অশুভ শক্তির প্রস্তুতি ছিল চূড়ান্ত-----প্রয়োজনীয় মহুর্তে তাঁদের রক্ষক প্রেতাত্বা মাঠে নেই।
  (রুহুল আমিন মজুমদার)

       একের পর এক জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। অথছ বিগত ছয়মাস পয্যন্ত কোথাও কোন জঙ্গি আস্তানার খোঁজ মেলেনি।উল্লেখিত মাসগুলীতে দেশ নিরিবিলিই ছিল। বিএনপির নেতৃত্বে ২০দল নির্বাচন কমিশন পুর্ণগঠনের ইস্যুতে আন্দোলনে নামার প্রচুর সম্ভাবনা ছিল।প্রকাশ্য অ-প্রকাশ্য ভাবে সেই প্রস্তুতিও  তাঁদের ছিল।বর্তমান সরকারের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার আদৌ কোন ইচ্ছা ছিলনা বিধায় সংবিধানের বাহিরে যাওয়ার চিন্তা থেকে বিরত থাকে। বিগত সরকার সমূহের একতরফা নির্বাচন কমিশন গঠনের পদক্ষেপ সমূহ একেবারেই অনূসরন করেনি বর্তমান সরকার।সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে উক্ত বিষয় পদক্ষেপ নেয়ার আহব্বান জানিয়ে এক্ষেত্রে সরকার প্রধান শেখ হাসিনা প্রথমেই রাজনৈতিক বিচক্ষনতার স্বাক্ষর রাখতে পেরেছেন--আমি মনে করি।

        রাষ্ট্রপতি তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগের লক্ষে নির্বাচন কমিশনে অধিভূক্ত সকল দলের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে সার্চ কমিটি গঠন করেন। উক্ত সার্চ কমিটি দেশের প্রতিতযসা বুদ্ধিজীবি, আইনজীবি, পেশাজীবিদের পরামর্শে কতিপয় ব্যাক্তিত্বসম্পন্ন নির্ভেজাল নাম সংগ্রহ করেন। সার্চ কমিটি উক্ত নাম সমূহ যাছাই-বাছাই করে গ্রহন বর্জন পুর্বক বিকল্প রেখে রাষ্ট্রপতিকে চুড়ান্ত নামের তালিকা প্রদান করেন। রাষ্ট্রপতি উক্ত তালিকা থেকে নির্বাচন কমিশনার সহ অপরাপর কমিশনারদের  চুড়ান্ত তালিকা অনুমোদন ও ঘোষনা করেন।  মহামান্য রাষ্ট্রপতির একক ক্ষমতা বহুমূখি করনের রাজনৈতিক বিচক্ষনতায় দেশবাসি সহ সকল মহল সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতির রাজনৈতিক বিচক্ষনতায় বিএনপির আন্দোলন এই যাত্রায় আলোরমূখ দেখেনি।

      এই যাত্রায় সরকারের দুরদর্শীতা এবং বিএনপির ব্যর্থতাই সম্মিলিত অশুভশক্তির প্রধান শক্তি জঙ্গিদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।তাঁদের প্রকাশ্য শক্তি হেফাজতে ইসলামও আন্দোলনে রাজপথে অবস্থান নেয়ার ইস্যু সৃষ্টি করে বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচি প্রনয়ন পুর্বক রাজপথে অবস্থান নেয়ার প্রতি তাকিয়েছিল। হেফাজতে ইসলাম হাইকোর্টের সামনে ন্যায় বিচারের প্রতিক ভাস্কায্যটি সরানোর ঠুনকো অজুহাতে রাজপথে থাকার প্রত্যয় ব্যাক্ত করে। সেইমতে তাঁরা প্রাথমিকভাবে আনুষাঙ্গিক রাজনৈতিক কায্যাদিও সমাপ্ত করে রেখেছিল। হেফাজতের অনুসারি তথাকথিত আওয়ামী ওলামা লীগও হেফাজতের দাবীর প্রতিধ্বনি অনুযায়ী (উক্ত ভাস্কায্য সরানো অবশ্যই উচিৎ জনমনে বদ্ধমূল ধারনা দেয়ার কৌশল গ্রহন করে,) তাঁদের আন্দোলনে একাত্বতা প্রকাশ করে। মহান আল্লাহ তাঁর পবিত্রগ্রন্থে শয়তানের বর্ণনা দিতে গিয়ে একাধিকবার বলেছেন--"শয়তান বহুরুপি"। কোরানের উল্লেখিত ঘোষনার যথাযথ বাস্তবায়ন দেখা যায় সবগুলি শয়তান একই মন্ত্রে উদ্দিপ্ত হয়ে চলমান উন্নয়ন অগ্রগতির বাঁধা প্রদানের নিমিত্তে ঐক্যমত্য পোষনের প্রতি দৃষ্টি দিলে।

       আল্লাহ তাঁর কোরানের অপব্যাখ্যাকারিদের দুনীয়াতেই লানতের ঘন্টা বেঁধে দেয়ার কথা বলেছেন।তাঁর যথাযথ বাস্তবায়ন দেখা গেছে তথাকথিত ওলামালীগের প্রধান হাবিবুর রহমান কাঁচপূরীর ক্ষেত্রে। তিনি গত ২৬/০৩/২০১৭ ইং তারিখে মদ্যপ অবস্থায় নীজের গাড়ীতে বিপুল পরিমান মদ,ফেন্সিডিল, সুন্দরী নারী সহ পুলিশের হাতে বন্দি হন।এতে প্রতিয়মান হয় উল্লেখিত মাওলানাগন ধর্মরক্ষার মাওলানা নন, বিদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষে পবিত্র ধর্ম ইসলামকে ব্যবহারকারি মাওলানারুপি শয়তান।

       আমি আগেও বার কয়েক বলেছি, অশুভ শক্তি যখনই দেশ, জনগন, ধর্মবিশ্বাস নিয়ে ছিনিমিনি করার চেষ্টা করেছে--তখনই তাঁরা স্বয়ংক্রিয় ভাবে অপদস্ত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। জনগন, সমাজ, পরিবার, আত্মীয়স্বজনের নিকট লজ্জিত, নাজেহালের সম্মূখ্যিন হয়েছেন এবং হচ্ছেন। সমসাময়িক ঘটনাপূঞ্জির দিকে তাকালেও আমার বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া যাবে। পাকিস্তানের উষালগ্নে জামায়াতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মওদূদীর ভ্রান্ত ধারনার বশবর্তি হয়ে অত্র ভূখন্ডের মুসলিমদের একটি অংশ পাকিস্তান সৃষ্টিতে বাঁধা প্রদান করেন। তাঁদের বাঁধা সফল না হলেও ভ্রান্ত আকীদা প্রচারের কারনে পাকিস্তানী সরকার মওদূদীর বিচারের ব্যবস্থা করেন।বিচারে তাঁর মৃত্যু দন্ড হলে সৌদি বাদশাহর বিশেষ অনুরুধে তাঁকে মৃত্যুদন্ড মওকূপ করে দেয় পাকিস্তান সরকার।

    জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান একই কাজ করে বাংলাদেশ সৃষ্টিতেও। জামায়াতে ইসলাম সাংগঠনিক ভাবে বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ে বিরুধীতা করেছিল। শুধু তাই নয়---তাঁরা স্বসস্ত্র ভাবে মুক্তিযুদ্ধাদের সংঙ্গে সম্মূখ যুদ্ধেও লিপ্ত হয়েছিল।পাকিস্তানী সেনাদের পুর্ববঙ্গে পরিচালিত গনহত্যায় প্রকাশ্য সহযোগীর ভূমিকাও পালন করে দলটি।বুদ্ধিজীবি হত্যায় তাঁদের সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ আদালতে প্রমানিত হয়েছে। পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাষনামলের শেষের দিকে অত্রাঞ্চলের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে দলটির ছাত্র শাখা "ছাত্রসংঘ" একচেটিয়া অধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্ত্যু স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরুধীতার কারনে নতুন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ সরকার দলটিকে নিষিদ্ধ করেন এবং তাঁদের সৃষ্ট রাজাকার, আলবদর বাহিনীর সদস্যদের বিচারের সম্মুখ্যিন করেন। উক্ত বিচারে অনেকের সাজা হয়ে জেলখানায় ছিল। কেউ কেউ বিদেশে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল।অনেকেই বিচারের রায়ের অপেক্ষায় জেলখানায় থাকাকালিন সময়ে জাতির জনককে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রে ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ এ নির্মভাবে হত্যা করা হয়। নতুন সামরিক সরকার সাজাপ্রাপ্তদের জেলমূক্তি দেয় চলমান মামলা প্রত্যাহার করে ট্রাইবুনাল বাতিল করে দেয়।মুক্তিযুদ্ধে নয়মাস মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মরণপন যুদ্ধকরেও দলটি নতুন বাংলাদেশে অস্তিত্ব বিলীনের পথেই ছিল। ১৯৭৫ইং এর পর তাঁরা সামরিক সরকার গুলির পৃষ্টপোষকতায় আবারও ইসলাম ধর্মকে বিকৃতভাবে উপস্থাপনের সুযোগ পায় এবং রাজনীতির মাঠে হাজির হয়।
   
    বিগত ত্রিশবছর সকল সরকারের পৃষ্টপোষকতায় তাঁরা ফুঁলে ফেঁপে বাংলাদেশ সরকার পরিচালনায় অংশ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। চারদলীয় জোটনেত্রী তাঁদেরকে তাঁর সরকারে মন্ত্রীত্ব দিয়ে অপারাজেয় শক্তি সামর্থ্য অর্জনের স্বিকৃতি প্রদান করে। সরকারের অংশিদারিত্ব পেয়ে দলটি ধরাকে স্বরাজ্ঞান ভেবে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় নিয়ে যাওয়ার সকল আয়োজন সম্পন্ন করে।তাঁরা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে গড়ে উঠা ১৫ দলীয় জোটের লাগাতার আন্দোলনের মুখে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে ১/১১ এর উদ্ভব হয়।তাঁরাও দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রের পুতুলে পরিণত হয়ে তিনমাসের ক্ষমতাকে দুই বছর অতিক্রান্ত করে। অবশেষে জাতিরজনকের কন্যার দৃডতার নিকট পরাজিত হয়ে ২০০৮ ইং এর শেষেরদিকে সাধারন নির্বাচনের ঘোষনা দিতে বাধ্য হয়।
   
    ঘোষিত সাধারন নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট ভুমিধ্বস বিজয় অর্জন করে সরকার গঠন করেন।সরকার গঠন করে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচারের নিমিত্তে 'আন্তজাতিক মানবতাবিরুধী বিচার ট্রাইবুনাল' গঠন করেন। বিচারে ইসলামের ভ্রান্ত ধারনার পোষনকারি,  ধর্মভিত্তিক দল জামায়াতের শীর্ষ নেতারা দন্ডিত হয়ে দলটি অস্তিত্ব বিপন্নের পথে দ্রুত দাবিত হতে থাকে। বর্তমানেও উক্ত ট্রাইবুনালের বিচার কায্য অব্যাহত রয়েছে, মানবতা বিরুধী অপরাধ সংগঠনকারি ব্যাক্তিদের খোঁজে তদন্তদল তাঁদের কায্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। ইতিমধ্যে দলটি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন হারিয়েছে, সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করার দাবীও ধীরে ধীরে জোরালো হচ্ছে।
   
     দলটির অসংখ্য নেতাকর্মী রাজনীতির মাঠ হারিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের দিকে ঝুকে পড়ে।তাঁরা বিভিন্নভাবে দেশের অভ্যন্তরে নাশকতা হত্যা, রাহাজানী সৃষ্টি করে চলমান মানবতা বিরুধী বিচার বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।বর্তমানে তাঁদের রক্ষায় মাঠপয্যায়ে শক্তিশালী দুটি দল তৎপর রয়েছে। সাম্রাজ্যবাদি শক্তি অত্রাঞ্চলে তাঁদের প্রভুত্ব হারানোর প্রাক্কালে ১৯৭১ ইং সালে ইসলামের ভ্রান্ত মতবাদে বিশ্বাসি একদল ইজরাইলের ইহুদী মতাদর্শ অনুসারি সৃষ্টির লক্ষে পটিয়ার জঙ্গলে একটি মাদ্রাসা সৃষ্টি করে।তাঁদের সৃষ্ট মাদ্রাসা দ্রুত বাংলাদেশের সর্বত্র তাঁদের ব্যাপক অনুসারি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়।এই শ্রেনীর অনুসারিগন উপরে ধর্মীয় গুনাবলি সমৃদ্ধ হলেও ধারনাগত ভাবে নবী ও রাসুল বিদ্বেসী। জাতির জনকের রক্তের স্রোতধারায় সৃষ্ট মেজর জিয়ার বিএনপির পাশাপাশি ইহুদি মতবাদে বিশ্বাসী পটিয়ায় সৃষ্ট মাওলানারাও জামায়াতি ধ্যান ধারানা প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিয়ন্তর কাজ করে যাচ্ছে।
   
    বিএনপি ও হেফাজতের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ইন্দনে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবির নিষিদ্ধ জঙ্গিদলে অনুপ্রবেশ করে দেশব্যাপি হত্যা, গুম, নাশকতা সৃষ্টির মাধ্যমে আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে তৃতীয় শক্তিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। উক্ত চক্রান্তের ধারাবাহিকতায় ২০১৩--২০১৭ ইং এর অদ্য পয্যন্ত সম্মিলীত অশুভ শক্তির প্রকাশ্য জোট এবং অপ্রকাশ্য নিষিদ্ধ শক্তি অলিখিত চুক্তির আওতায় বারংবার তাঁদের হিংস্র থাবা বিস্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
   
     বিগতদিনে বিএনপির আন্দোলনে ব্যার্থতা ছিলনা, যথারীতি আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে হাজির ছিল।প্রাথমিক পয্যায়  জঙ্গিদের কৌশলে ব্যর্থতা ছিল। জঙ্গীরা জড়ো হয়েছিল রাজধানী  ঢাকা কেন্দ্রিক। দেশের বিস্তিন্ন অঞ্চল আইনশৃংখলা স্বাভাবিক রাখার সরকারকে সুযোগ দিয়ে রাজধানীতে সকল শক্তি জড়ো করেছিল।তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল রাজধানীর পতন অনিবায্য হলে তাঁর প্রভাব সারা দেশব্যাপি প্রতিফলিত হবে, বিদেশী শক্তির দৃষ্টিও সহজে আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে।তাঁদের রণ কৌশলে যে ভুল ছিল তাঁর প্রমান পেতে বেশী সময় লাগেনি।চুড়ান্ত পয্যায় সরকার তাঁদের নাশকতা, আগুনবোমা, হত্যা, লুটপাট, পবিত্র কোরানে আগুন দেয়াকে পুঁজি করে রাষ্ট্রশক্তি প্রয়োগ করার সুযোগ পায়, এবং সরকার  সেই সুযোগ হাতছাড়া করেনি।

    এবার সম্মিলীত অশুভশক্তির প্রেতাত্বা বিএনপির নেতৃত্বে বিশদলীয় জোটের আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্র প্রস্তুতের আগে সরকার কৌশলি ভুমিকা গ্রহন করে। নির্বাচন কমিশন সংস্কার ও নির্বাচনকালিন নিরপেক্ষ সরকারের মোক্ষম দুটি আন্দোলনের অস্ত্র তাঁদের হাতে আসে। দুই যুৎসই ইস্যুকে সামনে রেখে মাঠে নামার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল সম্মিলিত জোট।  তাঁদের ধারনা ছিল নির্বাচন কমিশন সংস্কারে আওয়ামী লীগ সরকার তাঁদের ২০০৬ইং সালের অনুরুপ ক্ষমতা কুক্ষিগত করার নিমিত্তে অবশ্যই প্রভাব বিস্তার করবে। এক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সরকার সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সংস্কার ও নিয়োগ সহ অপরাপর কায্যাদি সম্পাদনে রাষ্ট্রপতির উপর নির্ভরশীল হয়ে প্রথম অস্ত্রটি সম্পূর্ণ ভোঁতা করে দিতে সক্ষম হয়।সরকার নির্বাচন কমিশন সংস্কারে হস্তক্ষেপ থেকে সম্পুর্ণ বিরত রইলই উপরিন্তু রাষ্ট্রপতির নিকট নির্বাচনী আইন প্রনয়নের দাবী করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সদিচ্ছা প্রকাশে বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্র সমূহের আস্থা, বিশ্বাস অর্জন করতেও সক্ষম হয়।
   
    এইক্ষেত্রে হেফাজত মাঠ প্রস্তুতিতে ব্যাস্ত, তাঁদের দোষর নব্য জামায়াতি জঙ্গিগোষ্টি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাঁদের নাশকতার সামগ্রি নিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঘাঁটি বানিয়ে ওৎপেতে বসে থাকে। প্রেতাত্বার প্রস্তুতির আগে অশুভশক্তি তাঁদের সকল সামর্থ ঢেলে প্রস্তুত থাকাবস্থায় মাঠপয্যায়ে আন্দোলনের কর্মসূচির অভাবে এযাত্রাও কায্যকর করা সম্ভব হয়নি। জনগনের মাঝে ইতিমধ্যে জঙ্গিবিরুধী মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনী একে একে সবগুলি আস্তানা তাঁদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসতে থাকে। এই নিবন্ধ রচনাকালিন মৌলভি বাজারের দুটি আস্তানা আইনশৃংখলা বাহিনী গুড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে এবং সেখানে কমপক্ষে আট জঙ্গি নিহত হওয়ার খবর দেশব্যাপি ছড়িয়ে পড়েছে।কুমিল্লার একটি জঙ্গি আস্তানা পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছে, সিটি নির্বাচনের পর সেখানে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইন শৃংখলা বাহিনী।
   
    উল্লেখ্য এবারকার জঙ্গি আস্তানায় বিশেষ বৈশিষ্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে---প্রত্যেক আস্তানা বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বা পরে এক বা একাধিক মহিলা জঙ্গি, বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদের ব্যাবহার এবং মজুদ পরিলক্ষিত হচ্ছে। আইনশৃংখলা বাহিনী, এবং সাধারন নাগরিক হত্যাকান্ড সহ বিবিধ ক্ষেত্রে বাড়তি অনুষঙ্গ যুক্ত ছিল।এতে অনুধাবন করা যায় তাঁদের চেষ্টা ছিল চুড়ান্ত--হয় সরকার উৎখাত, শেখ হাসিনা পরিবারের জীবনহানী অথবা তাঁদের জীবন বিসর্জন দেয়া। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলা"মিন শেষক্তোটি কবুল করেছেন। বাংলাদেশের জনগনের ভাগ্য পরিবর্তনের উসিলা করে শেখ হাসিনাকে মহান আল্লাহ জীবিত রেখেছেন। আল্লাহর দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া।
   
    

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা