'পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আই, এস' এর মুদ্রিত মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত তথ্য সম্বলিত বই---বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তিযুদ্ধ বিরুধী বক্তব্য সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।
  (রুহুল আমিন মজুমদার)

     ২০১৫ ইং সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিয়ে আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে চেয়েছিল।তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল পরিস্কার----দুর্নীতির মামলা থেকে জিয়া পরিবারকে রক্ষা, যুদ্ধপরাধের বিচার বানচাল।উক্ত দাবি আদায়ে নৈতিক শক্তির ভিত্তি হতে পারতো----আমাদের অরাজকতার কারনে যেহেতু তোমরা ক্ষমতা পেয়েছ, সেহেতু আমাদের সকল দুর্নীতি সন্ত্রাস, অরাজকতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কতৃক আনীত মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অনেকেই মনে করেন খালেদা জিয়ার উক্ত মতলব হাসিল না হওয়ার কারনে---মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের শহিদ, স্বাধীনতার ঘোষক ইত্যাদি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে যাচ্ছেন। রাজনীতির মাঠে নিয়মিত হাজির আছেন জানান দিয়ে নেতাকর্মী, দেশবাসি ও বহি:বিশ্বকে আশ্বস্ত রাখার জন্যই বোধ হয়, জাতীয় দলের জাতীয় নেত্রী হয়েও, প্রতিনিয়ত এমন বালখিল্য মন্তব্য করে যাচ্ছেন।

      ঘটনা কিন্তু আদৌ তা নয়---খালেদা জিয়ার ঐসমস্ত মন্তব্য তাঁদের দলের আদর্শিক মন্তব্য, উৎসস্থলের মন্তব্য, তাঁদের জম্মদাতার মনের গহিনে লুকায়িত গোপন অভিসন্ধির আগাম বহি:প্রকাশ ছিল মাত্র।আমি আগেও বার কয়েক বলতে চেষ্টা করেছি বিএনপি দলের সৃষ্ট্রির উৎস বৃত্তের বাহিরে এসে বাঙ্গালী জাতি, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধিনতাকে মেনে রাজনীতি করার মানষিকতা এখনও গড়ে উঠেনি। বঙ্গবন্ধুর রক্ত স্রোত পান করে যে কালবাঘ রাতারাতি হৃষ্টপুষ্ট হয়েছিল, সেই কালবাঘের বল কি এত তাড়াতাড়ি নি:শেষ হতে পারে?

       একাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দীর্ঘ ৪৬ বছরে ২৫ মার্চ কালরাত স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি, স্মরণসভা কিংবা আলোচনা সভার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের কোন আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ছিল না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর আগেও দুইবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের জনগনের দাবির পক্ষে স্বত:স্ফুর্ত আন্দোলনও ছিল।তথাপি ২৫ মার্চ সহ মুক্তিযূদ্ধের বিশেষ কিছু দিন ও শ্লোগান সংবিধানভুক্ত, স্মরনীয়, পালনীয় করে রাখার উদ্যোগ গ্রহন করেনি।

      দীর্ঘদিন পর হলেও এই সরকারী স্বীকৃতির পথ খুলে দিয়েছে আর কেউ নয়, খোদ একাত্তরে পরাজিত শক্তি দেশ পাকিস্তান। সম্প্রতি একাত্তরের এ গণহত্যার দায় এড়িয়ে উল্টো মুক্তিবাহিনীর ওপর দায় চাপিয়ে পাকিস্তানের সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় মিথ্যা তথ্য সংবলিত একটি বই ছাপিয়ে তা বিভিন্ন দেশে প্রচার করতে থাকে পাকিস্তান। সম্প্রতি মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম কেড়ে নেয়ার অমোঘ সত্যটি অস্বীকার করে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার আইএসআইর তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত ওই বইটি সরকারের নজরে আসলে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।

    প্রিয় পাঠক, বাংলাদেশ সরকারের নজরে আসে বইটি বাংলাদেশে অবস্থিত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত অফিসে আসার পর।তাঁর আগে বিভিন্ন দেশে তাঁদের রাষ্ট্রদূত  অফিসের মাধ্যমে আন্তজাতিক পয্যায় বইটি ছড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান।তাঁরা যখন বইটি ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহন করে তখনই খালেদা জিয়া বাংলাদেশে বইটি প্রচারের আগাম মাঠ প্রস্তুতির বক্তব্য উত্থাপন করেছে মাত্র।বইয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই তিনি বক্তব্যগুলী রাজনীতির মাঠে ছেড়ে দিয়েছিলেন।অথবা খালেদা জিয়ার নিকট আগাম কপি পাঠিয়ে ক্ষেত্র প্রস্তুতের নির্দেশনা দিয়েছিল আই এস।

       আই এসের নির্দেশীত পথেই স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বাস করে, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষ করার সাহষ দেখায়। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে শাষন করার জন্যে রাজনীতি করে আবার মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা, দিন, নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ার সাহষ করে। এই সমস্ত সব কিছুই সম্ভব হয়েছে এবং হচ্ছে একমাত্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর কন্যা বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতার কারনে।

   বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদানের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।এই দাবি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের নিকট ছড়িয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের এই বিকৃত বই ছাপানোর বিষয়টি সংসদের নজরে আনেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টান্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সংসদ অধিবেশনে দাঁড়িয়ে তিনি এ বিষয়টি উত্থাপন করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের প্রতি নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে ২৫ মার্চকে জাতীয়ভাবে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবেও দিবসটির স্বীকৃতি আদায়ে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর ঘোষণা দেন।

  প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানী শাষক, সেনাবাহীনি এবং তাঁদের এদেশীয় দোষরদের একই অপরাধে অপরাধী বলে চিহ্নিত করেছেন।আমি মনে করি বাংলাদেশে গনহত্যার পিছনে পাকিস্তানী সেনাদের চাইতে হাজার গুনে বেশী দুষে দুষ্ট এদেশীয় তাঁদের প্রেতাত্বারা।কারন পাকিস্তানীরা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানুষ হত্যা করেছে এদেশ দাবিয়ে রেখে তাঁদের শোষন অব্যাহত রাখার স্বার্থে। তাঁরা পারেনি, পরাজিত হয়ে এদেশ ত্যাগ করেছে। এখন তাঁরা আন্তজাতিক পয্যায় কূটনৈতিক ভাবে তাঁদের প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করতে পারবে বা করে।কিন্তু এদেশীয় দোষরেরা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের সরলপ্রান বাঙ্গালীদের বিভ্রান্ত করে তাঁদের তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকার সুযোগ রয়েছে।যেহেতু তাঁরা এদেশের অধিবাসি, এই সমাজে বসবাস করে, এই দেশের আলোবাতাসে তাঁরা নি:শ্বাস গ্রহন করে। আমরা স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও তাঁদের ষড়যন্ত্র করার পথ রুদ্ধ করতে পারেনি।

    মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নেতৃত্বদানকারি দল পরপর দুইবার ক্ষমতায় আসার পরেও বুঝতে পারেনি মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ দিন, বিশেষ কিছু ঘটনা, বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ভাষন, মুক্তিযুদ্ধের উদ্দিপক শ্লোগানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির প্রয়োজন আছে। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নাথাকার কারনে দীর্ঘ বছর পাকিস্তানী প্রেতাত্বাদের উক্ত বিশেষ দিনগুলীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপনের সুযোগ ছিল। তাঁরা যথাযথভাবে সুযোগ কাজে লাগিয়েছে মাত্র। 'জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'র স্থলে ১৫ ই আগষ্ট ব্জাতির জনকের তাজা রক্তের উপর দাঁড়িয়ে 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ' শ্লোগান প্রতিস্থাপন করতে পেরেছিল।, 'বাংলাদেশ বেতার'কে রেডিও বাংলাদেশ ১৫ই আগষ্ট সকালে প্রথম ঘোষনাতেই বানাতে পেরেছিল। পাকিস্তান জিন্দাবাদের স্থলে শুধু বাংলাদেশ জিন্দাবাদ এবং রেডিও পাকিস্তানের স্থলে শুধু "রেডিও বাংলাদেশ" নয়।পরবরর্তীতে, সংবিধানেরও আমূল পরিবর্তন করে পাকিস্তানি ধারায় এদেশকে নিয়ে যেতে অনেকাংশে সফল হয়েছিল।
     ২০০৯ ইং সালে ভূমিধ্বস জয় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতির জনকের কন্যার নেতৃত্বে ক্ষমতায় ফিরে এলে তৎপরবর্তি স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ইতিহাসখ্যাত  "রাষ্ট্র বনাম মাজদার হোসেন" মামলায় ঐতিহাসিক রায় প্রদান করে সুপ্রিম কোর্ট।উক্ত রায় দিতে গিয়ে প্রাসঙ্গিকভাবে অতীতের দুই "সেনাশাষকের শাষনকাল" সহ তাঁদের সকল "সংবিধান সংশোধন'' অবৈধ ঘোষনা করে এক ঐতিহাসিক রায় প্রদান করেন। সাথে সাথে উচ্চ আদালত সরকারকে কায্যকর পদক্ষেপ নিয়ে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন পুর্বক মুল সংবিধানে ফিরে যাওয়ার পয্যবেক্ষন ও সংযোজন করে।

শেখ হাসিনার সরকার বর্তমান বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোন বিবেচনায় আদালতের সম্পুর্ণ রায় বাস্তবায়ন না করে সংসদের মাধ্যমে কিছু সংশোধনী এনে উক্ত রায় কায্যকর করেন।সরকার মোক্ষম সুযোগ পেয়েও সর্বদিক বিবেচনা করে আদালতের রায় গ্রহন বর্জনের মাধ্যমে দেশের আপামর জনগনের মনের ভাষারই মায্যদা প্রদান করেছিল, আমি মনে করি।

     বানর না মানে মনিবের কিছুক্ষন আগের আদর সেবা--সুযোগ পেলেই উঠে কাঁধে, লাগিয়ে দেয় লম্বা নখের আঁছড়। "শেখ হাসিনার সরকারে"র বেলায়ও হয়েছে ঠিক তাই। সংসদে হাইকোর্টের রায় বিল অনুসারে পাশ হওয়ার অব্যাবহিত পরেই আন্দোলনের নামে তাঁরা নামে নাশকতা, অরাজকতা, সন্ত্রাস, আগুনবোমা, পবিত্র কোরানে আগুন দেয়ার ন্যাক্কারজনক সব কর্মকান্ডে। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল পরিস্কার--আইন শৃংখলা অবনতির মাধ্যমে তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় আনার ষড়যন্ত্র। উক্ত আন্দোলন স্তিমিত হতে না হতে আবার আসে মোক্ষম সুযোগ "রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম" পবিত্র সংবিধানে সংযোজন করার মানব সভ্যতার ইতিহাসে বিরল ঘটনা "আদালতে মামলার শুনানী চলাকালে রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন"। বর্তমানেও তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ন্যায় বিচারের প্রতিক হাইকোর্টের সামনে স্থাপিত ভাস্কয্যটি সরানোর জন্যে। "রাষ্ট্র বনাম মাজদার হোসেন" ঐতিহাসিক হাইকোর্টের রায় অবিকল সংবিধানে সংযোজিত হলে তাঁদের আজকের ষড়যন্ত্রের কোন পথ কি খোলা থাকতো?
 
প্রিয় পাঠক, এ প্রসংগে ১৪ মার্চ ২০১৭ দৈনিক জনকন্ঠের সম্পাদকীতে যা বলা হয়েছে তার অংশ বিশেষ এখানে উদ্ধৃত করছি। “বিশ শতকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংঘটিত হয়েছে গণহত্যা। এর মধ্যে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, গুয়েতেমালা, চিলি, বুরুন্ডিসহ বিভিন্ন দেশে গণহত্যা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বাংলাদেশে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনও বলেছে, মানব সভ্যতার ইতিহাসে যতগুলো গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে; তাতে অল্প সময়ের মধ্যে সব থেকে বেশিসংখ্যক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে। প্রতিদিন গড়ে ছয় থেকে বারো হাজার বাঙালীকে খুন করা হয়েছে। পঁচিশ মার্চ থেকে ষোলো ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বারো হাজার হিসেবে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২ লাখ ৪ হাজার।

       বাংলাদেশে গণহত্যা পরিচালনাকারী খোদ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর অধিনায়ক "যুদ্ধাপরাধী আবদুল্লাহ নিয়াজি" তার ‘বিট্রেয়াল অব ইস্ট পাকিস্তান’ গ্রন্থে মন্তব্য করেছেন--"পঁচিশে মার্চের সামরিক অভিযান বুখারা ও বাগদাদে চেঙ্গিস খান ও হালাকু খানের গণহত্যার চেয়েও বেশি নিষ্ঠুর ছিল।" স্বয়ং গণহত্যাকারী প্রধান নিজেই যখন দাবি করছেন, স্পষ্ট হয় বাংলাদেশে তাদের নৃশংসতার মাত্রা কতটুকু ছিল। ১৯৭১ সালের পঁচিশ মার্চ এক রাতে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’-এর নামে হানাদাররা বাংলাদেশে লক্ষাধিক বাঙালীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ হত্যাপ্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত গণহারে নারীদের ওপর চালানো হয়েছে পাশবিক নির্যাতন। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সেসব পৈশাচিক বর্বরতা গণহত্যার ইতিহাসে এক ভয়াবহতম ঘটনা। পঁচিশে মার্চের গণহত্যা শুধু এক রাতের হত্যাকাণ্ডই ছিল না, এটা ছিল বিশ্বসভ্যতার জঘন্যতম হত্যাকান্ডের সূচনা। এর পর নয় মাসে পাকিস্তানী হানাদাররা ত্রিশ লাখ নিরপরাধ নারী-পুরুষ শিশুকে জঘন্যভাবে হত্যা করে।”

     মহান জাতীয় সংসদে দেরিতে হলেও ভয়াল ২৫ মার্চকে জাতীয় গনহত্যা দিবস পালনের আইন পাশ হয়েছে। মহান সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি মন্ত্রীপরিষদ উক্ত "২৫ মার্চকে গনহত্যা দিবস" পালন অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার অনুমোদন দেয়ার অর্থ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উক্ত দিবস পালন করতে এই বছর থেকে বাধ্য। কিন্তু দু:খ্যজনক হলেও সত্য মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে রাজনীতি করে যারা ক্ষমতা দীর্ঘদিন উপভোগ করেছে এবং আগামীতেও ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে তাঁদের মধ্যে বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি সহ তাঁর বিশদলীয় জোটের পক্ষ থেকে দিবসটি পালন উপলক্ষে কোনপ্রকার তোড়জোড় লক্ষ করা যাচ্ছেনা। দেশেবিদেশে স্বীকৃত, মহান সংসদে অনুমোদিত, হত্যাকারি কতৃক স্বিকৃত, বাংলাদেশ সরকার কতৃক ঘোষিত ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ এর ভয়াল গনহত্যাকে অস্বীকার করেও কি মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে তাঁরা রাজনীতি করার অধিকার ভোগ করতে পারবে?
 ruhulaminmujumder27@gmail.com
    "জয়বাংলা    জয়বঙ্গবন্ধু"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন