অশুভ শক্তির প্রস্তুতি ছিল চূড়ান্ত-----প্রয়োজনীয় মহুর্তে তাঁদের রক্ষক প্রেতাত্বা মাঠে নেই।
  (রুহুল আমিন মজুমদার)

       একের পর এক জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। অথছ বিগত ছয়মাস পয্যন্ত কোথাও কোন জঙ্গি আস্তানার খোঁজ মেলেনি।উল্লেখিত মাসগুলীতে দেশ নিরিবিলিই ছিল। বিএনপির নেতৃত্বে ২০দল নির্বাচন কমিশন পুর্ণগঠনের ইস্যুতে আন্দোলনে নামার প্রচুর সম্ভাবনা ছিল।প্রকাশ্য অ-প্রকাশ্য ভাবে সেই প্রস্তুতিও  তাঁদের ছিল।বর্তমান সরকারের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার আদৌ কোন ইচ্ছা ছিলনা বিধায় সংবিধানের বাহিরে যাওয়ার চিন্তা থেকে বিরত থাকে। বিগত সরকার সমূহের একতরফা নির্বাচন কমিশন গঠনের পদক্ষেপ সমূহ একেবারেই অনূসরন করেনি বর্তমান সরকার।সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে উক্ত বিষয় পদক্ষেপ নেয়ার আহব্বান জানিয়ে এক্ষেত্রে সরকার প্রধান শেখ হাসিনা প্রথমেই রাজনৈতিক বিচক্ষনতার স্বাক্ষর রাখতে পেরেছেন--আমি মনে করি।

        রাষ্ট্রপতি তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগের লক্ষে নির্বাচন কমিশনে অধিভূক্ত সকল দলের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে সার্চ কমিটি গঠন করেন। উক্ত সার্চ কমিটি দেশের প্রতিতযসা বুদ্ধিজীবি, আইনজীবি, পেশাজীবিদের পরামর্শে কতিপয় ব্যাক্তিত্বসম্পন্ন নির্ভেজাল নাম সংগ্রহ করেন। সার্চ কমিটি উক্ত নাম সমূহ যাছাই-বাছাই করে গ্রহন বর্জন পুর্বক বিকল্প রেখে রাষ্ট্রপতিকে চুড়ান্ত নামের তালিকা প্রদান করেন। রাষ্ট্রপতি উক্ত তালিকা থেকে নির্বাচন কমিশনার সহ অপরাপর কমিশনারদের  চুড়ান্ত তালিকা অনুমোদন ও ঘোষনা করেন।  মহামান্য রাষ্ট্রপতির একক ক্ষমতা বহুমূখি করনের রাজনৈতিক বিচক্ষনতায় দেশবাসি সহ সকল মহল সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতির রাজনৈতিক বিচক্ষনতায় বিএনপির আন্দোলন এই যাত্রায় আলোরমূখ দেখেনি।

      এই যাত্রায় সরকারের দুরদর্শীতা এবং বিএনপির ব্যর্থতাই সম্মিলিত অশুভশক্তির প্রধান শক্তি জঙ্গিদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।তাঁদের প্রকাশ্য শক্তি হেফাজতে ইসলামও আন্দোলনে রাজপথে অবস্থান নেয়ার ইস্যু সৃষ্টি করে বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচি প্রনয়ন পুর্বক রাজপথে অবস্থান নেয়ার প্রতি তাকিয়েছিল। হেফাজতে ইসলাম হাইকোর্টের সামনে ন্যায় বিচারের প্রতিক ভাস্কায্যটি সরানোর ঠুনকো অজুহাতে রাজপথে থাকার প্রত্যয় ব্যাক্ত করে। সেইমতে তাঁরা প্রাথমিকভাবে আনুষাঙ্গিক রাজনৈতিক কায্যাদিও সমাপ্ত করে রেখেছিল। হেফাজতের অনুসারি তথাকথিত আওয়ামী ওলামা লীগও হেফাজতের দাবীর প্রতিধ্বনি অনুযায়ী (উক্ত ভাস্কায্য সরানো অবশ্যই উচিৎ জনমনে বদ্ধমূল ধারনা দেয়ার কৌশল গ্রহন করে,) তাঁদের আন্দোলনে একাত্বতা প্রকাশ করে। মহান আল্লাহ তাঁর পবিত্রগ্রন্থে শয়তানের বর্ণনা দিতে গিয়ে একাধিকবার বলেছেন--"শয়তান বহুরুপি"। কোরানের উল্লেখিত ঘোষনার যথাযথ বাস্তবায়ন দেখা যায় সবগুলি শয়তান একই মন্ত্রে উদ্দিপ্ত হয়ে চলমান উন্নয়ন অগ্রগতির বাঁধা প্রদানের নিমিত্তে ঐক্যমত্য পোষনের প্রতি দৃষ্টি দিলে।

       আল্লাহ তাঁর কোরানের অপব্যাখ্যাকারিদের দুনীয়াতেই লানতের ঘন্টা বেঁধে দেয়ার কথা বলেছেন।তাঁর যথাযথ বাস্তবায়ন দেখা গেছে তথাকথিত ওলামালীগের প্রধান হাবিবুর রহমান কাঁচপূরীর ক্ষেত্রে। তিনি গত ২৬/০৩/২০১৭ ইং তারিখে মদ্যপ অবস্থায় নীজের গাড়ীতে বিপুল পরিমান মদ,ফেন্সিডিল, সুন্দরী নারী সহ পুলিশের হাতে বন্দি হন।এতে প্রতিয়মান হয় উল্লেখিত মাওলানাগন ধর্মরক্ষার মাওলানা নন, বিদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষে পবিত্র ধর্ম ইসলামকে ব্যবহারকারি মাওলানারুপি শয়তান।

       আমি আগেও বার কয়েক বলেছি, অশুভ শক্তি যখনই দেশ, জনগন, ধর্মবিশ্বাস নিয়ে ছিনিমিনি করার চেষ্টা করেছে--তখনই তাঁরা স্বয়ংক্রিয় ভাবে অপদস্ত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। জনগন, সমাজ, পরিবার, আত্মীয়স্বজনের নিকট লজ্জিত, নাজেহালের সম্মূখ্যিন হয়েছেন এবং হচ্ছেন। সমসাময়িক ঘটনাপূঞ্জির দিকে তাকালেও আমার বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া যাবে। পাকিস্তানের উষালগ্নে জামায়াতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মওদূদীর ভ্রান্ত ধারনার বশবর্তি হয়ে অত্র ভূখন্ডের মুসলিমদের একটি অংশ পাকিস্তান সৃষ্টিতে বাঁধা প্রদান করেন। তাঁদের বাঁধা সফল না হলেও ভ্রান্ত আকীদা প্রচারের কারনে পাকিস্তানী সরকার মওদূদীর বিচারের ব্যবস্থা করেন।বিচারে তাঁর মৃত্যু দন্ড হলে সৌদি বাদশাহর বিশেষ অনুরুধে তাঁকে মৃত্যুদন্ড মওকূপ করে দেয় পাকিস্তান সরকার।

    জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান একই কাজ করে বাংলাদেশ সৃষ্টিতেও। জামায়াতে ইসলাম সাংগঠনিক ভাবে বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ে বিরুধীতা করেছিল। শুধু তাই নয়---তাঁরা স্বসস্ত্র ভাবে মুক্তিযুদ্ধাদের সংঙ্গে সম্মূখ যুদ্ধেও লিপ্ত হয়েছিল।পাকিস্তানী সেনাদের পুর্ববঙ্গে পরিচালিত গনহত্যায় প্রকাশ্য সহযোগীর ভূমিকাও পালন করে দলটি।বুদ্ধিজীবি হত্যায় তাঁদের সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ আদালতে প্রমানিত হয়েছে। পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাষনামলের শেষের দিকে অত্রাঞ্চলের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে দলটির ছাত্র শাখা "ছাত্রসংঘ" একচেটিয়া অধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্ত্যু স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরুধীতার কারনে নতুন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ সরকার দলটিকে নিষিদ্ধ করেন এবং তাঁদের সৃষ্ট রাজাকার, আলবদর বাহিনীর সদস্যদের বিচারের সম্মুখ্যিন করেন। উক্ত বিচারে অনেকের সাজা হয়ে জেলখানায় ছিল। কেউ কেউ বিদেশে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল।অনেকেই বিচারের রায়ের অপেক্ষায় জেলখানায় থাকাকালিন সময়ে জাতির জনককে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রে ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ এ নির্মভাবে হত্যা করা হয়। নতুন সামরিক সরকার সাজাপ্রাপ্তদের জেলমূক্তি দেয় চলমান মামলা প্রত্যাহার করে ট্রাইবুনাল বাতিল করে দেয়।মুক্তিযুদ্ধে নয়মাস মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মরণপন যুদ্ধকরেও দলটি নতুন বাংলাদেশে অস্তিত্ব বিলীনের পথেই ছিল। ১৯৭৫ইং এর পর তাঁরা সামরিক সরকার গুলির পৃষ্টপোষকতায় আবারও ইসলাম ধর্মকে বিকৃতভাবে উপস্থাপনের সুযোগ পায় এবং রাজনীতির মাঠে হাজির হয়।
   
    বিগত ত্রিশবছর সকল সরকারের পৃষ্টপোষকতায় তাঁরা ফুঁলে ফেঁপে বাংলাদেশ সরকার পরিচালনায় অংশ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। চারদলীয় জোটনেত্রী তাঁদেরকে তাঁর সরকারে মন্ত্রীত্ব দিয়ে অপারাজেয় শক্তি সামর্থ্য অর্জনের স্বিকৃতি প্রদান করে। সরকারের অংশিদারিত্ব পেয়ে দলটি ধরাকে স্বরাজ্ঞান ভেবে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় নিয়ে যাওয়ার সকল আয়োজন সম্পন্ন করে।তাঁরা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে গড়ে উঠা ১৫ দলীয় জোটের লাগাতার আন্দোলনের মুখে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে ১/১১ এর উদ্ভব হয়।তাঁরাও দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রের পুতুলে পরিণত হয়ে তিনমাসের ক্ষমতাকে দুই বছর অতিক্রান্ত করে। অবশেষে জাতিরজনকের কন্যার দৃডতার নিকট পরাজিত হয়ে ২০০৮ ইং এর শেষেরদিকে সাধারন নির্বাচনের ঘোষনা দিতে বাধ্য হয়।
   
    ঘোষিত সাধারন নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট ভুমিধ্বস বিজয় অর্জন করে সরকার গঠন করেন।সরকার গঠন করে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচারের নিমিত্তে 'আন্তজাতিক মানবতাবিরুধী বিচার ট্রাইবুনাল' গঠন করেন। বিচারে ইসলামের ভ্রান্ত ধারনার পোষনকারি,  ধর্মভিত্তিক দল জামায়াতের শীর্ষ নেতারা দন্ডিত হয়ে দলটি অস্তিত্ব বিপন্নের পথে দ্রুত দাবিত হতে থাকে। বর্তমানেও উক্ত ট্রাইবুনালের বিচার কায্য অব্যাহত রয়েছে, মানবতা বিরুধী অপরাধ সংগঠনকারি ব্যাক্তিদের খোঁজে তদন্তদল তাঁদের কায্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। ইতিমধ্যে দলটি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন হারিয়েছে, সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করার দাবীও ধীরে ধীরে জোরালো হচ্ছে।
   
     দলটির অসংখ্য নেতাকর্মী রাজনীতির মাঠ হারিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের দিকে ঝুকে পড়ে।তাঁরা বিভিন্নভাবে দেশের অভ্যন্তরে নাশকতা হত্যা, রাহাজানী সৃষ্টি করে চলমান মানবতা বিরুধী বিচার বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।বর্তমানে তাঁদের রক্ষায় মাঠপয্যায়ে শক্তিশালী দুটি দল তৎপর রয়েছে। সাম্রাজ্যবাদি শক্তি অত্রাঞ্চলে তাঁদের প্রভুত্ব হারানোর প্রাক্কালে ১৯৭১ ইং সালে ইসলামের ভ্রান্ত মতবাদে বিশ্বাসি একদল ইজরাইলের ইহুদী মতাদর্শ অনুসারি সৃষ্টির লক্ষে পটিয়ার জঙ্গলে একটি মাদ্রাসা সৃষ্টি করে।তাঁদের সৃষ্ট মাদ্রাসা দ্রুত বাংলাদেশের সর্বত্র তাঁদের ব্যাপক অনুসারি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়।এই শ্রেনীর অনুসারিগন উপরে ধর্মীয় গুনাবলি সমৃদ্ধ হলেও ধারনাগত ভাবে নবী ও রাসুল বিদ্বেসী। জাতির জনকের রক্তের স্রোতধারায় সৃষ্ট মেজর জিয়ার বিএনপির পাশাপাশি ইহুদি মতবাদে বিশ্বাসী পটিয়ায় সৃষ্ট মাওলানারাও জামায়াতি ধ্যান ধারানা প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিয়ন্তর কাজ করে যাচ্ছে।
   
    বিএনপি ও হেফাজতের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ইন্দনে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবির নিষিদ্ধ জঙ্গিদলে অনুপ্রবেশ করে দেশব্যাপি হত্যা, গুম, নাশকতা সৃষ্টির মাধ্যমে আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে তৃতীয় শক্তিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। উক্ত চক্রান্তের ধারাবাহিকতায় ২০১৩--২০১৭ ইং এর অদ্য পয্যন্ত সম্মিলীত অশুভ শক্তির প্রকাশ্য জোট এবং অপ্রকাশ্য নিষিদ্ধ শক্তি অলিখিত চুক্তির আওতায় বারংবার তাঁদের হিংস্র থাবা বিস্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
   
     বিগতদিনে বিএনপির আন্দোলনে ব্যার্থতা ছিলনা, যথারীতি আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে হাজির ছিল।প্রাথমিক পয্যায়  জঙ্গিদের কৌশলে ব্যর্থতা ছিল। জঙ্গীরা জড়ো হয়েছিল রাজধানী  ঢাকা কেন্দ্রিক। দেশের বিস্তিন্ন অঞ্চল আইনশৃংখলা স্বাভাবিক রাখার সরকারকে সুযোগ দিয়ে রাজধানীতে সকল শক্তি জড়ো করেছিল।তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল রাজধানীর পতন অনিবায্য হলে তাঁর প্রভাব সারা দেশব্যাপি প্রতিফলিত হবে, বিদেশী শক্তির দৃষ্টিও সহজে আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে।তাঁদের রণ কৌশলে যে ভুল ছিল তাঁর প্রমান পেতে বেশী সময় লাগেনি।চুড়ান্ত পয্যায় সরকার তাঁদের নাশকতা, আগুনবোমা, হত্যা, লুটপাট, পবিত্র কোরানে আগুন দেয়াকে পুঁজি করে রাষ্ট্রশক্তি প্রয়োগ করার সুযোগ পায়, এবং সরকার  সেই সুযোগ হাতছাড়া করেনি।

    এবার সম্মিলীত অশুভশক্তির প্রেতাত্বা বিএনপির নেতৃত্বে বিশদলীয় জোটের আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্র প্রস্তুতের আগে সরকার কৌশলি ভুমিকা গ্রহন করে। নির্বাচন কমিশন সংস্কার ও নির্বাচনকালিন নিরপেক্ষ সরকারের মোক্ষম দুটি আন্দোলনের অস্ত্র তাঁদের হাতে আসে। দুই যুৎসই ইস্যুকে সামনে রেখে মাঠে নামার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল সম্মিলিত জোট।  তাঁদের ধারনা ছিল নির্বাচন কমিশন সংস্কারে আওয়ামী লীগ সরকার তাঁদের ২০০৬ইং সালের অনুরুপ ক্ষমতা কুক্ষিগত করার নিমিত্তে অবশ্যই প্রভাব বিস্তার করবে। এক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সরকার সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সংস্কার ও নিয়োগ সহ অপরাপর কায্যাদি সম্পাদনে রাষ্ট্রপতির উপর নির্ভরশীল হয়ে প্রথম অস্ত্রটি সম্পূর্ণ ভোঁতা করে দিতে সক্ষম হয়।সরকার নির্বাচন কমিশন সংস্কারে হস্তক্ষেপ থেকে সম্পুর্ণ বিরত রইলই উপরিন্তু রাষ্ট্রপতির নিকট নির্বাচনী আইন প্রনয়নের দাবী করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সদিচ্ছা প্রকাশে বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্র সমূহের আস্থা, বিশ্বাস অর্জন করতেও সক্ষম হয়।
   
    এইক্ষেত্রে হেফাজত মাঠ প্রস্তুতিতে ব্যাস্ত, তাঁদের দোষর নব্য জামায়াতি জঙ্গিগোষ্টি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাঁদের নাশকতার সামগ্রি নিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঘাঁটি বানিয়ে ওৎপেতে বসে থাকে। প্রেতাত্বার প্রস্তুতির আগে অশুভশক্তি তাঁদের সকল সামর্থ ঢেলে প্রস্তুত থাকাবস্থায় মাঠপয্যায়ে আন্দোলনের কর্মসূচির অভাবে এযাত্রাও কায্যকর করা সম্ভব হয়নি। জনগনের মাঝে ইতিমধ্যে জঙ্গিবিরুধী মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনী একে একে সবগুলি আস্তানা তাঁদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসতে থাকে। এই নিবন্ধ রচনাকালিন মৌলভি বাজারের দুটি আস্তানা আইনশৃংখলা বাহিনী গুড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে এবং সেখানে কমপক্ষে আট জঙ্গি নিহত হওয়ার খবর দেশব্যাপি ছড়িয়ে পড়েছে।কুমিল্লার একটি জঙ্গি আস্তানা পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছে, সিটি নির্বাচনের পর সেখানে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইন শৃংখলা বাহিনী।
   
    উল্লেখ্য এবারকার জঙ্গি আস্তানায় বিশেষ বৈশিষ্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে---প্রত্যেক আস্তানা বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বা পরে এক বা একাধিক মহিলা জঙ্গি, বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদের ব্যাবহার এবং মজুদ পরিলক্ষিত হচ্ছে। আইনশৃংখলা বাহিনী, এবং সাধারন নাগরিক হত্যাকান্ড সহ বিবিধ ক্ষেত্রে বাড়তি অনুষঙ্গ যুক্ত ছিল।এতে অনুধাবন করা যায় তাঁদের চেষ্টা ছিল চুড়ান্ত--হয় সরকার উৎখাত, শেখ হাসিনা পরিবারের জীবনহানী অথবা তাঁদের জীবন বিসর্জন দেয়া। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলা"মিন শেষক্তোটি কবুল করেছেন। বাংলাদেশের জনগনের ভাগ্য পরিবর্তনের উসিলা করে শেখ হাসিনাকে মহান আল্লাহ জীবিত রেখেছেন। আল্লাহর দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া।
   
    

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন