জাতির জনকের আদর্শ শেখ হাসিনার প্রেরনা-----খালেদা জিয়ার প্রজেক্ট প্রয়াত স্বামীর পদাংক অনুসরন। _____________________________________ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আরো কিছুদিন জীবিত থাকলে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতা হিসেবে পরিগনিত হতেন। তার নেতৃত্বের দূরদর্শিতা ও তীক্ষতা এদেশের মানুষ অনুভব করতে পারে নাই।তাঁর মৃত্যুর পর একে একে সকল রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ এবং আন্তজাতিক সম্পর্ক, প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সাথে চুক্তি সমুহ মুল্যায়িত হচ্ছে।বিশ্বব্যাপি আলোচিত হচ্ছে তাঁর ধ্যান ধারনা,অসাধারন ব্যাক্তিত্ব, সুদুরপ্রসারী চিন্তা চেতনার। বিশেষ করে স্বল্পকালীন শাষনের দুর্ভিক্ষপীড়িত,খরামঙ্গা মোকাবেলা করে স্থায়ী রাষ্ট্রীয় কাঠামো নির্মানের লক্ষ সমুহ বিশ্ববাসির জন্য শিক্ষনীয় হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে চিরকাল।বিশ্বের নীপিড়িত নিয্যাতীত সংগ্রামী মানুষের অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববরেন্য নেতাদের নানাবিদ কেলেংকারি ফাঁস হয়ে মৃত্যুর পরও সমালোচিত হতে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু এক্ষেত্রেও আলাদা এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন।গনতন্ত্রের পুজারী হিসেবে তাঁর সকল কর্মকান্ডই ছিল কৌশলি প্রক্রিয়ায়। উদাহরন হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে পয্যালোচনা করলেও তাঁর নেতৃত্বের অনেক দিক উম্মোচিত হতে পারে।৭ই মার্চের ভাষন মানব সভ্যতার অমূল্য রত্ম হয়ে বিশ্ব দরবারে ঠাই করে নিয়েছে।বিগত আড়াই হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ দিকনির্দেশনামুলক ভাষন হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এইকৌশলী ভাষনের মাধ্যমে তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা এমন ভাবে উচ্চারন করেছিলেন যাতে বিচ্ছিন্নতাবাদের অপবাদে বিশ্ববাসি তাঁকে দুষতে না পারে-আবার জাতি সম্যক উপলব্দিও করতে পারে এখন তাঁদের কি করা উচিৎ এবং বঙ্গবন্ধু জাতিকে কি নির্দেশনা দান করেছেন। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের স্বাধীনতা যারা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল তারাই স্বাধীনতা লাভের মাত্র সাড়ে তিন বছর পর বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।জাতিকে অন্ধকারের অতল গব্বরে নিমজ্জিত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা দিয়েছেন কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামকে বেগবান করার নির্দেশনার অল্প কয়দিন পরই তাঁকে স্বাধীনতা বিরুধীরা হত্যা করে। ফলে তাঁর অর্থনৈতিক মুক্তির আহব্বান মুখ থুবড়ে পড়েছিল। জাতির জনকের দুই কন্যা সেদিন ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল বিদেশে অবস্থানের কারনে। তাঁর জৈষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেছেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মুক্তির লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের সংগ্রাম সফল হচ্ছে।দ্রুতগতিতে দেশ উন্নতি অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভিক্ষা বৃত্তির জাতি মধ্যম আয়ে উন্নিত হয়েছে।পদ্মা সেতুর মত বৃহৎ প্রকল্প নীজেদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করার যোগ্যতা অর্জন করেছে। জি,ডি,পির উধ্বগতি প্রতিনিয়ত লক্ষনীয়ভাবে জনসমক্ষে দৃশ্যমান হচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতি যখন মন্দার কবলে পড়ে সরকারি আধা সরকারি অফিসের জনবল চাটাই পুর্বক মন্দা মোকাবেলার কৌশল নির্ধারন করছে -তখন শেখ হাসিনার সরকার মন্দার ছোঁয়া অর্থনীতিতে পড়তে দেন-নি বরঞ্চ প্রতিটি সেক্টরে জনবল নিয়োগ দিয়ে গতিশীলতা আনানয়নের প্রতি মনোযোগি হয়েছেন। তাঁর সুফল ইতিমধ্যে জাতি পাওয়া শুরু করেছে।বর্তমান জিডিপি ৭'৫এর ঘরে পৌচেছে, মাথা পিছু আয়ের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে(১৪৬৬ ডলার) লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্ববাসি ইতিমধ্যেই তাঁদের মুল্যায়ন পত্রে বলা শুরু করেছেন আগামী দশক আসার আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশের তালিকায় শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে নাম লিখাতে সক্ষম হবে। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৯২ দিন আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে ক্ষমতা দখলে ব্যর্থ হয়ে ঘরে ফিরে যান। আর ঘরে ফিরে তিনি তার প্রিয় পাকিস্তানকে খুশি করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছেন। বিএনপিকে এক নেতা "ফিনিক্সপাখি" হিসেবে উল্লেখ করে হঠাৎ জেগে উঠার স্বপ্নে বিভোর আছেন।অর্থাৎ তিনিও স্বীকার করে নিলেন বিএনপির অবস্থা ভাল নেই।বিএনপি দাঁড়াতে পারবে কিনা তাঁরা সন্দিহান।হঠকারি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে বিএনপি বিপুল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধীরে হলেও নেতারা স্বীকার করে নেয়া শুরু করেছে। বিএনপি এই নাশকতা করেছিল মানবতা বিরুধী বিচার বানচাল করার উদ্দেশ্যে।৭৫এর পট পরিবর্তনের অব্যবহিত পরেই বুঝা গিয়েছিল মেজর জিয়াই ছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার মুল নেপথ্যের নায়ক। ক্ষমতা দখলের নাটকিয়তা, সেনা অভ্যুত্থানের গুজব ছড়িয়ে বিভিন্ন সেনা সদরে মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসার হত্যা, রাজাকার আলবদরদের মন্ত্রী সভায় স্থান দেয়া,যুদ্ধ অপরাধাদের জন্য গঠিত ট্রাইবুনাল ভেঙ্গে দেয়া, যুদ্ধ অপরাধে সাজা প্রাপ্ত রাজাকারদের জেলমুক্তি করে দেয়া, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জড়িত শীর্ষ অপরাধীদের দেশত্যাগে সুযোগ করে দেয়া ইত্যাদি পয্যলোচনা করলে স্পষ্ট বুঝতে কারই অসুবিধা হওয়ার কথা নয় মেজর জিয়া প্রকৃত একজন রাজাকার ছিলেন-বঙ্গবন্ধু হত্যার মুল কারিগর ছিলেন--মুক্তিযুদ্ধে পাকিদের হাই প্রোফাইলের একজন চর ছিলেন। কোন মুক্তিযোদ্ধার পরিবার বাসা বাড়ীতে অবস্থান করতে না পারলেও তাঁর পরিবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত সেনা সদরে বেশ সুখে শান্তিতেই ছিলেন। পরবর্তিতে খালেদা জিয়ার কর্মকান্ডই তা প্রমান করে। শিমলা চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানের যে ১৯৫ শীর্ষ সামরিক যুদ্ধাপরাধীর বিচার করার কথা ছিল তার মধ্যে জেনারেল জানজুয়াও ছিলেন। তার মৃত্যুর পর বেগম খালেদা জিয়া দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় শোকবার্তা পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রীয় প্রটোকলের কোন তোয়াক্কা না করে। বেগম খালেদা জিয়ার এ শোকবার্তা পাঠানোর মাধ্যমে প্রমান হয় তিনি দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন না।কথিত আছে, খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধি মি: জানজুয়ার হেফাজতেই ছিলেন। ১৫ই আগষ্ট ভুয়া জম্মদিন পালন,শহিদের সংখ্যা বিতর্ক, মানবতা বিরুধী বিচার বানচালে আগুন সন্ত্রাস, আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় আনার ষড়যন্ত্র-ইত্যাদি নানাহ কর্মকান্ড পয্যালোচনা করলেও স্পষ্ট ধারনা পেতে) -তেমন কোন অসুবিধা হয়না খালেদাও তাঁর স্বামীর পদাংক অনুসরন করে বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানানোর প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। তিনিও স্বাধীনতা বিরুধী। পরিশেষে বলতে চাই, জাতির জনকের কন্যা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষে।আওয়ামী লীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীর উদ্দেশ্য হবে কর্মসুচি বাস্তবায়নে সর্বদা অনুপ্রেরনা যুগিয়ে যাওয়া,সাহষ দিয়ে এগিয়ে নেয়া।যখন দেখি কোন মুজিব আদর্শের সৈনিক অপপ্রচারকারিদের পদাংক অনুসরন করে তাঁদের মতই কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে,তখন নেত্রী নীজেকে বড়ই অসহায় মনে করে, একা মনে হয়। তিনি প্রত্যহ একাকিত্বে ভোগছেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারাও অনেক সময় তাঁদের সাথে সুর মিলিয়ে একই ভাষায় কোরাশ গায়। জাতির জনকের কন্যা একাদিকবার তাঁর ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটিয়ে বলতে চেয়েছেন,"আমি ছাড়া আর কেউ চায়না জাতির জনকের আদর্শ বাস্তবায়ন হোক।" __________________________________ জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা