর্ঘকাল সংগ্রাম শেষে বিরত্বপূর্ণ মহান গৌরবের অর্জন সমূহ জাতিকে ভুলিয়ে দেয়ার নগ্ন, জগন্য, অমানবিক পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে বাঙ্গালী জাতিকে অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নেয়ার ইতিহাস।
  একুশবছর একটানা বিভিন্ন নামে,বিভিন্ন বিশেষনে বিশেষায়ীত শাষনের যাঁতাকলে পিষ্ট করে প্রতারনা, জোচ্ছ্বরী, অপ-কৌশলের চাতুয্যতায় বীর বাঙ্গালী জাতির গৌরবের অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসকে মূছে দিতে না পারলেও ম্লান করে দিতে তাঁরা সক্ষম হয়।দীর্ঘ ২১বছর জাতীর জনকের সাড়ে তিনবছরের শাষনামলকে বিকৃত, ধিকৃত, অপশাষনের কাল অধ্যায় এবং মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার সমূহকে বিকৃতভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে বীর জাতীর মেধামননে পঁচন ধরানোর সকল আয়োজন সমাপ্ত করে।বাঙ্গালী জাতিকে বিভ্রান্ত, অধ:পতিত, ধর্মাশ্রয়ী, জঙ্গিবাদী, অলস, ভিতু, কাপূরুষের জাতিতে পরিণত করে। তাঁদের প্রভূ পাকিস্তানীদের ধারায় নিয়ে যাওয়ার অপকৌশল গ্রহন করে অনেকটা পথ টেনে নিয়ে  যেতে সক্ষম হয়।

   জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রাম, ত্যাগের অসীম নজির স্থাপন করে অবশেষে ৯০ এর গনভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরচারের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়। বৃহৎ তিন জোটের রুপরেখা অনুযায়ী '৯১এর সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে সকল আয়োজন আওয়ামীলীগের পক্ষে থাকা সত্বেও দেশী-বিদেশী চক্রান্তে ক্ষমতায় আসতে পারেনি। তদস্থলে জেলা, মহানগর উপজেলা, ইউনিয়ন পয্যায় সাংগঠনিক কাঠামোবিহীন বিএনপি বিদেশী শক্তির গোপন আঁতাতে মোটভোটে আকাশচুম্ভি ব্যাবধান থাকা সত্বেও তুঘলুকি যাদুবলে সংসদ সদস্যের হিসেবে সামান্য বেশী আসনে জিতে যায়।অশুভ শক্তির প্রেতাত্বা মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শত্রুর সঙ্গে নির্বাচনপুর্ব গোপন আঁতাতের ভিত্তিতে তাঁদেরকে সরকারে অংশগ্রহনের সুযোগ দিয়ে অপূর্ণ সংসদ সদস্যের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় বসে বিএনপি এবং তাঁর জোট।

     দেশী-বিদেশী পরিসংখ্যান, তথ্য, উপাত্ত সব আয়োজন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকা সত্বেও ক্ষমতায় আসতে পারেনি। দেশী-বিদেশী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষশক্তি সহ সকল মহল স্তম্ভিত,হতবম্ব, হৎচকিত হয়ে পড়েন। আচমকা হারে দেশবাসি সহ সবমহল স্তম্ভিত হলেও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মনোবলে সামান্যতম চিড় ধরেনি। বরঞ্চ স্বৈরশাষনের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার রদবদলের নন্যুন্নতম গনতান্ত্রিক ধারায় দেশকে নিয়ে আসতে পারায়, দলটির সংগ্রামের ইতিহাসে আর একটি বড় প্রাপ্তির ইতিবাচক মাইলফলক যুক্ত  হয়।

      সংগ্রামের সেই তেজোদিপ্ত ধারাবাহিকতায় ৯৫এর মাগুরা উপনির্বাচনে সরকার দল বিএনপি কতৃক ভোট ডাকাতির ন্যাক্কারজনক ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপি গড়ে উঠে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের ব্যাপক আন্দোলন। আন্দোলনে ভীত হয়ে অশুভ শক্তির চক্রান্তে বিএনপি তিনজোটের রুপরেখার অঙ্গিকারের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতার নজির স্থাপন করে। গনতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদের রক্তের সাথে চরম বেঈমানীর ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। ৯১ এর তত্বাবধায়ক সরকারের নীতিকে পদদলীত করে বিএনপি সরকার এবং তাঁদের সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধিনে সাধারন নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহন করে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৫ দলীয় জোট উক্ত নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ঘোষনা দেয় এবং নির্বাচন বর্জন করে।

    জনগনের রক্তস্রোতের বাঁধার মুখে বিএনপি সরকার জোর পুর্বক সাধারন নির্বাচনের নামে প্রহসনের কলংকজনক আধ্যায় স্থাপন করে একতরফা জয়ী ঘোষনা করে সরকার গঠন করে। ততোদিনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্দোলন গনভ্যুত্থানে রুপপরিগ্রহ করে সারাদেশ অচল করে দিতে সক্ষম হয়। আন্দোলনের তিব্রতায় মাত্র তিনমাসের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্টতা নিয়ে গঠিত বিএনপি সরকারকে বাংলাদেশের জনগন ক্ষমতাত্যাগে বাধ্য করে। একই বছর অনুষ্ঠিত সাধারন নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্টতা নিয়ে সরকার গঠন করে।

       সরকার গঠন করে প্রথমেই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের সারা অঙ্গে দীর্ঘ দুই যুগের অধিক স্বাধীনতাবিরুধী, বাংলাদেশবিরুধী, মুক্তিযুদ্ধবিরুধী অ-শুভশক্তির লেপন করা কালিমা মোঁছনের উদ্যোগ গ্রহন করেন জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা। পাকিস্তানী শাষকদের অনুকরনে দীর্ঘবছর ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার মানসে তাঁরা গড়ে তুলেছিল শক্তিশালী ইস্পাতকঠিন ভীত। সাধারন মানুষকে অতিসহজে বিভ্রান্ত করার অন্যতম সহজ মাধ্যম দেশের অভ্যন্তরে  জাতিগত বিরোধ এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আন্তসীমান্ত বহবিদ অথছ সহজে সমাধানযোগ্য স্বাভাবিক সমস্যাকে কৌশলে অমিমাংসীত বিরুধে পরিণত করে সময়মত ব্যবহারের উপযোগী হাতিয়ারে রুপান্তর করে।কৌশলটি ব্যবহার করে সফলভাবে ২৩ বছর পাকিস্তানী শাষক গোষ্টি শাষন শোষন অব্যাহত  রেখেছিল বাঙ্গালী জাতিকে--সেই একই পথ অনুসরন করে ২১ বছর স্বৈরচারি সকল সেনা শাষক সরকার অবিশ্বাস, হিংসা, বিদ্বেসের লৌহপ্রাচির নির্মান করে রাখতে চেয়েছিল।

     উদ্দেশ্য সাধনে প্রতিবেশি দেশকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে জনগনের মনমানষিকতাকে বিষিয়ে তোলার অপচেষ্টায় বাঙ্গালীজাতি, বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতির সোপান সমুহকে জটিল ও কঠিন, অমিমাংসীতের পয্যায় ঠেলে দিয়েছিল। বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, সমৃদ্ধির মুলসোপান সমূহকে জিম্মি করে তাঁদের ক্ষমতার ভীত মজবুতের প্রতি ছিল তাঁদের মূল লক্ষ।প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমস্যা সমূহ সমাধান দুরের কথা বরঞ্চ দেশের অভ্যন্তরে জাতিগত বিভাজনের মাধ্যমে পাহাড়ি জনগোষ্টিকে অস্ত্রহাতে নিতে বাধ্য করেছিল। ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্টি সমুহকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘাঁটি করার অবাধ সুযোগ দিয়ে আন্তসিমান্ত সমস্যাকে আরো জটিল ও কঠিন করে তুলেছিল। ঘন ঘন ভারত সফরে গেলেও অতীতের সরকার গুলি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সরাসরি লজ্জাজনক ভাবেই বলতে শুনেছি, অমিমাংসীত ইস্যুগুলী দ্বিপক্ষিয় অনুষ্ঠিত বৈঠকে তুলতেই তিনি ভুলে গিয়েছিলেন।

       ৯৬ ইং সালে সরকার গঠন করে অ-শুভশক্তি যে সমস্ত ইস্যু ব্যবহার করে জনগনকে বারবার বিভ্রান্তের পথে নিতেন সেই সমস্ত  ইস্পাতকঠিন ভীতকেই প্রথমে চুরমার করার উদ্যোগ গ্রহন করেন। জাতির জনকের কন্যা পাহাড়িদের সমস্যা সমাধান করার উদ্যোগ গ্রহন করে তাঁদের সাথে শান্তিচুক্তি সম্পাদন করেন এবং তাঁদেরকে অস্ত্র জমা দিতে উদ্ভোদ্ধ করতে সক্ষম হন। ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানিচুক্তি সম্পাদনের উদ্দেশ্যে গেলে তৎসময়ের বিরুধীনেত্রী বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন দশহাজার কিউসেক পানি আনতে না পারলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকায়ই নামতে দেয়া হবেনা।শেখ হাসিনা ঐ সফরেই ৪০ হাজার কিউসেক পানি প্রাপ্যতা নিশ্চিত করে গঙ্গার পানিচুক্তি সম্পাদন করেন।
   উক্ত চুক্তির সুফলের বিনিময়ে দেশের উত্তরবঙ্গ সহ ব্যাপক এলাকাকে নিশ্চিত মরুভূমি হওয়ার হাত থেকে তিনি রক্ষা করেছিলেন। বর্তমানে গঙ্গার পানিচুক্তির অন্যতম সুফলগুনে উত্তরবঙ্গের সাংবাৎসরিক মঙ্গা দূর হয়েছে এবং শষ্যশ্যামল করে তুলেছে অত্র এলাকার বিস্তিন্ন এলাকা। উত্তরবঙ্গের আপামর জনগন স্বাবলম্বিতার ক্ষেত্রে অনেকদুর এগিয়েছে।,পদ্মা সেতুর কাজ সমাপ্তির পর তাঁদের সমৃদ্ধি গানিতিক হারে বাড়বে বলে অর্থনীতি বিশারদদের অভিমত।
    জাতীয় ও আন্তজাতিক বৈরিতাপূর্ণ কর্মকান্ড, দেশবিরুধী অশুভ শক্তির চক্রান্ত চিহ্নিত করার পাশাপাশি তথাকথিত মানবতাবিরুধী রাষ্ট্রীয়আইন 'ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ' বাতিল করে  জাতির জনক হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বিদ্যমান আদালতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া গ্রহন করে খুনীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন।উক্ত বিচার অনুষ্ঠান সফলভাবে করতে পারায় অশুভ ষড়যন্ত্রকারীদের দুর্গে চরম আগাতের সুত্রপাত ঘটিয়ে হৃদয়ের কাঁপন ধরাতে সক্ষম হন।
    এই পয্যায় সাংবিধানিক ধারাকে সমূন্নত রাখার স্বার্থে বিনা আন্দোলনে মেয়াদ শেষে ক্ষমতা হস্তান্তরের উদ্যোগ গ্রহন করেন শেখ হাসিনার সরকার।ক্ষমতা হস্তান্তরের পূর্ব নির্ধারীত তারিখে অ-শুভচক্র এবং তাঁদের প্রেতাত্বা, দেশী-বিদেশী শক্তির পুর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে দেশব্যাপি তাঁদের আন্দোলনের বিজয় উৎসবের কর্মসূচি প্রদান করে। অথছ সরকার মেয়াদ শেষে স্বাভাবিক নিয়মেই গঠিত তত্বাবধায়ক সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করার উদ্যোগ গ্রহন করেছিল।

      অশুভ শক্তির ঘোষিত কর্মসূচি বিজয় উল্লাসতো নয়--এটা ছিল ,আওয়ামী নিধন, হত্যা, লুটপাট, সংখ্যালুঘু হিন্দুদের উপর পাশবিক নিয্যাতনের মধ্যযুগীয় বিজয় উল্লাসের মাধ্যমে জনমনে ভীতির সঞ্চার করে নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়ার অপ-কৌশল।চক্রান্তের তত্বাবধায়ক সরকারে প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় ক্ষনিকের মধ্যে দেশের প্রশাসন, সরকারের বিশেষায়ীত বাহিনী, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত শিবির একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের উপর।

    নিমিষেই আওয়ামী লীগের নেতাদের এলাকা ছাড়া, দেশছাড়া, জেলখানা, গুপ্তহত্যা, গুমের মাধ্যমে একটানা তিনমাস নারকীয় উৎসব পালন করে।-তত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীশুন্য মাঠে সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশী-বিদেশী অশুভ শক্তির চক্রান্তের পরিপূর্ণতা দিতে কোনপ্রকার কার্পন্য করেনি। বিদেশী এজেন্ডা অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরুধী অশুভশক্তি, মানবতা বিরুধী, যুদ্ধাপরাধী এবং তাঁদের রক্ষক প্রেতাত্বা   সমন্বয়ে সরকার গঠন করে বিএনপি।
   তারপরের ইতিহাস আপনাদের সকলের জানা, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার চক্রান্তে হেন কোন কাজ নেই যা খালেদা, তারেক, কোকো করেনি বা বাকি রেখেছে।এমন কোন অপকর্ম নেই মা ছেলে তিনজন মিলে করার বাকি রেখেছে। খালেদার সরকার গনভবনে, তারেকের সরকার হাওয়া ভবনে, কোকোর সরকার গাঁজা ভবনে---তিন সরকার মিলে বাংলাদেশকে নৈরাজ্যের দেশ, ভিক্ষুকের দেশ, দুর্নীতির দেশ, লুটের দেশ, জঙ্গির দেশ অবশেষে ব্যর্থ দেশে পরিণত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছিল।একই চক্রান্তের বৃত্তের আবর্তে অবশেষে তথাকথিত ১/১১ এর সেনা সমর্থিত  সরকার ক্ষমতা দখল করে।খালেদা জিয়া তাঁদের সঙ্গে গোপন আঁতাতের মাধ্যমে তাঁর লুটেরা দুই পুত্রকে বিদেশে পাঠিয়ে দিতে সক্ষম হন।

      ষড়যন্ত্রের সেনাসমর্থিত তিনমাসের সরকার দুইবছর ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে। উক্ত সময়ে তাঁরা বাংলাদেশকে ভীতির জলন্ত নরকে পরিণত করে।জাতিরজনকের কন্যাকে পয্যন্ত তাঁরা জেলে নিতে দ্বিধাবোধ করেনি, তাঁদের বুকে সামান্য কাঁপন সৃষ্টি হয়নি।তারপরও তাঁরা বাংলাদেশের জনগনের মন থেকে মুজিবকন্যার নাম মুছে দিতে পারেনি। অবশেষে ২০০৮ইং সালে সাধারন নির্বাচন ঘোষনা করে ২০০৯ ইং সালে ক্ষমতা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা ভুমিধ্বস জয় নিয়ে বাংলাদেশের ক্ষমতায় ফিরে আসেন।

     এবারের ক্ষমতা গ্রহনের পর অনেকটা ভিন্ন প্রকৃতির শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের মানুষ আবিষ্কার করেছে।বিরুধীরা যতই ভাঙ্গার জন্যে নাড়ে, শেখ হাসিনাও নড়ে। বাঁকা করে ফেলে, তিনি আবার সোজা হয়ে যান।ভাঙ্গবে ভাঙ্গবে মনে করে কেবলই আঘাত করে কিন্ত্যু ভাঙ্গেনা-শুধু মচকে।
     আজব এক শেখ হাসিনার উদয় হল বাঙ্গালী জাতির ভাগ্যাকাশ থেকে কালমেঘ দুর করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ উপহার দিতে। নিরলস পরিশ্রমী, সিদ্ধান্তে স্থীর, লক্ষে অটল ও স্থীর, উদ্দেশ্য পরিষ্কার।বাংলাদেশকে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর আরধ্য সুখী, সমৃদ্ধশালী,উন্নত বাংলাদেশে রুপান্তর করবেন।তাঁর পিতার আদর্শ ধর্মনিরপেক্ষ,বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে গড়ে তুলবেন। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার অক্ষরে অক্ষরে পুর্ণ বাস্তবায়ন করবেন।সেই লক্ষকে সামনে রেখে উদ্দেশ্যের প্রতি প্রতিনিয়ত ধাবিত তাঁর চিন্তাচেতনা। যতই ঝড় তুফান আসুকনা কেন লক্ষ বিচ্যুত হওয়ার পাত্রী নন।

     ইতিমধ্যে বাংলাদেশকে ভিখারীর দেশের বদনাম গুছিয়ে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে রুপান্তর করতে পেরেছেন।মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার পূরনের লক্ষে মানবতাবিরুধী বিচারের উদ্যোগ গ্রহন করে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন। অনেকের শাস্তি নিশ্চিত করেছেন, অনেকেই শাস্তি ভোগ করার অপেক্ষায় জেলে আছেন।নতুন নতুন মানবতাবিরুধী অপরাধির তথ্য সংগ্রহ অব্যাহত রেখেছেন।ইতিমধ্যে তাঁর দুরদর্শীতা, রাজনৈতিক বিচক্ষনতায় অ-শুভ শক্তি এবং তাঁদের পাহারাদার প্রেতাত্বাদের রাজপথে নামার সকল নৈতিক অধিকার হারিয়ে বিবৃতি সর্বস্ব কাগুজে বাঘে পরিণত করেছেন।

     জঙ্গি অভিযান অব্যাহত রেখেছেন, যেখানেই জঙ্গির সন্ধান সেখানেই প্রতিরোধের মানষিকতায় জনগনকে উদ্ভোদ্ধ করতে পেরেছেন।সর্ব উচ্চ আদালতের রায়ে স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ বিরুধীতাকারি দল জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছে। সরকারি ভাবে নিষিদ্ধের আতংকে ভুগছে তাঁরা। একদা সম্মিলীত অশুভ শক্তির ব্যাঘ্রের হুমকিকে শিয়ালের মেউ মেউতে রুপান্তর করে জনসমক্ষে ছেড়ে দিয়েছেন। জনগনও মুখের থু থু ফেলার ডাষ্টবিন পেয়ে যারপরনাই খুশি।

এবার আর একটা বড় উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মানের পথে অনেকটা পথ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। ক্ষমতার মেয়াদের দ্বিতীয়বারের তৃতীয় বছরের শেষ প্রান্তে এসে ২৫শে মার্চকে জাতীয় গনহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জাতীয় সংসদে বিল পাশ করেছেন।

গত ২৫ বছর ধরে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ সরকারিভাবে পালনের জন্য আন্দোলন করেছে। এ পরিপ্রেক্ষিত হোক বা অন্যকোন কারনে প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়ার কারনে হোক  সংসদে বিল উত্থাপনের পর সর্বসম্মতিক্রমে উক্ত বিল পাশ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হবে। এত দিন গণহত্যা দিবস পালিত না হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়িয়ে রাজনীতিতে অবস্থান নিয়েছে। সর্বশেষ আইএসআই প্রযোজিত পাকিস্তানের জুনায়েদ আহমদের বইয়ের প্রকাশ ঘটানোর সাহষ ও দেখিয়েছে।

      মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মানের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পরবর্তি সময় থেকে এখন আরো বেশী কষ্টসাধ্য, ঝুকিপূর্ণ। কারন দীর্ঘযুগ অশুভ শক্তি মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বাংলাদেশ, বাঙ্গালী জাতি বিরুধীশক্তি রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা পেয়ে ফুলে ফেঁপে মোটাতাজা হয়েছে।অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক শক্তিতে বলিয়ান হয়েছে।তাঁদের অনুসারি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে গ্রামে গ্রামে একাধিক ইয়াজিদি কারখানা সৃষ্টি করে রেখেছে।ঐসমস্ত কারখানায় প্রতিনিয়ত ধর্মের নামে, ইসলামের নামে উগ্রতার বীজবপন করে চলেছে।

প্রতিনিয়ত সেখান থেকে চারা গজাতেই থাকবে। এই ইয়াজিদি বংশটি ৭১এর আগে কখনও ছিলনা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে নীরবে, নির্বিত্তে পাকিস্তানী সেনাদের সহযোগীতায় পটিয়ার জঙ্গলে এই কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্তাপিত হয়।আজ বাংলাদেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলে তাঁদের লাখ লাখ কারখানার অবস্থান।লাখ লাখ শিশু, তরুন,  যুবক তাঁদের খপ্পরে অলস, জাতির বোঝা হয়ে সেখান থেকে বের হয়ে আসছে।দেশের উৎপাদনী যন্ত্রের সঙ্গে তাঁদের আদৌ কোন সম্পর্ক নেই।
সম্পুর্ণ নবী বিরুদ্ধ শক্তি--সাধারন মুসলমানদের বিভ্রান্ত করে তাঁদের রুটি রুজির ধান্ধায় লিপ্ত রয়েছে।এই শক্তিকে কৌশল ছাড়া অন্যকোন উপায় দমন করার শক্তি রাষ্ট্রের আদৌ আছে বলে মনে করিনা। তাঁদেরকে নিস্তেজ করা ব্যাতিরেকে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মান আদৌ সহজও হবেনা।

     উল্লেখিত খোদাদ্রোহি শক্তি---পরম করুনাময়ের কৃপায় খাঁছায় বন্দি হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে বলে মনে হয়। আর একটু পথ এগুলে সহজেই তাঁদের নিস্তেজ করা সম্ভব হতে পারে। অতীতেও দেখা গেছে শক্তিটি চরম আঘাতের উদ্দেশ্যে সাধারন মসুলমানদের বিভ্রান্ত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে কিন্ত্যু আল্লাহর হুকুমেই চরম ভাবে লাঞ্চিত, ধিকৃত হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্যে নিস্তেজ হতে বাধ্য হয়েছে। আশা করি তেমনি এবারও আল্লাহর লানৎ তাদের উপর নাজিল হবে, এই বিশ্বাস একজন মুসলমান হিসেবে অবশ্যই রাখতে পারি।

   মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মানে জাতি অনেক দুর এগিয়েছে।২৫ শে মার্চকে আন্তজাতিক গনহত্যা দিবসে পরিণত করা গেলে পৃথিবী ধ্বংস পয্যন্ত মানব জাতি জানবে বিশ্বের বৃহত্তম একরাতের হত্যাযজ্ঞ হয়েছিল বাঙ্গালী জাতির উপর।প্রজম্ম থেকে প্রজম্ম চলে যাবে ইতিহাস থেকে যাবে অক্ষত, অমলিন। বর্তমানে ৯ই ডিসেম্বরকে জাতি সংঘ আন্তজাতিক গনহত্যার প্রতিকি দিবস পালন করে।ঐদিনে বিশ্বের কোথাও গনহত্যা হয়নি।যদিও জাতিসংঘের উক্ত ঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা খুব সহজকাজ হবে না--তথাপি আশা করা যায়, জাতির জনকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় হয়তো বা তাও সহজ হতে পারে।সেদিনের অপেক্ষায় থাকা ছাড়া গত্যান্তর নেই।

      আর একটি বিনীত দাবী জানাতে চাই---যাহা ইতিমধ্যে গনদাবীতে পরিণত হচ্ছে বলে অনুমেয়। জাতির জনকের কন্যা জীবিতাবস্থায় "জয়বাংলা  জয়বঙ্গবন্ধু" শ্লোগানটিকে জাতীয় শ্লোগানের মায্যদায় অভিষিক্ত করার লক্ষে মহান সংসদে আইনপাশ এবং সংবিধানে যথাযথ সম্মানের সাথে সংযোজন করার দাবী জানাই। রক্তের সাগরে জম্মনেয়া, বাংলার মীরজাপরের মুখে প্রথম উচ্চারীত, বাঙ্গালী জাতির সঙ্গে চরম বেঈমানীর প্রতিক "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ" শ্লোগানটিকে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ গ্রহন করা একান্ত প্রয়োজন।যদিও শ্লোগানটি বাংলাদেশের গুনগান সমৃদ্ধ তথাপি খুনীর গর্ভে জম্ম নেয়ায় অপবিত্র শব্দের ভাণ্ডারে উক্ত শ্লোগান ইতিমধ্যে যুক্ত হয়ে গেছে।বাংলাদেশ, বাঙ্গালী জাতির উন্নতি, সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস,ঐতিহ্য সুরক্ষা টেকসই করার নিমিত্তে অপবিত্র শ্লোগানটি নিষিদ্ধ করা সময়ের অন্যতম দাবী এবং একান্ত প্রয়োজন।
     ruhulaminmujumder27@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা